Blog

  • Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন! মহুয়া ইস্যুতে রিপোর্ট জমা দিতে মঙ্গলবার বৈঠক এথিক্স কমিটির

    Mahua Moitra: ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন! মহুয়া ইস্যুতে রিপোর্ট জমা দিতে মঙ্গলবার বৈঠক এথিক্স কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহুয়া ইস্যুতে রিপোর্ট তৈরি করতে চলেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। এনিয়ে মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর ফের বৈঠক বসছে কমিটির। ঘুষের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ রয়েছে মহুয়ার বিরুদ্ধে। কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্টের খসড়া তৈরি হতে পারে মঙ্গলবারই। ইতিমধ্যে মহুয়াকে (Mahua Moitra) এথিক্স কমিটির সামনে তলব করা হয়েছিল গত ২ নভেম্বর।

    আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগের অভিযোগ মহুয়ার বিরুদ্ধে

    অভিযোগ, প্যানেলের সদস্যদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর ভাষা প্রয়োগ করেছেন মহুয়া। প্যানেলকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন তিনি। এথিক্স কমিটির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকরের অভিযোগ, তদন্তে অসহযোগিতা করছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ (Mahua Moitra)। অপর প্যানেল সদস্যা অপরাজিতা সারঙ্গি জানান, সমস্ত রকমের শিষ্টাচারের মাত্রা লঙ্ঘন করেছেন মহুয়া মৈত্র। প্রসঙ্গত, মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ নিয়ে অভিযোগ রয়েছে দেশের সংবাদমাধ্যম থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে। ২০১৯ সালে লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ সংবাদমাধ্যমকে দু’পয়সার সাংবাদিক বলে অপমানজনক মন্তব্য করেছিলেন। এতে তাঁকে বয়কট করে কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। মহুয়ার ঔদ্ধত্য যে একেবারেই বদলায়নি, তা এথিক্স কমিটির কথাতেও পরিষ্কার হয়েছে। এথিক্স কমিটির সামনে কেমন আচরণ করছিলেন মহুয়া? বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারেঙ্গির মতে, ‘‘হাবেভাবে খুবই উদ্ধত ছিলেন তিনি। খুবই রুক্ষ ছিলেন। তিনি ভুয়ো বক্তব্য তৈরি করে দেশের মানুষকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টা করেছেন। নিজেকে হেনস্থার শিকার হিসাবে তুলে ধরেছেন।’’ এর আগে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী ঝাড়খণ্ডের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে এবং আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাইকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁদের বক্তব্য শুনেছে এথিক্স কমিটি। অর্থাৎ ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে দুপক্ষের বক্তব্যই ইতিমধ্যে শোনা হয়ে গিয়েছে কমিটির। এবার সংসদের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে এথিক্স কমিটি।

    টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন মহুয়া?

    মহুয়ার বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ তোলেন ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। গত মাসেই নিশিকান্ত দুবে এ নিয়ে চিঠি লেখেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে। এরপরই লোকসভার এথিক্স কমিটি মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ ছিল, হীরানন্দানি শিল্পগোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দিতে তাদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করতেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। পরবর্তীকালে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি নিজের হলফনামায় সে কথা স্বীকারও করেন। মোট ৬৩টি প্রশ্নের মধ্যে ৫০টি প্রশ্নই সাজিয়ে দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ০৬/১১/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ০৬/১১/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সন্তানের ব্যবহারে আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করতে পারবেন।

    ২) শরীরে কোথাও আঘাত লাগার আশঙ্কা রয়েছে।

    বৃষ

    ১) ব্যবসা বা অন্য কোনও কাজে বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথা গরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।

    মিথুন

    ১) ব্যবসা গতানুগতিক ভাবেই চলবে।

    ২)  ভাই-বোনের কাছ থেকে সাহায্য পেতে পারেন।

    কর্কট

    ১) উচ্চশিক্ষার্থীদের সামনে ভালো যোগ রয়েছে।

    ২) সপরিবার ভ্রমণে আনন্দ লাভ।

    সিংহ

    ১) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে শারীরিক অসুস্থতা দেখা দিতে পারে।

    ২) কোনও অসৎ লোকের জন্য আপনার বদনাম হতে পারে।

    কন্যা

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) ব্যবসায়ীরা চোখ বন্ধ করে অংশীদারকে বিশ্বাস করলে লোকসানের শিকার হতে পারেন।

    তুলা

    ১) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।

    ২) কাউকে টাকা ধার দিলে বিপদ ঘটতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) সংসারের ব্যয় অনেকটাই বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যাওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ধনু

    ১) আপনার ব্যবহারের কারণে বাড়িতে বিবাদ বাধতে পারে।

    ২) ব্যবসায় বিশেষ লাভের শুভ যোগ দেখা যাচ্ছে।

    মকর

    ১) আপনার কর্মদক্ষতার কারণে জীবিকার স্থানে শত্রু বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বদনাম থেকে সবাই খুব সতর্ক থাকুন।

    কুম্ভ

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।

    মীন

    ১) সঞ্চয়ের ব্যাপারে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।

    ২) ভিটামিনের অভাবে শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি হতে পারে।  

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: ছিটে বেড়ার বাড়ি থেকে অট্টালিকা! উল্কার গতিতে উত্থান রেশন ডিলার নিতাইয়ের

    ED: ছিটে বেড়ার বাড়ি থেকে অট্টালিকা! উল্কার গতিতে উত্থান রেশন ডিলার নিতাইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই রাজ্যের একাধিক জায়গার পাশাপাশি রানাঘাটে রেশন ডিলার নিতাই ঘোষের চালকলে ইডি (ED) হানা দেয়। শুধু চালকল নয়, রানাঘাট শহরের ওল্ড বহরমপুর রোডের পাশে থাকা অট্টালিকার মতো বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দিতেই নিতাই ঘোষকে নিয়ে জেলা জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়।

    কে এই নিতাই ঘোষ? (ED)

    ছোট একটা বেড়ার ঘরে বাবার সঙ্গে গরুর গাড়ির চাকা তৈরির কাজ করতেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় রানাঘাট শহরের রেশন ডিলার বিশ্বনাথ পালের দোকানের কর্মী ছিলেন নিতাই। অল্প দিনের মধ্যেই পাল পরিবারের বিশ্বাস অর্জন করেন তিনি। তারপর রেশন ডিলারের লাইসেন্সও হাতে আসে নিতাইয়ের। শুরু হয় রেশন সামগ্রীর ব্যবসা। এক সময়ে বিশ্বনাথ ও নিতাই যৌথ ভাবে ব্যবসা করতেন। পরে নিতাই নিজের আধিপত্য বিস্তার করেন ও ব্যবসা বাড়িয়ে অন্যান্য রেশন ডিলারদের নিজের ছত্রচ্ছায়ায় নিয়ে আসেন। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, যৌথ ভাবে ব্যবসা করার সময় থেকেই রেশন সামগ্রী কালোবাজারি করার কাজে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় খাদ্য সরবরাহ দফতরের দেওয়া রেশন সামগ্রীর বদলে নিম্নমানের সামগ্রী উপভোক্তাদের দেওয়ার অভিযোগ ছিল। রাস্তার পাশে তাঁদের গরুর গাড়ি চাকা তৈরি করার ভাঙাচোরা ঘরটা এখনও রয়েছে। তার পাশেই উঠেছে তিনতলা বাড়ি। বছর আটেক আগে আনুলিয়ায় চালকল তৈরি করে ব্যবসার পরিধি বাড়ান নিতাই। রানাঘাট রেল বাজারে তাঁর পাইকারি মুদির দোকানও রয়েছে। বর্তমানে রেশন সামগ্রীর ব্যবসা ছাড়াও চালকলের মালিক সেই নিতাই ঘোষই। এমনকী তিনি এখন পশ্চিমবঙ্গ এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের রানাঘাট শাখার সম্পাদকও।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রেশন সামগ্রী নিয়ে অবৈধ কারবার করার জন্য বাম জামানা থেকেই পুলিশ, প্রশাসন ও নেতাদের হাত ছিল তাঁর মাথায়। সরকার বদলের পর শাসক দলের নেতাদের হাত ছিল তাঁর মাথায়। তবে, তিনি কখনও কোনও দলের সামনে আসতেন না। টাকার জোগান দিয়ে নেতাদের মুঠোয় রাখতেন তিনি। ফলে, তাঁকে খুব বেশি কেউ চিনত না। তবে, সামান্য রেশন দোকানের কর্মী থেকে তাঁর উল্কার গতিতে উত্থান নিয়ে এলাকায় চর্চা ছিল। ইডি (ED) তাঁর বাড়িতে হানা দিতেই তিনি ফের চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য! ভেঙে পড়তে পারে দুই রাজ্যের সংযোগকারী সেতু, হুঁশ নেই প্রশাসনের

    Birbhum: বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য! ভেঙে পড়তে পারে দুই রাজ্যের সংযোগকারী সেতু, হুঁশ নেই প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করেই বীরভূম (Birbhum) জেলায় ঝাড়খন্ড লাগোয়া সেতুর কাছেই নদী থেকে অবাধে চলছে বালি উত্তোলন। ফলে, ফাঁকা হয়ে গিয়েছে সেতুর পিলারের নিচের অংশ। পিলারের তলা থেকে বালি ও মাটি সরে যাওয়ায় বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে বাংলা ও ঝাড়খন্ডের সংযোগকারী সেতু। সেতুটি ভেঙ্গে পড়লে সমস্যায় পড়বেন পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খন্ডের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। এলাকার বালি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্যে যেকোনও সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা।

    প্রতিদিন নদী থেকে কত গাড়ি বালি তোলা হয়? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) রামপুরহাট থানার নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবুনি গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে ব্রাহ্মনী নদী। নদীর ওপারে ঝাড়খন্ডের পাকুড় জেলার পাখুড়িয়া থানার বেড়াশিমপুর গ্রাম। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ঝাড়খন্ডের যোগাযোগ করার জন্য ব্রাহ্মনী নদীর উপর গড়ে তোলা হয়েছে ব্রাহ্মনী সেতু। সেতু নির্মাণের সময় থেকেই দুই রাজ্যের প্রশাসন পক্ষ থেকে সেতুর দুই পাশে পাঁচ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী বক্ষ থেকে বালি ও মাটি তোলার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু, সেই নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে সেতু সংলগ্ন এলাকা থেকে অবাধে চলছে বালি উত্তোলন। এলাকাবাসীদের দাবী প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার থেকে ১২০০ ট্রাক্টর বালি তোলে মাফিয়ারা। ব্রাহ্মনী নদীর সেই বালি পাচার হচ্ছে রামপুরহাটের বিভিন্ন এলাকায়। দিনের বেলায় প্রকাশ্য দিবালোকে বালি মাফিয়াদের রমরমা থাকলেও রাতের অন্ধকারে তাদের দাপট আরও বেড়ে যায়। বড় বড় ডাম্পারে করে রামপুরহাট থানার শালবুনী থেকে নারায়ণপুর গ্রামের রাস্তা দিয়ে বালি বোঝায় গাড়ি পৌঁছে যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সেতুর কাছে থেকে বালি তুলতে বারণ করলেও আমাদের কথায় আমল দেয় না বালি মাফিয়ারা। উল্টে তাদের রক্তচক্ষুর শিকার হতে হয়। এরাজ্যের বালি মাফিয়াদের এতটাই দাপট যে তারা ঝাড়খন্ডের পুলিশের উপরেও চড়াও হতে পিছু পা হয় না। সেতুর কাছ থেকে বালি তোলা রুখতে আসা ঝাড়খন্ডের পাখুরীয়া থানার ওসির উপরেও বীরভূমের (Birbhum) শালবুনী এলাকার বালি মাফিয়ারা চড়াও হয়েছিল। সেই ঘটনার পর থেকে বালি মাফিয়াদের দাপটে মুখ বুজে থাকতে হয় আমাদের। তাছাড়া মাফিয়াদের পিছনে শাসকদলের মদত রয়েছে। ফলে, জেলার পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পায়। আমাদের দাবি, দুই রাজ্যের প্রশাসন যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধ করে সেতুটিকে রক্ষা করুক।

    স্থানীয় বিধায়ক কী বললেন?

    স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক তথা ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নদী থেকে বালি তোলার বিষয়টি  আমি জানি। এটা বন্ধ হওয়া দরকার। নাহলে সেতুর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সব স্তরে জানাব। প্রয়োজনে সেচমন্ত্রীকে বলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • GPS Anklet: ‘জিপিএস বেড়ি’ পরানো হল জঙ্গির পায়ে, ইতিহাস তৈরি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের

    GPS Anklet: ‘জিপিএস বেড়ি’ পরানো হল জঙ্গির পায়ে, ইতিহাস তৈরি জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবার জঙ্গিদের গতিবিধি নির্ণয়ের ক্ষেত্রে! সাধারণভাবে জিপিএস সিস্টেমকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় কোনও বস্তুর অবস্থান এবং গতিবিধি। এবার এই সিস্টেমকে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ব্যবহার করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, তাও আবার সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ দমনের ক্ষেত্রে। জামিনে মুক্তি পাওয়া এক জঙ্গির গতিবিধির উপর নজর রাখার জন্য তার পায়ে পরানো হল ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet)। 

    কী এই ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’?

    আদতে ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet) হল অনেকটা নুপূরের মতো। পায়ের গোড়ালিতে তা পরিয়ে দেওয়া হয়। এই যন্ত্রের সাহায্যে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় ওই ব্যক্তি কোথায় যাচ্ছে? কী তার গতিবিধি রয়েছে? ইত্যাদি। কোনও ব্যক্তি যদি এটা খুলে ফেলতে চায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে সংকেত চলে আসে পুলিশের কাছে। যে স্থানে সে এটা খুলছে, সেই অবস্থানও জানতে পারে পুলিশ। জামিনে মুক্তি পাওয়া গুলাম মহম্মদ ভাটের পায়ে শনিবারই জিপিএস পরিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ। আগামী দিনে এই যন্ত্রের আরও ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে ভূ-স্বর্গের প্রশাসন। ভারতে এই যন্ত্র প্রথমবারের জন্য ব্যবহার করা হলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের মতো দেশে জামিনে মুক্ত আসামিদের কিংবা গৃহবন্দীদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে জিপিএস সিস্টেম (GPS Anklet) ব্যবহার করা হয়।

    গুলাম মহম্মদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    জানা গিয়েছে, জঙ্গি গুলাম মহম্মদ ভাটের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, সন্ত্রাসবাদীদের আড়াই লাখ টাকা তহবিল দেওয়ার। সেই টাকা দিতে যাওয়ার আগেই অবশ্য গ্রেফতার করা হয় গুলাম মহম্মদকে। তার বিরুদ্ধে ইউএপিএ-এর বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে তার যোগসূত্রের প্রমাণও মিলেছে। জানা গিয়েছে, গুলাম মহম্মদ সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ ছিল নিষিদ্ধ সন্ত্রাসবাদি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের। ওই সংগঠনের নির্দেশেই সে সন্ত্রাসবাদকে ফান্ডিং করত বলে অভিযোগ। সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ এবং নাশকতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে দিল্লির পাতিয়ালা হাউসের এনআইএ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে। এরপর গুলাম মহম্মদ জামিনের আবেদন করে। সেই মামলার শুনানি মুলতবি থাকাকালীন সে অন্তবর্তী জামিনে মুক্তি চায়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে। তবে শনিবার তাকে মুক্তি দেওয়ার সময়ই ‘জিপিএস ট্র্যাকার অ্যাঙ্কলেট’ (GPS Anklet) পরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার পায়ে।

    কী বলছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন?

    জম্মু-কাশ্মীরের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় পুলিশ আধিকারিক জানাচ্ছেন, সম্প্রতি এনআইএ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইউএপিএ আইনে জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর শর্তাবলী আরোপ করার। মুক্তির পরেও জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের উপর কড়া নজর রাখা উচিত বলে পর্যবেক্ষণে জানায় আদালত। তারপর এনআইএ আদালতের নির্দেশেই অভিযুক্তের পায়ে জিপিএস পরানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশে জঙ্গি দমনে নতুন প্রযুক্তির (GPS Anklet) ব্যবহার দেখা গেল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল! প্রাণ কাড়ল চারজনের, বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Cooch Behar: দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির দল! প্রাণ কাড়ল চারজনের, বন দফতরের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতির হানায় বেঘরোরে প্রাণ গেলে চারজনের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের (Cooch Behar) শীতলকুচি ও মাথাভাঙা এলাকায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাতির হামলায় যে চার জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা হলেন বুদেশ্বর অধিকারী (৫৯), আনন্দ বিশ্বাস (৬৫), জয়ন্তী সরকার (৪৬) এবং রেখারানি রায় (৬৮)। বুদেশ্বর ও আনন্দের বাড়ি শীতলকুচির টাউরিকাটা ও ভানুরকুঠিতে। বাকি দু’জনের বাড়ি মাথাভাঙা ২ নম্বর ব্লকের উনিশবিশায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    বন দফতরের অনুমান, জলদাপাড়া বা চিলাপাতার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে তোর্সা নদী পেরিয়ে কোচবিহারে (Cooch Behar) ঢুকে পড়ে হাতির দলটি। রাতভর চেষ্টা চালিয়েও হাতিগুলিকে ফেরাতে পারেননি বনকর্মীরা। পরে, দিনহাটা থেকে শীতলকুচিতে পৌঁছয় হাতির দলটি। সাতসকালে শীতলকুচি ব্লকের বড় গদাইখোড়া এলাকায় জমিতে কাজ করতে গিয়ে হাতির হামলার মুখে পড়েন আব্দুল মজিদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি। শিবপুরে হাতির হামলায় মহম্মদ আলি নামে এক ব্যক্তি জখম হন । প্রত্যেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর পরে, গদাইখোড়া থেকে গাংধর হয়ে মাথাভাঙা ১ ব্লকের শিবপুরে ধরলা নদীর কাছে ছ’টি হাতির দল তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক সঙ্গে চারটি হাতি এক দিকে যায়। বাকি দু’টি দু’দিকে চলে যায়। এর পরেই মাথাভাঙা ২ ব্লকে ওই হাতির হামলায় দু’জনের মৃত্যু হয়। সূত্রের খবর, রেখারানি বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন। সে সময় হাতি তাঁকে পিষে দেয়। জয়ন্তী সরকার ছেলেকে ডাকতে বাইরে বেরিয়ে হাতির মুখে পড়ে যান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে দু’জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। হাতির হামলায় এক জন বনকর্মীও জখম হয়েছেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    হাতির তাণ্ডবের কারণে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এমনভাবে হাতি কোচবিহারের (Cooch Behar) গ্রামে ঘুরে বেড়ানোর ঘটনা খুব কম। তাই আরও পরিকল্পিত ভাবে মাঠে নামতে হত বন দফতরকে। পাশাপাশি, হাতির গতিপথ ধরে গ্রামে-গ্রামে সতর্কবার্তা দিতে হত। তা হলে বিপদ এড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু, বন দফতর তা করেনি। এই মৃত্যুর জন্য বন দফতরের গাফিলতি দায়ী।

    কী বললেন কোচবিহারের এডিএফও?

    কোচবিহারের এডিএফও বিজন নাথ বলেন, আচমকাই হাতির দলটি ঢুকে পড়ে কোচবিহারের (Cooch Behar) গ্রামে। অল্প সময়ে সব রকম চেষ্টা চালানো হয়েছে। তার পরেও চার জনের মৃত্যু হয়েছে। হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফেরানোর সব রকম চেষ্টা চলছে। নিয়ম মেনে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: হঠাৎ বাতিল যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক! শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেই কি এই সিদ্ধান্ত?

    Jadavpur University: হঠাৎ বাতিল যাদবপুরের কর্মসমিতির বৈঠক! শিক্ষামন্ত্রীর হুঁশিয়ারিতেই কি এই সিদ্ধান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত ফের একবার সামনে এল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসমিতির বৈঠককে কেন্দ্র করে। প্রসঙ্গত, শনিবার বিকাল ৫ টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) কর্ম সমিতির বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর হুঁশিয়ারিতেই তা বাতিল হয়েছে বলে দাবি করছে কোনও কোনও মহল। শিক্ষামন্ত্রী হঠাৎ কর্মসমিতির বৈঠক বাতিল করার হুঁশিয়ারি (Jadavpur University) দিতে যাবেন কেন? এর কারণ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে বুদ্ধদেব সাউকে নিয়োগ করেছিলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    আরও পড়ুন: সৌমেন মহাপাত্রকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বললেন তৃণমূলের যুব নেতা, কেন জানেন?

    রাজ্যপালের করা নিয়োগ মানতে চায়নি রাজ্য

    রাজ্যপালের করা উপাচার্য নিয়োগকে মানতে চায়নি রাজ্য। সেখানেই রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে সংঘাত বাঁধে রাজভবনের। সরকারের যুক্তি, বুদ্ধদেব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) স্থায়ী উপাচার্য নন। সেই হিসেবে কর্মসমিতির বৈঠক ডাকার তাঁর এক্তিয়ার নেই। এই একই মর্মে নোটিশও পাঠানো হয় বিকাশ ভবন থেকে। তবে বুদ্ধদেব সাউ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, উপাচার্য হিসেবে তিনি যখন নিয়োগ পেয়েছেন তখন সে দায়িত্ব পালন করার যথাযথ অধিকার তাঁর রয়েছে। তবে শনিবার কর্ম সমিতির বৈঠক বাতিল ফের একবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতকে জটিল করে তুলল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    মাত্র ৫ মিনিট আগে বৈঠক বাতিল

    শনিবারই নির্ধারিত কর্মসূচির (Jadavpur University) বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু হঠাৎ করেই জানিয়ে দেন বৈঠক হচ্ছে না। তা বাতিল করা হয়েছে। পরবর্তী কবে বৈঠক হবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার। তবে কী কারণে এই বৈঠক বাতিল হয়েছে সে বিষয়ে কিছু জানান নি স্নেহমঞ্জু বসু। বিকাল পাঁচটা থেকে শনিবার বৈঠকের কথা থাকলেও মাত্র পাঁচ মিনিট আগে ঠিক ৪টা ৫৫ মিনিটে এই বৈঠক বাতিলের ঘোষণা করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Stroke: তিরিশের আগেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি! কর্মক্ষেত্রের চাপই কি তরুণদের বিপদের কারণ?

    Stroke: তিরিশের আগেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি! কর্মক্ষেত্রের চাপই কি তরুণদের বিপদের কারণ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বয়সের সীমানায় আর আটকে থাকছে না। বিপদ এখন তিরিশের চৌকাঠের আগেই। ভারতে বাড়ছে স্ট্রোকের (Stroke) ঘটনা। মস্তিষ্কের স্নায়ুর সমস্যা থেকেই স্ট্রোক হয়। ভারত সহ গোটা বিশ্বে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণ স্ট্রোক। অর্থাৎ, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারত তথা গোটা বিশ্বে যত মানুষ প্রত্যেক বছর মারা যাচ্ছেন, তাদের মৃত্যুর অন্যতম কারণ স্ট্রোক। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, কয়েক দশক আগেও পঞ্চাশোর্ধ্ব ব্যক্তিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে দেখা গিয়েছে, কম বয়সীদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। এর ফলে আজীবন পঙ্গু হয়ে থাকার ঝুঁকিও দেখা দিচ্ছে।

    কী বলছে পরিসংখ্যান? (Stroke)

    সম্প্রতি প্রকাশিত এক আন্তর্জাতিক সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ছে। ২৫-৩০ বছর বয়সীদের প্রায় ৩০ শতাংশের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। এই ঝুঁকি যথেষ্ট উদ্বেগের বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্ট্রোক হলে অনেকে প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাওয়া যায় না। তাঁদের নানান স্নায়বিক সমস্যা হয়। তাঁরা কাজ করতে পারেন না। তাই তরুণ প্রজন্মের মধ্যে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বেশি দেখা দিলে, তা বাড়তি উদ্বেগের বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, রক্তচাপ ওঠানামা করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। তাই তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি হচ্ছে। পাশপাশি, তরুণ প্রজন্মের বড় অংশের রাতে ঘুমের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। অধিকাংশের রাত জেগে অফিসের কাজ করতে হয়। কিংবা দীর্ঘ সময় ল্যাপটপের সামনে বসে থাকতে হয়। রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া এবং দীর্ঘ সময় এক জায়গায় বসে থাকার জেরে একাধিক হরমোন ঘটিত ও স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর জেরে স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস আক্রান্তদের স্ট্রোকের ঝুঁকি থাকে। ভারতে কম বয়সীদের মধ্যে ডায়বেটিস বাড়ছে। কর্মক্ষেত্রের চাপ, আধুনিক ব্যস্ত জীবনের জটিলতা হাইপারটেনশনের সমস্যা ডেকে আনছে। ডায়বেটিসের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতা স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে খাদ্যাভ্যাস সংক্রান্ত নানান সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অনেকের খাবার খাওয়ার ব্যবধান অনেক বেশি হচ্ছে। আবার অনেকেই ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত হয়ে উঠছে। আর এগুলো স্থূলতার সমস্যা তৈরি করে। তাই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, হাইপারটেনশনকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। কর্মক্ষেত্রে হোক কিংবা ব্যক্তিগত জীবন, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। তবেই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমবে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যোগাভ্যাস একদিকে শরীর সুস্থ রাখে, আরেকদিকে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। মানসিক চাপ, অবসাদের মতো সমস্যাকে রুখতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস করলে স্ট্রোকের (Stroke) ঝুঁকি কমবে। 
    এর পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের দিকেও নজর দেওয়া জরুরি বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, খাবার খাওয়ার মাঝের ব্যবধান কমাতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর পরিমিত খাবার খাওয়া দরকার। যাদের কাজের চাপে সময় মতো খাওয়া হয় না, তাদের জন্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ড্রাই ফ্রুটস, বিস্কুট, ফলের মতো খাবার সঙ্গে রাখা দরকার। 
    বিরিয়ানি, পিৎজা, বার্গারের মতো খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা। তাঁরা জানান, স্থূলতা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে পারবে তরুণ প্রজন্ম।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: আড়ম্বর নয়, ভক্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই বয়রা কালীবাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য

    Kali Puja 2023: আড়ম্বর নয়, ভক্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই বয়রা কালীবাড়ির পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু উত্তর দিনাজপুর নয়, বলতে গেলে গোটা উত্তরবঙ্গের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী কালীপুজোগুলির মধ্যে আজও উজ্জ্বল উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জের বয়রা কালীবাড়ির পুজো। আড়ম্বর নয়, ভক্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই এই পুজোর (Kali Puja 2023) অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রাচীনত্ব এবং দেবীর অলৌকিক মহিমার টানেই পুজোর রাতে বহু মানুষ ভিড় করেন এখানে।

    বয়রা গাছের নিচে পুজোর প্রচলন (Kali Puja 2023)

    উল্লেখ্য, উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ শহরে অবস্থিত বয়রা কালীবাড়ির কালীপুজো অনেক প্রাচীন। এই কালীবাড়ির পুজোর বয়স কত, তার হিসেব অজানা সকলের। কথিত আছে, প্রবীণ এক সাধক বয়রা গাছের নিচে প্রথম কালীপুজোর প্রচলন করেন। শোনা যায়, এখানে দুটি নদী ছিল। একটির নাম রুহিতর এবং অপরটির নাম শ্রীমতি। এই দুটি নদী দিয়ে বড় বড় নৌকা করে বাণিজ্য করতে আসতেন দূর দূরান্ত থেকে অনেক বণিক। রুহিতর নদীটি এখন মজে গিয়েছে ও শ্রীমতি নদীটিরও প্রায় একই অবস্থা। এখানে বণিকরা এসে বিশ্রাম করতেন এবং সেই জায়গাটি ছিল জঙ্গলে ভর্তি। পাশে একটি ছোট ঘর ছিল। বর্তমানে সেই জায়গাটির নাম গুদরি বাজার। মূলত সেই ঘরটিতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় গড়ে ওঠে দেবীর নতুন মন্দির। এরপর কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ আধিকারিক সুকুমার ঘোষ মন্দিরটির সংস্কার করেন। এরপর থেকে দেবীর অলৌকিক ক্ষমতার কথা লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে। মন্দিরে বসানো হয় দেবীর অষ্টধাতুর মূর্তিও। আর বর্তমানে কালীপুজোর দিন থেকেই হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয় এই মন্দির প্রাঙ্গণে (Kali Puja 2023)। শুধু জেলা নয়, জেলার বাইরে থেকেও লোক সমাগম হয় এই মন্দির প্রাঙ্গণে।

    মানত করেন অনেকেই (Kali Puja 2023)

    শাস্ত্রমতে দেবী পূজিতা হন এখানে। এই কালীবাড়ির অলৌকিক ক্ষমতার নানা গল্পকথা ছড়িয়ে রয়েছে সর্বত্র। নিজ নিজ মনস্কামনা পূরণে কালীপুজোর রাতে ভক্তদের প্রার্থনা আর মন্ত্রোচ্চারণে সরগরম হয়ে ওঠে এই মন্দির প্রাঙ্গণ। পুজো কমিটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই কালীপুজো দীর্ঘদিনের প্রাচীন। মানুষ ভক্তি আর নিষ্ঠা মেনেই মায়ের মন্দিরে পুজো দেন। পুজোর কটা দিন দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে বেড়াতে আসেন। পুজো দেন মায়ের কাছে। মানত করেন অনেকেই। কালীপুজোর আর বেশি দেরি নেই৷ তবে দৈনিক মায়ের পুজো হয়। প্রচুর মানুষ প্রতিদিন এখানে পুজো দিতে আসেন। ভক্তি আর নিষ্ঠা মেনে এখানে পূজিতা হন বয়রা মা (Kali Puja 2023)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chhattisgarh Bjp: ভোটের মুখে মাওবাদীদের হাতে খুন ছত্তিশগড়ের বিজেপি নেতা

    Chhattisgarh Bjp: ভোটের মুখে মাওবাদীদের হাতে খুন ছত্তিশগড়ের বিজেপি নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন পরেই ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh Bjp) প্রথম দফায় কুড়িটি আসনে নির্বাচন রয়েছে। ঠিক তার আগে শনিবার খুন হয়ে গেলেন সে রাজ্যের বিজেপির এক স্থানীয় নেতা। অভিযোগ মাওবাদীরা খুন করেছে বিজেপি নেতা রতন দুবেকে। জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে মাওবাদী অধ্যুষিত নারায়ণপুর জেলার কৌশলনগর এলাকায় দলের নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত ছিলেন বিজেপি নেতা রতন দুবে। স্থানীয় বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছিলেন তিনি সেই সময় তাঁকে খুন করে অজ্ঞাতপরিচয় কিছু দুষ্কৃতী। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ৭ নভেম্বর ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh Bjp) প্রথম দফায় ২০টি আসনের নির্বাচন রয়েছে। ওই কুড়িটি আসনের মধ্যে ১২টি আসনই মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তার ডিভিশনের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 

    কীভাবে খুন করা হয় বিজেপি নেতাকে

    জানা গিয়েছে, শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ঝাড়াঘাট থানার অন্তর্ভুক্ত কৌশলনগর গ্রামে বাজারের কাছে একটি জনবহুল এলাকায় তিনি বক্তব্য রাখছিলেন নিহত বিজেপি নেতা। এমনই সময় দুইজন ব্যক্তি ভিড়ের মধ্য থেকে আসে। রতন দুবের ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে পিছন দিক থেকে আঘাত করে। আক্রমণ থেকে বাঁচতে রতন দুবে কোনওভাবে তাঁর গাড়ির কাছে ছুটে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময়ে আশেপাশে আরও অনেকজন দুষ্কৃতী জড়ো হয়ে যায় এবং তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে বিজেপি নেতাকে (Chhattisgarh Bjp)। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

    দলীয় নেতা খুনের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ রমন সিং-এর

    এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh Bjp) বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমন সিং। তিনি বলেন, ‘‘বিধানসভা নির্বাচনের আগে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের পার্টি কর্মীদের উপর আঘাত হানা হচ্ছে। আমাদের সহকর্মীদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই এই মাওবাদীরা ছত্তিশগড় থেকে মুছে যাবে। দোষীরা তাদের শাস্তি পাবে।’’ প্রসঙ্গত রতন দুবের আগেও চলতি ২০২৩ সালে আরও পাঁচজন বিজেপি নেতা-কর্মীকে খুন করে মাওবাদীরা। ছত্তিশগড় রাজ্য বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে নিহত রতন দুবে নারায়ণপুর জেলা বিজেপির সহ-সভাপতি ছিলেন। ওই জেলার জেলা পরিষদের সদস্যও তিনি। জানা গিয়েছে, ওই এলাকা ইতিমধ্যে ঘিরে রয়েছে ছত্তিশগড় পুলিশের একটি বড় দল। রাস্তায় তারা টহলও দিচ্ছে। আশেপাশের সমস্ত জায়গাতে তল্লাশি অভিযানও চলছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share