Blog

  • Jalpaiguri: আদালতে জামিন নামঞ্জুর, তৃণমূল যুব সভাপতির পুজো কাটবে জেলেই

    Jalpaiguri: আদালতে জামিন নামঞ্জুর, তৃণমূল যুব সভাপতির পুজো কাটবে জেলেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজো এবার হাজতেই কাটবে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের। দু’দিনের পুলিশি হেফাজত কাটিয়ে আদালতে তোলা হলে, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাশ তাঁর জামিন নাকচ করে, ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আগামী ১ নভেম্বর তাঁকে আবার আদালতে তোলা হবে বলে জানা গেছে। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার ফলে পুজোর কয়েকটা টা দিন জেলেই কাটবে। অপর দিকে জামিন নাকচ হতেই জেলে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সেই সঙ্গে বিচারকের সঙ্গে অভব্য আচরণের কথা বলে, তোপ দেগেছেন বিজেপি বিধায়ক।

    সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য (Jalpaiguri)

    সরকারি আইনজীবী মৃন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের তদন্তে বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে। তাই আদালত জামিনের আবেদন খারিজ করে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে পুলিশ নতুন করে পুলিশি হেফাজতে রাখার আবেদন আদালতে জানায় নি।”

    অভিযোগ কী ছিল?

    সমাজসেবী দম্পতিকে আত্মহাত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতা সৈকত চট্টোপাধ্যায়। আবার এই মৃত দম্পতি, বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের নিকট আত্মীয়। গতকাল শুনানির সময় আদালতে উপাস্থিত ছিলেন এই বিধায়ক। তিনি বলেন, “শাসক দলের এই তৃণমূল নেতা এতদিন জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) প্রভাব খাটিয়েছেন। মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজের প্রভুত্বকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন সৈকত। এমনকী বিচারকের সঙ্গে ধমকের সুরে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলেন এই যুব নেতা। আমাদের আইনের উপর বিশ্বাস রয়েছে, বিচারক বিচক্ষণ ব্যক্তি। এই তৃণমূল নেতা দোষী, তাই শাস্তি হোক এটা আমরা চাই।”

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    যুব তৃণমূল নেতা অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি আদালতের উপর ভরসা রেখেছি। বিজেপি বিধায়ক আদালতে সিন ক্রিয়েট করার চেষ্টা করছেন।” সেই সঙ্গে তাঁর আইনজীবী সঞ্জীব দত্ত জানিয়েছে যে সুপ্রিমকোর্টে আগে আবেদন করা হইয়েছিল, কিন্তু তা আগেই খারিজ হয়ে গিয়েছিল। আর সেই জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে জামিন খারিজ হয়ে যায়। আগামীকাল আমরা আবার জাজেস কোর্টে (Jalpaiguri) আবেদন করব।

    পাশাপাশি জেল হেফাজতে যাওয়ার পর সৈকত চট্টোপাধ্যায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবশ্য বিজেপির দাবি, জামিন না পেয়ে নাটক করছেন তৃণমূল যুব নেতা।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: সুদূর আমেরিকাতেও প্রবাসী বাঙালিদের পরিচালনায় হয় বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজো

    Durga Puja 2023: সুদূর আমেরিকাতেও প্রবাসী বাঙালিদের পরিচালনায় হয় বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো যে শুধু আমাদের পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতেই সীমাবদ্ধ, তা নয়। সাত সমুদ্র পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও হয় মায়ের আরাধনা। আমাদের বাঙালি জাতি গোটা বিশ্ব জুড়ে বসবাস করে। তাই যেখানে বাঙালি, সেখানে দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) হবে না, এটা কল্পনা করা যেতে পারে না। শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি যে সুদূর আমেরিকাতে প্রবাসী বাঙালিদের পরিচালনায় বেশ কয়েকটি দুর্গাপুজো হয়, যা আমাদের পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুজোর থেকে কিছু কম নয়। পুজোর এই কয়েকটা দিন প্রবাসী বাঙালি যাঁরা কাজের সূত্রে বিদেশে থাকেন, তাঁরা মেতে ওঠেন দুর্গাপুজোতে। ঠিক আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মতোই সেজে ওঠে মণ্ডপ থেকে দুর্গাপ্রতিমা। চলে খাওয়া-দাওয়া, অফুরন্ত আনন্দ। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা নিউ ইয়র্কের কয়েকটি প্রবাসী ভারতীয় তথা বাঙালিদের  দুর্গাপুজো সম্পর্কে জানব।

    নিউ ইয়র্ক বেদান্ত সোসাইটি (বেলুড় মঠ)

    এটি স্বামী বিবেকানন্দ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত প্রথম বেদান্ত সোসাইটি। নিউ ইয়র্কের অন্যান্য হিন্দু সংগঠনের থেকে এটি একটু ভিন্নভাবে পুজো উদযাপন করে। এটি বর্তমানে রামকৃষ্ণ মঠের অন্তর্গত। পশ্চিমবঙ্গের রামকৃষ্ণ মিশনের রীতিনীতি মেনেই এখানে পুজো (Durga Puja 2023) পরিচালনা করা হয়।

    জ্যামাইকা কালী মন্দির

    এটি ২০১০ সালের নিউ ইয়র্কের প্রবাসী বাঙালি হিন্দুদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি মন্দির। এখানে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) আয়োজন করা হয়। শুধু তাই নয়, বাঙালিদের বেশ কয়েকটি পুজো এখানে করা হয়।

    বাফেলোর সংস্কৃতি দুর্গাপুজো

    বিদেশের মাটিতে এই সংস্কৃতি সংগঠন বাঙালি হিন্দু সংগঠনকে আরও বেশি মজবুত করেছে। এটি ১৯৭৪-৭৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) সাথে বাঙালির বেশ কয়েকটি পুজো যেমন বসন্ত উৎসব, সরস্বতী পুজো, লক্ষ্মী পুজো, বিজয়া সম্মেলন, শীতকালীন পিকনিক প্রভৃতির আয়োজন হয়ে থাকে।

    বাংলাদেশ হিন্দু মন্দির ফ্লাশিং

    এটি বাংলাদেশের হিন্দু বাঙালিদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি মন্দির, যা  এলমহার্স্ট কুইন্সে অবস্থিত। প্রায় ৮০০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে এটি প্রতিষ্ঠিত। এখানে প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) হয়।

    সানিসাইড 

    এটি আরও একটি বাংলাদেশি হিন্দু প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশি হিন্দু বাঙালিদের একটি দল নিউ ইয়র্কের সানিসাইডে ১৯৮৯ সালে একটি হিন্দু  ধর্মীয় সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। এখানে বাঙালি রীতি মেনেই প্রত্যেক বছর দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) আয়োজন করা হয়।

    শ্রী মহা কালী দেবী মন্দির

    ১৯৯৮ সালে নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা হয়।  এখানে দেবী কালীর পুজো করা হয়। শুধু কালী নয় এছাড়াও এখানে দুর্গা, গঙ্গা, হনুমান, কৃষ্ণ, লক্ষ্মী, রাম, সরস্বতী, শিব, গণপতি, মনসা ইত্যাদি দেবদেবীদের পুজোপাঠ হয়ে থাকে। এই মন্দিরটি সারা বছর সব সময় খোলা থাকে। দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) কয়েকটা দিন এখানে বাঙালিরা মেতে ওঠেন।

    দিব্য ধাম মন্দির দুর্গাপুজো

    ১৯৯৩ সালে স্বামী জগদীশ্বর নন্দজি মহারাজ এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন।  এটি যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ হিন্দু মন্দির হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: মহাষ্টমীতে পূজিতা হন মাতা মহাগৌরী, জানুন দেবীর পৌরাণিক আখ্যান

    Navaratri 2023: মহাষ্টমীতে পূজিতা হন মাতা মহাগৌরী, জানুন দেবীর পৌরাণিক আখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে নবরাত্রি (Navratri 2023), চলছে বাঙালির সব থেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। নবরাত্রির অষ্টম দিনে পূজিতা হন মাতা মহাগৌরী। দেবী মহাগৌরী চতুর্ভূজা। উপরের ডান হাতে রয়েছে ত্রিশূল এবং উপরের বাম হাতে একটি ডমরু। নিচের হাত দুটি অভয়া এবং বরামুদ্রার ভঙ্গিমায় থাকে। মাতা মহাগৌরীর এই রূপে দেবীর বাহন হল একটি ষাঁড়। দুর্গার এই রূপটিকে তাঁর গাত্রবর্ণের কারণে মহাগৌরী বলা হয়।

    কথিত বিভিন্ন পৌরাণিক আখ্যান

    পৌরাণিক মত অনুযায়ী, দেবী শৈলপুত্রী (নবরাত্রির প্রথম দিনে এই মাতা পূজিতা হন) ১৬ বছর বয়সে অসামান্য সুন্দরী এবং গৌরবর্ণা  ছিলেন। এর ফলে তিনি দেবী মহাগৌরী হিসেবে পরিচিত হন। তাঁকে শঙ্খ, চাঁদ এবং সাদা ফুলের সাথে তুলনা করা হয়েছে। স্নিগ্ধতা, শুভ্রতার প্রতীক মানা হয় তাঁকে। আরেকটি পৌরাণিক কাহিনি অনুযায়ী, কালীরূপে মাতা পার্বতীর গাত্রবর্ণ সম্পূর্ণ কৃষ্ণবর্ণে পরিবর্তিত হয়েছিল। নিজের পূর্ববর্তী বর্ণ ফিরে পেতে মাতা পার্বতী ব্রহ্মার তপস্যায় ব্রতী হয়েছিলেন‌। একাকী গভীর অরণ্য মাঝে রোদ, ঝড়, বৃষ্টি, হিংস্র‌ জন্তুদের আক্রমণ-এ সমস্ত কিছু উপেক্ষা করেই মাতা পার্বতী তপস্যা করছিলেন। অবশেষে ব্রহ্মা প্রসন্ন হয়ে আবির্ভূত হন এবং মাতা পার্বতীকে বরদান করেন যে মানস সরোবরে স্নান করলেই তিনি পূর্বের বর্ণ ফিরে পাবেন।ব্রহ্মার কথামতো মানস সরোবরে স্নান করার পরেই মাতা পার্বতী তাঁর নিজের পূর্বের গাত্রবর্ণ ফিরে পান, অর্থাৎ পুনরায় গৌরবর্ণা হয়ে যান। এই গৌরবর্ণা মাতা পার্বতী তখন মহাগৌরী নামে প্রসিদ্ধ হন। 

    অন্য একটি পুরাণ অনুযায়ী (Navaratri 2023), হিমায়লকন্যা মাতা পার্বতী ছিলেন গৌরবর্ণা। শিবকে স্বামী রূপে, পতি রূপে পাওয়ার জন্য মহর্ষি নারদের পরামর্শ মতো তিনি গভীর তপস্যা শুরু করেন। গভীর অরণ্যে, সমস্ত আরাম, সুখ ত্যাগ করে ব্যাপক কৃচ্ছসাধনের মধ্যে দিয়ে এই তপস্যা চলতে থাকল বছরের পর বছর ধরে। সূর্যের তাপ, শীতের হিমেল হাওয়া, বৃষ্টি এবং ব্যাপক ঝড়ের মধ্যেও তপস্যায় ছেদ পড়ল না। কথিত আছে, এই সময় মাতার সমস্ত অঙ্গ ধূলিকণা, মাটি, গাছের পাতা দিয়ে ঢাকা পড়ে গিয়েছিল। গৌরবর্ণা মাতার সমস্ত শরীরের উপর একটি কৃষ্ণ বর্ণের আস্তরণ বা  ত্বক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে ভগবান শিব দেবীর তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে মাতা পার্বতীর সম্মুখে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং মাতাকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে তাঁকেই (ভগবান শিবকে) মাতা পার্বতী স্বামী রূপে, পতি রূপে লাভ করবেন। এরপর গঙ্গার পবিত্র জলরাশির দ্বারা ভগবান শিব, মাতা পার্বতীকে স্নান করিয়েছিলেন। তপস্যারত  অবস্থায় মাতার শরীরে যে ময়লার আবরণ তৈরি হয়েছিল, যার জন্য মাতা গৌরবর্ণা থেকে কৃষ্ণবর্ণা হয়ে গিয়েছিলেন। মহাদেব শিব তাঁকে স্নান করানোর পর মাতা পূর্বের মতো পুনরায় গৌরবর্ণা হয়ে ওঠেন। গৌরবর্ণা এই মাতাই মহাগৌরী নামে পরিচিত। যিনি নম্রতা, শুদ্ধতা, পবিত্রতার প্রতীক রূপে পূজিতা হন।

    মাতা মহাগৌরীর (Navaratri 2023) বিষয়ে আরও কথিত রয়েছে যে, একদিন দেবী, গৌরী রূপে আট বছরের  বালিকা সেজে শিবের সামনে নৃত্য করে তাঁকে আনন্দিত করছিলেন। এরপরে শিব তাঁর পরিচয় জানতে চাইলে দেবী পার্বতী নিজের রূপ প্রকাশ করেন।

    কীভাবে সন্তুষ্ট হন মাতা মহাগৌরী?

    ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে, মাতা সমস্ত অশুভ শক্তিকে বিনাশ করেন এবং তাঁর আশীর্বাদে জীবন সম্পূর্ণভাবে সুখময় ও প্রেমময় হয়ে ওঠে। উজ্জ্বল সৌন্দর্যের প্রতীক এই দেবী অষ্টমীতে ভক্তদের দ্বারা আরাধিত হন। তাঁর নৈবেদ্যতে নারকেল রাখার রীতি রয়েছে (Navaratri 2023)। বিশ্বাস রয়েছে, মাতার আশীর্বাদ স্বরূপ ভক্তদের ভালো বিবাহ হয়। সিঁদুর, মেহেন্দি, কাজল, টিপ, চুড়ি, পায়ের আংটি, চিরুনি, আলতা, আয়না, পায়ের পাতা, সুগন্ধি, কানের দুল, নাকের পিন, নেকলেস, লাল চুনরি, মহাভার, চুলের পিন ইত্যাদি দ্বারা মায়ের পুজো সম্পন্ন হয়। সবজির তরকারি এবং হালুয়া দিয়ে মাতা মহাগৌরীকে ভোগ নিবেদন করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: লালবাগ ধর্ষণকাণ্ডে ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন শাস্তির নির্দেশ, পুজোর মুখে খুশি নির্যাতিতা

    Murshidabad: লালবাগ ধর্ষণকাণ্ডে ৪ দোষীকে যাবজ্জীবন শাস্তির নির্দেশ, পুজোর মুখে খুশি নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ দুই বছর ধরে মামলা চলছিল। অবশেষে চার অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করলেন আদালত। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) গণধর্ষণ মামলায় চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গত দুই বছর আগেও এমন সময় ছিল পুজোর সময়, দুষ্কৃতীরা দাঁতের আচর দিয়ে ব্যাপক নির্যাতন করে কার্যত জীবনকে অন্ধকারের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। এই অত্যাচারে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন নির্যাতিতা। কিন্তু এতো কিছুর পরেও নির্যাতিতা কোন ভাবেই হার মানেন নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিন লালাবাগ মহকুমা আদালতে বিচারেকের শুনানিতে এই শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।

    ২ বছর আগে ঘটেছিল ধর্ষণের ঘটনা (Murshidabad)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের দুর্গা পুজোর আগে লালবাগ (Murshidabad) এলাকায় একটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল। নির্যাতনের কথা সামজিক মাধ্যমে তুলে ধরে ভাইরাল করার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছিল এই দুষ্কৃতীরা।কিন্তু ঘটনার পরে ভয় পাননি নির্যাতিতা নারী। তিনি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে নির্যাতনের বিবরণ দিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এরপর পুলিশ ৪ জন প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। তারপর থেকে মামলা চলে কোর্টে। দীর্ঘদিন কোর্টে মামলার শুনানিও চলছিল। ঘটনার কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে মোট ১২ জন সাক্ষী প্রদান করেন। অবশেষে মহকুমা আদালতের বিচারক, দোষীদের ২ লাখ টাকা করে জরিমানা এবং যাব্বজীবন শাস্তির রায় ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে নির্যাতিতাকে ৪ লাখ টাকা ক্ষতি পূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।

    আইনজীবীর বক্তব্য

    এই মামলার আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গতকাল বৃহস্পতিবার দোষীদের আদলাত (Murshidabad) শাস্তি ঘোষণা করেছেন। তবে দোষীদের ১৪ বছর সাজা হয়নি। আজীবন কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দোষীরা যতদিন বেঁচে থাকবেন, ঠিক ততদিনই জেলে থাকবেন। দোষীদের যে টাকা জরিমানা প্রদান করা হয়েছে, সেই টাকা নির্যাতিতাকে প্রদান করার স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রায়ে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: পুজোর মুখে হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা, ধৃত বিহারের দুই ব্যক্তি

    Howrah: পুজোর মুখে হাওড়া স্টেশনে উদ্ধার বিপুল পরিমাণ টাকা, ধৃত বিহারের দুই ব্যক্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর মধ্যেই বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হল হাওড়া (Howrah) স্টেশনে। আর টাকা মজুত করার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম সুরেন্দ্রপ্রসাদ লাহারাকা এবং সুরেশ মণ্ডল। তাঁদের একজনের বাড়ি বিহারের লক্ষ্মীসরাই এবং অন্যজনের বাড়ি জামালপুরে। লক্ষ লক্ষ টাকা কী ভাবে পেয়েছেন, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। রেল সূত্রে খবর, ধৃত দুই ব্যক্তি  ঠিকঠাক উত্তর দিতে না পারায় ওই টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে, ওই টাকা আয়কর দফতরের আধিকারিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, এমনিতেই পুজোর সময় হাওড়া (Howrah) স্টেশন বিশেষ নজরদারি করছে পুলিশ। কোনও সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশিও করা হচ্ছে। এরইমধ্যে হাওড়া স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সে ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ডাউন লক্ষ্মীসরাই হাওড়া এক্সপ্রেস ঢোকে। ওই সময় দুই যাত্রীকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাঁদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হয় আরপিএফ কর্মীদের। কাছে গিয়ে দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরই মেলে বিপুল অঙ্কের টাকা। জানা যাচ্ছে, দু’জনের মধ্যে এক জনের পিঠে ছিল কালো রঙের একটি ব্যাগ। দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে সন্দেহ হওয়ায় তাঁদের ব্যাগ খুলে দেখেন আরপিএফ কর্মীরা। সেখানে মেলে প্রচুর টাকা। গুনে দেখা যায় মোট ৩১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা রয়েছে তাতে। কোথা থেকে এত টাকা নিয়ে এসেছেন তার সদুত্তর দিতে পারেননি ওই দুই ব্যক্তি। এরপর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

    আরপিএফের এক আধিকারিক কী বললেন?

    আরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়ে কলকাতায় আসার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের সঙ্গে আর কেউ রয়েছে কি না তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ajit Doval: ‘‘সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বড় বাধা’’, বললেন ডোভাল

    Ajit Doval: ‘‘সন্ত্রাসবাদ ও মাদক পাচার আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে বড় বাধা’’, বললেন ডোভাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচারের মতো গুরুতর সমস্যাগুলির সমাধানে নয়া কূটনৈতিক চাল অজিত অজিত ডোভালের। চলতি সপ্তাহের, মঙ্গলবার কাজাকাস্থানে এক উচ্চপর্যায়ের জরুরি বৈঠকে বসেন ভারত ও মধ্যএশিয়ার দেশগুলির নিরাপত্তার আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, সেখানেই অজিত ডোভাল (Ajit Doval) তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘‘ভারত এবং মধ্য এশিয়ার প্রায় কম-বেশি প্রত্যেকটি দেশই নিরাপত্তা জনিত সমস্যায় বর্তমানে ভুগছে। এর কারণ সন্ত্রাসবাদ, মাদক পাচার সমেত সাইবার হামলা। এই সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য যৌথ নেটওয়ার্ক তৈরির প্রয়োজন।’’

    আলোচনার মাধ্যমেই বিবাদ মেটানো সম্ভব

    এর পাশাপাশি কূটনীতির উপরেও জোর দিতে দেখা গিয়েছে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে (Ajit Doval)। তাঁর মতে, ‘‘বর্তমান সময়ে অনেকগুলি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে সারা দুনিয়া। এক দেশের সঙ্গে অপর দেশের মতপার্থক্যের জন্যই বিবাদ সৃষ্টি হচ্ছে।’’ এই বিবাদগুলি আলোচনার মাধ্যমেই মিটিয়ে ফেলা সম্ভব বলেও জানিয়েছেন অজিত ডোভাল। মধ্য এশিয়ার সঙ্গে একটি ইতিবাচক সম্পর্ক তৈরি করতে ভারত আগ্রহী বলেও জানিয়েছে ডোভাল। 

    নিশানা পাকিস্তানকে

    সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে অজিত ডোভালের (Ajit Doval) আরও  মন্তব্য, ‘‘বর্তমান আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবাদই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ এবং এটিকে এড়িয়ে যাওয়া বা অবহেলা করা কখনও সম্ভব নয়। এর পাশাপাশি মাদক পাচারকেও বন্ধ করতে হবে। কারণেই চোরা চালানোর মাধ্যমে সন্ত্রাসবাদ মজবুত হচ্ছে।’’ প্রসঙ্গত, উচ্চ পর্যায়ের এই নিরাপত্তা আধিকারিকদের বৈঠকে অজিত ডোভাল (Ajit Doval) সব থেকে বেশি জোর দিয়েছেন সন্ত্রাসবাদ এবং মাদক পাচারকে রোখার বিষয়ে। মাদক পাচারের অর্থেই যে সন্ত্রাসবাদের ফান্ডিং হয় এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। দীর্ঘদিন ধরে তালিবান জঙ্গিদের আফিম চাষের মাধ্যমেই নিজেদের ফান্ডিং মজবুত করতে দেখা গিয়েছে।  পাকিস্তানকে নিশানা করে ডোভাল বলেন, ‘‘মধ্য এশিয়া এবং ভারতের মধ্যে সরাসরি সংযোগ না থাকাটা খুবই বিস্ময়ের। একটি বিশেষ দেশের ক্রমাগত নীতিগত বাধার কারণে এই সংযোগ এতদিনেও গড়ে ওঠেনি। এই বাধাদানে শুধুমাত্র ওই দেশটিই যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, সামগ্রিক ভাবে এই অঞ্চলের লোকসান হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি

    Recruitment Scam: হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন প্রাথমিক শিক্ষা (Recruitment Scam) পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। প্রসঙ্গত, বুধবারই বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে পর্ষদের সভাপতি সমেত জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকেও। এ বিষয়ে সময়সীমাও বেঁধে দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে (Recruitment Scam) যাওয়ার কথা বলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    সন্ধ্যা ছয়টার আগেই পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল পৌঁছে যান সিবিআই দফতরে

    সন্ধ্যা ছয়টার আগেই অবশ্য পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল পৌঁছে যান সিবিআই দফতরে (Recruitment Scam)। ঠিক ৫টা ৫৩ মিনিটে তাঁকে ঢুকতে দেখা যায় নিজাম প্যালেসে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের ৭ মিনিট আগেই। গৌতম পালের হাজিরাকে ঘিরে আগে থেকেই সেখানে সংবাদমাধ্যম উপস্থিত ছিল কিন্তু সাংবাদিকদের তিনি কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো গৌতম পালের সঙ্গে হাজিরা দিয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারও।

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

    গতকাল বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। ২০১৪ সালের ওই টেট দুর্নীতির রিপোর্ট দেখার পরেই গৌতম পাল এবং ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকারকে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দেন, তদন্তে সহযোগিতা না করলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে সিবিআই। ১৮ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। প্রসঙ্গত ইতিমধ্যে প্রাথমিকে ওএমআর সিট দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দুই অধিকর্তাকে (Recruitment Scam) সম্প্রতি গ্রেফতার করে সিবিআই। ক্রমশই তদন্তের জাল গুটিয়ে আনছে সিবিআই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগ-তদন্তে গতি আনতে দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে নতুন আধিকারিক! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের 

    Recruitment Scam: নিয়োগ-তদন্তে গতি আনতে দিল্লি থেকে আনা হচ্ছে নতুন আধিকারিক! নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ-দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় গতি আনতে সিবিআই-এর ‘স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম’-এর পুনর্গঠন করা হল। নতুন সিবিআই আধিকারিককে দিল্লি থেকে ডেকে পাঠালেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দিল্লিতে কর্মরত স্নেহাংশু বিশ্বাস নামক ওই অভিজ্ঞ অফিসারকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে কলকাতায় বদলি করে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে এখন কোনওভাবেই সরানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।

    কী বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়?

    বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) ডিআইজি সিবিআই অশ্বিন সেনভিকে সিট পুনর্গঠনের নির্দেশ কার্যকর করতে বলেন।  সিট-কে আরও শক্তিশালী করতে দিল্লি সিবিআই অ্যান্টি কোরাপশন ব্রাঞ্চের ওই অফিসারকে কলকাতায় আনতেই বিচারপতির এই নির্দেশ। নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় এদিনের শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “আদালতকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিরক্ত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে প্রাইমারি বোর্ড অফ এডুকেশন।” সিবিআই-কে বিচারপতি নির্দেশ দেন, পুজোর ছুটির পরে গোটা নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট দিতে হবে। এতদিন ধরে কী কী তদন্ত এই নিয়োগ দুর্নীতিতে হয়েছে, সেটা জানতে হবে। মুখ বন্ধ খামে আদালতে তা জমা করতে হবে সিবিআই-কে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৯ নভেম্বর। সেদিনই মুখ বন্ধ খামে রিপোর্ট জমা করতে হবে সিবিআই-কে।

    আরও পড়ুন: পুজোর উপহার! ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ল কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের, কত হবে বেতন?

    মামলার গতি রোধ করার চেষ্টা করছে পর্ষদ

    আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত এদিন আদালতে জানান, রাজ্য প্রাথমিক কাউন্সিল সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে। ওএমআর সিট বিতর্কে সিঙ্গেল বেঞ্চের দেওয়া নির্দেশে স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে ওই আবেদনে। ইতিমধ্যেই মানিক ভট্টাচার্য এই মামলায় এসএলপি ফাইল করেছেন। এদিন বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন করা হলে শীর্ষ আদালত খারিজ করে দেয়। ফলে দ্রুত শুনানি ও সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ স্থগিতের আবেদন আপাতত গ্রহণ করা হয়নি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই মামলায় সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে শিক্ষা পর্ষদের বিরুদ্ধে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তারপরেও পর্ষদের এই আবেদন করার পিছনে বলা হয়েছে সিঙ্গেল বেঞ্চ ‘হার্স অর্ডার’ দিয়েছে। যে কোনও ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান চ্যালেঞ্জ করতেই পরে। কিন্তু, এখানে পর্ষদের এই আবেদন আসলে মামলার গতি রোধ করার চেষ্টা বলে মনে করছে আদালত। তাদের এই উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন আসছে।”

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: বিদেশি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেল রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ

    Ram Mandir: বিদেশি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে ছাড়পত্র পেল রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই ভক্তদের জন্য খুলে যাচ্ছে রাম মন্দিরের (Ram Mandir) দরজা। তার আগেই, ২০১০ বিদেশি অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন সংক্রান্ত লাইসেন্স রাম মন্দির কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে বিদেশি কোনও অনুদান পেতে রাম মন্দির কর্তৃপক্ষের আর বাধা রইল না বলে মনে করা হচ্ছে। বুধবার বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স পাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই।

    কী বলছে রামজন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট

    এ বিষয়ে রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক চম্পত রাই বলেন, ‘‘বিদেশি অনুদান দিল্লির স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার মূল শাখায় রাম মন্দির ট্রাস্টের ব্যাঙ্ক অকাউন্টে পাঠাতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, বিদেশে বসবাসকারী বহু প্রবাসী ভারতীয় হিন্দুর রাম মন্দির নির্মাণ প্রকল্পে অনুদানকে নিশ্চয়তা দিতেই সরকারের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    আগামী বছরেই খুলে যাচ্ছে রাম মন্দিরের দরজা

    ২০১৯ সালে নভেম্বরের সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় রাম মন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের পক্ষে। এরপরেই তোড়জোড় শুরু হয় মন্দির নির্মাণের। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট মন্দিরের ভূমি পূজন করেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর থেকেই আগ্রহ এবং কৌতূহল দুটোই বাড়ছিল যে কবে উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের! এবার নির্মিত রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিনক্ষণও স্থির হয়ে গেল। রাম মন্দির (Ram Mandir) কনস্ট্রাকশন কমিটির চেয়ারপার্সন নৃপেন্দ্র মিশ্র জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে এবং রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিতর্কের অবসান আগেই করেছিল সুপ্রিম কোর্ট, রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায়দানের মাধ্যমে, এবার মন্দির উদ্বোধন হলে পূর্ণতা পাবে সুপ্রিম কোর্টের রায়, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে আড়াই একর জমির উপরে। মন্দির প্রাঙ্গণে রয়েছে প্রায় আট একর জায়গায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ১৯/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ১৯/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) মধুর ব্যবহারের সাহায্যে সমস্ত কাজ সহজেই পুরো করে নিতে পারবেন।

    ২) ভেবেচিন্তে কথা বলুন। না-পারলে চুপ থাকাই শ্রেয়।

    বৃষ

    ১) অনৈতিক পথে লাভ উপার্জনের লোভ বাড়বে। কিন্তু তা এড়িয়ে যান, না-হলে ভবিষ্যতে লোকসান হতে পারে।

    ২) লাভের সুযোগ পাবেন, তবে নিজের সিদ্ধান্তহীনতার কারণে তার সুযোগ তুলতে পারবে না।

    মিথুন

    ১) কঠিন পরিশ্রম সত্ত্বেও কাজ অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।

    ২) প্রয়োজনের সময়ে অর্থ না-পাওয়ায় হতাশ হবেন।

    কর্কট

    ১) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মতভেদ হবে।

    ২) ভুল বোঝাবুঝির কারণে অধিক চিন্তিত থাকবেন।

    সিংহ 

    ১) সন্তানের জেদ আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলে দেবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা কমায় লাভ হবে।

    কন্যা

    ১) কাজকর্মে আর্থিক লাভ হবে, কিন্তু সেই কাজ পিছিয়ে যাবে।

    ২) ব্যয়ের কারণে আর্থিক সমস্যা হবে।

    তুলা 

    ১) আপনার সাফল্যের পিছনে বিশেষজ্ঞদের যোগদান থাকবে। তবে নিজের স্বার্থের কারণে কারও উপকার স্বীকার করবেন না।

    ২) মহিলা বন্ধুর সঙ্গে অধিক ঘনিষ্ঠতা রাখার কারণে নিন্দার পাত্র হতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আর্থিক লাভ অর্জন করা কঠিন হবে এই রাশির জাতকদের।

    ২) দূরের কোনও আত্মীয়ের কাছ থেকে দুঃসংবাদ পেতে পারেন।

    ধনু

    ১) অফিসে নিজের সামর্থ্যের জোরে কাজ করবেন। কারও সাহায্য বা সুপারিশ গ্রহণ করবেন না।

    ২) পুরনো আটকে থাকা কাজে চমকপ্রদ গতি বাড়বে।

    মকর

    ১) সময়ের মধ্যে চুক্তির কাজ সম্পন্ন করার জন্য অধিক পরিশ্রম করতে হবে।
     
    ২) কাজের চাপ বেশি হওয়ায় মেজাজ খিটখিটে হবে।

    কুম্ভ

    ১) সরকারের তরফে লাভজনক সংবাদ শুনতে পাবেন।

    ২) বিদেশি কাজে সাফল্য সুনিশ্চিত হবে।

    মীন

    ১) অধিক আলস্যের কারণে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন। তবে দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতি উন্নত হবে।

    ২) দায়িত্ব বুঝবেন এবং কোনও বিশেষ ব্যক্তির পথ প্রদর্শনে কর্মক্ষেত্রে লাভজনক চুক্তি লাভ করবেন।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share