Blog

  • Kolkata Metro: জোকা মেট্রো রুটের ভিক্টোরিয়া স্টেশনের নির্মাণকাজ শুরু

    Kolkata Metro: জোকা মেট্রো রুটের ভিক্টোরিয়া স্টেশনের নির্মাণকাজ শুরু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুমোদনের ১৩ বছর পর অবশেষে জোকা-তারাতলা মেট্রো লাইনের ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল স্টেশনের (Kolkata Metro) নির্মাণকাজ শুরু হল। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে ময়দান এলাকার পাঁচ হাজার বর্গমিটার জায়গাও ঘিরে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কলকাতা মেট্রো সূত্রে জানা গিয়েছে যে এই মেট্রো রুটের চারটি আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো স্টেশন (Kolkata Metro) তৈরি করা হবে। এগুলি হল, খিদিরপুর, ভিক্টোরিয়া, পার্ক স্ট্রিট এবং এসপ্ল্যানেড। এর মধ্যে প্রথম কাজ শুরু হল ভিক্টোরিয়ার। 

    ভিক্টোরিয়া মেট্রো স্টেশনের খুঁটিনাটি

    জানা গিয়েছে, ভিক্টোরিয়া স্টেশনটি (Kolkata Metro) ৩২৫ মিটার দীর্ঘ হবে। মাটির তলায় দুটি স্তর থাকবে, একটি কনকোর্স এবং অন্যটি প্ল্যাটফর্ম। বাকি খিদিরপুর বা এসপ্লানেড মেট্রো স্টেশনের কাজ শুরু করার ক্ষেত্রে এখনও কিছুটা জট রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জানা যাচ্ছে, মেট্রো স্টেশন নির্মাণের সময় ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় সে দিকটিও নজরে রাখছে কর্তৃপক্ষ। তবে স্টেশন (Kolkata Metro) নির্মাণের জন্য ময়দানে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সামনে থাকা ফোয়ারাটি ভেঙে ফেলা হবে। পরে নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হলে তা আবার গড়ে দেবে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

    আরও পড়ুুন: ৬ দিন পার! এখনও চলছে অনন্তনাগ অভিযান, উদ্ধার এক জঙ্গির পোড়া দেহ

    কী বলছে যাত্রী মহল

    যাত্রী মহলের দাবি, দ্রুত পরিষেবা চালু করা হোক। কারণ এর ফলে এক মেট্রো ট্রেনে ভিক্টোরিয়া (Kolkata Metro) যাওয়ার মতো সুযোগ মিলবে। গড়ের মাঠ অথবা ভিক্টোরিয়াতে পৌঁছানো আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন যাত্রীরা। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ভিক্টোরিয়া স্টেশন তৈরি হলে গড়ের মাঠ, ময়দান, হেস্টিংস, রবীন্দ্রসদন, বিড়লা তারামণ্ডল, রেড রোড, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস যাওয়ার একাধিক পথ খুলে যাবে যাত্রীদের জন্য। প্রসঙ্গত, মেট্রো যেন সুতোর মতো বাঁধছে কলকাতার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তকে। চলতি বছরের শেষের দিকে গঙ্গার তলা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মেট্রো চলার কথা রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: চাপে পড়ে ১০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করল কলেজ কর্তৃপক্ষ

    Dakshin Dinajpur: চাপে পড়ে ১০০ টাকার অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করল কলেজ কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে চাপে পড়ে ১০০ টাকায় অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিল কলেজ কর্তৃপক্ষ। দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) তপনের নাথানিয়াল মুর্মু কলেজের অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই, সংবাদ মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। মাত্র ১০০ টাকায় অধ্যাপক! শিক্ষার এই মূল্যায়ন! কলেজের ওয়েব সাইট থেকে সারানো হল এই নিয়োগের বিজ্ঞাপন। বিরোধীরা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার কোনও সম্মান নেই। একই ভাবে কিছুদিন আগে বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস প্রতি ৩০০ টাকায় অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞাপনকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল।পাশাপাশি একে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থার চরম খারাপ সময় বলে উল্লেখ করল বিজেপি।

    কলেজের বিজ্ঞাপনে কী বলা হয়েছিল (Dakshin Dinajpur)?

    এই সেপ্টেম্বর মাসের ১১ তারিখে কলেজে অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞাপনে বলা হয়, চারটি বিষয়ে মোট অধ্যাপক নিয়োগ হবে ছয় জন। নিযুক্ত শিক্ষকদের প্রতি ক্লাসের জন্য ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে। বিজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, প্রতি সপ্তাহে ১৫টির বেশি ক্লাস করতে পারবে না। অধ্যাপকদের যাতায়াতের জন্য কোনও ভাড়া দেওয়া হবে না। ফলে অতিথি অধ্যাপকদের মাসিক বেতনের পরিমাণ মোট দাঁড়ায় মাত্র ৬০০০ টাকা। এত কম টাকায় অধ্যাপকদের পারিশ্রমিককে ঘিরে শিক্ষামহলে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। আর এরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষ (Dakshin Dinajpur) এই বিজ্ঞাপন ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেয়।

    কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    কলেজ পরিচালন কমিটির সভাপতি অমলকুমার রায় বলেন, কলেজে অধ্যাপকের সংখ্যা বেশ কম। ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্লাসের সংখ্যাও অনেক বেশি করাতে হচ্ছে। তাই অতিথি অধ্যাপক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই পদের জন্য ক্লাস প্রতি ১০০ টাকা খুবই কম  বলে মনে করছেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের কলেজ ফান্ড থেকে এই বেতন দিতে হবে। 

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেন, “কলেজের অতিথি অধ্যাপকদের বেতন ১০০ দিনের কাজের থেকেও কম। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে হারমোনিয়াম বাজাচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী নিখোঁজ। রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে”।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: পর পর তিন কন্যাসন্তান, স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে এ কী করলেন যুবক?

    Malda: পর পর তিন কন্যাসন্তান, স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে এ কী করলেন যুবক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরপর তিন কন্যা সন্তান হওয়ায় নিজের সন্তান ও স্ত্রীকে কীটনাশক খাইয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ মিথ্যে বলে দাবি জানাচ্ছেন অভিযুক্ত স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মালদা (Malda) জেলার গাজোল থানার গোসানিবাগ এলাকায়। গৃহবধূ ও তাঁর এক মেয়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকি দুই মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদার (Malda) গাজোল থানার আলতোর গ্রামের যুবতী অর্পিতা মণ্ডল ভালোবেসে গোসানিবাগ এলাকার দীপক মণ্ডলের সঙ্গে ১২ বছর আগে তাঁরা বিবাহ করেন। বিয়ের পর তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই গৃহবধূ। তারপর থেকেই অত্যাচার বেড়ে যায় ওই গৃহবধূর ওপর বলে অসুস্থ বধূর পরিবারের সদস্যদের দাবি। এই নিয়ে একাধিকবার গৃহবধূকে মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। রবিবার রাতে গৃহবধূ ও তাঁর তিন কন্যা সন্তানকে কীটনাশক খাওয়ানোর চেষ্টা করে অভিযুক্ত বাবা। অভিযুক্ত বাবা তাঁর এক মেয়ে ও তাঁর স্ত্রীকে যখন কীটনাশক খাওয়াচ্ছিলেন তা দেখে দুই কন্যা সন্তান সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে গ্রামবাসীদেরকে বিষয়টি জানান। গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি ছুটে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এক কন্যা মেয়ে ও তাঁর মাকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দুজনকে।

    কী বললেন গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকজন?

    এই বিষয়ে মালদার (Malda) গাজোল থানায় অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ওই গৃহবধূর পরিবারের সদস্যরা। অসুস্থ গৃহবধূর বাবা গণেশ মণ্ডল বলেন, মেয়ের পরপর তিন কন্যা সন্তান হওয়ায় অপরাধ। আমার মেয়েকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার করে চলেছে জামাই। গতকাল রাতে আমার মেয়ে এবং তিন নাতনিকে কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। সেই সময় দুই নাতনি সেইখান থেকে পালিয়ে গ্রামবাসীদেরকে বিষয়টি জানাই। নাহলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। থানায় অভিযোগ করেছি। জামাইয়ের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

    অভিযুক্ত যুবকের কী বক্তব্য?

    অভিযুক্ত যুবক দীপক মণ্ডল বলেন, স্থানীয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে আমার স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। সেই বিষয়টি জানাজানি হতেই আমার স্ত্রী আমার মেয়েদেরকে কীটনাশক খাইয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে।  আমাকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    Birbhum: “বিজেপির হয়ে খুব পোস্ট করছিস” বলেই নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের হয়ে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করায় বিজেপি নেতার মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারল দুষ্কৃতীরা। তিন জন দুষ্কৃতী মুখে গামছা বেঁধে, নিজেদের মুখ আড়াল করে বিজেপির নেতাকে গুরুতর আঘাত করে বলে জানা গেছে। এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিজেপির তরফ থেকে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। তবে ঠিক কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তাদের এখনও চিহ্নিত করা যায়নি।

    কোথায় ঘটল ঘটনা (Birbhum)?

    জানা গেছে, বিশ্বকর্মা পুজোর আগের দিন বীরভূমের (Birbhum) মাড়গ্রাম থানার তপন এবং সুরফুলা গ্রামের কাছেই এক বিজেপি কর্মীকে মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। এই বিজেপি কর্মী যুবমোর্চার মণ্ডল সভাপতি। আহত কর্মীর নাম সুজিত হালদার। মুখে কাপড় বেঁধে পেছন থেকে আঘাত করলে ব্যাপক ভাবে রক্তাক্ত হন তিনি। এরপর স্থানীয়রা তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যান।

    আহত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    গতকাল রাত ন’টার সময় সুজিত হালদার রামপুরহাট (Birbhum) থেকে মোটর সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এই সময়ে আচমকা চারজন দুষ্কৃতী মুখের কাপড় বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথার পেছন দিকে কোপ দেয়। এছাড়াও তাঁর শরীরে আরও বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। আঘাতের ফলে শরীরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সুজিত হালদার বলেন, “আঘাত করার সময় দুষ্কৃতীরা বলেছে, তুই বিজেপির হয়ে সামাজিক মাধ্যমে খুব পোস্ট করছিস। খুব বড় বিজেপির নেতা হয়েছিস না। ঠিক এই কথা বলতে বলতে এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করে আমাকে।”

    পুলিশে অভিযোগ

    এই ঘটনার কথা জানিয়ে প্রাথমিক ভাবে মাড়গ্রাম (Birbhum) থানায় অভিযোগ জানানো হয়। বিজেপির দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুজিত বিজেপির হয়ে প্রচুর কাজ করেছেন। আর এই জন্যই শাসক দল তাঁকে আটকাতে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। সুজিত সামজিক মাধ্যমে তৃণমূল শাসকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হলে তাঁকে শাসক দল নিশানা করে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nipah Virus: দক্ষিণের পর নিপার দাপট বাংলাতেও? তাল ও খেজুর রস থেকে সাবধান

    Nipah Virus: দক্ষিণের পর নিপার দাপট বাংলাতেও? তাল ও খেজুর রস থেকে সাবধান

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফের ফিরছে করোনার স্মৃতি! ইতিমধ্যেই কেরলের একাধিক জায়গায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুর প্রশাসন। এবার অবশ্য নেপথ্যে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)! কিন্তু কেরলের পরে সংক্রমণের ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। তাই উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী এই নিপা ভাইরাস (Nipah Virus)? 

    বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, নিপা ভাইরাস এক ধরনের জুটোনিক ভাইরাস। প্রাণীর দেহ থেকেই মানুষের দেহে এই রোগ ছড়ায়। সাধারণত বাদুড় জাতীয় প্রাণীর থেকেই মানুষের দেহে এই ভাইরাস (Nipah Virus) হানা দেয়। তারপরে সংক্রমণ ছড়ায়।

    কেরলের কী পরিস্থিতি? 

    সম্প্রতি, কেরলে নিপা ভাইরাস (Nipah Virus) দাপট বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই দু’জন নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কোঝিকোড় সহ একাধিক জায়গায় লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। সংক্রমণ ঠেকাতে ভিড় এড়ানো, মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

    কেন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে আশঙ্কা থাকছে? 

    কেরলে নিপা ভাইরাসের দাপট বাড়তেই পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। কারণ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির রিপোর্ট জানাচ্ছে, কেরলের পরে যে কয়েকটি রাজ্যের নিপা নিয়ে সতর্ক থাকা জরুরি, তার মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এছাড়াও অসম, মেঘালয়, বিহার, তামিলনাড়ু নিয়েও বিশেষ সতর্কতা জরুরি বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির ওই রিপোর্ট। 
    সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নিপা হয় বাদুড় থেকে। বিশেষত তাল আর খেজুর গাছে এই বাদুড় থাকে। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল সহ একাধিক রাজ্যে খেজুরের রস খাওয়ার রীতি রয়েছে। এমনকি খেজুর রস পচিয়ে নেশার পানীয় তৈরির রীতিও চালু আছে। আর সেখান থেকেই নিপা ভাইরাসের (Nipah Virus) প্রকোপ ছড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন? 

    নিপা ভাইরাসের সংক্রমণ হলে সর্দি-কাশি, জ্বরের মতোই উপসর্গ দেখা দেয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই সর্দি-কাশি আর জ্বরকে এই মরশুমে সাধারণ সমস্যা বলে আর অবহেলা করা চলবে না। সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ হলেই নিজেকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। অর্থাৎ, আলাদা ঘরে আলাদা ভাবে থাকতে হবে। যাতে রোগ (Nipah Virus) সংক্রমণ না হয়। তাছাড়া, বাইরে গেলে মাস্ক পরা আবশ্যক বলেও পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বাইরে থেকে ফিরে পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। ঠিক মতো হাত পরিষ্কার করতে হবে। সাবান দিয়ে ঠিকমতো হাত ধোয়া দরকার। তাহলে রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তাছাড়া, ভিড় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। বিশেষত শিশুদের দিকে বাড়তি নজরদারি জরুরি বলে জানাচ্ছেন শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ। কারণ, অধিকাংশ শিশুর রোগ প্রতিরোধ শক্তি কম থাকে। তাই এই ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: বিশ্বকর্মা পুজোয় ‘জাম্বো’ জিলিপি উৎসবে মাতে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Bankura: বিশ্বকর্মা পুজোয় ‘জাম্বো’ জিলিপি উৎসবে মাতে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পুজোর দিন আজ বাঁকুড়ার (Bankura) কেঞ্জাকুড়ার গ্রাম মেতেছে জাম্বো জিলিপি পরবে। ফি বছর ভাদ্র মাসের সংক্রান্তির দিন ভাদু ও বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে কেঞ্জাকুড়ার ঘরে ঘরে জাম্বো জিলিপি খাওয়ার পরম্পরা চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। আর এমন পেল্লাই সাইজের জিলিপি তৈরির কারিগরদের মুন্সিয়ানা বাংলার মিষ্টান্ন শিল্পের গর্ব।

    জাম্বো জিলিপির দাম কত জানেন? (Bankura)

    বংশ পরম্পরায় এই কারিগররা জিলিপি তৈরি করে আসছেন। তবে ঠাকুরদা, বাবা, জ্যাঠাদের আমলে যে পেল্লাই সাইজের জিলিপি হত, তা দিন দিন কমতে বসেছে। আগে সাত-আট কেজি পর্যন্ত ওজনের জিলিপি বানানো হত। এখন তা অর্ধেকে এসে ঠেকেছে। এখন সবথেকে বেশি ৩ কেজি পর্যন্ত ওজনের জিলিপি ছাঁকা হচ্ছে। কেজি প্রতি জাম্বো জিলিপির দাম ১৫০ টাকা। কোভিড আবহে টানা দু’বছর এই জাম্বো জিলিপির বাজার মন্দা গিয়েছে। গত বছরও বাজার ভালো ছিল না। এবারও জাম্বো জিলিপির বরাতেও টান পড়েছে। কারণ, এক সময়ের বাঁকুড়ার (Bankura) কাঁসা, পিতলের শিল্প গ্রামের তকমা সাঁটা কেঞ্জাকুড়ায় কাঁসা-পিতল শিল্পতেও এখন ভাটার টান। এলাকার কাঁসা শিল্পীদের রুজিরুটিতে টান। পাশাপাশি, এখানকার তাঁত শিল্পও রুগ্নপ্রায়। সবমিলিয়ে কেঞ্জাকুড়ার গ্রামীণ অর্থনীতির মন্দার আঁচ লেগেছে জাম্বো জিলিপির সাইজে। এবার আর আকার নিয়ে মাথাব্যথা নেই। কেবল পরম্পরা রক্ষায় নাম মাত্র জিলিপির বেচা-কেনা হচ্ছে।

    কী বললেন মিষ্টি দোকানের মালিক ও কারিগররা?

    মন ভালো নেই জাম্বো জিলিপির দোকানদার নিতাই দত্তের। তিনি বলেন, আগে বড় সাইজের জিলিপি কেনার জন্যই দোকানে ক্রেতাদের ভিড় লেগে থাকত। আগে থেকে অর্ডারও থাকত অনেক। এখন সে সব আর কিছুই নেই। কারিগর ফটিক রায় জানান, এখন আর আগের মতো বিশাল মাপের জিলিপি হয় না। সেই বড় কড়াই, ঝাঝরাও নেই। এখন চাহিদা মতো সাড়ে সাতশো থেকে এক কেজি, দুই কেজি, আড়াই কেজি, সর্ব্বোচ্চ তিন কেজি ওজন পর্যন্ত জিলিপি ঝাঁকা হয়। এই জিলিপি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় কলাইয়ের বেসন, চালগুঁড়ি ও রুল ময়দা। আর থাকে বেকিং সোডা। জিলিপি ঝেঁকে ফেলা হয় গরম রসে। তারপর তা শালপাতায় মুড়ে খবরের কাগজের আস্তরণ দিয়ে তুলে দেওয়া হয় ক্রেতার হাতে।

    প্রিয়জনদের এই জিলিপি উপহার দেওয়ার চল রয়েছে গ্রামে

    প্রদীপ মোদক নামে এক ক্রেতা বলেন, প্রতি বছরের মতো আমার মতো গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্দা এবারও জিলিপি কিনেছেন। নিজে কেনার পাশাপাশি, অন্যন্য আত্মীয়দেরও তিনি এই জিলিপি পাঠিয়েছেন। প্রিয়জনদের এই জিলিপি উপহার দেওয়ার চল রয়েছে এই গ্রামে। এক সময় এখানকার জমিদারদের মধ্যে কে কত বড় জিলিপি বাড়ি নিয়ে যেতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলত। এমনকী ছেলে বা মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে বাড়িতে জাম্বো জিলিপি পাঠিয়ে নিজের প্রতিপত্তি জাহির করার চল ছিল। এখন সে সব অতীত। নতুন প্রজন্ম এখন ফাস্টফুড মুখী। তাই তারাও জাম্বো জিলিপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় এই শিল্প আর কত দিন টিকে থাকবে? তা নিয়ে আশঙ্কায় এই জিলিপির কারিগররা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: মমতার স্পেন সফরকে যেন বিদ্রুপ করছে ১৩ বছর বন্ধ থাকা আসানসোলের ব্লু ফ্যাক্টরি!

    Asansol: মমতার স্পেন সফরকে যেন বিদ্রুপ করছে ১৩ বছর বন্ধ থাকা আসানসোলের ব্লু ফ্যাক্টরি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ বছর আগে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্লু ফ্যাক্টরি নিয়ে এখনও স্বপ্ন দেখছেন অবশিষ্ট কয়েকজন শ্রমিক। আসানসোলের (Asansol) ধাদকা এলাকায় অবস্থিত এই ব্লু ফ্যাক্টরিতে একটা সময় কাজ করতেন শত শত শ্রমিক। আর সেই সময় বিশ্বকর্মা পুজো মানেই তিন দিন ধরে অনুষ্ঠান চলত এই কারখানায়। কত লোকের যাওয়া-আসা, লাইট, প্যান্ডেল, ধুমধাম করে জাঁকজমকপূর্ণ পুজো হত এই কারখানায়। চলত দেদার প্রসাদ বিতরণ এবং খাওয়াদাওয়া। এখন বন্ধ কারখানা কবে খুলবে, সেই আশায় প্রহর গুনছেন শ্রমিকরা।

    কারখানা বন্ধ বলে কি আড়ম্বরবিহীন বিশ্বকর্মা পুজো (Asansol)?

    আজ থেকে এক দশকের বেশি সময় আগেই ঘুচে গেছে সেই সব স্বর্ণ-উজ্জ্বল বিশ্বকর্মা পুজোর দিনগুলি। এখন শুধুই বন্ধ কারখানা (Asansol)। তাই নিরাপত্তা রক্ষীদের পাহারা দেওয়া ছাড়া আর কোনও কাজ নেই কারখানায়। অবশিষ্ট কয়েকজন শ্রমিক ছাড়া এই কারাখানায় আর কেউ নেই। বিশ্বকর্মা পূজোতেও নেই কোনও জাঁকজমক এবং আড়ম্বর। নিয়ম রক্ষা করতেই কেবল পুজো করা, ঠিক এমনটা জানাচ্ছে নিরাপত্তা রক্ষীর দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। সময়ের কালে জরাজীর্ণ ভগ্নদশায় আচ্ছন্ন এই কারখানা। ব্লু ফ্যাক্টরির শ্রমিক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা কারখানাকে কেন্দ্র করে নতুন কিছুর আশায় বুক বাঁধছেন। কারাখনা বন্ধ হওয়ায় এলাকার অনেক মানুষের কাজ চলে গেছে। মানুষকে বিকল্প কাজের সন্ধান করতে হয়েছে। সবটা মিলিয়ে অনাড়ম্বর বিশ্বকর্মা পুজো কার্যত বন্ধ কারখানায় কর্মহীনতার প্রতীক।

    কারখানার শ্রমিকের বক্তব্য

    কারখানার এক শ্রমিক নিমাই বাউরি বলেন, “আজ ১৩ বছর ধরে কারখানা বন্ধ। মাত্র কয়েকজন শ্রমিক এই কারখানায় কাজ করেন। আমরা কেবল কয়েকজন মিলে কারখানাকে পাহারা দিচ্ছি। কর্তৃপক্ষ আজ, কাল, পরশু বলে বন্ধ কারখানা খোলার কথা বললেও এখনও পর্যন্ত কোনও সদর্থক ভূমিকা চোখে পড়েনি।” কারখানার নামে আদালতে কেস চলেছে বলে জানা গেছে। তবে মালিক পক্ষ কেসের পরিণতি নিয়ে কিছুই বলছেন না। কেসের সমাধান কবে হবে, সেই বিষয়েও স্পষ্ট করে জানা যাচ্ছে না। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “কারখানার পারিকাঠামো দিন দিন ভেঙে পড়ছে। কারখানায় কোনও বিদ্যুতের পরিষেবা নেই। জরাজীর্ণ এই কারখানা কবে প্রাণ ফিরে পাবে, সেই আশায় আমরা দিন গুনছি। আপাতত আমরা ছোট্ট করেই বিশ্বকর্মা পুজো করছি। মালিক পক্ষ এই পুজোর জন্য কোনও সহযোগিতা করেছেন না। আগে বিরাট ধুমধাম করে পুজো হত। এই বন্ধ কারখানার  তালা কবে খুলবে, সেই আশায় দিন গুনছি আমরা”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • SBI: সময়ে ঋণ শোধ করেননি? স্টেট ব্যাঙ্ক চকোলেট নিয়ে হাজির হতে পারে বাড়ির দরজায়

    SBI: সময়ে ঋণ শোধ করেননি? স্টেট ব্যাঙ্ক চকোলেট নিয়ে হাজির হতে পারে বাড়ির দরজায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যাঙ্ক (SBI) থেকে ঋণ নিয়েছেন, কিন্তু ইএমআই শোধ করছেন না? তাহলে ব্যাঙ্কের তরফ থেকে কর্মীরা এবার আপনার বাড়িতে চকোলেট নিয়ে হাজির হবেন। খুচরো ঋণ আদায় করার ক্ষেত্রে এমনই অভিনব পদক্ষেপ নিতে চলেছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সূত্রের খবর, বাড়িতে হাজির হয়ে এভাবেই ঋণগ্রহীতাদের ঋণের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন কর্মীরা। স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে আরও জানানো হয়েছে যে সাধারণভাবে যাঁরা ঋণ গ্রহণ করে শোধ করতে চান না, তাঁরা কোনওভাবেই ফোন ধরেন না। তাই না বলে তাঁদের বাড়িতে হাজির হওয়াটাই ঠিক হবে বলে মনে করছে ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। স্টেট ব্যাঙ্ক (SBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রচার এখন অবশ্য পাইলট প্রজেক্ট হিসেবেই রয়ে গেছে। ১০ থেকে ১২ দিন আগেই এটি শুরু করা হয়েছে এবং প্রাথমিকভাবে বেশ ভালো সাড়াও মিলেছে। এই পাইলট প্রজেক্ট আশাব্যঞ্জক হলে ব্যাঙ্ক পরবর্তীকালে তা বড় আকারেও গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে।

    কী বলছেন ম্যানেজিং ডিরেক্টর? 

    এবিষয়ে স্টেট ব্যাঙ্কের (SBI) ম্যানেজিং ডিরেক্টর অশ্বিনীকুমার তিওয়ারি জানিয়েছেন, ঋণ গ্রাহকদের ঋণের কথা মনে করাতেই এমন অভিনব পন্থা নেওয়া হয়েছে। দুটি অর্থনৈতিক প্রযুক্তি সংস্থা এ বিষয়ে দেখাশোনা করবে বলেও জানিয়েছেন অশ্বিনীকুমার তেওয়ারি। তাঁরাই গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চকোলেট নিয়ে গিয়ে তাঁদের ঋণের কথা মনে করাচ্ছেন। যদিও এই সংস্থা দুটির নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি অশ্বিনীকুমার তিওয়ারি।

    ঋণগ্রহীতার পরিমাণ বেড়েছে স্টেট ব্যাঙ্কে

    অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে স্টেট ব্যাঙ্কে (SBI) গ্রাহকদের ঋণ নেওয়ার পরিমাণও বেশ খানিকটা বেড়েছে। ২০২৩ সালে জুন মাসে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ১২ লাখ ৪ হাজার ২৭৯ কোটি টাকা ছিল। ২০২২ সালের জুনে এই ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৩৪ হাজার ১১১ কোটি টাকা। অর্থাৎ হিসাব বলছে এক বছরের মধ্যে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বেড়েছে ১৬.৪৬ শতাংশ। স্টেট ব্যাঙ্কের তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে এর বেশিরভাগটাই হল খুচরো ঋণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: মুখ্যমন্ত্রী শিল্প আনতে স্পেনে, রাজ্যেই বাঁকুড়ার দ্বারিকা শিল্পতালুক যেন শ্মশানভূমি!

    Bankura: মুখ্যমন্ত্রী শিল্প আনতে স্পেনে, রাজ্যেই বাঁকুড়ার দ্বারিকা শিল্পতালুক যেন শ্মশানভূমি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী স্পেনে গিয়ে রাজ্যে বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করছেন। অথচ রাজ্যে শিল্পের পরিকাঠামো রয়েছে, একাধিক কলকারখানা চালুও ছিল। স্রেফ সরকারের উদ্যোগের অভাবে একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুরের দ্বারিকায়। সরকারের কোনও হেলদোল নেই। এমনই অভিযোগ বন্ধ কারখানার কাজ হারানো শ্রমিকদের। ২০১৪ সালের পর থেকে দ্বারিকায় বন্ধ হতে থাকে একের পর এক কলকারখানার দরজা। কাজ হারান এলাকার হাজার পাঁচেক শ্রমিক।

    দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল কবে গড়ে উঠেছিল? (Bankura)

    আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন ‘বিষ্ণুপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ সেন্টার’ তৈরি করতে উদ্যোগী হয়। বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর শহরের কাছে দ্বারিকা-গোসাঁইপুর পঞ্চায়েত এলাকায় শুরু হয় জমি অধিগ্রহণ। দ্বারিকা, শ্যামসুন্দরপুর, অবন্তিকা ও বিষ্ণুপুরের বাসিন্দারদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়। গত শতাব্দীর আটের দশকের প্রথম দিকে প্ৰায় ১৯৬ একর জায়গা জুড়ে এই শিল্পতালুকের পথচলা শুরু হয়। সরকারি ভর্তুকিতে চালু হয় ১০টি কারখানা। ২০১৪ সালের পর থেকে একে একে তা নিভতে থাকে। দ্বারিকা গ্রামই নয়, আশপাশের শ্যামসুন্দরপুর, দেউলি, সুভাষপল্লি, অবন্তিকা, বনমালিপুর, জয়কৃষ্ণপুর, জয়রামপুর থেকে তিন শিফটে হাজার-হাজার শ্রমিক এই শিল্পতালুকে কাজ করতেন। কিন্তু, এখন তা শ্মশানভূমিতে পরিণত হয়েছে।

    দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলে আগে কেমন হত বিশ্বকর্মা পুজো?

    বছর কয়েক আগেও বিশ্বকর্মা পুজোয় শিল্পতালুক আলোয় সেজে উঠত। বড় বড় শামিয়ানা ও মণ্ডপ তৈরি হত। গান-বাজনা হত। এলাহি খাবারের আয়োজন থাকত। ছেলেমেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে কর্মীরা কারখানায় যেতেন বিশ্বকর্মা পুজো দেখতে। আর শিল্পাঞ্চলে কারখানাগুলোর গেটে ঝুলছে বড় বড় তালা। বিশ্বকৰ্মা পুজো হয় না, আলোর রশ্মিও দেখা যায় না। এহেন পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা দিন গুনছেন কবে এই শিল্পতালুকে ফের কারখানাগুলি চালু হবে। গমগম করে উঠবে এলাকা, হাতে সেই আগের মতো কাজ ফিরে পাবেন শ্রমিকরা।

    দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    অন্যদিকে, বাঁকুড়ার (Bankura) দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল নিয়ে শাসক-বিরোধী একে অপরের দিকে কাদা ছোড়াছুড়িতেই ব্যস্ত। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস বলেন, দ্বারিকা শিল্পাঞ্চল বন্ধ হয়েছে তৃণমূল সরকারের আমলে। দ্বারিকায় তৃণমূল কংগ্রেস নতুন শিল্প চালু করেছে, সেটা হল দ্বারিকা শিল্পাঞ্চলের যন্ত্রাংশ বিক্রি করার। অন্যদিকে, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দ্বারিকায় যে শিল্পগুলি ছিল, সিপিএম-এর আমলে সেই কারখানাগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ওই জায়গায় নতুন করে  কারখানা তৈরির কথা তৃণমূল সরকার ভাবছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share