Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, বাম আমলে স্বজনপোষণের অভিযোগ

    Suvendu Adhikari: ডিএ ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা শুভেন্দুর, বাম আমলে স্বজনপোষণের অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ (DA) ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার ট্যুইট-বার্তায় শুভেন্দু লেখেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার মহার্ঘ ভাতা ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়। ৪৭ লক্ষ ৫৮ হাজার কর্মী এবং ৬৯ লক্ষ ৭৬ হাজার পেনশনভোগী উপকৃত হবেন। এটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির ক্যারিশমা। এর ফলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন বৈষম্য আরও বাড়ল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা লেখেন, কেন্দ্রীয় সরকার যেখানে বাড়িয়ে ৪২ শতাংশ করেছে, সেখানে দেউলিয়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতারণা করে ৬ শতাংশ বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে ফারাক ৩৬ শতাংশ। ট্যুইট-বার্তায় অন্য রাজ্যের ডিএর হারও তুলে ধরেন তিনি।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    এদিকে, বাম জমানায় নিয়োগে স্বজন-পোষণ নিয়েও মুখ খুললেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, বাম আমলে (DA) আমিও রাজনীতি করেছি। কিন্তু শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। সেই সময় প্রাথমিকে আর শিক্ষাকর্মী পদে ব্যাপক নিয়োগ হয়েছিল। বামেরা টাকা নিয়ে চাকরি দেয়নি। শুধু দলের ক্যাডারদের চাকরি দিয়েছে। তিনি বলেন, সেই সময় নিয়োগের দায়িত্বে থাকত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি। সেই সুযোগই নিয়েছিল বামেরা। তাঁর দাবি, কলেজে চাকরির ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছিল। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরিতে অনিয়ম হয়ে থাকলেও, যা যে প্রমাণ করা সম্ভব নয়, তাও জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। হাতে লেখা চাকরির নিয়োগপত্র নিয়ে চাকরির দুর্নীতি যে প্রমাণ করা সম্ভব নয়, তাও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘পছন্দের প্রার্থীদের তালিকা পাঠাব! ছাড়পত্র না মিললে…’ মুখ্যমন্ত্রীকে হঁশিয়ারি তৃণমূল বিধায়কের

    শুভেন্দুর দাবি, সিপিএম হোলটাইমারদের আত্মীয়দের চাকরির ব্যবস্থা করে দিত। যাতে তারা দলকে আরও বেশি সময় দিতে পারে। শুভেন্দুর বক্তব্যের সারমর্ম হল, বাম জমানায় টাকা নিয়ে চাকরি হয়নি। তবে স্বজনপোষণ হয়েছিল। প্রসঙ্গত, বাম আমলে স্বজনপোষণ যে হয়েছিল তার বড় প্রমাণ জলপাইগুড়িতে বাম আমলে (DA) প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির প্যানেল বাতিলের ঘটনা। সেই সময় জেলা বামফ্রন্টের শীর্ষ নেতৃত্বের একের পর এক আত্মীয়ের চাকরির বিষয়টি সামনে আসে। তার সঙ্গেই সামনে এসেছিল একাধিক বাম নেতার আত্মীয়-স্বজনদের ঘুরপথে চাকরি দেওয়ার বিষয়টিও।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
     
     
  • DA Protest: শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়! ধর্মঘটীদের এক দিনের বেতন কাটার নির্দেশ

    DA Protest: শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়! ধর্মঘটীদের এক দিনের বেতন কাটার নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শোকজ লেটার নিয়ে গর্বিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দাবি, নিজেদের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে (DA Protest) তাঁরা শিরদাঁড়া সোজা রেখেছেন। নিজেদের বিক্রি করেননি। প্রাপ্য ডিএ-র দাবিতে গত ১০ মার্চ যাঁরা কাজে যোগ দেননি, তাঁদের শোকজ করেছিল সংশ্লিষ্ট দফতরগুলি। এবার তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, যাঁদের শোকজের জবাব সন্তোষজনক নয়, তাঁদের মার্চ মাসের স্যালারি থেকে একদিনের বেতন কাটা যাবে। এমন একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে উচ্চ শিক্ষা দফতর।

    সরকারকে সতর্কবার্তা

    রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের (Govt Employees Agitation) যৌথ মঞ্চের ডাকে গত ১০ মার্চ বকেয়া মহার্ঘভাতার (DA Protest) দাবিতে ধর্মঘটের (DA Strike) ডাক দেওয়া হয়েছিল। পাল্টা রাজ্য সরকারের তরফেও নির্দেশিকা জারি করে অবস্থান স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ১০ মার্চ ব্যতিক্রমী কারণ ছাড়া অফিসে হাজিরা না দিলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারের হুঁশিয়ারির তোয়াক্কা না করেই, ধর্মঘটে সামিল হয়েছিলেন বহু সরকারি কর্মচারী। সরকারি নোটিশের তোয়াক্কা না করে অনেক ধর্মঘটীদের জবাব, ‘ঠিক করেছি।’

    উল্লেখ্য, ডিএ ধর্মঘটে (DA Protest) অংশ নিয়ে যে সরকারি কর্মীরা ইচ্ছাকৃত ভাবে অফিস থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে সেই পদক্ষেপের আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, সার্ভিস রুলেই বলা আছে, তাঁদের ‘রাইট টু স্ট্রাইক’ বা ‘ধর্মঘটের অধিকার’ আছে।

    ভয় পেয়েছে সরকার

    রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপকে প্রতিহিংসা হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা বলছেন, ‘আমরা সরকারি কর্মচারীরা অতীতেও ধর্মঘট করে শাস্তিমূলক অবস্থার মধ্যে পড়েছি, মাইনে কাটা গিয়েছে। কিন্তু এই আন্দোলন অত্যন্ত উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে। মানুষের প্রতিবাদের মুখ খুলে গিয়েছে। সরকারী কর্মচারীরা সব জেনেই এতে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু তাঁরা এই ঐতিহাসিক আন্দোলনের ডাক থেকে তাঁরা দূরে থাকতে চাননি। এতে কর্মচারীরা আরও উজ্জীবিত হচ্ছেন।’

    আরও পড়ুন: ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন! টাকা লগ্নি করেছিলেন আবাসন শিল্পে?

    সরকারের পদক্ষেপে ভয় পাওয়ার পরিবর্তে – ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কর্মচারীরা। অনেকের কথায়, ‘জীবনে প্রথম বার শোকজ নোটিস হাতে পেয়ে গর্বিত বোধ করছি। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার হাতে পেয়ে এতটা গর্ব হয়নি। অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যে এতটা আনন্দ আগে বুঝতে পারিনি।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ লিখেছেন,‘আমার স্কুলের একুশ জন শিক্ষিকার মধ্যে আমি একাই ছিলাম ধর্মঘটে (DA Protest) অংশগ্রহণকারী। তাই এই সার্টিফিকেট একাই পেলাম। সুস্থ-সবল শিরদাঁড়ার সার্টিফিকেট।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: তোলা হল অনশন, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে চলবে আন্দোলন, সাফ জানাল মঞ্চ

    DA: তোলা হল অনশন, বকেয়া ডিএ-র দাবিতে চলবে আন্দোলন, সাফ জানাল মঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৪ দিনের মাথায় উঠল অনশন। বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবিতে ওই অনশন (Fasting) করছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (Songrami Joutho Moncho) সদস্যরা। তবে অনশন প্রত্যাহৃত হলেও, আন্দোলন চলবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিবাদীরা। অনশন তুলে নেওয়ার কারণ হিসেবে কর্মীদের অসুস্থতার কথা জানান আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে তাপস চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘ অনশন আন্দোলনে অনেক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কারও কিডনিতে সমস্যা হচ্ছিল, কেউ কেউ গ্যাসট্রিকের সমস্যায় ভুগছিলেন। তাই কর্মীদের কথা মাথায় রেখেই আপাতত ডিএর দাবিতে অনশন স্থগিত রাখা হল। তিনি জানান, বকেয়া ডিএর দাবিতে রাজ্যের নানা প্রান্তে আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ চলবে।

    ডিএ-র (DA) দাবিতে আন্দোলন…

    আন্দোলনকারী ভাস্কর ঘোষ বলেন, প্রয়োজন পড়লে ফের আন্দোলনে বসব। আমার সঙ্গে আরও এক অনশনকারী রয়েছেন তাপস সিংহ। তিনিও অনশন আপাতত স্থগিত রেখেছেন। আমাদের শারীরিক পরীক্ষা হবে। তিনি বলেন, অনেকেই অনশন শুরু করলেও, শেষ পর্যন্ত দু জন ছিলেন। ভাস্কর বলেন, আমরা শুধুমাত্র আন্দোলনের (DA) অভিমুখ ঘোরাচ্ছি। ২৯ তারিখ গণ-অনশন হবে। তবে ওই দিন বার্গার-প্যাটিস খেয়ে ফের অনশন হবে। এতদিন আমরা না খেয়ে অনশন করেছি। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে গুচ্ছ কর্মসূচি পালন করা হবে। বকেয়া ডিএর দাবিতে ৩০ মার্চ হবে সরকারি কর্মীদের মহা সমাবেশ হবে। ওই দিন গণছুটি নিয়ে শিয়ালদা ও হাওড়া থেকে মহা মিছিল হবে। সেই মিছিলে হেঁটে আন্দোলনকারীরা যোগ দেবেন শহিদ মিনারের ধর্নামঞ্চে। ১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তরমন্তরে দু দিনের অবস্থান বিক্ষোভে বসবেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।

    আরও পড়ুুন: একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের সন্ধান! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের স্ত্রীকে ডাকতে পারে ইডি

    প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় হারে ডিএর (DA) দাবিতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ধর্মতলার শহিদ মিনার ময়দানে রিলে অনশন শুরু করেছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় ধারাবাহিক অনশন। দাবি পূরণ না হওয়া অবধি আন্দোলনকারীরা উঠবেন না বলে জানিয়েছিলেন। ওই দাবিতে একদিনের কর্মবিরতিও পালন করেন সরকারি কর্মীরা। করেন ধর্মঘটও। কর্মবিরতি ও ধর্মঘটে শামিল হওয়া কর্মীদের শোকজ করে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চায় রাজ্য সরকার। তার পরেও অবশ্য আন্দোলন জারি রেখেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের সন্ধান! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের স্ত্রীকে ডাকতে পারে ইডি

    Recruitment Scam: একাধিক ব্যাঙ্ক লকারের সন্ধান! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অয়নের স্ত্রীকে ডাকতে পারে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের স্ত্রী কাকলি শীলকে এবার ডাকতে চলেছে ইডি। ইডি (ED) সূত্রে খবর,অয়নের নামে বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্ক লকারের সন্ধান মিলেছে। সেই লকারে কী আছে তা খতিয়ে দেখতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে এও জানা গিয়েছে, এই লকারের বেশ কয়েকটি আছে অয়ন ও তাঁর স্ত্রী কাকলি শীলের (Kakali Shil) নামে। সেই সূত্রে এবার কাকলিকে তলব করতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। 

    কাকলির সঙ্গে যোগাযোগ

    ইতিমধ্যেই তদন্তকারীরা দু’বার কাকলির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিলেন বলে খবর। অয়নের মূল যে সংস্থা সেই এবিএস ইনফোজোনের ডিরেক্টর পদে রয়েছেন কাকলি। ইডি আদালতে জানিয়েছে, গত কয়েক বছরে অয়ন বিপুল জমি কিনেছিলেন। লকডাউনের মধ্যেও হুগলির গুড়াপে ছেলে অভিষেক শীলের নামে কোটি টাকার  সম্পত্তি কেনেন অয়ন। যার রেজিস্ট্রি খরচই লেগেছিল ১০ লক্ষ ৩৭ হাজার টাকা। ভাঙড়ে একই দিনে তিনটি জমি কিনেছিলেন অয়ন। কাকলির নামেও বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। ইডির অনুমান, এই সব হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) টাকায়।

    আরও পড়ুন: ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন! টাকা লগ্নি করেছিলেন আবাসন শিল্পে?

    ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ

    রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকে শুরু করে সিনেমা প্রযোজনা সব জায়গাতেই নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) টাকা লাগিয়েছিলেন অয়ন। শিক্ষাক্ষেত্র থেকে পুরসভায় নিয়োগ সব জায়গাতেই  বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি ইডির। এবার এনফোর্সমেন্টের ডিরেক্টরেটের আতস কাচের নিচে অয়নের ব্যাঙ্ক লকার। এই সম্পর্কে জানতে ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ইডি আধিকারিকেরা। অয়ন গ্রেফতারের পর তাঁর সেই লকার ব্যবহার হয়েছে কি না, তা জানতে তৎপর ইডি। ব্যাঙ্ক লকারে কী এমন আছে? সেখান থেকে কোনও সামগ্রী সরিয়ে ফেলা হতে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই লকার সম্পর্কিত তথ্য চেয়েই ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ইডির আধিকারিকরা। এই পরিস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে অয়নের স্ত্রী কাকলিকেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ফের সিবিআই হেফাজতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা

    SSC Scam: ফের সিবিআই হেফাজতে এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতিতে জেলবন্দি এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহাকে ফের নিজেদের হেফাজতে পেল সিবিআই। বৃহস্পতিবার আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত এই আবেদন মঞ্জুর  করে। ২৭ মার্চ পর্যন্ত শান্তিপ্রসাদের ঠাঁই হল সিবিআই হেফাজত।

    সুপারিশপত্রে হাতের লেখা শান্তিপ্রসাদের  

    এর আগে ধৃত এজেন্ট আব্দুল খালেকের কাছে একটি সুপারিশপত্র পাওয়া গিয়েছিল। সিবিআইয়ের দাবি, সেই হাতের লেখা শান্তিপ্রসাদের। কিন্তু কেন তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে না, এই প্রশ্ন গত শুনানিতে সিবিআইকে করে আদালত। তার পরেই হাতের লেখা মিলিয়ে দেখা এবং তদন্তে আরও কিছু সূত্র বেরিয়ে আসার যুক্তিতে শান্তিপ্রসাদকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারীরা।

    কী বলছেন সিবিআই-এর আইনজীবী

    জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে গত ১৭ এবং ১৯ মার্চ প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে জেরাও করেছেন তদন্তকারীরা। এর আগে দু’বার শান্তিপ্রসাদকে নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে সিবিআই। আর কত বার?’ যদিও সিবিআই কৌঁসুলি দাবি করেন, ‘এই মামলায় অনেকগুলি নতুন সূত্র সামনে এসেছে। যে কারণে হেফাজতে রেখে জেরা করা দরকার।

    শান্তিপ্রসাদের অনুযোগ 

    এ দিকে সিবিআই সূত্রের খবর, শান্তিপ্রসাদ এ দিন এক তদন্তকারীর কাছে অনুযোগ করেন যে তাঁর সঙ্গে কুভাষা ব্যবহার করেন তদন্তকারীরা।’ সিবিআইয়ের সেই অফিসার শান্তিপ্রসাদকে আশ্বস্ত করেন, এমনটা আর হবে না। একই সঙ্গে খানিকটা হাল্কা চালে বলেন, ক্যান্টিনের ভালো খাবার, পানমশলা দেওয়া হবে। তা শুনে হেসে ফেলেন শান্তিপ্রসাদ।

    গ্রেফতার ওএমআর শিট প্রস্তুতকারক সংস্থার আধিকারিক

    এদিকে, ওএমআর শিট প্রস্তুতকারক সংস্থার সিইও নীলাদ্রি দাসকে গ্রেফতার করল সিবিআই। শুক্রবার টানা জিজ্ঞাসাবাদের পর গাজিয়াবাদের নাইসা সংস্থার ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআইয়ের সূত্রে দাবি, গ্রুপ-সির ৩৪৮১ টি, গ্রুপ-ডির ২৮২৩ টি, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯৫২টি এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৯০৭টি ওএমআর শিট বিকৃত করা হয়।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

     

  • Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বগটুইয়ের (Bogtui) ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। বগটুইয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘শাসক দল খুন করল, আবার তারাই শহিদদের স্মরণ করল। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুইয়ের (Bogtui) নিহত সংখ্যালঘুদের নিয়ে নীরব থাকলেন।’’ বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পরই আক্ষেপ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কী করিনি ওদের জন্য। চাকরি দিয়েছি, ক্ষতিপূরণ দিয়েছি, সমাজিক প্রকল্পের সুযোগ দিয়েছি। তারপরেও ওরা অন্য দলের সংস্পর্শে যাচ্ছে।”

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের বগটুইয়ে (Bogtui) গত বছরের ২১ মার্চ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ১০ জনের। ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। তার এক বছর পার। নিহতদের স্মরণ করতেও রাজনৈতিক টানাপোড়েন। প্রথমে শহিদ বেদি তৈরি করে বিজেপি। তার কাছেই আবার রাতারাতি শহিদ বেদি তৈরি করে তৃণমূলও। পরে সেখানে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজনীতি করতে এখানে আসিনি। বগটুইয়ে (Bogtui) আমরা বিগত নির্বাচনে মাত্র ১৭টি ভোট পেয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে আগামী দিনেও নিঃস্বার্থভাবে আপনাদের পাশে থাকব। আপনাদের পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব আমার।’’ সেদিনই বগটুই গ্রামের শহিদ বেদি সংলগ্ন মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য শহিদ পরিবারের সদস্যদেরও। এমনকী নিহতদের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখকেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির মঞ্চে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    মমতার আক্ষেপ

    বীরভূম নিয়ে শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা জানান বগটুই (Bogtui) নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মমতা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বগটুইয়ের বাসিন্দারা এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগের কারণ। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় তাহলে বীরভূমের বাসিন্দারা এখনই জবাব দিয়ে দেবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Scam: দমকল বিভাগের নিয়োগেও দুর্নীতি? অভিযুক্ত তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস

    TMC Scam: দমকল বিভাগের নিয়োগেও দুর্নীতি? অভিযুক্ত তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি, পৌরসভার পরে কী এবার দমকল বিভাগের নিয়োগে কী দুর্নীতি? রাজ্যজুড়ে এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে। দমকল বিভাগের দুর্নীতিতে নাম জড়াল তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার। ঘটনার সূত্রপাত বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট ঘিরে। সেখানে একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেন তরুণবাবু (যদিও ওই অডিও’‌র সত্যতা যাচাই করেনি ‘মাধ্যম’)। সেখানে এক ব্যক্তি অপর একজনের সঙ্গে দমকল বিভাগের নিয়োগ ও টাকা লেনদেন নিয়ে আলোচনা করছেন।  তাপস সাহার বিরুদ্ধে দমকল বিভাগের নিয়োগ দুর্নীতিতে (TMC Scam) জড়িত থাকার অভিযোগ এনেছেন। তবে তৃণমূল (TMC Scam) বিধায়ক তাপস সাহা ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

    ঠিক কী শোনা গিয়েছে অডিও ক্লিপে

    এই ভাইরাল অডিয়ো ক্লিপে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ফায়ার ব্রিগেডে তোর ওই ছেলেটার তো কাজ হয়েছে। এই মাসের ২৫ তারিখের পর বলে দেব, কোন ডেটে কলকাতায় যাবে। বাকি টাকাকড়ি রেডি করতে বল। ৫০ দেওয়া আছে আরও সাড়ে চার পাব।’ এই কণ্ঠস্বর তাপসবাবুর বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। তিনি তাপসবাবুর গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন। 

    তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ নতুন কিছু নয়

     নদিয়ার এই তৃণমূল কংগ্রেস (TMC Scam) বিধায়কের বিরুদ্ধে সরকারি দফতর এবং স্কুলে চাকরি পাইয়ে দিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ আগেই উঠেছিল। যার জেরে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতিদমন শাখা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এমনকী প্রবীর কয়াল নামে তাপসের এক ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

    বিধায়ক কী বলছেন

    তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহার অবশ্য দাবি, ওই কণ্ঠস্বর মোটেই তাঁর নয়। তিনি বলেন, ‘‌জেলা পরিষদ সদস্যা টিনা ভৌমিক সাহা তরুণজ্যোতি তিওয়ারির সঙ্গে যোগসাজশ করে আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। টিনা ভৌমিক সাহা টেটে পাশ না করেও স্কুলে শিক্ষকতা করছেন। ওই গলা আমার নয়। এরকম কোনও কথাও হয়নি। বিজেপি এবং তৃণমূলেরই নদিয়া জেলা পরিষদ সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা চক্রান্ত করে এই সব কাজ করেছে।’‌

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Civic Volunteers: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    Civic Volunteers: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে এবার রাজ্য পুলিশের তরফে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteers) নিয়ে সার্কুলার জারি করা হল। এই সার্কুলারে পরিষ্কার বলা হয়েছে যে, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না (West Bengal Police)। ২৯ মার্চের মধ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।  সেই মতো শুক্রবার সার্কুলার জারি করে রাজ্য পুলিশ। তাতে হাইকোর্টের নির্দেশ মাফিক কোন কোন কাজে সিভিক ভলান্টিয়ারকে (Civic Volunteers) ব্যবহার করা যাবে, সেই সম্পর্কিত তথ্য স্পষ্টভাবে নথিবদ্ধ করা হয়েছে। 

    কেন নির্দেশিকা

    সম্প্রতি জেলায় সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteers) দিয়ে স্কুলে পড়ানোর বিষয়টি সামনে আসতেই বিতর্ক তৈরি হয়। শিক্ষক হিসেবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। আবার তাঁদের কাজ কী? সেই প্রশ্নও ওঠে। এরপরই আদালত নির্দেশ দেয় সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে। সেই অনুযায়ী, নয়া গাইডলাইন তৈরি করা হল।

    নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে

    ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা (Civic Volunteers)। পাশাপাশি বিভিন্ন উৎসবে ভিড় সামলাতে, বেআইনি পার্কিং রুখতে এবং মানুষের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পুলিশকে সাহায্যকারীর ভূমিকায় থাকবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। তবে নির্দেশিকায় যে বিষয়টি সবচেয়ে নজর কেড়েছে, তা হল, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না। একেবারে স্পষ্ট ভাষায় এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ফের ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা কেন্দ্রের! আন্দোলন আরও তীব্র করার হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    রাজ্য পুলিশে বর্তমানে ১ লক্ষ ৭ হাজার ১৫ জন সিভিক ভলান্টিয়ার (Civic Volunteers) রয়েছেন। কলকাতা পুলিশ এলাকায় রয়েছেন ৬ হাজার ৯৩২ জন। ২০১২ সালে চুক্তিভিত্তিক এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়োগ করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ারদের ন্যূনতম শিক্ষা যোগ্যতা আগে ছিল মাধ্যমিক উত্তীর্ণ। পরে তা আরও কমিয়ে অষ্টম শ্রেণি করা হয়। সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগে নেওয়া হয় না কোনও পরীক্ষাও। সিভিক ভলান্টিয়ারদের বেতন ৯ হাজার টাকা। আর কম্পিউটার সম্পর্কে জ্ঞান আছে এমন সিভিক ভলান্টিয়াররা থানায় ডেটা এন্ট্রির কাজ করেন। আবার রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ, লাইন সামলানো এবং যান নিয়ন্ত্রণের কাজ করেন সিভিক ভলান্টিয়ারা। থানাতেও মোতায়েন রাখা থাকে। তাঁরা পুলিশ অফিসারদের সহযোগিতা করেন। সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাছে কোনও অস্ত্র থাকে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ফের ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি কেন্দ্রের! আরও তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    DA: ফের ৪ শতাংশ হারে ডিএ বৃদ্ধি কেন্দ্রের! আরও তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা (DA) ফের বাড়ছে। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ পার্থক্যও ক্রমশ বাড়ছে। রাজ্যের ডিএ (DA) আন্দোলনের মাঝেই শুক্রবার কেন্দ্র সরকার আরও ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধির কথা জানাল।

    ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা কেন্দ্রের

    শুক্রবার ৪ শতাংশ হারে ডিএ (DA) বৃদ্ধির ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর এই ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৪২ শতাংশ। এরফলে জানুয়ারি থেকে বকেয়া ডিএ মার্চের শেষেই পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারীরা। সপ্তম বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনে ওই ডিএ বৃদ্ধির ফলে উপকৃত হবেন প্রায় এক কোটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগী। ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে কেন্দ্রের খরচ হবে ১২ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা।

    কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের ফারাক

    কেন্দ্রের এই ডিএ (DA) বৃদ্ধির ফলে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ -র ফারাক বেশ কিছুটা বাড়ল। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এনিয়ে একদফা কর্মবিরতি করা হয়েছে। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হলে আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়ানো হবে। এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া রাজ্যের পক্ষে সম্ভব নয়। 

    তোপ সুকান্তের

    এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্র যখন ডিএ (DA) বাড়াচ্ছে তখন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা আবেদন সত্বেও সরকার তাতে কান দিচ্ছে না। বরং পাল্টা আক্রমণ করা হচ্ছে। মোদিজি কাজ করে দেখিয়েছেন। দিনের পর দিন বঞ্চিত হওয়ার জন্যই রাজ্যের কর্মচারীরা আন্দোলনে নেমেছেন।” কেন্দ্রের এই ঘোষণার ফলে  রাজ্য সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রের ডিএ-র তফাত হয়ে গেল ৩৬ শতাংশ। নয়া ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা। যেখানে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের এখনও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ডিএ প্রদান করা হয়। তাও সেটা মাত্র ছয় শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হুঁশিয়ারি

    কেন্দ্রের ডিএ (DA) বৃদ্ধির কথা ঘোষণার পরই  রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা হুঁশিয়ারি দেন যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে ডিএ দিতেই হবে। মহার্ঘ ভাতা আদায় করেই ছাড়বেন তাঁরা। আন্দোলনকারীরা জানান, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেতনের অবক্ষয় হচ্ছিল। সেজন্য সর্বভারতীয় মূল্যসূচকের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চার শতাংশ ডিএ (DA) বাড়ানো হয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাতে কোনও ভ্রূক্ষেপ করছে না। এই সরকারকে সম্পূর্ণ ডিএ দিতেই হবে। খেলা-মেলায় খরচ করে যাচ্ছে সরকার। সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে রাজ্য সরকার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: অয়নের বান্ধবী শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র! কী কথা হল?

    Madan Mitra: অয়নের বান্ধবী শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র! কী কথা হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের কোম্পানির হাত ধরেই কামারহাটি পুরসভায় দুদফায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি ইডি-র নজরে রয়েছে। কারণ, অয়ন টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করত তার প্রমাণ ইডি আধিকারিকরা আগেই পেয়েছেন। কামারহাটি পুরসভায় যে সব কর্মী নিয়োগ হয়েছিল তাদের পিছনে কত টাকার খেলা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। ইতিমধ্যে বিতর্কিত প্যানেলে চাকরি নিয়ে চরম আতঙ্কিত কামারহাটি পুরসভার কর্মচারীরা। শুক্রবার স্থানীয় বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra) কাছে কর্মীরা সেই উদ্বেগের কথা জানালেন। একইসঙ্গে পুরসভায় চেয়ারম্যান গোপাল সাহার কাছে তাঁদের আতঙ্কের কথা তুলে ধরেন। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, আমাদের কর্মীরা কোনও অপরাধ করেনি। তাঁরা ভয়ে রয়েছে। অন্যায় না করলে ভয় পাওয়ার কিছু নেই বলে আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি।

    কী বললেন বিতর্কিত প্যানেলে চাকরি হওয়া কর্মীরা? 

    অয়নের হাত ধরে ব্যারাকপুর মহকুমার ৬টি পুরসভায় কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। তারমধ্যে কামারহাটি পুরসভা রয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে এবং ২০১৯ সালে দুটি অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। আর ২০১৯ সালে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। সবমিলিয়ে ১০৪ এবং ১২৫ জনকে পুরসভায় নিয়োগ করা হয়। আর সবটাই অয়নের কোম্পানির হাত ধরে হয়েছে। দেখা যায়, পুরসভায় নিয়োগ  হওয়া ২২৯ জনের মধ্যে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। শ্বেতার নাম সামনে আসতেই এই প্যানেলের অন্যান্য কর্মীরা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। প্যানেলে চাকরি পাওয়া পুরসভার এক কর্মী বলেন, নিয়ম মেনে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি হয়েছে। কিন্তু, যে কোম্পানির হাত ধরে আমাদের নিয়োগ হয়েছে, সে জেলে রয়েছে। তাতেই আমাদের ভয় লাগছে। আমাদের প্যানেল বাতিল করে দেবে না তো?

    শ্বেতার সঙ্গে দেখা করলেন মদন মিত্র (Madan Mitra), কী কথা হল? 

    অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী শুক্রবার কামারহাটি পুরসভায় আসেন। নিজের দপ্তরের চেয়ারে তিনি বসেছিলেন। অনেকে তাঁকে এসে দেখে যান। তবে, কারও সঙ্গে তিনি কোনও কথা বলেননি। নিজের চেয়ারে চুপচাপ তিনি বসেছিলেন। এদিন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বিধায়ক (Madan Mitra) বলেন, আমি সব কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন দেখছিলাম শ্বেতা চক্রবর্তী বসে আছেন। টিভিতে দেখে তাকে চিনতে পেরেছি। জিজ্ঞেস করলাম নাম কী। কোথায় থাকেন। ব্যাস এইটুকুই। শ্বেতাও তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করেছেন। তাঁর বেশি কথা বলেননি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share