Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Adenovirus: অ্যাডিনো ভাইরাসে মৃত্যু আরও ৫ শিশুর, প্রি-স্কুলে কমছে হাজিরার সংখ্যা

    Adenovirus: অ্যাডিনো ভাইরাসে মৃত্যু আরও ৫ শিশুর, প্রি-স্কুলে কমছে হাজিরার সংখ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার পর নতুন আতঙ্কের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus)। রাজ্যজুড়ে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণ। এই অ্যাডিনো-আতঙ্কের মধ্যেই কলকাতায় আরও পাঁচজন শিশুর মৃত্যু হল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও বিসি রায় হাসপাতালে এই পাঁচ শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    অ্যাডিনোতে মৃত্যু আরও পাঁচজনের

    জ্বর এবং শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে শিশুদের মৃত্যু নিয়ে ক্রমেই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে রাজ্যে (Adenovirus)। গত তিন দিনে যে পাঁচটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই বয়স দু’বছরের নীচে। মঙ্গলবার সকালে মেডিক্যাল কলেজে যে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে, তার বয়স ৬ মাস। নাম আদিত্য দাস। হাসপাতাল সূত্রে খবর, জন্ম থেকেই হার্টের সমস্যা ছিল ওই শিশুর। হৃদযন্ত্রে ছিদ্র থাকায় চিকিৎসা চলছিল তার। গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই সে হাসপাতালে ভর্তি। ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁকে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আদিত্যের শরীরে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছিল, ঠাণ্ডা লাগা এবং সর্দিকাশিও হয়েছিল তার। একটি শিশুর মৃত্যু হয় মেডিক্যাল কলেজে। তবে তার শরীরে অ্যাডিনো ভাইরাস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। যদিও সর্দি-কাশি, জ্বর, ঠাণ্ডা-লাগা ছিল। ফলে সেও অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না কিনা তা স্পষ্ট নয়। আবার বিসি রায় হাসপাতালেও দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দুই শিশুই ভুগছিল নিউমোনিয়ায়। এক শিশুর বয়স ৬ মাস। দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। মৃতের নাম শুভ ঘোষ।

    আরও পড়ুন: গ্রুপ ডি-এর ওয়েটিং লিস্টও গঙ্গাজলের মতো স্বচ্ছ্ব নয়! অভিমত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর

    উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর

    এই অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus) করোনার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। কলকাতার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে, শিশু ভর্তির সংখ্যাটা হাজারেরও বেশি। শহর জুড়ে হাসপাতালগুলোতে যখন শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে, সে সময়ে বেড সঙ্কটও দেখা দিয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বেডের জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। প্রায় সবখানেই ভর্তি পেডিয়াট্রিক আইসিইউ। এই পরিস্থিতিতে গতকাল স্বাস্থ্যভবনে জরুরি বৈঠক হয়। স্বাস্থ্য ভবনে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেন দফতরের আধিকারিকরা। সরকারি হাসপাতালগুলিতে গেলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বেলেঘাটা আইডিতে শিশুদের নতুন ওয়ার্ড করা হবে। রোগীর চাপ সামলাতে কোভিড কালের মত জরুরি কিছু ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা।

    অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপটে প্রি-স্কুলে হাজিরার সংখ্যা কম

    রাজ্য জুড়ে অ্যাডিনো ভাইরাসের (Adenovirus) সংক্রমণ বাড়তে থাকলে এই পরিস্থিতিতে প্রি-স্কুলগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে হাজিরার সংখ্যা কমছে। আবার অনেক প্রি-স্কুলগুলোতে ছুটিও ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে। আবার কোনও কোনও স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইন ক্লাস ফের শুরু করার কথা ভাবতে শুরু করেছে। তবে, এখানে প্রশ্ন উঠেই যাচ্ছে, যে সব স্কুল খোলা, সেখানে সংক্রমণ এড়াতে কতটা বিধি মেনে চলছেন কর্তৃপক্ষ?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: গ্রুপ ডি-এর ওয়েটিং লিস্টও গঙ্গাজলের মতো স্বচ্ছ নয়! অভিমত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর

    SSC Scam: গ্রুপ ডি-এর ওয়েটিং লিস্টও গঙ্গাজলের মতো স্বচ্ছ নয়! অভিমত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) এ বার চাকরিপ্রার্থীদের ‘ওয়েটিং লিস্ট’ প্রশ্ন তুললেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।  ‘ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগের (Recruitment) ক্ষেত্রে এসএসসি-কে (SSC) অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে’বলে মনে করেন বিচারপতি বসু। মঙ্গলবার এসএসসির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘গ্ৰুপ ডি বা চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের যে ওয়েটিং লিস্ট রয়েছে, তা কিন্তু গঙ্গাজলের মতো স্বচ্ছ নয়। এটা মনে রাখতে হবে। নিয়োগের (SSC Scam) সময় এসএসসি-কে এ বিষয়ে সতর্কও থাকতে হবে।’’

    গ্রুপ-ডি নিয়োগেও দুর্নীতি

    বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে সম্প্রতি ১ হাজার ৯১১ জন কর্মরত গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরির সুপারিশ বাতিল হয়েছে। এই ১ হাজার ৯১১ জনের শূন্যপদে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়াও (SSC Scam) শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে কমিশন। ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সেই তালিকা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করলেন বিচারপতি বসু। তাঁর কথায়, ওয়েটিং লিস্ট গঙ্গাজলের মতো শুদ্ধ নয়। তাতেও কারচুপি থাকতে পারে। তাই স্কুল সার্ভিস কমিশনকে (এসএসসি) নতুন গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগে সতর্ক হতে হবে। 

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    কমিশনও যে এই বিষয়টি মাথায় রেখেই ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করেছে তা তাদের বিজ্ঞপ্তি থেকেই স্পষ্ট। হাইকোর্টের নির্দেশের পর ১২ তারিখ কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগের জন্য গ্রুপ ডি-র ওয়েটিং লিস্টে থাকা ১৪৪৪ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছিল। বিজ্ঞপ্তিতে বলা ছিল, এই তালিকা চূড়ান্ত নয়, প্রয়োজনে সংশোধন হবে। এই ওয়েটিং লিস্ট থেকেই ৪০ জনকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে কমিশন। আগামী ২ মার্চ সেই কাউন্সেলিং হবে। সেখানেও বলা হয়েছে যদি কোনও প্রার্থীর বিরুদ্ধে ওএমআর শিট (SSC Scam) কারচুপির অভিযোগ ওঠে তবে অবিলম্বে সেই প্রার্থীর সুপারিশপত্র বাতিল করে দেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিতের মা

    Post Poll Violence: ‘ভোট পরবর্তী হিংসা’ মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ মৃত বিজেপি কর্মী অভিজিতের মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে মারা গিয়েছেন ভোট পরবর্তী হিংসায় (Post Poll Violence), আর আদালতে সাক্ষ্য দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়লেন তাঁরই মা। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত্যু হয় কাঁকুরগাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের। আর এই মামলায় মঙ্গলবার সাক্ষ্য দিতে আদালতে গিয়েছিলেন অভিজিতের মা মাধবী সরকার। পুলিশি নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শিয়ালদহ আদালতে এদিন সকালে সাক্ষ্য দিতে পৌঁছান তিনি। কিন্তু রাস্তায় আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন নিহত বিজেপি কর্মীর মা। এর পর পুলিশই তাঁকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যায়। ফলে আজ আর তাঁর জবানবন্দি নেওয়া হল না।

    কী ঘটেছিল (Post Poll Violence)?

    ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হিংসার (Post Poll Violence) অভিযোগ উঠে ছিল। ওই বছরের ২ মে ফল ঘোষণার দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার। ভাইকে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাঁর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার। এর পর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে ২০ জনের বিরুদ্ধে খুন, মারধর, হুমকি লুঠপাট সহ একাধিক ধারায় চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালেরও। পরেশকে ডেকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল সিবিআই। কিন্তু, তাঁর নাম সিবিআই চার্জশিটে না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহত বিজেপি কর্মীর দাদা।

    আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    সাক্ষ্য দিতে যাওয়ার পথে অসুস্থ নিহতের মা (Post Poll Violence)

    এদিন সকাল ১১টায় শিয়ালদহ আদালতে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিহত অভিজিতের মায়ের জবানবন্দি রেকর্ড হওয়ার কথা ছিল (Post Poll Violence)। সেই মত তাঁকে নারকেলডাঙা থানার পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে তাঁদের শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। মাধবী সরকারের সঙ্গে ছিলেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ সরকারও। পুলিশের গাড়ি থেকে নেমে তাঁরা যখন আদালতের ভিতরে ঢুকছিলেন, তখনই মাথা ঘুরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মাধবী সরকার। মায়ের মাথা ঘুরে পড়ে যেতে দেখে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ধরে ফেলেন বিশ্বজিৎ ও আশপাশের লোকেরা। প্রথমে তাঁকে আদালত চত্বরের ভিতরেই একটি বেঞ্চে নিয়ে গিয়ে বসানো হয়। কিন্তু মাধবী দেবীর শারীরিক অসুস্থতা ক্রমেই বাড়তে থাকায় তড়িঘড়ি পুলিশকর্মীদের সাহায্য নিয়ে বিশ্বজিৎ সরকার তাঁকে সেখান থেকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যান। আপাতত সেখানেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই অভিজিতের পরিবারকে মামলা (Post Poll Violence) তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সাক্ষীকে হুমকি দেন দুষ্কৃতীরা। সোমবার সেই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবার। তাঁরা পুলিশি নিরাপত্তা দাবি করে। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নারকেলডাঙা থানার পুলিশকে অভিজিতের পরিবারের নিরাপত্তা বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছিলেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Migrant Labour: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    Migrant Labour: পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত? রাজ্যের হলফনামা তলব হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে কাজ নেই। তাই ভিন রাজ্য তো বটেই, অন্য দেশেও চলে যাচ্ছেন এ রাজ্যের অনেক বাসিন্দা (Migrant Labour)। তবে তাঁদের সংখ্যাটি ঠিক কত, সেই খতিয়ান নেই রাজ্যের কাছে। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে রাজ্যকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে এ ব্যাপারে তথ্য জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ।

    পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labour)…

    রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত তা জানতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন জনৈক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য, ২০১১ সালে নয়া সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর তাঁরা রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কতজন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। কিন্তু রাজ্য এতদিনেও সেই তথ্য জানিয়ে উঠতে পারেনি বলে অভিযোগ তাঁর। পরবর্তীকালে কোভিডের সময় যখন বহু পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরেছিলেন, সেই সময়ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলেও কোনও তথ্য মেলেনি বলে অভিযোগ। ২০২২ সালে আরটিআইয়ের মাধ্যমে মামলাকারী জানতে পারেন, রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যা কত, সে বিষয়ে কোনও তথ্য নেই রাজ্যের কাছে।

    এদিন এই জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে। শুনানির সময় রাজ্যকে এ সংক্রান্ত তথ্য হলফনামা দিয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। করোনা অতিমারি পর্বে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Labour) ঢল দেখা গিয়েছিল। দীর্ঘদিন লকডাউনে আটকে থাকার পর অনেকেই লোটাকম্বল নিয়ে পায়ে হেঁটে রাজ্যে ফিরেছিলেন। কারণ সেই সময় ট্রেন, বাস সবই বন্ধ ছিল। অনেকেই পায়ে হেঁটে ভিটেয় ফিরলেও, অনেকেই পারেননি। তবে যাঁরা ফিরতে পেরেছিলেন এবং যাঁরা পারেননি, তাঁদের সংখ্যাটি ঠিক কত, সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য রাজ্যের কাছে নেই বলেই অভিযোগ।

    আরও পড়ুুন: পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ সংবিধান ভুলে গিয়েছে! দিনহাটায় পৌঁছেই বিস্ফোরক সুকান্ত

    অথচ পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে বারবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে বাংলা। এই তো মাস কয়েক আগে অরুণাচল প্রদেশে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল কোলাঘাটের বাসিন্দা ৩ পরিযায়ী শ্রমিকের। সে রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, প্রবল ঠান্ডার হাত থেকে রেহাই পেতে ঘরের মধ্যে আগুন জ্বালিয়েছিলেন তাঁরা। তার জেরে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁদের। এর আগে হরিয়ানার পানিপথে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিক (Migrant Labour) পরিবারের ৬ সদস্যের। তারও আগে মৃত্যু হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন পরিযায়ী শ্রমিকের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: বিধানসভা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন শুভেন্দু, শোনা হবে ৬ মার্চ

    Suvendu Adhikari: বিধানসভা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন শুভেন্দু, শোনা হবে ৬ মার্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই প্রস্তাব বিধানসভায় আগামী ৬ মার্চ শোনা হবে বলে জানানো হয়েছে বিধানসভা সূচিতে। পরিষদীয় দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভায় ওই প্রস্তাব পাশ করতে পরে বিজেপির তরফে ৩০ জন উপস্থিত বিধায়কের সম্মতি লাগবে। সেই প্রেক্ষিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

    দলত্যাগ-বিরোধী আইন, বিরোধীদের সম্মান-সহ একাধিক ইস্যুতে বিধানসভার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে বিজেপির পরিষদীয় দল। এই অনাস্থা প্রস্তাবে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মোট ১৬টি অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, পিএসি চেয়ারম্যান পদ নিয়ে অধ্যক্ষ অনিয়ম করেছেন, দলত্যাগবিরোধী আইন নিয়ে তাঁর অবস্থান স্পষ্ট নয়, বিধানসভায় বিরোধী নেতাদের যথোপযুক্ত সম্মান দেওয়া হচ্ছে না, শাসকদলের অঙ্গুলি হেলনে তিনি চলছেন।

    গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভার সচিবালয় স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব জমা দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই প্রস্তাব আদৌ গৃহীত হবে কিনা সেই বিষয়ে সন্দেহ ছিল রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু সোমবারের বিধানসভার বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়, স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করা হবে। জানা গিয়েছে, বুলেটিনে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার ইঙ্গিত পেয়েই নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি পরিষদীয় দল। যে দিন ওই প্রস্তাবটি পেশ করা হবে সে দিন যাতে কমপক্ষে ৩০ জন বিধায়ক সদনে উপস্থিত থাকেন সেই দিকে লক্ষ্য রাখছে গেরুয়া দল।

    আরও পড়ুন: কাশ্মীরি পণ্ডিত-হত্যার দুদিন পরেই সেনার পাল্টা! পুলওয়ামায় এনকাউন্টারে খতম জঙ্গি

    স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস-সিপিএম অনাস্থা প্রস্তাব আনার চেষ্টা করেছিল। যদিও কোনও লাভ হয়নি। জানা গিয়েছে, স্পিকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari) আনা অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনা হবে কি না, তার সিদ্ধান্ত হবে ৬ মার্চেই। সোমবার বিধানসভার তরফে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা জমা দিয়েছিলেন, তাতে অন্য বিধায়কদের আস্থা আছে কি না তা যাচাই করা হবে। যেহেতু অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন বিরোধী দলনেতা সে কারণে আলোচনার ক্ষেত্রে ৩০ জন বিধায়কের এতে সম্মতি থাকতে হবে। শেষ পর্যন্ত, বিধানসভা থেকে অনাস্থা আনার অনুমতি প্রস্তাব সামনে এলে কবে এই নিয়ে আলোচনা হবে, বা আদৌও আলোচনার অনুমতি মিলবে কি না তা জানিয়ে দেবেন স্পিকার নিজেই। বিধানসভা সূত্রের খবর, প্রস্তাব উঠলে আলোচনার অনুমতি দিতে পারেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • SSC Scam: মানিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নির্দেশ আদালতের

    SSC Scam: মানিকের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে! নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নির্দেশ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের দেশ-বিদেশের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। তিনি জানান, এক মাসের মধ্যে মানিকের যাবতীয় সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে। সোমবার তিনি হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই নির্দেশ দিয়েছেন। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam)তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) অথবা সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) মানিকের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারবে।  

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মানিককে জরিমানা

    সোমবার বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে মানিকের একটি মামলার শুনানি চলাকালীন এই নির্দেশ দেন তিনি। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Scam) জেলবন্দি রয়েছেন পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক। এর আগে দুটি আলাদা মামলায় মানিককে ২ লক্ষ এবং ৫ লক্ষ, মোট ৭ লক্ষ টাকা জরিমানা করে আদালত। সেই জরিমানার টাকা দেননি মানিক। এমনকি আদালতে কোনও আবেদনও জানাননি তিনি। সেই জরিমানার টাকা অনাদায়ে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সোমবার মামলার শুনানিতে তদন্তকারী সংস্থাকে এই নির্দেশ দেন তিনি। দেশে, বিদেশে মানিকের যত সম্পত্তি আছে, তা শীঘ্রই বাজেয়াপ্ত করা হবে। জরিমানার অর্থ না মেটানো পর্যন্ত তাঁকে সম্পত্তি ফেরত দেওয়া হবে না।

    আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    দিন পাঁচেক আগেই মানিকের স্ত্রী শতরূপা ভট্টাচার্য ও ছেলে শৌভিককে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল আলিপুর আদালত। ইডি আদালতে দাবি করে, শৌভিক যে কয়েকবার লন্ডনে গিয়েছেন তাতে তাঁর ভিসায় ‘পার্পাস’ হিসেবে লেখা ছিল ‘রেসিডেন্সিয়াল।’ কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রশ্ন, বাড়ি বা জমি না থাকলে কী করে রেসিডেন্সিয়াল পার্পাস হয়? যদিও মানিক তাঁর বিদেশে সম্পত্তির কথা অস্বীকার করেছেন। ইডির দাবি, ২০১২ সাল থেকে শুরু করে অন্তত ২০বার বিদেশ সফরে গিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যের পরিবার। বিদেশ সফরের তালিকায় ব্রিটেন, মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, নাইজেরিয়া, মালদ্বীপ, ভিয়েতনামের মতো একাধিক দেশ রয়েছে। প্রতিটি সফরে খরচ হয়েছে অন্তত ৪০-৫০ লক্ষ টাকা। পুরোটাই কী নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকায়, তারই খোঁজ চালাচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    SSC Scam: মাধ্যমিকের পরে বরখাস্ত করা হবে নবম-দশমের ‘অবৈধ’ শিক্ষকদের! মন্তব্য বিচারপতি বসুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ মামলায় (SSC Scam) মাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝে বেআইনি চাকরি বাতিল নিয়ে বড় মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। এদিন তিনি বলেন, “রাজ্যজুড়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখন ভুয়ো শিক্ষকদের চাকরি বাতিল হলে পুরো পরীক্ষায় তার প্রভাব পড়বে। পরীক্ষার্থীরা সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এখনই এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া সমস্যার। মাধ্যমিক মিটলে পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত”, মন্তব্য বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর।

    কী ঘটেছে?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এসএসসি নিযুক্ত ৯৫২ জন নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষকের বিরুদ্ধে (SSC Scam) ওএমআর শিট বা উত্তরপত্র বিকৃত করে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এই মামলা প্রথমে ওঠে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চে। পরে সেই মামলাই হস্তান্তর হয়ে যায় বিচারপতি বসুর একক বেঞ্চে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে মামলাটি চলাকালীন সিবিআই তদন্ত-সহ একাধিক নির্দেশ দিলেও অভিযুক্ত ৯৫২ জন প্রার্থীকে মামলায় যুক্ত করেননি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পরে বিচারপতি বসুর বেঞ্চে মামলাটি উঠলে তিনি ওই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জনের চাকরির সুপারিশ পত্র বাতিল করে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। কিন্তু এই দু’টি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো শিক্ষকেরা। আদালত তাঁদের বক্তব্য শোনার পর রায়দান স্থগিত রেখেছে। আজ বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এক চাকরিপ্রার্থীর মামলার শুনানি ছিল। সেসময়েই নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতিতে এমন মন্তব্য বিচারপতি বসুর।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও বিপাকে তাপস, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল ইডি

    কী বললেন বিচারপতি?

    বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নবম-দশমের অযোগ্যদের চাকরি বরখাস্তের (SSC Scam) প্রসঙ্গ এনে জানিয়েছেন, মাধ্যমিক চলাকালীন এদের বরখাস্ত করলে পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের উপরই তার প্রভাব পড়তে পারে। ফলে মাধ্যমিক চলাকালীন অযোগ্যদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হবে না। এতে পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় প্রভাব পড়তে পারে। একইসঙ্গে বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নবম-দশম শ্রেণিতে প্রায় ১১ হাজার শিক্ষক নিয়োগ হয়। তার মধ্যে ১০ শতাংশ বা প্রায় হাজারের বেশি শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে।” ফলে বরখাস্ত হওয়া অযোগ্যের সংখ্যা ১১০০-র কাছাকাছি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে এতে স্কুলে সমস্যা হতে পারে।

    উল্লেখ্য, মাধ্যমিক পরীক্ষার মুখে গ্রুপ ডি পদে ১৯১১ জনকে চাকরি থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তার জেরে অনেক স্কুলে একমাত্র গ্রুপ ডি কর্মীর চাকরি চলে যায়। সেই সব স্কুলে গ্রুপ ডি কর্মীর দায়িত্ব ভাগ করে করতে হয়েছে শিক্ষকদের। ফলে এই পরিস্থিতিতে বিচারপতির মন্তব্য যে, মাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলেই চাকরি বরখাস্তের পরবর্তী পদক্ষেপ করবে আদালত (SSC Scam)।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Rajasekhar Mantha: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    Rajasekhar Mantha: কাঁকুড়গাছিতে নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারকে ‘পর্যাপ্ত’ নিরাপত্তা দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২১ সালে বিধানসভা ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃত বিজেপি কর্মীর দাদা বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মা নিরাপত্তা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিজিতের মাকে অভিযুক্তরা এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মামলা প্রত্যাহার না করলে প্রাণনাশের ভয়ও দেখানো হয়েছে। এরপরেই নিরাপত্তা চেয়ে মামলা দায়ের করে সরকার পরিবার। সোমবার এই মামলাটি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে উঠেছে। সেই মামলাতেই ‘পর্যাপ্ত নিরাপত্তা’ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার (Rajasekhar Mantha) নির্দেশ, শিয়ালদহ আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় তাঁদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে।

    কী জানা গিয়েছে?

    অভিজিতের দাদা বিশ্বজিতের দাবি, শনিবার দুপুরে তাঁদের বাড়িতে বেশ কয়েকটা গুন্ডা নিয়ে পৌঁছন অভিযুক্তদের আইনজীবী (Rajasekhar Mantha)। অভিজিতের মা-কে সাদা কাগজে সই করার জন্য চাপ দিতে থাকেন তিনি। সই করতে অস্বীকার করলে ওই বৃদ্ধাকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। মানসিক চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অভিজিতের মা। এমনকী তাঁকে এনআরএস হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়। সেখানে চিকিৎসার পর বাড়ি নিয়ে আসেন বিশ্বজিৎবাবু।

    বিশ্বজিৎ বলেন, “আদালতের নির্দেশে আমাদের বাড়ির সামনে ২৪ ঘণ্টা পুলিশি নিরাপত্তা থাকে। থাকে সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারি। ঘটনার পর পুলিশকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে বললে তারা জানায়, ক্যামেরা চালু হচ্ছে না।” এরপরেই আরও কড়া নিরাপত্তার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয় সরকার পরিবার।

    আরও পড়ুন: জার্মানিতে এসে কাজ করুন ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি ও দক্ষ কর্মীরা, আবেদন জার্মান চ্যান্সেলরের   
     
    সোমবারই বিজেপি কর্মী খুন মামলায় সাক্ষী দেওয়ার কথা ছিল বিশ্বজিৎ সরকার এবং তাঁর মায়ের (Rajasekhar Mantha)। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নারকেলডাঙা থানাকে নোটিস দিতে নির্দেশ দেন। 

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের (Rajasekhar Mantha) বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ আসে। ওই সময়ই ২ মে ফল ঘোষণার দিন কাঁকুড়গাছির শীতলাতলা লেনের বাসিন্দা অভিজিৎ সরকারের দেহ উদ্ধার করা হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করে অভিজিতের পরিবার। ভাইয়ের খুনিকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে এতদিন লড়াই করছেন বিশ্বজিৎ। এই ঘটনায় নাম জড়ায় বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালের। পরেশকে ডেকে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • BJP Gram Sampark Abhiyaan: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    BJP Gram Sampark Abhiyaan: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ‘গ্রাম সম্পর্ক’ অভিযানে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নয়া জনসংযোগ অভিযানে (BJP Gram Sampark Abhiyaan) নামছে বিজেপি যুব মোর্চা। ইতিমধ্যেই বিজেপি রাজ্য সভাপতির পাড়ায় সুকান্ত কর্মসূচি যথেষ্ট সাড়া ফেলেছে। এবার পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামের মানুষের উঠোনে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা শোনা হবে। এই নয়া কর্মসূচির নাম ‘গ্রাম সম্পর্ক অভিযান’।  

    আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি থেকে তিনটি পর্যায়ে শুরু হবে এই অভিযান। এই কর্মসূচিতে যুব মোর্চার (BJP Gram Sampark Abhiyaan) নেতা কর্মীরা গ্রামের সাধারণ মানুষের সঙ্গে উঠোন বৈঠক করবেন। এছাড়াও গ্রামের সমস্ত শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। দেশের জন্য শহিদ কিংবা দলের ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে লড়াই করতে গিয়ে যারা শহিদ হয়েছেন সেই সব পরিবারের সঙ্গেও যুব মোর্চার নেতা কর্মীরা দেখা করবেন। 

    সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা (BJP Gram Sampark Abhiyaan) গ্রামের মানুষের সুখদুঃখের কথা শুনবেন। বিশেষত কেন্দ্র সরকারের প্রকল্পগুলি যেভাবে লুট হচ্ছে সে বিষয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে তারা জানতে চাইবেন।”

     

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার মধ্যেই সাগরদিঘিতে ভোটগ্রহণ শুরু  

    তবে এই কর্মসূচির অন্তর্গত আরো একটি বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে যার নাম অমৃত সন্ধ্যা। এই কর্মসূচির (BJP Gram Sampark Abhiyaan) মাধ্যমে যুব মোর্চার কর্মীরা গ্রামের বিশিষ্টজনের সঙ্গে দেখা করবেন ও কথা বলবেন। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, “এই গোটা কর্মসূচির দিন নির্ধারণের ক্ষেত্রে পরীক্ষার কথা মাথায় রাখা হয়েছে। তাই লাউডস্পিকার এক্ষেত্রে ব্যবহার হবে না। প্রথম পর্যায়ে ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১১ মার্চ থেকে ১৮ মার্চ, তৃতীয় পর্যায়ে ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন হবে।”  এই অভিযানের মাধ্যমে প্রায় ১৮০টি বিধানসভা ও দলের ৩২টি সাংগঠনিক জেলায় পৌঁছবে বিজেপির যুব বাহিনী। সেখানে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনা হবে। 

    কেন এই কর্মসূচি?

    এই কর্মসূচি কেন নেওয়া হয়েছে সেই কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুকান্ত (BJP Gram Sampark Abhiyaan) উদাহরণ দিয়ে বলেন, “একটি বাড়ির তালিকা আমরা পেয়েছি। সেটা কৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত দক্ষিণ ২৪ পরগনার। সেখানে গৌরাঙ্গ অধিকারী যার পিতার নাম সুখময় অধিকারী তিনি একবার এসসি ক্যাটাগরিতে একটি বাড়ি পেয়েছেন। তিনিই আবার জেনারেল ক্যাটাগরিতে বাড়ির টাকা পেয়েছেন।” এই উদাহরণ থেকে আবারো স্পষ্ট হয়ে গেল যে বিজেপির নিশানায় রাজ্য সরকারের দুর্নীতি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • Governor of West Bengal: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা 

    Governor of West Bengal: নিশীথের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল! রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল দিনহাটায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের ওপর হামলার ঘটনায় এদিন কড়া বিবৃতি দিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল (Governor of West Bengal) সিভি আনন্দ বোস। সঙ্গে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল।

    কী বললেন রাজ্যপাল (Governor of West Bengal)

    রাজভবন থেকে জারি করা প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী রাজ্যপাল বলছেন, আমি হতবাক হয়ে গেছি একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর ওপর এমন বর্বরোচিত হামলার ঘটনায়। ঐতিহাসিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সংস্কৃতির পীঠস্থান হল এই বাংলার মাটি। সেখানে এধরনের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়।
    রাজ্যপাল আরও বলেন, বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর কাছে দাবি আসছে আইন শৃঙ্খলার অবনতির কারণে এ রাজ্যে সংবিধানের ৩৫৫ ধারা প্রয়োগ করার জন্য। রাজ্য সরকারকে এদিন গণতন্ত্রের পাঠও দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের অংশ হল বিক্ষোভ এবং আন্দোলন, কিন্তু হিংসা এবং সন্ত্রাসের অনুপ্রবেশ কখনই কাম্য নয়। সমাজবিরোধীরা যারা আইনকে নিজের হাতে তুলে নিতে চায়, তাদের কড়া হাতে দমন করার কথাও রাজ্য সরকারকে মনে করিয়েছেন রাজ্যপাল। পুলিশকে নিরপেক্ষ থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তাঁর মত, পুলিশ এবং প্রশাসনের অফিসাররা কোনও  নির্দিষ্ট পক্ষের হয়ে এবং ভয়ের কাছে নত হয়ে কাজ করবেন না এটাই বাংলার মানুষ চায় সবসময়। পুলিশকে তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে আইন শৃঙ্খলার প্রশ্নে কোনও রকমের শিথিলতাকে যেন প্রশয় না দেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গের সমাজকে এভাবে গুণ্ডারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা বলেও তিনি একহাত নিয়েছেন রাজ্য সরকারকে। বিভিন্ন মহলের ধারনা শাসক দলের গুণ্ডাদের হাতে পশ্চিমবঙ্গের সমাজ চলে গিয়েছে এবং পুলিশ নিধিরাম সর্দার, এটাই এদিন বলতে চেয়েছেন রাজ্যপাল। নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে ব্যক্তিগত ভাবে কথাও তিনি বলেছেন বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এমন ঘটনা ঘটলে রাজ্যপাল যে চোখ কান বন্ধ করে থাকবেনা এবং রাজ্যের যেকোনও প্রান্তে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটলে যে তিনি  হস্তক্ষেপ করবেন সেটাও এদিন রাজ্য সরকারকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সরকার যেন অবিলম্বে রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে এবং সমাজবিরোধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়, এই আবেদনও রেখেছেন তিনি।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

       

LinkedIn
Share