Blog

  • Raiganj University: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের প্যাড ব্যবহার করে ভুয়ো নিয়োগপত্র, শোরগোল

    Raiganj University: রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের প্যাড ব্যবহার করে ভুয়ো নিয়োগপত্র, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে গ্রুপ সি পদে একজনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তা জানে না। পরে, খোঁজ নিয়ে জানা যায় নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ে (Raiganj University)। ভুয়ো নিয়োগপত্র ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নিয়োগপত্রটি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Raiganj University)

    বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, (Raiganj University) রেজিস্ট্রার দূর্লভ সরকারের প্যাডে নিয়োগের তথ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। সেখানে রেজিস্ট্রারের স্বাক্ষর এবং সিল পর্যন্ত রয়েছে। যে নিয়োগপত্র ঘিরে এই বিতর্ক, সেখানে পবন মহলদার নামে একজনের নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। ঠিকানার জায়গায় লেখা রয়েছে, বোগ্রাম, কর্ণজোড়া। তাঁকে গ্রুপ সি পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। ২৭ শে সেপ্টেম্বর এই নিয়োগপত্র ইস্যু করা হয়। বলা হয়েছে, ১৫ দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে। অথচ এই ধরনের কোনও নিয়োগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি সামনে আসতে কর্তৃপক্ষ চরম বিড়়ম্বনায় পড়েছে।

    কী বললেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার?

    সামাজিক মাধ্যমেই বিষয়টি জানতে পেরেছেন রেজিস্ট্রার। পুরোটাই জাল বলে দাবী করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই, পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। সোমবার সংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, এই নিয়োগপত্রটি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও এখনও পর্যন্ত এমন কেউ নিয়োগের আবেদন নিয়ে সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে (Raiganj University) আসেননি। তবে, বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। কারণ, কোনও চক্র এই কাজ করছে। যে বা যারা এর পিছনে রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। নাহলে এই ধরনের কাজ তারা আরও করবে। পুলিশকে সমস্ত বিষয়টি জানানো হয়েছে। আশা করি, পুলিশ ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি আরও বলেন, এর আগেও পূর্ববর্তী উপাচার্যের আমলেও এমন ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বিদেশের দুর্গাপুজোয় এবারও পদ্মফুলের জোগান দিচ্ছে বীরভূম

    Birbhum: বিদেশের দুর্গাপুজোয় এবারও পদ্মফুলের জোগান দিচ্ছে বীরভূম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় বঙ্গ থেকে পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে বিদেশে। বীরভূমের (Birbhum) আহমদপুরের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে পদ্ম ফুল যাচ্ছে বিদেশে। তবে, তাদের চাষ করা পদ্ম বিদেশে যাচ্ছে, এতে যেমন গর্বিত পদ্মচাষিরা। অন্যদিকে, অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টিতে পদ্মচাষে ক্ষতিও হয়েছে এবছর। মিলছে না ন্যায্য মজুরি, আক্ষেপ পদ্মচাষি থেকে মহাজন সকলের।

    বীরভূম (Birbhum)  থেকে কোন কোন দেশে পাড়ি দিচ্ছে পদ্ম?

    গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে পুকুর, ছোট জলাশয় সর্বত্রই পদ্ম চাষ হয়ে থাকে। বীরভূমও (Birbhum) পদ্ম চাষের অনুকূল। আসছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব। আর এই দুর্গাপুজোর উপকরণগুলির মধ্যে অন্যতম পদ্ম ফুল। বীরভূমের আহমদপুরের প্রত্যন্ত গ্রামগুলি থেকে এবার পদ্ম পাড়ি দিচ্ছে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত সহ বিদেশেও। এখান থেকে কলকাতা, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মুম্বই প্রভৃতি জায়গায় পদ্ম যাচ্ছে। এমনকী, কালীপুজো, লক্ষ্মীপুজোতেও মেট্রো শহরগুলি পদ্ম ফুল যায় বীরভূমের আহমদপুর থেকে।

    বিদেশে একটি পদ্মের কত দাম?

    তবে, এবার দুর্গাপুজোয় এখান থেকে পদ্ম যাচ্ছে আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল, ভূটান প্রভৃতি দেশে। পদ্ম বিদেশে যাচ্ছে, এতে স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত পদ্ম চাষিরা। পাশাপাশি তাদের আক্ষেপ, এবছর অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টিতে ক্ষতি হয়েছে পদ্ম চাষে। তাই পদ্ম বিদেশে গেলেও সেই অনুযায়ী দাম মিলছে না। অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হচ্ছেন মজুতদারেরা। আর মুনাফা পাচ্ছেন না পদ্ম চাষিরা। এক একটি পদ্ম ফুল মাত্র আড়াই থেকে ৩ টাকায় পদ্ম চাষিদের কাছ থেকে কেনেন মহাজনেরা। সেই পদ্ম তারা দোকানে দেন ৫ থেকে ৬ টাকায়। দোকান থেকে এই বাংলায় এক একটি পদ্ম ফুল বিক্রি হয় ৭ থেকে ১০ টাকায়। বাংলার বাইরে মেট্রো শহরগুলিতে এক একটি পদ্মের দাম হয় ১৩ থেকে ১৫ টাকা, কোথাও ২০ টাকা। আর বিদেশে পাড়ি দিলেই সেই পদ্ম ২ থেকে ৫ ডলারে বিক্রি হয়। যা ভারতীয় মুদ্রায় ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

    পদ্মচাষিদের কী বক্তব্য?

    পদ্মচাষি ও মহাজনেরা বলেন, বীরভূমের (Birbhum) আহমদপুর থেকে প্রতি বছরই দূরে দূরে পদ্ম ফুল পাঠানো হয়। লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজোয় পদ্ম যায়। সবচেয়ে বেশি দুর্গাপুজোয় পদ্ম পাড়ি দেয়। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পদ্ম যাচ্ছে। আর আমেরিকা, জার্মানি, থাইল্যান্ড, জাপান, নেপাল ভূটানে পদ্ম যাচ্ছে। তবে, বাংলা থেকে বিদেশে পদ্ম পাড়ি দিলেও আমাদের মতো ফুল চাষিরা থাকেন সেই তিমিরেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Death: ডেঙ্গিতে মুর্শিদাবাদ-নদিয়ায় মৃত ২! টনক নড়ছে না প্রশাসনের, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

    Dengue Death: ডেঙ্গিতে মুর্শিদাবাদ-নদিয়ায় মৃত ২! টনক নড়ছে না প্রশাসনের, আতঙ্কিত রাজ্যবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই পুজো, কিন্তু ডেঙ্গির ভয়াবহতা কমছে না। প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সাধারণ মানুষ। রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue Death) নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। প্রত্যেক দিন এই মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও ঘটছে। অথচ প্রশাসনের হুঁশ নেই। সরকারের স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভাগুলি কার্যত মুখে কুলুপ দিয়ে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ। ডেঙ্গিতে মৃত্যু নিয়ে কোনও বক্তব্য যেমন নেই, তেমনি রোগ সংক্রমণ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। নেই কোনও সামজিক দায়িত্ব। তাই সাধারণ মানুষ অসন্তোষ প্রকাশ করছে প্রশাসনের নিরুদ্ধে।

    গত ৫ অক্টোবর নদিয়ায় মাত্র পনেরো বছরের এক কিশোরের ডেঙ্গিতে মৃত্যু হয়। বিষয়টি গতকাল প্রকাশ্যে এসেছিল। ইতিমধ্যে আজ মুর্শিদাবাদে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গিতে। রাজ্য জুড়ের ডেঙ্গির থাবায় ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন এবং স্বাস্থ্য দফতরের ভূমিকা নিয়ে বার বার উঠছে প্রশ্ন।

    মুর্শিদাবাদে ডেঙ্গিতে মৃত্যু (Dengue Death)

    মুর্শিদাবাদের সুতি দফাহাট এলাকায় ডেঙ্গিতে (Dengue Death) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বছর ৫০-এর আরতি সাহা নামে এক গৃহবধূর। জানা গেছে, গত ৩ দিন আগে শরীরে অসহ্য ব্যথা ও জ্বর নিয়ে আরতি সাহাকে মহিশাইল ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে পরিবার। স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষার পর ধরা পড়ে ডেঙ্গি পজেটিভ। কিন্তু রোগীর অবস্থার অবনতি হতেই গতকাল স্থানান্তরিত করা হয় জঙ্গিপুর হাসপাতালে। এরপর গভীর রাতে চিকিইসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁর। এখনও শরীরে জ্বর ও ব্যথা নিয়ে মহিশাইল ব্লক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন গ্রামের বেশ কিছু মানুষ। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ফলে পুজোর আগে নতুন ভাবে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও হেলদোল নেই গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যদের। দেখা মেলেনি প্রশাসনের কোনও জনপ্রতিনিধিদের। তাই এলাকার মানুষ শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    নদিয়ায় কিশোরের মৃত্যু ডেঙ্গিতে

    সূত্রে জানা গেছে, নদিয়ার গাংনাপুরে পশ্চিম গোপীনগরের বাসিন্দা রনি দেবনাথের মৃত্যু হয় ডেঙ্গিতে (Dengue Death)। গত ৩ অক্টোবর তার ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ আসে। শরীরে সেই সঙ্গে ছিল প্রচুর জ্বর। অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে চাকদা, এরপর বনগাঁ হাসপাতাল এবং শেষে বেলেঘাটা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। প্লেটলেট নামতে থাকায় শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যায়। আর এরপর মৃত্যু হয় তার।

    বেসরকারি সূত্রে খবর

    বেসরকারি সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ৫০ হাজার জন মানুষ রাজ্যে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গিতে মৃত্যুর সংখ্যা ৫৮। অধিকাংশ পুরসভা কোনও রকম হেল্প লাইন প্রকাশ করেনি। ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীদের বদলে নতুন কর্মী নিয়োগ করেনি। ফলে ডেঙ্গি প্রতিরোধে লোকের অভাবে সঠিক ভাবে কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনও সঠিক দায়িত্ব পালন করছে না বলে সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার জোড়া দাপটে জেরবার! একসঙ্গে মোকাবিলা কীভাবে? 

    Dengue: ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার জোড়া দাপটে জেরবার! একসঙ্গে মোকাবিলা কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডেঙ্গির (Dengue) প্রবল শক্তিতে নাজেহাল রাজ্যবাসী। তার উপরে রয়েছে ম্যালেরিয়ার দাপট। আলাদা আলাদা ভাবে নয়। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, একসঙ্গে দুই মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, মশাবাহিত এই দুই রোগের জোড়া আক্রমণে নাজেহাল আক্রান্তরা। সময় মতো চিকিৎসা শুরু না করলে বিপদ মারাত্মক।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট?

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গির (Dengue) পাশপাশি এ বছর শক্তিশালী হয়েছে ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। বিশেষত কলকাতাতে এই সমস্যা আরও বেশি। তাই ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার জোড়া আক্রমণের ঘটনাও কলকাতায় বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা জানান, সরকারি হোক বা বেসরকারি হাসপাতাল, জ্বরের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর ৩০ শতাংশের ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়া একসঙ্গে হচ্ছে। বিশেষত বড়বাজার, গিরিশ পার্ক, শোভাবাজার, যাদবপুর, তালতলা, টালিগঞ্জের মতো এলাকায় ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ায় একসঙ্গে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বাড়ছে। তাই এই সব এলাকা নিয়ে বাড়তি উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।

    কেন কলকাতায় ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ার জোড়া দাপট? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এডিশ মশা ডেঙ্গি (Dengue) রোগ ছড়ায়। আর ম্যালেরিয়ার রোগ বহন করে অ্যানোফিলিস মশা। এডিশ মশা পরিষ্কার জলে জন্মায়। যেমন টব, বাড়ির জলের ট্যাঙ্ক। আবার অ্যানোফিলিস মশা বড় জলা জায়গায় বংশবিস্তার করে। কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় জল জমে। কোথাও অল্প জল আবার কোথাও অপরিচ্ছন্ন এলাকা। ফলে, যে কোনও ধরনের মশার বংশবিস্তার সহজ। আর তাই কলকাতা জুড়ে মশার জোড়া দাপট। বৃষ্টি হলেই কলকাতার অধিকাংশ জায়গায় জল জমে। বৃষ্টি থামলেও, জল নামতে কয়েক দিন চলে যায়। আবার কলকাতার অধিকাংশ পার্ক অপরিচ্ছন্ন থাকে। ফলে, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা? (Dengue)  

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তিন দিন জ্বর থাকলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। অনেক সময়ই ডেঙ্গি (Dengue) আর ম্যালেরিয়ার আলাদা উপসর্গ বোঝা যায় না। শরীরের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়ে যাওয়া, কাঁপুনি বা খিচুনি, হাত-পায়ে যন্ত্রণা, মাথাব্যথা, বমির মতো উপসর্গ হয়। ফলে, ডেঙ্গি নাকি ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত, তা বোঝা কঠিন হয়ে যায়। চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর তিন দিন টানা থাকলে একসঙ্গে ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ার রক্ত পরীক্ষা জরুরি। তাহলে নিশ্চিত হওয়া সহজ হয়। পাশপাশি, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির চিকিৎসা উপসর্গভিত্তিক। কিন্তু ম্যালেরিয়ার নির্দিষ্ট ওষুধ রয়েছে। তাই ম্যালেরিয়ার দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব। ডেঙ্গি আর ম্যালেরিয়ায় একসঙ্গে আক্রান্ত হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এক্ষেত্রে একাধিক শারীরিক জটিলতা তৈরির ঝুঁকি বেশি থাকে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পুত্রকন্যা নয়, দেবী দুর্গা ঘটক পরিবারের পুজোয় আসেন জয়া-বিজয়ার সঙ্গে

    Durga Puja 2023: পুত্রকন্যা নয়, দেবী দুর্গা ঘটক পরিবারের পুজোয় আসেন জয়া-বিজয়ার সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উমা আসছেন ঘরে ঘরে (Durga Puja 2023)। শিউলির গন্ধ আর কাশফুলের শুভ্রতায় প্রকৃতিও আহ্বান করতে প্রস্তুত ঘরের মেয়ে উমাকে। কৈলাস থেকে সপরিবারে আসছেন দেবী দুর্গা বাঙালির মন্দিরে মন্দিরে। কিন্তু মলানদিঘির ঘটক পরিবারের দেবী দুর্গা পুত্রকন্যাদের সঙ্গে নয়, দুই সখী জয়া-বিজয়ার সঙ্গে আসেন এবং চারদিন ধরে ধুমধামের সঙ্গে পূজিতা হন। কিন্তু এমন কেন? পুত্র-কন্যা নয়, দুই সখী জয়া-বিজয়া কেন? প্রশ্নের উত্তরে দুই প্রবীণ সদস্য গিরিজাশঙ্কর ভট্টাচার্য এবং শ্যামাচরণ ভট্টাচার্য বলেন, “দেবীর সৃষ্টির মধ্যেই এই প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। দেবীর সৃষ্টি হয় ধ্যানের মন্ত্রের মধ্য দিয়ে, সেই সময় তাঁর পুত্রকন্যাদের সৃষ্টি হয়নি। দেবী মহিষাসুর বধে যান তাঁর দুই সখী জয়া-বিজয়াকে নিয়ে। দেবীর রণংদেহী মূর্তির আরাধনা করা হয় তাই পুত্রকন্যাদের সঙ্গে নয়, তাঁর সঙ্গে থাকেন দুই সখী”।

    ভট্টাচার্য কীভাবে হয়ে গেল ঘটক?

    কাঁকসা থানার মলানদিঘির ঘটক পরিবার। আসলে এই পরিবারের আদি পদবী ছিল ভট্টাচার্য। হেতমপুরের মহারাজা মলানদিঘির ভট্টাচার্য পরিবারকে সংস্কৃত ভাষায় শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত হওয়ার জন্য ঘটক পদবী উপাধি হিসাবে দেন। সেই থেকেই এই পরিবার মলানদিঘির ঘটক পরিবার (Durga Puja 2023) নামেই পরিচিত। মলানদিঘির ঘটক পরিবার সংস্কৃত ভাষায় পণ্ডিত পরিবার। এই পরিবারের এক গর্বের ইতিহাস রয়েছ। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত পরিবারের ইতিহাস গর্বে ভরিয়ে দেয় জঙ্গলমহলের বাসিন্দাদের। শ্যামাচরণ ভট্টাচার্যের পিতা ছিলেন কাব্যতীর্থ অন্নদাচরণ ভট্টাচার্য আর গিরিজাশঙ্কর ভট্টাচার্যের পিতা ছিলেন সপ্ততীর্থ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য। বিদ্যাসাগর মহাশয় তখন বিধবা বিবাহ নিয়ে বিভিন্ন শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতের কাছে মতামত নিচ্ছিলেন, সেই সময় বিদ্যাসাগর মহাশয় মলানদিঘির ঘটক পরিবারের বিখ্যাত শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত ন্যায়রত্ন তর্কালঙ্কার বিষ্ণুপদ ভট্টচার্য মহাশয়ের কাছে পরামর্শ চেয়ে চিঠি পাঠান। বিষ্ণুপদ ভট্টাচার্য শাস্ত্র ব্যাখ্যা করে বিদ্যাসাগর মহাশয়কে দেখান বিধবা বিবাহ হিন্দু শাস্ত্রমতে শাস্ত্রসম্মত। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার পত্রালাপ হয় উভয়ের মধ্যে। জানা গিয়েছে, সেই চিঠি আর এখন ঘটক পরিবারের হাতে নেই। পরিবার সুত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক সেই চিঠিগুলি গবেষণার জন্য নিয়ে যান। কিন্তু তারপরে আর ফেরত দেননি তিনি। এভাবেই মহামূল্যবান চিঠি হাতছাড়া হয়ে যায় ঘটক পরিবারের সদস্যদের হাত থেকে।

    আনুমানিক ৪০০ বছরের পুরনো (Durga Puja 2023)

    মলানদিঘির ঘটক পরিবারের দেবী দুর্গা ঠিক কত বছরের, তা পরিবার সূত্রে বলা সম্ভব হয়নি। অনুমান ৪০০ বছরের কাছাকাছি তাঁদের পরিবারের এই দেবী দুর্গা। কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তারও কোনও ইতিহাস নেই বর্তমান প্রজন্মের কাছে। ঘটক পরিবারের দেবীর আরাধনা (Durga Puja 2023) সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পরিবারের দেবীর আরাধনায় শুদ্রজাত কোনও ব্যক্তির দান গ্রহণ করা হয় না। সপ্তমীর দিন নবপত্রিকা আনা হয়। পরিবারের নিজস্ব তালপাতার পুঁথি থেকে পাঠ করা হয় মন্ত্র। এই মন্ত্র আসলে ধ্যান মন্ত্র। মহাষ্টমীতে সন্ধীপুজোর আগে এক চক্রাকারের ভিতরে প্রাকৃতিক রঙে আটতি পদ্ম আকারের পাপড়ি আঁকা হয়। এই সময় তালপাতার পুঁথি থেকে ধ্যান মন্ত্র পাঠ করা হয়। এরপরে বলি দেওয়া হয় চালকুমড়ো এবং আখ। পুর্বে ঘটক ছাগবলির প্রথা ছিল। কিন্তু প্রায় ৫৫ বছর আগে অন্নদাচরণ ভট্টাচার্য এই ছাগবলি প্রথা তুলে দিয়ে চালকুমড়ো বলি প্রথা নিয়ে আসেন। পরিবারের গৃহবধূদের মধ্যে সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে সিঁদুর খেলার প্রচলন আছে। সপ্তমীতে নবপত্রিকা আসার পরে, অষ্টমীতে বলির পরে এবং বিজয়াতে নিরঞ্জনের জন্য বরণের পরে। মহিলারা নবপত্রিকা নিরঞ্জনের পরে নবপত্রিকার ভিতরে থাকা হলুদ প্রসাদ হিসাবে গ্রহণ করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ডায়মন্ডহারবার-মধ্যমগ্রামে সিবিআই হানা

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে এবার ডায়মন্ডহারবার-মধ্যমগ্রামে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবারই সাতসকালে রাজ্যের ১২ জায়গায় সিবিআই (CBI) হানা দিয়েছিল। ফিরহাদ-মদন ছাড়াও একাধিক চেয়ারম্যান, প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই কর্তারা। এবার সেই পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে সিবিআই সোমবার সকালে পৌঁছে গেল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় ডায়মন্ডহারবারে। ডায়মন্ডহারবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মীরা হালদারের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। চলছে বেশ কিছু নথির খোঁজ। একইসঙ্গে মধ্যমগ্রাম পুরসভাতেও এদিন সিবিআই হানা দেয়। এর আগে ইডি এই পুরসভায় হানা দিয়েছিল।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে ডায়মন্ডহারবার পুরসভায় নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় পুরসভার চেয়ারপার্সন ছিলেন মীরা হালদার। নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে ওই নিয়োগ হয়েছিল বলে জানত পেরেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর কাছে ওই নিয়োগ সংক্রান্ত নথির সন্ধানে গিয়েছে সিবিআই (CBI)। নিয়োগে মীরার কোনও ভূমিকা ছিল কি না, সে বিষয়ে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ ডায়মন্ড হারবার পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রাক্তন চেয়ারপার্সন মীরার বাড়িতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। তাদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও। বাড়িটি আধা সামরিক বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। মীরা হালদার বাড়িতেই ছিলেন। ফলে, নথি খোঁজার পাশাপাশি তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। অন্যদিকে, মধ্যমগ্রাম পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে দুদিন আগেই ইডি খাদ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হানা দিয়েছিল। পুরসভাতেও তাঁরা গিয়েছিলেন। এবার সেই তদন্তে সিবিআই ফের হানা দিলেন।

     প্রসঙ্গত, পুর-নিয়োগ মামলার তদন্ত করছে ইডি এবং সিবিআই। কয়েকদিন আগে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ সহ রাজ্যের ১২ টি জায়গায় একযোগে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে নামে ইডি। কামারহাটি পুরসভা এবং বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সনের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ইডি। পাশাপাশি আড়াই কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাটের হদিশ পায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরপর সেই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে রবিবার সিবিআই ১২টি জায়গায় হানা দেয়। হালিশহরের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে কিছু নথি উদ্ধার করে নিয়ে যায় তদন্তকারী আধিকারিকরা। এবার অভিষেকের গড় ডায়মন্ডহারবার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে কী কী তথ্য উদ্ধার হয় তার দিকে তাঁকিয়ে রয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: আউশগ্রামের কালিকাপুর রাজবাড়ির পুজোয় বোধন হয় ১৩ দিন আগে!

    Durga Puja 2023: আউশগ্রামের কালিকাপুর রাজবাড়ির পুজোয় বোধন হয় ১৩ দিন আগে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান রাজার দেওয়ান ছিলেন পরমানন্দ রায়। তিনি ৪০০ বছর আগে দেওয়ান ছিলেন রাজবাড়ির। রাজার সুনজরে পড়ায় তিনি কাঁকসার এক বড় অঞ্চলের জমিদারিত্ব পান। তখন তিনি সেখানে সমস্ত জঙ্গল কেটে বাড়ি বানিয়ে থাকতে শুরু করেন। তিনিই সেখানে তৈরি করেন দুর্গামন্দির থেকে পুকুর, বাগান, সমস্ত কিছুই। পরবর্তীকালে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের এই বাড়ি কালিকাপুর রাজবাড়ি নামে খ্যাতি অর্জন করে। কিন্তু একটা সময় এখানে সাতজন ভাই মিলে একত্রে পুজো (Durga Puja 2023) করতেন বলে সকলে এই পুজোটিকে সাত ভাইয়ের পুজো বলেই চেনেন।

    নবমীতে দেওয়া হত মহিষ বলি (Durga Puja 2023)

    এখানে একটি আটচালা মণ্ডপে পুজো হয়, যার তিনদিক ঘেরা। অতীতের সমস্ত রীতিনীতি মেনেই এখনও পুজো হয়ে থাকে এখানে। তবে সেই জৌলুস হারিয়েছে। কৃষ্ণনবমীতে পাঁঠাবলি দিয়ে দেবীর বোধন করা হয় এই পুজোতে। এছাড়া পুজোর মধ্যেও তিনদিন বলি দেওয়ার প্রথা আছে (Durga Puja 2023)। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত বলি হয় এই রাজবাড়িতে। আগে অবশ্য নবমীতে মহিষ বলি দেওয়া হত। কিন্তু বর্তমানে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    একাধিক ছবির শ্যুটিং

    এই বাড়িতে একাধিক ছবির শ্যুটিং হয়েছে, এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল গয়নার বাক্স ও গুপ্তধন রহস্য। এমনকি খণ্ডহর ছবি যা মৃণাল সেন পরিচালনা করেছিলেন, তারও শ্যুটিং হয়েছিল এখানে। অভিনয় করেছিলেন নাসিরউদ্দিন শাহ, শাবানা আজমি। এই বাড়ির আনাচে কানাচে রয়েছে একাধিক ইতিহাস। পুজোর (Durga Puja 2023) কটা দিন গ্রামের সমস্ত মানুষ এই পুজো দেখতে আসেন। এখনও সেখানে গেলেই সাত ভাইয়ের পুজোর গল্প শোনা যায়।

    সপ্তমীর দিন কলা বৌকে চতুর্দোলায় স্নান

    দুর্গাপুজোয় বোধন হয় পুজোর ১৩ দিন আগে। পুজোর (Durga Puja 2023) তিন দিন হয় ছাগবলিও। পূর্ব বর্ধমানের কালিকাপুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় এ ধরনের বেশ কয়েকটি নিয়ম রয়েছে। প্রায় ৩৫০ বছর প্রাচীন এই পুজোর ঐতিহ্য আজও রয়ে গিয়েছে। কথিত, ৩৫০ বছর আগে এ পুজো শুরু করেন বর্ধমানের তৎকালীন মহারাজার দেওয়ান পরমানন্দ রায়। সে ধারা বজায় রেখেছেন তাঁর অষ্টম পুরুষেরা। কর্মসূত্রে রাজ্যের বাইরে থাকলেও পুজোর সময় তাঁরা জড়ো হন কালিকাপুর রাজবাড়িতে। আজও যেখানে মহারাজ বিজয়চাঁদ এবং মহারাজ উদয়চাঁদের নামে ফি-বছর পুজো দেওয়া হয়। দুর্গাপুজোর প্রতি দিনই টেরাকোটার প্রাচীন একটি শিবের মূর্তি পুজো হয়। এই সপ্তমীর দিন কলাবৌকে চতুর্দোলায় করে স্নান করানো হয়। দুর্গাপুজোয় এক সময় প্রতি দিনই নাটক, যাত্রানুষ্ঠান হত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: ন’টি তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবীর আরাধনায় ব্রতী সারা মল্লভূমবাসী

    Durga Puja 2023: ন’টি তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দেবীর আরাধনায় ব্রতী সারা মল্লভূমবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামানের ৯টি তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে মল্লরাজ বংশের কুলদেবী মৃন্ময়ীর মন্দিরে সূচনা হল শারদীয়ার দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। এই পুজো বলিনারায়ণী রীতি মেনে হয়ে আসছে। তাই নবম্যাদি কল্পারম্ভে শুরু হয় পুজো। পটে আঁকা বড় ঠাকুরানি, মেজ ঠাকুরানি ও ছোট ঠাকুরানির পুজো এখানকার মুল বৈশিষ্ট্য। ৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে উনবিংশতম মল্লরাজ জগৎ মল্লের প্রতিষ্ঠিত এই পুজো এবার ১০২৭ বছরে পড়ল। এই পুজো মল্লভূম তথা বিষ্ণুপুরের রাজ পরিবারের ইতিহাসকে প্রতি বছর মনে করিয়ে দেয় প্রতিটি মল্লভূমবাসীকে। মল্লরাজাদের রাজ্যপাট না থাকলেও মল্লভূম তথা সারা বিষ্ণুপুরের বাসিন্দারা আজও এই পুজোয় মাতেন। রাজ পরিবারের সদস্যরা পুজোর আয়োজন করে আসছেন যথারীতি।

    কী জানালেন পরিবারের সদস্য? (Durga Puja 2023)

    মল্লরাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য জ্যোতিপ্রকাশ সিংহ ঠাকুর বলেন, রাজ পরিবারের এই পুজোয় জৌলুস, জাঁকজমকের থেকেও প্রাধান্য দেওয়া হয় নিয়ম, নিষ্ঠার ওপর। আজও রাজ পুরোহিত মল্লভূমের হাজার বছরেরও প্রাচীন পুঁথি মেনে পুজো করে আসছেন। এখানকার রীতি অনুযায়ী মল্লভূমে আজ থেকেই সূচনা হয়ে গেল শারদ উৎসব অর্থাৎ দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023)।

    কী জানালেন পরিবারের পুরোহিত? (Durga Puja 2023)

    মল্লরাজ পরিবারের পুরোহিত সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, জিতা অষ্টমীতেই এখানে দেবীর আবাহন হয় এবং নবম্যাদিকল্পে দেবীর পুজোর (Durga Puja 2023) সুচনা হয়। এই পুজোর আচার বলিনারায়ণী রীতি অনুযায়ী হয়ে থাকে। যার সঙ্গে অন্য কোনও পুজোর মিল নেই। এক সময় দেবী মৃন্ময়ীর পুজোর জৌলুস ছিল নজরকাড়া। এখানকার কামানের তোপধ্বনি শুনে সারা মল্লভূম জুড়ে সন্ধিক্ষণ নির্ণয়ের চল ছিল। এখনও নবম্যাদিকল্প থেকে সন্ধিক্ষণ পর্যন্ত কামানের তোপধ্বনির রেওয়াজ চালু আছে। তবে আগের বিশালাকার কামান ফাটানো হয় না। আকারে অনেক ছোট কামানের তোপ দাগা হয়। আজ নটি তোপধ্বনি দিয়ে দেবীর আরাধনায় ব্রতী হলেন সারা মল্লভূমবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বলেও কাজ করেনি পঞ্চায়েত! পুজোর খরচ বাঁচিয়ে রাস্তা করলেন এলাকাবাসী

    South 24 Parganas: বলেও কাজ করেনি পঞ্চায়েত! পুজোর খরচ বাঁচিয়ে রাস্তা করলেন এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পুজো কমিটিগুলিকে দেওয়া অনুদানের পরিমাণ অনেকটাই বাড়িয়েছে তৃণমূল সরকার। এই খাতে রাজ্য সরকার জলের মতো কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। অথচ যে রাস্তা ধরে মণ্ডপে ঠাকুর দেখতে যাবেন দরশনার্থীরা সেই রাস্তা সংস্কারে নজর নেই এই সরকারের। ফলে, রাস্তা ভেঙে চৌচির হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত কারও কোনও হেলদোল নেই। এরকমই একটি বেহাল রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হলেন গ্রামবাসীরা। পুজোর খরচ কমিয়ে এবার চাঁদা তুলে বেহাল রাস্তা সংস্কার করলেন এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) আসুতি-২ পূর্বপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) আসুতি-২ পূর্বপাড়া এলাকার রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ। রাস্তা সংস্কারে স্থানীয় পঞ্চায়েতের কোনও হেলদোল নেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বৃষ্টি হলেই জমছে জল। জমা জলে দুর্ঘটনা ঘটছে। বারবার পঞ্চায়েতে অভিযোগ করেও কাজ হয়নি। তাই নিজেরা টাকা দিয়ে রাস্তা সারাইয়ের কাজ করছি। পুজোর খরচ বাঁচিয়ে আমরা রাস্তার কাজ করছি। পুজোর আনন্দ থেকে এই রাস্তাটা ঠিক করা জরুরি। আমাদের অনেকের ঘরে বয়স্ক মানুষ আছেন। রাস্তাটা ঠিক না হলে, মানুষটাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছেও তো যেতে পারব না। রাস্তার যা অবস্থা, একটা গাড়ি আসবে না। এক বছর না হয় কম আনন্দ করে পুজোর খরচের টাকা বাঁচিয়ে রাস্তা তৈরি করলাম। শুধু রাস্তা নয়, রাস্তার আলো পর্যন্ত নিজেদের খরচ করে লাগাতে হয়েছে। পঞ্চায়েত কোনও কাজেই এগিয়ে আসেন না। করের টাকা, ভোট সবই পায় পঞ্চায়েত। কিন্তু, তারা কোনও কাজ করে না।

    কী বললেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সুরজিৎ দত্ত বলেন, পঞ্চায়েতের তরফেও সবরকম পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। ওই রাস্তাটা আমরা পঞ্চায়েত থেকে একবার করে দিয়েছিলাম। গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টির জন্য রাস্তায় জল জমে রাস্তা খারাপ করে দিচ্ছে। ওই রাস্তাটি আমরা ঢালাই করে দেব। তবে, এখনই বললে এখনই তো কাজ করা যায় না। বরাদ্দ করার পর কাজ হবে সেটা পুজোর আগে হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    CBI: আলিপুরদুয়ার সমবায়ে দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের, কী তা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমবায়ে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতির তদন্তে নেমে ‘প্রাণভোমরা’ হাতে এল সিবিআইয়ের (CBI)। আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির লোন রেজিস্টার পেয়ে গেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। আলিপুরদুয়ার শহরে ঢাকেশ্বরী মোড়ে মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির অফিস থেকে এই লোন রেজিস্টার উদ্ধার হয়েছে। এই তথ্য তদন্তে অনেকটাই সাহায্য করবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

    কী রয়েছে লোন রেজিস্টারে? (CBI)

    সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সিবিআই (CBI) কর্তাদের একটি বড় দল মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির অফিসে যান। সমবায় সমিতির হিসাব রক্ষক রীনা স্যান্নাল ও সম্পাদিকা রুপা গুহ রায়কে নিয়ে সিবিআই কর্তারা সমবায় সমিতির অফিসে যান। পরে সেখানে সমবায়ের দুই লোন ক্লার্ক  সঞ্জীব দাস ও পঙ্কজ গুহ আচার্যকেও ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেখানে প্রথমে অফিস বিল্ডিংয়ের মালিকের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই কর্তারা। তারপর চাবি এনে সমবায় সমিতির অফিসে ঢোকেন তাঁরা। সেখানে দীর্ঘক্ষণ তল্লাসি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। অফিস থেকে লোন রেজিস্টার উদ্ধার করেন তদন্তকারিরা। সিবিআই সূত্রে দাবি করা হয়,  উদ্ধার লোন রেজিস্টারে এই সমবায় সমিতির ২০ বছরের কার্যকালের মধ্যে কাকে কতটাকা লোন দেওয়া হয়েছে তার সবই আছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই লোন রেজিস্টার থেকেই কারা কারা এই সমবায় থেকে ঋণ নিয়ে ঋণ শোধ করেননি সেই তালিকাও পেয়ে যাবেন সিবিআই কর্তারা।

    প্রথম অভিযোগকারীর কী বক্তব্য?

    গুরুত্বপূর্ণ এই নথি উদ্ধারের নিয়ে এই মামলায় প্রথম অভিযোগকারী আরটি আই কর্মী অলোক রায় বলেন, আমরা সিবিআই (CBI) তদন্তে আশাবাদী। এবার সিবিআইয়ের পদক্ষেপ করতে সুবিধে হবে। হাতে গরম প্রমাণ পেয়ে গিয়েছে সিবিআই। আমরা চাই টাকা উদ্ধার হোক। প্রতারিত গরীব মানুষেরা টাকা ফেরত পাক। প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ১৮ জানুয়ারি আলিপুরদুয়ার মহিলা ঋণদান সমবায় সমিতির যাত্রা শুরু হয়। প্রায় ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ২০২০ সালে এই সমবায় সমিতির ঝাঁপ বন্ধ হয়ে যায়। লোন রেজিস্টার খাতা পেয়ে সিবিআই কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেদিকে তাকিয়ে রয়েছেন প্রতারিতরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share