Blog

  • Navaratri 2023: নবদুর্গার তৃতীয় রূপ মাতা চন্দ্রঘণ্টা, কেন এমন নামকরণ জানেন?

    Navaratri 2023: নবদুর্গার তৃতীয় রূপ মাতা চন্দ্রঘণ্টা, কেন এমন নামকরণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহিষাসুরের দখলে তখন সম্পূর্ণ স্বর্গরাজ্য। দেবতা, মুনি, ঋষি কেউই রম্ভাপুত্রের ভয়ঙ্কর অত্যাচারে টিকতে পারছেন না। দেবতারা পরাস্ত এবং বিতাড়িত। ব্রহ্মার বরদানে মহিষাসুরকে প্রতিহত করার কেউ নেই। মহিষাসুর জানতেন, ব্রহ্মার আশীর্বাদে কোনও পুরুষ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না। বিতাড়িত দেবতা, মুনি, ঋষিরা শরণাপন্ন হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের। মহিষাসুরের অত্যাচারের কাহিনি শোনার পর ক্রোধান্বিত হলেন ত্রিদেব অর্থাৎ ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর। ক্রোধাগ্নির প্রচণ্ড তেজ সম্মিলিত হয়ে মহর্ষি কাত্যায়ন ঋষির আশ্রমে সৃষ্টি হল এক নারীর। তিনি মা দুর্গা। নবরাত্রির (Navaratri 2023) ন’দিনে মা দুর্গার নয়টি রূপ ধারণ করে অসুরদের সঙ্গে প্রচণ্ড যুদ্ধ করেছিলেন। নবরাত্রির তৃতীয় দিনে পূজিতা হন মাতা চন্দ্রঘণ্টা। পৌরাণিক সাহিত্যের ভাষায়-
    পিণ্ডজপ্রবরারূঢা চন্দকোপাস্ত্রকৈর্য়ুতা ।
    প্রসাদং তনুতে মহ্য়ং চন্দ্রঘণ্টেতি বিশ্রুতা ।।

    মাতা চন্দ্রঘণ্টা নামকরণ কেন?

    প্রবল তেজসম্পন্না দেবী চন্দ্রঘণ্টা (Navaratri 2023), ঘণ্টা বাজিয়ে অসুরদের সতর্ক করেন। এখনকার ভাষায় ওয়ার্নিং বলা যেতে পারে। তাই দেবীর নাম চন্দ্রঘণ্টা। কালিকাপুরাণে দেবীর এমন নামকরণের উল্লেখ পাওয়া যায়। কাত্যায়ন মুনির আশ্রমে, ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বরের তেজ থেকে সৃষ্ট নারীমূর্তিকে যখন সমস্ত দেবতা একে একে অস্ত্র দ্বারা সজ্জিত করছিলেন, তখন দেবতাদের রাজা ইন্দ্র তাঁর বাহন ঐরাবৎ হাতির গলার ঘণ্টা থেকে একটি ঘণ্টা নিয়ে দেবীর একটি হাতে দিলেন।

    দেবী চন্দ্রঘণ্টার পৌরাণিক আখ্যান (Navaratri 2023)

    পুরাণে উল্লেখ রয়েছে, অসুরদের সঙ্গে প্রবল যুদ্ধ চলাকালীন মাতা চন্দ্রঘণ্টার এই তীব্র ঘণ্টানাদ বিকট শব্দ সৃষ্টি করেছিল। ঘণ্টার শব্দেই দৈত্যদের প্রাণ ভয়ে খাঁচাছাড়া অবস্থা হয়েছিল। অসুরদের অশুভ শক্তিকে হরণ করার জন্যই মাতা চন্দ্রঘণ্টা ঘণ্টা বাজিয়েছিলেন। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে কল্যাণকারী মাতা তাঁদের জীবন থেকে সমস্ত পাপবোধ, ভয়, শত্রুতা, বাধান, বিঘ্ন হরণ করে নেন। 
    পৌরাণিক কাহিনিতে আরও উল্লেখ রয়েছে, দেবী চন্দ্রঘণ্টা আসলে হিমালয়কন্যা ও শিবের স্ত্রী মাতা পার্বতী। শিব-পার্বতীর বিবাহ পণ্ড করতে তারকাসুর দৈত্য, দানবদের মিলিত এক বাহিনী (Navaratri 2023) নিয়ে আক্রমণ করে। এই অবস্থায় বিবাহকে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে দেবী পার্বতী, মাতা চন্দ্রঘণ্টার রূপ ধারণ করেন। তিনি ছিলেন বাঘের পিঠে সওয়ার। চন্দ্রের মতো বিশালাকার ঘন্টা তিনি বাজাতে থাকেন। ঘণ্টার তীব্র আওয়াজে ভীত হয়ে দানবরা রণেভঙ্গ দেয়।

    মাতা চন্দ্রঘণ্টা কোন ভোগে সন্তুষ্ট হন? 

    ভক্তদের বিশ্বাস, মাতা চন্দ্রঘণ্টা জীবনের সকল বাধাবিঘ্ন দূর করে চলার পথকে সুগম করে তোলেন। এই দেবীর পছন্দের রং কমলা বলেই মনে করেন ভক্তরা (Navaratri 2023)। তাই এই নির্দিষ্ট রঙের পোশাক পরিধান করে মাতা চন্দ্রঘণ্টার আরাধনা করলে সুফল বা শুভ ফল মেলে বলে ভক্তদের ধারণা। মাতার উদ্দেশে তাঁর ভক্তরা সাধারণত দুগ্ধজাত ভোগ নিবেদন করেন মায়ের নৈবেদ্যতে, এটা সাধারণত মিষ্টি, ক্ষীর বা রাবড়ি হয়। ভক্তদের বিশ্বাস, এতে মাতা চন্দ্রঘণ্টা প্রসন্ন হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে মহালয়ার দিনও শিলিগুড়ি-সিকিমে একযোগে অভিযান চালাল সিবিআই

    CBI: ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে মহালয়ার দিনও শিলিগুড়ি-সিকিমে একযোগে অভিযান চালাল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৎপর সিবিআই (CBI)। রাজ্যের একাধিক পুরসভায় অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই-ইডি। এবার সেই জের মিটতে না মিটতেই এবার ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তে তেঁড়ে ফুঁড়ে নামল সিবিআই। শনিবার মহালয়ার দিনও শিলিগুড়ি জুড়ে দিনভর অভিযান চালায় সিবিআই। শিলিগুড়ির একাধিক জায়গা-সহ সিকিমেও পৌঁছে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।

    শিলিগুড়ির কোথায় কোথায় অভিযান চালাল সিবিআই ?(CBI)

    সিবিআই সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী (CBI) সংস্থার একটি দল বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামে। সেখান থেকে তারা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি দল সিকিমের উদ্দেশে রওনা দেয় এবং আরও একটি দল শিলিগুড়ি মহকুমায় অভিযানে নামে। ভুয়ো পাসপোর্ট কেলেঙ্কারির তদন্তেই বাংলা এবং সিকিমে একযোগে অভিযান চালান গোয়েন্দারা। এমনিতেই শুক্রবার দুপুর থেকে শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় সিবিআই হানা শুরু হয়। শনিবারেও জারি রয়েছে তল্লাশি অভিযান। এদিন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের মাটিগাড়া, বাগডোগরা, নকশালবাড়ি, শিবমন্দির- সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নামে। এদিন সকালে সিবিআই আধিকারিকদের দলটি প্রথমে বাগডোগরার বাবুপাড়ায় উদয়শঙ্কর রায়ের বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকে অটল চা বাগানের অফিসে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এ ছাড়া আরও কয়েক জনের বাড়িতে এবং অফিসে হানা দিয়েছে সিবিআই।

    তল্লাশিতে কী মিলল?

    সিবিআই সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির পাশাপাশি, ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় সিকিমেও সিবিআই হানা চলছে। জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে ভুয়ো পাসপোর্ট-সহ বহু নথি উদ্ধার হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে নেপালের নাগরিকদের ভারতের ভুয়ো পাসপোর্ট এবং ভুয়ো নথি তৈরি করিয়ে দেওয়ার চক্র চলছিল। সেই কেলেঙ্কারির শিকড়ে পৌঁছতেই চলছে সিবিআই (CBI) অভিযান। শুক্রবার নিউ জলপাইগুড়ি এলাকা থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে সিবিআই। শিলিগুড়ির পাশাপাশি, ভুয়ো পাসপোর্ট মামলায় সিকিমেও সিবিআই হানা চলছে। জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে ভুয়ো পাসপোর্ট-সহ বহু নথি উদ্ধার হয়েছে। মোটা টাকার বিনিময়ে এসব কারবার চলত বলে তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fish: দিঘায় ২০০ কেজির বিশালাকৃতির কই ভোলা জালে! বিক্রির দাম কত জানেন?

    Fish: দিঘায় ২০০ কেজির বিশালাকৃতির কই ভোলা জালে! বিক্রির দাম কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবারে দিঘায় ফের বিশাল আকৃতির কই ভোলা (Fish) জালে পড়েছে। এই মাছ নিয়ে বাজারে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। মাছের ওজন ছিল ২০০ কেজি এবং বিক্রির দাম ছাপিয়ে গেছে লাখ টাকা। লাভবান হয়েছেন এক ওড়িশার মত্স্যজীবী। বিশাল এই মাছ দেখতে প্রচুর মানুষ জমায়েত হন বাজারে। ভোজন রসিক বাঙালির পাতে মাছ না পড়লে খাওয়া ঠিক জমে না। কই ভোলা মাছের চাহিদাও বাজারে অনেক বেশী। এই মাছের পাতুরি, ফিস ফ্রাই, ফিস ফিঙার ভোজন রসিকদের বেশ তৃপ্তি দিয়ে থাকে। সাধারণত এই মাছ সমুদ্রের গভীর জলে বসবাস করে।

    মৎস্যজীবীদের বক্তব্য (Fish)

    দিঘার মোহনার মাছ বাজারে এই বিশালাকৃতির মাছকে (Fish) ঘিরে রীতিমতো মানুষের মধ্যে উত্তেজনা লক্ষ করা যায়। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, “এই কই ভোলা গভীর সমুদ্রে থাকে। এই মাছ শিকার করতে গেলে সমুদ্রের অনেক গভীরে যেতে হয়। তবে ঝুঁকি থাকে শিকারের কাজে। মাছটি ধরেন ওড়িশার এক মৎস্যজীবী, এরপর এশিয়ার সবথেকে বড় মাছের বাজার, দিঘা মোহনা বাজারে নিয়ে আসেন। সুজিত কর নামক এক মাছের আড়তের মালিকের দোকানে মাছটির নিলামের ডাক ওঠে। অনেক সময় ধরে দরদামের পর বেশ লাভজনক মূল্যে বিক্রি হয় কই ভোলাটি। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবরে এমনই একটি দৈত্যের মতো কই ভোলা পাওয়া গিয়েছিল। সেই মাছটির ওজন ছিল ১১০ কেজি। এবারের কই ভোলা মাছের ওজন ২০০ কেজি।

    দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য

    দিঘার ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস চেয়ারম্যান নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, “প্রায় ২ কুইন্টাল ওজনের বিরাট মাছ (Fish) দিঘার মোহনা বাজারে আসে। নিলামে মাছের দাম ওঠে ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। এই মাছ যাঁদের কপালে পড়ে তাঁদের ভাগ্য বদলে যায়। এই মাছের চাহিদা বাজারে প্রচুর। বিশেষ করে বাংলাদেশে চাহিদা ব্যাপক।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tarpan: তর্পণ করার সময় গঙ্গায় বানের জল আসতেই হুগলিতে তলিয়ে গেলেন চারজন, বেলুড়-পানিহাটিতেও বিপত্তি!

    Tarpan: তর্পণ করার সময় গঙ্গায় বানের জল আসতেই হুগলিতে তলিয়ে গেলেন চারজন, বেলুড়-পানিহাটিতেও বিপত্তি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিতৃপক্ষ শেষ হয়ে মাতৃপক্ষের সূচনার দিনই ঘটল বিপত্তি। গঙ্গার দুপারে তর্পণ (Tarpan) করতে নেমে তলিয়ে গেলেন বেশ কয়েকজন। এরমধ্যে হুগলিতে জেলায় চারজন তলিয়ে যাওয়ার খবর রয়েছে। আর বারাকপুর মহকুমার পানিহাটিতে একজন তলিয়ে যান। বেলুড় ঘাটে এক মহিলা তলিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ভরা গঙ্গায় জলে নেমে তর্পণ করতে গিয়ে শনিবার সাত সকাসকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মহালয়ার দিন এভাবে গঙ্গায় তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে।

    বান আসতেই তলিয়ে যান চারজন (Tarpan)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার মহালয়ার শুভ লগ্নে পূর্বপুরুষদের জল দেওয়ার তর্পণ (Tarpan) করতে গঙ্গার দুপারের হাজার হাজার বাসিন্দা সামিল হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, হুগলির হিন্দমোটরের বিবি স্ট্রিট ঘাটে এদিন ভোর থেকে তর্পণ করতে বহু মানুষ ভিড় করেছিলেন। সেই সময় গঙ্গায় বান আসতেই বেশ কয়েকজন তলিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বান আসার পর বাঁশি বাজিয়ে পুলিশ সতর্ক করে। সেই সময় চারজন তলিয়ে যায়।

    স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তর্পণ করতে গঙ্গায় নেমে তলিয়ে গেলেন বৃদ্ধ

    পানিহাটি পুরসভার আগরপাড়া ইলিয়াস রোডে গিরিবালা ঘাটে সকল 8 টার সময় তর্পণ (Tarpan) করতে আসেন মধ্যমগ্রামের মেঘদূত ঘোষপাড়ার বাসিন্দা শেখর মণ্ডল। তাঁর বয়স ৬১ বছর। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী মহুয়া মণ্ডলও তর্পণ করতে আসেন। আগরপাড়া গিরিবালা ঘাটে ভোর 8 টা নাগাদ গঙ্গার ঘাটে স্নান করতে নামেন শেখরবাবু। কয়েকটা ডুব দেবার পরেই তিনি তলিয়ে যান। এর পরেই খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। এলাকার মানুষেরা খড়দা থানায় খবর দেন। বিপর্যয় মোকাবিল দফতরের কর্মীরা উদ্যোগী হন। ডুবুরি নামিয়ে গঙ্গার ঘাটে খোঁজা শুরু হয়। জানা গিয়েছে, শেখরবাবু কাশিপুর অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন। এ বছর জানুয়ারি মাসে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি সাঁতার জানতেন। কীভাবে তলিয়ে গেল তা কেউ বলতে পারছেন না। দেবীপক্ষের সূচনা দিন গঙ্গার ঘাট থেকে স্বামীর খোঁজ না পেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন মহুয়াদেবী।

    বেলুড় ঘাটেও এক মহিলা তলিয়ে যান

    অন্যদিকে, হাওড়ার বেলুড়ের পাল ঘাটে তর্পণ (Tarpan) করতে এসে এদিন তলিয়ে যান এক মহিলা। পরে, খোঁজাখুঁজির পর তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সত্যবালা ঘোষ (৫৩)। তাঁর বাড়ি বেলুড়ের নেতাজি নগর এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    Murshidabad: দুর্নীতি-স্বজনপোষণের অভিযোগে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘেরাও বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে পঞ্চায়েতে অফিসের মধ্যে দুর্নীতি-স্বজনপোষণের বিরুদ্ধে ঘেরাও করে, বিক্ষোভ করল বিজেপি জয়ী সদস্যরা। প্রথমে বিজেপির জয়ী সদস্যরা, মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ জানান। এরপর ক্রমেই বচসার জেরে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জেলায় তীব্র শোরগোল পড়েছে এই নিয়ে।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Murshidabad)?

    এবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞায় সাহোড়া গ্ৰাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধানকে কার্যত পঞ্চায়েত অফিসের মধ্যে ঘেরাও করে রাখে বিজেপি। প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় ১০ টি গ্ৰামের জয়ী বিরোধী সদস্যরা। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে সামাল দিতে মাঠে নামতে হয়েছে বড়ঞা থানার পুলিশকে।

    বিজেপির অভিযোগ

    বিজেপি জয়ী পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা অমর দেবংশী বলেন, “আমাদের প্রধান অভিযোগ হল, পঞ্চায়েত প্রধান, বিরোধী দলের সদস্যদের মতামতের কোনও গুরুত্ব না দিয়ে নিজের মতো করেই বিলি করছে ত্রিপল এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম। সাহোড়া (Murshidabad) গ্ৰাম পঞ্চায়েতে নবনিযুক্ত প্রধান, নিজের মতো করে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা প্রাপ্যকারীদের তালিকা তৈরি করছেন। ফলে সেগুলি শুধুমাত্র তৃণমূলেরাই পাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সরকারি সাহায্যে থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কথায় কাজ না হলে, আজ সন্ধ্যায় পঞ্চায়েতের প্রায় ৯ জন বিজেপি সদস্যরা একত্রিত হয়ে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি।

    তৃণমূল প্রধানের বক্তব্য

    এলাকার (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত প্রধান গোষ্ঠ গোপাল ঘোষ বলেন, বিরোধী দলের জয়ী সদস্যদের সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন, আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এমন অভিযোগ আনা হচ্ছে। উপযুক্ত ব্যক্তিরা যাতে সরকারি সুবিধা পায়, সেই কথা মাথায় রেখেই সমস্ত কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপির সদস্যরা তা করতে দিচ্ছেন না।

    পরিস্থিতি সামাল দিতে পৌঁছায় পুলিশ

    শুক্রবার সন্ধ্যার এই ঘটনায় এতটাই চাঞ্চল সৃষ্টি হয় যে ঘটনাস্থলে আসতে হয় বড়ঞা থানার (Murshidabad) পুলিশকে। বিজেপির বিক্ষোভের কারণে দীর্ঘক্ষণ কার্যত প্রধানকে পঞ্চায়েত দফতরে নিরাপত্তা দিয়ে রাখে পুলিশ প্রশাসন। কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানা যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: পুজোর আগে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজে নেই গতি! ক্ষোভে ‘মলম’ দিতে রাস্তায় তৃণমূল বিধায়ক

    Hooghly: পুজোর আগে বেহাল রাস্তা সংস্কারের কাজে নেই গতি! ক্ষোভে ‘মলম’ দিতে রাস্তায় তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি বোলপুরে অবরোধে আটকে পড়েছিলেন রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, ছিল বেহাল রাস্তা। তাতে তিতি বিরক্ত হয়ে বিভিন্ন ক্লাবের ছেলেরা বেহাল রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পথ অবরোধ করেছিলেন। পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে আশিসবাবু গাড়ি বসেই প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তা থেকে শুরু করে পূর্ত মন্ত্রীকে ফোন করে সে যাত্রায় বিক্ষোভের হাত থেকে রেহাই পান। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার হুগলির (Hooghly) চুঁচুড়ায় বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ। পুজোর আগে খানাখন্দে ভরা রাস্তা নিয়ে অনেকে ক্ষোভও জানিয়েছে। আর এসবের জন্য কার্যত মুখ পুড়ছে তৃণমূলের। তাই, তৃণমূল বিধায়ক অসতি মজুমদার লোক দেখানো করে বেহাল রাস্তা দেখতে বের হন। আর বেহাল রাস্তার জন্য পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের কাঠগ়ড়ায় দাঁড় করান তিনি।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) ব্যান্ডেল চার্চ, বালির যোড় ,স্ট্যান্ড রোড, তালডাঙা, তোলাফটক, মিয়ারবের, নেতাজি সুভাষ রোড, টাউন গার্ড রোড, ব্যারাক রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজও। রাস্তা সংস্কারের গতি নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। এক দোকানদার বলেন, রাস্তার কাজের জন্য খোঁড়াখুড়ি চলছে। দোকানের সামনে কয়েকদিন ধরে পাথর ফেলে রেখে। ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে।স্থানীয় বাসিন্দারাও ক্ষুব্ধ। পুজোর আগে রাস্তা ঠিক হবে বলে মনে হচ্ছে না। মানুষ যে ক্ষোভে ফুঁসছে আঁচ করেই চুঁচুড়া পুরসভার পূর্ত দফতরের সিআইসি সৌমিত্র ঘোষ, কেএমডিএ ও পূর্ত দফরের আধিকারিকদের নিয়ে শহরে বিভিন্ন বেহাল রাস্তা ঘুরে দেখেন তৃণমূল বিধায়ক। পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন অসিত। ধীর গতিতে রাস্তা সংস্কারের কাজ দেখে রাগ চেপে রাখেননি তিনি। পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন অসিত। চতুর্থী থেকে পঞ্চমীর মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুজোর আগে বেহাল রাস্তা নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে ব্যবসায়ীদের মধে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক লোক দেখানো এসব করে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের মত।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, পুলিশ- প্রশাসন ও পূর্ত দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। তাই, রাস্তা সংস্কারের কাজে কোনও গতি নেই। পুজো পুরোদমে শুরু হয়ে গেলে আর রাস্তার কাজ করা যাবে না। তাই চতুর্থী অথবা পঞ্চমীর আগে রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে দিন রাত কাজ করতে হবে। আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি তাঁদের এমনটা করার জন্য বলে দিয়েছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মুক্তি পেল প্রধানমন্ত্রীর লেখা কবিতা দিয়ে তৈরি ‘গর্ব’ গান, দেখুন সেই মিউজিক ভিডিও

    Narendra Modi: মুক্তি পেল প্রধানমন্ত্রীর লেখা কবিতা দিয়ে তৈরি ‘গর্ব’ গান, দেখুন সেই মিউজিক ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) শুধু রাজনীতির ময়দানেই নেই, তিনি সংস্কৃতিতেও সমান বিরাজমান। কয়েক বছর আগে তিনি, নবরাত্রি নিয়ে গান লিখেছিলেন। এই বছর সেই গান ‘গর্ব’ মুক্তি পেল। সারা ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে পুজো, উৎসবের আবহ। নবরাত্রি, দুর্গাপুজো, দশেরা, কালীপুজো, দীপাবলি ভাতৃদ্বিতীয়া, ছট ইত্যাদি পরপর আসবে। মানুষের মনে খুশির আনন্দ। নবরাত্রিতে মায়ের ‘আরাধনা’য় যে সঙ্গীত পরিবেশিত হয়, তাকেই গুজরাতিতে ‘গর্ব’ বলা হয়। এই সময়ে মোদির লেখা গান প্রাকশিত হওয়ায় ভক্ত মহলে উন্মাদনা দ্বিগুণ হতে শুরু হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি নিজের এক্স ট্যুইটারে গানের মুক্তির কথা ঘোষণা করে ‘নবরাত্রি স্পেশালে’র কথা জানিয়ে দিলেন।

    মুক্তি পেল ‘গর্ব’ (Narendra Modi)

    প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) নিজে যেমন রাজনীতিবিদ, বিশ্বের প্রথম সারির অন্যতম ক্ষমতাবান ব্যক্তিত্ব, সেই সঙ্গে একজন লেখক এবং গীতিকারও। তবে তিনি যে গীতিকার, সেই পরিচয়ের কথা অনেকেই জানেন না। বেশ কয়েক বছর আগে লিখেছিলেন এই গান। আজ ইউটিউবে সেই গান মুক্তি পেল। তাঁর গানের কথায় সুর দিয়েছেন ধ্বনি ভানুশালী। উৎসবের আবহে এই গানের জনপ্রিয়তা ব্যাপক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্রে, জানা গেছে মাত্র দুই ঘণ্টায় গানটিকে দেখে ফেলেছেন ১৮৯ হাজার মানুষ। যত সময় এগিয়ে যাচ্ছে, গানের ভিউ আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

    সঙ্গীত শিল্পীর বক্তব্য

    সঙ্গীত শিল্পী ধ্বনি ভানুশালী সামজিক মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) গান সম্পর্কে বলেন, “আপনার লেখা ‘গর্ব’ গানটি আমার এবং তনিস্কা বাগচী, দু’জনেরই খুব পছন্দ হয়েছে। আমরা প্রাণবন্ত একটি তাল, সুর এবং আমেজ চেয়েছিলাম। গানের লেখনী ভিডিয়ো আকারে ফুটে ওঠার পর, তা আরও চমকপ্রদ সাফল্য পেয়েছে।”

    ‘জাস্ট মিউজিক’ সূত্রে জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) ‘গর্ব’ গানের মাধ্যমে গুজরাট এবার চোখ ধাঁধানো নবরাত্রি উদযাপন করবে। তনিস্কা বাগচী এবং ধ্বনি ভানুশালীর সুরের যাদুতে মেতে উঠবে দর্শক। এই গানের পরিচালক নাদিম শাহ্‌। হাতে ডান্ডিয়া এবং গানের তালে তালে ব্যাপক মনোমুগ্ধকর পরিবেশ নির্মিত হবে।

    প্রধানমন্ত্রী কী বলেন

    মোদি (Narendra Modi) নিজে তাঁর সামজিক মাধ্যমে গানের কথা বিনিময় করে মুক্তির কথা জানান। সেই সঙ্গে গানের গায়ক, সুরকার এবং পরিচালকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “এই গান আমি বেশ কিছুদিন আগে লিখেছিলাম, এই গান অনেক স্মৃতিকে বহন করে আনে। এরপর বহু বছর ধরে কিছু লিখিনি। নতুন গরবা গানটি নবরাত্রির সময় সকলের সঙ্গে বিনিময় করে নেব।”

    দর্শকদের উচ্ছ্বাস

    মোদির (Narendra Modi) এই গান মুক্তির পর সামজিক মাধ্যমে অনেকেই নানান কথা লেখালেখি করছেন। একজন পাঠক লিখেছেন, “স্যার আপনার মুকুটে নতুন পালক সংযুক্ত হল।” আরেক জন লিখেছেন, “মাতারানির চরণে নেবেদিত গানের কথা বেশ চমৎকার। সঙ্গীতের ভাষা বেশ সুন্দর, অনেক মানুষকে একত্রিত করা যায়। প্রধানমন্ত্রীর লেখা এই গান বেশ দুর্দান্ত।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পুষ্পাঞ্জলি না দিলে পুজো অসমাপ্ত! জানেন অঞ্জলি কেন দেওয়া হয়? 

    Durga Puja 2023: পুষ্পাঞ্জলি না দিলে পুজো অসমাপ্ত! জানেন অঞ্জলি কেন দেওয়া হয়? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর প্রধান অঙ্গই হল অঞ্জলি। দেবতাকে অর্ঘ্য নিবেদন করাই অঞ্জলিদান। দুর্গাপুজোয় সপ্তমী, অষ্টমী, নবমীতে অঞ্জলি দেওয়া যেতে পারে। তবে অধিকাংশ মানুষ অষ্টমীর দিন পুস্পাঞ্জলি দেন। যাঁদের বাড়িতে পুজো হয়, তাঁরা প্রতিদিন পুজো পর্যন্ত উপবাস করে অঞ্জলি দিয়ে প্রসাদ নেন। পুজোর চারদিন পুষ্পাঞ্জলি দিলেও মহাষ্টমী মানেই সকালবেলা স্নান সেরে নতুন জামাকাপড় পরে মণ্ডপে গিয়ে হাজিরা। তারপর দু’হাত ভরে ফুল নিয়ে মায়ের কাছে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া।

    কেন অষ্টমীর অঞ্জলি গুরুত্বপূর্ণ

    পুরাণ মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণানবমী তিথিতে দেবতাদের তেজ ক্রমশ পুঞ্জিভূত হতে শুরু করে। সপ্তমী তিথিতে সেই পুঞ্জিভূত তেজরাশি অবয়ব ধারণ করে। তাই সপ্তমী থেকে দেবীর মূর্তিতে পুজো শুরু হয়। মহাষ্টমী তিথিতে দেবতারা দুর্গাকে নানান অস্ত্র, রত্নহার, পদ্মের মালা দিয়ে সাজিয়ে তোলেন। যেহেতু মহাষ্টমীতে দেবী দুর্গাকে দেবতারা সাজিয়ে দিয়েছিলেন, তাই ওই দিন আমরাও মা দুর্গাকে সাজিয়ে দেবার চেষ্টা করি। সবচেয়ে উৎকৃষ্ট জিনিস দিয়ে সেদিন পুজো করা হয়। আমরা নিজেরাও সেরা বস্ত্রটি পরে মায়ের কাছে গিয়ে ফুল দিয়ে অঞ্জলি দিই। তাই মহাষ্টমীর অঞ্জলি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।

    অঞ্জলির ফল

    কথিত আছে, মহাষ্টমীতে দেবীর পুজো করার সময় সঠিক নিয়ম মেনে চললে জীবনে কখনও আর্থিক দিক থেকে অবনতি ঘটে না। সব সময় সাফল্য আসে। জীবনে বহুদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়। তাই ভোরে উঠে স্নান সেরে, নতুন পোশাক পরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি (Pushpanjali) দেওয়ার জন্য ভিড়ের ছবি চোখে পড়ে সকাল থেকেই। শক্তির আরাধ্যা দেবী দুর্গার (Goddess Durga) কাছে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়ে প্রার্থনা করার শুভ সময় এটাই। এমনটাই মনে করেন শাক্তরা। অশুভ শক্তিকে বিনাশ করে স্বর্গরাজ্য রক্ষা করেছিলেন সর্বশক্তিমান দেবী মহিষাসুরমর্দিনী। প্রতি বছর শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে দুর্গাষ্টমী ব্রত পালন করা হয়। বাঙালির সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মধ্যে এই দুর্গাষ্টমীর ব্রত রন্ধ্রে রন্ধ্রে জড়িয়ে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: পুত্রকন্যা নয়, দেবী দুর্গা ঘটক পরিবারের পুজোয় আসেন জয়া-বিজয়ার সঙ্গে

    এবার কখন অঞ্জলি?

    অক্টোবরের শেষ বা কার্তিক মাসের শুরুতে দুর্গাপুজো পড়েছে এবার। ২ কার্তিক বা ইংরেজির ২০ অক্টোবর শুক্রবার ষষ্ঠী। শনিবার ২১ অক্টোবর বা ৩ কার্তিক সপ্তমী। যদিও ষষ্ঠীর দিন রাত ১১ টা বেজে ২৮ মিনিটে সপ্তমী তিথি পড়ে যাচ্ছে। সপ্তমীর দিন রাত ৯ টা ৫৪ মিনিটে অষ্টমী তিথি পড়ে যাচ্ছে। পরের দিন অর্থাৎ রবিবার ২২ অক্টোবর বা ৪ কার্তিক দিনভর রয়েছে অষ্টমী তিথি। অষ্টমীর রাত ৭ টা ৫৯ মিনিটে নবমী তিথি পড়ছে। ২২ অক্টোবর বিকেল ৪ টে ৫৪ মিনিটে পড়ছে সন্ধিপুজোর সময়। ৪ টে ৫৪ মিনিট ৫ টা ৪২ মিনিট পর্যন্ত থাকবে সন্ধিপুজোর সময়। সোমবার ২৩ অক্টোবর বা ৫ কার্তিক নবমী তিথি থাকছে। নবমীর বিকেল ৫টা ৫৪ মিনিটে লাগবে দশমী তিথি। ২৪ অক্টবার বা ৬ কার্তিক দশমী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: মহালয়ার দিন একদিনের দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: মহালয়ার দিন একদিনের দুর্গাপুজোয় মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাশফুলের মাথা দোলানো, শরতের আকাশ -পুজোর আমেজ আরও বাড়িয়ে দেয়। মহামায়ার আরাধনায় মেতে থাকে আপামর বাঙালি। কিন্তু, দুর্গাপুজোর (Durga Puja) স্থায়ীত্ব যদি একদিন হয়? ভাবলেই মনটা বিষাদে ভরে ওঠে, শুনতে অবাক মনে হলেও এটা সত্যি। এই বংলাতেই হয়। পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল হিরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে বোধনের দিনেই বেজে ওঠে নবমীর নিষ্ঠুর সুর। পিতৃপক্ষের অন্তিমক্ষণে একদিনের জন্য বাড়ি আসেন উমা। পুজো নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাড়ি দেন কৈলাসের পথে।

    কীভাবে শুরু হয়েছিল এই পুজো? (Durga Puja)

    পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল হিরাপুর ধেনুয়া গ্রামে কালীকৃষ্ণ যোগাশ্রমে সত্তোরের দশকে আসাম থেকে তেজানন্দ ব্রহ্মচারী নামে এক মহারাজ আসেন। তিনি মহালয়ার দিন স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজোর (Durga Puja) সূচনা করেন। শুরু হয় একদিনের দুর্গাপুজো। মহালয়ার দিনেই পুজো নেন দেবী মহামায়া। কুমারীরূপে পুজো করা হয় দেবীকে। একদিনের পুজো শেষে হয় প্রতিমা নিরঞ্জন। এখানে দেবী অসুরবিনাশিনি রূপে দেখা দেন না। দুই সখা, জয়া-বিজয়াকে সঙ্গে নিয়ে বাপের বাড়ি আসেন পার্বতী। জয়া-বিজয়ার সঙ্গে দেবী দুর্গার মূর্তি সচরাচর দেখা মেলে না এই বাংলায়। তবে এই ধরণের মূর্তির পুজো, বিশেষভাবে প্রচলিত রয়েছে বাংলাদেশে। অনেকের ধারণা, আসামের বাসিন্দা তেজানন্দ ব্রহ্মচারীর সঙ্গে নিবিড় যোগযোগ ছিল বাংলাদেশের। সেই কারণে বাংলার গ্রামে অসুর মর্দিনী রূপে দুর্গা পুজো না করে, কুমারী মহামায়ার মূর্তি আরাধনার জন্য বেছে নিয়েছিলেন তিনি।তেজানন্দ মহারাজের চালু করা নিময় মেনে এখনও ধেনুয়া গ্রামে হচ্ছে একদিনের দুর্গাপুজো। তবে এখন পুজো পরিচালনার সব দায়িত্ব রয়েছে গৌরী কেদারনাথ মন্দির কমিটির হাতে। ২০০৩ সাল থেকে এই পুজো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে তাঁরা। ধেনুয়া গ্রামে কুমারী মহামায়ার পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। যুগলমন্ত্র জানা কোনও পুরোহিত এই পুজো করেন। এই মন্দিরে পশুবলি কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

    পুজোয় মেতে ওঠেন গোটা গ্রামবাসী

    কুমারী দুর্গা পুজোর (Durga Puja) জন্য আগে বিশেষ নিয়ম চালু ছিল ধেনুয়া গ্রামে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকার ২১ জন কুমারী মেয়েকে নিয়ে এসে পুজোর আয়োজন করত। তবে, সেই নিয়মে কিছুটা ভাটা পড়েছে এখন। যদিও পূর্বনির্ধারিত সব রীতি রেওয়াজ মেনে হয় ধেনুয়া গ্রামের একদিনের দুর্গাপুজো। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই পুজোকে কেন্দ্র করে উৎসাহ থাকে তুঙ্গে। পাশাপাশি, দূরদূরান্ত থেকে এই পুজো দেখতে ছুটে আসেন অনেকে। বাইরের মানুষের কাছে মহালয়ার এই দুর্গাপুজো বোনাস হলেও, স্থানীয়দের কাছে দেবীর দ্রুত গমন কিছুট মনখারাপের সাক্ষী হয়েই থাকে। দেবীর একদিন পরেই কৈলাস প্রস্থানের জন্য, মনঃকষ্টে ভোগেন গ্রামের মানুষ। পুজোর দিনে আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন সকলে। তবে, দেবীপক্ষের সূচনার দিনে দেবীর প্রস্থান কাঁদিয়ে যায় ধেনুয়া গ্রামের মানুষকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Priyanka Gandhi: উপঢৌকন দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা! প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপির

    Priyanka Gandhi: উপঢৌকন দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা! প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এরই মধ্যে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi) বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির অভিযোগ, আদর্শ নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। ঠিক কী অভিযোগ? বিজেপির দাবি, নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী স্টুডেন্ট স্কলারশিপ স্কিমের ঘোষণার মাধ্যমে ছাত্রদের প্রতিমাসে ৫০০-১৫০০ টাকা করে দেওয়ার কথা বলছেন। যা নির্বাচনী বিধিভঙ্গের শামিল। এনিয়ে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী পঙ্কজ ওয়াদানি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,  ভোটের জন্য এভাবেই টোপ ফেলছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। প্রসঙ্গত, বর্তমানে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।

    ১২ অক্টোবর জনসভা থেকে ভোট কেনার প্রচেষ্টা

    বিজেপির তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাখিল করা ঐ অভিযোগে দাবি করা হয়েছে যে মধ্যপ্রদেশের মান্ডালা জেলাতে ১২ অক্টোবর একটি জনসভা ছিল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর (Priyanka Gandhi)। সেখানে তিনি সর্বসমক্ষে উপঢৌকন দেওয়ার কথা বলেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ঘোষণা করেন যে ক্লাস ওয়ান থেকে টুয়েলভ পর্যন্ত ৫০০ থেকে ১৫০০ টাকা করে দেওয়া হবে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা পাবে ৫০০ টাকা, নবম-দশমের ছাত্রছাত্রীরা পাবে ১ হাজার টাকা এবং দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা পাবে দেড় হাজার টাকা। এই প্রকল্পে ৬৪৮ কোটি টাকা ব্যয় হবে বলেও জানান প্রিয়াঙ্কা। 

    আগেই রেউডি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে

    প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই এই রেউড়ি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে। এ নিয়ে বারবার সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্বও। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন যে রেউড়ি সংস্কৃতির মাধ্যমে নেতারা যখন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দেন তখন তাঁরা চিন্তা-ভাবনা করেননা যে এই অর্থ কোথা থেকে আসবে! কীভাবে আসবে!প্রসঙ্গত মধ্যপ্রদেশের নির্বাচন হতে চলেছে আগামী নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখ থেকে। ২৩০ টি আসন রয়েছে মধ্যপ্রদেশে রাজ্যের বিধানসভায়। ভোট গণনা হবে ডিসেম্বরের ৩ তারিখে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share