Blog

  • Vande Bharat: হাওড়ায় বন্দে ভারতে উঠতে গিয়ে বিপত্তি! মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন যাত্রী

    Vande Bharat: হাওড়ায় বন্দে ভারতে উঠতে গিয়ে বিপত্তি! মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরলেন যাত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার সাত সকালে হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত (Vande Bharat) এক্সপ্রেসে যে ঘটনা ঘটল দেখে কার্যত হতবাক রেল কর্মী থেকে যাত্রী সকলেই। এভাবে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার জন্য স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী বিনোদকুমার চৌধুরীকে কুর্ণিশ জানিয়েছেন সকলে। আর বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সেই যাত্রী এখনও বেঁচে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা ভাবলেই আঁতকে উঠছেন। আপাতত তাঁকে হাওড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেলের আধিকারিকরা বলছেন, ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ওঠার ব্যাপারে রেলের তরফে বারবার যাত্রীদের সতর্ক করা হচ্ছে, তা সত্ত্বেও একশ্রেনির যাত্রীদের হুঁশ ফিরছে না।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার সকালে হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্সের ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাড়িয়েছিল হাওড়া-পুরী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে ছাড়া কথা ছিল ট্রেনটির। সেই মতোই ট্রেনটি পুরীর উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েছিল। ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার সময়ই দাঁড়িয়েছিল। ট্রেনটি নির্দিষ্ট সময়ে প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার সময়ই বিপত্তি ঘটে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এক যাত্রী। চলন্ত ট্রেনে ওঠার সময় ওই যাত্রীর পা পিছলে যায়। পড়ে গিয়ে তাঁর একটি পা ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝখানে আটকে যায়। একটি ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ট্রেন এবং প্ল্যাটফর্মের মাঝে পা আটকে যায় তাঁর। ওই যাত্রী মরিয়া হয়ে পা বার করে আনার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে ঘষা খেয়ে কয়েক মিটার এগিয়ে যান তিনি। সেই দৃশ্য দেখতে পেয়ে ওই যাত্রীকে বাঁচাতে ছুটে আসেন স্টেশনে কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মী বিনোদকুমার চৌধুরী। ট্রেনের ভিতর থেকেও এক জন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। টেনে তোলেন ওই যাত্রীকে। অল্পের জন্য রক্ষা পান ওই যাত্রী।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা কী বললেন?

    উচ্চগতির বন্দে ভারত ট্রেন (Vande Bharat) তখন সবেমাত্র স্টেশন ছেড়েছে, আর লাগেজ কাঁধে সেই চলন্ত ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করছিলেন ওই যাত্রী। চোখের সামনে দেখলাম, ওই যাত্রী পা হড়কে প্রায় ট্রেনের ভিতর দিয়ে ঢুকে যাচ্ছেন। কর্তব্যরত আরপিএফ অফিসার ছুটে গিয়ে তাঁকে রক্ষা করেছেন। না হলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah Meets Ananda Bose: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    Amit Shah Meets Ananda Bose: রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ! শাহি দরবারে রাজ্যপাল বোস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Amit Shah Meets Ananda Bose)। মঙ্গলবার সকাল ১১টা নাগাদ শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর অফিসে যান তিনি। সেখানেই প্রায় এক ঘণ্টা ছিলেন রাজ্যপাল। বেলা ১২টা নাগাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি বোস। সোমবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেই দিল্লি রওনা দেন রাজ্যপাল। 

    রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ

    সূত্রের খবর, মূলত একশো দিনের কাজ নিয়ে অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের নির্যাস তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে জানিয়েছেন বলে খবর। পাশাপাশি রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকার পরও তৃণমূলের ধরনা নিয়েও শাহি বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল (Amit Shah Meets Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, অভিষেকর ধরনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট জমা করেছেন রাজ্যপাল। বৈঠকে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক নালিশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে করেছেন রাজ্যপাল বোস। 

    রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার অভাব

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা জনিত বিষয় নিয়েও রাজ্যপাল-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর (Amit Shah Meets Ananda Bose) সাক্ষাৎ হতেই পারে। কারণ, সব রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয় দেখার দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর। আর রাষ্ট্রপতি রাজ্যপালকে নিয়োগ করলেও, তাঁকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই রাজ্যে কাজকর্ম করতে হয়। এ ক্ষেত্রে লোকসভা ভোটের আগে পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলার বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হতে পারে। রাজভবন সূত্রে খবর ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা সংক্রান্ত ইস্যু নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। তবে শাহ এর দরবারে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ইস্যু নিয়েই একাধিক নালিশ রাজ্যপাল  জানিয়েছেন বলেই রাজভবন সূত্রে দাবি। যার মধ্যে নির্বাচন চলাকালীন রাজ্যে একাধিক খুন, হিংসার ঘটনা। রাজ্যপালের মুভমেন্ট কে ট্র্যাক করা, মহিলাদের উপর নির্যাতন, ১৪৪ ধারা কার্যকরী করার ক্ষেত্রে অবহেলা বিষয় নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

    আরও পড়ুন: নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই! কাশ্মীরি পণ্ডিত হত্যায় জড়িত ২ লস্কর জঙ্গি খতম

    পাশাপাশি বন্যা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলায় সমন্বয়ের অভাবকেও এদিন শাহের সামনে তুলে ধরেন রাজ্যপাল বোস (Amit Shah Meets Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে বেআইনি অস্ত্র কারখানা এবং আন্তঃরাজ্য সীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রসঙ্গও এদিন উল্লেখ করেছেন রাজ্যপাল। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর এখনো পর্যন্ত রাজভবনের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। রাজভবন সূত্রে খবর, দুর্গাপূজোর আগেই যাতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় সেই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দেবীপক্ষের আগেই ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল

    Durga Puja 2023: দেবীপক্ষের আগেই ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের দুর্গাপুজো শুরু হয়ে গেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবীপক্ষের আগেই ঝাড়গ্রাম শহরের পুরাতন ঝাড়গ্রামের মল্লদেব রাজ পরিবারের দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) শুরু হল। আশ্বিন মাসের জীতাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে অর্থাৎ শনিবার থেকেই শুরু হল দুর্গাপুজো। চলবে বিজয়া দশমী পর্যন্ত। প্রায় চারশো বছর ধরে চলে আসছে এই প্রথা। তবে এখানে দেবী হল পটেশ্বরী। এদিনই রাজ পরিবারের কূলদেবতার মন্দির থেকে প্রাচীন একটি খড়্গ নিয়ে এসে পুজো শুরু হয়। এই অস্ত্রপুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়।

    চারশো বছরের পুরনো হলেও ইতিহাস অজানা

    রাজ পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজবাড়ির সেই দস্তাবেজে পুজো শুরুর আনুমানিক সনের উল্লেখ ছিল ১০১৬ বঙ্গাব্দে। সেই অনুযায়ী এবার পুজোর ৪১৬ তম বর্ষ। ঝাড়গ্রাম রাজ পরিবারের এই পুজো অনুমানিক চারশো বছরের পুরনো হলেও পুজো শুরুর ইতিহাস অজানা। এখানে রয়েছে রাজবংশের কয়েক শতাব্দীর প্রাচীন কুলদেবী সাবিত্রী দেবীর মন্দির। মন্দিরের ভিতরে রয়েছে পৃথক চণ্ডীমণ্ডপ। সেখানেই পটে আঁকা ছবিতে দুর্গাপুজো হয়। কুলদেবী সাবিত্রীর নিত্যপুজো হয় দুর্গার ধ্যানমন্ত্রে। সেই জন্য কুলদেবী থাকায় আলাদা প্রাচীন পটটি ছিল শালপাতার ঝালরের আঁকা। বর্তমানে চণ্ডীমণ্ডপের বেদীর সামনে দেওয়ালে চিত্রিত দেবীর পটে নবকলেবর করা হয়। আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের জীতাষ্টমী তিথিতে সাবিত্রী মন্দিরের প্রাঙ্গণে বেলগাছের তলায় মঙ্গলঘট স্থাপন করা হয়। একে অধিবাস বলে। জীতাষ্টমীর পরের দিন কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথি থেকে পুজো (Durga Puja 2023) শুরু হয়। নবমী তিথি থেকেই আবার অস্ত্রপুজো শুরু হয়।

    দেবীপক্ষের আগে কেন পুজো শুরু?

    তবে দেবীপক্ষের আগে কেন পুজো শুরু হল, তা নিয়ে নানা জনশ্রুতি রয়েছে। জনশ্রুতি, কয়েকশো বছর আগে গড় ঝাড়গ্রামের জংলি মাল রাজাকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে হারিয়ে রাজ্যপাট দখল করেন রাজপুতানার সর্বেশ্বর। তাঁর রাজ্যাভিষেকের দিনটিকে স্মরণ করে রাখার জন্য ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে ইন্দ্রাভিষেক অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। জনশ্রতি, সেই উৎসবের রেশ ধরেই আশ্বিন মাসে পরিবারের সমৃদ্ধি ও প্রজাদের মঙ্গলকামনায় রাজবাড়িতে জীমূতবাহন অর্থাৎ ইন্দ্রের পুজো হয়। এর পাশাপাশি, শক্তিলাভের কামনায় জীতাষ্টমীর পর দিন কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে অস্ত্রপুজোর মাধ্যমে দেবী দুর্গার পুজো শুরু হয়। আবার মহাষষ্ঠীর দিন রাতে বেলগাছের তলায় মঙ্গলঘট স্থাপন করা হয়। তারপর সপ্তমীর দিন সকালে শোভাযাত্রা সহকারে খড়্গ, রাজলক্ষ্মী, শালগ্রাম শিলা ও ঘট মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় (Durga Puja 2023)।

    প্রাচীন খড়্গ নিয়ে এসে পুজো শুরু

    রাজ পরিবারের উত্তরসূরী দুর্গেশ মল্লদেব ও জয়দীপ মল্লদেব বলেন, কৃষ্ণপক্ষের নবমী তিথিতে রাজ পরিবারের প্রাচীন খড়্গ নিয়ে এসে পুজো (Durga Puja 2023) শুরু হয়। রাজ পরিবারের এই পুজোটি ঝাড়গ্রামে সবচেয়ে প্রাচীন। রাজ পরিবারের নিয়ম অনুযায়ী, বিজয়া দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন দেবীর পুজো ও চণ্ডীপাঠ-হোম চলবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jaynagar Snake Recover: বাড়ির গর্ত থেকে উদ্ধার ২২টি কেউটে সাপ! তীব্র উত্তেজনা জয়নগরে

    Jaynagar Snake Recover: বাড়ির গর্ত থেকে উদ্ধার ২২টি কেউটে সাপ! তীব্র উত্তেজনা জয়নগরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেবারে গর্তের মধ্যে কিলবিল করছে ২২ টি কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover)। দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের বকুলতলা থানায় এলাকায় মিনতি রুইদাসকে একটি সাপ ছোবল দেয়। এরপর আহত এই মহিলাকে জয়নগর ১ নম্বর ব্লকের পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আপাতত সেখানেই তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে সাপের কামড়ের ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এলাকার মানুষ, সাপকে না মেরে সর্প উদ্ধারকারীকে খবর দেয় এবং এরপর একসঙ্গে ২২ টি সাপ উদ্ধার হয়। উদ্ধারকৃত সাপগুলি রীতিমতো কিলবিল করছিল।  

    সাপ দেখলেই একেবারে আঁতকে ওঠার উপক্রম হয়। গা ছমছম করে ওঠে। তবে সব সাপের বিষ যে থাকে এমনটাও নয়। সাপ দেখলেই মানুষের মধ্যে একপ্রকার আতঙ্ক তৈরি হয়ে যায়। একই ভাবে সাপও মানুষের উপস্থিতিতে ভয়ার্ত হয়ে যায়।

    উদ্ধার ২২ টি কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover)

    বকুলতলা থানা এলাকায় মিনতি রুইদাসকে কেউটে সাপ (Jaynagar Snake Recover) কামড়ালে, এলাকার মানুষ সর্পপ্রেমী সমরেন্দ্র চক্রবর্তীকে খবর দেয়। কারণ বাড়ির লোকজনের সন্দেহ ছিল আরও সাপ রয়েছে। ঘটনায় বাড়ির লোকজন একেবারে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল। এরপর সমরেন্দ্রবাবু সাপগুলিকে মারার বদলে উদ্ধার করেন। বাড়ির সীমানায় এক গর্ত থেকে ২২টি কেউটে সাপ উদ্ধার করেন তিনি। রীতিমতন নিজের জীবনকে সঙ্কটের মধ্যে ফেলে, এই সাপগুলিকে উদ্ধার করেন তিনি। সাপকে উদ্ধার করে আপাতত একটি জারের মধ্যে প্রাথমিকভাবে রাখা হয়। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগণার বনদফতরে খবর দিয়ে সাপগুলিকে হস্তান্তর করা হয়। পরে বনদফতরের কর্মীরা সাপগুলিকে নিয়ে সংরক্ষিত উদ্যানে ছেড়ে দেয়।

    সর্পপ্রেমীর বক্তব্য

    প্রকৃতির বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষায় সাপের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কেউটে সাপ ধরে সর্পপ্রেমী সমরেন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, “আমি সাপগুলিকে মারতে নিষেধ করি। সাপ প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই সাপকে বাঁচিয়ে রাখা পরিবেশের জন্য একান্ত প্রয়োজন। এরপর সাপগুলিকে (Jaynagar Snake Recover) উদ্ধার করে বনদফতর বিভাগ নিয়ে যায়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: স্কুল গেটের বাইরে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা, কেন জানেন?

    Murshidabad: স্কুল গেটের বাইরে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পায়ের তলায় জল। স্কুল গেটের সামনে দাঁড়িয়ে হাতে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভে পড়ুয়ারা। এমনই চিত্র দেখা গেল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কা ব্লকের নয়নশুক পঞ্চায়েতের দীপচন্দ্রপুর হাজারপুর জুনিয়র হাইস্কুলে। রাজ্যে ‘কন্যা’দের পড়াশোনার অগ্রগতির জন্য কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করেছে রাজ্য সরকার। সেই পড়ুয়াদের স্কুলের বেহাল রাস্তা ও নিকাশি সংস্কারের দাবিতে অভিনব ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ এলাকার মানুষ কখনও দেখেননি। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেয় পড়ুয়ারা।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    অতিবৃষ্টির পর থেকে রাজ্যের একাধিক স্কুলের ভেতর জলা জমার চিত্র উঠে এসেছে। অনেক জায়গায় মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলের বেহাল দশার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকরাও। এই স্কুলের ভিতরে হাঁটু সমান জমা জল। সেই জমা জল দিয়েই স্কুলে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছে ছাত্র- ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা সকলকেই।  প্রশাসনকে বলেও কোনও কাজ হয়নি। আর ঠিক তারই প্রতিবাদে হাতে ‘বন্যাশ্রী’ পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ পড়ুয়াদের। সঙ্গে জমা জলে ছোট নৌকা চালিয়ে মাছ ধরে অভিনব কায়দায় বিক্ষোভ দেখাল স্কুল পড়ুয়া ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

    স্থানীয় অভিভাবকদের কী বক্তব্য?

    ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের অভিযোগ, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির ফলে স্কুলের ভিতরে ও বাইরে ব্যাপক জল জমে রয়েছে। ফলে ওই জল পেরিয়ে স্কুলের পড়ুয়াদের স্কুলে আসতে হচ্ছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ওই জল পেরিয়ে বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছে। বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। তাই, রাস্তা নেমে আন্দোলন করা ছাড়া উপায় ছিল না। আর পড়ুয়াদের সমস্যা বলে তাঁরা নিজেরা পোস্টার নিয়ে আন্দোলনে সামিল হয়।

     বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক- শিক্ষিকাদের কী বলেন?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) স্কুলের এরকম বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ শিক্ষক- শিক্ষিকারাও। তাঁদের বক্তব্য, এরকম জল জমলে তো আমাদের আসা যাওয়ার অসুবিধা হচ্ছে। এমনিতেই জেলায় ডেঙ্গি বাড়ছে। স্কুলের ভিতরে এবং রাস্তায় জমা জল থাকলে ডেঙ্গি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি অবিলম্বে দেখা দরকার। কিন্তু, সব জায়গায় জানিয়েও আমরা লাভ পায়নি। তাই, এইভাবে প্রতিবাদ জানাতে বাধ্য হয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরুণময় দাস বলেন, বৃষ্টির কারণেই এই জল জমার সমস্যা তৈরি হয়েছে। এখানে নিকাশি ব্যবস্থার কিছু সমস্যা আছে। সেই কারণেই জল জমে থাকছে। নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করলে অনেকটা সমস্যা মিটবে। এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: চাঁদপাল ঘাটের সঙ্গে বাঁকুড়ার সোমসারের মেলবন্ধন ঘটায় পালবাড়ির দুর্গাপুজো

    Durga Puja 2023: চাঁদপাল ঘাটের সঙ্গে বাঁকুড়ার সোমসারের মেলবন্ধন ঘটায় পালবাড়ির দুর্গাপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর (Durga Puja 2023) কটা দিন জমিদার বাড়ি সেজে উঠত আলোর রোশনাইয়ে। নহবতের মূর্ছনা আর ঢাকের বাদ্যিতে মুখর হত ঠাকুর দালান। থাকত যাত্রাপালা, কবিগান, রামলীলা, পুতুল নাচের আসর। এখন সে সব অতীত। জমিদারির রমরমা আর নেই। নেই আগের মতো পুজোর জৌলুস। তবে পরম্পরা মেনে আজও পাল পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম ফি বছর ব্রতী হন দেবী দুর্গার আরাধনায়। গত কয়েক বছর কোভিডের জেরে এই পুজোর ছন্দপতন ঘটেছিল। গত বছর থেকে পুরনো ছন্দে ফেরা শুরু। এবার স্বাভাবিক ভাবেই পুজোর আয়োজনে খানিক জৌলুস বাড়াতে চাইছেন পাল পরিবারের সদস্যরা।

    ইট, কাঠ, পাথরে জমিদারির সাক্ষ্য

    জেলার অন্যতম প্রাচীন এই জমিদার বাড়ির পুজোর (Durga Puja 2023) সঙ্গে রয়েছে কলকাতার চাঁদপাল ঘাটের যোগসূত্র। কথিত আছে, যার নামে চাঁদপাল ঘাট, তাঁর পোশাকি নাম চন্দ্রমোহন পাল। তিনিই সোমসারের এই দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন৷ এই চন্দ্রমোহন পাল সেই সময় কলকাতায় বিলিতি কাপড়ের ব্যবসা করে ফুলে-ফেঁপে উঠেছিলেন। তিনিই কাপড়ের ব্যবসার জন্য গঙ্গায় গড়ে তুলেছিলেন ফেরি ঘাট, যা বর্তমানে চাঁদপাল ঘাট নামে পরিচিত। চন্দ্রমোহনবাবুই আজ থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগে বর্ধমান রাজাদের কাছ থেকে ইন্দাসের ৬ টি মৌজা কিনে নিয়ে জমিদারির পত্তন করেন। সোমসারে গড়ে তোলেন সুবিশাল জমিদার বাড়ি। সেই বাড়ি আজও ইতিহাস বহন করে চলেছে। তবে সেই বাড়ি জুড়ে বয়সের ছাপ স্পষ্ট। ২৫০ বছরের পুরনো এই বাড়ির প্রতিটি ইট, কাঠ, পাথর জমিদারির সাক্ষ্য বয়ে চলেছে আজও। চন্দ্রমোহন পাল সেই সময় সোমসারের প্রজাদের জন্য দামোদর ঘাটে কলকাতা থেকে পুজো উপলক্ষ্যে বিলিতি কাপড় আনতেন এবং বিলি করতেন গ্রাম জুড়ে।

    অষ্টমী ও নবমীতে মাসকলাই বলি (Durga Puja 2023)

    চন্দ্রমোহনের আমল থেকে এখানে হিন্দু, মুসলিম সকলেই সমান ভাবে অংশ নেন পুজোর উৎসবে। ফলে পুজোর (Durga Puja 2023) চার দিন মিলন মেলায় পরিণত হয় সোমসারের পালবাড়ির ঠাকুর দালান। পালবাড়ির সকল সদস্য, আত্মীয়স্বজন সবাই পুজোর কটা দিন সোমসারে আসেন। এই পরম্পরা সমানে চলে আসছে। সোমসার পালবাড়ির অন্যতম সদস্য উদয়কুমার পাল তাঁর ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে বলেন, ছোটবেলায় এই পুজোর যে জৌলুস ও জাঁকজমক ছিল, তা দিন দিন ফিকে হয়ে আসছে। তবে সেই পুজোর গোড়পত্তনের দিন থেকে একই নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে পুজো চলে আসছে। সেই রীতি মেনে এখনও অষ্টমী ও নবমীতে মাসকলাই বলি দেওয়া হয়। এখন পঞ্জিকা দেখে বলিদান হলেও আগে বর্ধমানের রাজবাড়ির সর্বমঙ্গলা দেবীর মন্দিরের তোপধ্বনি শুনে সন্ধিক্ষণ নির্ধারণ করা হত। এখন অবশ্য সেই প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে। তবে, পাল পরিবারের দেশে-বিদেশে যেখানে যাঁরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন, তাঁরা এই দুর্গাপুজোর সময় এসে মিলিত হন। ফলে কার্যত এই পুজো চাঁদপাল ঘাটের সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটায় সোমসারের। জমিদারি নেই, নেই এই পুজোর আগের মতো আড়ম্বর। তবে জমিদারির ইতিহাসকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিবার এখানে পুজোর বাদ্যি বেজে ওঠে। এবারও পাল বাড়িতে মা আসছেন। চলছে সাজ সাজ রব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পাঁচথুপির সিংহবাহিনী বাড়ির দুর্গাপুজোয় নবমীতে হয় মহিষ বলি

    Durga Puja 2023: পাঁচথুপির সিংহবাহিনী বাড়ির দুর্গাপুজোয় নবমীতে হয় মহিষ বলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে একটি ছোট্ট গ্রাম, নাম তার পাঁচথুপি। এই গ্রামের অন্যতম প্রধান উৎসব হল সিংহবাহিনী বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। শোনা যায়, এই পুজো সাতশো বছরের পুরনো। এই গ্রামে ২২ টি দুর্গাপুজো হত, তার মধ্যে ষোলটি পারিবারিক। এদের বংশধরদের কাছ থেকে জানা যায়, ১৩৪৯ বঙ্গাব্দে এই মন্দিরটির নির্মাণ করেন হরিপদ ঘোষ হাজরা। তারপর জমিদার পরিবারের ষষ্ঠ পুরুষ দেবী দাস ঘোষ হাজরা আনুমানিক ১৭ শতকে হুগলি জেলার পাণ্ডুয়া থেকে অষ্টধাতু নির্মিত দেবী সিংহ বাহিনীকে প্রতিষ্ঠা করেন।

    ১২৫ ফুট উঁচু সুদৃশ্য মন্দির

    যে মন্দিরে এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, সেটি ১২৫ ফুট উঁচু সুদৃশ্য এবং ত্রিতল বিশিষ্ট। মন্দিরের প্রথম দুটি তল অষ্টকোণ বিশিষ্ট, দোতলায় হচ্ছে মূল মন্দিরটি। আর তৃতীয় তলটি অষ্টকোণ বিশিষ্ট সরু হয়ে চূড়ার সৃষ্টি করেছে। সেই চূড়ার উপরে আমলোক এবং পতাকা দণ্ড। অষ্টধাতু নির্মিত দেবী এই পরিবারের গৃহদেবতা, যেটি প্রতিদিন পুজো (Durga Puja 2023) করা হয়। বাড়ির বর্তমান সদস্যরা জানিয়েছেন, অষ্টধাতুর মূর্তির সঙ্গে দুর্গোৎসবে মাটির প্রতিমা দেবী দুর্গা পূজিতা হন। এখানে বোধনের আগের দিন জীতাষ্টমী থেকে পুজোর সূচনা হয় এবং দশমীর দিনে প্রতিমা নিরঞ্জন।

    চতুর্দশীর দিন মায়ের পুজো শেষ (Durga Puja 2023)

    অতীতে জমিদারি প্রথা অনুযায়ী দুর্গাপুজো অনুষ্ঠিত হলেও আজ তা সবই অতীত। সপ্তমীর দিন মধ্যরাত্রিতে পুজো হয়। বিশেষত্ব ঢাক-কাঁসর না বাজিয়ে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মধ্য দিয়ে এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। যদিও পুজোপাঠ সার্ত্যক মতে হয়, তবুও প্রতিদিন পায়েস ভোগ দেওয়া হয়। এছাড়া পুজোর চার দিন দেবীর পুজোপাঠের জন্য সমস্ত নতুন পিতলের বাসন ব্যবহার করা হয়। এই বাসন প্রতিদিনই নতুন দেওয়া হয় বলে জানান বাড়ির সদস্যরা। এই সিংহবাহিনীর পুজোয় (Durga Puja 2023) অষ্টমী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিন দুটি করে ছাগ বলি হয়, নবমীর দিন এখানে মহিষ বলির প্রচলন আছে। দশমী পুজোর বিসর্জনের পর বাড়িতে এসে অপরাজিত পুজো অনুষ্ঠিত হয়। চতুর্দশীর দিন মায়ের পুজো শেষ হয়। ওইদিনও ছাগ বলি হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে পরিবারের সকল সদস্য, এমনকি যাঁরা বাইরে থাকে, সবাই একত্রে মিলিত হন। শুধু তাই নয়, এই পুজোকে কেন্দ্র করে পারিপার্শ্বিক গ্রামের লোকজনের ভিড় থাকে সব সময়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আমফানের পর চার বছর ধরে ক্লাস চলছে গাছতলায়! ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের

    South 24 Parganas: আমফানের পর চার বছর ধরে ক্লাস চলছে গাছতলায়! ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে শাসক দলের নেতারা বারবার বলেন ‘উন্নয়ন রাস্তায়’। কিন্তু উন্নয়ন কতটা কঙ্কাল সার শূন্য, তার বাস্তব চিত্র চোখে পড়ল দক্ষিণ ২৪ পরগণার (South 24 Parganas) নামখানার এক প্রত্যন্ত স্কুলে। প্রায় চার বছর ধরে কখনও গাছ তলায়, কখনও ভাঙা স্কুলের বাইরের দালানে, আবার কখনও রান্না ঘরের বারান্দায় চলছে পড়াশুনা। ছাত্রদের কোনও ক্লাসের ঘর নেই!। প্রশাসনের কাছে বার বার জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। প্রশাসন নির্বিকার, এলাকায় দেখা মেলে না নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের।

    আমফানের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণের ত্রিপল, চাল, ঘরের টাকা, প্রয়োজনীয় ঔষধের টাকা চুরির অভিযোগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। এলাকার উন্নয়নের টাকায় তৈরি হয়েছে তৃণমূল নেতাদের বাড়িঘর-গাড়ি। কেউ বানিয়েছেন লাভ বাড়ি আবার কেউ তৈরি করেছেন সুবিশাল জাহাজ বাড়ি। কিন্তু এই উন্নয়নের জোয়ারে চাপা পড়ে গেছে সরকারি স্কুলঘর। এখনও তৈরি হলনা ছাত্রছাত্রীদের জন্য ক্লাস ঘর। তাই এলাকার মানুষ, স্কুল ঘর তৈরি নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দিলেন।

    নেই স্কুল ঘরের কোনও চাল (South 24 Parganas)!

    দেখতে দেখতে আমফান ঝড়ের চার বছর পূর্ণ হয়ে গেল। আমফানে উড়েছে স্কুলের চাল, নেই ঘরের মধ্যে বসে ক্লাস করার মতন উপযুক্ত পরিবেশ। স্কুলের বেহাল দশা নিয়ে প্রশাসন নির্বিকার। ছাত্রছাত্রীরা কখনও গাছ তলায়, কখনো ভাঙা স্কুলের দালানে বসে কষ্ট করে পড়াশুনা করে। এইরকম বেহাল পরিস্থিতির শিকার হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার নামখানা ব্লকের দ্বারিক নগর ভিআই লেলিন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্র। দ্বারিক নগর এলাকার এই স্কুলটির সকালে আইসিডিএস অর্থাৎ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র এবং বেলা ১১ টা থেকে এসএসকে অর্থাৎ শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা হয়। স্কুলের পাশে রয়েছে ১২ ফুট বাই ১৪ ফুট একটি রান্নাঘর, রান্না ঘরের সামনে রয়েছে একটি ছোট্ট বারান্দা, আর সেই বারান্দার মাপ বড়জোর ৬ফুট বাই ১৪ ফুট।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য

    আমফান ঝড়ে মূল স্কুলটির (South 24 Parganas) টিনের চাল উড়ে যায়। আর তারপর থেকে আজও ২০২৩ -এর অক্টোবরে এসে গেলেও স্কুলের কোনও সংস্কার হয়নি। এলাকাবাসী তাপসী নাইয়া বলেন, “স্কুলের ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের গাছ তলায় বসে পড়াশুনা করতে হয়। বৃষ্টিবাদল হলে ভাঙা স্কুলের বারান্দায় বসে পড়াশোনা সারতে হয় তাদের।” এছাড়া আরও এক ছাত্রের অভিভাবক সম্ভু দাস বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার লিখিত দিয়েও কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। আন্দোলন করে এখনও পর্যন্ত সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়নি।”

    স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য

    এসএসকে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা উষাবাজ (South 24 Parganas) বলেন, “গত কয়েক মাস আগে স্কুল সারাই করার জন্য লোক এলেও, গ্রামের লোকজন বা অভিভাবকরা এই কাজ করতে দেননি। গ্রামের লোকজনের দাবি পাকাপোক্ত কংক্রিটের ছাদ করতে হবে। কারণ সিমেন্টের টিনে তৈরি বাড়িতে তাঁদের ভরসা নেই। এই কথা সমর্থন করেছেন নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস, তবে তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, “কিছুদিনের মধ্যেই চেষ্টা করবেন যাতে স্কুলের কাজ করা যায়।”

    কিন্তু প্রশ্ন হল বিগত দিনেও প্রশাসন একইভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আবার প্রতিশ্রুতি! এবার কি প্রতিশ্রুতি মত কাজ হবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Joyrambati: জয়রামবাটিতে মা সারদার স্মৃতিধন্য মাতৃ মন্দির, ঘুরে আসতে পারেন একদিনেই

    Joyrambati: জয়রামবাটিতে মা সারদার স্মৃতিধন্য মাতৃ মন্দির, ঘুরে আসতে পারেন একদিনেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারপুকুর থেকে মাত্র ৬-৭ কিমি দূরে আর একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এবং হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে এক অন্যতম পবিত্র স্থান হল বাঁকুড়া জেলার জয়রামবাটি। এখানেই এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সকলের “মা”, মা সারদামণি। ১৮৫৩ সালের ২২ ডিসেম্বর (মৃত্যু ২০ জুলাই, ১৯২০, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা) রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এবং শ্যামাসুন্দরী দেবীর ঘর আলো করে জন্ম নেন তাঁদের প্রথম সন্তান সারদা মুখোপাধ্যায়। যদিও প্রথমে তাঁর নাম “সারদা” ছিল না। জন্মানোর পর প্রথমে তাঁর নাম রাখা হয়েছিল “ক্ষেমঙ্করী”। পরে সেই নাম পাল্টে “সারদা” রাখা হয়। তাঁর পরের ভাই-বোনদের নাম ছিল যথাক্রমে কাদম্বিনী (বোন), প্রসন্ন কুমার, উমেশ চন্দ্র, কালীকুমার, বরদাপ্রসাদ এবং অভয়চন্দ্র (ভাই)। কথিত আছে, সারদা মায়ের জন্মের (Joyrambati) আগে নাকি তাঁর বাবা এবং মা, দুজনেই দিব্যদর্শনে দেখেছিলেন যে স্বয়ং মহাশক্তি তাঁদের ঘরে তাঁদের কন্যা হয়ে জন্মগ্রহণ করতে চলেছেন।

    মা সারদার স্মৃতিতে মাতৃ মন্দির (Joyrambati)

    শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে সারদামণির বিবাহ হয় সারদার বাল্য বয়সেই। আর তার পর থেকে তিনি প্রত্যেকটি মুহূর্তে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন ঠাকুরকে। হয়ে উঠেছিলেন সকলের “মা”। হয়ে উঠেছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সঙ্ঘজননী। এই জয়রামবাটিতে মা সারদার স্মৃতিতে গড়ে তোলা হয়েছে মাতৃ মন্দির (Joyrambati)। মন্দিরের শিল্পশৈলীও অপূর্ব। অভ্যন্তরে রয়েছে মা সারদার মর্মর মূর্তি। এই মাতৃ মন্দির দর্শন করে দেখে নিন কাছেই শিহর গ্রামে শান্তিনাথ মহাদেবের মন্দির।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন? (Joyrambati)

    যাতায়াত–কলকাতা থেকে জয়রামবাটির দূরত্ব প্রায় ১১৫-১২০ কিমি। প্রতিদিন বাস যাচ্ছে কলকাতার ধর্মতলার শহিদ মিনার বাসস্ট্যান্ড থেকে। আবার কামারপুকুরের মতোই তারকেশ্বর অবধি ট্রেনে এসে সেখান থেকে বাসেও আসা যায় এই জয়রামবাটি (Joyrambati)। থাকা-খাওয়া–কামারপুকুরের মতোই জয়রামবাটিও সকালে এসে সারাদিন ঘুরে সন্ধ্যায় ফিরে আসা যায় কলকাতায়। আবার বেশিরভাগ মানুষই এক যাত্রায় ঘুরে নেন জয়রামবাটি এবং কামারপুকুর। আর জয়রামবাটিতে থাকতে চাইলে থাকার জন্য রয়েছে মাতৃ মন্দির যাত্রী নিবাস। যোগাযোগ–অধ্যক্ষ, শ্রীমাতৃমন্দির, বাঁকুড়া-৭২২১৬১। এছাড়াও আছে বিবেকানন্দ মিশনের অতিথিশালা। যোগাযোগ–সেক্রেটারি, রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ মিশন, ৭  রিভার সাইড রোড, বারাকপুর, উত্তর ২৪ পরগনা। এছাড়াও এখানে রয়েছে কয়েকটি বেসরকারি হোটেল ও লজ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamarpukur: সহস্রদল পদ্মের ওপর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি! পুজোয় ঘুরে আসুন কামারপুকুর

    Kamarpukur: সহস্রদল পদ্মের ওপর শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি! পুজোয় ঘুরে আসুন কামারপুকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গের এক অন্যতম জনপ্রিয় এবং পবিত্র হিন্দু তীর্থস্থান হুগলি জেলা ছোট্ট, সুন্দর এবং গ্রাম্য পরিবেশে অবস্থিত “কামারপুকুর” (Kamarpukur)। শুধুমাত্র ভক্তজনদের নয়, সাধারণ পর্যটকদের কাছেও অন্যতম প্রিয় স্থান এই কামারপুকুর। বিশেষ করে যাঁরা গাছ-গাছালির ছায়ায় ঢাকা সবুজের গালিচায় বসে দু-দণ্ড সময় কাটাতে চান, তাঁদের কাছে এক আদর্শ জায়গা হল এই কামারপুকুর।

    শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের জন্মভিটে (Kamarpukur)

    অবশ্য কামারপুকুরের খ্যাতি সম্পূর্ণ অন্য কারণে। এখানে, এই মাটিতেই ১৮৩৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছিলেন যুগাবতার শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। এখানে রয়েছে শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের স্মৃতিতে গড়ে তোলা মন্দির। মন্দিরের অভ্যন্তরে রয়েছে সহস্রদল পদ্মের ওপর বসা শ্রী রামকৃষ্ণদেবের মর্মর মূর্তি। মন্দিরের শিল্পশৈলীও দেখার মতো। প্রতিদিন ভোর ৪ টের সময় এখানে হয় মঙ্গলারতি। ফাল্গুন মাসে ঠাকুরের আবির্ভাব তিথিতে এখানে বিশেষ পুজো হয়। সেই দিন এখানে এই বিশেষ উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়। রীতিমতো মেলার চেহারা নেয় সেদিন এই কামারপুকুর। এছাড়াও দেখে নেওয়া যায় রঘুবীর মন্দির, যুগী শিবমন্দির, ঠাকুরের ভিটেবাড়ি, তাঁর ভিক্ষামাতা ধনী কামারনির বাড়ি প্রভৃতি। এখান থেকে সামান্য কিছু দূরে শিহর গ্রামে রয়েছে শ্রী রামকৃষ্ণর নিত্য সহচর ও ভাগ্নে হৃদয়ের বাড়ি। যেতে পারেন প্রায় দেড় কিমি দূরে বিশালাক্ষী মন্দিরটি দর্শন করতেও। আবার ইচ্ছে হলে ঘুরে নেওয়া যায় কাছেই সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাসে বর্ণিত সেই বিখ্যাত “গড় মান্দারণ”ও (Kamarpukur)।

    কীভাবে যাবেন, থাকার কী ব্যবস্থা? (Kamarpukur)

    কলকাতা থেকে কামারপুকুরের দূরত্ব প্রায় ১১০ কিমি। কলকাতার ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাস যাচ্ছে। যেতে সময় লাগে প্রায় তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা। আবার তারকেশ্বর অবধি ট্রেনে এসে সেখান থেকে বাসেও আসা যায় কামারপুকুর। এখানে সকালে এসে সারাদিন ঘুরে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা যায় কলকাতায়। আবার কেউ যদি এখানে একটি রাত কাটাতে চান, তবে থাকতে পারেন শ্রী রামকৃষ্ণ মঠের অতিথি নিবাসে। এর জন্য যোগাযোগ করতে হবে এই ঠিকানায়>অধ্যক্ষ, শ্রীরামকৃষ্ণ মঠ, কামারপুকুর, হুগলি-৭১২৬১২। এছাড়াও আছে দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সঙ্ঘের অতিথিশালা (ফোন-০৩২১১  ২৪৪৬৬২)। এছাড়াও এখানে রয়েছে কয়েকটি বেসরকারি হোটেল ও লজ (Kamarpukur)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share