Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Partha Chatterjee:  ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    Partha Chatterjee: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চোর, চোর স্লোগান শুনলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা সাসপেন্ডেড তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় বৃহস্পতিবার পার্থকে তোলা হয় আদালতে। গাড়ি থেকে পার্থ নামতেই উপস্থিত জনতা স্লোগান দেয়, চোর, চোর। ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত।

    এই পার্থ (Partha Chatterjee) চোর…
    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এদিন আলিপুর সিবিআই আদালতে শুনানি ছিল পার্থ সহ সাতজনের। পার্থকে আদালতে নিয়ে আসা হয় আলাদা একটি গাড়িতে করে। গাড়ি থেকে চেক কাটা পাঞ্জাবি পরা পার্থ নামতেই জনতা স্লোগান দিতে থাকে, এই পার্থ চোর, এই চোর পার্থ। মাথা নিচু করে হেঁটে পার্থ (Partha Chatterjee) সোজা ঢুকে যান আদালতে। এই সময় জনতার একাংশকে বলতে শোনা যায়, ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও জোকা ইএসআই হাসপাতালে কিংবা ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে পার্থকে দেখে চোর স্লোগান দিয়েছিল উপস্থিত জনতা। এদিন আলিপুরও দেখল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

    এদিন জনতার মধ্যে থাকা এক ব্যক্তি পার্থর বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা চালান করার অভিযোগও করেন। এর আগে পার্থকে লক্ষ্য করে জুতোও ছোড়া হয়েছিল। অন্যদিন প্রতিক্রিয়া না দিলেও, এদিন দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ঘনিষ্ঠ মহলে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা (Partha Chatterjee) বলেন, চোর হলে এক জায়গায় পাঁচবার জিততাম না। সৎ না হলে আমাকে মানুষ পাঁচ বার জেতাতেন না। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যাঁরা আমাকে জানেন তাঁরা আমায় চোর বলবেন না। বেহালার মানুষ আমাকে চোর বলতে পারেন না। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম, চুপ থাকব। কিন্তু চুপ থাকতে দেবে না।

    আরও পড়ুুন: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    নিয়োগ দুর্নীতির কেলেঙ্কারির দায় এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) চাপাতে চেয়েছেন বিরোধীদের ঘাড়ে। উপস্থিত জনতার মুখে চোর স্লোগান শুনে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা বলেন, আমি দুর্নীতি করতে চাইনি। শুভেন্দু, দিলীপ, সুজন উত্তরবঙ্গে অনেক তদ্বির করেছিলেন। আমি বরং বলেছিলাম, আমি নিয়োগকর্তা নই, কিছু করতে পারব না। এদিন পার্থর সঙ্গেই আদালতে পেশ করা হয় বারাসতের শিক্ষক তথা নিয়োগ কেলেঙ্কারির অন্যতম চাঁই তাপস মণ্ডলকে। অয়ন শীলকে নিয়ে প্রশ্ন করায় তনি বলেন, ম্যাজিশিয়ান কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞেস করুন।ও সব জানে। সুবীরেশ সহ বাকিদেরও এদিন আদালতে তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • ED: অয়নের ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! কোথায় জানেন?

    ED: অয়নের ছেলে ও তাঁর বান্ধবীর নামে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত অয়ন শীলের ছেলে অভিষেক শীল ও তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য। অয়ন প্রোমোটারির পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির মাধ্যমে আর্থিকভাবে ফুলেফেঁপে ওঠে। চাকরি বিক্রি করেই সে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছে বলে তদন্তে নেমে ইডি (ED) জানতে পেরেছে। আর এই কোটি কোটি টাকা সে সিনেমা, সিরিয়ালেও ঢেলেছে। ইতিমধ্যেই শ্বেতা চক্রবর্তী তাঁর হাত ধরেই রুপোলি জগতে পা রেখেছিলেন। এবার হুগলির গুরাপে অয়নের পেট্রল পাম্পের হদিশ পেল ইডি (ED) ।

    কত টাকায় কেনা হয়েছিল পেট্রোল পাম্প? ED

    ইডি (ED)  সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের পাশে গুড়াপের এই পাম্পটি চালান অয়নের ছেলে অভিষেক শীল। এই পাম্পের পার্টনার ইমন গঙ্গোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালে কলকাতার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা নন্দদুলাল শুক্লা, অজয় শুক্লা এবং আশিস শুক্লার কাছে থেকে ১ কোটি টাকায় গুড়াপে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ৩ বিঘা জমির উপর পেট্রল পাম্পটি কেনা হয়েছিল। স্থানীয়ভাবে শুক্লা পাম্প হিসেবে পরিচিত ছিল। এই পাম্পের পাশাপাশি অভিষেক ও ইমনের নামে কলকাতার বন্ডেল রোড উপর ফসিলস নামে একটি অফিস রয়েছে। সেই সম্পত্তির দামও অনেক। এছাড়া অভিষেক ইমনের নামে যৌথভাবে আরও কয়েক কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছে বলে ইডি (ED)  জানতে পেরেছে। এই ইমন হচ্ছে অভিষেকের বান্ধবী। আইন পড়ার সময় তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে, সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। কারবারের টাকা অভিষেকের বান্ধবী ইমনের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। ইডির তরফে যে ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে তিনটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে এই শুক্লা সার্ভিস স্টেশনের নামে গুড়াপের ওই পেট্রল পাম্পও রয়েছে। ইডি-র মতে ইমন ও অভিষেকের যৌথ সংস্থা এবং পেট্রল পাম্পের মধ্যে নিয়োগ দুর্নীতির কয়েক কোটির কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। তার জন্যে অয়ন শীলের নির্দেশে দক্ষিণ কলকাতার অফিস খুলেছিলেন অভিষেক ও তাঁর বান্ধবী। যদিও সেই অফিস দীর্ঘদিন বন্ধ বলেই খবর।

    অয়নের ছেলের বান্ধবী ইমনকে নিয়ে কী বললেন প্রতিবেশীরা? ED

     অয়নের ছেলে অভিষেক শীলের সংস্থার অংশীদার রয়েছে তাঁর বান্ধবী ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে। এই ইমনের বাড়ি হুগলির উত্তরপাড়া পুরসভার অমরেন্দ্র সরণির দাশরথি আবাসনে। ওই আবাসনের দোতলায় ২০২ নম্বর ফ্ল্যাটটি ইমনের বাবা বিভাস গঙ্গোপাধ্যায়ের নামে রেজিস্ট্রার রয়েছে। বিভাসবাবু পেশায় আইনজীবী। বাবার সঙ্গে ওই আবাসনেই থাকেন ইমন। বুধবার থেকে বাইরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে তাঁরা কেউ কথা বলেননি। এমনকী কাজের মেয়েকেও বাড়ির লোকজন দরজা খুলে দেননি। প্রতিবেশীদের বক্তব্য, গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার কারও সঙ্গে সেভাবে মিশত না। মাঝে মধ্যে ইমনকে আইনজীবীর পোশাক পড়ে বিলাসবহুল গাড়িতে করে চলে যেতে দেখা যেত। কখনও কখনও রাত করেও বাড়ি ফিরতে দেখা গিয়েছে। ইমনও খুব কম কথা বলত। তবে, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত অয়নের ছেলের বান্ধবীর বিষয়টি  জানাজানি হতেই হতবাক এলাকাবাসী।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। এই অয়নের সংস্থার মাধ্যমেই রাজ্যের ৬০ পুরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্পষ্ট হয়েছে ইডির তদন্তে। তার জেরে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে চিঠি দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চিঠিতে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির কেন্দ্রীয় তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। অবিলম্বে কেন্দ্রের তহবিলের টাকা দেওয়া বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন ওই চিঠিতে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি পেয়ে পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্র। মিড-ডে মিল ও আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) জানান, নগরোন্নয়ন মন্ত্রক দেশের পুরসভাগুলিকে টাকা দেয়। এ রাজ্যের পুরসভাগুলিও টাকা পায় কেন্দ্র থেকে। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রের অবগত থাকা উচিত। সুকান্ত বলেন, ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের টাকা না দিয়ে কেউ চাকরি পায়নি, একজনও নয়। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রের কাছে তদন্তের টিম পাঠানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

    অয়নকে গ্রেফতার করার পরেই ইডির হাতে এসেছে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য। ঝাড়ুদার থেকে ক্লার্ক, পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দিতে ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে একাধিক পুরসভায় চুক্তি হত বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার পরীক্ষার ওএমআর শিট।

    আরও পড়ুুন: ইডির দফতরে হাজিরা শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশের! আর কী কী তথ্য পেল তদন্তকারীরা?

    অয়নের মামলা চলাকালীন আদালতে ইডি জানিয়েছে, অয়নের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আর সেই সবকটি ক্ষেত্রেই হয়েছে দুর্নীতি। প্রায় ৫ হাজার প্রার্থীর চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। কামারহাটি, হালিশহর, পানিহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, ডায়মন্ড হারবার সহ বিভিন্ন পুরসভার নাম রয়েছে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তালিকায়। প্রশ্ন হল, কলকাতা পুরসভায় নিয়োগেও কি অয়ন প্রভাব খাটিয়েছিল? কারণ, ইডির সিজার লিস্টে উল্লেখ রয়েছে, অয়নের অফিসে তল্লাশির সময় মিলেছে কলকাতা পুরসভাকে দেওয়া একটি চিঠির কপি। চিঠিটি লিখেছেন একজন চাকরিপ্রার্থী। একটি ড্রাফট লেটারও উদ্ধার হয়েছে। প্রণব নামে কেউ একজন ওই চিঠি পাঠিয়েছেন পুরসভার মেয়রকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Scam: ১১ জনকে নিয়োগ করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ তৃণমূল বিধায়কের, কোন পদে চাকরি জানেন?

    Scam: ১১ জনকে নিয়োগ করতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ তৃণমূল বিধায়কের, কোন পদে চাকরি জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্যে এখন তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশে, দুর্নীতিতে (Scam)  জড়িত থাকার অভিযোগে একের পর এক শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে। নতুন করে আরও অনেকের চাকরি যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় ১১ জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার আবেদন করে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিয়ে সুপারিশ করেছিলেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক। সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। এমনিতেই নিয়োগ  দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এখন জেলে রয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী  থাকার সময় বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক নিজের প্যাডে লিখে তাদের চাকরির জন্য সুপারিশ করেছিলেন।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দেওয়া চিঠিতে কী রয়েছে? (Scam)

    তৃণমূল বিধায়ক ২০২০ সালের ১৪ ডিসেম্বর তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন। বিধায়কের প্যাডে চিঠি লেখা হয়েছিল। চিঠিতে  তত্কালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করা হয়, তাঁর মনোনীত ১১ জন ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকার পদে নিয়োগের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য। ওই প্যাডে ছেলেমেয়েদের নাম, রোল নম্বর সহ অন্যান্য তথ্য দেওয়া রয়েছে। চিঠির নীচে বিধায়কের সই এবং স্ট্যাম্প দেওয়া রয়েছে। দুর্নীতিকাণ্ড সামনে আসতেই তৃণমূল বিধায়কের এই চিঠি জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। চিঠির বিষয়টি সামনে আসতেই বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক কার্যত এড়িয়ে গিয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমের পক্ষ থেকে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। বিস্তারিত জেনে এব্যাপারে বলতে পারব।

    চিঠি নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা? Scam

    বিজেপির বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) যে ভাবে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যাচ্ছে তাতে সারা দেশের কাছে এই রাজ্যের শিক্ষার মান একেবারে তলানিতে নামিয়ে দিয়েছে। তৃণমূল বিধায়ক যে ১১ জনের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করেছিলেন, কত টাকার বিনিময়ে তাদের চাকরি হয়েছে তা সকলেই জানতে চায়। মেধাবীদের বাদ দিয়ে এভাবে ঘুর পথে কাটমানির বিনিময়ে চাকরির সুপারিশের আমরা তীব্র নিন্দা করছি। আর এই ঘটনায় তদন্তের দাবি করছি।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নতুন আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ! টিভি চ্যানেল খোলার পরিকল্পনা ছিল অয়নের

    Recruitment Scam: নতুন আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ! টিভি চ্যানেল খোলার পরিকল্পনা ছিল অয়নের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রভাবশালী যোগের সূত্রেই একের পর এক পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রে (Recruitment Scam) জাল বিস্তার করেছিলেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রমোটার অয়ন শীল। তাঁর প্রভাব এতটাই ছিল যে অনেকে সবকিছু জেনেও চুপ করে থাকতে বাধ্য হতেন। সূত্রের খবর, কেউ আপত্তি তুললে, অনেক সময় এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর ফোন ধরিয়ে দেওয়া হত সংশ্লিষ্ট পুরসভার শীর্ষকর্তাকে। এরই মধ্যে অয়নের নতুন আরও ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পেল ইডি। এই নিয়ে অয়নের ৪২টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলল। ইডি সূত্রে খবর, এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে কাদের সঙ্গে লেনদেন হয়েছে, তার তালিকাও তৈরি করা হয়েছে। ৪২টি অ্যাকাউন্টের মধ্যে শান্তনুর সঙ্গে কী কী লেনদেন হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    টিভি চ্যানেল করার পরিকল্পনা

    বছর দুয়েক আগে একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেল করার পরিকল্পনাও করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় ধৃত অয়ন শীল। বেশ কয়েক জনের সঙ্গে বৈঠক করা থেকে কোথায় কত বিনিয়োগ করতে হবে, তার ছকও কষেছিলেন। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে অয়নের ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই প্রোমোটারের টিভি চ্যানেল করার পরিকল্পনার কথা জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। ২০২১ সালে একটি সর্বভারতীয় টিভি চ্যানেল শুরু করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন অয়ন। তার জন্য কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করার পরিকল্পনাও ছিল তাঁর। সেই অঙ্কটা প্রায় ১০০ কোটির কাছাকাছি।

    আরও পড়ুন: দুই বছরের জেল রাহুল গান্ধীর! ‘মোদি’ পদবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত

    অয়নের সল্টলেকের অফিস থেকে বেশ কয়েকটি নাম সংবলিত আইনি বিষয় সংক্রান্ত নথি উদ্ধার হয়েছে। সেই নথি থেকেই অয়নের পরিকল্পনার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে। নথিতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের সঙ্গে চ্যানেল শুরু করার প্রাথমিক কাজকর্ম করছিলেন অয়ন। টিভি চ্যানেল শুরু করতে কী কী করতে হবে, কোথা থেকে কী অনুমোদন নেওয়া আবশ্যক, সেই ব্যাপারেও তিনি পরামর্শ নিচ্ছিলেন। ইডি সূত্রেরই দাবি, দিল্লিতে এই বিষয়টি নিয়ে বৈঠকও করেছিলেন অয়ন। ইডি আধিকারিকদের একাংশের মত, ‘নিয়োগ দুর্নীতি’ থেকে উপার্জিত কালো টাকা সাদা করতেই চ্যানেলের পরিকল্পনা করে থাকতে পারেন অয়ন।

    অয়নের অনুমোদনে চাকরি নিশ্চিত

    পুরসভায় নিয়োগের (Recruitment Scam) ক্ষেত্রেও একচেটিয়া প্রভাব ছিল অয়নের। ২০১৭-তে উত্তর ২৪ পরগনার একের পর এক পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার বরাত পায় অয়নের সংস্থা। জানা যাচ্ছে, ২০১৭-তে প্রথম পরীক্ষা হলেও নিয়োগ হয়েছিল ২০১৯ সালে। সেই নিয়োগের কয়েক মাসের মধ্যেই ফের ওই সমস্ত পুরসভায় পরীক্ষা নেওয়ার বরাত পেয়েছিলেন অয়ন। টেন্ডারের মাধ্যমে অয়নের সংস্থা নিয়োগ পরীক্ষার বরাত পেয়েছিল। একথা বলা হলেও, বেশির ভাগ পুরসভায় ‘ঠিকঠাক ভাবে নিয়ম মেনে’ কোনও টেন্ডার হয়নি বলেই ইডি সূত্রের খবর। অয়ন নিজের সংস্থার পাশাপাশি বেনামে আরও তিন-চারটি দরপত্র জমা করতেন। টাকার বিনিময়ে মিলত অয়নের সুপারিশ। আর অয়ন অনুমোদন করলেই চাকরি ছিল নিশ্চিত।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    Anubrata Mondal: আসানসোল জেলের সুপারকে ব্যাঙ্কের নথিসহ দিল্লিতে তলব ইডির, খুলবে কি রহস্যের জট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গরু পাচার কাণ্ডে এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তাঁর এককালের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, সকলেই একসময় আসানসোল জেলেই ছিলেন। তাঁদের কারাবাসের সময় সংশোধানাগারের সুপার থেকেছেন কৃপাময় নন্দী। এবার গরু পাচারকাণ্ডে আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে দিল্লিতে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। জেল সুপারকে শুধু দিল্লিতে ডাকা হয়েছে এমন নয়, তাঁকে আগামী ৫ এপ্রিল তাঁর যাবতীয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি সহ আসতে বলেছে ইডি। এদিকে সংবাদমাধ্যমের সামনে জেল সুপার বলেছেন,”ই-মেল পেয়েছি। তবে কি কারণে আমাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে তা বলতে পারব না। আমি উচ্চ আধিকারিকদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা যেমন বলবেন আমি সেই পথেই চলব।” গরু পাচারকাণ্ডে দীর্ঘদিন আসানসোল জেলে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। অভিযোগ, এই সময় জেল থেকেই তৃণমূল নেতাদের নির্দেশ দিতেন কেষ্ট। নিজের জেলার যাবতীয় কর্মকাণ্ডের ওপর নজর রাখতেন তিনি। বীরভূমের তৃণমূল নেতা কাজল শেখ নিজেই এই অভিযোগ করেছিলেন। তবে সম্প্রতি দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal)। কেষ্টর দিল্লি যাত্রা আটকাতে অবশ্য অনেক চেষ্টাই করা হয়েছিল। বীরভূম জেলার নেতারা প্রকাশ্য সভায় বলেছিলেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে দিতেই পরিকল্পিতভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এমনকী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্ন থেকে নিজে বলেছিলেন, ‘পঞ্চায়েত আসছে বলে কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে যাচ্ছে।’ মমতার এহেন মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিরোধীরা বলেছিলেন, ‘এর থেকেই স্পষ্ট যে অনুব্রত জেলে বসেই দলের কাজ করছিলেন।’ আর এই সব বিতর্কের মাঝেই এবার আসানসোল সংশোধনাগারের সুপারকে ইডির তলব নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

    জেল সুপারকে কী জিজ্ঞাসা করতে পারে ইডিAnubrata Mondal

    তিহার জেলের আগে বেশ কয়েকমাস আসানসোল সংশোধনাগারে ছিলেন অনুব্রত। যদিও সেই সময় সংশোধনাগারে বহাল তবিয়তে থাকতেন অনুব্রত (Anubrata Mondal), এই অভিযোগ বারে বারে করেছে বিরোধীরা। এনামূল হক, অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে জেলে কারা দেখা করতে আসত, তা জানতে চাওয়া হতে পারে জেল সুপারের থেকে। এদিকে অনুব্রত যখন আসানসোল সংশোধানাগারে ছিলেন, তখন বেশ কিছু বিষয়ে ইডির প্রশ্নের মুখে পড়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। এমনকী, দিল্লি যাত্রার সময় অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) কলকাতা পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল জেল কর্তৃপক্ষের ওপর। সেই সময় কচুরির দোকানে জেলবন্দি অনুব্রত (Anubrata Mondal) দিব্যি বসে তৃণমূলের এক যুবনেতা এবং মেয়ে সুকন্যার গাড়ির চালকের সঙ্গে ‘বৈঠক’ করেছিলেন, যা নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। আর এবার খোদ জেল সুপারকেই দিল্লিতে তলব করল ইডি।  

    দিল্লির রাউস অ্যাভেনিউ কোর্ট অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তাঁকে রাখা হবে তিহার জেলে। পাশাপাশি দিল্লির আদালত অনুব্রতর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী শুনানি আগামী ৩ এপ্রিল। অন্যদিকে, কাকতালীয় হলেও তিহার জেলে এখন রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী ও গরুপাচারকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সায়গল হোসেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ইডির দফতরে হাজিরা শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশের! আর কী কী তথ্য পেল তদন্তকারীরা?

    SSC Scam: ইডির দফতরে হাজিরা শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশের! আর কী কী তথ্য পেল তদন্তকারীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির দফতরে হাজিরা দিলেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। বুধবার বেলা ১২টার পর ইডি দফতরে ঢোকেন আকাশ এবং নিলয় মালিক। রাত ১০টার পর তাঁরা সেখান থেকে বার হন। গত শনিবার হুগলির বলাগড়ের রিসর্টে শান্তনু-‘ঘনিষ্ঠ’ আকাশ, বিশ্বরূপ প্রামাণিক এবং নিলয় মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। তাঁদেরকে ফের বেশ কিছু নথি নিয়ে ইডি দফতরে আসতে বলা হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, খাতায়কলমে বলাগড়ের ওই রিসর্টের মালিক আকাশ। তাঁদের দাবি, আদতে ওই রিসর্টের মালিক বর্তমানে ইডির হেফাজতে থাকা বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ই। এদিন ইডি কেন ডেকেছিল সেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান আকাশ।

    কে এই নিলয়?

    বলাগড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত শান্তনুর (Shantanu Banerjee) রিসর্টে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়েছিল নিলয় মালিককেও (Niloy Malik)। জানা গিয়েছে, পেশায় সিভিক পুলিশ ছিলেন এই নিলয়। পরে ধৃত শান্তনু বন্দোপাধ্যায়ের প্রোমোটিং সংস্থার ডিরেক্টর হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সেই সংস্থার অংশীদার ছিলেন শান্তনুর স্ত্রী। তবে ২০২১ সালে হঠাৎই শান্তনুর স্ত্রীর সেই সংস্থা থেকে নাম সরে যায় নিলয় মালিকের। সূত্রের খবর শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দোপাধ্যায়ের সংস্থায় ডিরেক্টর থাকাকালীন তার কাছে যে সকল নথি ছিল সেসব নিয়ে নিলয়কে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি।

    আরও পড়ুন: ভোটার কার্ডের সঙ্গে আধারের লিঙ্ক করানোর সময়সীমা বাড়ল! জানুন বিস্তারিত

    ইডি সূত্রে খবর এই নিলয়ের নামে গাড়ি থেকে শুরু করে একাধিক সম্পত্তিও কিনেছিলেন শান্তনু। এইসব তথ্যের ভিত্তিতেই ফের তলব করা হয় নিলয়কে। যদিও ইডির কাছে নিলয় দাবি করে, বহুদিন থেকে শান্তনু ও তার পরিবারের যোগাযোগ নেই তার। পূর্বে সম্পর্ক থাকলেও দেড় বছর ধরে ধাবার ব্যবসাকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়। একাধিক সংস্থায় শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে পুরশুড়ার তৃণমূল কর্মী রাকেশ মণ্ডলেরও। তৃণমূল কর্মী রাকেশ ধনেখালি ব্লক অফিসের যুব দফতরের ঠিকা কর্মী। পাশাপাশি বালি ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। 

    নাম জড়াল আরও অনেকের?

    হুগলি জেলায় দুর্নীতি চক্রে এ বার আরও এক তৃণমূল নেতার নাম সামনে এল। তিনি হলেন হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও ক্রীড়া স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায়। অভিযোগ, গোপালকে টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে অনেকের চাকরি গিয়েছে আদালতের নির্দেশে (Hooghly News)। চাকরির জন্য গোপালকে কয়েক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছিল বলে দাবি চাকরিহারাদের। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা গোপাল। তিনি বলেন, “পুরোটাই চক্রান্ত। আমি চুরি করে থাকলে, জেল খাটব, ইডি-সিবিআইয়ের কাছে যাব। আমি টাকা নিইনি। ২০১৮ সালে আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। জানিয়েছিলাম, এখানে একটা চক্র চলছে। এর বিরুদ্ধে আমি লড়াই করেছিলাম।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Ayan Shil: পালাও ইডি আসছে! তল্লাশির আগের দিন অয়ন শীলকে মেসেজ রহস্যময়ী শ্বেতার

    Ayan Shil: পালাও ইডি আসছে! তল্লাশির আগের দিন অয়ন শীলকে মেসেজ রহস্যময়ী শ্বেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  অয়ন শীলের হোয়াটসঅ্যাপে একটি মেসেজ আসে, ‘পালিয়ে যাও ইডি আসছে’। ঠিক তার পরদিনই ইডি হানায় গ্রেফতার হন অয়ন শীল (Ayan Shil)। মেসেজ পাঠিয়েছিলেন যিনি, সেই রহস্যময়ীর পরিচয় পরবর্তীতে সামনে আসে তিনি শ্বেতা চক্রবর্তী। অয়ন শীলের বান্ধবী। পাড়া প্রতিবেশীরা অবশ্য জানতেন শ্বেতা আসলে অয়নের বান্ধবী। নিয়োগ দুর্নীতিতে সদ্য গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের খোঁজ পেয়ে ইডি আধিকারিকরা বলেছিলেন তাঁরা নাকি ‘সোনার খনি’র খোঁজ পেয়েছেন। সেই অয়নের বান্ধবী আবার শ্বেতা, যাঁর সম্পর্কেও একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে ইডি-র হাতে। অয়নের সঙ্গে অ্যাকাউন্ট, তাঁর প্রযোজনায় ছবিতে অভিনয়, বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে একসঙ্গেই থাকতেন শ্বেতা অয়ন।

    কী বলছেন শ্বেতা

    সংবাদমাধ্যমের সামনে অবশ্য শ্বেতার দাবি, “যা অভিযোগ সবই মিথ্যা। সর্বৈব মিথ্যা।”  ধৃত অয়ন শীলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের বিষয়ে তিনি বলেন, “ওঁর সঙ্গে আমি গ্রাম পঞ্চায়েতে চাকরি করতাম। সেই সূত্রে পরিচয়।” শ্বেতা চাকরি করতেন হুগলিতে। ২০১৭ সাল থেকে অয়নের সঙ্গে তাঁর পরিচয় বলে তিনি দাবি করেন। অয়নের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন শ্বেতা। তিনি বলেন, “চুঁচুড়ায় আমি ওঁর কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনি। আমার কাছে চুক্তির কাগজপত্রও রয়েছে। ফ্ল্যাট কেনার সময়ে টাকাও দিই। সেই ফ্ল্যাটটা আমি রেজিস্ট্রি করিনি। কারণ সেখান থেকে পরবর্তীকালে আমি চলে আসি। যেহেতু আমি রেজিস্ট্রি করিনি, তাই সেই টাকা আমাকে ফেরত দেন। ৫৫ লক্ষ টাকা আমার অ্যাকাউন্টে ফেরত দেন।

    অয়নের (Ayan Shil) সংস্থার প্রযোজনায় সিনেমায় ডেবিউ করেন শ্বেতা

    ইডি- সূত্রে খবর, অয়নের (Ayan Shil) সংস্থা ‘এবিএস ইনফোজোন প্রাইভেট লিমিটেড’ বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগের টেন্ডার পেতেন। সেই সংস্থাই ছিল ‘কাবাড্ডি কাবাড্ডি’ সিনেমার প্রযোজনার দায়িত্বে। ওই ছবিতেই ডেবিউ করেছিলেন অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী। আর প্রথম সিনেমাতেই মোটা অঙ্কের পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন অয়ন-বান্ধবী। এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় শ্বেতাকে। তাঁর উত্তর, “আমি পারিশ্রমিকবাবদ কোনও টাকা নিইনি। ছবিতে আমি অভিনয় করেছি। ছবিটা এখনও রিলিজ হয়নি। ডাবিংও শেষ হয়নি। আমি আগে মডেলিং করতাম। অনেক জায়গায় মডেলিং করেছি, কিছু শর্ট ফিল্ম করেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Naihati: অয়নের হাত ধরে পুরসভায় চাকরি নৈহাটির শ্বেতার! মেয়েকে নিয়ে কী বললেন বাবা?

    Naihati: অয়নের হাত ধরে পুরসভায় চাকরি নৈহাটির শ্বেতার! মেয়েকে নিয়ে কী বললেন বাবা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ কামারহাটি পুরসভা সহ ব্যারাকপুর মহকুমার একাধিক পুরসভায় লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকরি বিক্রি করেছিলেন অয়ন। রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ নিয়ন্ত্রণে অয়নের হাত ছিল। এই কামারহাটি পুরসভায় অয়নের হাত ধরেই চাকরি পেয়েছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি কামারহাটি পুরসভার সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত। নৈহাটির (Naihati) বাড়ি থেকে তিনি যাতায়াত করতেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে এবং ২০১৯ সালে দুটি অয়ন শীলের কোম্পানির মাধ্যমে চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে ১৭ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। আর ২০১৯ সালে ১৪ হাজার পরীক্ষার্থী ছিলেন। সবমিলিয়ে ১০৪ এবং ১২৫ জনকে পুরসভায় নিয়োগ করা হয়। আর সবটাই অয়নের কোম্পানির হাত ধরে হয়েছে। দেখা যায়, পুরসভায় নিয়োগ হওয়া ২২৯ জনের মধ্যে শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম রয়েছে। তিনি এর আগে হুগলির জিরাট পঞ্চায়েতে চাকরি করতেন। ফলে, এই কোম্পানির মাধ্যমে নিয়োগের সময় তাঁরা চাকরি পাওয়ার ঘটনা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ইডি তাঁর চাকরি পাওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

    শ্বেতাকে কত টাকা দিয়েছিলেন অয়ন, জানেন কী ? Naihati

    এবার শ্বেতার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তদন্তে নেমে ইডি (ED) জানতে পেরেছে। অয়নের সঙ্গে সখ্যতা হওয়ার পর শ্বেতা ফুলেফেঁপে ওঠে। কামারহাটিতে তিনি একটি ফ্ল্যাট কেনেন। সেখানেই অয়ন আর শ্বেতা মামা-ভাগ্নে পরিচয় দিয়ে মাঝে মধ্যে থাকতেন। আবাসনের আবাসিকরা সে কথা স্বীকার করেছেন। গাড়িতে করে তাঁরা আসতেন বলে আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী জানিয়েছেন। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, অয়ন শীলের অ্যাকাউন্ট থেকে শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে পাঁচ দফায় ৫৫ লক্ষ টাকা গিয়েছিল। এমনকী শ্বেতার গাড়ি কেনার পয়সা দিয়েছিল অয়ন।

    শ্বেতাকে নিয়ে কী বললেন তাঁর বাবা? Naihati

    বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীল গ্রেপ্তার হওয়ার পর পরই শ্বেতা চক্রবর্তীর নাম সামনে আসে। ঘটনার দুদিন কেটে গেলেও তাঁর হদিশ পাননি কেউ। এমনকী নৈহাটির (Naihati) বাড়িতে গিয়েও শ্বেতার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাঁর বাবা অরুণ চক্রবর্তী বলেন, আমার মেয়ে পড়াশুনায় ভালো ছিল। মাধ্যমিকে স্টার পেয়েছিল। হুগলি সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে পাশ করেছিল। প্রথমে সে দমদমে চাকরি করত। পরে, হুগলির জিরাটে চাকরি পায়। এখন ও কামারহাটি পুরসভায় রয়েছে। ও নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে। অয়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, মেয়ে বড় হয়েছে। ও কার সঙ্গে মেলামেশা করছে তা জানা সম্ভব নয়। অয়নের সঙ্গে আমাদের পরিচয় নেই। তবে, মেয়ে দোষ করে থাকলে শাস্তি পাবে। কারণ, আমাদের নামে পাড়ায় কোনও বদনাম নেই। তাই, আমি এখনও বিশ্বাস করি, মেয়ে কোনও খারাপ কাজ করবে না। আর এই বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শ্বেতার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই। ও আমাদের ফোন করেনি। এখন ও কোথায় আছে জানি না। তবে, ইডি ডাকলে শ্বেতা সবসময় তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    Sweta Chakraborty: অয়নের হাত ধরেই টলিউডে পা শ্বেতার! জানেন নৈহাটির এক সাধারণ মেয়ের কেরিয়ার গ্রাফ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোগা-পাতলা চেহারা। দেখতে সুন্দর। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের আর পাঁচটা মেয়ের মতোই। চাকরি করতেন কামারহাটি পুরসভায়। সঙ্গে ছিল মডেলিংয়ের নেশা। ধীর গতিতে চলছিল জীবন। কিন্তু হঠাতই ছক ভাঙা জীবনের বাইরে গিয়ে তরতরিয়ে উঠতে শুরু করে নৈহাটির সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে শ্বেতা চক্রবর্তীর কেরিয়ার গ্রাফ। কিন্তু কী করে? প্রশ্ন উঠছিল শ্বেতার চেনা-বৃত্তে। কিন্তু কোটি কোটি টাকার নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়বেন শ্বেতা তা ভাবতে পারেনি নৈহাটির ৭/ডি বিজয়নগর জেলেপাড়ার বাসিন্দারা। 

    অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা শ্বেতার

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অয়ন শীলের (Ayan Shil) গ্রেফতারির পরই উঠে এসেছে শ্বেতার নাম, অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে যাঁর অ্যাকাউন্টে মোটা অঙ্কের লেনদেন হয়েছে। ধৃত অয়নের প্রযোজনায় রুপোলি দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন শ্বেতা চক্রবর্তী। ২০১৫ সালের আগে জিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের অস্থায়ী কর্মী ছিলেন শ্বেতা। ২০১৫ সালে ব্যক্তিগত কারণে ট্রান্সফার নিয়ে বলাগড়ের নিত্যানন্দপুর ১ নম্বর পঞ্চায়েতে যোগ দেন তিনি। অন্যদিকে ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েতেরই কার্যনির্বাহী সহায়ক ছিলেন অয়ন শীল। সূত্রের খবর, সেই সময় থেকেই অয়ন-শ্বেতার পরিচয়। কিন্তু,পরবর্তীকালে দুজনেই চাকরি ছেড়ে দেন। 

    গাড়ি কিনতেও অয়নের সাহায্য 

    ইডি সূত্রের খবর, নৈহাটির বাড়ি ছেড়ে ২ বছর ধরে অয়নের ভাগ্নির পরিচয়ে কামারহাটির রথতলায় একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে থাকতেন শ্বেতা। তাঁকে গাড়ি কিনতেও সাহায্য করেছিলেন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের ঠিকানা থেকে পাওয়া একটা নথিতে শ্বেতাকে বড় অঙ্কের টাকা পাঠানোর উল্লেখ রয়েছে। বর্তমানে কামারহাটি পুরসভায় সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি করেন শ্বেতা। নিয়মিত অফিসও করতেন তিনি কিন্তু নিয়োগ তদন্তে অয়নের নাম উঠে আসার পর গত কয়েকদিন ধরে তিনি পুরসভায় আসছিলেন না। একাধিক সূত্রের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার প্রভাবশালী এক প্রবীণ বিধায়কের সঙ্গে অয়নের মধুর সম্পর্ক থাকার সুবাদেই কামারহাটি পুরসভায় চাকরি পান শ্বেতা।

    আরও পড়ুন: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    টলিউডে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা

    নিয়োগ দুর্নীতির টাকা টলিউডেও ঢেলেছিলেন অয়ন শীল। বান্ধবী শ্বেতাকে সিনেমায় নামাতে নিজের প্রোডাকশন হাউসও খোলেন তিনি। শ্বেতা একাধারে কামারহাটি পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ার পদে চাকরি করতেন আবার পাশাপাশি মডেলিংও করতেন। সূত্রের খবর ২০১৭ সালে অয়নের স্ত্রীর মাধ্যমেই শ্বেতার সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। অয়নের সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করতেন শ্বেতা। অয়নের প্রোডাকশন হাউসের প্রোযোজনায় নির্মিত ছবি ‘কবাডি কবাডি’তেই ডেবিউ করেছিলেন তিনি। ওই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, অর্জুন চক্রবর্তীর মতো অভিনেতারা। ছবির পরিচালনায় ছিলেন কৌশিক গাঙ্গুলী। যদিও ছবির কাজ শুরু হলেও শেষ হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। বড় পর্দায় দেখা না গেলেও বহু শর্ট ফিল্ম ও মডেলিং প্রজেক্টে দেখা গিয়েছে শ্বেতাকে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share