Blog

  • National Teacher Awards: দেশের সেরা ৫০ জনের মধ্যে বাংলার ‘জাতীয় শিক্ষক’ কে?

    National Teacher Awards: দেশের সেরা ৫০ জনের মধ্যে বাংলার ‘জাতীয় শিক্ষক’ কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বছর ‘জাতীয় শিক্ষক’ সম্মান (National Teacher Awards) পাচ্ছেন হাওড়া জেলার বালির নিশ্চিন্দার রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমির শিক্ষক চন্দন মিশ্র। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিন দিল্লিতে তাঁর হাতে জাতীয় শিক্ষক সম্মান তুলে দেবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। দেশের সেরা ৫০ জন শিক্ষকের মধ্যে এ রাজ্য থেকে জায়গা করে নিয়েছেন বালির অভয়নগর এলাকার ওই প্রধান শিক্ষক চন্দন মিশ্র।

    কে এই চন্দন মিশ্র (National Teacher Awards)? 

    স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, চন্দনবাবু বিগত ২২ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন৷ চাকরি সূত্রে হাওড়ার এই স্কুলে থাকলেও তিনি আদতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বরানগরের বাসিন্দা। কর্মজীবনে শিক্ষক হিসেবে একাধিক পুরস্কার ও সম্মান পেয়েছেন। ২০২২ সালে রাজ্য সরকার তাঁকে শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত করে। তিনি বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম হাইস্কুল থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করেন। এরপর স্কটিশ চার্চ থেকে উচ্চ শিক্ষা এবং তারপর বিএড করেন। ২০০১ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন খিদিরপুর অ্যাকাডেমিতে। চার বছর সেখানে পড়ান। এর পর চলে যান হাওড়ার বাগনানের কুলগাছিয়া কামিনা হাইস্কুলে। টানা ১০ বছর সেখানকার শিক্ষক ছিলেন চন্দনবাবু। এর পর নিশ্চিন্দা রঘুনাথপুর নফর অ্যাকাডেমিতে শিক্ষকতা শুরু। অন্যান্য শিক্ষকদের মতো নিজেকেও চন্দনবাবু মানুষ গড়ার কারিগর হিসাবেই ভাবতে ভালবাসেন। পুঁথিগত শিক্ষাদানের পাশাপাশি প্রত্যেক পড়ুয়াকে ভাল মানুষ হওয়ার পাঠও সব সময় দিয়ে যান এই শিক্ষক। সেই মানুষ গড়ার কারিগরকেই এই সম্মান (National Teacher Awards) জানাতে চলেছেন রাষ্ট্রপতি।

    খুশি তিনি, ছাত্রছাত্রী এবং জেলার বাসিন্দারা (National Teacher Awards)

    তাঁদের প্রধান শিক্ষক আদর্শ শিক্ষকের এই সম্মান পাওয়ার খবরে খুশি তাঁর অসংখ্য ছাত্রছাত্রী। এই খবরে খুশি চন্দনবাবু, তাঁর স্কুল ও হাওড়া জেলার বাসিন্দারা। চন্দনবাবু বলেন, আমিও আশা করতাম, একদিন রাষ্ট্রপতি আমাকে জাতীয় শিক্ষকের সম্মান (National Teacher Awards) তুলে দেবেন। আজ সেই স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। এটা আমার কাছে যেমন আনন্দের, তেমন গর্বের। ৩ সেপ্টেম্বর আমাকে দিল্লিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। শিক্ষক দিবসে সম্মানীয় রাষ্ট্রপতি পুরস্কার তুলে দেবেন। তিনি বলেন, শিক্ষকরা সমাজ ও মানুষ গড়ার কারিগর। এই সম্মান তাঁকে আগামী দিনে আরও ভাল কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • G-20: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা, বৈঠকের সম্ভাবনা মোদির সঙ্গে

    G-20: জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা, বৈঠকের সম্ভাবনা মোদির সঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী সেপ্টেম্বরের ৯ এবং ১০ তারিখে জি-২০ (G-20) শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। রবিবারই এক বিবৃতিতে এমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দলিব ইলিয়াস।

    আরও পড়ুন: নীরজের ছোড়া বর্শায় বিঁধল সোনা, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ জিতলেন ভারতীয় ক্রীড়াবিদ

    কী বললেন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার?

    রবিবারই কলকাতাতে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শহিদ দিবস পালিত হয়। এই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের নেতা মেহবুবুল আলম হানিফ। বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াসকেও এই অনুষ্ঠানে দেখা যায়। এখানেই ডেপুটি হাই কমিশনার বলেন, “জি-২০ সম্মেলনে (G-20) যোগ দিতে ভারতে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আশা করছি সম্মেলনের (G-20) পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও হবে।” 
    অন্যদিকে গত বুধবার চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম কোনও দেশ হিসেবে অবতরণ করেছে ভারত। এ নিয়ে অভিনন্দনও জানান ডেপুটি হাই কমিশনার। তিনি বলেন, “চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে আমরা ভারতের জন্য গর্বিত।”

    ৯ এবং ১০ সেপ্টেম্বর নয়া দিল্লির প্রগতি ময়দানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G-20)

    চলতি জি-২০ শীর্ষ (G-20) সম্মেলনে সভাপতিত্বের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন (G-20) অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ৯-১০ সেপ্টেম্বর দিল্লির প্রগতি ময়দানে। বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের সেখানে হাজির থাকতে দেখা যাবে। যদিও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এই সম্মেলনে (G-20) যোগ দিতে আসছেন না। এক বিবৃতিতে রাশিয়া সরকার এ কথা জানিয়েছে। জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে (G-20) ভারতে পা রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইম্যানুয়েল মাক্রঁ, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমুখ।  প্রসঙ্গত চলতি মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকস সম্মেলনেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Organ Transplantation: অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পরেই মৃত্যু! নজরদারি কি মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্যে?

    Organ Transplantation: অঙ্গ প্রতিস্থাপনের পরেই মৃত্যু! নজরদারি কি মুখ থুবড়ে পড়েছে রাজ্যে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলনাড়ু, দিল্লি পারলেও লাগাতার হোঁচট খাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ! তাই রাজ্যের মানুষ সুস্থ হতে ভরসা রাখছে ভিন রাজ্যের উপরই। অঙ্গ প্রতিস্থাপনে রাজ্যের ঢিলেঢালা মনোভাবের জন্য প্রক্রিয়া অত্যন্ত শ্লথ। তার উপর প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) হলেও রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। এসএসকেএম হাসপাতালে সম্প্রতি রোগীমৃত্যুর ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। কবে এ রাজ্যে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিকাঠামো শক্ত হবে, সেই প্রশ্ন তুলছেন এ রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ।

    সাম্প্রতিক কোন ঘটনা (Organ Transplantation) ফের প্রশ্ন তুলছে? 

    এ রাজ্যের অধিকাংশ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রেই অস্ত্রোপচার সফল হলেও পরবর্তীকালে রোগীর জীবন প্রশ্নের মুখে থাকে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী মারা যান। প্রতিস্থাপন-পরবর্তী চিকিৎসা ঠিকমতো না হওয়ার জেরেই ঘটে বিপত্তি। দিন কয়েক আগে ফের এমনই ঘটনা ঘটল এসএসকেএম হাসপাতালে। সূত্রের খবর, দিন কয়েক আগে এসএসকেএম হাসপাতালে এক বছর ৩৫-র রোগীর কিডনি ও লিভার প্রতিস্থাপন হয়। কিন্তু প্রতিস্থাপনের (Organ Transplantation) পরের দিনই ওই রোগী মারা যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, অস্ত্রোপচার সফল হয়েছিল। কিন্তু ওই রোগীর দেহ নতুন অঙ্গ গ্রহণ করতে পারেনি। তাই মারা গিয়েছেন।

    পরিকাঠামো নিয়ে কী সমস্যা রয়েছে (Organ Transplantation)? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অঙ্গ প্রতিস্থাপনকে সফল করে তুলতে হলে, অস্ত্রোপচারের পাশাপাশি গুরুত্ব দিতে হবে অস্ত্রোপচার-পরবর্তী চিকিৎসাপর্বে। কিন্তু এ রাজ্যে তা এখনও অবহেলিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, দক্ষিণ ভারতে দীর্ঘদিন ধরে সফল ভাবে অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) হচ্ছে। আর এই সাফল্য ও রোগীর ভরসা বজায় রাখার প্রধান কারণ শুধু সফল অস্ত্রোপচার নয়, তারপরে রোগীর সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকা। কিন্তু এ রাজ্যে এই দ্বিতীয় পর্বে একাধিক খামতি থাকছে। অস্ত্রোপচারের আগে সবরকম মাপকাঠি অনেক ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না। ফলে, শরীরে নতুন অঙ্গ প্রত্যাহারের ঝুঁকি বাড়ছে। পাশপাশি, রোগীর সুস্থ দীর্ঘ জীবনের জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের নজরদারি এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সহায়তা। অর্থাৎ, ঠিকমতো ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা জরুরি। তবেই রোগী অস্ত্রোপচারের পরে সুস্থ জীবন ফিরে পাবেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রাজ্যে ঠিকমতো নজরদারি হয় না। অঙ্গ গ্রহণকারী রোগীর যে কোনও সংক্রমণের ঝুঁকি মারাত্মক বেশি হয়। কিন্তু দেখা যায়, অনেক সময় হাসপাতাল থেকেই রোগী নানান সংক্রমণের শিকার হয়ে যান। ফলে, বিপদ বাড়ে। তারপরে দীর্ঘকাল যে নজরদারির প্রয়োজন হয়, তাতেও অনেক সময় গাফিলতি থাকে। ফলে, শেষ পর্যন্ত রোগীর সুস্থ জীবন ফিরে পাওয়া হয় না।

    কী বলছেন স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    স্বাস্থ্য ভবনের কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, এ রাজ্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপন (Organ Transplantation) নিয়ে এখনও অনেক পথ চলা বাকি। দক্ষিণের রাজ্যগুলির সঙ্গে তুলনা টানাও ঠিক নয় বলে তাঁরা সাফ জানাচ্ছেন। তাঁদের যুক্তি, ভারতের অন্য যে সব রাজ্যের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সাফল্য টেনে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হচ্ছে, সেটা ঠিক নয়। কারণ, সেই সব রাজ্যে প্রতিস্থাপন বহু বছর আগে শুরু হয়েছিল। এ রাজ্যে এতদিন সেই পরিকাঠামো ছিলো না। এখন অন্তত অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে এক সারিতে পশ্চিমবঙ্গের কথা বলা হচ্ছে। অঙ্গ প্রতিস্থাপন সফল করতে সবরকম নজরদারি করা হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলেও তাঁরা আশা করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: শঙ্খ বাজিয়ে, গোবর-গঙ্গাজল ছিটিয়ে নদিয়ার পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি?

    Gram Panchayat Election: শঙ্খ বাজিয়ে, গোবর-গঙ্গাজল ছিটিয়ে নদিয়ার পঞ্চায়েতে কেন শুদ্ধিকরণ করল বিজেপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ১৫ বছর পর গ্রাম পঞ্চায়েত (Gram Panchayat Election) হাতছাড়া হল তৃণমূলের। বোর্ড দখল করল বিজেপি। তৃণমূল শাসনের অবসান ঘটিয়ে শঙ্খ বাজিয়ে, গঙ্গাজল ও গোবর জল দিয়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়টি শুদ্ধিকরণের মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকলেন নবনির্বাচিত বিজেপি প্রধান, উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার নদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জের তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।

    শুদ্ধিকরণ নিয়ে নিয়ে কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    এই পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২২টি। ১৫ বছর রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দখলে ছিল এই পঞ্চায়েত। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ১৫ বছর পঞ্চায়েতের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও এলাকার কোনও রকম উন্নয়নমূলক কাজ করেননি শাসক দল পরিচালিত তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন বোর্ডের সদস্যরা। এলাকায় হাইমাস্ট লাইটের ব্যবস্থা থাকলেও তা জ্বলে না। পাশাপাশি রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল পূর্বের বোর্ড দায়িত্বে থাকাকালীন। এরপর ২০২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Gram Panchayat Election) রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি ২২ টি আসনের মধ্যে ১২ টি আসন দখল করে। তৃণমূলের ঝুলিতে যায় ১০টি আসন। ২২ টির মধ্যে বারোটিতে জয়লাভ করে পঞ্চায়েত বোর্ড দখল করে বিজেপি। পাশাপাশি আগামীদিনে পঞ্চায়েত এলাকায় সাধারণ এলাকাবাসীদের স্বার্থে উন্নয়নকে ঢেলে সাজানোর অঙ্গীকারবদ্ধ তাঁরা। মূলত তারই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার পুরানো দিনের সব কলঙ্ককে মুছে ফেলতে গঙ্গাজল ও গোবর দিয়ে পঞ্চায়েত ভবন পরিষ্কার করে তালদহ মাজদিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত ভবনে ঢুকলেন বিজেপি সমর্থিত নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত বোর্ড সদস্যরা। পঞ্চায়েত প্রধান বাসন্তী হালদার বলেন, ১৫ বছর তৃণমূল ক্ষমতায় থেকে প্রচুর দুর্নীতি করেছে। তাই, গোবর আর গঙ্গাজল দিয়ে পঞ্চায়েত ভবন শুদ্ধিকরণ করেছি। এতদিন এলাকায় কাজ না করে তৃণমূল টাকা লুট করেছে। এবার আমরা পঞ্চায়েত শুদ্ধিকরণ করে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করব। তাই, আমরা এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lifestyle Diseases: রাতে অফিস, দিনে ঘুম! নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন না তো?

    Lifestyle Diseases: রাতে অফিস, দিনে ঘুম! নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনছেন না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আধুনিক জীবনে বদলে গিয়েছে অনেক কিছু! আর সবচেয়ে বড় বদল হয়েছে দিন-রাতের হিসাবে! দিনভর খাটুনি শেষে রাতে শান্তির বিশ্রাম! এ হিসাব এখন আর মেলে না! তাই বদলে যাচ্ছে শরীর! চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জাগার গভীর প্রভাব পড়ছে শরীরে (Lifestyle Diseases)!

    সমস্যা কোথায় (Lifestyle Diseases)? 

    ইনফরমেশন টেকনোলজির জগত হোক কিংবা বিজনেস ম্যানেজমেন্ট, যে কোনও ক্ষেত্রে রাত জেগে কাজ এখন স্বাভাবিক! অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্লায়েন্ট আমেরিকার শিকাগো কিংবা অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে থাকেন। আর কানাডা, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভারতের দিন-রাতের সময়ের বিস্তর ফারাক। কিন্তু ক্লায়েন্টের চাহিদা মেনেই রাত বারোটার পরে ল্যাপটপ খোলে। অধিকাংশের কাজ যখন শেষ হয়, তখন সূর্যের আলো আকাশ ছুঁয়ে ফেলে! একদিন বা দু’দিন নয়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের বছরের পর বছর এভাবেই অফিস চলছে। রাতভর চলে অফিস আর দিনে ঘুম! ফলে, একদিকে রাত আর দিনের কাজের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকছে। খাওয়ার সময়ও বদলে যাচ্ছে। তাই একাধিক সমস্যা (Lifestyle Diseases) দেখা দিচ্ছে।

    কোন কোন রোগের (Lifestyle Diseases) ঝুঁকি বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জেগে মাসের পর মাস কাজ করা এবং দিনের বেলা ঘুমানো একাধিক রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। আর শরীরের একাধিক অঙ্গ তার জানান দিচ্ছে। লাগাতার রাত জাগার ফলে হজমের সমস্যা হয়। অধিকাংশের বমি, বুক জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘদিন হজমের সমস্যার জেরে লিভার এবং অন্ত্রে খারাপ প্রভাব পড়ে। 
    হজমের সমস্যার পাশপাশি দীর্ঘ সময় রাত জাগার ফলে কিডনির উপরও চাপ পড়ে। সমস্যা হয় রক্তচাপের এবং হৃদরোগের আশঙ্কা বাড়ে। 
    চিকিৎসকদের একাংশের মতে, রাতের পর রাত জেগে থাকলে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। অনেক ক্ষেত্রে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। ফলে, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। 
    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাতে ঘুমানোর সময় মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ হয়। যার জেরে স্মৃতিশক্তি বাড়ে। দিনের বেলা যতই গভীর ঘুম হোক, পিটুইটারি গ্রন্থি থেকে ওই হরমোন নিঃসরণ হয় না। ফলে, দীর্ঘ সময় রাতে পর্যাপ্ত ঘুম না হলে স্মৃতিশক্তি কমতে থাকে (Lifestyle Diseases)। পাশপাশি হয় অনীদ্রার সমস্যা।

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রাত জাগা এবং দিনে ঘুম, অভ্যাস হয়ে গেলে পরবর্তী সময়ে রাতে ঘুম ঠিকমতো হয় না। কাজ না থাকলেও রাতে ঘুমানোর ইচ্ছে চলে যায়। দেখা দেয় অনীদ্রা রোগ। আর এই রোগ একাধিক মানসিক সমস্যা তৈরি করে। উদ্বেগ, মানসিক চাপ, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

    বিপদ (Lifestyle Diseases) এড়াতে কী করতে হবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অফিসের জন্য জেগে থাকতে হলে, কিছু বাড়তি সতর্কতা বজায় রাখতেই হবে। তা না হলে একাধিক শারীরিক সমস্যা বাড়বে। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, রাত জাগতে হলে রাতের খাবার আটটার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ভারী, অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার একেবারেই চলবে না। বিরিয়ানি, পিৎজার মতো খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। পুষ্টিকর সহজপাচ্য খাবার সন্ধ্যার মধ্যে খেতে হবে। যাতে রাত জাগার ফলে হজমের সমস্যা না হয়। রাত দশটার পরে খুব হালকা খাবার যেমন দুধ, কুকিজ, ড্রাই ফ্রুটস খাওয়া যেতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, হালকা খাবার খেলে এবং হজমের সমস্যা কমানো গেলে হার্ট, লিভার, অন্ত্রের মতো একাধিক অঙ্গের বিপদ (Lifestyle Diseases) কমানো যাবে। 
    যাদের নিয়মিত রাত জাগতে হচ্ছে, তাদের জল পানের দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে। লাগাতার রাত জেগে থাকলে কিডনি থেকে ত্বক, সব কিছুর উপরেই কুপ্রভাব পড়ে। তাই বেশি পরিমাণে জল খেতে হবে। তাতে কিডনিতে পাথর থেকে চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল সহ একাধিক সমস্যার মোকাবিলা সহজ হবে বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি নিয়মিত যোগাসনের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনীদ্রার মতো সমস্যা এড়াতে, মানসিক স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে যোগাসন সাহায্য করে। তাই নিয়মিত যোগাসন জরুরি।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Rozgar Mela: রোজগার মেলায় ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    Rozgar Mela: রোজগার মেলায় ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার ২৮ অগাস্ট রোজগার মেলার (Rozgar Mela) মধ্য দিয়ে ৫১ হাজারেরও বেশি চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। দেশের ৪৫টি স্থানে এই রোজগার মেলার আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২২ সাল থেকেই নরেন্দ্র মোদির সরকারের উদ্যোগে শুরু হয়েছে রোজগার মেলা (Rozgar Mela)। যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দফতরের চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হচ্ছে, রোজগার মেলার (Rozgar Mela) মধ্য দিয়ে।

    কী বললেন নরেন্দ্র মোদি?

    রোজগার মেলায় (Rozgar Mela) এদিন যুবকদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বাছাই প্রক্রিয়ায় গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। আধাসামরিক বাহিনীতে হওয়া পরীক্ষাটি এখন ১৩টি স্থানীয় ভাষায় (Rozgar Mela) নেওয়া হচ্ছে। এই নিয়োগের ফলে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার হবে।’’ 
    প্রধানমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘এক্ষেত্রে আপনারা উত্তরপ্রদেশকে উদাহরণ হিসেবে দেখতেই পারেন। এক সময় এই রাজ্য উন্নয়নের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে ছিল এবং অপরাধের দিক থেকে অনেক এগিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় উত্তরপ্রদেশ উন্নয়নের নতুন উচ্চতাকে ছুঁয়েছে।’’

    কোন কোন দফতরে (Rozgar Mela) চাকরি মেলার আয়োজন করা হয়?

    এদিনের চাকরি মেলাতে (Rozgar Mela) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স, সশস্ত্র সীমাবল, অসম রাইফেলস, সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ এই সমস্ত দফতরের নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি দিল্লি পুলিশেরও নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয়। ২০২২ সালেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল যে দেড় বছরে ১০ লাখ যুবক-যুবতীকে নিয়োগ করা হবে সরকারের বিভিন্ন দফতরে (Rozgar Mela)। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও পর্যন্ত আটটি রোজগার মেলার আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং তাতে চাকরি মিলেছে পাঁচ লাখের বেশি যুবকের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    Duttapukur: বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে ফের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দত্তপুকুরের মোচপোলে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Duttapukur) ঘটনায় ঘটনাস্থলেই অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে। বাকিরা গুরুতর জখম রয়েছেন। ফলে, কথা বলার অবস্থায় অনেকেই নেই। বিস্ফোরণকাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার গভীর রাতে নীলগঞ্জ এলাকা থেকে কেরামত আলির ‘সহযোগী’ শফিক আলি ওরফে শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত ব্যক্তি তৃণমূল করত, দাবি পরিবারের লোকজনের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কেরামতের ‘বাজি’র ব্যবসায় ‘অংশীদারিত্ব’ ছিল শফিকের। সূত্রের খবর, বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয়ে মৃত্যু হয়েছে কেরামতের। তাঁর ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, সোমবার সকালে ফের দত্তপুকুরে ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধার হল। বিস্ফোরণস্থল থেকে ৩০০ মিটার দূরে একটি পুকুরে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হল। তার মাথা ফাটা, কোমর থেকে পায়ের কোনও চিহ্ন নেই। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    কী বললেন ধৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকজন?

    দত্তপুকুরকাণ্ডে (Duttapukur) গ্রেফতার শফিকুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা বিবি বলেন, রবিবার বিকালে আমার স্বামীকে একজন ফোন করে। স্বামী বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গেলেই তাকে গ্রেফতার করে। এই ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত নয় আমার স্বামী। কেরামতের সঙ্গে পাড়ার লোক হিসাবে কথাবার্তা হতো। বাজি কারবারের যে অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করা হল পুরোটাই চক্রান্ত। ধৃতের দাদা বাবলু ইসলাম বলেন, আমার ভাই তৃণমূল করত। ওই দলের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এই ঘটনায় ভাইয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। ভাইকে ফাঁসানো হল।

    বাজি কারবারে মুর্শিদাবাদের একজন জড়িত, দাবি এলাকাবাসীর

    কেরামত আলির সহযোগী ছিল শফিক আলি। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের জিরাত শেখ নামে একজনের নাম উঠে আসছে। দত্তপুকুরে (Duttapukur) বাজি কারখানায় জিরাতের অন্যতম ভুমিকা রয়েছে, দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। ঘটনার সময় সে ঘটনাস্থলে ছিল না মুর্শিদাবাদে ছিল, তা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। তবে, পুলিশ মুর্শিদাবাদের এই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, কেরামত মোচপোল গ্রামে একজনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বেআইনি বাজি কারখানা গড়ে তুলেছিল। বাড়ির মালিকও এই কারখানায় কাজ করত। বিস্ফোরণের ঘটনায় তারও মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। শফিক আলিকে জেরা করার পর আরও অনেক তথ্য জানা যাবে বলে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এমনিতেই বাজি তৈরির কারখানা ছিল বেআইনি। সেখানে আতসবাজি শুধু নয়, বোমা তৈরি হয়। কেরামতের কারখানা থেকে কিছুটা দূরেই আরও একটি বেআইনি কারখানার হদিশ পায় এলাকাবাসী। পাঁচিল ঘেরা সেই জমিতেই বেআইনি বাজি ও বোমা তৈরি করা হত। রীতিমতো গবেষণাগার তৈরি করা হয়েছিল। এলাকাবাসী ভাঙচুর করার সময় দেখতে পায়, সেখানে পটাশিয়াম ক্লোরাইড মজুত করে রাখা রয়েছে। ফলে, সেখানে যে বোমা তৈরি হত, তার জ্বলন্ত প্রমাণ রয়েছে। ঘটনার পর থেকে কেউ না থাকায় সেই কারখানা ভাঙচুর করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Imran Khan: এবার সাইফার মামলায় জেরা ইমরান খানকে, কী বললেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    Imran Khan: এবার সাইফার মামলায় জেরা ইমরান খানকে, কী বললেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সাইফার মামলায় (Cipher Case) জেরা করা হল পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে (Imran Khan)। তোষাখানা মামলায় জেলেই বন্দি রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। জেলে গিয়েই জেরা করা হয় তাঁকে। পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির সাইবার ক্রাইম সার্কেলের ছয় সদস্যের একটি দল জেলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইমরানকে। যে দলটি তাঁকে জেরা করছে, তার নেতৃত্ব দিচ্ছেন এফআইএ-র ডেপুটি ডিরেক্টর আয়াজ খান। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, পুরো জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে শান্তই ছিলেন ইমরান। তবে কোনও সাইফার (গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ) তিনি দেখাননি বলেই দাবি প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর।

    সাইফার মামলা

    ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ইমরানকে। এরই দিন কয়েক আগে এক জনসভায় তিনি একটি কাগজ দেখিয়ে দাবি করেছিলেন, সেটি সাইফার। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে তাঁকে অপসারণের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে ষড়যন্ত্র করেছে, তার প্রমাণ তাতে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। এর পরেই মামলা দায়ের হয় প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এই মামলাই সাইফার মামলা নামে খ্যাত।

    ইমরানের বক্তব্য

    এদিন তদন্তকারীদের ইমরান (Imran Khan) বলেন, “ওই জনসমাবেশে আমি যে কাগজটি প্রদর্শন করেছিলাম, তা ছিল মন্ত্রিপরিষদের কাগজ। সেটা কোনও সাইফার ছিল না।” তিনি এও জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনও নথি সঙ্গে রাখার অধিকার তাঁর ছিল। তবে কেন তিনি সেটি জনসভায় দেখিয়েছেন, তার কোনও ব্যাখ্যা ইমরান দিতে পারেননি বলেই পাক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

    জানা গিয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা করলেও, সাইফার নিয়ে ইমরান তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করেছেন বারবার। কখনও তিনি বলেন, তাঁর কোড মনে নেই। কখনও আবার বলেন, যে কাগজটি তিনি জনসভায় প্রদর্শন করেছিলেন, সেটি পাক মন্ত্রিসভার বৈঠকের খসড়া। কখনও আবার বলেন, সেটি কোথায় রেখেছেন, তা তাঁর মনে নেই।

    আরও পড়ুুন: “বাংলার সরকার পাকিস্তান প্রেমী”! পাক-গুপ্তচরের গ্রেফতারি নিয়ে মমতাকে তোপ সুকান্তর

    প্রধানমন্ত্রীর (Imran Khan) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পর ইমরানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে। তোষাখানা মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড হয়েছে তাঁর। এর বিরুদ্ধে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ইমরান। সেখানে জামিন মিললেও, সাইফার মামলায় ফের হতে পারেন গ্রেফতার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • CV Ananda Bose: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    CV Ananda Bose: ‘‘প্রাণ হাতে করে গ্রামে বাস করছি’’, দত্তপুকুরে রাজ্যপালকে নালিশ মহিলাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। আর সেখান থেকে ফিরেই রবিবার রাতে সোজা দত্তপুকুরে। রবিবার সাতসকালে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে দত্তপুকুরের জগন্নাথপুরের মোচপোল এলাকা। কাটা কব্জি, পোড়া পা, ঝলসানো শরীর ছড়িয়ে ছিটিয়ে গ্রামের আনাচে কানাচে পড়েছিল। একাধিক বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে। বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন বিস্ফোরণের নানা দিক নিয়ে খোঁজ নেন তিনি। বেসরকারি মতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ির ছাদ। সেই ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখেন রাজ্যপাল।

    রাজ্যপালকে (CV Ananda Bose) ঘিরে ধরে কী বললেন মহিলারা?

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) যখন বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বেরোচ্ছেন, গ্রামেরই একদল মহিলা তাঁকে ঘিরে ধরেন। উগরে দেন একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ। যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছে, অভিযোগ, তা কেয়ামত আলি নামে এক ব্যক্তির। এলাকার মহিলাদের দাবি, শুধু কেয়ামত আলির কারখানা নয়, গ্রামজুড়ে এরকম একাধিক বেআইনি বাজি কারখানা রয়েছে। অভিযোগ, বাজির গোডাউন রয়েছে এবং কার্যত প্রাণ হাতে করে বাস করছেন এলাকার লোকজন। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। ফলে, বাজির ব্যবসার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত নন, তাঁরাও এ গ্রামে নিরাপদ নন বলে দাবি করেন মহিলারা। রবিবারের বিস্ফোরণের পর সেই আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে। গ্রামের মহিলারা অনুরোধ করেন, রাজ্যপাল যেন একবার এরকমই একটি গোডাউন বা বেআইনি বাজির গুদাম ঘুরে দেখেন। এরপর রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস গ্রামের অন্ধকার রাস্তা ধরেই ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৩০০ মিটার পথ এগিয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন গ্রামের লোকজনও। গ্রামবাসীরা একটি বাড়ি দেখিয়ে তা বাজির গুদাম বলে অভিযোগ করেন। রাজ্যপাল সেই বাড়ির সামনে আসেন এবং সেই মহিলাদের সঙ্গে কথাও বলেন। পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করেন। রাজ্যপাল এই সমস্যার দ্রুত সমাধান করার উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।

    কী বললেন রাজ্যপাল? (CV Ananda Bose)

    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এতগুলো তাজা প্রাণ চলে গেল। আমি এখান থেকে হাসপাতালে যাব। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে তারপর বলব। এরপরই বারাসত জেলা হাসপাতালে পৌঁছন তিনি। এরপর তিনি বলেন, শুধু দুর্ঘটনা এটা নয়, এটা বড় ঘটনা। সেই সঙ্গেই তিনি বলেন, পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। তারা সত্য খুঁজে বের করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Chandrayaan 3: হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক চাঁদকে, রাজধানী হোক শিবশক্তি, দাবি হিন্দু মহাসভার নেতার

    Chandrayaan 3: হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করা হোক চাঁদকে, রাজধানী হোক শিবশক্তি, দাবি হিন্দু মহাসভার নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদকে ঘোষণা করা হোক হিন্দুরাষ্ট্র এবং রাজধানীর নাম হোক শিবশক্তি। এবার এমনই দাবি করতে শোনা গেল হিন্দু মহাসভার সভাপতি স্বামী চক্রপাণিকে। ২৩ অগাস্ট বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম কোনও দেশ হিসেবে অবতরণ (Chandrayaan 3) করে ভারতের বিক্রম ল্যান্ডার। ইসরোর সদর দফতরে গিয়ে অবতরণ স্থানের নাম ‘শিবশক্তি পয়েন্ট’ রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি ঘোষণা করেন, এবার থেকে ২৩ অগাস্ট জাতীয় মহাকাশ দিবস হিসাবে পালিত হবে। ধর্মগুরু স্বামী চক্রপাণি মহারাজ ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, অন্য কোনও ধর্ম চাঁদের (Chandrayaan 3) উপর মালিকানা ঘোষণা করার আগেই যেন ভারতীয় সংসদ হিন্দু রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করে চাঁদকে।

    কী বললেন হিন্দু মহাসভার সভাপতি?

    নিজের একটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও শেয়ার করেছেন স্বামী চক্রপাণি মহারাজ। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘সংসদের তরফে চাঁদকে হিন্দু সনাতন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা হোক। যেখানে চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করেছে, সেই শিবশক্তি পয়েন্টকে (Chandrayaan 3) রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হোক, যাতে কোনও জিহাদি মানসিকতা সেখানে পৌঁছতে না পারে। ভারত সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ করা উচিত, যাতে কোনও জঙ্গি সেখানে পৌঁছতে না পারে।’’ তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও পোস্ট করেই ক্ষান্ত হননি এই ধর্মগুরু। তাঁর দাবি, তিনি এ নিয়ে চিঠিও লিখবেন। ধর্মগুরু বলেন, ‘‘হিন্দু মহাসভা এবং সন্ত মহাসভার তরফে এই চিঠি লিখব। আমরা দাবি জানাবো দ্রুত চাঁদকে হিন্দু রাষ্ট্র ঘোষণা করার। চাঁদে (Chandrayaan 3) যাতায়াত শুরু হলেই শিবশক্তি পয়েন্টে আমরা ভগবান শিব, মাতা পার্বতী এবং ভগবান গণেশের একটি মন্দির তৈরি করব।’’

    শিবশক্তি পয়েন্ট নামকরণে রাজনৈতিক তরজা

    চন্দ্রযান-১, ২০০৮ সালে যেখানে ভেঙে পড়েছিল, সেই স্থানের নামকরণ কংগ্রেস সরকার করেছিল জওহর। অর্থাৎ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নামে। এই নিয়ে কংগ্রেসকে তোপ দাগেন বিজেপি নেতারা। কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের কথাই তুলে ধরেন বিজেপি নেতারা। অন্যদিকে শিবশক্তি পয়েন্ট (Chandrayaan 3) নামকরণের বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস। এনিয়ে বিজেপির জবাব,  ‘‘কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় থাকলে চাঁদে (Chandrayaan 3) বিভিন্ন পয়েন্টের নাম রাখা হতো ইন্দিরা পয়েন্ট, রাজীব পয়েন্ট ইত্যাদি।’’ অন্যদিকে অবতরণস্থানের নামকরণ নিয়ে মুখ খুলেছেন ইসরো প্রধান এস সোমনাথও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শিবশক্তি পয়েন্ট নামকরণে কোনও সমস্যাই নেই। কোনও মহাকাশযানের অবতরণ স্থানের (Chandrayaan 3) নামকরণ করা স্বাভাবিক বিষয় এবং সেটা যে কোনও দেশের ট্রাডিশন।  শিবশক্তি পয়েন্ট একটি ভারতীয় নাম। অতএব এতে কোনও সমস্যা নেই।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share