Category: Uncategorized

  • Madras High Court: দাবি ছিল ১১০০ একরের বেশি, মিলল ২.৩৪ একর, মসজিদের সম্পত্তি মামলায় রায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    Madras High Court: দাবি ছিল ১১০০ একরের বেশি, মিলল ২.৩৪ একর, মসজিদের সম্পত্তি মামলায় রায় মাদ্রাজ হাইকোর্টের

    মাধ্যম ডেস্ক নিউজ: তামিলনাড়ুর তিরুনেলভেলিতে ১১০০ একরের বেশি জমির উপর মসজিদের দাবি খারিজ করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Madras High Court)। উচ্চ আদালত রায়দানের সঙ্গে স্পষ্ট করে জানায়, ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের (Waqf) পূর্ববর্তী নির্দেশ সম্পূর্ণ ভাবে বেআইনি। ১৭১২ সালের যে ঐতিহাসিক অনুদান পাওয়া গিয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে মসজিদের ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ ২.৩৪ একর জমি। তাই মসজিদের দাবি খারিজ করে দিয়েছে মাদ্রাজ উচ্চ আদালত।

    মসজিদের অধিকার ২.৩৪ একরে সীমাবদ্ধ (Madras High Court)

    বিচারপতি (Madras High Court) এম.ধান্দাপানির বেঞ্চে ২০১৮ সালে রাজ্য সরকারের দায়ের করা একটি দেওয়ানি মামলার পুনর্বিবেচনার আবেদনের প্রেক্ষিতে এই রায় ঘোষণা করেন। ২০১৬ সালের ১৮ অগাস্টে কান্দিয়াপেরির কান্মিয়া পল্লীভাসালের পক্ষে ওয়াকফ ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে মাদ্রাজ হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছিল। আদালত স্পষ্ট করে জানিয়েছে, মসজিদের জন্য ১৭১২ সালে দানকরা সম্পত্তির নথি বৈধ। কিন্তু ১৯৫৫ সালে টিনেভেলি অধস্তন আদালতের অনুমোদন অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, আর তাই দানকৃত জমিতে উল্লিখিত জমির পরিমাণ ৭৫টি কোট্টার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকারাই কথা। এবার সমসাময়িক জমির পরিমাপ অনুসারে প্রতিটি কোট্টার পরিমাণ মাত্র ০.০৩১২৪ একরের সমান ফলে মসজিদের অধিকার ২.৩৪ একরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।

    ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছিল

    হাইকোর্টের (Madras High Court) অতরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল বীর কাঠিরভান বলেন, “২০১১ সালের মামলায় মসজিদ কর্তৃপক্ষের উদ্ধৃত সমস্ত জমির জরিপ নম্বর ১৯৬৬ সালের তামিলনাড়ু ইনাম আইনের অধীন ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। তবে এই জমির অনেক জমি ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছিল। এমনকি ৩৬২ জন কৃষক নিজেরাই জমিকে চাষের জন্য ব্যবহার পর্যন্ত করেছিলেন।” সুতরাং ওয়াকফের জমি হিসেবে মসজিদের দাবি যে বেআইনি তা আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে।

    আরও কয়েকটি রায়

    উল্লেখ্য সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশে এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওয়াকফ (Waqf) মাদ্রসা কাসিমুল উলুম সম্পর্কিত একটা মামলায় একই রকমের রায় প্রদান করেছে। ৭৩ নম্বর জাতীয় সড়কের জমিতে মাদ্রাসা একটি অবৈধ নির্মাণ করেছিল। মাদ্রাসা ওয়াকফের সম্পত্তি হিসেবে দাবি করলে আদালতে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারায় বেইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দেয় কোর্ট। অপর দিকে রাজস্থান হাইকোর্ট মদিনা জামা মসজিদ সম্পর্কিত একটি মামলায় স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে, ওয়াকফ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, কোনও ভাবেই মসজিদের সম্পত্তি ওয়াকফের নয়।

  • Chandranath Sinha: অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ হবে চন্দ্রনাথের! মঙ্গলবারেই কি মন্ত্রীকে হেফাজতে নেবে ইডি?

    Chandranath Sinha: অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ হবে চন্দ্রনাথের! মঙ্গলবারেই কি মন্ত্রীকে হেফাজতে নেবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সওয়াল-জবাবে রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে (Chandranath Sinha) নিজের হেফাজতে নিতে জোর প্রশ্ন করেছেন ইডির আইনজীবীরা। অপর দিকে পাল্টা ইডির আবেদনের বিরোধিতা করে প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রনাথের আইনজীবী। দুই পক্ষের বক্তব্যে বিচারক কি রায় দেবেন এই দিকেই তাকিয়ে এখন উভয় পক্ষ। মন্ত্রীর জামিনের মেয়াদ কি বাড়বে নাকি হেফাজতে পাবে ইডি (Enforcement Directorate)? দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক শুভেন্দু সাহা জানিয়েদেন আগামী মঙ্গলবার দুপুর দুটোর সময় রায় ঘোষণা করবেন।

    তৃণমূলের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মধ্যে হল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। ২০১৬ সালের এসএসসিতে টাকার বিনিময়ে চাকরি বেচার কারণে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সরকার অযোগ্যদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেনি বলেই যোগ্যরাও নিজেদের চাকরি খুইয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি, বারবার উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

    তদন্ত প্রক্রিয়াকে জোরদার করলে আরও তথ্য আসবে (Chandranath Sinha)

    রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha)। তৃণমূলের মন্ত্রীকে হেফাজতে নিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা সাত দিনের জন্য হেফাজতে চাইছি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা এবং মোবাইল পেয়েছিলাম। তদন্ত প্রক্রিয়াকে জোরদার করলে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে। টাকা উদ্ধারের পর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর এখন প্রয়োজন পড়ায় হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। তবে ঠিক মতো তথ্য না নিয়ে গ্রেফতার করলে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা সতর্ক হয়ে পড়বেন আর তাই তখন গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্তে বৃহৎ চক্রের হোদিশ মিলেছে, তাই তথ্যের ভিত্তিতে হেফাজতে চাইছি। একই ভাবে কেবিপি রিয়েলিটি নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ৬ তলা আবাসন নির্মাণ করেছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। ইলামবাজারে আট হাজার বর্গফুটের জায়গা মলের জন্য ভাড়া দিয়েছেন চন্দ্রনাথের স্ত্রী। যদিও স্ত্রী নামে নির্মাণ ব্যবসা চালালেও সবটা সমলাতেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথই।”

    আবাসন প্রকল্পের শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আইনজীবী আদালতে চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে তথ্য জোগাড় করে জানিয়েছে, “বিকে কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থার অর্ধেক পার্টনার মন্ত্রীর স্ত্রী। তবে সংস্থার অপর পার্টনারের দাবি কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। এমন কি কোনও রকম ব্যবসা করেননি বলেও পাওয়া যায়। সংস্থার নামে ৫ ডেসিমেল (পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে ভূমি পরিমাপের জন্য “ডেসিমেল” এককটি ব্যবহৃত হয়। ১ বিঘা জমি আনুমানিক ৬০ ডেসিমেল।) জমি ৭ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। অপর দিকে এই ৭ লক্ষ টাকা, বিকে কনস্ট্রাকশন সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে হিসেবও দেখিয়েছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। কেবিপি রিয়েলটি নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ৬ তলা আবাসন গড়েন মন্ত্রীর স্ত্রী। ওই আবাসন বেচে ২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা লাভ করার কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। আবাসন প্রকল্পের বিনিয়োগ ও জমি কেনার টাকার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের বড়সড় দুর্নীতির (Enforcement Directorate) যোগ থাকারা সম্ভাবনা প্রবল ভাবে রয়েছে। তাই বিষয়ে বিস্তৃত তদন্তের প্রয়োজন।”

    তল্লাশি ও বয়ানের ভিত্তিতে পঞ্চম চার্জশিট

    বিচারপতি শুভেন্দু সাহা ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “তদন্তের সময় নিশ্চিই অনেক তথ্য পেয়েছিলেন, তাহলে বয়ান রেকর্ড কররা ১১ মাস পরে কেন চার্জশিট দিলেন না। অপেক্ষা কিসের জন্য।” পাল্টা উত্তরে ইডির আইনজীবী বলেন, “তল্লাশি এবং বয়ানের ভিত্তিতে পঞ্চম চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে সুপ্রিম কোর্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করার কথা বললে এইদিকে একটু বিলম্ব হয়ে যায়। তবে তদন্ত জোর কদমেই চলছে।”

    ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মন্ত্রী চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তবে ইডির কাছে নিজের আয় সম্পর্কে জানান, সমস্ত আয়ের উৎস কৃষিকাজ। এরপর তদন্তকারী সংস্থা বীরভূমের পাইকরে বীরভূমের কৃষি বিভাগের সহ অধিকর্তার দফতরে তল্লাশি চালায়। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। যদিও ওই দিনেই রাজ্যের কারামন্ত্রীকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিতে চেয়েছিল ইডি, কিন্তু অন্তর্বর্তী জামিন মেলায় ইডি হেফাজতে পায়নি। এদিকে আদালতে ইডির আইনজীবীর বক্তব্যকে বিরোধিতা করে চন্দ্রনাথ সিনহার আইনজীবীর দাবি, “তদন্তের (Enforcement Directorate) জন্য হেফাজতের প্রয়োজন কী? চার্জশিট জমা পড়েছে তাই পেছনদিকে তাকানোর প্রয়োজন কী? সন্দেহজনক তথ্যে আমার মক্কেলের সমর্থন না নিয়ে হেফাজতে চাইতে পারে না ইডি।”

  • Ramakrishna 425: সন্ধ্যার পর গিরিশ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে গৃহে নিয়ে এলেন

    Ramakrishna 425: সন্ধ্যার পর গিরিশ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে গৃহে নিয়ে এলেন

    সেই পুরুষ বাক্য-মন-এর অতীত নন — তিনি শুদ্ধ মনের, শুদ্ধ বুদ্ধির, শুদ্ধ আত্মার গোচর।”
    তবে কি তিনি সেই পুরুষের সাক্ষাৎ পাচ্ছেন? এই কি সেই দর্শন?

    এমন সময় নরেন আসছেন — ঠাকুর বলতে লাগলেন,
    “নরেন্দ্র, নরেন্দ্র…”
    পাগলের মতো আচরণ।
    নরেন আসতেই ঠাকুর কথা বললেন না।
    লোকে বলছে — এটাই ‘ভাব’। এই রূপ শ্রীগৌরাঙ্গের ক্ষেত্রেও হয়েছে।
    এ ভাব কে বুঝবে?

    গিরিশের বাড়ির গলির সামনে ঠাকুর এসে উপস্থিত হলেন।
    সঙ্গে ভক্তগণ। এবার ঠাকুর নরেনকে সম্ভাষণ করলেন।
    নরেন্দ্র বললেন,
    “ভালো আছেন?”

    তাঁর কণ্ঠে করুণাভরা প্রতিটি শব্দ।
    তখনও মনে হচ্ছে যেন ‘তারও দেশে’ তিনি পৌঁছাননি।
    হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লেন — নরেনের দিকে চেয়ে বললেন:

    জীব, জগৎ, ঈশ্বর — এসব কি তিনি দেখছিলেন? কে জানে!
    দু-একটি কথা উচ্চারিত হলো — যেন বেদবাক্য, যেন দৈববাণী।
    অথবা যেন অনন্ত সমুদ্রতীরে দাঁড়িয়ে আছি — আর অনন্ত তরঙ্গের শব্দ শুনছি।
    অনাহত ধ্বনির এক-দুটি সুর যেন কর্ণকুহরে প্রবেশ করল।
    ১১ মার্চ ১৮৮৫ — গিরিশ ঠাকুরের বাড়িতে শ্রী রামকৃষ্ণ

    সন্ধ্যার পর গিরিশ ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণকে গৃহে নিয়ে এলেন।
    ঠাকুর ভক্তদের সঙ্গে গিরিশের বাড়ির নিকট পৌঁছাতেই,
    গিরিশ দণ্ডবৎ হয়ে পড়লেন — ঠাকুরের পদস্পর্শ করলেন।
    তাঁকে নিয়ে উঠলেন দ্বিতীয় তলার বৈঠকখানায়।

    ভক্তরা দ্রুত আসন গ্রহণ করলেন — সবার ইচ্ছা ঠাকুরের কাছে বসে তাঁর মধুর বচন শ্রবণ করা।
    ঠাকুর আসনে বসতে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ দেখলেন একখানা খবরের কাগজ পড়ে আছে।
    খবরের কাগজে বিশ্বজিতের কথা, বিষয়-আলোচনা, পরনিন্দা — অপবিত্র সবকিছু।
    ঠাকুর ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন — যেন তা সরিয়ে ফেলা হয়।

  • Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    Russian Soldier: নরখাদক রুশ সেনা! হত্যা করে খাচ্ছে সহকর্মীদেরই! বিস্ফোরক দাবি ইউক্রেনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে ৩ বছর ধরে। সম্প্রতি ইউক্রেন (Ukraine) এক বিস্ফোরক দাবি করেছে, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে নরখাদকদের অন্তর্ভুক্ত করে যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে (Russian Soldier)। এমনকি কিছু সৈনিক সহযোদ্ধাকে হত্যা করে তাদের দেহ ভক্ষণ করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

    ভয়ঙ্কর তথ্য প্রকাশ করল ইউক্রেনের গোয়েন্দা বিভাগ

    কিয়েভের গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রুশ সরকার (Russian Soldier) যুদ্ধের জন্য বিপুল সংখ্যক অপরাধী, খুনি, ধর্ষক, ডাকাত এমনকি নরখাদকদের জেল থেকে মুক্তি দিয়ে সামনের সারিতে যুদ্ধ করতে পাঠাচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে বহু কুখ্যাত অপরাধী, যারা অতীতে হত্যাকাণ্ড ও নরখাদকতার অভিযোগে দণ্ডিত হয়েছিল। উদাহরণস্বরূপ, ডেনিস গোরেন নামের এক অপরাধীকে ২০১২ সালে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চারজনকে খুন ও অন্তত একজনের দেহ খাওয়ার অভিযোগে আদালত ২২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। নিকোলো ওকোলোবিয়াক নামের আরেক ব্যক্তি দুই মহিলাকে হত্যা করে তাদের মাংস খাওয়ার দায়ে কারাগারে ছিল। এখন তাদের মতো আরও অনেককেই মুক্তি দিয়ে রুশ সেনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ইউক্রেনের (Ukraine)।

    সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে, দাবি ইউক্রেনের

    ডেইলি মেলের এক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, দামিত্রি মালিশেভ নামের এক অপরাধী তিনজনকে খুন করে তাদের হৃদপিণ্ড রান্না করে খেয়েছিলেন। তাকেও বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে (Russian Soldier) পাঠানো হয়েছে। একইভাবে আলেকজান্ডার মাসলেনিকভ নামে একজন ধর্ষক ও খুনিকে ২০২৪ সালে মুক্তি দিয়ে যুদ্ধে নিয়োজিত করা হয়। এইসব অপরাধীদের মানসিকতা যুদ্ধক্ষেত্রেও অপরিবর্তিত রয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। ইউক্রেনের গোয়েন্দাদের আরও দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই তারা নিজেদের সহকর্মীদেরও হত্যা করে দেহ খাচ্ছে। শুধু শত্রু নয়, নিজেদের সেনাদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এই অপরাধীদের নিয়ে।

    চলছে যুদ্ধ

    ইউক্রেনের ভূখণ্ডে রাশিয়া অব্যাহত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রুশ সেনার (Russian Soldier) আক্রমণে প্রায় ৪০০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার দখলে গেছে সীমান্তবর্তী একাধিক এলাকা। ধ্বংস হয়েছে চারটি যুদ্ধবিমান, সাতটি সাঁজোয়া যান, একটি কামান ও তিনটি সামরিক ট্রাক। রুশ সেনার দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনের ৪২৫ জন সেনাকে হত্যা করা হয়েছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের বড় একটি অংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

  • Nigeria: নাইজেরিয়াতে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন ফুলানির হামলায় নিহত ১০০ খ্রিস্টান

    Nigeria: নাইজেরিয়াতে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন ফুলানির হামলায় নিহত ১০০ খ্রিস্টান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আফ্রিকা মহাদেশে খ্রিস্টানদের উপর গণহত্যা চলছেই। ইসলামিক মৌলবাদীরা (Islamic Terrorists) এই মহাদেশে খ্রিস্টানদের নির্মূল করার একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে একের পর এক দেশে চলছে খ্রিস্টান গণহত্যা।

    ফুলানি ইসলামিক মিলিট্যান্টস (Islamic Terrorists)

    মহাদেশটির অন্যতম ইসলামী জঙ্গি সংগঠন হল ফুলানি ইসলামিক মিলিট্যান্টস। সম্প্রতি তারাই নাইজেরিয়ার (Nigeria) ইয়েলেওতা গ্রামের উপর ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলা চালায় এবং হত্যা করে শতাধিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে। এই হামলা শুরু হয় গত শুক্রবার এবং চলে শনিবার পর্যন্ত। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, অজস্র পরিবার গৃহবন্দি অবস্থায় ছিল। বহু পরিবারকে ঘরের ভিতর থেকে তালা বন্ধ করে আটকে রাখা হয় এবং গোটা বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। গৃহবন্দি অবস্থায় থাকা এই পরিবারগুলির এভাবেই মারা যায়। কয়েক ডজন মানুষ এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন এবং শতাধিক মানুষ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এই হামলায় গুরুতরভাবে আহত হওয়া ব্যক্তিরা প্রাথমিক চিকিৎসাও পাচ্ছেন না।

    আফ্রিকার খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করাই উদ্দেশ্য

    এই ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটে নাইজেরিয়ার (Nigeria) বেনুয়ে রাজ্যে। এই রাজ্যেই বড় সংখ্যক খ্রিস্টান বসবাস করেন। সেখানে জিহাদিরা হামলা চালিয়ে এই জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য যে, এটি কোনো নতুন ঘটনা নয়। ফুলানি নামক এই জঙ্গি সংগঠনের জিহাদিরা দীর্ঘদিন ধরেই এই গণহত্যা চালিয়ে আসছে। এদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বোকো হারাম, আইএসডব্লিউএপি-সহ একাধিক ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন। এই সংগঠনগুলোর লক্ষ্য হল আফ্রিকার খ্রিস্টান জনগোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ণ করা।

    এপ্রিল-মে মাসেও চলে হামলা, হত্যা করা হয় খ্রিস্টানদের

    এই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে যেমন সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ রয়েছে, তেমনি অভিযোগ রয়েছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জমি দখলেরও। ২০২৫ সালের জুন মাসের ১ তারিখেই ফুলানি জিহাদিরা নাইজেরিয়ার (Nigeria) বেনুয়ে রাজ্যে হামলা চালায়, এখানে ৪৩ জন খ্রিস্টান নিহত হন। এই হামলা চলে জুন মাসের ১ ও ২ তারিখের মধ্যে। এর আগে ২৪ ও ২৫ মে, নাইজেরিয়ার প্লেটো রাজ্যে আরেকটি হামলা চালায় জঙ্গিরা, যেখানে ৫০ জন নাগরিক নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন খ্রিস্টান। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে প্লেটো স্টেট-এ আরেকটি সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন ৪০ জন খ্রিস্টান। এই হামলা কয়েকদিন ধরে চলে। তারও আগে, মে মাসের শুরুতেই ফুলানি ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন বেনুয়ে স্টেটে হামলা চালিয়ে (Nigeria) হত্যা করে ২০ জনকে।

  • RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    RSS: আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনা! শোক প্রকাশ আরএসএসের, উদ্ধারকাজে সামিল স্বয়ংসেবকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সংকটে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS) সর্বদাই এগিয়ে আসে – তা প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক কিংবা অন্য কিছু। আমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের স্বয়ংসেবকরা সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধারকার্যে ঝাঁপিয়ে পড়েন। গুজরাটের কর্ণাবতীর সিভিল হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসকদের ও বিভিন্ন মেডিক্যাল টিমকে সহায়তা করতে থাকেন। একই সঙ্গে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারগুলিকেও দেখভাল করেন এবং সবার সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তোলেন। আরএসএস-এর এমন নিঃস্বার্থ সেবা বিমান দুর্ঘটনার পরবর্তী পরিস্থিতি সামাল দিতে অনেকটাই সহায়তা করে (Air India Plane Crash)।

    উদ্ধারকাজে অংশ নেন ১৭৫ স্বয়ংসেবক (RSS)

    প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) নীতিই হল নিঃস্বার্থ সেবা। যেকোনও দুঃসময়ে তারা পাশে দাঁড়ায়। আরএসএস-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মোট ১৭৫ জন স্বয়ংসেবক এই সেবাকার্যে অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা শুধু উদ্ধারকাজেই নয়, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, নিহতদের ময়নাতদন্তে সহায়তা, ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ এবং রক্তদানেও অংশ নেন (Air India Plane Crash)। এছাড়াও, ২০০০-এর বেশি মানুষকে চা, জল ও খাবার সরবরাহ করে সাহায্য করেন সংঘের স্বয়ংসেবকরা। এই সেবাকাজে আরএসএস-কে সহায়তা করে কালুপুর স্বামীনারায়ণ মন্দির।

    শোক প্রকাশ আরএসএস-র (RSS)

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবারের বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের অখিল ভারতীয় প্রচার প্রমুখ শ্রী সুনীল আম্বেকর। সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি লেখেন- “গুজরাটে আজকের এই বিমান দুর্ঘটনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা গভীর সমবেদনা জানাই সেই সমস্ত ক্ষতিগ্রস্তদের, যাঁরা এই দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। ভগবানের কাছে আমাদের প্রার্থনা, এই দুঃখ সহ্য করার শক্তি যেন তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে দেন।” প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই আমেদাবাদে ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনা ঘটে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ২ পাইলট, ১০ কেবিন ক্রু-সহ মোট ২৫২ জন ছিলেন। বহু মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। টেক অফের কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়া বিমান। মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের ছাদে ভেঙে পড়ে বিমানটি। এর ফলে,  অনেক জাক্তারি পড়ুয়াও নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

  • Bangladesh Election: ২০২৬ এপ্রিলে বাংলাদেশ নির্বাচনের ঘোষণা, রাজনৈতিক চাপে সময় কিনছেন ইউনূস?

    Bangladesh Election: ২০২৬ এপ্রিলে বাংলাদেশ নির্বাচনের ঘোষণা, রাজনৈতিক চাপে সময় কিনছেন ইউনূস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস (Md Yunus) জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ওই ভাষণে তিনি ঘোষণা করেন যে, ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন (Bangladesh Election) অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখযোগ্য যে, এর আগে বাংলাদেশের বিএনপি সহ প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল ২০২৫ সালের ডিসেম্বরেই নির্বাচনের দাবি করেছিল। তবে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের দাবিকে উপেক্ষা করলেন ইউনূস। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাজনৈতিক চাপের কারণে আসলে এভাবেই সময় কিনতে চাইছেন ইউনূস। একারণেই ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের পরিবর্তে, ২০২৬ সালের এপ্রিলে নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি।

    শর্ত সাপেক্ষে ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক দলের সমর্থন ইউনূসের সিদ্ধান্তকে

    বাংলাদেশের অন্যতম সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ছাত্রদের জাতীয় নাগরিক দল (এনসিপি) ইউনূসের ২০২৬ এপ্রিলের নির্বাচনের ঘোষণাকে সমর্থন করেছে। তারা জানিয়েছে, জুলাই মাসের ঘোষণা ও অন্যান্য সংস্কারমূলক কর্মসূচি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে এপ্রিলেই নির্বাচন হলে অসুবিধা নেই।

    ইউনূসের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী বলছেন ঢাকার শিক্ষাবিদ (Bangladesh Election)

    তবে ইউনূস (Md Yunus) যখন এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন, তিনি কোনও নির্দিষ্ট দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি। এনিয়েই ঢাকার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রেজাউল রহমান লেনিন এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, অচলাবস্থা এবং ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনী আইন রয়েছে। এ কারণে মনে হয় না ইউনূস সরকার একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন (Bangladesh Election) পরিচালনা করতে পারবে।”

    বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশেই ৮ মাস দেশ শাসন ইউনূসের

    উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতন হয়। জামাতদের ষড়যন্ত্রে দখল করা হয় গণভবন। দেশ ছাড়েন হাসিনা। আশ্রয় নেন ভারতে। এর পর মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন (Bangladesh Election)। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর সরকারকে ঘিরে নানা বিতর্ক দেখা গেছে। দেশে বেড়েছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, বেকারত্ব এবং ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ। সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগামছাড়া অত্যাচারের কারণে মুখ পুড়েছে ইউনূস সরকারের। প্রায় ৮ মাস এই বিশৃঙ্খল ও অনিশ্চয়তার পরিবেশের মধ্যেই ইউনূস সরকার দেশ শাসন করছে।

    সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ছাত্ররা

    ইউনূসের ঘোষণার আগে তাঁর উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা জানিয়েছিলেন যে, ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ছাত্রদের দল এনসিপি দাবি তুলেছে, নির্বাচন কমিশনকে যেন বিএনপির প্রভাব মুক্ত হয়। তারা সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিতে চাইছে। এরপরে নির্বাচন করাতে চায় ছাত্ররা। অন্যদিকে, বিএনপি সমেত প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল দ্রুত নির্বাচন চায়।

    বিএনপির তাড়াহুড়োর কারণ (Bangladesh Election)

    বিএনপির এত তাড়া কিসের? বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, শেখ হাসিনার দল আওয়ামি লিগ এখন দুর্বল অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশে। একটা সময়ে আওয়ামি লিগের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল বিএনপি। এই সুযোগ নিয়ে বিএনপি মসনদ দখল করতে চাইছে বাংলাদেশে। বিএনপির আশঙ্কা, সময় যত পেরিয়ে যাবে সেই সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে যেতে পারে।

    সেনাপ্রধান কী বলেছিলেন?

    এদিকে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী গত ৫ জুন অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচন বিলম্ব করার অভিযোগ আনেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম দৈনিক যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু বিএনপি নয়, দেশের প্রায় ৫০টি রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরেই নির্বাচন চাইছে। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানও ডিসেম্বর মাসেই নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, একটি নির্বাচিত সরকারই নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম।

    শীতকালে বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    সম্প্রতি মহম্মদ ইউনূস তাঁর উপদেষ্টা পরিষদকে জানিয়েছিলেন যে তিনি পদত্যাগের পরিকল্পনা করছেন। এতে দেশজুড়ে রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়। তবে পরে তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৫ সালের মধ্যেই একটি নির্বাচিত সরকার গঠন হওয়া প্রয়োজন। কারণ, বাংলাদেশে শীতকালই নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি হয়। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে পরীক্ষা চলে, ফলে শিক্ষকরাও ব্যস্ত থাকেন। রাজনৈতিক কর্মসূচিগুলিতেও লাগাম টানা হয়। তা সত্ত্বেও ইউনূস সরকার সরাসরি ঘোষণা করেছে যে নির্বাচন এপ্রিল মাসেই অনুষ্ঠিত হবে।

  • PM Modi: ‘মন কি বাতে’ অপারেশন সিঁদুর, মোদির গলায় ‘মেড ইন্ডিয়া’র প্রশস্তি

    PM Modi: ‘মন কি বাতে’ অপারেশন সিঁদুর, মোদির গলায় ‘মেড ইন্ডিয়া’র প্রশস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর এই প্রথম হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ‘মন কি বাতে’র (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রীর গলায় শোনা গেল দেশীয় প্রযুক্তির প্রশস্তি। প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতের তৈরি অস্ত্র, কৌশল এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করেই এসেছে সাফল্য।” রবিবার ছিল ‘মন কি বাতে’র ১২২তম পর্বের সম্প্রচার। এদিন দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া ‘মনের কথা’য় প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ সমগ্র দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ, ক্রুদ্ধ এবং দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    অপারেশন সিঁদুর (PM Modi)

    তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুর কেবল একটি সামরিক অভিযান নয়, এটি ভারতের সংকল্প, সাহস এবং নবজাগরণের প্রতীক। এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অসামান্য বীরত্ব গোটা দেশবাসীকে গর্বিত করেছে এবং দেশজুড়ে তেরঙ্গা যাত্রা ও জনসমাবেশের মাধ্যমে এক অনন্য দেশাত্মবোধের আবহ তৈরি হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশীয় অস্ত্রে সাফল্য এসেছে, যা আমাদের সকলকে গর্বিত করেছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করেছে সমগ্র দেশকে। অপারেশন সিঁদুর পাল্টে যাওয়া ভারতের ছবি (Mann Ki Baat)।” তিনি বলেন, “এই অপারেশন বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক নয়া আত্মবিশ্বাসের সঞ্চার করেছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের বাহিনী নির্ভুলভাবে সীমান্তের ও পারে থাকা জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে। এই অভিযান শুধু একটি সামরিক অভিযান নয়, বরং আমাদের সংকল্প, সাহস এবং পরিবর্তনশীল ভারতের একটি ছবি। এই ছবিই সমগ্র ভারতবাসীর দেশপ্রেমের অনুভূতিকে তেরঙ্গার রঙে রাঙিয়েছে।”

    ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’

    অপারেশন সিঁদুর যে আদতে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র শক্তির পরিচায়ক, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “অপারেশন সিঁদুরে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রশস্ত্র এই দেশের মাটিতেই তৈরি। আমাদের সেনার, ইঞ্জিনিয়রদের, টেকনিশিয়ানদের, এই দেশের রক্ত-ঘামের পরিচায়ক এই (PM Modi) সাফল্য।” প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা বেছে বেছে হত্যা করে ২৭ জন হিন্দু পর্যটককে। তার পরেই পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অপারেশন সিঁদুর চালায় ভারত। ওই দুই এলাকায় অন্তত ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে ভারতীয় সেনা। ঘটনার জেরে সীমান্তে বাড়ে উত্তেজনা। শুরু হয় গোলাবর্ষণ। পরে (Mann Ki Baat) পাকিস্তানের অনুরোধে যুদ্ধবিরতিতে সায় দেয় ভারত (PM Modi)।

  • Ramakrishna 353: “গোপীরা সর্বভূতে শ্রীকৃষ্ণ দর্শন করেছিল, তৃণ দেখে বলে, শ্রীকৃষ্ণকে স্পর্শ করে পৃথিবীর রোমাঞ্চ হয়েছে”

    Ramakrishna 353: “গোপীরা সর্বভূতে শ্রীকৃষ্ণ দর্শন করেছিল, তৃণ দেখে বলে, শ্রীকৃষ্ণকে স্পর্শ করে পৃথিবীর রোমাঞ্চ হয়েছে”

    দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ও ‘দেবী চৌধুরাণী’ পাঠ

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ২৭শে ডিসেম্বর
    ঈশ্বরদর্শনের উপায়—শ্রীমুখ-কথিত চরিতামৃত

    পূর্বকথা—ঠাকুরের ব্রহ্মজ্ঞানের অবস্থা ও সর্বভূতে ঈশ্বরদর্শন 

    “তাঁকে সর্বভূতে দর্শন (Ramakrishna) করতে লাগলুম। পূজা উঠে গেল! এই বেলগাছ! বেলপাতা তুলতে আসতুম! একদিন পাতা ছিঁড়তে গিয়ে আঁশ খানিকটা উঠে এল। দেখলাম গাছ চৈতন্যময়! মনে কষ্ট হল। দূর্বা তুলতে গিয়ে দেখি, আর-সেরকম করে তুলতে পারিনি। তখন রোখ করে তুলতে গেলুম।

    “আমি লেবু কাটতে পারি না। সেদিন অনেক কষ্টে, ‘জয় কালী’ বলে তাঁর সম্মুখে বলির মতো করে তবে কাটতে পেরেছিলুম। একদিন ফুল তুলতে গিয়ে দেখিয়ে দিলে,—গাছে ফুল ফুটে আছে, যেন সম্মুখে বিরাট—পূজা হয়ে গেছে—বিরাটের মাথায় ফুলের তোড়া! আর ফুল তোলা হল না (Kathamrita)!

    “তিনি মানুষ হয়েও লীলা করছেন। আমি দেখি, সাক্ষাৎ নারায়ণ। কাঠ ঘষতে ঘষতে আগুন বেরোয়, ভক্তির জোর থাকলে মানুষেতেই ঈশ্বর দর্শন (Ramakrishna) হয়। তেমন টোপ হলে বড় রুই কাতলা কপ্‌ করে খায়।

    প্রেমোন্মাদ হলে সর্বভূতে সাক্ষাৎকার হয়। গোপীরা সর্বভূতে শ্রীকৃষ্ণ দর্শন করেছিল। কৃষ্ণময় দেখেছিল। বলেছিল, আমি কৃষ্ণ! তখন উন্মাদ অবস্থা! গাছ দেখে বলে, এরা তপস্বী, শ্রীকৃষ্ণের ধ্যান করছে। তৃণ দেখে বলে, শ্রীকৃষ্ণকে স্পর্শ করে ওই দেখ পৃথিবীর রোমাঞ্চ হয়েছে।

    “পতিব্রতাধর্ম; স্বামী দেবতা। তা হবে না কেন? প্রতিমায় পূজা হয়, আর জীয়ন্ত মানুষে কি হয় না?”

    প্রতিমায় আবির্ভাব—মানুষে ঈশ্বরদর্শন (Ramakrishna) কখন? নিত্যসিদ্ধি ও সংসার

    “প্রতিমায় আবির্ভাব হতে গেলে তিনটি জিনিসের দরকার,—প্রথম পূজারীর ভক্তি, দ্বিতীয় প্রতিমা সুন্দর হওয়া চাই, তৃতীয় গৃহস্বামীর ভক্তি। বৈষ্ণবচরণ বলেছিল, শেষে নরলীলাতেই মনটি কুড়িয়ে আসে।

    “তবে একটি কথা একটি আছে(Kathamrita),—তাঁকে সাক্ষাৎকার না করলে এরূপ লীলাদর্শন হয় না। সাক্ষাৎকারের লক্ষণ কি জান? বালকস্বভাব হয়। কেন বালকস্বভাব হয়? ঈশ্বর নিজে বালকস্বভাব কি না! তাই যে তাঁকে দর্শন করে, তারও বালকস্বভাব হয়ে যায়।”

  • Ramakrishna 342: “প্রেম রজ্জুর স্বরূপ, প্রেম হলে ভক্তের কাছে ঈশ্বর বাঁধা পড়েন আর পালাতে পারেন না।”

    Ramakrishna 342: “প্রেম রজ্জুর স্বরূপ, প্রেম হলে ভক্তের কাছে ঈশ্বর বাঁধা পড়েন আর পালাতে পারেন না।”

    ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ প্রহ্লাদচরিত্রাভিনয় দর্শনে স্টার থিয়েটারে

    তৃতীয় পরিচ্ছেদ

    ১৮৮৪, ১৪ই ডিসেম্বর
    ঈশ্বরদর্শনের উপায় — ব্যাকুলতা

    শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) গিরিশের প্রতি—তীব্র বৈরাগ্য হলে তাঁকে পাওয়া যায়। প্রাণ ব্যাকুল হওয়া চাই। শিষ্য গুরুকে জিজ্ঞাসা করেছিল, কেমন করে ভগবানকে পাব। গুরু বললেন, আমার সঙ্গে এসো,—এই বলে একটা পুকুরে লয়ে গিয়ে তাকে চুবিয়ে ধরলেন। খানিক পরে জল থেকে উঠিয়ে আনলেন ও বললেন, তোমার জলের ভিতর কিরকম হয়েছিল? শিষ্য বললে, প্রাণ আটুবাটু করছিল—যেন প্রাণ যায়! গুরু বললেন দেখ, এইরূপ ভগবানের জন্য যদি তোমার প্রাণ আটুবাটু করে তবেই তাঁকে লাভ করবে।

    “তাই বলি (Kathamrita), তিন টান একসঙ্গে হলে তবে তাঁকে লাভ করা যায়। বিষয়ীর বিষয়ের প্রতি টান, সতীর পতিতে টান, আর মায়ের সন্তানেতে টান—এই তিন ভালবাসা একসঙ্গে করে কেউ যদি ভগবানকে দিতে পারে তাহলে তৎক্ষণাৎ সাক্ষাৎকার হয়।

    “ডাক দেখি মন ডাকার মতো কেমন শ্যামা থাকতে পারে! তেমন ব্যাকুল হয়ে ডাকতে পারলে তাঁর দেখা দিতেই হবে।”

    জ্ঞানযোগ ও ভক্তিযোগের সমন্বয়—কলিকালে নারদীয় ভক্তি

    “সেদিন তোমায় যা বললুম ভক্তির (Ramakrishna) মানে কি—না কায়মনোবাক্যে তাঁর ভজনা। কায়,—অর্থাৎ হাতের দ্বারা তাঁর পূজা ও সেবা, পায়ে তাঁর স্থানে যাওয়া, কানে তাঁর ভাগবত শোনা, নামগুণকীর্তন শোনা, চক্ষে তাঁর বিগ্রহ দর্শন। মন—অর্থাৎ সর্বদা তাঁর ধ্যান-চিন্তা করা, তাঁর লীলা স্মমরণ-মনন করা। বাক্য—অর্থাৎ তাঁর স্তব-স্তুতি, তাঁর নামগুণকীর্তন—এই সব করা।

    “কলিতে নারদীয় ভক্তি—সর্বদা তাঁর নামগুণকীর্তন করা। যাদের সময় নাই, তারা যেন সন্ধ্যা-সকালে হাততালি দিয়ে একমনে হরিবোল হরিবোল বলে তাঁর ভজনা করে।

    “ভক্তির আমিতে অহংকার হয় না। অজ্ঞান করে না, বরং ঈশ্বরলাভ করিয়ে দেয়। এ ‘আমি’ আমির মধ্যে নয়। যেমন হিঞ্চে শাক শাকের মধ্যে নয়, অন্য শাকে অসুখ হয়, কিন্তু হিঞ্চে শাক খেলে পিত্তনাশ হয়, উলটে উপকার হয়, মিছরি মিষ্টের মধ্যে নয়, অন্য মিষ্ট খেলে অপকার হয়, মিছরি খেলে অম্বল নাশ (Kathamrita) হয়।

    “নিষ্ঠার পর ভক্তি। ভক্তি পাকলে ভাব হয়। ভাব ঘনীভূত হলে মহাভাব হয়। সর্বশেষে প্রেম।

    “প্রেম রজ্জুর স্বরূপ। প্রেম হলে ভক্তের কাছে ঈশ্বর বাঁধা পড়েন আর পালাতে পারেন না। সামান্য জীবের ভাব পর্যন্ত হয়। ঈশ্বরকোটি (Ramakrishna) না হলে মহাভাব প্রেম হয় না। চৈতন্যদেবের হয়েছিল।

LinkedIn
Share