Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    Scam: এবার স্বাস্থ্য দপ্তরে দুর্নীতি! ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কাজে যোগ দিতে এসে শ্রীঘরে যুবক, কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ শিক্ষক দুর্নীতি (Scam) নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। আদালতের নির্দেশ রাজ্যে শয়ে শয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ বাতিল হয়েছে। শুক্রবারই গ্রুপ সি পদে আদালতের নির্দেশে নতুন করে বহু নিয়োগ বাতিল হয়েছে। চাকরি বাতিলের তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝিও রয়েছে। এরইমধ্যে ভুয়ো নথি নিয়ে গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে ধরা পড়ল এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দপ্তরে এই ধরনের দুর্নীতির (Scam) ঘটনা ঘটনা ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালের আধিকারিকরা তার কাছে থাকা নিয়োগপত্র দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, নিয়োগপত্র নিয়ে তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। তারপর নিয়োগপত্রটি জমা দিয়ে কাজে যোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করার জন্য তিনি বলেন। নিয়োগপত্র দেখেই আমার সন্দেহ হয়। কারণ, স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে এভাবে একজনের নিয়োগপত্র দেওয়া হয় না। আমি চারিদিকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, এই ধরনের কাউকে স্বাস্থ্যদপ্তর থেকে পাঠানো হয়নি। ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে ওই যুবক হাসপাতালে এসেছিল। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

    কে দিল ওই ভুয়ো নিয়োগপত্র? Scam

    উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য দফতরের গ্রুপ ডি পদে চাকরিতে যোগ দিতে এসেছিল ওই যুবক। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতের নাম মোক্তার আলি। তার বাড়ি মালদহের ইংলিশবাজার এলাকায়। মোক্তারকে হাসপাতালে বসিয়ে রেখে পুলিশের খবর দেওয়া হয়। পুলিশের কাছে সে স্বীকার করে স্পিড পোস্টে তার কাছে নিয়োগপত্রটি এসেছিল। তবে, এই নিয়োগপত্রের বিনিময়ে সে কত টাকা দিয়েছে তা পুলিশের কাছে স্বীকার করেনি।  মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, পরীক্ষা না দিয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া যায় না। এই বিষয়টি সকলের জানা দরকার। একটি চক্র রয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে এভাবে ভুয়ো নিয়োগপত্র দেয়। অনেকে তাদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত হয়। তবে, এই হাসপাতালে এই ধরনের কোনও চক্র রয়েছে কি না তা জানা নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ধৃত যুবককে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১০ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ ধৃতকে হেপাজতে নিয়ে এই চক্রের সঙ্গে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা করবে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Santanu Banerjee: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    Santanu Banerjee: সিমকার্ড বেচে দিন কাটত শান্তনুর! সেখান থেকে বাগানবাড়ি, রেস্তোরাঁ, ধাবা কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় মোবাইল ফোনের সিমকার্ড এবং প্রসাধনী সামগ্রী বেচেই দিন গুজরান হত হুগলির বলাগড়ের তৃণমূল (TMC) নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Santanu Banerjee)। ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এই যুবকের আঙুল ফুলে কলাগাছ। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন শান্তনু। তার পরেই খোঁজ মিলেছে তাঁর বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির। বলাগড়ের চাদরা বটতলা এলাকায় গঙ্গার ধার ঘেঁষে মনোরম বাগানবাড়ি। স্থানীয়দের দাবি, অনেক রাত পর্যন্ত এই বাগানবাড়িতে গানবাজনা হত। বহু পুরুষ, মহিলা আসতেন। নীলবাতি লাগানো গাড়িও এসেছে। এখানে আসতেন কুন্তলও। এই বাগানবাড়ির পাশাপাশি

    শান্তনুর (Santanu Banerjee) সম্পত্তি…

    বলাগড়ে রয়েছে ফার্ম হাউসও। এসবের পাশাপাশি বেনামেও বেশ কিছু জমি তিনি কিনেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বাবার অকাল প্রয়াণের পর বিদ্যুৎ দফতরে চাকরি পান শান্তনু। বলাগড়ের বারুইপাড়ায় বাড়ির কাছে রয়েছে অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁ, ধাবা। স্থানীয়দের অভিযোগ, চারটি পরিবারকে উৎখাত করে তৈরি হয় ধাবা। বানিয়েছেন হোম-স্টেও। শান্তনুর একাধিক ফ্ল্যাটও রয়েছে বলে দাবি বিজেপির স্থানীয় এক নেতার।

    অতি সাধারণ একটা চাকরি করে কীভাবে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তৃণমূল নেতা শান্তনু (Santanu Banerjee)? এর উত্তর পেতে হলে ভরসা করতে হবে ইডি-র কথায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থার দাবি, চাকরি প্রার্থীদের কাছে মাথাপিছু ৪ থেকে ৫ লক্ষ টাকা নিতেন শান্তনু। চাকরিপ্রার্থীদের চাকরি করে দিতে সরাসরি মানিক ভট্টাচার্যের কাছে সুপারিশ করতেন তিনি। যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা শান্তনুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে, তার মধ্যে ২০ জনের চাকরি তিনি করে দিয়েছিলেন। ইডির দাবি, শান্তনুর বাড়িতে চাকরিপ্রার্থীর তালিকার পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছিল তাঁদের সুপারিশপত্র ও অ্যাডমিট কার্ড। শান্তনুর বাড়িতে যে ৩১২ জন চাকরিপ্রার্থীর তালিকা মিলেছিল, তার একটি প্রতিলিপি উদ্ধার হয়েছে মানিকের বাড়ি থেকেও।

    আরও পড়ুুন: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    শান্তনুর পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও টাকার লেনদেন হয়েছে বলে দাবি ইডির। চাকরিপ্রার্থীদের টাকার কিছুটা নগদে কিছুটা পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শান্তনু (Santanu Banerjee) নিয়েছিলেন বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। যে ২০ জনকে শান্তনু চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন, আগামী সপ্তাহে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। এর পাশাপাশি কুন্তল ঘোষও শান্তনুকে কয়েক কিস্তিতে ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন বলেও দাবি ইডি সূত্রের। এই যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার উৎস কী সে প্রশ্নের কোনও সদুত্তর ইডিকে দিতে পারেননি শান্তনু। তদন্তকারীদের অনুমান, কুন্তলের দেওয়া টাকায়ই কেনা হয় সম্পত্তি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির কাছে শান্তনু একজন মিডলম্যান। তাঁর এত সম্পত্তির বহর কীভাবে, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদেরও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • SSC Scam: গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি বাতিল! হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ এসএসসির

    SSC Scam: গ্রুপ সি-র ৫৭ জনের চাকরি বাতিল! হাইকোর্টের নির্দেশ মতো কাজ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) জেরে গ্রুপ সি-র ৮৪২ জন চাকরিপ্রার্থীর মধ্যে ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করা হলো। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানাল এসএসসি। শনিবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করল স্কুল সার্ভিস কমিশন। শনিবার দুপুর ১২টার মধ্যে ওই তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি দুপুর ৩ টের মধ্যে নিয়োগপত্র বাতিলের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। 

    এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই নিয়োগ

    এসএসসির সুপারিশপত্র ছাড়াই ‘গ্রুপ সি’-তে চাকরি করছেন ৫৭ জন। শুক্রবার এই তথ্য পেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন করেন এটাও কি শান্তিপ্রসাদ সিন্‌হার কাজ? যাঁরা বেআইনিভাবে কাজ করছেন তাঁদের নিয়োগ (SSC Scam) বাতিলের নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী তাঁরা যেন শনিবার থেকে স্কুলে ঢুকতে না পারে তাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছিল। সেই নির্দেশের পরই তৎপর হয় স্কুল সার্ভিস কমিশন। বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রথম দফায় ৫৭ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট ৮৪২ জন গ্রুপ সি (Group C) কর্মীর চাকরি বাতিলের (SSC Scam) নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ৮৪২ জনের মধ্যে ৭৮৫ জনের কাছে এসএসসির সুপারিশপত্র এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগপত্র আছে। তাই প্রথমে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ওই সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করা এবং পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে নিয়োগপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। অপর ৫৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, কমিশনের সুপারিশ ছাড়াই চাকরি পেয়েছিলেন তাঁরা। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যে হেতু এসএসসি সুপারিশপত্র দেয়নি, তাই ওই ৫৭ জনের চাকরি কলকাতা হাই কোর্ট বাতিল করেছে, এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি দিক এসএসসি। সেই নির্দেশ মতোই কাজ করে এসএসসি। ওই ৫৭ জন কারা, তাঁদের নাম কী, রোল নম্বর কী ছিল, এখন তাঁরা কোন স্কুলে কর্মরত রয়েছেন, তার তথ্য তালিকায় প্রকাশ করা হয়েছে। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    Mamata Banerjee: মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন বিশ বাঁও জলে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় নেত্রী হতে চেয়েছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি (BJP)-বিরোধী দলগুলিকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন এক ছাতার তলায়। তবে তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যেতে বসেছে। গোয়া, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে মুখ থুবড়ে পড়েছে মমতার দল। বাংলায়ও পরিস্থিতি বিশেষ তৃণমূলের অনুকূলে নেই। স্বাভাবিকভাবেই বাংলার গদি সামলাতেই ব্যস্ত তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই দিল্লির দিকে নজর দেওয়ার সময় কই তাঁর?

    গোহারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। বিধানসভার ২৯৩টি আসনের মধ্যে তৃণমূল একাই পায় ২১৫টি। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসে বিজেপি। তারা পায় ৭৭টি আসন। তার পরেই বিরোধী দল ভাঙাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের টোপ গিলে ইতিমধ্যেই কয়েকজন বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরের ছাতার তলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। এর পাশাপাশি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে একের পর এক রাজ্যে পা রাখার চেষ্টা করে মমতার দল। গোয়ায় কংগ্রেস ভাঙিয়ে পোক্ত করে তৃণমূলের সংগঠন। তার পরেও শেষ রক্ষা হয়নি। গোয়ায় সরকার গড়ার জায়গায়ই পৌঁছতে পারেনি তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের তিন রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় ও নাগাল্যান্ডেও হোঁচট খেয়ে পড়েছে মমতার দল। স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দল হওয়ার মানদণ্ডই পেরতে পারেনি তৃণমূল।

    আরও পড়ুুন: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে বাংলায় গদি টিকিয়ে রাখাই আপাতত মমতার (Mamata Banerjee) সব চেয়ে বড় দায় হয়ে উঠেছে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফেঁসেছে তৃণমূল। গরু পাচার মামলায় জেলে পচছে তৃণমূলের একাধিক নেতা। বগটুইকাণ্ডের পাঁকও লেগেছে তৃণমূলের গায়েই। আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে থাকায় নিত্যদিন কমছে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা। যার সাম্প্রতিকতম প্রমাণ মিলেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ে। একুশের নির্বাচনে যেখানে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী, মাত্র ২২ মাস পরের উপনির্বাচনে সেখানেই গোহারা হারে মমতার দল। পাশার দান উল্টে দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী। দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বিঘ্নে নির্বাচন হলে সেখানেও মুখের মাপে দুর্নীতির জবাব পেয়ে যাবে মমতার দল। দিকে দিকে ফুটবে পদ্ম। তাই আপাতত জাতীয় রাজনীতি ভুলে রাজ্যে গদি বাঁচানোর দিকেই নজর দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই এখন আর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন না তৃণমূল নেত্রী। বাংলার গদি বাঁচানোই যার কাছে এখন ক্রমশ চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে, দিল্লি যাওয়ার স্বপ্ন তিনি দেখবেন কীভাবে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam: মডেলদের নিয়ে রাতভর হুল্লোড়, নিষিদ্ধ মাদক সেবন! জলের মতো টাকা ওড়াতেন কুন্তল?

    SSC Scam: মডেলদের নিয়ে রাতভর হুল্লোড়, নিষিদ্ধ মাদক সেবন! জলের মতো টাকা ওড়াতেন কুন্তল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (SSC Scam) গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের রঙিন জীবনযাপন করতেন। টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে ছিল তাঁর ওঠা-বসা। ইডি সূত্রে খবর, টলিউডের একাধিক উঠতি অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল। ই এম বাইপাসের ধারে একটি অভিজাত ফ্ল্যাটেই এই উঠতি মডেলদের নিয়ে রীতিমতো জমাটি পার্টির আয়োজন করতেন কুন্তল। চলত হুল্লোড়, মদ্যপান থেকে নিষিদ্ধ মাদক সেবনও, দাবি ইডির।

    মাদক কারবারিদের সঙ্গেও পরিচয়

    ইডি সূত্রে খবর, ইএম বাইপাস সংলগ্ন এক অভিজাত আবাসনে তাঁর বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে মাঝেমধ্যেই বসত ‘রেভ পার্টি’র আসর। নায়ক–নায়িকা থেকে উঠতি মডেল ওখানে আসতেন। রাতভর চলত হুল্লোড় থেকে নিষিদ্ধ মাদক সেবন। এমনকী ওই পার্টিতে নিয়মিত দেখা যেত দুই ড্রাগ কারবারিকে। তারা সেখানে নিষিদ্ধ মাদক সরবরাহ করত বলে তথ্য পেয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আধিকারিকরা। টলিউডের আরও ৬ জন অভিনেতা–অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল কুন্তলের। হয়েছে আর্থিক লেনদেনও, (SSC Scam) এমনটাই দাবি তদন্তকারীদের। যুবনেতার বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও সন্তানদের জন্মদিনের পার্টিতে হাজির থেকেছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

    গ্ল্যামার গার্লদের সঙ্গে টাকার লেনদেন

    কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিতে অভিনয় জগতের গ্ল্যামার গার্লদের সঙ্গে টাকা লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন ইডি অফিসাররা। আবার সোমার পার্লারের উদ্বোধনের জন‌্য বনি সেনগুপ্তর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী কৌশানী মুখোপাধ‌্যায়কে বলা হয়েছিল। ‘পারিশ্রমিক’ নিয়েই কুন্তলের কথায় কৌশানী নিউটাউনে গিয়ে ওই পার্লার উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য, কুন্তল প্রসঙ্গে সোমা চক্রবর্তী দাবি করেছেন, তাঁর সঙ্গে কুন্তলের ২০১৮ সালের পর থেকে যোগাযোগ ছিল না। ব্যবসার জন্য কিছু অর্থ তিনি কুন্তলের থেকে ধার নিয়েছিলেন বলেও জানিয়েছেন সোমা। তাঁর কথায়, এই টাকা তিনি ফেরত দেননি এবং কুন্তলও কখনও তা ফেরত চাননি।  ইডি সূত্রের দাবি, দুনীর্তিতে অভিযুক্ত কুন্তল ঘোষ এবং এই সোমা চক্রবর্তীর মধ্যে অন্তত ৫০ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়েছিল। সেই সংক্রান্ত নথিও হাতে পেয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে শুক্রবার ইডি দফতরে আরও এক বার ডেকে পাঠানো হয়েছিল সোমাকে। সঙ্গে আনতে বলা হয়েছিল তাঁর ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি।

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    সোমা-কুন্তল সম্পর্ক

    সোমার সঙ্গে কুন্তলের পরিচয় হয়েছিল শহরের একটি অভিজাত ক্লাবে। সেটা ২০১৫ সাল। তার পর থেকে একাধিক বার কুন্তল এবং সোমাকে বিভিন্ন ক্লাবে, পাবে একসাথে দেখা গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই বন্ধুত্বের খাতিরেই নাকি ব্যবসার জন্য সোমাকে ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিলেন কুন্তল। ইডির প্রশ্নোত্তর পর্বে অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন সোমা।  তবে ইডির দাবি, সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা আসার পর তা অন্য বেশ কয়েকটি অ্যাকাউন্টে সরানো হয়েছে। কেন সরানো হয়েছিল ওই টাকা? ইডি কর্তারা মনে করছেন, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরানোর জন্য একের পর এক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। আর কোন কোন অ্যাকাউন্টে গিয়েছে এই টাকা, কোথায় কোথায় হয়েছে লেনদেন। সে সমস্ত বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে সোমাকে তাঁর অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত আরও তথ্য নিয়ে ফের হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ইডির দফতরে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ২০২৪ সালেই চালু গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো! কী বলছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড?

    Kolkata Metro: ২০২৪ সালেই চালু গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো! কী বলছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো (ভায়া রাজারহাট) মেট্রো (Kolkata Metro) করিডরের ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ নির্মাণের কাজ শুরু করল রেল। রেলের আধিকারিকদের আশা, চলতি বছরের মধ্যেই ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’-র টানেলের কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপর ২০২৪ সালের মধ্যে পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে সিটি সেন্টার টু থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশ।

    অন্যান্য মেট্রোর (Kolkata Metro) মতো নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের বেশিরভাগটাই মাটির নীচে নেই, মাত্র ৮০০ মিটার মাটির নীচ দিয়ে ছুটবে মেট্রো (Kolkata Metro)। মাটির উপর মোট ২৪ টি স্টেশন থাকবে। ওই অংশের জন্যই কাজ শুরু করেছে রেল। রেল সূত্রে জানা গেছে, ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ নির্মাণের জন্য ‘টানেল বোরিং মেশিন’ ব্যবহার করা হবে না। যা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় ব্যবহৃত হয়েছে। বরং ‘কাট অ্যান্ড কভার টানেলিং’-র মাধ্যমে ওই ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ নির্মাণ করা হবে।

    কতদিন লাগবে প্রকল্প শেষ হতে

    নির্মাণকারী সংস্থা অ্যাফকনের দাবি, চলতি বছরের অগাস্ট-সেপ্টেম্বরের মধ্যে টানেলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে অ্যাফকন কর্তাদের আশা। অর্থাৎ চলতি বছরের মধ্যেই ওই ৮০০ মিটার ‘আন্ডারগ্রাউন্ড টানেল’ পুরোপুরি তৈরি হয়ে যাবে। তারপর ২০২৪ সালের মধ্যে সিটি সেন্টার টু থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত অংশ (৩.৫ কিলোমিটার) তৈরি হয়ে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

    নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো (Kolkata Metro) ইস্যুতে বৈঠক নবান্নে, উচ্চমাধ্যমিকের পর কাজ শুরু হবে

    অন্যদিকে নবান্নে এই প্রকল্প নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গেল। জানা গেছে, ইএম বাইপাসের একাংশ বন্ধ করতে না-পারার কারণে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ধরে ব্যাহত হচ্ছিল। এই সমস্যার সমাধানে শুক্রবার নবান্নে মেট্রো (Kolkata Metro) কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, অর্থ এবং পরিবহণ দফতরের সংশ্লিষ্ট সচিবেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল, সিইএসসি-র প্রতিনিধি এবং মেট্রোর নির্মাণ সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) প্রতিনিধিরা।

    উত্তর-দক্ষিণ এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রোপথ (Kolkata Metro) জুড়বে কবি সুভাষে

    উত্তর-দক্ষিণ এবং নিউ গড়িয়া-রুবি, কলকাতা শহরের এই দুটি মেট্রোপথ (Kolkata Metro) এই প্রথম পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হতে চলেছে নিউ গড়িয়া সংলগ্ন কবি সুভাষ মেট্রো স্টেশনে। জানা গেছে, নিউ গড়িয়া-রুবি পথে যাত্রী পরিষেবা শুরু করার আগে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যাত্রীরা যাতে এক বার টোকেন কিনে বা এক বার স্মার্ট কার্ড পাঞ্চ করেই যে কোনও একটি মেট্রোপথ (Kolkata Metro) থেকে অন্য পথের মেট্রো ধরতে পারেন, তার জন্য বেশ কিছু ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Loot: রহড়ায় প্লাস্টিকের কারখানায় লুঠ হওয়া অর্ধেক টাকার হদিশ মেলেনি, মূল দুই অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Loot: রহড়ায় প্লাস্টিকের কারখানায় লুঠ হওয়া অর্ধেক টাকার হদিশ মেলেনি, মূল দুই অভিযুক্ত পলাতক, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বড় কোনও ডাকাতির ট্র্যাক রেকর্ড তাদের পুলিশের খাতায় নেই। খুচরো অপরাধের সঙ্গে কামারহাটির ওই যুবকদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এক ট্রিপেই তাদের কেল্লাফতে। রহড়ার ডাঙাদিঘলায় প্লাস্টিকের কারখানায় কামারহাটির কয়েকজন বন্ধু মিলে সেখানে হানা দেয়। কারখানা থেকে ৩৪ লক্ষ লুঠ (Loot) করে পালায় দুষ্কৃতীরা। কয়েকজন বন্ধু মিলে এতবড় ডাকাতি করতে পারে তা পুলিশ ভাবতেও পারেনি। এখন তারাই পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে। যদিও লুঠ হওয়া ৩৪ লক্ষের মধ্যে ১৭ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর এই ডাকাতির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১০ জনকে  গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকী তিন জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এই তিনজনের মধ্যে দুজন সরাসরি ডাকাতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভিনরাজ্যে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। আর বাকি টাকা অভিযুক্তরা কোথায় রেখেছে তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এর আগে এই ভাগের টাকা গচ্ছিত করার অভিযোগে মহম্মদ রাজা নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তদন্তে নেমে পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, ডাকাতির ঘটনায় ৫ জন সরাসরি যুক্ত থাকলেও আরও বেশ কয়েকজন এই চক্রের মধ্যে ছিল। গত দুমাসে কয়েক দফায় ১০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এরমধ্যে ডাকাতির ঘটনায় সরাসরি যুক্ত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি দুজনের এখনও হদিশ পায়নি পুলিশ। তারা কোথায় রয়েছে তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন,  তদন্তে নেমে আমাদের সামনে বেশ কিছু সূত্র সামনে এসেছে। অর্ধেকের বেশি টাকা আমরা উদ্ধার করেছি। বাকী টাকার খোঁজে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি।

    লুঠ করা টাকা নিয়ে কী করেছিল অভিযুক্তরা? Loot

    ডাকাতির ঘটনার পর পরই অভিযুক্তরা নিজেদের মধ্যে টাকা ভাগ করে নিয়েছিল। ১০ জনকে গ্রেপ্তারের পর প্রায় ১৮ লক্ষ টাকা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। লুঠ (Loot) হওয়া  বাকী টাকার হদিশ পুলিশ এখনও পায়নি।  ডাকাতির ঘটনার মূল দুই অভিযুক্ত ডাকাতির অর্ধেক টাকা নিয়ে ভিন রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে। ধৃত ১০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেও তাদের নাগাল পায়নি পুলিশ। ডাকাতির পর পরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে, এই ডাকাতির ট্রিপ যে দিয়েছিল, সেই ট্রিপারকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর একটি সূত্র থেকে জানতে পেরে মহম্মদ রাজা নামে এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। জানা গিয়েছে, ধৃত রাজা সম্পর্কে সনুর ভাই। এই সনু দক্ষিণেশ্বরে একটি হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছিল। পুলিশ হোটেলে হানা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে সে গুলি চালিয়েছিল। তাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হন। সনুকে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তবে, এখনও এই ডাকাতির মূল মাস্টার মাইন্ড অধরা রয়েছে। ডাকাতির ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের মধ্যে একজনের বাড়ি কাঁকিনাড়া। আর বাকী সকলের বাড়ি কামারহাটি এলাকায়।  তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ৫ জানুয়ারি রহড়ার ডাঙাডিহিলায় প্লাস্টিকের কারখানায় ডাকাতির আগেই ডাকাতির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রহড়ার একজনের কাছে ট্রিপ পেয়েছিল। ডাকাতি করার আগে কারখানার খুঁটিনাঁটি সব কিছু জেনে নিয়েছিল সে। এরপরই কামারহাটির বাকী বন্ধুদের সে খবর দেয়। মোটা টাকার লোভে সকলেই মিলে ৫ জানুয়ারি গভীর রাতে কারখানায় হানা দেয়।কারখানার কর্মীদের হাত পা বেঁধে রেখে ৩৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তারা চম্পট দেয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: বাম-তৃণমূল বোঝাপড়া? পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ। এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। শুক্রবার কথাগুলি বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত। বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল (TMC)-বাম বোঝাপড়া হয়েছে বলেই ইঙ্গিত করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ…

    শুক্রবার বিধানসভা অভিযান করে সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। সে প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, বিজেপির অভিযান রুখতে পুলিশ ব্যস্ত ছিল। এসএফআইয়ের আন্দোলন বিধানসভার গেট অবধি পৌঁছে দেওয়া হল। আমরা ভেবেছিলাম বিমানবাবুর চেয়ার অবধি পৌঁছে দেওয়া হবে। কারণ ওখানে একটা বোঝাপড়া চলছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে কে কার দিকে আছে। সুকান্ত বলেন, জোট, ঘোঁট আগামিদিনে কী হবে। কারা নো ভোট টু বিজেপি করেছিল ২০২১-এ। এখন সব পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে। সবটাই স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার।

    প্রসঙ্গত, শিক্ষায় দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে শুক্রবার বিধানসভা অভিযান করে এসএফআই। পুলিশ অবশ্য তাতে অনুমতি দেয়নি। বরং মিছিল রুখে দেওয়ার সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে বিধানসভার মেইন গেটের বদলে পশ্চিম দিকের গেটে পৌঁছে যায় এসএফআইয়ের একদল নেতা-কর্মী। সেখানে পুলিশের সংখ্যা ছিল কম। রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বিধানসভার গেটে বসেছিলেন কয়েকজন।

    আরও পড়ুুন: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    এদিকে, রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের জেরে পরপর শিশুমৃত্যু নিয়ে রাজ্য বিজেপির মহিলা মোর্চা ও যুব মোর্চার স্বাস্থ্যভবন অভিযানকে ঘিরে কুরুক্ষেত্র হয়ে ওঠে সল্টলেকের করুণাময়ী চত্বর। পুলিশ বাধা দেওয়ায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। এদিন দুপুর থেকে করুণাময়ীতে জমায়েত করেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। দুপুর আড়াইটে নাগাদ করুণাময়ী মোড় থেকে শুরু হওয়া মিছিল পুলিশ আটকাতেই সৃষ্টি হয় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। একটি গাড়িতে করে বিজেপি কর্মীরা করুণাময়ী মোড়ে পৌঁছতেই গাড়িতে উঠে পড়ে পুলিশ। তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঘোষণা করে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। এরই কিছুক্ষণ পরে লোহাপুল মোড় থেকে ইন্দ্রনীল খাঁ, তনুজা চক্রবর্তী, অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে মিছিল শুরু হয়। মিছিল বেনফিশ মোড়ে পৌঁছতেই আটকে দেয় পুলিশ। তখনই বাঁধে খণ্ডযুদ্ধ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • HS Exam: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশেষ পরিষেবা পূর্ব রেলের, জানুন বিস্তারিত

    HS Exam: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশেষ পরিষেবা পূর্ব রেলের, জানুন বিস্তারিত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিকের মতো উচ্চমাধ্যমিকেও পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ পরিষেবা দেবে পূর্বরেল (Indian Railways) । জানা গেছে, এক্সপ্রেস এবং বেশকিছু লোকাল অতিরিক্ত স্টপেজ দেবে বিভিন্ন স্টেশনে। এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে আগামী ১৪ মার্চ থেকে। ২৭ মার্চ পর্যন্ত চলবে পরীক্ষা। বিশাল সংখ্যক পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের কথা মাথায় রেখেই রেলের (Indian Railways) এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: শিয়ালদহ মেন লাইনে যাত্রী ভোগান্তি চরমে! দেরিতে চলছে ট্রেন, বাতিল বহু

    শিয়ালদহ ও হাওড়া ডিভিশনে পাওয়া যাবে এই পরিষেবা

    পূর্ব রেলের (Indian Railways) পক্ষ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষার দিনগুলোতে শিয়ালদা ও হাওড়া ডিভিশনের কিছু প্যাসেঞ্জার/EMU ট্রেনের অতিরিক্ত অস্থায়ী স্টপেজ দেওয়া হবে। কিছু এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন যেগুলি শিয়ালদা ডিভিশনে সকাল ৮টা থেকে ১০টা এবং দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ৩টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলবে সেগুলোকে অতিরিক্ত স্টপেজ দেওয়া হবে। এক্সপ্রেস ও প্যাসেঞ্জার ট্রেন গুলি (Indian Railways) থামবে শিয়ালদহ-রানাঘাট সেকশনের পলতা, জগদ্দল, কাঁকিনারা এবং পায়রাডাঙা স্টেশনে এবং বারাসাত-বনগাঁ সেকশনের সানহাটি হল্ট স্টেশনে। হাওড়া ডিভিশনের গণদেবতা এক্সপ্রেস, আজিমগঞ্জ – হাওড়া কবিগুরু এক্সপ্রেস থামবে লোহাপুর স্টেশনে। বেলমুড়ি, জনাই রোড এবং ডানকুনি স্টেশনে বর্ধমান–হাওড়া গ্যালোপিং লোকাল থামবে। রেল সূত্রে জানা গেছে, শিয়ালদহ ডিভিশনে যে অতিরিক্ত স্টেশনগুলিতে ইএমইউ এবং লোকাল ট্রেন দাঁড়াবে সেগুলি হল পলতা, জগদ্দল, কাঁকিনাড়া, পায়রাডাঙা। সকাল ৮টা থেকে ১০ টা এবং দুপুর ১টা ১৫ মিনিট থেকে ৩টে ১৫ পর্যন্ত এই সুবিধা মিলবে। আগামী ১৪ থেকে ২৭ মার্চ, ১১ দিন এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করল ইডি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিধানসভায় অধিবেশনের মধ্যে রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে (Partha Bhowmik) জেলে পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার জেরে বিধানসভার অধ্যক্ষের কাছে নিরাপত্তা চাইলেন নৈহাটির বিধায়ক পার্থ। ঘটনায় শুভেন্দুর বিরুদ্ধে জমা পড়েছে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ। শুক্রবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট নিয়ে আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলকে কেন্দ্র করে ওঠা বিতর্ককে হাতিয়ার করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা বাইরে একরকম বলেন, ভিতরে আর এক রকম। এর পরেই ওঠে দলবদলের কৌশল। বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণ কল্যাণীর দিকে দেখিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, বলুন না এঁরা কোন দলে? বলতে পারেন এঁরা বিজেপিতে নেই? এতেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন দলবদলু এই দুই বিধায়ক। এর পরেই শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) উদ্দেশ্য করে পার্থ বলেন, আপনিই বলুন না শিশিরবাবু কোন দলে? তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, আপনার নামে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা রয়েছে। এক মাসের মধ্যে আপনাকে দেখে নেব। এই সময় বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, আপনি এরকম অবান্তর কথা অধিবেশনে বলতে পারেন না। পাল্টা জবাব দেন শুভেন্দু।

    তিনি বলেন, শুরুটা করেছেন পার্থ ভৌমিক। আমি নই। পার্থকে উদ্দেশ্য করে অধ্যক্ষ বলেন, আপনি থেমে যান। পরে পার্থ শুভেন্দুর উদ্দেশে বলেন, আমি কথাটা ওভাবে বলিনি। পার্থকে ঘিরে উত্তেজনা কমলেও, মোদিকে নিয়ে কটাক্ষ করার জেরে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বিধানসভা। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে মোদি মোদি স্লোগান। শেষে পঞ্চায়েত মন্ত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার আগেই অধিবেশন কক্ষ ছেড়ে চলে যান শুভেন্দু। পঞ্চায়েত বাজেট নিয়ে আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ বলেন, বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) যেভাবে অধিবেশন কক্ষে দাঁড়িয়ে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন, তা অনভিপ্রেত। এভাবে হুমকি দেওয়া যায় না।

    আরও পড়ুুন: জম্মু কাশ্মীরের ডোডায় ১০০ ফুট উঁচু জাতীয় পতাকা উত্তোলন করল সেনা

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে কাঁথি থেকে জয়ী হয়েছিলেন শিশির অধিকারী। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের সভায় গিয়েছিলেন তিনি। সেই থেকে তাঁকে কটাক্ষ করে আসছে তৃণমূল। এদিকে, বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ দাস, কৃষ্ণ কল্যাণী ও সুমন কাঞ্জিলাল। পরে তৃণমূলে যোগ দেন তাঁরা। এই বিষয় নিয়েই এদিন শুভেন্দু-পার্থ দ্বৈরথ হয় বিধানসভায়।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     
     
LinkedIn
Share