Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব ‘কালীঘাটের কাকু’-কে! কী জানতে চায় সিবিআই?

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব ‘কালীঘাটের কাকু’-কে! কী জানতে চায় সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighat r Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আবার তলব করল সিবিআই (CBI)। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) সুজয়কৃষ্ণকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারই তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছে, বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

    কুন্তল ও শান্তনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা 

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুজয়ের ‘ঘনিষ্টতা’র প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সোমবার সুজয়কে তাঁর ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। সুজয়ের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখতে চান বলে সিবিআই সূত্রে খবর। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গত বুধবার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এবার শুধু সুজয় নন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত নথিও আনতে বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর একাধিক কোম্পানি

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল প্রথম সুজয়ের নাম প্রকাশ্যে আনেন। পরে তাঁর নাম উঠে এসেছিল গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তেও বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই সুজয়কে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সুজয় জানিয়েছিলেন তিনি তাপস মণ্ডল এবং গোপাল দলপতিকে চেনেন না। কিন্তু কুন্তলকে চেনেন। সিবিআই-এর দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর একাধিক কোম্পানি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬টি কোম্পানির তথ্য পাওয়া গেছে। এই কোম্পানিগুলি বিভিন্ন নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। এই কোম্পানিগুলির লেনদেন, কারা ডিরেক্টর রয়েছেন এবং এই কোম্পানিগুলো কী কাজ করত, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বয়ান খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে সিবিআই-এর দাবি। তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং গোপাল দলপতির বক্তব্যের সঙ্গে সুজয়ের বয়ানের ক্রস ভেরিফিকেশন করা হয়েছে। এরপরই ফের কালীঘাটের কাকুকে ডেকে পাঠাল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manish Kothari: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    Manish Kothari: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক। তৃণমূলের এই নেতার সংস্পর্শে এসে তিনিও বাড়িয়ে নিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় ইডির তদন্তকারীদের। গরু পাচারের টাকায় ওই সব সম্পত্তি মণীশ কোঠারি (Manish Kothari) কিনে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। শান্তিনিকেতন থানার রূপপুরের বিভিন্ন এলাকায় মণীশের নামে ১৫ বিঘে জমির খোঁজ মিলেছে। ওই পরিমাণ জমির বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ইডির দাবি, অনুব্রতর গরু পাচারের কালো টাকা এভাবেই সাদা করা হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জমিগুলি কেনা হয়েছে।

    ইডির তলব…

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর ইডি তলব করে তাঁর ঘনিষ্ঠদের। সেভাবেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল মণীশকে। মঙ্গলবার টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেশ কিছু বিষয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মণীশ। জানিয়েছেন অনেক তথ্য।

    অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের কাজ করার পাশাপাশি তাঁকে বুদ্ধিও জোগাতেন মণীশ (Manish Kothari)। কোন সম্পত্তিতে কীভাবে টাকা বিনিয়োগ করলে, কালো টাকা সাদা হয়ে যাবে, সেসব পরামর্শ অনুব্রতকে দিতেন মণীশই। এই মণীশেরই পরামর্শে মেয়ের নামে একাধিক ভুয়ো সংস্থা বানিয়েছেন অনুব্রত। ইডির দাবি, রূপপুর, গোপালনগর, কঙ্কালীতলা, দ্বারকানাথপুর, সুরুল সহ বোলপুরের প্রায় সব মৌজাতেই মণীশের জমি রয়েছে। রূপপুরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় আদিবাসীদের কাছ থেকে জোর করে ওই সব জমি দখল করেছেন মণীশ। এক্ষেত্রেও কাজে লাগানো হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির প্রভাব। ইডির দাবি, গরু পাচারের প্রোটেকশন মানি হিসেবে অনুব্রত যে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন, সেই টাকাই মণীশের নামে জমি কেনায় কাজে লাগানো হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    এদিকে, গত বুধবার দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত, মণীশ (Manish Kothari) এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের ডিজিটাল নন কো-অপারেশন শুরু, মঞ্চে নৌশাদও

    DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের ডিজিটাল নন কো-অপারেশন শুরু, মঞ্চে নৌশাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবি চলছে আন্দোলন। শহিদ মিনার চত্বরে গত ৫১ দিন ধরে ধর্না-অবস্থান করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)। তাঁদের অনশন আন্দোলন চলছে ৩৭ দিন ধরে। আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র করতে এবার ডিজিটাল নন কো-অপারেশনের (Digital Non Cooperation) পথে হাঁটলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানান, বিভাগীয় দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না তাঁরা। ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপেও ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করা হবে না। কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিসিয়ার মেইল মারফত জানাতে হবে। অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজও তাঁরা করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

    ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের বক্তব্য…

    সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কাজের সময়। এই আবহে অফিসের বাইরে অনলাইন মিটিং করবেন না আন্দোলনকারীরা। মিড-ডে মিলের খতিয়ান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বসে কাজ করতে হয় শিক্ষকদের। আজ, শনিবার থেকে সে সবও বন্ধ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (DA) তরফে জানানো হয়েছে, অফিস টাইম শেষ হয়ে গেলেও, পরীক্ষা শেষে খাতা স্কুল থেকে পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ করবেন শিক্ষকরা।

    এদিকে, আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে এদিন শহিদ মিনার চত্বরে ধর্নামঞ্চে অনশনে বসেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নৌশাদ সিদ্দিকি। ৪২ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন নৌশাদ। তখনই তিনি ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এদিন ধর্নামঞ্চে গিয়ে তিনি বলেন, এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামিদিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: যত মত তত পথ! ‘‘উপাসনার অনেক পদ্ধতি, লক্ষ্য একটাই’’, বললেন মোহন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএর (DA) দাবিতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি টানা দু দিন সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেন। তার পরেও ডিএ-র দাবি মেনে নেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কত চাই? কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন? দয়া করে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন, তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয়, তাহলে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার থেকে আর পাবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • TMC: শিয়রে পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোট! তাই কি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল?

    TMC: শিয়রে পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোট! তাই কি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেছেন, এখনও সুরক্ষিত আছে সংখ্যালঘু ভোট। কিন্তু, সদ্য সমাপ্ত সাগরদিঘি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফল কিন্তু অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে কি থাবা বসিয়েছেন বিরোধীরা? মুসলিম ভোটাররা সরে যাচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) পাশ থেকে? দলীয় সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোও। আর এই পরাজয়ের জেরেই ব্যাপক রদবদল ঘটানো হয়েছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলে।

    সংখ্যালঘু ভোট সুরক্ষিত?

    শুক্রবার, কালীঘাটে (Kalighat) বসেছিল দলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বৈঠকে যোগ দেননি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। যদিও, এর পরেও সংখ্যালঘু ভোট সুরক্ষিত বলে বৈঠকে দাবি করেন মমতা। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুরা আমাদের সঙ্গে আছে, সংখ্যালঘু ভোট কমেনি।’’ তবে দলীয় সূত্রের খবর, মুখে যাই বলুন না কেন তৃণমূলনেত্রী, মুসলিম ভোটের একাংশ যে শাসক দলের থেকে দূরে সরে গিয়েছে, তা ভালই টের পেয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রমাণ স্বরূপ, সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে গতবারের তুলনায় অনেকটাই ভোট কমেছে তৃণমূলের (TMC)। ২ বছরে ভোটপ্রাপ্তির হার ৫০.৯৫ থেকে ৩৪.৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৫০,২০৬ ভোটে তৃণমূল জিতেছিল সাগরদিঘিতে। সেখানে তারা এ বার হেরেছে ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে।

    সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বদল

    সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে হার যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অস্বস্তি ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দলের সিদ্ধান্তে। উপ-নির্বাচনের পরেই, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফল প্রকাশের পরে হারের কারণ জানতে পাঁচজনের কমিটি তৈরি করেন তৃণমূলনেত্রী। পাশাপাশি, ফুরফুরা শরিফের দায়িত্ব ফিরহাদ হাকিমের থেকে নিয়ে বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে দেন। আর শুক্রবারের বৈঠকে একাধিক বদলের ঘোষণা করেন মমতা। দলে সংখ্যালঘু মুখদের গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। যেমন, দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বদলে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত দিন এই পদে ছিলেন হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম। তাঁর জায়গায় মমতা নিয়ে এলেন দলের যুব নেতা তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে। মোশারফ উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। হাজি নুরুলকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই সেলের চেয়ারম্যান পদের। সেই পদে এত দিন ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। 

    আরও পড়ুুন: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    তবে, গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লারও। তাঁকে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার সংগঠন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিদ্দিকুল্লাকে সহযোগিতা করতে দলের আরও দুই সংখ্যালঘু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এঁরা হলেন মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক। হাজি নুরুলকে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি থেকে চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি বসিরহাট জেলার তৃণমূলের (TMC) চেয়ারম্যানের পদে রাখা হয়েছে।

    মমতার শুক্রবারের ঘোষণাগুলো কার্যত প্রমাণ করে যে, সাগরদিঘির উপ-নির্বাচনের ফলে শাসক শিবির থরহরিকম্পমান। তাই এখন আসন্ন পঞ্চায়েত ও ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসক দল। এখন দেখার, এই রদবদলের কী প্রভাব পড়ে বা আদৌ কোনও প্রভাব পড়ে কি না!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    ED Raid: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ( Bengal Recruitment Scam )  বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ( Shantanu Banerjee ) বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেতে শনিবার সকাল থেকেই আলাদা আলাদা দল করে হুগলির একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা ইডির আধিকারিকরা (ED Raid)। তার মধ্যে রয়েছে, ব্যান্ডেলের বালির মোড় এবং ব্যান্ডেল চার্চের কাছের দু’টি বাড়িও। তালিকায় রয়েছে বলাগড়ের চাদরার একটি রিসর্ট। ইডি (ED Raid) সূত্রে খবর, এই দুই সম্পত্তির সঙ্গেই যোগ রয়েছে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর স্ত্রীর। 

    রিসর্টে তল্লাশি

    ইডি সূত্রে খবর, শান্তনু গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই চাদরার এই রিসর্টে তালা। সেই তালা ভাঙতে না পেরে এদিন বড় বড় হাতুড়ি আনান গোয়েন্দারা। হাতুড়ি দিয়ে তালা ভেঙে রিসর্টে ঢোকেন তদন্তকারীরা। সেখানে ঘরে ঘরে তল্লাশি (ED Raid) জারি রয়েছে। বলাগড়ে ১০ বিঘা জমির উপর রিসর্ট তৈরি করে শান্তনু। মোটা টাকা বিনিয়োগ করেই যে এই ঝাঁ চকচকে রিসর্টটি তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই গোয়েন্দাদের। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ এই রিসর্টে আসেন ইডির আধিকারিকরা। গেটের তালা ভেঙে রিসর্টে ঢোকেন তাঁরা। এরপর ভিতরের ঘরগুলির একের পর এক তালা ভাঙেন তাঁরা। সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে এবং এই সংক্রান্ত অন্য নথির খোঁজে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি (ED Raid)।

    আরও পড়ুন: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইডি

    ব্যান্ডেলের বাড়িতে তল্লাশি

    ব্যান্ডেলের বালির মোড়ে শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার নামে কয়েক বছর আগে তিরিশ লক্ষ টাকায় একটি দোতলা বাড়ি কেনা হয়। শনিবার সকালে ইডি আধিকারিকরা (ED Raid) সেই বাড়িতেও হানা দেন। বালির মোড়ের দোতলা বাড়ির তালা ভাঙার চেষ্টার পর পিছনের দরজা দিয়ে ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকরা। শান্তনুর বেআইনি কাজকর্মের নথির খোঁজ পেতে এই বাড়িতেও জোরদার তল্লাশি (ED Raid) চলছে। এর মধ্যেই ইডির নজরে আসে চুঁচুড়া জগুদাসপাড়ায় শান্তনুর একটি ফ্ল্যাট। সেই বাড়িতেও হানা দেয় ইডির একটি দল। কিন্তু সেই ফ্ল্যাটের চাবি না পাওয়ায় সরাসরি ফ্ল্যাটের প্রোমোটার অয়নের বাড়িতে হানা দিয়েছেন তাঁরা। এর আগে স্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক বার হানা চালিয়েছে ইডি। গ্রেফতারও করা হয়েছে একাধিক অভিযুক্তকে। তবে সম্প্রতি ইডির নজরে হুগলি তৃণমূলের বহিষ্কৃত যুব নেতা শান্তনু এবং কুন্তল ঘোষ। ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে কোটি কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগও উঠে এসেছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Smuggling: বিশ্ববাংলা লোগো দেওয়া কুপন নিয়ে বালি পাচার! কোথায় জানেন?

    Smuggling: বিশ্ববাংলা লোগো দেওয়া কুপন নিয়ে বালি পাচার! কোথায় জানেন?

     মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কিছুদিন আগেই তৃণমূলের পতাকা গাড়িতে রেখে গরু পাচার (Smuggling) করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। সোদপুরে বিটি রোডে ট্রাফিক মোড়ের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ট্রাকে বিশ্ব বাংলা লোগোর কুপন  ব্যবহার করে দেদার বালি পাচার (Smuggling)  করছে বালি মাফিয়ারা। বিরোধীদের বক্তব্য, গরু পাচারকারী, বালি মাফিয়ারা বুঝে গিয়েছে, তৃণমূলের পতাকা, বিশ্ব বাংলা লোগো ব্যবহার করলে পুলিশ তাদের ছুঁতে পারবে না। কিন্তু, পরিবহণ দপ্তরের পক্ষ থেকে একটি বালি বোঝাই গাড়়ি আটকাতেই আধিকারিকদের চক্ষু চড়কগাছ। বালি গাড়ির চালকের কাছে থেকে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন উদ্ধার হয়। তাতে লেখা রয়েছে, ওয়েষ্ট বেঙ্গল পরিবহণ ডিপার্টমেন্ট সুরক্ষা কমিটি পরিষেবা’। খোঁজখবর নিয়ে দেখা যায় গোটাটাই ভুয়ো। এমন কোনও কুপন সরকার চালু করেনি।

    কীভাবে এই জালিয়াতি ধরল প্রশাসন? Smuggling

     গত কয়েকদিন ধরে ওভারলোড গাড়িতে বালি পাচার (Smuggling)  রুখতে সক্রিয় পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকরা ওভারলোড আটকাতে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। রাস্তায় অভিযান চালানোর সময় সন্দেহ হওয়ায়  শক্তিগড়ে একটি  বালি ভর্তি ওভারলোড ট্রাককে আটকানো হয়। তাতে গাড়ির চালক আধিকারিকদের সামনে রীতিমতো মেজাজ দেখায় বলে অভিযোগ। তার কাছে সরকারি অনুমতি আছে বলে সে দাবি করে। কারণ, বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন থাকলে কেউ ধরবে না, তা আগেই জানত ওই চালক। তাই, সে প্রশাসনের আধিকারিকদের কিছুটা মেজাজও দেখিয়ে বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া ওই কুপন দেখায়।  আধিকারিকরা বুঝতে পারে, সমস্ত বিষয়টি ভুয়ো। গাড়িটি তারা আটক করে। আর বালি বোঝাই ট্রাকটি বীরভূমের ইলামবাজার হয়ে কলকাতা যাচ্ছিল। ফলে, আশপাশের জেলাকেও এই বিষয়ে সতর্ক করা হয়। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে পুলিশ। পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো বিশ্ববাংলা লোগো বসানো প্যাড বানানোর মূল পান্ডাকে মুম্বাই থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পারে, বসিরহাটের এক ব্যক্তি এই ভুয়ো প্যাড তৈরি করেছিল। সে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তা এক বালি মাফিয়ার হাতে তুলে দেয়। সেই ব্যক্তি বালি মাফিয়াকে জানায়, যে এই  বিশ্ব বাংলা লোগো দেওয়া কুপন দেখালে কোন জায়গায় পরিবহণ দপ্তর বা পুলিশ তাদের গাড়ি আটকাবে না।

    এই বিষয়টি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জেলা কংগ্রেসের নেতা গৌরব সমাদ্দার বলেন, এ রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে।  পিসি ভাইপোর রাজত্বে এমনটা হয়েই চলেছে।  বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা বলেন, জেলায় বালি কয়লা সব পাচারেই (Smuggling)  তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ স্পষ্ট হচ্ছে। শাসকদলের মদতেই বালিপাচারের এই দুর্নীতির এই চক্র চলছে। অন্যদিকে, রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র  দেবু টুডু বলেন, সরকার এ ধরণের কুপন ছাপায় না। সরকারের বদনাম করার জন্য একাজ করা হয়েছে।  বিজেপি নেতারাই এই কারবারে যুক্ত। পুলিশ তদন্তে নেমেছে। সব স্পষ্ট হয়ে যাবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধারা বলেন, এ জেলা থেকেই সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়। এই কুপনের ব্যাপারে যা যা করার করা হবে। এ জিনিস চলতে দেওয়া যাবে না। প্রশাসনিক স্তরে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইডি

    Supreme Court: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ! হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইনজীবী সঞ্জয় বসুকে রক্ষাকবচ দেওয়ার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ ইডি। চিটফান্ড মামলায় কলকাতার আইনজীবী সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। পরে তাঁকে ইডি দফতরে তলবও করা হয়। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জয় বসু। তাঁর আবেদন মেনে তাঁকে রক্ষাকবচ দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কেন তাঁকে রক্ষাকবচ দেওয়া হল, এবার তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির আবেদন শীর্ষ আদালত (Supreme Court) গ্রহণ করেছে। আগামী সপ্তাহে মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আদালত সূত্রের খবর।

    কেন শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ ইডি? 

    পিনকন নামে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার মামলাতেই নাম জড়িয়েছিল আইনজীবী সঞ্জয় বসুর। তাঁর বাড়ি, অফিসে ইডি তল্লাশি চালায় কিছুদিন আগে। দীর্ঘক্ষণ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। সঞ্জয় বসু আদালতে জানান, তাঁকে রীতিমতো হয়রান হতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সঞ্জয় বসুর বাড়িতে তল্লাশি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। সঞ্জয়কে ইডি নোটিস পাঠানোর পরে ক্ষোভপ্রকাশ করে মমতা বলেছিলেন ‘‘ও আমার আইনজীবী। তাই ওকে হেনস্থা করছে।’’ এরপর গত বুধবার গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে আগেভাগেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সঞ্জয়। সেই মামলায় বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। তাঁকে নোটিস দিতে পারবে না ইডি। তাঁর অফিস বা বাড়িতে তল্লাশি চালাতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এমনকি, কোনও কিছু বাজেয়াপ্তও করতে পারবে না তারা।

    আরও পড়ুন: বাড়ল কেষ্টর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও! গরু পাচারকাণ্ডে বোলপুরের রাজমিস্ত্রিকে তলব ইডির

    ইডি সূত্রের দাবি, ১ মার্চ প্রায় ২২ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর সঞ্জয়ের বাড়ি থেকে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল। তার পরই তাঁকে ইডির দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিতে বলা হয়। হাজিরা এড়াতেই নয়া কৌশল নেন সঞ্জয়। তাই হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বাড়ল কেষ্টর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও! গরু পাচারকাণ্ডে বোলপুরের রাজমিস্ত্রিকে তলব ইডির

    Anubrata Mondal: বাড়ল কেষ্টর সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও! গরু পাচারকাণ্ডে বোলপুরের রাজমিস্ত্রিকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় এবার বোলপুরের এক রাজমিস্ত্রিকে তলব করল ইডি। শুক্রবারই চিঠি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন তপন বিশ্বাস নামে ওই রাজমিস্ত্রি। আগামী ২৮ মার্চ তপনকে ইডির দিল্লির সদর দফতরে তলব করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে ইডির হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)।

    কে এই রাজমিস্ত্রি

    বোলপুরের কালিকাপুর এলাকার বাসিন্দা ওই রাজমিস্ত্রি প্রায় ৪ বছর আগে লটারির টিকিট কেটে প্রথম পুরস্কার পেয়েছিলেন। পরে তপন সেই টিকিট অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারক বিশ্বজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে মুনকে বিক্রি করেছিলেন। অনুব্রত (Anubrata Mondal) নগদে টিকিট বিক্রির টাকা মেটান বলে দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। ওই বিষয়ে জানতেই পেশায় রাজমিস্ত্রি তপনকে তলব করেছে ইডি। এ বিষয়ে তপন জানান, তিনি ইডির চিঠি পেয়েছেন। তবে কেন চিঠি এল, তা নিয়ে তাঁর স্পষ্ট ধারণা নেই। তাঁর কথায়, ‘‘কেন ইডির চিঠি এসেছে জানি না। আমি সরাসরি লটারির টিকিট অনুব্রতকে বিক্রিও করিনি। আমি মুন নামে এক জনকে টিকিট বিক্রি করে দিয়েছিলাম। ২৬ লক্ষ টাকা পেয়েছিলাম।’’ তিনি এ-ও জানান, চিকিৎসার জন্য ওই টাকা খরচ করেছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘বর ছাড়া বিয়ে হয় নাকি?’’ মমতা-অখিলেশ ‘জোট’ বৈঠককে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    ১৪ দিন সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত

    এর আগেও অনুব্রতের (Anubrata Mondal) লটারিপ্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। গরু পাচার মামলায় তৃণমূল নেতা এখন দিল্লিতে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করেছে ইডি। ডেকে পাঠানো হয়েছে অনুব্রত কন্যা সুকন্যা-সহ ১২ জনকে। এঁদের কয়েক জনকে কেষ্টর সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে ইডি সূত্রে খবর। অন্যদিকে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও বাড়ল আরও ১৪ দিন। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী কেষ্টর হেফাজতের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বৃদ্ধি করেছেন। অনুব্রত দিল্লিতে থাকায় এদিন তাঁকে আদালতে পেশ করা যায়নি। হয়নি ভার্চুয়াল শুনানিও। সেজন্য অনুব্রত মণ্ডলের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ আরও ১৪ দিন বাড়িয়েছেন বিচারক। আগামী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে ৩১ মার্চ। ওইদিন অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সাইগল হোসেনের  মামলারও শুনানি হবে। এদিন সাইগল হোসেনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদও ১৪ দিন বাড়িয়েছেন বিচারক।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 2024 Loksabha Elections: ‘‘বর ছাড়া বিয়ে হয় নাকি?’’ মমতা-অখিলেশ ‘জোট’ বৈঠককে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    2024 Loksabha Elections: ‘‘বর ছাড়া বিয়ে হয় নাকি?’’ মমতা-অখিলেশ ‘জোট’ বৈঠককে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha Elections) অ-বিজপি, অ-কংগ্রেসী জোটে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে নির্দিষ্ট কোনও নাম নিয়ে অনিশ্চয়তা বরাবরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে মুখ খুঁজতেই হয়রান বিরোধীরা। শুক্রবার কালীঘাটে অখিলেশ-মমতা বৈঠকেও সেই ছবি স্পষ্ট। এদিনের বৈঠককে কটাক্ষ করে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য, “বর ছাড়া বিয়ে হয় নাকি ?”

    সুকান্তর সমালোচনা

    আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha Elections) কথা মাথায় রেখেই এদিন কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে দেখা করেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। অ-বিজেপি, অ-কংগ্রেসী জোটের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বেছে নেওয়ার বিষয়টি সর্বদলীয় মতের উপরেই নির্ভর করছে বলে আগেও জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে অখিলেশও জানান বিষয়টি “আমরা সবাই মিলে বসে ঠিক করব।” তা নিয়েই সুকান্ত মজুমদারের কটাক্ষ, “বর ছাড়া বিয়ে হয় নাকি? যেরকম বিয়েতে বর দরকার, সেরকম প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীও দরকার। একদিকে নরেন্দ্র মোদির মতো প্রধানমন্ত্রী আর অপরদিকে যদি মুখই না থাকে, তাহলে মুখ ছাড়া ভূত হয়ে ঘুরে বেড়াবে।”

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে লাগাতার চলছে হিন্দু মেয়েদের ওপর নির্যাতন ও ধর্মান্তকরণ

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    মমতা-অখিলেশ বৈঠকের সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তাঁর কথায়, গতবারের লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha Elections) ‘ইউনাইটেড ইন্ডিয়া’ নাম দিয়ে বিরোধী ঐক্য হলেও তিনশোর গণ্ডি পেরিয়ে যায় বিজেপি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্য চারশোর গণ্ডি পার হওয়া, সেখানে কোনও প্রভাব ফেলতে পারবে না বিরোধী জোট। সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদবকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর কথায় “আগে উনি নিজের ঘর গুছিয়ে রাখুন”। তিনি বলেন, “সমাজবাদী পার্টি উত্তরপ্রদেশের আঞ্চলিক দল। ভোটের আগে ওই দল ওখানকার মানুষের উত্তর পেয়ে গিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির যারা জোট সঙ্গী ছিল তারাও সরে গিয়েছে। অখিলেশ যাদব তার পরিবারের লোকেদের এক ছাতার তলায় আনতে পারেননি। অথচ তিনি এখানে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করছেন।” শুভেন্দুর দাবি, “যাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হাত ধরেছেন তাঁদের কী হয়েছে সবাই জানে। ওনারা একসঙ্গে চা খাবেন। সিবিআইI ও ইডিকে কিভাবে সামাল দেবেন সেই সব আলোচনা করবেন। কাজের কাজ কিছু হবে না।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    Nabanna: বিজেপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ শুভেন্দুর, নবান্নের রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি মিথ্যা মামলা। এ নিয়ে কিছু দিন আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi)। তাতে তিনি লিখেছিলেন, রাজ্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার ভুয়ো মামলা করছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার সেই চিঠির প্রেক্ষিতে এবার নবান্নে (Nabanna) মুখ্যসচিবের কাছে চিঠি পাঠাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অভিযোগ খতিয়ে দেখে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দ্রুত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নবান্নে পাঠানো ওই চিঠিতে।

    নবান্নের (Nabanna) রিপোর্ট তলব…

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের এই রিপোর্ট তলব যথেষ্ঠ তাৎপর্যপূর্ণ। এর আগেও রাজ্যের বিরুদ্ধে নানা বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। মিড-ডে মিলে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তা নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠিও লিখেছিলেন। তার জেরে রাজ্যে জয়েন্ট রিভিউ মিশন পাঠিয়ে পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। এবারও শুভেন্দুর চিঠির প্রেক্ষিতে নবান্নকে (Nabanna) চিঠি দিল কেন্দ্র।

    কেবল শুভেন্দুর বিরুদ্ধেই গুচ্ছ মামলা দায়ের করেছে রাজ্য পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশের কত মামলা, তার একটি তালিকা গত ডিসেম্বরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দিয়েছিলেন শুভেন্দু স্বয়ং। সংসদ ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: ২০১৮ সালে বিজেপি প্রার্থীর ‘কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে’ মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছিলেন শান্তনু!

    তাঁর বিরুদ্ধে হয়ে চলা একের পর এক এফআইআরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ (Nabanna) নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে। বস্তুত, শুভেন্দুকে রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তার পরেও কীভাবে এত এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়, সে বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share