Blog

  • Iceland Earthquake: ১৪ ঘণ্টায় ৮০০ বার ভূমিকম্প আইসল্যান্ডে, জারি জরুরি অবস্থা

    Iceland Earthquake: ১৪ ঘণ্টায় ৮০০ বার ভূমিকম্প আইসল্যান্ডে, জারি জরুরি অবস্থা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসল্যান্ডে (Iceland Earthquake) ভয়াবহ ভূমিকম্প আর তারই যে জরুরি অবস্থা জারি করতে বাধ্য হলো সে দেশের সরকার। জানা গিয়েছে, গত ১৪ ঘণ্টায় দেশে ৮০০ বার ভূমিকম্প হয়েছে। কয়েকটি নির্দিষ্ট এলাকায় এই ভূমিকম্প হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের সবথেকে তীব্র কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২।

    অক্টোবরের শেষ থেকেই ঘন ঘন ভূমিকম্প শুরু হয় আইসল্যান্ডে

    প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসের শেষ থেকেই ঘন ঘন ভূমিকম্পে দুলতে শুরু করে আইসল্যান্ড (Iceland Earthquake)। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত রেকজেন্স মালভূমিতে এখনও পর্যন্ত চব্বিশ হাজার বার কম্পন অনুভূত হয়েছে গত অক্টোবর থেকে। এমনটাই জানিয়েছেন সেদেশের আবহবিদরা। চলতি সপ্তাহের শুক্রবার থেকে সেই মাত্রা আর তীব্রতর হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীঘ্রই কোনও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত এখানে হতে চলেছে। তার আগেই সংকেত দিচ্ছে এই ভূমিকম্প।

    ভূমিকম্পের কারণে এলাকা খালি করতে নির্দেশ প্রশাসনের

    ভূমিকম্পের (Iceland Earthquake) উৎসস্থল থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে রয়েছে একটি গ্রাম যার নাম গ্রিনদ্রাভিক। রেকজেন্স মালভূমিতে অবস্থিত এই গ্রামটিতে ৪,০০০ মানুষের বাস বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে এই গ্রামকে খালি করা নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। যেকোনও পরিস্থিতির জন্য এলাকার জনগণকে তৈরিও থাকতে বলা হয়েছে। ভূমিকম্পের জোরালো কম্পন এবং তার ফলে জনজীবনে প্রভাব, এগুলিকে ক্যামেরাবন্দিও করেছেন অনেক নাগরিক। তাতে দেখা যাচ্ছে ঘনঘন কেঁপে উঠছে বাড়ির দরজা জানলা। ভূমিকম্পের বিভিন্ন ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে। আইসল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, রেকজেন্স মালভূমির অনেক গভীরে ভূমি থেকে ৫ কিলোমিটার নিচে ম্যাগমা জমে রয়েছে, তা উপরের দিকে উঠতে শুরু করলেই অগ্নুৎপাত হবে। ইতিমধ্যেই একটি ভিডিয়োয় আগ্নেয়গিরির মুখে ফুটন্ত লাভা দেখা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: সিংহাসন, দরজা, স্তম্ভ সবেতেই সোনার প্রলেপ! বিশেষ চমক রামমন্দিরে

    Ram Mandir: সিংহাসন, দরজা, স্তম্ভ সবেতেই সোনার প্রলেপ! বিশেষ চমক রামমন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জোর কদমে চলছে রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি রামমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিন প্রায় ৫০০ মিটার পথ খালি পায়ে হেঁটে রামলালাকে কোলে নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করবেন নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে দেশজুড়ে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের ভিত্তিতে নির্মিত হচ্ছে রামমন্দির। অযোধ্যায় নির্মিত এই মন্দিরে (Ram Mandir) বহু চমক অপেক্ষা করছে দর্শনার্থীদের জন্য। রামমন্দিরের বিভিন্ন কারুকার্যতে শিল্প নৈপুণ্য একেবারে ফুটে উঠেছে। সিংহাসন, মূর্তি, স্তম্ভ দেওয়াল, মন্দিরের দরজা সর্বত্র দেখা যাবে বিশেষ বিশেষ চমক।

    সোনার প্রলেপ থাকছে দরজা, থাম এবং সিংহাসনে

    ‘রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর তরফে জানানো হয়েছে মন্দিরের দরজায় এবং থামগুলিতে থাকবে সোনার প্রলেপ। সারাদেশ থেকেই কারিগররা লেগে রয়েছেন রামমন্দির তৈরীর কাজে। রামমন্দিরের প্রতিটি তলায় থাকছে ১৮টি দরজা। জানা গিয়েছে, গর্ভগৃহের দরজাটি সবথেকে বড়। গর্ভগৃহে অধিষ্ঠান করবেন রামলালা (Ram Mandir)। রামলালার অবস্থান হবে যে সিংহাসনে সেটি ৮ ফুট লম্বা সোনার প্রলেপ যুক্ত মার্বেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে। গর্ভগৃহের দরজাতে যে বিশেষ নৈপুণ্য ছোঁয়া থাকবে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। মূল মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে ৩৫০ ফুট বাই ২৫০ ফুট এলাকায়।

    রামমন্দিরের ছবি নিয়ে জনসংযোগে নামছে আরএসএস

    অন্যদিকে, রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের আগে ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি দেশের গ্রামে গ্রামে নির্মিত রামমন্দিরের ছবি নিয়ে জনসংযোগ করবেন আরএসএস-এর স্বয়ংসেবকরা। জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ৫ লাখ গ্রামে চলবে এই প্রচারাভিযান। গুজরাটের ভুজে চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার এই ঘোষণা করতে শোনা যায় সঙ্ঘ নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলেকে। জানা গিয়েছে, মন্দির উদ্বোধনের দিন দেশের সকল ছোটবড় ধর্মস্থানগুলিতে উৎসবেরও আয়োজন করবে আরএসএস। চলতি বছরে নাগপুরে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনে সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত বলেন, উদ্বোধনের দিন প্রত্যেক হিন্দু, বাড়িতে যেন পঞ্চ প্রদীপ অবশ্যই জ্বালান। অন্যদিকে, অযোধ্যার রামমন্দির থেকে তিনটি কলসিতে ‘অক্ষত চাল’ চলে এসেছে বাংলায়। গত রবিবার অযোধ্যায় রামজন্মভূমিতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এরপরেই দেশের সমস্ত রাজ্যে সেই অক্ষত চাল পাঠানোর কাজ শুরু হয়। হলুদ এবং ঘি মাখিয়ে তৈরি করা হয় এই অক্ষত। কোনও শুভ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যা মঙ্গলজনক বলেই মনে করা হয়। ১০০ কুইন্টাল চাল এনে গত রবিবারই অক্ষত পুজো সম্পন্ন হয় অযোধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সরকারি বস্তা কেটে আটা বের করে বাজারে বিক্রি! কালোবাজারি ধরলেন বিজেপি সাংসদ

    Nadia: সরকারি বস্তা কেটে আটা বের করে বাজারে বিক্রি! কালোবাজারি ধরলেন বিজেপি সাংসদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। রাজ্যে একাধিক রেশন ডিলার, রাইস মিল মালিকের বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছে। বহু নথি বাজেয়াপ্ত করেছে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন ইডি হেফাজতে। এরইমধ্যেই নদিয়ার (Nadia) বীরনগরে এক ব্যক্তির বাড়ির কলাবাগানের ভেতর থেকে উদ্ধার শয়ে শয়ে রেশনের আটার বস্তা উদ্ধার হয়েছে। যাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনাটি ঘটেছে  নদিয়ার তাহেরপুর থানার বীরনগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের চরক ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) বীরনগরের প্রশান্ত পাল নামে এক ব্যক্তি এলাকারই বেশ কয়েকটি রেশন ডিলারের কাছে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দিতেন। আগে পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন। রেশন সামগ্রীর কালোবাজারি করে হঠাৎই ফুলে ফেঁপে ওঠে। শনিবার ওই ব্যক্তির বাড়ির কলাবাগানে প্যাকেটে সরকারি সিল মারা আটার বস্তা পাওয়া যায়। পাশাপাশি কয়েকশো খালি বস্তাও পাওয়া যায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই ব্যক্তি সরকারি শিলমারা আটার বস্তা থেকে আটা বের করে লোকাল ব্র্যান্ডের স্টিকার মেরে তা খোলা বাজারে তা বিক্রি করত বলে অভিযোগ। আজ ওই ব্যক্তির কুকীর্তি সকলের নজরে পড়ে। এরপরেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে যায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এরপর রেশন দুর্নীতি নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি সাংসদ। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এছাড়াও অভিযুক্ত প্রশান্ত পাল নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, রেশন দুর্নীতি কোন পর্যায়ে গিয়েছে এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। তবে, প্রশান্তের মতো রাজ্য জুড়ে রেশন চুরির বড় চক্র রয়েছে। আমরা না আসলে পুলিশ এই বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে দিত। আমরা এই চক্রের সঙ্গে যে বার যারা জড়িত রয়েছে তাদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Pollution: দূষণ কমাতে দিল্লিতে এখনই লাগু হচ্ছে না ‘জোড়-বিজোড় নীতি’, জানাল আপ সরকার

    Delhi Pollution: দূষণ কমাতে দিল্লিতে এখনই লাগু হচ্ছে না ‘জোড়-বিজোড় নীতি’, জানাল আপ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় নীতি এখনই চালু করছে না আম আদমি পার্টি সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, সুপ্রিম কোর্টে ভর্ৎসনার পরেই পিছিয়ে আসতে বাধ্য হল আপ সরকার। শীর্ষ আদালত দিল্লির দূষণ সম্পর্কিত পর্যবেক্ষণে জানায়, জোড়-বিজোড় নীতি চালু হলে দূষণ (Delhi Pollution) মাত্র ১৩ শতাংশ কমবে। 

    এই জোড়-বিজোড় নীতি আসলে কী?

    জোড়-বিজোড় নীতি হল, জোড় সংখ্যার দিন রাস্তায় বের হবে কেবলমাত্র জোড় নম্বরের গাড়ি। আর বিজোড় সংখ্যার দিনে বিজোড়। কোনও গাড়ি জোড় না বিজোড়, তা ঠিক হবে গাড়ির নম্বরের শেষ সংখ্যার উপর। দিল্লি সরকার রাস্তায় গাড়ি চলাচল কমিয়ে দূষণ (Delhi Pollution) নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে। দিল্লি দূষণ পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে আগামী ১৩ নভেম্বর থেকে এই নিয়ম লাগু হওয়ার কথা ছিল। তবে শুক্রবার দিল্লি সরকার জানিয়েছে, বাতাসের গুণগত মান যথেষ্ট বেড়েছে। তাই এখন আর জোড়-বিজোড় নীতি লাগু করছে না তারা।

    আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম! সভাপতি পদে এবিভিপির প্রার্থী মুসলিম ছাত্রী 

    দীপাবলির পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে 

    এর পাশাপাশি দিল্লি সরকারের আরও বিবৃতি দিয়েছে যে দীপাবলির পরেই বাতাসের গুণগত মান কেমন থাকে তা পর্যালোচনা করা হবে। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জোড়-বিজোড় নীতি চালু করা উচিত কিনা। এ প্রসঙ্গে দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই বলেন, ‘‘রাতারাতি বৃষ্টির জেরে দিল্লির বাতাসের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা গুণমান উন্নত হয়েছে। এর ফলে ১৩ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রস্তাবিত জোড়-বিজোড় গাড়ি রেশনিং পদ্ধতি চালুর পরিকল্পনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’ গোপাল রাইয়ের আরও সংযোজন, ‘‘দিল্লি সরকার দীপাবলির পরে বায়ুর গুণগত মানের পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করবে।’’ প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আর এতেই কিছুটা হলেও দূষণ (Delhi Pollution) কমেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃষ্টি হলে বাতাসের গুণগত মান বাড়ে।

    আরও পড়ুন: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Javed Akhtar: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

    Javed Akhtar: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মত জাভেদ আখতারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘হিন্দুদের জন্যই ভারতবর্ষে গণতন্ত্র রয়েছে’’, মুম্বইয়ে ‘মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা’ আয়োজিত দীপাবলির একটি অনুষ্ঠানে এ কথা বলতে শোনা গেল জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar)। এদিন হিন্দুদের ‘উদার এবং বড় মনের মানুষ’ বলেও অভিহিত করেন প্রবীণ এই গীতিকার। তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘হিন্দুদের সহনশীলতা বরাবরই রয়েছে। মানবিকতার গুণও তাদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয়।’’  তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দুদের যে বিষয়টা সব থেকে ভালো, সেটা হল এঁদের মন ভীষণ বড় হয়। আপনি যদি নিজের ভিতর থেকে সেটা নষ্ট করে দেন আপনিও তাহলে বাকিদের মতো হয়ে যাবেন।’’

    রামায়ণ নিয়ে কী বললেন প্রবীণ গীতিকার

    প্রসঙ্গত, দুমাস পরেই উদ্বোধন হবে অযোধ্যায় রাম মন্দিরের। মুম্বইয়ে দীপাবলির অনুষ্ঠানে জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) বক্তব্যে উঠে আসে রাম সীতার প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, ‘‘ভগবান রাম ও দেবী সীতার দেশে জন্ম নিয়ে আমি গর্বিত। নাস্তিক হলেও আমি রাম ও সীতাকে দেশের সম্পদ মনে করি। রামায়ণ আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য।’’ দীপাবলীর ঐ অনুষ্ঠানের ‘জয় সিয়ারাম’ বলে ধ্বনিও তোলেন প্রবীণ এই গীতিকার। ভগবান রাম সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘‘মর্যাদা পুরুষোত্তম কথাটি উচ্চারিত হলে সবার আগে রামের কথাই আমার মনে আসে।’’ নিজের বাল্যকালের কথাও এদিন স্মরণ করেন জাভেদ আখতার।

    আরও পড়ুন: হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথম! সভাপতি পদে এবিভিপির প্রার্থী মুসলিম ছাত্রী 

    বাল্যকালের স্মৃতি

    এ প্রসঙ্গে তিনি জানান যে লক্ষ্ণৌতেই তিনি ছোট থেকে বড় হয়েছেন এবং সেখানকার ধনী ব্যক্তিরা একমাত্র সকালে গুড মর্নিং বলতেন। বাকিরা সবাই জয় শ্রীরাম বলে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানাতেন। গীতিকারের আরও সংযোজন, ‘‘রাম এবং সীতাকে আলাদাভাবা একদমই ভুল। অনুষ্ঠানে হাজির সকলকে তিনি জয় শ্রীরাম সম্বোধন করতে বলেন। তিনি আরও বলেন, ‘‘হিন্দু সংস্কৃতি হল এ দেশের সভ্যতা। এটাই আমাদের গনতান্ত্রিক মনোভাব শিখিয়েছে তাই এ দেশে গণতন্ত্র রয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: ক্লাবে এসে কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর নির্মাণের কাজ বন্ধ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Raiganj: ক্লাবে এসে কালীপুজোর চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর নির্মাণের কাজ বন্ধ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোর চাঁদা দিতে ক্লাব প্রাঙ্গনে না আসায় রায়গঞ্জের এক বিশিষ্ট ব্যাবসায়ীর বহুতল নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল পরিচালিত এক পুজো কমিটির সদস্যদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই ব্যবসায়ী বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রায়গঞ্জ (Raiganj) থানায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগপত্রের প্রতিলিপি রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারের পাশাপাশি বণিক সংগঠনের কাছেও পাঠিয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে শহর জুড়ে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Raiganj)

    রায়গঞ্জের (Raiganj) ওই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জয়প্রকাশ আগরওয়াল পুলিশের কাছে করা অভিযোগপত্রে জানিয়েছেন কয়েকদিন আগে রায়গঞ্জ শহরের মিলনপাড়ায় অবস্থিত ‘বয়েজ সুকান্ত’ ক্লাবের সভাপতি সহ কয়েকজন সদস্য তাঁর অফিসে এসে আন্তরিকতার সঙ্গে আমন্ত্রণপত্র দিয়ে চাঁদা দেওয়ার অনুরোধ করেন। সেই প্রস্তাবে রাজিও হন এই ব্যবসায়ী। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্লাবের কয়েকজন যুবক তাঁর নির্মীয়মান বহুতলে আসেন। সংস্থার ম্যানেজারের কাছে পুজোর চাঁদার বিষয়ে জানতে চান। ম্যানেজারের ফোন থেকে ক্লাবের এক সদস্য জয়প্রকাশবাবুকে ফোনে জানান, পুজোর চাঁদা ক্লাবে গিয়ে দিয়ে আসতে হবে। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন জয়প্রকাশবাবু। চাঁদার জন্য নিজের অফিসে ক্লাব সদস্যদের আসতে বলেন তিনি। এরপরেই ক্ষুব্ধ ক্লাব সদস্যরা কর্মরত শ্রমিকদের জোর করে কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য করে বলে অভিযোগ। বন্ধ হয়ে যায় বহুতল নির্মাণের কাজ। জয়প্রকাশ বাবুকে বলা হয় পুনরায় কাজ শুরু করতে হলে ক্লাবের মূল কর্মকর্তা রন্তু দাসের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ততক্ষন বন্ধ থাকবে বহুতল নির্মাণের কাজ। উল্লেখ্য, রন্তুবাবু জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতির পাশাপাশি পুজো কমিটির অন্যতম কর্মকর্তা ও বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর অতি ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত।

    কী বললেন ব্যবসায়ী?

    এদিন জয়প্রকাশবাবু বলেন, হুমকির মুখে স্থানীয় শ্রমিকেরা ভয় পেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এতো বড় প্রজেক্ট। নিয়ম মেনে রেজিষ্ট্রেশন, প্ল্যান পাস, জি এস টি সহ সমস্ত টাকা সরকারকে দিয়েছি। তারপরেও এধরণের ঘটনা ঘটলে কী ভাবে কাজ করবো? কাজ যাতে পুনরায় শুরু করতে পারি সেজন্য প্রশাসনিক সহযোগিতা চাইছি।

    তৃণমূল পরিচালিত ক্লাব কমিটির কর্মকর্তার কী বক্তব্য?

    যদিও গোটা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্লাবের সভাপতি নব্যেন্দু ঘোষ। তিনি বলেন,আমাদের ক্লাব কখনও চাঁদা নিয়ে জুলুমবাজি করে না। স্বেচ্ছায়,ভালোবেসে যে যা চাঁদা দেয় সেটাই নেওয়া হয়। জয়প্রকাশবাবু যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অসত্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Dakshin Dinajpur: শান্তির বার্তা নিয়ে সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই

    Dakshin Dinajpur: শান্তির বার্তা নিয়ে সাইকেলে বিশ্বভ্রমণ দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। এই বার্তাকে সামনে রেখে গোটা ভারতবর্ষ ভ্রমণের পর এবার বিশ্ব ভ্রমণের উদ্দেশ্যে সাইকেল নিয়ে বের হলেন দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার তপন ব্লকের বাদ শংকরের যুবক মাধাই পাল। জেলা প্রশাসনের অনুমতিক্রমে ওই যুবক সাইকেলে করে যাত্রা শুরু করেন। আপাতত সার্কভুক্ত দেশগুলিতেই যাওয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে ওই যুবকের। সাইকেল নিয়ে যাত্রার একটাই উদ্দেশ্য, যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই। এই বার্তা পৌঁছে দিতে এই যাত্রা বলে ওই যুবক জানিয়েছেন।

    সাইকেল চড়ে দেশ ভ্রমণ করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের মাধাই (Dakshin Dinajpur)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাধাই পেশায় গাড়ি মিস্ত্রী। করোনার সময় প্রথম মাথায় আসে সাইকেল নিয়ে দেশ ভ্রমণের। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়েন দেশ ভ্রমণে। গত দুই বছরে সাইকেলে করে দেশ ভ্রমণ করেন। এরপর বাড়িতে কিছু দিন থেকে, এখন দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) থেকে বিশ্ব ভ্রমণে উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিয়েন তিনি। বিশ্ব ভ্রমণের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে শান্তির বার্তা দিতে চান মাধাই। অনেক সময়ের ব্যাপার। তবু যতদিন শরীরে ক্ষমতা থাকবে বিশ্বের সার্কভুক্ত দেশ ঘুরবেন বলেই মাধাই জানিয়েছেন। এদিকে তার এই যাত্রাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন জেলাবাসী। এবিষয়ে মাধাই পাল বলেন, আমার ছোটবেলা থেকেই বিশ্ব ভ্রমণের ইচ্ছে। সেটা শুধুমাত্র সাইকেলেই। সাইকেল ইকো ফ্রেন্ডলি। তাই সাইকেলেই নানা দেশ দেখার ইচ্ছা। এছাড়াও সব দেশে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা দিতে চাই। সেই লক্ষ্যেই আজ বাড়ি থেকে সাইকেল নিয়ে বের হলাম। এর আগে আমি ভারতবর্ষের সব জায়গায় সাইকেল নিয়ে ভ্রমণ করেছিলাম।

    কী বললেন সাইকেল আরোহীর মা?

    এবিষয়ে ওই যুবকের মা অঞ্জলী পাল বলেন, এর আগে আমার ছেলে ভারতবর্ষ ঘুরে বেরিয়েছে। এবার অন্যদেশে ভ্রমণ করতে বের হলেন। এনিয়ে একটু চিন্তা হচ্ছে। তবে, ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা করি ছেলে যেন তাঁর লক্ষ্যপূরণ করে বাড়ি ফিরতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির উড়িয়ে দেওয়ার ছক জঙ্গিদের, কড়া নিরাপত্তার চাদরে অযোধ্যা

    Ram Mandir: উদ্বোধনের মুখে রামমন্দির উড়িয়ে দেওয়ার ছক জঙ্গিদের, কড়া নিরাপত্তার চাদরে অযোধ্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুমাস বাদেই জানুয়ারিতে রয়েছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন। ২২ জানুয়ারি রামমূর্তিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রামমন্দিরের উদ্বোধনকে ঘিরে দেশজুড়ে বাড়ছে ভক্তদের মধ্যে উন্মাদনা। ঠিক এমন সময় গোপন সূত্রে খবর, রামমন্দিরে হামলা চালানোর ছক করছে বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠন। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের মদতে চলা জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা এবং লস্কর-ই-তৈবা হামলার ষড়যন্ত্র করছে। 

    কড়া নিরাপত্তার চাদরে রামমন্দির

    নাশকতার ষড়যন্ত্রের খবর সামনে আসতেই কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রামমন্দিরকে (Ram Mandir)। এমনিতেই রামমন্দিরকে ঘিরে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, তা সত্ত্বেও সেই ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। তবে এটাই নতুন নয় রামমন্দিরকে বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া ছক কষেছিল আইএসআইএস জঙ্গি মহম্মদ শাহানওয়াজ সহ তিনজন। গত অক্টোবর মাসেই তিন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়। পাকিস্তানে বসে এই ষড়যন্ত্র কষা হয়েছিল বলে গোয়েন্দাদের মত।

    ষড়যন্ত্রের মাস্টারমাইন্ড ফারহাতুল্লা 

    রাম মন্দিরের (Ram Mandir) পাশাপাশি কেরলের শবরীমালা মন্দির এবং দিল্লির অক্ষরধাম মন্দিরও ছিল জঙ্গিদের নিশানায়। অন্তত ধৃত সন্ত্রাসবাদীদের জেরা করে এমনটাই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এর পাশাপাশি দিল্লি, হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কয়েকজন বিজেপি ও আরএসএস নেতাকে টার্গেট করেছিল জঙ্গিরা। রামমন্দিরের নাশকতার ব্লু প্রিন্ট প্রথম তৈরি হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতেই। এর মাস্টারমাইন্ড ছিল জঙ্গি ফারহাতুল্লা। সেখানেই শাহনওয়াজ সমেত তিনজনকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল। ভারতের বাসিন্দা ফারাতুল্লাহ পাকিস্তানের পালিয়ে জঙ্গির প্রশিক্ষণ নেয় এবং কাশ্মীরের একাধিক যুবককেও সে ট্রেনিং দেয় বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। গোয়েন্দাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে আইএসআই-এর মডিউলে সদস্য ছিল শাহনওয়াজ। গত অক্টোবরে তল্লাশির সময় গোয়েন্দারা জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে বেশ কয়েকটি বই, আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ এবং বোমা তৈরির উপকরণ। জানা গিয়েছে, শাহনওয়াজ সমেত ধৃত তিনজনই বিটেক ইঞ্জিনিয়ার। দিল্লিতে একটি সংস্থা চাকরি করত শাহনওয়াজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • State Advocate General: মমতা সরকারের সঙ্গে সংঘাত? ইস্তফা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের

    State Advocate General: মমতা সরকারের সঙ্গে সংঘাত? ইস্তফা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের (State Advocate General) পদ ছাড়লেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে ইমেইল মারফত নিজের ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। কোনও কোনও মহলের দাবি, সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে লাগাতার সংঘাত চলছিল নবান্নের। তার জেরেই এই সিদ্ধান্ত। আবার আইনজীবীদের একাংশের মতে, সৌমেন্দ্রনাথবাবু জানিয়েছেন সংবিধান সম্পর্কিত মামলা ছাড়া আর কিছু তিনি কিছু লড়তে যাবেন না। সম্প্রতি শাসকদলের ঘনিষ্ঠ সরকারি আইনজীবীরা বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাসে বিক্ষোভ দেখান। এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করেন সৌমেন্দ্রনাথবাবুও। এরপরেই শাসক দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়ছিল।

    কে হচ্ছেন নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল?

    সূত্রের খবর, নতুন অ্যাডভোকেট জেনারেল (State Advocate General) হতে চলেছেন আইনজীবী কিশোর দত্ত। রাজ্যপালকে ইস্তফাপত্র পাঠানোর পরে মুখ্যসচিব এবং আইনমন্ত্রীকেও পদত্যাগ পত্র পাঠাবেন সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। এমনটাই জানা গিয়েছে। চলতি মাসের ৭ তারিখেই সরিয়ে দেওয়া হয় পাবলিক প্রসিকিউটার শাশ্বতগোপাল মুখোপাধ্যায়কে। তাঁর পরিবর্তে স্থলাভিষিক্ত হন দেবাশিষ রায়। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয় যে অ্যাডভোকেট জেনারেল পদেও বদল আসতে চলেছে। প্রসঙ্গত যে কিশোর দত্তের নাম আবার অ্যাডভোকেট জেনারেল পদে উঠে আসছে তিনি এর আগেও ওই দায়িত্বে ছিলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরে তাঁকে সরিয়ে দেয় মমতা সরকার।

    অ্যাডভোকেট জেনারেলদের ইস্তফার ইতিহাস 

    তৃণমূল জমানায় এর আগে একাধিক অ্যাডভোকেট জেনারেল (State Advocate General) ইস্তফা দিয়েছেন। সেই ইতিহাসটাও একবার জেনে নেওয়া যাক। ২০১৩ সালে অ্যাডভোকেট জেনারেল ছিলেন বিমল চট্টোপাধ্যায়। অনিন্দ্য মিত্রের পরেই বিমলবাবু ওই পদে বসেছিলেন। ২০১১ সালে বামফ্রন্ট সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। তখনই অনিন্দ্য মিত্রকে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল করা হয়। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি আচমকাই ইস্তফা দিয়েছিলেন বিমল চট্টোপাধ্যায়। এর পরবর্তীকালে দেখা যায় ২০১৭ সালের তৎকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়ন্ত মিত্রও ইস্তফা দেন। সে সময় কারণ হিসেবে উঠে আসে সরকারের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে অ্যাডভোকেট জেনারেল (State Advocate General) পদে নিয়োগ করা হয় কিশোর দত্তকে। ২০২১ সালে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Memari: ‘ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করি, হাত ভেঙে দেব’, প্রকাশ্যে কেন হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা?

    Memari: ‘ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করি, হাত ভেঙে দেব’, প্রকাশ্যে কেন হুঁশিয়ারি দিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রকাশ্য মঞ্চে এবার মস্তান তৈরির কথা বলে বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে (Memari) মন্ত্রী মস্তান তৈরির কথা বলেন। তবে, বিরোধী দলের কাউকে এমন হুমকি দিচ্ছেন এমন নয়, দলের অন্দরে বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকে এই ভাষায় কথা বলে মন্ত্রী সমঝে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়েছে। একজন মন্ত্রী যে ভাষায় কথা বলেছেন তা নিয়ে জেলা রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন?

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মন্ত্রী বলেন, আমি মস্তান নয়, কিন্তু ফুঁ দিয়ে মস্তান তৈরি করতে পারি। তেলপোড়া, পানিপোড়া কানে দেব, মাস্তান তৈরি হয়ে যাবে। মস্তানকে জন্ম করার ক্ষমতা আমার রয়েছে। তবে,  মস্তানি নয়, ভালোবাসার রাজ্য চাই। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দুদিন আগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির (Memari) সাতগেছিয়া বাজারে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে সিদ্দিকুল্লা সাহেব উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, কিছু কিছু অঞ্চলের ছেলেরা মাথায় ফেট্টি বেঁধে তাল  ঠুকছে। বাঘ, সিংহ গর্তে চলে গেল। তোমরা মশা-মাছি কত ভাল তাল ঠুকবে। আমার কাছে নাম আছে, বলব না। তাদের শুনিয়ে দিচ্ছি, হাত তোলা বন্ধ করো। না হলে হাত ভেঙে দেব একদম। ইয়ার্কি করতে আমরা আছি নাকি। মন্ত্রীর প্রকাশ্যে এই হুঁশিয়ারিতে দলের অন্দরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

     তৃণমূলের  দুই গোষ্ঠীর কোন্দল প্রকাশ্যে

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারি-২ ব্লকে (Memari) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল বহুদিন ধরেই রয়েছে। কয়েকদিন আগেই বড়পলাশনে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের মোট তিনজন জখম হন। পুলিস ১০জনকে গ্রেফতার করেছে। সূত্র মারফত জানা যায়, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে কোন্দল চরমে উঠেছে। এক গোষ্ঠীর নেতাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট দেওয়া হয়নি। অনেক পঞ্চায়েত প্রধান প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ গিয়েছিল। দলের এক নেতা বলেন, কোন্দল মেটাতে জেলা নেতৃত্ব একাধিকবার হস্তক্ষেপ করেছিলেন। কিন্তু তারপরও যুদ্ধ থামেনি। মন্ত্রী দলের সেই বিরোধী গোষ্ঠীকে বার্তা দিয়েছেন বলে অনেকেই মনে করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share