Blog

  • Anubrata Mondal: ইডির আবেদনে আসানসোল থেকে গরুপাচার মামলা সরল দিল্লিতে, চাপ বাড়ল কেষ্টর

    Anubrata Mondal: ইডির আবেদনে আসানসোল থেকে গরুপাচার মামলা সরল দিল্লিতে, চাপ বাড়ল কেষ্টর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসানসোলে সিবিআই-এর বিশেষ আদালত থেকে গরুপাচার মামলা এবার সরল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। এর ফলে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) বিরুদ্ধে যাবতীয় গরু পাচার সংক্রান্ত মামলার শুনানি দিল্লিতে হবে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছে আসানসোলের বিশেষ আদালত।

    ২৮ জুলাই মামলা স্থানান্তরের আবেদন জানিয়েছিল ইডি

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৮ জুলাই আসানসোলের আদালত থেকে মামলা সরানোর আবেদন জানিয়েছিল ইডি সেই আবেদনই দিন মঞ্জুর করলেন সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এরফলে মামলার যাবতীয় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব দিল্লিতেই হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে পশ্চিমবঙ্গেই তার বিচার প্রক্রিয়ার চলুক এনিয়ে আবেদন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal), তা খারিজ হয়ে যায় দিল্লি রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতে। কেন এই মামলা আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যেতে যান?  বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীর এই প্রশ্নের জবাবে ২০০৫ সালে অর্থমন্ত্রকে জারি করা একটি বিজ্ঞপ্তিকে তুলে ধরে ইডি। ঐ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে নেমে ৪৪/১/সি ধারায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতে ইডি।

    গরুপাচার মামলায় গত মার্চ থেকে তিহাড়ে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)

    প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় একযোগে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি এবং সিবিআই। সিবিআই এর হাতে ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই মামলার শুনানি শুরু হয় আসানসলের সিবিআই আদালতে। যদিও পরবর্তীকালে ইডি তাঁকে (Anubrata Mondal) গ্রেফতার করে এবং দিল্লির তিহাড় জেলে নিয়ে যায়। গত মার্চ থেকেই দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন এবং তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডলও বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন। এই মামলায় আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন এনামুল হক এবং বিএসএফের কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার। মামলা আসানসোল থেকে দিল্লিতে সরাতে চেয়ে এর আগেও দুবার আবেদন করেছিল ইডি তবে তৃতীয়বারের আবেদন গ্রহণ করেছে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: গোঘাটে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল চালাঘরের একাংশ

    Arambagh: গোঘাটে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল চালাঘরের একাংশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের পর এবার আরামবাগের (Arambagh) গোঘাটে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ। বাড়ির মধ্যেই বাজি তৈরি হত বলে জানা গেছে। সেখানেই বুধবার আনমানিক দুপুর ১২টা নাগাদ বাজি তৈরি করতে গিয়ে এই বিস্ফোরণে ঘটে বলে অনুমান।

    বিস্ফোরণের জেরে উড়ে যায় চালা ঘরের একাংশ (Arambagh)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের (Arambagh) গোঘাটের মান্দারণ পঞ্চায়েতের মোষপুর এলাকার বাসিন্দা সেখ লাল্টু নিজের বাড়িতেই বেআইনিভাবে গোপনে বাজি কারখানা চালাতো। সেখানে হঠাৎই এই বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। আগুন লেগে যায় চালা ঘরে। ঘটনা জেনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। যদিও নিজেরাই সাবমার্সিবল চালিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় গোঘাট থানার পুলিশ। ঘটনার পর এলাকায় প্রচুর মানুষ জমায়েত হয়। যদিও প্রকাশ্যে কেউ ভয়ে এবিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। তবে, ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ওই চালাঘরের অ্যাসবেস্টস ও টিন। এদিক ওদিক পরে রয়েছে বাজি তৈরির সরঞ্জাম, বাজির খোলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র। এমনকী বারুদে ভরা বাজি তৈরির মেশিন পড়ে রয়েছে পরিত্যক্ত জায়গায়। ঘটনার পর পলাতক বাড়ির মালিক সেখ লাল্টু।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    প্রায় দশ বছর আগে বোমা তৈরি করতে গিয়ে এই বাড়িতেই বড়সড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময় উড়ে গিয়েছিল বাড়ির চাল। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রতিবেশীদের বাড়িও। এমনকী মৃত্যু হয়েছিল বাড়ির এক মহিলার। সেই ঘটনার পর ফের এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকা জুড়ে। অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও প্রতিবেশী কয়েকজন বলেন, আগের ঘটনার অভিজ্ঞতা ও আতঙ্কের কথা। তাদের ধারণা বাজি তৈরি করতে গিয়েই এই বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন দত্তপুকুরের ঘটনার পরেও কেন শিক্ষা নিচ্ছে না প্রশাসন? তাহলে কি প্রশাসন কোনও খোঁজখবর রাখেনি নাকি পুলিশ প্রশাসনের মদতেই এই বাজি তৈরির কারখানা চলতো। যদি ফের বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায় কে নিত?

    বিস্ফোরণ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    এই ঘটনা প্রসঙ্গে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষের বক্তব্য, দত্তপুকুর ও এগরার ঘটনার পরেও পুলিশ প্রশাসন নাকে তেল দিয়ে ঘুমায় আর তৃণমূল নেতাদের মদতে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে বারুদের স্তুপ। এতে সাধারণ মানুষের আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়ে গেছে। যদিও তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের যোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Viral Video: ঠেলা গাড়িতে ফল বিক্রির সঙ্গে সন্তানদের পড়াশোনা! মায়ের সংগ্রামে আপ্লুত নেটদুনিয়া

    Viral Video: ঠেলা গাড়িতে ফল বিক্রির সঙ্গে সন্তানদের পড়াশোনা! মায়ের সংগ্রামে আপ্লুত নেটদুনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাস্তায় ফল বিক্রি করে ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মা। সেই সঙ্গে মায়ের ভালোবাসার কথায় চোখ ভেজালেন নেটপাড়ার নাগরিকরা। রাস্তায় ফল বিক্রি করতে করতেই মায়ের কাছে পড়াশোনা করছে সন্তানরা, এই ভিডিওকে ঘিরে সামাজিক গণমাধ্যম ব্যাপক সরগরম। ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হতেই আবেগে ভাসছেন নেট নাগরিকরা। কেউ কেউ জানিয়েছেন স্যালুট।

    ঘটনা কী ঘটছে (Viral Video)?

    ঠেলা গাড়িতে বিক্রি করতে হয় ফল। তার পাশেই প্লাস্টিক পেতে পড়াশুনা করতে দেখা যাচ্ছে দুই সন্তানকে। হাতে ধরে স্লেটে লেখাপড়া শেখাচ্ছেন মা। এক দিকে সন্তানদের পড়াশোনা, অপর দিকে ফল বিক্রি, দুই কাজেই জীবনের কঠিন লড়াই করছেন মা-সন্তানরা। এই দৃশ্য (Viral Video) নেটপাড়ার নাগরিকদের মন ছুঁয়ে গেছে। জীবনের কঠিন বাস্তবতায় মানুষের মনকে অত্যন্ত ভাবুক করে তুলেছে।

    সংগ্রামী মা

    আমরা সবাই জানি, পণ্ডিত বিদ্যাসাগর মশাই রাস্তার পাশে ল্যাম্প পোস্টের আলোতে কত কষ্ট করে পড়াশুনা করছেন। নানা গল্প, উপন্যাস, সিনেমার মধ্যেও দেখা গেছে মায়েদের জীবন সংগ্রাম কতটা কঠিন হয়। মা তাঁর নিজের সর্বস্ব সন্তানের জন্য উজার করে দেন। সন্তানকে বড় করতে মা সকল দুঃখ-কষ্টকে সাদরে গ্রহণ করেন। সন্তানের জন্য দু’ বেলা অন্নের সংস্থান করা এবং পড়াশুনা করিয়ে তাঁদের ভবিষ্যতে জীবনকে সহজ-সুন্দর করতে সব রকম চেষ্টা করেন মা। আজকের দিনে পড়াশুনা না জানলে, আগামীদিনের জীবন কতটা কঠিন হতে পারে, সেই কথা ভেবেই মা ঠেলার মধ্যে ফল বিক্রি করতে করতে সন্তানদের পড়াশুনার পাঠ দিচ্ছেন। এই দৃশ্য মানুষের মনকে সিক্ত করেছে। চোখে জল এনে দিয়েছে অনেকের। এমন ভিডিও ভাইরাল (Viral Video) হতেই মানবিক মন সত্যই আপ্লুত হয়ে পড়ে।

    কোথায় বিনিময় করা হয়েছে?

    জানা গেছে @dc_sanjay_jas নামে একটি ট্যুইটার পেজ থেকে ভিডিওটি (Viral Video) বিনিময় করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, আমার কাছে কোনও শব্দ নেই! কীভাবে মায়ের জীবন সংগ্রামকে উপস্থাপন করবো! এই নিয়ে কোনও ভাষা হয় না। এখনও পর্যন্ত ভিডিওটি ১ লাখের বেশি মানুষ দেখেছেন। নেট নাগরিকদের মধ্যে থেকে এসেছে নানা মতামত। কেউ কেউ দেখেই প্রণাম, স্যালুট এবং অভিনন্দন জানিয়েছেন। সন্তানের ভালোবাসায় মা কতটা আত্মত্যাগী হতে পারেন, সেই দৃষ্টান্ত যেন চোখে পড়ল এই ভিডিওতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: ‘হাফ মার্ডার, না ফুল মার্ডার!’ ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে রেট ঘোষণা ‘সুপারি কিলারের’

    South 24 Parganas: ‘হাফ মার্ডার, না ফুল মার্ডার!’ ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে রেট ঘোষণা ‘সুপারি কিলারের’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবাক কাণ্ড! এরকম বিজ্ঞাপন আগে দেখেছেন বলে মনে হয় না। রীতিমতো ভিজিটিং কার্ড ছেপে হাফ মার্ডার না ফুল মার্ডারের সুপারি চেয়ে আবদেন জানানো হচ্ছে। এলাকায় পোস্টারও দেওয়া হয়েছে। এমনই অবাক করা ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) ক্যানিং এলাকায়। এরকম ভিজিটিং কার্ড দেখে চোখ কপালে উঠেছে পুলিশেরও। তবে, স্বঘোষিত সুপারি কিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করেনি পুলিশ। ক্যানিংয়ের ধর্মতলা গ্রাম থেকে স্বঘোষিত মস্তান মোরসেলিম মোল্লা ওরফে বুলেটকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে? (South 24 Paraganas)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত দু-তিন দিন ধরেই এলাকার বিভিন্ন সূত্র মারফৎ এই ভিজিটিং কার্ডের খবর মিলছিল। পাশাপাশি সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) ক্যানিংয়ের ধর্মতলা এলাকা সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি জায়গায় এ সম্পর্কে পোস্টারও চোখে পড়ে অনেকের। পোস্টারে কার্ড ছাপিয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। রীতিমত নিজের ছবি, ফোন নম্বর দিয়ে মানুষ মারার জন্য ‘সুপারি কিলিং’এর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। রেটও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। হাফ মার্ডার করলে ৫০ হাজার এবং ফুল মার্ডার করলে ১ লক্ষ টাকা। ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে এলাকায় পোস্টারিং করে চলছে প্রচার। বিষয়টি জানতে পেরেই ক্যানিং থানার বিশেষ তদন্তকারী দল সাব ইন্সপেক্টর রঞ্জিত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে হানা দেয় ধর্মতলা গ্রামে। সেখানে তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে একটি দেশি বন্দুক ও দু রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতকে মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

    ধৃতের বিরুদ্ধে আর কী কী অভিযোগ রয়েছে?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগেও বেআইনি অস্ত্র পাচারের অভিযোগে গত বছর অগাস্ট মাসে গ্রেফতার হয়েছিল এই মোরসেলিম। এক বছর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) ক্যানিংয়ের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্য সহ তিনজনকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত রফিকুল সর্দারের ভাগ্নে ওই যুবক। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমেও ক্যানিং থানার পুলিশ এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু, সেই সময় নাবালক হওয়ার কারণে জামিন পেয়ে যায় মোরসেলিম।

     স্থানীয় বাসিন্দারা কী বলছেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর থেকেই কার্যত এলাকার মানুষকে মাঝে মধ্যেই ভয় দেখাত এই অভিযুক্ত। গত কয়েকদিন ধরে মানুষ খুন করার জন্য সুপারি নেওয়ার বিজ্ঞাপন দিতে শুরু করে সে। পুলিশি জেরায় নিজের অভিযোগ শিকার করেছে অভিযুক্ত। ধৃতের কাছ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রের পাশাপাশি মানুষ মারার বিজ্ঞাপনের ভিজিটিং কার্ডও উদ্ধার হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lord Kartikeya: দক্ষিণ ভারতে কার্তিকের মন্দিরের কাছাকাছি শিবের মন্দির দেখা যায় কেন?

    Lord Kartikeya: দক্ষিণ ভারতে কার্তিকের মন্দিরের কাছাকাছি শিবের মন্দির দেখা যায় কেন?

    স্বামী অলোকেশানন্দ

    বিয়ের পর দেবসেনার সঙ্গে কৈলাসে বাস করছিলেন কার্তিক। কিন্তু মাঝে মাঝে ভাই গণেশের সঙ্গে একটু আধটু তর্ক-বিতর্ক ও বাদ-প্রতিবাদের মধ্যে পড়তে হত। এরকমই একদিন তর্ক-বিতর্কে দুই ভাইয়ের মধ্যে ঠিক হল, কে আগে সারা পৃথিবী ঘুরে এসে মা পার্বতীর থেকে পুরস্কার নিতে পারে? কার্তিক (Lord Kartikeya) শুনেই তাঁর বাহন ময়ূরকে নিয়ে পৃথিবী ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন। ঘুরে এসে দেখেন, পার্বতী মায়ের পুরস্কার, মুক্তোর মালা নিয়ে গণেশ মায়ের কোলে বসে আছেন। কারণ মা পার্বতী হলেন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড। তাঁকে ঘুরলেই সব ঘোরা হয়ে যায়। এই ঘটনা আমরা সকলেই জানি।

    দক্ষিণ ভারতে অন্য কাহিনী (Lord Kartikeya) 

    কিন্তু তামিলনাড়ুতে বা দক্ষিণ ভারতে এই বিষয়ে অন্য একটি কাহিনী শোনা যায়। যখন গণেশ ও কার্তিক তর্ক-বিতর্ক করছিলেন, সেই সময় কোথা থেকে নারদ আমের মত দেখতে একটি ফল নিয়ে উপস্থিত হলেন। দুই ভাই জানতে চাইলেন, এটা কী বস্তু? নারদ বললেন, এটা জ্ঞান ফল। খেলে বুদ্ধি বাড়বে আবার আত্মজ্ঞান বাড়বে। শুনে দু’জনেই দাবি করতে লাগলেন তাঁদের এটি দিতে হবে। বলা বাহুল্য, সেই জ্ঞান ফল নিয়ে দুই ভাইয়ের মধে তর্ক-বিতর্ক আরম্ভ হয়ে গেল। তখন নারদ বললেন, ঠিক আছে, যে সবার আগে ত্রিভুবন ঘুরে আসতে পারবে, তাকে এই ফলটা দেব। শুনেই কার্তিক (Lord Kartikeya) রাজি হয়ে তাঁর ময়ূরের পিঠে উঠে বেরিয়ে পড়লেন ত্রিভুবন ঘুরতে। গণেশ অনেক চিন্তাভাবনা করে মা পার্বতী ও পিতা মহাদেবকে ডেকে কাছে দাঁড় করালেন। মা ও বাবাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা ত্রিভুবন পতি? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। ব্যাস, গণেশ তাঁর ইদুরের পিঠে চেপে মা-বাবাকে একসঙ্গে দাঁড় করিয়ে তিন পাক ঘুরে নিলেন। এই ঘটনা নারদের সামনেই হল। তাই নারদ ফলটি গণেশকেই দিয়ে দিলেন। এরপর যখন কার্তিক ত্রিভুবন ঘুরে এলেন, দেখলেন যে ফলটি গণেশের হাতে। কার্তিক জিজ্ঞাসা করাতে বললেন, মা ও বাবা ত্রিভুবন পতি। তাঁদেরই তিন পাক ঘুরে ত্রিভুবন ঘুরে নিলাম। এই না দেখে ও শুনে খুব অভিমান সহকারে স্ত্রী দেবসেনা ও বাহন ময়ূরকে নিয়ে কার্তিক ঘুরতে ঘুরতে চলে আসেন দক্ষিণ ভারতে তামিলনাড়ুর পালানিতে।

    কার্তিক (Lord Kartikeya) এখানে ছয়টি জায়গায় থাকতেন

    দক্ষিণ ভারতের তামিল রাজ্য কার্তিকের (Lord Kartikeya) বাসস্থান। কার্তিক এখানে ছয়টি জায়গায় থাকতেন বা আছেন বলে দক্ষিণ ভারতের মানুষ বিশ্বাস করেন। এই ছয়টি হল ১) স্বামীমালাই মুরুগান্‌ মন্দির  ২) পালানী মুরুগান্‌ মন্দির ৩) থিরুচেন্দুর মুরুগান্‌ মন্দির ৪) থিরুপ্‌পারান্‌কুন্ড্রাম্‌ মুরুগান্‌ মন্দির ৫) থিরুথানি মুরুগান্‌ মন্দির ও ৬) পাঝামুদিরচোলাই মুরুগান্‌ মন্দির। কার্তিকের দু’জন স্ত্রী বল্‌লী ও দৈবানৈ (দেবসেনা)। দেবসেনার সঙ্গে আগেই বিয়ে হয়েছেল। কিন্তু  ঘুরতে ঘুরতে যখন পাঝামুদিরচোলাই এলেন, জায়গাটা ট্রাইবাল এরিয়া ছিল। সেখানকার উপজাতি লোকেরা তাঁকে মুরুগন্‌ বলে শ্রদ্ধা জানায়, আদর-আপ্যায়ন শুরু করে। তাকে খুব শ্রদ্ধা ও ভালবাসে। 
    একদিন সেখানে স্থানীয় উপজাতি রাজার মেয়ে, যার গায়ের রঙ কালো, সেই বল্‌লীকে দেখে তাঁর রূপে আকৃষ্ট হন কার্তিক। কিন্তু কার্তিক কয়েক বার চেষ্টা করেও বল্‌লীর মন জয় করতে না পেরে ভাই গণেশকে ডেকে সব বলেন। গণেশ তখন হাতির রূপ ধরে বল্‌লীর কাছে যান। তখন সেখানে বৃদ্ধর রূপ ধরে কার্তিকও হাজির হয়ে যান। সামনে হাতি দেখে ভয়ে চোখ বুজে বল্‌লী বৃদ্ধরূপী কার্তিককে জড়িয়ে ধরে। কার্তিক বলেন, হাতি আমি তাড়িয়ে দেবো, কিন্তু আমাকে বিয়ে করতে হবে। তাতে বললী রাজি হয়। তারপর চোখ খুলে দেখে, হাতি চলে গেছে, সামনে সুদর্শন যুবক কার্তিক। তারপর বিয়ে হয় তার সাথে।

    কেন কার্তিকের (Lord Kartikeya) মন্দিরের কাছাকাছি শিবের মন্দির?

    সেই থেকে কার্তিক (Lord Kartikeya) এখানেই আছেন। বিবাহ করেছেন এখানে, লোকে তাই বলে তামিলনাডুর জামাই। তামিল রাজ্যে শিব ও কার্তিকের ভক্ত বেশি। তবে বর্তমানে শিবের থেকে মুরুগন অর্থাৎ কার্তিকের প্রভাব বেশি। কার্তিকের মন্দিরের কাছাকাছি শিবের মন্দির দেখা যায়। কারণ কার্তিক যখন তামিলনাডু চলে আসেন, তখন শিব ও পার্বতী তাঁকে এখানে নিতে আসেন। কিন্তু তামিলনাডুর লোকেরা এত ভালোবাসা, আদর-আপ্যায়ন করে রেখেছেন, যে কার্তিক এখান থেকে যেতে চাইলেন না। শিব তখন বললেন, কার্তিক না গেলে আমিও যাবো না। এরপর শিব কার্তিককে নিয়ে এখানে রয়ে গেলেন, আর পার্বতী গণেশকে নিয়ে কৈলাসে বাস করতে লাগলেন। দক্ষিণ ভারতে কার্তিকের মন্দিরের কাছাকাছি শিবের মন্দির দেখা যায় এই কারণেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Janmashtami 2023: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে দহি-হান্ডি উৎসব পালিত হয় কীভাবে?

    Janmashtami 2023: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীতে দহি-হান্ডি উৎসব পালিত হয় কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাঁড়িতে দই রেখে সেই হাঁড়ি ভাঙা। সংক্ষেপে এমন উৎসবের নামই হল দহি-হান্ডি উৎসব। এই উৎসব মূলত ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী (Janmashtami 2023) তিথিতে পালিত হয়। এই বছর জন্মাষ্টমীর তিথি পড়েছে সেপ্টেম্বরের ৬ এবং ৭ তারিখ। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পালন হবে ৬ তারিখ, আর এর ঠিক পরের দিন হবে দহি-হান্ডি উৎসব। কৃষ্ণ ভক্তরা এই দিনটি অত্যন্ত ভক্তি এবং শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে থাকেন। উৎসবের এই হাঁড়ি ভাঙার খেলার মধ্যে কপটতার ছল এবং কৌতূক থাকে, যা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অত্যন্ত পছন্দের।

    কেমনভাবে পালিত হয় দহি-হান্ডি উৎসব (Janmashtami 2023)?

    দহি-হান্ডি মূলত উত্তর এবং পূর্ব ভারতের খুব জনপ্রিয় উৎসব। শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2023) সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত এই উৎসব। এটি সবথেকে বেশি জনপ্রিয় মহারাষ্ট্রে। আদতে এটি একটি খেলার উৎসব। বড় মাঠের মধ্যে যুবকরা একটি মানব পিরামিডের আকৃতি নিয়ে দাঁড়িয়ে শৃঙ্খল তৈরি করে। এর পর উপরে একটি মাটির হাঁড়িতে দই রেখে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। উঁচুতে দই সমেত হাঁড়ি ভাঙার প্রতিযোগিতাই হল খেলা। যুবক প্রতিযোগীরা একে অপরের কাঁধের উপর উঠে, পিরামিডের শৃঙ্খল তৈরি করে হাঁড়ি ভেঙে থাকে। খেলার সময় ভক্তদের মধ্যে বিপুল উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দই, মাখন, ননী, দুধ খুব পছন্দ করতেন। তাই এই ঝোলানো মাটির হাঁড়ির মধ্যে কৃষ্ণের পছন্দের খাবারগুলিই রাখা থাকে।

    কীভাবে ভাঙা হয় হাঁড়ি (Janmashtami 2023)?

    দহি-হান্ডি উৎসবে একসঙ্গে অনেক জনের এক একটি দল প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে থাকে। এক এক দল পিরামিডের মতো নিচ থেকে উপরের হাঁড়ি পর্যন্ত একটি শৃঙ্খল নির্মাণ করে। এরপর একজন এই পিরামিড বেয়ে উপরে উঠে দই, মাখন, ননী সম্বলিত হাঁড়িকে ভেঙে সকলের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করে থাকে। অনেক সময় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণকারী দলের শৃঙ্খল, সম্বলিত পিরামিড ঠিক করে নির্মাণ করতে না পারলে, হাঁড়িতে হাত পৌঁছানোর আগেই মানব বন্ধনের পিরামিড ভেঙে যায়। তাই খেলায় অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে হাঁড়ি ভাঙতে হয়। এই হান্ডি ভাঙা প্রতিযোগিতা হল ভগবান কৃষ্ণের (Janmashtami 2023) কৌতূকপূর্ণ এবং দুষ্টুময়তার প্রতীকবহ।

    এই বছরের জন্মাষ্টমীর তিথি (Janmashtami 2023)

    হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে ভাদ্র মাসের অন্ধকার পক্ষ কাটিয়ে অষ্টম দিনের মাথায় রোহিণী নক্ষত্র যোগে জগতকে আলোকিত করে মর্তে জন্ম গ্রহণ করেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। এই বছর জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমীর (Janmashtami 2023) তিথি পড়েছে দুই দিন। জন্মাষ্টমীর তিথি ৬ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩ টা ৩৭ মিনিট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টা ১৪ মিনিট পর্যন্ত। পাশপাশি রোহিণী নক্ষত্রযোগের তিথির সময় হল ৬ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টা ২০ মিনিট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। জন্মাষ্টমী পালন হবে ৬ সেপ্টেম্বর এবং দহি-হান্ডি উৎসব পালন হবে ৭ সেপ্টেম্বর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    North Dinajpur: উত্তর দিনাজপুরে বিএড, ডিএলএড কলেজ বন্ধের হুমকি কেন দিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার বিএড, ডিএলএড কলেজগুলির বিরুদ্ধে তদন্ত করার জন্য শিক্ষা দফতরে আবেদন জানালেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মন। এতদিন এই সব কলেজগুলি পরিকাঠামো ছাড়াই রমরমিয়ে চলেছে। তাহলে কি কলেজগুলি শাসকদলের নেতাদের একাংশকে কাটমানি দিয়ে ম্যানেজ করে রেখেছিল? তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলায় বিএড এবং ডিএলএড মিলিয়ে ২২টি কলেজ রয়েছে। রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা দফতরের কাছে পাঠানো মন্ত্রীর লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, জেলার সব বিএড এবং ডিএলএড কলেজে সঠিক পরিকাঠামো নেই। বেশি ফি নেওয়ার অভিযোগ। ভালো শিক্ষক নেই। ঠিকমত ক্লাসও হয় না। এই নিয়ে গোটা জেলার কলেজগুলির নামও উল্লেখ রয়েছে তাঁর অভিযোগপত্রে। তার মধ্যে আটটি কলেজ তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য বিধানসভায় আরও একাধিক এই কলেজ রয়েছে। এই সব কলেজের ছাত্রছাত্রী এবং তাঁদের অভিভাবকরা মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার সেই অভিযোগের তদন্তের জন্যই শিক্ষা দফতরে দরবার করলেন মন্ত্রী।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন বলেন, উত্তর দিনাজপুর (North Dinajpur) জেলার ২২টি বিএড এবং ডিএলএড কলেজের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতর তদন্ত শুরু করবে। তদন্তে গুণগত মাণ সঠিক না থাকলে কলেজ বন্ধ করে দেব।

    মন্ত্রীর তালিকাভুক্ত কলেজের এক অধ্যক্ষ কী বললেন?

    মন্ত্রীর অভিযোগপত্রে তালিকাভুক্ত একটি কলেজের অধ্যক্ষ সংঘমিত্রা ঘোষ বলেন, মন্ত্রীর ওই লিখিত অভিযোগপত্রের কথা জানতে পেরেছি। শিক্ষা দফতরের নির্দেশিত সমস্ত পরিকাঠামো আমাদের উপযুক্ত রয়েছে। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। কেন তিনি আমাদের কলেজের নাম তালিকায় রাখলেন তা জানা নেই। আমরা যে কোনও সময় এই ব্যাপারে তদন্তের জন্য প্রস্তুত আছি। তবে, এই অভিযোগের পিছনে অন্য কারণ রয়েছে বলে আমার ধারণা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hilsa Fish: পুজোর আগেই বাংলায় ঢুকছে পদ্মার রুপোলি ইলিশ! দাম কত হতে পারে?

    Hilsa Fish: পুজোর আগেই বাংলায় ঢুকছে পদ্মার রুপোলি ইলিশ! দাম কত হতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষা শেষের দিকে। অথচ এবছর তেমন ইলিশের (Hilsa Fish) দেখাই নেই। বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ সরকারি নিষেধাজ্ঞার কারণে এ রাজ্যে ঢোকে না। প্রতি বছর পুজোর আগে বাংলাদেশ সরকার উপঢৌকন হিসেবে কিছু ইলিশ পাঠায়। তার আগেই ইলিশের সাধ পূরণে একমাত্র ভরসা থাকে সমুদ্রের ইলিশ। তবে হাওড়ার পাইকারি মাছ বাজারের ব্যবসায়ীরা পুজোর আগে শুনিয়েছেন সুখবর। আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। এরপরেই বাংলায় ঢুকছে পদ্মার রুপোলি ইলিশ। পুজো আর মাত্র দেড় মাস বাকি। তার আগে কলকাতার বাজারে আসছে পদ্মার ইলিশ। মৎস্য ব্যবসায়ীদের আশা, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই কলকাতার বাজারে পাওয়া যাবে রুপোলি ইলিশ।

    কী জানালেন আমদানির (Hilsa Fish) সঙ্গে যুক্ত সংগঠনের কর্মীরা?

    কলকাতার ফিস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মীরা জানিয়েছেন, গত ৪ বছর বাংলাদেশের সরকার পুজোর উপহার হিসাবে কলকাতায় পদ্মার ইলিশ পাঠায়। এ বছরেও পূজোর আগে যাতে সেই ইলিশ ঢোকে, সে ব্যাপারে এপারের ব্যবসায়ীরা সরাসরি যোগাযোগ করেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক এবং কলকাতার বাংলাদেশ দূতাবাসে। ওই মাছ ব্যবসায়ী সংগঠনের সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, তাঁরা বাংলাদেশ সরকার এবং ওই দেশের এক্সপোর্টারদের কাছে আগেই আবেদন জানিয়েছেন। আশা করা যায় ১৫ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনুমতি পাওয়া যাবে। তার পরের দিন থেকেই এপারে চলে আসবে পদ্মার টাটকা ইলিশ (Hilsa Fish)। তিনি আরও বলেন, প্রথম দিকে চাহিদার জন্য মাছের দাম একটু বেশি হতে পারে। এক কিলো সাইজের ইলিশ পাইকারি বাজারে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা পর্যন্ত উঠতে পারে। পরে অবশ্য দাম কমতে পারে। তখন এক কিলো সাইজের মাছ ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

    কী বলছেন মাছ (Hilsa Fish) বিক্রেতারা?

    মাছ বিক্রেতারা জানান, ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার এদেশে ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ৬ বছর এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। ২০১৯ সাল থেকে ফের বিশেষ অনুমতির ভিত্তিতে ইলিশ এ দেশে আমদানি শুরু হয়। কিন্তু যে পরিমাণ ইলিশ (Hilsa Fish) আমদানিতে  অনুমতি দেওয়া হয়, তা এক মাসে নিয়ে আসা সম্ভব হয় না। সেই কারণে এবারে তাঁদের পক্ষ থেকে আমদানির সময়কাল ৩০ দিনের পরিবর্তে ৬০ দিন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রকে। এর ফলে কলকাতার বাজারে বেশি পরিমাণ ইলিশ আমদানি করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন তাঁরা।

    আমদানির সময়সীমা (Hilsa Fish) কেন বাড়ানো প্রয়োজন?

    গত বছর ২৯৯০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানিতে অনুমতি পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু এতটাই কম সময় দেওয়া হয়েছিল যে সময়ের অভাবে মাত্র ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ কলকাতায় আনা গিয়েছিল। একইভাবে ২০২১ সালে ৪৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেবারও মাত্র এক মাস সময় দেওয়া হয়৷ এর ফলে সেবছর মাত্র ১৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ (Hilsa Fish) আমদানি করা গিয়েছিল। তাই ব্যবসায়ীরা চাইছেন বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় আমদানির সময়সীমা বাড়ানো হোক।

    হাতে মাত্র কটা দিন বাকি। এরপরই কলকাতার বাজারে পাওয়া যাবে পদ্মার রুপোলি শস্য। আর এখন সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন খাদ্যরসিক বাঙালি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গির নতুন প্রজাতির দাপটেই কি বাড়ছে সংক্রমণ? জানান দিচ্ছে কোন কোন উপসর্গ?

    Dengue: ডেঙ্গির নতুন প্রজাতির দাপটেই কি বাড়ছে সংক্রমণ? জানান দিচ্ছে কোন কোন উপসর্গ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে! প্রত্যেক দিন আক্রান্তের সংখ্যা উর্ধ্বমুখী। তার সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যু! কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা এবং নদিয়া জেলার আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির (Dengue) নতুন প্রজাতি এ বছর বাড়তি বিপদ তৈরি করছে। ইতিমধ্যেই এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে নাইসেড-এর রিপোর্টে।

    কী বলছে নাইসেড-এর রিপোর্ট (Dengue)? 

    স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে অগাস্টের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার। মারা গিয়েছেন ইতিমধ্যেই ২১ জন। আর সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বগতির জন্যই স্বাস্থ্য ভবন থেকে নমুনা পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা নাইসেড-এর কাছে। নাইসেড-এর রিপোর্ট উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। 
    নাইসেড-এর তরফে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গির মূলত চার প্রজাতি সংক্রমণ ছড়ায়। এ বছর স্বাস্থ্য ভবনের পাঠানো ১২৪টি নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছে নাইসেড। তাতে দেখা গিয়েছে, ৯৩টি নমুনায় ডেঙ্গি ডেন থ্রি প্রজাতির অস্তিত্ব রয়েছে। আর বাকিগুলিতে রয়েছে ডেন টু প্রজাতি। নাইসেড-এর তরফে জানানো হয়েছে, গত বছরে ডেন টু প্রজাতির দাপট ছিল। এ বছর দাপট বাড়াচ্ছে ডেন থ্রি। তাই গত বছর যাদের ডেঙ্গি হয়েছিল, তাদের ফের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। পাশপাশি যাদের আগে ডেঙ্গি (Dengue) হয়নি, তাদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যথেষ্ট।

    নতুন প্রজাতি (Dengue) কোন ঝুঁকি বাড়াচ্ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির ডেন থ্রি প্রজাতি রক্তে শ্বেত কণিকার সংখ্যা কমাচ্ছে, যা ভয়ানক। ডেঙ্গি হলে প্লেটলেট কমে। তার ফলে, প্লেটলেটের জোগান দিতে হয়। কিন্তু এ বছর ডেন থ্রি-র প্রকোপে শ্বেত কণিকা কমছে। আর শ্বেত কণিকা দেহে রোগ প্রতিরোধ শক্তি ধরে রাখে। ফলে, রক্তের এই উপাদান কমার জেরে রোগীর দ্রুত অন্য জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে। ফলে, ডেঙ্গির (Dengue) পাশপাশি লিভার, কিডনি কিংবা ফুসফুসের জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। যা প্রাণ সংশয় তৈরি করে।

    কীভাবে জানান দেয় ডেঙ্গি (Dengue) ডেন থ্রি প্রজাতি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর, বমি, মাথার যন্ত্রণা, হাতে-পায়ে যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। যা অন্যান্য ডেঙ্গির (Dengue) প্রজাতিতেও দেখা যায়। কিন্তু ডেঙ্গি ডেন থ্রি প্রজাতি হলে বমি বার বার হতে থাকে। তাছাড়া, রক্তপাত হয়। মলমূত্র ত্যাগের সময়ও রক্তপাত হয়। এছাড়াও গোটা শরীরে লাল ছোপ ছোপ দাগ দেখা দেয়। পাশপাশি, দেহে জলের পরিমাণ কমতে থাকে। অর্থাৎ,ডিহাইড্রেশন দেখা দেয়। এগুলিই ইঙ্গিত দেয় দ্রুত চিকিৎসা জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sisir Adhikari:  খেজুরিতে আক্রান্ত শিশির অধিকারী, ভাঙল গাড়ির কাচ, কী বললেন জখম সাংসদ?

    Sisir Adhikari: খেজুরিতে আক্রান্ত শিশির অধিকারী, ভাঙল গাড়ির কাচ, কী বললেন জখম সাংসদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হামলার মুখে পড়লেন সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)। কাঁথির সাংসদের গাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট মেরে ভেঙে দেওয়া হয়েছে গাড়ির কাচ। ভাঙচুর করা হয়েছে সাংসদের গাড়িতেও। জানা গিয়েছে, ইটের ঘায়ে আহত হয়েছেন শিশিরবাবু। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে খেজুরির তেঁতুলতলা এলাকায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মঙ্গলবার খেজুরি-২ ব্লকে গিয়েছিলেন সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) । সেখানে এদিন পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতির নির্বাচন ছিল। সেই ভোট দান প্রক্রিয়াতে অংশ নিতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী সমিতি নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক বোমাবাজি হয়। শিশির অধিকারীর ভোট দানকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। শিশির অধিকারীর সামনে দাবি তোলা হয়, তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দান করতে হবে এবং সম্পূর্ণভাবে দেখিয়ে প্রকাশ্যে ভোট দিতে হবে। এমনটাই দাবি ছিল স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের। পরে, গন্ডগোলের জেরে যদিও বিডিও অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় ভোটদান প্রক্রিয়া এদিনের মতো বন্ধ হয়ে যায়। সেখান থেকে ফেরার পথে খেজুরির তেঁতুলতলাতে শিশির অধিকারীর গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীদের ইটের আঘাতে মাথায় চোট লাগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা সাংসদ শিশির অধিকারীর। কনভয়ের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা রক্ষীদের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করে কাঁথির হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

     কী বললেন শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari)  ও তাঁর পরিবারের লোকজন?

    ঘটনার পর সাংসদ শিশির অধিকারী (Sisir Adhikari) বলেন, আমাকে আক্রমণ করাই ওদের লক্ষ্য ছিল। খুনের চেষ্টা হয়েছিল। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এমন ঘটনা ঘটেনি। হামলাকারীদের আমি চিনতে পেরেছি। ওদের আগেও দেখেছি। আমি একজন সাংসদ। তাই যেখানে যেখানে অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন সেখানে অভিযোগ জানাব। এই নিয়ে তমলুকের সাংসদ তথা শিশির অধিকারীর সেজ ছেলে দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, বাবা খেজুরি থেকে ফিরছিলেন। তখনই ওঁর গাড়িতে ইট যারা হয়। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে।  আমাদের পরিবারকে লক্ষ্য করেই একের পর এক হামলা হচ্ছে। যে কোনও দিনই খুন হয়ে যেতে পারে অধিকারী পরিবারের যে কেউ।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূলের তরফে এই হামলার নিন্দা করা হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ওকে আগে বলতে হবে তৃণমূলের উপর তৃণমূল হামলা কেন চালাবে? উনি তাহলে কোন দলের সাংসদ, সেটা তিনি আগে স্পষ্ট করে বলুন। উনি তৃণমূল সাংসদ হলে ওর উপর হামলায় প্রশ্ন তুলছে কেন বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share