Blog

  • Hilsa Fish: ছোট ইলিশ বিক্রি নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, অভিযুক্ত ডায়মন্ডহারবারের সহ মৎস্য অধিকর্তা

    Hilsa Fish: ছোট ইলিশ বিক্রি নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, অভিযুক্ত ডায়মন্ডহারবারের সহ মৎস্য অধিকর্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছোট বা খোকা ইলিশ (Hilsa Fish) বিক্রির নিয়ে ডায়মন্ডহারবার সহ মৎস্য অধিকর্তার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব  মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যরা। ডায়মন্ডহারবার সহমৎস্য অধিকর্তার বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলল মৎস্যজীবী সংগঠনের সদস্যরা।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    মৎস্যজীবী সংগঠনের অভিযোগ, ছোট ইলিশ (Hilsa Fish) ধরার নামে ডায়মন্ডহারবার সহমৎস্য অধিকর্তা লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি করেছে। এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তারা লিখিতভাবেও জানিয়েছে। মূলত মৎস্য দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, ২৩ সেন্টিমিটারের কম ইলিশ মাছ কোনওভাবেই ধরা যাবে না। সেই ২৩ সেন্টিমিটারের কম ইলিশ মাছ ধরা একদিকে যেমন আইনত নিষিদ্ধ ঠিক তেমনি যারা যারা ধরবেন তাদের আইনত শাস্তিও পেতে হবে। সেই মতোই কিছুদিন আগেই ২৩ সেন্টিমিটারের কম অর্থাৎ পিল ইলিশ ভর্তি দুটি গাড়ি আটক করে ডায়মন্ডহারবার থানার পুলিশ। এর পরই সহ-মৎস্য অধিকর্তার নির্দেশ মত তার দফতরের আধিকারিকেরা থানায় যান এবং প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলো পিল ইলিশ উদ্ধার করেন। পরবর্তী নিয়ম অনুযায়ী সেই মাছগুলি অকশান করানো হয়। দাম হয় দু’লক্ষ আশি হাজার টাকা। কিন্তু, মৎস্যজীবী সংগঠনের অভিযোগ, গাড়িতে প্রায় ৯ টন ইলিশ ছিল। সেই ইলিশ সহমৎস্য অধিকর্তা অকশান করেছে নগেন্দ্র বাজারে। যার বাজার মূল্য ৩২ থেকে ৩৩ লক্ষ টাকা।

    কী বললেন মৎস্য সংগঠনের কর্মকর্তারা?

    ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিশারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর দাস বলেন, সহ-মৎস্য অধিকর্তা ছোট ইলিশ (Hilsa Fish) ধরার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি করেছে। প্রথমত নিয়ম অনুযায়ী ছোট ইলিশ ধরার পর মালিকপক্ষকে ফোন করে সমস্ত কিছু জানাতে হবে এবং মাছগুলি স্থানীয় বাজার বা আরোতে অকশান করানোর সময় মালিকপক্ষ উপস্থিত থাকবে। কিন্তু, সহমৎস্য অধিকর্তা সেই সমস্ত কিছু না করেই নিয়ম না মেনেই নিজের ইচ্ছে মতন মাছ বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছে। অন্যদিকে, টাকার অর্ধেক মালিকপক্ষকে দিতে হয়, সেই টাকাও তিনি দেননি। পাশাপাশি সংগঠনের পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে আগামী সাত দিনের মধ্যে সহমৎস্য অধিকর্তা সেই টাকা ফেরত না দিলে তারা আইনি পথে কোর্টেও পর্যন্ত যাবে।

    কী বললেন সহ মৎস্য অধিকর্তা?

    তবে,এই বিষয়ে সহ-মৎস্য অধিকর্তা পিয়াল সর্দার বলেন, যেহেতু তিনি প্রথম থেকেই মৎস্যজীবীদের বেনিয়ম মেনে নিচ্ছেন না। কড়া হাতে সমস্ত কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। তাই পরিকল্পিতভাবে আমার নামে দুর্নীতির অভিযোগ চাপানো হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: শিলিগুড়ির মেয়রের ওয়ার্ডে চলছে মদ, জুয়ার ঠেক, প্রতিবাদ করলেই হামলা, কী করছে পুলিশ?

    Siliguri: শিলিগুড়ির মেয়রের ওয়ার্ডে চলছে মদ, জুয়ার ঠেক, প্রতিবাদ করলেই হামলা, কী করছে পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে খোদ মেয়র গৌতম দেবের ওয়ার্ডেই চলছে রমরমা মদ,জুয়ার আসর। শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন কলোনি সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সন্ধ্যা হতেই পাড়ায় পাড়ায় মদ,জুয়ার আড্ডা বসে। ফলে, সন্ধ্যা থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ বিশেষ করে মহিলারা রাস্তায় বের হতে ভয় পান। চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন এলাকার মানুষ। সম্প্রতি, মদের ঠেক চালানোর প্রতিবাদ করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন এক এলাকার বেশ কিছু মানুষ। আর এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলার শিলিগুড়ির গৌতম দেব হওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    মেয়রের ওয়ার্ডে মদ,জুয়ার আসর নিয়ে কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    সম্প্রতি মাটিগাড়ায় নাবালিকা ছাত্রীর খুনের ঘটনায় তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। একের পর এক অপরাধ ঘটে চলায় তিনি শিলিগুড়ি (Siliguri) পুলিশ কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন,  শিলিগুড়ি শহরে  ড্রাগ তথা মাদকের রমরমা কারবার চলছে।  পুলিশ কমিশনার ঠাণ্ডা ঘরে বসে বেতন নিচ্ছেন। সেজন্যই শিলিগুড়ি শহরের এইঅবস্থা। রাজ্য সভাপতির অভিযোগের পরও টনক নড়েনি পুলিশ প্রশাসনের। মেয়রের ওয়ার্ডে রমরমিয়ে চলছে মদ, জুয়ার আসর। বিজেপির রাজ্য সভাপতি অভিযোগ যে ঠিক ছিল তা ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের এই ঘটনাতেই প্রমাণিত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, খোদ মেয়রের ওয়ার্ডে যদি এরকম অবস্থা চলে তাহলে না জানি অন্য এলাকায় কী চলছে? নাবালিকাকে খুনের ঘটনার পরও পুলিশের কোনও হেলদোল নেই।

    কী বললেন মেয়র?

    দুষ্কৃতীদের হাতে ওয়ার্ডবাসী আক্রান্ত হওয়া প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার মেয়র গৌতম দেব বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। শিলিগুড়ি (Siliguri) এলাকায় এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা হবে না। তবে, এনজেপি  লাগোয়া এলাকায় এ ধরনের ঘটনা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অন্যতম কারণ রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টার।

    কী বললেন আরপিএফের এক আধিকারিক?

    এ ব্যাপারে এলাকার নাগরিকরা এনজেপিতে এডিআরএমকে লিখিতভাবে জানিয়েছিলেন। এনজেপি’-র আরপিএফের আইসি এসকে খান বলেন, রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারগুলি যেখানে রয়েছে সেখানকার আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব দেখার দায়িত্ব জেলা পুলিশের। কাজেই এক্ষেত্রে রেলের করণীয় কিছু নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalyani: মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, কল্যাণীতে চাঞ্চল্য

    Kalyani: মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ কর্মীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার, কল্যাণীতে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা এক পুলিশ কর্মীর রেল লাইনের ধার থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। বুধবার রাতে মদনপুর- কল্যাণী (Kalyani) স্টেশনের মাঝে রেল লাইনে ধার থেকে ক্ষতবিক্ষত মৃত উদ্ধার হয় ওই পুলিশ কর্মীর। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম ইসরাফিল সাহাজি। তার বয়স ৩০ বছর। তাঁর বাড়ি মদনপুর এলাকায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Kalyani)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইসরাফিল বুধবারই ডিউটি শেষ করে মদনপুরের বাড়িতে ফেরেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বিকেলের দিকে বাড়ি থেকে তিনি হাঁটতে বের হন। স্থানীয় লোকজন তাকে বিকেলে এলাকায় শেষবার দেখেছে। সন্ধ্যার পর থেকে আর তার সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। তার পরিচিত সকলের সঙ্গে পরিবারের লোকজন যোগাযোগ করে। কিন্তু, কোথাও তাঁর হদিশ পাওয়া যায়নি। এরপরই রাতে থানার যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন পরিবারের লোকজন। তার আগে জিআরপি-র কাছে থাকা আসা ফোন পেয়ে ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    পরিবারের এক সদস্য বলেন, বাড়ি আসলে সাধারণত বিকেলে হাঁটতে বের হতেন। তবে, সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরে আসতেন। কিন্তু, এদিন তা হয়নি। তাই, তাঁকে ফোন করতেই আর তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। রাত বাড়তেই তিনি বাড়ি না ফেরায় আমরা চারিদিকে তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালাই। কিন্তু, কোথাও তার হদিশ পাইনি। পরে, জিআরপি-র পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। তারা কল্যাণী (Kalyani) -মদনপুর স্টেশনে রেল লাইনের ধার থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানায়। জানা গিয়েছে, ইসরাফিলের পকেটে পরিচয়পত্র রাখা ছিল। তা দেখেই জিআরপি তাঁর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিবারে লোকজন গিয়ে দেহ সনাক্ত করেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকা পুলিশ কর্মীর এভাবে মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক রহস্য দানা বাঁধতে শুরু করেছে। পরিবারের লোকজন এই ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত  শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jawan: মুক্তির দিনই ছবি ফাঁস অনলাইনে, তবু ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকল ‘জওয়ান’

    Jawan: মুক্তির দিনই ছবি ফাঁস অনলাইনে, তবু ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকল ‘জওয়ান’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আট মাস আগেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছিল শাহরুখ খান অভিনীত ছবি ‘পাঠান’। এবার ‘পাঠান’ এর সঙ্গে জওয়ানের লড়াই! বক্স অফিসে কে এগিয়ে থাকবে! বৃহস্পতিবার ৭ সেপ্টেম্বরে মুক্তি পেল শাহরুখ খান অভিনীত ছবি ‘জওয়ান’ (Jawan)। ‘জওয়ান’ (Jawan) যে দেশজুড়ে ঝড় তুলতে চলেছে তার পূর্বাভাস মিলেছিল টিকিট বিক্রিতেই  প্রত্যাশা মতোই শাহরুখ খানের ছবি প্রথম দিনেই ১০০ কোটির ক্লাবে ঢুকে পড়েছে।

    দেশজুড়ে ঝড় তুলেছে ‘জওয়ান’ (Jawan) ছবি

    শাহরুখ খান, নয়নতারা, বিজয় সেতুপতি অভিনীত এই ছবি সর্বকালের সবচেয়ে বড় বলিউড ওপেনার হয়ে বক্স অফিসে ভেঙে দিল যাবতীয় রেকর্ড। জানা গিয়েছে অগ্রিম টিকিট বুকিং হয়েছিল ‘জওয়ান’ (Jawan) এর প্রায় ১৪ লাখ। বৃহস্পতিবার প্রায় দশ হাজার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে ‘জওয়ান’ (Jawan) ছবি। জানা গিয়েছে, নির্মাতাদের হিসাব অনুযায়ী প্রথম দিনেই ভারতের বিভিন্ন বক্স অফিসে ‘জওয়ান’(Jawan) এর সংগ্রহ হতে পারে ৮৫ কোটি টাকা। অন্যদিকে বিদেশের সিনেমা হলগুলিতে সংগ্রহ হতে পারে ৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ ১০০ কোটি পার প্রথম দিনেই।

    প্রথম দিনেই অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেল ছবি

    এত কিছুর মাঝেও ছবিটি ফাঁস হয়ে গেল অনলাইনে। রোখা গেল না প্রাইরেসি। মুক্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে সমগ্র সিনেমাটি (Jawan)। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারনা, প্রাযইরেসি রোখা না গেলেও তা খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারবে না। সাধারণভাবে সিনেমা হলে গিয়ে কোনও দর্শক তাঁর মোবাইলের ক্যামেরার মাধ্যমে গোটা ছবিটির ভিডিও করেন এবং তা ছড়িয়ে দেন বিভিন্ন ইন্টারনেট সাইটে। তবে বিশেষজ্ঞদের ধারনা, শাহরুখ খানের অভিনীত ছবি প্রথমবারের জন্য সিনেমা হলে দেখতেই বেশি পছন্দ করেন দর্শকরা। তাই স্বাভাবিক ভাবেই অনলাইনে ফাঁস হলেও তার প্রভাব খুব বেশি পড়বে না। তবে এটাই প্রথম নয় এর আগে গত ১০ অগাস্ট মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স-এ ‘জওয়ান’ (Jawan) ছবির বেশ কিছু দৃশ্য ফাঁস হয়ে যায়। যা নিয়ে শাহরুখ পত্নী গৌরী খান পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দায়ের করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati:পানিহাটি হাসপাতালে দালাল চক্র! ডাক্তারের চেয়ারে বসে ওষুধের দোকানের মালিক

    Panihati:পানিহাটি হাসপাতালে দালাল চক্র! ডাক্তারের চেয়ারে বসে ওষুধের দোকানের মালিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ওষুধের দালাল চক্রের হদিশ মিলল। বিষয়টি জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য  ছড়িয়ে পড়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসকদের একাংশ এই দালাল চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ। ওধুষের দোকানের মালিকের কথা মতো চিকিৎসকরা ওষুধ লিখছেন। রোগীর পরিবারের লোকজন বাইরে থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকারই এক ওষুধের দোকানের মালিক জরুরি বিভাগে এসে চিকিৎসকদের পাশে তাঁদের বলার চেয়ারে বসে রোগীদেরকে কি ওষুধ লিখছেন তা নজরদারি রাখছেন। মূলত তার দোকানে যে সমস্ত ওষুধ রয়েছে, সেই সব ওষুধ রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপশনে লেখার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। আর খোদ ওষুধের দোকানের মালিকই  হাসপাতালে চিকিৎসকদের চেম্বারে বসে নজরদারি করায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। রোগীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, জরুরি বিভাগে লাইন দিয়ে রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসেন। কিন্তু, ওই ওষুধের দোকানের মালিক নির্দ্বিধায় হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে চিকিৎসকদের পাশে পাশেই বসে নজরদারি করেন। বাইরে কেউ আসলে অনেকেই তাকে চিকিৎসক ভাববেন। কিন্তু, তিনি দিব্যি হাসপাতালে ঢুকে দিনের পর দিন চিকিৎসকদের উপরে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন। মূলত চিকিৎসকদের লেখা প্রেসক্রিপশনে তার দোকানে থাকা ওষুধ লেখার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন হাসপাতালের সুপার?

    দালাল চক্রের সক্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে হাসপাতালে সুপারেরও বিষয়টি নজর এসেছে। হাসপাতালে সুপার শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কেউ যেন জরুরি বিভাগর এসে চিকিৎসকদের পাশে বসে না থাকে তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন বিষয়টি নজরদারি করব। নিয়ম না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন অভিযুক্ত ওষুধের দোকানের মালিক?

    যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওষুধের দোকানের মালিক দেবাশিস দাশগুপ্ত। তিনি বলেন, এক মাসের ফিট সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য আমি হাসপাতালে এসেছিলাম। তবে চিকিৎসকের পাশে বসা আমার ঠিক হয়নি। আগে কখনো বসিনি। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ঠিক নয়। চিকিৎসকদের ওষুধ লেখার ব্যাপারে আমি কোন প্রভাবিত করি না। আমাকে বদনাম করার জন্য এসব করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament of India: উদ্বোধনের পর চলতি মাসেই প্রথম অধিবেশন বসছে নয়া সংসদ ভবনে, কবে জানেন?

    Parliament of India: উদ্বোধনের পর চলতি মাসেই প্রথম অধিবেশন বসছে নয়া সংসদ ভবনে, কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের (Parliament of India) বিশেষ অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে। পুরনো সংসদ ভবনে এই অধিবেশন শুরু হলেও তা শেষ হবে নতুন সংসদ ভবনে (Parliament of India)। সূত্রের খবর, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রয়েছে গণেশ চতুর্থী এবং সেই দিনই সংসদের নতুন ভবনে অধিবেশন স্থানান্তরিত হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আগামী ১৮ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচ দিনের জন্য সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকা হয়েছে। চলতি বছরের ২৮ মে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারপর থেকেই শুরু হয়েছিল জোর চর্চা, যে কবে বসবে নতুন সংসদে (Parliament of India) অধিবেশন? অবশেষে তা গণেশ চতুর্থীর শুভক্ষণেই বসতে চলেছে।

     সংসদের বিশেষ অধিবেশনে কোন কোন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে?  

    বাদল অধিবেশন (Parliament of India) শেষ হওয়ার পরে ফের একবার বিশেষ অধিবেশন কেন ডাকা হল তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে গুঞ্জন। সাধারণভাবে বিশেষ কোনও সিদ্ধান্ত নিতেই সরকারপক্ষ এমন অধিবেশন ডাকে। আবার ওয়াকিবহল মহলের ধারনা, বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করাতেই হয়তো ডাকা হচ্ছে এই অধিবেশন (Parliament of India)। সূত্রের খবর, বেশ কতগুলি ইস্যু রয়েছে যা উঠতে পারে সংসদের বিশেষ অধিবেশনে। যার মধ্যে অন্যতম হল, ‘এক দেশ এক ভোট’ ইতিমধ্যে এ নিয়ে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির রামনাথ কোবিন্দের নেতৃত্বে কমিটিও গঠন করেছে কেন্দ্র। অন্যদিকে দেশজুড়ে এখন আলোচনা চলছে, ‘ভারত বনাম ইন্ডিয়া’ বিষয়ে। ইতিমধ্যে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণ পত্রে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর নামের নিচে লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’।  

    সোনিয়া গান্ধীর চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে প্রহ্লাদ জোশীর প্রতিক্রিয়া 

    এদিকে বুধবারই সংসদের (Parliament of India) বিশেষ অধিবেশনে কী নিয়ে আলোচনা হবে তা জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেন সোনিয়া গান্ধী।  ওই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন যে বিরোধী দলগুলিকে না জানিয়ে সরকার সংসদের (Parliament of India) অধিবেশন ডেকেছে। যানিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপি কংগ্রেসের মধ্যে রাজনৈতিক লড়াই। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি ইতিমধ্যে সোনিয়া গান্ধীর এই বক্তব্যকে খণ্ডন করে বলেছেন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিতর্ক তৈরি করতে চাইছে কংগ্রেস। তাঁর আরও অভিযোগ,গণতন্ত্রের মন্দিরকে নিয়ে রাজনীতি করছেন সোনিয়া গান্ধী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ISKCON: জন্মাষ্টমীতে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে কী কী আয়োজন রয়েছে, জানেন কী?

    ISKCON: জন্মাষ্টমীতে মায়াপুর ইসকন মন্দিরে কী কী আয়োজন রয়েছে, জানেন কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৫০ তম আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে মায়াপুর ইসকন (ISKCON) মন্দিরে শুরু হল জন্মাষ্টমীর অনুষ্ঠান। সকাল থেকেই হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয় ইসকন মন্দিরে। প্রতি বছরই এই দিনটিকে ধূমধাম করে বিভিন্ন ভক্তিমূলক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।

    জন্মাষ্টমী অনুষ্ঠান নিয়ে কী বললেন ইসকনের (ISKCON) জনসংযোগ আধিকারিক?

    সকাল থেকেই দফায় দফায় চলে অনুষ্ঠান। রাতে অভিষেক হয় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মূর্তির। এদিন সকাল থেকেই মঙ্গল আরতি শুরু হয়। এরপর দিনভর চলে ভাগবত গীতা পাঠ। সন্ধ্যাবেলা চলবে মঙ্গল আরতি। আর এই আবির্ভাব দিবস উপলক্ষে শুধু দেশের ভক্ত নয়, বিদেশের হাজার হাজার ভক্তরা অংশগ্রহণ করেন এদিন। এ বিষয়ে ইসকনের (ISKCON) জনসংযোগ আধিকারিক রসিক গৌরাঙ্গ দাস বলেন, সারাদিন ধরে বিভিন্ন ভাষায় চলবে ভাগবত পাঠ। সন্ধ্যা থেকে গুরু পূর্ণিমা এরপর ভগবান দর্শন প্রক্রিয়া চলবে। অন্যদিকে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে দিনভর। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণে পুষ্পার্পণ করা হবে সমগ্র জাতির মঙ্গল কামনায়। তিনি আরও বলেন, এদিনের অনুষ্ঠানে মন্দিরে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে চলছে বিভিন্ন পরীক্ষা। সকাল থেকেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব দিবসের বিভিন্ন অনুষ্ঠান দর্শন করার জন্য বহু ভক্তের সমাগম ঘটে। তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসকন মন্দিরে ভক্তের অনেকটা ভিড় বেড়ে যায়।

    ভক্তরা কী বললেন?

    সমর ঘোষ নামে এক ভক্ত বলেন, আমি বাগবাজারে থাকি। বুধবারই আমি ইসকনে মন্দিরে চলে এসেছি। ভোর থেকে মন্দিরে রয়েছি। দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যেই মন্দিরে (ISKCON) থেকে খুব ভাল সময় কাটবে। সুস্মিতা দাস নামে এক ভক্ত বলেন, প্রতি বছরই আমি এই অনুষ্ঠানে ইসকনে আসার চেষ্টা করি। আমার বাড়ি কালনায়। এদিন ভোরে মন্দিরে চলে আসি। সারাদিন মন্দিরে নানা ধরনের অনুষ্ঠান দেখে মন ভরে যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: মিনাখাঁ থেকে ১৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া যুবতীর খোঁজ মিলল, কীভাবে?

    North 24 Parganas: মিনাখাঁ থেকে ১৬ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া যুবতীর খোঁজ মিলল, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাজবুল্লা খাতুন মারা গিয়েছে। ১১ বছর বয়সে সে এক আত্মীয়ের হাত ধরে মিনাখাঁ থেকে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিল। আর সে বাড়ি ফেরেনি। বহু খোঁজ করেছেন বাড়ির লোকজন। কিন্তু, আর হদিশ পাননি নাজবুল্লার। এরপর ১৬ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। অবশেষে বাড়ির লোকজনের পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও ধরে নিয়েছিলেন আর নাজবুল্লা আর বেঁচে নেই। সেই ১৬ বছর আগে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখাঁ থেকে হারিয়ে যাওয়া  যুবতীর হদিশ করল হ্যাম রেডিও।

    কী করে খোঁজ মিলল?

    ১১ বছর বয়সে কাজের খোঁজে সে এক আত্মীয়ের হাত ধরে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখাঁ থেকে দিল্লি পাড়ি দিয়েছিল। তারপর আর তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বাড়ির লোকজন বহুবার দিল্লি গিয়েছেন তার খোঁজে। কিন্তু, খালি হাতেই বার বার তাঁদের ফিরতে হয়েছে। হ্যাম রেডিও সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে হ্যাম রেডিওর এক কর্মকর্তার কাছে। সেই ফোনে কথা বলেই  নাজবুল্লার হদিশ পাওয়া যায়। জানা যায়, ১১ বছরের ছোট্ট নাজবুল্লার বয়স এখন ২৭ বছর। এখন তিনি রাজস্থানে থাকেন। তিনি তিন সন্তানের মা। তাঁর নাম এখন রূপা মণ্ডল। তিনি এক জাঠ সম্প্রদায় যুবককে বিয়ে করেছেন। নাজবুল্লার স্বামী বলেন, বহু বছর আগে দিল্লি থেকে রাজস্থান ফেরার পথে  নিউ দিল্লি স্টেশনে হাউ হাউ করে কাঁদছিল নাজবুল্লা খাতুন নামে ওই মেয়েটি। একটি অসহায় মেয়েকে বাড়িতে স্থান দেব ভেবেই বাড়িতে নিয়ে এসে মার হাতে তুলে দিয়েছিলাম। পরবর্তীকালে মা মারা যাওয়ার পর মার কথা মতনই বিয়ে করলাম ওকে। তখন রেজিস্ট্রি করার জন্য আধার কার্ডের প্রয়োজন হয়ে পড়ল। একেকবার এক নাম বলছে দেখে আমি ঠিক করি রূপা মন্ডলই ওর নাম দেওয়া থাক। তাই ছোটবেলার নাজবুল্লা আজ রুপা। ওর বাড়়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব শীঘ্রই আমরা যাব। আর নাজবুল্লা বলেন, ১৬ বছর পর বাড়ি ফিরব জেনেই খুবই আনন্দ লাগবে।

    কী বললেন হ্যাম রেডিও ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক?

    হ্যাম রেডিও ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অম্বরীশ নাগবিশ্বাস বলেন, নাজবুল্লার সঙ্গে কথা বলে ওর একজন আত্মীয়ের নামের কথা জানতে পারি। এরপর হ্যাম রেডিওর সদস্যদের সাহায্যে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) মিনাখাঁয় ওর বাড়ির হদিশ পাই। বাড়ির লোকজন জানেন নাজবুল্লা বেঁচে নেই। ১৬ বছর পর মোবাইল ভিডিও কলে কথা বলতে পেরে ফোনের ওপারে রাজস্থানে বসে নাজবুল্লা আর মিনাখাঁর বাড়িতে বসে পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। খুব শীঘ্রই দুই পরিবার এক হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mental Stress: মানসিক চাপ কি বেড়ে যাচ্ছে! স্কুল পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা রুখবেন কীভাবে? 

    Mental Stress: মানসিক চাপ কি বেড়ে যাচ্ছে! স্কুল পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা রুখবেন কীভাবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    শিক্ষকদের শাসন কিংবা বাবা-মায়ের কড়া কথা, নিত্যদিনের বিভিন্ন ঘটনায় হচ্ছে মন খারাপ। গ্রাস করছে অবসাদ (Mental Stress)। বিশেষত বয়ঃসন্ধিকালে থাকা ছেলেমেয়েদের মধ্যে বাড়ছে মানসিক সমস্যা। আর তার জেরেই বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবক, শিক্ষক মহল থেকে মনোরোগ চিকিৎসকরাও। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, একাধিক কারণে বাড়ছে এই সমস্যা। তবে, সচেতনতা, যত্ন ও নজরদারি রুখতে পারে বড় কোনও বিপদ!

    কেন বাড়ছে মানসিক চাপ (Mental Stress)? 

    মনোরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বয়ঃসন্ধিকাল জীবনের সবচেয়ে জটিল সময়। এই পর্বে শিশুমন থেকে পরিণত মনে উত্তরণ হয়। তাই চিরকাল এই সময়ে সন্তানকে দেখভালের জন্য বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। কারণ এই বয়সে শরীরে একাধিক নতুন হরমোন কাজ করা শুরু করে। ফলে, মস্তিষ্কে নানান রাসায়নিক কাজ হয়। আর তার জেরেই মানসিক অস্থিরতাও তৈরি হয়। আধুনিক সময়ের হাত ধরে এসেছে মোবাইল আর ইন্টারনেট। আর এর জেরেই স্কুল পড়ুয়াদের মুঠোতেও সমস্ত রকমের তথ্য। অনেক ক্ষেত্রে সেই তথ্যের অপব্যবহার তাদের বিপদ বাড়াচ্ছে। তাছাড়া, স্কুল পড়ুয়াদের একটা বড় অংশ এখন ভার্চুয়াল জগতে অভ্যস্ত। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে তাদের দিনের অধিকাংশ সময় কাটছে। সরাসরি বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ কমছে। পাশপাশি বসে কথা বলার পরিবর্তে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতেই বন্ধু হোক বা শিক্ষক, তাদের সঙ্গে কথা বলা, আলোচনা সবটাই হচ্ছে। আর দিনের পর দিন ভার্চুয়াল জগতে অধিকাংশ সময় কাটানোর জেরে অনেকেই বাস্তব বিমুখ হয়ে পড়ছে। ফলে, সামান্য রকম সমস্যা তাদের আরও বেশি অস্থির (Mental Stress) করে তুলছে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এর জেরেই বাড়ছে সিদ্ধান্তহীনতা। স্কুলের প্রজেক্ট সময়ে জমা দিতে না পারার মতো সমস্যা হোক কিংবা বাড়িতে দেরিতে ফেরার জন্য অভিভাবকের শাসন, সবেতেই আশাহত হয়ে পড়ছে। মনে এক ধরনের নিরাশা তৈরি হচ্ছে। আর তখনই আত্মহত্যার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে।

    কীভাবে সতর্ক (Mental Stress) হবেন অভিভাবক? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রথম থেকেই সতর্ক থাকলে বড় বিপদ (Mental Stress) এড়ানো সম্ভব। তাদের পরামর্শ, শিশুকে প্রথম থেকেই অনুশাসন, নিয়মানুবর্তিতার পাঠ পড়ানো দরকার। অনেক ক্ষেত্রে ছোটরা সময় মতো খাবার না খেলে কিংবা নিয়মিত পড়তে না বসলে, বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় না। কিন্তু দিনের পর দিন সময় মতো কাজ না করার অভ্যাস, তাদের মধ্যে নিয়মানুবর্তিতার ঘাটতি তৈরি করে। যার জেরে, পরবর্তী কালে দায়িত্ব বাড়লেই চাপ তৈরি হয়। 
    নিয়মিত খেলাধূলার অভ্যাস তৈরি করা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছেন পেরেন্টিং কনসালটেন্টদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মাঠে ক্রিকেট, ফুটবল, হকির মতো দলবদ্ধ খেলার অভ্যাস থাকলে হারা এবং জেতার অভ্যাসও থাকবে। পাশপাশি যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার কাজ শিখতে পারবে। এর ফলে যেমন কোনও বিষয়ে ব্যর্থ হলেও আবার লড়াই করার মতো মানসিক জোর থাকবে, তেমনি শিখবে কীভাবে কোনও সমস্যায় পড়লে কাছের মানুষদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে হয়। 
    পড়াশোনার পাশাপাশি সৃজনশীল কোনও কাজ যেমন ছবি আঁকা, গান কিংবা নাচ শেখা দরকার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের প্রশিক্ষণ শিল্পী মনের বিকাশ ঘটায়। এতে মানসিক অস্থিরতা কমে।

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

    মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সন্তান বড় হলে, তার সঙ্গে পরিবারের বিভিন্ন সমস্যা ভাগ করে নেওয়ার দায়িত্ব বাবা-মায়ের। তার ফলে সন্তানের বাস্তব বোধ বাড়ে। মন পরিণত হয়। তাঁদের পরামর্শ, বাজার করা, রান্না করার মতো নিত্যদিনের ঘরের কাজ হোক কিংবা অফিসে সময় মতো পৌছতে যানজটের সমস্যা, জীবনের ছোট-বড় বাধার গল্প সন্তানের সঙ্গে ভাগ করলে, তারা বাস্তব জীবন বুঝতে শিখবে। নানান সমস্যা পেরিয়ে বেঁচে থাকা যায়, সেই বোধ, তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাকে পরিণত করবে। 
    তবে, সন্তান অতিরিক্ত চুপচাপ থাকলে, দিনের অধিকাংশ সময় একা ঘরবন্দি থাকলে, পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিলে সতর্ক হতে হবে বলেই জানাচ্ছেন মনোরোগ চিকিৎসকরা। কারণ, সময় মতো বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও চিকিৎসা বড় বিপদ আটকাতে পারে বলেই তাঁরা জানাচ্ছেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: কোটিপতি প্রাক্তন পোস্টমাস্টার! তদন্তে পাঁশকুড়ার বাড়িতে ইডির তল্লাশি

    ED: কোটিপতি প্রাক্তন পোস্টমাস্টার! তদন্তে পাঁশকুড়ার বাড়িতে ইডির তল্লাশি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে প্রাক্তন পোস্টমাস্টারের বাড়িতে তল্লাশি চালাল ইডি (ED)। গ্রাহকদের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল প্রাক্তন পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই প্রাক্তন পোস্টমাস্টারের নাম লক্ষ্মণচন্দ্র হেমব্রম। রাত পর্যন্ত তল্লাশি চালায় ইডির তদন্তকারী দল। বিষয়টি জানাজানি হতেই পাঁশকুড়াজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ওই পোস্টমাস্টারের আদি বাড়ি পাঁশকুড়ার নস্কর দিঘিতে। তবে বর্তমানে তিনি পাঁশকুড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিশাল জায়গা কিনে প্রাসাদোপম বাড়ি তৈরি করেছেন।

    গৃহশিক্ষক থেকে পোস্টমাস্টার হয়ে কোটিপতি!

    জানা গিয়েছে, লক্ষ্মণের বাবা, মা দিনমজুর ছিলেন। প্রথম জীবনে লক্ষ্মণ টিউশনি করতেন। পরে, ডাক বিভাগে চাকরি পান। ২০১৮ সালে লক্ষ্মণচন্দ্র হেমব্রম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার রামচন্দ্রপুরে পোস্টমাস্টার পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই সময় বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। কারণ, সেই সময় বিভিন্ন ক্লাব, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে তিনি টাকা ঢালতেন। ওই সময়েই গ্রাহকরা পোস্টমাস্টারের বিরুদ্ধে পাঁচ কোটি টাকার অর্থ তছরুপের অভিযোগ আনেন। অভিযোগ আসার পরেই ওই ব্যক্তিকে কোলাঘাটের নতুন বাজারের পোস্টমাস্টার হিসাবে নিযুক্ত করে বিভাগীয় দফতর। এরপর অর্থ তছরুপের অভিযোগের ভিত্তিতেই ২০১৯ সালে বিভাগীয় দফতর চাকরি থেকে অপসারিত করে তাঁকে। ২০২০ সালে অভিযোগের ভিত্তিতেই পাঁশকুড়া থানার পুলিশ প্রাক্তন পোস্টমাস্টারকে আটক করে। তবে, পরবর্তী সময়ে তিনি জামিনে মুক্ত হন। তবে, ওই পাঁচ কোটি টাকার তছরুপের অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকারের তদন্তকারী দল ইডি (ED) তদন্তের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে  থাকে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, সম্প্রতি সিজিও কমপ্লেসে ডেকে পাঠানো হয় লক্ষ্মণকে। কিন্তু, তিনি যাননি। তাই মঙ্গলবার তদন্তকারী দল তার বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি শুরু করে। প্রথমে বাড়িতে প্রবেশ করে প্রত্যেকের মোবাইল নিজেদের হেফাজতে নেয়। তারপরেই পরিবারের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সমস্ত খুঁটিনাটি দেখা হয়। রাত ন’টা পর্যন্ত চলে তল্লাশি।

    নিজের সম্পত্তি প্রসঙ্গে কী বললেন প্রাক্তন পোস্টমাস্টার?

    লক্ষ্মণ বলেন, ইডি (ED) আধিকারিকরা বাড়িতে এসে সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। বলেছেন, কাগজপত্র সব ঠিক আছে। আমাকে ৮ তারিখ সিজিও কমপ্লেক্সে যেতে বলা হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যে আর্থিক অভিযোগ রয়েছে তা ঠিক নয়।

    ইডি হানা নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পাঁশকুড়া থানার আইসি আশিস মজুমদার বলেন, কাউকে না জানিয়ে ইডি (ED) আসে। থানার কাছে কোনও তথ্য ছিল না। জানা গিয়েছে, ফের আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে লক্ষ্মণকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share