Category: রাজ্য

Get West Bengal News, Bengali Breaking News, Latest News in Bengali only from মাধ্যম | Madhyom, Bengali News Portal for সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ বাংলা সংবাদ, বাংলা খবর

  • Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বগটুই গণহত্যা, আনিস খান খুন কিংবা পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ইস্যুর মতোই কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার বাইরে বেরিয়ে আন্দোলন জোরদার করার ডাক দিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দু বলেন, ‘সম্প্রতি মমতা সরকারের দুর্নীতি, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে কয়েকজন যুবক সোচ্চার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে কৌস্তভ অন্যতম। তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি করি। পুলিশ যে কায়দায় রাত তিনটের সময় ওঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে তার প্রতিবাদ করছি। আমরা সোচ্চার হব।’ একই সঙ্গে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে স্মরণ করাতে চায়, ২০২১ সালে নন্দীগ্রামের জনগণ যখন আমাকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিল, তার পরে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম্পার্মেন্টাল চিফ মিনিস্টার হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন, এমএলএ হওয়ার জন্য, মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ বাঁচানোর জন্য৷ তখন এই প্রদেশ কংগ্রেস প্রকাশ্যে প্রার্থী না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন ঘোষণা করেছিল৷ সঠিক সময়ে তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেসকে সেই প্রতিদান ফিরিয়ে দিচ্ছেন!’’

    কেন গ্রেফতার কৌস্তভ

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে ‘অনেক কথা’ জানেন, বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরেই শুক্রবার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন বলে অভিযোগ। এরপরই শুক্রবার গভীর রাতে কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে বড়তলা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    কৌস্তভের পাশে থাকার কথা বললেও এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা কপিল সিব্বল এবং মনু সিংভি যেভাবে প্রতিদিন মমতার সরকারকে সাহায্য করছেন, ঠিক একইভাবে কৌস্তভ বাগচীকেও নিজেদের সহকর্মী হিসেবে তাঁরা সাহায্য করবেন, দ্রুত জামিনের বিষয়ে লড়বেন এটা আমি ওনাদের কাছে আশা করব৷’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Weather Update: মার্চের শুরুতেই চড়েছে তাপমাত্রার পারদ, নিস্তার নেই হোলিতেও

    Weather Update: মার্চের শুরুতেই চড়েছে তাপমাত্রার পারদ, নিস্তার নেই হোলিতেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্চ পড়তে না পড়তেই চড়েছে তাপমাত্রার পারদ (Weather Update)। সকালের দিকে খানিকটা ঠান্ডা অনুভূত হলেও, বেলা বাড়তেই বাড়ছে সুয্যি মামার তেজ। এখানেই শেষ নয়। এ মাসের মাঝামাঝি আরও চড়বে পারদ। এমনটাই জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। এমনকী এ রাজ্যে খরারও পূর্বাভাস দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।    

    দক্ষিণবঙ্গে আগামী দু-তিনদিন বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। বাড়বে আপেক্ষিক আর্দ্রতা (Weather Update)। তারই সঙ্গে বাড়বে অস্বস্তিও। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলি শুষ্কই থাকবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের কোনও সম্ভাবনা নেই। ভারতীয় আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, দেশের প্রায় সব এলাকাতেই তাপমাত্রা থাকবে স্বাভাবিকের ওপরে। উত্তর-পশ্চিম ভারতের একাধিক রাজ্যে গরম ভয়ঙ্করভাবে বাড়তে পারে।

    সকালের দিকে আকাশ হালকা কুয়াশাছন্ন থাকলেও, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে রোদের তেজ। গলদঘর্ম অবস্থা হচ্ছে শহরবাসীর। এই পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর হবে মার্চের মাঝামাঝি। এমনকী তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাও রয়েছে চলতি মাসেই।

    আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, শনিবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (Weather Update)। যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ থাকবে ৩০ থেকে ৮৩ শতাংশের মধ্যে।

    সাম্প্রতিককালের মধ্যে এবছরই সবচেয়ে উষ্ণ দোলের সাক্ষী থাকতে চলেছে রাজ্য। দোলের আগেই তিলোত্তমার তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (Weather Update) ছুঁয়েছে। দোলে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে মনে করছে মৌসম ভবন। এর আগে ১৯০১ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এমন গরম পড়েছিল। গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে গড় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯.৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

    পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৩৫-৩৬ ডিগ্রির (Weather Update) কাছাকাছি। দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী পাঁচ দিনও এমনই থাকবে আবহাওয়া। দখিনা বাতাসে জলীয় বাষ্প ঢুকছে সমুদ্র থেকে। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি সহ বেশ কিছু জেলাতে সকালের দিকে কুয়াশা থাকবে। বেলা বাড়লে পরিষ্কার আকাশই হবে। কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলির ক্ষেত্রে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি ও গরম ক্রমশ বাড়বে।

    আরও পড়ুন: ‘ভারত সর্ব শ্রেষ্ঠ’, দৃপ্ত ঘোষণা শ্রীলঙ্কার বিদেশমন্ত্রী আলি স্যাব্রির

    আগামী কয়েক দিন বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টি চলবে দার্জিলিং ও কালিম্পং-এ (Weather Update)। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দিনের তাপমাত্রা আগামী কয়েক দিনে সামান্য বাড়বে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে।

    অন্যান্য বছর দোলের আগে দক্ষিণবঙ্গের দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেও এ বছর তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের পার্বত্যজেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গ বা দক্ষিণবঙ্গের কোথাও তাপমাত্রার বিশেষ কোনো পরিবর্তন হবে না বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     
     

     

  • SSC Scam: চাকরি গেল আরও ১৫৭ জন ‘অবৈধ’ শিক্ষকের! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসির

    SSC Scam: চাকরি গেল আরও ১৫৭ জন ‘অবৈধ’ শিক্ষকের! বিজ্ঞপ্তি জারি এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় চাকরি গেল আরও ১৫৭ জন ‘অবৈধ’ শিক্ষকের। প্রথম ধাপে ৬১৮ জনের চাকরি গিয়েছিল। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে অবৈধ শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করে তাঁদের চাকরি যাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে।

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে পদক্ষেপ

    শুক্রবার রাতে কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১৫৭ জনের তালিকা প্রকাশ করে। এই তালিকায় বিভিন্ন বিষয় ভিত্তিক ‘অবৈধ’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (SSC Scam) তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের ভিত্তিতেই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের নবম-দশমে চাকরির পরীক্ষায় ব্যাপক গরমিলের অভিযোগ উঠেছিল। ৯৫২টি ওএমআর শিট বিকৃত, সাদা খাতা দিয়েও সার্ভারে কারও নম্বর ছিল ৫০, কারও ৫৩। ৯৫২জনের মধ্যে চাকরি বাতিল হতে চলেছে ৮০৫ জনের, প্রথম ধাপে চাকরি গিয়েছিল ৬১৮ জনের। এবার আরও ১৫৭ জনের চাকরি গেল।

    ২০১৬ সালে নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ (SSC Scam) নিয়ে বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। ছিল ওএমআর শিট কারচুপির অভিযোগও। মামলা ওঠে হাইকোর্টে। আদালতে কমিশন জানায়, ৯৫২ জনের বিরুদ্ধে ওএমআর শিট বিকৃতি করে বেনিয়মে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ জানায়, এই ৯৫২ জনের মধ্যে ৮০৫ জন চাকরি করছেন। তারপরই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ৮০৫ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। এমনকী বেতন বন্ধ করতে বলেন। হাইকোর্টের নির্দেশের পরই ধাপে ধাপে ৮০৫ জনের চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করে। দুই দফা মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৭৭৫ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করল কমিশন। 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    চাকরি বাতিলের প্রভাব উচ্চ মাধ্যমিকে

    এই চাকরি বাতিলের (SSC Scam) প্রভাব উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন পর্ষদের আধিকারিকরা। সে ক্ষেত্রে অন্যান্য স্কুল থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে এসে সামঞ্জস্য রক্ষা করতে হবে বলেই মত সংসদের আধিকারিকদের। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র গুলিতে কতজন শিক্ষকের সমস্যা (SSC Scam) হতে পারে সেই বিষয়ে রিপোর্ট চাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সংসদের আধিকারিকেরা। আগামী ১৪ই মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগেই এই সমস্যার সমাধান করতে চায় পর্ষদ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    Water Demand: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ গ্রামের নাম হাসনহাটি। গ্রামের বাসিন্দাদের অধিকাংশ আদিবাসী। দালান বাড়ি কারও নেই। এক চিলতে ঘরে পরিবার নিয়ে তাঁরা দিন গুজরান করেন মাত্র। দিন মজুরি করে কোনওরকমে সংসার চালান তাঁরা। বাড়িতে টিউবওয়েল বসানো তাঁদের কাছে বিলাসিতা। অগত্যা সরকারি সাহায্য তাঁদের অন্যতম ভরসা। নিয়ম মেনে ঘটা করে প্রশাসনের উদ্যোগে গ্রামে পানীয় জলের ট্যাপ, টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। টিউবওয়েল থেকে বহুদিন ধরেই জল (Water demand) পড়ে না। আর পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য যে ট্যাপ বসানো হয়েছিল, গত তিনমাস ধরে সেখান দিয়ে জল পড়ছে না। গরম পড়তেই হাঁসফাঁস অবস্থা। ক্ষোভে ফুঁসছেন কালনা-২ ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের আদিবাসী এই গ্রাম।

    দাবি (Water demand) আদায়ে কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন আদিবাসী গ্রামের বাসিন্দারা?

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)  একাধিক প্রকল্প ঘোষণা করে আদিবাসীদের মন জয়ের চেষ্টা করেন। কিন্তু, বাস্তব চিত্রটা যে একেবারেই আলাদা তা হাসনহাটি আদিবাসী গ্রামে আসলেই টের পাওয়া যাবে। এই গ্রামের তিন মাস ধরে পানীয় জলের (Water demand) ট্যাপ, টিউবওয়েল থেকে জল বের হচ্ছে না। প্রশাসনের কাছে আদিবাসী মহিলারা জোটবদ্ধ হয়ে দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীতা মুর্মু, মিতা মুর্মু, শেফালি মান্ডিদের বক্তব্য, এতদিন শীতকাল ছিল। দূর থেকে জল আনতে কষ্ট হত না। জলের (Water demand) চাহিদা কম ছিল। এখন গরম পড়েছে। দিন দিন গরম বাড়বে। এই অবস্থায় গ্রামে পানীয় জলের (Water demand) ব্যবস্থা না থাকলে আমরা কোথায় যাব। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জন্য অনেক কিছু করেন বলে বিভিন্ন মঞ্চে দাবি করেন। অথচ গত তিনমাস ধরে আমরা পানীয় জল (Water demand) খেতে পাচ্ছি না, এটা রাজ্য সরকারের কারও দেখার সময় নেই। অবিলম্বে পানীয় জলের ব্যবস্থা না করে দিলে সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ভোট বয়কট করব। কারণ, বহুদিন ধরে আমরা আবেদন নিবেদন করেছি। তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এবার আমরা জোটবদ্ধ হয়ে সকলেই কেউ আর ভোট দিতে যাব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

    হাসনহাটি গ্রামে আদিবাসী পরিবারেরা পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন  কালনা-২ ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অমিত কুমার চৌরাসিয়া। তিনি বলেন, কীভাবে তাদের পানীয় জল দেওয়া যায় সেটা ভাবা হচ্ছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়! টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জেরা নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ সোমাকে

    Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে নয়া মোড়! টানা সাড়ে ৬ ঘণ্টা জেরা নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ সোমাকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে  (Recruitment Scam) উঠে এসেছে নতুন নাম। তিনি হলেন সোমা চক্রবর্তী। তাঁর সঙ্গে কুন্তলের যোগ থাকার অভিযোগে তাঁকে গতকাল সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করেছিল ইডি আধিকারিকরা। সেই মত হাজিরাও দেন তিনি। সূত্রের খবর, দীর্ঘ ছ’ঘন্টা কুড়ি মিনিট ধরে সোমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। মূলত লেনদেনের বিষয়েই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    নতুন ‘রহস্যময়ী নারী’ কী বললেন?

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে  (Recruitment Scam) ধৃত তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের সঙ্গে তাঁর লেনদেনের কথা জানতে পেরেই তাঁকে তলব করা হয়েছিল বলে সূত্রের খবর। গতকাল দুপুরেই ইডি অফিসে যান তিনি। সন্ধ্যা ৭ টা ২২ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান তিনি। গতকাল সোমার বয়ান রেকর্ড হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। পাশাপাশি, বেশ কিছু তথ্যও জমা দিয়েছেন সোমা। জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি তিনি। ক্যামেরা দেখেই হাত দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করেন। পরে একটি অটোতে চেপে চলে যান তিনি। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কলকাতায় একটি পার্লার রয়েছে তাঁর।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আরও এক ‘রহস্যময়ী নারী’র খোঁজ, কে এই মহিলা, কী বললেন কুন্তল?

    কুন্তলের কী দাবি?

    তবে সোমার কথা বলতেই কুন্তল বলেছেন, “আমি চিনি না।” ইডি সূত্রের খবর, ওই ‘রহস্যময়ী নারী’কে গাড়ি, ফ্ল্যাট, টাকা ইত্যাদি দিয়েছেন তৃণমূলের যুব নেতা। সোমাকে চিনতে অস্বীকার করে কুন্তল বলেন, “আমি জানি না। আমার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, যার সঙ্গে যোগাযোগ আছে খুঁজে দেখুন।” সোমাকে ফ্ল্যাট দেওয়ার দাবি নিয়ে কুন্তলের বক্তব্য, “আমার নিজেরই ফ্ল্যাট নেই তো কাকে ফ্ল্যাট দেব।” উল্লেখ্য, গতকাল আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় কুন্তলকে। তাঁকে আগামী ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত  (Recruitment Scam)।

    প্রসঙ্গত, গতকালই কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখার পর এই পার্লার মালিক সোমার নাম উঠে এসেছে। ইডি সূত্রের খবর, কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সোমা চক্রবর্তীর সঙ্গে তাঁর প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেন হয়েছিল। ফলে প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কুন্তলের টাকা স্যালোঁ ব্যবসাতেও খাটানো হত? কেন সোমার অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে? আর এসব জানতেই তলব করা হয়েছিল সোমাকে। তবে টাকা লেনদেনের আসল কারণ এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?  

    Mamata Banerjee: লোকসভা ভোটে একলা চলার সিদ্ধান্ত মমতার, কারণ কি জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির (BJP) বিজয়রথ থামাতে একাধিকবার উদ্যোগী হয়েছিলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বার কয়েক দিল্লি গিয়ে বিরোধীদের এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টাও করেছিলেন মা মাটি মানুষের নেত্রী। বৃহস্পতিবার উত্তর পূর্বের তিন রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়ে এবং মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের রাশ হাতছাড়া হওয়ার পর সেই মমতাই ঘোষণা করলেন ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে একাই লড়বে তৃণমূল। এদিন নবান্নে বসে তৃণমূল সুপ্রিমো সাফ জানিয়ে দেন, তৃণমূল আর মানুষের জোট হবে। আমরা ওদের (বাম ও কংগ্রেস) কারও সঙ্গে যাব না। একা লড়ব মানুষের সমর্থন নিয়ে।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন…

    তৃণমূল নেত্রী বলেন, সিপিএম-কংগ্রেস এক সঙ্গে রয়েছে। বিজেপির ভোটও ওদের কাছে গিয়েছে। তিনি বলেন, এমন অনৈতিক জোট হলে কংগ্রেস, সিপিএম কী করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে? ওরা যদি বিজেপির সাহায্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারাতে চায়, তা হলে ওরা কীভাবে নিজেদের বিজেপি বিরোধী বলতে পারে! তিনি বলেন, এটা আমাদের কাছে একটা শিক্ষা। কংগ্রেস এবং সিপিএমের কথা শোনা উচিত নয়।

    অথচ যাঁর এমন বিলম্বিত বোধদয় হয়েছে, সেই তিনিই কি না মোদি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়েছিলেন তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) হয়েই! একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মসনদে বসেই নতুন করে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে এক ছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেত্রী। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও বৈঠক করেছিলেন মমতা। কিন্তু কংগ্রেস যখন নেতৃত্বদানের কথা বলে, তখনই পিছু হটেন তৃণমূল নেত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তিনি চেয়েছিলেন তৃণমূলের নেতৃত্বেই দানা বাঁধুক বিজেপি বিরোধী জোট। তাহলে অন্তত প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিটা পাকা হয়ে যাবে! এর পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সময় যত গড়িয়েছে, ততই দু পক্ষের ব্যবধান দাঁড়িয়েছে বেড়েছে বই কমেনি।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর যে মমতা বিরোধী ঐক্যে শান দিচ্ছিলেন, সেই তিনিই কেন এখন একলা লড়ার কথা বলছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এর কারণ হল তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। একের পর এক কেলেঙ্কারির কাদা লেগেছে তৃণমূলের গায়ে। জড়িয়ে পড়েছেন তৃণমূল নেত্রীর (Mamata Banerjee) ঘনিষ্ঠ কয়েকজন নেতা। কান টানলে মাথা আসার মতো তৃণমূলের আরও অনেকেই জড়িয়ে পড়বেন বলে খবর। যদি তাই হয়, তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে মুখ পোড়াতে আর কেই বা চাইবে? বস্তুত, আকণ্ঠ দুর্নীতির অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমতাবস্থায় ঘর না বাহির সামলাই দশা তৃণমূল নেত্রীর। সেটাও তাঁর একলা চলার সিদ্ধান্তের সহায়ক হয়েছে বলেও অভিমত রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • SSC Scam: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    SSC Scam: তৃণমূল নেতা কুন্তলকে ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam) মামলায় কেউটে বের করল ইডি (ED)! কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, কুন্তল ঘোষকে (Kuntal Ghosh) ১৬ কোটি টাকা তুলে দিয়েছিলেন এজেন্টরা। ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষে কুন্তলকে এদিন ফের তোলা হয় আদালতে। ইডি জানায়, ১০ জন এজেন্টের বয়ান নেওয়া হয়েছে। তারা জানিয়েছে ২০০ প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা তুলে দেওয়া হয়েছিল কুন্তলকে। মোট ১৬ কোটি টাকা দেওয়া হয় কুন্তলকে। ইডির দাবি, প্রাথমিক থেকে নবম দশম শ্রেণির ওই চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে নিজের এজেন্ট মারফত টাকা নিয়েছিলেন হুগলির ওই যুব তৃণমূল নেতা। কুন্তলের ব্যাঙ্কের নথিপত্র যাচাই করে আরও এক নারীর সঙ্গে বিপুল অর্থ লেনদেনের হদিশও পেয়েছে ইডি।

    নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Scam)…

    ইডির আইনজীবীর দাবি, এজেন্টদের মাধ্যমে কুন্তল প্রার্থী পিছু ৮ লক্ষ টাকা (SSC Scam) করে নিয়েছিলেন। কুন্তলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি যাচাই করার পর এক মহিলাকেও তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডির এক সূত্রের দাবি, ২০২০ সাল থেকে এই মহিলার সঙ্গে কুন্তলের ৫০ লক্ষ টাকা লেনদেনের হদিশ মিলেছে। ইডির আইনজীবীর আরও দাবি, শুধু প্রাইমারি নয়, আপার প্রাইমারি এবং নবম দশম শ্রেণির চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকেও টাকা তুলেছেন কুন্তল। চাকরি প্রার্থীদের থেকে সংগৃহীত ১৬ কোটির থেকে কিছু টাকা রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে যেতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা। ওই টাকার পুরোটাই নগদে লেনদেন হয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার।

    ফের জেল হেফাজত…

    ইডি সূত্রে দাবি, কেবল চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেই নয়, বিএড কলেজের অনুমোদনের জন্যও টাকা নেওয়া হয়েছে। তা করতে গিয়ে পার্থর পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও এক ধৃত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের প্রভাব প্রতিপত্তিকেও কাজে লাগানো হয়েছে। এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (SSC Scam) টাকায় অভিনেত্রী তথা তৃণমূলের এক যুব নেত্রীকে কুন্তল ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন বলেও সূত্রের খবর। তিনটি লাগোয়া ফ্ল্যাট ভেঙে একটি বানানো হয়েছিল। ওই অভিনেত্রীকে একটি গাড়িও কিনে দিয়েছিলেন তিনি। তার পরেই রাজ্য যুব সম্পাদকের পদের শিকে ছেঁড়ে কুন্তলের ভাগ্যে। এদিন কুন্তলকে তোলা হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। বিচারক তাঁকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

    আরও পড়ুুন: তিহাড় জেলযাত্রা রুখতে জোড়া মামলা অনুব্রতর, লাভ হবে কি? 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • SSC Scam: আদালতের নির্দেশ মানল পর্ষদ, চাকরি বাতিল করল নবম-দশমের ৬১৮ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের

    SSC Scam: আদালতের নির্দেশ মানল পর্ষদ, চাকরি বাতিল করল নবম-দশমের ৬১৮ জন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে বাতিল হল ৬১৮ জনের চাকরি। আজ একথা জানিয়ে দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। আগেই নবম-দশম শ্রেণির মোট ৮০৫ জন শিক্ষককে ‘অযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। এর পর বিচারপতির রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ‘অযোগ্য’ শিক্ষকেরা। কিন্তু তাঁদের কোনও চেষ্টাই সফল হল না। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসু এদের নিয়োগ বাতিল করতে বলেছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে। পরে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চও সেই নির্দেশ বহাল রাখে। এর পরেই শুক্রবার সেই নির্দেশ কার্যকর করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ শুক্রবার বিকেলে জানিয়ে দিল, চাকরি যাচ্ছেই। স্কুলের নবম-দশম শ্রেণির ৬১৮ জন শিক্ষককে আর স্কুলে যেতে হবে না।

    কী ঘটেছিল?

    ওএমআর শিটে কারচুপি করে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ছিল এই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বসু এদের নিয়োগ বাতিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। চাকরি বাতিল হওয়া শিক্ষকরা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে যান। ডিভিশন বেঞ্চও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখে। এরপর দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়ে আগেই সুপারিশ বাতিল করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর আজ, শুক্রবার সেই নির্দেশ কার্যকর করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। অসৎ উপায়ে চাকরি পাওয়া ৬১৮ জন শিক্ষকের নিয়োগপত্র বাতিল করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। শুক্রবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে পর্ষদ জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

    আরও পড়ুন: ৪০ নম্বর হয়ে গেল ১০! গ্রুপ-সির ৩৪৭৮টি উত্তরপত্র ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের

    উল্লেখ্য, এর আগেই হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ৮০৫ জনের মধ্যে তার মধ্যে ৬১৮ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করে এসএসসি। এরপর তাঁদের সুপারিশপত্র ও এবার নিয়োগপত্র বাতিল করা হল। এসএসসি এর আগে জানিয়েছিল, ৬১৮ জনের অনেকে সাদা খাতা জমা দিয়েছিলেন। আবার অনেকে পরীক্ষাতে দুই বা তিন নম্বর পেয়েছিলেন। আপাতত এই ৬১৮ জনের সুপারিশ বাতিল করা হলেও, পরে আরও অযোগ্য প্রার্থীদের সুপারিশ বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sasthipada Chattopadhyay:  প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

    Sasthipada Chattopadhyay: প্রয়াত ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন প্রখ্যাত সাহিত্যিক ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র স্রষ্টা ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay)। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।  বৃহস্পতিবার রাত থেকে পরিস্থিতি আচমকা বিগড়ে যায়, চিকিৎকরা সবরকম চেষ্টা করলেও শেষরক্ষা হয়নি। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সাহিত্যে একটা যুগের অবসান হল।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বাড়িতেই স্ট্রোক হয়েছিল তাঁর। তারপরই অশীতিপর ষষ্ঠীপদকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দুপুর ৩টের সময় হাসপাতাল থেকে প্রয়াত সাহিত্যিকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়ার জগাছা এলাকার ধারসায়, তাঁর নিজ বাসভবনে। হাওড়ার শিবপুর বার্নিং ঘাটে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এর আগে জানুয়ারি মাসেও অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay)। ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠছিলেন, কিন্তু ফের ধাক্কা। এবার আর সামলাতে পারলেন না তিনি।

    আরও পড়ুন: প্রয়াত হলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি সাংসদ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায়

    ষষ্ঠীপদের সৃষ্টি

    ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’বাঙালির কাছে এক আবেগের ছোঁয়া। ষষ্ঠীপদের (Sasthipada Chattopadhyay) লেখনিতেই বাবলু, বাচ্চু , বিলু, ভোম্বল, বিচ্চু এবং পঞ্চু —এই পঞ্চ পাণ্ডব জটিল রহস্যের সমাধান করেছে বইয়ের পাতায়। প্রতিটা চরিত্রই যেন জীবন্ত। তাঁর এই কাহিনি অবলম্বনে তৈরি হয়েছে একাধিক কমিক স্ট্রিপ, টেলিভিশন ধারাবাহিকও। ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ৯ মার্চ হাওড়া জেলার খুরুট ষষ্ঠীতলায় জন্মগ্রহণ করেন ষষ্ঠীপদ। কিশোর বয়স থেকেই সাহিত্যসাধনা শুরু হয় তাঁর। ছোটবেলা থেকে রোমাঞ্চের প্রতি ছিল তাঁর অমোঘ টান। তাঁর গল্প, উপন্যাসে ভ্রমণের ছাপ পাওয়া যায়। ‘পাণ্ডব গোয়েন্দা’র পাশাপাশি ‘প্রাইভেট ডিটেকটিভ অম্বর চ্যাটার্জী’, ‘কিশোর গোয়েন্দা তাতার-এর অভিযান’ ইত্যাদি জনপ্রিয় গোয়েন্দা গল্প রচনা করেছেন ষষ্ঠীপদ। ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় (Sasthipada Chattopadhyay) প্রকাশিত জনপ্রিয় গ্রন্থগুলির মধ্যে রয়েছে ‘চতুর্থ তদন্ত’, ‘সোনার গণপতি হীরের চোখ’, ‘কাকাহিগড় অভিযান’, ‘সেরা রহস্য পঁচিশ’, ‘সেরা গোয়েন্দা পঁচিশ’, ‘রহস্য রজনীগন্ধার’, ‘দেবদাসী তীর্থ’, ‘কিংবদন্তীর বিক্রমাদিত্য’, ‘পুণ্যতীর্থে ভ্রমণ’, ‘কেদারনাথ’, ‘হিমালয়ের নয় দেবী’। ২০১৭ সালে শিশুসাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ বাংলা অ্যাকাডেমি পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয় এই সাহিত্যিককে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    Plastic Egg: ডিমের ভিতর এরকম কুসুম আগে দেখেছেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ হাঁসের ডিম বা মুরগির ডিমের (Egg) কুসুম কেমন হয়? সকলেই এক কথায় জবাব দেবেন, লালচে কিংবা হলুদ। প্লাস্টিকের ডিমের (Plastic egg) নামও কারও অজানা নয়। কারণ, কিছুদিন আগেই রাজ্য জুড়ে এই ডিম নিয়ে জোর চর্চা ছিল। কিন্তু, সাদা ডিমের মধ্যেই কালো কুসুম কখনও শুনেছেন কিংবা দেখেছেন? অবিশ্বাস হলেও এটা সত্যি। মালদহের মানিকচকের এনায়েতপুরের এক শিক্ষক সুনন্দ মজুমদার সেদ্ধ ডিম খেতে গিয়ে তাঁর নজরে আসে বিষয়টি।

    ঠিক কী হয়েছিল? সন্দেহ Plastic Egg

    শুক্রবার সকালে বাড়িতে টিফিন করবেন বলে শিক্ষক সুনন্দবাবু বাজারে গিয়ে একটি মুদির দোকান থেকে বেশ কয়েকটি ডিম নিয়ে আসেন। শিক্ষকের অনুরোধে বাড়িতে ডিম সেদ্ধ করা হয়। ডিম খেতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে শিক্ষকের। কারণ, ডিমের মধ্যে যে কুসুম থাকে তা দেখতে একেবারে পিচের মতো কালো। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এটি নকল ডিম (Plastic egg)। ভালো করে না দেখে, সেদ্ধ ডিমটি আমি যদি ভুলবশত খেয়ে নিতাম, তাহলে কি হতো? ডিমের ভিতরে কালো ওই অংশ দেখেই আর ভয়ে ডিম আমি স্পর্শ করিনি। প্রশাসনের এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মিড ডে মিলে ডিম দেওয়া হয়। তাদের এই ডিম দেওয়া হলে কী হত? কারণ, স্কুলের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এই ডিম না দেখে খেয়ে ফেলত। বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তাঁরা। পাশাপাশি শিক্ষিকা সুপর্ণা মানিক বলেন, ডিম পুষ্টিকর খাবার। আর তাতেই যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে তা সমস্যার। ডিম ভেঙে দেখা যাচ্ছে তার ভিতরে কালো রঙের কিছু আছে। এমন ডিম বাজারে আর বিক্রি না হয় তা দেখার জন্য আমরা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।পাশাপাশি যে মুদি দোকান থেকে ডিম কেনা হয়েছিল, তাঁর সাফাই, আমি তো মিল্কি থেকে ডিম কিনে নিয়ে আসি। কোনো দিন এরকম হয়নি। কি ভাবে এরকম হল হল তা বুঝতে পারছি না। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, বিষয়টি না জেনে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে, পরীক্ষা করে রিপোর্ট আসার পরই এই বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

     

LinkedIn
Share