Blog

  • Mangal Ghot: ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়েই আহ্বান জানানো হয় দেবীকে! এর গুরুত্ব জানেন কি?

    Mangal Ghot: ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়েই আহ্বান জানানো হয় দেবীকে! এর গুরুত্ব জানেন কি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে এল দুর্গাপুজো। চারদিন ধরে মাতৃ আরাধনায় মেতে উঠবেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। হিন্দু ধর্মে যে কোনও পুজোরই বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে। যেমন ঘট (Mangal Ghot) স্থাপন হল পুজোর অন্যতম অপরিহার্য অংশ। যে কোনও পুজোতেই প্রথমে ঘট স্থাপন করা হয়। বলতে গেলে ঘট স্থাপনের মাধ্যমেই ওই পুজোর আনুষ্ঠানিকতার শুরু হয়। যে পুজোর জন্য ঘট স্থাপন করা হয়, মূলত ঘট স্থাপনের মাধ্যমে ওই দেব বা দেবীকে আহ্বান জানানো হয় পুজো গ্রহণের জন্য।

    ঘট ভগবানের নিরাকার অবস্থার প্রতীক

    কোনও কোনও ক্ষেত্রে দেব এবং দেবীর জন্য দেখা যায় আলাদা আলাদা ঘট। বিশ্বাস, ঘট কোনও দেবী বা দেবতার মূর্তি বা প্রতিমা নয়। ঘট ভগবানের নিরাকার অবস্থার প্রতীক। সনাতন ধর্মের প্রত্যেক দেবদেবী এক অভিন্ন ও নিরাকার পরম ব্রহ্মেরই এক একটি সাকার রুপের প্রকাশ। শাস্ত্র মতে, ঘট হল মঙ্গলের চিহ্ন। যে কোনও পুজো, মাঙ্গলিক অনুষ্ঠান, গৃহপ্রবেশ ইত্যাদি অনুষ্ঠানে ঘট (Mangal Ghot) স্থাপন করা হয়। ঘটের মধ্যে আম্রপল্লব, বেলপাতা, ফুল ইত্যাদি দিয়ে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের পুজো হয়। বেলপাতা হল ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের প্রতীক। মানবজীবনকে ঘটের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তাতে থাকে জল। জল হল জীবনের প্রতীক। প্রাণহীন শরীর যেমন মূল্যহীন, তেমনই জলবিহীন ঘটও মূল্যহীন।

    ঘট স্থাপনের দ্বারা দেব-দেবীকে আহ্বান জানানো হয়

    এই ঘট স্থাপন এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, দেব-দেবীর কোনও মূর্তি ছাড়া শুধু ওই ঘটেই পুজো সম্পন্ন করা যায়, যার নাম হলো ঘটপুজো। ঘট স্থাপন করে যে দেব-দেবীকে আহ্বান জানানো হয়, সেই দেবদেবী ওই ঘটে (Mangal Ghot) অবস্থান নেন এবং ওই ঘটে থেকেই পুজো গ্রহণ করেন। ঘটের পিছনে যে আমরা নানা ভঙ্গিমার মূর্তি স্থাপন করি, সেটা মূলত পুজোকে একটি বড় অনুষ্ঠানের রূপ দেবার জন্য, যাতে ভক্তরা ওই মূর্তি দর্শনের জন্য পুজোর স্থানে আসেন এবং নিজের কল্যাণ লাভ করেন। ঘটেই যে কোনও দেব-দেবী অবস্থান করেন। তার বড় প্রমাণ হল, পুজো শেষে পুরোহিত যখন বিসর্জন দেন, তখন তিনি মন্ত্র উচ্চারণ শেষে ঘট নাড়িয়ে তা সম্পন্ন করেন। বিসর্জন প্রকৃতপক্ষে এটাই। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: র‍্যাগিংয়ের বলি! আত্মঘাতী মালদার আদিবাসী ছাত্র, চাঞ্চল্য

    Malda: র‍্যাগিংয়ের বলি! আত্মঘাতী মালদার আদিবাসী ছাত্র, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্র র‍্যাগিংয়ের বলি হয়েছেন। যে-ঘটনায় রাজ্যজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র গ্রেফতার হয়। এবার ফের র‍্যাগিংয়ের জেরে ছাত্রমৃত্যুর অভিযোগ উঠল।  মৃত ছাত্রের নাম উত্তম মারডি (২২)। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন মালদার (Malda) বাসিন্দা ওই আদিবাসী ছাত্র। এমনটাই অভিযোগ মৃতের পরিবারের সদস্যদের। তাঁদের দাবি, র‍্যাগিংয়ের জেরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ায় বাড়ির বাথরুমে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন পিএইচডি পাঠরত ওই ছাত্র।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    গত ৩ অক্টোবর উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস নিয়ে পিএইচডি করতে ভর্তি হন উত্তম। বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলেই থাকতেন তিনি। ভর্তি হওয়ার পর থেকেই নাকি ওই ছাত্রের সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন সিনিয়র আন্তর্জাতি ছাত্রদের একাংশ, এমনই অভিযোগ করেছেন পরিবারের লোকজন। দু’দিন আগে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আর পড়তে যাবেন না বলে জানিয়েছিলেন বাড়ির লোকদের। এরপরই মালদার (Malda) গাজোল থানার শিসাডাঙা এলাকায় বাড়ির বাথরুম থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে পাঠায় পুলিশ। ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানাতে চলেছেন মৃত ছাত্রের বাবা কমলা মারডি ও মা মিনতি হাঁসদা।

    মৃতের পরিবারের লোকজনের বক্তব্য?

    মৃত ছাত্রের জ্যাঠা জোনাস মারডি পুলিশকে অভিযোগে জানিয়েছেন, ভালো নম্বর নিয়ে ভাইপো উত্তম মারডি মালদার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু, তার আগে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পিএইচডি করার সুযোগ পেয়ে যাওয়ায় সেখানে গিয়ে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা শুরু করে। তারপরই বাড়ি ফিরে আর সেখানে পড়তে না যাওয়ার কথা বলেছিল সে। ফলে, চরম আতঙ্কে ছিল তা বোঝা যাচ্ছে। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: কাল মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, জেনে নিন এর পৌরাণিক তাৎপর্য

    Navaratri 2023: কাল মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, জেনে নিন এর পৌরাণিক তাৎপর্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাল মহাষষ্ঠী। কাল থেকেই আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর (Navaratri 2023) সূচনা হবে। মহাষষ্ঠীর দিনই দেবীকে আবাহন করা হয়, যাকে বলা হয় বোধন। প্রসঙ্গত, শরৎকালে দেবীপক্ষের ষষ্ঠীতে দুর্গাকে বোধন করে পুজো করেন রাম, এমনটাই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। দুর্গার বোধন ঘিরে এই পৌরাণিক কাহিনিও কমবেশি সকলেই জানি।

    বোধন শব্দের অর্থ কী?

    বোধন শব্দের আক্ষরিক অর্থ জাগ্রত করা। মর্ত্যে মা দুর্গার আবাহনের জন্য বোধনের রীতি প্রচলিত রয়েছে প্রাচীনকাল থেকেই। এদিনই দুর্গা প্রতিমাতে কল্পারম্ভ দিয়ে শুরু হয় মায়ের বোধন। ষষ্ঠীর সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় দেবীকে আবাহন করার প্রক্রিয়া। রীতি অনুযায়ী পুরোহিত দশভূজার সামনে প্রার্থনা করেন, ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত গোটা পুজোপর্বে যেন কোনও বিঘ্ন না ঘটে। এরপর ঘট ও জলে পূর্ণ একটি তামার পাত্র মণ্ডপের কোণে স্থাপন করা হয়। এই স্থানেই দুর্গা ও চণ্ডীর পুজো করা হয়। চলতে থাকে দুর্গার বোধন, অধিবাস, আমন্ত্রণের পর্ব। অশুভ শক্তি দূর করার জন্য ঘটের চারপাশে তিরকাঠিতে সুতো জড়িয়ে আমন্ত্রণ প্রক্রিয়া শুর হয়। এভাবেই শেষ হয় মহাষষ্ঠীর (Navaratri 2023) আচার।

    বোধনের তাৎপর্য

    শাস্ত্রকারদের মতে, বোধনের একটি পৌরাণিক তাৎপর্য রয়েছে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী এদিনই স্বর্গ থেকে মর্ত‍্যে পদার্পণ করেন দেবী দুর্গা। সঙ্গে থাকেন তাঁর চার সন্তান লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিক, সরস্বতী। মনে করা হয়, বোধনের পর প্রতিমার মধ্যে প্রাণ প্রতিষ্ঠিত হয়। মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন আবার অকাল বোধন (Navaratri 2023) হিসেবেও খ্যাত। হিন্দু শাস্ত্র মতে, সূর্যের উত্তরায়ন দেবতাদের সকাল। উত্তরায়নের ছয় মাসকে দেবতাদের একদিন হিসেবে গণ্য করা হয়। আবার দক্ষিণায়ন শুরু হলে ছয় মাসের জন্য নিদ্রা যান সমস্ত দেব-দেবী। এই দক্ষিণায়ন হল দেবতাদের রাত। রাতে দেব-দেবীর পুজো করা হয় না। দক্ষিণায়নের ছয় মাসের মধ্যেই দুর্গাপুজো হয় বলে বোধনের মাধ্যমে আগে দেবী দুর্গাকে ঘুম থেকে তোলা হয়। প্রসঙ্গত, পৌরাণিক মতে রাবণের সঙ্গে যুদ্ধের আগে দুর্গার বোধন করেছিলেন রামচন্দ্র। এর পর দুর্গার আরাধনা করে শক্তি ও সৌভাগ্যের প্রার্থনা করেন তিনি। অকালে দুর্গাকে জাগিয়ে তোলা হয়েছিল বলেই একে অকাল বোধন বলা হয়ে থাকে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ১৭/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ১৭/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) আর্থিক লাভ সম্ভব, তবে লাভের পরিমাণ প্রত্যাশার চেয়ে কম।

    ২) চাকরিজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য লম্বা ছুটি নেওয়ার পরিকল্পনা করবেন।

    বৃষ

    ১) ব্যবসায়িক পরিকল্পনায় মনোনিবেশ করতে হবে। তখনই লাভ অর্জন করতে পারবেন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা টাকা ফিরে পাবেন।

    মিথুন

    ১) শারীরিক ক্লান্তি সত্ত্বেও কাজে ব্যস্ত থাকবেন, যার ফলে আপনার স্বাস্থ্য খারাপ হবে।

    ২) প্রচুর দর কষাকষি করে আর্থিক কাজ সম্পন্ন হবে।

    কর্কট

    ১) বার বার চেষ্টা করা সত্ত্বেও হতাশ হবেন।

    ২) বাড়ি ও বাইরে নিজের অতিরিক্ত কথা বলার স্বভাবের কারণে সমস্যায় জড়াতে পারেন।
      
    সিংহ 

    ১) নতুন কোনও প্রকল্পে লগ্নি করবেন না। কারণ সেই প্রকল্প আটকে যেতে পারে।

    ২) পারিবারিক কাজে ব্যস্ত থাকবেন।

    কন্যা

    ১) জমি-সংক্রান্ত কাজে কোনও তাড়াহুড়ো করবেন না, তা না-হলে পরে অনুতাপ হতে পারে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হওয়ায় স্বস্তি পাবেন।

    তুলা 

    ১) আর্থিক লাভ আপনাকে সন্তুষ্টি দেবে।

    ২) সকলকে সঙ্গে নিয়ে এগোবেন, এর ফলে অধিক সম্মান পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) যেচে কাউকে কোনও পরামর্শ দেবেন না, তা না-হলে সম্মান হানি হতে পারে।

    ২) দুটি বিবাদিত পক্ষের মধ্যে মিটমাট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

    ধনু

    ১) আর্থিক লাভের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

    ২) সহকর্মীর সঙ্গে বিনম্র ব্যবহার করুন, তা না-হলে নিজেই সমস্ত কাজ করতে হবে।

    মকর

    ১) ভাই-বোনের মধ্যে বিচারধারার মতভেদের কারণে পরিবারে কলহ হতে পারে।
     
    ২) গুরুত্বপূর্ণ কাজে লগ্নি করবেন না। লোকসানের সম্ভাবনা রয়েছে।

    কুম্ভ

    ১) প্রতিযোগিতা কমায় লাভের সুযোগ রয়েছে।

    ২) নিশ্চিত সময়ে লেনেদেনের ফলে ধন লাভ হতে পারে।

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে আপনার ব্যবহার প্রশংসিত হবে।

    ২) দুপুর নাগাদ ক্লান্তি বা অন্য়ের ব্যবহারের কারণে মেজাজ খিটখিটে হতে পারে।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: অকাল প্রয়াণ পত্নীর, মন্দিরে মূর্তি গড়ে পুজো করছেন কোন্নগরের ডাক্তার বাবু

    Hooghly: অকাল প্রয়াণ পত্নীর, মন্দিরে মূর্তি গড়ে পুজো করছেন কোন্নগরের ডাক্তার বাবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অকাল প্রয়াণ ঘটেছিল পত্নীর। আর তাই এবার মন্দিরে মূর্তি গড়ে তাঁর স্মৃতি স্মরণ করলেন কোন্নগরের (Hooghly) চিকিৎসক। ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবন ছিল তাঁদের। কিন্তু হঠাৎ করেই মৃত্যু হয় পত্নী মিলি বিশ্বাসের। আর তাই নিজের পত্নীর মূর্তি তৈরি করে, মন্দিরে বসিয়ে পুজো করেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ ভবতোষ বিশ্বাস। এই ঘটনায়, পত্নীর প্রতি, স্বামীর প্রেমের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসাবে মনে করছেন এলাকার মানুষ।

    কেন মূর্তি নির্মাণ করে পুজো (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) কোন্নগরের বাসিন্দা হলেন চিকিৎসক ভবতোষ দত্ত। তিনি এলাকার বেশ জনপ্রিয় হৃদরোগের ডাক্তার। পূর্বে তিনি পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। তিনি নিজের বাসভবন এসি দেব স্ট্রিটের বাড়িতে প্রথম তলায় মন্দির নির্মাণ করেন। সেখানে মন্দিরের মধ্যে বসানো হয়েছে স্ত্রী মিলির মূর্তি। মন্দিরে রয়েছেন দেবী দুর্গা, রাধাকৃষ্ণ, জগন্নাথদেব, মা সারদা। বাড়িতে নিত্যপুজোর অনুষ্ঠান হয়। পুরোহিত দিয়ে যেমন ঠাকুর-দেবতারা পুজো পান, ঠিক তেমনি সেই সঙ্গে তাঁর স্ত্রীও পুজো পেয়ে থাকেন।

    ডাক্তার বাবুর বক্তব্য

    মন্দিরে (Hooghly) নিজের স্ত্রীর মূর্তি নির্মাণ করে পুজো দেওয়ার ঘটনায় ডাক্তার বাবু সাংবাদিকদের বলেন, “দেবী জ্ঞানে মা সারদাকে পুজো করেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ, মমতাজের স্মৃতিতে তাজমহল নির্মাণ করে করেছিলেন শাহজাহান। আমি রামকৃষ্ণদেবের ভক্ত। ঈশ্বরের সঙ্গে আমার তুলনা করতে চাইনা। আবার শাহজাহানের মতো আমার লোকবলও নেই। কিন্তু আমি যা করেছি, তা আমার স্ত্রীর প্রতি স্নেহ-ভালবাসার জায়গা থেকেই। দাম্পত্য জীবনের ২৯ বছর আমাকে মিলি আগলে রেখেছিলেন। এখনও আমি বিশ্বাস করি, মিলি আমার পাশেই রয়েছেন।”

    তিনি আরও জানান, অত্যন্ত পরোপকারী ছিলেন মিলি। সমাজে মহিলাদের অগ্রগতির জন্য সমাজসেবার কাজ করতেন। স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, মন্দির স্থাপন করায় এলাকার মানুষ বেশ আনন্দিত হয়েছেন। এলাকার মহিলাদের মধ্যেও ডাক্তার বাবুর এই পত্নী প্রেম, বেশ নজর কেড়েছে। কেউ কেউ বলছেন অনন্ত প্রেমের উদাহরণ হল এই মূর্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Coal Mines death: ফের কয়লা খনিতে ধস, রানীগঞ্জের পর ধানবাদে মৃত্যু ২, কাঠগড়ায় ইসিএল

    Coal Mines death: ফের কয়লা খনিতে ধস, রানীগঞ্জের পর ধানবাদে মৃত্যু ২, কাঠগড়ায় ইসিএল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রানীগঞ্জে কয়লা খনিতে ধসের ঘটনার পর, এবার ফের ধানবাদের কয়লা খনিতে ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু (Coal Mines death) হয়েছে ২ জনের। সোমবার ধানবাদের ইসিএলের কয়লা খনিতে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এলাকার মুগমা এরিয়ার কাপাসারা খোলামুখ খনিতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে আরও জানা গেছে, মৃতদের মধ্যে একজনের নাম যমুনা রাজবংশী। বাকিদের পরিচয় এখনও জানা যায় নি। আশঙ্কা করা হচ্ছে আরও কিছু মানুষ হয়তো নিচে চাপা পড়ে রয়েছেন। এই ঘটনায় ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কর্তব্যে গাফলতির অভিযোগে তুলে এলাকার মানুষ, মৃতদের পরিবারে জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন ইসিএলের কাছে। উল্লেখ্য গত জুন মাসেও নিরসাতে বিসিসিএলের খোলামুখ কয়লা খনিতে পাঁচজন মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। 

    ধস নেমেছিল রানীগঞ্জেও (Coal Mines death)

    গত বুধবার, রানীগঞ্জের ইসিএল কুনুস্তরিয়া এলাকার নারায়ণকুড়ি এলাকায় ধস নেমেছিল বলে জানা গিয়েছে। বেশ কিছু মানুষ সেখানে চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। পরে সেখান থেকে মোট তিন জনের মৃতদেহ (Coal Mines death) উদ্ধার হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছিল, খনির দেওয়াল ফুটো করে কয়লা সংগ্রহ করতে গিয়ে চাপা পড়ে এই বিপত্তি ঘটে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছান বিজেপি বিধায়ক আগ্নিমিত্রা পাল। তিনিও প্রশাসনের অব্যবস্থার দিকে আঙুল তোলেন। এই ঘটনার রেস কাটতে না কাটতেই ফের বিপত্তি ঘটল ধানবাদে।

    প্রশাসনের ভূমিকা?

    এই ইসিএলের খোলামুখ খনিটি ঝাড়খণ্ড পুলিশ প্রশাসনের অধীনে। ধসের পর উদ্ধার কাজের জন্য, ইসিএল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন দ্রুত উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেনি বলে, অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক অপর্ণা সেনগুপ্ত। এই খনিকে প্রশাসন পরিত্যক্ত অবস্থায় ফেলে দিয়েছিল বহুদিন। এখানে কোনও নিরাপত্তা ছিল না, আর তার ফলেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে (Coal Mine death)। অপর দিকে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চাও এই মৃত্যুর জন্য কাঠগাড়ায় তুলেছেন ইসিএল কর্তৃপক্ষকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

    Jalpaiguri: ৪ মাস ধরে নিখোঁজ, অবশেষে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আত্মসমর্পণ তৃণমূল যুব নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুব তৃণমূল (TMC) নেতার অবশেষে দেখা মিলল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে। প্রায় চারমাস পর জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার। যাঁরা আত্মহত্যা করেছেন তাঁরা হলেন, ডাবগ্রামের ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়কের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। বিজেপির অভিযোগ ছিল, আত্মহত্যার ঘটনায় ইন্ধন যুগিয়েছেন এই তৃণমূল নেতা। 

    Jalpaiguri জেলা বিচারক কি বললেন (TMC)?

    সূত্রে জানা গেছে, জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা বিচারক অরুণকিরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে, জেলার তৃণমূল (TMC) যুব সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে আদলাতে উপস্থিত হন। সৈকত বলেন যে তিনি তদন্তে সহযোগিতা করবেন আর তাই তিনি বিচারকের কাছে গ্রফতার না করার জন্য বিশেষ রক্ষাকবচ চান। কিন্তু বিচারক স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন যে এই মামলা শোনার কোনও এক্তিয়ার বিচারকের নেই। জেলার সিজিএম আদালতে এই তৃণমূল নেতাকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। কিন্তু বারংবার তৃণমূলের এই যুব সভাপতি আবেদন করলেও, বিচারক তাঁর আবেদনকে নাকচ করে দেন। উল্লেখ্য সিজিএম আদালত তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।

    মামলা কী ছিল

    সূত্রে জানা গেছে, এই বছরে এপ্রিল মাসের প্রথম দিনেই জলপাইগুড়ির পাণ্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এই দম্পতি আবার ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়ের ভাই এবং ভাইয়ের স্ত্রী। মৃত্যুর ঘটনার পর, জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) কোতোয়ালি থানায়, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে সৈকত চট্টোপাধ্যায় এবং আরও কিছু তৃণমূলের (TMC) দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়। উল্লেখ্য অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পর থেকে সৈকতকে খুঁজে না পাওয়ায় গ্রেফতার পরোয়ানা জারি হয়।

    মামলা গড়ায় হাইকোর্টে-সুপ্রিমকোর্টে

    গত বেশ কয়েকমাস এই তৃণমূল (TMC) নেতার খোঁজ না মেলায়, মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এই যুবনেতা নিজে হাইকোর্টে আগাম জামিন জানিয়ে আবেদন করলে, আদলাত তা বাতিল করে দেন। পুলিশ নানান জায়গায় হানা দিয়েও সৈকতের কোনও খোঁজ খবর পায়নি। অবশেষে তাঁর নামে হুলিয়া জারি হয়। অপর দিকে যুবনেতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চে বিফল হলে, আবার আবেদন করেন সুপ্রিমকোর্টে। কিন্তু সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়। অবশেষে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হন। জলপাইগুড়ি (jalpaiguri) জেলা আদালতে আগামী ২৬ অক্টোবরের মধ্যে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুপ্রিমকোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আরও এক  ‘পার্থ’, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আরও এক  ‘পার্থ’, ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই গ্রেফতার করল আরও এক ব্যক্তিকে। জানা গিয়েছে ওএমআর সিট জালিয়াতির অভিযোগে পার্থ সেন নামে এক ব্যক্তিকে এদিন সিবিআই আটক করেছে। দিন কয়েক আগেই অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। এদিনই পার্থ সেনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

    ধৃত পার্থ সেন এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI) সূত্রে খবর, ধৃত পার্থ সেন এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নামের একটি সংস্থার আধিকারিক ছিলেন। এই সংস্থায় মূলত প্রোগ্রামিং এর দায়িত্বে ছিলেন তিনি। প্রাথমিক নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় ওএমআর শিটে কারচুপির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার বাসিন্দা পার্থ সেনকে এদিনই আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়ই তাঁর বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সিবিআই-এর (CBI) দাবি অনুযায়ী এস এন বসু রায় এন্ড কোম্পানি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় উত্তরপত্র মূল্যায়ন ও  ওএমআর সিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল। প্রসঙ্গত, এই মামলাতেই গত মাসে সংস্থার অন্যতম দুই আধিকারিক কৌশিক মাজি এবং সৌরভ মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জাল গোটাচ্ছে সিবিআই-ইডি

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ  দুর্নীতি মামলায় তদন্তে ব্যাপক গতি বাড়িয়েছে দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই (CBI) ও ইডি। এই মামলাতেই জেলে রয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমেত শিক্ষা দফতরের একাধিক কর্তা। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২২ জুলাই এই মামলায় গ্রেফতার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা। সেই শুরু তারপর একে একে তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক ও নেতার নাম উঠে আসতে থাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়। বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য যিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন তিনিও জেলে রয়েছেন এই মামলায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nithari Case: শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ-খুন করে মাংস ভক্ষণ! নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামিরই ফাঁসি রদ

    Nithari Case: শিশু-কিশোরীদের ধর্ষণ-খুন করে মাংস ভক্ষণ! নিঠারিকাণ্ডে দুই আসামিরই ফাঁসি রদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০০৬ সালে নিঠারি হত্যা মামলা (Nithari Case) নিয়ে সারাদেশ তোলপাড় হয়েছিল। মনীন্দ্র সিং পান্ধের এবং তার পরিচারক  সুরেন্দ্র কোহলির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, যুবতী ও কিশোরীদের ধর্ষণ করে বাড়িতে তাদেরকে হত্যা করার। এরকম ১৯টি নরকঙ্কাল উদ্ধার হয় উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় ব্যবসায়ী মনীন্দ্র পান্ধেরের বাড়ি থেকে। এই মামলায় নিম্ন আদালতেররায়ে তাদের ফাঁসি সাজা ঘোষণা হলেও, এলাহাবাদ হাইকোর্ট এদিন দুইজনেরই ফাঁসির সাজা রদ করল। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরেন্দ্রকে বারটি মামলা এবং মনিন্দ্রকে দুটি মামলায় (Nithari Case) বেকসুর ঘোষণা করেছে উচ্চ আদালত। তাতেই তাদের ফাঁসির সাজা রদ হল।

    খুন-ধর্ষণের পরে প্রেসার কুকারে মৃতদেহ সেদ্ধ করে খেয়ে ফেলত অভিযুক্তরা

    ২০০৫-২০০৬ সাল নাগাদ একের পর এক যুবতী,কিশোরী নিখোঁজ হতে শুরু করে নিঠারিতে। মনীন্দ্রর বাড়ির সামনে ড্রেন থেকে উদ্ধার হয় মাথার খুলি। এরপরেই তদন্তে নামে পুলিশ। ২০০৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর মনীন্দ্রর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১৯টি নরকঙ্কাল। তদন্তে উঠে আসে যে এই সমস্ত শিশু এবং কিশোরীদের হত্যা করার পর তাদেরকে ধর্ষণ করে মণীন্দ্র পান্ধের এবং সুরেন্দ্র কোহলি। শুধু তাই নয় আরও মারাত্মক অভিযোগ, সমস্ত প্রমাণ লোপাটের জন্য হত্যার পরে মৃতদেহ প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে খেয়েও ফেলেছিল তারা। এই হত্যা মামলায় (Nithari Case) বাঙালি তরুণী পিঙ্কি সরকারেরও কঙ্কাল উদ্ধার হয়। ওই বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন পিঙ্কি এবং তাঁকেও যৌন নির্যাতনের পর খুন করে মনীন্দ্র এবং কোহলি।

    ১৯টি মামলা দায়ের হয় মনীন্দ্র ও কোহলির বিরুদ্ধে

    মোট ১৯ টি মামলার মধ্যে তিনটি মামলা খারিজ হয়ে যায় প্রমাণের অভাবে। কিন্তু বাকি ১৬টি মামলার মধ্যে ৭টিতে ফাঁসির সাজা দেওয়া হয় সুরেন্দ্র কোহলিকে। মণীন্দ্র পান্ধের অবশ্য জামিনে ছাড়া পেয়েছিল। পরে পিঙ্কি খুনের মামলায় (Nithari Case) তাকেও মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত। তদন্তকারী সংস্থার এও দাবি যে দুই অভিযুক্ত নিজেরাই স্বীকার করেছে যে তারা শিশুদের ধর্ষণ ও খুন করে তাদের মাংস সেদ্ধ করে খেয়েছিল প্রেসার কুকারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navaratri 2023: আজ মহাষষ্ঠী, জানুন মাতা কাত্যায়নী কীভাবে হয়ে উঠেছিলেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’

    Navaratri 2023: আজ মহাষষ্ঠী, জানুন মাতা কাত্যায়নী কীভাবে হয়ে উঠেছিলেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয়ের কোলে ঘন অরণ্যঘেরা এক ঋষির আশ্রম। ‘কাত্য’ গোত্রধারী ওই ঋষির নাম কাত্যায়ন (Navaratri 2023)। দীর্ঘদিন তিনি মাতা অম্বিকাকে নিজের কন্যা রূপে পাওয়ার জন্য তপস্যায় রত ছিলেন। পুরাণে কথিত আছে, দেবী তাঁর এই তপস্যায় প্রসন্ন হয়েছিলেন এবং তাঁকে এরূপ বর দিয়েছিলেন যে, ‘‘যখন দেবতাদের প্রয়োজন হবে, তখন তিনি তাঁর কন্যা রূপে অবতীর্ণ হবেন।’’ বামন পুরাণ অনুযায়ী, মহিষাসুরের কাছে স্বর্গরাজ্য হারিয়ে বিতাড়িত দেবতারা শরণাপন্ন হয়েছিলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে এই ত্রিদেবের তেজ থেকে উদ্ভব হয়  অষ্টাদশভূজা এক নারী মূর্তির, ইনিই মাতা কাত্যায়নী। নবরাত্রির (Navaratri 2023) মহাষষ্ঠীর দিন আরাধিতা হন দেবী কাত্যায়নী। মহর্ষি কাত্যায়নের আশ্রমে সমস্ত দেবগণ নিজেদের অস্ত্র দ্বারা সাজাতে শুরু করলেন মাতা কাত্যায়ানীকে। শিব দিলেন তাঁর ত্রিশূল, ভগবান বিষ্ণু প্রদান করলেন তাঁর সুদর্শনচক্র,অগ্নি দিলেন শক্তি, বায়ু দিলেন ধনুক, সূর্য দিলেন তিরভরা তূণীর, ইন্দ্র দিলেন বজ্র, কুবের দিলেন গদা, ব্রহ্মা দিলেন অক্ষমালা ও কমণ্ডলু, কাল দিলেন খড়্গ ও ঢাল এবং বিশ্বকর্মা দিলেন কুঠার ও অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র। এইভাবে সমস্ত দেবতা তাঁদের অস্ত্র তুলে দিলেন দেবীর হাতে মহিষাসুর বধের নিমিত্তে।

    মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ

    পুরাণে কথিত আছে, এরপর দেবী গেলেন মহিষাসুরের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। মহিষাসুরের দু’জন চর দেবীকে দেখে, মহিষাসুরের নিকটে গিয়ে তাঁর রূপ বর্ণনা করলেন। দেবীর রূপে মুগ্ধ মহিষাসুর,দেবীকে লাভ করতে চাইলেন। মাতা কাত্যায়নী তখন শর্ত দিলেন যে, ‘‘তাঁকে লাভ করার পূর্বে যুদ্ধে পরাস্ত করতে হবে।’’ শুরু হল মহিষাসুরের সঙ্গে মাতা কাত্যায়নীর এক প্রবল যুদ্ধ। মাতা কাত্যায়নী ছিলেন তাঁর বাহন সিংহের উপর সওয়ার, অন্যদিকে মহিষাসুর ছিলেন মহিষের রূপে। পুরাণে আরও উল্লেখ রয়েছে, যুদ্ধ চলাকালীন মাতা কাত্যায়নী পা দিয়ে তীব্র আঘাত করেন ওই ছদ্মবেশী মহিষকে। আঘাতে মহিষাসুর ধরাতলে পতিত হলে, মাতা কাত্যায়নী তাঁকে ত্রিশূল দ্বারা বধ করেন। এভাবেই মাতা কাত্যায়নী হয়ে ওঠেন ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। যে মহিষাসুরমর্দিনীকে (Navaratri 2023) কেন্দ্র করেই প্রতি বছর সম্পন্ন হয় দুর্গাপুজো। যে মহিষাসুরমর্দিনীর স্তব প্রত্যহ মহালয়ার ভোরবেলায় বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে আমরা শুনতে পাই। পুরাণ অনুযায়ী, দেবতারা যুদ্ধ শেষে মাতার কাত্যায়নীর উদ্দেশে পুষ্পবৃষ্টি করেন। রম্ভাপুত্র মহিষাসুরের অত্যাচারে যে দেবতারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়েছিলেন, তাঁরাই আবার স্বর্গরাজ্যের অধিকার ফিরে পেলেন মাতা কাত্যায়নীর কৃপায়।

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ মেলে তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে

    দেবী কাত্যায়নীর প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় তৈত্তিরীয় আরণ্যক গ্রন্থে। মার্কণ্ডেয় রচিত ‘দেবী মাহাত্ম্য’-এ মাতা কাত্যায়নীর দিব্যলীলার বর্ণনা রয়েছে। এর সঙ্গে সঙ্গে দেবী ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর (Navaratri 2023) লীলা বর্ণিত হয়েছে। আবার বৈষ্ণবদের ভাগবত পুরাণেও মাতা কাত্যায়নীর পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। ভাগবত পুরাণে, এটি কাত্যায়নী ব্রত নামেই পরিচিত। ব্রজের গোপীরা শ্রীকৃষ্ণকে পতি রুপে পেতে এই ব্রত উদযাপন করত। মাঘ মাস জুড়ে এই ব্রত চলত। যমুনা নদীর তীরে মাতা কাত্যায়নীর মাটির মূর্তি তৈরি করে দীপ, ফল, চন্দন, ধূপ দ্বারা মাতার আরাধনা করার পরম্পরা ছিল উত্তর ভারতে। আবার একই ভাবে মকর সংক্রান্তিতে, দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুতে পোঙ্গল উৎসবে মাতা কাত্যায়নীর পুজো চালু রয়েছে।

    কীভাবে সন্তুষ্ট হন মাতা কাত্যায়নী

    মাতা কাত্যায়নীর এই স্বরূপ শৌর্য, তেজ এবং পরাক্রমের প্রতীক বলেই বিবেচিত হয়। পুরাকালে মাতা কাত্যায়নী যেমন মহিষাসুরকে বধ করে আসুরিক শক্তি তথা অশুভ শক্তির বিনাশ করেছিলেন, ঠিক একইভাবে ভক্তদের জীবন থেকে সমস্ত অশুভ শক্তিকে তিনি বিনষ্ট করেন এবং আসুরিক যা কিছু প্রবৃত্তি সেটাও তিনি ধ্বংস করেন বলেই বিশ্বাস রয়েছে ভক্তদের। মাতার এই রূপের উপাসনা করলে সমস্ত অশুভ প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করা যায়, জীবনের সমস্ত বাধাবিঘ্ন দূর হয়, রোগ, ভয়, ব্যাধি সমস্ত কিছু মাতা হরণ করে নেন বলেই ভক্তদের ধারণা। মাতা কাত্যায়নীর ভক্তরা নৈবেদ্যতে (Navaratri 2023) মায়ের উদ্দেশে মধু নিবেদন করেন। এতে মা সন্তুষ্ট হন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share