Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Ayan Sil: ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন! টাকা লগ্নি করেছিলেন আবাসন শিল্পে?

    Ayan Sil: ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন! টাকা লগ্নি করেছিলেন আবাসন শিল্পে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৫ হাজার নয়, রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন পুরসভায় অন্তত ৬ হাজার চাকরি বিক্রি করেছিল প্রোমোটার অয়ন শীল (Ayan Sil)। অয়নকে জেরা করেই এমন অনুমান করছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। কতগুলি পুরসভার সঙ্গে অয়নের সংস্থার চুক্তি হয়েছে, এবিএস ইনফোজোনকে মেইল করে তা জানতে চাইল ইডি (ED)। শুধু তাই নয়, ৩টি ব্যাঙ্কের কাছেও চাওয়া হয়েছে অয়নের সংস্থার অ্যাকাউন্টের লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, অয়নের ফ্ল্যাটের ডাস্টবিন থেকে পাওয়া কাগজে একাধিক পুরসভার নাম মিলেছে। এই ডাস্টবিনেই মিলেছিল পুরসভায় চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও। পুরসভার টেন্ডারেও একচেটিয়া আধিপত্য অয়নের। ইডির অনুমান, পুরসভার বরাত পেতে নিজেরই একাধিক সংস্থার নামে দরপত্র জমা দিতেন তিনি। টেন্ডার প্রক্রিয়াকে বৈধ দেখাতেই এই ছক কষা হয়েছিল বলে অনুমান ইডির।

    অয়নের (Ayan Sil) চাকরি চুরির টাকা…

    ইডির আধিকারিকদের দাবি, আবাসন তৈরিতেও বিনিয়োগ করা হয়েছিল অয়নের (Ayan Sil) চাকরি চুরির টাকা। অয়নের এবিএস টাওয়ার নির্মাণে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেছিল তাঁরই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। চুঁচুড়ায় অয়নের বিলাসবহুল আবাসন তৈরিতেও লগ্নি করা হয়েছে পুরসভা ও শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এবিএস টাওয়ার আবাসন তৈরিতে টাকা গিয়েছে অয়নের এবিএস ইনফ্রোজোন প্রাইভেট লিমিটেডের নামে। এই কোম্পানিই ৯০টি পুরসভায় নিয়োগের টেন্ডার পেয়েছিল। যা নিয়ে উঠেছে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ।

    ইডির তদন্তকারীদের দাবি, এই কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকা এভাবেই সাদা করা হয়েছে। অয়নের এই কোম্পানির মাধ্যমে সিনেমার প্রযোজনার পর আবাসন নির্মাণে বিনিয়োগের তথ্য সামনে এসেছে। অয়নের এই সংস্থার মাধ্যমে কত কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, তারই হদিশ পেতে চাইছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুুন: আর সাংসদ নন রাহুল গান্ধী! লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করলেন স্পিকার ওম বিড়লা

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির স্ক্যানারে অয়ন (Ayan Sil) ও তাঁর আত্মীয়দের নামে থাকা ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। নামে ও বেনামে অয়নের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, নিজের কর্মচারীদের নামেও বেশ কিছু জমি কিনেছিলেন অয়ন। কোথা থেকে এল এত টাকা? কাদের অ্যাকাউন্টে লেনদেন? খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chaitali Tiwari: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি! কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচ জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে

    Chaitali Tiwari: সুপ্রিম কোর্টে সাময়িক স্বস্তি! কম্বলকাণ্ডে রক্ষাকবচ জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) সাময়িক স্বস্তি পেলেন কম্বলকাণ্ডে অভিযুক্ত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি (Chaitali Tiwari)। আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালিকে আপাতত গ্রেফতার করতে পারবে না পুলিশ। শুক্রবার তাঁর গ্রেফতারিতে সাময়িক ভাবে স্থগিতাদেশ দিল দেশের শীর্ষ আদালত।

    কী ঘটেছিল

    ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির (Chaitali Tiwari) উদ্যোগে কম্বল বিতরণ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি–সহ বিজেপির একাধিক নেতা উপস্থিত ছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী বেরিয়ে যেতেই কম্বল নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তখনই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিন জনের। তার মধ্যে একজন শিশু ছিল। এই ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, অনুষ্ঠানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।  ওই ঘটনায় অভিযুক্ত জিতেন্দ্রকে গত শনিবার নয়ডা থেকে গ্রেফতার করে এনেছিল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। এর পর আসানসোলের আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। জিতেন্দ্রকে রবিবার ৮ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছিল আসানসোল আদালত।

    আরও পড়ুুন: বিজেপির উদ্যোগে রমজান মাসেই বেরোবে মোদির ‘মন কি বাত’-এর উর্দু সংকলন

     সুপ্রিম কোর্টে সুরক্ষাকবচের আবেদন

    শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, আসানসোলে কম্বল বিতরণী কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর মামলায় গ্রেফতারি এড়াতে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে সুরক্ষাকবচের আবেদন করেন চৈতালি (Chaitali Tiwari)। সেই আবেদনের সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, আগামী ৭ মে পর্যন্ত চৈতালিকে গ্রেফতার করা যাবে না। ৮ মে এই মামলার পরবর্তী শুনানির হওয়ার কথা। ওই দিন জিতেন-সহ এই মামলায় আরও দুই অভিযুক্ত আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর গৌরব গুপ্ত এবং দলের যুবনেতা তেজপ্রতাপ সিংয়েরও শুনানি রয়েছে। আগেই সাময়িক ভাবে সুরক্ষাবচ পেয়েছেন গৌরব ও তেজপ্রতাপ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: এসএসসি গ্রুপ সি-র কাউন্সেলিং-এর উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: এসএসসি গ্রুপ সি-র কাউন্সেলিং-এর উপর স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি গ্রুপ সি-র (Group C) কাউন্সেলিং-এর উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শুক্রবার শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের এজলাসে এসএসসি গ্রুপ সি (Group C) সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। একইসঙ্গে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বোসের এজলাসে নবম-দশম মামলার শুনানিও ছিল। সেই মামলাতেও বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, আপাতত শূন্যপদ পূরণ করা যাবে না। এখন ৭ দিনের জন্য ওই শূন্যপদগুলিতে কোনও নিয়োগ করতে পারবে না এসএসসি।

    শীর্ষ আদালতের মত

    চাকরি বাতিল সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিচ্যুতরা। চাকরি বাতিলের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে চাকরিচ্যুতরা জানান, হাইকোর্ট তাঁদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। তাই তাঁদের বক্তব্য শোনা হোক। নবম-দশমে ৬১৮ জন এবং গ্রুপ সি-র ৮৪২টি শূন্যপদে নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু করেছিল এসএসসি। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়া এই নিয়োগ প্রক্রিয়াতেই স্থগিতাদেশ দেন। মেয়াদ উত্তীর্ণ পদে কীভাবে নিয়োগ হতে পারে? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

    হাইকোর্টের মত

    উল্লেখ্য, গ্রুপ সি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে কাউন্সেলিং-এর প্রক্রিয়া। বৃহস্পতিবার প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডাকাও হয়েছিল ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের। এরই মধ্যে এবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কাউন্সেলিংয়ের উপর স্থগিতাদেশ। প্রসঙ্গত, গ্রুপ সি চাকরিহারাদের আইনজীবী পার্থদেব বর্মণ জানাচ্ছেন, “আগামী দিনে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম-দশম, শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত যত মামলা রয়েছে, সেই সব মামলা আমরা শীর্ষ আদালতে নিয়ে যাব।”

    আরও পড়ুন: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    গত ১৩ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি নবম-দশমে ৬১৮ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করে। এই চাকরিপ্রাপকদের বিরুদ্ধে উত্তরপত্রে কারচুপি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। এসএসসি-র তরফে এই অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে নেওয়া হয়। তারপরই হাইকোর্ট তাঁদের নিয়োগ বাতিল করে, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    Calcutta High Court: ক্ষমা চাইলেন! হাইকোর্টে ‘ভুল’ স্বীকার করলেন এসএসসির চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত অবমাননার মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান (SSC Chairman) সিদ্ধার্থ মজুমদার। ‘ভুল’-এর জন্য হাইকোর্টে ক্ষমা চাইলেন তিনি। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘আদালতের নির্দেশের ব্যাখ্যা করতে আমাদের ভুল হয়েছে।’

    যা বললেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান

    নম্বর বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলায় আদালতের (Calcutta High Court) নির্দেশ অমান্য করার জন্য গত ১৭ মার্চ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এসএসসির চেয়ারম্যানকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার কথা বলেছিলেন। আদালতের নির্দেশমতো শুক্রবার হাজিরা দিয়ে এসএসসি-র চেয়ারম্যান জানান, আদালতের নির্দেশ বুঝতে তাঁদের ‘ভুল’ হয়েছিল। মামলাটি পুরনো বলে গোটা পদ্ধতিতে কোনও ভুল রয়েছে কি না, তা এসএসসিকে খতিয়ে দেখতে বলে আদালত। পদ্ধতিগত ত্রুটি দূর করার যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তার কাজ কত দূর এগোল, তা আগামী শুক্রবার জানতে চেয়েছে উচ্চ আদালত। সূত্রের খবর, নির্দেশ না থাকলেও ওই দিন আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে দিতে পারেন এসএসসির চেয়ারম্যান। 

    আরও পড়ুুন: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    ২০১১ সালে উচ্চ প্রাথমিক টেটের পরীক্ষাকে কেন্দ্রে করে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর না দেওয়া সংক্রান্ত একটি মামলা চলছিল হাইকোর্টে। মামলাকারীদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী শামিম আহমেদ। গত বছর জুন মাসে মামলাকারীদের নম্বর দিতে নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কিন্তু সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলে অভিযোগ। এসএসসি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে আদালতে জানান সিদ্ধার্থবাবু। এসএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ভিত্তিতে, সবটা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মামলা স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এসএসসি খতিয়ে দেখবে এক্সপার্টদের রিপোর্ট। তারপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রিপোর্ট জমা দেবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighat: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত শান্তনুর স্ত্রীর নির্মাণ সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ ‘কালীঘাটের কাকু’র!

    Kalighat: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত শান্তনুর স্ত্রীর নির্মাণ সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ ‘কালীঘাটের কাকু’র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ফাঁস নয়া তথ্য। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা (TMC) শান্তনুর (Shantanu Banerjee) স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্মাণ সংস্থা ডিআইপি ডেভেলপারে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন কালীঘাটের (Kalighat) কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। হুগলির সত্যপির তলায় বহুতল নির্মাণ করছে ডিআইপি ডেভেলপার। এর অন্যতম অংশীদার প্রিয়ঙ্কা। এই সংস্থার ব্যালেন্স শিট থেকেই জানা গিয়েছে, প্রিয়ঙ্কার সংস্থায় ৪০ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছেন কালীঘাটের কাকু। তবে ওই ব্যালেন্স শিটের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    কালীঘাটের (Kalighat) কাকুর কারবার…

    জানা গিয়েছে, চন্দননগরের জিটি রোডের পাশে কাঠা ছয়েক জমির ওপর বহুতল নির্মাণের চুক্তি হয়। তার নকশা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু হয় বুকিংও। তাতেই টাকা ঢেলেছেন কালীঘাটের কাকু। ডিআইপি ডেভেলপারের ব্যালেন্স শিটে দেখা যাচ্ছে ওই সংস্থায় ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন কালীঘাটের কাকু। ৯৬ লক্ষ টাকার ব্যালেন্স শিটে দেখা যাচ্ছে, শান্তনুকে ১০ লক্ষ ও প্রিয়ঙ্কার ছেলের নামে থাকা সংস্থা ইভান কনট্রেডকে ৪০ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হয়েছে। ডিআইপি ডেভেলপারের অন্যতম অংশীদার ইন্দ্রনীল চৌধুরী জানান, সত্যপির তলার ওই প্রকল্পে তাঁদের তিনজনের বিনিয়োগ রয়েছে। কালীঘাটের কাকুর বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি (কালীঘাটের কাকু) দোকান নেবেন বলে অগ্রিম ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, সমস্ত তথ্যই তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত কুন্তলকে চেনেন না বলে দাবি করলেও, শান্তনুকে চেনেন বলে দাবি করেছেন কালীঘাটের কাকু। এবার জানা গেল, শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থায়ই ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন কালীঘাটের কাকু। সূত্রের খবর, চুঁচুড়া, চন্দননগর, হাওড়ার মুন্সিরহাট সহ কয়েকটি জায়গায় রিয়েল এস্টেটে প্রিয়ঙ্কার নামে লগ্নি করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। নিয়োগ কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করতেই কি রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ, উঠছে প্রশ্ন। এদিকে, শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এর আগে তাঁর ৩০টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে ইডি। অয়নের সঙ্গে শান্তনুর কী ধরনের বোঝাপড়া ছিল, তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Dharna: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    Dharna: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে বুধ এবং বৃহস্পতিবার কলকাতায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় (Dharna) বসবেন তৃণমূল নেত্রী (TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসছেন তিনি। ওই দু দিনই ধর্নায় বসছে বঙ্গ বিজেপিও (BJP)। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ওই দু দিন তারা ধর্নায় বসবে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে। বিজেপির ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণবঙ্গের সব বিধায়ককেও ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যস্তরের নেতানেত্রীদেরও। পুলিশের অনুমতি না মিললে আদালতে যাবেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপি।

    তৃণমূল ও বিজেপির ধর্না (Dharna)…

    বিরোধী ঐক্যে শান দিতে মঙ্গলবার ওড়িশা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, একশো দিনের কাজের বকেয়া সহ নানা বিষয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধ ও বৃহস্পতিবার আম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় (Dharna) বসবেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পাওয়া টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য। বিভিন্ন খাতের টাকা প্রকৃত খাতে ব্যয় না করে খরচ করা হয়েছে খয়রাতি প্রকল্পে। পদ্ম শিবিরের দাবি, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা পাচ্ছে না রাজ্য। তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপি।

    গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত দশ বছরে পাওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ৫ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। রাজ্যের উচিত অবিলম্বে এই হিসেব দেওয়া। তিনি বলেন, এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। সেই সঙ্গে আমরা পথেও নামতে চলেছি। টানা আন্দোলন চলবে। জগন্নাথ বলেন, পুলিশ ওই দিন ধর্নায় (Dharna) বসার অনুমতি না দিলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।

    আরও পড়ুুন: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    তৃণমূলের মোকাবিলায় গুচ্ছ কর্মসূচি পালন করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। ২৭ মার্চ, সোমবার রাজ্যের সব জেলাশাসকের দফতরে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির অভিযোগে স্মারকলিপি দেবে বিজেপি। পরের দিন বিজেপির কিসান মোর্চার নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে মিছিল। বৃহস্পতিবার রামনবমী। এদিন রাজ্যে শোভাযাত্রা করবে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এর উদ্যোক্তা বিজেপি না হলেও, দলের কর্মী-সমর্থকরা যোগ দেবেন ওই সব মিছিলে। এপ্রিলেও একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    Anubrata Mondal: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ  আসানসোল সংশোধনাগারের সুপার কৃপাময় নন্দীর পর এবার বীরভূমের সিউড়ি থানার আইসি শেখ মহম্মদ আলিকে তলব করল ইডি। শনিবারই তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। সঙ্গে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ১৪ মার্চ তাঁকে নিজাম প্যালেসে ডেকে সিবিআই ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে। মূলত কয়লা পাচার করার জন্য তাঁকে নিয়মিত প্রোটেকশন মানি দেওয়া হত বলে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন। কয়লা পাচারের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার মুখেও এই পুলিশ অফিসারের নাম সিবিআই আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন। মহম্মদবাজারের অফিসার ইন চার্জ হিসেবে থাকার সময় এই পুলিশ আধিকারিক নিয়মিত প্রোটেকশন মানি নেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন মহলে সেই টাকা পৌঁছে যেত। বিনিময়ে পাচারকারীদের   কয়লা পাচার করতে  কোনও সমস্যা হত না। কোনও সমস্যা হলেই মহম্মহ আলি মুশকিল আসান ছিলেন। অনেকেই সে কথা তদন্তকারী অফিসারদের কাছে স্বীকার করেছে।

    মহম্মদ আলিকে কেন ডাকল ইডি ?  Anubrata Mondal

    বীরভূমের মহম্মদবাজার সহ একাধিক থানায় থাকার সময় কয়লা পাচারের পাশাপাশি গরু পাচারকাণ্ডে সরাসরি যোগ রয়েছে মহম্মদ আলির। এমনই তথ্য হাতে এসেছে ইডি আধিকারিকদের। এমনকী বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) থাকার সময় তাঁর বাড়িতে এই পুলিশ আধিকারিকের নিয়মিত যাতায়াত ছিল। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  অত্যন্ত পছন্দের পুলিশ অফিসার ছিলেন আলি। ২০০৫ সাল থেকে তিনি বীরভূম জেলায় রয়েছে। তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তাঁর দাপট বাড়তে থাকে। এই জেলা ছেড়ে তাঁকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়নি। এসবের পিছনে কার হাত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা।  সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  মামলা লড়ার খরচও জুগিয়েছেন সিউড়ি থানার আইসি। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার (Anubrata Mondal)  মামলা খরচের টাকা তিনি কেন দিয়েছেন তা জানার চেষ্টা করবে ইডি আধিকারিকরা। পাশাপাশি তাঁর ব্যাঙ্কের নথি ঘেঁটে তাঁর যোগোযোগ কোথায় কোথায় ছিল তা ইডি আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করবে বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এবার তার যোগ্য জবাব দিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এই নাটক জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও লেখানো হয়েছিল। সেখানে বিমানবাবু থেকে শুরু করে আমার নামও ছিল।’ পার্থ কী বলবেন, সেটা বুধবার আলিপুর জেলের সুপারের কেবিনে বসে ঠিক হয় বলেও দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু যা বললেন

    প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই বর্তমানে রয়েছেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এই চিত্রনাট্যর প্লট তৈরি হয়েছিল গতকাল। প্রেসিডেন্সির সুপারের দুটি ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইমে কার কার সঙ্গে কথা হয়েছে, তা খুঁজে বের করার দাবি তুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, ‘গতকাল বিকেলে দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী ছিলেন। সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক।’ বিরোধী দলনেতার দাবি, এগুলি মিলিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে কীভাবে জেলের ভিতরে থাকা একজনের বক্তব্যের সঙ্গে জেলের বাইরে থাকা একজনের বক্তব্য মিলে যায়। বললেন, ‘এগুলি খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এসব করে কিছু হবে না।’

    যুক্ত জেল সুপারও

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে এক জন মহিলা আইনজীবী ছিলেন। সেই কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আনা হয়েছিল। বিকেল ৪টে থেকে সওয়া ৪টের মধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক।’’ এখানেই না থেমে চ্যালেঞ্জের সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধানসভার মধ্যেও বলেছিলাম। একটা ফাঁকা কাগজও যদি দেখাতে পারেন, তা হলে মেনে নেব। ২০১৬ সাল থেকে আমি বিধায়ক। তার আগে সাংসদ ছিলাম। এই সময় কালে তাঁর কাছ থেকে চক, ডাস্টার, ব্ল্যাকবোর্ড পর্যন্ত নিইনি। এই লোকটাকে আমি ঘৃণা করি। কারণ, তিনি দুশ্চরিত্র, লম্পট, দুর্নীতিপরায়ণ। আর এই সবের পিছনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুুন: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ওই চিত্রনাট্য ১৮ মিনিটের ব্যবধানে যাঁরা টুইট করেছেন এবং বলেছেন তাঁরা দু’জনেই ‘জেলখাটা’। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে কুণাল টুইট করেন, ‘‘শিক্ষায় নিয়োগ বিতর্ক: দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েক জন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।’’ এর পরে দুপুর ১২টা নাগাদ আদালত চত্বরে মন্তব্য করেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার শাসক দল। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এখন জেলের ঘানি টানছেন। প্রতিদিন এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাসক দলের নেতা বা তাঁদের ঘনিষ্ঠরা ইডির জালে ধরা পড়ছে। এমনকী আদালতের নির্দেশে শয়ে শয়ে চাকরি বাতিল হয়েছে। এই চাকরি বাতিল হওয়ার তালিকায় শাসক দলের নেতার আত্মীয়দের বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম জড়িয়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন? Mamata Banerjee

    বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ উত্তর দিনাজপুর জেলায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও ছিলেন। তিনি এখন উত্তর দিনাজপুর জেলার মাইনোরিটি সেলের দায়িত্ব পেয়েছেন। সরকারি বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সিপিআইএমের সময় যারা ঝোলা কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়াত, তাদেরই চাকরি হয়েছে। তাই তাদেরই চাকরি হবে যে সকাল সন্ধ্যা মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) জিন্দাবাদ বলছে,তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ করছে, সেই তৃণমূল কর্মীকে চাকরি দেওয়ার একশো শতাংশ আমরা চেষ্টা করব। তবে, মেধার ভিত্তিতে সেই চাকরি দেওয়া হবে।”  তিনি আরও বলেন, বছরে আমরা তিনটে করে চাকরি পাই, সেই চাকরি আমরা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ছেলেদের দেব না। যারা তৃণমূল করে আমরা তাদের সেই চাকরি দেব। সব পার্টি করেছে, আমরাও করব। তবে, যে দলের সঙ্গে বেইমানি করে দুর্নীতি করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে দল তার পাশে থাকবে না। আর দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোষ করব না। প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়া কী মেধার মাপকাঠি?

    মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কী বলছেন বিরোধীরা? Mamata Banerjee

    মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, তৃণমূলের হয়ে যারা চাকরি চুরি করে, ধর্ষণ করে, বোমা মারে, বুথ জ্যাম করে সেটাই তৃণমূলের কাছে মেধা। আর সেই মেধার ভিত্তিতে তৃণমূলের লোক চাকরি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এতে নতুন কিছু ব্যাপার নেই। বর্তমানে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা কেউ আছে জেলে, কেউ আছে বেলে, বাকি যারা বাইরে আছে তারাও সময় মত জেলে যাবে। অন্যদিকে, সিপিআইএমের সময় ঝোলা কাঁধে নিয়ে যারা ঘুরেছে তাদেরই চাকরি হয়েছে বলে মন্ত্রী যে মন্তব্য করেন তা নিয়ে  সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, বর্তামানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের যারা বক্তা রয়েছেন তাদের তো বামফ্রন্টের সময় চাকরি হয়েছে। আর সেই চাকরি বামফ্রন্ট সরকার একটি নিয়ম নীতির মাধ্যমে করেছে। না হলে তাদের চাকরি হত না। তবে, তৃণমূলের কর্মীদের মেধার ভিত্তিতে যে নিয়োগ করা হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন,তা একপ্রকার সোনার পাথর বাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার ঘটনায় বিজেপি কর্মীদের রক্ষাকবচ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের কনভয়ে হামলার পর পুলিশের দায়ের করা মামলায় ২৩ জন বিজেপি কর্মীকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দিনহাটার বুড়িরহাটে  ওই ঘটনায় ৪৮ জন বিজেপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে পুলিশ। তার মধ্যে ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। বিজেপির দাবি নিশীথের কনভয়ে হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল।

    কী বলল আদালত

    নিশীথের কনভয়ে আক্রমণ নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করা হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন ডিভিশন বেঞ্চ জনস্বার্থ মামলার রায় না দেওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। এর পাশাপাশি বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীরাও দিনহাটা মহকুমার বাইরে বেরোতে পারবেন না। ২৯ মার্চ পর্যন্ত ২৩ জন বিজেপি কর্মীর এই রক্ষাকবচ থাকবে। আগামী ৩০ মার্চ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

    কী ঘটেছিল

     গত ২৬  ফেব্রুয়ারি নিশীথ প্রামাণিকের মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে দিনহাটায়। তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে বোমা, গুলি ছোড়া হয়। দিনহাটার বুড়িরহাট এলাকায় তাঁর কনভয়ে পৌঁছতেই তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে কালো পতাকা দেখান। সেখানে উপস্থিত বিজেপি কর্মী সমর্থক এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বচসা বাধে৷ সেখান থেকে শুরু হয় হাতাহাতি৷ তবে অভিযোগ ওঠে, বিজেপি সমর্থকদের হেনস্থা করেছে পুলিশ। পাল্টা তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ দায়ের হয় বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বসু, বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি দীপা চক্রবর্তী, মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি অর্পিতা নারায়ণ, দিনহাটার বিজেপি নেতা অজয় রায়, জয়দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুন: দুই বছরের জেল রাহুল গান্ধীর! ‘মোদি’ পদবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত

    এই ঘটনায় মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলার শুনানিতে হলফনামা তলব করেছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share