Blog

  • Jalpaiguri: ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে চালের মধ্যে পোকা! তুমুল বিক্ষোভ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Jalpaiguri: ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে চালের মধ্যে পোকা! তুমুল বিক্ষোভ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চালের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে পোকা। ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে চালের মধ্যে রয়েছে পোকা। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট তেলিপাড়া এলাকায়। চোখের সামনে দেখে হতবাক এলাকাবাসী। রেশনের চালে এরকম অবস্থা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। যার জেরে বন্ধ হয়ে যায় রেশন বন্টনের কাজ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jalpaiguri)

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট তেলিপাড়া এলাকায় রেশন ডিলার কৃষ্ণকুমার দাস দীর্ঘদিন ধরেই নিম্নমানের চাল বণ্টন করে আসছেন। সেই চালের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য পোকা। শুধু তাই নয়, সেই চাল খাওয়ার অযোগ্য। চাল সেদ্ধ হতেও অনেক সময় লাগছে। এরপরই অভিযুক্ত রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। বিক্ষোভের মুখ পড়ে রেশন সামগ্রী বণ্টন বন্ধ হয়ে যায়।প্রসঙ্গত, এর আগেও এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। একাধিকবার বলার পরেও নিম্নমানের রেশন বারংবার দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন গ্রামের বাসিন্দারা। পরবর্তীতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য সাহিরুল ইসলাম। তিনি নিজেও স্বীকার করে নেন, রেশনে নিম্নমানের খাদ্য সামগ্রী বণ্টন করার কথা। গ্রামবাসীদের পাশে দাঁড়ান। এমনকী ডিলারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। ফুড ইন্সপেক্টরকে ফোন করেন এবং সমস্যার কথা জানান। বন্ধ রয়েছে রেশন বণ্টন পরিষেবা। যদিও এই বিষয়ে রেশন ডিলার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, রেশন সামগ্রী নিয়ে বহুদিন ধরেই অভিযোগ ছিল। তবে, এত নিম্নমানের চাল দেওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। এর সঙ্গে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

    বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কী বললেন?

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বানারহাট পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ প্রভা কুজুর বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে ফুড ইন্সপেক্টরের সঙ্গে কথা বলব। নিম্নমানের চাল দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: ‘কলা বৌ’ স্থাপন করা হয় গণেশের ঠিক পাশে, আসলে তিনি কার বৌ জানেন?

    Navaratri 2023: ‘কলা বৌ’ স্থাপন করা হয় গণেশের ঠিক পাশে, আসলে তিনি কার বৌ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মা দুর্গার বড় ছেলের পাশেই তিনি দাঁড়িয়ে থাকেন। লাল পাড়ের শাড়ি পরিয়ে নারী মূর্তির আদল দেওয়া হয় তাঁকে। আসলে তিনি যে বৃক্ষ। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন-‘কলা বৌ’ (Navaratri 2023)। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে,  ধূপ-ধুনো জ্বালিয়ে ‘কলা বৌ’ স্নান করানো হয়, তারপর তা স্থাপন করা হয় ঠিক গণেশের পাশে। বধূ বেশে, ঘোমটা টেনে গণেশের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ‘কলা বৌ’ কি তবে গণেশের বৌ? এ প্রশ্ন অনেকেরই মনে বাসা বাঁধে। আবার কেউ কেউ এই ধারণাটাই সঠিক মনে করেন।

    কলা বৌ আসলে কার বৌ?

    পুরাণ অনুযায়ী, গণেশের দুটি বৌ। একজন ঋদ্ধি ও অপরজন সিদ্ধি। তাঁরা দুজনেই ব্রহ্মার মানসকন্যা। শিক্ষার উদ্দেশ্যে এই দুজন গণেশের কাছে যান এবং কোনও কারণবশত গণেশ রুষ্ট হয়ে তাঁদের দুজনকে অভিশাপ দিতে উদ্যত হলে ব্রহ্মা আবির্ভূত হন এবং গণেশের সাথেই দুজনের বিবাহ দেন।

    ‘কলা বৌ’ তো তাহলে গণেশের বৌ নয়। তাহলে ‘কলা বৌ’ আসলে কার বৌ? এক কথায় উত্তর হবে, শিব-জায়া অর্থাৎ শিবের বৌ। ‘কলা বৌ’ আসলে মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ। এ প্রসঙ্গে জানা দরকার যে, ‘কলা বৌ’ প্রচলিত নাম হলেও এটি ন’টি উদ্ভিদের সমষ্টি বা সমাহার। তাই ‘কলা বৌ’ এর আসল নাম “নবপত্রিকা” (Navaratri 2023)। এই ন’টি উদ্ভিদের বর্ণনা রয়েছে এই শ্লোকটিতে –   

    রম্ভা কচ্চী হরিদ্রাচ জয়ন্তী বিল্ব দাড়িমৌ।
    অশোক মানকশ্চৈব ধান্যঞ্চ নবপত্রিকা।

    রম্ভা (কলা), কচ্চী (কচু), হরিদ্রা (হলুদ), জয়ন্তী, বিল্ব (বেল), দাড়িম্ব (ডালিম), অশোক, মানকচু ও ধান গাছ‌। নবপত্রিকায়, একটি পাতাযুক্ত কলাগাছের সাথে অপর আটটি উদ্ভিদকে শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। কলা গাছটিকে নারী দেহের গঠন দেওয়ার জন্য বেল দুটিকে স্তনযুগলের মতো রাখা হয়।

    প্রকৃতি পুজো ভারতীয় উপ মহাদেশের রীতি

    অতি প্রাচীন কাল থেকেই প্রকৃতি পুজো ভারতীয় উপ মহাদেশের রীতি (Navaratri 2023)। অগ্নি, জল, বায়ু, মাটি, পাহাড়, গাছ, নদী সব কিছুতেই ঈশ্বর বিরাজমান, এ ধারণা থেকেই “নবপত্রিকা” বা “কলা বৌ”-এর পুজো‌। উদ্ভিদ প্রকৃতির সজীব অংশ। খাদ্যশস্য, নিঃশ্বাসের বাতাস, জীবনদায়ী ঔষধ এসব কিছুতেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উদ্ভিদ। ভক্তদের কল্যাণকারী মা দুর্গা তাই অধিষ্ঠাত্রী দেবী নবপত্রিকার এই উদ্ভিদগুলিতে। তিনি সর্বত্র বিরাজমান। নবপত্রিকা মা দুর্গার বৃক্ষ রূপ হিসেবে পরিচিত।

    মহাসপ্তমীর সকালে “নবপত্রিকা”-র পুজোতে মন্ত্র পাঠ করা হয়-
    “নবপত্রিকাবাসিন্যৈ নবদুর্গায়ৈ নমঃ”, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়-নবপত্রিকা বাসিনী নবদুর্গা।

    এবার এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, নবপত্রিকার ন’টি গাছ দেবী দুর্গার কোন কোন রূপের প্রতীক।

    ১. রম্ভা (কলা গাছ): কলা গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ব্রহ্মাণী

    ২. কচু: কচু গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী কালিকা

    ৩. হরিদ্রা (হলুদ গাছ): হরিদ্রা গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী উমা

    ৪. জয়ন্তী: জয়ন্তী গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী কার্তিকী

    ৫. বিল্ব (বেল গাছ): বিল্ব গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শিবা

    ৬. দাড়িম্ব (ডালিম/বেদানা গাছ): দাড়িম্ব গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী রক্তদন্তিকা

    ৭. অশোক: অশোক গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শোকরহিতা

    ৮.মানকচু: মানকচু গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী চামুণ্ডা

    ৯.ধান: ধান গাছের অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মী।

    কী বলছেন গবেষকরা?

    হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতির বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন ১৯৬১ সালের “অ্যাকাডেমিক পুরস্কার” প্রাপক গবেষক ডঃ শশিভূষণ দাশগুপ্ত। নবপত্রিকার পুজোর বিষয়ে তিনি তাঁর “ভারতের শক্তিসাধনা ও শাক্ত সাহিত্য গ্রন্থের” ২৫-২৬ পাতায় লিখছেন, “বলা বাহুল্য, এসবই হল পৌরাণিক দুর্গা দেবীর সাথে এই শস্য দেবীকে (পড়ুন “নবপত্রিকা”) সর্বাংশে মিলিয়ে নেওয়ার এক সচেতন চেষ্টা। এই শস্য দেবী, মাতা পৃথিবীরই রূপভেদ। সুতরাং আমাদের জ্ঞাতে অজ্ঞাতে দুর্গাপুজোর ভিতরে এখনো সেই আদিমাতা পৃথিবীর পুজো অনেক খানি মিশিয়া আছে”।

    নবপত্রিকার সাথে দুর্গাপুজোর সম্পর্ক নিয়ে পণ্ডিত মহলে নানা মত রয়েছে। মার্কন্ডেয় পুরাণে নবপত্রিকার কোনও বিধান নেই, আবার কালিকা পুরাণে সপ্তমীতে “পত্রিকা” পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। কৃত্তিবাসী রামায়ণে রামচন্দ্র কর্তৃক নবপত্রিকা পুজোর কথা আছে। “বাঁধিল পত্রিকা নববৃক্ষের বিলাস”। পণ্ডিতদের মত অনুযায়ী, সম্ভবত শবর সম্প্রদায় কোনও এক সময়ে ন’টি উদ্ভিদের মাধ্যমে মা দুর্গার পুজো করতেন। সেই থেকেই হয়তো “নবপত্রিকা” বা ‘কলা বৌ’ পুজো হয়ে আসছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: চতুর্থীর দিনে পুজো দিয়ে শুরু হল হাটজনবাজারে উড়ালপুলের কাজ, খুশির আবহ সিউড়িতে

    Birbhum: চতুর্থীর দিনে পুজো দিয়ে শুরু হল হাটজনবাজারে উড়ালপুলের কাজ, খুশির আবহ সিউড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিউড়ি (Birbhum) হাটজনবাজারে বহু প্রতিক্ষিত উড়ালপুলের কাজ পুজো অর্চনার মধ্যে দিয়ে শুরু হল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় এবং সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রেলের ওভার ব্রিজের ঠিকাদার সহ জেলার বিজেপি কর্মীরা। এই ব্রিজের কাজ শুরু হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে বেশ উৎসাহ লক্ষ করা গেছে। তবে প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপস্থিতি না থাকায় কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।

    শুরু হল ব্রিজ নির্মাণের কাজ (Birbhum)

    সিউড়ির (Birbhum) হাটজনবাজারের রেল ওভারব্রিজের কাজের ক্রেডিট নিয়ে বিতর্ক কার্যত জিইয়েই রইলো। প্রায় ৭ বছর ধরে অসমাপ্ত হয়ে থাকা ওভারব্রিজের কাজ, বুধবার পুনরায় শুরু হল বিশ্বকর্মা পুজোর মধ্য দিয়ে। আর সেই পুজোতেই নারকেল ফাটিয়ে রেল ওভারব্রিজের কাজের উদ্বোধন করলেন, বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    সিউড়িতে (Birbhum) রেলের ব্রিজ তৈরি করার কাজ সূচনার পুজোতে যোগদান করতে এসে, রাজ্যের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নবরাত্রির চতুর্থীর দিনে বিশ্বকর্মা পুজো করার মাধ্যমে কাজের শুভ সূচনা হল। রেল দফতর ইতিমধ্যে ১০ মাসের মধ্যে কাজ করার কথা বলেছে। কিন্তু আগামী ছয় মাসের মধ্যেই বিজেপি প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। মানুষের কাছে কেন্দ্রের মোদি সরকার একান্তভাবে দায়বদ্ধ। এলাকার তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়করা সিউড়ির টোটো সমস্যা সমাধান করলে ভালো কাজ করবেন। রেলের সিঙ্গেল এন্ট্রি প্রোজেক্ট, ফলে এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। উল্লেখ্য, এখানে তিন তিনটি ঠিকাদার, স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের তোলাবাজির কারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তাই রাজ্য সরকার, রেলের প্রকল্প, উড়ালপুল, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, বিমান পরিষেবাকে বিজেপির উপরে ছেড়ে দিলেই ভালো করবে। কন্যাশ্রী প্রকল্পে তৃণমূল সরকার রাজ্যের কোষাগার থেকে ৩৫০-৪০০ কোটি টাকা, শুধুমাত্র বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করে। বিজ্ঞাপনের জন্য খরচ করার নীতি হল তৃণমূলের সংস্কৃতি। বিজেপি এই ধরনের কাজে বিশ্বাস করে না।”

    কটাক্ষ তৃণমূলের

    ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “কীভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি কাজের উদ্বোধন করেন বিজেপি নেতা? আসলে উনি নিজেকে প্রশাসনিক আধিকারিক মনে করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IIT Kharagpur: খড়গপুর আইআইটিতে ফের এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, হোস্টেল থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ!

    IIT Kharagpur: খড়গপুর আইআইটিতে ফের এক ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু, হোস্টেল থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হোস্টেলের ঘরে ফের রহস্য জনক মৃত্যু। উদ্ধার হল ঝুলন্ত ছাত্রের মৃতদেহ। বুধবার ভোরবেলা ঘটনাটি ঘটেছে। মৃত ছাত্র আইআইটি (IIT Kharagpur) এলবিএস হোস্টেলের ৫১৩ নম্বর রুমে থাকতেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত ছাত্রের নাম কিরণ চন্দ্র। তিনি ইলেকট্রিক ইঞ্জিনারিং বিভাগে চতুর্থ বর্ষে পড়াশুনা করতেন। তাঁর বাড়ি হল, তেলেঙ্গানা রাজ্যের মেড়াক জেলার টুপরান গ্রামে। তাঁকে হোস্টেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিসি রায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে, মৃত বলে জানিয়েদেন চিকিৎসক। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঠিক কী কারণে মৃত্যু? আত্মহত্যা নাকি খুন! তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ একটি মামলা রুজু করেছে। ছাত্রের পরিবারের লোকজনকেও খবর দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

    ছাত্র মৃত্যু বার বার কেন (IIT Kharagpur)?

    উল্লেখ্য খড়গপুর আইআইটিতে (IIT Kharagpur) ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা বার বার ঘটে চলেছে। গতবছর অক্টোবর মাসে হোস্টেল থেকে এক ছাত্রের পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল। সেই সময় এই মৃত্যুর ঘটনার মামলা গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, ছেলেকে খুন করা হয়েছে। কারণ ছেলের মৃত্যুর ৬-৭ দিন পরে পরিবারকে, কর্তৃপক্ষ খবর দিয়েছিল বলে দাবি করা হয়েছিল। উল্লেখ্য মৃত ছাত্রের দেহকে হাইকোর্টের নির্দেশে দুইবার ময়নাতদন্ত করতে হয়েছিল। যদিও ঘটনার পর আইআইটিতে অ্যান্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড গঠন করেছিল কর্তৃপক্ষ।

    শুধু তাই নয়, এই বছরের জুন মাসেও আবার এমন, আরও এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল। এই পড়ুয়ার বাড়ি ছিল কেরল রাজ্যে। একটি সর্ব ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বারবার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে, এক প্রথমবর্ষের ছাত্রের মৃত্যু ঘটলে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়। রাজ্যে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা বর্তমানে উদ্বেগের কারণ হিসাবে দাঁড়িয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tea Garden: পুজোর মুখে ফের বন্ধ হয়ে গেল একটি চা বাগান, কর্মহীন হয়ে পড়লেন ১২০০ শ্রমিক

    Tea Garden: পুজোর মুখে ফের বন্ধ হয়ে গেল একটি চা বাগান, কর্মহীন হয়ে পড়লেন ১২০০ শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বন্ধ হয়ে গেল একটি চা বাগান (Tea Garden)। পুজোর মুখেই কর্মহীন হয়ে পড়লেন ১২০০ শ্রমিক। ডুয়ার্সের সামসিং চা বাগানটি আর্থিক অনটনের কারণে বন্ধ হয়ে গেল। মঙ্গলবারই বন্ধ হওয়া তিনটি চা বাগান চালু হয়েছিল। পুজোর মুখে কয়েক হাজার শ্রমিকের মুখে হাসি ফুটেছিল। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের বন্ধ হয়ে গেল আরও একটি চা বাগান।

    কেন বন্ধ? (Tea Garden)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগানের (Tea Garden) কাজের জন্য গিয়েছিলেন শ্রমিকরা। গিয়ে দেখেন গেটে তালা। কর্তৃপক্ষ বাগান বন্ধের নোটিস দিয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, চা বাগান আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দিন-দিন সমস্যা বাড়ছে চা বাগানের। এরপরও বাগান কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের মজুরি সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছেন। কিন্তু, এখন পরিস্থিতি খারাপ। তাই বাগান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন তারা। বাগান বন্ধের নোটিশ পেয়ে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা জলপাইগুড়ির ডিএলসি অফিসে যান। সেখানে গিয়ে তাঁদের দাবিদাওয়ার বিষয়টি জানান। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে পুজোর বোনাসের দাবিতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখান চা বাগানের শ্রমিকরা। ২০ শতাংশ বোনাসের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। এরপর থেকে একের পর এক চা বাগান বন্ধের খবর উঠে আসে। তবে, এক্ষেত্রে আর্থিক অনটনক দায়ী করে বাগান বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেছে।

    শ্রমিকদের কী বক্তব্য?

    শ্রমিকদের বক্তব্য, পুজোর মুখে এভাবে বাগান (Tea Garden)বন্ধ করা ঠিক হয়নি। আমাদের কোনও কিছু না জানিয়ে আচমকা নোটিস দিয়ে বাগান বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা পরিবার নিয়ে কোথায় যাব? কারণ, চতুর্থদিন থেকে সকলেই পুজোর আনন্দে মেতে ছিল। এরমধ্যে এভাবে শ্রমিকদের পেটে লাথি মেরে বাগান বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হয়নি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে চা বাগান খুলে সকলের কাজ ফিরিয়ে দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: আজ মহাসপ্তমীতে পুজো হয় মাতা কালরাত্রির, জানুন দেবীর পৌরাণিক আখ্যান

    Navaratri 2023: আজ মহাসপ্তমীতে পুজো হয় মাতা কালরাত্রির, জানুন দেবীর পৌরাণিক আখ্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবরাত্রির (Navaratri 2023) সপ্তম দিনে আরাধিত হন মাতা কালরাত্রি। বাংলাতে প্রচলিত দুর্গাপুজোর মহাসপ্তমীর দেবী তিনি। মাতা কালরাত্রি ভীষণ দর্শনা, এলোকেশী। তাঁর চারটি হাত। ওপরের ডান হাতে আশীর্বাদ, নীচের ডান হাতে অভয় মুদ্রা। বাঁ দিকে ওপরের হাতে খড়্গ এবং নিচের বাম হাতে রয়েছে লোহার কাঁটা। দেবী ত্রিনয়নী এবং তাঁর চোখগুলি গোলাকার। দেবীর গলায় রয়েছে বজ্রের মালা। এই দেবীর বাহন গাধা এবং তাঁর নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে ভয়ঙ্কর অগ্নিশিখা নির্গত হয় বলে কথিত আছে। দেবী কালরাত্রি সম্পর্কে অজস্র পৌরাণিক আখ্যান রয়েছে। তিনি চণ্ড-মুণ্ড নামের দুই অসুরকে বধ করেছিলেন বলে জানা যায়। তাঁর অপর নাম তাই “চামুণ্ডা”। দেবী মাহাত্ম্যতে উল্লেখ রয়েছে, শুম্ভ ও নিশুম্ভ নামক দুই দানব ছিলেন। তাঁরা প্রজাপতি ব্রহ্মার কঠোর তপস্যা করলেন। খুশি হয়ে প্রজাপতি ব্রহ্মা বর দিতে আবির্ভূত হলেন। দুই দানব বর চাইলেন যে, কোনও পুরুষ যেন তাঁদের বধ করতে না পারে। ব্রহ্মা তাঁদের বর প্রদান করলেন। এরপরই দুই অসুর চরম অত্যাচার শুরু করলেন দেবতাদের উপর। এই দুজনের সঙ্গে যোগ দিল চণ্ড-মুণ্ড নামের আরও দুই অসুর। তাঁদের সঙ্গে এল রক্তবীজ। যাঁর প্রতিটি রক্তবিন্দু মাটিতে পড়লে দ্বিতীয় রক্তবীজ তৈরি হবে। প্রজাপতি ব্রহ্মার এমনটাই বরদান ছিল তাঁর উপর। এই সমস্ত অসুরদের অত্যাচারে দেবতারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন। অসুরদের ওপর ব্রহ্মার বরদান সম্পর্কেও দেবতারা অবগত ছিলেন। মুনি-ঋষিদের যজ্ঞ পণ্ড করা, ঋষিকন্যাদের নানাভাবে লাঞ্ছিত করা এসব কাজ তো চলছিলই। অসুরদের এমন আক্রমণে দেবতারা অবশেষে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হলেন। নিজেদের স্বর্গরাজ্য থেকে তাঁরা বিতাড়িত হলেন। দেবতারা হিমালয়ের কোলে শুরু করলেন দেবীর স্তব। দেবী মাহাত্ম্যতে এই স্তব সম্পূর্ণভাবে উল্লেখ রয়েছে‌। কিছুটা অংশ সংযোজিত করা হল। কমবেশি এই স্তব সকলেই আমরা জানি।

    মাতা কালরাত্রির স্তব

    যা দেবী সর্বভূতেষু বিষ্ণুমাযেতি শব্দিতা 
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু চেতনেত্যভিধীযতে
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু বুদ্ধিরূপেণ সংস্থিতা
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু নিদ্রারূপেণ সংস্থিতা 
    নমস্তস্যৈনমস্তস্যৈ  নমস্তস্যৈ নমো নমঃ

    যা দেবী সর্বভূতেষু ক্ষুধারূপেণ সংস্থিতা .
    নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ 

    পুরাণে কথিত রয়েছে, এমন সময় সেখান দিয়ে শিবজায়া দেবী পার্বতী গঙ্গাস্নানের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন (Navaratri 2023)। দেবী তাদের স্তব শুনে বললেন, “হে দেববৃন্দ, আপনারা এখানে কার স্তব করছেন?” সেই সময় ভগবতী পার্বতীর শরীর থেকে একই রকম দেখতে আর এক জন দেবী বেরিয়ে এলেন। আবির্ভূত হয়ে নব দেবী বললেন, “দেবতারা আমার স্তব করছেন।” এই দেবীই আদ্যাশক্তি জগত মাতা অম্বিকা মহামায়া। তিনি দেবী পার্বতীর কোষ থেকে সৃষ্টি হয়েছেন বলে তার এক নাম কৌষিকী। কথিত আছে এর পর নাকি দেবী পার্বতী কৃষ্ণবর্ণা হয়ে যান। যাঁকে আমরা কালরাত্রি বলি। ইনি মাতা কালিকা নামেও পরিচিত।

    অসুরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

    পুরাণে আরও উল্লেখিত আছে, দেবী (Navaratri 2023) একদিন হিমালয়ে সিংহপৃষ্ঠে বসে মধু পান করছিলেন। এমন সময় চণ্ড আর মুণ্ড নামক দুই দানব দেবীকে দেখতে পেলেন। চণ্ড-মুণ্ড একথা গিয়ে শুম্ভ-নিশুম্ভকে জানালেন। শুম্ভ-নিশুম্ভ সেই দেবীর রূপ বর্ণনা শুনে দেবীকে লাভ করার জন্য আকুল হলেন। সুগ্রীব নামক এক অসুর দেবীর কাছে গেল শুম্ভ-নিশুম্ভের দূত হিসেবে। সুগ্রীব হিমালয়ে সেই পর্বত চূড়ায় গিয়ে দেবীকে শুম্ভ-নিশুম্ভের পরাক্রম, ঐশ্বর্যের কথা বলে বিবাহের প্রস্তাব দিল। দেবী একথা শুনে হেসে বললেন, ‘‘আমার প্রতিজ্ঞাটি শোন–যিনি আমাকে যুদ্ধে জয় করবেন, তিনিই আমার স্বামী হবেন।’’ এরপর শুম্ভ-নিশুম্ভের সেনাপতি ধুম্রলোচন ষাট হাজার সেনা নিয়ে গেলেন দেবীকে পরাজিত করতে। দেবীর তেজে ধুম্রলোচন ভস্মীভূত হলেন। দেবীর সিংহবাহিনী অসুর সেনাকে ধ্বংস করে দিল। শুম্ভ-নিশুম্ভ এরপর চণ্ড ও মুণ্ডকে পাঠাল। চণ্ড ও মুণ্ড বহু সেনা, অশ্ব, রথ, হাতি নিয়ে যুদ্ধে এসে হিমালয়ের চূড়ায় হাস্যরত দেবী অম্বিকাকে দেখতে পেলেন। দেবী চণ্ডিকা তাঁদের দেখে ভীষণ ক্রুদ্ধা হলেন। ক্রোধে তাঁর মুখমণ্ডল কৃষ্ণবর্ণা হল। তখন দেবীর কপাল থেকে এক ভীষণ দর্শনা দেবী প্রকট হলেন। তিনিই দেবী কালিকা বা কালরাত্রি। অতি ভীষণা, ভয়ঙ্করী, কোটর গতা, আরক্ত চক্ষু বিশিষ্টা। সেই ভয়ঙ্করা দেবী ভীষণ হুঙ্কার দিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে প্রবেশ করলেন। কতগুলি অসুরকে দেবী তাঁর চরণ ভারে পিষে বধ করলেন। কোনও কোনও অসুর দেবীর খড়্গের আঘাতে মারা গেল। যুদ্ধক্ষেত্রে এই ভাবে দেবী অসুরদের ধ্বংস করে ফেললেন। এরপর দেবী তাঁর খড়্গ তুলে ‘হং’ শব্দ করে চণ্ডের দিকে ধেয়ে গেলেন। দেবী চণ্ডের চুলের মুঠি ধরে খড়্গ দ্বারা এক কোপে চণ্ডের শিরোচ্ছেদ করে ফেললেন। চণ্ড অসুর বধ হল। চণ্ড নিহত হয়েছে দেখে ক্রোধে মুণ্ড দেবীর দিকে ধেয়ে গেল। দেবী তাঁর রক্তাক্ত খড়্গ দিয়ে আর এক কোপে মুণ্ডের শিরোচ্ছেদ করলেন। এভাবে মুণ্ড বধ হল। চণ্ড-মুণ্ড বধ হতে দেখেই দেবতারা আনন্দে দেবীর জয়ধ্বনি দিতে থাকলেন‌। দেবী মাহাত্ম্য অনুযায়ী, চণ্ড আর মুণ্ড-এর ছিন্ন মস্তক নিয়ে দেবী, মহামায়ার কাছে এসে বিকট হেসে বললেন, “এই যুদ্ধরূপ যজ্ঞে আমি আপনাকে চণ্ড ও মুণ্ড নামে দুই মহাপশুর মস্তক উপহার দিলাম। এখন আপনি নিজেই শুম্ভ ও নিশুম্ভকে বধ করবেন।” দেবী অম্বিকা তখন বললেন, “ হে দেবী, যেহেতু তুমি চণ্ড ও মুণ্ডের বধ করে মাথা দুটি আমার নিকট নিয়ে এসেছ, সেজন্য আজ থেকে তুমি জগতে ‘চামুন্ডা’ নামে বিখ্যাত হবে।’’ মাতা কালরাত্রি শুভফলের দেবী বলেও অনেকে মনে করেন। তাই মাতার আরেক নাম হল “শুভঙ্করী”। মাতা কালরাত্রির আশীর্বাদে জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় বলে ভক্তদের ধারণা। মাতার নৈবেদ্যতে গুড় নিবেদন (Navaratri 2023) করলে তিনি প্রসন্না হন বলে ভক্তদের ধারণা‌।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: চতুর্থীর দিনেই শিশুদের হাতে ব্যাগ ভর্তি উদ্ধার বোমা! তীব্র আতঙ্কে গ্রামবাসী

    Malda: চতুর্থীর দিনেই শিশুদের হাতে ব্যাগ ভর্তি উদ্ধার বোমা! তীব্র আতঙ্কে গ্রামবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিক পুজোর আগে, চতুর্থীর দিনেই মালাদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুরের ঝিকোডাঙা গ্রামে, ব্যাগ খুলতেই উদ্ধার হল তাজা বোমা। আর এই বোমাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় একটি ব্যাগকে খেলার ছলে কয়েকটি শিশু টেনে নিয়ে আসে। এরপর ব্যাগের মধ্যে একটি ছুরি দেখতে পায় তারা। এই ঘটনায় শিশুরা ভয় পেয়ে আশে পাশের লোকজনকে ডাক দেয়। এরপর এলাকার মানুষ ব্যাগ খুলতেই তাজা বোমা দেখাতে পায়। এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বোমা উদ্ধারের ঘটনা, এই গ্রামে আগে কখনও ঘটেনি, তাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। সেই সঙ্গে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলছেন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। 

    পুলিশের ভূমিকা (Malda)

    এলাকার (Malda) মানুষ ব্যাগে তাজা বোমা উদ্ধারের কথা জানিয়ে পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে অনেকটাই দেরি করে। এদিকে তাজা বোমা নিয়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কের মধ্যে পড়লে, দ্রুত স্থানীয় ভিলেজ পুলিশ রাস্তার মধ্যে বোমা রেখে, জল ঢেলে নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেন, কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়া কীভাবে বোমা নিষ্ক্রয় করলেন ভিলেজ পুলিশ! জানা গেছে ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে জনবসতি। এতে বোমা বিস্ফোরণে বড়সড় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ঘটার সম্ভাবনা ছিল।   

    রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণে নিষ্ক্রিয় ছিল প্রশাসন

    পঞ্চায়েত ভোট মিটে গেলেও বোমা-বাজির বিস্ফোরণ এখনও রাজ্যে থামছে না। প্রশাসনের বিরুদ্ধে শাসক দলের আশ্রিত দুষ্কৃতীদের রীতিমতো প্রশ্রয় দেয় বলে বিরোধীরা বার বার অভিযোগ করে সরব হয়েছেন। আগেও মালদার (Malda) কালিয়াচক, হবিপুর, চাঁচল, গোলাঘর, বৈষ্ণবনগর, রতুয়া, অঞ্চলে একাধিকবার বোমা বিস্ফোরণ এবং উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছিল।

    গত জুনমাসে মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয় তিনজনের। এছাড়াও দত্তপুকুরের বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ৯ জনের। আবার কয়েকদিন আগেই বারাসতের দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণে তিনটি শিশু আহত হয়েছিল। তাঁদেরকে দ্রুত নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করতে হয়েছিল। উল্লেখ্য, তারা সুতলি বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। রাজ্য জুড়ে ইতিমধ্যেই এগরা, পিংলা, সবং, ভাঙড়, ঘুটিয়ারীশরীফ, দুবরাজপুর, বজবজ, সামশেরগঞ্জ, কালিয়াচক, শীতলকুচি ইত্যাদি এলাকায় ব্যাপক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সব ক্ষেত্রেই বোমা বিস্ফোরণের সঙ্গে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা অভিযুক্ত বলে, বিরোধীরা বারবার অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী বারবার অবৈধ বোমা এবং বাজি কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা বললেও সেই কথা, কথামাত্রই সার। পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার কথাই বারবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: সন্তানকে হারিয়ে উন্মাদ মা হাতি, কেড়ে নিল দুটি প্রাণ, চতুর্থীর দিন বিষাদের সুর ঝাড়গ্রামে

    Jhargram: সন্তানকে হারিয়ে উন্মাদ মা হাতি, কেড়ে নিল দুটি প্রাণ, চতুর্থীর দিন বিষাদের সুর ঝাড়গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থীর দিনই বিষাদের সুর জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা। এক হস্তি শাবকের মৃত্যুর পর হাতির হানায় মৃত্যু হল দুজনের। হাতির দল সুবর্ণরেখা নদী পার হওয়ার সময় বালিখাদানের গর্তে পড়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল এক হস্তি শাবকের। শাবক হারা মা হাতির আক্রমণে মৃত্যু হল দু’জন গ্রামবাসীরও। ঘটনাটি বুধবার সকালে ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম থানার দেউলবাড় এলাকায় রামেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকার ঘটনা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Jhargram)

    স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোর রাতে ২ টি শাবক সহ ১৪ টা হাতির একটি দল খড়গপুর বন বিভাগের সাঁকরাইল রেঞ্জের রোহিনীর দিক থেকে সুবর্ণরেখা নদী পেরিয়ে নয়াগ্রাম এলাকার চাঁদাবিলা রেঞ্জে ঢোকে। সেই সময় একটি ছোট্ট হস্তি শাবক বালিখাদানের গর্তে পড়ে যায়। প্রচুর জল থাকায় জলে ডুবে মারা যায় হস্তি শাবকটি। দীর্ঘ চেষ্টার পর মা হাতি শাবককে উদ্ধার করে ডাঙ্গায় নিয়ে আসে। ঝাড়গ্রামের (Jhargram) রামেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকায় মৃত হস্তি শাবকটিকে কোনওক্রমে নিয়ে যায় মা হাতিটি। অন্যান্য হাতিগুলি সেখান থেকে এগিয়ে গিয়ে তপবনের জঙ্গলের দিকে চলে যায়। কিন্তু, মা হাতি তার সন্তানকে ছেড়ে যেতে চায়নি। সন্তান হারানোর দুঃখে পাগলের মত গর্জন করে বিক্ষিপ্তভাবে ছোটাছুটি করতে থাকে মা হাতিটি। এই অবস্থায় হাতি মৃত্যুর খবর চাউর হতেই বহু মানুষ হাতি দেখার জন্য জমায়েত করে রামেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকায়। সেই সময় হঠাৎ করে মা হাতি গ্রামবাসীদের তাড়া করে। ঘটনায় দু’জন গ্রামবাসী কে ধরে ফেলে এবং শুঁড়ে তুলে আছাড় মারে। ঘটনাস্থলেই তাদের দু’জনের মৃত্যু হয়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দেউলবাড় গ্রামের আনন্দ জানা (৭৩) এবং বিরিবেড়িয়া গ্রামের শশধর মাহাত (৬০) নামের দুই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও একটি বাইক ভেঙে ফেলেছে হাতিটি এবং রামেশ্বর-কর্টক রুটের একটি বাসকে ধাক্কা দেয় বলেও জানা  গিয়েছে।

    খড়গপুর বন বিভাগের ডিএফও?

    খড়গপুর বন বিভাগের ডিএফও শিবানন্দ রাম বলেন, প্রাথমিকভাবে দেখে যা মনে হচ্ছে নদী পারাপারের সময় জলে ডুবে একটি হস্তি শাবকের মৃত্যু হয়েছে এবং হস্তি শাবকটির মা হাতির হানায় ঝাড়গ্রামে (Jhargram) দু’জন গ্রামবাসীরও মৃত্যু হয়েছে। সরকারি নিয়মনীতি মেনে বিষয়টি খতিয়ে দেখার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Israel-Hamas War: পঞ্চম বিমানে ইজরায়েল থেকে ফিরলেন ২৮৬ জন, এরমধ্যে ১৮ জন নেপালি নাগরিক

    Israel-Hamas War: পঞ্চম বিমানে ইজরায়েল থেকে ফিরলেন ২৮৬ জন, এরমধ্যে ১৮ জন নেপালি নাগরিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস (Israel-Hamas War) যুদ্ধের আবহে সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে মোদি সরকার। ইতিমধ্যে অপারেশন অজয়-এর মাধ্যমে পঞ্চম বিমান দিল্লিতে অবতরণ করেছে। এই বিমানে ২৮৬ জন ভারতীয় নাগরিক ইজরায়েল থেকে ফেরেন। এরমধ্যে ১৮ জন নেপালি নাগরিক। প্রতিবেশী রাষ্ট্র নেপালের ১৮ জন নাগরিককে উদ্ধার করার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করতে শোনা গিয়েছে নেপালি নাগরিকদের। এছাড়াও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত। এদিন বিমানবন্দরে ইজরায়েল থেকে আসা ভারতীয়দের স্বাগত জানান তথ্য ও সম্প্রচার দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী এল মুরুগান। 

    কী বললেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী

    সাংবাদিকদের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘‘যখনই ভারতীয়রা বিপদে পড়ে, তখনই আমাদের প্রধান নীতি থাকে যে তাঁদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা। এই কাজে আমরা সম্পূর্ণভাবে সফল হয়েছি। এর আগে অপারেশন গঙ্গা, অপারেশন কাবেরী যেমন সফলভাবে করতে পেরেছি, তেমন বর্তমানে আমরা অপারেশন অজয়ও চালু করতে পেরেছি। এটা আমাদের পঞ্চম বিমান দেশে ফিরল। মোট ১,১৮০ জনকে আমরা ইজরায়েল (Israel-Hamas War) থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পেরেছি, যার মধ্যে অনেক নেপালি নাগরিকও রয়েছেন।

    কী বলছেন দেশে ফেরা নাগরিকরা

    জনৈক এক ভারতীয় নাগরিক বলেন, ‘‘আমি ইজরায়েল (Israel-Hamas War) থেকে ফিরলাম, সেখানে আমাদেরকে ভারতীয় দূতাবাস অভূতপূর্ব সাহায্য করেছে। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’’ অন্যদিকে আরেক ভারতীয় নাগরিক রমেশ বলেন, ‘‘আমরা সবেমাত্র ফিরলাম ইজরায়েল থেকে। যেভাবে ভারতীয় দূতাবাস আমাদের সাহায্য করেছে তার জন্য আমাদের সত্যি খুব ভালো লাগছে।’’  অন্যদিকে নেপালের এক মহিলা নাগরিক বলেন, ‘‘ ভয়ঙ্কর রকমের বিস্ফোরণ ঘটছিল আশেপাশে। আমরা ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই আমাদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য।’’ সূত্রের খবর, সাড়ে চার হাজার এরও বেশি নেপালি নাগরিক বর্তমানে রয়েছেন ইজরায়েলে। যাদের মধ্যে ৪০০ জনকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে এবং নেপাল সরকারও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য। জানা গিয়েছে, ইজরায়েলে (Israel-Hamas War) থাকা ভারতীয় নাগরিকদের জন্য সে দেশের দূতাবাস ২৪ ঘণ্টার জন্য কন্ট্রোল রুম খুলেছে যে কোনও ধরনের সাহায্যের জন্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: অপহরণ করে কোটি টাকা তোলা দাবি তৃণমূল নেতার, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, আতঙ্কে অসহায় ব্যবসায়ী

    Hooghly: অপহরণ করে কোটি টাকা তোলা দাবি তৃণমূল নেতার, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, আতঙ্কে অসহায় ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে কোটি টাকা তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) মগরা থানার ত্রিবেণী এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম দেবরাজ পাল। তিনি বাঁশবেড়িয়া শহর তৃণমূলের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি। দেবরাজ জমি-বাড়ি কেনাবেচার সঙ্গে যুক্ত। অন্য ব্যবসাও রয়েছে। দেবরাজের বিরুদ্ধে আগেও একাধিক বেআইনি কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল। গ্রেফতারও হয়েছিলেন। এলাকায় তাঁর ভাল রকম দাপট ছিল। মহম্মদ কামালউদ্দিন নামে ওই ব্যবসায়ী পূর্ব বর্ধমানের গোলাপবাগের বাসিন্দা। মাস দু’য়েক আগের এই ঘটনায় তিনি সম্প্রতি মগরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই ব্যবসায়ী পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়ে কোনও সুরাহা হয়নি। পরে, পুলিশের শীর্ষ কর্তা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি নালিশ জানিয়েছেন। তাতে কোনও লাভ হয়নি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Hooghly)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির (Hooghly) মগরা থানার অদূরে হাঁসগড়া এলাকায় জিটি রোডের পাশে ৮ বিঘা জমিতে কামালউদ্দিনের পরিচিত এক জনের হিমঘর কোনও কারণে ব্যাঙ্কে বন্ধক ছিল। কামালউদ্দিন সেটি ব্যাঙ্ক থেকে কিনে নেন ভাই আজিবউদ্দিনের নামে। হিমঘরটি কিনতে চেয়ে দেবরাজ কামালউদ্দিনকে ফোন করেছিলেন। কামালউদ্দিন সাড়ে ৭ কোটি টাকা দাম বলেন। এরকিছু দিন পরে, গত ৯ অগাস্ট জনা পঞ্চাশ লোক নিয়ে হিমঘরে আসেন দেবরাজ। তাঁর এবং অন্য এক যুবকের হাতে বন্দুক ছিল। প্রাণের ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে তাঁকে ত্রিবেণী কালীতলার কাছে কোনও একটি জায়গায় তুলে নিয়ে গিয়ে এক কোটি টাকা দাবি করে। দরাদরিতে ৫০ লক্ষ টাকা ঠিক হলে কামালউদ্দিনকে ছাড়া হয়। কামালউদ্দিনের দাবি, ওই মাসেই তিনি ১৭ লক্ষ টাকা দেন দেবরাজকে। বাকি ৩৩ লক্ষের জন্য দেবরাজ ফোনে চাপ দিতে থাকেন। ভয়ে মগরায় আসা বন্ধ করে দেন ওই ব্যবসায়ী। শেষে পুলিশ- প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা দেবরাজ পালের বক্তব্য, কামালউদ্দিন নামে কাউকে চিনিই না। মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।

    ব্যবসায়ীর কী বক্তব্য?

    ব্যবসায়ী বলেন, থানায় অভিযোগ জানানোর পরও পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় চরম আতঙ্কে রয়েছি। ফলে, মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের জানিয়েছি। পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা কাজ করতে পারব না।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের হুগলি-শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, দেবরাজ আগে আমাদের দলে ছিলেন। এখন ওঁর সঙ্গে দলের কোনও যোগাযোগ নেই। কেউ দোষ  করলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে, সে যে-ই হোক।

    পুলিশের কী বক্তব্য?

    এ ব্যাপারে হুগলি (Hooghly) জেলার এক পুলিশকর্তার বক্তব্য, ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তোলাবাজি, মারধর, প্রাণনাশের হুমকির মতো জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।  অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্ত চলছে। সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share