Blog

  • Malda: জমি নিয়ে বিবাদে চলল গুলি, প্রাণ গেল এক যুবকের, তীব্র চাঞ্চল্য চাঁচলে

    Malda: জমি নিয়ে বিবাদে চলল গুলি, প্রাণ গেল এক যুবকের, তীব্র চাঞ্চল্য চাঁচলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে চাঁচলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম সইদুল আলি (৩০)। বাড়ি চাঁচলের (Malda) জালালপুর এলাকায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক। একে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে চাঁচলের জালালপুরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বলেও অভিযোগ।

    কেন খুন (Malda)?

    স্থানীয় (Malda) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে জমি বিবাদের কারণে গুলি করে হত্যা করা হয় সইদুল আলিকে। এই জমিতে বহুদিন ধরে সইদুলরা দখল ভোগসত্ত্ব করে আসছিলেন। কিন্তু বিগত কিছুদিন ধরে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ বিবাদ হয় এই জমি নিয়ে। পাল্টা প্রতিবেশীদের দাবি, এই জমি তাঁদের। এরপর বাদানুবাদ থেকে আজ সকালে বন্দুকের গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় এলাকার মানুষকে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়তে দেখা যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ গেলে, পুলিশকেও ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় বলে জানা গেছে। পরিবার এবং গ্রামবাসীদের বক্তব্য একটাই, দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি দিতে হবে।

    মৃতের পরিবারের বক্তব্য

    মৃতের মামা আকসার আলি বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে জমি নিয়ে এলাকায় বিবাদ চলছিল। জমির মালিকানা সত্ত্বর উপর নির্ভর করে এই বিবাদ কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। জমিতে গেলে প্রায় মারধর করে অন্যপক্ষের গুন্ডারা। তাঁর অভিযোগ ঠিক এমনিই। গত সপ্তাহেও এমনই মারামারির ঘটনা ঘটেছিল। তিনি আরও বলেন, মোস্তফা, আহত আলি, দুলাল এবং নিজামুল মেম্বার মিলে আমার ভাগ্নাকে গুলি করে খুন করছে। কিন্তু প্রকাশ্যে কীভাবে গুলি করে খুন করতে পারে! এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের পক্ষ থেকে মামা। দোষীদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন পরিবার (Malda)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেককে কেন তলব নয়? ইডির কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অভিষেককে কেন তলব নয়? ইডির কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি  নিয়ে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ইডির কাছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে খোঁজ নেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির নির্দেশ, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইডিকে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি

    দিনকয়েক আগেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’-এর অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ কোম্পানির অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে মেলে বেশ কিছু নথি। তার পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা একটি সাংবাদিক সম্মেলনও করে। ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর প্রাক্তন সিইও হিসেবে রয়েছে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। প্রসঙ্গত ইডির দাবি এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ সংস্থাকে কাজে লাগানো হতো নিয়োগ দুর্নীতির কালো টাকার সাদা করার কাজে। ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর কাজ অবশ্য জানা গিয়েছে, পরামর্শদানে নামে বিভিন্ন সংস্থার কাছে টাকা নেওয়া। তবে কী ধরনের পরামর্শ ঠিক দেওয়া হতো, তা অবশ্য জানা যায়নি। যে সমস্ত কোম্পানিকে পরামর্শ দানের ভিত্তিতে তারা টাকা নিয়েছে সেই কোম্পানি বা সংস্থাগুলির অস্তিত্ব আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছে ইডি। অন্যদিকে, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ সংস্থাটি যে তাঁরই এটা কার্যত মেনে নিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ নিজেও। সোমবার ছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস এবং এখানেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ আমার সংস্থা।  

    বিচারপতি অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ

    বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহার পর্যবেক্ষণ যে ইডির বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হচ্ছে ঐ সংস্থার মারফত কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। কিন্তু সেই বিষয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মাত্র একবারই তলব করা হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার তলব কেন করা হয়নি সেটাই জানতে চেয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। মামলার (Calcutta High Court)পরবর্তী শুনানি ১৪ সেপ্টেম্বর। অন্যদিকে, বিচারপতি (Calcutta High Court) অমৃতা সিনহা এদিন জানিয়েছেন যে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি তদন্তের জন্য গঠিত সিবিআই-এর বিশেষ তদন্তকারী দলই তদন্ত করবে পুর নিয়োগ দুর্নীতির। পাশাপাশি আদালতের (Calcutta High Court) নজরদারিতে চলবে এই দুর্নীতির তদন্ত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • River Ganga: গঙ্গা বুজিয়েও তৈরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক হোটেল! তোলা তুলতে ব্যস্ত তৃণমূল  

    River Ganga: গঙ্গা বুজিয়েও তৈরি হয়ে যাচ্ছে একের পর এক হোটেল! তোলা তুলতে ব্যস্ত তৃণমূল  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের পবিত্র নদী গঙ্গার (River Ganga) দুই পাড় জবরদখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে হকারদের স্টল, বড় বড় অট্টালিকা, কারখানা, এমনকী হোটেল। হাওড়া ব্রিজ থেকে গঙ্গার ধার বরাবর রামকৃষ্ণপুর ঘাটের দিকে এগোলে দেখা মেলে, কীভাবে গঙ্গার পাড় দখল করে একের পর এক হোটেল ব্যবসা চলছে। হাওড়া পুরসভা এবং পুলিশ-প্রশাসনের নাকের ডগায় বছরের পর বছর এই জবরদখল চললেও তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরানোর কোনও উদ্যোগ চোখে পড়ে না। একরকম বহাল তবিয়তে গঙ্গার পাড় দখল করে ব্যবসা চলছে। শুধু গঙ্গার পাড়ে সারি সারি হোটেল বা হকারদের স্টল নয়, কোথাও কোথাও গঙ্গার ঘাটে নামার সিঁড়িও দখল করে দোকানদাররা বসে পড়েছে জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়ে। এবার হাওড়া স্টেশনের উল্টোদিকে হাওড়া গঙ্গার ঘাট ও লঞ্চঘাটের মাঝখানে দেখা মিলল নতুন দৃশ্য। কাঠের পাটাতন তৈরি করে গঙ্গার জলের নিচে থাম লাগিয়ে তার উপরে গড়ে উঠেছে হোটেল।

    যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা (River Ganga)

    যাত্রীরা জানান, এতদিন শুধুমাত্র গঙ্গার (River Ganga) পাড় দখল করে হোটেল তৈরি হয়েছিল। এবার হাওড়া স্টেশনের দিকে আর হোটেল বাড়ানোর জায়গা না পেয়ে মালিকরা গঙ্গার ভিতরের দিকে পাড় বুজিয়ে, কোথাও গঙ্গার জলের মধ্যেই থাম দিয়ে তৈরি করেছে হোটেল। ফলে এতে যেমন একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে, পাশাপাশি হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন গঙ্গার ঘাট ক্রমশ তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে। এক নিত্যযাত্রী তীর্থঙ্কর চ্যাটার্জি বলেন, তিনি নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করেন। ভাটার সময় গঙ্গার পাড়ের দিকে লঞ্চের জেটি থেকে তাকালেই এটা পরিস্কার বোঝা যায়, কীভাবে গঙ্গার নিচে বাঁশ ও কাঠের থাম পুঁতে তাতে কাঠের পাটাতন তৈরি করে তার ওপর হোটেল ও দোকান তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, এতে যে শুধুমাত্র পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে তাই নয়, যে কোনও সময় গঙ্গার জলের তোড়ে ওই কাঠ ও বাঁশের থাম হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই প্রশাসনের উচিত এখনই বিষয়টিতে নজরদারি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
    আরেক লঞ্চের যাত্রী বাবলু সান্যাল বলেন, যখন গঙ্গায় (River Ganga) জোয়ার আসে, তখন প্রচণ্ড ঢেউ ওই পাড়ে ধাক্কা মারে। এমনকী লঞ্চ জেটিগুলিও দুলতে থাকে। তখন যে কোনও সময় জোয়ারের ধাক্কায় কাঠের থাম ভেঙে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যত দিন যাচ্ছে, তত জবরদখল আরও বেড়ে চলেছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, গঙ্গার পাড়ের উপরের অংশে হাঁটার জায়গা নেই, এত হকার সেখানে বসে পড়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, সেই হকারি গঙ্গার জলের দিকেও বেড়ে চলছে। এখনই প্রশাসনের উচিত এ ধরনের জবরদখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ।

    কাজ হয়নি পুলিশকে বারবার বলেও

    কলকাতা বন্দরের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় মুখার্জি বলেন, জবরদখল (River Ganga) সরানোর কাজ পুলিশ-প্রশাসনের। বন্দরের পক্ষ থেকে তাঁরা পুলিশকে বারবার জানিয়েছেন এ ব্যাপারে। পুলিশকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তিনি জানান।

    তৃণমূলের মদতেই জবরদখল, তোলাবাজি

    নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন গঙ্গার ধারে এভাবে অবৈধ হোটেল তৈরি করে সেখান থেকে বরাবরই তোলাবাজির অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বাম আমলেও স্থানীয় বিধায়ক ও কাউন্সিলারের মদতে গঙ্গার পাড় বুজিয়ে এভাবে বড় বড় হোটেল তৈরি হয়েছে। সেই সব বাম নেতারা বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসে। হাওড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জায়গা দখল করেই তৈরি হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস এবং তাদের মদতেই এভাবে জবরদখল চলছে বলে সাধারণ মানুষের অভিযোগ। যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের গ্রেফতারি, ইডির হাতে ধৃত চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী

    ED: চিটফান্ডকাণ্ডে ফের গ্রেফতারি, ইডির হাতে ধৃত চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিটফান্ডকাণ্ডে রাজ্য থেকে ফের গ্রেফতারি। এবার ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হলেন চক্র গ্রুপের কর্ণধার পার্থ চক্রবর্তী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন স্কিমের লোভ দেখিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল এই চক্র গ্রুপ। ইডি (ED) সূত্রে জানা গিয়েছে, চক্র গ্রুপের দুটি হোটেল চলত। তারমধ্যে তারাপীঠে দুটি এবং নিউটাউনে একটি। গতকালই তলব করা হয় পার্থ চক্রবর্তীকে এবং দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই তাঁকে আদালতে তোলা হবে।

    ২০০৭ সালেও গ্রেফতার হয়েছিলেন পার্থ চক্রবর্তী 

    তবে পার্থ চক্রবর্তীর এই গ্রেফতারি নতুন নয় বলেই জানা যাচ্ছে। ১৬ বছর আগে ২০০৭ সালে একবার গ্রেফতার করা হয়েছিল এই চিটফান্ড কর্ণধারকে। সে সময় গ্রেফতারি এড়াতে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন পার্থ চক্রবর্তী। পরে দমদম বিমানবন্দর থেকে তাঁকে আটক করেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা। বাজার থেকে কয়েকশো কোটি টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। স্বল্প সময়ে বেশি পরিমাণ রিটার্ন পাওয়ার লোভে প্রচুর মানুষ তাঁর সংস্থায় টাকা রাখতেন। প্রতারিত মানুষরা (ED) কলকাতার একাধিক থানায় পার্থ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে শুধুমাত্র চিটফান্ড ব্যবসা বা হোটেল ব্যবসাতেই সীমাবদ্ধ ছিলেন না পার্থ চক্রবর্তী। এক সময় একটি সংবাদপত্রও তিনি চালাতেন বলে জানা গিয়েছে। আবার বিভিন্ন মানুষকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে বহু টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে পার্থ চক্রবর্তী বিরুদ্ধে (ED)।

    চিটফান্ড দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (ED)

    অন্যদিকে চলতি মাসের ২১ তারিখ ইডির (ED) হাতে গ্রেফতার হন চিটফান্ড কর্তা বিশ্বপ্রিয় গিরি। তাঁর বিরুদ্ধে দেড় হাজার কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। পার্থ চক্রবর্তীর মতো বিশ্বপ্রিয়ও পুলিশকর্তাদের হাতে এর আগে গ্রেফতার হয়েছেন। ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ কর্তারা তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন। এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠায় ইডি (ED) রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

    অন্যদিকে প্রীতিময় চক্রবর্তী নামের আরও এক চিটফান্ড কর্তাকে দশদিনের ইডি (ED) হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। জানা গিয়েছে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা পিনকনের ধৃত ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায়ের সংস্থা থেকে ১৩৮ কোটি টাকা নিয়েছিলেন প্রীতিময় এবং এই পুরো টাকাটাই তিনি নেন ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IIEST Shibpur: শিবপুর আইআইইএসটি-তে নেই র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা, কীভাবে সম্ভব হল?

    IIEST Shibpur: শিবপুর আইআইইএসটি-তে নেই র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা, কীভাবে সম্ভব হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: র‍্যাগিংয়ের অভিযোগে ছাত্রমৃত্যুতে উত্তাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ এরকমই ছাত্রমৃত্যুর পর বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হাওড়ার শিবপুর আইআইইএসটি-তে ছাত্র সংঘর্ষ ও র‍্যাগিংয়ের ঘটনা। অভিযোগ, ২০০৬ সালের আগে বারবার র‍্যাগিং ও ছাত্র সংঘর্ষের অভিযোগ আসত হাওড়ার শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি থেকে। ২০০৬ সালে তৎকালীন বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বা বেসু-র ১১ নম্বর হস্টেলের দোতলার বারান্দা থেকে নিচে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় সৌমিক বসু নামে তৃতীয় বর্ষের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রের। সেই সময় বেসুতে এসএফআই  এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট কনসলিডেশন নামে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ প্রায়শই লেগে থাকত। মাঝে মধ্যে অভিযোগ আসত র‍্যাগিংয়েরও।

    কীভাবে মৃত্যু হয়েছিল সৌমিক বসুর?

    সৌমিক বসু এসএফআই-এর সমর্থক ছিলেন। ২০০৬ সালের ৭ই অগাস্ট রাতে ১১ নম্বর হস্টেলে দুই ছাত্র গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৮ ই অগাস্ট যখন ততকালীন রেজিস্ট্রার ইন্দ্রনাথ সিনহা (বর্তমানে মাইনিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক) হস্টেলে ঢুকছিলেন, সেই সময় ওই ছেলেটি মনে করেন যে ইন্দ্রনাথবাবু পুরো ব্যাপারটা জেনে গেছেন। তখন তিনি ছুটে পালাতে যান। তখন ছিল বর্ষাকাল। বারান্দা ভিজে ছিল। পা পিছলে দোতলা থেকে নিচে পড়ে যান ওই যুবক। মুখ দিয়ে গ্যাঁজলা বেরোতে থাকে। প্রথমে কলেজের ছাত্র ও শিক্ষকরা দ্রুত তাঁকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে গ্রিন করিডোর করে সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার পরেও বাঁচানো যায়নি। ১২ তারিখ অর্থাৎ ঘটনার তিন দিন পর তাঁর মৃত্যু হয়।

    কীভাবে ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে গেল র‍্যাগিং?

    সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নির্দেশে সিআইডি তদন্ত শুরু হয়। সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। পরে পরশমণি চট্টোপাধ্যায় কমিশন গঠন করা হয়। পরশমণি চট্টোপাধ্যায় বেসু-র প্রাক্তন উপাচার্য ছিলেন। তিনি এই ক্যাম্পাসে গন্ডগোল এবং র‍্যাগিং রুখতে বেশ কিছু পরামর্শ দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও এ ব্যাপারে বেশ কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তার ফলে ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ আস্তে আস্তে কমে যায় এবং র‍্যাগিংয়ের ঘটনাও পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীকালে ২০১৪ সালে বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটি বেসু রূপান্তরিত হয় শিবপুর আইআইইএসটি-তে। কেন্দ্রের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের অধীনে চলে আসে বেসু। শিবপুরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বর্তমানে ইউজিসি সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে।

    এরপর ‍র‍্যাগিং বা ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা রুখতে আইআইইএসটির অধ্যাপকরা উদ্যোগী হন। ‍র‍্যাগিং এবং ছাত্র সংগঠনের ঘটনা বন্ধে যেমন অ্যান্টি র‍্যাগিং কমিটিকে সক্রিয় করা হয়, এর পাশাপাশি ছাত্রদের অভাব-অভিযোগ নিয়ে নিয়মিত বৈঠক হয়। ক্যাম্পাস চত্বরে সিসিটিভি, অ্যান্টি রাগিং হেল্পলাইন চালু করা, বাইরের রাজনীতি থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি বন্ধ করা, আইআইইএসটি-র গেটে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কোনও রকম আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে না দেওয়া, এই সমস্ত নানা পদক্ষেপের ফলে র‍্যাগিং ও ক্যাম্পাসে সংঘর্ষ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

    কী বলছেন ছাত্ররা?

    আইআইইএসটির এক ছাত্র বলেন, যাদবপুরে যেমন বহিরাগত রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ অনেক বেশি দেখা যায়, সে দিক থেকে শিবপুর আইআইইএসটি সম্পূর্ণ ভাবে বাইরের রাজনীতি থেকে মুক্ত। কেন্দ্র সরকারের অধীনে সরাসরি চলে যাওয়ার পর সেখানে ছাত্র নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই তাঁদের লিডার নির্বাচন করেন। এছাড়া হস্টেল ক্যাম্পাসে পাশ আউট ছাত্রদের থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। হস্টেল, লাইব্রেরি সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের বিভাগ থেকে ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দিলে তবেই ছাত্রদের হাতে মার্কশিট দেওয়া হয়। স্বাভাবিকভাবেই আইআইইএসটি-তে বহিরাগত বা পাশ আউট ছাত্রছাত্রীরা থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই।

    কী বলছেন জয়েন্ট রেজিস্ট্রার? 

    বর্তমান জয়েন্ট রেজিস্ট্রার (অ্যাকাডেমিক) নির্মাল্যকুমার ভট্টাচার্য বলেন, ২০০৬ সালে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার পর ছাত্র-ছাত্রীদের উপলব্ধি হয় যে অযথা নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা। তারপর থেকে নিজেরাই আস্তে আস্তে এই ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেন। অন্যদিকে বর্তমান ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে এখানে র‍্যাগিং বলে কিছু নেই। উল্টে তাঁরা সিনিয়রদের কাছ থেকে সহযোগিতা পান অনেক বেশি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Couple: কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার নৈহাটির দম্পতি

    Couple: কোটি কোটি টাকা প্রতারণা, বেঙ্গালুরু থেকে গ্রেফতার নৈহাটির দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কাউকে চড়া সুদের লোভ, কাউকে টাকা ডবল, কাউকে আবার কাজ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল নৈহাটি অরবিন্দপল্লির এক দম্পতি (Couple)। টাকা হাতিয়ে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিল বিশ্বজিৎ মজুমদার ও সোমাশ্রী লাহিড়ী মজুমদার নামে ওই অভিযুক্ত দম্পত্তি। বেঙ্গালুরু থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। আর প্রতারক দম্পত্তি গ্রেফতার হতেই টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় রয়েছেন প্রতারিতরা। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, কতজনের কাছে থেকে ওই দম্পতি টাকা হাতিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    মায়ের কাছেও লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে ছেলে ও বউমা (Couple)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্বজিৎ ও তার স্ত্রী সোমাশ্রী বছরখানেক ধরেই অরবিন্দপল্লি সহ বিভিন্ন এলাকার ব্যক্তির কাছে চড়া সুদে ফেরত দেওয়ার লোভ দেখিয়ে টাকা তুলতে থাকে। প্রথমে অল্প পরিমাণ টাকা নিয়ে চড়া সুদে অনেককে তারা টাকা ফেরত দেয়। আর তাতে তারা মানুষের আস্থা অর্জন করে। অনেককে আবার বেসরকারি সংস্থায় কাজ পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখায়। কয়েক মাসের মধ্যেই সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে ওই দম্পতি (Couple) বাজার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা তুলতে থাকে। এক টোটো চালক চড়া সুদে টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় তাঁর ব্যাঙ্কে গচ্ছিত প্রায় ৮ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তিনি কোনও টাকা ফেরত পাননি। এক মহিলার কাছে থেকে ১৫ লক্ষ টাকা তুলেছিল। এরকম নৈহাটি সহ আশপাশের এলাকায় প্রচুর মানুষের কাছে কোটি কোটি টাকা তারা তুলেছিল। এমনকী নিজের মায়ের কাছ থেকেও বিশ্বজিৎ মোটা টাকা হাতিয়ে নেয়। গত তিন মাস ধরে তারা ফেরার ছিল। সময়মতো টাকা ফেরত না পেয়ে প্রতারিতরা এর আগে তার বাড়ির সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছিল। বিশ্বজিৎয়ের মা শেফালী মজুমদার বলেন, আমাদের এলাকায় দেড় কোটি টাকা ছেলে আর বউমা তুলেছে। আশপাশের এলাকা থেকে চার-পাঁচ কোটি টাকা তুলেছে। আমার কাছে থেকেই সাড়ে আট লক্ষ টাকা ওরা হাতিয়েছে। ছেলে ও বউমার কঠোর শাস্তি চাই।

    প্রতারিতদের কী বক্তব্য?

    প্রতারিতদের বক্তব্য, আমাদের মতো বহু মানুষদের কাছ থেকে আর্থিক প্রলোভন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা তারা তুলেছিল ওই দম্পতি (Couple)। গত ২০ মে তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ গ্রেফতার করায় আমরা খুশি। আমাদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক পুলিশ। একই সঙ্গে আমাদের টাকা ফেরতের ব্যবস্থা করুক।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ফের ফরাক্কা ব্যারাজের উপর দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস

    Murshidabad: ফের ফরাক্কা ব্যারাজের উপর দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ফরাক্কা ব্যারাজে (Murshidabad) ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সোমবার রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যারাজের গার্ড রেলিং ভেঙে রেল লাইনে ঢুকে গেল একটি মালবাহী ট্রাক। সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায় উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ। অল্পের জন্য রক্ষা পেল তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস। যাত্রীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা। এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট রাজ্য প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছে মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন।

    কীভাবে বিপত্তি (Murshidabad)?

    নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মালবাহী ট্রাকটি গার্ড ভেঙে ঢুকে পড়ে রেল লাইনে। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় (Murshidabad)। ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ ধরেই ব্যারাজে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়েছিল। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে পড়ে বহু যানবাহন। বন্ধ হয়ে যায় রেলের যোগাযোগ মাধ্যমও। দুর্ঘটনার জেরে ফরাক্কা ব্যারাজের উপরে ডাউন লাইনে দাঁড়িয়ে পড়ে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। চালকের তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি। ফরাক্কা ব্যারাজে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সিআইএসএফ জওয়ান ও পুলিস প্রশাসন। এদিকে দুর্ঘটনার পরেই ট্রাকটিকে রেল লাইন থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছে রেল পুলিশ। উল্লেখ করা যেতে পারে, গত সপ্তাহে ফরাক্কা ব্যারাজে একই রকম একটি দুর্ঘটনা ঘটে।

    গত সপ্তাহেও ঘটেছে দুর্ঘটনা

    গত সপ্তাহে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটায় ফরাক্কা ব্যারাজের (Murshidabad) ৬২ নম্বর গেটের কাছে ট্রাক দুর্ঘটনায় বিচ্ছিন্ন হয় উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগ। উল্লেখ্য একটি ট্রাক মালদা থেকে আসার পথে ব্রিজের রেলিং ভেঙে রেল লাইনের দিকে চলে যায়। ব্রিজের ওপরে থাকা কর্মরত সিআইএসএফ জওয়ানদের তৎপরতায় ওই মাল গাড়িটিকে দাঁড় করানো হয়। বড়সড় দুর্ঘটনার থেকে রেহাই পায় গাড়ির চালক। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসে ফরাক্কা থানার পুলিশ ও মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ট্রাকটিকে উদ্ধার করার কাজে হাত লাগান ব্রিজে থাকা কর্মরত সিআইএসএফ জওয়ানরা। তবে এই ঘটনায় কোনও হতাহতের খবর নেই। কিছুক্ষণের জন্য ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরে আস্তে আস্তে তা স্বাভাবিক করে তোলে প্রশাসন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Dengue: ডেঙ্গি বেড়ে চার গুণ! সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের ডেঙ্গি সংক্রমণে উদ্বেগে বাসিন্দারা

    Dengue: ডেঙ্গি বেড়ে চার গুণ! সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের ডেঙ্গি সংক্রমণে উদ্বেগে বাসিন্দারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাঝে মধ্যেই লাগাতার বৃষ্টি। কয়েক দিন আবার সূর্যের তাপে বাইরে থাকাই কষ্টকর হয়ে ওঠে। ফের শুরু হয় বৃষ্টি। গোটা অগাস্ট মাস জুড়ে কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় এমনই আবহাওয়া চলছে। আর এই আবহাওয়াতেই বংশবিস্তার করছে ডেঙ্গির মশা। যার জেরে সল্টলেক, নিউটাউন, রাজারহাট, বাগুইআটির মতো একাধিক জায়গায় কার্যত লাল সতর্কতা জারি হতে চলেছে।

    কী বলছে সাম্প্রতিক সমীক্ষা? 

    স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ইতিমধ্যেই হয়েছে চারগুণ! ফলে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত রাজারহাট, সল্টলেক, নিউটাউন এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৪৬ জন। কিন্তু ২০২৩ সালের ২৭ অগাস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৫০৪ জন। অর্থাৎ কয়েকগুণ বেশি। তার মধ্যে অগাস্টের দ্বিতীয় ও তৃতীয় সপ্তাহেই ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ১৮০ জন। ফলে, পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কেন বাড়ছে ডেঙ্গি? 

    স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্যের মধ্যে উত্তর চব্বিশ পরগনা ডেঙ্গিপ্রবণ জেলা। প্রত্যেক বছর উদ্বেগ বাড়ায় এই জেলা। এই জেলায় আক্রান্ত ও মৃত্যহার বেশি থাকে। সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের মতো এলাকা উত্তর চব্বিশ পরগনার মধ্যেই রয়েছে। তাই বিশেষ নজরদারি হচ্ছে। রোগ নির্ণয় বেশি হচ্ছে বলেই জানা যাচ্ছে। তাই বাস্তব পরিস্থিতি স্পষ্ট হচ্ছে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই সব এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ উর্ধ্বমুখী হওয়ার পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। প্রথমত, এই সব এলাকায় একাধিক নির্মীয়মাণ বহুতল রয়েছে। বর্ষার জমা জল সাত দিনের বেশি থাকার ঝুঁকি এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি। সেখানেই ডেঙ্গি রোগ বহনকারী মশা বংশবিস্তার করে। পাশপাশি নিয়মিত ব্লিচিং পাউডার ছেটানো কিংবা মশা মারার ওষুধ দেওয়ার কাজও হয় না। ফলে, বিপদ বাড়ে। এছাড়াও, সল্টলেক এলাকায় একাধিক ফুলের নার্সারি রয়েছে। প্রচুর টব থাকে। সেগুলোতেও বর্ষার জল জমছে। বাড়ছে মশার দাপট। অনেক সময়েই নার্সারিতে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। ফলে, ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে। এর পাশাপাশি, রাস্তার অবস্থাও বেহাল। বহু জায়গায় বৃষ্টির পরে জল জমে থাকছে। সেখানেও মশার উপদ্রব বাড়ছে।

    কীভাবে হবে মোকাবিলা? 

    স্বাস্থ্য কর্তারা অবশ্য জনসচেতনতার উপরই জোর দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, সল্টলেক, রাজারহাট, নিউটাউনের মতো এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়ছে। তাই জ্বর হলে আর অবহেলা করা চলবে না। দ্রুত রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে। রোগ নির্ণয় দ্রুত হলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে। তবে, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনসচেতনতার পাশপাশি প্রশাসনিক তৎপরতাও জরুরি। বিশেষত ডেঙ্গি মশার বৃদ্ধি যাতে না হয়, সেদিকে নজরদারি প্রয়োজন। পুর প্রশাসনকে নিয়মিত এলাকা পরিদর্শন করতে হবে। কোনও জায়গা বন্ধ থাকলে, সেই জায়গায় প্রশাসনকে ঢুকে দেখতে হবে জল যাতে না জমে। রাস্তা মেরামত করতে হবে, নিকাশি ব্যবস্থা ভালো করতে হবে। যাতে কোনও পরিস্থিতিতেই জল না জমে। সেই নজরদারির দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। সেই কাজে গাফিলতি থাকলে ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়বেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দত্তপুকুরে আরও তিনটি গোডাউনের হদিশ, মজুত প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক, বাজি

    Bomb Blast: দত্তপুকুরে আরও তিনটি গোডাউনের হদিশ, মজুত প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক, বাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলির আরও একটি গোডাউনের হদিশ মিলল। সেখানে বোমা তৈরির সরঞ্জাম থরে থরে সাজানো ছিল। মঙ্গলবার সকালেই পুলিশ সেই গোডাউনের হদিশ পায়। এছাড়়াও এদিন বিস্ফোরণস্থলের (Bomb Blast) পাশেই আরও দুটি গোডাউনের পুলিশ হদিশ পায়। গোডাউন দুটিতে সাটার দেওয়া ছিল। এদিন সাটার খুলতেই থরে থরে সাজানো বাজি উদ্ধার করে পুলিশ।

    পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে কত বাজি বাজেয়াপ্ত করল?

    দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের (Bomb Blast) দিন কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরও একটি বেআইনি কারখানার হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। পাঁচিল ঘেরা পরিত্যক্ত জমিতেই বেআইনি বাজি কারখানা গজিয়ে উঠেছিল। সেখানে হানা দিয়ে উদ্ধার হয়েছিল শক্তিশালী বোমা তৈরির রাসায়নিক। রীতিমতো ল্যাবরেটরি তৈরি করে এই বেআইনি কারবার চলত। উত্তেজিত জনতা সেদিন সেই বেআইনি কারখানা ভাঙচুর করে দেয়। কারখানার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর করে গুঁড়িয়ে দেয়। ভয়াবহ বিস্ফোরণে ৯ জনের মৃত্যুর পর টনক নড়েছে পুলিশের। সোমবার রাতে দত্তপুকুরের মোচপোল, কাঠুরিয়া-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে ১২ হাজার ৯৪০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাতেই ৫-৬টি গাড়ি করে উদ্ধার হওয়া বাজি নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। বেআইনি বাজি কারখানার মালিক কেরামত আলির আরও একটি গোডাউনের হদিশ মিলল।

    কেরমাতের গোডাউন থেকে কী কী মিলল?

    বাজি উদ্ধারে তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি, এফআইআরে নাম থাকা রমজান আলি ওরফে কালোর খোঁজ করছে পুলিশ। মূল অভিযোগকারী প্রভাস চক্রবর্তীর অভিযোগে নাম রয়েছে এই আইএসএফ কর্মীর। তাঁর বিরুদ্ধে কেরামত আলির সঙ্গে যোগসাজশে বেআইনি বাজি কারবারে মদত জোগানোর অভিযোগ রয়েছে। দত্তপুকুরের মোচপোল গ্রামে রমরমিয়ে চলত কেরামত আলির বেআইনি বাজি কারবার। বিস্ফোরণস্থলের (Bomb Blast)  কয়েকশো মিটার দূরে মজুত করা রয়েছে বাজি ও রাসায়নিক। ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেরামত ও তার ছেলে-সহ ৯ জনের মৃত্যুর ২ দিন পর মোচপোল গ্রামে ফের বাজির পাহাড়ের খোঁজ। বিস্ফোরণস্থল থেকে কিছুটা দূরে বাঁশ বাগানের মধ্যে কেরামতের আরও একটি গোডাউনের হদিশ মিলল। গোডাউনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ক্লোরাইড উদ্ধার হল। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি বাজির কারবার ফেঁদে বসেছিল কেরামত আলি। গুদামে এখনও মজুত রয়েছে প্রচুর রাসায়নিক। পাশেই আরও একটি বন্ধ ঘরে বাজি ঠাসা রয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। ঘন জনবসতি এলাকায় এ ধরনের গুদাম থাকায় আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, এর আগেও গুদাম ভাড়া করে বাজির কারবার চালাত কেরামত। বসতি এলাকায় বিপজ্জনক ব্যবসা নিয়ে আপত্তি জানালে কেরামত আলি হুমকিও দিত বলে অভিযোগ।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ির চাল, মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় হামিদ আলি

    Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ির চাল, মেয়ের বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তায় হামিদ আলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোলে বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণে ডুবল হামিদ আলির পরিবারে সুখের দিন। ছোট মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক হয়ে গিয়েছে। বাড়িতে শুভ অনুষ্ঠানের আনন্দেই মেতেছিলেন হামিদসাহেব ও তাঁর স্ত্রী মা মহিনুর বিবি। কিন্তু,  বিস্ফোরণের জেরে তাঁদের বাড়ি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উড়ে গিয়েছে বাড়ির চাল। এখন জমানো অর্থে তাঁরা বাড়ি ঠিক করবেন, না মেয়ের বিয়ে দেবেন, সেই নিয়ে এখন প্রবল চিন্তায় হামিদসাহেব।

    বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার নিয়ে কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হামিদসাহেব চাষবাস করেই সংসার চালান। তাঁদের ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে নানান পরিকল্পনা করেছিলেন তাঁরা। সেইমতো প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। ছোট মেয়ের বিয়ে ঠিক হয় উত্তর ২৪ পরগনার বিরা’র এক ছেলের সঙ্গে। হবু জামাই মুদি ব্যবসায়ী। বিয়ের দিন ধার্য হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর। কিন্তু, তার আগেই ঘটে গেল এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। আকস্মিকভাবে ২৭ অগাস্ট বিস্ফোরণের ঘটনায় তাদের সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে গেল একনিমেষে। জমানো অর্থে এখন বাড়ি ঠিক করবেন, না মেয়ের বিয়ে দেবেন, তা নিয়ে প্রবল চিন্তায় পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা। উল্লেখ্য, রবিবার সকাল দশটা নাগাদ ইছাপুর নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল এলাকায় অবৈধ বাজি কারখানায় হওয়া তীব্র বিস্ফোরণে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি বাড়ি প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে পড়ে কারও বাড়ির ছাদ। কারও বাড়ির দেওয়াল ভেঙেচুরে যায়। তছনছ হয় বাড়ির সরঞ্জাম। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ির তালিকায় রয়েছে হামিদসাহেবের বাড়িও। ছোট মেয়ের বিয়ের আনন্দ এক লহমায় ম্লান হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে হামিদসাহেবের স্ত্রী মহিনুর বিবি বলেন, আর্থিকভাবে আমরা এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে, বাড়ি ঠিক করলে সমস্ত উপার্জন বাড়ি ঠিক করতে খরচ হবে। ছোট মেয়ের বিয়ে নিয়ে খুব চিন্তায় রয়েছি। অর্থ সাহায্যের আশা করে বাবা হামিদসাহেব বলেন, এখন যে পরিস্থিতিতে আমরা দাঁড়িয়ে, সেখানে মেয়ের বিয়ে নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই রয়েছি। সরকার যদি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে উপকার হয়।

    প্রতিবেশীরা কী বললেন?

    হামিদসাহেবের ছোট মেয়ের বিয়ের কথা দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল গ্রামের সকলেই জানেন। প্রতিবেশীরা বলেন, যদি একান্তই দেখা যায় তিনি প্রবল অর্থ সংকটে পড়েছে এবং সরকারের পক্ষ কোনও সাহায্য না পেলে হামিদসাহেবের মেয়ের বিয়ে নিয়ে তাঁকে চিন্তা করতে হবে না। আমরা গ্রামের সবাই চাঁদা তুলে তাঁদেরকে অর্থ সাহায্য করব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share