Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    SSC West Bengal: ‘টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়’, শান্তনু প্রসঙ্গে বলল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার ছোট টিলা থেকে দুর্নীতি পৌঁছে গিয়েছে এভারেস্টের চূড়ায়। সোমবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (SSC West Bengal) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে আদালতে পেশ করে এমনই দাবি করল ইডি (ED)। শান্তনুর জামিনের আর্জির বিরোধিতা করে প্রভাবশালী তত্ত্ব খাড়া করেছেন ইডির আইনজীবী। তাঁর দাবি, শান্তনুর যে ২টি মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, সেগুলি সোনার খনি। সেখানে এমন অনেকের অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন। এমন কতজনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। ইডির আইনজীবী বলেন, চার্জশিটে যাঁদের নাম রয়েছে, দেখলে চমকে যাবেন। তিনি জানান, শান্তনু দুটি আইফোন ব্যবহার করতেন। সেখান থেকে অ্যাডমিট কার্ডের পাশাপাশি মিলেছে প্রচুর নথিও।

    ইডির প্রভাবশালী তত্ত্ব…

    শান্তনু যে প্রভাবশালী, এদিন আদালতে তার সপক্ষে যুক্তিজাল বিস্তার করেন ইডির আইনজীবী। তিনি বলেন, শান্তনুর সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তারক্ষী থাকেন। তল্লাশির সময় তাঁর বাড়িতে দুজন হিসাবরক্ষক ছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনু (SSC West Bengal) গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলেই প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা করতেন। এদিন শান্তনুর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির প্রসঙ্গও উঠে আসে ইডির সওয়ালে। ইডির আইনজীবীর প্রশ্ন, ২০১৫ সালে সামান্য মোবাইলের দোকানদার থেকে কীভাবে শান্তনু ৫১ কাঠা জমির মালিক, রিসর্ট, রেস্তোরাঁর মালিক হলেন?

    আরও পড়ুুন: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    স্ত্রীর নামে কোম্পানি খুলে কালো টাকা সাদা করার চেষ্টা করেছেন শান্তনু। অন্তত ইডির আইনজীবীর দাবি এমনই। শান্তনু গ্রেফতার হতেই খোঁজ মিলছে না তাঁর স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জেরায় কুন্তল শান্তনুকে ১ কোটি টাকা দিয়েছিলেন বলেও যে স্বীকার করেছেন, এদিন তাও আদালতকে জানান ইডির আইনজীবী। ইডির দাবি, শান্তনুর ফোনে ২০১২ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের একাংশের অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে। যাঁরা চাকরি (SSC West Bengal) পেয়েছেন, তাঁদের অ্যাডমিট কার্ড কীভাবে শান্তনুর ফোনে এল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বাকি যে ৩০০ জনের লিস্ট উদ্ধার হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে কারা কারা চাকরি পেয়েছেন, তা জানার জন্য ডিপার্টমেন্টের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বলে আদালতে জানায় ইডি।   

    প্রসঙ্গত, ইডি সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ জন চাকরিপ্রার্থীর নামের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। শুক্রবারই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার করা হয় হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনুকে। দু দিনের হেফাজত শেষে এদিন তাঁকে ফের আদালতে পেশ করে ইডি।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: হাতে আলু নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের! কৃষকদের হয়ে সওয়াল শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: হাতে আলু নিয়ে বিক্ষোভ বিজেপি বিধায়কদের! কৃষকদের হয়ে সওয়াল শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলুর বন্ড বিলি ঘিরে আলুচাষিদের (Potato Farmer) বিক্ষোভের ঘটনা বিধানসভা চত্বরে তুলল বিজেপি। বিধানসভার বাইরে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি বিধায়করা। সোমবার শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়করা হাতে আলু নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। বিজেপির সোনামূখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামীর ক্ষেতের আলু নিয়ে এই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।

    কী বললেন শুভেন্দু

    এদিন বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “আলু চাষিরা বিঘা প্রতি প্রায় ১০ হাজার টাকা ক্ষতিতে আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। আমরা বিধানসভায় আজ এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছি। কিন্তু তার উত্তর সন্তোষজনক নয়। আমরা চাই সরকার যে এমএসপি ঘোষণা করেছে সেই এমএসপি মূল্যে আলু ক্রয় করতে হবে। এই বছরের শর্টটার্মের কৃষি ঋণ রাজ্য সরকারকে পরিশোধ করতে হবে। কৃষকদের ন্যায্যমূল্য দিতে হবে।” বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার আলু চাষিরা সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। তাঁদের দাবি, ফলনে যে খরচা হচ্ছে সেই খরচায় তাঁদের পোশাচ্ছে না। আরও বেশি দাম আশা করেন তাঁরা। এমনকী সরকারেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কয়েকদিন আগে হুগলিতেও বড় মাপের বিক্ষোভ হয়েছিল।

    আরও পড়ুন:শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, শর্তসাপেক্ষে মিলল আদালতের অনুমতি

    চা-বাগান নিয়েও সওয়াল

    সোমবার বিধানসভার কৃষকদের অধিকারের দাবিতে বিধানসভার ভিতরে এবং পরে বিধানসভার বাইরেও বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বাধীন বিজেপির বিধায়কেরা। সেই বিক্ষোভে শুভেন্দু-সহ বিজেপির সমস্ত বিধায়কই হাজির হন হাতে আলু এবং গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে। শাসককে ধিক্কার জানিয়ে বিজেপি বিধায়করা বলেন, ‘‘এই সরকার শুধু চোর ডাকাতদের হাত মজবুত করতে জানে, কৃষকদের স্বার্থের কথা বললেই মুখে কুলুপ দেয়।’’ আলুচাষিদের পাশাপাশি শুভেন্দুদের (Suvendu Adhikari) বিক্ষোভে উঠে আসে উত্তরবঙ্গের চা-বাগান এবং জঙ্গল কেটে আবাসন নির্মাণের প্রসঙ্গও।  শুভেন্দু বলেন, ‘‘জঙ্গল কেটে উষ্ণায়ন বাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আর যাঁরা জঙ্গল কাটছেন, তাঁরা সরকারের তহবিল ভরছেন বলে তাঁদের কিছু বলা হচ্ছে না।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    Suvendu Adhikari: কার মাধ্যমে কাকে চাকরি? বিধানসভায় ছবি-পোস্টার হাতে বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন। এঁদের অনেকেই তৃণমূলের (TMC) নেতা-নেত্রীর আত্মীয়-পরিজন। তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বলেই স্কুলের চাকরি জুটেছিল। এমনই দাবি করে চাকরি হারানো বেশ কয়েকজনের ছবি নিয়ে প্রদর্শনী করল বিজেপি (BJP)। সোমবার ছিল এই পর্বে বিধানসভা অধিবেশনের শেষ দিন। এদিনই বিধানসভার ২ নম্বর গেটের সামনে আয়োজিত ওই প্রদর্শনীতে অংশ নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং বিজেপির অন্য বিধায়করা।

    প্রতিবাদে শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)…

    আদালতের নির্দেশে যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতর ভাই খোকন মাহাত। এদিন তাঁদের ছবি ছিল। ছবি ছিল তৃণমূল নেত্রী অসীমা পাত্রর সঙ্গে তাঁর চাকরি খোয়ানো ভাগ্নির। চাকরি গিয়েছে বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতার ছেলেরও। রিষড়ার পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে দেখা গিয়েছে তাঁর চাকরি খোয়ানো স্ত্রীর ছবিও। এদিন যে ১২ জনের ছবি সম্বলিত পোস্টার দেখা গিয়েছে, তাদের মধ্যে তৃণমূলের বিধায়ক, মন্ত্রী, পঞ্চায়েত সদস্য এবং জেলা সভাপতির আত্মীয়দের নাম রয়েছে। রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইঝি বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নামও। তৃণমূলের এক কাউন্সিলর, জেলা পরিষদের সদস্য এবং যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি নিজেই বেআইনিভাবে চাকরি নিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে পোস্টারগুলিতে। এদিনের পোস্টার প্রদর্শনীতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গা সহ বিজেপি বিধায়করা।

    আরও পড়ুুন: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এদিন থেকে শুরু হল এই প্রদর্শনী। রাজ্যের মানুষকে চেনানো হবে কোন চোরেদের তাঁরা মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা বানিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতি কেলেঙ্কারিতে বেশ খানিকটা ব্যাকফুটে রাজ্যের শাসক দল। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বঞ্চিত করে নিজেদের অযোগ্য আত্মীয়-পরিজনদের চাকরি দিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। রাজ্যের শাসক দলকে আরও গাড্ডায় ফেলতে কোমর কষে নামছে বিজেপি। এদিন সূচনা হল তারই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলার প্রতিটি পাড়ায় এই প্রদর্শনী করা হবে। লোককে দেখানো হবে এই হল মা-মাটি-মানুষের পার্টি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের তালিকায় প্রকট হচ্ছে তৃণমূল-যোগ, কারা তাঁরা?

    Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি বাতিলের তালিকায় প্রকট হচ্ছে তৃণমূল-যোগ, কারা তাঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েক মাস থেকে লাগাতার নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অভিযোগ সামনে আসায় মুখ পুড়েছে রাজ্যের। শুক্রবার গ্ৰুপ সি-র চাকরি বাতিলের তালিকা সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য জুড়ে। কারণ এই ৮৪২ জনের বাতিল হওয়া তালিকায় জ্বলজ্বল করছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার শাসক দলের একের পর এক নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে তাঁদের পরিবারের সদস্যের নাম। কারা নেই সেখানে, রাজ্যের মন্ত্রীর ভাই থেকে তৃণমূল নেতার স্ত্রী থেকে শুরু করে বিধায়কের মেয়ে, জামাই, ভাইঝি ইত্যাদি।

    কোন জায়গায় শাসকদলের কোন কোন পরিজনরা চাকরি হারালেন…

    মিনাখা

    সূত্রের খবর, গ্রুপ সি-র চাকরি পেয়েছিলেন মিনাখার তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের মেয়ে বিনতা মণ্ডল। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশে শনিবার তাঁর চাকরি গেল। ওএমআর শিটে ৬০টি প্রশ্নের মধ্যে ৫৮টির জবাব দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেখা গিয়েছে, ওই ৫৮টির মধ্যে মাত্র চারটি ঠিক উত্তর ছিল, বাকি সব ভুল। বেলঘরিয়া নন্দননগর আদর্শ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের গ্রুপ সি-র কর্মী ছিলেন বিনতা। আরও জানা গিয়েছে, ডিএ ধর্মঘটের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি স্কুলেও গিয়েছিলেন বিনতা (Recruitment Scam) ।

    উত্তর দিনাজপুর

    ভুয়ো চাকরির তালিকায় এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শচীন সিংহ রায়ের ভাইপো ও কালিয়াগঞ্জ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বসন্ত রায়ের ছেলের নাম উঠে এসেছে। কালিয়াগঞ্জ শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শচীন সিংহ রায়। পার্শ্ববর্তী বাড়ি তাঁর দাদা প্রয়াত তৃণমূল নেতা অর্জুন সিংহ রায়। অর্জুন সিংহ রায়ের পুত্রই হলেন শুভাশিস সিংহ রায়। তবে শচীন তাঁর ভাইপোর এই চাকরি হারানোর বিষয়ে কোন দায় নিতে চাননি।

    অন্যদিকে কালিয়াগঞ্জ শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বসন্ত রায়ের ছেলে অলোক কুমার রায়। অলোক গ্রুপ সি পদে আলিপুরদুয়ারের জয়ন্তী হাই স্কুলে কাজ করেছিলেন। তবে বসন্ত রায়ের কথায়, “চাকরি নিয়ে কেস হতে পারে শুনে ছয় মাস আগেই চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে এসেছে আমার ছেলে।  ওই জঙ্গলের মধ্যে ছেলের মন টিকছিল না।”

    আবার ইটাহারের ছয়ঘড়া হাইস্কুলের গ্রুপ সি পদে কর্মরত ছিলেন সামসুর রহমান। তিনি হেমতাবাদ ব্লকের যুব তৃণমূল সহ সভাপতি এবং হেমতাবাদের তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মনের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত রাজনৈতিক মহলে। ফলে সামসুরও চাকরি হারিয়েছেন (Recruitment Scam) ।

    হুগলি

    হুগলির ধনিয়াখালী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অর্পিতা বারিকের কন্যা রণিতা বারিক। অন্যদিকে, প্রাক্তন মন্ত্রী তথা ধনিয়াখালী বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক অসীমা পাত্রের বোনঝি রণিত বারিক। রণিতার নামও রয়েছে এই তালিকায়।

    দুর্গাপুর

    দুর্গাপুরের আইএনটিটিইউসির-সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ণব মুখোপাধ্যায়। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ এসএসসি গ্রুপ-সির চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিল সে। এরপর দুর্গাপুর প্রোজেক্টস্ টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে চাকরি পায় সে। ছেলের চাকরি যাওয়া প্রসঙ্গে সমীরবাবুকে প্রশ্ন করা হলে উল্টে তিনি বলেন, “আমি কখনোই চাইনি আমার ছেলে এই চাকরি করুক।” আবার চাকরি হারানো নিয়ে শাসকদলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সমীরবাবু। তিনি বলেন, “দল করাটাই এতদিন ভুল হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। শিক্ষা দফতর তো সব দেখে শুনেই চাকরি দিয়েছিল। আজ সরকার এদের পাশে দাঁড়াবে না? বেকার ছেলেমেয়েদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি করা হল এই সরকারের আমলে (Recruitment Scam) ।”

    আমতা

    এবারে আদালতের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয়েছে আমতার পঞ্চায়েত প্রধানের। জানা গিয়েছে, আমতা বিধানসভার সাবসীট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন শেখ সাদ্দাম হোসেন। তাঁর নামও ছিল এই তালিকায়।

    মালদা

    হাইকোর্টের রায়ে চাকরি গেল মালদহের তৃণমূল নেতার দুই মেয়ে ও জামাইয়ের। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের বাসিন্দা তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে মাম্পি দাস, শম্পা দাস এবং জামাই বিপ্লব দাসের চাকরি গিয়েছে হাইকোর্টের রায়ে (Recruitment Scam)।

  • Shantanu Banerjee: ‘মেন মাস্টারমাইন্ড কুন্তল, টাকা সরাচ্ছে অন্য রাজ্যে’, বিস্ফোরক দাবি শান্তনুর

    Shantanu Banerjee: ‘মেন মাস্টারমাইন্ড কুন্তল, টাকা সরাচ্ছে অন্য রাজ্যে’, বিস্ফোরক দাবি শান্তনুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির ‘মাস্টারমাইন্ড’ কুন্তল ঘোষই। মিথ্যা অভিযোগ করে তদন্ত ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিস্ফোরক দাবি করলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের যুব নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। কুন্তল টাকা অন্য রাজ্যে পাঠাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি। এদিন দুপুরে বলাগড়ের যুব নেতাকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করা হয়। সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করার সময়েই তাঁকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা। আর তখনই এমন চাঞ্চল্যকর দাবি করেন তিনি।

    অবশেষে মুখ খুললেন শান্তনু

    শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee) ৬ বার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে তলব করা হয়েছিল। জেরার সম্মুখীনও হয়ে কখনই এর আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে সেভাবে মুখ খোলেননি শান্তনু। গ্রেফতারির পর প্রথম দিন তিনি দাবি করেছিলেন, “আমি টাকা নিই নি, আমি কাউকে টাকা দিইনি।” কিন্তু আজ ইডি হেফাজত শেষে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলার আগেই এমন দাবি করলেন।

    এদিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বের করার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে শান্তনু (Shantanu Banerjee) বলেন, “এই কেসের মেন মাস্টারমাইন্ড কুন্তল। ও ডাইভার্ট করানোর জন্য এসব করছে। কুন্তল লোকজনকে ভয় দেখাচ্ছে। টাকা সরাচ্ছে। অন্য রাজ্যে টাকা পাচার করছে ওর লোকজন। কয়েক’শ এজেন্টের কাছ থেকে কয়েক’শ কোটি টাকা তুলেছে কুন্তল।” এর সঙ্গে তিনি আরও দাবি করেন, “আমার সব কিছু লিগাল। আগামীদিনে প্রমাণ হবে।”

    আরও পড়ুন:শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, শর্তসাপেক্ষে মিলল আদালতের অনুমতি

    অন্য রাজ্যে টাকা সরাচ্ছে কুন্তল!

    প্রসঙ্গত, কুন্তল সেই জানুয়ারি মাস থেকে ইডি হেফাজতের পর জেল হেফাজতে রয়েছে। ফলে এখন প্রশ্ন উঠছে, কুন্তলের আরও কত টাকা রয়েছে যা তিনি জেলের ভিতর থেকে অন্য রাজ্যে সরিয়ে দিচ্ছেন? শান্তনুর (Shantanu Banerjee) দাবি কতটা সত্যি, তাও তদন্তের বিষয়। তবে এই দাবি যে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এক নয়া মোড় এনে দিয়েছে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।  

    উল্লেখ্য, সূত্রের খবর, জেলা তৃণমূলের মোটামুটি সবারই জানা, শান্তনু-কুন্তলের সম্পর্ক ছিল দাদা-ভাইয়ের। কুন্তলকে ভাই বলেই জনসমক্ষে ডাকতেন শান্তনু (Shantanu Banerjee)। আর সেই দাদা শান্তনুই এখন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। উল্লেখ্য, আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে শান্তনুকে পেশ করে আবার নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার আবেদন জানাবে ইডি। কিন্তু আদালত কী নির্দেশ দেয় এখন সেটাই দেখার।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    Scam: একজনের রোল নম্বরে অন্যকে চাকরি! শুনে কী নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam) জেরবার রাজ্য সরকার। আদালতের নির্দেশে একের পর এক শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি চলে গিয়েছে। এরইমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে (Scam)  বড়সড় অনিয়ম সামনে এসেছে। কাউন্সেলিং ছাড়াই নবম-দশমে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। আর সেটা অন্যজনের রোল নম্বর ব্যবহার করেই কাউন্সেলিং ছাড়াই একজন বহাল তবিয়তে ইংরেজি শিক্ষক পদে চাকরি করছেন। জানা গিয়েছে, ১২২১১৬৭৬০০০০০৩-এই রোল নম্বরটি সালমা সুলাতানার। তাঁর বাড়ি বোলপুর। তাঁকে কাউন্সেলিংয়ে কখনও ডাকা হয়নি। অথচ তাঁর এই রোল নম্বরেই অন্য একজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।  এসএসসি-র এই নিয়োগ দুর্নীতির (Scam) বিষয়টি সামনে আসতেই খোদ হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু হতবাক হয়ে গিয়েছেন। এই ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানতে এসএসসি এবং মধ্য শিক্ষা পর্ষদের কাছে তিনি রিপোর্ট তলব করেছেন। প্রশ্ন উঠেছে, একজনের রোল নম্বরে অন্যজনকে কী করে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। ফলে, এর পিছনে বড়সড় চক্র কাজ করেছে। আর এই রোল নম্বর কারচুপি করে নিয়োগপত্র কাকে দেওয়া হয়েছে তা নিয়ে এখন চর্চা শুরু হয়েছে।

    নিজের রোল নম্বর চুরি হওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন  সালমা সুলতানা? Scam

    সালমা সুলতানা শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাঁর পরীক্ষার যে রেজাল্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তাতে তাঁর অ্যাকাডেমিক নম্বর ছিল ৩৩। আর লিখিত পরীক্ষায় ওএমআর শিটের নম্বর ছিল ৪৯। ২০১৮ সালে তাঁকে ইন্টারভিউয়ে ডাকা হয়। তারপর তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে ছিল। কাউন্সেলিংয়ে তাঁকে আর ডাকা হয়নি। পরবর্তীতে আদালত এসএসসি-র কাছে ওএমআর শিট চেয়েছিল। তাতে দেখা যায় তাঁর নম্বর ৪৮। চাকরি না পেয়ে কলকাতায় এসএলএসটি-র যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে তিনি যোগ দেন। সালমা সুলতানা বলেন, কাউন্সেলিংয়ে আমাকে ডাকা হয়নি। তারজন্য আক্ষেপ নেই। কিন্তু, কিছুদিন আগেই জানতে পারি আমার রোল নম্বরে অন্যজন চাকরি করছে। তাঁকে তো কাউন্সেলিংয়ে ডাকা হয়েছে? না হলে সে কী করে চাকরি পেল। আর ওই রোল নম্বর ধরে দপ্তর থেকে ডাকা হলে আমি জানতে পারব। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, কোনও কাউন্সেলিং না করেই নিজের মনের মতো কাউকে চাকরি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ আমি বিষয়টি জানতে পারিনি। আমাকে অন্ধকারে রেখে আমার রোল নম্বর ব্যবহার করে বহাল তবিয়তে একজন শিক্ষকতা করছেন এটা হতে পারে না। এই দুর্নীতির (Scam)  বিরুদ্ধেই আমি সরব হয়েছি। সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। বিচার ব্যবস্থার উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রামে ১৪ মার্চ শুভেন্দুর শহিদ তর্পণ সভায় না পুলিশের, অনুমতি মিলল আদালতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ১৪ মার্চ। নন্দীগ্রাম দিবস। এদিন নন্দীগ্রামে (Nandigram) শহিদ তর্পণ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। নন্দীগ্রামের ওই সভায় বক্তৃতা করার কথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বিজেপির দাবি, নন্দীগ্রামে শহিদ তর্পণের ওই সভার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। তার পরেই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে পদ্ম শিবির। আদালত সূত্রে খবর, বিচারপতি মান্থা তাদের মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় না পুলিশের…

    অবশ্য এই প্রথম নয়, শুভেন্দুর সভায় একাধিকবার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। অতীতে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে একাধিক ইস্যুতে সভা করার ক্ষেত্রে বাধা এসেছে। যদিও শেষতক তাতে হার মানেনি গেরুয়া শিবির। হার মানেননি শুভেন্দু স্বয়ংও। এবারও নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদ তর্পণ সভার অনুমতি না মেলায় ফের আদালতের দ্বারস্থ বিজেপি।

    গত বছরও ১৪ মার্চ শহিদ তর্পণ উপলক্ষে একই জায়গায় আলাদা দুটি সভা করেছিল বিজেপি ও তৃণমূল। গোকুলনগরে পদযাত্রা করেছিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। আর ওই দিনই সকালে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে এলাকায় সভা করার কথা ছিল তৃণমূলের। তার পরেই শুরু হয় অশান্তি। শহিদ মঞ্চে মাল্যদান করার পর মূল মঞ্চে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের একাংশ। মঞ্চে কোন নেতা থাকবেন, কে বক্তব্য রাখবেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছিল অশান্তি। পরে তৃণমূল নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে।

    আরও পড়ুুন: মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। তার পর থেকে ফি বছর ১৪ মার্চ দিনটিকে নন্দীগ্রাম দিবস হিসেবে পালন করে আসছে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। বরাবর এই কমিটির নেতৃত্বে থাকে তৃণমূল। পরে বিজেপিও দিনটি পালন করতে শুরু করে মর্যাদার সঙ্গে। এগারোর বিধানসভা নির্বাচনে নির্ণায়ক শক্তি হয়েছিল এই নন্দীগ্রামের আন্দোলন। যার জেরে অবসান ঘটে সাড়ে তিন দশকের বাম জমানার। একুশের বিধানসভা নির্বাচনেও আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিল নন্দীগ্রাম। কারণ এখানে প্রার্থী হয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে গোহারা হারান বিজেপির প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী। সেই নন্দীগ্রামেই শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভায় না পুলিশের। তার জেরেই বিজেপির আদালত যাত্রা।

    এদিন অবশ্য শর্ত সাপেক্ষে সভার অনুমতি মেলে। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, শুভেন্দুকে সভা শেষ করতে হবে দু ঘণ্টার মধ্যে। সভা করতে হবে সকাল ৮টা থেকে। তৃণমূলকে সাড়ে ১০টার মধ্যে সভার জায়গা খালি করে দিতে হবে। সভা করতে হবে শান্তিপূর্ণভাবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Police: মেমারি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, কেন জানেন?

    Police: মেমারি থানা ঘেরাওয়ের হুমকি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে তত বেসুরো হয়ে পড়ছে শাসক দলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী। প্রকাশ্যেই পুলিশের (Police) বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। কয়েকদিন আগে বেলঘরিয়ায় প্রকাশ্য জনসভায় কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন। পুলিশ (Police)  তৃণমূলের কথা শুনছে না, বিজেপি-সিপিএমের হয়ে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাঁর বক্তব্য রাখার দুদিনের মধ্যে ফের রাজ্যের এক মন্ত্রী পুলিশকে হুমকি দিলেন। রবিবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির ঝিকরা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের সভা ছিল। মেমারি ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ ইসমাইলের বাড়ির কাছেই সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী প্রকাশ্যে পুলিশকে (Police)  হুমকি দেন। এমনকী মেমারি থানা ঘেরাওয়ের তিনি হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, যে বা যারা মন্ত্রীসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে গালমন্দ করে অপদস্ত করছে। আইনের চোখে তারা অপরাধ করছে। পুলিশ (Police)  তাদের গ্রেফতার করে নেবে, আমি বলে রাখছি। পুলিশ (Police)  কি করবে তার ব্যাপার। পুলিশকে বুঝতে হবে কারা অফিসিয়াল দল। আশ আর বাঁশ পাতাকে এক করলে হবে না। পুলিশ (Police)  কি নাবালক নাকি, পুলিশকে সাবালক হতে হবে। এসব ভণ্ডামি আমি শুনবো না। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সাধারণ মানুষ আমার নেতৃত্বে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করবে। আমি বুঝে নেব। আমার চিন্তা পুলিশকে (Police)  করতে হবে না। পুলিশকে দক্ষ প্রশাসনের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমরা অফিসিয়াল। তিন মাস আগে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ কিছু জানে না এটা হতে পারে না। আমি এসপিকে তেল লাগাতে যাব না। এসপি আমার গুরুদেব নয়। এখন এসপি, ডিএসপি দেখানো হচ্ছে। এরপর তিনি হুমকির সুরে বলেন, আজ পুলিশকে লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম। পুলিশ যদি ঠিক মতো কাজ না করে মেমারি থানার বড়বাবুকে ঘোরাও করে রাখব। থানা থেকে বের হতে দেব না বলে তিনি হুমকি দেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পুলিশ মন্ত্রী। তাই, দলের বিধায়ক থেকে মন্ত্রী সকলেই পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অর্থ মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাঁরা সরাসরি আঙুল তুলছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পুলিশের বিরুদ্ধে মন্ত্রীর এত ক্ষোভ কেন? Police

    মেমারি-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি ছিলেন মহম্মদ ইসমাইল। পাশাপাশি তিনি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ। মাস ছয়েক আগে তাঁকে সরিয়ে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর অনুগামী একজনকে নতুন সভাপতি করা হয়। তিন মাস আগে ব্লক কমিটি গঠিত হয়। সেখানেও মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের ঠাঁই হয়। গত দুমাস ধরে মন্ত্রী নিজের বিধানসভায় সভা করতে গেলেই দলের একাংশ তাঁকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে, গো ব্যাক স্লোগান দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আর এসবই মহম্মদ ইসমাইল ও তাঁর অনুগামীরা করাচ্ছে বলে অভিযোগ। পুলিশের (Police) কাছে বলার পরও কোনও কাজ হচ্ছে না। দলের অফিসিয়াল ব্লক কমিটিকে পুলিশ (Police) পাত্তা দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে, দলের মধ্যে কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এলাকায় নিজের দাপট এবং নতুন কমিটির গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই পুলিশের (Police)  বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মন্ত্রী বলে ওয়াকিবহল মহল মনে করছে। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, আমি তো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করিনি। তিনি আসলে মানসিক অবসাদে ভুগছেন। তাই এসব বলছেন। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ-সি চাকরিহারাদের

    Calcutta High Court: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ গ্রুপ-সি চাকরিহারাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন গ্রুপ সি-এর সদ্য চাকরি হারানো প্রার্থীরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ৮৪২ জন প্রার্থী। বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ সেই মামলার অনুমতি দিয়েছে। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে চলতি সপ্তাহেই মামলাটির শুনানি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে হাইকোর্ট সূত্রে (Calcutta High Court)। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই মর্মে শনিবার তালিকা প্রকাশ করে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। 

    সদ্য চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ সি-এর ৮৪২ জন

    নিয়োগে বেলাগাম দুর্নীতির ফলে এবার গ্রুপ সি তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গ্রুপ সি-তে চাকরি পেয়েছিলেন ২০৩৭ জন। আর এবার গ্রুপ সি তে কর্মরত ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। মূলত ওএমআর শিট বিকৃত করা ও সুপারিশ পত্র ছাড়াই নিয়োগ হয়েছে এমন অভিযোগেই এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। এর পাশাপাশি গ্রুপ সি-র ৮৪২ জনের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) নির্দেশ দিয়েছে, এনারা যেন কোনওভাবেই স্কুলে প্রবেশ করতে না পারেন। কিন্তু তারপরেই আজ এই চাকরি হারানো প্রার্থীরা বিচারপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। সোমবার এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন চাকরিচ্যুতদের আইনজীবী পার্থদেব বর্মণ।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে ইডির তলব শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    উল্লেখ্য, এই ৮৪২ জনের তালিকায় নাম ছিল একাধিক তৃণমূল নেতানেত্রীর ছেলেমেয়ে, আত্মীয়স্বজনের। মিনাখার তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানি মণ্ডলের মেয়ে বিনতা মণ্ডল থেকে হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্যা টুম্পা মেটের নাম ছিল ৮৪২ জনের তালিকায়।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে এর আগেও অনেক ক্ষেত্রে চাকরি হারানো প্রার্থীরা একক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে (Calcutta High Court) গিয়েছেন। কিন্তু তাতেও রেহাই পাননি তাঁরা। ফলে এক্ষেত্রেও গ্রুপ সি-র চাকরিচ্যুতদের ডিভিশন বেঞ্চ কী নির্দেশ দেয়, তারই অপেক্ষায় রাজ্যবাসী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে বাজেয়াপ্ত সম্পত্তির বাজার মূল্য ১১১ কোটি টাকা। সম্প্রতি এমনই তথ্য ইডির হাতে এসেছে। স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) দু’টি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ এবং আরও বেশ ক’কোটি টাকার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি (ED)। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতাকে গ্রেফতারও করা হয়। তারপর ধাপে ধাপে ইডি ও সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি ও তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। ধরা পড়েছেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, এসএসসি-র বেশ ক’জন কর্তা। মিলেছে অগাধ সম্পত্তির হদিশ। স্কুলে নিয়োগের দুর্নীতির অঙ্ক ছাড়িয়ে যেতে পারে ১৫০ কোটির ঘর! গত সেপ্টেম্বরেই আদালতে এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ইডি। 

    বিপুল সম্পত্তির হদিশ

    সম্প্রতি হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পরে, আদালতে বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রিমান্ড লেটারে তাদের দাবি,  পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া ৫ জনের কাছ থেকে টাকা ও অলঙ্কার বাবদ বাজেয়াপ্ত সম্পদ এবং যে সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার মূল্য ১১১ কোটি টাকা। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এক যোগে তদন্ত করছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি ও সিবিআই। তার মধ্যে শুধুমাত্র ইডির তদন্তেই ধৃতদের কাছ থেকে ১০০ কোটির বেশি সম্পদ বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।  ইডির অন্যতম আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র আদালতে জানান, এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ১১১ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: সমলিঙ্গে বিবাহ প্রচলিত পরিবারের ধারণার পরিপন্থী, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    এখন ইডির নজরে রয়েছেন রাজ্য যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি, হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের অগাধ সম্পত্তি। তদন্তকারীদের দাবি, শান্তনু নিয়োগ দুর্নীতিতে সরাসরি জড়িত। দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সম্পত্তিতে এবং স্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। এখন শান্তনুর পিছনে কে বা কারা ছিলেন, দুর্নীতির টাকা শান্তনু কোন ‘প্রভাবশালী’দের দিতেন, তদন্তে তা জানার চেষ্টা করবে কেন্দ্রীয় সংস্থা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share