Blog

  • IPL: আইপিএল-এ নজর সৌদির রাজার! বিনিয়োগ করতে চান ৫০ হাজার কোটি টাকা

    IPL: আইপিএল-এ নজর সৌদির রাজার! বিনিয়োগ করতে চান ৫০ হাজার কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খেলাধুলার প্রতি সৌদি আরবের আগ্রহ নতুন কিছু নয়। ফুটবল, গলফ এ সমস্ত খেলায় কোটি কোটি টাকা ঢালতে দেখা গিয়েছে সৌদি আরবকে। ফুটবল জগতে রোনাল্ডোর মতো তারকাকেও নিয়ে এসেছেন তাঁরা ঘরের মাঠে। এবার সৌদি আরবের নজরে আইপিএল-এ। প্রসঙ্গত, আইপিএল (IPL) হল বিশ্বের সবথেকে ধনী ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। সেখানেই বিনিয়োগ করবেন সৌদির রাজা প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন। এর পাশাপাশি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (IPL) একটা বড় অংশীদারিত্ব নেওয়ার ভাবনাচিন্তাও তাঁর রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

    ভারত সরকারের সঙ্গে কথা সৌদির রাজার

    এ ব্যাপারে ভারত সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যে কথাবার্তাও বলেছে সৌদি আরব। আইপিএলকে (IPL) তারা একটি হোল্ডিং কোম্পানিতে পরিণত করতে চায়। যার বাজার মূল্য হবে প্রায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকা। এর পাশাপাশি আইপিএলের ৫০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতেও রাজি সে দেশের সরকার। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই ভারত সফরে এসেছিলেন প্রিন্স সলমন। সূত্রের খবর সেখানেই সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়। জানা গিয়েছে, আইপিএলকে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা রয়েছে সৌদি আরবের। তবে এখনও বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে এ নিয়ে কোনও বিশেষ বার্তা তারা পায়নি।

    প্রথমবারের জন্য আইপিএল-এর নিলাম দুবাইয়ে

    প্রথমবারের জন্যই আইপিএলে (IPL) নিলাম হতে চলেছে বিদেশে। শুক্রবারে বিসিসিআই-এর তরফে জানানো হয় যে দুবাইয়ে আইপিএলের নিলাম হবে আগামী বছরের ১৯ ডিসেম্বর।  জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে দুবাইয়ের মিনি নিলামের বিষয়ে আইপিএলের দশটি ফ্রাঞ্চাইজিসকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বিসিসিআই এর তরফে। ওই চিঠি অনুযায়ী ২৬ নভেম্বরের মধ্যে ক্রিকেটারদের ছাড়তে হবে ফ্রাঞ্চাইজিসগুলিকে। এর আগে ক্রিকেটারদের ছাড়ার সময়সীমা ছিল ১৫ নভেম্বর। তা ১১ দিন বাড়ানো হল। প্রতিটি ফ্রাঞ্চাইজিসের কাছে ১০০ কোটি টাকা থাকবে ক্রিকেটারদের কেনার জন্য। প্রসঙ্গত, গত বছর ইস্তানবুলে নিলামের আয়োজন করার কথা ভেবেছিল বিসিসিআই। পরে অবশ্য সেই ভাবনা থেকে সরে আসে তারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নাম করে প্রতারণা! কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট সাফ করল প্রতারকরা

    Fraud: কোচবিহারের পুলিশ সুপারের নাম করে প্রতারণা! কৃষ্ণনগরের স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট সাফ করল প্রতারকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিত্য নতুন কৌশলের মাধ্যমে রাজ্যজুড়়ে সাধারণ মানুষের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। দুদিন আগেই সেনা বাহিনীর নাম করে বারাকপুরে একটি ডায়াগনাস্টিক সেন্টারের দুই কর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিয়েছে প্রতারকরা। এরইমধ্যে আবার কোচবিহার জেলার পুলিশ সুপারের নাম ভাঙিয়ে এক স্কুল শিক্ষকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। প্রতারিত স্কুল শিক্ষকের নাম গৌতম মণ্ডল। তাঁর বাড়ি বারাকপুর। আর তিনি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। তিনি কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে, পুলিশ- প্রশাসনের কর্তাদের নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারকেরা যদি এমন প্রতারণা (Fraud) ঘটানোর সাহস পায়, সে ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ কী করবেন, উঠেছে সে প্রশ্নও।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Fraud)

    লেখালেখির সুবাদে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য  এবং কৃষ্ণনগরের শিক্ষক গৌতম মণ্ডল পূর্ব পরিচিত। অভিযোগ, গত ৩০ অক্টোবর দ্যুতিমানের নামে বানানো মেসেঞ্জার থেকে কম দামে আসবাব ও গাড়ি কেনার দু’টি প্রস্তাব পান গৌতম। মেসেঞ্জার বার্তায় বলা হয়েছিল, এসপির বন্ধুস্থানীয় কপিল কুমার নামে সিআইএসএফের এক আধিকারিক কলকাতা থেকে হঠাৎ বদলি হয়ে কাশ্মীর চলে যাচ্ছেন। তিনি কম দামে আসবাব বিক্রি করতে চান। আপনি (গৌতম মণ্ডল) যেন সে সুযোগ হাতছাড়া না করেন। ওই মেসেজের পরে, কপিল কুমার বলে পরিচয় দিয়ে এক জন ফোন করে গৌতমবাবুকে। হোয়াটসঅ্যাপে আসবাবপত্রের ছবিও পাঠায়। পুলিশ সুপারের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা না বলে গৌতমবাবু আসবাবের জন্য কৃষ্ণনগরের একটি রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে ৬০,০০০ টাকা ‘ট্রান্সফার’ করেন। অভিযোগ, এরপরে, আসবাব পাঠানোর গাড়ির ‘সিকিওরিটি মানি’ হিসাবে ‘ফেরতযোগ্য ২১ হাজার টাকা চায় ‘প্রতারক’। গৌতমবাবু তাও দেন। তাঁর দাবি, এর পরে একটি গাড়ির ছবি পাঠিয়ে সেটিও কিনতে তাঁকে ‘প্ররোচিত’ করা হয়। সন্দেহ হওয়ায় সরাসরি কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে ফোন করেন গৌতমবাবু। তারপরই প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি তিনি জানতে পারেন।

    কী বললেন প্রতারিত শিক্ষক?

    প্রতারিত শিক্ষক গৌতমবাবু বলেন, সমস্ত বিষয়টি পুলিশকে জানাই। সব শুনে এসপি জানান, এটা সাইবার অপরাধের ঘটনা। এর আগেও পুলিশ সুপারের নামে সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে প্রতারণা (Fraud) করা হয়েছে। পুলিশ সুপারের সঙ্গে ফোনে কথা না বলে টাকা দিতে গেলেন কেন? গৌতমের দাবি, কৃষ্ণনগরে একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করলেও পুরো টাকা আমি পাইনি। সে ব্যাপারে পুলিশ সুপারের সাহায্য নেব ভেবেছিলাম।  তাই কোচবিহারের এসপির নাম করে পাঠানো মেসেজে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিলাম।

    কী বললেন কোচবিহারের জেলা পুলিশ সুপার?

    কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, সাইবার অপরাধীরা দু’ভাবে প্রতারণা (Fraud) করার চেষ্টা করছে। এক, ভয় দেখিয়ে, দুই, লোভ দেখিয়ে। তাঁর বক্তব্য, আইনানুগ যা-যা ব্যবস্থা নেওয়ার সব নেওয়া হয়েছে। এ সব ক্ষেত্রে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আচমকা এমন কোনও প্রস্তাব পেলে, সঙ্গে সঙ্গে নির্দিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। তা হলেই সব স্পষ্ট হবে।

    নদিয়ার পুলিশ সুপারের কী বক্তব্য?

    কৃষ্ণনগর পুলিশ-জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, সাইবার প্রতারণার অনেক অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়ছে। গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। নাগরিকদের সতর্ক করতে সচেতনতা প্রচার চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ০৪/১১/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ০৪/১১/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) মনের মতো পরিবেশ পেতে পারেন ঘরে বাইরে।

    ২) দাম্পত্য জীবন খুব ভাল কাটতে পারে। 

    বৃষ

    ১) সময়ের সঙ্গে একটু তাল মিলিয়ে চলুন।

    ২) ব্যবসায় ভাল লাভের সময়।

    মিথুন

    ১) নিজের জেদের জন্য কোনও ক্ষতি হতে পারে।

    ২) সম্পত্তির ব্যাপারে কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে বিবাদ বাধতে পারে।

    কর্কট

    ১) অভিনয়ের প্রতি অনুরাগ বাড়তে পারে।

    ২) আয়ের দিক থেকে দিনটি ভাল। 
      
    সিংহ 

    ১) কোনও ভাল কাজ না হওয়ায় মনঃকষ্ট।

    ২) নতুন চাকরির চেষ্টা করতে পারেন। 

    কন্যা

    ১) রাজনীতির লোকেদের জন্য ভাল খবর আসতে পারে।

    ২) সারা দিন ব্যস্ত থাকতে হবে। 

    তুলা 

    ১) কাজ নিয়ে ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) পাওনা আদায় নিয়ে বিবাদ হতে পারে। 

    বৃশ্চিক

    ১) কীটপতঙ্গ থেকে একটু সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারে ব্যয় অনেক বেড়ে যাবে। 

    ধনু

    ১) সকালের দিকে শরীরে আঘাত লাগতে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে শান্তি পেতে পারেন। 

    মকর

    ১) কোনও আশা ভঙ্গ হতে পারে।

    ২) দূরে কোথাও ভ্রমণের আলোচনা হতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) অতিরিক্ত কথায় বাড়িতে বিবাদ।

    ২) শরীরে কষ্ট বাড়তে পারে। 

    মীন

    ১) শরীরে যন্ত্রণা হতে পারে।

    ২) প্রেমে বিরহ আসতে পারে। 

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: কেষ্ট বনাম কাজলের অভিনব পোস্টার এবার টোটোতে, কী লেখা রয়েছে জানেন?

    Anubrata Mondal: কেষ্ট বনাম কাজলের অভিনব পোস্টার এবার টোটোতে, কী লেখা রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এখন তিহার জেলে রয়েছেন। কেষ্টহীন বীরভূমে কাজলের উত্থান নিয়ে জেলাজুড়ে চর্চা রয়েছে। দলীয় কার্যালয় থেকে একে একে কেষ্টর ছবি মুছে ফেলা হচ্ছে। কেষ্টর অনুগামীরাও জেলায় কোণঠাসা হতে শুরু করেছেন। কয়েকদিন আগে তাঁর ভাইকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। থানায় লুটিয়ে পড়ে রয়েছেন তিনি। পুলিশ ফিরেও তাকাচ্ছে না তাঁর দিকে। সেই ছবি দেখেছে রাজ্যবাসী। একসময়ের কেষ্ট গড়ে এখন তাঁর বিরোধী গোষ্ঠী কাজল শেখের রমরমা। এবার সেই কাজল বনাম কেষ্টর পোস্টার উঠে এল শান্তিনিকেতনে ঠাকুরের টোটোতে। আগত পর্যটকেরা প্রতিবাদী টোটোতে ভয় না পেয়ে, ঠাকুরের উদ্যোগকে সমর্থন করছেন।

    কী রয়েছে টোটোর পিছনে সাঁটানো পোস্টারে? (Anubrata Mondal)

    শান্তিনিকেতনের রাস্তায় এর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বদের কটাক্ষ, প্রতিবাদ ছবি পোস্টার টোটোতে লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন ঠাকুর। যার নাম সুখেশ চক্রবর্তী। তাঁর বাড়ি আবার অনুব্রত মণ্ডলের পাড়াতে। এর আগে পার্থ-অর্পিতা সহ বিভিন্ন তৃণমূল নেতার ছবি টোটোতে নিয়ে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বনাম যুযুধান নেতা কাজল সেখ-এর পোস্টার টোটোতে লাগিয়ে ঘুরছেন ঠাকুরসাহেব। পোস্টারের উপরে লেখা রয়েছে,..’সত্য পথে চললে পড়ে জীবনে অনেক দুঃখ-কষ্ট আসে, কিন্তু, সত্যের জয় হয় শেষে’ নীচে দুটি ছবি রয়েছে। বাঁদিকে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে রয়েছেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ। সেই ছবির পাশে পাশে নীল বাতি সাদা গাড়ি। ঠিক নীচে লেখা রয়েছে,’অসৎ পথে চলে পড়ে এই পরিণতি হয় শেষে’। লেখার ঠিক নীচে বাঁদিকে আছে কালো গাড়ি, লালবাতি। যে গাড়ি নিয়ে জেলা ঘুরতেন অনুব্রত মণ্ডল। আর এই ছবির পাশে অনুব্রত মণ্ডল কার্টুন ছবি গারদে ভিতরে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন টোটো চালক?

    টোটো চালক সুখেশ চক্রবর্তী বলেন, কাজলদা বহুদিন ধরে রাজনীতি করছেন। এতদিন পর তিনি সন্মান পেলেন। একজনের কারণে তিনি অবহেলিত ছিলেন। অবশেষে তিনি যোগ্য সন্মান পেয়েছেন। আর কেষ্টদা (Anubrata Mondal) দুর্নীতি করেছিলেন বলেই সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি অন্যায় করেছিলেন বলেই তাঁর আজ এই পরিণতি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: সেনাবাহিনীর নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ! প্রতারণার কৌশল দেখে তাজ্জব সকলে

    Barrackpore: সেনাবাহিনীর নাম করে অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সাফ! প্রতারণার কৌশল দেখে তাজ্জব সকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেনাবাহিনীর নাম করে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল এক চক্রের বিরুদ্ধে। টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কৌশল দেখে হতবাক প্রতারিতরা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে  বারাকপুর (Barrackpore) শহরে। এই ঘটনা জানাজানি হতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুরের (Barrackpore) একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি নম্বর থেকে ফোন আসে। বারাকপুর সেনা ছাউনি থেকে বলছি বলে সেন্টারের কর্মীকে বলা হয়, ২৭ জন জওয়ানের রক্ত পরীক্ষা হবে। শুক্রবার সকালে সেনা ছাউনিতে এসে তাদের রক্ত নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। গেট পাশের জন্য সেন্টারের দুই কর্মীর আধার কার্ড চাওয়া হয়। কথাবার্তা দেখে কোনও সন্দেহ না হওয়ায় বিশ্বাস করে দুই কর্মী তাঁদের আধার কার্ড দিয়ে দেন। রাত নটার দিকে ফের ফোন করা হয় ওই নম্বর থেকে। এরপর রক্ত পরীক্ষা করতে কত টাকা লাগবে, তার হিসেব চাওয়া হয়। সেন্টারের পক্ষ থেকে হিসাব দেওয়ার পর তাদের কাছ থেকে অনলাইনে পেমেন্ট করার দুটি ফোন নম্বর চাওয়া হয়। সেই মতো সেন্টারের দুই কর্মী তাদের ফোন পে নম্বর দেন। সেই নম্বরে বেশ কিছুটা টাকাও পাঠায় প্রতারকরা। ঘণ্টা খানেক পর দুটি অ্যাকাউন্ট থেকেই সমস্ত টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। অ্যাকাউন্ট থেকে এভাবে টাকা সাফ হতে দেখে হতবাক হয়ে যান প্রতারিতরা। এরপর তাঁরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    প্রতারিত হওয়া কর্মীর কী বক্তব্য?

    সংস্থার এক কর্মী শম্পা সাহা বলেন, ওরা যেভাবে কথা বলছিল, তাতে আমাদের কোনও সন্দেহ হয়নি। তাছাড়া আমাদের অনলাইনে অ্যাকাউন্ট নেওয়ার পর সেখানে টাকা পাঠায়। আমাদের অনেকটাই বিশ্বাস জন্মেছিল। এক ঘণ্টার মধ্যে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা উধাও হয়ে যাবে আমরা বুঝতেই পারিনি। সব মিলিয়ে ৬০ হাজার টাকা  লুট করে নিয়েছে প্রতারকরা।

    সংস্থার মালিক কী বললেন?

    ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্ণধার মানস দে বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠান ২৩ বছরের পুরনো। বহু সেনাকর্মী আমাদের কাছে রক্ত পরীক্ষা করেন। এভাবে প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পারছি না। শুধু আধার কার্ড দেওয়ার জন্য এভাবে টাকা লুট হয়ে যায়! ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সুরক্ষা নিয়ে আমাদের প্রশ্ন রয়েছে। সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: দেবীর বাঁ পা সিংহের উপর, ডান-পা পদ্মফুলে! জানুন হাজার হাত কালীর মাহাত্ম্য

    Kali Puja 2023: দেবীর বাঁ পা সিংহের উপর, ডান-পা পদ্মফুলে! জানুন হাজার হাত কালীর মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার কালীপুজোগুলির মধ্যে অন্যতম শিবপুরের হাজার হাত কালী মন্দিরের পুজো (Kali Puja 2023)। শিবপুরের মন্দিরতলা এলাকায় এই কালী ঠাকুরের নাম অনুসারে এলাকার নাম হয়েছে হাজার হাত কালীতলা। কালীপুজোর দিন বিশেষ পুজো হয় এখানে। হাজার হাত কালীর এক অদ্ভুত রূপ। দেবীর বাঁ হাতে খড়্গ, ডান হাতে পঞ্চশূল, বাঁ পা সিংহের উপরে ও ডান-পা পদ্মফুলের উপরে। দুটি পা দু-দিকে থাকার অর্থ, মা সব সময় জলেও রয়েছেন, স্থলেও রয়েছেন। আর ডান হাতে পঞ্চশূল দিয়ে মা সকলকে রক্ষা করছেন। আর যদি কেউ ভুল করে বা ভুল পথে যায়, তাহলে মা তাঁকে খড়্গ দেখিয়ে সচেতন করার বার্তাও দিচ্ছেন। মা কালীর এই রূপ সচরাচর দেখা যায় না।

    তন্ত্র মতে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী (Kali Puja 2023)

    তবে দক্ষিণ ভারতে বিশেষ জনপ্রিয় হাজার হাত কালী। হাওড়ার শিবপুরে হাজার হাত কালীতলায় প্রায় ২৫ ফুট উঁচু মায়ের এই মূর্তি রয়েছে। শোনা যায়, এখনও পর্যন্ত কেউ মায়ের হাজারটি হাত গুনতে পারেননি। গোনা বারণও রয়েছে। প্রচলিত লোককথা অনুযায়ী, স্থানীয় মুখোপাধ্যায় বাড়ির ছেলে তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়কে মা চণ্ডী স্বপ্নাদেশ দিয়ে কালীর এই রূপ দেখান এবং মন্দির তৈরির আদেশ দেন। সেই স্বপ্নাদেশ মোতাবেক তিনি মন্দির প্রতিষ্ঠা করে দেবীর এই রূপের পুজো (Kali Puja 2023) করতে ব্যাকুল হয়ে ওঠেন। তবে এই মন্দির নির্মাণের বিপুল ব্যয়ভার বহন করার সাধ্য ছিল না তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায় বা তাঁর পরিবারের। আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের এই ইচ্ছাপূরণের জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় ধনী হালদার পরিবার। তাদের চেষ্টায় ১৮৭০ সালে স্থাপিত হয় হাজার হাত কালী মন্দির এবং দেবীর এই বিশেষ রূপ এখানে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। সেই থেকে তন্ত্র মতে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী।

    কিছু প্রার্থনা করলে সেটি পূর্ণ হয় (Kali Puja 2023)

    বলিপ্রথা এখানে নেই এবং প্রাচীন প্রথা মেনে আজও মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরা এখানে পুজো করে আসছেন। মায়ের পুজো ও মঙ্গলারতিতে যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়, সেজন্য আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মায়ের মন্দিরের নামে বেশ কিছু সম্পত্তি রেখে গিয়েছেন। সেই সম্পত্তি থেকেই আয় যা আসে, তা থেকে মায়ের পুজো করা হয় ও মন্দিরের সংস্কার করা হয়। দৈনন্দিন পুজোর পাশাপাশি বুদ্ধপূর্ণিমা ও দীপাবলিতে এখানে বিশেষ পুজো হয়। দেওয়া হয় বিশেষ ভোগ। সেই উপলক্ষ্যে প্রচুর জনসমাগম হয়। কালীপুজোর দিনে পুণ্যার্থীদের ভিড় এতটাই হয় যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করতে হয়। বিশ্বাস, মায়ের কাছে কিছু প্রার্থনা করলে সেটি পূর্ণ হয়। কালীপুজোর দিন খিচুড়ি, পায়েস পোলাও, রাইস, মাছ, মিষ্টি সহ একাধিক নানা প্রকারের ভোগ দেওয়া হয় দেবীকে। ৩ সময় পুজো হয় ভোরবেলা, দুপুরবেলা ও রাত্রিবেলা। ফল-মিষ্টি দিয়ে পুজো (Kali Puja 2023) করা হয় মাকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ, মরুরাজ্যে ২৫ জায়গায় তল্লাশি ইডির

    ED Raid: কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বিপুল দুর্নীতির অভিযোগ, মরুরাজ্যে ২৫ জায়গায় তল্লাশি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে একযোগে রাজস্থানের ২৫টি জায়গায় হানা দিল ইডি (ED Raid)। রাজ্যের এক আইএএস আধিকারিক সহ রাজ্য প্রশাসনের বেশ কয়েকজন পদাধিকারীর বিরুদ্ধে এই তল্লাশি অভিযান করে ইডি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকাল থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেস এনিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে।

    জলজীবন মিশন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ

    অভিযোগ, প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প রয়েছে জলজীবন মিশন। কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে এই প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে সে রাজ্যের শাসক দলের নেতা তথা প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। রাজস্থানের জনস্বাস্থ্য এবং কারিগরি দফতরের অতিরিক্ত প্রধান সচিব সুবোধ আগরওয়ালের বাড়িতেও চলে তল্লাশি অভিযান। জানা গিয়েছে, আরও বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক আধিকারিক রয়েছেন ইডির (ED Raid) আতস কাঁচের তলায়। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় জলজীবন মিশন ঘিরে দুর্নীতির অভিযোগে রাজস্থানের ‘অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো’ প্রথম  অভিযোগ দায়ের করে।

    আরও পড়ুন: মোদি জমানায় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে এসেছে ৫০ হাজার কোটি টাকার এফডিআই

    চাকরির পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগও রয়েছে কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে 

    প্রসঙ্গত, জলজীবন মিশন ছাড়া রাজস্থানে চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগও উঠেছে। ইডির (ED Raid) দাবি, এখানেও বিপুল আর্থিক কেলেঙ্কারি হয়েছে। চাকরির পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ রয়েছে মরুরাজ্যের শীর্ষ কংগ্রেস নেতা তথা একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি গোবিন্দ সিং এর বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের পুত্র বৈভব গেহলটকে। রাজস্থানের ভোট রয়েছে আগামী ২৫ নভেম্বর। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে ইতিমধ্যেই সে রাজ্যে কংগ্রেস সরকারের দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। নির্বাচনের আগে দুর্নীতির অভিযোগে বেসামাল কংগ্রেস।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: যজ্ঞ এবং বলি পুজোর প্রধান অঙ্গ! মা কালীর ১১ রূপের মাহাত্ম্য জানেন কি?

    Kali Puja 2023: যজ্ঞ এবং বলি পুজোর প্রধান অঙ্গ! মা কালীর ১১ রূপের মাহাত্ম্য জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা কালী (Kali Puja 2023) বিভিন্ন রূপে পূ্জিত হন। তন্ত্র মতে, শক্তি আরাধনায় মা কালী ভীষণ জাগ্রত দেবী। মাকে ১১ রূপে বিনাশকারী শক্তি হিসাবে আরাধনা করে থাকেন ভক্তরা। যজ্ঞ এবং বলি হল পুজোর একটি প্রধান অঙ্গ। আসুন জেনে নিই মায়ের ১১ প্রকার তান্ত্রিক শক্তির মাহাত্ম্যকথা এবং কীভাবে তিনি পূজিত হন।

    দক্ষিণাকালী

    গ্রাম বাংলায় সবথেকে বেশি কালীপুজো (Kali Puja 2023) হয় দক্ষিণাকালীর। এই কালী শ্যামাকালী নামেও পরিচিত। মায়ের সমস্ত শরীর নীল বর্ণের হয়ে থাকে। রুদ্র মূর্তি, ত্রিনয়নী, মুক্তকেশী হয়ে থাকেন মা। গলায় মুণ্ডমালার সমাহার। বাম হাতে নরমুণ্ড এবং খড়্গ। ডান হাতে থাকে আশীর্বাদ এবং অভয় মুদ্রা। মায়ের পদতলে থাকেন মহাদেব।

    শ্মশানকালী

    এই কালীপুজো মূলত শ্মশানে হয়ে থাকে। বাড়িতে শ্মাশানকালীর পুজো হয় না। আদি পর্ব থেকেই অশুভ কাজ করতে যাওয়ার আগে ডাকাতরা এই কালীপুজো করতেন। বাংলার অনেক বিখ্যাত ডাকাত এই দেবীর উপাসক ছিলেন। তন্ত্র, মন্ত্র এবং বলি এই কালীপুজোর অন্যতম উপাদান।

    সিদ্ধকালী

    এই সিদ্ধকালীর আরেক নাম হল ভুবনেশ্বরী। অমাবস্যার দিনে এই কালীপুজো (Kali Puja 2023) হয়ে থাকে। সাধারণ পরিবারে এই কালীপুজো হয় না। সাধকরা মূলত সিদ্ধিলাভের জন্য এই পুজো করে থাকেন। এই কালীর দুই হাত থাকে। দেবীর শরীরে গয়না থাকে। এই দেবী অমৃত বর্ণে সজ্জিত থাকেন।

    ফলহারিণী কালী

    এই কালীপুজো হল বাৎসরিক পুজো। গৃহস্থের বাড়িতে শান্তি ফেরাতে কালীপুজো করা হয়ে থাকে।

    মহাকালী

    এই কালীর একসঙ্গে দশ মাথা, দশ হাত এবং দশ পা থাকে। দেবীর পায়ের নিচে কাটা মস্তক থাকে। দশ হাতেই অস্ত্র সজ্জিত থাকে। তবে শিব ঠাকুর মায়ের সঙ্গে থাকেন না। ভূত চতুর্দশীর দিনে এই মহাকালীর পুজো করা হয়ে থাকে। সাধারণত বাড়িতে এই কালীপুজো হয় না।

    কাম্যাকালী

    এই কালীপুজো (Kali Puja 2023) সাধারণত অষ্টমী, চতুর্দশী, অমাবস্যা, পূর্ণিমাতে হয়ে থাকে। মোটামুটি দক্ষিণা কালীর মতোই পূজিত হন। বিশেষ মনোবাসনা পূরণের আশায় এই দেবীর আরধনা করা হয়।

    গুহ্যকালী

    এই দেবীর গায়ের রং কালো। গালায় ৫০ টি নরমুণ্ড হার সজ্জিত থাকে। কানে থাকে শব দেহ বিশিষ্ট অলঙ্কার। তন্ত্রমতে এই দেবীর রূপ অত্যন্ত ভয়ঙ্করী।

    ভদ্রকালী

    জনসমাজের কল্যাণের কারণে এই কালীপুজো করা হয়। মূলত বিভিন্ন বারোয়ারি মন্দিরে এই দেবীর পুজো করা হয়।

    চামুণ্ডা কালী

    চামুণ্ডা কালী হল আদি শক্তি। তিনি একই সঙ্গে ভগবতী দুর্গা আবার একই সঙ্গে পার্বতী। সেই সঙ্গে চণ্ড ও মুণ্ড নামের দুই অসুরকে বধ করেছিলেন দেবী। অশুভ শক্তিকে ধ্বংস করেন এই চামুণ্ডা দেবী।

    শ্রীকালী

    শ্রীকালী, দেবী দুর্গা অথবা পার্বতীর বিশেষ বিশেষ রূপ। এই দেবী দারুক নামক অসুরকে বধ করেছিলেন। মহাদেবের কণ্ঠে ঢুকে কণ্ঠের বিষকে ধারণ করেন এই দেবী।

    রক্ষাকালী

    দক্ষিণাকালীর একটি বিশেষ রূপ হল রক্ষাকালী। বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডকে রক্ষা করার জন্য এই দেবীর নাম রক্ষাকালী। পরিবারে সাধারণ বসতিভুমিকে রক্ষা করতে এই দেবীর পুজো করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • MLA: মহিলা বিডিও-র বদলিতে প্রকাশ্যেই কান্নায় ভাসালেন তৃণমূল বিধায়ক, হতবাক সকলে

    MLA: মহিলা বিডিও-র বদলিতে প্রকাশ্যেই কান্নায় ভাসালেন তৃণমূল বিধায়ক, হতবাক সকলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়ম মেনেই হয়েছেন বিডিও বদলি। বিডিওকে ফেয়ারওয়েল জানানোর জন্য বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজনও করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ, কর্মীর সংখ্যা কম ছিল না। সকলের সামনেই কেঁদে উঠলেন তৃণমূল বিধায়ক (MLA) সুকুমার দে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকলেন পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের বিডিও অফিসের কর্মীরা। প্রকাশ্যে এসেছে ভিডিও। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা নন্দকুমারে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বিডিও হিসেবে শানু বক্সি বেশ কিছুদিন ধরেই নন্দকুমার বিডিও অফিসে ছিল। অন্যত্র বদলি হতেই কর্মীদের উদ্যোগে বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় বিধায়ক (MLA) হিসেবে সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন সুকুমার দে। অনুষ্ঠানে সকলেই বিডিওকে নিয়ে কথা বলেন। বিধায়কও তাঁর গুণকীর্তন করেন। পরে, তিনি আচমকাই বিডিও-র পাশে বসেই কাঁদতে শুরু করেন। প্রকাশ্যে এভাবে বিধায়ককে কাঁদতে দেখে অনেকে হতবাক হয়ে গিয়েছেন। অনেকে আবার মহিলা বিডিও শানু বক্সি এবং বিধায়কের দুর্নীতির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে, বিডিও-র বদলির জন্য বিধায়ককে এভাবে কাঁদতে দেখে বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই অবাক হয়েছেন।

    বিডিও-র বদলিতে কান্না নিয়ে কী ব্যাখ্যা দিলেন বিধায়ক? (MLA)

    প্রকাশ্যে কান্নার ভিডিও সামনে আসতেই চরম বিড়ম্বনায় পড়েন বিধায়ক। যদিও এই বিষয়ে ব্যখ্যা দিয়ে সুকুমারবাবু বলেন, বিডিও-র আন্তরিকাতা, ভালবাসা সকলের মনেই দাগ কেটেছে। তাই আবেগতাড়িত হয়ে আমি আর চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি। এর অন্য কোনও অর্থ খোঁজা ঠিক নয়।

    কী বললেন বিডিও?

    অন্যদিকে বিডিও শানু বক্সি বলেন, এখানে কাজ করার সময় কখনও অফিসে কাজ করছি বলে মনে করিনি। সবসময় বাড়ি বলে মনে করেছি। পরিবারে সঙ্গে যে ভাবে থাকি, সেভাবেই অফিসে থাকতাম। এদিন সকলের কাছে বিদায়ী সংবর্ধনা পেয়ে ভাল লাগছে।

    বিরোধীরা কী বলছে?

    যদিও ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলেও। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য পরিতোষ পট্টনায়ক বলেন, ওরা তো দু’জনে মিলে দুর্নীতি করেছেন। এখন বিডিও চলে যাচ্ছেন। সঙ্গী চলে যাওয়ায় দুঃখেই কেঁদে ফেলেছেন বিধায়ক (MLA)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: আত্রেয়ী নদীতে নিজে থেকেই নাকি ভেসে উঠেছিল বুড়া কালীমাতার বিগ্রহ!

    Kali Puja 2023: আত্রেয়ী নদীতে নিজে থেকেই নাকি ভেসে উঠেছিল বুড়া কালীমাতার বিগ্রহ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার শতাব্দীপ্রাচীন ও জাগ্রত কালীপুজোর (Kali Puja 2023) মধ্যে অন্যতম হল বালুরঘাট তহবাজার এলাকার বুড়া কালীমাতার পুজো। এখনও সেই পুরনো রীতি-রেওয়াজ মেনেই হয় বালুরঘাট বুড়া কালীমাতার পুজো। তবে কালের স্রোত ও সময়ের সঙ্গে বর্তমানে পুজোর কিছু নিয়ম পরিবর্তিত হয়েছে। শতাব্দীপ্রাচীন হলেও এই পুজোকে কেন্দ্র করে জেলাবাসীর মনে অগাধ বিশ্বাস রয়েছে। কালীপুজোর দিন এই পুজোকে ঘিরে দর্শনার্থীদের ঢল চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার ও শনিবার বুড়া কালীবাড়িতে পুজো দেওয়ার জন্য লম্বা লাইন পড়ে ভক্তদের।

    সারা গায়ে সোনা থেকে রুপোর অলঙ্কার (Kali Puja 2023)

    লোকমুখে শোনা যায়, কয়েকশো বছর আগে বর্তমান বালুরঘাট বুড়া কালীমাতার মন্দিরের পাশ দিয়ে নাকি আত্রেয়ী নদী বইতো। এমনকি লোক মুখে শোনা যায়, মন্দির ও বাজারের জায়গায় ছিল ঘন জঙ্গল। শতাব্দীপ্রাচীন পুজো হলেও এই পুজোর সঠিক বয়স কত, তা কেউ বলতে পারে না। এক সময় আত্রেয়ী নদীতে নিজে থেকেই নাকি ভেসে ওঠে বুড়া কালীমাতার বিগ্রহ বা শিলাখণ্ড। এক তান্ত্রিক সেই সময় নাকি ওই বিগ্রহকে তুলে নিয়ে এসে পুজো দেন। তার পর থেকেই নাকি এই পুজো শুরু হয়। টিনের ঘেরা দিয়ে বুড়া কালীমাতার পুজো শুরু হয়। বর্তমানে বিশাল আকারের মন্দিরে পূজিতা হন বুড়া কালীমাতা। পুজোর দিন মায়ের মূর্তির (Kali Puja 2023) সারা গা সোনা থেকে রূপার অলঙ্কারে সুসজ্জিত থাকে। পুজোকে ঘিরে দিন কয়েক হাজার ভক্তদের সমাগম হয় পুজো প্রাঙ্গনে। পুজোতে এখন পাঁঠা বলি, শোল মাছ বলি হয়। তবে জনশ্রুতি আছে, আগে নাকি ২০ কিলো ওজনের শোল মাছ বলি দেওয়া হত। এই পুজোকে ঘিরে শুধুমাত্র দক্ষিণ দিনাজপুরবাসীর নয়, পাশের জেলা উত্তর দিনাজপুর ও মালদা, শিলিগুড়ি থেকেও প্রচুর ভক্ত বা দর্শনার্থী আসে। বর্তমানে বুড়া কালী মন্দির থেকে অনেকটা পশ্চিমে সরে গেছে আত্রেয়ী নদী।

    রানি রাসমণি এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন? (Kali Puja 2023)

    জনশ্রুতি আছে, একটা সময় নাকি কলকাতার রানি রাসমণি এই মন্দিরে পুজো দিতে আসতেন। বজরায় করে এসে তিনি আত্রেয়ী নদী থেকে জল নিয়ে এসে মায়ের পুজো দিয়ে আবার ফিরে যেতেন কলকাতায়। তবে এর সত্যতা এখনও প্রমাণিত হয়নি। এই বিষয়ে পুজা কমিটির সম্পাদক গোপাল পোদ্দার বলেন, আমরা শুনেছি আত্রেয়ী নদীর ধারে নিজে থেকেই নাকি ভেসে ওঠে বুড়া কালীমাতার শিলাখণ্ড। সেই সময় ওই শিলাখণ্ড তুলে নিয়ে এসে পুজো দেন এক তান্ত্রিক। তার পর থেকেই শুরু হয় মায়ের পুজো (Kali Puja 2023)। প্রতি বছর দীপান্বিতা অমাবস্যায় মায়ের পুজো হয়। পুজোর দিন বহু ভক্ত আসেন পুজো দিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share