Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) টিকিটে জিতে বিধায়ক হয়েছিলেন মুকুল রায় (Mukul Roy)। পরে ফের দল বদলে হাতে তুলে নেন তৃণমূলের ঝান্ডা। এর পরেই মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্পিকারের রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি বিরোধী দলনেতা। দ্বারস্থ হন সুপ্রিম কোর্টের। দেশের শীর্ষ আদালত শুভেন্দুকে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলে। সেই মতো সোমবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শুভেন্দুর আইনজীবী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি পাঠায় সিঙ্গল বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, সিঙ্গল বেঞ্চ থেকে মামলাটি রিলিজ হওয়ার পর শুনবে ডিভিশন বেঞ্চ।

    তিনি তৃণমূল বিধায়ক, দাবি মুকুলের…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তৃণমূল ছেড়ে পদ্ম শিবিরে আসা মুকুল রায়। বিধায়ক হওয়ার পর ওই বছরই ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। তার পরেই বিজেপির পরিষদীয় দল মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে স্পিকারের দ্বারস্থ হন। গত ৮ জুন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। তিনি জানিয়েছিলেন, মুকুল এখনও বিজেপিরই বিধায়ক। তাঁর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী যশবন্ত সিনহাকে ভোট দিতে এসে মুকুল দাবি করেন, তিনি তৃণমূল বিধায়ক। মুকুলের এই দাবিতে যারপরনাই অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্যের শাসক দল।

    আরও পড়ুুন: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) তখন অভিযোগ করেছিলেন, সংবিধানের দশম তফশিল পশ্চিমবঙ্গে অনুসৃত হয় না। প্রসঙ্গত, সংবিধানের দশম তফশিল অনুসারে, কোনও বিধায়ক দলবিরোধী আচরণ করছেন কি না, এবং সেই কারণে তাঁর সদস্যপদ খারিজ হবে কি না, তা নির্ধারণের চূড়ান্ত অধিকার স্পিকারের। মুকুলকে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করার বিরোধিতা করেও পৃথক একটি মামলা সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করেছিল বিজেপি। তখনও পদ্ম শিবিরকে কলকাতা হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। তার জেরেই এদিন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলকে রুখতে সশক্তিকরণ অভিযান শুরু বিজেপির

    BJP: তৃণমূলকে রুখতে সশক্তিকরণ অভিযান শুরু বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন। তাই রবিবার থেকে শুরু হয়েছে বিজেপির (BJP) বুথ সশক্তিকরণ অভিযান। এদিন বালুরঘাটে এই অভিযানের সূচনা করেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর নন্দীগ্রামে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    সংগঠন শক্তিশালী করাই লক্ষ্য বিজেপির (BJP)…

    মাস দুয়েকের মধ্যে রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই দুই নির্বাচনের কারণেই বাংলায় শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজন। প্রয়োজন তৃণমূলকে রুখে দেওয়া। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বঙ্গ বিজেপির সমীক্ষা অনুযায়ী, রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় দলের বুথ পর্যায়ে সক্রিয়তা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কম। সেই সব বুধে নতুন করে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্ম শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২০০ আসন। যদিও সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি গেরুয়া শিবির। মাত্র ৭৭টি আসন পেয়েই থেমে গিয়েছিল বিজেপির (BJP) অশ্বমেধের ঘোড়া। সমীক্ষায় গেরুয়া শিবির দেখেছে, বিভিন্ন বুথে সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারেনি পদ্ম শিবির। সেই কারণেই শক্তি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বঙ্গ বিজেপি। তার জেরেই হচ্ছে বুথ সশক্তিকরণ অভিযান।

    ১২ মার্চ থেকে শুরু হওয়া অভিযান চলবে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। ১৩ দিন ধরে চলা এই কর্মসূচিতে রাজ্যের সব সাংগঠনিক জেলায় বুথ স্তরে যাবেন বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতারা। এদিন দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ খানপুর সংসদের ৮৮ নম্বর বুথ সশক্তিকরণ অভিযানের সূচনা করেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সুকান্ত বলেন, বুথ আমাদের আগেও ছিল। এখনও আছে। এবার সেই বুথগুলিকে নতুন করে দেখা। নতুন লোক ঢোকানো। আরও শক্তিশালী করা। এই জন্যই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন, পরবর্তীকালে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত শক্তিশালী বুথ তৈরি করে লড়াই করা।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতার গলা জড়িয়ে চটুল নাচ সুন্দরী নর্তকীর, টাকা ছড়াচ্ছেন নেতা, কোথায় দেখে নিন

    এদিন একই সঙ্গে নন্দীগ্রামে এই কর্মসূচির সূচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি গিয়েছিলেন সোনাচূড়ার ২৭৮ নম্বর বুথে। শুভেন্দু বলেন, গোটা গ্রামে একজনও আমফানের টাকা পাননি। মোদিজি ২০ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। ১০০ দিনের কাজের টাকা তুলে নিয়েছে। ২৭৮ নম্বর বুথে একটাও শৌচালয় নেই। তিনি বলেন, এই গ্রামের দিকে তাকিয়ে দেখুন, ১০টার মধ্যে একটা পাকা বাড়ি। উন্নয়ন শুধু মমতার পরিবারের হয়েছে। এদিন কলকাতার শ্যামপুকুর এলাকায় কলকাতা পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৪১ ও ৪৩ নম্বর বুথে যান বিজেপি নেতা তমোঘ্ন ঘোষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: কালিকাপুর স্টেশনের নাম হল কবি সুকান্ত, কবে থেকে ছুটবে নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো?

    Kolkata Metro: কালিকাপুর স্টেশনের নাম হল কবি সুকান্ত, কবে থেকে ছুটবে নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেট্রোর মানচিত্রে নতুন রুট! নিউ গড়িয়া থেকে রুবি মোড় পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ। যেকোনও দিন ছুটতে পারে মেট্রো (Kolkata Metro)। তার আগে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। রবিবার একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) তরফে জানানো হয়েছে এই রুটে কবি সুকান্ত স্টেশনের কাজ প্রায় শেষের পথে। কিশোর কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতেই কালিকাপুর সংলগ্ন মেট্রো স্টেশনের নাম রাখা হয়েছে কবি সুকান্ত।

    আরও পড়ুন: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    নয়া মেট্রোপথ কত কিমির

    মোট সাড়ে ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট এই মেট্রোপথে রয়েছে ৫টি স্টেশন। রুবির আগে পর্যন্ত চতুর্থ স্টেশনের নাম দেওয়া হয়েছে কবি সুকান্ত। মেট্রো (Kolkata Metro) স্টেশনটিতে ঢোকার মুখেই চোখে পড়বে কিশোর কবির ছবি এবং কবিতার বিভিন্ন লাইন। জানা গিয়েছে সুকান্ত ভট্টাচার্যের নামাঙ্কিত এই স্টেশনে থাকছে ৮টি চলমান সিঁড়ি, ৪টি লিফট, ১২টি সিঁড়ি। যাত্রীদের নিরাপত্তায় গোটা স্টেশনকে সিসিটিভি দিয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। নিরাপত্তার পাশাপাশি মাথায় রাখা হচ্ছে স্টেশনের সৌন্দর্যের বিষয়টিও।

    আরও পড়ুন: মার্চেই ভারত থেকে ডিজেল যাবে বাংলাদেশে! আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন উদ্বোধনে মোদি-হাসিনা

    কী বলছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ 

    কবি সুভাষ থেকে কলকাতা বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রোপথে প্রাথমিক ভাবে কাজ হয়েছে রুবি মোড় অবধি। মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই অংশে পরীক্ষামূলক ভাবেও মেট্রো চালানো হয়েছে। মার্চ মাসের যে কোনও দিন চালু হবে মেট্রো (Kolkata Metro) চলাচল। মেট্রো রেলের মুখ্য জনস‌ংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, কলকাতা মেট্রোর (Kolkata Metro) এই রুটে কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের পর আর এক বিখ্যাত কবি সুকান্তর নামে স্টেশন তৈরি করতে পেরে তাঁরা গর্বিত।

    আরও পড়ুন: ৩০ বছরের পুরোনো ঠান্ডা পানীয় ক্যাম্পা কোলা ফিরছে রিলায়েন্সের হাত ধরে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Shantanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে ইডির তলব শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    Shantanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবারে ইডির তলব শান্তনুর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের তলব করা হল ধৃত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে। ইডি-র দাবি, একাধিক শেল কোম্পানির ডিরেক্টর করা হয়েছিল এই প্রিয়াঙ্কাকে। এছাড়াও শান্তনুর এই বিশাল সম্পত্তির উৎসের হদিশ পেতে প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই তাঁকে ২ দফা তলব করেছিল ইডি। কিন্তু, সই তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। চলতি সপ্তাহে ফের তাঁকে তলব করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    কে এই প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়?

    সূত্রের খবর, হুগলির বলাগড়ের বাসিন্দা প্রিয়াঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায় কোবড়ো হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর বলাগড় উচ্চ-বালিকা বিদ্যালয় থেকে উচ্চ-মাধ্যমিক পাশ করেন। পরবর্তীতে বিজয়কৃষ্ণ কলেজ থেকে স্নাতক পাশ করেন। স্নাতক পাশের ডিগ্রি নেওযার পরে প্রিয়াঙ্কা বিএড পাশ করেন। জানা গিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা খুব ভাল আঁকতে পারেন। স্থানীয় স্কুলে আঁকাও শেখাতেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর একটি বুটিকও রয়েছে। ২০০৫ সালে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Shantanu Banerjee) সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ভালোবেসেই একে অপরকে বিয়ে করেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: বাংলায় শয়ে শয়ে মিনি কাশ্মীর রয়েছে! কেন এ কথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    প্রিয়াঙ্কার নামেও সম্পত্তির হদিশ

    ইডি সূত্রে খবর, প্রিয়াঙ্কার নামেও প্রচুর সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। জানা গিয়েছে, দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতেই একাধিক কোম্পানি খুলেছিলেন শান্তনু (Shantanu Banerjee)। তবে তার মধ্যে বেশ কয়েকটির ডিরেক্টর পদে রেখেছিলেন স্ত্রী প্রিয়াঙ্কাকে। জানা গিয়েছে, এমনই একটি সংস্থা ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছিল। শুরু থেকেই সেই সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল প্রিয়াঙ্কাকে। এছাড়াও ইডি সূত্রে খবর, বলাগড়ের রেস্তরাঁ শান্তনুর হলেও খাতায় কলমে কর্ত্রী প্রিয়াঙ্কাই। দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা সম্পত্তিতে এবং স্ত্রী-সহ একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসায় বিনিয়োগের মাধ্যমে সাদা করা হয়েছে। এমনকী প্রিয়াঙ্কার জমা দেওয়া সম্পত্তি এবং আয়করের হিসাবেও অসঙ্গতি পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ফলে এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক তিনি ও তাঁর স্বামী কী ভাবে হলেন, প্রিয়াঙ্কার কাছ থেকে সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতে চায় ইডি। এ সপ্তাহেই নথিপত্র নিয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। তবে এটাই এখন দেখার যে, এবারেও কি ইডির তলব এড়িয়ে যাবেন নাকি হাজিরা দেবেন প্রিয়াঙ্কা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantanu Banerjee: শুধু চাকরি বিক্রি নয়, বদলির সুপারিশপত্রও মানিককে পাঠাতেন শান্তনু! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Shantanu Banerjee: শুধু চাকরি বিক্রি নয়, বদলির সুপারিশপত্রও মানিককে পাঠাতেন শান্তনু! বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Shantanu Banerjee) গ্রেফতার করেছে ইডি। এর পর থেকেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ইডি সূত্রে খবর, শুধু চাকরি বিক্রির টাকাই নয়, সরকারি কর্মচারীদের বাড়ির কাছে বদলির জন্যেও সুপারিশ করতেন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি থেকে গুচ্ছ গুচ্ছ চাকরির পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে চাকরি বদলির বেশ কিছু সুপারিশ পত্রও। শান্তনুর সুপারিশে একাধিক জনের চাকরি হয়েছিল বলেও জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা। এখানেই শেষ না, সেই সুপারিশ সরাসরি পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে, এমনটাই দাবি ইডির।  উল্লেখ্য, আজ শান্তনুকে ফের ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করবে ইডি।

    সুপারিশপত্র পাঠানো হত মানিককে!

    গত ২০ জানুয়ারিই এই তৃণমূল নেতার (Shantanu Banerjee) বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই সময় তাঁর বাড়ি থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নাম, অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্র পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু, সূত্রের খবর, তল্লাশি চলাকালীন শুধুমাত্র, এসএসসি, টেট-এর প্রার্থীদের অ্যাডমিট কার্ড, সুপারিশ পত্রই নয়, মিলেছিল সরকারি কর্মীদের বদলির সুপারিশ পত্রও। এর থেকে ইডি আধিকারিকরা ধারণা করছেন, শুধুমাত্র চাকরির বিনিময়ে টাকাই নয়, সরকারি কর্মচারীদের তাঁদের পছন্দের জায়গায় বদলির বিনিময়েও টাকা নিতেন শান্তনু। আবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি চাকরির সুপারিশ পত্র পাঠাতেন মানিক ভট্টাচার্যের কাছে। কুন্তল, শান্তনুকে জেরা করে এমনটাই দাবি করেছে ইডি।

    শুধু তাই নয়, ইডি-র কাছে শান্তনু নাকি স্বীকার করেছেন, দলীয় কর্মী অর্থাৎ, তৃণমূল সদস্যেরাও চাকরি চেয়ে হাজির হতেন তাঁর কাছে। আর এরপর মানিকের কাছে এইসব সুপারিশ পাঠাতেন শান্তনুই। তবে শুধুই মানিক ভট্টাচার্য, নাকি নিয়োগ দুর্নীতিতে আরও বড় কোনও নেতা রয়েছে, তা জানতে তদন্ত জারি থাকবে বলে ইডি-র তরফে জাননো হয়েছে।

    চাকরির জন্য মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকা অ্যাডভান্স

    টাকার বিনিময়ে চাকরি পেতে আগ্রহীদের কাছ থেকে কত টাকা করে নেওয়া হত, তাও উঠে এসেছে ইডির জেরায়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাইমারি এবং আপার প্রাইমারির জন্য মাথাপিছু পাঁচ লাখ টাকা নেওয়া হত অ্যাডভান্স হিসাবে। সংগঠক শিক্ষকদের জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা নিত শুধুমাত্র ইন্টারভিউয়ের জন্য।

    শান্তনুর উত্থান…

    সরকারি চাকরিতে বার্ষিক মাত্র ৬ লক্ষ টাকা বেতন হওয়া সত্ত্বেও শান্তনুর সম্পত্তির মোট মূল্য কোটি কোটি টাকারও উপরে। ফলে কীভাবে তাঁর উত্থান, তা নিয়েই কৌতূহল সবার। জানা গিয়েছে, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন  সামান্য একজন মোবাইল ফোনের দোকানদার। তার থেকে রকেটের গতিতে উত্থান শুরু। ইডির দাবি অনুসারে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, রিসর্ট, গেস্ট হাউস, ধাবা, বাংলোর পরে মিলেছে আরও ফ্ল্যাট এবং ৭০ লাখি বাড়িতে প্রোমোটিং-এর পরিকল্পনার তথ্যও! জানা যাচ্ছে, হুগলির চুঁচুড়ার বাবুগঞ্জ জগন্নাথ ঘাটে একটি দোতলা বাড়ি ৭০ লাখে কিনে প্রোমোটিংয়ের পরিকল্পনা ছিল শান্তনুর। ইভান ট্রেডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের নামে এই বাড়ি কেনার পথে এগিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা, অগ্রিম বাবদ ১৫ লক্ষ টাকাও দেন বলে দাবি বাড়ির মালিকের। ফলে পুরো হুগলি জুড়েই তাঁরই যেন সাম্রাজ্য!

  • DA Protesters: রাজভবনে ডিএ সংক্রান্ত বৈঠক আন্দোলনকারীদের, দাবি মেটানোর আশ্বাস রাজ্যপালের

    DA Protesters: রাজভবনে ডিএ সংক্রান্ত বৈঠক আন্দোলনকারীদের, দাবি মেটানোর আশ্বাস রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডিএ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের আশায় রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবনে গিয়েছিলেন আন্দোলনকারীদের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল (DA Protesters)। রবিবার বেলা ১১টা নাগাদ রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পাঁচ সদস্য। রাজভবনে প্রায় ১৫ মিনিট ছিলেন তাঁরা। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, “সিভি আনন্দ বোস নিজেও প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, আন্দোলনকারীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি যথার্থ।”

    রাজ্যপাল কী বললেন?

    শনিবার ডিএ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে ট্যুইট করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর মত ছিল আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। ফলে সরকারি কর্মচারীদের (DA Protesters) অনশন তুলে নিতে বলেন এবং এর পাশাপাশি রবিবার বৈঠকের ডাক দেওয়া হয় সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীদের। ডিএ সমস্যা নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলেন কর্মীরাও। এর পরেই আজ রাজভবনে তাঁরা পৌঁছে যান ও ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর তাঁরা বেরিয়ে আসেন। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের প্রতিনিধি দল জানান যে, রাজ্যপাল তাঁদেরকে আশ্বাস দিয়েছেন তাঁদের দাবি মেটানোর। এছাড়াও রাজ্যপাল জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের ডিএ সংক্রান্ত দাবি যথার্থ। সাংবিধানিক পদে থেকে তিনি এই দাবি পূরণের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবেন।

    আরও পড়ুন: বালি পাচারের সঙ্গেও যুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়! কীভাবে জড়ালেন এই কারবারে?

    আবার ডিএ সংক্রান্ত আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যপালের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক চেয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা (DA Protesters)। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, সেই বৈঠক আয়োজনেরও চেষ্টা করবেন তিনি। উল্লেখ্য, রাজ্যপালের মধ্যস্থতা চান, তাই আজকে বৈঠকে সামিল হয়েছিলেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সরকারি কর্মচারীরা।

    অনশন অব্যাহত

    তবে রাজ্যপালের তরফে আশ্বাস পাওয়া গেলেও এখনই আন্দোলন থেমে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা (DA Protesters)। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চে কর্মচারীদের অনুষ্ঠান তুলে নেওয়ার কথা জানানো হলেও এখনই অনশন বন্ধ করা হচ্ছে না। যতদিন পর্যন্ত তাঁদের দুই দফা দাবি অর্থাৎ বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো এবং স্বচ্ছ নিয়োগ, এই দুটি মেটানো হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ এবং অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও রাজ্যপালের আশ্বাসের পর কী পদক্ষেপ করা হয়, তা আগে দেখবেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যেরা। সেই অনুযায়ী আন্দোলন নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন তাঁরা।  

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে? হতবাক বিচারপতি বসু

    Recruitment Scam: কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে? হতবাক বিচারপতি বসু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি (SSC) নিয়োগকাণ্ডে (Recruitment Scam) ফের মিলল বিস্ফোরক তথ্য! কাউন্সেলিং ছাড়াই নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে নবম-দশমে। কাউন্সেলিং ছাড়াই চাকরি দেওয়া হয়েছে ইংরেজি শিক্ষক পদে। বীরভূমের চাকরিপ্রার্থী সালমা সুলতানার রোল নম্বরে নিয়োগ করা হয়েছে অন্যজনকে। এটা জানতে পেরে হতবাক কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ঘটনার জেরে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে পেশ হতে পারে রিপোর্ট। জানা গিয়েছে, এসএলএসটিতে উত্তীর্ণ হন সালমা সুলতানা। ইন্টারভিউও দেন। অথচ তার পর আর কাউন্সেলিংয়ের জন্য এ পর্যন্ত ডাকা হয়নি তাঁকে। যদিও তাঁর রোল নম্বরে সুপারিশ ও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

    নিয়োগকাণ্ড (Recruitment Scam)…

    নিয়োগে (Recruitment Scam) যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে তা ক্রমশই প্রকাশ্যে আসছে। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফেঁসে গিয়েছেন একাধিক তৃণমূল নেতাও। আদালতের নির্দেশে ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়েছেন গ্রুপ ডি-র কয়েকশো কর্মী। আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামপুর গ্রামের তৃণমূল নেতা প্রকাশ দাসের দুই মেয়ে ও জামাইয়ের। প্রকাশের দুই মেয়ে মাম্পি ও শম্পার চাকরি গিয়েছে। চাকরি হারিয়েছেন জামাই বিপ্লব দাসও। মাম্পি চাকরি করতেন হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলে। শম্পা ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর কিরণবালা বালিকা বিদ্যালয়ে। আর কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের ক্লার্কের পদে ছিলেন বিপ্লব।

    আদালতের নির্দেশে চাকরি গিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের যুব তৃণমূল নেতা সামসুর রহমানেরও। তিনি রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মণের ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। প্রায় ফাঁকা ওএমআর শিটেই চাকরি জুটেছিল তাঁর। যাঁরা চাকরি খুইয়েছেন, তাঁদের নামের যে তালিকা এসএসসি কর্তৃপক্ষ প্রকাশ করেছেন, তাতে ৫৫১ নম্বরে রয়েছে সামসুরের নাম।

    আরও পড়ুুন: ‘কোনওভাবেই জঙ্গি কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না’, ফের জানালেন শাহ

    চাকরি খুইয়েছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসির সহ সভাপতি সমীর মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ণবও। ২০১৭ সালের ৫ মার্চ এসএসসি গ্রুপ সি-র (Recruitment Scam) চাকরির লিখিত পরীক্ষা দিয়েছিলেন দুর্গাপুরের অর্ণব। পরীক্ষায় পাশ করে কম্পিউটার টাইপিং ও ইন্টারভিউয়ে সফল হয়ে ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে চাকরি পান তিনি। দুর্গাপুর প্রোজেক্টস টাউনশিপ বয়েজ হাইস্কুলে বছর পাঁচেক চাকরি করার পর হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি খোয়ান তিনি। চাকরি হারিয়েছেন হুগলি জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য টুম্পা মেটেও। ডানকুনির বামুনারির বাসিন্দা তিনি। তাঁর স্বামীও তৃণমূল নেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Shantanu Banerjee: বালি পাচারের সঙ্গেও যুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়! কীভাবে জড়ালেন এই কারবারে?

    Shantanu Banerjee: বালি পাচারের সঙ্গেও যুক্ত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়! কীভাবে জড়ালেন এই কারবারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। তিনদিনের ইডি হেফাজতে আপাতত তীক্ষ্ণ প্রশ্নবাণে বিদ্ধ হচ্ছেন হুগলির তৃণমূল নেতা। আর তাঁকে জেরা করতেই প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক তথ্য। তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি ও কোটি কোটি টাকার উৎস কি, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি অবৈধ কারবারেও হাত পাকিয়েছিলেন শান্তনু। বালি পাচারেও নাকি যোগ রয়েছে এই তৃণমূল নেতার, সূত্রের খবর।

    বালি পাচারেও যোগ শান্তনুর

    সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগের পাশাপাশি বালি খাদান থেকেও তিনি বেআইনি ভাবে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠছে। হুগলি জেলার একাধিক বালি খাদানে তাঁর যোগ রয়েছে। বিশেষ করে গোঘাট, আরামবাগ, পুড়শুড়া এমনকী বর্ধমানেও বেশ কয়েকটি বালি খাদানে  তাঁর অংশ রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই বালির কারবার চলত মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর ও দ্বারকেশ্বর নদীতে। এক প্রকার বালি লুট করে পাচার করে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। আরও জানা গিয়েছে, এই সমস্ত বালি খাদান গুলিতে তাঁর অনুগামীরাই কাজ করত এবং কালেক্টর হিসাবে টাকা তুলে তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জির হাতে তুলে দিত। সেই টাকাতেই সামান্য মোবাইলের দোকানদার থেকে কোটিপতি হন বলে অভিযোগ।

    কীভাবে শুরু হয় বালি পাচারের কারবার?

    জানা গিয়েছে, শাসকদলের এক দাপুটে নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় (Shantanu Banerjee)। একসময় তাঁর দাপটে আরামবাগের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। অথচ পুলিশ নীরব ছিল। শান্তনুর দাপট এতটাই ছিল যে পুলিশ প্রশাসন পর্যন্ত নীরবে সব দেখেও না দেখার ভঙ্গিতে বসে থাকত। জানা গিয়েছে, এই আরামবাগকে টার্গেট করেছিল প্রায় ১৫ বছর আগে। প্রথমেই তিনি মোবাইল ব্যবসা করলেও বিদ্যুৎ দফতরে  ক্যাসিয়ার হিসাবে খানাকুলের রাজহাটিতে কাজ করতে শুরু করেন। তারপরই ধীরে ধীরে তৃণমূলের দাপুটে নেতা হিসেবে তাঁর উত্থান ঘটে। সেই উত্থানের মধ্যেই খানাকুলে বসে আরামবাগ মহকুমায় বালি ব্যবসার ছক করেন বলে অনুমান। আরামবাগে কীভাবে বালি মাফিয়ারাজ চালানো যায় সেই বিষয়ে পরিকল্পনা করেন বলে দাবি এলাকার মানুষের। এরপর তিনি বলাগড়ে পোষ্টিং নিয়ে চলে যান এবং দফতরে কাজ শুরু করেন। এরপরেই কোনও বড় নেতার ছত্রছায়ায় থেকে হুগলি জেলার যুব সভাপতি হন। তারপর ধীরে ধীরে প্রভাব বিস্তার করে বালি মাফিয়ার সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন বলে অভিযোগ।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    তৃণমূল নেতা শান্তনু ব্যানার্জির (Shantanu Banerjee) বালি পাচার নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। বিজেপি নেতৃত্ব শান্তনুর বালি কারবার যোগ নিয়ে সরব হন। সবমিলিয়ে এখন এলাকায় নিয়োগ দুর্নীতির ছায়ার পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের ব্যাপক ক্ষোভ এই বালি মাফিয়ারাজ নিয়ে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    Allotment: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের (Central Government) বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে নানা সময় সরব হতে দেখা গিয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)। বিশেষত কোনও নির্বাচন এসে গেলেই কেন্দ্র টাকা দেয়নি বলে কুম্ভীরাশ্রু বিসর্জন করতে শুরু করেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, কেন্দ্রের বিজেপি (BJP) সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে আদতে তৃণমূলের দুর্নীতির দিক থেকে জনতার দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী।

    বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment)…

    জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে এ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার জন্য বরাদ্দ (Allotment) করেছে ৮৯,৯৬০ কোটি টাকা। এবার দেখে নেওয়া যাক, কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বাংলার রেলওয়ে প্রকল্পের জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে বলে মঙ্গলবারই জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। আমরুত ২.০-র জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩,৬৫০ কোটি টাকা। রেভেনিউ ডেফিসিট গ্র্যান্টস পেমেন্টের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১৩,৫৮৭ কোটি টাকা। গ্রামীণ সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩৫৩ কোটি টাকা, ২০২৫ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ৫,৫০০ কোটি টাকা। পিএমএওয়াই-জি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৮,২০০ কোটি টাকা। বাংলায় রাস্তা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শিলিগুড়িতে জাতীয় সড়কের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। রাজ্য সরকারের সম্মতি না মেলায় ক্যাপেক্স লোন পায়নি বাংলা। যদিও পরিকাঠামোর উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ (Allotment) হয়েছে ৭,৬০০ কোটি টাকা। ১৯৪৫ সালের আগে যেসব স্কুল গড়ে উঠেছে, সেগুলির উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ২৫০ কোটি টাকা। রানিগঞ্জে চার লেনের বাইপাস তৈরির জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৪১০ কোটি টাকা। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ হয়েছে ২,৬৫০ কোটি টাকা। নমামি গঙ্গা প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১২৩ কোটি টাকা। সর্ব শিক্ষা অভিযান প্রকল্পে রাজ্য সরকার পেয়েছে ৯৫৫ কোটি টাকা। কর আদায়ের প্রেক্ষিতে দেওয়া হয়েছে ১০,৬৪২ কোটি টাকা।

    মাত্র চার মাসে দেওয়া হয়েছে এই পরিমাণ (Allotment) অর্থ। তার পরেও বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ টাকা খয়রাতি করে রাজ্য সরকার খরচ করছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। তার জেরে বন্ধ রয়েছে একশো দিনের কাজের মতো নানা প্রকল্প। অথচ রাজ্য সরকার গলা ফাটাচ্ছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sovandeb Chattopadhyay: আদিবাসীদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর করা মন্তব্যের জেরে অনির্দিষ্টকালের বনধ

    Sovandeb Chattopadhyay: আদিবাসীদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর করা মন্তব্যের জেরে অনির্দিষ্টকালের বনধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসীদের নিয়ে কৃষিমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের (Sovandeb Chattopadhyay) করা বিরূপ মন্তব্যের মাশুল গুনল ঝাড়গ্রাম (Jhargram)। তাঁর মন্তব্যের প্রতিবাদে শনিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেছে আদিবাসীদের সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা। বনধের জেরে শনিবার ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। এদিন ঝাড়গ্রামে বেসরকারি বাস চলেনি। রাস্তায় হাতে গোণা যে কটি সরকারি বাস বেরিয়েছিল, অবরোধের জেরে তাও আটকে গিয়েছে মাঝপথে। তবে ব্যাঘাত ঘটেনি জরুরি পরিষেবায়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় আদিবাসীদের অপমান করেছেন। অবিলম্বে তাঁকে আদিবাসী সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবেই স্বাভাবিক হবে পরিস্থিতি।

    শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay) বলেন…

    প্রসঙ্গত, ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বঙ্গভঙ্গ বিরোধী প্রস্তাবের আলোচনায় আদিবাসীদের পরিযায়ী ও গোর্খাদের বহিরাগত বলেছিলেন শোভনদেব (Sovandeb Chattopadhyay)। রাজ্যের এক মন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন কুমারগ্রামের বিধায়ক বিজেপির মনোজ টিগ্গা। তিনি বলেন, মন্ত্রী ইতিহাসের অপলাপ করছেন। শোভনদেবের এই মন্তব্যের জেরেই ডাকা হয়েছে অনির্দিষ্টকালের বনধ।

    আরও পড়ুুন: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    বনধের জেরে এদিন ঝাড়গ্রাম শহরের বুকে শপিং মল থেকে শুরু করে কোর্ট রোড চত্বরের দোকান, জুবলি মার্কেটের দোকান বন্ধ রয়েছে। গজাশিমূলের কাছে অবরোধ করা হয় কলকাতা-মুম্বই ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। রাস্তা অবরোধ করা হয় লোধাশুলির কাছেও। এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ। অবরোধ করা হয় বিনপুর এক নম্বর ব্লকের দহিজুড়ি মোড়েও। বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের শিলদা চকেও অবরোধ করেন বনধ সমর্থনকারীরা। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে অবরোধ করা হয়েছে পথ। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট। আদিবাসী সমাজের পক্ষে ডানগা হাঁসদা বলেন, ঝাড়গ্রাম জেলার সমস্ত ব্লকে আমাদের অবরোধ ও বনধ কর্মসূচি চলছে। আমরা আগেই ঘোষণা করেছি এই বনধ অনির্দিষ্টকাল চলবে।

    তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভা কক্ষের মধ্যে মাননীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay) যে মন্তব্য করেছেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং বেদনাদায়ক। তার প্রতিবাদে আজ আমরা ঝাড়গ্রাম জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ ডেকেছি। ডানগা হাঁসদা বলেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ভুল স্বীকার করতে হবে। তাঁকে বলতে হবে ভুলবশত বলা হয়ে গিয়েছে। তাহলে আমরা মেনে নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share