Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC Scam: স্থগিতাদেশে না হাইকোর্টের, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু স্কুলে গ্রুপ-সি পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং

    SSC Scam: স্থগিতাদেশে না হাইকোর্টের, বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু স্কুলে গ্রুপ-সি পদে নিয়োগের কাউন্সেলিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হবে  স্কুলে গ্রুপ সি পদে নিয়োগের জন্য কাউন্সেলিং পর্ব। স্কুলে গ্ৰুপ সি বা তৃতীয় বিভাগের কর্মী নিয়োগের কাউন্সেলিংয়ের উপর স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। নিয়োগে বিস্তর অনিয়ম ধরা পড়ায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে, চাকরি হারিয়েছিলেন গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন কর্মী। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন চাকরিচ্যুতদের একাংশ। বুধবার চাকরিচ্যুতদের আবেদন খারিজ করে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করল কলকাতা হাইকোর্ট। এর ফলে গ্রুপ সির ৮৪২টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে কাউন্সেলিং প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে এসএসসি।

    খেলা হবে স্লোগান

    এদিন আদালতে সিবিআই ও এসএসসি একসুরে জানায়, যে ওএমআর শিটগুলির ভিত্তিতে ৮৪২ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে সেগুলিকে বিকৃত করা হয়নি। নিশ্চিত হয়েই সুপারিশ পত্র প্রত্যাহার করেছে এসএসসি। বুধবার চাকরিহারাদের আইনজীবী সওয়ালে বলেন, ‘‘এসএসসি-র বিরুদ্ধেও বিভাগীয় তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এর থেকে রেহাই পাওয়া উচিত নয় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং জেলা স্কুল পরিদর্শকেরও।’’ তাঁর যুক্তি, ‘‘সবাই তো এদের অনুমতি নিয়েই চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই সবার ভূমিকাই খতিয়ে দেখা উচিত।’’ এর পর আইনজীবী বলেন, ‘‘তার পর খেলা হবে।’’ যদিও ওই শব্দবন্ধ প্রত্যাহার করে নিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার। এমনকী নিয়োগ প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা সংস্থা নাইসার (NYSA) ভূমিকাও খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত তিহাড় যেতেই বীরভূমের ‘ছোট কেষ্ট’দের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কী বললেন তিনি?

    সিবিআই এদিন আদালতে বলে, ‘নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে আর্থিক দুর্নীতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সময় লাগলেও, তাড়াতাড়ি মাথার সন্ধান মিলবে। বাজেয়াপ্ত করা ওএমআর বিকৃত, এরকম ভাবার কারণ নেই।’ এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশন জানায়, ‘OMR শিট পরীক্ষা করে দেখার পরই সুপারিশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’ আদালত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের পর নিয়োগ তালিকা দেখে নতুন করে যে কাউন্সেলিংয়ের কথা বলে, সেই তালিকাকে ‘জীবাশ্ম’ বলে মন্তব্য করেন চাকরিহারাদের আইনজীবী। তার উত্তরে বিচারপতি তালুকদার এদিন বলেন, ‘‘জীবাশ্ম নয়। মিশরীয় জীবাশ্ম।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    SSC Scam: ৯ বছরেও প্রকাশিত হয়নি মেধাতালিকা! চাকরিপ্রার্থীদের অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার সল্টলেকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও মেধাতালিকা প্রকাশ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। দ্রুত তালিকা প্রকাশের দাবিতে আজ আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীদের এসএসসি ভবন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধল এসএসসি ভবন প্রাঙ্গণে।  একের পর এক চাকরির নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) অভিযোগ উঠেছে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করেছে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিকে। তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বলতে গেলে গোটা শিক্ষা দফতর এখন জেলে। এর মধ্যেই নিয়োগের দাবিতে সরব হলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের এই অভিযান ঘিরে সপ্তাহের মাঝে উত্তাল হল সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ চত্বর।

    পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় চাকরিপ্রার্থীদের

    চাকরিপ্রার্থীদের অভিযানের অনুমতি নেই জানিয়ে বাধা দেয় বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশ। এসএসসি ভবনের দিকে আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা অগ্রসর হতেই ধস্তাধস্তি শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে। বহু চাকরি প্রার্থীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এই বিক্ষোভের জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ মেট্রোর আশপাশের এলাকায়। স্কুল সার্ভিস কমিশনের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব চাকরিপ্রার্থীরা মেধাতালিকা প্রকাশ করে দ্রুত নিয়োগের দাবি করেছেন।

    ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট হয়েছিল এই পরীক্ষা

    ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি আপার প্রাইমারিতে নিয়োগের জন্য অফলাইনে বিজ্ঞপ্তি দেয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালের ১৬ অগাস্ট। মোট শূন্যপদ ছিল ১৪ হাজার ৩৩৯। এর পর ফল প্রকাশ হয় এবং ইন্টারভিউ হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। কিন্তু চূড়ান্ত মেধাতালিকা এসএসসি প্রকাশ করেনি বলে অভিযোগ। মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপার প্রাইমারির নিয়োগের জন্য মেধাতালিকা প্রকাশের নির্দেশ দেয়। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে মেধাতালিকা আদালতে জমা করতে হবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু অভিযোগ, ওই সময়সীমার মধ্যে মেধাতালিকা জমা দেয়নি এসএসসি। ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ফের মামলা করেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাতেও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। মেধাতালিকা প্রকাশের দাবিতেই বুধবার এসএসসি ভবন অভিযানে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা।

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Conflict: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হামলা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    Conflict: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে হামলা! তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে মালদহ জেলায় তৃণমূলের কোন্দল (Conflict) প্রকাশ্যে চলে আসছে। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের পর এবার মানিকচক থানার নুরপুর এলাকা। প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ালো মানিকচক থানার নুরপুর এলাকায়।  বৈঠক চলাকালীন তৃণমূলের একাংশ কর্মীদের নিজেদের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। তবে, গন্ডগোল শুধু হাতাহাতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। আর তাতে চারজন কর্মী জখম হন। খবর পেয়ে নুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বরমপুর এলাকার তৃণমূল কার্যালয়ে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। আহতদের চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়েছে মালিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে। এর আগে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ পঞ্চায়েতের একাধিক বুথে প্রার্থী নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল হয়। দলীয় নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। তবে, প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে দলীয় কোন্দলের (Conflict) জেরে  নুরপুরে রক্তপাতের ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে শাসক দল।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল?

    এদিন নুরপুরে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে বরমপুর বুথের প্রার্থী নিয়ে আলোচনা বৈঠক হয়। সেখান চারজনের নাম ঠিক করা হয়। শেখ রজিম নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, দলীয় নেতাদের সামনে বুথে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা চলছিল। আচমকাই জাবির শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায়। আমাদের মারধর করা হয়। বৈঠকে যে প্রার্থী ঠিক করা হয় তা জাবিরদের পছন্দ নয়। তারা এই এলাকায় নিজেদের মতো প্রার্থী দেবে। সেই প্রার্থী আমাদের মানতে হবে। এটা হতে পারে না। হামলার জেরে চারজন জখম হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। দলীয় নেতৃত্বকে সব কিছু জানানো হয়েছে। তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, প্রার্থী নিয়ে মতানৈক্য (Conflict) হয়েছিল। তাতে সামান্য গন্ডগোল হয়। পরে, দুপক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়া হবে।

    সিপিএমের  মানিকচক-১ এরিয়া কমিটির সম্পাদক মহম্মদ আমিরুল হক বলেন, তৃণমূলের সব জায়গায় গোষ্ঠী কোন্দল (Conflict) হচ্ছে। আসলে তৃণমূলের প্রার্থী হতে পারলেই পাঁচ বছর ধরে চুরি করার সুযোগ মিলবে। সেটা কেউ হাত ছাড়া করতে চাইছে না বলেই গন্ডগোল হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: অনুব্রত তিহাড় যেতেই বীরভূমের ‘ছোট কেষ্ট’দের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কী বললেন তিনি?

    Suvendu Adhikari: অনুব্রত তিহাড় যেতেই বীরভূমের ‘ছোট কেষ্ট’দের হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কী বললেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই ইডি হেফাজত থেকে তিহাড় যাত্রা হয়েছে অনুব্রতর। সেইদিনেই জেলবন্দি নেতার জেলাতে দাঁড়িয়ে বীরভূমের ‘ছোট অনুব্রত’দের জন্য ‘অন্য ব্যবস্থা’ করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মঙ্গলবার ছিল বগটুই গণহত্যার প্রথম বর্ষপূর্তি। বগটুই গ্রামে গিয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানান তিনি। তার পরই তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে আক্রমণ শানান তিনি।

    বিরোধী দলনেতা বগটুইতে কী বললেন এদিন

    এদিন বগটুইয়ে বিজেপির শহিদ স্মরণ মঞ্চ থেকে শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘আজকে যেমন আমাদের শোকের দিন তেমন গোটা বীরভূমের আনন্দের দিন। আজ বীরভূমের বেতাজ বাদশা তিহাড়  জেলে গিয়েছেন। আমি সিউড়িতে বলেছিলাম কেষ্ট মণ্ডল তিহাড়ে যাবেন। আজ তিনি গেছেন। আর যে সব ছোট কেষ্টগুলো আছে তাদের জন্য আমার অন্য ব্যবস্থা আছে।’ তবে কী ব্যবস্থা তা খোলসা করেননি শুভেন্দুবাবু (Suvendu Adhikari)। এদিন মঞ্চ থেকে তিনি জানান, আগামী ৪ এপ্রিল মুরারইয়ে জনসভা করবেন তিনি। প্রসঙ্গত, গত বছর ২০ মার্চ রাতে বীরভূমের বগটুই গ্রামে খুন হন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ। এর পর ভাদুর অনুগামীরা গ্রামে একের পর এক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে শিশু ও মহিলাসহ মৃত্যু হয় ১০ জনের। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত লালন শেখ গত জানুয়ারিতে সিবিআই হেফাজতে আত্মঘাতী হন।

    বগটুইতে বিজেপির ভোট নেই তবুও আমরা এসেছি

    এদিন বিরোধী দলনেতা আরও বলেন, নন্দীগ্রামে সংখ্যালঘুদের সমস্ত ভোটই পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি জিতেছিলাম শুধু হিন্দু ভোটে। তৃণমূল সুপ্রিমোর ঝুলিতে যায় ৬৫ হাজার সংখ্যাালঘু ভোট। বগটুই সম্পর্কে শুভেন্দু বাবু বলেন, ”এখানে বিজেপির কোনও ভোট নেই।” শহিদ দিবস পালনে এসে এদিন স্থানীয় মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়েন বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, এখানে বিধানসভা তৃণমূলের, জেলা পরিষদ তৃণমূলের, পুলিশ থেকে এসডিও, জেলা শাসক সব তৃণমূলের। তবুও একবারও কেউ একবছরে খবর নিতে আসেনি। আমরা সারাবছর এদের পাশে থেকে শহিদ বেদি তৈরি শুরু করতেই এদের টনক নড়ে।”

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Zilla Parishad: মহিলার পায়ে ধরলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি! কেন জানেন?

    Zilla Parishad: মহিলার পায়ে ধরলেন তৃণমূলের হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার শাসক দল। এই অবস্থায় পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জনসংযোগ নিবিড় করতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচি। কিন্তু, সেই কর্মসূচি সফল করতে গিয়ে এভাবে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে তা ভাবতে পারেননি হুগলি জেলা পরিষদের (Zilla Parishad) সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। গোঘাটের মান্দারণ পঞ্চায়েতের তারাহাট এলাকায় এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকী বিক্ষুব্ধ এক মহিলার পায়ে ধরে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি। যা দেখে গ্রামবাসীরা হতবাক হয়ে যান। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোঘাটের মান্দারণে দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচিতে যোগ দেন জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি মেহেবুব রহমান। দলের স্থানীয় নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে তারাহাট গ্রামে যেতেই ক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা।

    তৃণমূল নেতাদের দেখে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান কেন? Zilla Parishad

    দিদির সুরক্ষা কবজ কর্মসূচিতে যোগ দিতে গ্রামে জেলা পরিষদের (Zilla Parishad) সভাধিপতি আসছেন তা এলাকাবাসী আগে থেকেই জানতেন। ফলে, এলাকার মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে এক জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গ্রামে আসতেই বেশ কয়েকজন মহিলা তাঁর সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মূলত তাঁদের অভিযোগ, ভোট এলেই গ্রামে নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ নিতে আসে। কিন্তু, ভোট মিটে গেলে আর নেতাদের দেখা যায় না। এমনকী এলাকার উন্নয়ন করার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল থাকে না।  নেতাদের দেখা করতে গেলে সাধারণ মানুষকে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হয়। আর এলাকায় আবাসের বাড়ি বিলি করা হয়েছে। প্রকৃত প্রাপকরা বাড়ি পাননি বলেও নেতার সামনে ক্ষোভ উগরে দেন মহিলারা। বেগতিক দেখে পরিস্থিতি সামাল দিতে এক বিক্ষুব্ধ মহিলার পায়েও ধরতে যান সভাধিপতি। অভিযোগ শুনে তা দ্রুত সমাধান করার আশ্বাসও দেন সভাধিপতি।

     হুগলি জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি মেহেবুব রহমান মহিলার পায়ে ধরার প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলেন, কিছু ক্ষোভ থাকতে পারে, তবে এলাকায় উন্নয়ন হয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প, কন্যাশ্রী সহ একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা আমরা এলাকাবাসীকে জানিয়েছি। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক বিমান ঘোষ বলেন, একসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের আগে পা নিয়ে অনেক নাটক করেছিলেন, এবার হুগলি জেলা পরিষদের (Zilla Parishad)  সভাধিপতি সেই পথে হাঁটছেন। আসলে সামনে ভোট। তারজন্য মানুষের পায়ে ধরে নাটক করছেন। একসময় এরা মানুষের বুকে পা দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এখন মানুষ সেটা বুঝতে পেরেছে, সে কারণেই ওরা মানুষের পায়ে ধরছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “দুর্নীতির টাকাতে কেউ বিশ্বভ্রমণ করেছেন, কেউ চোখের ট্রিটমেন্ট”! বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “দুর্নীতির টাকাতে কেউ বিশ্বভ্রমণ করেছেন, কেউ চোখের ট্রিটমেন্ট”! বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানিক ভট্টাচার্য গোটা পরিবারকে নিয়ে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে এক টাকাও খরচ হয়নি। ইডির অনুমান, নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) টাকা দিয়েই এই বিদেশ ভ্রমণ করেছেন মানিক ভট্টাচার্য। এই প্রসঙ্গে শাসকদলকে (TMC) তীব্র আক্রমণ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেছেন, ‘বিপদে পড়লেই তৃণমূল নেতারা বিদেশে যান।’

    নয়া পর্ব, নয়া চমক

    এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘এই যে দুর্নীতির টাকা, এই টাকাতে কত জন, কতজনের স্বপ্ন পূরণ করেছে, কেউ বিশ্বভ্রমণ করেছেন, কেউ হয়তো চোখের ট্রিটমেন্ট করাতে বিদেশে গিয়েছেন। বিপদে পড়লেই তৃণমূল কংগ্রেসের বড় নেতারা বিদেশে চলে যান। চাপ যত বাড়ছে, মনে হচ্ছে কিছু নেতাদেরকে এই চাপ রিলিজ করতে একটু বিদেশ ভ্রমণে যেতেই হবে।’ তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্নীতিকে রোমহর্ষক ওয়েব সিরিজের সঙ্গেও তুলনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি দাবি করেন, শুধু চুনোপুঁটিরা নন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও চ্যাট হয়েছে। অর্থের বিনিময়ও হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শুধু প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিমাণ অন্তত ১০০ কোটি! আদালতে আর কী কী জানাল ইডি?

    পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সুকান্তর (Sukanta Majumdar) মন্তব্য, “এটা ওয়েব সিরিজের এক একটা এপিসোডের মতো। নতুন এপিসোড নয়া চমক। এতদিন আমরা কুন্তল, শান্তনুর নাম শুনেছি। এবার নয়া পর্ব, নয়া চরিত্র, অয়ন শীল।” তিনি আরও দাবি করেন, যখনই কোনও নতুন নায়ক আসেন তাঁর সঙ্গে হাজির হন নায়িকাও। উঠে আসে নতুন রহস্যময়ীর নাম। এবারের নায়িকা শ্বেতা চক্রবর্তী। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে তৃণমূল সব জায়গায় দুর্নীতি করেছে। শিক্ষক নিয়োগ, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে, পুরসভায় নিয়োগ সর্বত্র দুর্নীতির ছড়াছড়ি। সব ক্ষেত্রেই নগদ টাকার লেনদেন। রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তৃণমূলের অসংখ্য এজেন্ট, যাঁরা নিয়োগ দুর্নীতিতে হাত পাকিয়েছেন। সবটাই ক্রমশ প্রকাশ্য।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: শুধু প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিমাণ অন্তত ১০০ কোটি! আদালতে আর কী কী জানাল ইডি?

    TET Scam: শুধু প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির পরিমাণ অন্তত ১০০ কোটি! আদালতে আর কী কী জানাল ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু প্রাথমিকে নিয়োগের ক্ষেত্রেই দুর্নীতি (TET Scam) হয়েছে অন্তত ১০০ কোটি টাকার। মঙ্গলবার আদালতে এমনই দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মঙ্গলবার আদালতে রিমান্ড লেটারে ইডি (Enforcement Directorate) দাবি করে, আগামী দিনে তদন্ত এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে এই অঙ্ক বহু গুণ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এই দুর্নীতিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, অয়ন শীলরা একই সঙ্গে যুক্ত।

    কুন্তলের বিরুদ্ধে চার্জশিট

    মঙ্গলবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে কুন্তলের বিরুদ্ধে ১০৫ পাতার চার্জশিট পেশ করেন গোয়েন্দারা। সেই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাথমিকের চাকরি বিক্রি করে ১০০ কোটি টাকা তুলেছেন অয়ন শীল। মঙ্গলবার কুন্তলের বিরুদ্ধে পেশ করা চার্জশিটে একাধিক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে ইডি। চার্জশিটে ইডি জানিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে যোগসাজস করে প্রাথমিকে (TET Scam) চাকরি বিক্রি করেছেন অয়ন শীল। ২০১২ ও ২০১৪ সালের টেটে প্রায় ১০০ কোটি টাকার চাকরি বিক্রি করেছেন তিনি। জেরায় একথা কুন্তল জানিয়েছেন বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।

    আদালতে মানিক

    এদিন মানিক ভট্টাচার্য ও তাঁর স্ত্রী শতরূপা ও পুত্র সৌভিককে আদালতে পেশ করে ইডি। রিমান্ড লেটারে ইডি-র তরফে দাবি করা হয়, ধৃত কুন্তল ঘোষের বয়ান থেকে জানা গেছে যে, ২০১২ এবং ২০১৪-র টেট-এ (TET Scam) বহু অযোগ্য প্রার্থীকে পাস করিয়ে দিয়ে, তাঁদের থেকে প্রায় ১০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন অয়ন শীল। গোটা বিষয়টা জানতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। এর পাশাপাশি, ইডির আইনজীবী এদিন আদালতে দাবি করেন, মানিক ভট্টাচার্য গোটা পরিবারকে নিয়ে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে এক টাকাও খরচ হয়নি। ইডির অনুমান নিয়োগ দুর্নীতির (TET Scam) কালো টাকাই এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: থরে থরে সাজানো ওএমআর শিট! অয়নের বাড়িতে মিলল চাকরি পরীক্ষার এই সব উত্তর পত্র

    মানিকের জামিনের আর্জি খারিজ

    এদিন আদালতে মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী বলেন, “আমার মক্কেল কিছু বলতে চান।” তখন বিচারক বলেন, “আমরা সবাই আইনের ছাত্র। শুনেছি উনি আইন কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলেন। উনি নিশ্চই জানেন, একবার আইনজীবী নিয়োগ করলে আর আদালতে নিজে বলা যায় না। ” এদিন শুনানির পরে মানিককে ১৮ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক। শতরূপা এবং সৌভিকের জামিনের আর্জি সংক্রান্ত নির্দেশ বুধবার ঘোষণা করা হতে পারে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: রামনবমীর দিন দিল্লিতে মমতার ধর্না! তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumder: রামনবমীর দিন দিল্লিতে মমতার ধর্না! তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আগামী ২৯ এবং ৩০ মার্চ ধর্নায় (Dharna) বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। আর চলতি বছর ৩০ মার্চ রামনবমী। এই দিনটার হিন্দুদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন দিনকে ধর্নার জন্য বেছে নেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করলেন  বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। 

    মমতার দাবি

    মঙ্গলবার তিন দিনের ওড়িশা সফরে রওনা হওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের থেকে পাওনা টাকার দাবিতে আগামী ২৯ এবং ৩০ মার্চ দিল্লিতে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে তিনি টানা দু’দিনের ধর্নায় বসবেন।  মমতা জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনা, লাঞ্ছনা এবং দিল্লির একনায়ক মনোভাবের বিরুদ্ধে ধর্নায় বসছেন তিনি। ২৯ তারিখ দুপুর ১২টায় বিআর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসবেন। তা চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    সুকান্তর ট্যুইট

    মমতার এই ঘোষণার পরেই ট্যুইট করে ধর্নার দিন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মমতার ধর্নার দ্বিতীয় দিন ৩০ মার্চ, বৃহস্পতিবার রামনবমী। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই এই দিনটায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-সহ বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন শোভাযাত্রা বার করে। এই দিনটিকে মমতা কেন তাঁর ধর্নার জন্য বেছেছেন তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত।

    ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘এটা দুঃখের বিষয় যে, বাংলার শাসকদলের মধ্যে ‘হিন্দুফোবিয়া’ কাজ করছে। সাগরদিঘিতে হার সেই প্যান্ডোরার বাক্স আবার খুলে দিয়েছে। এই ধরনের ঘৃণাপ্রকাশের নজির লজ্জাজনক।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rampurhat: বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়িতে ঢুকতে বাধা তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে! কেন?

    Rampurhat: বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়িতে ঢুকতে বাধা তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বীরভূমের রামপুরহাটের (Rampurhat) বগটুই গ্রামে শহিদদের প্রথম বর্ষপূর্তি। এদিন শহিদদের বাড়িতে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগেই জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে বগটুইয়ে শহিদ পরিবারের বাড়ির সামনে শহিদ বেদি বানিয়েছে বিজেপি। পালটা শহিদ বেদি বানিয়েছে তৃণমূলও। এদিন বেলা ১টা নাগাদ বগটুইয়ে মিহিলাল শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যায় তৃণমূলের প্রতিনিধিদল। দলে ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, আশিসবাবুকে দেখেই দরজা বন্ধ করে দেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের বক্তব্য, আশিস ব্যানার্জিকে ভিতরে ঢুকতে দেব না। অনেক চেষ্টাতেও তাদের রাজি করাতে পারেননি তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে, আশিসবাবুকে ছাড়াই বাড়িতে ঢোকেন তৃণমূল নেতারা।

    কী বললেন শহিদ পরিবারের সদস্যরা? Rampurhat

    ২০২২ সালের ২১ মার্চ বীরভূম জেলার রামপুরহাটের (Rampurhat)  বগটুই গ্রামে ঘটানো হয়েছিল নৃশংস গণহত্যা। শহিদ পরিবারের অভিযোগ, আশিসবাবু বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারগুলির কোনও খোঁজ রাখেননি। ঘটনার পর তাঁকে এলাকায় দেখা যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে এলে তাঁর পিছন পিছন এসে মুখ দেখিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁদের দাবি, বগটুইকাণ্ডে নিহত ১০ জনের মধ্যে মাত্র ৩ জনের ডেথ সার্টিফিকেট জারি করেছে প্রশাসন। বাকি ৭ জনের ডেথ সার্টিফিকেট এখনও হাতে পাননি পরিবারের সদস্যরা। যার ফলে সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে পরিবার বঞ্চিত হচ্ছে। এখন ঘটা করে লোক দেখানো শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। কিন্তু, আক্রান্তদের পরিবার ও তাঁদের স্বজনরা যে সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ড এখনও ভুলতে পারেননি, ক্ষোভে ফুঁসছেন, সেই আভাস পাওয়া গিয়েছে বগটুই কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী মিহিলাল শেখের পরিবারের কথাতেই। ওই পরিবারের বক্তব্য, “আজ গ্রামে শহিদ দিবস পালন করা হচ্ছে। কিন্তু, এই শহিদ দিবসে যেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে না দেখা যায়, উনি যেন না আসেন। তিনি এলে গ্রামের মানুষ প্রতিরোধ করবে। তাঁকে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হবে না।”

    বগটুইয়ে শহিদ পরিবারে বাধা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? Rampurhat

    শহিদ পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ তৃণমূল বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “একথা আপনারা শুনেছেন। আমি তো শুনিনি। বাধা দেওয়ার কথা কে বলেছে, তাঁকে আমার সামনে নিয়ে আসুন। আর কিছু জানতে চাইলে হত্যাকাণ্ডের আরেক আক্রান্ত ফটিক শেখের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। তার পরিবার আমাকে নিয়ে কি কথা বলছে সেটাও শুনে নিন। তাঁদের বাড়িতে জল নিয়ে একটা সমস্যা হয়েছিল একবার। তাঁরা আমার কাছে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আমি নিজ উদ্যোগে সেই সমস্যার সমাধান করেছি।” কিন্তু, বেশ কয়েক মাস ধরে কেন আশিসবাবুকে বগটুইয়ের আশেপাশে দেখা যায়নি, এই প্রশ্ন করা হলে এর দায় তিনি মিডিয়া ও বিরোধীদের ওপরে চাপান। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চলছে। তাই, আমি এলাকায় আসিনি। কারণ,  মিডিয়া ও বিরোধী দলগুলি আমার নামে কুৎসা করার সুযোগ পেত, আর বলত যে আমি উপস্থিত থেকে সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছি।”

    বেদী তৈরি ও তাতে শ্রদ্ধা জানানোকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই বগটুইয়ে রাজনৈতিক পারদ চড়ছিল চড়চড় করে। এদিন শহিদ পরিবারের তৃণমূল বিধায়ককে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের (Civic Volunteer) ভূমিকা  নিয়ে নির্দেশিকা তৈরির নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। রাজ্য পুলিশের আইজিকে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। মঙ্গলবার তিনি জানান, আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে নির্দেশিকা তৈরি করে আদালতে জমা দিতে হবে।

    কী বলল আদালত

    মঙ্গলবার একটি মামলার শুনানির সময় কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা সম্পর্কে রাজ্যের কাছে জানতে চান। রাজ্যের কাছে আদালত জানতে চেয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কী ভূমিকা রয়েছে? কোন কোন কাজে ব্যবহার করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের? 

    সিভিক ভলান্টিয়ারদের ভূমিকা

    সম্প্রতি সরশুনা থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে  এলাকার এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ, দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার তাকে তুলে নিয়ে যায়। সঙ্গে পুলিশও ছিল। তার পর থেকে আর ওই যুবককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর পরেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় পরিবার। ওই যুবকের পরিবারের আইনজীবী সব্যসাচী চক্রবর্তী জানান, এর আগে হাওড়ার যুব নেতা আনিস খানের বাড়িতেও গভীর রাতে দুই সিভিল ভলান্টিয়ার গিয়ে হামলা চালান। পরবর্তীতে আমতা থানার পুলিশ আনিস খানকাণ্ডে সিভিক ভলান্টিয়ারদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নেয়। এক্ষেত্রেও সিভিকদের ভূমিক নিয়ে সন্দেহ উঠছে। আদালতে এদিন বিষয়টি ওঠার পরই বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Calcutta High Court) সিভিক ভলান্টিয়ারদের নিয়ে একটি বিস্তারিত গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকার জানিয়েছিল, ভালো কাজ করলে এবার থেকে রাজ্যে কর্মরত সিভিক ভলান্টিয়ারদের পদোন্নতি হবে বলে চিন্তাভাবনা রয়েছে নবান্নের। এই সিভিক ভলান্টিয়ারদের কনস্টেবল পদে নিয়োগ করা হবে। নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের দাবি, রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এটা একটা টোপ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share