Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মণীশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি, কোথায় জানেন?

    Anubrata Mondal: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ মণীশের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)  হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির বিপুল পরিমাণ জমির হদিশ পেল ইডি। এর আগে তাঁর ৮২৫ কাঠা জমির হদিশ মিলেছিল। এবার আরও সম্পত্তির খোঁজ মিলল। ইডি সূত্রে খবর, বোলপুর লাগোয়া রূপপুর এলাকায় একটি বড়সড় সম্পত্তি রয়েছে মণীশের। তৃণমূল সূত্রে খবর, ২০১৩-১৪ থেকে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রতের (Anubrata Mondal)   ‘ঘনিষ্ঠ’ হয়ে ওঠেন বোলপুরের চৌরাস্তার বাসিন্দা মণীশ। এর পরই তাঁর সম্পত্তি বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। এমনই একটি সম্পত্তি রয়েছে রূপপুর পঞ্চায়েত এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি, রূপপুর গ্রামে মণীশের ৩০-৩৫ বিঘা জমি কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা রয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি ঘরও রয়েছে। একটি রিসর্ট তৈরির পরিকল্পনা ছিল বলে জানান এলাকাবাসী। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, ‘আমরা অনেকের মুখেই শুনেছি, এই জমি মণীশ কোঠারির। কয়েক মাস আগেও কাজ হচ্ছিল। হঠাৎ কাজ বন্ধ হয়ে যায়।’ মণীশ কোঠারি তদন্তকারীদের আরও জানিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)   নির্দেশেই বিভিন্ন জায়গায় টাকা আমানত করেছেন তিনি। মণীশ আরও জানিয়েছেন, কোথায়, কার অ্যাকাউন্টে টাকা রাখা হবে, সেই নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলই (Anubrata Mondal)  ।

    বোলপুর চেয়ারপার্সনের নাম মণীশের মুখে, কেন? Anubrata Mondal

     ইডির দাবি, জেরায় মণীশ নাম নিয়েছেন বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ ও তাঁর স্বামী তথা তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষেরও। ইডি সূত্রে খবর, মণীশ জেরায় বলেছেন যে ২০১৮-১৯ সালের মধ্যে পর্ণা ও সুদীপ্ত অনেক জমি কিনেছেন। বোলপুর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর সূত্রেও খবর, ওই সময়ে ইলামবাজারের গোপালনগর মৌজায় পর্ণার নামে প্রায় ৬৮০ কাঠা জমি কেনা হয়েছিল। সেই জমির বর্তমান বাজার মূল্য ১৫ কোটিরও বেশি। এই বিষয়ে পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ বলেন, “আমার স্বামী চাকরি করেন। আমিও একটি স্কুলের সঙ্গীত শিক্ষিকা হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করছি। ২০১৫ সাল থেকে আমি কাউন্সিলর। চেয়ারপার্সন হিসেবে মাইনে পাই। এই সমস্ত কিছু যোগ করেও আমাদের যা সম্পত্তি আছে, তা ১৫ কোটি হবে না। এ বিষয়ে যদি তদন্তকারীরা আমাদের ডাকেন, নিশ্চয়ই সমস্ত কাগজপত্র দেখিয়ে আসব”।

    বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার নিয়ে কী বলছে বিরোধীরা? Anubrata Mondal

    এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে আক্রমণ করতে দেরি করেনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেন, “সঠিক তদন্ত হলে ওঁদের নামে আরও অনেক কিছু বেরোবে”। সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ বলেন, “তদন্ত যত এগোবে, ততই এঁদের দুর্নীতির বহর মানুষ বুঝতে পারবেন”।

    সোমবার রাউস অ্যাভেনিউ আদালতে তোলা হলে তাঁকে তিহাড় জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতের নির্দেশের পর একান্তে স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁর স্ত্রীকে। তবে এদিন ইডি মনীশকে আর তাঁদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি করেনি। তবে, জামিন পেলে অনুব্রতর (Anubrata Mondal)   হিসাবরক্ষক তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে বলে আদালতে জানান ইডির আইনজীবী। অন্যদিকে, মনীশের জামিন চেয়ে আদালতে আর্জি জানান তাঁর আইনজীবী। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর মনীশকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: সঙ্গী সায়গল-মণীশ-এনামুল! জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের, তিহাড় যাচ্ছেন কেষ্ট

    Anubrata Mondal: সঙ্গী সায়গল-মণীশ-এনামুল! জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের, তিহাড় যাচ্ছেন কেষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব জারিজুরি সার। অবশেষে তিহাড় যাচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরুপাচার মামলায় অভিযুক্ত অনুব্রতকে মঙ্গলবার তিহার জেলেই পাঠানোর নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যভিনিউ আদালত। এদিন ইডি হেফাজত শেষে আদালতে পেশ করা হলে বীরভূমের দাপুটে নেতা কেষ্টকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় কোর্ট। ৩ এপ্রিল পর্যন্ত তিহার জেলেই থাকবেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। 

    ১৩ দিনের জেল হেফাজত

    অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারির পর এবার গরু পাচারকাণ্ডে (cattle smuggling case) অভিযুক্ত বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) তিহারে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। গত ৭ মার্চ থেকে ইডি হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত। দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ইডির সদর দফতরে অনুব্রতকে লাগাতার জেরা করেন ইডি আধিকারিকরা। এদিন আদালতে অনুব্রতকে ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতে পাঠানোর আবেদন জানায় ইডি। কিন্তু আদালত ১৩ দিনের জেল হেফাজত মঞ্জুর করে অনুব্রতকে ৩ মার্চ ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছে। ওই দিন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) সঙ্গে হাজির করানো হবে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকেও।

    জেলে দোভাষীর ব্যবস্থা

    এদিন আদালতে নিজের ওষুধপত্র সঙ্গে রাখার আবেদন জানান অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে আদালত জানিয়েছে, প্রেসক্রিপশনে যে ওষুধগুলির উল্লেখ রয়েছে শুধুমাত্র সেগুলিই সঙ্গে রাখতে পারবেন অনুব্রত। চিকিৎসা করাতে পারবেন জেল হাসপাতালে। অনুব্রতকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে এদিন আদালতে অনুব্রত বলেন, তিনি বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা বলতে পারেন না। বিচারক তখন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) জন্য জেলে দোভাষীর ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দোভাষীর সঙ্গে কথা বলবেন কেষ্ট।

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে নিয়ে এখনও পর্যন্ত ৫ জন তিহাড় জেলে গেলেন। এই মামলায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল বিএসএফ কর্তা সতীশ কুমারকে। তারপর একে একে এই মামলায় এনামুল হক, অনুব্রতর (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সকলকেই তিহাড় জেলে পাঠানো হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • TET Exam: জট কাটল! ৮৩ নয়, ২০১৪ সালে টেটে ৮২ পেলেই উত্তীর্ণ, ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

    TET Exam: জট কাটল! ৮৩ নয়, ২০১৪ সালে টেটে ৮২ পেলেই উত্তীর্ণ, ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ৮৩ নয়, ২০১৪ সালে টেটে (TET 2014) ৮২ পেয়েছেন এমন প্রার্থীদের উত্তীর্ণ ঘোষণা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Board)। এর ফলে ওই বছর সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্ত টেট প্রার্থীদের নিয়োগ নিয়ে জট কাটল। পর্ষদ জানিয়ে দিল, ৮২ পেয়েছেন যাঁরা তাঁরাও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন।

    পর্ষদের নয়া নির্দেশিকা

    পর্ষদের নিয়ম অনুযায়ী ১৫০ নম্বরের মধ্যে ৮৩ পেলেই তবে পাশ হিসেবে ঘোষণা করা হত কোনও প্রার্থীকে। তবে সারা দেশের ক্ষেত্রে নিয়ম, ৮২ পেলেই পাশ। যা নিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। টেট প্রার্থীদের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন,  সংরক্ষিত শ্রেণিভুক্তরা ৮২ নম্বর পেলেই পাশ করবেন। এরপরও  ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ‘সংরক্ষিত’ তালিকায় সেই ব্যবস্থা করা হলেও ২০১৪ সালের চাকরি প্রার্থীরা বঞ্চিত ছিল এতদিন। অভিযোগ উঠেছিল ২০১৭-র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৮২ পেলে পাশ বলে ঘোষণা করা হলেও কেন ২০১৪-তে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য পেতে হবে ৮৩। সে ক্ষেত্রে অনেক প্রার্থীই বঞ্চিত হয়েছেন বলে মামলা হয় হাইকোর্টে। এরপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন ৮২ পেলে তাঁদের যেন পাশ বলে ঘোষণা করা হয়। এবার সেই প্রার্থীদেরই নিয়োগ (Recruitment) প্রক্রিয়া অংশ নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল পর্ষদ। 

    আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    সোমবার পর্ষদের তরফে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০১৪-র যে টেট প্রার্থীরা ৮২ পেয়েছেন, তাঁরা ২০ থেকে ২৪ মার্চ পর্যন্ত নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন। পর্ষদের ওয়েবসাইট www.wbbpe.org ও wbbprimaryeducation.org এই দুই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন প্রার্থীরা।  সোমবার থেকেই পর্ষদের ওয়েবসাইটে আবেদন করতে পারবেন তাঁরা।  পর্ষদ সূত্রে খবর, টেট ২০১৪-তে ৮২ পেয়ে উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ৭,৬৬৫। আর টেট ২০১৭-য় ৭২২ জন প্রার্থী ৮২ নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Anubrata Mondal: কেষ্টর চাপে জলের দরে নিজের সম্পত্তি সুকন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন! ইডিকে মণীশ

    Anubrata Mondal: কেষ্টর চাপে জলের দরে নিজের সম্পত্তি সুকন্যাকে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন! ইডিকে মণীশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। তাঁর হিসাবরক্ষক ছিলেন মণীশ কোঠারি। তাঁর উপর একরকম জোর করেই জলের দরে মেয়ে সুকন্যাকে বিপুল টাকার সম্পত্তি হস্তান্তর করতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। এমনটাই জানা গিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে। সুকন্যার নামে থাকা এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেড নামে সংস্থাটি ছিল আদতে মণীশের। তিনি ছাড়াও আরও ১৬ জন ছিলেন ওই সংস্থার অংশীদার। ইডির দাবি, মণীশ তাঁদের জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে এই সংস্থাটি সুকন্যার নামে হস্তান্তর করতে মণীশকে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তদন্তকারীদের মণীশ জানিয়েছেন, মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ওই সংস্থাটি সুকন্যার নামে বিক্রি করে দেন তিনি। সেই সময় ওই সংস্থার মূল্য ১৫ কোটি টাকা বলেও ইডিকে জানিয়েছেন মণীশ। তাঁর আমলে কেনা ওই সংস্থার সমস্ত সম্পত্তিও কেষ্ট কন্যাকে হস্তান্তর করতে হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে মণীশের মাধ্যমেই নীর ডেভলপার প্রাইভেট লিমিটেড নামে আরও একটি কোম্পানি  চালু করেন সুকন্যা। জেরার মুখে এমনটাই জানিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি।  কয়েকদিন আগেই অনুব্রতের হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তিনি এবার অনুব্রত ও তাঁর মেয়ের আয়ের উৎস সম্পর্কে একের পর এক তথ্য দিচ্ছেন ইডিকে।

    অনুব্রত (Anubrata Mondal) কন্যার ফিক্সড ডিপোজিটের টাকার উৎস কী

    অনুব্রতের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের ১৬ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান আগেই পেয়েছে ইডি। সেই এফডি যে গরু পাচারের টাকাতেই হয়েছে তা মণীশ কোঠারি জানিয়েছেন ইডিকে। এবার সুকন্যার আরও ১০ কোটি টাকা ফিক্সড ডিপোজিটের সন্ধান পেল ইডি। বোলপুরের ব্যাঙ্ক অব বরোদা-য় সুকন্যা মণ্ডলের নামে ১১টি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। ওইসব ফিক্সড ডিপোজিটের মোট মূল্য ৫ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। এছাড়াও সল্টলেক এসবিআইয়ের এক শাখায় রয়েছে ৫টি ফিক্সড ডিপোজিট। এর মূল্য ৪ কোটি ৫৭ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৬৪ টাকা। ওইসব ফিক্সড ডিপোজিট খোলা হয়েছে ২ বছরের মধ্যে। সময়টা ২০১৯ সালে মার্চ থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারির মধ্যে।  সূত্রের খবর, অনুব্রতের সিএ মণীশ কোঠারিকে জেরা করেই ওইসব তথ্য মিলেছে। মণীশ জানিয়েছেন গোরু পাচারের টাকাতেই ওইসব ফিক্সড ডিপোজিট করা হয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TET Scam: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    TET Scam: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিবকে তলব ইডির! কী জানতে চাইলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। নথি নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে গেলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের দুই প্রতিনিধি। ইডি সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই দুপুর ১২টা নাগাদ  ২০১২ এবং ২০১৪ সালে টেটের (TET Scam) প্যানেল সংক্রান্ত নথি নিয়ে তাঁরা হাজিরা দিয়েছেন।

    কেন এই তলব?

    প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সচিব রত্না বাগচীকে এদিন নথি-সহ তলব করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদে মানিক ভট্টাচার্য যখন ছিলেন, সেই সময় সচিব পদে কর্মরত ছিলেন রত্না। পর্ষদ সূত্রে খবর, বিভিন্ন সময়েই ইডির তরফ থেকে নথি চেয়ে পাঠানো হয়। সেই মতোই মঙ্গলবার নথি পাঠানো হয়েছে ইডির দফতরে। তবে ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের বাড়ি থেকে ২০১২ এবং ২০১৪ সালে টেটের প্যানেলের মতো একই ধরনের প্যানেল পাওয়া গিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ডেকে পাঠানো হয় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সচিবকে।

    আরও পড়ুন: পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি! রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা এই দুই প্যানেল (TET Scam) মিলিয়ে দেখতে চাইছেন। সেক্ষেত্রে যদি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্যানেলের নথি ও অয়নের বাড়ি থেকে পাওয়া প্যানেলের নথির মিল পাওয়া যায়, তাহলে এই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অয়নের যোগ আরও স্পষ্ট হবে।

    অয়ন যোগ

    প্রাইমারি স্কুলে (TET Scam) চাকরি করে দেওয়ার নামে অয়ন ৩৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন বলে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কলকাতার বাসিন্দা, জনৈকা সোমা মুখোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, পুলিশের খাতায় অয়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছিল, তারও আগে। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এলাকাসূত্রে খবর, মাঝবয়সি অয়ন প্রথমে কম্পিউটার সারাতেন। বছর তিনেক ব্লক অফিসে করণিকের কাজ করেন। তার পরে প্রোমোটিং ব্যবসায় আসেন। প্রতিপত্তি বাড়ে। থাকতেন কলকাতায়।চুঁচুড়ায় আসতেন কম। টলিউডেও পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। অভিযোগ, ২০০২-০৩ সালে অয়নের বাড়ির সামনে ব্যাগে করে টাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন চাকরিপ্রার্থীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।   

  • Suvendu Adhikari: খোদ কলকাতায় শীতলা মায়ের জাগরণে আক্রান্ত হিন্দুরা! তীব্র নিন্দা শুভেন্দুর, সরব নেটিজেনরাও

    Suvendu Adhikari: খোদ কলকাতায় শীতলা মায়ের জাগরণে আক্রান্ত হিন্দুরা! তীব্র নিন্দা শুভেন্দুর, সরব নেটিজেনরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খোদ কলকাতা শহরের প্রাণকেন্দ্রে মা শীতলার জাগরণে হিন্দুরা আক্রান্ত হলেন বলে অভিযোগ উঠল। এই নিয়ে সমাজমাধ্যমে হামলার ভিডিও প্রকাশ করে তীব্র নিন্দা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। 

    জানা গিয়েছে, শহরের প্রাণকেন্দ্র কলেজ স্ট্রিট বাটার কাছে একটি শীতলা মায়ের জাগরণ অনুষ্ঠান চলছিল। অভিযোগ, সেখানে দল বেঁধে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। আক্রান্তদের দাবি, হামলাকারীরা মুসলিম সম্প্রদায়ের। অভিযোগ, দল বেঁধে তারা এসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হিন্দুদের উপর মারধর করে বলে অভিযোগ। সোশ্যাল মিডিয়াতে ১ মিনিট ৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মোবাইলে তোলা সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চারিদিকে লণ্ডভণ্ড হয়ে রয়েছে। ভাঙা চেয়ার, ছেঁড়া জুতো রাস্তায় পড়ে রয়েছে। লোকজনের চিত্কার শোনা যাচ্ছে। কয়েকজনকে এলোপাথাড়ি পাথর ছুড়তে দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে একজন বলছেন, যেটা হচ্ছে, সেটা ঠিক হচ্ছে না। মুহূর্তের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। মোবাইলে তোলা সেই ছবি দেখলে বাংলাদেশ বা পাকিস্তানের স্মৃতি উসকে দেবে। খোদ কলকাতার বুকে এই ধরনের ঘটনায় শিউরে উঠেছেন নেটিজেনরা। 

    হামলার ঘটনা নিয়ে বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) কী টুইট করেছেন

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন। ভিডিওটি নিজের টুইটার হ্যাণ্ডল থেকে শেয়ার করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি লেখেন, ‘এই হচ্ছে আমার রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা। এই হল সেন্ট্রাল কলকাতার মতো জায়গার আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি। জাগরণ মঞ্চের উপর হামলা চালানো হল। কারা হামলা চালিয়েছে এবং কী কারণে চালিয়েছে তা ভিডিওটি দেখলেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রেই চালানো হল এই আক্রমণ। কলকাতার নগরপালকে অনুরোধ করবো তিনি যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেন।’

    বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) শেয়ার করা ভিডিওতে নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা। একজন লিখেছেন, ‘মিনি পাকিস্তান তো হয়েই গেছে। এইবার বড় পাকিস্তান হয়ে যাবে। উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই ২৪ পরগনাতে হিন্দুরা সংখ্যালঘু। এইবার আবার আমাদের উদ্বাস্তু হয়ে আসাম, ওড়িশাতে চলে যেতে হবে।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘পশ্চিমবাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে টিএমসি এবং এর সর্বোচ্চ ক্ষমতাধারি হচ্ছে অসৎ গুন্ডা বদমাইশ। অতএব এখানে ওই দলের কাছে ভালো কিছু আশা করা বাতুলতা মাত্র।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                     

  • Ayan Shil: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী’! ইডির নজরে অয়নের ‘বান্ধবী’ শ্বেতা চক্রবর্তী, কে তিনি?

    Ayan Shil: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী’! ইডির নজরে অয়নের ‘বান্ধবী’ শ্বেতা চক্রবর্তী, কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার শিকড় কতটা গভীরে ও কতটা দূরে ছড়িয়ে পড়েছে, তা ভালই টের পাচ্ছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। প্রায় প্রতিদিন নিত্য নতুন নাম উঠে আসছে তদন্তের আওতায়। সেই তালিকার নবতম সংযোজন অয়ন শীল (Ayan Shil)। সদ্য বহিষ্কৃত হুগলি তৃণমূলের যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেই পরিচিত পেশায় প্রোমোটার অয়ন। ইডির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর লিঙ্কম্যান হল এই অয়ন শীল। এবার সেই অয়নের এক ঘনিষ্ঠ-র সন্ধান পেলেন তদন্তকারীরা।

    প্রোমোটার অয়নের অফিসে ‘গুপ্তধন’

    বলাগড়ে অয়নের (Ayan Shil) গেস্ট হাউস ও সল্টলেকে তার দফতরে হানা দিয়ে বিপুল বেআইনি লেনদেনের নথি ও তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারীদের। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর ওএমআর শিট থেকে অ্যাডমিট কার্ড— যা কি না পুরসভা নিয়োগ থেকে শুরু করে একাধিক সরকারি নিয়োগ-বিষয়ক বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও একাধিক কম্পিউটার থেকে ডিজিটাল তথ্য সংগ্রহ করেছেন তদন্তকারীরা। ৩৭-ঘণ্টা সল্টলেকের অফিসে ম্যারাথন তল্লাশি অভিযানের পর অয়নকে গ্রেফতার করে ইডি। গতকাল অর্থাৎ, সোমবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে ১ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

    আরও পড়ুন: পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি! রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে নয়া তথ্য

    ফের এক রহস্যময়ীর খোঁজ

    ইডি সূত্রে খবর, অয়নের (Ayan Shil) ব্যাঙ্কের নথি খতিয়ে দেখে এক রহস্যময়ী নারীর খোঁজ মিলেছে। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই রহস্যময় নারী অয়ন শীলের বান্ধবী। ইডি সূত্রে খবর, অয়ন শীলের ৩২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে এখনও অবধি। যার মধ্যে অয়ন শীলের নামে ৮টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। দুটো রয়েছে অয়নের স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ নামে। স্ত্রীর নামে পৃথকভাবে রয়েছে দুটো অ্যাকাউন্ট। দুটো অ্যাকাউন্ট অয়নের সংস্থা ও বাকি তাঁর ঘনিষ্টদের নামে। এছাড়াও, ওই বান্ধবীর নামেও একটি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। 

    রহস্যময়ীর পরিচয় কী?

    ইডির তদন্তে উঠে এসেছে, অয়ন শীলের (Ayan Shil) অ্যাকাউন্ট থেকে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ওই মহিলার অ্যাকাউন্টে গিয়েছে। ইডি সূত্রের খবর, অয়নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে যে রহস্যময়ীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, তাঁর নাম শ্বেতা চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়। ইডির আরও দাবি, ওই মহিলা অয়নকে হোয়াটস্যাপে মেজেস করে বলেন, ‘পালিয়ে যাও, জিনিসপত্র সরিয়ে দাও। ইডি আসতে পারে।’  ইডি সূত্রে দাবি, শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছে। তিনি অয়নের থেকে ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলে দাবি ইডির। জানা যাচ্ছে, শ্বেতা টালিগঞ্জের মডেল। কাজ করেছেন সিনেমা এবং টেলিফিল্মে। কামারহাটি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ারের সহকারি হিসেবে তিনি চাকরি করেন। নৈহাটির জেলাপাড়ার বাসিন্দা শ্বেতা চক্রবর্তী। অয়নের বান্ধবী হন্ডা সিটি গাড়ি কিনেছিলেন। 

    কী বলছেন তদন্তকারীরা?

    এখানেই শেষ নয়। ইডি সূত্রে খবর, ওই বান্ধবী ছাড়াও আরও দুই মহিলার অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। তিনজন মহিলার নামে মোট ৫টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, নিয়োগকাণ্ডে যে টাকার কমিশন, তার প্রায় ৪-৫ কোটি টাকা শুধু আত্মীয় পরিজন নয়, এই মহিলাদের অ্যাকাউন্টেও গিয়েছে। কী কারণে ওই টাকা ওই মহিলাদের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছিল? তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

    আরও পড়ুন: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    নিয়োগ-কাণ্ডে নারী-যোগ

    অর্থাৎ, নিয়োগ-দুর্নীতিকাণ্ডে আবারও এক রহস্যময়ীর সন্ধান মিলল। নিয়োগ কাণ্ডের তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক মহিলার নাম। প্রথমেই উঠে আসে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম, যার জোড়া ফ্ল্যাট থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়। সেই ঘটনা এই দুর্নীতিকাণ্ডের ওপর থেকে পর্দা সরিয়ে দেয়। এরপর তদন্ত যত এগিয়েছে, এক এক করে নাম এসেছে কখনও মোনালিসা, তো কখনও হৈমন্তী, তো কখনও আবার সোমা। এর আগে, পার্থ-অর্পিতা, গোপাল-হৈমন্তী ও কুন্তল-সোমাকে দেখেছে রাজ্যবাসী। এবার অয়ন-শ্বেতা।

  • Recruitment Scam: পুরসভাতেও চাকরি-বিক্রি! কোন পদের জন্য কত টাকা? অয়নের ছিল ‘রেট-চার্ট’

    Recruitment Scam: পুরসভাতেও চাকরি-বিক্রি! কোন পদের জন্য কত টাকা? অয়নের ছিল ‘রেট-চার্ট’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) জাল। শুধু শিক্ষা নয়, পুরসভাতেও টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে বলে সন্দেহ তদন্তকারীদের। রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তে নেমে হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ প্রোমোটার অয়ন শীলের কাছ থেকে মিলেছে একাধিক নথি। যার মধ্যে রয়েছে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও।  সোমবার অয়নকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। হুগলির প্রোমোটারকে আগামী ১ এপ্রিল পর্যন্ত হেফাজতে পেয়েছে ইডি। অয়নের কাছ থেকে অনেক তথ্য পাওয়া যাবে বলে দাবি ইডির। 

    ছয় পুরসভার প্রতি স্তরের নিয়োগে দুর্নীতি

    ইডি সূত্রে খবর, সল্টলেক এফডি ব্লকের ৩৮৮ নম্বর বাড়িতে অয়নের যে অফিস ছিল, সেখানে প্রায় ৩৭ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে মিলেছে পুরসভা নিয়োগেও (Municipal Recruitment Scam) জালিয়াতির তথ্য। তদন্তকারীদের দাবি, উত্তর ২৪ পরগনার ছয় পুরসভার প্রতি স্তরের নিয়োগে (Recruitment Scam) হাজার হাজার চাকরি বিক্রি হয়েছে। পুরসভার গাড়ি চালক থেকে টাইপিস্ট পদে চাকরি। সব ক্ষেত্রেই লাখ লাখ টাকায় চাকরি বিক্রি হয়েছে বলে দাবি ইডির। এদিন অয়নকে আদালতে পেশ করে ইডি দাবি করে, ”শান্তনু ঘনিষ্ঠ এই প্রোমোটারের অফিস থেকে পুরসভা নিয়োগেও দুর্নীতির হদিশ মিলেছে।” ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ”দমদম, দক্ষিণ দমদম, উত্তর দমদম, বরানগর, হালিশহর এবং কামারহাটি পুরসভার নিয়োগেও অনিয়ম হয়েছে।” তদন্তকারী আধিকারিকদের অনুমান, শুধু শিক্ষক নিয়োগ নয়, অয়ন শীলের সঙ্গে জুটি বেঁধে পুরসভাতেও নিয়োগ চক্র চালাতেন সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়।

    এজেন্টদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়

    ইডির তরফে দাবি করা হয় যে, সল্টলেকে অয়নের অফিস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) সংক্রান্ত প্রচুর পরিমাণে নথি উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েক জন এজেন্টের নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা হলেন, ‘কানুদা’, ‘লাল’, ‘এমডি’, ‘তপনদা’। এই এজেন্টদের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে পুরসভায় চাকরি দেওয়া হয়েছিল বলে অনুমান তদন্তকারীদের। প্রত্যেক এজেন্টের ক’জন চাকরিপ্রার্থী, তা যেমন উল্লেখ করা রয়েছে। তেমনই টাকার লেনদেন নগদ না ব্যাঙ্কে হয়েছে— সেই বিবরণও পাওয়া গিয়েছে ওই নথি থেকে। নথি থেকে জানা য়ায়, এজেন্ট ‘কানুদা’র ৯৬ জন প্রার্থী,‘লালে’র প্রার্থীর সংখ্যা ৬৮,‘তপনদা’র প্রার্থীর সংখ্যা ১৫,  ‘এমডি’ নামে আরও এক জনের প্রার্থীর সংখ্যা ৪৩। ওই চাকরিপ্রার্থীদের রোল নম্বর, পদ, পুরসভা, বিভাগ-সহ বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে ওই তালিকায়।

    আরও পড়ুন: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    কোন চাকরির দর কত?

    চাকরি ‘বিক্রি’র ‘রেট চার্ট’ ছিল অয়ন শীলের। পরীক্ষার খাতায় যা-ই লিখুন না কেন,‘রেট’ অনুযায়ী টাকা দিলে চাকরি ছিল বাঁধা। গ্রপ ডি-র বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার জন্য চাওয়া হত ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা, আর গ্রুপ সি পদের দর ছিল ৭ থেকে ৮ লক্ষ টাকা। এমনকী শ্রমিক, চালক, সাফাইকর্মীর মত পদে কাজ দেওয়ার জন্যও ৪ লক্ষ টাকা করে চাওয়া হত। সেই রেট কার্ড ইতিমধ্যেই আদালতে পেশ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। অয়ন শীলের পাঁচটি ল্যাপটপ, পাঁচটি ডেস্কটপ, দুটি ফোন ও একটা ম্যাক বুক উদ্ধার করেছে ইডি। সেই সব ডিজিটাল প্রমাণ থেকেই ওই রেট কার্ড মিলেছে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত ৩০ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে অয়ন শীলের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত! ঠিকানা তিহাড় জেল

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত! ঠিকানা তিহাড় জেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। আপাতত তিহাড় জেলই ঠিকানা তাঁর। গ্রেফতার হওয়ার পর ৫ দিন পর ইডি হেফাজত শেষে সোমবার আদালতে তোলা হয়েছিল মণীশ কোঠারিকে। এদিন মণীশকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায়নি ইডি। তাদের দাবি, মণীশ কোঠারির থেকে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়ে গিয়েছে। তবে ইডির যুক্তি ছিল,জামিন পেলে তদন্ত প্রভাবিত করতে পারেন মণীশ কোঠারি।

    মণীশের নামে বিপুল সম্পত্তি

    ইডি সূত্রে খবর, গরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার পিছনে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মণীশের সক্রিয় ভূমিকা ও পরিকল্পনা ছিল। মণীশকে জেরা করে ইডি জানতে পেরেছে, কালো টাকা সাদা করার জন্য অনুব্রতর কালো টাকা ঢালা হয়েছিল আইপিএলেও। মণীশ কোঠারির ‘পরামর্শেই’ নাকি এই কাজ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বোলপুরের আশপাশেও মণীশের নামে বিপুল অঙ্কের সম্পত্তির হদিস মিলেছে। তাঁর নামে সমস্ত জমির বাজারমূল্য ১৭-১৮ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দাবি, মণীশকে জেরা করেই সুকন্যার নামে বোলপুর ও সল্টলেকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মেয়াদি আমানতের সন্ধান মিলেছে। এদিন শুরু থেকেই জামিনের আবেদন জানান মণীশের আইনজীবী। কিন্তু ইডির যুক্তি মেনে মণীশ কোঠারিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। মণীশের স্ত্রী এদিন দাবি করেন তাঁর স্বামী নির্দোষ।

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    ইডির তরফে জানানো হয়, জেরায় মণীশ জানিয়েছেন এনএম অ্যাগ্রোকেম সংস্থাটি আসলে তাঁর ছিল। তবে ২০১৮ সালে সেই সংস্থা তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে লিখে দিতে বাধ্য করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। বিক্রি করার সময় সংস্থার বাজারদর ছিল ১৫ কোটি। তার বদলে মাত্র ৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা মণীশকে দিয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal) । প্রসঙ্গত, গরুপাচারকাণ্ডের চার্জশিটে অনুব্রতর মেয়েকে একটি সংস্থা হস্তান্তরের কথা উল্লেখ করেছিল ইডি। মণীশ কোঠারির দাবি যাচাই করে দেখছেন গোয়েন্দারা। এই সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। আপাতত তিহাড় জেলেই থাকতে হবে মণীশকে। যেখানে রয়েছেন অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। মঙ্গলবার রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে তোলা হবে অনুব্রতকেও (Anubrata Mondal) । তাঁর কী পরিণতি হয়? এখন সেদিকেই নজর সকলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে আরও কারা? ফের এফআইআর দায়ের, নতুন করে তদন্ত সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে ২০২০ সালে প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নতুন করে এফআইআর করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। ওই বছর প্রাথমিকে ১৬ হাজার ৫০০ পদে নিয়োগে দুর্নীতির (SSC Scam) প্রমাণ পাওয়ায় এ নিয়ে সিবিআইকে তদন্ত করার জন্য গত ২ মার্চ নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পৃথক এফআইআর করারও অনুমতি দিয়েছিল হাইকোর্ট। আদালত সেই নির্দেশ দেওয়ার পরে শনিবার, ১৮ তারিখ এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।

    নয়া অভিযোগ

    নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) নেপথ্যে থাকা অনেক মাথাই এখনও আড়ালে রয়ে গিয়েছে আশঙ্কা করে সিবিআইকে পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত ২ মার্চ ওই শুনানিতে বিচারপতি বলেছিলেন, সিবিআইয়ের সঙ্গে ইডিও এই মামলার তদন্ত করবে। তাদের ২০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার ১৮ মার্চ এই সংক্রান্ত এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এফআইআরে সিবিআই জানিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অজ্ঞাত পরিচয় কিছু কর্মী এবং কিছু অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুুন: ‘তৃণমূল নেতাদের রাঁধুনি হলেও মিলবে ৬০ লক্ষ টাকা’! কটাক্ষ সুকান্তর

    সিবিআই-এর এফআইআর-এ নামোল্লেখ না করে নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এঁদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, তথ্য-বিকৃতি, অপরাধের জন্য সরকারি নথি জাল-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২০২০-র বেআইনি নিয়োগের নেপথ্যে অন্যতম প্রধান চক্রী হিসেবে আদালত চিহ্নিত করেছে এস বসু রায় এন্ড কোম্পানিকে। ২০১৪ সালের টেটের উত্তরপত্র মূল্যায়নের বরাত পেয়েছিল ওই কোম্পানি। তাঁদের দেখা উত্তরপত্রে যোগ্যদের বঞ্চিত করে অযোগ্যদের বেশি নম্বর পাইয়ে দিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিচারপতি সিবিআইকে বলেছিলেন, কী ভাবে পর্ষদের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজের দায়িত্ব এই সংস্থাকে দেওয়া হল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। এই সমস্ত বিষয়টি সামনে আসতেই নতুন করে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দেয় আদলত। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share