Blog

  • Hooghly: তারকেশ্বর পুরসভার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ

    Hooghly: তারকেশ্বর পুরসভার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারকেশ্বর (Hooghly) পুরসভার বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে হুগলিতে। সূত্রে জানা গিয়েছে, ফ্ল্যাট বিক্রির নামে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন পুরসভার প্রাক্তন এবং বর্তমান চেয়ারম্যান। উল্লেখ্য পাল্টা অভিযোগকে অস্বীকার করেছেন দু’জনেই।

    উল্লেখ্য ২০১০ সাল থেকেই পুরসভার বোর্ড দখল করে তৃণমূল। এরপর থেকেই পুরসভার আয় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর এই জন্য তারকেশ্বর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় একটি বহুতল নির্মাণ করা হয়। মোট দশতলা বিল্ডিং এবং ৭২ টি ফ্ল্যাট থাকবে বলে জানা গিয়েছে।

    ফ্ল্যাট দুর্নীতি  (Hooghly)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে যে যখন ফ্লাটের কাজ শুরু হয় সেই সময় তারকেশ্বর (Hooghly) পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন স্বপন সামন্ত। বর্তমানের চেয়ারম্যান হলেন গৌতম কুণ্ডু। প্রথমে ফ্ল্যাট বুকিং করা হয়েছিল পুরসভার অফিস থেকেই। এরপর স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডের কাছে সানফ্লাওয়ার নামক একটি অফিস খোলা হয়। বলা হয়েছিল দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে ফ্ল্যাট দিয়ে দেওয়া হবে। থাকবে আরও অতিরিক্ত নানা সুবিধা। অভিযোগ আরও ওঠে, এমনকী নিয়মের বাইরে গিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয় ফ্ল্যাটগুলির। তবে ক্রেতারা ফ্ল্যাটের চাবি পেলেও সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চনার কথা জানিয়ে অভিযোগ তোলেন।

    নেই সুযোগ সুবিধা

    স্থানীয় (Hooghly) মানুষের অভিযোগ যে পানীয় জলের সেরকম কোনও ব্যবস্থা নেই। নেই বিদ্যুতের পরিষেবা। দশতলার উপরে উঠতে গেলে মাত্র একটি লিফট রাখা হয়েছে। অগ্নিনির্বাপণের জন্য নেই বিশেষ লাইসেন্স। এমনকি প্রায় ৪০ থেকে ৫০ জন মানুষ জানিয়েছেন এখানে বসবাস করার মতো উপযুক্ত পরিবেশ নেই।

    পুরসভার বক্তব্য

    তারকেশ্বর পুরসভার (Hooghly) তরফ থেকে বর্তমান চেয়ারম্যান গৌতম কুণ্ডু বলেন, “ফ্ল্যাট নিয়ে সব অভিযোগ মিথ্যা। তবে কিছু কাজ বাকি আছে। আগামী এক মাসের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।” তবে তিনি এই সকল সমস্যার জন্য প্রাক্তন চেয়ারম্যানকে দায়ী করেন। অপর দিকে প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত বর্তমান চেয়ারম্যানকে পাল্টা কাঠগড়ায় তোলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kuntal Ghosh: রাজারহাটের ফ্ল্যাট কি কুন্তলের বেনামি সম্পত্তি? জানতে হাজির ইডি

    Kuntal Ghosh: রাজারহাটের ফ্ল্যাট কি কুন্তলের বেনামি সম্পত্তি? জানতে হাজির ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) রাজারহাটের ফ্ল্যাটে মঙ্গলবার হানা দিল ইডি। প্রসঙ্গত নিয়োগ-দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুন্তল ঘোষ বর্তমানে জেলে বন্দি রয়েছেন। কুন্তল ঘোষের ফ্ল্যাটে এদিন তল্লাশি চালাতে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সের দফতর থেকে ইডি আধিকারিকরা পৌছান রাজারহাটের ফ্ল্যাটে। জানা গিয়েছে, এই ফ্ল্যাট থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছিল কুন্তল ঘোষকে। গ্রেফতারের পর ফ্ল্যাটের মালিক এখন নিজেই সেখানে থাকেন।

    কুন্তলের ভাড়া নেওয়া ফ্ল্যাট আসলে বেনামি সম্পত্তি নয় তো?

    ইডির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়েছে বর্তমানে। কুন্তল এই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন বলে জানা যায়। বর্তমানে যিনি ফ্ল্যাটে আসেন তিনি কি আসল মালিক? কবে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন? কার কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনেছিলেন? কত টাকার বিনিময়ে কিনেছিলেন? এ সমস্ত কিছুই জানতে চাইছে তদন্তকারীরা। আসলে কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) কোনও বেনামি সম্পত্তি সুকৌশলে বিক্রি করা হয়েছে কিনা সেটাই খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা এবং সে কারণে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলছেন তদন্তকারীরা।

    জানুয়ারি মাসেই গ্রেফতার হন কুন্তল

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই হুগলির তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার করে ইডি। ২৪ ঘণ্টা তল্লাশি চালানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। এর পরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডল নিয়োগ দুর্নীতিতে বলাগড়ের নেতা কুন্তলের যোগসাজশের কথা জানান ইডি আধিকারিকদের। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেই কুন্তলের (Kuntal Ghosh) ফ্ল্যাটে হানা দেয় ইডি। কুন্তলের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন তাপস মণ্ডল। তাঁর দাবি ছিল, ৩২৫ জন শিক্ষক পদপ্রার্থীর কাছ থেকে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা নিয়েছেন কুন্তল। নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে রয়েছেন কুন্তল বলে বেশ কিছু তথ্য প্রমাণ পান ইডি আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে বিধায়ক-বক্ল সভাপতির দ্বন্দ্ব! তীব্র উত্তেজনা হাওড়ায়

    Howrah: তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে বিধায়ক-বক্ল সভাপতির দ্বন্দ্ব! তীব্র উত্তেজনা হাওড়ায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজয়া সম্মেলনীতে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ফের প্রকাশ্যে এলো। নিজের এলাকায় দলের বিজয়া সম্মেলনীতে বিধায়ককে ব্লকের নাম নীল স্টিকার দিয়ে ঢাকতে হল। বালিখাল এলাকায় এই ঘটনা ঘটায় চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হল তৃণমূল বিধায়ককে। যদিও তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ ছিল দলের সব জেলার ব্লক স্তরে বিজয়া সম্মেলনী করতে হবে। আর এই সম্মেলনীতে মুখ পুড়ল বালির (Howrah) তৃণমূল বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়ের।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Howrah)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালিতে (Howrah) বিজায় সম্মেলনীর কথা ঘোষণা করে নাম, স্থান এবং তারিখ দিয়ে পোস্টার বানিয়ে এলাকায় প্রচার শুরু করেছিলেন বিধায়ক। কিন্তু বালি ব্লকের যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিধায়কের এই প্রচারের বিরুদ্ধে রাজ্য তৃণমূল অফিসে অভিযোগ করা হয়। এরপর রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয় ব্লক তৃণমূলের তরফ থেকে যা ঠিক করা হবে সেই অনুযায়ী বিজয়া সম্মেলনী করতে হবে। আর এরপর বিধায়কের দেওয়া পোস্টার থেকে ব্লকের নামের উপর স্টিকার লাগাতে হয়। দলের কাছে বিধায়কের ভূমিকা কী তাও প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনায়।

    ব্লক যুব তৃণমূলের বক্তব্য

    বালি (Howrah) ব্লকের যুব তৃণমূল নেতা সুরজিৎ চক্রবর্তী বলেন, “রবিবার দলের নির্দেশ মেনেই বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় নিজের ইচ্ছে মতো কোনও রকম আলোচনা না করেই সিদ্ধন্ত নিয়েছিলেন। দল তাঁর সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেয়নি। আর তাই তাঁর অনুষ্ঠানে যে ব্যানার বানানো হয়েছিল সেখানে তৃণমূল ব্লকের নাম ব্যবহার করতে পারবেন না বলে, দলের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

    বিধায়কের বক্তব্য

    বালির(Howrah) তৃণমূল বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিজয়া সম্মেলনীর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।” কিন্তু তাঁর সম্মেলনী অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছিল। সেই সঙ্গে বালি ব্লকের নাম নীল কাগজ দিয়ে অদৃশ্যমান করে দেওয়া হয়। কিন্তু তারপরও স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল ব্লকের নাম। এই ঘটনায় বালি বিধায়ক এবং বালি বক্লের যুব তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্ব যে প্রকাশ্যে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের উদ্ধার হল ডায়েরি! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    Ration Scam: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ফের উদ্ধার হল ডায়েরি! কী লেখা রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারদা কেলেঙ্কারি তদন্তে উঠে আসা লাল ডায়েরি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল সারা রাজ্যে। ইতিমধ্যে রেশন কেলেঙ্কারিতে (Ration Scam) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে মেরুন ডায়েরি উদ্ধার করেছে ইডি। ফের এক ডায়েরির সন্ধান পেল কেন্দ্রীয় সংস্থা, রেশন দুর্নীতির তদন্তে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, উদ্ধার হওয়া এই ডায়েরিগুলি গুরুত্বপূর্ণ নথি হতে পারে তদন্তে। জানা গিয়েছে, বাকিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকেই ওই ডায়েরি উদ্ধার হয়েছে।

    বেআইনি কার্যকলাপের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ নথিভুক্ত থাকতো উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে

    প্রসঙ্গত, ইডির দাবি, ওই ব্যবসায়ী স্বীকারও করেছেন যে বাকিবুরের নির্দেশেই গমকল থেকে আটা তৈরি হওয়ার পর সরকারি খাদ্য সামগ্রীর ২০ থেকে থেকে ৩০ শতাংশ সরিয়ে ফেলা হতো। পরে তা খোলা বাজারে বিক্রি করা হতো। এই বেআইনি কার্যকলাপের যাবতীয় হিসাব-নিকাশ নথিভুক্ত থাকতো উদ্ধার হওয়া ডায়েরিতে (Ration Scam)। কোথায় কোথায় সেই আটা প্যাকেট করা হতো, সেই সমস্ত জায়গারও সন্ধান মিলেছে ওই ডায়েরিতে। অন্তত এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় সংস্থার। শুধু তাই নয় ওই ডায়েরি থেকে মিলেছে বেশ কয়েকজন মিল মালিক এবং প্যাকেজিং সংস্থার নামও।

    রেশন দুর্নীতিতে ইডির তল্লাশিতে উদ্ধার হল বেআইনি ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা

    অন্যদিকে, রেশন দুর্নীতিতে ইডির তল্লাশিতে উদ্ধার হল বেআইনি ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা। জানা গিয়েছে, রেশন দুর্নীতির (Ration Scam) তদন্তে ‘অঙ্কিত ইন্ডিয়া লিমিটেড’-এর অফিসে হানা দেয় ইডি। সেখান থেকে উদ্ধার হয় ১ কোটি টাকা। অন্যান্য জায়গায় তল্লাশিতেও মিলেছে নগদ ৪০ লাখ টাকা। রেশন দুর্নীতির তদন্তে শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় হানা দেয় ইডি। ২৭ ঘণ্টারও বেশি তল্লাশি চালিয়ে এই নগদ উদ্ধার হয় বলে জানা গিয়েছে। আবার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে রেশন দুর্নীতিতে। রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির নজরে একাধিক ব্যবসায়ী রয়েছেন যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অঙ্কিত চান্দকদর। তাঁর সূত্র ধরেই বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি যোগ পাওয়া গিয়েছে। চান্দকর পরিবারেরই সদস্য হলেন দীপেশ চান্দকর। ২০০৪ সালে বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন দীপেশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhai Phonta: ভাইফোঁটার ভুরিভোজের সময় স্বাস্থ্যের দিকটি খেয়াল রাখছেন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    Bhai Phonta: ভাইফোঁটার ভুরিভোজের সময় স্বাস্থ্যের দিকটি খেয়াল রাখছেন? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছরের বিশেষ দিন ভাইফোঁটা (Bhai Phonta)! ভাই-বোনের সম্পর্ক উদযাপনের এই বিশেষ দিন। তাই এই দিনে খাওয়ার পর্বও হয় বিশেষ! দাদা-ভাইদের জন্য ভুরিভোজের আয়োজন হয় বিস্তর। কিন্তু স্বাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখাও জরুরি। তাই বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এমন পদ খাবারে রাখা জরুরি, যাতে স্বাস্থ্যের সমস্যা না হয়।

    কোন ধরনের খাবারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাইফোঁটায় (Bhai Phonta) দেদার মিষ্টি খাওয়ার চল রয়েছে। কিন্তু নানান রকম মিষ্টি একসঙ্গে খেলে একাধিক শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বিশেষত ডায়বেটিস রোগীদের কিংবা যাদের রক্তে সর্করার মাত্রা বেশি থাকার ঝুঁকি রয়েছে, তাদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি করে। তাই নানান মিষ্টির পরিবর্তে ভাইফোঁটায় থাকুক নানা রকমের ফল। কমলালেবু, আপেল, কলা, নাশপাতি, বেদানা, কিউই, বেরির মতো ফল থাকুক পাতে। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, এতে, ভিটামিন সি, ক্যালসিয়াম, ফাইবারের মতো উপাদান শরীর পাবে। আবার নানান রকমের সম্ভার ও হবে। 
    লুচির মতো তেলেভাজাকে এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। জলখাবারের মেনুতে লুচির বদলে থাকুক সব্জির পুর দেওয়া পরোটা। কম তেলে আটা কিংবা ময়দার ভিতরে ফুলকপি, আলু, গাজর, ব্রকোলি, ক্যাপসিকামের মতো সব্জি ভরে পরোটা তৈরি করার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। এতে হজমের সমস্যা দূর হবে। পাশপাশি খেতেও ভালো লাগবে। তাছাড়া, ডুবো তেলে ভাজা লুচি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই ভাইফোঁটায় সুস্থ থাকতে কম তেলে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    দুপুরের খাবারে নিয়ন্ত্রণ

    দুপুরের খাবারেও তেল-মশলায় নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলেই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। মটন, ইলিশের মতো প্রচুর ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারেই কম পরিমাণে খাওয়া উচিত বলে পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ঘী দিয়ে তৈরি পোলাওয়ের মতো খাবারের পরিবর্তে ভাইফোঁটায় (Bhai Phonta) পাতে থাকুক হার্ব রাইসের মতো স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার। পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, চিকেন কিংবা মটন, দু’পিসের বেশি একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। পাশপাশি, এই ধরনের প্রাণীজ প্রোটিন রান্নার সময় খেয়াল রাখা জরুরি, তেল ও মশলার ব্যবহারে। অতিরিক্ত তেল ও মশলার ব্যবহার বিপজ্জনক। এতে একদিকে স্থুলতার সমস্যা তৈরি করে। আবার কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

    কোন ধরনের খাবার এড়িয়ে চলা জরুরি? (Bhai Phonta)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ভাইফোঁটায় খাওয়ার পরেও সুস্থ থাকার জন্য নজরে থাকুক খাদ্যতালিকা। তাই ফাস্টফুড এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তারা জানাচ্ছেন, বিরিয়ানি, মোগলাইয়ের মতো অতিরিক্ত মশলাদার খাবার একসঙ্গে খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। এতে হজমের সমস্যা হতে পারে। পেটের সমস্যা ও দেখা দিতে পারে। আবার পিৎজা, বার্গারের মতো খাবারেও রাশ টানার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, এগুলোতে ব্যবহৃত একাধিক রাসায়নিক শরীরে সমস্যা তৈরি করে। তাই বাড়ির তৈরি কম তেল-মশলার খাবারেই হোক ভাইফোঁটার ভুরিভোজ (Bhai Phonta)। এমনি পরামর্শ বিশেষজ্ঞ মহলের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘বিরোধীদের বুথে কোনও কাজ করবে না তৃণমূল’, প্রকাশ্য মঞ্চে নিদান বিধায়ক শওকত মোল্লার

    South 24 Parganas: ‘বিরোধীদের বুথে কোনও কাজ করবে না তৃণমূল’, প্রকাশ্য মঞ্চে নিদান বিধায়ক শওকত মোল্লার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় ব্যাপক সন্ত্রাস চলেছিল ভাঙড়ে। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ভাঙড়ে আসতে হয়েছিল। এত কিছুর পরও তৃণমূলকে হারিয়ে একাধিক বুথে বিরোধীরা জয়ী হয়। এবার সেই বিরোধীরা যে সব পঞ্চায়েতে জিতেছে, সেখানে কীভাবে কাজ হবে তা নিয়ে দলের অবস্থান ঠিক করে দিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ভাঙড় ২ নম্বর ব্লকে বিজয়গঞ্জ বাজারে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘ভাঙড়ে আমাদের ৯টা অঞ্চলে যে সমস্ত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, পঞ্চায়েত সদস্য আছেন তাঁদেরকে বলব, যখন পঞ্চায়েত সমিতি ও পঞ্চায়েতের মিটিং হবে দলবদ্ধ ভাবে বিরোধীদের মুখে ঝামা ঘষে দিয়ে নিজেদের প্রস্তাব পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে অনুমোদন করাতে হবে। যে পঞ্চায়েতগুলো ওরা জিতেছে ওরা কাজ করে দেখাক। আমাদের পঞ্চায়েত ওই সমস্ত বুথে কোনও কাজ করবে না।’ বিরোধীদের গঠিত পঞ্চায়েতে অসহযোগিতার বার্তা স্পষ্ট হয়েছে শওকতের ওই বক্তব্যে। দলীয় কর্মীদের দেওয়া এই নির্দেশ ঘিরেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। শওকত যখন এমন কথা বলছেন, তখন মঞ্চে তাঁর পাশেই বসেছিলেন আরাবুল ইসলাম- সহ তৃণমূলের স্থানীয় একাধিক নেতা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     শওকতের এই মন্তব্যের পর তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিরোধীরা। এ নিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বিজেপি নেতা উত্তম কর বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য মঞ্চে শওকতের বিষয়ে বলেছিল, তুই তো বোম বাঁধিস। তাই, একজন বোমা বাঁধে এরকম নেতার থেকে এর বেশি কী আশা করব আমরা। একজন বিধায়ক বলছেন, বিরোধীদের পঞ্চায়েতে কাজ করতে দেব না। তিনি যে দল করেন, এটা সেই দলের মনোভাবেরই প্রতিফলন। মানুষ এর বিচার করবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের সিজিওতে বরানগরের চেয়ারপার্সন, টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ফের সিজিওতে বরানগরের চেয়ারপার্সন, টিটাগড়ের প্রাক্তন চেয়ারম্যানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে একের পর এক চেয়ারম্যানকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করল ইডি (ED)। সোমবারই বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক এবং কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে সিজিওতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সেখানে দুজনেই নথি জমা করে আসেন। মঙ্গলবার দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে এবার টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী সিজিওতে হাজিরা দেন। পাশাপাশি এদিন ফের বরানগরের চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক হাজিরা দেন।

    ফাইল নিয়ে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান হাজিরা দিলেন সিজিওতে (ED)

    বারাকপুর মহকুমার কামারহাটি, বরানগরের পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে বহু কর্মীর নিয়োগ হয়। সেই সময় টিটাগড় পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন প্রশান্ত চৌধুরী। তবে, অয়নের সংস্থার তৈরি প্যানেলে নাম থাকার পরও শুধুমাত্র চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ার কারণে মহিলা এক চাকরিপ্রার্থী পুরসভায় চাকরি পাননি। ওই চাকরিপ্রার্থীর বাড়ি হুগলির চুঁচুড়ায়। তিনি অয়ন শীলের পাশাপাশি প্রশান্তবাবুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর এই বিষয়টি নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছিল। এরপরই ইডি টিটাগড় পুরসভায় এসে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করতে আসে। পরে, প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। পুরসভা থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এবার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরীকে সিজিওতে ডেকে পাঠানো হয়। এদিন সকাল ১০.২০ মিনিট নাগাদ তিনি সিজিওতে যান। ফাইলে একাধিক কাগজপত্র নিয়ে এদিন তিনি হাজির হন। পাশাপাশি কিছুক্ষণ পরই এদিন ফের বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক সিজিওতে হাজির হন। জানা গিয়েছে, সোমবারই অপর্ণা মৌলিক প্রায় সাত ঘণ্টা সিজিওতে ছিলেন। গোপাল সাহাও সেখানে দীর্ঘক্ষণ ছিলেন। তবে, এদিন গোপাল সাহাকে ডাকা হয়নি। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চেয়ারম্যানদের কতটা ভূমিকা ছিল, তা ইডি (ED) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। তাছাড়া, পুর কর্মী, অয়ন শীলের কাছে থেকে যে সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তার সঙ্গে চেয়ারম্যানদের বক্তব্য জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • RSS: জানুয়ারিতে দেশের ৫ লাখ গ্রামে রামমন্দিরের ছবি নিয়ে জনসংযোগ করবে আরএসএস

    RSS: জানুয়ারিতে দেশের ৫ লাখ গ্রামে রামমন্দিরের ছবি নিয়ে জনসংযোগ করবে আরএসএস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের জানুয়ারিতেই ভক্তদের জন্য খুলে যাচ্ছে রামমন্দিরের দরজা। ঠিক তার আগে ১ থেকে ১৫ জানুয়ারি দেশের গ্রামে গ্রামে নির্মিত রামমন্দিরের ছবি নিয়ে জনসংযোগ করবেন স্বয়ংসেবকরা। জানা গিয়েছে, দেশের প্রায় ৫ লাখ গ্রামে চলবে এই প্রচারাভিযান। গুজরাটের ভুজে মঙ্গলবার এই ঘোষণা করতে শোনা গেল সঙ্ঘ নেতা দত্তাত্রেয় হোসাবলেকে। প্রসঙ্গত, রবিবার ৫ নভেম্বর গুজরাটের ভুজে শুরু রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় কার্যকারিণী বৈঠক ছিল। মঙ্গলবার শেষ হয় বৈঠক। এদিনই সাংবাদিক সম্মেলন করেন সঙ্ঘের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে এবং প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর। প্রসঙ্গত, আগেই সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছিল গুজরাটের কার্যকারিণী বৈঠকের মূল অ্যাজেন্ডা হতে চলেছে রামমন্দির। এছাড়াও দত্তাত্রেয় হোসাবলের সাংবাদিক বৈঠকে আরও বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

    বাড়ছে সঙ্ঘের কাজ, সারা দেশে শাখা রয়েছে ৯৫,৫২৮

    সঙ্ঘ নেতা (RSS) দত্তাত্রেয় হোসাবলে এদিন পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, দেশে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে সঙ্ঘের কাজ। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সাংগঠনিক দৃষ্টিতে দেশে বর্তমানে ৫৯,০৬০ মণ্ডল রয়েছে, যার মধ্যে ৩৮ হাজার মণ্ডলে বর্তমানে সঙ্ঘের কাজ পৌঁছেছে বলে জানান দত্তাত্রেয়। ২০২৫ সালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ ১০০ বছরে পা দিচ্ছে, সেসময় দেশের প্রতিটি মণ্ডলে পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান দত্তাত্রেয়। সারাদেশে বর্তমানে ৯৫,৫২৮টি শাখা চলছে বলে জানান সঙ্ঘের সরকার্যবাহ।

    সঙ্ঘের বর্তমান সদস্য কত? 

    দত্তাত্রেয় হোসবালে এদিন বলেন, ‘‘সঙ্ঘের কোনও সদস্যতা হয়না। শাখায় যাঁরা আসেন তাঁরাই স্বয়ংসেবক (RSS)। আবার বেশ কিছু সঙ্ঘের আয়াম রয়েছে সেগুলিও দেশজুড়ে সেবাকাজ চালিয়ে থাকে। তবে প্রতিবছর গুরু পূজনে স্বয়ংসেবকরা অংশগ্রহণ করে থাকেন। চলতি বছরে গুরুপূজনে অংশ নিয়েছেন ৩৭ লাখেরও বেশি স্বয়ংসেবক।’’

    প্রসঙ্গ হিন্দুরাষ্ট্র

    সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দত্তাত্রেয় হোসাবলে এদিন বলেন, ‘‘ভারত প্রথম থেকেই হিন্দুরাষ্ট্র। আলাদাভাবে ঘোষণার কোনও দরকার নেই। সংবিধান State-এর কথা বলে। অন্যদিকে রাষ্ট্র হল সাংস্কৃতিক ধারনা। দেশে যখন ব্রিটিশরাজ চলতো তখনও ভারত হিন্দুরাষ্ট্র ছিল।’’ বিশেষজ্ঞ মহল এক্ষেত্রে মান্যতা দিচ্ছেন দত্তাত্রেয়র মতকেই। কারণ রাষ্ট্রবিজ্ঞানে State হল Sovereign Authority, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। অন্যদিকে, ভারতের ক্ষেত্রে ‘রাষ্ট্র’ সাংস্কৃতিক ধারনা বলা যেতেই পারে। তাই ব্রিটিশ শাসনকে State বলেছেন দত্তাত্রেয় এবং ভারত হল রাষ্ট্র। State রাজনৈতিক ক্ষমতা, এরফলে ভারত রাষ্ট্রের হিন্দুত্ব বৈশিষ্ট্যের কোনও বদল হয়না।

    পরিবেশ রক্ষায় সঙ্ঘ, বদল হচ্ছে প্রশিক্ষণবর্গেও

    পরিবেশ রক্ষায় সঙ্ঘের (RSS) বিশেষ অভিযান চলছে বলে জানান দত্তাত্রেয়। তিনি বলেন, ‘‘রাজস্থানে ইতিমধ্যে স্বয়ংসেবকরা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। পরিবেশ যাত্রায় ১৪ হাজার কিমি পথ অতিক্রমও করেছেন রাজস্থানের স্বয়ংসেবকরা। কর্নাটকের সঙ্ঘ কার্যকর্তারা ১ কোটি বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি নিয়েছেন।’’ এদিন পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করতেও নিষেধ করেন এই সঙ্ঘনেতা। অন্যদিকে, সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ বর্গগুলিতে বিষয়বস্তুর বদল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দত্তাত্রেয় হোসাবলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Narendra Modi: দেশীয় পণ্য কিনে, সেলফি তুলে ‘নমো অ্যাপে’ পাঠাতে সকলকে আবেদন মোদির

    PM Narendra Modi: দেশীয় পণ্য কিনে, সেলফি তুলে ‘নমো অ্যাপে’ পাঠাতে সকলকে আবেদন মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলির আগে দেশীয় পণ্য সামগ্রী কিনে তার সঙ্গে ভিডিও এবং সেলফি তুলে ‘ভোকাল ফর লোকাল’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘নমো অ্যাপে’ পোস্ট করতে দেশবাসীকে আবেদন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। বিশ্ব মহামারি করোনার সময় পর্ব থেকে স্থানীয় পণ্যদ্রব্য ব্যবহারের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন মোদি। সেই সময় থেকেই তাঁর শ্লোগান ছিল ‘আত্মনির্ভর ভারত’। স্থানীয় উৎপাদিত সামগ্রীর উপর বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দিয়ে ‘ভোকাল ফর লোকালে’র ডাক দিয়েছিলেন তিনি। সরকারের নানাবিধ পরিকল্পনায় বিশেষ করে ‘মন কী বাত’ অনুষ্ঠানেও এই অভিযানের কথা বলেছিলেন তিনি।

    ভিডিও পোস্ট করলেন মোদি (PM Narendra Modi)?

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নিজের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করে দীপাবলি উৎসবে আঞ্চালিক পণ্যের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। কেবল স্থানীয় পণ্য কেনা নয়, সেই সঙ্গে পণ্য বা দোকানদারের সঙ্গে মোবাইলে ভিডিও এবং সেলফি তুলে শেয়ার করার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভিডিওতে কী দেখানো হয়েছে?

    মোদির পোস্ট (PM Narendra Modi) করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, টিভি সিরিয়লে খ্যাত অভিনেত্রী রূপালি গঙ্গোপাধ্যায় দীপাবলি উৎসবে লোকাল ফর ভোকাল বিষয়কে তুলে ধরতে আবেদন করছেন। এই উৎসবের সময়ে নিজের ঘরকে বর্ণাঢ্য সাজের জন্য ব্যবহার করার পণ্য বা নিজের জামা, কাপড়, জুতো ইত্যাদি বিষয়ে সেলফি তুলে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লোকাল ফর ভোকালের কথা বলেন। ব্যবহার করা পণ্যের নাম, বিক্রেতার নাম এবং দোকানের নাম দিয়ে ‘নমো অ্যাপে’ পোস্ট করার আবেদন করেন রূপালি।

    ডিজিটাল ইন্ডিয়ার বার্তা

    কেন্দ্রের মোদি সরকার (PM Narendra Modi) দেশবাসীকে বারবার যেমন আত্মনির্ভর ভারতের গড়ে তোলার জন্য লোকাল ফর ভোকালের কথা বলেছে, আবার সেই সঙ্গে ডিজিটাল লেনদেনের কথাও বলা হয়। মোদি দেশের অর্থনীতি এবং উৎপাদিত সামগ্রীকে বিক্রির জন্য বিশেষ ভাবে নজর দিয়েছেন। আঞ্চলিক উৎপাদনকে ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রাম-জেলা-রাজ্য-দেশ-বিশ্ব পরিসরে এক আন্তর্জাতিক বাজারের কেন্দ্র গড়ে তুলতে আহ্বান করেছেন তিনি। আর তাই সামজিক মাধ্যমে স্থানীয় পণ্য উৎপাদন এবং ব্যবহারের কথা প্রচার ও প্রসার করেছেন বলে মনে করেছেন অনেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: এই মন্দিরে শোনা যায় মা কালীর নূপুরের ধ্বনি! কোথায় হয় এই পুজো?

    Kali Puja 2023: এই মন্দিরে শোনা যায় মা কালীর নূপুরের ধ্বনি! কোথায় হয় এই পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধরেরা দীর্ঘদিন ধরে পুজো করে আসছেন রায়গঞ্জ আদি করুণাময়ী কালীমন্দিরে। অসম, পঞ্জাব, বিহার, উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্য, এমনকি বিদেশ থেকেও দীপাবলির রাতে আদি করুণাময়ী কালীবাড়িতে কালীমাতার পুজো (Kali Puja 2023) দিতে আসেন ভক্তরা। বন্দরের এই কালীমন্দিরে দীপান্বিতার পুজোকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার ভক্তের সমাগমে পূণ্য তীর্থক্ষেত্র হয়ে ওঠে রায়গঞ্জ শহর। তবে এবছর সেবাইত তথা সাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধর মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে জাঁকজমক না থাকলেও পুরনো নিয়ম-রীতি মেনেই পুজোর আয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

    ইতিহাস ৫০০ বছরের পুরনো (Kali Puja 2023)

    কথিত আছে, আজ থেকে পাঁচশো বছর আগে পঞ্জাব প্রদেশের এক সাধু হেঁটে এসে উপস্থিত হন রায়গঞ্জের কুলিক নদীর তীরে অবস্থিত বন্দর ঘাটে। ঘাটের কাছেই একটি গাছের তলায় আসনে বসে সিদ্ধিলাভ করেন৷ প্রতিষ্ঠা করেন পঞ্চমুণ্ড আসনের। সেই থেকে শুরু হয় এখানে মা কালীর আরাধনা। বেদীতেই পুজোর (Kali Puja 2023) প্রচলন হয়েছিল। ১২১৬ বঙ্গাব্দে দিনাজপুরের রাজা স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই স্থানে নির্মাণ করেন কালীমন্দির। এরপর তারাপীঠের মহাসাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধর জানকিনাথ চট্টোপাধ্যায় বারাণসী থেকে কষ্টি পাথরের কালীর মূর্তি এনে প্রতিষ্ঠা করেন পঞ্চমুণ্ড আসনে। সেটাও আজ থেকে আনুমানিক ২১৩ বছর আগের কথা। সেই থেকেই ওই একই মূর্তিতে দক্ষিণা কালীমাতার পুজো হয়ে আসছে বন্দর আদি করুণাময়ী কালীবাড়িতে।

    হাজার হাজার ভক্তের সমাগম

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই মন্দিরে কালীপুজোর (Kali Puja 2023) রাতে মায়ের পায়ের নূপুরের ধ্বনি শোনা যায়। তন্ত্রমতে এখানে দেবী পূজিতা হন। কালীপুজোর রাতে এখনও পুরনো রীতি মেনে শেয়ালের ডাক শোনার পরই পুজো শুরু হয়। সোল ও বোয়াল মাছের ভোগ দেওয়ার পাশাপাশি ছাগ বলির প্রচলন রয়েছে। আজও কালীমন্দিরে বংশপরম্পরায় পুজো করে আসছেন সাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধরেরা। জাগ্রতা এই দেবীর মাহাত্ম্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে, এমনকি বিদেশেও। তাই তো দীপান্বিতা কালীপুজোর রাতে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় রায়গঞ্জের এই কালীমন্দিরে। সারা বছরই অসংখ্য ভক্তের সমাগম হয় এই জাগ্রতা দেবীর মন্দিরে। ভক্তদের প্রণামী আর দান দিয়েই হয় দীপান্বিতা কালীপুজো। তবে এবছর বন্দর আদি করুণাময়ী কালীমন্দিরের সেবাইত সাধক বামাক্ষ্যাপার বর্তমান বংশধর মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কালিবাড়ি চত্বর। তবে পুরনো নিয়ম-নীতি মেনেই পুজো হবে। পুজোয় কোনও রকম ত্রুটি থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে সেবাইতের পরিবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share