Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Rajnath Singh: ‘‘তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, ২০৪৭ সালে ‘টপ ইকোনমি’ হবে ভারত’’, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে রাজনাথ

    Rajnath Singh: ‘‘তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, ২০৪৭ সালে ‘টপ ইকোনমি’ হবে ভারত’’, বিশ্বভারতীর সমাবর্তনে রাজনাথ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমার মনে হয় ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের দেশ তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, টপ ইকোনমি হবে ভারত (India)। শুক্রবার বিশ্বভারতীর সমাবর্তন (Viswa Bharati Convocation) অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। বর্তমানে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হল ভারত। দীর্ঘদিন এই জায়গাটা দখল করে রেখেছিল ব্রিটেন। সম্প্রতি ব্রিটেনকে পিছনে ফেলে জায়গাটি দখল করে মোদির ভারত। দেশের অর্থনীতি যে ক্রমেই ফুলে ফেঁপে উঠছে, এদিন সেকথাই প্রকাশ পেয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কথায়।

    রাজনাথ বলেন…

    এদিনের অনুষ্ঠানে রাজনাথ (Rajnath Singh) বলেন, বিশ্বভারতী এমন শব্দ, যেখানে বিশ্বও আছে, ভারতীও আছে। তিনি বলেন, বিশ্বভারতী তীর্থের থেকে কোনও অংশে কম নয়। পশ্চিমবঙ্গের একটা ধর্মীয় তীর্থস্থান যদি গঙ্গাসাগর হয়, তবে শিক্ষার তীর্থস্থান এই শান্তিনিকেতন। তফাত এটুকুই, গঙ্গাসাগরে দূর থেকে গঙ্গা এসে সাগরে বিলীন হয়। আর শান্তিনিকেতন থেকে পড়ুয়াদের রূপে বের হওয়া জ্ঞান গঙ্গা দূরে দূরে যায়, নিজেদের জ্ঞানে অনেক ক্ষেত্রকে সিঞ্চিত করে। তিনি বলেন, বিশ্বভারতী শিক্ষার মন্দির। গুরুদেবের জ্ঞানের মূর্ত স্বরূপ।  

    প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সাধারণত এই ধরনের অনুষ্ঠানে আমি একদিনেই ফিরে যাই। কিন্তু বিশ্বভারতী ও গুরুদেবকে জানব বলে আমি একদিন অতিরিক্ত রেখেছি। তবে এটাও ঠিক, এক-দু দিনে বিশ্বভারতী বা গুরুদেবকে জানা সম্ভব নয়। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, জীবনে যে কাজই করবেন, সেরাটা দিন। চেষ্টার কোনও শেষ হয় না। লক্ষ্যে পৌঁছতে সব সময় চেষ্টা করে যেতে হয়। কখনও নিরাশ হবেন না।

    আরও পড়ুুন: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    দেশের প্রগতি যে ক্রমেই উন্নত হচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজনাথ (Rajnath Singh)। তিনি বলেন, এখন দেশ প্রগতির পথে এগোচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বিশ্বের দরবারে নিজের ছাপ রাখছে। মেক ইন ইন্ডিয়া থেকে মেক ফর দ্য ওয়ার্ল্ডের দিকে এগোচ্ছে। তিনি বলেন, এটা গুরুদেবের লক্ষ্যের পথে এগোনো। এর পরেই প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, এভাবে এগোতে থাকলে সেদিন খুব বেশি দূরে নয় যেদিন আমাদের দেশের অর্থনীতি অন্যতম দেশ হিসেবে শীর্ষে পৌঁছে যাবে। ২০৪৭ সালের মধ্যে আমাদের দেশ তৃতীয় বা দ্বিতীয় নয়, টপ ইকোনমি হবে ভারত। তিনি বলেন, কোনও কাজ করতে চাইলে বড় মনে কাজ করুন। কোনও ইগো রাখবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Panchayat: ভোটার সংখ্যা বাড়ল! পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে মার্চেই

    Panchayat: ভোটার সংখ্যা বাড়ল! পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতে পারে মার্চেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ৫৮ লক্ষ ভোটার বাড়ল। ২০১৮ সালের তুলনায় এ বছর রাজ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ১১.৫১ শতাংশ। নবান্ন সূত্রে খবর মার্চ মাসে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলেই পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election 2023) বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন (Election Commission) সমন্বয় করে বিভিন্ন নির্দেশিকা পাঠাতে শুরু করেছে জেলায় জেলায়।

    ভোটার সংখ্যা

    রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও তার আগে ভোটার সংখ্যা নিয়ে তথ্য জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গতবার সংখ্যাটি ছিল ৫ কোটি ৮ লক্ষ ৩৫ হাজার ২জন। এবারে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৬ হাজার ১১৯জন। কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ বছর রাজ্যে ৬৩ হাজার ২২৯টি আসনে পঞ্চায়েত ভোট হবে। পঞ্চায়েত সমিতিতে আসন সংখ্যা ৯ হাজার ৭৩০। জেলা পরিষদে আসন সংখ্যা ৯২৮। বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এর পর রয়েছে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। এই পরীক্ষা পর্ব মিটলেই পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা করা হতে পারে মনে করা হচ্ছে।

    ব্যালট বক্সে কিউআর কোড

    কমিশন সূত্রে খবর, ব্যালট বক্সে এবার আলাদা আলাদা কিউআর কোড রাখছে নির্বাচন কমিশন। জেলা ধরে, ব্লক ওয়াড়ি ট্র্যাকিং সিস্টেমকে আরও দৃঢ় করতেই এই কোড ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কমিশন দফতরে ব্যালট বাক্সে সেই কিউ আর কোড লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। ভোটের সময় কোন বুথে কোন ব্যালট বাক্স পাঠানো হচ্ছে, সেই গতিবিধি জানতেই এই ব্যবস্থা। এতে স্বচ্ছতাও বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    তিন দফায় ভোট!

    নির্বাচনের একাধিক বিষয় নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা একটি মামলা আদালতে ঝুলে রয়েছে। সেই মামলার অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করা যাবে না। তবে নবান্ন ও কমিশন কর্তাদের আশা, উচ্চমাধ্যমিক শেষ হওয়ার আগেই ওই মামলার নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। বিজ্ঞপ্তি জারির অন্তত ২৪ দিন পর পঞ্চায়েত ভোট করতে হবে। সেই অনুযায়ী, এপ্রিলের একেবারে শেষে বা মে মাসের গোড়ায় রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে পারে। কমিশন ৩ দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করাতে চাইছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির জন্য একটি দফা ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির জন্য ২টি দফায় ভোট করাতে চাইছে কমিশন। যদিও নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকার চাইছে এক দফায় ভোট। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Calcutta High Court: আদালত অবমাননার জের! প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বিচারপতি মান্থার

    Calcutta High Court: আদালত অবমাননার জের! প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা বিচারপতি মান্থার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে আদালতের নির্দেশ অবমাননার অভিযোগে জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চ স্কুল প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। শুধু তাই নয়, সাতদিনের মধ্যে জরিমানার টাকা না দিলে বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার নির্দেশও দিল আদালত।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে হাতকৃতি বালিকা বিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ বছর ধরে কর্মরত শিক্ষিকা হামিদা খাতুন। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরা হকরন গোকর্ণে। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ায় বদলির আবেদন জানান প্রধান শিক্ষিকার কাছে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষিকা তাতে কর্ণপাত করেননি। অবশেষে হামিদা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এরপর ২০২২ সালের ১ অগাস্ট হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছিলেন যাতে অবিলম্বে বদলির জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু তাতেও প্রধান শিক্ষিকা কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। ফলে হামিদা আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন। এর পর এদিন হাইকোর্টে মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রশ্ন করেন, ‘আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও গতবছরের অগাস্ট মাস থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারি? এত দেরি কেন?’

    এর উত্তরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক জানান, প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে সম্প্রতি তাঁরা নথিপত্র পেয়েছেন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্বাস্থ্যের কারণে বদলির আবেদন করলে, জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক একটি টিম গঠন করে তার গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে। দরকার পড়লে আবেদনকারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করা হয়। তারপর জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিআই অফিস বদলির নির্দেশ জারি করে। ডিআই জানান, সেই প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে।

    এর পরেই বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, আদালতের নির্দেশের অবমাননা করেছেন প্রধান শিক্ষিকা। এমন অবস্থায়, প্রধান শিক্ষিকাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এমনকী সাত দিনের মধ্যেই ওই অর্থ দিতে হবে হামিদা খাতুনকে। এর অন্যথা হলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ওই অর্থ বেতন থেকে কেটে হামিদাকে প্রদান করবে।

  • TET Scam: ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি, স্বীকারোক্তি ইন্টারভিউয়ারদের, প্রকাশ্যে এল বয়ানের নথি

    TET Scam: ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি, স্বীকারোক্তি ইন্টারভিউয়ারদের, প্রকাশ্যে এল বয়ানের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিন আগেই এক নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় খোদ পরীক্ষকদেরই। বন্ধ ঘরে ইন্টারভিউয়ারদের গোপন বয়ান নিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। প্রার্থীরা আগেই অভিযোগ করেছিলেন যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ার অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, পদ্ধতি মেনে করা হয়নি। আর এই অভিযোগই এবারে মেনে নিলেন ইন্টারভিউয়াররা। হাইকোর্টে রুদ্ধদ্বার শুনানির সময় তাঁরা স্বীকার করে নিলেন, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা (টেট)-র অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট ‘সঠিক পদ্ধতি’ মেনে হয়নি। সেই মর্মে নথিতেও সই করেছেন তাঁরা। সেই নথি প্রকাশ করলেন মামলাকারী প্রার্থীদের আইনজীবী।

    বয়ানে কী কী জানিয়েছেন ইন্টারভিউয়াররা?

    অভিযোগের ভিত্তিতেই তিন জেলার ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারকে ডেকে গত বুধবার রুদ্ধদ্বার শুনানি করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানেই ২৫ জন ইন্টারভিউয়ার স্বীকার করেন, ‘সঠিক পদ্ধতিতে’ অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। অনেক প্রার্থীর কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি। আর এই বয়ানে নিজেরাই সই করেছেন ও সেই নথি প্রকাশ্যে এনেছেন মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সেই নথিতে দেখা গিয়েছে, এক পরীক্ষককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কে তাঁকে ইন্টারভিউ নিতে বলেছিলেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে ইন্টারভিউয়ার জানান, কাউন্সিল অফিসের একজন তাঁর স্কুলে এসেছিলেন ও স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলার পর তাঁকে বলা হয়েছিল ইন্টারভিউ নিতে। তিনি অ্যাপ্টিটিউড টেস্টের জন্য কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন কিনা তা জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, এমন কোনও নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি ওই টেস্ট নেওয়ার জন্য।

    অন্য একজন বলেন, বোর্ডের তরফ থেকেও আলাদা করে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নেওয়ার জন্য বলা হয়নি। ফলে তাঁরা এই টেস্টে কত নম্বর রয়েছে, তাও জানতেন না। তাঁদের শুধুমাত্র ইন্টারভিউ নিতে বলা হয়েছিল। এক ইন্টারভিউয়ার জানিয়েছেন, অ্যাপ্টিটিউড পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আলাদা কোনও জায়গা তাঁদের দেওয়া হয়নি। যে জায়গায় ইন্টারভিউ হয়েছিল, সেখানে কোনও চক বা ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না। ফলে সে দিন বিচারপতিকে ঠিক কী জানিয়েছিলেন ইন্টারভিউয়াররা, সেই বয়ানের নথিই এবারে সামনে এল।

    মামলাকারীর আইনজীবী কী জানিয়েছেন?

    মামলাকারীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনরকম অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। ২০১৪ থেকে প্রাথমিক নিয়োগ প্রক্রিয়া ২০১৬ তে ৪২ হাজার ৫০০ নিয়োগ হয়েছিল। তার মধ্যে ৩২ হাজারের বেশি নন-ট্রেনড প্রার্থীর নিয়োগ হয়েছিল তাঁদের অ্যাকাডেমিকস, টেট স্কোর, ভাইভা ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট-এর ভিত্তিতে। প্রায় পঁচিশ হাজার জন চাকরি পেয়েছিলেন, যাদের অ্যাকাডেমিক স্কোর ১৪ বা তার নিচে কিন্তু তাঁদের ভাইভা ও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে ৭ থেকে ১০ নম্বর দেওয়া হয়েছিল। আবার ৫২১৬ জনের অ্যাকাডেমিক স্কোর ১৩-এর থেকেও কম, তাঁরা আবার অ্যাপ্টিটিউডে বিশাল নম্বর পেয়েছেন। পুরো রাজ্যে ৮২৪ জন আছেন যাঁদের সব মিলিয়ে স্কোর ১৩ থেকেও কম।

    ফলে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারির প্রশ্ন, “যেই পরীক্ষাটা হয়নি সেই পরীক্ষায় কেউ তিন থেকে পাঁচ কিভাবে পায়? সবার তো একই নম্বর পাওয়ার কথা ছিল যখন পরীক্ষা হয়নি। কোন অনুপ্রেরণায় অনুপ্রাণিত হয়ে এই নম্বর দেওয়া হয়েছিল?” তাঁর আরও অভিযোগ, কোনরকম রিজার্ভেশন রোস্টার মানা হয়নি এই প্রক্রিয়াতে। নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত কিছু প্রকাশ্যে আনতেই কিছু ইন্টারভিউয়ারের বয়ান সামনে এনেছেন। তিনি আরও বলেছেন, “সবে মাত্র একটা দিকের কথা বললাম বাকি দিকগুলো আস্তে আস্তে জানাবো।”

    [fb]https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=pfbid0m3Cm7Jduzt6tgcYZEAfq3h33Tdx9SvMsH9xRxUTUuPnF5LLxUmSVRMK7ZCcuMe1Fl&id=100052069800604&sfnsn=wiwspwa&mibextid=RUbZ1f[/fb]

  • Sukanta Majumdar: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    Sukanta Majumdar: ‘মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে দুর্নীতির কারণেই’, দাবি সুকান্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির (Scam) কারণেই কমেছে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। অন্তত এমনই দাবি করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। বৃহস্পতিবার হুগলিতে একটি কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছিলেন সুকান্ত। সেখানেই তিনি বলেন, অভিভাবকরা ভয় পেয়েছেন। রাজ্য সরকারি স্কুল ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ওপর তাঁদের আর কোনও আস্থা নেই। সেই কারণেই ছেলেমেয়েদের অন্যান্য বোর্ড এবং বেসরকারি স্কুলে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। সবই রাজ্যের শিক্ষা দুর্নীতির ফল।

    পর্ষদের ব্যাখ্যা…

    বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা। পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে গিয়েছে প্রায় ৪ লক্ষ। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯২৮ জন। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা হ্রাসের কারণ হিসেবে পর্ষদের ব্যাখ্যা, করোনা-উত্তর পরিস্থিতিতে হয়তো পড়ুয়াদের একাংশ পরীক্ষায় বসছে না। অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে যে গ্যাপ তৈরি হয়েছিল, সেই গ্যাপের কারণেই এটি হতে পারে বলে ব্যাখ্যা ছিল পর্ষদের। পর্ষদের এও ব্যাখ্যা, ২০১৭ সালের অ্যাডমিশন রুলসে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছিল। সেই বছর তিনটি বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিল ২০১৭ সালের ভর্তির জন্য। ২০১৭ সালের বিজ্ঞপ্তিতে ফ্লেক্সিবিলিটির জায়গাটি বাদ গিয়েছিল। যার ফলে একটি বড় সংখ্যক পড়ুয়া অ্যাডমিশন নিতে পারেনি। সেটিও একটি কারণ হতে পারে। কারণ ২০১৭ সালে যারা ক্লাস সিক্সে ভর্তি হয়েছিল, তারাই এবার দিচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা।

    আরও পড়ুুন: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, পর্ষদ কোভিডের ঘাড়ে বন্দুক রাখতে চাইছে। আমি তো আগেই বলেছি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর একটি বড় হাত হল অজুহাত। তিনি বলেন, অন্যান্য রাজ্যে কিন্তু করোনার পর কমেনি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, শিক্ষা দুর্নীতির জেরে পশ্চিমবঙ্গের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। অভিভাবকরা তাঁদের ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তিনি বলেন, গত ১১-১২ বছরে সরকারি স্কুলগুলির পরিকাঠামো তলানিতে এসে ঠেকেছে। ফুলে ফেঁপে উঠছে বেসরকারি স্কুলগুলির ব্যবসা। বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, পরিকল্পনা মাফিক সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে বেসরকারি স্কুলের মালিকরা আরও বেশি করে মুনাফা লুঠতে পারেন। এটি একটি বিরাট চক্রান্ত, বলছেন সুকান্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     

     

        

     

  • SSC Scam: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    SSC Scam: ‘শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই’, সিবিআইকে বললেন বিচারক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামকৃষ্ণের কথা শুনেছেন? ভক্ত এবং ভগবানের মাঝে কে থাকেন, জানেন ? গুরু থাকেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আমি মাঝের সেই গুরুকে চাই। গুরু কে, আপনারা জানেন? বৃহস্পতিবার সিবিআইকে (CBI) একথা বললেন আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক অর্পণ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে অর্পণ চট্টোপাধ্যায়ের এজলাসে হাজির করে সিবিআই। তখনই বিচারক রামকৃষ্ণ প্রসঙ্গ টানেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের কেউ এজেন্ট, কেউ আবার মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছেন বলে অভিয়োগ। কিন্তু শেষমেশ টাকাটা কার হাতে যেত, চাকরিই বা দিতেন কে, সেটার ওপরই গুরুত্ব দিচ্ছে আদালত। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নাটের গুরুকে খোঁজার চেষ্টা করছে সিবিআই। এদিন সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, সেটাই খোঁজার চেষ্টা করছে তারা। বিচারক তখনই বলেন, চেনটা সম্পূর্ণ করুন।

    নিয়োগ দুর্নীতি…

    নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের (SSC Scam) শুনানিতে এর আগে বিচারক সিবিআইকে বলেছিলেন, আপনারা পনির বাটার মশালা রাঁধতে চাইছেন, অথচ পনির নেই। তখনও মূল অভিযুক্তদের দিকেই ইঙ্গিত করেছিলেন বিচারক। এদিনও সেই প্রসঙ্গ টেনে সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, অভিযুক্তরাই বলুক পনির কোথায়? এ কথার রেশ ধরে কুন্তলের আইনজীবী শেখ মেহেদি নওয়াজ বিচারককে বলেন, আপনারা পনিরের কথা বলছেন। আসলে তো আগুনটাই নেই! তার মানে সিবিআইয়ের তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনিও।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    এদিন ধৃতদের জামিনের বিরোধিতা করেন সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, তিন অভিযুক্তকে মুখোমুখি বসানো হয়েছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ নাম উঠে এসেছে। অনেক প্রভাবশালীর নামও জানা গিয়েছে। এখন ধৃতদের জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। এর পরেই তাপস, কুন্তল ও নীলাদ্রিকে ৯ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান বিচারক। তাপসের শারীরিক পরিস্থিতিও গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রয়োজনে চিকিৎসার বন্দোবস্ত করতে বলেন তিনি।

    নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) ধৃত তাপস সবার আগে কুন্তলের নাম ফাঁস করেছিলেন। সেই সূত্রে গ্রেফতার করা হয় কুন্তলকে। এদিন কুন্তল নাম নেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের। গোপাল দলপতি আবার কালীঘাটের কাকু সুজয় ভদ্রের নাম নিয়েছেন। সুজয় আবার বলেছেন তাঁর সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমতাবস্থায় আদালত ধরে আনতে বলছে গুরুকে। সেই নাটের গুরুর খোঁজই করছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • SSC Scam: নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে! কুন্তলকে জেরা করে মিলল নানা তথ্য

    SSC Scam: নিয়োগ পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে! কুন্তলকে জেরা করে মিলল নানা তথ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির গোটা প্রক্রিয়ায় জড়িত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। এবার তাঁর নিজস্ব এজেন্টদেরও সন্ধান মিলল। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রে খবর, শুধু তাপস মণ্ডল মারফতই নয়, ‘অযোগ্য চাকরিপ্রার্থী’ নিয়োগে কুন্তলের নিজস্ব এজেন্টদের তথ্যও তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। এ রকম ২২ জনকে তাঁরা চিহ্নিত করেছেন।

    অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’

    ইডি সূত্রে খবর, চাকরির পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণদের জন্যও ‘ইন্টারভিউ’ নেওয়া হতো বিকাশ ভবনে খোদ শিক্ষা দফতরের অফিসে। ইন্টারভিউ নিতেন কুন্তল। তাঁর সঙ্গে হাজির থাকতেন সরকারি কর্তারাও। ইন্টারভিউয়ের নামে কার্যত হতো চাকরি বিক্রির ‘ডিল’। সেই প্রক্রিয়া শেষে এসএসসি অফিস থেকে নিয়োগপত্র হাতে পেতেন অনুত্তীর্ণরা। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি  অফিসারদের। এই ইন্টারভিউতে বসা অফিসারদের তালিকা তৈরি করে ফেলেছে ইডি। শীঘ্রই তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে সূত্রের খবর। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, এক নেতার মাধ্যমে পার্থ–কুন্তল পরিচয় ঘটে। সেখান থেকেই কুন্তল চাকরি বিক্রির সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য হয়ে ওঠেন। নামের তালিকা পাঠাতেন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। কুন্তলের তালিকার প্রার্থীদের অধিকাংশই টেট, নবম–দশম এবং একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণিতে শিক্ষক পদে চাকরি পেয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    কুন্তলের এজেন্ট

    ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন জায়গায় কুন্তলের এজেন্টরা চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তুলতেন। তার পর সেই টাকা তাঁরা পৌঁছে দিতেন কুন্তলের কাছে। এখনও পর্যন্ত ‘কুন্তলের হয়ে কাজ করা’ ২২ জন এজেন্টের হদিস পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের একে একে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই সূত্রের দাবি, চাকরির টাকা মূলত নগদে লেনদেন হয়েছে। হুগলির এক এজেন্ট জিজ্ঞাসাবাদের সময় ইডিকে জানিয়েছেন, কুন্তলকে তিনি ৩ কোটি ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যে কুন্তলের একাধিক এজেন্ট ছিলেন, সে ব্যাপারেও এক প্রকার নিশ্চিত ইডির আধিকারিকেরা। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কুন্তলের হয়ে কাজ করা ৯ জন এজেন্টকে তলব করা হয়েছে। বয়ান নেওয়া হচ্ছে তাঁদের। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮ কোটি টাকার হিসাবের হদিস মিলেছে খবর তদন্তকারীদের সূত্রে। তদন্ত যত এগোবে, টাকার অঙ্ক আরও বাড়তে থাকবে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের অবশ্য দাবি, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ফের ‘গ্ল্যামার-যোগ’! সিবিআই স্ক্যানারে গোপাল দলপতির ‘মডেল স্ত্রী’ হৈমন্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে (Recruitment Scam) আবারও সামনে এল গ্ল্যামার-যোগ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ‘অপা’ পর্ব দেখেছে রাজ্যবাসী। এবার সামনে এল অভিযুক্ত গোপাল দলপতির ‘মডেল’ স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের নাম। গতকালই, বোমা ফাটিয়েছেন এই মামলায় অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর মুখেই উঠে এসেছিল ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তীর নাম। কুন্তলের দাবি, গোপালের দ্বিতীয় স্ত্রী এই হৈমন্তীর কাছেই নাকি রয়েছে যাবতীয় টাকা৷

    তদন্তকারীদের রেডারে ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তী

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, জেরায় কুন্তল জানিয়েছেন যে, হৈমন্তীর কথাতেই নাকি নিজের নাম বদলে ফেলেছিলেন গোপাল দলপতি। হয়েছিলেন আরমান গঙ্গোপাধ্যায়। হৈমন্তীর সঙ্গে পার্টনারশিপে কোম্পানিও খুলেছিলেন তিনি। কলকাতার ডালহৌসিতে থাকা সেই কোম্পানির নাম দিয়েছিলেন হৈমন্তী অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড। সেখানে ডিরেক্টর পদে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু, ন’বছর পর আচমকাই একদিন বন্ধ হয়ে যায় কোম্পানিটি। মুম্বইয়ের নরিম্যান পয়েন্টে থেকেও গুটিয়ে নেওয়া হয় দফতর৷ 

    সিবিআই সূত্রের খবর, গোপাল দলপতির ‘ঘনিষ্ঠ’ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। হৈমন্তী পেশায় মডেল। গোপাল ২০১৮ সালে গ্রেফতারের পর থেকে আলাদা থাকেন। আগে টালিগঞ্জ এলাকায় থাকতেন। গোপালের আগে বিয়ে হয়। সেই স্ত্রীকে ছেড়ে হৈমন্তীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন গোপাল দলপতি। যদিও কুন্তলের দাবি, গোপালের স্ত্রী হৈমন্তী।

    সিবিআই স্ক্যানারে গোপালের সম্পত্তি

    নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) গোপাল দলপতির সম্পত্তি এ বার সিবিআইয়ের স্ক্যানারে। সিবিআই সূত্রের খবর, গোপালের প্রায় ২৪টি জমির প্লট রয়েছে। প্লটগুলি রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি-সহ এ রাজ্যর বিভিন্ন জায়গায়। বেশিরভাগ জমি গোপালের স্ত্রী এবং স্ত্রীয়ের কোম্পানির নামে। মুম্বইতে হৈমন্তীর কোম্পানিতে গোপাল বিপুল পরিমান টাকা ট্রান্সফার করেছিল। এমনকী গোপালের বিপুল পরিমান জমিও হৈমন্তীর কোম্পানির নামে। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এজেন্ট মারফত কোটি কোটি টাকা কুন্তলের থেকে গোপাল দলপতি মুম্বইতে নিজের স্ত্রীর কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছিলেন।

    সিবিআই জানতে পেরেছে, শুধুই দ্বিতীয় স্ত্রী হৈমন্তীর সঙ্গেই নয়, আরও পাঁচটি সংস্থা রয়েছে গোপালের৷ এখন প্রশ্ন, এত জমি কেনার টাকা কোথা থেকে পেলেন গোপাল? নিয়োগ দুর্নীতির কোটি কোটি টাকাতেই কি এই বিপুল সম্পত্তি গোপালের? পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গোপালের ‘গ্ল্যামারাস স্ত্রী’ হৈমন্তীর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

    বিয়ে প্রসঙ্গে কী জানাল হৈমন্তীর পরিবার? 

    হাওড়ার বাকসাড়া রোডে হৈমন্তীর বাপের বাড়ি। এই ঠিকানাতেই থাকে হৈমন্তীর পরিবার। হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের মাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, মেয়ে বহু বছর আগে গোপালের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেছিল। গোপালকে আমাদের পরিবার পছন্দ করে না তাই কোনও যোগাযোগ রাখি না। তবে, হৈমন্তীর মা অস্বীকার করলেও প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, এই বাড়িতে হৈমন্তী আসেন। বিলাসবহুল গাড়িতে আসেন। অনেকবার দেখা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেও নাকি এসেছেন।

    গোপাল দলপতির মা

    ‘নিখোঁজ’ গোপাল দলপতি

    বুধবার গোপাল দলপতিকে তলব করেছিল সিবিআই। যদিও, হাজিরা দেননি তিনি। তার পর থেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না গোপাল দলপতিকে। এদিকে, গোপাল দলপতির আদিবাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের ২ নম্বর ব্লকের খিরিসবাড়ি গ্রামে। সেখানে একাই থাকেন তাঁর মা লক্ষ্মী দলপতি৷ ছেলের কীর্তি প্রকাশ্যে আসার পর গোপাল দলপতির মা জানান, এক ব্যক্তি চিঠি নিয়ে এসেছিল তাঁদের বাড়িতে। কিন্তু সেই চিঠিতে কী রয়েছে, তা তিনি জানেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • SSC Scam: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    SSC Scam: কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চন্দন-যোগ! ‘‘বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়’’, দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার বাগদার রঞ্জন ওরফে চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে একাধিকবার গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এই দাবি করলেন বাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য অনুপ ঘোষ। তাঁর দাবি, বাগদা থেকে বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়। শুধু তিনি নন,  গ্রামের এক পরিবারের থেকে পাঁচজনের চাকরির জন্য ৪৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন চন্দন বলে দাবি স্থানীয় এক বাসিন্দার। 

    প্রভাবশালীদের চন্দন-যোগ

    এদিন অনুপবাবু বলেন, ‘সরকার কি জানে না এই চাকরি কী করে হচ্ছে? তাহলে আগা থেকে মাথা পর্যন্ত সব ধরুক। চন্দনকে একা দোষ দিলে হবে না। এ কার মাস্টারপ্ল্যান? যারা সরকার চালাচ্ছে, শিক্ষা দফতরে কারা আছে? চন্দন কে? চন্দন তো আমার মামাভাগ্নের (গ্রামের নাম) ছেলে। তাহলে কলকাতায় শিক্ষা পরিচালনা কারা করছে? শিক্ষা দফতর কারা চালাচ্ছে? সেটা আগে দেখুক।’ চন্দনের কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় আসতেন ওনার বাড়ি। যারা এই এলাকায় বড় বড় চাকরি করে আর প্রভাবশালী লোক, সবাই ওখানে গিয়েছে। চন্দনের ফোঁটা সবাই নিয়েছে।’ অনুপবাবুর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা রাজনৈতিক কর্মী। দলের কর্মীরা ভালোবেসে কোথাও ডাকলে যাওয়ার চেষ্টা করি। তেমনই বাগদাতেও গেছি। চন্দন মণ্ডলকে আলাদা করে চিনি না।’

    বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে কলকাতায়

    অনুপ দাবি করেন, কালীপুজোর ফিতে কাটতে প্রতি বছর চন্দনের বাড়ি আসতেন কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যত ভিড় না থাকত, চন্দনের বাড়িতে তার থেকে বেশি ভিড় থাকত। এলাকার ১০০ জনকে টাকার বিনিময়ে চাকরি দিয়েছেন চন্দন। ক্লাস এইট পাশ ছেলেমেয়েরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছে। সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি দেওয়া হতো বলে দাবি করেছেন তিনি। ১৬ কোটি টাকা লেনদেনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন ১৬ কোটি বস্তা বস্তা টাকা গিয়েছে এখান থেকে। তাঁর দাবি, বিডিও, ওসিদের যাতায়াত ছিল চন্দনের বাড়িতে। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কুন্তলের মুখে রহস্যময়ীর নাম! তাঁর কাছেই রয়েছে সব টাকা! কে তিনি?

    এক পরিবার থেকে ৪৪ লক্ষ 

    চন্দন মণ্ডল বাগদার মামা ভাগ্নে গ্রামের বাসিন্দা। ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা চন্দনের এক দূরসম্পর্কের আত্মীয় অরবিন্দ বিশ্বাসের দাবি, চন্দন মণ্ডলকে তিনি প্রায় ৪৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন। জমি বিক্রি করে ওই টাকা দেন তাঁর মেয়ে সহ পরিবারের পাঁচজনের চাকরির জন‍্য। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক ও গ্রপ-ডি পদে নিয়োগ পেতে দু’বছর আগে চন্দনকে ওই টাকা দেন তিনি। মাথা-পিছু ১২ লক্ষ টাকা করে চেয়েছিলেন চন্দন। অগ্রিম ৫ লক্ষ টাকা এবং চাকরি হয়ে গেলে বাকি ৭ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা হয়। দু’জনের গ্রুপ-ডি পদে চাকরিও হয়েছিল। কিন্তু দু’মাস চাকরি করার পর আদালতের নির্দেশে তাদের বরখাস্ত করা হয়। এরপর টাকা ফেরত চাইলেও চন্দন দেননি বলে অভিযোগ অরবিন্দ বিশ্বাসের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kuntal Ghosh: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কুন্তলের মুখে রহস্যময়ীর নাম! তাঁর কাছেই রয়েছে সব টাকা! কে তিনি?

    Kuntal Ghosh: নিয়োগ দুর্নীতিতে এবার কুন্তলের মুখে রহস্যময়ীর নাম! তাঁর কাছেই রয়েছে সব টাকা! কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত যত এগোচ্ছে তত সামনে আসছে নতুন নতুন চরিত্র। বৃহস্পতিবার আলিপুর কোর্ট থেকে জেল হেফাজতে যাওয়ার সময়ে এক রহস্যময়ী নারীর নাম করলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। সেই ‘রহস্যময়ী’র পরিচয়ও দিয়েছেন তিনি। কুন্তলের দাবি, সব টাকা রয়েছে গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে। 

    রহস্যময়ীর পরিচয়

    এর আগেও একাধিকবার গোপাল দলপতির বিরুদ্ধে চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা তোলা-সহ নানা অভিযোগ করেছিলেন কুন্তল। এমনকি তাঁকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের ‘মেন লোক’ বলেও অভিহিত করেন তিনি। কুন্তল বললেন, ‘তদন্ত ঘোরানোর জন্য কোনও কথা বলে লাভ নেই। যা টাকা আছে… যা টাকা রেখেছে… গোপাল দলপতি এবং হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়।’ কুন্তল ঘোষকে আরও প্রশ্ন করা হয়েছিল এই দুর্নীতির অভিযোগে গোপাল দলপতি ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের ভূমিকা কী ছিল? সেই নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে চাননি কুন্তল। বললেন, ‘তদন্তের ভিতরের কথা কিছু বলব না।’

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    প্রসঙ্গত, গোপাল দলপতি ওরফে আরমান ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের স্ক্যানারে রয়েছেন। গতকাল গোপাল দলপতিকে তলব করা হয়েছিল সিবিআই অফিসে, কিন্তু তিনি হাজিরা এড়িয়েছেন। এরই মধ্যে সামনে এল তাঁর স্ত্রীয়ের নাম। সূত্রের খবর, হৈমন্তীর একটি কোম্পানি রয়েছে। তবে গোপাল ইতিমধ্যে দাবি করেছেন তার সঙ্গে বছর তিনেক ধরে হৈমন্তীর যোগাযোগ নেই। ইতিমধ্যে গোপালের সঙ্গে মুখোমুখি জেরায় কুন্তল হৈমন্তীর নাম বলেছেন বলে খবর। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপাল দলপতি দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে বছর তিনেক আগে চলে গিয়েছেন। কোথায় আছেন, কী করছেন পত্নীর ব্যাপারে কিছুই জানেন না দলপতি।

    সিবিআই সূত্রে খবর, কুন্তল দাবি করেছেন উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার পিএ-এর অ্যাকাউন্ট থেকে গোপাল দলপতির কাছে প্রায় চল্লিশ লক্ষ টাকা এসেছিল। সেই টাকা ট্রান্সফার হয়েছিল মুম্বইয়ের একটি কোম্পানিতে।সেলোকো পার্টনার্স নামের সেই কোম্পানির মালিকের নাম হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share