Blog

  • Uttar Dinajpur: বিজেপি করায় ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে তৃণমূল, শিক্ষকের পাশে দাঁড়াল ছাত্রছাত্রীরা!

    Uttar Dinajpur: বিজেপি করায় ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে তৃণমূল, শিক্ষকের পাশে দাঁড়াল ছাত্রছাত্রীরা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রিয় শিক্ষককে পুনরায় স্কুলে ফেরাতে এবার ক্লাস বয়কট করে আন্দোলনে নামল ছাত্রছাত্রীরা। তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন বিদ্যালয়েরই অন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ শিক্ষাকর্মীরা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার চোপড়ার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত টাটু সিংহ স্মৃতি হাই স্কুলে। মূলত, বিজেপি দল করার অপরাধে বুধবার ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক ভবেশ করকে স্কুল থেকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই বিদ্যালয়েরই পরিচালন সমিতির সদস্য, প্রধান শিক্ষক সহ বহিরাগত কিছু তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।

    আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি

    এরই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার স্কুলগেটের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন ওই শিক্ষক। শুক্রবার ওই শিক্ষককে নিগ্রহ করার প্রতিবাদে এবং পুনরায় তাঁকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসার দাবিতে ক্লাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নেয় ছাত্রছাত্রীরা। তাদের এই দাবির পাশে দাঁড়ান ওই বিদ্যালয়েরই অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ অশিক্ষক কর্মীরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে ভবেশবাবুকে বিদ্যালয়ের কাজে যোগ দেওয়াতে হবে। তা না হলে এই আন্দোলন চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় ছাত্র-ছাত্রীসহ শিক্ষক শিক্ষিকারা (Uttar Dinajpur)।

    কী ঘটেছে আগে?

    উল্লেখ্য, ২০২১ সালে চোপড়ায় মাম্পি সিংহ নামে এক নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছিল গোটা জেলা (Uttar Dinajpur)। তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে পরিবার এবং জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। দোষীদের শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভে নামে বিজেপি। সেই ঘটনায় পথ অবরোধ ও সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের অভিযোগে ভবেশবাবুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে তাঁর সাজা ঘোষণা হয়। প্রায় ২৭ দিন জেল হেফাজতে থাকার পর গত ২৪ শে অগাস্ট ছাড়া পান ভবেশবাবু। তারপর তিনি আবার স্কুলে কাজে যোগ দেন। যদিও কাজে যোগ দেওয়ার পরও তাঁকে রেজিস্টারে সই করতে দেওয়া হচ্ছিল না বলে অভিযোগ ভবেশবাবুর। ছাত্র-ছাত্রী এবং সহকর্মীদের পাশে পেয়ে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ভবেশবাবু।

    কী বললেন প্রধান শিক্ষক?

    অন্যদিকে গোটা ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রণবকুমার বারুই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গোটা ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আইনি নিয়ম মেনে ভবেশবাবুকে বিদ্যালয়ে (Uttar Dinajpur) যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Bankura: স্কুলের পাশেই বারুদের স্তূপে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ! প্রশাসন কি এতটাই অপদার্থ?

    Bankura: স্কুলের পাশেই বারুদের স্তূপে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ! প্রশাসন কি এতটাই অপদার্থ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তার এ প্রান্তে সরকারি মডেল স্কুল, আর তার ৫০ ফুট দূরত্বে আরেক প্রান্তে ওয়েস্ট বেঙ্গল ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নামে সরকারি অধীনস্থ এক বেসরকারি সংস্থার কারখানা। যে কারখানায় (Bankura) রাজ্যের বিভিন্ন জেলার সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতাল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার বর্জ্য পদার্থ নষ্ট করা হয় বিভিন্ন রাসায়নিক প্রক্রিয়ায়। কিন্তু সেই কারখানায় এবার বারুদ নিষ্ক্রিয় করার ঘটনায় উঠে এল একাধিক প্রশ্ন।

    গল গল করে বের হচ্ছে আগুন ও কালো ধোঁয়া (Bankura)

    উল্লেখ্য, উচ্চ শব্দ সৃষ্টিকারী বেআইনি বাজি ও আতশবাজি রোধে রাজ্যের বিভিন্ন থানা বাজেয়াপ্ত করেছে একাধিক অবৈধ বাজি ও আতশবাজি। আর সেই সকল বাজি ও আতশবাজি প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছে এই বেসরকারি সংস্থায়। কিন্তু সেই আতশবাজি নিষ্ক্রিয় করার ঘটনায় ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী রইলেন সরকারি সেই মডেল স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গ্রামের মানুষজন। গত পরশুদিন অর্থাৎ বুধবার পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুর থানায় বাজেয়াপ্ত করা বেশ কিছু আতশবাজি নিষ্ক্রিয় করার জন্য লরিতে করে আনা হয় এই কারখানায় (Bankura)। নিষ্ক্রিয় প্রক্রিয়া চলাকালীন ঘাটে বিস্ফোরণ। বিস্ফোরণের তীব্র আওয়াজে গোটা স্কুল জুড়ে শুরু হয় ছাত্রছাত্রীদের হুড়োহুড়ি। ক্লাস থেকে বেরিয়ে আছে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শিক্ষক শিক্ষিকারা। ঘটনার তদন্তে স্কুলের শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীরা ছাদের উপরে গেলে দেখতে পান, স্কুলের পাশের কারখানা থেকে গল গল করে বের হচ্ছে আগুন ও কালো ধোঁয়া। গোটা আকাশ ঢাকা পড়ে কালো ধোঁয়ায়। বিকট আওয়াজ ও ধোঁয়া দেখে আতঙ্কে পড়ে যান কারখানার অদূরে থাকা গ্রামবাসীরাও।

    কারখানা (Bankura) বন্ধ করার দাবি

    গ্রামবাসীদের দাবি, ভয়ঙ্কর শব্দে গ্রামের কাঁচা বাড়ির দেওয়াল কেঁপে ওঠে। ঘটনার আতঙ্কের ছাপ এখনও গোটা এলাকা জুড়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্কুলের অদূরে কীভাবে গড়ে উঠতে পারে এমন একটি কারখানা? ২০১৬ সালে নির্মিত হয় শালতোড়া ব্লকের পাবয়া গ্রামে সরকারি এই মডেল স্কুল। ২০২১ সালে এই মডেল স্কুলের পাশেই নির্মিত হয় এই  বেসরকারি সংস্থা। তাহলে প্রশ্ন উঠছে সরকারি স্কুলের পাশেই কারখানা নির্মাণে কিভাবে ছাড়পত্র পেল এ সংস্থা? সংশ্লিষ্ট দপ্তর কি আদৌ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দিয়েছিলেন এই ছাড়পত্র? প্রশাসন কি এতটাই অপদার্থ? তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এমনকি গ্রামের মানুষের একটাই দাবি, এই কারখানায় (Bankura) অবিলম্বে বন্ধ করা হোক বাজি ও আতশবাজি নিষ্ক্রিয় করার কাজ। যদিও শালতোড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: কবে সম্ভব রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন? জানতে চাইল আদালত

    Calcutta High Court: কবে সম্ভব রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন? জানতে চাইল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটির নির্বাচনের দিনক্ষণ কবে করা সম্ভব? রাজ্যের কাছে তা জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই মর্মে নির্দেশ দেন আগামী মঙ্গলবার এর মধ্যে অর্থাৎ ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রাজ্যকে জানাতে হবে যে রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতিতে কবে নির্বাচন হচ্ছে? পাশাপাশি বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন না পর্যন্ত স্থায়ী সমিতি গঠন হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত বিরোধী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবে না পুলিশ। 

    বিচারপতির পূর্বের নির্দেশ

    প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১১ তারিখ বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা ওই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি গঠনের উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন। এর ফলে সভাপতি নির্বাচিত হলেও সেখানে কোনও স্থায়ী কমিটি গঠন হয়নি, ইতিমধ্যে ডোমকলের মহকুমা শাসককে হাইকোর্ট জানিয়েছিল যে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী কমিটির কোনও রকমের বৈঠক ডাকা যাবে না। শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মর্মে শুনানি চলাকালীন রাজ্যের মতামত জানতে চাইলেন অমৃতা সিনহা।

    আরও পড়ুন: মউ স্বাক্ষরই সার, মমতার এবারের বিদেশ সফরের নিটফল সেই ‘অশ্বডিম্ব’!

    বিরোধীরা সংখ্যাগরিষ্ঠ

    প্রসঙ্গত, রানিনগরের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন বাম সমর্থিত একজন কংগ্রেস প্রার্থী। কিন্তু বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, পুলিশকে ব্যবহার করে স্থায়ী সমিতি গঠন করতে দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। একই সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিকে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। ৬ জন বিরোধী সদস্যের ওপর বর্তমানে মামলা চলছে। কংগ্রেসের দাবি, ভোটে অংশ নিতে চান তাঁরা। প্রসঙ্গত, রানিনগর পঞ্চায়েত সমিতির মোট সদস্য ৪২ জন। বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা এখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়।

    আরও পড়ুুন: “ওরা সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায়”, মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ইন্ডি-জোট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “গোটা বাংলাকে বাজান তিনি, এখন বিদেশে গিয়ে বাজাচ্ছেন”, মমতাকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “গোটা বাংলাকে বাজান তিনি, এখন বিদেশে গিয়ে বাজাচ্ছেন”, মমতাকে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী অপদার্থ, চটি-চাটা!” কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পাশাপাশি মমতা ব্যানার্জির পিয়ানো বাজানো নিয়ে তিনি বলেন, “সারা বছর গোটা বাংলাকে বাজান তিনি, এখন বিদেশে গিয়ে বাজাচ্ছেন।” মূলত ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গোটা দেশ জুড়ে মাটি সংগ্রহ করছে বিজেপি। এদিন নদিয়ার কৃষ্ণনগর সমরপল্লি এলাকায় বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে ঘুরে মাটি সংগ্রহ করেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাঁর সঙ্গে জেলার প্রথম সারির নেতৃত্ব এবং প্রচুর কর্মী-সমর্থকরা ছিলেন। তাঁদেরকে নিয়েই বাড়ি বাড়ি যান এবং সকলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এরপর সেখান থেকে চলে যান দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে বিভিন্ন পঞ্চায়েত স্তরের জনপ্রতিনিধি নিয়ে একটি বৈঠক করেন।

    নিম্নবিত্ত পরিবারে মধ্যাহ্নভোজন (Sukanta Majumdar)

    এরপর ওই এলাকার একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেন। ভোজনের মেনুতে ছিল ভাত, ডাল, দুই রকমের মাছ, শাক-সবজি পাঁপড়, মিষ্টি, দই এবং চাটনি। এরপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, “করিমপুর থেকে বনগাঁ পর্যন্ত একটি জাতীয় সড়ক হওয়ার প্রকল্প দীর্ঘদিন আগেই অনুমোদিত হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের অনীহার ফলে জমি অধিগ্রহণ করা যাচ্ছে না। সেই কারণেই কেন্দ্র সরকারের ওই প্রকল্পের টাকা পড়ে রয়েছে। অন্যদিকে তিনি বলেন, পলাশিতে যে ঐতিহ্যবাহী সুগার মিল রয়েছে, সেটাও কয়েক দশক ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। এখানেও কেন্দ্র সরকার একাধিক উদ্যোগ নেওয়া সত্বেও রাজ্য সরকার কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। তিনি বলেন, কৃষ্ণনগরের বেলেডাঙা মোড়ে রেল দফতরের পক্ষ থেকে একটি ব্রিজ করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে দীর্ঘক্ষণ সাধারণ মানুষ রেল গেটে আটকে থাকে। কিন্তু সেখানেও রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহণের কোনও সদিচ্ছা না দেখানোয় সেই প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়ে আছে।”

    শিক্ষামন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ (Sukanta Majumdar)

    অন্যদিকে তিনি উপাচার্য প্রসঙ্গে বলেন, “উপাচার্যরা যদি কেন্দ্রের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সঙ্গে মিটিং করেন, তাহলে সমস্যা কোথায়। আসলে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী একটা অপদার্থ এবং চটি-চাটা।” গত পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, “একাধিক পঞ্চায়েতে ভোট গণনার দিন প্রশাসনের অত্যাচারে যেভাবে লুট-সন্ত্রাস চলেছে, তা সত্ত্বেও আমরা একাধিক পঞ্চায়েত দখল করেছি। আগামী লোকসভা ভোটে তার প্রমাণ সাধারণ মানুষ দিয়ে দেবে। প্রশাসন যদি নিয়ম অনুযায়ী না কাজ করে, তাহলে কেন্দ্র নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে কীভাবে তাদের সঠিক ভাবে কাজ করতে হয়, সেটা দেখিয়ে দেবে।” পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশে গিয়ে পিয়ানো বাজানো নিয়েও কটাক্ষ করেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum News: বীরভূমে কোন্দল শাসক দলে, কাজল শেখ দায়িত্ব পেতেই ছাঁটাই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠরা?

    Birbhum News: বীরভূমে কোন্দল শাসক দলে, কাজল শেখ দায়িত্ব পেতেই ছাঁটাই কেষ্ট-ঘনিষ্ঠরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের গৃহযুদ্ধ চরম আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে জেলবন্দি রয়েছেন জেলার সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর অনুপস্থিতিতে জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্বভার রাজ্য নেতৃত্ব দিয়েছে অনুব্রতর বিরোধী নেতা বলে পরিচিত কাজল শেখকে (Birbhum News)। এবার জেলা পরিষদের সভাধিপতির দায়িত্ব পাওয়া মাত্রই অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ছাঁটতে শুরু করেছেন কাজল শেখ, এমনই অভিযোগ শোনা যাচ্ছে জেলা তৃণমূলের অন্দরে।

    প্রথমবার জিতেই জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ

    বীরভূমে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ চৌধুরিকে সরিয়ে ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সভাধিপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় কাজল শেখকে (Birbhum News)। এবার জেলা পরিষদের কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ কর্মাধ্যক্ষদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করেছেন কাজল শেখ, এমনই অভিযোগ অনুব্রত গোষ্ঠীর। এ নিয়ে তৃণমূলকে রীতিমতো কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা। কাজল শেখ অবশ্য বলছেন, যে কাজ করবে সেই স্থান পাবে। পুরনোরা কি সারাজীবন থেকে যাবে? নতুনরা কি চান্স পাবে না? খুব স্বাভাবিকভাবে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের সরানোর সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা আকারে-ইঙ্গিতে এভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন কাজল শেখ। জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পদে ছিলেন অনুব্রত অনুগামী নারায়ন হালদার এবং রবি মুর্মু। তাঁরা নিজেরাই চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা পদে থাকতে চাইছেন না। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ হিসেবে কাজল শেখ (Birbhum News) ইতিমধ্যে তাই নাম ঘোষণা করেছেন নুরুল ইসলামের।

    গোষ্ঠী কোন্দল জেলা তৃণমূলে (Birbhum News)

    বীরভূম তৃণমূলের অন্দরের এই কোন্দল অবশ্য জনগণের কাছেও ধামাচাপা থাকেনি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই বিভিন্ন কাট-আউটে দেখা যেত অনুব্রত মণ্ডলের ছবি। কিন্তু হাল আমলে অনুব্রতর ছবি বাদ গেছে। সর্বত্র দেখা যাচ্ছে কাজল শেখের ছবি। বিজেপির বীরভূম জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহার দাবি, ‘‘দাদার ভক্ত হবে না ভাইজানের ভক্ত হবে, এই লড়াই যত দিন যাবে, তত সামনে আসবে। শুধু এলোমেলো করে দে মা, লুটেপুটে খাই। এই ব্যবস্থাই চলছে (Birbhum News) তৃণমূলের।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Purba Medinipur: মগের মুলুক! পঞ্চায়েত অফিসে রাখতে হবে মমতার ছবি, বিজেপিকে হুমকি তৃণমূলের

    Purba Medinipur: মগের মুলুক! পঞ্চায়েত অফিসে রাখতে হবে মমতার ছবি, বিজেপিকে হুমকি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে কাঁথির মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েত নিরঙ্কুশ ভাবে দখল করে বিজেপি। বিজেপি পরিচালিত এই পঞ্চায়েতে রয়েছে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। বিগত দিনে তৃণমূল এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় থাকলেও স্থান পায়নি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। কিন্তু এবার বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করতেই মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেন নেই পঞ্চায়েত অফিসে, তা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাল শাসকদলের পঞ্চায়েত সদস্যরা। এখানেই উঠছে প্রশ্ন, হঠাৎ করে বিজেপি পঞ্চায়েত দখল করতেই কেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের (Purba Medinipur) মনে হল মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর কথা।

    তৃণমূলের হুমকি (Purba Medinipur)

    রাজ্যের কোনও অফিসেই স্থান পায় না সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। এ নিয়ে অবশ্য হেলদোল নেই শাসকদলের। প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের যে সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপি জিতেছে, সেখানে ভারতমাতা, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি টাঙানোর কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী (Purba Medinipur)। সেই মতো পঞ্চায়েত প্রধানদের হাতে তিনি প্রতিকৃতিও তুলে দেন। এদিনের বিক্ষোভে তৃণমূল কংগ্রেসকে অবশ্য তাদের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই হুমকি দিতে শোনা গিয়েছে, যে ১৬ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে পঞ্চায়েত অফিসে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি না টাঙানো হলে জোর করে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি পঞ্চায়েত অফিসে লাগাবেন তাঁরা।

    পাল্টা কী বলছে বিজেপি (Purba Medinipur)?

    বিজেপির অবশ্য দাবি, যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে, সেখানে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে (Purba Medinipur) রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানো হয়েছে কি? এ নিয়ে মাজিলাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিজেপি নেতা প্রদীপ কুমার কুণ্ডুর বক্তব্য, ‘‘বিগত দিনে ওদের দখলে পঞ্চায়েত ছিল তখন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি লাগানোর কথা মনে ছিল না! কিন্তু এখন ওদের বোধোদয় হয়েছে, এটা দেখে আমার খুব ভাল লাগছে! দেশের সাংবিধানিক প্রধান রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি সমস্ত অফিসে থাকা উচিত। কাঁথি-১ ব্লকের কথা বলব আমি বিশেষভাবে, সেখানে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি টাঙানোর ব্যবস্থা করুক ওরা, তাহলে আমিও এখানে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি টাঙিয়ে দেব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Kite Flying In Vishwakarma Puja: ভোকাট্টা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির লড়াই কেন?

    Kite Flying In Vishwakarma Puja: ভোকাট্টা! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই আকাশ জুড়ে ঘুড়ির লড়াই কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আর তেরো পার্বণের এক পার্বণ বিশ্বকর্মা পুজো। আর এই বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন শুরু। নানা কলকারখানা থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় এই পুজো হয়ে থাকে। আর এর সঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজো মানেই ঘুড়ি ওড়ানোর পার্বণ (Kite Flying In Vishwakarma puja)। বাংলার বিভিন্ন জায়গাতেই এই দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর চল আছে। এই দিনে আকাশে চলে ঘুড়ির লড়াই, কানে ভেসে আছে ভোকাট্টা শব্দ। আকাশে চোখ দিলেই দেখা যায় রং বেরঙের নানান ঘুড়ি। কিন্তু কখনও মনে প্রশ্ন এসেছে, কেন এই দিনে ঘুড়ি ওড়ানো হয়?

    বিশ্বকর্মা পুজোয় কেন ঘুড়ি ওড়ানো হয়? 

    এই ঘুড়ি ওড়ানোর চল নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, কেন এই বিশেষ দিনেই ঘুড়ি ওড়ানো হয়? আসলে এর পিছনে কিছুটা পৌরাণিক কাহিনিও আছে আর কিছুটা পরম্পরা। বিশ্বকর্মা হল প্রকৌশলীর দেবতা, সমস্ত দেবতাদের অস্ত্র থেকে শরু করে দেবতাদের রথ তৈরি, সব কিছু বিশ্বকর্মাই করে থাকেন। ঋগবেদ অনুসারে তিনি হলেন স্থাপত্য এবং যন্ত্রবিজ্ঞান বিদ্যার জনক। পুরাণ মতে, তিনিই নাকি কৃষ্ণের বাসস্থান দ্বারকা নগরী তৈরি করেছিলেন। আর তিনি তৈরি করেছিলেন দেবতাদের জন্য উড়ন্ত রথ। এই উড়ন্ত রথকেই স্মরণ করে এই বিশেষ দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর চল রয়েছে। এই দিনে অনেক বছর ধরেই বাংলার আকাশে ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি (Kite Flying In Vishwakarma puja) চলে আসছে। 

    বাংলায় কবে শুরু?

    বাংলায় ঘুড়ি ওড়ানোর আছে আরও কিছু ইতিহাস। শোনা যায়, বাংলার আকাশে ১৮৫০ সাল থেকে এই ঘুড়ি ওড়ানোর (Kite Flying In Vishwakarma puja) প্রচলন শরু হয়। আগে এই ঘুড়ি ওড়ানো ছিল প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তিদের একটি বিশেষ বিনোদন। বাংলার বেশ কিছু ব্যবসায়ী নিজদের আর্থিক শক্তি ও প্রতিপত্তি দেখানোর জন্য ঘুড়িতে টাকা বেঁধে আকাশে ওড়াতেন। এমনকি জমিদার থেকে শরু করে রাজারাও টাকা দিয়ে ঘুড়ি বানিয়ে আকাশে ওড়াতেন।

    বর্ধমান রাজবাড়ির ইতিহাস

    এক সময় বর্ধমান রাজবাড়িতে ঘুড়ি ওড়ানোর (Kite Flying In Vishwakarma puja) প্রচলন ছিল। বর্ধমানের রাজা এসেছিলেন পঞ্জাব থেকে, আর পঞ্জাবে অনেক দিন যাবত এই ঘুড়ি ওড়ানোর রীতি ছিল। সেই সূত্রেই বর্ধমানের রাজা বাংলায় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন শুরু করেন। এটাই আস্তে আস্তে ঘুড়ি উৎসবে পরিণত হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Chickenpox: বছরের শেষে হানা দেবে চিকেন পক্স? টিকাকরণ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? 

    Chickenpox: বছরের শেষে হানা দেবে চিকেন পক্স? টিকাকরণ কতখানি গুরুত্বপূর্ণ? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    করোনার মতো মহামারি হোক, বা ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত সংক্রামক রোগ, একাধিক সমস্যায় জর্জরিত রাজ্যবাসী। এর মধ্যেই নতুন উদ্বেগ (Chickenpox) হাজির! বিশেষজ্ঞ মহলের আশঙ্কা, বছরের শেষে নতুন উদ্বেগ বিপদ বাড়াতে পারে! তাই আগাম সতর্কতা জরুরি বলেও তাঁরা জানাচ্ছেন।

    কোন বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, বছরের শেষে হানা দিতে পারে চিকেন পক্স (Chickenpox)। শীতের শুরুতে প্রত্যেক বছরেই চিকেন পক্সের প্রকোপ দেখা দেয়। কিন্তু এ বছর উদ্বেগ বেশি। কারণ, চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চলতি বছরে চিকেন পক্সের প্রকোপ বেশি। বিশেষত শিশুদের চিকেন পক্স বেশি হচ্ছে। তবে, বাড়তি উদ্বেগের কারণ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আক্রান্তের দেহে নতুন প্রজাতির চিকেন পক্স লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাধারণত ভারতে যে প্রজাতির চিকেন পক্স হয়, তার থেকে ভিন্ন। ইউরোপ কিংবা আমেরিকায় যে প্রজাতির চিকেন পক্স হয়, ভারতীয় শিশুদের অধিকাংশের চলতি বছরে সেই প্রজাতির চিকেন পক্স হচ্ছে। উদ্বেগের বিষয়, নতুন প্রজাতি নয়া রূপে হাজির হলে চিকিৎসায় সমস্যা হবে না তো!

    নতুন প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ কেন? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, একই রোগ (Chickenpox) নতুন প্রজাতি নিয়ে হাজির হলে অনেক সময়েই প্রচলিত চিকিৎসা কাজ করে না। তাই বিপদ বাড়ে। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রেও সেই আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাওয়া যাচ্ছে না। যে ওষুধ ও টিকা চিকেন পক্স রুখতে ব্যবহার করা হয়, তারা নতুন প্রজাতির দাপট কমাতে কতখানি কার্যকর হবে, সে নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। চিকেন পক্সের সংক্রমণ শক্তি প্রবল। তাই উদ্বেগ আরও বাড়ছে।

    কী পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, চিকেন পক্সের (Chickenpox) টিকা নেওয়া আবশ্যক। তাঁরা জানাচ্ছেন, শিশুদের এই টিকা অবশ্যই দেওয়া দরকার। এতে বড় বিপদ এড়ানো যায়। নতুন প্রজাতির চিকেন পক্স রুখতে প্রচলিত টিকা সক্ষম নয়, এমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই টিকা অবশ্যই নিতে হবে। এতে পুরোপুরি রোগ প্রতিরোধ না হলেও বড় বিপদ এড়ানো যেতে পারে। চিকেন পক্স হলে অনেক ক্ষেত্রে লিভার, অন্ত্র ও পাকস্থলীর ক্ষতি হয়। টিকা নেওয়া থাকলে এই ধরনের বড় বিপদের ঝুঁকি কমে। তাই শিশুদের শীতের আগেই এই টিকা নেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ। 
    তার পাশপাশি, বড়দের জন্যও টিকাকরণ জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণের হার খুব কম। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড়দের থেকেই সংক্রামক রোগ বেশি ছড়াচ্ছে। তাই বড়দের সুস্থ থাকার দিকে বেশি নজরদারি জরুরি। টিকাকরণ হলে তবেই এই রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। তাই চিকেন পক্সের দাপট রুখতে জরুরি টিকাকরণ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: সীমান্তে কাঁটাতার কেটে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, বিএসফের গুলিতে হত পাচারকারী

    Nadia: সীমান্তে কাঁটাতার কেটে অনুপ্রবেশের চেষ্টা, বিএসফের গুলিতে হত পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের সঙ্গে পাচারকারীর গুলির লড়াই! বিএসএফের (Nadia) গুলিতে মৃত্যু এক পাচারকারীর। ঘটনাটি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকার। জানা যায়, গতকাল গভীর রাতে নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকায় এক পাচারকারী সীমান্তে থাকা কাঁটাতার কাটছিল। তখন বিএসএফের তরফ থেকে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, ঠিক তখনই ওই পাচারকারী বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর বিএসএফের তরফ থেকেও তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই পাচারকারীর গায়ে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। যদিও পরবর্তীকালে তাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    পরিচয় জানার চেষ্টা

    তবে মৃত ওই পাচারকারীর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিএসএফ এবং কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগে ওই ব্যক্তির পরিচয় এবং ঠিকানা জানার চেষ্টা চলছে। মূলত ওই ব্যক্তি কী পাচার করত এবং কোন গ্যাঙের সঙ্গে যুক্ত, তাও জানার চেষ্টা করছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (Nadia)। অন্যদিকে ওই পাচারকারীর মৃতদেহ আজ ময়নার তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    আগেও একই ধরনের ঘটনা

    প্রসঙ্গত এর আগেও ধানতলা থানার (Nadia) দত্তপুলিয়ায় ফেন্সিং না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নিচ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৬ থেকে ১০ টি গরু পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসফের জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোড়ে। পরে বিএসএফ কাউন্টার ফায়ার করলে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী আহত হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে পরবর্তীকাল ধানতলা পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

    পিছনে বড় বড় গাং

    বিএসএফের পাচারকারীদের এটা কোনও প্রথম ঘটনা নয়। গরু পাচার থেকে শুরু করে সোনার বিস্কুট সহ একাধিক জিনিস কখনও বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে (Nadia), আবার কখনও ভারতের বর্ডার পার করে বাংলাদেশে পাচার হয়। বড় বড় গ্যাং কাজ করে এইসব পাচার চক্রের পিছনে। এর আগেও বিএসএফের তরফ থেকে পাচার চক্র রোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ganesh Chaturthi 2023: গণেশ চতুর্থী কেন পালিত হয়? কীভাবে জীবনে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি?

    Ganesh Chaturthi 2023: গণেশ চতুর্থী কেন পালিত হয়? কীভাবে জীবনে আসবে সুখ ও সমৃদ্ধি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান গণেশকে বিঘ্ন বিনাশক বলা হয়ে থাকে। ভক্তদের বিশ্বাস, জীবনে চলার পথে সকল বাধা দূর করেন গণপতি বাপ্পা। পার্বতী নন্দনের সঙ্গে আবার দেশের জাতীয়তাবোধের উন্মেষ সরাসরি সম্পর্কিত। পরাধীন ভারতে মহারাষ্ট্রে গণপতি উৎসব (Ganesh Chaturthi 2023) শুরু করেন বাল গঙ্গাধর তিলক। হিন্দু জাতীয়তাবাদী উৎসব হিসেবে তা ব্যাপক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়। বাল গঙ্গাধর তিলকের আগে শিবাজি মহারাজও সপ্তদশ শতকে মহারাষ্ট্রে গণেশ উৎসব করতেন বলে জানা যায়। কয়েক ফুটের গণপতি বাপ্পার প্রতিমা নিয়ে, গেরুয়া পতাকা, বাজনার সহযোগে শোভাযাত্রা মহারাষ্ট্রে গণেশ উৎসবের বড় আকর্ষণ। পিছিয়ে নেই বাংলাও, বিগত বছরগুলিতে গণেশ চতুর্থী পালন লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। প্যান্ডেল, প্রতিমা, চোখ ধাঁধানো আলোর মালা এসব দিয়েই বাঙালি মেতে ওঠে গণপতি বাপ্পার আরাধনায়। এমনিতে গণেশ পুজো বাঙালি বাড়িতে সারা বছরের বিভিন্ন সময়েই হয়। যে কোনও শুভকাজে বাড়িতে গণেশ আরাধনা করেই থাকেন বাঙালি।

    গণেশ চতুর্থীর পৌরাণিক আখ্যান

    পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, গণেশ চতুর্থী (Ganesh Chaturthi 2023) হল গণপতি বাপ্পার জন্মতিথি। এদিনই মা পার্বতীর কোলে এসেছিল গণেশ। ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথি (Ganesh Chaturthi 2023) তাই গণেশ চতুর্থী নামে জনপ্রিয়। এই দিনটি আবার বিনায়ক চতুর্থী নামেও পরিচিত। ভক্তদের বিশ্বাস, গণেশের পুজো ঘরে সুখ, সমৃদ্ধি ও শান্তি নিয়ে আসে। তবে গণেশ চতুর্থী নিয়ে পুরাণেও মতভেদ দেখা যায়। শিব পুরাণে ভাদ্রমাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থীকে গণেশের জন্মতিথি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অন্যদিকে গণেশ পুরাণ অনুযায়ী, পার্বতী নন্দনের আবির্ভাব ঘটেছিল ভাদ্রের শুক্লা চতুর্থীতে। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থীতে রাতে চাঁদ দর্শন নিষিদ্ধ। বিশ্বাস করা হয় যে এই রাতে যে ব্যক্তি চাঁদের দিকে তাকায়, সে মিথ্যা কলঙ্ক পায়।

    গণেশ চতুর্থীর ব্রত কীভাবে রাখবেন?

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২০২৩ সালের গণেশ চতুর্থী শুরু হচ্ছে  ১৮ সেপ্টেম্বর ঠিক বেলা ১২ টা ৩৯ মিনিটে এবং তা চলবে পরের দিন মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর রাত্রি ৮ টা ৪৩ পর্যন্ত। 

    ১) গণেশ চতুর্থীর (Ganesh Chaturthi 2023) দিন সকালে উঠেই স্নান করুন। এরপর গণেশের মূর্তিতে সিঁদুর অর্পণ করে ২১টি লাড্ডু অর্পণ করুন। রীতি অনুযায়ী, এর মধ্যে পাঁচটি লাড্ডু গণেশের মূর্তির কাছে রাখতে হবে এবং বাকিগুলো ব্রাহ্মণদের দান করতে হবে।

    ৩) যাঁরা গণেশ চতুর্থীর উপবাস রাখবেন (Ganesh Chaturthi 2023), তাঁরা ভক্তিভরে ব্রতকথার গল্প শুনুন। বিশ্বাস মতে, গণেশ চতুর্থীর উপবাস পালনের পর ব্রতকথার গল্প শুনলে  জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি আসে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share