Traditional Medicine: প্রথাগত চিকিৎসাকে মূল ধারায় আনতে হু-এর সঙ্গে বৈঠকে ভারত 

Traditional_Medicine

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোটে বিশ্বের স্বাস্থ্য (World Health Organization) এবং মঙ্গলের স্বার্থে এবার হাত মেলাতে উদ্যোগী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ভারত। এবিষয়ে সোমবার একটি বৈঠক করেন হু-এর প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) এবং ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব সঞ্জয় বর্মা (Sanjay Verma)। 

বৈঠকে মূলত ভারতের প্রথাগত চিকিৎসাশাস্ত্রকে (Traditional Medicine) মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার বিষয়ে কথা হয় দুই আধিকারিকের মধ্যে। সঞ্জয় বর্মা হু-এর প্রধানের সামনে ভারতের ঐতিহ্যবাহী প্রথাগত চিকিৎসা যেমন, যোগ, আয়ুর্বেদ, সিদ্ধার গুরুত্ব তুলে ধরেন।  

আরও পড়ুন: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী

এইসব চিরাচরিত  চিকিৎসাবিদ্যা ভারতীয় সংস্কৃতি-ঐতিহ্য-ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্দ্য অংশ। হাজার-হাজার বছর ধরে ভারত প্রথাগত চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করেছে। যেমন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বহু বছর ধরে চলে আসছে ভারতে।  

সিদ্ধা ওষুধ মূলত ব্যবহার হয় কেরল এবং তামিলনাড়ুতে। লেহ-লাদাখ এবং সিকিম, অরুণাচলপ্রদেশ, দার্জিলিং, লাহুল, স্পিতির মতো হিমালয় বলয়ে সোয়া-রিগপা চিকিৎসাশাস্ত্রের অনুশীলন করা হয়।   

আরও পড়ুন: আশা কর্মীদের কুর্নিশ জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর

পার্মানেন্ট মিশন অফ ইন্ডিয়া, জেনেভা একটি ট্যুইটে লিখেছে, “বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানের সঙ্গে সঞ্জয় বর্মার বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। দুই আধিকারিক ভারত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্পর্ক কী করে আরও দৃঢ় করা যায়, সে বিষয়ে কথা বলেন। বিশ্বের স্বাস্থ্য এবং মঙ্গলের স্বার্থে ভারতীয় প্রথাগত চিকিৎসা এবং ডিজিটাল চিকিৎসা ব্যবস্থাকে মূল ধারায় আনতে হাত মেলাতে পারে ভারত এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।” 

[tw]


[/tw] 

সম্প্রতি গুজরাতের জামনগরে ‘হু গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্রেডিশনাল মেডিসিন’ নির্মাণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এছাড়াও রাজস্থানের জয়পুরে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ আয়ুর্বেদের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।  

হু-এর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী গোটা বিশ্বের জনসংখ্যার ৮০% মানুষ প্রথাগত ওষুধে ভরসা করেন। হু প্রধানের বক্তব্য, “প্রথাগত ওষুধের মূল মন্ত্র জ্ঞান, দক্ষতা এবং অনুশীলন। সময় এসেছে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রথাগত চিকিৎসার মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতিকে তুলে ধরা এবং গোটা বিশ্বের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানো।”  

 

 

Please follow and like us:

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

LinkedIn
Share