Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Sukanta Majumder: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumder: ‘‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে…’’, বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে প্রতিদিন ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বেড়ে চলেছে, আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)।

    বিরোধী মুখ কে? 

    আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাহুল গান্ধী না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হবেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর মুখ, এই নিয়ে চরম দ্বন্দ্বে তৃণমূল! এ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, ‘ভাইপো গুঁতো দিচ্ছে, পিসি উপরে না উঠতে পারলে ভাইপোর হিল্লে হচ্ছে না, তাঁর চেয়ারে বসা হবে না।’ গত লোকসভা নির্বাচনে মমতাকেই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছিল তৃণমূল। কিন্তু এবারের বিরোধী  জোটে তৃণমূলের অবস্থান ঠিক কী হবে?

    সুকান্তর কটাক্ষ 

    এ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “তৃণমূল কনফিউজড তারা বুঝতে পারছে না কী করবে। মমতা না রাহুল এর মধ্যে আটকে রয়েছে। তৃণমূলের ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো অবস্থা। তারা কখনও বিরোধীদের বৈঠকে যাচ্ছে, কখনও যাচ্ছে না। কখনও কংগ্রেসের গলা জড়িয়ে ধরছে কখনও সম-দূরত্ব বজায় রাখছে। ” এরপরই কটাক্ষের সুরে সুকান্ত জানান, “যতই আলাদা দেখান না কেন আসলে পর্দার পিছনে সবই এক। অধীর-মমতা কবে হাত ধরবেন, একসাথে আয় তবে সহচরী গাইবেন, বিজেপি দেখার জন্য মুখিয়ে আছে।”

    আরও পড়ুন: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    রাজ্যে নারী নির্যাতন

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumder) আরও দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ নারী নির্যাতনের হাব হয়ে গিয়েছে। কখনও নাবালিকার অর্ধনগ্ন দেহ তো কখনও শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন, প্রতিনিয়ত এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীও তা-ও রাজ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে এটা লজ্জার। এটা কখনও কেউ মেনে নেবে না। সেই জায়গায় থেকে সকলকে সমবেতভাবে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে এমন ঘটনা না ঘটে। রাজ্যে যেভাবে নারীদের উপর অত্যাচার হচ্ছে তাতে একটা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। রাজ্য সরকার এ বিষয়ে উদাসীন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
     

  • TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    TMC: তৃণমূলের মঞ্চে দলীয় নেতার সঙ্গে হাজির বিডিও! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ রাজ্যের প্রশাসন দলদাস হয়ে গিয়েছে বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করে। এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগের সত্যতা মিলল পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম-১ ব্লকে। এই ব্লকের তৃণমূলের (TMC) সভামঞ্চে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে এক আসনে বসে রয়েছেন কেতুগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যাল। যুব তৃণমূল ও তৃণমূল (TMC) ছাত্র পরিষদের ডাকে শহিদ মিনার চলো প্রস্তুতির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ব্লকে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লক অফিস চত্বরে পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে একটি সভা ঘর তৈরি করা হয়। এই সভাগৃহে শুধুমাত্র সরকারি অনুষ্ঠান হয়। আর সেখানেই দেখা গেল সরকারি অনুষ্ঠান না হয়ে, তৃণমূলের (TMC) রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আর ওই কর্মসূচিতে দেখা গেল খোদ কেতুগ্রাম -১ নম্বর ব্লকের বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালকে। রাজনৈতিক ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেতুগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ, বর্ধমান জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি রাজবিহারী হালদার। এই দুজনের পাশে বসে ছিলেন কেতুগ্রাম- ১ নম্বর ব্লকের বিডিও। তৃণমূলের (TMC) সেই সভামঞ্চে বিডিওর উপস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কী বললেন বিডিও? TMC

    সভাগৃহে প্রচুর তৃণমূল (TMC)  কর্মী, সমর্থক হাজির ছিলেন। সভাগৃহের পিছনের দেওয়ালে বড় ফ্লেক্সে লেখা রয়েছে, শহিদ মিনার চলো। আর এই ফ্লেক্সের সামনেই বসে রয়েছেন বিধায়ক ও তৃণমূলের (TMC)  যুব বর্ধমানের নেতা রাজবিহারী হালদার এবং কেতুগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের বিডিও। এই বিষয়টি জানাজানি হতেই বিডিও পূর্ণেন্দু সান্যালের সাফাই, আসলে ওই সভাগৃহে সবসময় সরকারি অনুষ্ঠান হয়। সভাতে প্রধান, উপ প্রধানরা ছিলেন। সরকারি প্রকল্প নিয়ে প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার প্রয়োজন ছিল। সেই মিটিং করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আমার পিছনে একটি দলের ফ্লেক্স লাগানো রয়েছে তা আমি দেখিনি। এটা আমার ভুল হয়ে গিয়েছে। সরকারি সভাগৃহে রাজনৈতিক সভা হয় না, এখন প্রশ্ন তাহলে রাজনৈতিক সভা কি করে হল ওই সভাগৃহে? বিডিও এই বিষয়ে কিছু মন্তব্য করতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? TMC

    তৃণমূল (TMC) বিধায়ক শেখ শাহনওয়াজ বলেন, সরকারি সভাগৃহে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি হয় না। কে বা কারা দলীয় ফ্লেক্স লাগিয়ে দিয়েছিল জানি না। আর বিডিও প্রধান, উপ প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করার সময় তৃণমূলের (TMC) দুজন নেতা সেখানে চলে আসে। আগামিদিনে ওই সভাগৃহে যাতে রাজনৈতিক অনুষ্ঠান না হয় তা দেখব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব? TMC  

    বিজেপির জেলা নেতা কৃষ্ণ ঘোষ বলেন, প্রশাসন আর তৃণমূল (TMC) যে এক হয়ে গিয়েছে তা এই ঘটনা প্রমাণ করে। আসলে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই, প্রশাসনকে ব্যবহার করে কী করে নির্বাচনী বৈতরনী পার হবে তার রণকৌশল ঠিক করা হচ্ছে। আর সরকারি ভবনে রাজনৈতিক কর্মসূচি হওয়ার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Draupadi Murmu: সকালে বেলুড়মঠে, দুপুরে শান্তিনিকেতনে রাষ্ট্রপতি! কড়া নিরাপত্তা কলকাতা থেকে বোলপুরে

    Draupadi Murmu: সকালে বেলুড়মঠে, দুপুরে শান্তিনিকেতনে রাষ্ট্রপতি! কড়া নিরাপত্তা কলকাতা থেকে বোলপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার শান্তিনিকেতন (Santiniketan) যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। সেখানে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। তবে তার আগে মঙ্গলবার সকালে বেলুড় মঠে যেতে পারেন তিনি। রাষ্ট্রপতির বেলুড় মঠ সফরের আগেই বালি বেলুড় অঞ্চল সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে।

    বেলুড় মঠ থেকে শান্তিনিকেতন

    বেলুড় মঠ সূত্রে খবর, ঠাকুর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মূল মন্দির, মা সারদা দেবীর মন্দির সহ স্বামীজি ও ব্রহ্মান্দজীর মন্দির পরিদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি। পাশাপাশি অধ্যক্ষ মহারাজের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার সম্ভাবনা রয়েছে। সকাল ন’টা থেকে সাড়ে ন’টা পর্যন্ত মঠেই থাকার কথা রাষ্ট্রপতির। এরপর শান্তিনিকেতনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। কলকাতা থেকে বিশেষ নিরাপত্তায় এদিন বেলা ১২টা নাগাদ শান্তিনিকেতনে পৌঁছবেন রাষ্ট্রপতি (President Draupadi Murmu)। এরপর ঘুরে দেখবেন রবীন্দ্রনাথের বাড়ি। মধ্যাহ্নভোজনে রাষ্ট্রপতির জন্য বিশেষ বাঙালি পদের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    কড়া নিরাপত্তা

    আজ, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva Bharati University) ঐতিহ্যবাহী সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।  তাঁর নিরাপত্তা (security) সুনিশ্চিত করতে রাষ্ট্রপতির হেলিকপ্টার যখন নামবে, মঙ্গলবার সেইসময় বা তার আগে আশেপাশের সমস্ত বাড়িতে ছাদে ওঠা যাবে না। জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় এই নির্দেশ নিয়ে বলেন, “কেবলমাত্র হেলিপ্যাড সংলগ্ন বাড়িগুলির ছাদে কাপড় মেলতে বা সেখানে গিয়ে কাউকে দাঁড়াতে বারণ করা হয়েছে। কারণ, কোনওভাবে যদি হাওয়ায় কাপড় উড়ে গিয়ে হেলিকপ্টারে লেগে যায়, তাহলে বড়সড় অঘটন ঘটতে পারে। তাই রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তার খাতিরে এই নির্দেশ মানতে বলা হয়েছে। শান্তিনিকেতনের মানুষজন নিশ্চয়ই আমাদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করবেন।”

    আরও পড়ুন: তিহাড় জেলের হাসপাতালে ভর্তি কেষ্ট, সিবিআইয়ের তলব বীরভূমের চালকল মালিককে

    বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি

    প্রশাসন সূত্রে খবর, বিশ্বভারতীর বিনয় ভবন মাঠেই মঙ্গলবার নামবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হেলিকপ্টার। ইতিমধ্যে সেখানে একটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা শহরকে। চতুর্দিকে অসংখ্য সিসি ক্যামেরাও লাগানো হয়েছে। শুরু হয়েছে নজরদারিও। আজ, শান্তিনিকেতনে পৌঁছনোর পর প্রথমে মধ্যাহ্নভোজ সারবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)। মেনুতে থাকছে ভাত, দেশি ঘি, পোস্তর বড়া, কয়েক রকমের ভাজা। এছাড়া মুগের ডাল, সবজি, পনির, মাশরুম, পাঁপড়…পুরোটাই নিরামিষ। এছাড়া বিদেশি কিছু নিরামিষ পদেরও আয়োজন করা হয়েছে। তারপর আড়াইটে নাগাদ রবীন্দ্র ভবনের উদয়ন, কোর্নাক, শ্যামলী, পুনশ্চ, উদীচি— রবীন্দ্রনাথের এই পাঁচটি বাড়ি পরিদর্শনের পর কলাভবন ঘুরে দেখবেন তিনি। দুপুর ৩টেয় আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। এদিনের সফরে তাঁর সঙ্গে থাকবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: ‘সিআইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই’, ভুয়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর  

    Murshidabad: ‘সিআইডির ভূমিকায় সন্তুষ্ট নই’, ভুয়ো শিক্ষক মামলায় মন্তব্য বিচারপতি বসুর  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিআইডির (CID) ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। সোমবার এমনই মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) গোথা এআর হাইস্কুলে চাকরি করছিলেন জনৈক অনিমেষ তিওয়ারি। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক তাঁর বাবা আশিস তিওয়ারি। আশিসের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সুতির স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক অরবিন্দ মাইতির নিয়োগপত্রের মেমো নম্বর জাল করে ছেলে অনিমেষকে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

    অনিমেষ অধরা…

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে হাইকোর্টে দায়ের হয় মামলা। সেই মামলার তদন্তে সিবিআই নয়, সিআইডির ওপর ভরসা রেখেছিল আদালত। সেই মতো তদন্ত শুরু করে সিআইডি। ১৭ ফেব্রুয়ারি ভবানী ভবনে টানা সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর আশিসকে (Murshidabad) গ্রেফতার করেছিল সিআইডি। যদিও আশিসের ছেলে অনিমেষ এখনও অধরা। এদিন সেই প্রসঙ্গেই বিচারপতি বসু বলেন, সিআইডির ভূমিকায় আমি একেবারেই সন্তুষ্ট নই। তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে না। এভাবে তদন্ত চললে সিআইডির ডিআইজিকে ডেকে পাঠাব। প্রয়োজনে আদালতের পর্যবেক্ষণ সার্ভিস বুকে উল্লেখ করতে নির্দেশ দেব। সেটা কিন্তু ভাল হবে না। বিচারপতি বলেন, মামলাকারীরা সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। আমি সিআইডির ওপর ভরসা করেছিলাম। তার এই পরিণাম।

    আরও পড়ুুন: শাহি দরবারে শুভেন্দু, পঞ্চায়েতের আগে কী আলোচনা হল দু’ জনের?

    তিনি বলেন, এমন কড়া মন্তব্য করতে বাধ্য করবেন না যাতে সিআইডির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাঁর প্রশ্ন, কেন অভিযুক্ত ও বহিষ্কৃত শিক্ষক অনিমেষ তিওয়ারিকে এখনও গ্রেফতার করা গেল না? কীভাবে এতদিন তিনি বেতন পেতেন? কার বদান্যতায় সেটা হল? কেন এখনও তার সন্ধান পেল না সিআইডি? এদিন আদালতে সিআইডি জানায়, অনিমেষ এ রাজ্যে নেই। তাঁর মোবাইল ফোনের লোকেশন কখনও উত্তর প্রদেশ কখনওবা বিহার দেখাচ্ছে। ৬ এপ্রিল এ বিষয়ে ফের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত।

    বিচারপতি বসু বলেন, আমি কিছু শুনতে চাই না। যেখান থেকে হোক অভিযুক্ত বহিষ্কৃত শিক্ষককে (Murshidabad) খুঁজে বের করুন। তিনি বলেন, তদন্তে যে গাফিলতি হয়েছে, সেটা স্পষ্ট। ৬ এপ্রিলের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা না হলে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি বসু।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Anubrata Mondal: তিহাড় জেলের হাসপাতালে ভর্তি কেষ্ট, সিবিআইয়ের তলব বীরভূমের চালকল মালিককে

    Anubrata Mondal: তিহাড় জেলের হাসপাতালে ভর্তি কেষ্ট, সিবিআইয়ের তলব বীরভূমের চালকল মালিককে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিহাড় জেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হল অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। দুপুরে তাঁকে জেলের হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয় বলে জানা গেছে। অন্যদিকে গরু পাচার মামলায় নতুন করে বীরভূমের দুই চালকল মালিককে তলব করল সিবিআই। জানা গিয়েছে সাঁইথিয়ার চালকল মালিক রবিন টিব্রেওয়াল ও তাঁর বাবাকে তলব করা হয়েছে।

    জেল সূত্রে খবর আপাতত স্থিতিশীল আছেন তিনি

    হাসপাতালে ভর্তির পর অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে তৃণমূল নেতাকে। তবে সব মিলিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া অনুব্রত (Anubrata Mondal) দীর্ঘ দিন ধরে আসানসোল জেলে ছিলেন। পরবর্তীতে ইডির আবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়। তার আগে দিল্লি যাত্রা ঠেকাতে চেষ্টার কসুর কিছু করেননি তিনি। তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগে রাজ্য পুলিশ অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে হেফাজতেও মাঝখানে, তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গত শনিবার তিহাড় থেকে আসানসোল জেলে ফিরতে চেয়ে দিল্লির আদালতে আবেদনও করেছেন তাঁর আইনজীবী। অন্যদিকে ওই চালকল মালিকের সঙ্গে এনামূল হকের আর্থিক লেনদেন সামনে এসেছে । সিবিআই সূত্রে খবর, গরু পাচার মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে ওই চালকল মালিকদের আর্থিক লেনদেনের তথ্য সামনে এসেছে। সেই কারণেই সোমবার তাঁদের কলকাতার নিজাম প্যালেসে তলব করা হয়। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    রবিনের চালকল সংস্থার অ্যাকাউন্টে এনামুল হকের চালকল থেকে টাকা ঢুকেছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। জানা গিয়েছে, এনামুলের চালকল সংস্থার সঙ্গে রবিনের চালকল সংস্থার কোটি কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। বীরভূমে রবিনের একাধিক চালকল রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে এসে পৌঁছন রবিন। তাঁকে এখন জিজ্ঞাসাবাদ করছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক! কোথায় জানেন?

    TMC: দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে গিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ২০১১ সালে রাজ্য ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল (TMC)। কিন্তু, এখনও পানীয় জলের সংকটে ভুগছেন রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দারা। কাগজকলমে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কথা বলা হলেও আদতে তৃণমূল সরকার যে কিছু করেনি তা পশ্চিম বর্ধমান জেলার উখরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উগরা এলাকার বাসিন্দারা হারে হারে টের পাচ্ছেন। গরম পড়তেই পানীয় জলের হাহাকার চলছে এলাকায়। পানীয় জলের জন্য বাড়ির মহিলাদের দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) উপরে সমস্ত ক্ষোভ তাঁদের। সোমবার দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে যোগ দিতে উখরা গ্রামে রানীগঞ্জ বিধানসভার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় যান। আর তৃণমূল বিধায়ককে সামনে পেয়ে এই গরমে পানীয় জল না পাওয়ার জ্বালা মিটিয়ে নেন মহিলারা। জনসংযোগ করার জন্য বিধায়ককে কথা বলতে না দিয়ে এলাকার সমস্ত মহিলারা তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

    কী বললেন এলাকার মহিলারা? TMC

    সোমবার “দিদির সুরক্ষা কবজ” কর্মসূচি ছিল উখড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন এলাকার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। আনন্দমোড় শ্মশান কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে এদিন কর্মসূচির সূচনা হয়। তারপর বড়পাড়া হয়ে ময়রা পাড়ায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যান বিধায়ক সহ অন্যরা। সেখানে স্থানীয় মহিলাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিধায়ক। মহিলাদের অভিযোগ, এলাকায় কল থাকলেও কলে জল পড়ে না। ময়রাপাড়া, ধীবর পাড়া ও অস্তল পাড়ার একাংশের বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জল সংকটে ভুগছেন। ফলে, আমাদের মতো এই এলাকায় সব বাসিন্দারা চরম নাকাল হয়। তাঁরা বিধায়কের কাছে অবিলম্বে পানীয় জলের পরিষেবা উন্নত করার দাবি জানান।

    বিক্ষোভ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? TMC

    এলাকাবাসীদের বিক্ষোভ দেখানোর কথা অস্বীকার করলেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কেউ কোনও বিক্ষোভ দেখায়নি। আসলে যারা কাজ করে, তাদের কাছেই তো অভাব অভিযোগ জানাবে। স্থানীয় মহিলারা এলাকায় পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়েছেন মাত্র। সমস্যার কথা জানার জন্যই এই কর্মসূচি। সেখানে মহিলারা আমাকে সমস্যার কথা বলেছেন। আসলে এই এলাকায় বহুদিন ধরেই পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বারাকপুরে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বেধড়ক লাঠিচার্জ পুলিশের! কেন জানেন?

    BJP: বারাকপুরে বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বেধড়ক লাঠিচার্জ পুলিশের! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার নিয়োগ দুর্নীতিসহ একাধিক দাবিতে রাজ্যজুড়ে বিজেপির (BJP) বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো এদিন বারাকপুর মহকুমা অফিসে সেই কর্মসূচি সফল করতে বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সব থানা এলাকার কর্মীরা জমায়েত হয়েছিলেন। আর এই বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল ব্যারাকপুর মহকুমা অফিস চত্বর। জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করতে বিজেপি (BJP) কর্মীদের বেধড়ক লাঠিচার্জ করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের লাঠির আঘাতে চারজন বিজেপি (BJP) কর্মী জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মহকুমা অফিসের সামনে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি (BJP) কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    কী নিয়ে গন্ডগোল? BJP

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভায় নিয়োগ-দুর্নীতি, তহবিল তছরুপ পুর কর্মীদের বকেয়া বেতন, সীমাহীন প্রশাসনিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে বারাকপুর বিজেপি (BJP) সাংগঠনিক জেলার ডাকে বারাকপুর মহকুমা শাসকের দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি (BJP) কর্মী, সমর্থকরা কর্মসূচিতে হাজির হন। শাসক দলের দুর্নীতি নিয়ে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালীন পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল বারাকপুর মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে যান। মহকুমা অফিসের বাইরে থাকা বিজেপি (BJP) কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আচমকা পুলিশের বচসা শুরু হয়। তারপরই বেধড়ক লাঠিচার্জ করে সমস্ত জমায়েতকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারী বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ চলছিল। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় এক পুলিশ কর্মী দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁকে আমরা সরে যেতে বলেছিলাম। কারণ, বিক্ষোভের সামনের সারিতে মহিলারা ছিলেন। তাতে ওই পুলিশ কর্মী রেগে যান। শুরু হয় বাগবিতন্ডা। এরপরই সেখানে উপস্থিত সব পুলিশ কর্মীরা একজোট হয়ে তারা আমাদের আচমকা লাঠিচার্জ করে। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, মদ খেয়ে কোনও পুলিশ কর্মী ডিউটি করেননি। এই অভিযোগ ঠিক নয়।

    কী বললেন বিজেপির বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি? BJP

    বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্য সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ছিল। সেই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে দলদাস পুলিশকে এরকম নির্মমভাবে লাঠিচার্জ করতে হল তা ভাবতে পারছি না। আমাদের কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছে। পুলিশ যে ভাবে আমাদের কর্মীদের মেরেছে তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে ছাপিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা করছি। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানাব। এই ধরনের নক্করজনক ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। প্রয়োজনে আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নামব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘যাঁরা তাঁকে হারাতে চেয়েছিলেন, তাঁরা আজ সম্মান জানাচ্ছেন’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘যাঁরা তাঁকে হারাতে চেয়েছিলেন, তাঁরা আজ সম্মান জানাচ্ছেন’! কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথম বার রাজ্যে পা রেখেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁকে নাগরিক সম্মান প্রদান করা হয়েছে। তৃণমূল শাসিত রাজ্য সরকারের এই সম্মান প্রদর্শন নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদীর বিরুদ্ধে যাঁরা ভোট দিয়েছিলেন, সেই তাঁরাই এখন তাঁকে সম্মান জানাতে উঠেপড়ে লেগেছেন। অথচ যে বিজেপি বিধায়করা দ্রৌপদীকে ভোট দিয়েছিলেন, তাঁরাই অনুষ্ঠানে ব্রাত্য।

    রাষ্ট্রপতিকে সম্মান

    সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছন রাষ্ট্রপতি। রেসকোর্সে রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। দ্রৌপদী মুর্মুকে উত্তরীয় পরিয়ে, পুষ্পস্তবক দিয়ে বরণ করে নেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেন, রাষ্ট্রপতিকে সম্মান জানাতে রাজ্যের তরফে যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, সেখানে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘সরকারের আমন্ত্রণপত্রে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর নাম রাখা হয়েছে। আমায় কোনও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’’ এর পরই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অবস্থান কী ছিল, তা স্মরণ করিয়ে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লোকেরা দ্রৌপদী মুর্মুকে ভোট দেননি। যাঁরা ভোট দেননি, তাঁরা আজ তাঁকে ধামসা-মাদল উপহার দিচ্ছেন, ফুল দিচ্ছেন, শাল পরাচ্ছেন। আর বিজেপির যে ৭০ জন বিধায়ক ভোট দিয়েছেন, তাঁরা আমন্ত্রণ পাননি।’’

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    এই নিয়ে একটি ট্যুইটও করেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু বলেন,  ‘‘যাঁরা জনজাতির এক প্রান্তিক মানবীকে হারাতে চেয়েছিলেন, যাঁরা তাঁর ধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সেই তাঁরা আজ তাঁকে সম্মান জানাচ্ছেন। এটা দেখে ভাল লাগছে।’’ 

    দিল্লিতে শুভেন্দু

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন দিল্লিতে ছিলেন। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন শুভেন্দু। পঞ্চায়েত ভোটের আগে শুভেন্দুর দিল্লিযাত্রা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। এদিন দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে  শুভেন্দু জানান, রাম নবমী সনাতনীদের বড় উৎসব। ওই দিন ছুটি দেয়নি রাজ্য সরকার। উল্টে ধর্নায় বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দুর কথায়, ‘জঙ্গলরাজের চেয়েও খারাপ অবস্থা বাংলার। রাজনীতি করার জন্য উৎসবের দিন এই ধরনের আন্দোলন করে এজেন্সিকে ভয় দেখানো, বিচারব্যবস্থাকে চাপে রাখাই উদ্দেশ্য। দুর্নীতি থেকে বিভ্রান্ত করার জন্য অগণতান্ত্রিক ধর্নার আয়োজন করা হয়েছে। বিজেপি বিরোধিতা করবে।’  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tiljala Murder: নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ তিলজলা, জনতার রোষে পুড়ল পুলিশের গাড়ি, বাইক

    Tiljala Murder: নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ তিলজলা, জনতার রোষে পুড়ল পুলিশের গাড়ি, বাইক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাবালিকা খুনে অগ্নিগর্ভ তিলজলা (Tiljala Murder)। পুলিশের গাড়িতে আগুন (Fire)। দাউদাউ করে জ্বলল বাইক। ট্রেন লক্ষ্য করে পাথরবৃষ্টি উত্তেজিত জনতার। পরিস্থিতির জেরে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন (Train) চলাচল। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকেও লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। অশান্ত হয়ে ওঠে বন্ডেল গেট, পিকনিক গার্ডেন এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। করে লাঠিচার্জও। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছেন পুলিশের পদস্থ কর্তারা। শুরু হয়েছে ধরপাকড়। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। লাঠি হাতে টহল দিচ্ছে র‌্যাফ।  

    জনরোষের নেপথ্যে…

    পুলিশের দাবি, স্ত্রীর গর্ভপাত এড়াতেই এক তান্ত্রিকের কথায় ওই নাবালিকাকে খুন (Tiljala Murder) করা হয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছেন ধৃত অলোক কুমার। নাবালিকার মাথা, কান ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এর সঙ্গে মিলেছে যৌন নিগ্রহের প্রমাণও। পুলিশি জেরায় অলোক কুমার জানিয়েছেন, তাঁর এখনও কোনও সন্তান নেই। তাঁর স্ত্রী গর্ভবতী। এর আগে বেশ কয়েকবার গর্ভপাত হয়ে গিয়েছিল তাঁর স্ত্রীর। বিহারের এক তান্ত্রিকের কথায় সন্তান লাভের আশায় বছর সাতেকের ওই নাবালিকাকে খুন করেন অলোক। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। অভিযুক্ত তান্ত্রিককে ধরতেও বিহার যেতে পারে কলকাতা পুলিশের একটি দল।

    আরও পড়ুুন: ‘মন্ত্রিত্ব বাঁচাতেই প্রয়াত বাবাকে চোর বলছেন’, উদয়নকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে আবর্জনা ফেলতে শিশুটিকে পাঠানো হয়েছিল আবাসনের নীচে। অনুমান তখনই তাকে ঘরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালান দোতলার ফ্ল্যাটের বাসিন্দা অলোক। শিশুটিকে খুন করার পর তার হাত-পা বেঁধে বস্তার ভিতরে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সোমবার সকালে এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে তিলজলা। বন্ডেলে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। একটি বাসের ছাদে চেপে বিক্ষোভ দেখায় উত্তেজিত জনতার একাংশ। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রবিবার সকাল থেকে শিশুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ করেনি। রবিবার রাতে তিলজলা (Tiljala Murder) থানায় ভাঙচুর চালায় জনতা।

    ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবারের বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় রেল চলাচল। অবরোধের কারণে প্রায় ২০টি ট্রেন লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। চরম দুর্ভোগের শিকার যাত্রীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের পাশাপাশি পকসো আইনের ৬ নম্বর ধারায়ও মামলা রুজু হয়েছে অলোক কুমারের বিরুদ্ধে।

     
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
  • SSC Scam: শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে কেন? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    SSC Scam: শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে কেন? নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে প্রশ্নের মুখে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি (SSC Scam) উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহার (Shantiprasad Sinha) জামিনের বিরোধিতা করায় আদালতে প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি চলাকালীন সোমবার আলিপুর সেশন কোর্টের বিচারপতির কাছে জামিনের আবেদন করেন শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী। 

    সওয়াল-জবাব

    এদিন, আদালতে শান্তিপ্রসাদের আইনজীবী জানতে চেয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই হেফাজতে ২৫৯ দিন কাটিয়ে ফেলেছেন শান্তিপ্রসাদ। যদি নতুন করে তাঁকে হেফাজতেই নেওয়ার প্রয়োজন থেকে থাকে, তবে সে কথা গত ২৫৯ দিনে কেন মনে পড়েনি সিবিআইয়ের। আইনজীবী এই প্রশ্ন করার পরে বিচারকও সিবিআইকে নির্দেশ দেন প্রশ্নটির জবাব দিতে। কিন্তু সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার বা আইনজীবী এর স্পষ্ট কোনও জবাব দিতে পারেননি। পাল্টা সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ‘যা তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে তাতে এই পর্যায়ে জামিন পেলে তদন্ত (SSC Scam) নষ্ট হবে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র এটা। জামিন পেলে সাক্ষীদের প্রভাবিত করতে পারেন।’ সিবিআইয়ের বক্তব্য, এসপি সিনহা ভুয়ো সুপারিশ পত্র দিয়ে জাল নিয়োগপত্র দিয়েছেন।

    সিবিআইকে প্রশ্ন বিচারপতির

    বিচারক রানা দাম এরপরই প্রশ্ন করেন,সিবিআই কেন একই কথা টেপ রেকর্ডারের মতো বার বার বলে চলেছে? অভিযুক্তদের জামিন দেওয়া হলে কী হতে পারে বলে আশঙ্কা সিবিআইয়ের? তারা কী নাচবেন? এসএসসির নিয়োগ সংক্রান্ত (SSC Scam) উপদেষ্টা কমিটির প্রধান ছিলেন শান্তিপ্রসাদ। কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতির রাশ অনেকটাই তাঁর হাতে ছিল বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উদ্দেশে বিচারপতির  প্রশ্ন, ‘তিনমাস আগে চার্জশিট পেশ হয়েছে। অথচ এই ব্যক্তির ভূমিকা বুঝতে এতদিন লেগে গেল? সবই তো ভিতরে ভিতরে সম্পর্কযুক্ত। বলবেন না আপনারা জানতেন না।’একইসঙ্গে এদিন বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘আপনারা বলছেন তদন্তে প্রভাব পড়বে। কী প্রভাব পড়বে যদি জামিন দিই? অন্য কেসে তো জেলে আছেন। এই কেসে কেন দরকার? নতুন কিছুই তো বলার মতো নেই। একই কথা বলছেন। ডিসেম্বরে চার্জশিট দিয়েছেন আর মার্চ মাসে হেফাজতে চাইছেন?’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত নীলাদ্রি দাস বানিয়েছিলেন চাকরি বিক্রির চার্টও! জানুন রেট

    প্রসঙ্গত, আগেই সিবিআইয়ের চার্জশিটে বলা হয়েছিল, শিক্ষক নিয়োগে প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যেই, শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে এসএসসি’র উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল। দুর্নীতির (SSC Scam) পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন যাঁরা, তাঁদেরও ষড়যন্ত্রমাফিক সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্কুলের নিয়োগে দুর্নীতির মামলায়, ইডির হাতে প্রথম গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঠিক তারপরই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share