Blog

  • Birbhum: বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি করে পালাল জামাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Birbhum: বীরভূমে শ্বশুরকে গুলি করে পালাল জামাই, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্বশুরকে গুলি করে খুন করে পালিয়ে গেল জামাই। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজারের ঘটনা। জখম ব্যক্তির নাম মঙ্গল বায়েন। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী জামাই অনুপ বায়েন পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। তবে, সাধারণ মানুষের কাছে এভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কী আসছে? পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সাধারণ মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    গুলিতে জখম মঙ্গলবাবুর বাড়ি বীরভূমের (Birbhum) মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজার এলাকায়। তাঁর মেয়ের সঙ্গে ষাটপলসার গ্রামের বাসিন্দা অনুপ বায়েনের সঙ্গে বিয়ে দেন। বিয়ের পর জামাই কিছুদিন ঘর জামাই ছিলেন। শ্বশুরে ট্রাক্টর চালাতেন। জমি জায়গা দেখাশুনা করতেন। কিন্তু, সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে জামাইয়ের সঙ্গে শ্বশুরের বচসা হয়। অনুপ শ্বশুরবাড়়ি ছেড়ে চলে যায়। পরে, তাকে ডেকে পাঠানো হলেও সম্পত্তি দেওয়া নিয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় অনুপ রেগে যায়। পরে, সে চলে যায়। শনিবার রাতে ট্রাক্টর চালিয়ে মঙ্গলবাবু বাড়ি ফেরার পথেই মল্লারপুর থানার সন্ধিগড়া বাজারের কাছে উওর মাঝারি পাড়ার মাঠের মাঝখানে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ঘটনার বিবরণ জানতে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্র, মল্লারপুর থানার অফিসার ইন চার্জ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মঙ্গলবাবুর এক আত্মীয় স্বপন দাস বলেন, পরিবারের সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই মেয়ের সঙ্গে অশান্তি চলছিল বাবার। জামাইয়ের সঙ্গে অশান্তি লাগ। তারজন্য এভাবে গুলি করে খুন করার চেষ্টা করবে তা ভাবতে পারছি না। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajasthan Woman Stripped Case: আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় প্রবল চাপে রাজস্থানের গেহলট সরকার

    Rajasthan Woman Stripped Case: আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় প্রবল চাপে রাজস্থানের গেহলট সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় তোলপাড় রাজস্থান (Rajasthan Woman Stripped Case)। এই বর্বরোচিত ঘটনায় কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা। সমানেই রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন। আর তাই এই নারী নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র চাপে পড়েছে রাজস্থান কংগ্রেসের গেহলট সরকার। তড়িঘড়ি তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।

    ঘটনা কী ঘটেছ (Rajasthan Woman Stripped Case)?

    রাজস্থানের প্রাতপগড় এলাকার শ্বশুরবাড়ির পরিবার, এক বিবাহিতা আদিবাসী মহিলাকে নগ্ন (Rajasthan Woman Stripped Case) করে ঘোরানোর ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনা। ঘটনাকে নিন্দা জানিয়ে কংগ্রেস চালিত সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হয়েছে বিজেপি। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা এবং নারী সুরক্ষার বিষয় নিয়ে বারবার গেহলট সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে বিজেপি। পাশাপাশি সমানেই রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচন, তাই নির্বাচনে নারী সুরক্ষার বিষয় প্রাধান্য পাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা রাজস্থানের সরকারকে তীব্র সমালচনা করে বলেন, রাজস্থান সরকার কেবল মাত্র দিল্লির এক বিশেষ পরিবারকে খুশি করতেই ব্যস্ত। সাধারণ মানুষ এবং জনজীবনের কোনও মূল্য নেই গেহলট সরকারের কাছে। মহিলা নিরাপত্তা নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত নন তাঁরা। তিনি এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, রাজস্থানের কোনও আদিবাসী পরিবারের মা বোনেরা সুরক্ষিত নন (Rajasthan Woman Stripped Case)। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কড়া জবাব দেবে রাজস্থানের সাধারণ মানুষ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত বলেন, রাজস্থান সরকার ভণ্ডামি করছে। তিনি আরও বলেন, মণিপুরের ঘটনা নিয়ে রাহুল গান্ধী সোচ্চার হলেও রাজস্থানের মা বোনেদের উপর অত্যাচার নিয়ে মৌন রয়েছেন। তাঁর মতে, মণিপুরের মতো রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাওয়া উচিত।

    চাপে পড়ে কঠোর কংগ্রেস সরকার

    ঘটনা জানাজানি হতেই রাজস্থান কংগ্রেস সরকার বিষয়টি নিয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছে। মুখ্যন্ত্রী অশোক গেহলট তীব্র নিন্দা করছেন। পুলিশের ডিজিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয় সম্পর্কে দ্রুত ভূমিকা পালনের কথা বলেছেন। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এবং অভিযুক্তদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন। স্থানীয় কংগ্রেস বিধায়ক নাগরাজ মীনা জে্শাতহোসক এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠক করেন। ঘটনায় আদিবাসী মহিলার (Rajasthan Woman Stripped Case) স্বামী সহ আরও সাতজনকে ইতি মধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করছে বলে জানা গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কবে চালু হচ্ছে মুর্শিদাবাদের নসিপুর-আজিমগঞ্জ ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল?

    Murshidabad: কবে চালু হচ্ছে মুর্শিদাবাদের নসিপুর-আজিমগঞ্জ ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ প্রতীক্ষার এবার হয়তো অবসান হতে চলেছে। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজের উপর দিয়ে খুব শীঘ্রই ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ার পথে। এর আগে নসিপুরে রেলের কাজ পরিদর্শনে এসে পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অমর প্রকাশ দ্বিবেদী বলেছিলেন, ডিসেম্বর মাসেই ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে। সেই লক্ষ্যপূরণে এখন শেষ মুহূর্তের কাজ চলছে।

    নসিপুরে শুরু হল নতুন প্যানেল বসানোর কাজ (Murshidabad)

    ভাগীরথীর উপর মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নসিপুর-আজিমগঞ্জ যে রেল সেতু আছে, সেখানে ২৬০ মিটার লম্বা ৪২ টি প্যানেল  বসানো হবে। শনিবার সেই প্যানেল মালগাড়িতে করে এই নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজে নিয়ে আসা হয়। পুরানো যে প্যানেলগুলি বসানো আছে, সেগুলি খুলে ফেলা হবে রেল বলে জানা গিয়েছে। নতুন প্যানেল বসানোর কাজ শেষ হয়ে গেলেই ভাগীরথীর উপর দিয়ে বহু আকাঙ্ক্ষিত নসিপুর-আজিমগঞ্জ রেল ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে যাবে।

    নসিপুর ব্রিজ দিয়ে ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেলে কী কী সুবিধা মিলবে?

    প্রায় কুড়ি বছরের বেশি সময় আগে ভাগীরথীর উপর রেল ব্রিজ এর জন্য লালবাগ শহরের মতিঝিলের বাসিন্দা এ আর খান নামে প্রাক্তন এক সেনা কর্মী উদ্যোগী হয়েছিলেন। এলাকার মানুষের দাবি মেনে রেলও উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। মাত্র ৫০০ মিটার জমি জটের কারণে দীর্ঘদিন ধরে আটকে ছিল রেলের এই প্রকল্পের কাজ। অবশেষে জমি জট কাটে। রেলের পক্ষ থেকে ফের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। স্থানীয় সাংসদ অধীর চৌধুরী এই বিষয়টি তদারকি করেছিলেন। পরে, বিজেপি বিধায়করা এই বিষয়ে রেলের কাছে বারবার দরবার করেছিলেন। রেলের নিয়মিত নজরদারির কারণে নসিপুর রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হতে চলেছে। জানা গিয়েছে, এই ব্রিজ চালু হলেই খুব সহজেই উত্তর ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ ঘটবে। এখন লালগোলা লাইন দিয়ে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) থেকে শিয়ালদা, কলকাতা স্টেশনে হাতে গোনা এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। এই ব্রিজ চালু হয়ে গেলে একাধিক এক্সপ্রেস এই লাইন দিয়ে চলাচল শুরু হবে। বহরমপুর কোর্ট স্টেশন থেকেই জেলার মানুষ শিলিগুড়ি, গুয়াহাটি চলে যেতে পারবেন। কলকাতা যেতেও অনেক বেশি এক্সপ্রেস ট্রেন পাবেন জেলাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bharat Mandapam: দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপমে হবে জি ২০ সম্মেলন, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    Bharat Mandapam: দিল্লির প্রগতি ময়দানে ভারত মণ্ডপমে হবে জি ২০ সম্মেলন, প্রস্তুতি তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লির প্রগতি ময়দানে তৈরি করা হয়েছে ভারত মণ্ডপম (Bharat Mandapam)। ১২৩ একর জমিতে তৈরি করা হয়েছে এই সম্মেলন কক্ষ। আগামী ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর এখানেই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে জি ২০ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগদান করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। সেই সঙ্গে আরও প্রায় ২৫ টি দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা এই সম্মেলনে যোগদান করবেন। দেশের রাজধানী দিল্লিতে এই সম্মেলনে দেশ-বিদেশ থেকে আগত সকল প্রতিনিধিদের ভারত সম্পর্কে নানা অনুভূতির স্বাদ জ্ঞাপক বিষয় দিয়ে অভ্যর্থনা জানানো হবে বলে জানা গেছে। ভারত মণ্ডপমের প্রত্যেক দেওয়াল এবং কক্ষে ভারতের সংস্কৃতির পরিচয় বাহক নানা বিষয় দিয়ে সুসজ্জিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা।

    ভারত মণ্ডপমে কী কী রয়েছে (Bharat Mandapam)?

    নবনির্মিত ভারত মণ্ডপমে (Bharat Mandapam) ১৮ তম জি ২০ সম্মেলনের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। দিল্লি তাই বিশ্ববাসীর কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ২০২৩ সালের জুলাই মাসেই দেশের প্রধানমন্ত্রী এই সম্মেলন কক্ষ ভারত মণ্ডপমের উদ্বোধন করেছিলেন। জি ২০ মুদ্রা এবং স্ট্যাম্পের উন্মোচন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। আনুমানিক প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা খরচ করে নির্মাণ হয়েছে এই ভারত মণ্ডপম কেন্দ্র। এই মণ্ডপ হল বর্তমানে দেশের বৃহত্তম সম্মেলন এবং প্রদর্শনীর কেন্দ্র। এখানে রয়েছে কনভেনশন সেন্টার, অ্যাম্ফিথিয়েটার, ১৬ টি ভাষার দোভাষী কক্ষ, ভিডিও স্ক্রিনিং করার বিশাল দেওয়াল। এছাড়াও রয়েছে অকুপেন্সি সেন্সর সহ লাইট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ডেটা কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের আধুনিক ব্যবস্থা। ভারতের জি ২০ সভাপতিত্বের সব থেকে বড় অনুষ্ঠান হতে চলেছে এই ভারত মণ্ডপম কেন্দ্রে।

    দিল্লির যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রিত থাকবে

    জি ২০ (Bharat Mandapam) সম্মেলনে আগত প্রতিনিধির সংখ্যা কয়েক হাজার। রাজধানীতে প্রতিনিধিদের যাতায়াতের ব্যবস্থা সচল রাখার জন্য, প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ পরিবহণ ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা হবে বলে জানা গেছে। ৮ই সেপ্টেম্বর থেকে দিল্লির বেশিরভাগ শপিং মল, রেস্তোরা, বাজার, হোটেল বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। স্কুলকলেজ এবং অফিসগুলিকে যতটা সম্ভব বাড়ি থেকেই চালানোর কথা বলা হয়েছে। কেবল মাত্র দিল্লির বাসিন্দাদের প্রবেশ এবং বহির্গমনে বাধানিষেধ থাকছে না। তবে দিল্লির বাইরের বাসিন্দাদের উপর বিধিনিষেধ আরোপ থাকছে। প্রয়োজনে আগে থেকে পাশ নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। দিল্লির বাস, মেট্রো পরিষেবা চালু থাকলেও তা সীমিত ভাবে চালানোর কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Ganges: হাওড়ার গঙ্গায় ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে উঠছে মরা মাছ, কেন জানেন?

    Ganges: হাওড়ার গঙ্গায় ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে উঠছে মরা মাছ, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার বাউড়িয়া থেকে সালকিয়া। গঙ্গার (Ganges) ঘাটে ঘাটে গত দু একদিন ধরেই ঝাঁকে ঝাঁকে ভেসে উঠছে মরা মাছ। প্রথমে দেখা যাচ্ছে পাড়ের কাছে মাছগুলি খাবি খেতে খেতে মারা যাচ্ছে। আর সেই মাছ ধরার ধুম পড়ে গিয়েছে হাওড়ার গঙ্গার ঘাটে। মাছের এই মড়কের প্রকৃত কারণ এখনও জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গঙ্গায় ব্যাপক দূষণের ফলেই এই মাছের মৃত্যু হচ্ছে।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা কী বললেন? (Ganges)

    শুক্রবার দুপুর থেকেই হাওড়ায় গঙ্গার (Ganges) বিভিন্ন ঘাটে মাছ ভেসে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। বিকালের দিকে যা আরও বেড়ে যায়। বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে উঠতে শুরু করে গঙ্গার জলে। ক্রমশ ভিড় জমে যায় হাওড়ার তেলকল ঘাট, শিবপুর ঘাট, রামকৃষ্ণপুর ঘাট-সহ বিভিন্ন জায়গায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, প্রথমে বেশ কয়েকটি মরা মাছ ভেসে উঠেছিল। পরে, ধীরে ধীরে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। শুক্রবার থেকে এই মাছের মড়ক শুরু হলেও শনি ও রবিবারও কোথাও কোথাও মাছ মরে ভাসতে দেখা যায়। গ্রামীণ হাওড়ার বিভিন্ন ঘাটেও একই দৃশ্য দেখা যায়। ভেসে ওঠা মাছ ধরতে প্রচুর উৎসাহী মানুষ ভিড় জমান গঙ্গার ঘাটে ঘাটে।

    পরিবেশবিদরা কী বলছেন?

    পরিবেশবিদ তাপস দাস বলেন, গঙ্গার (Ganges) দুই পাড়ে কলকাতা ও হাওড়ায় রয়েছে অসংখ্য কারখানা। বিশেষ করে হাওড়ায় গঙ্গার ধার বরাবর বহু পুরানো গোডাউন, নানা রাসায়নিক কারখানা ও লেদ কারখানা রয়েছে। সেইসব কারখানা থেকে বিষাক্ত তেল মাঝেমধ্যেই গঙ্গার জলে মিশে যায়। হাওড়ার বালিতে কয়েক বছর আগে কারখানার তেল গঙ্গার জলে পড়ে তেলের আস্তরণ তৈরি হয়েছিল। পরে,তা আস্তে আস্তে ভেসে যায়। তাতেও বেশ কিছু মাছ ও গঙ্গার জলজ প্রাণীর মৃত্যু হয়। এবারেও এরকম কোনও কারখানার বর্জ্য বা তেলের কারণে মাছের মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছেন সাধারণ মানুষ থেকে পরিবেশবিদরা। তবে, বর্ষাকাল হওয়ায় গঙ্গার জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গেছে। ফলে সেই তেল বা বর্জ্য দ্রুত ভেসে যাওয়ায় মাছের মোড়ক অনেকটাই ঠেকানো গেছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    Dhupguri: তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক যোগ দিলেন বিজেপিতে, ধূপগুড়িতে বড়সড় ধাক্কা খেল শাসকদল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধূপগুড়়ি উপ নির্বাচনেই ঠিক আগেই বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। রবিবার সকালে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের হাত ধরে বিজেপিতে যোগদান করলেন তৃণমূলের ধূপগুড়ির (Dhupguri) প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে এই আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। ফলে, এমনিতেই এই আসনে তৃণমূল ব্যাকফুটে রয়েছে। শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ক দল বদল করায় তৃণমূল আরও ব্যাকফুটে চলে গেল বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছে।

    বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে কী বললেন প্রাক্তন বিধায়ক? (Dhupguri)

    ২০১৬ – ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি ধূপগুড়ির (Dhupguri) বিধায়ক ছিলেন। ২০২১ সালে ফের তৃণমূল তাঁকে বিধানসভার টিকিট দিয়েছিল। সেই ভোটে তিনি পরাজিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে তাঁকে দলে কোণঠাসা করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মিতালি রায়। পাশাপাশি তিনি বলেন, রাজবংশী সমাজকে বাড়তে না দেওয়া এবং তাদের বিভিন্ন সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখার উদ্দেশ্যেই তৃণমূল আমাকে কোণঠাসা করে রেখেছিল। ২০২১ এর ভোটের পর থেকেই আমি একপ্রকার ঘরেই বসেছিলেন। এবারের নির্বাচনেও আমি তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে নামেননি। মাঝে একদিন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের অনুরোধে আমি প্রচারে বেড়িয়েছিলাম। শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও আমি মঞ্চে ছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর সমর্থনে বক্তব্যও রেখেছিলাম। কিন্তু, মঞ্চেই আমি বুঝতে পারি, আমার সঙ্গে সঠিক ব্যবহার করা হচ্ছে না। তখনই আমি দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিই। এলাকার মানুষের স্বার্থে বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, কেন আমাকে টিকিট দেবেনা তৃণমূল?  কামতপুর আন্দোলনে জড়িত ছিলেন, সেখান থেকে তৃণমূল আমাকে তাদের দলে নিয়ে আসে, জেলার মহিলা সভানেত্রীর পদ দেয়। আমিও মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাহলে কেন আমার সঙ্গে দ্বিচারিতা করা হল? বানারহাটের হাতিনালা খালের পাকাপাকি সমাধানের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এই সব কিছু চিন্তা করে আমি বিজেপিতে যোগদান করেছি।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ভোটের আগে এটা আমাদের মাস্টার স্ট্রোক। এতেই তৃণমূল ধরাশায়ী হবে। ধূপগুড়িতে (Dhupguri) বিজেপি অনেক ভাল ফল করবে। গত বিধানসভার থেকেও অনেক বেশি মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    মিতালি রায়ের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, এতে আমাদের কোনও ক্ষতি হবে না। উল্টে লাভ হবে। কে গেলো আর কে এলো সেটা কোনও ব্যাপারই না। দলের চিহ্ন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই ধূপগুড়িতে (Dhupguri) ভোট দেবে মানুষ। তার বিজেপিতে যোগদান করায় তৃণমূল আরও বেশী ভোটে জিতবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লোডশেডিং-এ জেরবার, সংস্থার অফিসের সামনে ধর্নার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: লোডশেডিং-এ জেরবার, সংস্থার অফিসের সামনে ধর্নার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ বাড়ায়, অস্বস্তিকর গরম বেড়েছে রাজ্যে। এরই মধ্যে দোসর হয়েছে লোডশেডিং। বিগত কয়েকদিন ধরেই গরমের সঙ্গে লোডশেডিং-এ নাজেহাল রাজ্যের মানুষ। পরিস্থিতি বদল না হলে বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসের সামনে বসে ধর্নার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পরিস্থিতি বদলের দাবিতে চাঁচল সমেত রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখাতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও চলছে দফায় দফায় লোডশেডিং। বৃহস্পতিবার রাত থেকে এই সমস্যা দেখা যায় বাঁকুড়া জেলাতে। একাধিক জায়গায় এক থেকে দেড় ঘণ্টা করে কারেন্ট থাকছে না জেলাতে। পাশাপাশি হুগলি জেলাতেও দেখা গেছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। যার জন্য নাজেহাল সাধারণ মানুষ। সন্ধ্যা হলে বাড়িতে জ্বলে উঠছে চার্জার লাইট অথবা মোমবাতি। একই পরিস্থিতি উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম এবং পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে।  দক্ষিণবঙ্গের মতো উত্তরবঙ্গেও রয়েছে একই পরিস্থিতি। সেখানে জলপাইগুড়ি থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর সর্বত্র একই পরিস্থিতি। কোচবিহার জেলার দিনহাটা, মাথাভাঙ্গা তুফানগঞ্জে চলছে বিদ্যুৎ বিভ্রাট। মালদাতে আবার এই সমস্যা চলছে বিগত সাত দিন ধরে। সেখানকার স্থানীয় মানুষদের দাবি যে রাত্রি হলেই নাকি লোডশেডিং হচ্ছে (Suvendu Adhikari)। 

    লোডশেডিং নিয়ে কি বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)

    বিদ্যুৎ বিভ্রাট এর চেয়ে পরিস্থিতি সারা রাজ্য জুড়ে চলছে, তা অবিলম্বে যদি বদল না হয় তাহলে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার অফিসের সামনে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন,‘‘পশ্চিমবঙ্গের দেউলিয়া সরকার পয়সার অভাবে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না। তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন ক্ষমতা কমাতে বাধ্য হয়েছে। যার ফলে ঘাটতির পরিমাণ ১২০০ মেগাওয়াট।’’

    বিদ্যুৎ বিভ্রাট নিয়ে কী বলছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস

    রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে অবশ্য সাফাই দিতে শোনা যায় এই পরিস্থিতিতে। অরূপ বিশ্বাসের দাবি, আমাদের পুজো প্রস্তুতি চলছে। উত্তরবঙ্গে পুজোর আগে বৃষ্টি বেশি হয়। তার বদল হচ্ছে। ট্রান্সফর্মা বদল হচ্ছে। তা মাাইকিং করেই করা হচ্ছে। পুজোর জন্য এই সমস্য়াটা হচ্ছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Weather Update: রবিবারও ভিজবে কলকাতা সমেত দক্ষিণবঙ্গ, কতদিন চলবে বৃষ্টি?

    Weather Update: রবিবারও ভিজবে কলকাতা সমেত দক্ষিণবঙ্গ, কতদিন চলবে বৃষ্টি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সপ্তাহের ছুটির দিন রবিবারে বৃষ্টিস্নাত হতে চলেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি (Weather Update)। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কমতে পারে। আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে ইতিমধ্যে অবস্থান করছে একটি ঘূর্ণাবর্ত (Weather Update)। এর পাশাপাশি সোমবার নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। এই দুইয়ের প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাত (Weather Update) হবে। প্রসঙ্গত, চলতি বর্ষায় বৃষ্টিপাতের ঘাটতি দেখা গিয়েছে কলকাতা সমেত দক্ষিণবঙ্গে। পরিসংখ্যান বলছে প্রায় ২৫ শতাংশ বৃষ্টিপাতের ঘাটতি (Weather Update) রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। তবে সেপ্টেম্বরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

    কেমন থাকবে কলকাতার আবহাওয়া (Weather Update)?

    হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (Weather Update)।  জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় তিলোত্তমায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি।  অন্যদিকে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ছিল ৯৭ শতাংশ (Weather Update) এবং সর্বনিম্ন ৬৫ শতাংশ। রবিবারও দিনভর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। একই পরিস্থিতি চলবে সোমবারও। মঙ্গলবার থেকে ফের বদল হবে আবহাওয়া (Weather Update)।

    কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?

    দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস (Weather Update) দিয়েছে হাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তে ভিজতে চলেছে উপকূলবর্তী জেলাগুলি। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে হতে পারে বৃষ্টিপাত। সোমবার এই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গে সমস্ত জেলাতেই রয়েছে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা (Weather Update)।

    কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া

    চলতি বর্ষায় উত্তরবঙ্গে বেশ ভালোই বৃষ্টিপাত (Weather Update) হয়েছে। এবার ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে বলে জানাচ্ছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, রবিবার দার্জিলিং, কালিম্পং জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা এই জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা (Weather Update) রয়েছে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।

    সেপ্টেম্বরেই বর্ষা নিয়ে আশাবাদী আবহাওয়া দফতর (Weather Update)

    মৌসম ভবন বলছে যে এটিই ছিল শুষ্কতম বর্ষা যা ১২২ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মোট বৃষ্টিপাতের ঘাটতিও রয়েছে অনেকটাই। এই পরিস্থিতিতে হাওয়া অফিসের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন যে জুলাই, অগাস্টে বৃষ্টিপাত না হলেও সেপ্টেম্বরে বেশ ভালোই বৃষ্টিপাত হবে (Weather Update)। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ৫০০ টাকায় গ্যাস দেব, অভিষেকের মন্তব্যে বিরক্ত জোট শরিক বাম-কংগ্রেস

    Abhishek Banerjee: ৫০০ টাকায় গ্যাস দেব, অভিষেকের মন্তব্যে বিরক্ত জোট শরিক বাম-কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডিয়া জোট জিতলেই গ্যাসের দাম হবে ৫০০ টাকা, এমন ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অন্যদিকে, জোটের অপর দুই শরিক কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারা ডায়মন্ডহারবারের সাংসদের (Abhishek Banerjee) একতরফা ঘোষণাকে ভালভাবে নিচ্ছেন না। উপরন্তু তাঁদের বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে। চলতি মাসের ৫ তারিখে উপনির্বাচন রয়েছে ধূপগুড়িতে। সেখানে নির্বাচনী প্রচারে এমন ঘোষণা করতে শোনা যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে। যা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে ইন্ডিয়া জোটের ভিতরেও। 

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) মন্তব্যে ক্ষোভ জোটের অন্দরেই

    প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ে বিজেপি বিরোধী জোটের সমন্বয় কমিটির সদস্য হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল অবশ্য বলছে, ‘‘কো-অর্ডিনেশন বা সমন্বয় কমিটিতে যেহেতু রয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee), তাই সেই ক্ষমতাবলে নাকি তিনি এমন ঘোষণা করতেই পারেন।’’ কিন্তু কংগ্রেসের নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য অভিষেকের (Abhishek Banerjee) একতরফা ঘোষণার বিরোধ করেছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘এটা ওর ব্যক্তিগত মতামত। মুম্বইয়ে কমিটি গঠন হয়ে গিয়েছে। তাই এই সংক্রান্ত বিষয়ে একক ভাবে কোনওরকম মতামত প্রকাশ না করাই ভাল। যে (Abhishek Banerjee) যার মত কথা বলতে শুরু করলে, তাতে ভালো বার্তা যাবে না আমার মনে হয়। সবার মত নিয়েই আলোচনা করা উচিত।’’ অন্যদিকে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) এই মন্তব্যের বিরোধ করেছে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিও। পলিটব্যুরো সদস্য হান্নান মোল্লা বলেন, ‘‘এটাতো ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে। যে যার মতো দান করে বেড়াচ্ছে। এমন উদ্ভট কথার কোনও মানে হয় না। তাই এ কথার আমি কোনও জবাব দেব না।’’ 

    জমে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি

    এই আবহে বেশ জমে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি,  রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বাম-কংগ্রেস শিবির। তৃণমূলের সঙ্গে এক মঞ্চে বসতে দেখা গিয়েছে বাম-কংগ্রেস নেতাদের। যা নিয়ে জোটকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বাংলায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কুস্তি করবেন। আর দিল্লিতে সীতারাম ইয়েচুরি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশাপাশি বসে বৈঠক করবেন, এটা কী ধরনের ব্যাপার। এটা তো চলতে পারে না। এখানে কুস্তি, দিল্লিতে দোস্তি আর মহারাষ্ট্রে মস্তি, এটা বেশিদিন চলবে না। বাংলার মানুষ ঝাঁটা নিয়ে তাড়া করবেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিরোধী জোট শোচনীয় ভাবে পরাস্ত হবে লোকসভা ভোটে, তোপ বিজেপির

    BJP: বিরোধী জোট শোচনীয় ভাবে পরাস্ত হবে লোকসভা ভোটে, তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুম্বইয়ে বিরোধী জোটের বৈঠককে তীব্র আক্রমণ শানাল বিজেপি (BJP)। সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির (BJP) দাবি, লোকসভা ভোটে শোচনীয়ভাবে পরাস্ত হবে তথাকথিত বিরোধী জোট। বিজেপির (BJP) সদর দফতরে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ তোপ দাগেন বিরোধী জোটের বৈঠককে এবং তিনি বলেন, ‘‘তথাকথিত বিরোধীদের বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসেনি কৃষক, মহিলা এবং শিশুদের নিয়ে কোনও প্রসঙ্গ। তাদের কোনও রকমের নীতি দেখা যায়নি ভারতের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে, কোনও রকমের রূপরেখা তারা তৈরি করেনি দারিদ্র উন্নয়নের ক্ষেত্রে।’’ 

    জগাখিচুড়ি জোট পরস্পরবিরোধী দলে ভর্তি

    রবি শঙ্কর প্রসাদের আরও দাবি, মুম্বইয়ের তথাকথিত বিরোধী জোটের তৃতীয় বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ এ সমস্ত কিছু নিয়েও কোনও রকমের আলোচনা হয়নি। বিজেপির (BJP) আরও কটাক্ষ, ‘‘তিন তিনটে বৈঠক হয়ে যাওয়ার পরেও বিরোধী জোটের কোনওরকমের কনভেনার ঘোষণা করা হল না। কোনও কমিটিও তৈরি করা হল না।’’ প্রসঙ্গত, ওয়াকিবহাল মহলের মতে পরস্পর বিরোধী দলগুলি একত্রিত হয়েছে বটে কিন্তু  রাজ্যে রাজ্যে তাদের মধ্যে কোনও রকমের জোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যেমন ইতিমধ্যে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি জানিয়ে দিয়েছে যে কেরলে তাদের সরাসরি লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে হবে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস এবং সিপিএমের জোটের সম্ভাবনা নেই। আবার দিল্লির আম আদমি পার্টির সঙ্গে কংগ্রেসের লোকসভা ভোটে কোনও রকমে জোটের সম্ভাবনা নেই। অর্থাৎ এই জগাখিচুড়ি জোট লোকসভায় কতটা দাগ কাটতে পারবে তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।

    জোটে দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের ভিড়

    এদিন রবিশঙ্কর প্রসাদ আরও বলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদি (BJP) হলেন বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় নেতা। যিনি তাঁর দূরদর্শিতা এবং নীতির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। জনমুখী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে উন্নয়ন হচ্ছে দেশে। অন্যদিকে বিরোধী জোটের নেতা-নেত্রীদের না আছে কোন নীতি না আছে কোন দূরদর্শিতা।’’ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বিরোধী জোটের নেতাদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রবিশঙ্কর প্রসাদ। তাঁর মতে, ২জি স্ক্যাম, কয়লা কেলেঙ্কারি এ সমস্ত কিছুতে অভিযুক্ত কংগ্রেস। অন্যদিকে, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির পরে আরজেডি সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবকেও সেখানে দেখা যাচ্ছে (BJP)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share