Blog

  • Bomb Blast: মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির,  কী করছে পুলিশ?

    Bomb Blast: মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের ফের বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে (Bomb Blast) মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। ঘটনায় আরও একজন জখন হন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে হরিহরপাড়া থানার খলিলাবাদ মাঠে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাজিজুল শেখ (৪২)। জখম ব্যক্তির নাম লালন মণ্ডল। তাদের বাড়ি হরিহরপাড়া থানার লোচনমাটি গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিহরপাড়া থানার খলিলাবাদ মাঠে কলার বাগানে সাজিজুল, মিলে বোমা বাঁধার কাজ করছিলেন। সেখানে আর কে কে ছিল তা জানা যায়নি। আচমকা বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। তাতে সাজিজুল সহ দুজন গুরুতর জখম হন। সাজিজুল সহ দুজন ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিছুটা দূরে গিয়ে তার মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বোমা বিস্ফোরণের খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাজিজুলের মৃত্যু হয়। প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকে এই জেলায় একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বেলডাঙায় বোমা বাঁধতে গিয়ে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। রেজিনগরেও একই ঘটনা ঘটে। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে একজনের মৃত্যু হয়। বোমা বাঁধার ঘটনার পাশাপাশি বল ভেবে বোমা ফেটে সূতিতে এক কিশোর জখম হন। ভরতপুরেও এক কিশোর বোমা ফেটে জখন হন। পঞ্চায়েত ভোট শেষ হওয়ার পরও রমরমিয়ে বোমা তৈরির কারবার চলছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কারা বোমা বাঁধার কাজ করছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, মাঠের কলাবাগানে বোমা তৈরির কাজ করছিল। ফলে, তাদের বাইরে থেকে কেউ দেখতে পায়নি। আচমকা  বিকট আওয়াজে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। এরপরই মাঠের মধ্যে গিয়ে দেখি, দুজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। একজনের দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন, বোমা বিস্ফোরণ কেন ঘটল তা পুলিশ প্রশাসনের দেখা দরকার। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশ প্রশাসনের। তবে, কারা এই ধরনের অসামাজিক কাজ করছিলেন তা খতিয়ে দেখছি। এই এলাকায় এসব চলতে পারে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দেবীর দশ হাতে কোন দেবতা কী অস্ত্র দিয়েছিলেন? জানেন তার গুরুত্ব?

    Durga Puja 2023: দেবীর দশ হাতে কোন দেবতা কী অস্ত্র দিয়েছিলেন? জানেন তার গুরুত্ব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বজননী দেবী দুর্গার কোনও নির্দিষ্ট রূপ নেই। তাঁকে কোনও এক রূপের আধারে ধরা যায় না বলেই তাঁর অনেক রূপ। দেবী দুর্গার এক নাম দশভূজা। তাঁর দশ হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র। নানা অস্ত্রে সজ্জিতা দেবী অশুভকে সংহার করতে মর্ত্যে আসেন। মানব-জাতির সকল অন্ধকার দূর করতে, অশুভের বিনাশে তিনি অস্ত্র হাতে তুলে নেন। জানেন কি দেবীর নানা অস্ত্রের মাহাত্ম্য?

    দেবীকে রণসাজে সাজালেন কারা?

    ত্রিশূল: দেবাদিদেব মহাদেব ত্রিশূল দান করেছিলেন মা দুর্গাকে। ত্রিশূলের তিনটি ফলা আসলে ‘ত্রিগুণ’-এর প্রতীক। প্রত্যেক জীবের মধ্যেই বর্তমান থাকে সত্ত্ব, রজঃ এবং তমঃ—এই ত্রিগুণ। সত্ত্ব হল ধর্ম জ্ঞান, রজঃ মানে অহঙ্কার এবং তমঃ মানে অন্ধকার।

    সুদর্শন চক্র: ভগবান শ্রীবিষ্ণু তাঁর সুদর্শন চক্রটি দিয়েছিলেন দেবীকে। এই চক্র নির্দেশ করে, বিশ্ব নিয়ন্ত্রিত হয় দেবীর দ্বারা এবং ব্রহ্মাণ্ড আবর্তিত হয় সৃষ্টিকে কেন্দ্র করে।

    পদ্ম: দেবীকে পদ্ম দিয়েছিলেন ব্রহ্মাদেব। পদ্ম হল ব্রহ্মের প্রতীক বা জ্ঞানের প্রতীক। অর্ধস্ফুট পদ্ম মানব চেতনে আধ্যাত্মিক জ্ঞানের জাগরণকে নির্দেশ করে।

    তির এবং ধনুক: পবনদেব ও সূর্যদেব দেবীকে দিয়েছিলেন তির ও ধনুক। তির ও ধনুক হল প্রাণশক্তির প্রতীক। ধনুক যেখানে সম্ভাব্য ক্ষমতাকে নির্দেশ করে, তির নির্দেশ করে গতিময়তা। একইসঙ্গে তির ও ধনুক দ্বারা বোঝানো হয় যে মা দুর্গা ব্রহ্মাণ্ডের সকল শক্তির উৎস।

    অসি: গণেশদেব মা দুর্গাকে দিয়েছিলেন অসি। এই অস্ত্র জ্ঞান এবং ধীশক্তির প্রতীক। অসি দ্বারা বোঝানো হয়, জ্ঞানের তীক্ষ্ণতা এবং দীপ্তি নির্দেশ করে বুদ্ধিকে।

    বজ্র: ইন্দ্রদেব মা দুর্গাকে দেন বজ্র অস্ত্রটি। বজ্র হল আত্মশক্তির প্রতীক। সামান্য মেঘের ঘর্ষণ থেকে যেভাবে অমিত বজ্রশক্তি উৎপন্ন হয় তেমনই আত্মশক্তি তৈরি হয় কর্ম থেকেই।

    বর্শা:  এই অস্ত্র পবিত্রতা এবং ভুল ও ঠিকের প্রতীক। অগ্নিদেব বর্শা প্রদান করেছিলেন মা দুর্গাকে।

    সর্প: মহাদেব অস্ত্র হিসেবে মা দুর্গাকে প্রদান করেছিল সাপ। সর্প হল চেতনা ও শক্তির প্রতীক। দেবীর হাতে সাপ বোঝায়—চেতনার নিম্ন স্তর থেকেও সাধনার মাধ্যমে যে উচ্চতর পর্যায়ে পৌঁছনো যায়।

    কুঠার: বিশ্বকর্মা কুঠার প্রদান করেছিলেন দেবীকে। অশুভের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রতীক কুঠার। একই সঙ্গে যে কোনও পরিস্থিতিতে ভীত না হওয়ার প্রতীকও হল কুঠার।

    শঙ্খ: বরুণ দেব মহামায়াকে দিয়েছিলেন শঙ্খ। যার ধ্বনি মঙ্গলময়। শঙ্খের আওয়াজে স্বর্গ, মর্ত্য ও নরক জুড়ে থাকা সব অশুভ শক্তি ভীত ও দুর্বল হয়ে পড়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: “ভারত পাঁচ হাজার বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র” বার্তা দিলেন মোহন ভাগবত

    Mohan Bhagwat: “ভারত পাঁচ হাজার বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র” বার্তা দিলেন মোহন ভাগবত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষ পাঁচ হাজার বছর ধরে ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এই কথা বললেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সরসংঘচালক ডাঃ মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ভারত সম্পর্কে এই মন্তব্য সময়োপযোগী বার্তা। তিনি বললেন, “ভারত হল নানান বৈচিত্র্যময়তার দেশ। এখানে পরস্পর কোনও সমাজের সঙ্গে অন্য কোনও সমাজের বিরোধিতা নেই। নেই কোনও দ্বন্দ্বের অবকাশ। সকলেই নিজের নিজের যোগদান, অংশগ্রহণ এবং অর্পণ ভাবের মাধ্যেম বিশ্বকে বিশেষ বার্তা দিয়ে থাকেন। এটাই হল ভারত আত্মার মূলবস্তু।”

    কী বললেন সর সংঘ চালক (Mohan Bhagwat)?

    বৃহস্পতিবার আরএসএসের সরসংঘচালক ডাঃ মোহন রাও ভাগবত (Mohan Bhagwat) কেরলে একটি বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে, বিশেষ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারত সম্পর্কে এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “ভারত আজ থেকে শুধু নয়, প্রায় পাঁচ হাজার বছর ধরে একটি ধর্ম নিরপেক্ষ, পন্থ নিরপেক্ষ রাষ্ট্র।” রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রবীণ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রাঙা হরি লিখিত “পৃথ্বী সূক্ত-এন ওড টু মাদার আর্থ” নামক এক বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে, ভারত ভূমি এবং পৃথিবী বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সরসংঘচালক এই এই মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, “এই প্রসঙ্গে দেশের নাগরিকদের মাতৃভূমির প্রতি ভালবাসা এবং উৎসর্গ করার ভাবকে নিবেদন করতে হবে। জাতীয় ঐক্যের জন্য মাতৃভূমির ভূমিকা অপরিহার্য। আমাদের দেশে তত্ত্বজ্ঞানের পরম্পরা, সংস্কৃতি এবং বিশ্লেষণ ধর্মের মধ্যে ধর্ম নিরপেক্ষতা (পন্থ নিরপেক্ষতার) বিষয় প্রথম থেকেই ছিল। সমগ্র বিশ্ব হল একটি বৃহৎ পরিবারের মতো। এই ভাবনা একটি বৃহৎ অনুভূতির সমষ্টি। ধর্মনিরপেক্ষতাকে কোনও তত্ত্ব দিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। অনুভবে আচরণে তা স্পষ্ট হয়।”

    ভারত সম্পর্কে কী বলেন?

    সরসংঘচালক (Mohan Bhagwat) এই দিন বই প্রকাশের অনুষ্ঠানে ভারত সম্পর্কে আরও বলেন, “ভারত এক কল্যাণ ময়তার প্রতীক। দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্বের প্রত্যেক মানুষের জন্য কল্যাণ কামনাই একমাত্র আমাদের কর্ম। সামাজকে এমন ভাবে তৈরি করতে হবে, যেন জ্ঞানের আলো দিয়ে দেশের শেষতম ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো যায়। আমরাই বিশ্বের ম্যাক্সিকো থেকে সাইবেরিয়া পর্যন্ত জ্ঞানের মন্ত্র নিয়ে গিয়েছি। বসুধৈব কুটুম্বকম’- একটি এমন মন্ত্র, যা আমাদের বিশ্বকে গ্রহণ করতে শিখিয়েছে।”

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেরলের রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। তিনি বলেন, “একতাই ভারতের একটি বড় ভাবনা” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Israel Hamas War: বিমানের টিকিট কাটা রয়েছে, ইজরায়েল থেকে দেশে ফেরার দিন গুনছেন বারাকপুরের সুমন

    Israel Hamas War: বিমানের টিকিট কাটা রয়েছে, ইজরায়েল থেকে দেশে ফেরার দিন গুনছেন বারাকপুরের সুমন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের (Israel Hamas War) ঘটনায় ইজরায়েলে আটকে পড়েছেন সুমন সাধুখাঁ নামে বারাকপুরের এক গবেষক পড়ুয়া। তাঁর বাড়ি বারাকপুরের মণিরামপুর এলাকায়। ইজরায়েলে যুদ্ধের কারণে আর তিনি বাড়ি ফিরতে পারছেন না। ইজরায়েলে ছেলে আটকে থাকায় চরম উদ্বিগ্ন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ছেলে কবে বাড়ি ফিরবে সেই অপেক্ষায় দিন গুনছেন সাধুখাঁ পরিবার। ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগও করছেন তাঁরা।

    কী বললেন গবেষক পড়ুয়া? (Israel Hamas War)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্কে পোস্ট ডক্টরেট করতে ২০২১ সালে ইজরায়েলে গিয়েছেন সুমন সাধু খাঁ। তিনি ইজরায়েলের হাইফা শহরে থাকেন। গবেষণার কাজেই কয়েকদিন আগে তিনি পোল্যান্ড গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পরই শুরু হয় দেশে যুদ্ধ (Israel Hamas War) পরিস্থিতি। আর তারপর থেকেই ঘরবন্দি রয়েছেন সুমনবাবু। ইজরায়েলে যুদ্ধের খবর জানার পরেই ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন পরিবারের সদস্যরা। সুমনবাবু পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন, ইজরায়েলে দক্ষিণ প্রান্তে মূলত যুদ্ধ হচ্ছে। আমরা রয়েছি উত্তর প্রান্তে। এই এলাকায় এখনো যুদ্ধ শুরু হয়নি । তবে, শহরের খুব নিচু দিয়ে বিমান যাওয়ায় ঘরের আসবাবপত্র নড়ছে। বাইরে যুদ্ধ পরিস্থিতির মতো আবহওয়া তৈরি হচ্ছে। ফলে, ইচ্ছে থাকলেও বাইরে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছি না। দেশে ফেরার বিমানের টিকিট কাটা রয়েছে। বিমান চলাচল শুরু করলেই দেশে ফিরব।

    গবেষক পড়ুয়ার মায়ের কী বক্তব্য?

    সুমন বাবুর মা তপতী সাধুখা বলেন, যুদ্ধ (Israel Hamas War) পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পরেই ছেলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করছি। কখনও আবার ছেলের সঙ্গে কথা না হলে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করছি। ও এখন নিরাপদে রয়েছে। কিন্তু, কতদিন তা জানিনা। কারণ যেভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও বড় আকার ধারণ করছে, তাতে দক্ষিণ প্রান্ত থেকে উত্তর প্রান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হলে পরিস্থিতি আরও অবনতি হবে। তাই ছেলে কবে দেশে ফিরে আসে সেই অপেক্ষায় দিন গুনছি। ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তারাও ছেলেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। ছেলে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত আমাদের দুশ্চিন্তা কাটছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: আসানসোল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আগুরিপাড়ার ৯টি দুর্গাপুজো

    Durga Puja 2023: আসানসোল প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আগুরিপাড়ার ৯টি দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে এখানকার একটি গ্রামের বহু পুরনো দুর্গাপুজোর ইতিহাস (Durga Puja 2023)। আসানসোলেরই গ্রাম আগুরিপাড়ার দুর্গাপুজো তারই সাক্ষী হয়ে রয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের মতে, আসানসোল গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা নকড়ি রামকৃষ্ণ রায় এইসব দুর্গাপুজোর পত্তন করেন। আগুরিপাড়ায় মোট ৯টি দুর্গাপুজো হয। যার মধ্যে আটটিতে হয় মূর্তি পুজো এবং একটিতে হয় ঘট পুজো। বলা হয়, আসানসোল শহরের প্রথম জনবসতি এই আগুরিপাড়া। ২৮৯ বছর ধরে এখানে পুজো হয়ে আসছে।

    পুজোর সঙ্গে প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের যোগ (Durga Puja 2023)

    এই পুজো শুরুর সঙ্গে রয়েছে আসানসোল প্রতিষ্ঠার ইতিহাসের যোগ। কাশিপুরের রাজা সম্পত্তি, জমি এবং গাছপালা রক্ষা করতে নকড়ি রামকৃষ্ণ রায়কে পাঠিয়েছিলেন এখানে। তারপরে তাঁরা আসানসোল গ্রামে বসতি শুরু করেন। সেখানে আসান গাছের আধিক্য থাকায়, নাম হয় আসানসোল। তাঁর হাত ধরেই শুরু হয় এই দুর্গাপুজো। তিনি দুটি দুর্গা মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বড় এবং মেজ। সেখান থেকেই পরে আরও পুজোর সূচনা হয়। দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) সময় আনন্দ-উৎসবে মেতে ওঠেন আসানসোলের বাসিন্দারা। দেখার মতো হয় দোলা বিসর্জন। একসঙ্গে নটি দুর্গা মন্দিরের দোলা একত্রিত হয় নানান বাজনার মাধ্যমে এবং সিঁদুর খেলে রাম শায়রে যায়। এক সময় পুজোয় মহিষ বলি করা হত। সময় বদলেছে, এখন পাঁঠা বলি করা হয়।

    দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জন হয় দেখার মতো (Durga Puja 2023)

    এখানকারই একটি পুজোর কোষাধ্যক্ষ শ্রীকান্ত রায় বললেন, যখন বর্গি হানা হয়েছিল, তখন নকড়ি রামকৃষ্ণ রায় এদেরকে রুখে দিয়েছিল। সেই থেকে আমরা উগ্র ক্ষত্রিয় নামে পরিচিত। তিনিই জমিজমা, সম্পত্তি দিয়ে আমাদের এখানে বসবাস শুরু করান। এখানে যত ঠাকুর-দেবতা আছে, যেমন ঠাকুর বুড়ি, শিব মন্দির বা মা কালী, ন’টি দুর্গা প্রতিমা, সব উনিই তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। তখন থেকেই আমাদের পুজোর সৃষ্টি। তারপর থেকেই আমাদের দাদুরা বা পূর্ব পুরুষরা এই পুজো করে আসছেন। এখানে ৯ টি পুজো হয়। তার মধ্যে একটিতে ঘট পুজো হয়। বড় মা, সেজ মা, ছোট মা এইভাবে আমরা নাম দিয়েছি। এখানে কোনও চাঁদা তোলা হয় না। দুর্গা মায়ের যে সম্পত্তি (পুকুর ইত্যাদি) আছে, তা থেকেই এইসব পুজোর অনুষ্ঠান করা হয়। এখন আরও জাঁক জমক করে হচ্ছে। রাম শায়রে নব পত্রিকা আনতে যায় পুরো গ্রাম। কয়েক হাজার লোক হয়। দশমীর দিনও প্রতিমা বিসর্জন হয় দেখার মতো (Durga Puja 2023)। ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ জমা হন। হয় আতশবাজির প্রদর্শনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Top 100 Richest: ফোবর্স র‍্যাঙ্কে ভারতের ১০০ জন ধনীদের মধ্যে নতুন তিন ধনবানের প্রবেশ

    Top 100 Richest: ফোবর্স র‍্যাঙ্কে ভারতের ১০০ জন ধনীদের মধ্যে নতুন তিন ধনবানের প্রবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফোবর্স ভারত ২০২৩ সালের ১০০ জনের ধনীর (Top 100 Richest) তালিকা প্রকাশ করেছে। উল্লেখ্য, এর মধ্যে তিনজন নতুন ধনবান ব্যক্তির নাম প্রকাশিত হয়েছে। এই তিনটি গ্রুপ হল এশিয়ান পেন্টসের দানি পরিবার, রেনুকা জাগতিয়ানির ল্যান্ডমার্ক গ্রুপ, কেপি রামস্বামী এবং কেপিআর মিল পরিবার। উল্লেখ্য, ফোবর্স ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অশ্বিন দানির মৃত্যুর সময় মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৮ বিলিয়ন। মার্চ শেষে আর্থিক বছরের এশিয়ান পেইন্টস ৪.১ বিলিয়ন আয়ের কথা জানিয়েছে। এই আয় পূর্বের আয়ের থেকে ১৯ শতাংশ অধিক বলা হয়েছে। 

    এশিয়ান পেইন্টে্স দানে পরিবার

    মুম্বাইয়ের দানি পরিবার ২০২৩ সালে ৮ বিলিয়ন সম্পত্তির পরিমাণের হিসেবে ধনীদের মধ্যে ২২ তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। তাঁদের এই সাফল্য অত্যন্ত অভূতপূর্ব। এই দানি পরিবারের সাফল্যের মূল কাণ্ডারি ছিলেন অশ্বিন দানি (Top 100 Richest)। তিনি এই এশিয়ান পেন্টসের মহানির্দেশক ছিলেন। গত মাসের ২৮ সেপ্টেম্বরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মৃত্যুর সময় পর্যন্ত সংস্থার আয় ব্যাপক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। এশিয়ান পেন্টসের এশিয়ার সবথেকে বড় কোম্পানির মধ্যে অন্যতম। বাড়িতে গিয়ে গ্রাহকদের পরিষেবাও দিয়ে থাকেন এই পেন্টসের সংস্থা।

    রেনুকা জাগতিয়ানি ল্যান্ডমার্ক গ্রুপ

    রেনুকা জাগতিয়ানি হলেন ল্যান্ডমার্ক গ্রুপের চেয়ারম্যান। এই গ্রুপ হল দুবাই কেন্দ্রিক সংস্থা। এই বছর ভারতীয় ধনীদের (Top 100 Richest) মধ্যে বিশেষ জায়গা করে নেয় এই গ্রুপ। তাঁদের এই বছর সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪.৮ বিলিয়ন। ফোবর্স ভারতে তাঁদের র‍্যাঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৪৪ তম। এই বছরের মে মাসে কোম্পানির প্রাক্তন চিয়ারম্যান মুকেশ ওয়াধুমাল মিকি জগাতিয়ানীর মৃত্যুর পর কোম্পানির তালিকায় নাম এসেছে। উল্লেখ্য, এই বছর ফোবর্সের ৩৭ তম বার্ষিক বিশ্ব তালিকায় ৫১১ তম স্থান নিয়েছিল এই সংস্থা। এই সংস্থা গত দুই দশক ধরে কর্পোরেট বাজার তৈরিতে বিশেষ সাফল্য রাখতে পেরেছে। প্রয়োজনীয় বাজার তৈরি করতে বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁরা। এই কোম্পানিতে ৫০০০০ হাজার বেশী কর্মচারীরা কাজ করেন। জাগতিয়ান ১৯৯৩ সালে ল্যান্ডমার্ক গ্রুপে যোগদান করেন। বর্তমানের মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকায় ১১ টি দেশের ২০০ টির বেশী বিপণন কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।

    কেপি রামস্বামী এবং কেপিআর মিল পরিবার

    ২০২৩ সালের জন্য ভারতের ১০০ ধনীর (Top 100 Richest) তালিকায় ১০০ নম্বরে রয়েছে কেপি রামস্বামির পরিবার। টেক্সটাইল এবং চিনি প্রস্তুতকারক হলেন কেপিআর মিল পরিবার। কেপি রামস্বামী পরিবারের সম্পদের পরিমাণ ২.৩ বিলিয়ন। এই সংস্থা মূলত দক্ষিণ ভারতের কোয়েম্বাটোর ভিত্তিক। চিনি এবং ইথানলের সাথে বুননের পোশাক, তুলো এবং পলিয়েস্টার সুতা তৈরি করে থাকে এই সংস্থা। এছাড়াও, এটি ফাসো ব্র্যান্ডের অধীনে পুরুষদের অভ্যন্তরীণ পোশাক তৈরি করে থাকে। এই কাজ ২০১৯ সালে শুরু হয়েছিল। ২০১৩ সালে থেকে চিনি উৎপাদনে বিশেষ বৃদ্ধি লাভ করে। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কোম্পানিটি। বর্তমানে প্রতি বছর ১২৮ মিলিয়ন গার্মেন্টস তৈরি করার কাজ করে থাকে তাঁরা। উল্লেখ্য ফোবর্সের রিপোর্ট অনুসারে তামিলনাড়ুর ইরোডে কেপিয়ার মিলস বার্ষিক ৪২ মিলিয়ন পোশাক উৎপাদন করার ক্ষমতা অর্জন করেছে। এই কোম্পানিতে ৩০০০০ জন মানুষ কর্মী হিসাবে কাজ করেন। যাঁর মধ্যে ৯০ শতাংশ হলেন নারী।   

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দেওয়ার নিদান তৃণমূল নেতার

    Paschim Medinipur: বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দেওয়ার নিদান তৃণমূল নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত ঘাটালে সাংসদ দেব-এর নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল। যা নিয়ে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) ঘাটালের তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সদস্য শংকর দোলুই। যা নিয়ে জেলা জুড়ে সমস্ত মহলে সমালোচনা চলছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Paschim Medinipur)

    বুধবার বিকেলে ঘাটালে দলীয় কর্মী, সমর্থকদের নিয়ে একটি মিছিল হয়। মিছিল শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রকাশ্যে বিজেপিকে আক্রমণ করেন ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা পরিষদের সদস্য শঙ্কর দলুই। গলায় প্রকাশ্যে হুমকি। তিনি বলেন, দলের সাংসদকে নিয়ে বিজেপি যা করেছে তা লজ্জার। সাংসদের নামে এভাবে পোস্টার দেওয়ার বিরুদ্ধে হাজার হাজার তৃণমূল কর্মীরা রাস্তা নেমেছে। ২০১৪ সাল থেকে বিজেপি রাজ্যকে বঞ্চনা করেছে। আর নয়। এরপর যদি তৃণমূলকে নিয়ে কুৎসা কর, তাহলে এবার বিজেপির নেতা কর্মীদের হাত পা ভেঙে নদীর জলে ফেলে দিতে বাধ্য হব। আর এই মন্তব্যের পরেই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত, ঘাটালের একসময়ের দাপুটে এই তৃণমূল নেতা গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির কাছে পরাজিত হন। আর  তারপর থেকেই শাসকদলের রীতিমতো কোণঠাসা অবস্থায় ছিলেন। সম্প্রতি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)  জেলা পরিষদের আসনে জয় লাভের পর ফের স্বমহিমায় ফের বিজেপিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    যদিও এই বিষয়টিকে কোনওরূপ পাত্তা দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কোপাট বলেন, কেন্দ্র সবসময় উন্নয়নের পক্ষে। মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নের টাকা মেলা-খেলায় নষ্ট করছেন। আমরা চাই, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান হোক। আর বিজেপিকে এরকম হুমকি দিয়ে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তৃণমূলের সঙ্গে মানুষ নেই গত বিধানসভায় এই এলাকার মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে। লোকসভা ভোটেও আরও একবার প্রমাণ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaza-Israel conflict: ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আটকে দুই বাঙালি গবেষক, উদ্বিগ্ন পরিবার

    Gaza-Israel conflict: ইজরায়েল-হামাসের যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আটকে দুই বাঙালি গবেষক, উদ্বিগ্ন পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব জুড়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে অত্যন্ত দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইজরায়েলে, উগ্র জঙ্গী সংগঠন হামাসের আচমকা হামলায় বহু মানুষ রাতারাতি অকাতরে প্রাণ হারিয়েছেন। এই গণহত্যা ও আক্রমণের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ইজরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। হামাসের উপর, ইজরায়েলের পালটা জবাবে কার্যত পশ্চিম বিশ্ব রণক্ষেত্রে (Gaza-Israel conflict) পরিণত হয়েছে। এই যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে আটকে পড়েছেন বাংলার ধনেখালির এক গবেষক। তাঁর পরিবারের মধ্যে তীব্র উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই সঙ্গে আটকে পড়েছেন উত্তরপাড়ার এক গবেষক দম্পতি। পরিবারের বাবা মা অত্যন্ত দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। কবে বাড়ি ফিরবেন! আতঙ্কে প্রহর গুনছেন পরিবার।

    যুদ্ধের পরিস্থিতিতে আটক ধনেখালির গবেষক (Gaza-Israel conflict)

    সূত্রে জানা গেছে, সাইরেন বাজলেই শেল্টার হোমে ঢুকে পড়তে হচ্ছে। যুদ্ধের মধ্যে আটকে পড়েছেন বাঙালি গবেষক সৌরভ কুমার। তাঁর বাড়ি হুগলি জেলার ধনেখালির ভাণ্ডারহাটিতে। ইজারায়েলের তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নায়ু বিজ্ঞান অ্যালজাইমার রোগ নিয়ে গবেষণা করছিলেন তিনি। গত তিন বছর সেখানকার বাণিজ্য নগরী তেল আভিভে থাকছিলেন তিনি। এদিকে স্ত্রী অনিন্দিতা, নিয়ত যোগাযোগ রেখে চলেছেন স্বামীর সঙ্গে। সৌরভ জানিয়েছেন “বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আপাতত থাকছি। হামাসের জঙ্গিরা যখন তখন ঢুকে হামলা চালাচ্ছে (Gaza-Israel conflict)। অনেক বাঙালি এখনে আটকে রয়েছেন। ক্ষেপণাস্ত্র থেকে বোমা ফেলা হচ্ছে। কানে ভেসে আসছে বর্ষণের শব্দ। তীব্র আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি।

    অপর দিকে সৌরভের স্ত্রী বলেছেন, “পুজোর আগেই বাড়িতে আসার কথা ছিল, কিন্তু এই যুদ্ধের পরিস্থিতি নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে। অত্যন্ত উচাটনের মধ্যে রয়েছি। কবে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে পারবো, তাই নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে রয়েছে।”

    শুকনো জল খাবার খেয়ে আতঙ্কে উত্তরপড়ার দম্পতি

    ইজরায়েলের হাইফা শহরে থাকতেন উত্তর পাড়ার দম্পতি সমোদয় হাজরা এবং স্ত্রী জয়িতা দত্ত হাজরা। সমোদয় হাজরা নিজে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নায়ুতন্ত্র নিয়ে গবেষণা করতেন। তাঁর স্ত্রী আইআইটিতে গবেষণা করতেন। তাঁদের তিন বছরের একটি মেয়ে রয়েছে, নাম সিন্ধিয়া। মেয়ে-স্ত্রীকে নিয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন সমোদয়। তবে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রয়েছে। এই শহরে যুদ্ধের (Gaza-Israel conflict) তেমন আঁচ এখনও পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি। শহরের স্কুল-কলেজ বন্ধ হয়ে গেছে। যুদ্ধের পরিস্থিতির সম্পর্কে একটি ভিডিও বার্তা দিয়ে বলেন, “আগামী ৭২ ঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় খবার মজুত করে রাখা হয়েছে। ধ্বনি বাজলেই বাঙ্কারের মধ্যে ঢুকে পড়তে হচ্ছে। এই বছর কালী পুজোতে দেশে ফেরার কথা ছিল, সেই অনুযায়ী টিকিটও কাটা হয়েছিল। কিন্তু আচমকা যুদ্ধের (Gaza-Israel conflict) পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়ে পড়েছে।”

    যদিও সমোদয়ের বাবা উদয়শঙ্কর হাজরা গত দুই সপ্তাহ আগেই ইজরায়েল থেকে ফিরেছেন। তিনি বলেন, “ওদের বলা হয়েছে জামা কাপড় শুকনো খবার নিয়ে প্রস্তুত থাকতে। এলাকা নিরাপদ হলেও পরিস্থিতি যে কোনও সময় বদলে যেতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চলে আসার জন্য কথা বলেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: রাত জেগে ঠাকুর দেখা, চোখে নেই ঘুম! শরীর ঠিক রাখতে কী করবেন?

    Durga Puja 2023: রাত জেগে ঠাকুর দেখা, চোখে নেই ঘুম! শরীর ঠিক রাখতে কী করবেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব চলছে! পাড়ার গলি থেকে রাজপথ, আলোয় সেজে উঠেছে চারপাশ! রাত বাড়লেই যেমন আলোর রোশনাই বাড়ছে, তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ভিড়! ছোট থেকে বড়, সব বয়সীরাই ভিড় ঠেলে এক প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেল যাচ্ছেন (Durga Puja 2023)। আর রাত থেকে ভোর হচ্ছে! রাত জেগে দুর্গা ঠাকুর দেখা এখন পুজোর আরেক অঙ্গ হয়ে উঠেছে। কিন্তু সারা রাত জেগে থাকা, আসলে কতখানি বিপজ্জনক? শরীরে কী প্রভাব পড়ছে? চিকিৎসকরা কিন্তু জানাচ্ছেন, উদযাপনের জোয়ারে সতর্কতা জরুরি। তা না হলে পুজোর চারদিনের এই লাগামছাড়া আনন্দের মাশুল গুনতে হবে বছরভর!

    কোন ধরনের সমস্যার ইঙ্গিত করছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাত জেগে থাকা একেবারেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস নয়। শরীরের প্রয়োজন নির্দিষ্ট সময়ে বিশ্রাম। যেমন শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মমাফিক খাবার, পরিমাণমতো জল জরুরি, তেমনি সময় মতো ঘুম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অনেকেই পুজোর (Durga Puja 2023) সময় রাতভর ঠাকুর দেখেন। ফলে, শরীর প্রয়োজনীয় বিশ্রাম পায় না। এর ফলে একাধিক সমস্যা তৈরির আশঙ্কা থাকে। শরীরে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্নায়ুর কার্যশক্তি কমে যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই রাত জেগে ঠাকুর দেখলে একদিকে যেমন ক্লান্তি গ্রাস করে, তেমনি কাজ করার শক্তি কমে। পাশপাশি, মস্তিষ্কের সক্রিয়তাও কমে। ঠিকমতো বিশ্রাম না হলে মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকতে পারে না। কারণ, রাতে ঘুমের সময়েই আমাদের মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। যা মস্তিষ্কের সক্রিয়তা বজায় রাখতে সাহায্য করে। মানুষের স্মৃতিশক্তিকেও বাড়িয়ে দেয়। রাতে অন্তত সাত-আট ঘণ্টা না ঘুমোলে মস্তিষ্কের পর্যাপ্ত বিশ্রাম হয় না।
    রাত জেগে ঘোরার (Durga Puja 2023) জেরে ত্বকের একাধিক সমস্যা হতে পারে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমোলে ত্বকের বিশ্রাম হয়। যা অত্যন্ত জরুরি। চোখের নীচের কালো দাগ কমানো, ত্বক খসখসে না হতে দেওয়া কিংবা চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যা এড়াতে নিয়ম করে ঘুমোনো জরুরি। তাই রাত জেগে ঠাকুর দেখা ত্বকের সমস্যা বাড়াতে পারে। 
    সারা রাত জেগে থাকলে সবচেয়ে বেশি চাপ পড়ে কিডনি আর লিভারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজোর সময় রাত জেগে শুধু প্যান্ডেল থেকে আরেক প্যান্ডেলে ঘোরা হয় না। অধিকাংশের চলে রাতভর ভুরিভোজ। অনেকেই গভীর রাতে অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া নানান খাবার খান। ফলে, হজমের সমস্যা দেখা দেয়। একদিকে পর্যাপ্ত ঘুমের ঘাটতি, আরেকদিকে অতিরিক্ত তেলমশলা দেওয়া খাবার লিভার এবং অন্ত্রে চাপ তৈরি করে। ফলে, নানান জটিল রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি বাড়ে। পাশপাশি সময় মতো না ঘুমোলে অন্ত্রের কার্য শক্তি কমে। ফলে, পেটের একাধিক সমস্যার ঝুঁকি বাড়ে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক মহল? (Durga Puja 2023) 

    পুজোর চার দিন একটানা কখনই রাত জাগার পরিকল্পনা করা উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসক মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এতে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। নানান হরমোন ভারসাম্য হারবে। ফলে, শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। একদিনের বেশি পুরো রাত জেগে ঠাকুর দেখার (Durga Puja 2023) পরিকল্পনা বছরভর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরির কারণ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শরীর যাতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়, সে দিকে নজর রেখে উৎসবের পরিকল্পনা করতে হবে। রাত জেগে ঠাকুর দেখলে খাবারে বাড়তি নজর দিতে হবে। রাত দশটার পরে একেবারেই বাইরের খাবার খাওয়া চলবে না। হালকা খাবার খেয়ে একদিন রাত জাগা যেতে পারে বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন। পাশপাশি জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। রাত জাগলে হজমের সমস্যা এড়াতে ও ত্বক সুস্থ রাখতে অতিরিক্ত পরিমাণ জল খেতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Health: মনের অসুখ জানাতে হাতের কাছেই রয়েছে ‘টেলি-মানস’! সক্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    Mental Health: মনের অসুখ জানাতে হাতের কাছেই রয়েছে ‘টেলি-মানস’! সক্রিয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রোগ নিরাময় অনেক দূরের পথ! রোগ আদৌ আছে কি! সে খবর জানার পথ সবচেয়ে কঠিন। কিন্তু এই পথ পেরতে না পারলে ভবিষ্যতে আরও অন্ধকার সময় আসতে পারে, এমনই উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ভারতের প্রথম সারির বিশেষজ্ঞরা। তাই এবার প্রত্যেক ভারতীয়ের মনের হদিশ (Mental Health) জানতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    কী বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? 

    সম্প্রতি মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) সচেতনতা দিবস উদযাপন হল। সেই উপলক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ভারতীয়রা যাতে যে কোনও মানসিক সমস্যা সম্পর্কে সরাসরি জানাতে পারেন, বিশেষজ্ঞদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ পেতে পারেন, তার জন্য সহজ এক পদ্ধতি করা হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে টেলি মানস। যার সাহায্যে ভারতীয়রা তাঁদের মানসিক রোগ সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে পারবেন।

    টেলি-মানসের কাজ কী? (Mental Health)

    স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্সেস (নিমহ্যান্স)-এর তত্ত্বাবধানে দেশ জুড়ে ২৩টি কেন্দ্র চালু হয়েছে। যে কোনও মানসিক সমস্যা নিয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে এই সব কেন্দ্রে যোগাযোগ করা যাবে। সেখানে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ পাওয়া যাবে। ফলে, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সামাজিক ছুৎমার্গ কাটবে। পাশপাশি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা হবে। টেলি মানস (Tele Manas) এক ধরনের যোগাযোগ মাধ্যম। ভারতের যে কোনও প্রান্ত থেকে টেলি মানসে ফোন করে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা নিশ্চিত করা যাবে।

    কেন জরুরি হয়ে উঠছে এই ধরনের পরিষেবা? 

    দেশ জুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) পরিষেবা সুনিশ্চিত করা জরুরি বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, ভারতে মানসিক রোগ ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ ভারতীয়র মানসিক রোগের চিকিৎসা হয় না। কোথায় কীভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলতে হবে, কোথায় সুচিকিৎসা পাওয়া যাবে, এমনকি কার চিকিৎসার প্রয়োজন, সে সম্পর্কেও অধিকাংশ ভারতীয়র ধারণা নেই। এর ফলে, ভারতীয়দের মধ্যে মানসিক রোগ নিয়ে যেমন নানান সামাজিক ছুৎমার্গ তৈরি হয়, তেমনি রোগ নির্ণয় আর চিকিৎসা হয় না। এর ফলে, মানসিক রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আর তার জেরে সিজোফ্রেনিয়া, আত্মহত্যা, অবসাদের মতো একাধিক রোগ বাড়ছে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, মানসিক রোগ নির্ণয় সবচেয়ে জরুরি। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে হলে, প্রথমে রোগ নির্ণয় করতে হবে। আর টেলি মানসের মতো প্রযুক্তি থাকলে, সেই কাজ সহজ হবে। পাশপাশি রোগ নির্ণয় করে থামলেই চলবে না। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করানো জরুরি। অবসাদ, চাপের মতো মানসিক রোগ চিকিৎসার মাধ্যমে কমে। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু রোগ লুকিয়ে রাখলে, চিকিৎসা না হলে, পরিণতি হয় ভয়ানক। তাই যেভাবে টেলি মেডিসিনের মাধ্যমে রোগীকে পরিষেবা দেওয়ার কাজ টেলি-মানস করছে, তা এ দেশে মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবাকে উন্নত করবে বলেই আশা করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share