Blog

  • Bhai Phonta: ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা’! ভাইফোঁটা কেন পালিত হয়? জানুন নেপথ্য-কাহিনি

    Bhai Phonta: ‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা’! ভাইফোঁটা কেন পালিত হয়? জানুন নেপথ্য-কাহিনি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলযোগে লুচি, আলুর দম, ফুলকপির তরকারি সঙ্গে বিভিন্ন রকমের মিষ্টি। দুপুরে মাংস অথবা মাছ-ভাত। ভাইফোঁটা মানেই যে কোনও বাঙালি বাড়ির পাতে এগুলো থাকবেই‌। সাধারণত কালীপুজোর দুদিন পর সম্পন্ন হয় ভাইফোঁটা (Bhai Phonta)। এদিন সকাল থেকেই বাঙালি বাড়িতে ব্যস্ততা তুঙ্গে ওঠে‌‌। একদিকে জলযোগের আয়োজন তো অন্যদিকে সাজগোজ। ভাই-দাদারা পাঞ্জাবি পরবে তো দিদি-বোনেরা শাড়ি। হিন্দু ধর্মের যে কোনও পুজো বা ব্রত সম্পন্ন হয় পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যে। ভাইফোঁটা হলো ভাই ও বোনের মঙ্গল কামনার ব্রত। উভয়ের জীবনেই যেন সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি বিরাজ করে, সেই প্রার্থনাই ভাই-বোনেরা একে অপরের উদ্দেশ্যে করে থাকে এই বিশেষ তিথিতে।

    পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়াতে উদযাপিত হয়। মাঝে মধ্যে এটি শুক্লপক্ষের প্রথম দিনেও উদযাপিত হয়ে থাকে। বাঙালির ঘরোয়া এই উৎসবে অন্যান্য পুজোর মতো রীতি, আচার বা মন্ত্রোচ্চারণ সেভাবে নেই বললেই চলে। ছড়ার মতো পাঠ করা হয়—

    ‘‘ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা—
    যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥’’

    বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন নামে পরিচিত

    ভাইফোঁটা যেন বাঙালির নিজস্ব উৎসব। সবকিছুতেই বাঙালি মোড়ক। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ভাইফোঁটার বিভিন্ন নাম রয়েছে। উত্তর ও পশ্চিম ভারতের এই উৎসব ‘ভাই দুজ’ নামে পরিচিত। সেখানে ভাইফোঁটা পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিন। আবার, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও কর্ণাটকে ভাইফোঁটাকে বলে ‘ভাই বিজ’। নেপালে ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব ‘ভাই টিকা’ নামে পরিচিত। ভাঁইফোটা, ভাই ও বোনদের উপহার পাওয়ার দিনও বটে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক প্রজন্মকে ভাইফোঁটার দিন ভাই ও বোনদের জন্য পছন্দ মতো ‘গিফট আইটেম’ কিনতে দেখা যায়। কোথাও কোথাও সামাজিক সদ্ভাবনার উদ্দেশ্যে গণ ভাইফোঁটার (Bhai Phonta) আয়োজন করা হয়।

    কী করা উচিত ও উচিত নয়

    এই পবিত্র দিনে বোনেরা ভাইয়ের কপালে চন্দনের ফোঁটা দেন। বাস্তুতন্ত্র অনুসারে ভাইকে ফোঁটা দেওযার সময় তাঁর মুখ পূর্ব, উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে থাকা উচিত। এই দিনে ভাইকে ফোঁটা দেওয়ার আগে কিছু খাওয়া উচিত নয়। ভাইয়ের থেকে পাওয়া উপহার যেমনই হোক না কেন, তার দেওয়া উপহারকে কখনও অসম্মান করবেন না। ভাইফোঁটার দিন কপালে ফোঁটা দেওযার আগে দুজনেই কিছু খাবেন না। ওই দিন মিথ্যা কথা একেবারেই বলবেন না। এদিন কালো কাপড় একেবারেই পরা উচিত নয়। 

    ভাইফোঁটার পৌরাণিক কাহিনি

    তবে, ভাইফোঁটার (Bhai Phonta) নেপথ্যে  রয়েছে বেশ কয়েকটি পৌরাণিক কাহিনী। কথিত আছে, সূর্যদেব ও তার পত্নী সংজ্ঞার যমুনা নামে কন্যা এবং যম নামে পুত্রসন্তান ছিল। পুত্র-কন্যা সন্তানের জন্মের পরে সূর্যদেবের উত্তাপ স্ত্রী সংজ্ঞা সহ্য করতে পারতেন না। তিনি তখন নিজের প্রতিলিপি ছায়াকে স্বর্গলোকে রেখে মর্ত্যে নেমে আসেন। সংজ্ঞার প্রতিরূপ হওয়ার কারণে দেবতারা ছায়াকে চিনতে পারতেন না। স্বর্গে বিমাতা ছায়া যমুনা ও যমের প্রতি দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন। কিন্তু ছায়ার মোহে অন্ধ সূর্যদেব কোনও প্রতিবাদ না করায় অত্যাচারের মাত্রা দিনের পর দিন বাড়তেই থাকে। এভাবেই একদিন বিমাতা কর্তৃক স্বর্গরাজ্য থেকে বিতাড়িত হন যমুনা। যমুনার বিয়ে হয় এক উচ্চ বংশজাত পরিবারে। বিয়ের পর দীর্ঘকাল যমুনাকে দেখতে না পেয়ে মনে আকুলতা তৈরি হয় যমের। এরপরই মন শান্ত করতে দিদির বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন যম। কালী পুজোর দুদিন পরে যমুনার বাড়ি পৌঁছান যম। ভাইয়ের আগমনে তার জন্য জন্য নানা রকমের খাবারের আয়োজন করেন দিদি যমুনা। দিদির আন্তরিকতায় ও ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে দিদিকে উপহার স্বরূপ বরদান প্রার্থনা করতে বলেন যম। সেই সময় যমুনা ভাইয়ের কাছে প্রার্থনা করেন যে, ‘ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার দিন প্রত্যেক ভাই যেন তাঁর বোনের কথা স্মরণ করে এবং প্রত্যেক বোন যেন তাঁর ভাইয়ের মঙ্গলময় দীর্ঘজীবন কামনা করে।’ যমুনা আশীর্বাদ চাইলে যম বলেন যে, এই তিথিতে যে ভাই নিজের বোনের বাড়ি গিয়ে তাঁর পুজো স্বীকার করবে ও তাঁর হাতে তৈরি রান্না গ্রহণ করবে, তাঁর ভাগ্যে অকালমৃত্যুর ভয় থাকবে না। তখন থেকেই নাকি ভাইফোঁটার প্রচলন।

    অন্য একটি পৌরাণিক মতে, নরকাসুর বধের পূর্বে সুভদ্রার কাছে আসেন শ্রী কৃষ্ণ। সুভদ্রা তখন শ্রী কৃষ্ণের মঙ্গল ও বিজয় কামনা করে কপালে ফোঁটা দিয়ে মিষ্টি খেতে দেন শ্রী কৃষ্ণকে। এরপরই নরকাসুরকে বধ করেন শ্রী কৃষ্ণ। আরও একটি কাহিনী মতে, বালির হাতে পাতালে বন্দি হন ভগবান বিষ্ণু। তখন মাতা লক্ষ্মী বালিকে ভাই হিসেবে স্বীকার করে তাঁর কপালে তিলক এঁকে দেন। বালি উপহার স্বরূপ মাতা লক্ষ্মীকে কিছু দিতে চাইলে, দেবী লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুকে চেয়ে নেন। তখন থেকেই নাকি ভাঁইফোটা (Bhai Phonta) প্রচলিত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: সোমবারও তারাপীঠে ব্যাপক ভিড়, রেকর্ড ভক্ত সমাগম নৈহাটির বড়মার মন্দিরে

    Kali Puja 2023: সোমবারও তারাপীঠে ব্যাপক ভিড়, রেকর্ড ভক্ত সমাগম নৈহাটির বড়মার মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিন সোমবারও শক্তিপীঠ তারাপীঠে ব্যাপক ভক্তের ভিড়ের চিত্র দেখা গেল। সতীর একান্নপীঠের মধ্যে একটি হল এই তারাপীঠ। সাধক বামাক্ষ্যাপার সাধনার কেন্দ্র ছিল এই তারা মায়ের মন্দির। মা তারা এদিন শ্যামা রূপে পূজিত হলেন।

    অপর দিকে বঙ্গে কালীপুজোর বড় আকর্ষণের কেন্দ্রে থাকে নৈহাটির বড় মায়ের কালীপুজো। এই বছর রেকর্ড ভক্তের সমাগম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বছর বড় মায়ের কালীপুজো শতবর্ষে পদার্পণ করেছে। লাখ লাখ মানুষ দর্শন করে পুজো দিলেন। পুজো উদ্যোক্তাদের দাবি, বড় মা এখন শুধু নৈহাটির মা কালী নন সারা বিশ্বের জননী।

    তারা রূপে শ্যামা মায়ের পুজো (Kali Puja 2023)

    কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিনে ভোর ৫টা থেকে তারাপীঠে মায়ের মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। এখানে মায়ের আরাধনা করা হয় তন্ত্রমতে। কথিত আছে দেবীর মাতৃরূপ দেখতে চেয়েছিলেন বশিষ্ঠ মুনি। মা তারা মাতৃ রূপে দর্শন দিয়েছিলেন তাঁকে। এখানেই তপস্যা করে সিদ্ধপুরুষ হন সাধক বামাক্ষ্যাপা। পুজোতে তারা মাকে নিবেদন করে এদিন পোড়া শোলমাছের মাথা দিয়ে অন্নভোগ দেওয়া হয়। এদিন নিয়ম মেনে দেওয়া হয় মাকে শীতল ভোগও। মঙ্গলারতি, সন্ধ্যারতির সময় মায়ের পুজো করতে ভক্তদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

    নৈহাটির বড় মায়ের কালীপুজো

    শ্যামাপুজোর (Kali Puja 2023) মূল আকর্ষণের কেন্দ্র হল নৈহাটির অরবিন্দ রোডের বড়মা কালী। এই পুজো জেলার কালীপুজোর পরিধি অতিক্রম করে রাজ্য, দেশ এবং বিশ্বের বড় মা হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। এই কালীর মাহাত্ম্য এমনই যে মানত করলে মা ভক্তদের মনের বাসনা পূরণ করেন। মায়ের পুজো দিলে ভক্তরা খালি হাতে কেউ বাড়ি ফেরেন না। এই বারের মূর্তি হয়েছে উচ্চতায় ২২ ফুট। উপচে পড়েছে ভক্তদের ভিড়। রীতিমতো ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশ প্রশাসনকে। নবদ্বীপের রাস মেলায় গিয়ে বড় মূর্তি দেখার পর জুটমিলের কর্মী ভবেশ চক্রবর্তী বড় মায়ের কালী পুজোর প্রচলন শুরু করেছিলেন। মায়ের পুজো দিতে লক্ষাধিক মানুষ দণ্ডি কেটে পুজো দেন বলে জানা গিয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বেপরোয়া পুলিশের গাড়ি কেড়ে নিল তিন তরতাজা বাইক আরোহীর প্রাণ, ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার

    North 24 Parganas: বেপরোয়া পুলিশের গাড়ি কেড়ে নিল তিন তরতাজা বাইক আরোহীর প্রাণ, ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। রক্ষকের গাড়িই প্রাণ কেড়ে নিল তিন তরতাজা যুবকের। আহত হয়েছেন মহিলা থানার আইসি এবং তাঁর গাড়ির চালক। গ্রামে এবং পরিবারে শোকের ছায়া। এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশের বেপরোয়া গতিরই বলি হতে হল ওই যুবকদের। ঘটনাটি ঘটেছে কালীপুজোর রাতে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বনগাঁর গোপালনগরে। নিহতরা হলেন অমিত মাঝি, সুজিত হালদার এবং তন্ময় কীর্তনীয়া। এঁদের মধ্যে দুজন ভিন রাজ্যে কাজ করেন। ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। অমিত মাঝি বনগাঁর একটি ফিনান্স কোম্পানির কর্মী ছিলেন। মাস কয়েক আগে বিয়ে হয়েছে তন্ময়ের। অন্যদিকে সুজিতের একটি কন্যা সন্তান আছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা? (North 24 Parganas)

    পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পুলিশের ওই গাড়িটি নাটাবেড়িয়া থেকে বনগাঁর দিকে যাচ্ছিল। উল্টোদিক থেকে আসছিল বাইকটি। পুলিশের গাড়ি সজোরে গিয়ে বাইকে ধাক্কা মারে। তিন যুবক বাইক থেকে ছিটকে পড়েন। পুলিশের গাড়িতে ছিলেন মহিলা থানার আইসি অপরাজিতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এবং তাঁর গাড়ির চালক আহত হন। নিহত যুবকরা গোপালনগরের (North 24 Parganas) পাঁচপোতা এলাকার রথতলার বাসিন্দা। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।

    কী অভিযোগ?

    এই মর্মান্তিক ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন নিহতদের পরিবারের লোকজন। তাঁরা জানিয়েছেন, পুলিশের গাড়ি আসলে কোনও বাইকের পিছু ধাওয়া করেছিল। কালীপুজো উপলক্ষ্যে রাস্তায় ব্যাপক তল্লাশি চলছিল (North 24 Parganas)। সেই সময় পুলিশের বাধা অগ্রাহ্য করে একটি বাইক বেরিয়ে আসে। তাকেই পিছু ধাওয়া করে পুলিশের ওই গাড়ি। ফলে গাড়িটি অত্যন্ত দ্রুতগতিতে এবং চরম বেপরোয়াভাবে চলছিল। ওই তিন যুবকের বাইক সামনে চলে এলে সেটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। সজোরে বাইকে ধাক্কা মারে। অন্যদিকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের পাল্টা অভিযোগ, বাইকটিই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুলিশের গাড়িতে ধাক্কা মারে এবং তার জেরেই এই দুর্ঘটনা।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ঋণের টাকারও আয়কর দিতেন মন্ত্রী! বালুর অবান্তর দাবিতে বিভ্রান্ত ইডি

    Ration Scam: ঋণের টাকারও আয়কর দিতেন মন্ত্রী! বালুর অবান্তর দাবিতে বিভ্রান্ত ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই জেল হেফাজত হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Ration Scam)। রবিবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে ইডি। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীকে ৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেফতার হওয়ার পর পরই হদিশ মেলে ‘শ্রী হনুমান রিয়েলকন প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্রেসিয়ার্স ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘গ্ৰেসিয়াস ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেড’ এই তিনটি সংস্থার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই সংস্থাগুলিকে কাজে লাগানো হতো দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করতে। শুধু তাই নয়, জ্যোতিপ্রিয় বাকিবুরের কাছ থেকে ৯ কোটি টাকার ঋণ নেন। এই ঋণের টাকাও নাকি আয়কর দিতেন জ্যোতিপ্রিয়। বালুর এমন অযৌক্তিক দাবি ঘিরে বিভ্রান্ত ইডি কর্তারাও।

    কালো টাকা কীভাবে সাদা করা হতো

    রবিবারই আদালতে পেশ করা আবেদনপত্রে ইডি উল্লেখ করেছে যে মন্ত্রীর নির্দেশেই স্ত্রী ও মেয়ে ওই সংস্থার (Ration Scam) ডিরেক্টর হন। এমনকী চেকবইতে সই করার পরে সেটা তাঁরা জ্যোতিপ্রিয়র হাতেই দিতেন। পরে জ্যোতিপ্রিয় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টকে জানিয়ে দিতেন ওই টাকা সরানোর জন্য। এরপর বাকিবুরের সংস্থা থেকে পুরো টাকা অন্য সংস্থায় সরিয়ে দেওয়া হতো। এই টাকার অঙ্ক প্রায় ২০ কোটি বলে মনে করা হচ্ছে।

    ঋণের টাকার আয়কর!

    বাকিবুর রহমানের (Ration Scam) কাছ থেকে ৯ কোটি টাকা ঋণের আয়কর জমা দেওয়া নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। তদন্তকারী আধিকারিকরা এমনটাই জানিয়েছেন। ইডির দাবি, কোনও ব্যক্তির কাছে ঋণ নিলে তার আয়কর জমা দেওয়া যায় না এবং আয়কর বছরে কত টাকা তিনি আয় করেছেন তার ভিত্তিতেই হয়। এক্ষেত্রে এক অর্থনীতির বিশেষজ্ঞ বলছেন, ‘‘এটাকে অবান্তর বললেও ভুল হবে। লোন দুরকম হয়। একটা সিকিওরড লোন, একটা আনসিকিওরড লোন। সিকিওরড লোনের ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে কর ছাড় পাওয়া যায়। কিন্তু এটা কোনওভাবেই আয়ের অংশ নয়। তাই ঋণ কীভাবে আয়ের অংশ হতে পারে, সেটাই বোঝা যাচ্ছে। যেটা কিনা মন্ত্রী আয়কর রিটার্ন দিয়েছেন। ঋণের ওপর সুদের ওপর কর ছাড় থাকে। মন্ত্রীর ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, সেটা পৃথিবীর কোনও দেশে হয়না।’’ বাকিবুরের কাছে ঋণ নেওয়া নিয়ে মন্ত্রীর কাছে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ছেড়ে দিন, গল্প ছেড়ে দিন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Report: ভাইফোঁটায় ভিজবে বঙ্গ! দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

    Weather Report: ভাইফোঁটায় ভিজবে বঙ্গ! দক্ষিণবঙ্গের ৯ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির উৎসবের মরসুম শেষ হতে এখনও বেশ কয়েকদিন বাকি। তার মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস (Weather Report) দিল হাওয়া অফিস। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে সোমবারই জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে নিম্নচাপের পরিস্থিতি, যার জেরে ভাইফোঁটার দিন থেকে ভিজতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। হাওয়া অফিসের মতে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এলাকার ঘূর্নাবর্ত শক্তি বাড়িয়ে মঙ্গলবার দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হবে। মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে বৃহস্পতিবার নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।

    কোন কোন জেলায় বৃষ্টি?

    প্রসঙ্গত, বুধবারই রয়েছে ভাইফোঁটা। হাওয়া অফিসের (Weather Report) মতে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের ন’টি জেলায় বৃষ্টি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও তা কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরেই হবে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারে দক্ষিণবঙ্গের ন’টি জেলায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এগুলি হল, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান এবং নদিয়া। শনিবার থেকে সামান্য বদল হবে পরিস্থিতির। রবিবার থেকেই শুরু হয়ে যাবে জগদ্ধাত্রী পুজো। এরই মধ্যে ১৬ নভেম্বর বৃহস্পতিবার রয়েছে ইডেন গার্ডেনে ম্যাচ। এখন দেখার বৃষ্টির প্রভাবে সেই ম্যাচ ভেস্তে যায় নাকি! আজ এবং আগামীকাল দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস (Weather Report)। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও হাওয়া অফিস জানিয়েছে যে আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে।

    কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া?

    অন্যদিকে কলকাতায় সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রির আশেপাশে (Weather Report)। সর্বনিম্ন ২২ ডিগ্রির আশেপাশে ঘুরতে থাকবে পারদ। বিগত কয়েক দিনে তাপমাত্রা রাতের দিকে অনেকটাই নেমে গিয়েছে। ভোরের দিকেও হিমেল হাওয়া অনুভূত হচ্ছিল। এর ফলে কোথাও কোথাও শীতের পোশাকও ব্যবহার করতে দেখা যায় রাজ্যবাসীকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup 2023: বিশ্বকাপে প্রথম উইকেট বিরাটের! গ্যালারি মাতালেন অনুষ্কা

    ICC World Cup 2023: বিশ্বকাপে প্রথম উইকেট বিরাটের! গ্যালারি মাতালেন অনুষ্কা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাত বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেট নিলেন বিরাট। রবিবার তিনি উইকেট পেতেই ভারতীয় ক্রিকেটারেরা লাফিয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে দর্শকাসনে দেখা যায় অনুষ্কা শর্মাকে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে। বিরাট উইকেট পেতেই গ্যালারিতে অনুষ্কার দিকে তাকিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। মেতে ওঠেন অনুষ্কাও। নেচে ওঠে গ্যালারি। এতো দীপাবলির বিরাট-উন্মাদনা!

    বেঙ্গালুরুতে বিরাট-কাণ্ড

    ভারতীয় ক্রিকেটারদের স্ত্রীরা এদিন বেঙ্গালুরুতে এসেছিলেন দীপাবলির অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। অনেকেই রবিবার মাঠে এসেছিলেন। অনুষ্কাকে এ বারে সব ম্যাচে মাঠে দেখা যাচ্ছে না। এর আগে পাকিস্তান ম্যাচে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কোহলির জন্মদিনে ইডেনেও আসেননি অনুষ্কা। তিনি রবিবার বেঙ্গালুরুতে মাঠে ছিলেন এবং কোহলির উইকেট নেওয়া দেখলেন। কোহলির উইকেট নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে নাচলেন স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা। পরে কোহলিকেও নাচতে দেখা যায়। বিশ্বকাপে এটি কোহলির প্রথম উইকেট। ওয়ানডেতে ৫ম উইকেট। ইনজুরির কারণে মহম্মদ সিরাজ মাঠের বাইরে যান। তখনই বোলিং করার সুযোগ পান কোহলি। যদিও পরে মাঠে ফিরে আসেন সিরাজ। 

    ইনিংসের ২৫তম ওভারের তৃতীয় বলে স্কট এডওয়ার্ডসকে আউট করেন বিরাট কোহলি। এডওয়ার্ডস লেগ সাইডের বাইরে গিয়ে বল খেলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বল ব্যাটে লেগে উইকেটের পিছনে চলে যায় কেএল রাহুলের গ্লাভসে। কোহলি ৩ ওভার বল করেছেন এবং ১৩ রানে একটি উইকেট নিয়েছেন। ৯ বছর পর ওয়ানডেতে উইকেট পেলেন বিরাট। শেষবার তিনি ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে উইকেট নিয়েছিলেন। ওডিআই ক্রিকেটে বিরাট কোহলির প্রথম উইকেটটি ২০১১ সালে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। ৫০ রানে অ্যালিস্টার কুককে প্যাভিলিয়নে পাঠান তিনি।

    আরও পড়ুন: ন’টি মাঠে ন’টি ম্যাচ, ন’টিতেই জয়! কোন মন্ত্রে এই সাফল্য?

    বিকল্প খোঁজার লক্ষ্যে

    বিরাট ছাড়াও এদিন একটি উইকেট পান রোহিত শর্মা। শুভমন গিল, সূর্যকুমার যাদবও এদিন বোলিং করেছেন। ষষ্ঠ বোলারের বিকল্পের জন্যই যে এই ট্রায়াল, বুঝতে অসুবিধা হয় না। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে লোকেশ রাহুল এবং শ্রেয়স আইয়ার ছাড়া সকলেই বোলিং করেছেন। এর ইতিবাচক দিক নিঃসন্দেহে রয়েছে। সকলকেই দেখে নেওা গেল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: এবার শ্যুটআউট জয়নগরে! কালীপুজোর ভোরেই গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: এবার শ্যুটআউট জয়নগরে! কালীপুজোর ভোরেই গুলিতে ঝাঁঝরা তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে উৎসবের আমেজ। রাতভর চলেছে কালীপুজো। কিন্তু দিনের আলো ফোটার আগেই ঘটে গেল ভয়াবহ ঘটনা। একদম ভোরেই শ্যুট আউট জয়নগরে (South 24 Parganas)। দুষ্কৃতীরা অচমকা হামলা চালিয়ে খুন করল তৃণমূল নেতাকে। এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেমেছে পুলিশ। কিন্তু অনেকেই বলছেন, এর পিছনে রয়েছে তৃণমূলের কোন্দল। বখরা নিয়ে কোনও বিবাদের জেরে তাঁরই দলের বিপক্ষ লোকজন তাঁর উপর এভাবে হামলা চালিয়েছে, এমনটাই ধারণা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একজনকে এলাকার লোকজন ধরে গণপিটুনিও দেয়। তদন্ত সবে শুরু হয়েছে। তাই এখনই পরিষ্কার করে কিছু বলা সম্ভব নয়। এই ঘটনায় জেলার রাজনীতি সরগরম। এলাকা জুড়েও ব্যাপক চাঞ্চল্য।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা? (South 24 Parganas)

    নিহতের নাম সইফুদ্দিন লস্কর। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। তিনি বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য। একই সঙ্গে তিনি বামনগাছি অঞ্চলের (South 24 Parganas) তৃণমূলের সভাপতিও। তিনি যে পঞ্চায়েতের সদস্য, তাঁর স্ত্রী সেই পঞ্চায়েতেরই প্রধান। ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, রোজকার মতো সোমবার ভোরে ওই তৃণমূল নেতা নমাজ পড়তে যাচ্ছিলেন। সেই সময়ই তাঁকে কাছ থেকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দেখেন, ওই নেতা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছেন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

    কী বলছে তৃণমূল? (South 24 Parganas)

    ঘটনার খবর পেয়েই হাসপাতালে গিয়েছিলেন বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার (South 24 Parganas) তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দার। পরে তিনি বলেন, দুষ্কৃতীরা এই কাজ করেছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করলেও এই ঘটনার পিছনে আরও ২-৩ জন রয়েছে। এর পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। তবে কী সেই ষড়যন্ত্র, সে ব্যাপারটা খোলসা করেননি। পরিবার অবশ্য দাবি করছে, এর পিছনে রয়েছে সিপিএম। তাদেরও অভিযোগ, খুন করা হয়েছে রাজনৈতিক কারণে। কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল না। আর যারা এটা করেছে, তারা ওই নেতার গতিবিধি ভালোই জানত। আর সেই কারণেই ভোরবেলাকে বেছে নিয়েছে। সেই সময় ওই এলাকা নির্জন থাকে। তার সুযোগই তারা নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: “রাজ্য পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে, মুক্ত করুন” কালীপুজোতে প্রার্থনা শিশিরের

    Purba Medinipur: “রাজ্য পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে, মুক্ত করুন” কালীপুজোতে প্রার্থনা শিশিরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের নিউ দিঘার (Purba Medinipur) এক কালীপুজোর উদ্বোধন করতে এসে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি ব্যবসায়ি কমিটির শ্রী শ্রী শ্যামপুজোর শুভ সূচনা করেন তিনি। দীপান্বিতা কালী পুজোর অনুষ্ঠানে শ্যামা মায়ের কাছে প্রার্থনা করে বলেন, “রাজ্য পুরোপুরি অন্ধকারে ডুবে গিয়েছে। বাংলাকে অন্ধকার থেকে মুক্ত করুন।” পাশাপাশি সেনা কর্মীদের হাতে মানপত্র তুলে দিয়ে বিশেষ সম্মান প্রদান করেন এই দীপাবলির অনুষ্ঠানে।

    কী বললেন শিশির অধিকারী (Purba Medinipur)

    নিউ দিঘায় (Purba Medinipur) কালীপুজোর শুভ সূচনা করে সাংসদ শিশির অধিকারী বলেন, “মা আমাদের অন্ধকার থেকে মুক্ত করুন, আমাদের খারাপ অবস্থা থেকে উদ্ধার করুন। বাংলা এখন পুরোপুরি ডুবে গিয়েছে। যেদিকে দেখি সে দিকেই শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। চোখ খুললেই শুধু চুরি আর চুরি। চাল চুরি, আটা চুরি, গম চুরি, ডাল চুরি রাজ্যে লাখ লাখ টাকা চুরির কথা উঠে আসছে। রেশন কার্ডেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এমন দিনের কথা আমরা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। বাংলা ও বাঙালিরা এই চুরি এবং দুর্নীতি থেকে মুক্তি পাক। সকলের মঙ্গল কামনা করি। মা কালী সকলকে এই কু-প্রভাব অন্ধকার সময় থেকে মুক্ত করুন। সর্বত্র আলোর বর্ষণ হোক। এই দিঘায় ব্যবসায়ীরা আরও বাণিজ্য লাভ করুক। সকলের সমৃদ্ধি কামনা করি।”

    তৃণমূলের সাংসদ হয়েও দুর্নীতিতে সরব

    খাতায় কলমে কাঁথির (Purba Medinipur) সাংসদ হলেন শিশির অধিকারী। যদিও তিনি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ। কিন্তু তবুও রাজ্য রাজনীতিতে শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আগেও। তিনি শাসক দলের দ্বারা গণতন্ত্রহরণ, সন্ত্রাস, বোমাবাজি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর উত্তপ্ত হলে বারবার শাসক দলের খারাপ কাজকে সমর্থন করেননি। সম্প্রতি বোর্ড গঠনে অংশ নিলে তাঁর গাড়িতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামালা করে বলে অভিযোগ উঠেছিল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দুর্নীতিগ্রস্থ দলের হয়ে ভোট প্রদান করেননি বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূলের সামালোচনা করার জন্য দলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও একটি কারণ হল রাজ্য বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তিনি। আর এই পরিচয়টাও তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রীর কাছে প্রধান মাথা ব্যথা।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    সাংসদ শিশির অধিকারীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরি (Purba Medinipur) বলেন, “শিশির বাবুর অনেক বয়স হয়েছে। তাঁর জীবন এখন অন্ধকারে নিমজ্জিত। মাথা ঠিক নেই তাঁর। আর তাই সরকারের বিরুদ্ধে এই সব কিছু বলছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Pollution in Kolkata: কালীপুজোর রাতে শব্দবাজির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ শহরবাসী, বাতাসেও মিশল বিষ

    Pollution in Kolkata: কালীপুজোর রাতে শব্দবাজির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ শহরবাসী, বাতাসেও মিশল বিষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর রাত যত বাড়ল ততই চলতে থাকল শহরে শব্দবাজির তাণ্ডব (Pollution in Kolkata)। দুর্গাপুজো থেকেই শুরু হয়েছিল শব্দবাজির দাপট, লক্ষ্মী পুজোতেও তা অব্যাহত ছিল। কালীপুজোতে যে একই তাণ্ডব চলতে পারে সে আশঙ্কা ছিলই, তবে প্রশ্ন উঠছে তার পরেও প্রশাসনিক মহল থেকে কেন কোনও রকমের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হল না? শব্দবাজির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ হন পুরো শহরবাসী।

    বাতাসে মিশছে বিষ

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  বাজি থেকে ভয়ানকভাবে বেড়েছে দূষণের (Pollution in Kolkata) পরিমাণও। বাতাসে মিশছে বিষ। হিসাব বলছে, কালীপুজোর রাত ১১টা পর্যন্ত সব থেকে অবস্থা খারাপ ছিল বালিগঞ্জের। বাতাসের দূষণকণা এবং বিভিন্ন রাসায়নিকের পরিমাপ মাপা হয় পিএম-২.৫ এর মাধ্যমে। দেখা যাচ্ছে রাত্রি আটটায় বালিগঞ্জে পিএম-২৫ এর মান প্রতি ঘনমিটারে ছিল ১৫০। রাত ৯টায় তা বেড়ে হয় ৩৮০। রাত ১০টায় তা দাঁড়ায় ৪৩২। রাত ১১টায় সেই মান দাঁড়ায় ৪৩৮। অন্যদিকে, হাওড়া জেলার ঘুসুড়ির ছবি বালিগঞ্জকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। রাত ১১ টায় ৫০০ ছুঁয়েছে পিএম-২.৫ এর মান। হাওড়ার বেলুড়ের অবস্থাও খারাপ। রাত এগারোটায় পিএম-২.৫ এর মান ৫০০তে পৌঁছায়। অর্থাৎ পিএম-২৫ এর মানের মাধ্যমে সহজেই বোঝা যাচ্ছে যে কীভাবে কালীপুজোর রাতে (Pollution in Kolkata) বাতাসে বিষাক্ত রাসায়নিক কণা কত অল্প সময়ে, কত বেশি পরিমাণে মিশেছে। সারা রাজ্যের চিত্রটাই কম বেশি একই, উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, দক্ষিণবঙ্গের দুর্গাপুর, আসানসোলের মতো শহরেও বাতাসে বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশেছে।

    কী বলছেন বাজি কারিগররা?

    দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ যে পরিসংখ্যান (Pollution in Kolkata) দিচ্ছে, তাতে দেখা যাচ্ছে শব্দের তাণ্ডব উঠেছে ৮৫.৪ ডেসিবেলে। সাধারণভাবে এই মান থাকার ৬৫ ডেসিবেলের মধ্যে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কলকাতার বেশিরভাগ এলাকা থেকেই অভিযোগ আসতে শুরু করে কালীপুজোর রাতে। প্রতিটি এলাকার বাসিন্দারাই শব্দবাজির তাণ্ডবের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। এদিকে বাজির আগুনে ট্রাক পুড়ে যাওয়ার ঘটনাও সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে, কামালগাজিতে সার্দান বাইপাসের নিচে পার্কিং করা ছিল একটি ট্রাক। হঠাৎ বাজির আগুনে এসে লাগে ট্রাকের ত্রিপলে এবং সেখানে আগুন ধরে যায়। বাজি সংগঠনের পক্ষ থেকে, সারা বাংলা আতসবাজি উন্নয়ন সমিতির চেয়ারম্যান বাবলা রায় জানিয়েছেন, আগে বাজি তৈরীর প্রধান উপাদান ছিল বেলিয়াম বা সোডা, গন্ধক এবং কাঠকয়লা। তবে এখন ঐ বেরিয়াম বা সোডার পরিবর্তে এক ধরনের বিশেষ কেমিক্যাল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। এই বেরিয়াম ছাড়া শব্দবাজিকেই সবুজ বাজি বলা হয়। সবুজবাজিতে দূষণের মাত্রা ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত কমানো যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের গাছ চুরি হাতেনাতে পাকড়াও! ক্ষোভ প্রকাশ সুকান্তর

    Dakshin Dinajpur: রাতের অন্ধকারে তৃণমূলের গাছ চুরি হাতেনাতে পাকড়াও! ক্ষোভ প্রকাশ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে চোখে ধুলো দিয়ে বহু প্রাচীন সরকারি গাছ কেটে বিক্রির অভিযোগ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। হাতেনাতে পাকড়াও করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের। এই ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাটের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাইবাড়ি এলাকায়। ঘটনার পরেই উদ্ধার হওয়া প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের গাছের গুড়িগুলি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে এনে, বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন গ্রামবাসীরা। এই গাছের পাচার নিয়ে শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    গাছ চুরির অভিযোগ (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রের খবর, ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাইবাড়ি এলাকায় রাতে দুটি গাছ বোঝাই ভুটভুটিকে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘুরতে দেখে স্থানীয়রা। যা নিয়ে কিছুটা সন্দেহ হতেই গাছের গুড়ি বোঝাই ভুটভুটি দুটিকে আটক করে স্থানীয়রা। এরপর চলে ভুটভুটি চালকদের ঘেরাও করে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভও। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে ভুটভুটি বোঝাই গাছের গুড়িগুলিকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে বালুরঘাট থানার পুলিশ। বিক্ষোভকারী গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কালাইবাড়ি সংসদের স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সঞ্জয় দাস গোপনে সরকারি ওই গাছগুলি হিলির তিওড়ের এক গাছ বিক্রেতার কাছে ৩২ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে। এদিন হাতেনাতে ধরা পড়তেই ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সঙ্গে দাবি তোলা হয় গ্রেফতারিরও। যদিও এই ঘটনার কিছুই জানেন না বলে দাবি করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা জ্যোৎস্না দাস।

    গ্রামবাসীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) ভুটভুটি চালক বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী সঞ্জয় দাস ৩২ হাজার টাকার বিনিময়ে গাছগুলি বিক্রি করেছেন। যেগুলি কাঠ মালিকের নির্দেশে তিওড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।” আবার গাছ পাচার বিষয়ে গ্রামবাসীরা বলেন, সরকারি গাছগুলি কার্যত পঞ্চায়েতকে অন্ধকারে রেখে পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে। যেগুলি তারা হাতেনাতে ধরে ফেলেছেন। যার বাজার মূল্য প্রায় একলক্ষ টাকার কাছাকাছি।”

    কী বললেন সুকান্ত?

    তৃণমূলের গাছ পাচার বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ (Dakshin Dinajpur) সুকান্ত মজুমদার তৃণমূলকে আক্রমণ করে বললেন, “তৃণমূলের পুরো দলটাই চোর। তৃণমূলের এক সদস্যার বর গাছ চুরি করে বিক্রি করতে চেয়েছিল। আমাদের কর্মীরা জানতে পেরে সেই গাছের গুড়িটিকে আটকায়। সেই সঙ্গে পুলিশ-বনদপ্তরকে খবর দিলে তাঁরা গাছের গুড়িটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। কিন্তু তৃণমূল সদ্যসার বর আমাদের এক কর্মীকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো।”

    একই ভাবে ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান শিবু সরকার বলেন, “গাছগুলো সরকারি গাছ। পুলিশ তদন্ত করে চোরদের গ্রেফতার করুক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share