Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Santanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের শান্তনুকে তলব করল ইডি

    Santanu Banerjee: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের শান্তনুকে তলব করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের  হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার শান্তনুকে (Santanu Banerjee) তলব করা হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির আরও এক তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর বেশ কয়েকবার শান্তনুকে জেরা করেছে ইডি। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে শান্তনুকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। শান্তনুর থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নথিও চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। কুন্তলের সঙ্গে শান্তনুর টাকা লেনদেন হয়েছে কি না, শুক্রবার সেই বিষয় জিজ্ঞেস করতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।  

    গত জানুয়ারি মাসে শান্তনুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। ইডির তরফে জানা গিয়েছে, শান্তনুর বাড়ি থেকে ৩০০ প্রার্থীর তালিকা পাওয়া গিয়েছে, সেই বিষয়ে তাঁকে আগেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। শুক্রবার আবার এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইডি-র আধিকারিকেরা। শান্তনু (Santanu Banerjee) ছাড়াও একই দিনে কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। ইডি এবং সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার কুন্তল ঘোষের নিউটাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালায়। কুন্তলের সঙ্গে শান্তনুর আর্থিক লেনদেন হয়েছিল কি না তা জানতে চাইছে ইডি।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলব করল ইডি  

    হুগলির বলাগড়ের অন্য এক যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পরেই শান্তনুর (Santanu Banerjee) নাম প্রকাশ্যে আসে। যদিও কুন্তল আধিকারিকদের জানিয়েছেন তিনি শান্তনুকে চেনেন না। তবে ইডি গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ২০১৪ সাল থেকেই নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন কুন্তল এবং শান্তনু। শর্ট ফিল্ম বানানোর একটি সংস্থায় কুন্তল এবং শান্তনুর স্ত্রীর অংশীদারিত্ব ছিল বলে ইডি সূত্রে খবর।

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডি-র নজরে ৭৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি-র দাবি, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের অ্যাকাউন্ট থেকে ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। ২০১৭-র শেষ থেকে ২০১৯, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরাতে এই ৭৫টি অ্যাকাউন্টকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছে ইডি (Santanu Banerjee)। এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কোথায় কোথায় টাকা গিয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এর মধ্যে কুন্তলের অ্যাকাউন্ট থেকে ৫০ লক্ষের বেশি টাকা গিয়েছিল বান্ধবী সোমা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে। ইডি-র জিজ্ঞাসাবাদে কুন্তলের থেকে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন সোমা। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ক্ষমতায় এলে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব আমরা’, নদিয়ায় আশ্বাস সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) মিটিয়ে দেব। বুধবার নদিয়ায় এসে এ কথা বললেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন হোলি উপলক্ষে মায়াপুরে ইস্কন মন্দিরে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সেখানেই ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা। সুকান্ত বলেন, মুণ্ড কাটার প্রয়োজন নেই, চেয়ারটা ছেড়ে দিন, আমরা এসে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মিটিয়ে দেব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে অপদার্থ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।

    অনুব্রত প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গেও তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে একহাত নেন সুকান্ত। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডল মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। যদি তিনি মুখ খোলেন তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে ভূমিকম্প হবে। ধপাস করে দলটাই পড়ে যাবে। আইএসএফ নেতা তথা ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির প্রসঙ্গেও রাজ্য সরকারকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, তাঁকে (নওশাদ সিদ্দিকি) পুলিশ দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। বর্তমানে সেই ভুল বুঝতে পেরে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার।

    সম্প্রতি ভাঙড়ের পর নদিয়ার কালীগঞ্জে পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে দুষ্কৃতীরা। সে প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত বলেন, এখন দুয়ারে বোমা, দুয়ারে গুলি প্রকল্প চলছে রাজ্যের শাসক দলে। যা তৃণমূলেরই সংস্কৃতি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, শাসক দলের হার্মাদ বাহিনী ও নেতানেত্রীরা তৎকালীন রাজ্যের শাসক দল সিপিএম নেতাদের ছাত্র ছিল। তিনি বলেন, সিপিএম নেতাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়েই অনুব্রত মণ্ডলদের মতো অন্য তৃণমূল নেতারা বোমা মারব, গুলি মার বলে মানুষকে হুমকি দেয়। সিপিএম স্কুল থেকেই পাশ করে আজকের তৃণমূল নেতা তৈরি হয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    আরও পড়ুুন: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র দাবিতে সরকারি কর্মচারীরা শহিদ মিনারের নীচে যে অনশন, অবস্থান বিক্ষোভ করছেন, সে প্রসঙ্গে এদিন সব চেয়ে বেশি সরব হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা ডিএ দিতে পারব বলছি তো। আমাদের পাঁচ-দশ বছর সময় দিলে আমরা কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেব। আমাদের সেই সুযোগ দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে ডিএ দিতে পারব না বলে উনি অপদার্থতার নজির সৃষ্টি করেছন। সুকান্ত বলেন, সেই অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী থাকার চেয়ে না থাকাই ভালো।

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শাসকদলকে তোপ সুকান্তর…

    লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, আপনি লক্ষ্মীর ঝাঁপি খুলে চাকরির ঝাঁপি বন্ধ করে দেবেন, এটা হতে পারে না। আমরা আগেই বলেছি ত্রাণ নয়, পরিত্রাণ চাই। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কার্যত ত্রাণ দেওয়ায় পরিণত হয়েছে। এই ত্রাণ দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। একমাত্র চাকরিই স্থায়ী সমাধান হতে পারে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যখন মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন তখন মানুষই যেন সেই তাঁদের জিজ্ঞেস করেন যে, তাঁরা ক’টা চাকরির টাকা খেয়েছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের জানা দরকার, যে নেতা তাঁর বাড়ি গিয়েছেন তিনি কতগুলো চাকরি বিক্রি করতে পেরেছিলেন৷

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Bonny Sengupta: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলবের একদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা

    Bonny Sengupta: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত, তলবের একদিন আগেই ইডি দফতরে হাজিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়ে পড়ল টলি অভিনেতা বনি সেনগুপ্তের (Bonny Sengupta) নাম। চলতি সপ্তাহেই তাঁকে তলব করেছিল ইডি। তলবের একদিন আগেই হাজিরা দিলেন তিনি। তলব করা হয়েছিল শুক্রবার। তার একদিন আগেই ইডির দফতরে হাজির হলেন বাংলা সিনেমার অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। তলবে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরেই তিনি পৌঁছলেন সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে।

    ইডি সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দেওয়া নথিতে বনি সেনগুপ্তের (Bonny Sengupta) নামও রয়েছে। সে বিষয় নিয়েই জিজ্ঞাসাবাদ করতে বনিকে ডেকে পাঠিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। বনির কয়েকজন এজেন্টকেও তলব করা হয়েছে বলে খবর। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলেছেন তিনি, এই অভিযোগে কুন্তলকে গ্রেফতার করে ইডি। যদিও তিনি বরাবরই দাবি করে এসেছেন, তিনি কোনও টাকা নেননি। তাঁকে ফাঁসিয়েছেন তাপস মণ্ডল। কুন্তলের বিরুদ্ধে স্কুলে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি নেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আর এক অভিযুক্ত তাপস মণ্ডল। তারপরই কুন্তলের বিরুদ্ধে তৎপর হয় সিবিআই-ইডি। 

    আরও পড়ুন: চলে গেলেন ‘ক্যালেন্ডার’! হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত বলিউড অভিনেতা সতীশ কৌশিক

    নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তে তদন্তকারীদের আতশকাচের নীচে রয়েছেন এক অভিনেত্রীও (Bonny Sengupta)। চলতি সপ্তাহে কুন্তলের কয়েকজন এজেন্টকেও তলব করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর।

    এদিকে একই মামলায় হুগলির যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে অভিযুক্ত হুগলির তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের গ্রেফতারির পর একাধিক বার শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে জেরা করা হয়েছিল তাঁকে। তাঁর কাছ থেকে সম্পত্তির নথিও চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কুন্তলের সঙ্গে শান্তনুর টাকা লেনদেন হয়েছে কি না, শুক্রবার সেই বিষয়েও ইডির আধিকারিকেরা জিজ্ঞাসাবাদ করবেন হুগলির যুবনেতাকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

  • Anubrata Mondal: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    Anubrata Mondal: প্রশ্নবাণে চোখ ছলছল! ইডির জেরায় ভেঙে পড়লেন কেষ্ট মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোলির দিন ইডির জেরায় ক্লান্ত অনুব্রত (Anubrata Mondal)। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে যখন তদন্তকারী আধিকারিকরা লম্বা প্রশ্নপত্র নিয়ে টানা জেরা করছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে-তখন কেষ্ট কার্যত ভেঙে পড়েন। ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর, দাপুটে আইপিএস সনিয়া নারাংয়ের নেতৃত্বে ছ’জন আধিকারিকের বিশেষ দল প্রশ্নপত্রের সঙ্গেই অনুব্রতর সামনে তুলে ধরেন তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, বীরভূমের একটি ট্রাস্টের কর্তা মলয় পীঠ এবং একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বয়ান। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে কেষ্টর সঙ্গে তাঁর আইনজীবীরা কথা বলতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

    বিচারক রাকেশ কুমার অনুব্রতকে (Anubrata Mondal) তিন দিনের জন্য ইডি হেফাজতে রেখে শুক্রবার ফের আদালতে হাজির করানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। অনুব্রতদের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর কোনও এক জন আইনজীবী ইডি দফতরে হাজির থাকবেন। যদিও তিনি কোনও কথাবার্তা শুনতে পাবেন না। ইডির তরফে বিচারককে জানানো হয়েছিল, এই মামলায় ৩-৪ জন অভিযুক্তকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা এখন জেলে। চার্জশিটও দায়ের হয়েছে। 

    কী কী জানতে চাইল ইডি?

    গরু পাচারে যে কোটি কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে, তার সঙ্গে অনুব্রতের (Anubrata Mondal) যোগ নিয়ে তদন্তকারীরা চেপে ধরতে একটা সময়ে ছলছলে চোখে ভেঙে পড়েন কেষ্ট। ইডি সূত্রের খবর, তিনি বারবার তদন্তকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন- তিনি নির্দোষ। ইডি-র আধিকারিকরা অনুব্রতর কাছ থেকে মূলত কয়েকটি প্রশ্নের নির্দিষ্ট উত্তর চাইছেন। তা হল, বীরভূমের ইলামবাজারের হাট থেকে গরু বেআইনি ভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কাকে, কী অঙ্কের প্রোটেকশন মানি বিভিন্ন স্তরে দেওয়া হতো? তা কি কেষ্টই ঠিক করতেন? পাচারের কোটি কোটি টাকা কোথায় কোথায় সরানো হয়েছে? বহু সাধারণ মানুষের নামে অ্যাকাউন্ট খুলে যে আর্থিক লেনদেন করা হয়েছে, সে সব কি অনুব্রতরই মস্তিষ্কপ্রসূত? এই জেরাপর্বে ইডির আধিকারিকদের কাছে বড় হাতিয়ার ছিল সুকন্যা, সায়গল, মলয়ের বয়ানের পাশাপাশি বীরভূমের বেশ কয়েকটি চালকলের মালিক, ব্যবসায়ীদের বক্তব্যও- যাঁদের সঙ্গে এর আগে বিভিন্ন সময়ে কথা বলেছেন তদন্তকারীরা। কয়েকজন চালকল-কোল্ড স্টোরেজ মালিক, ব্যবসায়ীর কথা তদন্তকারীরা বললেও তাঁদের চিনতে অস্বীকার করেন কেষ্ট। 

    আরও পড়ুন: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    বুধবার, বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাখানেক তাঁর সঙ্গে একপ্রস্ত কথা বলেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশে এদিন ফের রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। প্রথমে তদন্তকারীদের বেশির ভাগ প্রশ্নে নিরুত্তরই ছিলেন। তদন্তকারীরা এদিন কেষ্টর কাছ থেকে নথিপত্র দেখিয়ে এ-ও জানতে চান, কীভাবে বছরের পর বছর তাঁর আয় ও সম্পত্তি বেড়েছে? পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা, এমনকী দিল্লি, গাজিয়াবাদ-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে সব সম্পত্তির হদিশ মিলেছে, তার সঙ্গে তাঁর বা তাঁর পরিবার-পরিচিত-ঘনিষ্ঠদের কী যোগ- তাও জানতে চাওয়া হয়। ইডি মূলত জানার চেষ্টা করছে গরু পাচারের মানি-ট্রেল, অর্থাৎ টাকা কোথায়, কী ভাবে সরানো হয়েছে।

    শুক্রবার দুপুরে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে তোলা হবে। সেখানে ইডি ফের অনুব্রতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইবে। তার আগে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আড়াই দিনে যতটা সম্ভব জিজ্ঞাসাবাদ সেরে ফেলতে চাইছেন ইডি-র অফিসাররা। তার জন্য ইডি-র স্পেশাল ডিরেক্টর সনিয়া নারাং, অ্যাস্টিট্যান্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ কুমারের নেতৃত্বে দল তৈরি হয়েছে। অনুব্রতের শারীরিক অবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যেই তাঁর আইনজীবীরা প্রশ্ন তুলে রেখেছেন। ইডি-র হেফাজতে থাকার সময় তৃণমূল নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার দায় তদন্তকারীদের উপরে এসে পড়তে পারে। তাই পুরো জিজ্ঞাসাবাদের পর্বই ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে রাখা হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Opposed Strike: ডিএ-এর জন্য সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট! আন্দোলন ব্যর্থ করতে সক্রিয় তৃণমূল

    TMC Opposed Strike: ডিএ-এর জন্য সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট! আন্দোলন ব্যর্থ করতে সক্রিয় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মচারীদের ধর্মঘটের দিন অফিসে কারা গরহাজির থাকছে, তা খতিয়ে দেখবে তৃণমূল কংগ্রেস। নজরদারিতেই থামবে না শাসকদলের নেতা কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্কুল, কলেজ, সরকারি দফতর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বত্র খতিয়ে দেখা হবে। তৃণমূলের নেতা কর্মী এবং জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্যদেরকে বলা হয়েছে, ১০ মার্চ যেন সব সরকারি দফতর, স্কুল, কলেজে কর্মচারীদের স্বাভাবিক হাজিরা থাকে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

    ধর্মঘট ব্যর্থ করতে রাস্তায় কর্মীরা

    প্রসঙ্গত বকেয়া ডিএ-দেওয়ার দাবিতে ১০ মার্চ গোটা রাজ্যে সরকারি ক্ষেত্রে কর্মচারীরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। কিন্তু সেই ধর্মঘটকে ভাঙতে যেভাবে শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, দলের ব্লক সভাপতি ও দলের কর্মীদেরকে রাস্তায় নামতে বলা হচ্ছে তা নজির বিহীন। সরকারি দফতরে গিয়ে ধর্মঘটের বিরুদ্ধে প্রচার করতে বলা হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, ধর্মঘটের দিন তৃণমূল কংগ্রেসের বাহিনীকে নামিয়েই ধর্মঘট ভাঙার চেষ্টা করা হবে। ধর্মঘটের আগের দিন যেভাবে নির্দেশ দিয়ে স্কুল কলেজে গিয়ে ধর্মঘটের দিন আসার অনুরোধ করা হচ্ছে তার লক্ষ্য একটাই সরকারি কর্মচারী শিক্ষকদের মধ্যে ভয় ও ভীতির পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া।

    আরও পড়ুন: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    হুগলি জেলা গোঘাট ১নং ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিজয় রায়ের দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নির্দেশিকা সামনে এসেছে। তাতেই পরিষ্কার হয়েছে ধর্মঘটীদের উদ্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচ্ছন্ন হুমকির বার্তা। গোঘাট এক নম্বর ব্লকের সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান, উপপ্রধান এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বলা হয়েছে স্কুলে গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের “অনুরোধ” করে আসতে যাতে ধর্মঘটের দিন তাঁরা স্কুলে আসেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা স্কুলে যাবেন গিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে অনুরোধ করবেন এটা কার্যত হাস্যকর। এক ধর্মঘটী সংগঠনের নেতার অভিযোগ, ধর্মঘটের আগের দিন স্কুলে এসে তৃণমূলের লোকেরা আসলে হুমকি দিয়ে যাবে। কিন্তু এবার কোনও হুমকির মুখেই মাথা নত করবে না শিক্ষক শিক্ষিকারা। কর্মচারীদের বকেয়া ন্যায্য, তা দিতে হবে।

    যদিও ধর্মঘটপন্থী শিক্ষক ও কর্মী সংগঠনগুলির দাবি, সরকার ও শাসকদলের ‘রক্তচক্ষু’ অগ্রাহ্য করেই সর্বস্তরের কর্মীরা ১০ মার্চের ধর্মঘট সফল করবেন। ধর্মঘটে যোগ দেওয়া কারও বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে সব রকমের আইনি সহায়তারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা। ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে যে তিনটি সংগঠন— সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ, কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতৃত্বে যৌথ মঞ্চ এবং বিজেপি সমর্থিত রাজ্য সরকারি কর্মচারী পরিষদ— তারা সবাই জানিয়েছে, সে দিন কাজে না আসার দায়ে কোনও কর্মীর বিরুদ্ধে সরকার শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে সব রকমের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    Rail line: ভাবাদিঘিকে বাঁচাতে একজোট গ্রামবাসীরা, থমকে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ সংযোগের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ ভাবাদিঘি। গোঘাটের এই এলাকার মানুষের কাছে এটা শুধু দিঘি নয়, একটি সেন্টিমেন্ট। কারণ, এই ভাবাদিঘিতে মাছ চাষ করে বহু পরিবারের মুখে দুবেলা অন্ন ওঠে। এলাকার বহু পরিবার এখনও দিঘির জল ব্যবহার করেন। তাই, এই দিঘি এলাকাবাসীর কাছে অন্নদাতা মায়ের মতো। প্রস্তাবিত রেলের প্রকল্প অনুযায়ী, তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল (Railline) যোগাযোগের জন্য ভাবাদিঘি দিয়ে রেলপথ নিয়ে যাওয়ার কথা। বিষয়টি জানতে পেরেই এক জোট বাসিন্দারা। দিঘি বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে তাঁরা পথে নামেন। দিঘি রক্ষা করার বার্তা পৌঁছে দেন রেল কর্তাদের কাছে।

    ভাবাদিঘি রক্ষা করতে কী উদ্যোগ নিলেন এলাকাবাসী? Railline

    পথে নেমে লোক দেখানো আন্দোলন নয়। রীতিমতো ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটি গড়ে গঠনমূলক আন্দোলন গড়ে তোলেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, রেল (Railline) প্রকল্প হোক। তবে, ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে এই প্রকল্প করতে হবে। এটাই গ্রামের একমাত্র দিঘি, এর জল‌ই ভরসা সকলের। সেইসঙ্গে এলাকার পরিবেশ ঠিক রাখতে দিঘির বিন্দুমাত্র ক্ষতি হতে দিতে রাজি নয় আমরা। ভাবাদিঘি বাঁচাও কমিটির সভাপতি সুকুমার রায় বলেন,   কমিটি গঠনের আগে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা এই এলাকায় রেল পথ তৈরির জন্য মাপজোক করা শুরু করেন। সেই সময় আমরা গুগল এ একটি ম্যাপ দেখতে পেয়েছিলাম। ভাবাদিঘি থেকে ৫০০ মিটার দূর দিয়ে রেল লাইন নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেখানে অবস্থাপন্ন পরিবার এবং রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতার জমি ছিল। আচমকাই রাতারাতি সেই লাইনের এলাইমেন্ট চেঞ্জ হয়ে যায়। সেই প্রস্তাবিত পথ বদলে গিয়ে একেবারে দিঘির মাঝখান দিয়ে নতুন ম্যাপ তৈরি হয়। আমাদের প্রাণ থাকতে এই দিঘির উপর দিয়ে রেললাইন (Railline) যেতে দেব না। সরকার যেখানে আইন তৈরি করেছে, সংবিধান সবাইকেই মানতে হবে। পরিবেশ রক্ষার্থে জলাশয়ের অবশ্যই দরকার। আর এই দিঘির জল আমরা গোটা গ্রামের প্রত্যেকটি পরিবার ব্যবহার করি। আমরা কোনওভাবে দিঘির উপর দিয়ে রেলপথ (Railline) নিয়ে যেতে দেব না। এর শেষ দেখে ছাড়ব। বহু মানুষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। তবু, আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। আমরা রেলের বিরুদ্ধে নয়। রেলপথ হোক। তবে, এই ভাবাদিঘিকে বাঁচিয়ে দূর দিয়ে রেল পথ তৈরি হোক। কারণ, দিঘির পাড়ে অনেক জায়গা আছে।

     ভাবাদিঘি আন্দোলনের এক সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, দিদি তো সব জায়গায় হেলিকপ্টার চড়ে যান। ভাবাদিঘিতে সব হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তিনি অনেক কথা বলেছেন। এখানে কী হয়েছে তিনি নিজে এসে চাক্ষুস করে যান। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার ঠিক  আগে ভাবাদিঘির বাসিন্দারা নিজেদের দাবি বজায় রাখতে আন্দোলনের পারদ চড়াচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Malviya: ভেঙে পড়ছে সাম্রাজ্য! অনুব্রত প্রসঙ্গে মমতাকে খোঁচা অমিত মালব্যর

    Amit Malviya: ভেঙে পড়ছে সাম্রাজ্য! অনুব্রত প্রসঙ্গে মমতাকে খোঁচা অমিত মালব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডলকে দাগি অপরাধীর তকমা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন  বিজেপির (BJP) আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya)। অনুব্রতর দিল্লি যাত্রার পর এদিন সামাজিক মাধ্যমে বিজেপি নেতা অমিত লেখেন, “মানুষের রক্ত শোষণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাম্রাজ্য তৈরি করেছেন । তার সাম্রাজ্য অপরাধের উপর দাঁড়িয়ে আছে। শেষমেশ, তা ভেঙে পড়তে শুরু করেছে।” 

    কী বললেন অমিত মালব্য

    দীর্ঘ টানাপড়েন শেষে গরু পাচার মামলার তদন্তে দোলের দিনই তৃণমূলের (Trinamool Congress) অনুব্রত মণ্ডলকে (Anubrata Mondal) ইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তারপরই বিন্দুমাত্র সময় ব্যয় না করেই ‘বীরভূমের বাঘ’ কে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে পাড়ি দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এখন দিল্লিতে কেষ্ট। মুখ্যমন্ত্রীর কাছের লোক অনুব্রত। তাঁকে ‘কেষ্ট’ বলেই ডাকেন মমতা (Mamata Banerjee)। সম্প্রতি সাগরদিঘি উপনির্বাচনে হারের পরও সাংবাদিক সম্মেলনে অনুব্রতর দিল্লি যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই অনুব্রত বিপাকে পড়াতেই অমিত মালব্য নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। অমিত মালব্য আরও লেখেন, “অনুব্রত মণ্ডল একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত। তাকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একাধিক অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তিনি (অনুব্রত) তার (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) আশ্রয়েই এতদিন বেড়ে উঠেছেন।”

    অমিতের মতে, এই রাজ্যে অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষতা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে, মমতার নজরদারিতে যারা অপরাধ ও তোলাবাজি সিন্ডিকেট পরিচালনা করেন তাদের রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দেন। প্রসঙ্গত, গত বছরের রাখি পূর্ণিমার দিন সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হন তৃণমূলের অনুব্রত মণ্ডল। এরপর এই দাপুটে নেতার ঠাঁই হয় আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে।

    আরও পড়ুন: চিনা মোবাইল-অ্যাপ ব্যবহার নয়, ভারতীয় সেনাকে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্টকে জেরা করতে গঠন ৬ সদস্যের বিশেষ দল! কী কী প্রশ্ন করবে ইডি?

    Anubrata Mondal: কেষ্টকে জেরা করতে গঠন ৬ সদস্যের বিশেষ দল! কী কী প্রশ্ন করবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার গভীর রাতে অনুব্রত মণ্ডলকে ইডি হেফাজতে নেওয়ার পরই আজ সকাল থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে জেরা। আবার সেই জেরার মাঝেই তাঁকে আজ আধ ঘণ্টার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সরকারি হাসপাতালে। এর পর ফের শুরু হয়েছে জেরা। সূত্রের খবর, কেষ্টকে জেরায় এবার বিশেষ দল গড়েছে ইডি। ৬ সদস্যের বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দলের নেতৃত্বে দুঁদে আইপিএস, ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর সনিয়া নারাং। তবে সরকারিভাবে কেউই এই খবরের সত্যতা স্বীকার করেননি। দিল্লি অফিসে অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করবেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, অনুব্রতর জন্য প্রশ্নবাণ তৈরি করেছে ইডি। 

    কী কী প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হবে অনুব্রতকে?

    জানা গিয়েছে, তাঁকে জিজ্ঞেস করা হবে এনামুল হকের সঙ্গে পরিচয় কীভাবে? গরু পাচারে প্রোটেকশন মানি পেয়েছেন কি না? আয়ের উত্‍স কী? একাধিক রাইস মিল কার টাকায় কেনা? বিরাট অঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের উত্‍স কী ইত্যাদি। জানা যাচ্ছে, গোটা জেরাপর্বের ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে। এছাড়াও এনামুল হক, সায়গল হোসেন, হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি ও আরও বেশ কয়েকজন সাক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে অনুব্রতকে প্রশ্ন করবে ইডি। সবথেকে প্রথমে যে প্রশ্নটা করা হতে পারে, তা হল এনামুল হককে কীভাবে চেনেন অনুব্রত? সিবিআইও আগে এই প্রশ্ন করেছিল। দ্বিতীয় প্রশ্নটি সায়গল হোসেনের কল রেকর্ড নিয়ে। দেখা গিয়েছে, এনামুল হকের সঙ্গে ২০১৭-১৮ সালে সায়গল হোসেনের ৭৫ বার কথা হয়েছে। সায়গলের মোবাইল ব্যবহার করে অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে একাধিকবার এনামুল হকের কথা হয়েছে। ফলে প্রশ্ন, এতবার কী নিয়ে কথা হয়েছে? এরপর অনুব্রত মণ্ডলের কাছ থেকে তাঁর গত পাঁচ বছরের আয়করের হিসাব চেয়ে ছিলেন তদন্তকারীরা। সেই থেকে তাঁর আয়বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হবে তাঁকে। এছাড়াও অন্যের পাওয়া লটারিও নিজে মোটা টাকায় কিনে নিয়েছেন অনুব্রত, সেটা জানতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা।পাশাপাশিই রাইস মিল-সহ বিভিন্ন সম্পত্তি নিয়েও জেরা করা হবে অনুব্রতকে।  

    আরও পড়ুন: ভেঙে পড়ছে সাম্রাজ্য! অনুব্রত প্রসঙ্গে মমতাকে খোঁচা অমিত মালব্যর

    হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কেষ্টকে

    বুধবার ‘হোলি’ তথা ছুটির দিন হলেও ইডির অফিসারেরা অনুব্রতকে তাঁদের সদর দফতরে জেরা করা শুরু করেছেন। তবে বিচারক অনুব্রতের দৈনিক স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাই সকালের কিছু পরে তাঁকে রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে আধঘণ্টা ধরে স্বাস্থ্যপরীক্ষার পরে আবার অনুব্রতকে ইডির সদর দফতরে এনে জেরা করা শুরু হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    Erosion: মুর্শিদাবাদে গঙ্গা ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক গ্রাম, হুঁশ নেই প্রশাসনের, আতঙ্কে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিজ ভূমে পরবাস। চোখের সামনে বিঘার পর বিঘা জমি গঙ্গার ভাঙনে (Erosion) তলিয়ে গিয়েছে। এবার গ্রাস করতে শুরু করেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের নিমতিতা গ্রাম পঞ্চায়েতের কামালপুর, ধানঘরা, শিবপুর সহ একাধিক গ্রামের বাড়ি। একটি বা দুটি নয়। গত আড়াই বছরের মধ্যে এই সব গ্রাম থেকে হাজারের বেশি বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। এটা গ্রামবাসীদের মন গড়া কোনও তথ্য নয়। খোদ ব্লক প্রশাসনের দেওয়া রিপোর্টে এই তথ্য সামনে এসেছে। ফলে, জমি, বাড়ি হারিয়ে নিজের ভিটে ছেড়ে কেউ খোলা আকাশের নীচে রয়েছেন। কেউ আবার আত্মীয়ের বাড়িতে ঠাঁই নিয়েছেন। কেউ আবার স্কুলের পাশে জমিতে মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়়া গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে বহু পরিবার। গত তিন দিনের মধ্যে নতুন করে এই সব গ্রামে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। চার-পাঁচটি বাড়ি ফের গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। ভাঙন (Erosion) কবলিত গ্রামের বাসিন্দারা চরম আতঙ্ক এবং অনিশ্চতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

    ভাঙন প্রতিরোধে আসা ঠিকাদারকে কেন বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা? Erosion

    এই জেলায় গঙ্গা ভাঙন (Erosion) নতুন কোনও ঘটনা নয়। কিন্তু, ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে গঠনমূলক কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। আগের বাম শাসনের আমলেও এই বিষয়ে কেউ কোনও উদ্যোগ নেয়নি। আর ২০১১ সাল থেকে তৃণমূল এই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। এই জেলায় জেলা পরিষদের ত্রিস্তরে বহু বছর ধরে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। কিন্তু, ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করার বিষয়ে কারও কোনও হেলদোল নেই। এমনটাই অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের। স্থানীয় বাসিন্দা ছবি খাতুন বলেন, চোখের সামনে একের পর এক বাড়ি গঙ্গায় তলিয়ে গিয়েছে। গ্রামের সকলে মিলে প্রশাসনের কাছে দরবার করেছে। কিন্তু, পাথর দিয়ে গঙ্গা বাঁধানোর কারও উদ্যোগ নেই। তাই, গ্রামের বাসিন্দারা ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের বক্তব্য, লোক দেখানো করে বালির বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) মোকাবিলা করা হয়। তাতে ঠিকাদারদের পকেট ভরে। কিন্তু, গঙ্গার ভাঙন (Erosion) রোধে কোনও কাজ হয় না। বহুবার প্রশাসনের কর্তাদের কাছে সে কথা জানিয়েছেন বাসিন্দারা। কিন্তু, টনক নড়েনি প্রশাসনের। ফলে, নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনের কর্তারা। এলাকায় ঠিকাদার পাঠিয়ে বালি বোঝাই বস্তা দিয়ে ভাঙন (Erosion) প্রতিরোধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। কিন্তু, গ্রামবাসীরা তা মানতে রাজি হননি। লোক দেখানো কাজ নয়। ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী সমাধান করতে হবে। যদিও  পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। বিক্ষোভকারীদের একটাই অভিযোগ, এভাবে বালির বস্তা দিয়ে গঙ্গা বাধা হয় না। পাথর দিয়ে ভালো করে গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধে  ব্যবস্থা না নেওয়া হলে  আমরা কাজ করতে  দেব না। এই বিষয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিক শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্র মুন্ডা বলেন, আমার পক্ষ থেকে যেটুকু সাহায্য করা সম্ভব তা আমি করেছি। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের চাল- ত্রিপল সহ কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: এখন থেকে মৈত্রী-বন্ধন এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্বে আরপিএফ

    Indian Railways: এখন থেকে মৈত্রী-বন্ধন এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্বে আরপিএফ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজেদের পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও মৈত্রী এবং বন্ধন এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্ব ভারতীয় রেল (Indian Railways) তুলে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ওপর। কিন্তু তার বিপুল খরচ বহন করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল তাদের। তাই এবার দুই আন্তর্জাতিক ট্রেনের সুরক্ষার ভার নিজেদের কাঁধেই তুলে নিল রেল। আগামী এপ্রিল থেকে ভারতের অংশে ওই ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে রেল নিরাপত্তা বাহিনী। ইতিমধ্যেও আরপিএফকে প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু করবে রেল।  

    ছবছর ধরে কলকাতা স্টেশন থেকে গেদে সীমান্ত পর্যন্ত মৈত্রী এক্সপ্রেসের এবং বেনেপোল সীমান্ত পর্যন্ত বন্ধন এক্সপ্রেসের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছিল বিএসএফ। কলকাতা স্টেশনে শুল্ক দফতরের সঙ্গে অভিবাসন সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং যাত্রীদের মালপত্র পরীক্ষার দায়িত্বেও ছিল তারাই। এর জন্য রেলের তরফে একটা বড় অঙ্কের টাকা দিতে হত স্বরাষ্ট্র দফতরকে।

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে এড়িয়ে ইরানের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে গম পাঠাচ্ছে ‘বন্ধু’ ভারত

    ইতিমধ্যেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে বিএসএফের হাত থেকে ওই দায়িত্ব সরিয়ে নেওয়ার চিঠি দিয়েছে রেল (Indian Railways) । নতুন ব্যবস্থায় আরপিএফ ও জিআরপি পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে ট্রেনের  নিরাপত্তার দেখভাল করার পাশাপাশি অভিবাসন সংক্রান্ত দায়িত্বও সামলাবে। উত্তরবঙ্গে মিতালি এক্সপ্রেসের দায়িত্ব ইতিমধ্যেই পালন করছে রেলের এই দুই বাহিনীই।

    নতুন দায়িত্ব সামলাতে প্রশিক্ষণ চলছে আরপিএফ ও জিআরপি-তে। নাশকতা ঠেকাতে পৃথক স্কোয়াড তৈরি করা হচ্ছে। নিজস্ব ডগ স্কোয়াড তৈরি করছে ভারতীয় রেল। শিয়ালদহ ডিভিশনের রেলওয়ে ম্যানেজার শীলেন্দ্র প্রতাপ সিংহ বলেন, “এপ্রিল থেকে নতুন দায়িত্ব নিতে পারে আরপিএফ।”

    আধিকারিকরা বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেকেই ভারতে এসে অতিরিক্ত সময় ধরে থেকে যান। তার জন্য তাঁদের জরিমানাও দিতে হয় (Indian Railways)। সেই কারণেই এবার স্টেশনেই  একটি ভিসা এক্সটেনশন সেন্টার স্থাপন করা হবে।

    শীলেন্দ্র প্রতাপ সিং আরও জানান, স্টেশনে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্র  স্থাপনের জন্যও সম্প্রতি একটি টেন্ডার পাঠানো হয়েছে। শীঘ্রই সেই কাজ শুরু করে  দেওয়া যাবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

     

LinkedIn
Share