Blog

  • Climate Change: তীব্র তাপপ্রবাহে ২২০ কোটি মানুষ পড়বে সঙ্কটে, খরার পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানে

    Climate Change: তীব্র তাপপ্রবাহে ২২০ কোটি মানুষ পড়বে সঙ্কটে, খরার পরিস্থিতি ভারত-পাকিস্তানে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২০ কোটি মানুষ পড়তে পারে খরার কবলে। ভারত-পাকিস্তানে তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে। জলবায়ু পরিবর্তনে (Climate Change) ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি! আবহবিদদের কপালে রীতিমতো চিন্তার ভাঁজ সৃষ্টি হয়েছে। একটি গবেষণায় প্রসিডিংস অফ ন্যাশনাল একাডেমি অফ সায়েন্সেস (পিএনএএস) জার্নাল থেকে জানা গেছে, বিশ্বের তাপমাত্রা, বর্তমান মাত্রার চেয়ে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেলে, প্রতি বছর কোটি কোটি মানুষ তাপপ্রবাহ এবং আদ্রর্তার শিকার হবে। এমনকী আরও বলা হয়, চরম তাপমাত্রার প্রভাবে, মানুষ স্বাভাবিক ভাবে ঠান্ডা হতেও পারবে না।

    গবেষণায় কী বলা হয়েছে (Climate Change)?

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট কলেজ অফ হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট, পারডু ইউনিভার্সিটি কলেজ অফ সায়েন্সেস এবং পারডু ইনস্টিটিউট ফর এ সাসটেইনেবল ফিউচারের গবেষকরা দেখেছেন যে সারা বিশ্বে, শিল্পায়ন হওয়ার আগের তাপমাত্রার (Climate Change) স্তর থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেট তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে মানুষের স্বাস্থ্যের উপর দারুণ প্রভাব পড়েছে। হিট স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক রোগের প্রভাব অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশ্বের ২২০ কোটি মানুষকে জলবায়ুর এই ব্যাপক পরিবর্তনের জন্য তাপ প্রবাহ এবং খরাকে সহ্য করতে হবে। এমনকি তাপপ্রবাহে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

    প্রভাব পড়বে ভারতে

    ভারতের এমন কিছু অঞ্চল রয়েছে যে তাপমাত্রা (Climate Change) এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যে এলাকার মানুষ কোনও ভাবেই, এই তাপমাত্রাকে সহ্য করতে পারবে না। ফলে তীব্র খরা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। ফসল উৎপাদন এবং দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও রাষ্ট্র সঙ্ঘ এবং রেড ক্রস সোসাইটির সম্মিলিত রিপোর্টে বলা হয়, এই উষ্ণায়নের কারণে দক্ষিণ এশিয়া সহ আরও বিশ্বের বেশ কিছু অঞ্চল তাপপ্রবাহের কবলে আচ্ছন্ন হবে। তার মধ্যে ভারত-পাকিস্তানে চরম প্রভাব পড়বে। 

    আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বক্তব্য

    আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের বক্তব্য, বিশ্বে প্রচুর পরিমাণে নগরায়ন, বৃক্ষ ছেদন, বেশিপরিমাণে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ জনিত কারণে ঋতুর উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ছয় ঋতু আর চোখে পড়ছে না। ২০২৪ সালে ‘এল নিনো’ আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এমনকী প্রসান্ত মহাসাগরের চিলি, পেরু উপকুল এবং মহাসাগরের মধ্যাঞ্চলের ‘এল নিনো’ তৈরি হলে, ভারতে বর্ষার মরসুমের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়বে। আশঙ্কা করা হচ্ছে কমে যাবে বৃষ্টিপাত। ২০১৫ সালে ‘এল নিনো’র প্রভাবে পড়েছিল ভারতে। বহু এলাকা বৃষ্টিপাত না হওয়ার কারণে প্রচণ্ড খরার প্রাদুর্ভাব দেখা গিয়েছিল। ২০০৯ সালেও নিনোর প্রভাব পড়েছিল দেশে।

    নগরউন্নয়ন হল কলকাতা শহরের খামখেয়ালি আবহের (Climate Change) একটি প্রধান কারণ। গবেষকরা জানিয়েছেন, কলকাতা এখন হিট-আই ল্যান্ডে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে এখনই যদি না ভাবা হয়, তাহলে আগামী দিন আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ekteswar Temple: বিরল! বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর মন্দিরে পুজো হয় শিবের একপদ মূর্তির

    Ekteswar Temple: বিরল! বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর মন্দিরে পুজো হয় শিবের একপদ মূর্তির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় এবং পবিত্র শৈবতীর্থ হল বাঁকুড়া জেলার “এক্তেশ্বর শিব মন্দির” (Ekteswa Temple)। অনেকেই মনে করেন, বিষ্ণুপুরের রাজা এই সুন্দর মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন। আবার কিংবদন্তী আছে, অতীতকালে মল্লভূম ও সামন্তভূমের মধ্যে সীমানা নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হলে স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেব এই সমস্যার সমাধান করেন। এই কারণে দুই রাজ্যের সীমানায় প্রতিষ্ঠিত হয় একতা-সম্পাদনকারী “একতেশ্বর”, যা পরবর্তীকালে মানুষের মুখে মুখে হয়ে দাঁড়ায় “এক্তেশ্বর” শিব মন্দির। আবার আচার্য যোগেশচন্দ্র রায় বিদ্যানিধির মতে, এখানকার শিবলিঙ্গটি নাকি অনেকটাই মানুষের পায়ের মতো। তা থেকেই তাঁর অনুমান, বেদে উল্লিখিত “একপাদেশ্বর”-এর প্রতীক এটি, যা পরে লোকমুখে “এক্তেশ্বর” হয়ে উঠেছে।

    জেলার সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ(Ekteswar Temple)

    ল্যাটেরাইট দ্বারা নির্মিত এই মন্দিরে পরবর্তীকালে বেলে পাথর ও ইঁটের কাজ করা হয়েছে। এটি বাঁকুড়া জেলার সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ শিব মন্দির। পশ্চিমমুখী, পাথরের তৈরি মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১৩.৭ মিটার বা  প্রায় ৪৫ ফুট। দৈর্ঘ্য ৮.৬ মিটার বা প্রায় ২৮ ফুট ৪ ইঞ্চি, প্রস্থ প্রায় ২৭ ফুট ৪ ইঞ্চি। বহুবার এই মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে। এর ফলে প্রাচীন শিখর-দেউলের আকৃতি অনেকটাই পরিবর্তিত হয়ে বর্তমানে একটি ভদ্র-দেউলের আকৃতি গ্রহণ করেছে। মন্দিরটির দেওয়াল অত্যন্ত পুরু। মন্দিরের গায়ের শিখর-দেউলের ছোট ছোট প্রতীক নকশাগুলি থেকে অনুমান করা হয়, একদা এটি একটি সুউচ্চ শিখর-দেউল ছিল (Ekteswar Temple)।

    একপদ মূর্তি পূজিত (Ekteswar Temple)

    এর ছাদটি দুটি ধাপে বিভক্ত। একদিকে যেমন রয়েছে হ্রসাকৃতি পীড়া দেউলের মতো, আর তার ওপরে আমলক ও কলস স্থাপিত। প্রাঙ্গণে রয়েছে বেশ কিছু ছোট মন্দির। এই মন্দিরগুলির মধ্যে রয়েছে এক ভগ্ন বাসুদেব মূর্তির একাংশ, প্রায় আড়াই ফুট উঁচু এবং প্রায় তিন ফুট দীর্ঘ নন্দী বৃষের মূর্তি, প্রায় চার ফুট উচ্চতা ও আড়াই ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট এক দ্বাদশভূজ লোকেশ্বর বিষ্ণু, প্রায় সাড়ে তিন ফুট উচ্চতা ও প্রায় পৌনে দুই ফুট চওড়া গণেশ মূর্তি প্রভৃতি। প্রত্যেকটি মূর্তিই পাথরের তৈরি এবং অত্যন্ত সুন্দর। এক্তেশ্বর মন্দিরে (Ekteswar Temple) শিবের একটি একপদ মূর্তি পূজিত হয়। উল্লেখ্য, এই ধরনের শিবমূর্তি সাধারণত অন্য কোনও শিবমন্দিরে দেখা যায় না।

    যাবেন কীভাবে, থাকবেন কোথায়? (Ekteswar Temple)

    চৈত্র সংক্রান্তির সময় গাজনের মেলা উপলক্ষ্যে এখানে বিরাট উৎসব হয়। লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয় তখন। যাতায়াত বলতে হাওড়া থেকে পুরুলিয়া এক্সপ্রেস সহ বহু ট্রেন আসছে বাঁকুড়া। সরাসরি বাস আসছে কলকাতার শহিদ মিনার বাসস্ট্যান্ড থেকে। বাঁকুড়া শহর থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত এই এক্তেশ্বর মন্দির (Ekteswar Temple)। এখানে থাকা-খাওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কিছু বিভিন্ন দাম ও বিভিন্ন মানের হোটেল ও লজ। অবস্থা অনুযায়ী এগুলির মধ্যে একটিতে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতেই পারে ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: সন্ধি পুজোয় দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় চামুণ্ডা রূপে! কেন জানেন?

    Navaratri 2023: সন্ধি পুজোয় দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় চামুণ্ডা রূপে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাষ্টমীর (Navaratri 2023) শেষ ২৪ মিনিট এবং নবমীর (Nabami) প্রথম ২৪ মিনিট, এই মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয় সন্ধিপুজো। অষ্টমী থেকে নবমীর সংযোগ মুহূর্তে কোনও এক উদ্যোক্তা ‘জয় মা’ ধ্বনি তোলেন। বাড়ি থেকে পাড়ার পুজো সবেতেই কমবেশি এই রীতি দেখা যায়। চলতি বছরে আজ রবিবার মহাষ্টমী। সন্ধে ৪:৫৪ গতে সন্ধিপুজো শুরু। সন্ধে ৫:১৮-র মধ্যে সেরে নিতে হবে বলিদান। রাত্রি ৫:৪২-এর মধ্যে সন্ধিপুজোর সমাপ্তি।

    কেন হয় সন্ধিপুজো?

    ১০৮টি পদ্ম এবং ১০৮টি মাটির প্রদীপ সহযোগে সম্পন্ন হয় সন্ধি পুজো। প্রথা অনুযায়ী সন্ধি পুজোয় দেবী দুর্গাকে পুজো করা হয় চামুণ্ডা রূপে। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, যখন মহিষাসুরের (Navaratri 2023) সঙ্গে দেবী যুদ্ধ করছিলেন, সেই সময় চণ্ড ও মুণ্ড দেবীকে আক্রমণ করেছিল। চণ্ড ও মুণ্ড ছিল মহিষাসুরের দুই সেনাপতি। তাদের দেবী দুর্গা বধ করেছিলেন। সেই থেকে দেবীর নাম হয় চামুণ্ডা। ভক্তদের বিশ্বাস চণ্ড ও মুণ্ডকে যে সন্ধিক্ষণে দেবী বধ করেছিলেন, সেই ক্ষণেই সন্ধি পুজোর আয়োজন করা হয়।

    আবার অন্য একটি পৌরাণিক (Navaratri 2023) মতে, এই সন্ধিপুজোর সন্ধিক্ষণে দেবী কালিকার জন্ম হয়েছিল মাতা অম্বিকার তৃতীয় নয়ন থেকে। পরাক্রমশালী অসুর রক্তবীজের প্রতিটি রক্তবিন্দু থেকে নতুন অসুরের জন্ম হত। রক্তবীজের সমস্ত রক্ত দেবী কালিকা পান করেছিলেন বলে পৌরাণিক কাহিনিতে উল্লেখ রয়েছে। এই সন্ধিক্ষণে ক্ষণিকের জন্য হলেও দেবীর অন্তরের সমস্ত স্নেহ-মমতার অবসান ঘটে বলে মনে করা হয়। এজন্য সন্ধিপুজো চলাকালীন দেবীর দৃষ্টির সামনে কাউকে যেতে দেওয়া হয় না। দৃষ্টিপথ পরিষ্কার রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    সন্ধিপুজোয় কী ফল মেলে জানেন?

    প্রথা অনুযায়ী সন্ধিপুজোয় পুজোর শেষ ধাপ (Navaratri 2023) অর্থাৎ শেষ ২৪ মিনিটে বলিদান সম্পন্ন হয়। সাধারণত ছাগলের পাশাপাশি কোনও কোনও জায়গায় আখ, কলা, চালকুমড়ো ইত্যাদিও দেবীকে বলি দেওয়া হয়ে থাকে। কথিত আছে, সংযমী হয়ে ভক্তিভরে নিষ্ঠার সঙ্গে উপবাসী থেকে সন্ধিপুজো করলে যমের হাত থেকেও মুক্তি মেলে। অর্থাৎ মৃত্যুর সময় দেবীর কৃপায় যমের স্পর্শও রোখা যায়। আবার বলা হয়, নিষ্ঠা এবং ভক্তির সঙ্গে সন্ধিপুজো করলে যে ফল পাওয়া যায়, তা সারা বছর পুজোয় ফললাভের সমকক্ষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Food: দশমী মানেই মিষ্টিমুখ! উৎসবের শেষ প্রহরের মিষ্টি বিপদ ডেকে আনবে না তো?

    Durga Puja Food: দশমী মানেই মিষ্টিমুখ! উৎসবের শেষ প্রহরের মিষ্টি বিপদ ডেকে আনবে না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শেষ! আবার আরেকটা বছরের অপেক্ষা। আর এই অপেক্ষার মুহূর্ত শুরু হয় মিষ্টিমুখে! উমাকে বিদায় জানানোর পরে পরিবারের ছোট থেকে বড়, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন একে অপরকে মিষ্টি খাওয়ান। এই রেওয়াজ চিরকালীন। তাই তো কলকাতার নামিদামি মিষ্টির দোকান হোক কিংবা মফস্বলের কোনও গলির দোকান, মিষ্টি কেনার ভিড় সর্বত্র। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টিমুখের (Durga Puja Food) পর্বে বিপদ বাড়ছে শরীরের। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।

    কাদের জন্য বাড়তি উদ্বেগ? (Durga Puja Food) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মিষ্টি একাধিক খেলে বিপদ বাড়তে পারে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের। বাঙালিদের মধ্যে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে। তাই সতর্ক থাকা জরুরি। পুজোর মরশুমে অনেকেই খাওয়ায় অনিয়ম করেন। তার উপরে দশমীতে মিষ্টি খেলে বিপদ আরও বাড়বে। রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত ওঠা-নামা করতে পারে। এর ফলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। 
    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের পাশাপাশি কিডনির রোগে আক্রান্তদের অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া বিপদ বাড়াতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, কিডনির কোনও রকম সমস্যা থাকলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। মিষ্টি (Durga Puja Food) রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাই কিডনির কোনও রোগে আক্রান্ত হলে দশমীতে মিষ্টি খাবারের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া দরকার বলেই পরামর্শ চিকিৎসকদের। 
    হৃদ সমস্যা থাকলে কিংবা কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলেও মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, মিষ্টি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় মিষ্টি। তাই রসগোল্লা হোক কিংবা সন্দেশ, একাধিক খেলেই বিপদ বাড়তে পারে। 
    পাশপাশি স্থুলতার সমস্যায় জর্জরিত তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ। তাই দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে একেবারেই মিষ্টি খাওয়া চলবে না বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, মিষ্টিতে ওজন দ্রুত বাড়তে থাকে। তাই মিষ্টিতে রাশ জরুরি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা? (Durga Puja Food) 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, মিষ্টি খাওয়া যেমন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, তেমনি কৃত্রিম মিষ্টি একেবারেই চলবে না। অনেকেই চিনির পরিবর্তে নানান কৃত্রিম মিষ্টি দিয়ে নানান খাবার তৈরি করেন। এই কৃত্রিম মিষ্টি (Durga Puja Food) শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই কৃত্রিম মিষ্টি খাবার একেবারেই চলবে না। রসগোল্লা, পান্তুয়া কিংবা কেশরীভোগের মতো রসে ভেজা মিষ্টি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। কারণ, এতে চিনির পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। উৎসবের সময় হলেও একাধিক মিষ্টি একেবারেই খাওয়া উচিত নয় বলে সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা। পাশাপাশি বাড়িতে চিনির পরিবর্তে সামান্য পরিমাণ মধু ব্যবহার করে নানান ধরনের মিষ্টি তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে, জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: দুর্নীতির তদন্তে আলিপুরদুয়ারে ক্যাম্প করবে সিবিআই, রাজ্যকে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিল আদালত

    CBI: দুর্নীতির তদন্তে আলিপুরদুয়ারে ক্যাম্প করবে সিবিআই, রাজ্যকে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার সমবায় সমিতিতে প্রায় ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই (CBI)। এবার সমবায়ের দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছাতেই এবার আলিপুরদুয়ারে ক্যাম্প করতে চায় সিবিআই। বুধবার আদালতে সেই মর্মে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সিবিআইয়ের আবেদন মঞ্জুর করে এবিষয়ে রাজ্যকে তাঁদের থাকার ঘর ও যাতায়াতের গাড়ির ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    সমবায় দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে কী আবেদন রাখল সিবিআই? (CBI)

    আলিপুরদুয়ারে ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই (CBI) একাধিকবার হানা দেয়। বেশ কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। সমবায় থেকে রেজিস্ট্রার বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। ফলে, তদন্তে অনেকের জড়িত থাকার তথ্য তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের হাতে আসে। বুধবার আদালতে তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের অফিসাররা অন্যান্য অনেক মামলার সঙ্গে যুক্ত। বারংবার কলকাতা থেকে তদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ারে যাওয়া-আসার কারণে সময় নষ্ট হতে পারে। সেক্ষেত্রে আদালতের কাছে সিবিআই-এর আইনজীবী সুপারিশ করেন, তদন্তের স্বার্থে উত্তরবঙ্গে গিয়ে ক্যাম্প করার জন্য ঘর ও গাড়ির ব্যবস্থা করতে রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হোক। এর পাশাপাশি তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য অস্থায়ীভাবে রাজ্যের কাছ থেকে ২ জন এসআই, ৮ জন কনস্টেবল, মহিলা কনস্টেবলও দেওয়ার আবেদন করেছে তারা।

    আদালত কী নির্দেশ দিল?

    সিবিআই-এর এই আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। রাজ্যকে এক মাসের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে এই নির্দেশ রেজিস্ট্রার জেনারেলকে পাঠাতে হবে। ১৮ ডিসেম্বর এই মামলা ফের শুনানির জন্য এলে তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে সিবিআইকে(CBI)। প্রসঙ্গত, আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতিতে ৫০ কোটির বেশি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গত ২৪ অগাস্ট ইডি এবং সিবিআই-কে তদন্তে নামার নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে নির্দেশ দেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Movie: এবার রামচন্দ্রের ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে, ফেব্রুয়ারিতে শুরু শুটিং

    Indian Movie: এবার রামচন্দ্রের ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে, ফেব্রুয়ারিতে শুরু শুটিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বলিউডের কাপুর পরিবারের বর্তমান প্রজন্মের নক্ষত্র রণবীর কাপুর। বেশ একজন সফল ও জনপ্রিয় অভিনেতা হিসাবেই নামডাক তাঁর। একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন রণবীর। রণবীরকে গতানুগতিক বলিউড ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেলেও এবার একদম নতুন আর ভিন্ন রূপে তাঁকে দেখবেন দর্শক। কয়েক মাস ধরেই বলিউডে ‘রামায়ণ’-এর কথা উঠে আসছে। যেখানে জানা গিয়েছে, পরিচালক নীতিশ তিওয়ারি এই ছবিটি পরিচালনা করছেন। আর সেখানেই রামচন্দ্রের ভূমিকায় দেখা যাবে রণবীর কাপুরকে। যদিও অভিনেতা এই বিষয়ে নিজে কিছু জানাননি। এটাও শোনা গিয়েছে, এই ছবিতে সীতার ভূমিকায় অভিনয় করবেন আলিয়া ভাট। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে জানা যায়, আলিয়া তাঁর সময়ের সমস্যার জন্য এই ছবি থেকে সরে গিয়েছেন। এর পরিবর্তে গুঞ্জন ওঠে এই ছবিতে সীতার ভূমিকায় অভিনয় করবেন দক্ষিণী অভিনেত্রী সাঁই পল্লবী।

    বলিউডে রাম হয়ে উঠতে রণবীর মেনে চলছেন অসংখ্য নিয়ম

    ইতিমধ্যে শোনা গিয়েছে, রামচন্দ্রের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য রণবীর প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন। রামচন্দ্রের মতো নিজেকে শুদ্ধ করেই তিনি অভিনয় করবেন বলে জানা গিয়েছে বলিউডের অন্দরমহল সূত্রে। এই জন্য তিনি খাওয়ার তালিকা থেকে মওত-মাংস বাদ রাখছেন। জানা গিয়েছে, আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে শুরু হবে এই সিনেমার শুটিং। তাই রামচন্দ্রের ভূমিকায় ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য কঠোর প্রস্তুতির মধ্যেই নিজেকে রাখবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। নিজের মনকে সম্পূর্ণ রূপে শুদ্ধ করেই তিনি এই অভিনয় করবেন বলে জানিয়েছেন। রামচন্দ্রের চরিত্রকে শ্রদ্ধা ও নিজের ভক্তি প্রদান করতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

    ছবিটির বিষয় কী? কবে থেকেই বা শুরু হচ্ছে এর শুটিং?

    আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ছবির শুটিং শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে। একটি ট্রিলজিকাল ফর্মে ছবিটি আসতে চলেছে। এই ট্রিলজির প্রথম পর্ব ভগবান রাম ও সীতার ওপর নির্ভর করে বানানো হবে। যার শুটিং ফেব্রুয়ারি থেকে অগাস্ট ২০২৪ পর্যন্ত চলবে বলে ধরা হয়েছে। এই প্রথম পার্টের নাম দেওয়া হবে রামায়ণ পার্ট ওয়ান।  নানান ভিএফএক্স সহযোগে এই ছবিটি নির্মাণ করা হব, যার দায়িত্বে থাকবে অস্কার বিজয়ী ডিএনইজি ভিএফএক্স সংস্থা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: সপ্তমীর পুজোতে আসছেন জে পি নাড্ডা, কোন কোন মণ্ডপে যাবেন জানেন কি?

    JP Nadda: সপ্তমীর পুজোতে আসছেন জে পি নাড্ডা, কোন কোন মণ্ডপে যাবেন জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তমীতে শহরে আসছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা (JP Nadda)। কলকাতা শহরের বেশ কিছু দুর্গা পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখবেন। সূত্রের খবর, এই বাংলার জামাই শহরের তিনটি পুজোতে বিশেষ ভাবে উপস্থিত থাকবেন। তিনটির মধ্যে দুটি জানা গেছে, যার একটি হাওড়ার উলুবেড়িয়ার দুর্গা পুজো এবং আরেকটি সল্টলেকের বি জে ব্লকের পুজো। তাই বঙ্গ বিজেপির মধ্যে তাঁর আগমনকে ঘিরে প্রস্তুতি তুঙ্গে।  

    পুজোতে শহরে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি (JP Nadda)

    অমিত শাহের কলকাতা ঘুরে যাওয়ার পর, জে পি নাড্ডার (JP Nadda) কলকাতা আসার বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। সামনেই লোকসভার নির্বাচন। ২০১৯ সালের লোকসভার নির্বাচনে এই রাজ্যে বিজেপি ১৮ টি আসনে জয়ী হয়েছিল। এবার বিজেপির সর্ব ভারতীয় নেতা পশ্চিমবঙ্গকে পাখির চোখ করে, বাংলার বিজেপি নেতাদের বিশেষ বার্তা দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। একদিকে পুজো এবং অপর দিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমনকে সামনে রেখে, রাজ্য বিজেপিও জনসংযোগের করে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছেন, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।

    পুজোর উদ্বোধনে এসেছিলেন অমিত শাহ

    পুজোর দ্বিতীয়ার দিনে কয়েক ঘণ্টার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি শিয়ালদার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের দুর্গা পুজোতে প্রদীপ প্রজ্বলন করে উদ্বোধন করেন। সেই সঙ্গে তিনি বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, “২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অয্যোধ্যার রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে, কিন্তু কলকাতাবাসীরা বাংলায়, দুর্গাপুজোতেই রামমন্দির নির্মাণ করে উদ্বোধন করে ফেলেছেন। সবাইকে অভিনন্দন জানাই। আজকের দিনে কোনও রাজনীতির আলোচনা করবো না। বাংলা, দুর্নীতি থেকে মুক্তি লাভ করুক এটাই মায়ের কাছে কামনা করি।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমি বাংলায় বার বার আসবো এবং বাংলার রাজনীতির সমস্যা নিয়ে কথাও বলবো। বাংলার পরিবর্তন হওয়াটা একান্ত প্রয়োজন।” এবার আসবেন বিজেপি সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) তাই রাজ্য বিজেপির মধ্যে প্রস্তুতির ব্যস্ততা চলছে ব্যাপক ভাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja Food: নবমী মানেই পাতে মটন! ভুরিভোজের সময় শরীরের কথা মাথায় রেখেছেন?

    Durga Puja Food: নবমী মানেই পাতে মটন! ভুরিভোজের সময় শরীরের কথা মাথায় রেখেছেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    নবমী মানেই পুজো শেষের প্রহর গোনা। বছরভর অপেক্ষার জন্য প্রস্তুতিপর্ব শুরু। নবমী মানেই উৎসবের শেষ মুহূর্তের সবটুকু উপভোগ করা। আর বাঙালির উৎসব উদযাপনের সঙ্গে ভুরিভোজ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে। তাই নবমীতে বাঙালির বিশেষ ভুরিভোজ। কেউ বাঙালি রেস্তরাঁয় আগে থেকেই টেবিল বুক করে রাখেন, আবার কেউ বাড়ির হেঁশেলেই জমিয়ে রান্না করেন। তবে, খাওয়া বাড়িতে হোক কিংবা রেস্তরাঁয়, বাঙালির নবমীর মেনুতে মটন থাকবেই (Durga Puja Food)। কিন্তু ষষ্ঠী থেকে উৎসবের উদযাপনে যে হারে ভুরিভোজ চলে, নবমীর মটন কারি কিংবা কষা, স্বাস্থ্যের জন্য বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করে কি? চিকিৎসকরা কিন্তু বলছেন, ভুরিভোজে সাবধান! উৎসবের স্রোতে গা ভাসিয়ে বড় বিপদ ডেকে আনলে মুশকিল।

    পাতে মটন পড়লে কাদের বিপদ বেশি? (Durga Puja Food) 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটনের যে কোনও পদ সহজপাচ্য হয় না। এটি চর্বিযুক্ত মাংস। তাই কিছু ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হৃদরোগীদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট আর এই প্রাণীজ প্রোটিন হজম করাও বেশ কঠিন। এতে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। 
    পাশপাশি যাদের কোলেস্টেরল আছে, তাদের ক্ষেত্রেও মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা থাকছে (Durga Puja Food)। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মটন খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি আরও তৈরি হয়। তাই মটনে না হোক হাই কোলেস্টেরলে আক্রান্তদের। 
    রক্তচাপ যাদের বেশি তাদের একেবারেই মটন খাওয়া যাবে না বলে সাফ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা বলছেন, মটনে অতিরিক্ত চর্বি থাকে। আর এই চর্বি রক্তচাপ বাড়ায়। হৃদপিণ্ড থেকে রক্ত শরীরে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করে। তাই উচ্চ রক্তচাপ থাকলে মটন একেবারেই পাতে নেওয়া চলবে না। 
    স্থূলতার সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, মটনে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি। যথেষ্ট ফ্যাট থাকে। তাই স্থুলতার সমস্যায় যারা ভুগছেন, মটন খাওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা রাখতে হবে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। পরিমাণের দিকে নজরদারি খুবই জরুরি।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? (Durga Puja Food)

    বছরের বিশেষ দিনে অনেক সময়ই নিয়মের বাইরে খাওয়া চলে। নবমীর দিন একেবারেই মটন মেনু থেকে বাদ দেওয়াও হয়তো কঠিন। কিন্তু কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলতে হবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। 
    হৃদরোগ কিংবা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তরা কখনই দুই পিসের বেশি মটন খাবেন না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিমিত খাবার খুব জরুরি। তাই খুব সামান্য পরিমাণে খেলে অনেক ক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কমে। নবমীতে ভারী খাবার খাওয়ার পরিকল্পনা থাকলে পুজোর অন্য দিনগুলোতে সহজপাচ্য, কম ফ্যাট জাতীয় খাবারের পরিকল্পনা করা জরুরি। বিশেষত যাদের উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়বেটিস, হৃদসমস্যা রয়েছে, তাদের রাত জেগে ঠাকুর দেখা কিংবা লাগাতার বাইরের অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় খাবার একেবারেই চলবে না (Durga Puja Food)। 
    স্থুলতার সমস্যায় ভুক্তভোগীরা পুজোর চার দিন যোগাভ্যাস কিংবা হাঁটাহাঁটি একেবারেই ছাড়বেন না। এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, পুজোর সময়ে খাবার অনেক সময়েই মেপে খাওয়া হয় না। বাইরের খাবারের পাশপাশি বাড়ির খাবারেও অতিরিক্ত মশলা কিংবা তেল ব্যবহার হয়। তাই শারীরিক কসরত কমানো যাবে না। তাহলেই কিছুটা হলেও ভারসাম্য বজায় রাখা যেতে পারে। তবে, পরিমাণের দিকে নজর দিতেই হবে। ভালো লাগছে বলেই অতিরিক্ত পরিমাণ খাবার খেলে কিন্তু শরীর সুস্থ রাখা কঠিন হয়ে যাবে। এমনই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Movie: দীর্ঘ ৩২ বছর পর! রজনীকান্তের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন বলিউডের শাহেনশা

    Indian Movie: দীর্ঘ ৩২ বছর পর! রজনীকান্তের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন বলিউডের শাহেনশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমানে দক্ষিণী ছবির সঙ্গে বলিউড যেন মিলেমিশে গিয়েছে। আর এই যুগলবন্দিতেই বাজিমাত ভারতীয় সিনেমার (Indian Movie)। দেশ-বিদেশের মাটিতে এখন বলিউড সিনেমার এক আলাদা মর্যাদা। দক্ষিণ-বলিউড জুটি যে সিনেমা জগতের লাভের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলেছে, সেটি আলাদা করে বলার কোনও প্রয়োজন নেই। সম্প্রতি একাধিক বলিউড তারকাকে দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গেছে। আবার দক্ষিণী ছবির পরিচালকদের বলিউড তারকাদের দিয়ে সিনেমা করাতেও দেখা গিয়েছে। যেখানে শাহরুখ খানের জওয়ান একটি ভালো উদাহরণ। এবার দক্ষিণী ছবির তালিকায় যুক্ত হলেন বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন। এবার তাঁকে দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে। থাকছে আরও নতুন চমক।

    কোন দক্ষিণী ছবিতে দেখা মিলবে শাহেনশা’র? (Indian Movie)

    সোশ্যাল মিডিয়া থেকে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের সঙ্গে জুটি বাঁধতে চলেছেন বলিউডের শাহেনশা অমিতাভ বচ্চন (Indian Movie)। দীর্ঘ ৩২ বছর পর আবার এক সঙ্গে দেখা যাবে এই জুটিকে। এর আগে মোট তিনটি ছবিতে এই জুটিকে কাজ করতে দেখা গিয়েছে, ‘অন্ধা কানুন’, ‘হাম’ ও ‘গ্রেফতার’। সেই সময় এই তিনটি ছবি যথেষ্ট জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। আর সম্প্রতি জানা গিয়েছে, এই নতুন ছবিটির নাম হতে চলেছে থালাইভার 170। ছবিটি পরিচালনা করছেন “জয় ভিম” এর পরিচালক টিজে গনভেল। সোশ্যাল মিডিয়াতে এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তেজনা বেড়েছে দর্শক মহলে, দীর্ঘ এত বছর পর এই দুই সুপারস্টারকে এক পর্দায় দেখা যাবে বলে। ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সুভাষ করণ। কোনও সংস্থার তরফ থেকে এই খবরটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ক্যাপশন লেখা হয়, “ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের শেহনশাহকে স্বাগত।”

    নাম নিয়ে এখনও জল্পনা (Indian Movie)

    তবে এখনও এই সিনেমার (Indian Movie) নাম নিয়ে জল্পনা আছে। রজনীকান্তের কেরিয়ারের ১৭০ তম ছবি এটি। সেই জন্যই আপাতত প্রযোজনা সংস্থার ওয়ার্কিং টাইটেলে ‘থালাইভার ১৭০’  রাখা হয়েছে। কিছু দিন আগে রজনীকান্ত তিরুবন্তপুরম থেকে চেন্নাই যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে বলেন, ‘আমি কেরিয়ারের ১৭ ০তম ছবিটি পরিচালক গনভেল এবং লাইকা প্রোডাকশনের সঙ্গে করছি, এটি পুরোটাই একটি বিনোদনমূলক ছবি। তবে এর সঙ্গে কিছু সামাজিক বার্তাও থাকবে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Habra: পুজোর মধ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি করে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Habra: পুজোর মধ্যে ব্যবসায়ীকে গুলি করে টাকা ভর্তি ব্যাগ ছিনতাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মুখে প্রকাশ্যে গুলি করে টাকা ভর্তি ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া (Habra) এলাকায়। আক্রান্ত ব্যবসায়ীর নাম স্বপন সাহা। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Habra)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বপনবাবু টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে হাবড়ায় (Habra) বাড়়ি ফিরছিলেন। দূর থেকে দুষ্কৃতীরা তাঁকে ফলো করছিল। রাস্তা কিছুটা নিরিবিলি হতেই আচমকাই টাকার ব্যাগ নিয়ে টানাটানি করতে শুরু করে দুষ্কৃতীরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ব্যবসায়ীর পথ আটকায় চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী।  তারা প্রথমে ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ব্যবসায়ী তাতে বাঁধা দেন। বাধা পেয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পায়ের নিচে গুলি লাগে ওই ব্যবসায়ীর। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। গুলির আওয়াজ শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসতেই দুষ্কৃতীরা ছুটে পালায়। যদিও বিষয়টি জানার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরে, গুলিবিদ্ধ ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের কী বক্তব্য?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এমনিতেই পুজোর সময় রাস্তায় ঠাকুর দেখতে অনেকে বেড়িয়েছেন। ফলে, রাস্তায় ভিড়ও ছিল। এরমধ্যেই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে পুলিশি টহল চলছে। নাকাও চলছে জোরকদমে। এরপরই দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় আমরা হতবাক। কারণ, প্রকাশ্যে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় সকলেই আতঙ্কে রয়েছি।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কে বা কারা এই গুলি চালিয়েছে তা তদন্ত করে দেখা দরকার। বাইরের কোনও গ্যাং রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুষ্কৃতীদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share