Blog

  • Durga Puja 2023: মহিষাদল রাজবাড়ির পুজোয় ভালো ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে থাকে ধান

    Durga Puja 2023: মহিষাদল রাজবাড়ির পুজোয় ভালো ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে থাকে ধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগেকার সেই জৌলুস, আড়ম্বর আজ অনেকটাই কমে গিয়েছে। কিন্তু নিয়ম মেনেই প্রতিপদে ঘট স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো। প্রায় ২৫০ বছরের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী এই দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) দেখতে আজও ভিড় জমান দূরদূরান্তের পাশাপাশি  স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিমা দর্শন করতে আসেন ভিন রাজ্য, ভিন জেলার দর্শনার্থীরাও।

    অশ্বত্থ গাছের তলায় নটি ঘট ওঠে

    রানি জানকীর আমলে আনুমানিক ১৭৭৬ সালে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয়। সেই সময় থেকেই রাজবাড়ির ঠাকুরদালানে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। রাজত্ব চলে যাওয়ার পর থেকে ধীরে ধীরে রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2023) জৌলুস কমেছে। কিন্তু, নিয়ম-আচারে ছেদ পড়েনি। তাই প্রথা অনুযায়ী মহালয়ার পরদিন অর্থাৎ প্রতিপদের দিন ঘট স্থাপন করে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। এ প্রসঙ্গে এই রাজবাড়ির সদস্য হরপ্রসাদ গর্গ বলেন, ‘মহালয়ার পরের দিন রাজবাড়ির দুর্গামণ্ডপ লাগোয়া অশ্বত্থ গাছের তলায় নটি ঘট ওঠে। ষষ্ঠী থেকে প্রতিদিনই ঘটপুজো হবে। সপ্তমী থেকে মূর্তি পুজো হবে। প্রতিমার একপাশে ঘট, অন্যপাশে ধান রাখা হয়। এই দুর্গাপুজো করার পরই শুষ্ক গ্রামে ধান ফলেছিল। তাই ভালো ফসলের আশায় আজও দেবীর পাশে ধান রাখা হয়।

    সাদা পদ্মে মায়ের পুজো

    পুজোয় ১০৮টি নীলপদ্ম দেওয়ার চলও রয়েছে, যা আসত উত্তরপ্রদেশ থেকে। কিন্তু এখন তা আর হয় না, সাদা পদ্মে মায়ের পুজো হয়। আগে মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় যাত্রাপালা, ভোগ বিতরণ, কামান দেগে সন্ধিপুজো, বিসর্জনের শোভাযাত্রা সবই হত। এই রাজবাড়ির সদস্য হরপ্রসাদবাবু জানিয়েছেন, পুজোর দিনগুলিতে ঠাকুরদালানেই যাত্রা হত। রাজবাড়ির মহিলারা পর্দার আড়াল থেকে যাত্রা দেখতেন। পুজোর দিন অনুযায়ী ভোগ রান্না হত। যেমন, ষষ্ঠীতে ছয় মন, সপ্তমীতে সাত মন, অষ্টমীতে আট মন, নবমীতে নয় মন চালের প্রসাদ তৈরি করে বিতরণ করা হত। এখন তা আর সম্ভব হয় না। অষ্টমীর সন্ধ্যায় কামান দেগে রাজবাড়ি সহ আশপাশের এলাকার পুজোমণ্ডপে সন্ধিপুজো (Durga Puja 2023) শুরু হত। দশমীতে বড় নৌকায় করে শোভাযাত্রা বেরতো এবং রাজবাড়ির সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া হিজলি টাইডাল ক্যানাল হয়ে গেঁওখালিতে রূপনারায়ণ নদীতে প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হত। এখন সে সবই অতীত। রাজত্ব ঘোচার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রাপালা বন্ধ হয়েছে। পুজোর দিনগুলিতে অবশ্য এখনও ভোগ রান্না করা হয়। কিন্তু তা যৎসামান্য।

    কামানের পরিবর্তে আতশবাজি

    এদিকে সরকার কামান দাগায় নিষেধাজ্ঞা জারি করায় সেটাও ইতিহাসের খাতায় চলে গিয়েছে। এখন কামান দাগার পরিবর্তে আতসবাজির রোশনাইয়ের মধ্যে দিয়ে সন্ধিপুজো করা হয়। বিসর্জনের শোভাযাত্রাও অতীত। রাজবাড়ি লাগোয়া রাজদিঘিতেই প্রতিমা (Durga Puja 2023) বিসর্জন দেওয়া হয়। তবে আড়ম্বর কমলেও ঐতিহ্যের টানে আজও বহু মানুষ মহিষাদল রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় সামিল হন। দর্শনার্থীদের যাতে কোনও রকম অসুবিধে না হয়, তার জন্য বর্তমান রাজ পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নজরে রেখেছেন। পুজোয় আগত দর্শনার্থী বা পর্যটকদের পরিষেবা দিতে রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে মূল্য দিয়ে থাকতে হবে। মহিষাদল রাজবাড়ির বর্তমান প্রজন্ম হিসাবে রাজবাড়ি দেখাশোনা করে থাকেন শংকরপ্রসাদ গর্গ ও হরপ্রসাদ গর্গ। রাজবাড়ির পুজো দেখতে এবং রাজবাড়ির অপরূপ পরিবেশের অনুভূতি নিতে আসতেই হবে মহিষাদলে।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games: চিনা দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে টেবিল টেনিসে পদক জয় দুই বঙ্গ ললনার  

    Asian Games: চিনা দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে হারিয়ে টেবিল টেনিসে পদক জয় দুই বঙ্গ ললনার  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনের মাটিতে দাঁড়িয়ে চিনকেই ধরাশায়ী করল দুই বঙ্গ কন্যা। এশিয়ান গেমস (Asian Games) টেবিল টেনিসে মেয়েদের ডাবলসের সেমিফাইনালে উঠে আপাতত ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করে ফেলেছেন এই দুই টেবিল টেনিস খেলোয়াড়। নৈহাটির এই দুই কন্যা হারিয়েছেন চিনের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জুটি জেন মেং এবং ওয়াং ইয়াদিকে। এই চেন মেং টোকিও অলিম্পিক্সের জোড়া সোনা জয়ী। ওয়াংয়ের সঙ্গে জুটি বেঁধে মাস কয়েক আগে ডারবানে বিশ্বচ্যাম্পিয়নও হয়েছেন।

    দুজনেই নৈহাটির বাসিন্দা

    পদক জিতে দেশকে গর্বিত করেছেন যে দুই বঙ্গ ললনা, ঘটনাচক্রে তাঁরা দুজনেই নৈহাটির বাসিন্দা। নৈহাটি রেল স্টেশনের এক ও চার নম্বর গেটের কাছে বাড়ি সুতীর্থা মুখোপাধ্যায় এবং ঐহিকা মুখোপাধ্যায়ের। এদিন চিনা জুটি (Asian Games) চেন মেং এবং ওয়াং ইয়াদিকে ১১-৫, ১১-৫, ৫-১১, ১১-৯ পয়েন্টে হারিয়ে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ নিশ্চিত করেছেন এই দুই বাঙালি। এই পদক জয়ের সঙ্গে সঙ্গে ইতিহাস গড়েছেন নৈহাটির এই দুই ক্রীড়াবিদ।

    চিনা ললনাদের পরাস্ত করলেন বঙ্গ ললনারা

    এর আগে কোনও দিন টেবিল টেনিসে মহিলাদের ডাবলসে পদক জেতেনি ভারত। এতদিন কোয়ার্টার ফাইনালে বরাবর দাপট দেখিয়েছেন চিনের খেলোয়াড়রা। সেখানেই চিনা ললনাদের পরাস্ত করে ইতিহাস গড়ে ফেললেন নৈহাটির এই দুই ললনা। এশিয়ান গেমসে শনিবার দুটি সোনা এসেছে। একটি শ্যুটিং এবং অন্যটি টেনিস থেকে। রুপো এসেছে দুটি। ব্রোঞ্জ একটিতে। হাংঝৌ থেকে ফোনে সুতীর্থা বলেন, “পদক জেতার লক্ষ্যেই এখানে এসেছিলাম। বিশ্বসেরাদের হারিয়ে সেটা করতে পারছি বলে স্বপ্নের মতো লাগছে।” ঐহিকার কথায়, “অনেকদিন ধরেই আমরা চিনাদের কাছে লড়ে হারছি। তাতেই অভিজ্ঞতা বেড়েছিল। তা থেকেই এই জয়। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে সেমিফাইনালের গন্ডি টপকানোই এখন একমাত্র লক্ষ্য।” প্রসঙ্গত, এই দুজনেরই টেবিল টেনিসের হাতেখড়ি কোচ মিহির ঘোষের কাছে।

    আরও পড়ুুন: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    ভারতীয় টিমের (Asian Games) কোচ বাগুইহাটির সৌরভ চক্রবর্তী। ফোনে তিনি বলেন, “গোংশু ক্যানাল স্পোর্টস পার্কের জিমন্যাসিয়ামে যেখানে টিটি হচ্ছে, সেখানে চিনারা টেবিলে নামলেই, গ্যালারি থেকে চিৎকার ভেসে আসে – জো চিন, যার অর্থ কাম অন চায়না। আজ সুতীর্থারা যখন চিনাদের বিরুদ্ধে নামে, তখন আমরা পাল্টা চেঁচাতে থাকি, জো ইন্ডিয়া বলে। তাতে দর্শকরা একটু দমে যায়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে এখনও সংরক্ষিত গান্ধীজির চিঠি! কী লিখেছিলেন তিনি?

    Asansol: ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে এখনও সংরক্ষিত গান্ধীজির চিঠি! কী লিখেছিলেন তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২ অক্টোবর গান্ধী জন্মজয়ন্তী। গান্ধীজির সঙ্গে বঙ্গের আসানসোল (Asansol) বা রানীগঞ্জের যে সংযোগ ছিল, তার উল্লেখ অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। ইতিহাস নিয়ে যাঁরা চর্চা করেন, তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে খুবই ভালোভাবে অবগত। সেই গান্ধীজির যুগের স্পর্শ রয়েছে আসানসোলের একটি স্কুলেও। তার আগে জানতে হবে আরও একটি বিষয়। জানেন কি আসানসোলে প্রথম তৈরি হয়েছিল সেপটিক ট্যাঙ্কের ফরমুলা, যা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন স্বয়ং গান্ধীজি! সেটি পাওয়ার পর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আবার একটি চিঠিও দিয়েছিলেন তিনি। গান্ধীজির পাঠানো এই চিঠি আজও শোভা পাচ্ছে আসানসোলের ওই স্কুলগাত্রে।

    গান্ধীজি চিঠি পাঠিয়েছিলেন কোন স্কুলে (Asansol)?

    গান্ধীজির পাঠানো চিঠি রাখা হয়েছে আসানসোলের (Asansol) ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলে। এক সময় এই বিদ্যালয়টি ছিল খ্রিস্টান পরিচালিত, যা স্বাধীনতার পূর্বের সময়ের ইতিহাস বহন করেছে। জেলার অন্যতম পুরনো বিদ্যালয়, যেখানে পড়ুয়াদের জন্য প্রথম তৈরি হয়েছিল শৌচালয়ের সেপটিক ট্যাঙ্ক ফরমুলা, যা বর্তমানে বহুলভাবে প্রচলিত। সেপটিক ট্যাঙ্কের বিষয়টি জানতে পেরে গান্ধীজি সেই ফরমুলা চেয়ে পাঠান। গুজরাটের সবরমতীতে গান্ধীজির আশ্রমের শৌচালয়ের জন্য এই ফরমুলা তিনি চেয়ে পাঠিয়েছিলেন। তখন উষাগ্রাম বয়েজ হাইস্কুলের দায়িত্বে ছিলেন হিলিয়াম বায়ার্স। তাঁকেই প্রথম চিঠি পাঠিয়েছিলেন গান্ধীজি। এরপর যে ইঞ্জিনিয়ার ওই সেপটিক ট্যাঙ্ক তৈরি করেছিলেন, তিনি ফরমুলা পাঠিয়েছিলেন গান্ধীজিকে। পরিবর্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে একটি চিঠি গান্ধীজি পাঠিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষকে। এই চিঠি আজও সংরক্ষিত স্কুলে।

    বর্তমানে এই চিঠি সংরক্ষিত স্কুলে

    সঠিকভাবে সাল না জানা গেলেও, আনুমানিক স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর আগের এই ঘটনা বলে দাবি করা হয়। গান্ধীজির পাঠানো ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা এই চিঠিটি ছিল হিলিয়াম বায়ার্স-এর পরিবারের কাছে। ২০১১ সালে হিলিয়াম বায়ার্সের নাতি এই চিঠিটি বিদ্যালয় (Asansol) কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করেন। আর তারপর থেকে গান্ধীজির পাঠানো এই চিঠি সাজিয়ে রাখা আছে বিদ্যালয়ে। গান্ধীজীর পাঠানো এই চিঠি বিদ্যালয়ের সঙ্গে গান্ধীজির যোগের প্রত্যক্ষ প্রমাণ বলেই দাবি করা হয়।

    স্কুলের প্রতিক্রিয়া

    ঊষাগ্রাম বয়েজ হাই স্কুলের (Asansol) কমিটির সম্পাদিকা সুশীলা মল্লিক বলেন, “হিলিয়াম বায়ার্সের নাতি ২০১১ সালে একটি বই আকারে গান্ধীজির চিঠিটি পাঠান। এরপর স্কুলের প্রেস থেকে ফেস্টের সময় ছাপিয়ে স্কুলের দেওয়ালে সেটি লাগানো হয়। ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত জায়গা হল এই স্কুল।” স্কুলের বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সঞ্জীব নস্কর বলেন, “আমাদের স্কুলেই প্রথম স্যানিটারি বিষয়টি এসেছিল। গান্ধীজি লোক পাঠিয়ে খোঁজখবর নেন এবং তাঁর আশ্রমে প্রয়োগ করেন। সমাজে স্বচ্ছতা এবং পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সেই সময় থেকে গান্ধীজি সচেতন ছিলেন। বাপুর এই চিঠি, স্কুলের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hoogly News: টাকা নেই, খাওয়াবেন কী? জন্মের পরই দুধের শিশুকে অন্যের হাতে

    Hoogly News: টাকা নেই, খাওয়াবেন কী? জন্মের পরই দুধের শিশুকে অন্যের হাতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুত্র সন্তান প্রসবের পরে হাসপাতাল থেকে ছাড় পাওয়া! তারপরই দুধের শিশুকে অন্যের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হলেন এক মা! কারণ শিশুকে লালন পালন করার মতো আর্থিক ক্ষমতা জন্মদাত্রীর নেই। ইটভাটার শ্রমিক ওই মায়ের স্বামীও নিখোঁজ। রীতিমতো কোর্ট পেপারে সই করেই নিজের পুত্র সন্তানকে দত্তক দিতে বাধ্য হলেন ইটভাটার ওই মহিলা শ্রমিক। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলায় (Hoogly News) চুঁচুড়ায়। জন্মদাত্রী মা তো সন্তানকে ছাড়তে চায়না, কিন্তু রাজ্যে কর্মসংস্থানের বেহাল অবস্থাই প্রতিফলিত হল এই ঘটনায়, এমনটাই মত উঠে আসছে কোনও কোনও মহল থেকে।

    পুলিশ সূত্রে কী জানা গেল? 

    জানা গিয়েছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর চুঁচুড়া জেলা (Hoogly News) হাসপাতালে পুত্র সন্তানের জন্ম দেন ওই মহিলা শ্রমিক। পাঁচ দিন পরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হাসপাতাল থেকে ছুটি পান ওই মহিলা। তখনও পুত্র সন্তান তাঁর সঙ্গেই ছিল। এরপরেই দুধের শিশুকে দান করে দেন তিনি। সদ্যোজাত শিশুকে দত্তক নেন চুঁচুড়া চ্যাটার্জি বাগান এলাকার বাসিন্দা যাদব এবং বুলু মন্ডল নামের এক দম্পতি। চ্যাটার্জি বাগান (Hoogly News) এলাকার ওই দম্পতি শিশু পুত্রটিকে দত্তক নেওয়ার পরেই স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্তারা হাজির হন তাঁর বাড়িতে। তাঁরা বোঝাতে থাকেন যে শিশু দত্তক নেওয়ার বেশ কিছু সরকারি নিয়ম-কানুন রয়েছে। সেইমতো মহকুমা শাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয় যাদবকে। 

    পুত্র দত্তক পেয়ে খুশি দম্পতি

    অন্যদিকে মাত্র আট দিন বয়সের দুগ্ধ পোষ্য শিশুকে কোলে পেয়ে বেশ খুশি বুলু মন্ডল (Hoogly News)। কিছুতেই ওই সদ্যোজাত সন্তানকে হাতছাড়া করতে চান না দম্পতি। যাদবের দাবি, সম্পূর্ণ নিয়ম মেনেই দত্তক নেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের তরফ থেকে অবশ্য ওই পুত্র সন্তানের জন্মদাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। জানা গিয়েছে, কোর্ট পেপারে ইটভাটা শ্রমিক জন্মদাত্রী মা লিখেছেন, ‘‘শিশুকে মানুষ করার মতো আর্থিক সামর্থ্য আমার নেই, তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে আমি অপারগ। তাই লিখিতভাবে সন্তানকে হস্তান্তর করছি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: রবিবার পুজোর বাজার কি পণ্ড করবে নিম্নচাপের বৃষ্টি? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    Weather Update: রবিবার পুজোর বাজার কি পণ্ড করবে নিম্নচাপের বৃষ্টি? কী বলছে হাওয়া অফিস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার ভারী বৃষ্টিপাত (Weather Update) হয়েছে রাজ্যের জেলায় জেলায়। রবিবার সকাল থেকেই কলকাতা সমেত শহরতলী এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার আকাশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। রোদ ঝলমলে আবহাওয়াতে আদ্রতাজনিত অস্বস্তিও নেই। আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী ২৪ ঘণ্টা কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকা মেঘলা থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনেই সাধারণত বাঙালির দুর্গা পুজোর বাজার শুরু হয়। তখনও নিম্নচাপের (Weather Update) প্রভাবে বৃষ্টিপাতের সাক্ষী থেকেছে রাজ্যবাসী। রবিবার ছুটির দিনে বিকালে পরিবার সমেত বাজার করার পরিকল্পনা হয়তো অনেকেই করেছেন কিন্তু সেই পরিকল্পনাকে ভেস্তে দিতে পারে বৃষ্টি, এমনটাই খবর আবহাওয়া দফতর সূত্রে। রবিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এদিন থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আদ্রতা রবিবার থাকবে সর্বোচ্চ ৯৭ শতাংশ। আবহাওয়া দফতরের মতে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের ওপরে থাকা নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হচ্ছে। শনিবার বিকেলে এই নিম্নচাপটির অবস্থান ছিল উত্তর ওড়িশার উপকূলে, পরবর্তী ১২ ঘণ্টায় এটি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে ঝাড়খন্ডে চলে গিয়েছে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?

    ১ অক্টোবর ও ২ অক্টোবর রবিবার ও সোমবার দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলার কোনও কোনও জায়গায় অতিভারী (Weather Update) বৃষ্টি হতে পারে। ৪ অক্টোবর বুধবার জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?

    ১ অক্টোবর রবিবার ভারী বৃষ্টির (Weather Update) পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম বর্ধমানে। বাকি জেলাগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ২ অক্টোবর সোমবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। ৩ অক্টোবর মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কোনও কোনও জায়গায়। ৪ অক্টোবর বুধবার সবকটি জেলাতেই হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raj Bhavan Kolkata: রাজ্যের হম্বিতম্বিই সার, তৃণমূল বিধায়ক শপথ নিলেন রাজভবনেই!

    Raj Bhavan Kolkata: রাজ্যের হম্বিতম্বিই সার, তৃণমূল বিধায়ক শপথ নিলেন রাজভবনেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ জারি করেছে নবান্ন তথা শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস! অথচ শনিবার রাজভবনেই শপথ বাক্য পাঠ করতে দেখা গেল ধূপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়কে। এতেই ওয়াকিবহাল মহল বলছে রাজ্যের কি তবে হম্বিতম্বিই সার হল? তাদের বিধায়ককে শেষ পর্যন্ত শপথ রাজভবনেই (Raj Bhavan Kolkata) নিতে হল!

    সাধারণভাবে বিধায়কের শপথগ্রহণ বিধানসভাতেই হয়ে থাকে 

    সাধারণভাবে বিধায়কের শপথ গ্রহণ রাজভবনে হয় না বরং তা বিধানসভাতেই হয়ে থাকে, কিন্তু এমন বিরল ঘটনা এবার এ রাজ্যে চোখে পড়ল। পাশাপাশি রাজভবনে (Raj Bhavan Kolkata) বিধায়কের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা গেল না বিধানসভার অধ্যক্ষ এবং পরিষদীয় মন্ত্রীদের। এদিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথ বাক্য পাঠ করান। তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিধায়কের পরিবারও। যদিও এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল ২৩ সেপ্টেম্বর তবুও তা ৩০ সেপ্টেম্বরে সম্পন্ন হল, মাঝখানে শপথ নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন।

    আরও পড়ুন: কম বয়সেও হার্ট অ্যাটাক! বিশ্ব হার্ট দিবসে জানুন হৃদযন্ত্র ভাল রাখার সহজ কিছু উপায়

    কেন রাজভবনে শপথ?

    রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) তরফে বিধায়ককে চিঠি লিখে শপথ গ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়। রাজ্য সরকার অভিযোগ তোলে যে তাদেরকে নাকি এ বিষয়ে কোনও তথ্যই দেওয়া হয়নি। এরপরে রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী তীব্র আক্রমণ করেন সিভি আনন্দ বোসকে। রাজভবনের যুক্তি, নবনির্বাচিত বিধায়ক রাজবংশী সমাজের এবং তাঁকে রাজভবনে শপথ বাক্য পাঠ করালে জনমানসে ইতিবাচক বার্তা যাবে। রাজভবনের (Raj Bhavan Kolkata) দরজা যে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত, সেই বার্তাও পৌঁছানো সম্ভব। রাজ্যপালের দেওয়া প্রস্তাবে রাজি হয় সরকার। প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৮ তারিখ ধূপগুড়ি উপনির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়। নবনির্বাচিত বিধায়ক শপথ নিলেন ২২ দিন পরে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Club Donation: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    Club Donation: ‘দিল্লি চলো’ হুঙ্কার ছেড়ে নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লি চলো ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী! কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টাকা আদায়ের দাবিতে। অথচ, নিজের রাজ্যেই ক্লাবের অনুদান বন্ধ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ক্লাবগুলি (Club Donation) আর কোনও সরকারি টাকাই পাবে না। এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন। অভিযোগ বহু ক্লাবই নাকি খরচের যথাযথ হিসাব দেয়নি। প্রসঙ্গত, শাসকদলের অনুগ্রহে থাকা ক্লাবগুলি সাধারণভাবে সরকারি অনুদান পায়। সাধারণভাবে দেখা যায় রাজ্য জুড়ে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত ক্লাবগুলির সম্পাদক, সভাপতি বা সদস্যরা তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হন। এবার সেই ক্লাবের সরকারি টাকা নয়ছয় এর অভিযোগ যখন সামনে এল তখন প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের দলের বিরুদ্ধেই কি অভিযোগ আনলেন?

    দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে ৭০ হাজার করে অনুদান 

    এরই মাঝে দুর্গাপুজোয় প্রতিটি ক্লাবকে ৭০ হাজার টাকা করে দেওয়ার রাজ্য সরকারের অনুদান (Club Donation) নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা শুক্রবার বলেন, ‘‘আমি অনেক মামলা শুনেছি, যেখানে মানুষ বেতন পাচ্ছেন না, চাকরি পাচ্ছেন না, পেনশন পাচ্ছেন না। আর পুজো কমিটিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে!’’ প্রসঙ্গত ক্ষমতা আসার পর পরই ক্লাবগুলিকে দখল করার অভিযোগ ওঠে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। বিরোধীরা অভিযোগ করেন লাখ লাখ টাকা খরচ করে রাজ্যের ক্লাবগুলিকে কিনতে চাইছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    মোট কত ক্লাবকে অনুদান (Club Donation) দেওয়া হতো?

    পরিসংখ্যান বলছে ২০১১ সালে ৭৮১টি ক্লাবকে এই অনুদান দেওয়া হয়েছিল। এই খাতে ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সরকার। পরের বছর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যায় এবং ১৫০০ ক্লাবকে এই অনুদান দেওয়া হয়। যার জন্য রাজ্য সরকারের কোষাগার থেকে খরচ হয় আরও ৪০ কোটি টাকা। প্রথমে বছরে এককালীন ২ লাখ টাকা দেওয়া হতো ক্লাবগুলিকে। পরবর্তী তিন বছর এক লাখ টাকা করে মোট পাঁচ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে অভিযোগ শোনা গিয়েছে বিরোধী দলনেতার কণ্ঠে। নন্দীগ্রামের বিধায়কের মতে, ক্লাবগুলিকে এই প্রকল্প মারফত টাকা দিয়ে রাজনীতিকরণ করা হয়েছে। অনুদানের জন্য নতুন ক্লাবের নাম নথিভুক্ত (Club Donation) করার দায়িত্ব দেওয়া হয় শাসকদলের বিধায়কদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: গুনে গুনে ১০ গোল! পাকিস্তানকে দুরমুশ করে হকির সেমি ফাইনালে ভারত

    Asian Games 2023: গুনে গুনে ১০ গোল! পাকিস্তানকে দুরমুশ করে হকির সেমি ফাইনালে ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) ভারত পাকিস্তানের ম্যাচে টানটান উত্তেজনা বলে কিছুই ছিল না। তার কারণ একতরফা ম্যাচে ভারত গোল করেই যাচ্ছিল। ব্যবধান এত বেশি হতে থাকে যে পাকিস্তানের পক্ষে সমতা ফেরানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১০-২ গোলে পরাস্ত হল পাকিস্তান। ওয়াকিবহল মহলের মতে, ভারত পাকিস্তানের কোনও ম্যাচেই এর আগে এত গোল হয়নি। তাই শনিবার হকির ইতিহাসে নতুন ইতিহাস গড়ল ভারতীয় দল। একথা বলাই যায়। 

    সেমিফাইনালে ভারত

    পাকিস্তানকে দুরমুশ করে মিলল সেমিফাইনালে (Asian Games 2023) যাওয়ার ছাড়পত্রও। আপাতত চারটি ম্যাচে ভারতের পয়েন্ট রয়েছে ১২। প্রথম অর্ধে ভারতীয় দল চারটি গোল করে পাকিস্তান তখনও কোনও গোল শোধ করতে পারেনি। অবশেষে খেলা শেষ হতে দেখা যায় পাকিস্তান দুটি গোল করতে পেরেছে এবং ভারত দশটি। প্রথম থেকেই ভারত আক্রমনাত্মকভাবে খেলতে থাকে। খেলার নয় মিনিটের মাথাতেই প্রথম গোল করেন মনদীপ। এরপরে পাকিস্তান পেনাল্টি কর্নার (Asian Games 2023) পেলেও সেই সুযোগ তারা কাজে লাগাতে পারেনি। 

    ম্যাচের খুঁটিনাটি

    এরই মাঝে পাকিস্তানের গোলকিপার ভারতের এক খেলোয়াড়কে ডি বক্সের মাঝে ফেলে দেন। খেলার নিয়ম অনুযায়ী পেনাল্টি (Asian Games 2023) হয়। পেনাল্টি থেকে গোল করেন হরমোন প্রীত। দ্বিতীয় কোয়ার্টার থেকে আবার এগোতে শুরু করে ভারত। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করেন হরমোন প্রীত। তৃতীয় কোয়ার্টারে ফের গোল করেন হরমোন প্রীত। পরে পাকিস্তান একটি গোল শোধ করে কিন্তু কয়েক মুহূর্তের জন্যই। পরবর্তীকালে ভারত ফের ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় এবার গোল করেন বরুণ। তৃতীয় কোয়ার্টারে শেষে পাকিস্তানকে আরও একটি গোল করতে দেখা যায় এদিন কিন্তু ফের দুটি গোলে এগিয়ে যায় ভারত। চতুর্থ কোয়ার্টারে পেনাল্টি থেকে আবারও গোল করেন বরুণ কুমার। ম্যাচের (Asian Games 2023) শেষে দেখা যায় পাকিস্তান ৮ গোলে পিছিয়ে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০১/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০১/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) জীবনসঙ্গীকে সময় দিতে পারবেন না বলে তিনি রেগে যাবেন।

    ২) সন্তানের দায়িত্ব পূরণে সফল হবেন। 

    বৃষ

    ১) পরিবারের সদস্যরা আপনাকে সারপ্রাইজ দিতে পারেন।

    ২) সন্তানের তরফে সুসংবাদ পাবেন।

    মিথুন

    ১) কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিতে পারেন।

    ২) সন্ধ্য়াবেলা সন্তানের সঙ্গে কথা বলে কাটাবেন।

    কর্কট

    ১) কারও কথায় এসে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না। কারণ ভবিষ্যতে এটি ভুল প্রমাণিত হতে পারে।

    ২) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথাবার্তার সময়ে বাণী মাধুর্য বজায় থাকবে।  

    সিংহ 

    ১) ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় কোনও সমস্যা এলে, শিক্ষকদের কাছে গিয়ে তার সমাধান খুঁজতে পারেন।

    ২) বাণীর সৌম্যতার কারণে অফিসে সম্মানিত হতে পারেন। পদোন্নতি পেতে পারেন। 

    কন্যা

    ১) আজ কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করুন।

    ২) সম্পত্তি বিবাদ চললে তাতে হতাশ হবেন।

    তুলা 

    ১) পারিবারিক ব্যবসায় জীবনসঙ্গীর পরামর্শের প্রয়োজন হবে।

    ২) ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় সফল হবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) পরিবারকে সময় না-দেওয়ায় সন্তান রেগে যেতে পারে।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ প্রতিবেশীর সঙ্গে বিবাদ এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

    ধনু

    ১) সন্তানের বিয়ে পাকা হতে পারে।

    ২) চাকরিজীবীদের মহিলা সহকর্মীর কারণে চাকরি ও বেতনবৃদ্ধি হতে পারে।

    মকর

    ১) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত করতে পারবেন।
     
    ২) সন্তানের দায়িত্ব পূরণের ফলে মন আনন্দিত থাকবে।

    কুম্ভ

    ১) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যেতে পারেন।

    ২) ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষায় আগত সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন। 

    মীন

    ১) চাকরিতে আপনার পরামর্শ মান্য করা হবে। তবে শত্রুর কারণে বরিষ্ঠদের বিরাগ ভাজন হবেন। জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ২) ভাইয়ের সঙ্গে কোনও কথা কাটাকাটি হলে তা শেষ হবে।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Ragging: র‍্যাগিংয়ের শিকার কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্র, চাঞ্চল্য

    Ragging: র‍্যাগিংয়ের শিকার কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্র, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংকাণ্ডে (Ragging) তোলপাড় হয়ে যায় গোটা রাজ্য। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটল কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের দুই ছাত্রের সঙ্গে। এদের মধ্যে একজন মেকানিক্যাল এবং অপরজন অটোমোবাইলের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁদের বাড়ি কোচবিহার মাথাভাঙ্গা-২ নম্বর ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা। সিনিয়ার মেসে গিয়ে দুজন প্রথম বর্ষের ছাত্রের উপর এতটাই অত্যাচার করে যে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। কোচবিহার জেলা পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনা তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ragging)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র আকাশ আইচ এবং খোকন বর্মন তাদের মেসে ছিল। সে সময় সেই মেসে থাকা  আরেকজন সিনিয়ার বাইরে থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে তাদের উপর আক্রমণ চালায়। তাদের মুখে রুমাল গুঁজে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এর আগেও এই সিনিয়ার এসে তাদের উপর অত্যাচার করত বলে অভিযোগ। শুক্রবার রাতেও সে হামলা চালায়। কোচবিহার পলিটেকনিক কলেজের জেনারেল সেক্রেটারি মিসবাহুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ওই সিনিয়ার প্রায় দিনই একটি মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে এসে মেসে উঠত। দীর্ঘদিন থেকে এই বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল আকাশ এবং খোকন। এটাই তাদের অপরাধ। তাই, বাইরে থেকে দুজনকে নিয়ে এসে ওই দুই পড়ুয়াকে বেধড়ক মারধর করা হয়। আকাশ আইচকে কোচবিহার এন জে এন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ অবস্থায় শনিবার ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু, অত্যন্ত গুরুতরভাবে জখম খোকন বর্মন কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইতিমধ্যেই ঘটনায় পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    আক্রান্তের ছাত্রের বাবা ও মেসের মালিক কী বললেন?

    ঝকম খোকন বর্মনের বাবা পরিমল বর্মন বলেন, মেসের মধ্যেইও র‍্যাগিংয়ের (Ragging) ঘটনা ঘটল। এটা মেনে নিতে পারছি না। আমরা অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। মেসের মালিক কার্তিক শীল বলেন, মাত্র এক মাস হয়েছে ওই দুই ছাত্র আমার মেসে এসেছে। মেসের দেখভাল করে আমার স্ত্রী। র‍্যাগিংয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই।

    কী বললেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ?

    পলিটেকনকিক কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রণব সাহারায় বলেন, অ্যান্টি র‍্যাগিং (Ragging) টিম বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ধরনের ঘটনাকে প্রশয় দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share