Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    Calcutta High Court: হাজিরা এড়ালেন পর্ষদ সভাপতি, হাইকোর্টেই নিয়োগপত্র পেলেন ‘বঞ্চিত’ অঞ্জনকুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজই শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর প্রথমদিনেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।  ১২ বছরের পুরনো একটি মামলায় নির্দেশ না মানায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করে ডেকে পাঠানো হয়েছিল আজ। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ তাঁকে আদালতে গিয়ে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। অভিযোগ, ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি পূর্ব মেদিনীপুরের অঞ্জনকুমার খাটুয়া। গত মাসে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই মত অঞ্জনের সুপারিশ পত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। কিন্তু তার পরও চাকরি দেয়নি পর্ষদ৷ এর পর আজই হাইকোর্টে শুনানি কক্ষের মধ্যেই হাতে হাতে নিয়োগপত্র পেলেন এক মামলাকারী।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সূত্রের খবর, যোগ্য হয়েও ১২ বছর ধরে চাকরি পাননি অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামে ওই ব্যক্তি। তাঁর একটি চোখে দৃষ্টিশক্তি নেই। গত মাসে তাঁকে শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরপর অঞ্জনবাবুর সুপারিশপত্র পর্ষদকে পাঠায় এসএসসি। তারপরও তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। এই জন্য পর্ষদের অফিসেও যান ওই ব্যক্তি। পর্ষদ অফিসে চাকরিপ্রার্থীকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ। কমিশনের সুপারিশপত্র পাওয়ার পরও ওই ব্যক্তিকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। এদিন এই মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আর তখনই পর্ষদ সভাপতিকে ডেকে পাঠানো হয়।

    অন্যদিকে পর্ষদ দাবি করে, অঞ্জনের নিয়োগপত্র অনেক দিন ধরেই তৈরি হয়ে রয়েছে। পর্ষদের আইনজীবীও আদালতকে একই কথা জানান। তাঁর দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশ মত অঞ্জনের নিয়োগপত্র তৈরিই আছে। কিন্তু অঞ্জন তা সংগ্রহ করেননি। যদিও অঞ্জনের আইনজীবী সুভাষ জানার অভিযোগ, তাঁর মক্কেল পর্ষদের দফতরে নিয়োগপত্র আনতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। নিয়োগপত্র তাঁর মক্কেল হাতে পাননি। আবার পর্ষদের আইনজীবী পাল্টা দাবি করেন, প্রার্থীকে বোর্ডের অফিসে হেনস্থার অভিযোগ ভিত্তিহীন। এমন কোনও কথা কেউ বলেনি। মন গড়া অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিচারপতির নির্দেশ

    উল্লেখ্য, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিংহই নির্দেশ দিয়েছিলেন, ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অঞ্জনকে নিয়োগপত্র না দিলে ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়কে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে হবে। যদিও বৃহস্পতিবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে হাজিরা দেননি। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চ বলেন, “এত বছর ধরে একজন ঘুরছে তারপরও আপনারা তাঁকে ঘোরাচ্ছেন। এটাই এখনকার পরিস্থিতি।” এর পর দু’পক্ষের কথা শোনার পর বিচারপতি নির্দেশ দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অঞ্জনকুমার খাটুয়া নামের ওই ব্যক্তিকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে গিয়ে নিয়োগপত্র সংগ্রহ করতে হবে। একই সঙ্গে পর্ষদকে বিচারপতি অমৃতা সিংহ নির্দেশ দিয়েছেন, শুক্রবারের মধ্যে ওই নিয়োগপত্র মামলাকারীর হাতে তুলে দিতে হবে।

    এছাড়াও অঞ্জনের হেনস্থার প্রসঙ্গে বিচারপতির মন্তব্য, “হেনস্থার যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক, না ভুল, তা জানি না। তবে ওখানে কী হয়, সেটা এখন ওপেন সিক্রেট। কিন্তু আমাদের চোখ খোলা রয়েছে।” অঞ্জনের হেনস্থার অভিযোগও গৃহীত হয়েছে কোর্টে। বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামী দিনে ওই বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে। আগামী ১৬ মার্চ এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

  • TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    TET Scam: সিবিআই ও ইডির কাছে মুখ খোলার জের! জেলেই কুন্তলকে হুমকি-ধমক পার্থ ও মানিকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে জেলেই পার্থ ও মানিকের থেকে ‘ধমক’ খেতে হল কুন্তল ঘোষকে। “আমাদের নাম ইডিকে বলেছ কেন? আগে জেরার সময় নিশ্চয়ই সিবিআইকেও জানিয়েছ আমাদের নাম।” জেলে কুন্তলকে রীতিমত বকাবকি পার্থর। ধমক দিয়েছেন মানিকও। এমনটাই সিবিআই আধিকারিকদের জানিয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষ। এমনকী এই বিষয়টি ইডির আধিকারিকদেরও বলেছেন কুন্তল। ফলে তিনি এখন আশঙ্কায় রয়েছেন যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর থেকে ধমক শুনতে হবে।

    পার্থ ও মানিকের বিষয়ে কী কী জানিয়েছিলেন কুন্তল?

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হাতে গ্রেফতার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। এর পর তাঁকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়া হয়। ইডি জেরার মুখেই কুন্তল জানিয়েছিলেন যে, কীভাবে দফায়-দফায় কুন্তল কোটি-কোটি টাকা পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন। এসএসসি দুর্নীতি টাকায় কুন্তল বেনামে যে শতাধিক গাড়ি কিনেছিলেন, তার মধ্যে অনেকগুলিই পার্থকে দেন তিনি। ফলে পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়ের সঙ্গে  তাঁর যোগাযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন কুন্তল।

    এরপর মানিকের সঙ্গেও কুন্তলের যোগাযোগ ছিল তাও স্বীকার করে নেয় কুন্তল। টেট পরীক্ষার বহু প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলেছিলেন কুন্তল ঘোষ, সেই টাকার একটি বড় অংশ মানিক ভট্টাচার্যের কাছেই যে গিয়েছে, সেই ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন যুব তৃণমূল নেতা।

    পার্থ ও মানিকের ‘হুমকি’ ও ‘ধমক’

    কুন্তলের এই স্বীকারোক্তির বিষয়ে মানিক ও পার্থ জানতেই জেলেই কুন্তলকে হুমকি দিতে ছাড়েননি তাঁরা। সূত্রের খবর, পার্থবাবু প্রত্যেকদিনই প্রেসিডেন্সি জেলে তাঁর সেলের সামনে হাঁটাহাঁটি করেন। তাঁর সেলের কাছ দিয়ে অন‌্যান‌্য বন্দিরাও যাতায়াত করেন। কারা সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই কুন্তলকে হেফাজতে নেওয়ার আগে ইডির মামলায় জেলবন্দি কুন্তল তাঁর ওয়ার্ড থেকে পার্থবাবুর সেলের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনই পার্থবাবু দেখতে পেয়ে তাঁকে ডাকেন। তখনই তাঁকে বকাবকি করতে শুরু করেন পার্থ চট্টোপাধ‌্যায়। তিনি রীতিমত হুমকি দিয়ে কুন্তলকে বলেন, কেন তিনি তাঁর নাম ইডি-র কাছে বলেছেন?  

    আবার এই ঘটনার দু’একদিনের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সামনে পড়ে যান কুন্তল। ফলে কুন্তলকে ধমক ও হুমকি দেন মানিকও। বিষয়টি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, জেলের মধ্যে রীতিমত আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেন কুন্তল ঘোষ। ফলে কুন্তলের আশঙ্কা যে, তাঁর ফের জেল হেফাজত হলে তাঁকে আবার পার্থ ও মানিকের হুমকির মুখোমুখি পড়তে হবে। ফলে ফের যাতে তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে না হয় সেই ব‌্যাপারে নজরদারি রাখা হবে বলে জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ।

  • Jalpaiguri: হাতির হানায় মর্মান্তিক মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি বন দফতরের

    Jalpaiguri: হাতির হানায় মর্মান্তিক মৃত্যু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর, একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি বন দফতরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে জলপাইগুড়ির এক পরীক্ষার্থীর। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মর্মান্তিক ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঘটনাটি ঘটার পরে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক, বন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটি কী ভাবে ঘটেছে, তা জানতে চান। পাশাপাশি, হাতির হানা রুখতে বন দফতরকে আরও সক্রিয় হতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষার্থে আসরে নামে বন-দফতর। পরীক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রকাশ করা হয় একগুচ্ছ নির্দেশিকা।

    কী রয়েছে নির্দেশিকায়?

    এদিন সকালে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর আগেই হাতির হামলায় মৃত্যু হল জলপাইগুড়ির মহারাজঘাটের বাসিন্দা এ বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী অর্জুন দাসের। এর পরেই বন দফতর থেকে ৮ দফা নির্দেশিকা জারি করা হল। পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারে তার জন্য নেওয়া হল ব্যবস্থা।

    যে সমস্ত এলাকায় হাতির হানার প্রকোপ বেশি, সেই এলাকায় পুলিশ ও বনকর্মীদের পাহারায় জোর দেওয়া হল।

    এলাকায় সচেতনতা বাড়াতে ক্রমাগত মাইকে প্রচার করা হবে।

    পরীক্ষার্থীদের পারাপারের জন্য আলাদা লক গেটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    বিশেষ গাড়ি ‘ঐরাবতি’-র ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার সাহায্যে পরীক্ষার্থীদের নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই পরীক্ষাতেই থাকবে ব্যবস্থা।

    মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন বন দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিলের কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায়।

    যতদিন না পরীক্ষা শেষ হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বন দফতরের কাছে প্রতিদিনের রিপোর্ট জমা দিতে হবে, যেখানে উল্লেখ থাকবে যে, এই সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে কিনা।

    কী ঘটেছিল?

    সূত্রের খবর, আজ, বৃহস্পতিবার সকালে বাবার সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছিল ছাত্রটি। তখন জলপাইগুড়ির বৈকন্ঠপুর জঙ্গল সংলগ্ন টাকিমারি এলাকায় এক দাঁতালের সামনে পড়ে যায় তাঁরা। সেখান থেকে ভয়ে পালানোর মুহূর্তেই হাতি পা দিয়ে পিষে মারল ছাত্রটিকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছাত্রকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছে ছাত্রের। মৃত ছাত্রের নাম অর্জুন দাস।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, মোটরবাইকে করে ছেলেকে নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন বাবা বিষ্ণু দাস। হঠাৎ করেই মোটরবাইকের সামনে চলে আসে হাতিটি। মোটরবাইক দেখে তেড়ে আসে হাতিটি। অর্জুনকে ধরে ফেলে হাতি। সেখানেই শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারে। তারপর পা দিয়ে পিষে যান। আশঙ্কাজনক ছাত্রটির বাবাও। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের মহারাজা ঘাটের বাসিন্দা অর্জুন। সে জলপাইগুড়ির পাচিরাম নাহাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র। অর্জুনের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল বেলাকোবা কেবলপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে। আর জীবনের এই প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে গিয়েই প্রাণ হারাল এই ছাত্র।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ৭-১০ দিন আগেও ওই হাতি একজনকে পিষে মেরেছে। বন দফতরের থেকে সেরকম কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি বলে অভিযোগ। কার্যত অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে এলাকায়। মিল্টন দাস নামে এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, “প্রতি বছর হাতির হামলা হলেও বনদফতর কোনও দায়িত্ব নেয় না। এই ভাবে কারও মৃত্যু হওয়ার পর চাকরি দিলেই কি সান্ত্বনা পাওয়া যায়?”

    হাতির পদপিষ্ট হয়ে অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা। সেখানে পৌঁছেছেন পুলিশ এবং বনকর্মীরা। নিহত ছাত্রটির পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন রাজগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়।

  • SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    SSC Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন খারিজ তাপস-কুন্তলের! ‘কালীঘাটের কাকু’-কে নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই হেফাজত শেষে তিন অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ এবং নীলাদ্রি ঘোষকে বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হল। এদিনও আদালতে তাঁদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। তাঁদের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত।

    উত্তরবঙ্গের প্রভাবশালী নেতার যোগ

    প্রসঙ্গত, এতদিন সিবিআই হেফাজতে ছিলেন তিন মূর্তি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নিজাম প্যালেসের ১৪ তলায় একাধিকবার তিন জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে। তাঁদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসা করে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। সূত্রের খবর, ধৃত কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে জেরা করতে গিয়ে এবার নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী নেতার নাম উঠে এসেছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। বেআইনিভাবে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চক্রে যুক্ত ছিলেন প্রভাবশালী ওই নেতা। তবে তাঁর পরিচয় এখনও খোলসা করে জানা যায়নি। এছাড়াও একাধিক ব্যাক্তির নাম উঠে এসেছে, যাঁরা গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল এবং এই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে চাকরির সুরাপিশ পাঠাত। একই সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ‘কালীঘাটের কাকু’র ভূমিকাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। আদৌ কী ওই ব্যক্তি জড়িত না শুধুই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চলছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

    আরও পড়ুন: ০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে  

    সিবিআই -এর দাবি,  নিয়োগ দুর্নীতিতে সিন্ডিকেটের মূলে ছিলেন গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডল, কুন্তল ঘোষ, নীলাদ্রি ঘোষ – এই চারজন। এদের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত ছিলেন সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷। এদিন আদালতে ঢোকার মুখে ফের একবার কুন্তল নিশানা করেন গোপাল দলপতিকে। তিনি বলেন, টাকা পয়সার পুরো লেনদেনের বিষয়টি জানেন গোপাল। উনিই যা করার করেছেন। কালীঘাটের কাকু প্রসঙ্গে কুন্তল বলেছেন, সুজয় ভদ্র কালীঘাটের কাকু নন। অথচ গত দু’দিন ধরে তাপস মণ্ডলের বলা এই নাম নিয়েই তোলপাড় চলেছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Presidency Jail: প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিন জেল, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Presidency Jail: প্রেসিডেন্সি জেল সুপারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৭ দিন জেল, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাইকোর্টের (High Court) তোপে প্রেসিডেন্সির জেল (Presidency Jail) সুপার। খোদ জেল সুপারকে জেলে ভরার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের। প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিন জেলে রাখার নির্দেশ বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তর ডিভিশন বেঞ্চের।

    বিকাশ মিশ্র…

    আদালতের নির্দেশের পরেও জেলে না রেখে হাসপাতালে রাখা হয়েছল কয়লা পাচার মামলায় অভিযুক্ত বিকাশ মিশ্রকে (Bikash Mishra)। আদালত স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অবমাননা রুল জারি করে। আদালত জানায়, জেলের প্রধানের এমন ভূমিকা দেখে আদালত চোখ বুজে থাকতে পারে না। না হলে জেলের সবার ওপর অবিচার করা হবে। এদিন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার আদালতে হাজির ছিলেন। তিনি নিঃশর্ত ক্ষমাও চান। রাজ্যের সব থেকে বড় সংশোধনাগারের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। বিচারাধীন বন্দি বিকাশ সুস্থ হওয়া সত্ত্বেও কেন তাঁকে জেলে না রেখে হাসপাতালে রাখা হয়েছিল, সেই প্রশ্নও করেন বিচারপতি। এই অপরাধে জরিমানার নিদান দেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ (High Court)। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জরিমানা বাবদ ১০ হাজার টাকা না দিলে, সাত দিনের সরল জেল যাপনের নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুুন: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে…’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

    প্রসঙ্গত, এর আগে সশরীরে হাইকোর্টে হাজিরা দিয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস। কিন্তু আদালত তাঁকে ক্ষমা করেনি। ডিভিশন বেঞ্চ সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্যের সব চেয়ে বড় জেলের সুপারের এহেন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ মানা যায় না। বিকাশকে হাসপাতালে রাখা সম্পর্কে সিবিআইয়ের বক্তব্য ছিল, আদালত (High Court) বলে দিয়েছিল বিকাশ যদি অসুস্থ না থাকেন, তাহলে হাসপাতাল থেকে জেলে পাঠাতে হবে তাঁকে। কিন্তু সুস্থ হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁকে হাসপাতালে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সিবিআইয়ের অভিযোগ, জেল কর্তৃপক্ষ আদালত অবমাননা করেছেন। কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার আরও অভিযোগ, বিকাশ জেলের বদলে হাসপাতালে থাকায় মামলায় অন্যরকম প্রভাব তৈরির চেষ্টা হয়েছে। আদালতও আগের দিন হাসপাতালকে অভিযুক্তর পক্ষীশালা বলে উল্লেখ করেছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Adenovirus: হু-হু করে বাড়ছে অ্যাডিনো! ইন্টারনেট দেখে শিশুর চিকিৎসা করাচ্ছেন কি? সতর্কবার্তা পুরসভার

    Adenovirus: হু-হু করে বাড়ছে অ্যাডিনো! ইন্টারনেট দেখে শিশুর চিকিৎসা করাচ্ছেন কি? সতর্কবার্তা পুরসভার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যাডিনো ভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে গোটা রাজ্য। কোভিডের পর এবার নয়া আতঙ্কের নাম অ্যাডিনো ভাইরাস। ইতিমধ্যেই রাজ্যের একাধিক জেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস। দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। জানা গিয়েছে, বাংলায় একাধিক শিশু এই ভাইরাসের বলি হয়েছে। শহর থেকে জেলা, হাসপাতালগুলিতে ভিড় বাড়ছে শিশুদের। এই পরিস্থিতিতে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। চিকিৎসক থেকে নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, কাকে কোন দায়িত্ব পালন করতে হবে তা বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায়।

    পুরসভা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আলাদা আলাদা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সকলকেই। মেডিক্যাল অফিসার থেকে শুরু করে ‘আশা’ কর্মীদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে দায়িত্ব। এমনকী স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির পক্ষ থেকেও সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুরসভার পক্ষ থেকে।

    মেডিক্যাল অফিসারদের জন্য কী কী নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে?

    শিশুদের অভিভাবকের কথা শুনে পরীক্ষা করতে হবে। বাড়িতেই চিকিৎসা সম্ভব নাকি হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে, তা জানাতে হবে। শিশুর শারীরিক অবস্থা কেমন থাকছে সেদিকে কড়া নজর রাখতে হবে। বাড়িতে রাখলে অভিভাবকদের বুঝিয়ে দিতে হবে, কী দেখে তাঁরা সতর্ক হবেন।

    নার্সদের কী করতে হবে?

    কোনও শিশু জ্বর, কাশি নিয়ে পুরসভার স্বাস্থ‌্যকেন্দ্রে এলেই অভিভাবককে জিজ্ঞেস করতে হবে, কতদিন ধরে জ্বর আসছে। অপ্রয়োজনে গুচ্ছ গুচ্ছ অ‌্যান্টিবায়োটিক নয়। জানতে হবে, জ্বর কেমন থাকছে, খেতে অনীহা দেখা যাচ্ছে কি না, প্রস্রাবে কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না। বিপদ বুঝলেই দেরি না করে মেডিক্যাল অফিসারের কাছে পাঠাতে হবে।

    অন্যদিকে, স্বেচ্ছাসেবক স্বাস্থ্যকর্মী এবং ‘আশা’ কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জানবেন শিশুদের অসুস্থতা প্রসঙ্গে। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ‌্যবিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, ৭০০ আশাকর্মী রয়েছেন কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে। এছাড়াও রয়েছেন ১০০ দিনের স্বাস্থ‌্যকর্মীরা। আজ থেকে এদের প্রত্যেকে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে শিশুদের স্বাস্থ‌্য পরীক্ষা করবেন।

    ফার্মাসিস্টদের নির্দেশিকা

    ফার্মাসিস্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া যেন কোনও রকম ওষুধ কাউকে না দেওয়া হয়। মেডিক্যাল অফিসারদের দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ দিতে হবে। কোন ওষুধ কখন খেতে হবে, তা অভিভাবকদের ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিতে হবে। শিশুরা অসুস্থ হলে কোনো ভাবেই ফেলে রাখা রাখা যাবে না বাড়িতে, এমনই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষের তরফে।

    আমজনতার জন্যেও পুরসভার নির্দেশিকা

    অন্যদিকে অভিভাবকদের উদ্দেশ্যেও বলা হয়েছে, ইন্টারনেট দেখে কোনও রকমের চিকিৎসা করা যাবে না। তাই কলকাতা পুরসভার নির্দেশিকা, “শিশুর তুমুল জ্বর, কাশিতে নিজেরা ইচ্ছেমত চিকিৎসা করবেন না। পরামর্শ নিন রেজিস্টার্ড মেডিক‌্যাল প্র্যাকটিশনারের।”

  • Partha Chatterjee:  ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    Partha Chatterjee: ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে আপাতত প্রেসিডেন্সি জেলেই দিন কাটছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee)। মাসের পর মাস খারিজ হয়ে যাচ্ছে জামিনের আবেদন। এই দুঃখের মধ্যেও নতুন জ্বালাতনে পড়েছেন পার্থ। আগে দলের ভিতরে নিজের দেহের ওজনের কারণে মস্করার শিকার হতেন। তবে তা হত আড়ালে। কিন্তু এখন টিটকিরি শুনতে হচ্ছে জেলের মধ্যেও। তাও আবার ছিচকে চোরেদের কাছে। দুই ছিঁচকে চোর নাজেহাল করে তুলেছে পার্থর জেল-জীবন।   

    গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই আলিপুর প্রেসিডেন্সির জেলে নিজের সেল থেকে বের হন না তিনি। কিন্তু নিজের সেলের ভিতরেও দুদণ্ড শান্তি নেই! দিনেরবেলায় যখন বিশ্রাম নিচ্ছেন কিংবা পায়চারি করছেন, ঠিক তখনই ভেসে আসছে ‘মোটু টুকি, মোটু টুকি’ ডাক। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিনিয়ত চলছে এমনটা। ঘটনায় রেগে আগুন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী (Partha Chatterjee)। তাঁকে কি না বডি শেমিং! অভিযোগ জানিয়েছেন জেল কর্তৃপক্ষের কাছে।   

    এরপরই জেল কর্তৃপক্ষ জানতে পারে পার্থর (Partha Chatterjee) পাশের সেলে থাকা দুই ছিঁচকে চোরই ‘মোটা মোটা’ বলে জ্বালাচ্ছে তাঁকে। শেষ অবধি ওই দু’জনকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেলের থেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়।

    মুসা অধ্যায় 

    এদিকে কয়েক দিন আগেই জঙ্গি মুসার তাড়া খেয়ে জেলের ভিতর পড়ে গিয়ে থুতনি ফেটে গিয়েছে তাঁর! তাতেও রক্ষা নেই। এ আবার এক নতুন জ্বালা (Partha Chatterjee)। জানা গিয়েছে, ঠোঁট কেটে গেছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর। আঘাত লেগেছে থুতনিতেও। বুধবার এসএসকেএম হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি টিম জেলে গিয়ে দেখেও আসেন তাঁকে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে মুসা পার্থর দিকে তাক করে মলভর্তি মগ ছুড়ে মেরেছিল। এরপরই পালাতে গিয়ে মুখে, কাঁধে চোট পান তিনি। আঘাত পেয়েছেন ঠোঁটেও।

    আরও পড়ুন: “আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”, বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’

    গ্রেফতারির পর থেকেই বার বার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। একেবারে শুরুর দিয়ে তাঁকে দেখা মাত্রই কিছু বন্দি অনবরত “চোর, চোর’’ বলে টিপ্পনি কাটত। তখনও জেল কর্তৃপক্ষ উৎপাত করা ওই বন্দিদের অন্যত্র সরিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
  • Asansol: জিতেন্দ্র-জায়া চৈতালি-সহ পাঁচ জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ আদালতের

    Asansol: জিতেন্দ্র-জায়া চৈতালি-সহ পাঁচ জনের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোল (Asansol) পদপিষ্ট মামলায় প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। গ্রেফতারি থেকে বাঁচতে কলকাতা হাইকোর্টে রক্ষা কবচের আবেদন করেছিলেন চৈতালি। বৃহস্পতিবার চৈতালির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। চৈতালির এই মুহূর্ত থেকে আর কোনও রক্ষাকবজ থাকল না।

    এর আগে গত ২২ ডিসেম্বর চৈতালির আবেদন মেনে তাঁকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ দিয়েছিল হাইকোর্ট। যদিও তাঁকে তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। কিন্তু চৈতালি (Asansol) তদন্তে সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ করে পুলিশ। তাঁকে বারবার নোটিস দিয়েও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি। এমনকী, তিওয়াড়ি দম্পতিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানিয়েছে পুলিশ।

    আসানসোলে (Asansol) কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মানুষ মারা গিয়েছিল। এই কাণ্ডে নাম জড়িয়ে যায় চৈতালির। বাড়িতে পুলিশ এসে খোঁজ পর্যন্ত করেছিল। নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে জিতেন্দ্র তিওয়ারির স্ত্রী চৈতালি আগাম জামিনের আবেদন করেন। যা দিল না কলকাতা হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: ‘‘মোটা দা টুকি’’! জেলের ভিতর টিটকিরি দুই ছিঁচকের, রেগে আগুন ‘হেভিওয়েট’ পার্থ

    কী অভিযোগ চৈতালির বিরুদ্ধে? 

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলে (Asansol) শিবচর্চা ও কম্বল বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল। আসানসোলের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী দলনেত্রী চৈতালি তিওয়ারি। শুভেন্দু নিজের হাতে কিছু কম্বল বিতরণ করেছিলেন। শুভেন্দু ওই অনুষ্ঠান স্থল ছাড়ার পরেই কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ওই এলাকায়। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। আহত হন অনেকে।

    এই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় জিতেন্দ্রর স্ত্রী চৈতালির (Asansol)। অভিযোগ ছিল, পুলিশের কাছ থেকে ওই কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের জন্য কোনও লিখিত অনুমতি নেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। আর তাতেই বিপাকে পড়েন জিতেন্দ্র-জায়া।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Kalighater Kaku: “আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”, বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’

    Kalighater Kaku: “আমার সাহেব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়”, বিস্ফোরক ‘কালীঘাটের কাকু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেশ কয়েক দিন ধরেই ‘কালীঘাটের কাকু’- কে (Kalighater Kaku) নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এই কালীঘাটের কাকুর নাম প্রথম নিয়েছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল। বহু বিতর্কের পর প্রকাশ্যে এলেন ‘কালীঘাটের কাকু’। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বেহালার বাসিন্দা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র এক বিস্ফোরক দাবি করেন। তিনি বলেন, “আমার সাহেব, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।” সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের এই মন্তব্যের পরেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। 

    সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দাবি, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত পৌঁছনোর চেষ্টা হচ্ছে। আর সেটা করতে গিয়ে তাঁর পর্যন্ত (Kalighater Kaku) এসে থেমে যাচ্ছে তদন্ত। সুজয়কৃষ্ণ আরও বলেন, “আমার যে সাহেব, পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই তাঁকে ছোঁবে। কারণ তাঁর নাম কেউ নিতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে পারবে না। তাঁর সঙ্গে কেউ ফোনে কথা বলতে পারবে না। সেই অবধি কোনও লোক পৌঁছতে পারবে না। তাই চেষ্টা করা হচ্ছে, আপনারা ভাল বুঝবেন, সেই করতে গিয়ে আমি অবধি এসে থেমে যেতে হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ০২২ টেটের ৭ প্রশ্নে ভুল, মামলা দায়ের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে  

    সুজয়কৃষ্ণ (Kalighater Kaku) আরও জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে অভিষেকের হয়ে নিউআলিপুরে চাকরি করেন। কী কাজ করেন তা পরিষ্কার করে বলেননি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি অভিষেকের অফিসে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন। শুধু চাকরিই করেন, প্রোমোটিং বা কোনও ব্যবসা নেই বলে দাবি করেন।  

    কীভাবে দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালো এই ‘কালীঘাটের কাকুর’? 

    তাপস মণ্ডল এবং দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত গোপাল দলপতিদের থেকে এই (Kalighater Kaku) নাম জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কতটা ভূমিকা রয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে সুজয়কৃষ্ণ  বলেন, “আমার নিজের দাদার মেয়ে, তার একটা চাকরি করে দিতে পারিনি। আমি যদি এতই প্রভাবশালী হতাম, তাহলে দাদার মেয়ের একটা চাকরি করে দিতে পারতাম না! নিজের মেয়ের একটা চাকরি করে দিতে পারতাম!” 

    এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্য, “কালীঘাটের কাকু (Kalighater Kaku) সম্পর্কে আমাদের কাছে যা তথ্য উঠে আসছে, ২০০৯ সাল থেকে ইনি…কোম্পানিতে যুক্ত ছিলেন। সেখানে অমিত, লতা, রুজিরা যুক্ত। কালীঘাটের কাকু হচ্ছে কান। এ বার কানে হাত পড়েছে যখন, মাথা টানতে আর বেশি দেরি নেই।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
  • Land Reforms Act: ভূমি সংস্কার আইনে বদল আনল রাজ্য, কেন জানেন?

    Land Reforms Act: ভূমি সংস্কার আইনে বদল আনল রাজ্য, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন পরে মঙ্গলবার সংশোধন করা হল ভূমি সংস্কার আইন (Land Reforms Act)। এদিন বিধানসভায় সংশোধন করা হল এই আইন। এর ফলে সিলিং বহির্ভূত অকৃষি জমিকে (Non Agricultural Land) টাউনশিপ করতে ফ্রি হোল্ড দেবে রাজ্য সরকার। ভূমি সংস্কার দফতরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, যে জমি পড়ে রয়েছে, জনস্বার্থে তা ব্যবহারের জন্যই শর্তসাপেক্ষে এই মনিটাইজেশেনর উদ্যোগ। তিনি বলেন, এটা রাজ্যের বিনিয়োগকারীদের কাছে ইজ অফ ডুয়িং বিজনেসের হাতিয়ার হয়ে উঠবে। জানা গিয়েছে, নয়া সংশোধনীতে জমির মিউটেশনের ক্ষেত্রে মালিকানা নিয়ে কোনও ত্রুটি থাকলে, যে কোনও সময় তা সংশোধনের ক্ষমতা ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিককে দেওয়া হয়েছে।

    সিলিং বহির্ভূত জমির মালিকানা…

    এতদিন নিয়ম ছিল, আবেদন জানাতে হলে তা জানাতে হত এক থেকে পঁয়ত্রিশ বছরের মধ্যে। নয়া আইনে বলা হয়েছে, সিলিং বহির্ভূত জমির মালিকানা পাবে কোনও ব্যক্তি, শিল্পসংস্থা, প্রতিষ্ঠান, ট্রাস্ট বা সমবায়। এ জন্য সরকারকে নির্ধারিত প্রিমিয়াম দিতে হবে। এও জানা গিয়েছে, যে কাজের (Land Reforms Act) জন্য জমি নেওয়া হবে, শুধুমাত্র সেই কাজেই ব্যবহার করা যাবে। শিল্পতালুক, ফিনানশিয়াল হাব, বায়োটেক পার্ক, লজিস্টিক্স হাব বা ফুড পার্কের পাশাপাশি এই জমি টাউনশিপ তৈরির কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। সরকারের আশা, এই সংশোধনের ফলে একদিকে যেমন সরকারি কোষাগারে লাভ হবে, তেমনিই বড় শিল্প সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানও উপকৃত হবে। যদিও বিজেপির বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা, অম্বিকা রায়দের বক্তব্য, নয়া আইনে দুর্নীতির সুযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, আইন অনুযায়ী, অকৃষি জমির সিলিং ২৪.৩ একর।

    আরও পড়ুুন: ‘সিবিআই কান অবধি পৌঁছে গেছে…’, কালীঘাটের কাকু সম্পর্কে বললেন সুকান্ত

    এদিকে, প্রয়োজনে জমি কিনতে হবে সরকারকে,  অধিগ্রহণ (Land Reforms Act) করতে পারবে না। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এক মামলার শুনানিতে একথা বলেন তৃণমূল সাংসদ তথা আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আদালতে কল্যাণ বলেন, সিঙ্গুর আন্দোলনের পর এই রাজ্যই জমি সংক্রান্ত এমন আইন করেছে। তাই বাস্তবে সেটাই মানতে হবে রাজ্যকে। প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জ এলাকায় একটি চিড়িয়াখানা করতে জমি নিয়েছিল রাজ্য সরকার। চিড়িয়াখানার বাইরেও কিছু জমি রয়েছে, যে জমি ব্যবহার করতে পারছেন না জমির মালিক-মামলাকারীরা। এদিন তাঁদের হয়েই সওয়াল করছিলেন কল্যাণ। তিনি বলেন, সিঙ্গুরের আন্দোলনের জেরে এই সরকার অন্তত জমি অধিগ্রহণে হ্যাঁ বলতে পারবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

LinkedIn
Share