Blog

  • Manipur Violence: পুলিশের কনভয়ে জঙ্গি হামলা! মণিপুরে রুদ্ধশ্বাস অভিযান অসম রাইফেলসের

    Manipur Violence: পুলিশের কনভয়ে জঙ্গি হামলা! মণিপুরে রুদ্ধশ্বাস অভিযান অসম রাইফেলসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর পুলিশের কমান্ডোদের একটি দলকে রক্ষা করতে এগিয়ে এল অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। ঘটনার একাধিক ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। দাবি করা হচ্ছে,ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩১ অক্টোবর। মণিপুর পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিককে জঙ্গিরা গুলি করে হত্যা করার পর থেকে তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল রাজ্য পুলিশের কমান্ডো বাহিনী। ওই দলটি ইম্ফল থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে ভারত-মায়ানমার সীমান্তে টহল দিচ্ছিল। সেই সময় হাইওয়ের উপর কমান্ডো বাহিনীর কনভয়কে লক্ষ্য করে পাহাড়ের উপর থেকে আচমকাই হামলা চালায় জঙ্গিরা। 

    কী ঘটেছিল

    জানা গিয়েছে, মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী শহর মোরেহের দিকে যাচ্ছিল পুলিশের একটি কনভয়। টেংনোপাল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের সাইবোলের কাছে হঠাৎ পুলিশের কনভয়ের উপর অতর্কিত হামলা চালায় জঙ্গিরা। গুলিবর্ষণ করতে থাকে তারা। পুলিশের কনভয়ের উপর জঙ্গিদের হামলার খবর পান অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। সঙ্গে সঙ্গে জওয়ানদের একটি দল ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। জঙ্গিদের পালটা জবাব দেয় তারা। পুলিশের দলটিকে অতর্কিত হামলার হালার হাত থেকে রক্ষা করলেও, বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী গুরুতর জখম হন। তাদের স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

    কী বলছে পুলিশ

    পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে নতুন করে মণিপুরের হিংসায় এক পুলিশ অফিসারের মৃ্ত্যু হয়েছিল। এরপর নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য মনিপুর সরকার উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছিল। সাইবোলের কাছে হেলিপ্যাডের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্যই পাঠানো হচ্ছিল মণিপুর পুলিশের একটি বিশেষ দলকে। জঙ্গিরা পাহাড়ের উপরে থাকায় বেশি সুবিধা পাচ্ছিল। কমান্ডোদের সব গতিবিধি নজর রেখে তাঁদের উপর হামলা চালাচ্ছিল। সেই সময় ওই হাইওয়েতেই টহল দিচ্ছিল অসম রাইফেলসের মাইন প্রতিরোধী গাড়ি। কমান্ডোদের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াইয়ে বিষয়টি চোখে পড়তেই অসম রাইফেলসের জওয়ানরা তাঁদের ‘কভার’ করতে এগিয়ে যান। মাইন প্রতিরোধী গাড়ি থেকে জঙ্গিদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালাতে থাকেন তাঁরা। আর সেই সুযোগেই একের পর এক কমান্ডোদের উদ্ধার করেন তাঁরা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Pollution: কৃত্রিম মেঘ থেকে বৃষ্টি! দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে অভিনব পরিকল্পনা কানপুর আইআইটির

    Delhi Pollution: কৃত্রিম মেঘ থেকে বৃষ্টি! দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে অভিনব পরিকল্পনা কানপুর আইআইটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি সহ গোটা এনসিআরের দূষণ ঠেকাতে কৃত্রিম মেঘ থেকে বৃষ্টি (Artificial Rain) নামানোর পরিকল্পনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। কৃত্রিম বৃষ্টি নামানোর এই প্রস্তুতির পিছনে বিশেষ ভাবনা রয়েছে কানপুর আইআইটির। গত পাঁচ বছর ধরে গবেষণা করে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। দূষণরোধে এই ভাবনা অত্যন্ত অভিনব। গবেষক মহল এই ভাবনায় যথেষ্টই আশাবাদী।

    কী বলেছে কানপুর আইআইটি (Artificial Rain)?

    কৃত্রিম বৃষ্টির (Artificial Rain) বিষয়ে কানপুর আইআইটির গবেষকরা জানিয়েছেন, “কৃত্রিম বৃষ্টির জন্য দরকার পর্যাপ্ত আর্দ্রতা এবং বাতাসে মেঘের উপস্থিতি। সাময়িক মেঘ তৈরি করে শীতের আগের মাসগুলিতে বৃষ্টিপাত করানো যায় কিনা, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। এই কাজের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজির অনুমতি নিতে হবে।” উল্লেখ্য গত সেপ্টেম্বর মাসেই কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই দিল্লির বায়ুদূষণ মোকাবিলায় শীতকালে কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের কথা বলেছিলেন। আর তাই শহর জুড়ে কৃত্রিম বৃষ্টির কথা ভাবা হচ্ছে। কানপুর আইআইটির অধ্যাপক মণীন্দ্র আগারওয়াল জানিয়েছেন, ‘দূষণ রোধে এই কৃত্রিম বৃষ্টি বেশ কার্যকর হবে।’

    কেন এই ভাবনা?

    দিল্লির বায়ূদূষণ আরও মারাত্মক আকার নিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যানবাহন চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জোড়-বিজোড় নম্বরের গাড়ি চালানোর কথা জানিয়েছে দিল্লির কেজরিওয়াল সরকার। দূষণের কথা ভেবে সাময়িক ভাবে স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কোভিডকালের মতো কর্মক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম পদ্ধতির ওপর। কিন্তু শীতের আগে বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ থাকে কম। আবার শীতের আগে বৃষ্টির সম্ভাবনা একদম কম থাকে। গবেষণায় জানা গিয়েছে দূষণ কমানোর উপায় হল বৃষ্টিপাত। এই জন্য কৃত্রিম বৃষ্টির (Artificial Rain) বিষয়ে গবেষণা করছে কানপুর আইআইআটি।

    এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স অনুসারে দূষণে দিল্লি ৪০০ অঙ্ক অতিক্রম করে ফেলেছে। আবার সুইস গ্রুপের আইকিউ এআইআর সমীক্ষা করে জানিয়েছে যে দিল্লি, মুম্বই এবং কলকাতা সবথেকে বেশি দূষণের তালিকায় রয়েছে। তাই দূষণ নিয়ন্ত্রণ একান্ত প্রয়োজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: লোহাদহ থেকে আসত ক্ষীর, ছানা, দুধ! বলি হত ১০৮টি! কেমন ছিল ঘোষালবাড়ির পুজো?

    Kali Puja 2023: লোহাদহ থেকে আসত ক্ষীর, ছানা, দুধ! বলি হত ১০৮টি! কেমন ছিল ঘোষালবাড়ির পুজো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খড়ের ছাউনি, মাটির দেওয়াল। একচালা মন্দিরের মধ্যে অষ্টধাতুর কালী বিগ্রহ। মন্দিরে নিত্যপুজো হত। কার্তিক মাসে কৃষ্ণপক্ষে বিশেষ দিনে ধুমধাম করে কালীপুজো হত। গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা সেই পুজোয় সামিল হতেন। তখন মুঘল যুগ। আর গৌড়ের শাসক সুলায়মান খান কররানি। তাঁর আমলে সেনাপতি ছিলেন কালাপাহাড়। সুবে বাংলা, ওড়িশা জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কালাপাহাড়। জগন্নাথ মন্দিরে হামলা চালিয়ে লুটতরাজ চালায় কালাপাহাড়। বাংলার একাধিক মন্দিরে হানা দেয় কালাপাহাড়ের দলবল। চলে লুটপাট। অত্যাচার থেকে মন্দির রক্ষা করতে মুর্শিদাবাদের বাজারসৌ ঘোষালবাড়ির অষ্টধাতুর বিগ্রহ মাটির তলায় রেখে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ঘোষালবাড়ির কালী মায়ের মৃন্ময়ী রূপ। কালের নিয়মে ঘোষালবাড়ি এখন ঘোষালপাড়়ায় পরিণত হয়েছে। পুরানো ঐতিহ্য মেনেই কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের বিশেষ দিনে জাঁকজমকভাবে পুজো (Kali Puja 2023) হয়ে আসছে।

    কালীপুজোর ইতিহাস

    পুজোর ইতিহাস জানার আগে জানতে হবে ঘোষালদের আদি বাসস্থান। পরিবারের প্রবীণ সদস্য প্রয়াত চণ্ডীদাস ঘোষাল, সুর্নিমল ঘোষালের কাছে পাওয়া তথ্য অনুসারে, বাজারসৌ ঘোষালদের আদি ভিটে ছিল দক্ষিণেশ্বরের পাশে আড়িয়াদহে। সেখান থেকে আট পুরুষ আগে রাম যাদব ঘোষাল বাজারসৌ আসেন। কান্দীর জেমোর জমিদারের অধীনে ছিল এই এলাকা। ওই জমিদারদের আমলেই মোড়পতলার দুর্গামন্দির, দুটি শিব মন্দির, বর্তমান ঘোষালপাড়ার পাশে শিবপুকুর পাড়ে তিনটি শিব মন্দির নির্মিত হয়েছিল। আর মন্দিরের সেবাইত ছিলেন রামযাদব। শিবপুকুরের পাড়ে শিব মন্দিরের আশপাশে ছিল বসতভিটে। বসতভিটের কাছেই একচালার মন্দির তৈরি করে শুরু হয়েছিল কালীপুজো (Kali Puja 2023)। তবে, নির্দিষ্ট সময়কালের নথি আর নেই। ফলে, শিবমন্দিরের পাশাপাশি কালী মন্দিরে নিত্যপুজো হত। সেই সময় ঘোষালদের সঙ্গে বন্দ্যোপাধ্যায়, ভট্টাচার্য, আচার্য্যরা সামিল হতেন। সেই সময় এই পুজোকে ঘিরে গোটা গ্রামের মানুষের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

    ১০০ বছর আগে কেমন ছিল পুজো?

    কালীপুজোর অনেক আগে থেকে চলত প্রস্তুতি। এখন ঘোষালপাড়ায় করুণাসিন্ধু, দ্বিজত্তোম, দিলীপ, ভাগবত, মধুসূদন, তপন, স্বপন, উত্তম, জয়ন্ত, আশিস, সঞ্জয়, সমর ঘোষালের মতো প্রবীণ সদস্যরা রয়েছেন। মায়ের প্রতিমা থেকে সাজ, ঢাক-ঢোল সব কিছুই নির্দিষ্ট পরিবার থেকে প্রতি বছর আসত। ঘোষাল পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা বলেন, সালারের কাছে হলদে থেকে নাটাকুরু আসতেন ঢোল, বাঁশি বাজাতে। বাজারসৌ দাসপাড়া থেকে ঢাক আসত। সুকুলি দাস, কুশো দাসরা বাজাতে আসতেন। লোহাদহ থেকে ক্ষীর, ছানা, দুধ আসত। বিনিময়ে জমি দেওয়া ছিল। আর ভরতপুর থকে মালাকার পরিবারের সদস্যরা মাকে ডাকের সাজ পরাতেন। আমাদের পুজো শুরু হওয়ার পর তালডাঙা মায়ের পুজো শুরু হত। ১০৮টি বলি হত। মেষ, মোষ বলি হত। বিশালকার তশলা ছিল। বাপ ঠাকুরদার সময় থেকেই এই নিয়ম চলে আসে। সেই সময় পরিবারের সদস্যরা মায়ের পুজোর (Kali Puja 2023) পৌরোহিত্য করতেন। আদি বড়মায়ের নতুন মন্দির তৈরিতে সহদেব ঘোষালের অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন। সেই নতুন মন্দির এখনও বর্তমান রয়েছে।

    কবে থেকে শুরু হল নতুন কালীপুজো?

    সালটা ১৯৬৬। পরিবারের এখন যারা প্রবীণ সদস্য, তাঁরা তখন ছোট। পুজো সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিরোধের জেরে পুজো (Kali Puja 2023) ভাগ হয়ে যায়। শিবনারায়ণ ঘোষালের ফাঁকা জমিতে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। গৌরী-কান্তি-অনিল তিন ভাই মিলে নতুন করে কালীপুজো শুরু করেন।২০১১ সালে নতুন করে মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়। মন্দির তৈরিতে সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়, করুণাসিন্ধু, উদয়, দ্বিজত্তোম, দিলীপ, প্রয়াত চণ্ডী ঘোষাল, সুভাষ ঘোষাল, সুর্নিমল ঘোষালদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল। পরিবারের আত্মীয়রা নতুন মন্দির তৈরিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। নতুন মন্দিরে সেই ঐতিহ্য মেনেই পুজো হয়ে আসছে। পুজোর দিন পরিবারের অধিকাংশ সদস্যও সারাদিন উপোস করে থাকেন। বিকেলের পর থেকে রাত পর্যন্ত চলে ভোগ রান্না। দুটি কালী মন্দিরে এখনও বলিপ্রথা অব্যাহত। তবে, মোষ বলি বহু বছর আগেই উঠে গিয়েছে। এখন শুধু ঘোষাল পরিবারের সদস্যরা ছাগ বলি দেন।

    বর্তমানে কেমন হয় কালীপুজো?

    ঘোষালবাড়ির বর্তমান প্রজন্মের বেশিরভাগই কর্মসংস্থানের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকেন। পুজোর কদিন সকলেরই বাড়ি ফিরে আসেন। পরিবারের আত্মীয়স্বজনরাও সকলেই পুজোর কদিন চলে আসেন। আগের দিন থেকেই ঘোষালপাড়াকে আলোয় সাজানো হয়। প্রতিটি বাড়িতে জ্বলে ওঠে টুনি। আগে ছাদের উপর বাঁশ বেঁধে নাইট ল্যাম্প লাগিয়ে রঙিন কাগজ দিয়ে ঘেরা দেওয়া হত। সমগ্র এই উদ্যোগটাকে বলা হত ফনাস। সেই সময় ঘোষালপাড়া জুড়ে ফনাস টাঙানোর রেওয়াজ ছিল। সুতলির দড়িতে রঙিন কাগজ লাগিয়ে গোটা রাস্তা সাজিয়ে তোলা হত। এখন সেই রীতি উঠে গিয়েছে। কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কালীপুজোর আগেরদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হত। এছাড়া অর্কেষ্টা, বাউল গান, সাঁওতালি নাচ, ম্যাজিক শো হত। করোনার পর এখন আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় না। তবে, পুজোর আগের দিন মণ্ডপে বসে সান্ধ্যকালীন আড্ডা কার্যত মিলন উত্সবে পরিণত হয়। পুজোর আগের দিন ঢাক-ঢোলের আওয়াজে মন্দির চত্বর মুখরিত হয়ে ওঠে। পুজোর দিন সন্ধ্যায় গোটা ঘোষালবাড়ির ছাদ মোমবাতি জ্বালিয়ে সাজানো হয়। দুই কালী মন্দিরের সামনে ঢাক-ঢোল, সাউন্ড বক্সের আওয়াজে আর ছাদে থরে থরে সাজানো মোমবাতির আলোর রোশনাইয়ে গোটা ঘোষালপাড়া গমগম করে। পরিবারের নবীন সদস্যরা বলেন, পুজোর সময় সারারাত ধরে চেয়ারে বসে পুজো দেখা, ভোরের দিকে মন্দিরে বসে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়ার আলাদা উন্মাদনা। পুজোর (Kali Puja 2023) পরদিন প্রত্যেকের বাড়িতে পাত পেড়ে খাওয়া-দাওয়া হয়। পুজোর কদিন কার্যত ঘোষালপাড়া আদতে একটি বৃহত্ ঘোষালবাড়ির আকার নেয়। গোটা পাড়া হয়ে ওঠে একটি পরিবার। আলোর উত্সবে আদিশক্তির আরাধনায় মেতে ওঠে সকলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Katwa: গঙ্গায় নেমে মোবাইলে করছিলেন রিলস! তলিয়ে গেলেন দুই ছাত্র

    Katwa: গঙ্গায় নেমে মোবাইলে করছিলেন রিলস! তলিয়ে গেলেন দুই ছাত্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গায় স্নানের দৃশ্য মোবাইলে রেকর্ড করতে নেমেছিলেন তিন যুবক। এঁদের দুজনের হাতে ছিল মোবাইল। বাকি দুই বন্ধু ছিলেন পাড়ে দাঁড়িয়ে। ভালোই ভিডিও তোলা হচ্ছিল। কিন্তু, তার মধ্যেই ঘটে গেল অঘটন। মুহূর্তের অসতর্কতায় দুই যুবক গঙ্গার জলে তলিয়ে গেলেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার (Katwa) দেবরাজ ঘাটে। নিখোঁজ দুই যুবকের নাম দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও অভিষেক সিং। বর্ধমান শহরে তাঁদের বাড়ি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Katwa)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বর্ধমানের পাঁচজন ছাত্র মিলে কাটোয়ার (Katwa) বিআইটি কলেজের রেজিস্ট্রেশন তুলতে এসেছিলেন। পরে দুপুর নাগাদ তাঁরা কাটোয়ার দেবরাজ ঘাটে গঙ্গাস্নান করতে যান। তাঁদের ইচ্ছা ছিল, গঙ্গাস্নানের দৃশ্যের রিলস তৈরি করবেন। সেইমতো মোবাইল নিয়ে গঙ্গার জলে স্নান করতে নেমেছিলেন দীপঙ্কর, অভিষেক-সহ আরও এক যুবক। দুই যুবক পাড়ে বসেছিলেন। এরই মধ্যে হঠাৎ করে দু’জন গঙ্গার জলে তলিয়ে যেতে থাকেন। অপরজন কোনওরকমে পাড়ে এসে ওঠেন। নদীর পাড়ে থাকা বন্ধুরা দু’জনকে তলিয়ে যেতে দেখে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। গামছা ছুড়ে দেন জলে ডুবতে থাকা বন্ধুদের দিকে। কিন্তু, চেষ্টা করে কোনও লাভ হয়নি। দুই বন্ধু গঙ্গায় তলিয়ে যেতেই কাটোয়া থানায় খবর দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে কাটোয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পাশাপাশি কাটোয়া থানার পুলিশ বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের খবর দিয়ে নিয়ে আসে। গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়া দুই ছাত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

    কী বললেন কাটোয়ার পুরপ্রধান?

    এ-প্রসঙ্গে কাটোয়ার (Katwa) পুরপ্রধান সমীর সাহা বলেন, ‘গঙ্গাবক্ষের ওই অংশে বেশ কিছু গর্ত রয়েছে। পুরসভার তরফে ওই এলাকায় গঙ্গায় স্নান করতে না নামার সতর্কবার্তা দিয়ে বোর্ডও লাগানো আছে। কিন্তু তারপরেও সেই সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে তাঁরা গঙ্গায় নেমেছিলেন। শুনেছি ওরা ছবি তোলায় মত্ত হওয়ার কারণেই এই বিপত্তি হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিল কেন্দ্র, শুরু হল জমি জরিপের কাজ

    Nadia: কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেলপথ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিল কেন্দ্র, শুরু হল জমি জরিপের কাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর খুব বেশিদিন নয়, নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর যেতে শুধু বাসের উপর জেলার মানুষকে নির্ভর করতে হবে না। কৃষ্ণনগর থেকে ট্রেনে চড়েই সোজা তেহট্ট, করিমপুর পৌঁছে যেতে পারবেন এই এলাকার মানুষ। করিমপুর, তেহট্ট এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের দাবি মেনেই এবার কৃষ্ণনগর থেকে করিমপুর পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারণে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। রেল লাইন তৈরি প্রস্তাব দিয়েছে এমন নয়। চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই রেল সম্প্রসারণের জন্য জমি জরিপের কাজ শুরু করেছে রেল মন্ত্রক। এতদিন এই রেল লাইন সম্প্রসারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। রেল চলাচল শুরু হওয়ার দেড়শো বছর পরও করিমপুর, তেহট্ট রেল মানচিত্রের বাইরে রয়েছে।

    রেলপথ সম্প্রসারণে রেল কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে? (Nadia)

    সিপাহী বিদ্রোহের পর পরই শিয়ালদা থেকে নদিয়ার (Nadia) গেদে হয়ে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া পর্যন্ত ১৩৫ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করা হয়েছিল। আর ১৮৬২ সাল নাগাদ প্রথম এই রেল লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করা শুরু করেছিল। পরবর্তীকালে রানাঘাট-কৃষ্ণনগর হয়ে লালগোলা পর্যন্ত রেল লাইন সম্প্রসারিত হয়। নদিয়ার বুকে রেল চলাচলের প্রায় দেড়শো বছরের বেশি সময় আগে রেল চলাচল শুরু হলেও করিমপুর আজও রেল মানচিত্রের বাইরে। করিমপুর, তেহট্ট, পলাশীপাড়া সহ এই এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে চলাচলের জন্য নির্ভর করতে হয় বাস কিংবা প্রাইভেট গাড়়ির উপর। এবার সেই করিমপুর, তেহট্টকে রেল মানচিত্রের মধ্যে আনতে চলেছে মোদি সরকার। করিমপুরের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সুবিধার জন্য ৮০ কিলোমিটার সমীক্ষার অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বছরের অগাস্টে ইতিমধ্যেই জমা দেওয়া ধারণাগত পরিকল্পনার সঙ্গে মাটি অনুসন্ধানের কাজ, টপোগ্রাফি জরিপ এবং ট্রাফিক জরিপ চলছে। অবিচ্ছিন্ন করিডোর সৃষ্টির লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের পরিকল্পনা প্রস্তুত করার জন্য গ্রামের মানচিত্র সরবরাহ করে সাহায্যের জন্য রেলওয়ে বিভিন্ন মৌজা এবং ব্লক এলাকার ব্লক এবং সংস্কার অফিসারদের চিঠি পাঠিয়েছে রেল। অগাস্ট থেকে জরিপের কাজ শুরু করে রেলওয়ে ইতিমধ্যেই সমীক্ষার একটি অগ্রসর পর্যায়ে পৌঁছেছে। আশা করা হচ্ছে যে কৃষ্ণনগর-করিমপুর নতুন লাইনের জন্য সম্পূর্ণ জরিপ কাজ ছয় মাসের মধ্যে শেষ হবে। এরপর সম্ভাব্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, নদিয়া (Nadia) জেলায় তেহট্ট, করিমপুর, বেতাই, পলাশীপাড়া সব সময় অবহেলিত। এই সব এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষের গণ পরিবহণের ভরসা বাস। পলাশী বা কৃষ্ণনগর স্টেশনে পৌঁছাতেও এই সব এলাকার মানুষের ভরসা বাস। ফলে, দীর্ঘদিন ধরে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রেল লাইন চালু করার আমরা দাবি জানিয়েছি। এর আগে অনেক রাজনৈতিক দল এই রেল সম্প্রসারণের ইস্যুটিকে তুলে ধরে রাজনৈতির ফয়দা তুলেছে। কিন্তু, বাস্তবে কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবার কেন্দ্রীয় সরকার এই রেলপথ সম্প্রসারণে উদ্যোগ নেওয়ায় ভাল লাগছে। রেলপথ তৈরি হলে এই এলাকার লক্ষ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন।

    রেল আধিকারিক কী বললেন?

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এমনকী আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি করার লক্ষ্যে কেন্দ্র সরকারের লক্ষ্যের সঙ্গে সমন্বয়ের জন্য, রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের কাছ থেকে সব ধরনের প্রত্যাশিত সহযোগিতা রেলওয়ে দ্বারা গ্রহণ করা হবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ২০১৪ সালের টেটে সব প্রার্থীকে ৬ নম্বর, হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ২০১৪ সালের টেটে সব প্রার্থীকে ৬ নম্বর, হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল, ২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ছ’টি ভুল প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের ৬ নম্বর দিতে হবে। এবার সেই নির্দেশেই অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পরবর্তীকালে প্রাথমিক চাকরিপ্রার্থীদের একটা অংশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়। পরীক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গতকালই এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। বিচারপতি এএস বেপান্না এবং বিচারপতি পিএস নরসিমহার ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    প্রথম মামলা দায়ের হয় ২০১৮ সালে

    ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার এই মামলাটি উঠেছিল ২০১৮ সালে। তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নগুলিকে যাচাই করতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটি জানায় যে সেখানে ছয়টি প্রশ্ন ভুল রয়েছে। এরপরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, ওই ভুল প্রশ্নের উত্তর যাঁরা দিয়েছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নম্বর দিতে হবে।

    মামলার খুঁটিনাটি

    এরপরে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে  চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে যায়। সেখানে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ২০১৪ সালে যারা টেট দিয়েছিলেন, সেই সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দিতে হবে। পরবর্তীকালে একই নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান এই ৬ নম্বর পাওয়ার ফলে যাঁরা টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তাঁরাও এবারের নিয়োগ প্রক্রিয়া অংশ নিতে পারবেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন প্রায় ২০ লাখ পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাশ করেছিলেন ১ লাখ ২৫ হাজার জন। ২০১৪ সালের সকল প্রার্থীকে ৬ নম্বর দিতে হবে, এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। সেই মামলায় হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: নৈহাটির ‘বড়মা’-র পুজো এবার ১০০ বছরে, ভোর থেকেই শুরু হবে দণ্ডি কাটা

    Kali Puja 2023: নৈহাটির ‘বড়মা’-র পুজো এবার ১০০ বছরে, ভোর থেকেই শুরু হবে দণ্ডি কাটা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নৈহাটির বড়মা ১০০ বছরে পদার্পণ করল। তাই এবার বাড়তি উন্মাদনা পুজো উদ্যোক্তাদের। নতুন মন্দিরে বিশাল জাঁকজমকভাবে মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তি বসানো হয়েছে। উদয়পুর থেকে বড়মায়ের কষ্টি পাথরের মূর্তি নিয়ে আসা হয়েছে। কষ্টি পাথরের বিগ্রহে মায়ের নিত্য পুজো হচ্ছে। আর নিয়ম মেনে মায়ের মৃন্ময়ী মূর্তি তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। মায়ের সোনা, রুপোর কয়েক কেজি গয়না থাকে ব্যাঙ্কে। অন্যবারের মতো এবারও পুলিশি নিরাপত্তার মোড়কে মাকে গয়না পরানো হবে (Kali Puja 2023)। লক্ষ্মীপুজোর দিন জাঁকজমকভাবে মায়ের বিগ্রহের খুঁটি পুজো হয়েছে। বড়মায়ের পুজো ঘিরে নৈহাটিবাসীর উন্মাদনা এখন তুঙ্গে। মায়ের মাহাত্ম্যেই ভক্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

    ভবেশ কালীই আজকের বড়মা (Kali Puja 2023)

    এই পুজোর সৃষ্টির একটি ইতিহাস রয়েছে। নৈহাটির বাসিন্দা ভবেশ চক্রবর্তী এক বন্ধুর সঙ্গে ১০০ বছর আগে নদিয়ার শান্তিপুরে রাস উৎসব দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানে কালীর বড় বিগ্রহ দেখে নৈহাটি ফিরে অরবিন্দ রোডে কালীর বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন। শুরুতে এই কালী প্রতিমা ভবেশ কালী নামেই পরিচিত ছিল। পরবর্তীকালে ২১ ফুটের এই ভবেশ কালীকে বড় কালী বলা হত। কালের নিয়মে এই বড় কালী এখন বড়মা। বড়মায়ের মাহাত্ম্য লোকমুখে ঘুরে বেড়ায়। শুধু জেলার বাসিন্দারা নয়, দূর দূরান্তের হাজার হাজার ভক্ত দণ্ডি কাটার জন্য কালীপুজোর দিন ভোর থেকে গঙ্গায় লাইন দেন। বড় মায়ের পুজো দেখতে এতটাই ভিড় হয় যে অরবিন্দ রোডে ভক্তদের দাঁড়ানোর জায়গা থাকে না। তাই, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই পুজো সম্প্রচারের ব্যবস্থা থাকে। বড় মা পুজো কমিটির সম্পাদক তাপস চক্রবর্তী বলেন, করোনার সময় দু’বছর মানুষের ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারেননি। গত বছর থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে। এবছর তো ভিড় অনেক বাড়বে। সেই মতো ভলান্টিয়ারের ব্যবস্থা থাকছে। পাশাপাশি পুলিশ-প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকছে। কালীপুজোর (Kali Puja 2023) দিন ভোর থেকে ভক্তদের দণ্ডি কাটার জন্য বলা হচ্ছে।

    তৈরি হচ্ছে ৫ তলা ধর্মশালা (Kali Puja 2023)

    বড়মা পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর দেড় কোটি টাকা খরচ করে অরবিন্দ রোডে পাঁচতলা ধর্মশালা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল বড় মা পুজো কমিটির পক্ষ থেকে। প্রতিটি ফ্লোরে ৬ হাজার ৮০০ স্কোয়ার ফুট জায়গা তৈরি করা হচ্ছে। ফলে, ধর্মশালায় অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের থাকার কোনও সমস্যা হবে না। অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বিনা পয়সায় থাকার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বড় মা মন্দির কমিটির কর্মকর্তা তথা নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় বলেন, জি প্লাস ফোর বিল্ডিং তৈরি করা হয়েছে। বড় মা পুজো কমিটির উদ্যোগেই সমস্ত কিছু করা হয়েছে। সেখানে যে কেউ চাইলে আর্থিক সাহায্য করতে পারেন। এই পুজো এবার ১০০ বছরে পদার্পণ করল। এই সময়ের মধ্যে ধর্মশালা চালু করার সব রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতদিন সারা বছর ছবি দিয়ে মায়ের নিত্য পুজো হত। এখন কষ্টি পাথরের বিগ্রহে পুজো হচ্ছে (Kali Puja 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ! উদ্ধার অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, জেলাজুড়ে শোরগোল

    South 24 Parganas: ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ! উদ্ধার অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী থানা এলাকায়। জানা গিয়েছে, বাসন্তীর তিতকুমার বটতলা এলাকায় একটি বাড়িতে অস্ত্রের কারখানা ছিল। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ইস্তাহার গায়েন ও হাসানুর গায়েন সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মূলত তাদের বাড়িতেই অস্ত্র তৈরির কারবার চলছিল। সেখানেই হানা দেয় এসটিএফ। বেআইনি অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়।

    অস্ত্র কারখানা থেকে কী কী উদ্ধার হল?  (South 24 Parganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে ওই এলাকায় গোপনে অস্ত্র তৈরির কাজ চলছিল। আর সেই খবর পাওয়ার পর বাসন্তী থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ সেখানে হানা দেয়। ধৃতদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি একনলা বন্দুক তৈরির উপকরণ মেলে। লোহার পাইপ কাটার মেশিন-সহ অন্যান্য সরঞ্জামও মিলেছে ওই কারখানা থেকে। অন্যদিকে, ক্যানিং থানার তালদি থেকে এক যুবককে বন্দুক-সহ গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বাসন্তী, ভাঙড় এবং ক্যানিং বরাবরই অপরাধপ্রবণ এবং বেআইনি অস্ত্র ও বোমা তৈরির জায়গা বলে পরিচিত। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে ভাঙড় ও বাসন্তীতে দিনের পর দিন মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়ার ঘটনা ঘটে। বহু মানুষের মৃত্যুর খবর মেলে। বেশ কিছু গ্রামে প্রায় ঘরে ঘরে বোমা ও বেআইনি অস্ত্র তৈরির কারখানার হদিশ পাওয়া যায়। একই অবস্থা দেখা যায় ক্যানিংয়েও। মাস খানেক আগে জয়নগর এলাকায় হদিশ পাওয়া গিয়েছিল অস্ত্রের কারখানার। ক্রেতা সেজে অস্ত্র কারবারিদের ধরা হয়েছিল। সেই জের কাটতে না কাটতেই ফের অস্ত্র কারখানার হদিশ মিলল।

    প্রসঙ্গত, বেগম খালেদা জিয়ার আমলে বাংলাদেশে পাকিস্তানি সামরিক গোয়েন্দা বাহিনী ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) অপারেশনাল হেড কোয়ার্টার্স ছিল। তখন থেকেই সুন্দরবন এলাকায় সমুদ্র ও নদীপথে সীমান্ত পেরিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) সপরিবারে কট্টরপন্থী মুসলিম সন্ত্রাসবাদীদের ব্যাপক অনুপ্রবেশ শুরু হয়। রাজনৈতিক মদতে তারা রাতারাতি এদেশের নাগরিক হয়ে যায়। মূলত এদের হাত ধরেই ক্যানিং আর বাসন্তীর বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চোরাকারবারের নেটওয়ার্ক ও বেআইনি অস্ত্র কারখানা ছড়িয়ে পড়ে। একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, এখন বাসন্তী আর ক্যানিংয়ে নিষিদ্ধ মুসলিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (পিএফআই) অনুগামীদের আনাগোনা বেড়েছে। সেইসঙ্গে মুসলিম ধর্মচর্চার নামে আর এক নিষিদ্ধ কট্টরপন্থী সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুত তাহরির-ও (এইচটি) তাদের নেটওয়ার্ক বাড়াচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন মহুয়ার! এথিক্স কমিটির বৈঠক পিছিয়ে হবে ৯ নভেম্বর

    Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন মহুয়ার! এথিক্স কমিটির বৈঠক পিছিয়ে হবে ৯ নভেম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্নকাণ্ডে’ তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল আজ, মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর। তবে সেই বৈঠক পিছিয়ে ৯ নভেম্বর হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মহুয়াকে আগেই তলব করেছিল এথিক্স কমিটি। সেখানেও মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ এবং প্যানেল চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ আনে এথিক্স কমিটি। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া, এই অভিযোগ সামনে এনেছিলেন ঝাড়খণ্ডের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। ঝাড়খণ্ডের সাংসদের বক্তব্যও শোনে এথিক্স কমিটি। পরবর্তীকালে মহুয়ার বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করার জন্য ৭ নভেম্বর বৈঠক ডাকে এথিক্স কমিটি, তবে তা দুদিন পিছিয়ে গেল। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারই তদন্ত রিপোর্টের খসড়া তৈরি করতে পারে কমিটি।

    আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে

    এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হয়ে প্যানেলকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন মহুয়া (Mahua Moitra)। এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকরের অভিযোগ, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ (Mahua Moitra)। অপর প্যানেল সদস্যা অপরাজিতা সারঙ্গি জানান, সমস্ত রকমের শিষ্টাচারের মাত্রা লঙ্ঘন করেছেন মহুয়া মৈত্র। প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ সংবাদমাধ্যমকে দু’পয়সার সাংবাদিক বলে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন। এতে তাঁকে বয়কট করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। মহুয়ার ঔদ্ধত্য যে একেবারেই বদলায়নি, তা এথিক্স কমিটির কথাতেও পরিষ্কার হয়েছে। এথিক্স কমিটির সামনে কেমন আচরণ করছিলেন মহুয়া? বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গির মতে, ‘‘হাবেভাবে খুবই উদ্ধত ছিলেন তিনি। খুবই রুক্ষ ছিলেন। তিনি ভুয়ো বক্তব্য তৈরি করে দেশের মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন। নিজেকে হেনস্থার শিকার হিসাবে তুলে ধরেছেন।’’ এর আগে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ঝাড়খণ্ডের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাইকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের বক্তব্য শুনেছে এথিক্স কমিটি। অর্থাৎ ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে দুপক্ষের বক্তব্যই ইতিমধ্যে শোনা হয়ে গিয়েছে কমিটির। এবার সংসদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে এথিক্স কমিটি।

    টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন মহুয়া?

    ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া, এই অভিযোগে গত মাসেই নিশিকান্ত দুবে চিঠি লেখেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। এরপরই লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ ছিল, হীরানন্দানি শিল্পগোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। পরবর্তীকালে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি নিজের হলফনামায় সে কথা স্বীকারও করেন। মোট ৬৩টি প্রশ্নের মধ্যে ৫০টি প্রশ্নই সাজিয়ে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী নওশাদ? কী বললেন সুকান্ত?

    Lok Sabha Election 2024: ডায়মন্ড হারবারে অভিষেকের বিরুদ্ধে প্রার্থী নওশাদ? কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Election 2024) ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কি প্রার্থী হচ্ছেন আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকী? প্রসঙ্গত, নওশাদ সিদ্দিকীর এক মন্তব্যে এই জল্পনা ছড়িয়েছে। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে আইএসএফের ভাঙড়ের বিধায়কের প্রার্থী হওয়া নিয়ে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে। প্রসঙ্গত রবিবারই আইএসএফ বিধায়ক বলেন, ‘‘দল অনুমোদন দিলে তিনি ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।’’ সম্প্রতি, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যেও উঠে আসে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র। তিনিও ইঙ্গিত দেন অভিষেকের বিরুদ্ধে অন্য কাউকে প্রার্থী করার।

    অভিষেককে চ্যালেঞ্জ নওশাদের

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দেন নওশাদ সিদ্দিকী। তাঁর সংযোজন, ‘‘আমি কনফিডেন্ট, আমি বেশি ভোট পাব। সঠিক যদি ভোট হয় ৪২টি লোকসভাতে (Lok Sabha Election 2024) হারবে তৃণমূল।’’ ২০১৪ থেকে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের অন্দরের খবর, এবারও তিনি ওই কেন্দ্র থেকে লড়বেন। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম যেমন রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছিল, আগামী লোকসভা নির্বাচনে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্র সেরকম রাজ্য রাজনীতির ভরকেন্দ্র হতে চলেছেন।

    নওশাদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    নওশাদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে সোমবার মন্তব্য করতে শোনা গেল সুকান্ত মজুমদারকেও। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য বিজেপিও বলবে খেলা হবে! ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি লড়াই দেবে। সোমবার রাজভবনে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করতে যান বালুরঘাটে সাংসদ। রাজভবন থেকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানিয়ে বেরিয়ে আসার পরে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও জানিয়েছেন যে বিজেপির স্পনসর প্রার্থী কেউ হতে যাবে কেন? বিজেপির সঙ্গে মতাদর্শ সম্পূর্ণ ভিন্ন। যে যেখানে খুশি প্রার্থী হতে পারে! তবে বিজেপিও লড়াই দেবে এবং জিতবে। রেশন দুর্নীতির প্রসঙ্গও সোমবার রাজভবনের সামনে সুকান্তর সাংবাদিক সম্মেলনে উঠে আসে। তিনি বলেন, ‘‘চুরি করেছে। তদন্ত হয়েছে, জেলে গিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই জানতেন না! প্রশাসন জানত না! এটা কী করে হতে পারে? অপেক্ষা করুন। বালু, আলু অনেকেই যাবেন জেলে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share