Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Recruitment Scam: আজই হাজিরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মী অর্ণব বসুকে তলব ইডির

    Recruitment Scam: আজই হাজিরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মী অর্ণব বসুকে তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (Recruitment Scam) এবার ইডি অফিসে তলব করা হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের কর্মী অর্ণব বসুকে। শুক্রবারই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (Recruitment Scam) এই নতুন চরিত্রকে সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছেন ইডি আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, বুধবার তল্লাশিও চালানোও হয় অর্ণবের বাড়িতে। তাঁর মোবাইল এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই সূত্র ধরেই তাঁকে শুক্রবার তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাউন্টস বিভাগে চাকরি করেন অর্ণব

    অর্ণব প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অ্যাকাউন্টস বিভাগে চাকরি করেন। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগকাণ্ডে সম্প্রতি তাঁর নাম উঠে এসেছে। আর সেই কারণেই বুধবার তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। গতবছরের জুলাই মাসে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা বন্দোপাধ্য়ায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক গতি পায় নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত (Recruitment Scam)। এখানেই উঠে এসেছে নতুন নতুন চরিত্র। নতুন নতুন দাবি। একের পর এক গ্রেফতার হয়েছেন পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা থেকে রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রী। নিয়োগ দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসতেই হাই কোর্টের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেই সূত্র ধরেই সল্টলেকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।

    ইডির অনুমান, এই দুর্নীতির জাল (Recruitment Scam) অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত

    অর্ণবের বাড়িতে অভিযান চালানোর কয়েক দিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত থাকার জন্য অয়ন শীল নামে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে ইডি। তাঁর বাড়ি এবং অফিসে তল্লাশি চালিয়ে যে নথি উদ্ধার করা হয়, তার মধ্যে ছিল নিয়োগ সংক্রান্ত ওএমআর শিট। বেশ কিছু পুরসভার নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও তাঁর অফিস থেকে উদ্ধার হয়। অয়নের আগে গ্রেফতার করা হয়েছিল বলাগড়ের বহিষ্কৃত দুই যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কুন্তল ঘোষকেও। ইডির অনুমান, এই দুর্নীতির জাল অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত।

    শান্তনুর দুর্নীতির সাম্রাজ্য অনেকদূর বিস্তৃত

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই দু’জনের পৃষ্ঠপোষকতায় শান্তনু দুর্নীতির সাম্রাজ্য চালাতেন। আদালতে রিমান্ড লেটারে দাবি করল ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা, কারা অগ্রাধিকার পাবে, কত টাকায় রফা হবে তা ঠিক করার পাশাপাশি, এজেন্টদের সরাসরি যোগাযোগ রাখতেন শান্তনু। ইডি-র দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির টাকায় বেনামে বা নিজের ব্যবসার ভুয়ো ডিরেক্টরের নামে একের পর এক সম্পত্তি বানিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Railway: নববর্ষে আরেকটি বন্দে ভারত পেতে চলেছে বাংলা! কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    Railway: নববর্ষে আরেকটি বন্দে ভারত পেতে চলেছে বাংলা! কোন রুটে চলবে এই ট্রেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সামনে বাংলা নববর্ষ, আর এই নববর্ষে উপহার হিসাবে বঙ্গবাসী পেতে চলেছে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। উদ্যোগী রেল (Railway) মন্ত্রক। নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এই রাজ্যে আগেই চালু হয়েছে। এবার চালু হতে চলেছে নিউ জলপাইগুড়ি – গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এমনটাই জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ ডা: জয়ন্ত রায়। তিনি বলেন, নতুন এই এক্সপ্রেস চালু হয়ে গেলে অনেক কম সময়ের মধ্যে গুয়াহাটি যাওয়া সম্ভব হবে।

    কবে চালু হতে চলেছে এই ট্রেন? Railway

    উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন “এনজেপি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালানোর প্রস্তাব আমরা রেল (Railway) মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছিলাম। সেই মতো আলোচনা এগিয়েছে। তবে, কবে এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হবে সে ব্যাপারে রেল (Railway) মন্ত্রকের থেকে এখনও কোনও নোটিশ পাইনি। তবে, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলার জন্য উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের (Railway) প্রস্তুতি শেষের পথে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই এই ট্রেন চালু হতে চলেছে।”

     কোন কোন স্টেশনে থামবে নতুন বন্দে ভারত এক্সপ্রেস? Railway

    নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী, সকাল ৬ টা ১৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে। বেলা ১২ টা ৩০ মিনিটে গুয়াহাটিতে পৌঁছাবে। সব মিলিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি যেতে ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট লাগবে। অন্যদিকে, দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে গুয়াহাটি থেকে ছাড়বে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। নিউ জলপাইগুড়িতে পৌঁছাবে সন্ধ্যা ৭ টা ৪৫ মিনিটে। তাই, ফিরতি পথেও ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট সময় লাগবে। রেল (Railway) সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি ও গুয়াহাটি যাত্রাপথে মোট ৪টি স্টেশনে দাঁড়াবে। সেই স্টেশনগুলি হল, নিউ কোচবিহার, কোকরাঝাড়, নিউ বঙ্গাইগাঁও এবং রঙ্গিয়া জংশন। পাশাপাশি, এ বছরের মধ্যে শুরু হতে চলেছে সেবক – রংপো রেল (Railway) প্রকল্প। তার কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। ফলে, পর্যটনের এক বিশাল পরিবর্তন আসতে চলেছে, যা ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য খুশির খবর ।

    নতুন প্রকল্প নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Railway

    এই নতুন রেল (Railway) প্রকল্পের শুরু নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও কম হয়নি। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলার সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ বলেন, “বিজেপি রেলের ঢালাও কর্মসূচি নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করলে আমাদের পাল্টা প্রশ্ন থাকবে, সেবক রংপো (Railway) রেল প্রকল্প নিয়ে বিজেপি কৃতিত্ব দাবি করতে পারে কি? কেননা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকার সময় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। এতে বিজেপির কোনও কৃতিত্ব নেই। বরং, তাদের জবাবদিহি করতে হবে, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে এতদিন লাগলো কেন?”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Railway

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা মাটিগাড়া – নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেছেন “তৃণমূল এই প্রচার করলে মানুষ তাতে প্রভাবিত হবে না। কেননা সকলেই চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন, সারা দেশের সঙ্গে উত্তরবঙ্গ রেল পরিষদের উন্নয়নে বিজেপির সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে চলেছে। নতুন বন্দে ভারত তার জ্বলন্ত প্রমাণ। আর সেবক রংপো রেল (Railway) প্রকল্পের কাজ বিজেপি ইচ্ছা করে দেরি করেনি, বিভিন্ন জায়গায় ধস নামার কারণে দেরি হয়েছে কাজ শুরু হতে। সবকিছু স্বাভাবিক হতেই আবার কাজ শুরু হয়েছে। বিজেপি উন্নয়ন নিয়ে রাজনীতি করে না। তৃণমূল অপপ্রচার করছে ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস’! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস’! কেন একথা বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড়ই হবে তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিস। অপেক্ষা করুন। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই। বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি ও কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা লুঠের অভিযোগে শ্যামবাজার পাঁচমাথার মোড়ে দু দিনের অবস্থান বিক্ষোভ করে বঙ্গ বিজেপি। এই কর্মসূচিতে সুকান্তের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের অন্য নেতানেত্রীরা।

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) উবাচ…

    এদিন সেখানেই ভাষণ দেন সুকান্ত। বুধবারই রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে শহিদ মিনারের সভা থেকে দিল্লি অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই প্রসঙ্গেই সুকান্ত বলেন, অনুব্রত মণ্ডল ইতিমধ্যেই তিহাড় গিয়েছেন। এরপর বাকিরাও যাবেন। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, এবার তিহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের একটা ইউনিট খুলতে হবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তিহাড়ই হবে তৃণমূলের পার্টি অফিস। অপেক্ষা করুন। সেই দিন আর বেশি দূরে নেই। আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত। পরিস্থিতি যা, তাতে মাস চারেক তাঁকে থাকতে হবে তিহাড়েই। বিভিন্ন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূলের নেতাদের। এদিন সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস আগামিদিনে তিহাড় কংগ্রেসে পরিণত হবে।

    কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে দু দিন ধরে রেড রোড ধর্নায় বসেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চ তৈরি করেছে রাজ্য পূর্ত দফতর। অথচ পিছনে তৃণমূলের প্রতীক জ্বলজ্বল করছে। ওটা দলের নাকি সরকারের বোঝা যাচ্ছে না। পুরো মাখামাখি হয়ে ঘেঁটে ঘ হয়ে গিয়েছে। ভাইপোর মঞ্চ কারা করেছে, জানি না। শুধু এটুকু বুঝতে পারছি, নন্দলালের চুরির টাকায় মঞ্চ করে সাধু সাজার ভান। সুকান্ত বলেন, তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা হচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    তাঁর প্রশ্ন, কেন্দ্র নাকি টাকা দিচ্ছে না? কেন দেবে? আপনার নেতার বান্ধবীর বাড়িতে ৫০ কোটি করে জমাবেন, সেই চুরির জন্য টাকা দেওয়া হবে? সুকান্ত বলেন, সাদা শাড়ি আর হাওয়াই চটি পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষকে বোকা বানিয়েছেন। এদিনের মঞ্চে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকায় পুকুর চুরি যাঁরা করেছেন, যাঁরা দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা কেউই ছাড় পাবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে উদ্ধার বোমা! কোথায় জানেন?

    Madan Mitra: মদন মিত্র ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে উদ্ধার বোমা! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের আগে শাসক দলের পক্ষ থেকে বোমা, গুলি মজুত করা হচ্ছে বলে বার বার অভিযোগ করছে বিরোধীরা। এবার বিরোধীদের আনা সেই অভিযোগই প্রমাণিত হল কামারহাটিতে। কামারহাটির ষষ্ঠীতলায় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) ঘনিষ্ঠ দলীয় কর্মীর নির্মীয়মাণ আবাসন থেকে তাজা বোমা উদ্ধার করল কামারহাটি থানার পুলিশ। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী পলাতক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দলীয় কর্মীর ওই আবাসনের মধ্যে কী করে বোমা এল তা নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ওই নির্মীয়মাণ আবাসনের আশেপাশে প্রচুর বসতি রয়েছে। ফলে, বোমা ফেটে গেলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা ছিল। তাই, এই বিষয়ে প্রশাসনের কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, বোমাগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কতগুলি বোমা উদ্ধার করল পুলিশ? Madan Mitra

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কামারহাটি ষষ্ঠীতলায় একটি আবাসন তৈরির কাজ চলছে। আবাসনটি মদন মিত্রের ঘনিষ্ঠ রিন্টু নামে এক তৃণমূল কর্মীর। বুধবার রাতে পুলিশ সেই নির্মীয়মাণ আবাসনে হানা দেয়। সেখান থেকে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করে কামারহাটি থানার পুলিশ। এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই তৃণমূল কর্মী।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব? Madan Mitra

    এই বিষয়ে তৃণমূল নেতা কমল দাস বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। মদন মিত্র (Madan Mitra) আমাদের জননেতা। তাঁর সঙ্গে অনেকেই ছবি তোলেন। মদন মিত্রের (Madan Mitra) সঙ্গে কারও ছবি থাকলে সে তাঁর ঘনিষ্ঠ হবে এটা সম্ভব নয়। আমাদের বিধায়কের নাম জড়িয়ে দেওয়া ঠিক নয়। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তে সঠিক সত্য বেরিয়ে আসবে। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী রিন্টু জানিয়েছেন, তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? Madan Mitra

    এই বিষয়ে বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, কামারহাটিতে মদন মিত্র (Madan Mitra) এই ধরনের দুষ্কৃতীদের সঙ্গে নিয়ে ঘোরাফেরা করেন। তাই, এই ধরনের ঘটনা ঘটবে, এটাই স্বাভাবিক। এসব দেখে কেউ আর তৃণমূল কংগ্রেস করতে চাইছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tiljala Murder: তিলজলাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনকে রাজ্যে আসতে নিষেধ রাজ্যের! শুরু বিতর্ক

    Tiljala Murder: তিলজলাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনকে রাজ্যে আসতে নিষেধ রাজ্যের! শুরু বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলজলাকাণ্ডে (Tiljala Murder) কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনকে রাজ্যে আসতে নিষেধ রাজ্যের শিশুসুরক্ষা কমিশনের। এনিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন। রাজ্যের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। যে চিঠিতে সরাসরি কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিকে আসতে বারণ করা হয়েছে। 

    ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কী লুকোতে চায়?’

    তিলজলায় (Tiljala Murder) সাত বছরের শিশুকন্যাকে যৌন নির্যাতন করে খুন করার ঘটনায় গত সোমবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন। এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কমিশন মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নোটিস পাঠিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলে।

    বৃহস্পতিবার রাজ্য শিশুসুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে তিলজলা কাণ্ডে (Tiljala Murder) একটি চিঠি দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনে। রাজ্যের শিশুসুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুদেষ্ণা রায় জানান, রাজ্য কমিশন কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি চিঠিতে জানান, ঘটনার পর তিনি নিজে শিশুটির বাড়িতে গিয়েছেন, কেন্দ্রের উদ্বেগ প্রশংসনীয়। প্রসঙ্গত, কলকাতা এবং মালদহে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় কমিশন। এই চিঠিতে বিতর্ক তৈরি হয়েছে শেষ লাইন নিয়ে, যে লাইনে লেখা হয়েছে এর জন্য রাজ্যে আসার (কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশনের) কোনও প্রয়োজন নেই, রাজ্য কমিশনই নজরদারি রাখছে।

    আরও পড়ুন: প্রশিক্ষণ চলাকালীন বারাকপুর সেনা ছাউনিতে মৃত্যু দুই জওয়ানের! কী করে ঘটল দুর্ঘটনা?

    এর প্রতিবাদ জানিয়ে প্রিয়াঙ্ক বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার ঠিক কী লুকোতে চায়? আমাদের বাংলা সফরে ওরা কখনও খুশি হয়না। কিন্তু এ বার তো ওরা আমাদের সরাসরি বাধা দিচ্ছে! রাজ্যে শিশুদের অবস্থা কতটা শোচনীয়, তা এর থেকেই বোঝা যায়। আমরা যাবই।’ তবে কি তিলজলা কাণ্ডে (Tiljala Murder) প্রতিনিধি দল পাঠাবে কেন্দ্রীয় শিশুসুরক্ষা কমিশন? চেয়ারপার্সনের কথায় তেমনই ইঙ্গিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও কেন গ্রেফতার নয় তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে এখনও কেন গ্রেফতার নয় তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা? প্রশ্ন হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তবুও তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা গায়ে হাওয়া লাগিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) একই মামলায় তাঁর ঘনিষ্ঠ তিন সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখা। কিন্তু তাপস সাহার ক্ষেত্রে সেই তৎপর দেখাচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন। প্রথম থেকেই এই অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা। এবার একই প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    হাইকোর্টের প্রশ্ন

    বৃহস্পতিবার, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি চলছিল। তখন বিচারপতি মান্থা বলেন, ‘তাপস সাহাকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি? কেনই বা তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল না?’ এই মামলায় বিচারপতি আরও বলেন, ১০ এপ্রিলের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা দিয়ে এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। জমা দিতে হবে কেস ডায়েরিও। তবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ আপাতত দেননি বিচারপতি মান্থা। তিনি রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার তদন্তের মেয়াদ ১০ এপ্রিল পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছেন।

    তাপস সাহার বিরুদ্ধে মামলা

    স্কুলে (SSC Scam) চাকরি দেওয়ার নামে ২০১৮ সালে ৫ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তাপস সাহার বিরুদ্ধে মামলা করেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এই ঘটনায় রাজ্যের দুর্নীতি দমনশাখা চারজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে। সেই তালিকায় ছিলেন তাপস সাহা। কিন্তু তিনজনকে গ্রেফতার করা হলেও, তাপস সাহার ক্ষেত্রে এক যাত্রায় পৃথক ফল দেখা যায়। চার্জশিট পেশ করতে না পারায় নিম্ন আদালতে জামিন পেয়ে যান তাপস সাহা। পরে বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি হাইকোর্টে মামলা করেন। এই মামলাতে বিচারপতি মান্থার কড়া মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অভিযুক্তরা। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ের বৈঠকের পরই হামলা! গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু দুজনের, জখম একাধিক কর্মী, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    চাকরি দেওয়ার নাম করে তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল লাখ লাখ টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ জমা পড়েছিল তেহট্ট থানায়। তদন্তে নেমে বিধায়কের আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল ও তার ২ সহযোগীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে আপ্ত সহায়কের টাকা তোলার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। ইতিমধ্যেই রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান সহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। রয়েছেন জেলে। এবার দেখার, তাপস সাহার কী হয়! তবে তিনি আপাতত হাইকোর্টের উপর আস্থা রেখেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Army: প্রশিক্ষণ চলাকালীন বারাকপুর সেনা ছাউনিতে মৃত্যু দুই জওয়ানের! কী করে ঘটল দুর্ঘটনা?

    Army: প্রশিক্ষণ চলাকালীন বারাকপুর সেনা ছাউনিতে মৃত্যু দুই জওয়ানের! কী করে ঘটল দুর্ঘটনা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে প্রশিক্ষণ চলার সময় জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই জওয়ানের। এছাড়াও আরও এক জওয়ান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে সেনা (Army) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম লেংখোলাল এবং অলড্রিন হিমিংথানজুয়ালা। লেংখোলাল নায়েক পদে কর্মরত ছিলেন। আর সিপাই পদে কর্মরত ছিলেন অলড্রিন। দুজনেই ১৬ নম্বর আসাম রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন। একজনের বাড়ি নাগাল্যান্ড। অন্যজনের বাড়ি মিজোরাম। ইতিমধ্যেই দুই সেনা (Army) জওয়ানের দেহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে। নিয়ম মেনে মৃতদের পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হবে। তবে, প্রশিক্ষণ চলাকালীন এই ঘটনা কী করে ঘটল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী করে মৃত্যু হল দুই সেনা জওয়ানের? Army

    বুধবার বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে অ্যাসল্ট রিভার প্রশিক্ষণ নামে বিশেষ প্রশিক্ষণ চলছিল। মূলত, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সেনা জওয়ানদের দড়ি ধরে জলাশয়ের ওপর দিয়ে পারাপার হতে হয়। সেনা (Army) সূত্রে জানা গিয়েছে, আসাম রেজিমেন্ট থেকে ওই জওয়ানরা এই বিশেষ প্রশিক্ষণ নিতে এসেছিলেন। ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে বিশাল জলাশয়ের ওপর চলছিল এই প্রশিক্ষণ। নিয়মিত এই প্রশিক্ষণ করা হয়। দুর্ঘটনার দিন ৬ জন জওয়ানকে নিয়ে প্রশিক্ষণ চলছিল। প্রথম তিনজন নিয়ম মেনেই দড়ি ধরে জলাশয় পারাপার করেন। কারও কোনও সমস্যা হয়নি। পরের তিনজন দড়ি ধরে ওই জলাশয়ের ওপর দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। দড়ি ছিঁড়ে তিনজন জওয়ান জলাশয়ে পড়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তলিয়ে যান। যদিও ঘটনাস্থলে উপস্থিত প্রশিক্ষকের উদ্যোগে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনজনকে জলাশয় থেকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর দুজনের মৃত্যু হয়। অন্যজন এখনও হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন। তবে, এই ধরনের দুর্ঘটনা এর আগে কখনও হয়নি। তাই, প্রশিক্ষণ করতে এসে দুই সেনা জওয়ানের মৃত্যুতে বারাকপুর সেনা (Army) ছাউনিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হাওড়ায় গণ্ডগোলের জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী! ট্যুইটবার্তায় দাবি শুভেন্দু, অমিত মালব্যর

    Suvendu Adhikari: হাওড়ায় গণ্ডগোলের জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী! ট্যুইটবার্তায় দাবি শুভেন্দু, অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ায় গণ্ডগোলের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শিবপুর এবং ডালখোলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    পুলিশের অনুমতি নিয়েই সমস্ত মিছিল হয়েছিল কিন্তু তারা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বলে ট্যুইটবার্তায় দাবি করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখছেন, হাওড়ার ঘটনায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া উচিৎ। রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে আবেদন, যাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করে অবিলম্বে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। একই সঙ্গে তিনি লিখেছেন রাজ্য পুলিশ সঠিক ভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না। গোটা এলাকাতে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে বলেও দাবি বিরোধী দলনেতার। এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে আছেন! পুলিশ সঠিক ব্যবস্থা করতে পারেনি যাতে সমস্ত মিছিল বিনা বাধায় এগিয়ে যেতে পারে।

    অমিত মালব্যর ট্যুইট

    এই ঘটনায় (Howrah Incident) সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেই দায় ঠেলছে পদ্ম শিবির। বিজেপি আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য ট্যুইটে দাবি করেছে, হিন্দু ভাবাবেগকে অবজ্ঞা করেন বলেই রামনবমীর দিন ধর্নায় বসেছেন মমতা। বিজেপি নেতার আরও দাবি, ”মুখ্যমন্ত্রী রামনবমীতে মুসলিম এলাকাগুলি এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন যেহেতু রমজান চলছে। কিন্তু তিনি ভুলে গেছেন নবরাত্রির জন্য হিন্দুরাও উপবাসে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে এই ঘটনার দায় সরাসরি মমতার। যখন ১০ হাজার মিছিল বের হচ্ছে, তখন তিনি ধরনায় ছিলেন। যখন তাঁর পুলিশি ব্যবস্থাপনা দেখার কথা তিনি তখন রাজনীতি করছিলেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর দাবি

    অন্যদিকে রামের দেশে রাম নবমীর শোভাযাত্রা আক্রান্তের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, হাওড়ায় গতবছর যে জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে। এই বছরও ঠিক একই জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। যদিও অশান্তির ঘটনায় নাম না করে বিজেপির দিকেই আঙুল তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী মিছিলের রুট পরিবর্তন করারও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    উল্লেখ্য, হাওড়ায় শিবপুরের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে খবর। রামনবমীর মিছিলে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। আর সেই অভিযোগ ঘিরেই একেবারে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে শিবপুর এলাকায়। একের পর এক গাড়ি এবং দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, একাধিক গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার! আজ শহর থেকে জেলা বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Update: সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার! আজ শহর থেকে জেলা বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। কোথাও কোথাও দু-চার ফোঁটা বৃষ্টিও পড়ছে। চলছে মেঘ-রোদের লুকোচুরি। শুক্রবার থেকে ৩ দিন রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টির পূ্র্বাভাস। কলকাতা-সহ উত্তর এবং দক্ষিণের সব জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, এমনকী শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। আজ রাজ্যের সব জেলাতেই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঝড়-বৃষ্টির জেরে গরমের অস্বস্তি অনেকটাই কমতে পারে। 

    কোথায় কোথায় বৃষ্টি

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে থেকেই আকাশে ছিল বিদ্যুতের ঝলকানি। সঙ্গী ছিল হালকা বৃষ্টিও। কোনও কোনও জায়গায় অফিস ফিরতিদের ভিজতে হয়েছে অল্প বিস্তর। বৃহস্পতিবার রাতের বৃষ্টি তাপমাত্রা অনেকটাই কমিয়েছে। আজ, ভোর থেকে শিরশিরি বাতাস, মেঘলা আকাশে মনোরম পরিবেশ শহরে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, একটি অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গ থেকে উড়িষ্যা পর্যন্ত রয়েছে। যেটি বিহার ও ঝাড়খণ্ডের উপর দিয়ে গেছে। এর প্রভাবেই আজ, শুক্রবার থেকে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়ায় হালকা বৃষ্টি হতে পারে। শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও। উত্তরের জেলাগুলিতে ৪ এপ্রিল আর দক্ষিণের জেলাগুলিতে ২ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।

    আরও পড়ুন: পাঁচটি জ্যোতির্লিঙ্গসহ ৮টি তীর্থক্ষেত্র ভ্রমণের ব্যবস্থা করছে রেল মন্ত্রক! থাকছে ইএমআইয়ের সুবিধা, কবে ছাড়ছে এই ট্রেন?

    কবে থেকে আবহাওয়ার উন্নতি

    হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্র ও শনিবার আবহাওয়ায় তেমন কোনও হেরফের হবে না। তাপমাত্রাও প্রায় একই থাকবে। তার পরবর্তী দুই দিন বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। এরপর পার্বত্য এলাকা ছাড়া রাজ্যের বাকি অংশে ফের তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    Ram Navami: রামনবমীর শোভাযাত্রায় বোমা, ধুন্ধুমার হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে ধুন্ধুমার হাওড়ার (Howrah) কাজিপাড়ায়। শোভাযাত্রায় ছোড়া হল বোমা, পেট্রল বোমা। রাস্তার ধারের দোকান ভাঙচুর। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হল ফুটপাতের কয়েকটি দোকানেও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ছিল রামনবমী। এদিন সন্ধ্যায় হাওড়ার সন্ধ্যাবাজারের কাছে শোভাযাত্রায় আয়োজন করেছিল অঞ্জনীপুত্র সেনা। শোভাযাত্রা যখন কাজিপাড়া এলাকায় আসে তখন আচমকাই হামলা চালানো হয়। শোভাযাত্রা লক্ষ্য করে ছোড়া হয় বোমা, পেট্রল বোমা। বিয়ারের বোতল, কাচের বোতলও ছোড়া হয়। জখম হন প্রায় ১৫ জন।

    রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রাকে ঘিরে অশান্তি…

    ঘটনার জেরে মুহূর্তের মধ্যে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা তল্লাট। আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অঞ্জনীপুত্র সেনারা। অভিযোগ, তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। আয়োজকদের অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় যারা হামলা চালাল, তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

    অঞ্জনীপুত্র সেনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সুরেন্দ্র বাবা বলেন, প্রশাসনের সুবিধার্থে এদিন অঞ্জনীপুত্র সেনা, বিশ্বহিন্দু পরিষদ সহ ৪২টি সংগঠন এক সঙ্গে এই শোভাযাত্রা (Ram Navami) বের করে। পুলিশ প্রশাসনকে এই শান্তিপূর্ণ মিছিলের সুরক্ষার জন্য আগাম জানানো হয়েছিল। যদিও গত বছরের মতো এবারও সন্ধ্যা বাজার এলাকায় মিছিল প্রবেশের পরেই হামলা হয়। তাঁর প্রশ্ন, হিন্দুরা শান্তিপূর্ণ মিছিল করলে কীসের সমস্যা আক্রমণকারীদের?

    আরও পড়ুুন: স্ল্যাব ভেঙে ৫০ ফুট গভীর কুয়োয় পড়লেন পুণ্যার্থীরা, মধ্যপ্রদেশে মৃত ১৩

    প্রসঙ্গত, গত বছরও এই সন্ধ্যাবাজার এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় ইট ও কাচের বোতল ছোড়া হয়েছিল। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূলের উসকানি আর পুলিশের অতিসক্রিতায় এই ঘটনা ঘটেছে। এদিন হাওড়া ময়দান ও শিবপুর সংলগ্ন এলাকায়ও বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর এসেছে। বিরাট পুলিশ বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    ঘটনার জেরে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন উদ্যোক্তাদের একাংশ। রেড রোডের ধর্নামঞ্চ থেকে তিনি বলেছিলেন, রামনবমীর (Ram Navami) শোভাযাত্রা নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। সবার নিজের নিজের ধর্মাচরণের অধিকার রয়েছে। কিন্তু মিছিলের নামে একটাও মুসলিম এলাকায় হামলা হলে ছেড়ে কথা বলব না। এদিকে, এদিন হাওড়ার রামরাজাতলা এলাকায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় যোগ দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, উনিই (মুখ্যমন্ত্রী) অশান্তির কারণ। এদিন গুজরাটের ভাদোদরার ফতেপুরার একটি শোভাযাত্রায়ও পাথর ছোড়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share