Blog

  • Howrah: আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, প্রবল যানজট, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা

    Howrah: আদিবাসী সমাজের বিক্ষোভে অবরুদ্ধ ধর্মতলা, প্রবল যানজট, চূড়ান্ত হয়রানির শিকার নিত্যযাত্রীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক মদতে কুড়মি-মাহাতোরা জোর করে তফসিলি জনজাতির তকমা পেতে চাইছেন। আর এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের উপর দমন পীড়নের প্রতিবাদে পথে নেমেছে ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’। প্রতিবাদে বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনের সদস্যরা মিছিল করে কলকাতার রানী রাসমণি রোডের এই সমাবেশে উপস্থিত হন। এর ফলে প্রবল যানজটে অবরুদ্ধ হয় কলকাতা সহ হাওড়া (Howrah) জেলার নানা জায়গা। নিত্যযাত্রী, সাধারণ মানুষকে পড়তে হয় ব্যাপক হয়রানিতে। আদিবাসী সমাজ এই যানজটের দায় চাপিয়েছে পুলিশের উপর।

    প্রতিবাদ সমাবেশে মূল দাবি কি?

    ‘ইউনাইটেড ফোরাম অফ অল আদিবাসী অর্গানাইজেশন্‌স’-এর পক্ষ থেকে এই সভায় তাদের দাবি করা হয়, তাঁদের ছাড়া অন্য কাউকে ‘সিডিউল ট্রাইব’-এর মর্যাদা দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে নকল এসটি সার্টিফিকেট ইস্যু বন্ধ করতে হবে। ২০০৬ সালের বন্য আইন সারা রাজ্যে চালু করারও দাবি জানান তাঁরা। সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য, বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া (Howrah) স্টেশনে এসে জড়ো হন হাজার হাজার আদিবাসী সমাজের মানুষ।

    হাওড়ায় (Howrah) ব্যাপক যানজট

    আজ, হাওড়া (Howrah) স্টেশন থেকে হাওড়া ব্রিজ হয়ে, মিছিল করে, ধর্মতলায় রানী রাসমণি রোডে সভায় অংশ নিতে যান আন্দোলনকারীরা। অনেকে আবার লঞ্চ পেরিয়েও ধর্মতলা পৌঁছান। আদিবাসীদের এই মিছিলের জেরে হাওড়া এবং কলকাতায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। হাওড়া ব্রিজে যান চলাচল ব্যাহত হয়। হাজার হাজার লোকের মিছিলের জেরে হাওড়া ব্রিজে বেশ কয়েক দফা যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম বিপাকে পড়েন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী। শুধুমাত্র হাওড়া ব্রিজ নয় হাওড়া ময়দান এবং সালকিয়া পর্যন্ত এই যানজট বিস্তৃত হয়।

    অবরুদ্ধ কলকাতা

    কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের তরফে পোস্ট করে জানানো হয়, মিছিলের জেরে অবরুদ্ধ ধর্মতলা ক্রসিং, গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ, লেনিন সরণী, জহরলাল নেহরু রোড, রেড রোড, বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিট এবং মেয়ো রোড। হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই যানজটের জেরে আটকে পড়েন হাজার হাজার অফিস যাত্রী। তাঁদের পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় অফিসে। এর জেরে অনেকেই দেরিতে অফিস পৌঁছান। হাওড়া ব্রিজ, স্ট্র্যান্ড রোড,  ব্র্যাবোর্ন রোড সহ বিভিন্ন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে।

    আদিবাসী সংগঠনের বক্তব্য

    হাওড়া (Howrah) ও কলকাতায় এই ব্যাপক যানজটের কথা তুলে ধরে আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, “পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আমরা এই সমাবেশে যোগ দিয়েছি। ফলে যানজটের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে পুলিশের আগে থেকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। পুলিশের আগে থেকেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করেনি। তাই সব দায় পুলিশের। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Arambagh: বিজেপিকে জেতানোর অপরাধ! কেটে দেওয়া হল বাঁশের সাঁকো, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক মাস আগেই আরামবাগে বিজেপি কাউন্সিলারের ওয়ার্ড বলে রাস্তা সংস্কার না করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে বনগাঁয় বিজেপি করার অপরাধে এক দলীয় কর্মীর উপর হামলা এবং ছেলে বাঁচাতে গিয়ে খুন হন মা। নৃশংস এই ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল। এসব ঘটনার মধ্যে এবার পঞ্চায়েতে বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে যোগাযোগের বাঁশের সাঁকো কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের  (Arambagh) খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ ও ২ পঞ্চায়েত এলাকায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Arambagh)

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে আরামবাগের (Arambagh) খানাকুল-২ ব্লক এলাকার নতিবপুর-১ পঞ্চায়েতে তৃণমূল জয়লাভ করে। নতিবপুর-২ পঞ্চায়েত দখল করে বিজেপি। এই দুই গ্রামপঞ্চায়েতের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে মুণ্ডেশ্বরী নদী। তার উপরই বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো রাতের অন্ধকারে নদীতে জল বাড়ার সুযোগ নিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সেই সাঁকোই করাত দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের স্থানীয় নেতা- কর্মীদের বিরুদ্ধে। খানাকুলের বালিগোড়ি গ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার লোকজন। বিজেপিকে ভোট দেওয়ার কারণে এমনটা ঘটানো হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। ঘটনাস্থলে যান বিজেপির বিধায়ক। এলাকা ঘুরে তিনিও তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গ্রামের মানুষ যাতায়াত করতে পারছেন না। বুড়ো-বাচ্চাদের নিয়ে আরও সমস্যা হচ্ছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, এখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। মানুষের কাছে ভুল বার্তা দিতেই এসব করছে। স্থানীয় কিছু তৃণমূল নেতাও তাতে জড়িত রয়েছে। রাতের অন্ধকারে ব্রিজের একটা অংশ কেটে দেওয়া হয়। আর তার জেরেই জলের হালকা স্রোতে বাকিটা ভেসে যায়। আমিও ওখানে গিয়ে দেখেছি, চারপাশে কাঠের গুঁড়ো ছড়ানো। মেশিন দিয়ে ওই ব্রিজটি কাটা হয়েছে। খানাকুল থানার ওসিকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানিয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লক সম্পাদক বিপ্লব লহরী বলেন, সুশান্ত ঘোষ এটা নিয়ে রাজনীতি করছেন। আসলে ব্রিজটি ভগ্নপ্রায়ই ছিল। ডিভিসি জল ছেড়েছে। সেই জলের তোড়ে ব্রিজটিকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তৃণমূল এসব কেন করতে যাবে? রাজনীতি করতে বিজেপ এসব করছে। তৃণমূল কোনওদিনই এসব চায় না।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Skoch Award for Bengal: বীরভূমে অভিনব মানবিক শিক্ষাদান, স্কচ পুরস্কার পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”, তীব্র উচ্ছ্বাস জেলায়

    Skoch Award for Bengal: বীরভূমে অভিনব মানবিক শিক্ষাদান, স্কচ পুরস্কার পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”, তীব্র উচ্ছ্বাস জেলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার সময় পর্ব থেকেই সারা বিশ্বে সবথেকে বেশি শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে পড়াশুনার শিক্ষা ব্যবস্থায়। দিনের পর দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, বন্ধ থাকায় শিক্ষায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। শুধু তাই নয় রাজ্যে প্রয়োজনের থেকে অতিরিক্ত ছুটি, পড়ুয়াদের পড়ার আগ্রহকে অনেকটাই কম করে দিয়েছে বলে, শিক্ষাবিদদের একাংশ দাবি করেছেন। এই প্রভাবকে কাটাতেই বীরভূমের স্কুল শিক্ষায় এক অভিনব মানবিক উদ্যোগের ছবি ধরা পড়েছে “আনন্দ পাঠ” দানে। জেলাশাসক বিধান রায় নিজের প্রচেষ্টায় পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিতে শিক্ষার আলো পৌঁছানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেন। বীরভূমের শান্তিনিকেতনে এই উদ্যোগের ফলে এই বছর স্কচ পুরস্কার (Skoch Award for Bengal) পাচ্ছে “আনন্দ পাঠ”। এই পুরস্কারকে ঘিরে জেলাবাসীদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস। দিল্লীতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জেলা শাসকের হাতে এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

    কেন এই অভিনব উদ্যোগ(Skoch Award for Bengal)?

    সমাজের পিছিয়ে থাকা শিশুদের লক্ষ করেই শিক্ষার আলো পৌঁছানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় এই “আনন্দ পাঠে” শিক্ষা পদ্ধতির মধ্যে। সমাজে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে রয়েছেন, বাবা-মা নেই  অথবা বিশেষ ভাবে সক্ষম বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য এই পাঠের ব্যবস্থা করা হয়। করোনার সময় থেকেই রাজ্যের স্কুলগুলি বন্ধ থাকায় পড়াশুনার নিয়মিত ছন্দে ব্যাঘাত ঘটেছে। এছাড়াও রাজ্যের সীমাহীন স্কুল ছুটি, বিশেষ করে বাচ্চা-শিশুদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিরাট শূন্যতার সৃষ্টি করেছে। এই কথাকে মাথায় রেখেই বীরভূম প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিক্ষা প্রদানের এক মানবিক উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে এই স্কচ সম্মানে (Skoch Award for Bengal) জেলা প্রশাসনের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।

    কীভাবে পড়াশুনা চলত আনন্দ পাঠ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামে-গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় প্রাথমিকের স্কুলে পড়াশুনা করে, এমন বাচ্চাদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস করানো হয়। ছড়ার ছলে, গল্পের ছলে, ছবি এঁকে বা বাস্তব উদাহরণ দিয়ে, শিশুদের মনে পড়াশুনার আগ্রহকে চমৎকার ভাবে তুলে ধরা হয়। বিষয় উপস্থাপনের উপর গুরুত্ব দিয়ে পড়াশুনার আগ্রহকে বৃদ্ধি করার উপর নজর দেওয়া হয়। এছাড়াও পড়াশুনার বাইরের নান্দনিক বিষয়কে বাড়তি গুরুত্ব আরোপ হয়েছে। একই ভাবে শিক্ষা গ্রহণের জন্য শিশুদের পরিবারে যাতে একটা পড়াশুনার পরিবেশ বা বাতাবরণ তৈরি হয়, সেই ভাবনার উপরেও জোর দেওয়া হয়। আর এই পাঠকে সুনিশ্চিত করার কাজ করেছে “আনন্দ পাঠ”।  

    মূলত একজন দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষক গ্রামে গ্রামে গিয়ে, সকালে ৭ টা থেকে ৯ টা  এবং বিকেল ৪ টা থেকে ৬ টা পর্যন্ত এই পড়াশুনার ক্লাস করান। এটা কোনও ক্লাসের পড়া নয়। পরোটাই শিশুদের মানসিক স্তরের উপর নির্ভর করে ক্লাস করানো হয়। এই অভিনব মানবিক উদ্যোগে স্কচ পুরস্কারে (Skoch Award for Bengal) সম্মানিত হওয়ায় খুশির আবহ বীরভূম জেলায়।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা! নিয়ন্ত্রণে শূন্যে গুলি পুলিশের

    Manipur Violence: মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা! নিয়ন্ত্রণে শূন্যে গুলি পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর পৈতৃক বাড়িতে হামলার (Manipur Violence) চেষ্টার ঘটনায় ফের একবার উত্তেজনা শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়িতে উত্তেজিত জনতা হামলা চালায় বলে জানা গেছে। ঘটনায় উত্তেজনার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে, তাকে সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে শূন্যে গুলি চালায়। সেই সঙ্গে ব্যাপক পরিমাণে নিরাপত্তা বাহিনীও পৌঁছে পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনে। উল্লেখ্য, ঘটনার সময়, ওই পৈতৃক বাড়িতে কেউ ছিলেন না বলে জানা গেছে। পুলিশ অবশ্য সামজিক মাধ্যম এক্স ট্যুইটার মাধ্যমে জানিয়েছে, “মুখ্যমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত বাড়িতে কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে জনতার হামলার ঘটনা মিথ্যা এবং অপপ্রচারমূলক।”

    মণিপুর পুলিশের বক্তব্য (Manipur Violence)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মণিপুর পুলিশ জানিয়েছে, “ইম্ফলের হেইনগাং এলাকায় মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়িতে হামলার (Manipur Violence) ঘটনা ঘটে। বাড়ির চারপাশ থেকে দুটি গ্রুপ মিলে বাড়ি লক্ষ্য করে ক্রমেই এগিয়ে আসছিল। তবে বাড়ি থেকে প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ মিটার দূরত্বেই উত্তেজিত গ্রুপকে আটকে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। তবে এই বাড়িতে কেউ থাকতেন না। বাড়িটিকে সব সময় নজরদারিতে রাখা হতো।”

    পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, উত্তেজিত জনতাকে এই স্থান থেকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। এছাড়াও পরিস্থিতি সামাল দিতে র‍্যাফ এবং প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বাড়ির সামনে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে দেয়। অপর দিকে উত্তেজিত জনতা ক্ষোভে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ জানিয়েছে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি বলে।

    ঘটনার সুত্রপাত

    গত ৩ মে থেকেই জাতিদ্বন্দ্ব এবং গোষ্ঠী সংঘর্ষে মণিপুর উত্তপ্ত (Manipur Violence)। সম্প্রতি দুই ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মণিপুর। দুটি ছবি সামজিক মাধ্যমে নজরে আসে। সেখানে ছাত্রের মৃতদেহের পাশে অভিযুক্তদের ছবি দেখা যায়। বুধবার ইম্ফলে এই ছাত্র খুনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পড়ুয়ারা। বিক্ষোভ সামাল দিতে গিয়ে পুলিশের ঘায়ে বেশ কিছু ছাত্র আহত হন। এরপর থেকেই পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে যায়। আপাতত ফের ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছে মণিপুরে।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহ, ছাত্র মৃত্যুর (Manipur Violence) ঘটনায় বলেন, “দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। সবরকম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ছাত্র খুনের মামালাকে সিবিআইয়ের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: রাস্তাতেও কাটমানি! পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি রাস্তার হাল দেখলে চমকে উঠবেন

    South 24 Parganas: রাস্তাতেও কাটমানি! পথশ্রী প্রকল্পে তৈরি রাস্তার হাল দেখলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প পথশ্রী। সেই প্রকল্পের কাজেও কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার একতারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কাটমানি খেয়ে বেহাল রাস্তা না করার জন্য তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের কাছে বলতে গেলে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে পথশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) মগরাহাট পশ্চিম বিধানসভার একতারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একটি রাস্তা তৈরির জন্য ৪১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৭৭৮ টাকা বরাদ্দ হয়। অন্যদিকে, এলাকার মানুষদের আরও অভিযোগ, ঢালাই রাস্তার ওপরে আবারও ঢালাই ফেলে টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছে শাসক দল। আর তা নিয়ে পঞ্চায়েত সদস্যকে বলতে গেলেই হুমকির মুখে পড়তে হয় এলাকার মানুষদের। সেই ঢালাই রাস্তার একাংশ কার্যত মাটির রাস্তায় পরণত হয়েছে। আর সেই বেহাল মাটির রাস্তার ওপর দিয়েই প্রাণ হাতে করে নিয়ে যাতায়াত করতে হয় এলাকার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ও অন্যান্যদের। এমনকী প্রসূতি মহিলা বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও যাতায়াতের জন্য এই বেহাল রাস্তায় ভরসা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    এই গ্রামের বেহাল রাস্তার মাঝে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে একটি কালভার্ট তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে সেই কালভার্টের বেহাল অবস্থা। নিত্যদিন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। নিজেদের সমস্যার কথা একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে, দুর্ভোগে দিন কাটছে একতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্দাদের।

    পঞ্চায়েতের কী অবস্থান?

    স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, কাউকে কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। এসব মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। অন্যদিকে, এই ঘটনায় একতারা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রীতি মণ্ডল বলেন, আমি সবেমাত্র এক মাস প্রধান পদে দায়িত্ব পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে কাজ শুরু করা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    তবে, এই বিষয়ে ডায়মন্ডহারবার সংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি সুফল ঘাঁটু তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। তিনি বলেন, কয়লা চোর, বালি চোর তৃণমূলের পক্ষেই এইসব কাজ সম্ভব। রাস্তাতেও ওরা কাটমানি খেয়ে কাজ অসম্পূর্ণ করে রেখেছে। আমাদের দাবি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলা প্রশাসন অবিলম্বে এর তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, চিহ্নিত হটস্পট জোন, নামানো হল ড্রোন

    Malda: মালদা জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, চিহ্নিত হটস্পট জোন, নামানো হল ড্রোন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) ক্রমশ আতঙ্ক বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। চলতি বছরের জেলায় মোট ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১২১৩ জন। গত সপ্তাহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১১০ জন। চলতি সপ্তাহে এখনও পর্যন্ত চল্লিশ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ইংরেজবাজারের ২৫ নম্বর ওয়ার্ড, রতুয়া-১ নম্বর ব্লক এবং কালিয়াচক -৩ নম্বর ব্লকে।

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন

    ডেঙ্গি (Malda) পরিস্থিতি মোকাবিলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করল মালদা জেলা প্রশাসন। সমস্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এমনকী  ড্রোন উড়িয়ে জমা জল খোঁজার কাজ শুরু করল মালদা জেলা প্রশাসন ও পুরসভা। স্কুল এবং নার্সিংহোমগুলি পরিদর্শন করবে টাক্স ফোর্স। কোনও বেসরকারি নার্সিংহোম বা হাসপাতাল ডেঙ্গি প্রটোকল না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকী লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কোন কোন এলাকা হটস্পট জোন করা হয়েছে?

    জানা গিয়েছে, মালদা (Malda) জেলায় হুহু করে বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে মালদা জেলাকে ডেঙ্গি প্রবন এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ইংরেজবাজারের চারটি ওয়ার্ড ৭,১২,১৩ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ড ও ১২ গ্রাম পঞ্চায়েতকে হটস্পট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই জরুরি ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন বৈঠক ডাকে। সেখানে জেলার দুই পুরসভা সমস্ত কাউন্সিলার, গ্রামপঞ্চায়তের জন প্রতিনিধি সহ স্বাস্থ্য আধিকারিকদের ডাকা হয়। সেখানে জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া বলেন, হটস্পট এলাকাগুলিতে ড্রোন সার্ভে করা হবে। যাতে কোথাও জল জমা না থাকে। এক সপ্তাহ অন্তর রিপোর্ট নেওয়া হবে। গ্রামের ক্ষেত্রে বৈঠক করতে হবে। স্কুলগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। জেলার ৩২০০ স্কুলের শিক্ষকদের সতর্ক করা হয়েছে। স্কুল পরিষ্কার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় সমস্ত চিকিৎসকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হটস্পট জোনে নজর দারি করা হবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ২৯/০৯/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ২৯/০৯/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) পরিবারের কোনও সদস্যের বিবাহের সিদ্ধান্ত আপনাকে নিতে হবে। এতে সময় ব্যয় হবে।

    ২) সন্তানের কাছ থেকে হতাশাজনক সংবাদ শুনতে পারেন।

    বৃষ

    ১) রাতে এমন কিছু ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, যার কাছ থেকে কিছু তথ্য পাবেন।

    ২) সরকারি চাকরিজীবীরা নতুন পদ পাবেন।

    মিথুন

    ১)  সাবধানে যাত্রা করুন। কারণ প্রিয় ও মূল্যবান বস্তু হারিয়ে বা চুরি যেতে পারে।

    ২) ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় কাঙ্খিত ফল পাবেন।

    কর্কট

    ১) শ্লথ গতিতে ব্যবসা চলবে। এ জন্য কোনও অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিতে তার কাছে যাবেন।

    ২) বুদ্ধি ও বিচক্ষণতার প্রয়োগ করে যে সিদ্ধান্ত নেবেন, তাতেই সফল হবেন।  

    সিংহ 

    ১) ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনায় কোনও সমস্যা এলে, শিক্ষকদের কাছে গিয়ে তার সমাধান খুঁজতে পারেন।

    ২) বাণীর সৌম্যতার কারণে অফিসে সম্মানিত হতে পারেন। পদোন্নতি পেতে পারেন। 

    কন্যা

    ১) পরিশ্রমের চেয়েও বেশি পরিণাম পাবেন। তবে সতর্ক থাকুন, না-হলে শত্রুরা আপনায় সমস্যায় ফেলার ছক কষবে।

    ২) সন্তানের বিয়ে পাকা হতে পারে।

    তুলা 

    ১) ব্যবসায়ে দীর্ঘদিন ধরে টাকাপয়সার সমস্যা চলতে থাকলে আজ তা দূর হবে।

    ২) বিদেশি বসবাসকারী পরিবারের সদস্যের কাছ থেকে সুসংবাদ পাবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) ব্যবসায়ে নতুন কোনও পরিকল্পনা করে থাকলে তা কাউকে জানাবেন না ও শীঘ্র কার্যকরী করে দিন।

    ২) চাকরিজীবীরা হতাশার শিকার হতে পারেন।

    ধনু

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে কোনও সরকারি কাজ আটকে থাকলে, তা পুরো করার চেষ্টা করবেন।

    মকর

    ১) সন্ধ্যাবেলা মায়ের স্বাস্থ্যের কারণে চিন্তিত হবেন।
     
    ২) ভাই-বোনের সম্পর্কে মনোমালিন্য চললে তার সমাধান হবে।

    কুম্ভ

    ১) প্রিয় মানুষের কাছ থেকে প্রতিকূল সংবাদ শুনতে পাবেন। এ কারণে অপ্রত্যাশিত যাত্রা করতে হবে।

    ২) অন্যের ততটুকুই ভালো করুন, যতটুকু প্রয়োজন। না-হলে লোকে এটিকে আপনার স্বার্থ মনে করতে শুরু করবেন। 

    মীন

    ১) আর্থিক লেনদেন করবেন না, টাকা আটকে যেতে পারে।

    ২) যাত্রায় গেলে সতর্ক হন, দামী জিনিস চুরি যেতে পারেন।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Malda: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! টাকা আদায়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার

    Malda: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! টাকা আদায়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে এখন তোলপাড়। অনেকে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলের ঘাঁনি টানছেন। অনেক তৃণমূল নেতা চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলে দিব্বি জেলের বাইরে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন। এবার সেই সব নেতাদের চিহ্নিত করে বেধড়ক পিটিয়ে পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মালদা (Malda) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য স্বপন মিশ্রকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনা সেকথায় প্রমাণ করেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে জনরোষ তৈরি হচ্ছে। আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে বলে বিরোধীদের দাবি।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে স্বপন মিশ্র মালদা (Malda) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল।  বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা পাবেন। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার চার থেকে পাঁচটি অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন তিনি। বহু মানুষ চাকরি পাননি। কিন্তু, তাদের টাকার ফেরতও দেননি। টাকা ফেরতের জন্য বহুবার  দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। অবশেষে তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হয়ে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেন এক ব্যক্তি।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাড়িতে ঘরের ভিতর চেয়ারে বসে রয়েছেন মালদা (Malda) প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র। তাঁর কলার ধরে প্রশ্ন করছেন এক যুবক। একটাই প্রশ্ন, ‘সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকাটা কই? বল কবে টাকা ফেরত দিবি?’ মার খেয়ে কাতরাতে কাতরাতে তৃণমূল নেতা শুধু বলছেন, ‘এখন টাকা দিতে পারব না, সময় দিতে হবে।’ আর এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে।

    কী বললেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ওই ব্যক্তি দলের এখন কোনও পদে নেই। আর দলের নাম ভাঙিয়ে যে দুর্নীতি করেছে তার দায় দল নেবে না। যারা প্রতরিত হয়েছে তাদের আইনের দ্বারস্থ হয়ে দোষী ব্যক্তির শাস্তির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেব।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: বাংলাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গি, সীমান্তে সক্রিয় কিট পাচারচক্র! কীভাবে?

    Dengue: বাংলাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গি, সীমান্তে সক্রিয় কিট পাচারচক্র! কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে গরু পাচার, হেরোইন পাচার, সোনা পাচার হওয়ার খবর শোনা যায়। এবার ভারত-বাংলাদেশে উত্তর ২৪ পরগনা সীমান্ত এলাকায় ডেঙ্গি (Dengue) কিট পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, পুলিশ বিএসএফের নজর এড়িয়ে ছোট জিনিস পাচার করা তুলনায় সহজ। তাই, সীমান্তে এই কিট পাচার চলছে। পুলিশ ও বিএসএফের হাতে কয়েকজন পাচারকারী গ্রেফতারও হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার কিট। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য সামনে এসেছে।

    কেন বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে ডেঙ্গি কিট? (Dengue)

    এ রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি। নদিয়া জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও বহু মানুষ আক্রান্ত। এর পাশাপাশি বর্ষায় বাংলাদেশেও ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ছড়িয়েছে। সে কারণেই ও দেশে ডেঙ্গি পরীক্ষার কিটের চাহিদা বেড়েছে। তা ছাড়া, পাচারকারীদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিট নিয়ে যেতে পারলে লাভ অনেক বেশি।বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে কিট কিনতে পাওয়া যায়। ওদেশে ডেঙ্গি পরীক্ষার খরচও অনেক বেশি। এখানে যদি ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ১০০ টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশে খরচ পড়ে ১ হাজার টাকা। তাই এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ডেঙ্গি কিটের মতো ছোট জিনিস পাচারে ঝুঁকি অনেক কম। সীমান্তে থাকা কাঁটাতারের ওপারে ডেঙ্গি কিটের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলতে হবে। কাজ ঠিকঠাক হলেই মিলবে টাকা। পরে, পাচারকারীরা এসে সেই ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। ডেঙ্গি কিট পাচার চক্রের সদস্যেরা নানা টোপ দিয়ে গ্রামের চাষি, বেকার যুবকদের এ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    সম্প্রতি পেট্টাপোল থানার পুলিশের কাছে খবর এসেছিল, এক বাংলাদেশি পাচারকারী পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এ দেশ থেকে ডেঙ্গির (Dengue) কিট পাচার করার চেষ্টা করছে। ওই পাচারকারী আগেও এই কাজ করেছে। পুলিশ পেট্রাপোল সীমান্তে নজরদারি বাড়ায়। পাচারকারী সীমান্ত এলাকায় আসতেই তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। ধৃতের নাম মহম্মদ সোহেল রানা। বাড়ি বাংলাদেশের বেনাপোল থানার সাদিপুর এলাকায়। তার কাছ থেকে ৬৮ প্যাকেট ডেঙ্গির কিট আটক করা হয়। এক একটি প্যাকেটে ২৫টি করে কিট ছিল, যার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ওই দুষ্কৃতী কয়েক বার ভারতে এসেছিল বৈধ পাসপোর্ট ও ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে। প্রতি বারই সে ডেঙ্গির কিট কলকাতা থেকে কিনে বাংলাদেশে পাচার করেছে। এ বারই প্রথম ধরা পড়ল। এর আগেও একজনের কাছে থেকে ৯ লক্ষ টাকার কিট বাজেয়াপ্ত করা হয়। বনগাঁর এসডিপিও অর্ক পাঁজা বলেন, সন্দেহজনক কাউকে দেখলে তল্লাশি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পুজোর মহাস্নানের তেল, অগরু, সুগন্ধি নিজে হাতে তৈরি করে কর্মসংস্থানের দিশা

    Durga Puja 2023: পুজোর মহাস্নানের তেল, অগরু, সুগন্ধি নিজে হাতে তৈরি করে কর্মসংস্থানের দিশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো ভারতবর্ষ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ খুবই নিষ্ঠা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে দুর্গাপুজো করে থাকেন। দুর্গাপুজোতে বেশ কিছু উপকরণের ব্যবহার করা হয়। এই সমস্ত উপকরণ একমাত্র দশকর্মা ভান্ডারেই সাধারণত পাওয়া যায়। উপকরণগুলির মধ্যে রয়েছে তিলের তেল, মহাস্নানের তেল, মহাস্নানের জল, অগরু, বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি তেল, মধু ইত্যাদি। এইসব উপকরণ ছাড়া কখনই দুর্গাপূজো (Durga Puja 2023) সম্পূর্ণ হয় না। পৌরাণিক নিয়মনীতি অনুযায়ী এই উপকরণগুলি ছাড়া দূর্গাপুজো অসম্পন্ন। আর এই সমস্ত উপকরণ নদিয়ার মাজদিয়ার বাসিন্দা সুনীল দাস নিজের হাতে তাঁর বাড়িতে তৈরি করেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তাঁর বাবার কাছ থেকেই তিনি এই ধরনের উপকরণ তৈরির পদ্ধতি শিখেছেন বলে জানান।

    নিষ্ঠার সঙ্গে তৈরি করতে হয় (Durga Puja 2023)

    সুনীল দাসের মতে, এই উপকরণগুলি তৈরি করতে হয় নিষ্ঠার সঙ্গে। যেহেতু এগুলি পুজোতে (Durga Puja 2023) ব্যবহৃত হয়, তাই তৈরি করতে কিছু নিয়ম মানতে হয়। স্নান করে, কখনও উপোস করে বা নিরামিষ খেয়ে উপকরণগুলি তৈরি করতে বসতে হয়। কখনই অনিয়ম করে এই উপকরণগুলি তৈরি করার নিয়ম নেই বলে তিনি দাবি করেন। ২৫ বছর ধরে তিনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। আলতা সিঁদুর, কৌটো সিঁদুর, পাতা সিঁদুর, অগরু, তিন রকমের তেল, মহাস্নানের জল, গোলাপ জল ,আতর, বিভিন্ন সুগন্ধি সমস্ত কিছুই একা নিজের হাতে তৈরি করতে পারেন তিনি।

    সুযোগ কর্মসংস্থানের (Durga Puja 2023)

    সুনীলবাবু বললেন, বর্তমানে এই উপকরণগুলির চাহিদা খুব। তিনি সময়মতো উপকরণগুলি তৈরি করে ফেলেন এবং সঠিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বর্তমানে একাধিক পুজো হওয়ার ফলে তার উপকরণগুলির (Durga Puja 2023) চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাঁর তৈরি উপকরণগুলি তিনি দিয়ে থাকেন রানাঘাট, কল্যাণী, চাকদা, কাঁচরাপাড়া, কৃষ্ণনগর ইত্যাদি এলাকায়। তবে তিনি সরকারের কাছে দাবি করেছেন কিছু আর্থিক সাহায্যের, যা দিয়ে তিনি একাধিক কর্মচারী নিয়োগ করে উপকরণগুলি আরও যাতে তাড়াতাড়ি ও নিষ্ঠাভাবে তৈরি করতে পারেন। যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে তিনি আরও বেশ কয়েকজনের সংসারের ভার একাই নিয়ে নিতে পারবেন বলে দাবি তাঁর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share