Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Ration Corruption: রেশনে ১০০০ কোটির দুর্নীতি, মামলার তৃতীয় চার্জশিটে নাম আনিসূর ও আলিফ নূরের

    Ration Corruption: রেশনে ১০০০ কোটির দুর্নীতি, মামলার তৃতীয় চার্জশিটে নাম আনিসূর ও আলিফ নূরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি (Ration Corruption) মামলায় অভিযুক্ত আনিসুর রহমান ও আলিফ নূরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিল ইডি। মামলায় এই নিয়ে তৃতীয় চার্জশিট দাখিল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মেট্রোপলিটন মেজিস্ট্রেটের এজলাসে এদিন মামলায় চার্জশিট (ED Third chrage sheet) জমা করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই আর্থিক দুর্নীতিতে ১০০০ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই দুই অভিযুক্তের সঙ্গে তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে।

    মোট ১৫৭ পাতার তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট ইডির (Ration Corruption)

    জানা গিয়েছে, এই চার্জশিটে (ED Third chrage sheet) তৃণমূল ঘনিষ্ঠ আরও দুই ডিস্ট্রিবিউটার ও চারটে সংস্থার নাম রয়েছে। দুই ব্যবসায়ীর মাধ্যমে রেশন দুর্নীতির প্রায় এক হাজার কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে। এই আনিসুর রহমান ও আলিফ নূর হলেন তৃণমূলমন্ত্রী বালু ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের দুই ভাই। তাদের ইডি গ্রেফতার করেছিল গত ২ অগাস্ট। তবে গ্রেফতার করার আগে তাদের দেগঙ্গার বাড়ি, ধান কল, চাল কলে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তৃতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট হয়েছে মোট ১৫৭ পাতার। সেই সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে মোট ৩০০০ নথি। মামলায় ৩৫০টির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে।

    আরও পড়ুনঃ আরজি করের প্রতিবাদে মুগ্ধ কিরণ রাও, জানালেন তাঁর পরের ছবির প্রেক্ষাপট কলকাতা

    এখনও পর্যন্ত ২৯টি নাম চার্জশিটে

    প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্যদের বিরুদ্ধে আগেই চার্জশিট দিয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। এ নিয়ে রেশন দুর্নীতি (Ration Corruption) মামলায় ব্যক্তি এবং সংস্থা মিলিয়ে মোট ২৯টি নাম চার্জশিটে রয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। আদালতে ইডি, এই আনিসুর রহমান ও আলিফ নূরের সঙ্গে বালুর ঘনিষ্ঠতা নিয়েও তথ্য দিয়েছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী নানা সময়ে একাধিকবার দেড় কোটি টাকার বেশি টাকা নিয়েছেন তাদের কাছ থেকে। এমনকি বাকিবুর রহমানের সঙ্গে একাধিক সময়ে মোটা টাকার লেনদেন হয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় একাধিক ধান কল, চাল কলের মালিক এই দুই ভাই। তারা অবৈধ ভাবে প্রচুর কালো টাকা সাদা করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: আরজি করের প্রতিবাদে মুগ্ধ কিরণ রাও, জানালেন তাঁর পরের ছবির প্রেক্ষাপট কলকাতা

    RG Kar: আরজি করের প্রতিবাদে মুগ্ধ কিরণ রাও, জানালেন তাঁর পরের ছবির প্রেক্ষাপট কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar) চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে আন্দোলন হয়েছে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। এই প্রতিবাদ ও ন্যায় বিচার চেয়ে শহর  কলকাতার ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনাকে অনুপ্রাণিত করেছে চিত্র পরিচালক কিরণ রাওকে। তাঁর পরবর্তী ছবির চিত্রনাট্য এই শহরকে কেন্দ্র করেই। জানিয়ে দিলেন তিনি।

    আরজি কর নিয়ে কী বললেন পরিচালক? (RG Kar)

    চলতি বছর মুক্তি পায় কিরণ রাও পরিচালিত ছবি ‘লাপাতা লেডিস’। সম্প্রতি অস্কার ২০২৫-এর জন্য নির্বাচিত হয়। আমির খান প্রোডাকশনের এই ছবি মুগ্ধ করে দর্শকদের। ছবিতে দু’টি মেয়ের গল্পের রূপকে হাজার হাজার মেয়ের জীবনের লড়াইকে তুলে ধরা হয়েছিল। সোজা সাপটা গল্পে যেভাবে নারী ক্ষমতায়নের বার্তা দিয়েছেন পরিচালক। আর অস্কারে নির্বাচিত হওয়ার পর কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আরজি কর (RG Kar) ইস্যু নিয়ে তিনি মুখ খুললেন। তিনি বলেন, “কলকাতাতেই পড়াশোনা, এখানেই বেড়ে উঠা আমার। অস্কারের জন্য মনোনয়ন আমাকে অবশ্যই আনন্দ দিয়েছে। দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছি, এর বড় অনুভূতি আর কী হতে পারে। এটা একটা বড় দায়িত্বও।” আরজি কর নিয়ে সরব হলেন তিনি। তিনি বলেন,  “আরজি কর ইস্যুকে কেন্দ্র করে চলা এই শহরের প্রতিবাদ দেখে আমি অভিভূত। যেভাবে সমাজের সব অংশের মানুষ পথে নেমেছেন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে, তা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। দেশ জুড়ে কর্মক্ষেত্রে মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা খুব জরুরি।”

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    পরবর্তী ছবির চিত্রনাট্য কলকাতাকে নিয়ে

    তিনি (Kiran Rao) আরও বলেন, “একটি গল্প লিখতে শুরু করেছি সম্প্রতি। যার প্রেক্ষাপট কলকাতা। ৪০-এর দশক থেকে শুরু করে বর্তমান, উঠে আসবে মহিলাদের নানা সময়ের কথা। তিনটে প্রজন্মের গল্প বলা হবে এই ছবিতে।” ইতিমধ্যেই তার প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু করে ফেলেছেন পরিচালক। শ্যুটিং হবে কলকাতাতেই। এই কলকাতা তাঁর ভালোবাসার শহরও, তাই কিরণ বলেন, “এই বছর অস্কারের প্রক্রিয়ার জন্য কলকাতয়তে আসতে পারব না। কিন্তু আমার অনেক স্মৃতি আছে এই শহর জুড়ে। ফুচকা, কাটিরোল, চপ আমি ঘুরে ঘুরে খেতাম। আমি খুবই ফুডি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sagar Dutta Medical College: রোগী মৃত্যুর জেরে হামলা পরিজনদের, সাগর দত্তে কর্মবিরতি জুনিয়র ডাক্তারদের

    Sagar Dutta Medical College: রোগী মৃত্যুর জেরে হামলা পরিজনদের, সাগর দত্তে কর্মবিরতি জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ডের রেশ এখনও রয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতালে স্বাস্থ্য কর্মীদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই আবহে রোগীমৃত্যুকে কেন্দ্র করে কামারহাটির সাগর দত্ত হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) উত্তেজনা ছড়াল শুক্রবার। এক রোগীর মৃত্যু ঘিরে চিকিৎসকদের (Junior Doctors Protest) উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় আহত ৩ জুনিয়র ডাক্তার, নার্স-সহ ৩ স্বাস্থ্যকর্মী ও এক পুলিশকর্মী। চিকিৎসকদের উপর হামলার ঘটনার পর সাগর দত্তে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। শনিবার সকালেও চলছে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি, ধর্না। 

    ঠিক কী ঘটেছিল

    বছর ছত্রিশের রঞ্জনা সাউ নামে এক মহিলাকে শুক্রবার শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে (Sagar Dutta Medical College) ভর্তি করা হয়। রোগীর পরিজনদের দাবি, হাসপাতালে কোনওরকম চিকিৎসা হয়নি রোগীর। এর ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। যখন অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে ওঠে, সেই সময় স্বাস্থ্যকর্মী অক্সিজেন দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু তা সফল হয়নি। রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতালের ভিতরেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন রোগীর পরিজনরা। হাসপাতালের আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, রোগীর পরিজনরা চিকিৎসকদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। চিকিৎসকদের ধাক্কাধাক্কি করা হয়। তাঁরা এগিয়ে গেলে তাঁরাও আহত হন।

    চলছে ধর্না, কর্মবিরতি

    এই ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার রাত ১১টা থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। হাসপাতাল (Sagar Dutta Medical College) চত্বরে চলছে ধর্নাও। বহির্বিভাগ বা জরুরি বিভাগে আপাতত পরিষেবা বন্ধ রেখেছেন তাঁরা। কত ক্ষণ কর্মবিরতি চলবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হাসপাতাল চত্বরে অবস্থানে বসে থাকা জুনিয়র ডাক্তারেরা জানাচ্ছেন, শনিবার তাঁদের কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকের পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে। আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে টানা ৪২ দিন জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি চলেছে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে। সরকারের তরফে নিরাপত্তা ও পরিকাঠামোগত ক্ষেত্রে ইতিবাচক কিছু আশ্বাস পাওয়ার পর সদ্য কাজে ফিরেছিলেন তাঁরা। আংশিক ভাবে শুরু করেছিলেন রোগী পরিষেবা। কিন্তু এরই মধ্যে ফের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলায় ক্ষুব্ধ ডাক্তাররা। এদিকে, হামলার খবর পেয়ে শুক্রবার রাতেই সাগর দত্ত (Sagar Dutta Medical College) মেডিক্যালে পৌঁছে যান পশ্চিমবঙ্গ জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের (ডব্লিউবিজেডিএফ) প্রতিনিধিরা। সেখানকার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদাররা। 

    আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    জুনিয়র ডাক্তারদের অভিযোগ

    হামলার অভিযোগে ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তারদের (Junior Doctors Protest) বক্তব্য, তাঁরা কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সাগর দত্তের এক জুনিয়র ডাক্তার জানান, ঘটনার পর হাসপাতালের অধ্যক্ষ এবং এমএসভিপির সঙ্গে তাঁদের কথা হয়েছে। নিরাপত্তার বিষয়ে তাঁরা মৌখিক আশ্বাস পেয়েছেন কর্তৃপক্ষের থেকে। কিন্তু বাস্তবে সেই আশ্বাসের কোনও প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না বলেই দাবি জুনিয়র ডাক্তারদের। শুধু তাই নয়, হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। সাগর দত্তের এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যায় মহিলা ওয়ার্ডে রোগীর পরিজনেরা প্রবেশ করে ধস্তাধস্তি শুরু করেছিলেন। তাহলে নিরাপদ কর্মস্থল কোথায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    Amit Malviya: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! পুলিশকে ভর্ৎসনা আদালতের, রাজ্যকে আক্রমণ মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘গান পয়েন্টে ধর্ষণ আইএএসের স্ত্রীকে’! খোদ কলকাতার ঢাকুরিয়ার ঘটনা। মামলা লঘু করে দেখিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার। তার পরেই বাংলায় নারী (Women In Bengal) সুরক্ষা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুললেন বিজেপির আইটি সেলের আহ্বায়ক অমিত মালব্য (Amit Malviya)। এক আইএএস অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষণের মামলাকে লঘু করার অপরাধে কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে পুলিশ।

    অমিতের ট্যুইট-বাণ (Amit Malviya)

    এই প্রসঙ্গেই অমিতের ট্যুইট-বাণ। তিনি লিখেছেন, “বন্দুকের নলের সামনে দুদিন ধর্ষণের শিকার হন একজন আইএএসের স্ত্রী। এক মহিলা থানায় গেলে পুলিশ অপরাধীকে বাঁচাতে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট ও লোপাট করার চেষ্টা করে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজত্বে এভাবেই মানুষ ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত।” এই বিজেপি নেতার দাবি, “এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং বাংলায় নারীর প্রতি যৌন অপরাধের প্রবণতা ক্রমবর্ধমান।” তাঁর প্রশ্ন, ‘যদি কলকাতায় একজন প্রভাবশালী আইএএস অফিসারের স্ত্রী যৌন নিপীড়নের শিকার হন এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ অপরাধের চিহ্ন মুছে ফেলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে, তাহলে দরিদ্র ও প্রান্তিকরা কতটা দুর্বল, তা কল্পনা করা যায়?’ অমিতের বক্তব্য, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সন্দেশখালি থেকে আরজি কর, বাংলায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেই চলেছে।

    হাইকোর্টের পদক্ষেপ

    গত ১৫ জুলাই লেক থানা এলাকায় এক আইএএসের স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ ধর্ষণের চেষ্টার পরিবর্তে লঘু ধারায় মামলা রুজু করে বলে অভিযোগ। মহিলার বয়ানের সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশটিও বাদ দিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিম্ন আদালতে পেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই জামিন পান অভিযুক্ত। তার আগাম জামিনও মঞ্জুর করে (Amit Malviya) আদালত। যদিও নিম্ন আদালত থেকে পাওয়া জামিন ও আগাম জামিন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলা হস্তান্তর করা হল লালবাজারে কর্মরত ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক মহিলা পুলিশ আধিকারিককে। হাইকোর্টের নির্দেশ, তিনি এই মামলার তদন্তকারী আধিকারিক হবেন। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে লেক থানার ওসি, এক সাব ইনস্পেক্টর, একজন সার্জেন্ট ও তিন মহিলা পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেয় আদালত।

    জানা গিয়েছে, এফআইআর দায়ের করার পরেই অভিযুক্তের স্ত্রী ও ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। নিগৃহীতাকে চাপ দেওয়ার জন্যই এদের নিয়ে আসা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পরে তাঁর জামা-কাপড় ও অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করতে পুলিশ বাড়িতে যায় বলে দাবি নিগৃহীতার। হাইকোর্টে দায়ের করা মামলায় দাবি, অভিযুক্ত যে বাড়িতে ঢুকছে এবং বেরোচ্ছে, সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। নিগৃহীতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করার প্রয়োজন বোধ করেননি তদন্তকারী আধিকারিক। নিগৃহীতা নিজেই সরকারি হাসপাতালে যান এবং মেডিক্যাল রিপোর্ট দেন তদন্তকারী আধিকারিককে।

    আরও পড়ুন: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    কী বলছে আদালত

    এদিন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশে জানান, লেক থানার পুলিশ আধিকারিক সুজাতা বর্মণ, তিলজলা থানার এসআই কল্পনা রায় ও কড়েয়া থানার এসআই অর্পিতা ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ নির্যাতিতার অভিযোগ গ্রহণ করা ও তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার ক্ষেত্রে গাফিলতি রয়েছে (Women In Bengal) বলে মনে করছে আদালত (Amit Malviya)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাথমিকভাবে সঠিক ধারায় এফআইআর দায়ের না হওয়া এবং অভিযোগপত্র বিকৃত করার যে অভিযোগ উঠেছে, তার ফলে এই তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বিচারপতি ভরদ্বাজের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তের পরিবার নিগৃহীতাকে থানায় বসে হুমকি দিচ্ছে। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়েও কোনও তদন্ত হয়নি। এছাড়াও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে নিগৃহীতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষাও করেনি পুলিশ।

    ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ থেকে এটা স্পষ্ট, রাজ্যে (Amit Malviya) কোনও ধর্ষণের ঘটনা ঘটলে তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, সন্দেশখালি কিংব অন্যত্র ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেই তৃণমূলের দলদাস পুলিশ কর্মীরা ঘটনাকে লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করে। কোথাও এফআইআরে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয় না, তো কোথায় আবার নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা করা হয় না। কোথাও আবার শারীরিক পরীক্ষা করা হলেও, তা ঘটনার পরে পরেই নয়, বেশ কয়েকদিন পরে। অভিযোগ, প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশেই এসব করা হয়। ঢাকুরিয়ার বধূর ক্ষেত্রেও কী তাই করার চেষ্টা করেছিল রাজ্য, উঠছে প্রশ্ন (Amit Malviya)।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Case: আরজি করে বসানো হবে অভয়ার মূর্তি, মহালয়ায় মহাসমাবেশের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    RG Kar Case: আরজি করে বসানো হবে অভয়ার মূর্তি, মহালয়ায় মহাসমাবেশের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর (RG Kar Case) মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার ন্যায় বিচারের দাবিতে কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসেই মূর্তি বসবে নির্যাতিতার। শুক্রবার এসএসকেএম মেডিক্যাল হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের গণকনভেনশেনে এমনটাই জানালেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী। একইভাবে মহালয়ার (Mahalaya) দিনে মহাসমাবেশ এবং মহামিছিলের ডাক দেয় জুনিয়র ডাক্তার ফ্রন্ট।

    অভয়ার কর্মস্থলে বাসনো হবে মূর্তি (RG Kar Case)

    কার্যত নিজের কর্মক্ষেত্রেই খুনের শিকার হয়েছেন অভয়া। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুবিচারের দাবিতে আন্দোলনের আঁচ রাজ্য, দেশ তথা বিদেশও গিয়ে পড়েছে। সর্বত্র ‘জাস্টিস ফর আরজি কর’-স্লোগানে মুখরিত হয়েছে। হত্যার ৫০ দিনের মাথায় এসএসকেএম হাসপাতালের একটি প্রেক্ষাগৃহে গণকনভেনশনের ডাক দেওয়া হয়। তাতে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন বর্গের মানুষ। কবি, সাহিত্যিক, সমাজকর্মী, ছাত্রছাত্রী, গবেষক, অধ্যাপক এবং সাংবাদিকরা যোগদান করেছিলেন। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের মধ্যে অভিজিৎ চৌধুরী দাবি করেন, যেখানে অভয়ার নির্যাতন হয়েছে, সেখানেই তাঁর মূর্তি বাসনো হবে। তবে ঠিক কোথায় বাসানো হবে তা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করা হবে। একই ভাবে এই মূর্তি বাকি হাসপাতালেও বাসানো হবে। ন্যায় বিচারের দাবিতে আমরা অনড়।

    আরও পড়ুনঃ ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল

    এবারের দুর্গাপুজো হবে প্রতিবাদের উৎসব, ঠিক এমন দাবি তোলা হয় এদিনের গণকনভেনশেনে। আগামী ২ অক্টোবর মহালয়ার (Mahalaya) দিনে ন্যায় বিচারের (RG Kar Case) দাবিতে মহামিছিলের ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের ফ্রন্ট। সেদিন কলেজ স্কোয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করা হবে। মিছিলের শেষে ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ। এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সমাজের নানা স্তরের মানুষকে যোগদানের জন্য আহ্বান করা হয়েছে। একই ভাবে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ফের রাত দখলের ডাক দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, এবারের স্লোগান হবে, ‘পাড়ায় থাকছি এক সাথে, উৎসবে নয় প্রতিবাদে’। এদিকে আন্দোলনরত ডাক্তারি পড়ুয়ার টানা ৪২ দিন কর্মবিরতির পর কাজে যোগদান করলেও আন্দোলনের তীব্রতা একটুও কম হয়নি। একই ভাবে ডাক্তারদের দাবি-দাওয়া না মানলে, আবার কর্মবিরতি ঘোষণা করতে পারেন বলে রাজ্য সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sikkim: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    Sikkim: পুজোর মুখে মরশুমের প্রথম তুষারপাত সিকিমের ছাঙ্গুতে, কিন্তু পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর বাকি হাতে গোনা আর কয়েকটা দিন। পুজোর ছুটিতে অনেকেরই ডেস্টিনেশন হয় পাহাড়। ব্যাগপত্র গোছানোও শুরু হয়ে গিয়েছে। এরইমধ্যে অবিরাম বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে। নামছে ধস। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। কার্যত বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। বন্ধ রয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুজোর ছুটির মুখেই মন ভালো করা খবর এল সিকিম (Sikkim) থেকে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার উত্তর সিকিমের ছাঙ্গুতে তুষারপাত হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন জানাচ্ছে, এটাই এই মরশুমের প্রথম তুষারপাত। দুপুর নাগাদ একটু একটু করে তুষারপাত (Snowfall) শুরু হয়েছিল। চলে বেশ খানিক ক্ষণ। ফলে, তুষারপাতের আমেজ নিতে পর্যটকরা কীভাবে যাবেন তা নিয়ে পর্যটকরা দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।

    পর্যটকরা পৌঁছাবেন কীভাবে? চিন্তায় ব্যবসায়ীরা 

    পাহাড়ে নাগাড়ে বৃষ্টি আর ধসের ঘটনায় উদ্বেগ বাড়িয়েছিল। তবে, যাঁরা পুজোয় সিকিমের (Sikkim) দিকে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য এবার দারুণ সুখবর রয়েছে। বছরের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী থাকল সিকিমের ছাঙ্গু ও চোপ্তা ভ্যালি। এই খবর পেয়ে যারপরনাই আনন্দে আত্মহারা হবেন পর্যটকরা। যে পর্যটকরা ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন, বছরের প্রথম তুষারপাত হতেই তাঁরা উচ্ছ্বসিত। তুষারপাতের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশাবাদী পর্যটন ব্যবসায়ীরা। আসন্ন পুজোর ছুটির মরশুমে পর্যটকরা তুষারপাতের টানে পাহাড়মুখী হবেন বলে তাঁদের আশা। তবে, টানা ধসের কারণে বন্ধ রয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সিকিম (Sikkim) যেতে হলে পর্যটকদের গরুবাথান, লাভা পেরিয়ে আলগাড়া হয়ে যেতে হবে। তা বেশ সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। কিন্তু, সেখানেও বিপদ! গরুবাথান থেকে লাভা হয়ে যে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের যোগ্য ছিল, সেটিও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। খুব প্রয়োজন না থাকলে সেই রাস্তা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সেজন্যই পর্যটকদের আগমন নিয়ে চিন্তায় সিকিমের হোটেল ব্যবসায়ীরা। 

    আরও পড়ুন: রক্ত পরীক্ষার রিএজেন্ট কেনাতেও কোটি টাকার দুর্নীতি! সন্দীপের নয়া কুকীর্তি প্রকাশ্যে

    পাহাড়ে কতদিন চলবে বৃষ্টি? কী বলছে পূর্বাভাস?

    গত দু’দিন ধরে টানা উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি সিকিমেও (Sikkim) ভারী বর্ষণ চলছে। দু’দিনের ভারী বর্ষায় ফুঁসছে তিস্তা-সহ অন্যান্য নদী। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টি চলবে পাহাড়-সহ সমতলে। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। আবহবিদেরা জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস নামতে পারে। তার মধ্যেই তিস্তায় নতুন করে জলস্ফীতি ঘটায় তিস্তাপারের বাসিন্দাদের সতর্ক করেছে প্রশাসন। বিপদ এড়াতে কয়েকটি এলাকায় নজরদারি শুরু হয়েছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক-সহ পাহাড়ি রাস্তাগুলিতে। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে বিপদের মুখে পাহাড় এবং সমতলের একাংশ। কালিম্পং তো বটেই, দার্জিলিংয়ের একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে। প্রায় সময়ই বন্ধ থাকছে জাতীয় সড়ক। প্রায় লক্ষ্মীপুজো পর্যন্ত উত্তরে বৃষ্টি থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    আরও দুদিন তুষারপাতের সম্ভাবনা সিকিমে (Sikkim)!

    শুক্রবার তুষারপাত (Snowfall) হতে পারে বলে আগেই অবশ্য পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া দফতর। শুক্রবার সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর ডক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, “নামচি জেলায় তাপমাত্রা অনেকটাই নেমেছে। যে কারণে ছাঙ্গুতে তুষারপাত হয়। আগামী দু’দিনও সেখানে তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি গোট পাহাড়ে আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।” সিকিমের (Sikkim) ব্যবসায়ীদের এখন একটাই প্রার্থনা, বৃষ্টি যেন দ্রুত বন্ধ হয়ে যায়। যাতে তুষারপাতের আমেজ নিতে রাজ্যে আসতে পারেন পর্যটকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: গোটা পুজোয় ঝড়বৃষ্টি! ভিজবে কোন কোন জেলা? কী পূর্বাভাস মৌসম ভবনের?

    Weather Update: গোটা পুজোয় ঝড়বৃষ্টি! ভিজবে কোন কোন জেলা? কী পূর্বাভাস মৌসম ভবনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর তিনদিন পর মহালয়া। দেবীর আগমনী বার্তা আকাশে-বাতাসে। তবে, জোড়া ঘূর্ণাবর্ত আর নিম্নচাপের প্রভাবে চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি (Rain Forecast) লেগেই রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী, সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ একটু কমলেও পুজোয় ফের ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না। ১৩ অক্টোবর (একাদশী) পর্যন্ত উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে। 

    পুজোয় বৃষ্টির আশঙ্কা

    পুজোর মাত্র আর কয়েকটা দিন, পুজোতে কেমন থাকবে আবহাওয়া? আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather Update) সূত্রে জানা গিয়েছে, মহালয়াতে বৃষ্টি (Rain Forecast) হবে। আসন্ন পুজোতেও বৃষ্টিপাত জারি থাকবে। পুজোতে কলকাতা-সহ সব জেলাতে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৫ অক্টোবর থেকে ৯ অক্টোবর, ষষ্ঠী পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার বেশির ভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ অক্টোবর, সপ্তমী থেকে ১৩ অক্টোবর, একাদশী পর্যন্ত হালকা বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের সব জেলাতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ডকেই ডুবে গেল পারমাণবিক সাবমেরিন! প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা চিনের

    জোড়া ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব

    হাওয়া অফিস (Weather Update) জানিয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ এবং সংলগ্ন এলাকার উপর রয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। অন্য দিকে, দক্ষিণ গুজরাট থেকে উত্তর-পশ্চিম বিহার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। এই দুইয়ের প্রভাবেই বঙ্গোপসাগর থেকে ছুটে আসছে জলীয় বাষ্প। তার প্রভাবেই রাজ্যে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হচ্ছে। মৌসম ভবনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, ৩ তারিখ পর্যন্ত উত্তর ও দক্ষিণ- দুই বঙ্গেই বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের থেকে বেশি হবে। ৪ তারিখ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত দুই বঙ্গে স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত (Rain Forecast) হবে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কোচবিহারেও ভারী বৃষ্টি চলবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে দর্জিলিংয়ে ধসের কবলে বাড়ি-রাস্তা, জারি লাল সতর্কতা, উদ্বেগে পর্যটকরা

    Heavy Rainfall: টানা বৃষ্টিতে দর্জিলিংয়ে ধসের কবলে বাড়ি-রাস্তা, জারি লাল সতর্কতা, উদ্বেগে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাগাতার বৃষ্টির (Heavy Rainfall) জেরে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি দার্জিলিং (Darjeeling) ও কালিম্পং জেলায়। বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও মিরিক, দার্জিলিং, কালিম্পং ও কার্শিয়াংয়ের নানা এলাকায় ধস (Landslide) নামে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিরিকদারায় পাহাড় থেকে লাগাতার বড় আকারের পাথর জাতীয় সড়কের ওপরে নামার জেরে যান চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় লাল সতার্কতা জারি হয়েছে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, শনিবার পর্যন্ত চলবে এই বৃষ্টি। ফলে আরও দুর্ভোগ বৃদ্ধির আশঙ্কা পাহাড়ে। পর্যটকরা উদ্বেগে। কারণ, যারা ঘুরতে গিয়েছেন, তাঁরা বাড়ি ফিরতে গিয়ে চরম নাকাল হচ্ছেন। অনেকে আবার এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ে ঘুরতে যাওয়ার ঝুঁকি নিচ্ছেন না। 

    কোথায় লাল সতর্কতা? (Darjeeling)

    গত ২৪ ঘণ্টায় পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস (Landslide) নেমেছে। পরিস্থিতি এমন যে, তিস্তাবাজার থেকে কালিম্পং যাওয়ার রাস্তা আপাতত বন্ধ। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিং (Darjeeling), কালিম্পং জেলার পাশাপাশি সিকিমের গ্যাংটক, মংগন, নামচি-সহ একাধিক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। ওই সব জায়গায় ইতিমধ্যে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তিস্তা সংলগ্ন এলাকাতেও বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। গত অক্টোবর থেকেই বিপর্যস্ত সিকিম। এ বছর মে মাসে নতুন করে বিপর্যস্ত হয়। নতুন করে সিকিমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় হলে তাঁর প্রভাব কালিম্পং জেলাতেও পড়তে পারে বলে আশঙ্কা জেলা প্রশাসনের।

    কালিম্পঙে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন

    শুক্রবার সিকিম, কালিম্পং এবং মিরিকে নতুন করে ধস (Landslide) নেমেছে। সিকিমের মঙ্গন থেকে চুংথাং যাওয়ার রাস্তা ধসের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মিরিকের ডাডা গ্রাম পঞ্চায়েতের থরবু গ্রামে ধসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি বাড়ি। বেশ কিছু বাড়ি ধসে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ওই বাড়িগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) এবং ধসের কারণে বিপর্যস্ত স্বাভাবিক জীবন। আবার বন্ধ হয়ে গিয়েছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কালিম্পঙের ইয়াংমাকুম গ্রামে ট্রান্সফর্মার ধসের কবলে পড়ায় গোটা এলাকা এখন বিদ্যুৎহীন। আগামী সাত দিনেও ওই পরিস্থিতির উন্নতি হবে কি না, সন্দেহ রয়েছে। সেবক থেকে কালিঝোরা যাওয়ার রাস্তার একাংশ ধসে গিয়ে বিপত্তি ঘটেছে। তিস্তায় জল বৃদ্ধির ফলে আতঙ্ক বাড়ছে সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে।

    আরও পড়ুন: দাবি বিচারের! মহালয়াতে মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ

    বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও

    ভারী বৃষ্টির (Heavy Rainfall) প্রভাবে বিপর্যস্ত শিলিগুড়িও (Darjeeling)। মহানন্দা নদী ছাড়াও ভারত-নেপাল সীমান্ত মেচি নদীতেও হুহু করে জল বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ফুলবাড়িতে সেচ দফতরের আধিকারিকরা মহানন্দা ব্যারাজের সমস্ত গেট খুলে দেন। তাতে শিলিগুড়ি শহরে বিপদ এড়ানো গেলেও দুপুরে মেচি নদী পেরিয়ে নেপাল থেকে গরুর দুধ আনার সময়ে জলের তোড়ে ভেসে যান এক গোয়ালা। স্থানীয় বাসিন্দারা ভেসে যেতে দেখে নকশালবাড়ি থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও প্রবল জলের তোড়ে উদ্ধার কাজে নামা সম্ভব হয়নি। বাগডোগরায় জলের তলায় ডুবে গিয়েছে এশিয়ান হাইওয়ে।

    ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়ানোর পরামর্শ

    পুজোর মুখে এমন বৃষ্টিতে নাজেহাল অবস্থা পূর্ত দফতরের। কোথায় ধস মেরামতিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে তা ঠিক করতেই নাকাল হচ্ছেন তাঁরা। জাতীয় সড়ক ছাড়াও ধস (Landslide) নেমেছে দার্জিলিং কলেজ, কালিম্পংয়ের ভালুখোপ, ইয়ামাকুম, বিজনবাড়ির কাছে রিম্বিক, সুখিয়াপোখরি এলাকাতেও। সিকিমের আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর গোপীনাথ রাহা বলেন, “শনিবারের পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ খানিকটা কমে আসবে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে বেশ কয়েক জায়গায় অতি ভারী বৃষ্টি (Heavy Rainfall) হতে পারে। বিশেষ করে পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি চললেও সমতলে তার প্রকোপ কমে আসতে পারে।” কালিম্পংয়ের জেলাশাসক টি সুব্রহ্মণ্যম সকলকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক এড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Incident: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    RG Kar Incident: ‘বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ’, দোষ প্রমাণ হলে মৃত্যুদণ্ড হতে পারে সন্দীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Incident) তরুণী শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুন মামলায় দোষ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাৎ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh)। এই অপরাধকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়েছে আদালত। ঘটনার দিন রাতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ভিতর ঠিক কী হয়েছিল, সেই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে এখনও। 

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    আরজি করে (RG Kar Incident) পড়ুয়া চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন খোদ ওই মেডিক্যাল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। গ্রেফতার হয়েছেন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে একের পর এক তথ্য প্রমাণ পেশ করেছে সিবিআই। গত বুধবারই এই দু’জনের জামিনের আর্জি নামঞ্জুর করে আদালত। কিন্তু তাঁদের জামিন যে যুক্তিতে বিচারক খারিজ করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আইনজ্ঞদের একাংশ।

    বিরলের মধ্যে বিরলতম

    শিয়ালদা কোর্টের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাঁর নির্দেশে যে ভাবে অভিযুক্তদের সামাজিক অবস্থান ও অপরাধের গুরুত্ব বিচার করে জামিন-আর্জি খারিজ করেছেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ বলে মত আইনজীবীদের বড় অংশের। বিচারক তাঁর রায়ে বলেছেন, ‘‘দু’জনের সামাজিক অবস্থান মোটেই উপেক্ষা করার মতো নয়। অন্যদিকে, এই মামলায় যে অভিযোগ উঠেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর এবং অপরাধ প্রমাণে বিরলের মধ্যে বিরলতম হিসেবে মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে। তাই দু’জনকে জামিন দেওয়া হলে তা বিচার ব্যবস্থায় সমানাধিকারের পরিপন্থী হবে বলে মনে করছে আদালত।’’

    আরও পড়ুন: হিন্দু ছাত্রীদের হিজাব পরতে নির্দেশ, বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকার বালিকা বিদ্যালয়

    বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত

    বিচারক এটাও পরিষ্কার করে দিয়েছেন, কেউ কোনও অপরাধের অকুস্থলে না-থাকলেই তিনি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না, এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। কেউ অন্যদের সহযোগিতায় অপরাধ করিয়ে থাকতে পারেন। সেই কারণেই ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৩(৫) (পূর্বতন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪ ধারা, যার অর্থ একই উদ্দেশ্যে অপরাধ) ধারা প্রয়োগ করা যায়। শুধুমাত্র খুন ও ধর্ষণের মামলায় নয়, দুর্নীতির মামলাতেও সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সেই মামলাতেই প্রথম গ্রেফতার হন তিনি। তাঁর আমলে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে বড় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই দুর্নীতি আড়াল করতেই এই খুন নয় তো? এমন প্রশ্নও উঠছে। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার ও নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, এর পিছনে বড় ষড়যন্ত্র (RG Kar Incident) রয়েছে। অনেকে এর সঙ্গে জড়িত। সিবিআই সেই দিকটিও খতিয়ে দেখছে এবং তার সূত্র ধরে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের খোঁজে তদন্ত চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar: রক্ত পরীক্ষার রিএজেন্ট কেনাতেও কোটি টাকার দুর্নীতি! সন্দীপের নয়া কুকীর্তি প্রকাশ্যে

    RG Kar: রক্ত পরীক্ষার রিএজেন্ট কেনাতেও কোটি টাকার দুর্নীতি! সন্দীপের নয়া কুকীর্তি প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুগার, ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন, ইউরিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়ামের জন্য করা রক্ত পরীক্ষায় ব্যবহৃত রিএজেন্ট থেকেও আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar) কোটি কোটি টাকা রোজগার করা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষের আমলেই এই দুর্নীতি হয়েছে। হাসপাতালের পদাধিকারীদের সকলেই যে তাঁর এই অনিয়ম মেনে মুখ বুঝে ছিলেন এমন নয়। অন্যায়ের প্রতিবাদও হয়েছে। বিচার চেয়ে বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন। আর সেটা জানাজানি হতেই সন্দীপের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ঘনিষ্ঠ মহলে তেমনই দাবি করেন বিভাগীয় প্রধান।

    ঠিক কী অভিযোগ? (RG Kar)

    আরজি করে (RG Kar) দুর্নীতি রোধে গত ৮ এপ্রিল স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি দিয়েছিলেন বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে। চিঠির নিশানায় ছিলেন এক অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, প্রাক্তন অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল সুপার। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ২২ লক্ষ টাকার বায়োকেমিক্যাল রিএজেন্ট নষ্ট হয়েছিল আরজি করে। রিএজেন্ট মজুত থাকা সত্ত্বেও বাড়তি রিএজেন্টের বরাতে সরকারি অর্থের অপচয় হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তথ্য বলছে, ২০১৮-১৯ সালে ৭৩ লক্ষ টাকার বায়োকেমিক্যাল রিএজেন্ট কেনা হয় আরজি করে। রিএজেন্ট ব্যবহারের যন্ত্র সারাইয়ে গেলে অন্য সংস্থাকে রিএজেন্টের বরাত দিয়ে দেওয়া হয়। ছ’মাস পর পুরনো সংস্থার যন্ত্র ফিরলেও নতুন সংস্থা থেকেই রিএজেন্ট কেনা হতে থাকে। তারই জেরে নষ্ট হয় ২২ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট। ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আরও ৮ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট নষ্ট হয় আরজি করে। এখনও বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগেই পড়ে রয়েছে মেয়াদ উত্তীর্ণ সেই লক্ষ লক্ষ টাকার রিএজেন্ট। প্রতি বছর ২ কোটি ৮৭ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার অতিরিক্ত রিএজেন্ট কিনছে আরজি কর। স্বাস্থ্য সচিবকে চিঠি লিখে, সে কথাও জানিয়েছেন বায়োকেমিস্ট্রির বিভাগীয় প্রধান জয়ন্ত দে।

    আরও পড়ুন: দাবি বিচারের! মহালয়াতে মহামিছিলের ডাক জুনিয়র ডাক্তারদের, ধর্মতলায় হবে মহাসমাবেশ

    ল্যাব ইনচার্জ কী বললেন?

    তৎকালীন ল্যাব ইনচার্জ (RG Kar) অভিজিৎ সাহা বলেন, “বিভাগের সঙ্গে রিএজেন্ট কেনার কোনও সম্পর্ক নেই। কত টেস্ট হচ্ছে, তা হিসেব করে তিনমাসের আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী অর্ডার দেওয়া হয়। কতটা লাগবে সেটা স্টোর ঠিক করে। যিনি অভিযোগ করছেন, সেই জয়ন্ত দে আসার পর নির্দিষ্ট কোম্পানির জিনিস ব্যবহার করতে দেননি, সেই কারণেই পড়ে নষ্ট হয়েছে অনেক রিএজেন্ট।” কে ঠিক আর কে ভুল তা তদন্তে উঠে আসবে। তবে, সন্দীপের (Sandip Ghosh) আমলে যে আরজি করে যে দুর্নীতি চলত তা এই সব ঘটনায় জ্বলন্ত প্রমাণ বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share