Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Jitendra Tiwari: ‘যারা গদিতে ঘুমোয়, তারা ভাবুক, কী হবে’, বললেন কম্বলকাণ্ডে ধৃত জিতেন্দ্র

    Jitendra Tiwari: ‘যারা গদিতে ঘুমোয়, তারা ভাবুক, কী হবে’, বললেন কম্বলকাণ্ডে ধৃত জিতেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমার যা লাইফস্টাইল আমি মাটিতেও শুতে পারি। আমার পুলিশ হেফাজত হোক বা জেল হেফাজত, কিচ্ছু যায় আসে না। যারা মোটা মোটা গদিতে ঘুমোয়, তারা ভাবুক, তাদের কী হবে। রবিবার কথাগুলি বললেন কম্বলকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি (BJP) নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari)। এদিনই আসানসোলের বিশেষ আদালত (Court) জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। তার পরেই ওই কথাগুলি বলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা। এদিন তাঁকে আদালত থেকে বের করার পথে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন তাঁরা।

    জিতেন্দ্র তিওয়ারি (Jitendra Tiwari) বলেন…

    এদিন আদালতে নিজেই সওয়াল করেন জিতেন্দ্র। বলেন, সুপ্রিম কোর্টে আগামিকাল (সোমবার) এই মামলার শুনানি রয়েছে। সেজন্য পুলিশ হেফাজত দিন। কিন্তু দু দিনের জন্য দিন। তার পরে সুপ্রিম কোর্টের রায় যা হবে, তা দেখে প্রয়োজন হলে আরও ১২ দিন পুলিশ হেফাজত দিয়ে দেবেন। কিন্তু আজ দু দিনের পুলিশ হেফাজত দিন। দু পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক জিতেন্দ্রকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    প্রসঙ্গত, আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জিতেন্দ্রর (Jitendra Tiwari) স্ত্রী চৈতালি। বিজেপির এই নেত্রীর উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর হয় কম্বল বিলি অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যাওয়ার পরেই হুড়োহুড়ি শুরু হয় কম্বল নেওয়ার জন্য। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে। পুলিশ জানিয়ে দেয়, ওই অনুষ্ঠানের জন্য তাদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। জিতেন্দ্র ও তাঁর স্ত্রীকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

    আরও পড়ুুন: ইডির হাতে আটক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার, উদ্ধার হার্ডডিস্ক

    জিতেন্দ্রর (Jitendra Tiwari) বিরুদ্ধে অনচ্ছাকৃত খুন, অনিচ্ছাকৃত খুনের চেষ্টা ও যৌথভাবে কোনও ঘটনা সংগঠিত করার মামলা রুজু করে পুলিশ। শনিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর ও আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডার যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে গ্রেফতার করে জিতেন্দ্রকে। পরে তাঁকে আসানসোল নিয়ে যায় পুলিশ। এদিন তোলা হয় আদালতে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Teacher Recruitment Scam: ইডির হাতে আটক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার, উদ্ধার হার্ডডিস্ক

    Teacher Recruitment Scam: ইডির হাতে আটক বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনুর ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার, উদ্ধার হার্ডডিস্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Teacher Recruitment Scam) মামলায় আটক হুগলির বহিষ্কৃত তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার। ইডির (ED) নজরে রয়েছেন বলাগড়ের এক সিভিক পুলিশও। শনিবার শান্তনুর রিসর্ট ও বাড়িতে অভিযান চালায় ইডি। টানা এগারো ঘণ্টা তল্লাশির পর এদিন সন্ধে নাগাদ ইডি আটক করে প্রোমোটার অয়ন শীলকে। অয়নকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সিজিও কমপ্লেক্সে। ইডি সূত্রে খবর, তল্লাশি অভিযানে আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু ফাইলও এসেছে। প্রসঙ্গত, এবিএস টাওয়ারের ওই আবাসনে শান্তনুর ফ্ল্যাটের পাশেই রয়েছে অয়নের ফ্ল্যাট।

    ইডির চিরুনি তল্লাশি…

    এদিন চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ায় শান্তনুর ফ্ল্যাটে ঢোকেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ফ্ল্যাটের ভিতরে কার্যত চিরুনি (Teacher Recruitment Scam) তল্লাশি চালান তাঁরা। তার পরেই উদ্ধার হয় একাধিক ফাইল। এদিন তদন্ত চালানোর পাশাপাশি বলাগড় থানার সিভিক ভলান্টিয়ার নিলয় মালিক, শ্রীপুর বলাগড় পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিশ্বরূপ প্রামাণিক ও আকাশ ঘোষকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয়। আকাশ, বিশ্বরূপ ও নিলয়কে আগামী সপ্তাহে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় বলে ইডি সূত্রে খবর। এদিন শান্তনুর রিসর্টের অদূরে জনৈক পূর্ণচন্দ্র ঘোষের বাড়িতেও যায় ইডি। সেখান থেকে দুটি ব্যাগে করে হার্ডডিস্ক নিয়ে আসা হয়। শান্তনুর গ্রেফতারির পর থেকেই তাঁর পরিবার দাবি করছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা নির্দোষ। শান্তনুর শাশুড়িরও দাবি, জামাই নির্দোষ। শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, স্বামীর কিছু সম্পত্তির বিষয়ে জানলেও, পুরোটা জানতাম না। ওর যে ২০ কোটির মতো সম্পত্তি রয়েছে, সেই বিষয়টি আমার জানা নেই। তিনি বলেন, ও বিয়ের আগে থেকে রাজনীতি করত।

    আরও পড়ুুন: ধৃত খলিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংহের পিছনে পাক যোগ?

    বলাগড়ে (Teacher Recruitment Scam) ১০ বিঘা জমির উপর রিসর্ট তৈরি করে শান্তনু। মোটা টাকা বিনিয়োগ করেই যে এই ঝাঁ চকচকে রিসর্টটি তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই গোয়েন্দাদের। শনিবার সকাল দশটা নাগাদ এই রিসর্টে আসেন ইডির আধিকারিকরা। গেটের তালা ভেঙে রিসর্টে ঢোকেন তাঁরা। এরপর ভিতরের ঘরগুলির একের পর এক তালা ভাঙেন তাঁরা। সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে এবং এই সংক্রান্ত অন্য নথির খোঁজে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে তল্লাশি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: রিসর্টের মালিক কে? নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী আকাশকে প্রশ্ন ইডির

    SSC Scam: রিসর্টের মালিক কে? নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী আকাশকে প্রশ্ন ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত শান্তনুর ছায়াসঙ্গী সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। শনিবার সকালে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে বলাগড়ের রিসর্টে নিয়ে যান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকেরা। খাতায়কলমে বলাগড়ের চাঁদড়া বটতলা এলাকার ওই রিসর্টের মালিক  তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই রিসর্টের মালিক আকাশ হলেও, আদতে ওই রিসর্টের মালিক শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ই। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর নাম জড়ানোর পর থেকেই নামে-বেনামে তাঁর এবং তাঁর স্ত্রীর একাধিক সম্পত্তির হদিস মিলেছে। ইডির দাবি, একাধিক বাড়ি, রেস্তরাঁ, বিলাসবহুল বাগানবাড়ির মালিক এই শান্তনু। 

    বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে জমি কব্জা

    বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বন্দুক দেখিয়ে জমি দখলের অভিযোগ করলেন স্থানীয়রা। শনিবার বলাগড়সহ হুগলিতে শান্তনুর একাধিক ঠিকানায় হানা দেয় ইডি। তল্লাশি চলে শান্তনুর বলাগড়ের রিসর্টেও। স্থানীয় ২ ব্যক্তির দাবি, ওই জমি মাথায় বন্দুক ধরে বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল শান্তনুর পোষা গুন্ডারা। জমি হারানো এক ব্যক্তি দাবি করেন,”বছর খানেক আগে জমি বিক্রির জন্য শান্তনু আমাকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু আমি জমি বিক্রি করতে রাজি ছিলাম না। জমি বিক্রির জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে শান্তনুর পোষা গুন্ডারা। আমাকে বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। চাপের মুখে জলের দড়ে আড়াই বিঘা জমি বিক্রি করতে বাধ্য হই।”

    ১০০ দিনের কাজের আওতায় পাঁচিল তৈরি

    ১০০ দিনের সরকারি কাজের নাম করে গ্রামবাসীদের দিয়ে নিজের কাজ করিয়ে নিয়েছেন বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়, এমনটাই অভিযোগ তুলছেন এলাকার প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। অভিযোগ, বলাগড়ে শান্তনুর যে রিসর্ট রয়েছে, তার চারপাশে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা হয়েছে বেশ কিছু জমি। ১০০ দিনের কাজের টাকাতেই সেই কাজ করানো হয়েছে। একই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কারও কারও অভিযোগ, শান্তনুর রিসর্টের কাজ করেও তাঁরা প্রাপ্য টাকা পাননি।

    আরও পড়ুুন: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    রিসর্টের মালিকানা ঘিরে জল্পনা

    বলাগড়ে ১০ বিঘা জমির উপর রিসর্ট তৈরি করে শান্তনু। মোটা টাকা বিনিয়োগ করেই যে এই ঝাঁ চকচকে রিসর্টটি তৈরি হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও সংশয় নেই গোয়েন্দাদের। সংশয় রয়েছে ওই রিসর্টের মালিকানা নিয়ে। কাগজে কলমে ওই রিসর্টটির মালিক শান্তনুর ছায়াসঙ্গী সুপ্রতিম ঘোষ ওরফে আকাশ। বলাগড়ের জিরাট কলেজের কর্মী তিনি। তবে কাগজে তাঁর নাম থাকলেও আদপে রিসর্টটি শান্তনুর এমনই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। আকাশ এলাকায় শান্তনুর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ইডির সন্দেহ, রিসর্ট নিয়ে আকাশ অনেক কিছু জানেন। এমনকী শান্তনুর সঙ্গে আকাশের নিয়মিত আর্থিক লেনদেনও হত বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Interrogation: শান্তনুর স্ত্রী ও কুন্তলের পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি

    Interrogation: শান্তনুর স্ত্রী ও কুন্তলের পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেক্স: তৃণমূলের (TMC) বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা ও আর এক বহিষ্কৃত নেতা কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) পার্টনারশিপ সংস্থার হদিশ পেল ইডি (ED)। অন্তত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার (Interrogation) দাবি তেমনই। ইডি সূত্রে খবর, কুন্তলকে জেরা করে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গিয়েছে। প্রিয়ঙ্কাদের ওই সংস্থায় আরও দুজন পার্টনার ছিলেন। এবার তাঁদেরও জেরা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রিয়ঙ্কাদের ওই সংস্থার মাধ্যমে কী ধরনের লেনদেন হয়েছে, নিয়োগ কেলেঙ্কারির টাকা এই সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে কিনা, সেসবই খতিয়ে দেখবেন তাঁরা। ইডির দাবি, কুন্তলের দুটি অ্যাকাউন্টে লেনদেন হয়েছে প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা। টাকা গিয়েছে টালিগঞ্জের একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীর অ্যাকাউন্টেও।

    ইডির দাবি…

    এদিন ইডির আইনজীবীর (Interrogation) দাবি, দুটো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যেখানে সাড়ে ৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। টালিগঞ্জের কয়েকজনের সঙ্গেও যোগসূত্র রয়েছে। শর্ট ফিল্ম তৈরির জন্য পার্টনারশিপ ফার্ম তৈরি করেছেন কুন্তল। এই টাকার একটা বড় অংশ শর্ট ফিল্ম বানানোর জন্য টালিগঞ্জের স্টারদের কাছে গিয়েছে। একজনকে গাড়ি কিনে দিয়েছিল। যাঁর নাম বনি সেনগুপ্ত। তিনি স্বীকার করেন যে, গাড়ি কেনার জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। সেই টাকা বনি ফেরত দিয়েছেন। টাকা নিয়েছিলেন সোমা চক্রবর্তীও। তিনিও ৫৫ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, সেই সময় তাঁরা জানতেন যে এটা নিয়োগ দুর্নীতির টাকা। জানতে পেরে টাকা ফেরত দিয়েছন।

    আরও পড়ুুন: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    এদিকে, শান্তনুকে (Interrogation) নির্দোষ বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা। একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, তাঁর স্বামী পুরোপুরি নির্দোষ। তবে কেউ ষড়যন্ত্র করেছেন কি না, তা অবশ্য জোর দিয়ে বলতে পারেননি তিনি। শনিবার সকাল থেকে শান্তনুর বাড়ি, গেস্ট হাউস, ঘনিষ্ঠের বাড়িতে গিয়েছে ইডি। যদিও প্রিয়ঙ্কা বলেন, শান্তনু কোনও দুর্নীতির সঙ্গে একেবারেই যুক্ত নন। তদন্ত চলছে সবটাই দেখতে পাবেন। সবটাই তদন্তসাপেক্ষ। তিনি বলেন, এত টাকার সম্পত্তি রয়েছে, আমার জানা নেই। থাকলে আমি জানতাম। কুন্তল তাঁদের বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন বলেও জানান প্রিয়ঙ্কা। তিনি বলেন, কুন্তল ঘোষকে চিনতাম, ঠিক যেমন পাড়ার ছেলেদের চেনে। আমাদের বাড়িতেও এসেছে। বাড়িতে কোনও অনুষ্ঠান হলে নিমন্ত্রণ করা হত, তখন আসত। প্রিয়ঙ্কার দাবি, তাঁর স্বামীর যা কিছু সবটাই নিজে থেকে করেছেন। ধাবা, গেস্ট হাউস, বাড়ি সবই সৎপথের রোজগারে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: স্কুল ইউনিফর্মের বরাতে নেওয়া হয়েছে কাটমানি? বোমা ফাটালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর দুয়েক আগে একবার তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগে সরগরম হয়েছিল বাংলা। এবার কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ খোদ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। সেবার অভিযোগ তুলেছিলেন বঙ্গবাসী। এবার অভিযোগ তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পোশাকের মাপ নিতে। আর পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রীয়ভাবে নিজের পছন্দের কোনও সংস্থার মাধ্যমে (যার নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন রয়ে যাচ্ছে) আগে থেকে ঠিক করা নিম্নমানের পূর্ব নির্ধারিত গড় মাপের কাপড় (কাটমানির বিনিময়ে) সরবরাহ করার পরিকল্পনা করে বসে রয়েছে।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অভিযোগ…

    ট্যুইটে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) আরও লেখেন, সেলফ হেল্প গ্রুপের সদস্যরা গত বছরের সেলাই কাজের জন্য সম্পূর্ণ টাকা পায়নি। এখন যদি তারা পরিমাপ করে এবং স্ট্যান্ডার্ড আকারের ইউনিফর্ম ছাত্রদের সঙ্গে মানানসই না হয়, তাহলে স্থানীয়স্তরে তাদের দায়ী করা হবে। আমি এসএইচজি বোনদের অনুরোধ করছি, এই ধরনের আদেশ অনুসরণ করার আগে বিচক্ষণতা প্রয়োগ করতে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা যে মাপ নিতে যাবেন, সেটা একেবারেই আইওয়াশ।

    তাঁর ব্যাখ্যা, ইতিমধ্যেই সেই সব ইউনিফর্ম তৈরি হয়ে রয়েছে। এখন বলা হচ্ছে, মাপ নিতে যাবেন স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যরা। এরপর যখন পোশাকের মাপ ছোট-বড় হবে, তখন পুরো দায় ঠেলা হবে স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের ওপর।

    আরও পড়ুুন: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ইউনিফর্ম তৈরি হয়েছে গড় মাপে। এই মাপ নেওয়া লোক দেখানো। তাঁর দাবি, গত বছরের সেলাইয়ের কাজের পুরো পাওনা এখনও স্বনির্ভরগোষ্ঠীর সদস্যদের মেটানো হয়নি। তার ওপর নতুন ঝামেলার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে তাদের। শিক্ষাক্ষেত্রে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার রাজ্য। সেই তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে নিয়োগ কেলেঙ্কারি। সম্প্রতি এই তালিকায় যোগ হয়েছে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের ইউনিফর্মে দুর্নীতির অভিযোগ। এর সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগও।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jitendra Tewari: আসানসোল কম্বলকাণ্ডে নয়ডা থেকে সস্ত্রীক গ্রেফতার জিতেন্দ্র তিওয়ারি, নিন্দা বিজেপির

    Jitendra Tewari: আসানসোল কম্বলকাণ্ডে নয়ডা থেকে সস্ত্রীক গ্রেফতার জিতেন্দ্র তিওয়ারি, নিন্দা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করল সস্ত্রীক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tewari)। নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেস ওয়ে থেকে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে । গত বছর ডিসেম্বর মাসে আসানসোলের রামকৃষ্ণডাঙায় কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন জিতেন্দ্র তেওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি তেওয়ারি। ওই অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেই অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে জিতেন্দ্র তেওয়ারি এবং চৈতালি তেওয়ারিকে। এমনিতেই দুর্নীতি ইস্যুতে শাসক দল বেশকিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে। সেই আবহে জিতেন্দ্র তেওয়ারির (Jitendra Tewari) গ্রেফতারকে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলেই মনে করছে বিভিন্ন মহল।

    ঘটনাক্রম….

    গত বছর ১৪ ডিসেম্বর কম্বল বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল আসানসোলে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা। কম্বল নেওয়ার জন্য শুরু হয় হুড়োহুড়ি। তাতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩ জনের। আহত হন বেশ কয়েক জন।

    ডিসেম্বর মাসে ওই ঘটনার পরেই চৈতালি তেওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জিতেন তেওয়ারির (Jitendra Tewari) ফ্ল্যাটে যান দুর্গাপুর-আসানসোল পুলিশ কমিশনারেটের কর্মীরা। এই আবহে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর চৈতালি তেওয়ারির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তিকালীন রক্ষাকবচ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু ১০ ফেব্রুয়ারি পাল্টা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা চৈতালির বিরুদ্ধে রাজ্য পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এর পরই হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন জিতেন্দ্র এবং চৈতালি। কিন্তু বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁদের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। সেই একই আবেদন নিয়ে সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন জিতেন। শুক্রবার তাঁর আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তার মাঝেই গ্রেফতার হলেন সস্ত্রীক জিতেন্দ্র তেওয়ারি (Jitendra Tewari)।

    এই ঘটনায় নিন্দায় সরব হয়েছে বিজেপি

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “যার পরিবার বস্ত্রদান অনুষ্ঠানে জামা কাপড় নিতে এসেছিল, সে সুপ্রিম কোর্ট অবধি যাচ্ছে আইনজীবী নিয়ে জিতেন তিওয়ারিকে গ্রেফতার করতে। হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যিনি আইনজীবী হন, তার কী ফিজ হয় সকলেই জানেন। যে ব্যক্তি এই টাকা দিতে পারছেন, তিনি পোশাক বিতরণ অনুষ্ঠানে গিয়ে লাইন দেন কখনও? এটা পুরোপুরি তৃণমূল কংগ্রেসের চক্রান্ত।”

    একইসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, কিছুদিন আগে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বাড়িতে পুলিশ গিয়েছিল। তাও রাতেরবেলা। সিসিটিভি ফুটেজও আছে। যাওয়া, সার্চ করা বা এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে যাতে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে যান, দাবি সুকান্তের। বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, মানসিক চাপ তৈরি করার জন্য এসব করা হচ্ছে।

    এই ঘটনায় বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। এই মামলায় কাউকে গ্রেফতার করা যায় না। বিশেষ করে যখন তাঁর আগাম জামিনের আবেদন আদালতে বিচারাধীন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আইন আদালত মানে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব ‘কালীঘাটের কাকু’-কে! কী জানতে চায় সিবিআই?

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব ‘কালীঘাটের কাকু’-কে! কী জানতে চায় সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে (SSC Scam) ‘কালীঘাটের কাকু’ (Kalighat r Kaku) ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আবার তলব করল সিবিআই (CBI)। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজাম প্যালেসে (Nizam Palace) সুজয়কৃষ্ণকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারই তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছে, বলে সিবিআই সূত্রের খবর।

    কুন্তল ও শান্তনুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা 

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) ধৃত কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুজয়ের ‘ঘনিষ্টতা’র প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। সোমবার সুজয়কে তাঁর ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত নথি আনতে বলা হয়েছে। সুজয়ের আর্থিক লেনদেনের বিষয়টিও গোয়েন্দারা খতিয়ে দেখতে চান বলে সিবিআই সূত্রে খবর। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গত বুধবার কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে প্রায় আড়াই ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। এবার শুধু সুজয় নন তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত নথিও আনতে বলা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর একাধিক কোম্পানি

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল প্রথম সুজয়ের নাম প্রকাশ্যে আনেন। পরে তাঁর নাম উঠে এসেছিল গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখেও। সিবিআই সূত্রে খবর, তদন্তেও বার বার সুজয়ের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই সুজয়কে তলব করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সুজয় জানিয়েছিলেন তিনি তাপস মণ্ডল এবং গোপাল দলপতিকে চেনেন না। কিন্তু কুন্তলকে চেনেন। সিবিআই-এর দাবি, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর একাধিক কোম্পানি রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৬টি কোম্পানির তথ্য পাওয়া গেছে। এই কোম্পানিগুলি বিভিন্ন নামে রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। এই কোম্পানিগুলির লেনদেন, কারা ডিরেক্টর রয়েছেন এবং এই কোম্পানিগুলো কী কাজ করত, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রর বয়ান খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে সিবিআই-এর দাবি। তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং গোপাল দলপতির বক্তব্যের সঙ্গে সুজয়ের বয়ানের ক্রস ভেরিফিকেশন করা হয়েছে। এরপরই ফের কালীঘাটের কাকুকে ডেকে পাঠাল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manish Kothari: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    Manish Kothari: দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে! মণীশের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক। তৃণমূলের এই নেতার সংস্পর্শে এসে তিনিও বাড়িয়ে নিয়েছেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ। যা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় ইডির তদন্তকারীদের। গরু পাচারের টাকায় ওই সব সম্পত্তি মণীশ কোঠারি (Manish Kothari) কিনে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। শান্তিনিকেতন থানার রূপপুরের বিভিন্ন এলাকায় মণীশের নামে ১৫ বিঘে জমির খোঁজ মিলেছে। ওই পরিমাণ জমির বাজারমূল্য প্রায় ১৫ কোটি টাকা। ইডির দাবি, অনুব্রতর গরু পাচারের কালো টাকা এভাবেই সাদা করা হয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জমিগুলি কেনা হয়েছে।

    ইডির তলব…

    গরু পাচার মামলায় অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর ইডি তলব করে তাঁর ঘনিষ্ঠদের। সেভাবেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল মণীশকে। মঙ্গলবার টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বেশ কিছু বিষয়ে অনুব্রতর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন মণীশ। জানিয়েছেন অনেক তথ্য।

    অনুব্রতর হিসাবরক্ষকের কাজ করার পাশাপাশি তাঁকে বুদ্ধিও জোগাতেন মণীশ (Manish Kothari)। কোন সম্পত্তিতে কীভাবে টাকা বিনিয়োগ করলে, কালো টাকা সাদা হয়ে যাবে, সেসব পরামর্শ অনুব্রতকে দিতেন মণীশই। এই মণীশেরই পরামর্শে মেয়ের নামে একাধিক ভুয়ো সংস্থা বানিয়েছেন অনুব্রত। ইডির দাবি, রূপপুর, গোপালনগর, কঙ্কালীতলা, দ্বারকানাথপুর, সুরুল সহ বোলপুরের প্রায় সব মৌজাতেই মণীশের জমি রয়েছে। রূপপুরের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, স্থানীয় আদিবাসীদের কাছ থেকে জোর করে ওই সব জমি দখল করেছেন মণীশ। এক্ষেত্রেও কাজে লাগানো হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতির প্রভাব। ইডির দাবি, গরু পাচারের প্রোটেকশন মানি হিসেবে অনুব্রত যে কোটি কোটি টাকা পেয়েছেন, সেই টাকাই মণীশের নামে জমি কেনায় কাজে লাগানো হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শান্তনুর বিপুল সম্পত্তির হদিশ! শনিবার হুগলির বিভিন্ন প্রান্তে তল্লাশি ইডির

    এদিকে, গত বুধবার দিল্লিতে ইডির অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের। আরও কিছুদিন সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি। আগামী ২০ মার্চের মধ্যে তাঁকে ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অনুব্রত, মণীশ (Manish Kothari) এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের ডিজিটাল নন কো-অপারেশন শুরু, মঞ্চে নৌশাদও

    DA: ডিএ আন্দোলনকারীদের ডিজিটাল নন কো-অপারেশন শুরু, মঞ্চে নৌশাদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বকেয়া ডিএ-র (DA) দাবি চলছে আন্দোলন। শহিদ মিনার চত্বরে গত ৫১ দিন ধরে ধর্না-অবস্থান করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)। তাঁদের অনশন আন্দোলন চলছে ৩৭ দিন ধরে। আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও তীব্র করতে এবার ডিজিটাল নন কো-অপারেশনের (Digital Non Cooperation) পথে হাঁটলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁরা জানান, বিভাগীয় দফতরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আসা কোনও নির্দেশ পালন করবেন না তাঁরা। ব্যক্তিগত মোবাইল, ল্যাপটপেও ডেটা খরচ করে আর কোনও কাজ করা হবে না। কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা অফিসিয়ার মেইল মারফত জানাতে হবে। অফিসের নির্ধারিত সময়ের বাইরে কোনও কাজও তাঁরা করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।

    ডিএ (DA) আন্দোলনকারীদের বক্তব্য…

    সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত কাজের সময়। এই আবহে অফিসের বাইরে অনলাইন মিটিং করবেন না আন্দোলনকারীরা। মিড-ডে মিলের খতিয়ান জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বসে কাজ করতে হয় শিক্ষকদের। আজ, শনিবার থেকে সে সবও বন্ধ। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের (DA) তরফে জানানো হয়েছে, অফিস টাইম শেষ হয়ে গেলেও, পরীক্ষা শেষে খাতা স্কুল থেকে পাঠিয়ে দেওয়ার কাজ করবেন শিক্ষকরা।

    এদিকে, আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিতে এদিন শহিদ মিনার চত্বরে ধর্নামঞ্চে অনশনে বসেন ভাঙড়ের বিধায়ক আইএসএফের নৌশাদ সিদ্দিকি। ৪২ দিন পর জেল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন নৌশাদ। তখনই তিনি ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন। এদিন ধর্নামঞ্চে গিয়ে তিনি বলেন, এখন শুধু কলকাতায় এই আন্দোলন চলছে। আগামিদিনে বাংলার গ্রামাঞ্চলেও এই আন্দোলন ছড়িয়ে দিতে হবে।

    আরও পড়ুুন: যত মত তত পথ! ‘‘উপাসনার অনেক পদ্ধতি, লক্ষ্য একটাই’’, বললেন মোহন ভাগবত

    প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএর (DA) দাবিতে ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি টানা দু দিন সরকারি দফতরে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন আন্দোলনকারী সরকারি কর্মীরা। ১০ মার্চ রাজ্যজুড়ে ধর্মঘট পালন করেন। তার পরেও ডিএ-র দাবি মেনে নেওয়া হয়নি সরকারের তরফে। বকেয়া ডিএ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, কত চাই? কত দিলে সন্তুষ্ট হবেন? দয়া করে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন, তাহলে যদি আপনারা সন্তুষ্ট হন। আমাকে যদি পছন্দ না হয়, তাহলে আমার মুণ্ডটা কেটে নিন। কিন্তু এর থেকে বেশি আমার থেকে আর পাবেন না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • TMC: শিয়রে পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোট! তাই কি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল?

    TMC: শিয়রে পঞ্চায়েত-লোকসভা ভোট! তাই কি সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) দাবি করেছেন, এখনও সুরক্ষিত আছে সংখ্যালঘু ভোট। কিন্তু, সদ্য সমাপ্ত সাগরদিঘি বিধানসভা উপ-নির্বাচনের ফল কিন্তু অন্য ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে কি থাবা বসিয়েছেন বিরোধীরা? মুসলিম ভোটাররা সরে যাচ্ছেন তৃণমূলের (TMC) পাশ থেকে? দলীয় সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোও। আর এই পরাজয়ের জেরেই ব্যাপক রদবদল ঘটানো হয়েছে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলে।

    সংখ্যালঘু ভোট সুরক্ষিত?

    শুক্রবার, কালীঘাটে (Kalighat) বসেছিল দলের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বৈঠকে যোগ দেননি উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। যদিও, এর পরেও সংখ্যালঘু ভোট সুরক্ষিত বলে বৈঠকে দাবি করেন মমতা। বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘সংখ্যালঘুরা আমাদের সঙ্গে আছে, সংখ্যালঘু ভোট কমেনি।’’ তবে দলীয় সূত্রের খবর, মুখে যাই বলুন না কেন তৃণমূলনেত্রী, মুসলিম ভোটের একাংশ যে শাসক দলের থেকে দূরে সরে গিয়েছে, তা ভালই টের পেয়েছেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রমাণ স্বরূপ, সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে গতবারের তুলনায় অনেকটাই ভোট কমেছে তৃণমূলের (TMC)। ২ বছরে ভোটপ্রাপ্তির হার ৫০.৯৫ থেকে ৩৪.৯৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৫০,২০৬ ভোটে তৃণমূল জিতেছিল সাগরদিঘিতে। সেখানে তারা এ বার হেরেছে ২২ হাজারেরও বেশি ভোটে।

    সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বদল

    সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনে হার যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে অস্বস্তি ও উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছিল, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে দলের সিদ্ধান্তে। উপ-নির্বাচনের পরেই, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ফল প্রকাশের পরে হারের কারণ জানতে পাঁচজনের কমিটি তৈরি করেন তৃণমূলনেত্রী। পাশাপাশি, ফুরফুরা শরিফের দায়িত্ব ফিরহাদ হাকিমের থেকে নিয়ে বিধায়ক তপন দাশগুপ্তকে দেন। আর শুক্রবারের বৈঠকে একাধিক বদলের ঘোষণা করেন মমতা। দলে সংখ্যালঘু মুখদের গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। যেমন, দলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি বদলে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এত দিন এই পদে ছিলেন হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম। তাঁর জায়গায় মমতা নিয়ে এলেন দলের যুব নেতা তথা ইটাহারের বিধায়ক মোশারফ হোসেনকে। মোশারফ উত্তর দিনাজপুর জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতিও। হাজি নুরুলকে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ওই সেলের চেয়ারম্যান পদের। সেই পদে এত দিন ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। 

    আরও পড়ুুন: ‘রাহুল গান্ধী দেশ-বিরোধী টুলকিটে পরিণত হয়েছেন’, কংগ্রেসকে নিশানা নাড্ডার

    তবে, গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লারও। তাঁকে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ জেলার সংগঠন দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সিদ্দিকুল্লাকে সহযোগিতা করতে দলের আরও দুই সংখ্যালঘু নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এঁরা হলেন মোথাবাড়ির বিধায়ক তথা রাজ্যের সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং রাজ্যসভার সাংসদ নাদিমুল হক। হাজি নুরুলকে সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি থেকে চেয়ারম্যান করার পাশাপাশি বসিরহাট জেলার তৃণমূলের (TMC) চেয়ারম্যানের পদে রাখা হয়েছে।

    মমতার শুক্রবারের ঘোষণাগুলো কার্যত প্রমাণ করে যে, সাগরদিঘির উপ-নির্বাচনের ফলে শাসক শিবির থরহরিকম্পমান। তাই এখন আসন্ন পঞ্চায়েত ও ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্ক ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে শাসক দল। এখন দেখার, এই রদবদলের কী প্রভাব পড়ে বা আদৌ কোনও প্রভাব পড়ে কি না!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share