Blog

  • Chandrayaan 3: ‘‘আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছি, আর চাঁদে তা সফল করেছি’’, বললেন মোদি

    Chandrayaan 3: ‘‘আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছি, আর চাঁদে তা সফল করেছি’’, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৪০ দিনের যাত্রা শেষে বুধবারই চাঁদের দেশে পৌঁছেছে ল্যান্ডার বিক্রম (Chandrayaan 3)। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে প্রথম দেশ হিসেবে অবতরণের এই কৃতিত্ব অর্জন করল ভারত। এদিন সন্ধ্যা ৬টা ০৪ মিনিটে অবতরণ করে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3)। দেশজুড়ে শুরু হয়েছে উদযাপন। চারিদিকে উৎসবের মেজাজ। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) এর অবতরণ দেখেন প্রধানমন্ত্রী। তার সঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণও দেন। এদিন মোদির বক্তব্যে উঠে আসে সূর্য মিশনের কথাও। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মোদি বলেন, ‘‘ইসরো শীঘ্রই আদিত্য-এল১ মিশন ও গগনযান মিশন চালু করবে।’’

    কী বললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী?

    এদিন দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার পরিবার, আমরা দেখলাম ইতিহাস তৈরি হতে। জীবন ধন্য হয়ে গেল। এমন ঐতিহাসিক ঘটনা গোটা জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ঘটনা নয়া ভারতের প্রমাণ, এই ঘটনা সমস্যার মহাসাগর পার করার মতো, এই মুহূর্ত ভারতের উদীয়মাণ ক্ষমতার প্রমাণ। আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছি, আর চাঁদে (Chandrayaan 3) আমরা তা সফল করেছি।’’ প্রধানমন্ত্রীর আরও মোদি বলেন, ‘‘আগে বলা হত যে চাঁদমামা (Chandrayaan 3) অনেক দূরে আছে। শিশুরা বলত যে চাঁদমামা অনেক দূরে আছে। এবার এমন একটি দিন আসবে, যখন শিশুরা বলবে যে চাঁদমামা (Chandrayaan 3) একটি ট্যুরের দূরে আছে।’’ প্রধানমন্ত্রীর আরও সংযোজন, ‘‘ভারত এখন চাঁদে পৌঁছে গিয়েছে। এবার চন্দ্রপথে হাঁটার সময়।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমরা নয়া ভারতের নয়া উড়ান প্রত্যক্ষ করতে চলেছি। নয়া ইতিহাস রচিত হয়েছে।’’

    ট্যুইট রাষ্ট্রপতির   

    ইসরোর এই সাফল্যে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এদিন রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘আমি ইসরো এবং চন্দ্রযান (Chandrayaan 3) মিশনের সঙ্গে জড়িত সবাই অভিনন্দন জানাই। তাদের আরও বড় সাফল্য কামনা করি। চন্দ্রপৃষ্ঠে চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan 3) যেভাবে অবতরণ করল, তাতে বিজ্ঞানীরা ইতিহাস করেছেন। ভারতকে গর্বিত করেছেন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মিজোরামে রেল সেতু ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যুর তালিকায় মালদার কতজন?

    Malda: মিজোরামে রেল সেতু ভেঙে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত্যুর তালিকায় মালদার কতজন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিজোরামে নির্মীয়মাণ রেল সেতু ভেঙে মৃত্যু হল মালদার (Malda) ২৩ জন শ্রমিকের। মালদা জেলা প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার রাত ৮টা পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, ওই দুর্ঘটনায় মালদার পুকুরিয়া থানার বিভিন্ন এলাকার ১৬ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও মৃত শ্রমিকদের মধ্যে রয়েছেন ইংরেজবাজার থানার পাঁচজন, মোথাবাড়ি ও গাজোল থানার একজন করে শ্রমিক। ঘটনার পরপরই মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মালদা জেলা প্রশাসন।

    কী বললেন জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রের খবর, মিজোরাম সরকারের তরফে মালদা জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে করা হয়েছে মিজোরাম সরকারের তরফে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদা (Malda) জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। মৃত শ্রমিকদের দেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি শুরু করেছে মালদা জেলা প্রশাসন। বুধবার মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসক বৈভব চৌধুরী। তিনি বলেন, যে সব দেহ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। মৃত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, মিজোরামের কুরুং নদীর ওপর একটি রেল সেতু তৈরির কাজ করছিল ভারতীয় রেল। সেখানে নিযুক্ত বহু শ্রমিকই মালদা জেলার বাসিন্দা ছিলেন। বুধবার ওই সেতু ভেঙে পড়ায় বহু শ্রমিকের মৃত্যু হয়। গোটা ঘটনায় রেলের তরফে যেরকম বিভাগীয় তদন্তের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তেমনই মিজোরাম সরকারের তরফেও তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতের পরিবারগুলিকে সমবেদনা জানিয়েছেন মিজোরাম সরকার। অন্যদিকে, জেলা প্রশাসন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফেও মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে মৃত শ্রমিকদের পরিবারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri By Election: ‘সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি,’ ধূপগুড়িতে কেন বললেন গৌতম দেব?

    Dhupguri By Election: ‘সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি,’ ধূপগুড়িতে কেন বললেন গৌতম দেব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পাবে বিজেপি, আর কাজ করবে তৃণমূল! বুধবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িতে ভোট (Dhupguri By Election) প্রচারে এসে এমন মন্তব্যই করলেন শিলিগুড়ির তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব। পাশাপাশি ভোটারদের প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারালেন তিনি। ধূপগুড়ি বিধানসভা উপ নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। প্রচারে এসে অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন করতেই তাঁর এই আচরণে সাধারণ মানুষ রীতিমতো ক্ষুব্ধ।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dhupguri By Election)

    বুধবার সকালে তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা গৌতম দেব ধূপগুড়ি পুর এলাকার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ভোটের (Dhupguri By Election) প্রচার করছিলেন। সেখানেই এক ভোটার গৌতম দেবকে সামনে পেয়ে একাধিক প্রশ্ন তুললেন। জলকাদায় ভরে গিয়েছে রাস্তা, পানীয় জলের পাইপ রাস্তার ওপর দিয়ে গিয়েছে, এইরকম একাধিক অনুন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওই ভোটার। তিনি মেয়রকে বলেন, ফি বছর বর্ষায় আমাদের জলবন্দি অবস্থায় থাকতে হয়। নিকাশি ব্যবস্থা এমনই খারাপ যে, চলাফেরা করার জন্য একেবারে অযোগ্য হয়ে উঠেছে। প্রথম থেকেই ওই এলাকায় কোনও রকম উন্নয়ন হয়নি। আর এতেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন গৌতমবাবু। তিনি সেই ভোটারকে পাল্টা জানান, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার, বিধায়ক বিজেপির, সাংসদও বিজেপির। কাজেই এই অনুন্নয়নের জন্য দায়ী বিজেপি। পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধূপগুড়ির জন্য কী কী করেছেন সেই খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। এরপর তিনি বলেন, সব কাজ তৃণমূল করবে, আর ভোট পাবে বিজেপি, এটা হতে পারে না। এরপর পাশ থেকে এক দলীয় কর্মী বলেন, এবার উপ নির্বাচনে লিডের ব্যবস্থা করুন, উন্নয়ন হয়ে যাবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির বিদায়ী কাউন্সিলার কৃষ্ণদেব রায় বলেন, ধূপগুড়ি পুর এলাকার একাধিক ওয়ার্ডে রাস্তার বেহাল অবস্থা। সব থেকে বেশি সমস্যা বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলিতে। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড বিজেপির জেতা ওয়ার্ডগুলির সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে। এলাকার কী অবস্থা, তা গৌতম দেব নিজে এসে ঘুরে দেখে গিয়েছেন। তবে, ভোটের প্রচারে এসে তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা এইভাবে সাধারণ মানুষের প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন, সেটা হয়তো ভাবতেই পারেননি তিনি। আর এই ঘটনায়  কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। যদিও ধূপগুড়ি পুর এলাকা থেকে বিধানসভা উপ নির্বাচনে (Dhupguri By Election) তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই এগিয়ে থাকবে বলে আশাবাদী দলীয় নেতৃত্ব। তবে ধূপগুড়ি পুর এলাকায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে কিন্তু প্রশ্ন উঠছেই। এবারের উপ নির্বাচনে কিছুটা হলেও শাসক-বিরোধী হাওয়া রয়েছে পুর এলাকায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: চন্দ্রযান ৩ অবতরণে মাহেন্দ্রক্ষণের প্রহর গুনছে বাঙালি গবেষকের পরিবার

    North 24 Parganas: চন্দ্রযান ৩ অবতরণে মাহেন্দ্রক্ষণের প্রহর গুনছে বাঙালি গবেষকের পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছেলে ইসরোর বাঙালি গবেষক। বাবা-মা তাই গর্বিত। সফল ভাবে চাঁদে পা রাখুক চন্দ্রযান ৩। অবতরণের শুভ মুহূর্তের প্রহর গুনছে এই বাঙালি গবেষকের পরিবার। উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট মহকুমার বসিরহাট পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের নৈহাটি এলাকায় ইসরো বাঙালি গবেষক মানস সরকারের বাড়ি।

    চন্দ্রযান ৩ অবতরণে বাঙালি গবেষক

    বাঙালি গবেষক মানস সরকার ২০০৬ সাল থেকে ইসরোতে গবেষণার কাজে নিযুক্ত হন। ২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২ সফলভাবে উৎক্ষেপণ হলেও শেষ মুহূর্তে চাঁদের মাটি ছুঁতে পারেনি। সেই দিনের ঘটনা আজও ভুলতে পারেনি বাঙালি গবেষকের পরিবার। বাবা শচীন্দ্রনাথ সরকার, মা রঞ্জিতা সরকার সে কথা আজও বলেন। তাই সফল অবতরণের আশায় প্রহর গুনছেন সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা। তাঁদের কাছে যেমন আবেগ, অন্যদিকে একটু ভয়ও কাজ করছে। শেষ মুহূর্তে চাঁদে পা রাখার ব্যাপারে ছেলের সাফল্য কামনা করছেন তাঁরা। একদিকে টিভির পর্দায় চোখ রেখেছেন, অন্যদিকে প্রার্থনা করছেন যাতে গোটা ভারতবর্ষের কাছে এই সাফল্য তুলে দেওয়া যায়। সব মিলিয়ে বাঙালি গবেষকের পরিবার তাকিয়ে রয়েছে শুধু সময়ের দিকে।

    পরিবারের বক্তব্য

    চন্দ্রযান ৩ -এ রয়েছে ছেলের মেধা-পরিশ্রম। মা রঞ্জিতা দেবী জানান, বসিরহাট গাছা আঁখারপুর ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তের কলাপোতা গ্রামে ছিল তাঁদের পরিবারের আদি বাড়ি। ছোটবেলা থেকে ইসরোর গবেষক মানসের সেখানেই বেড়ে ওঠা। সীমান্তের ইডিন্ডা ইউনিয়ন হাইস্কুল থেকে পড়াশোনার পর যাদবপুর, রাজাবাজার এবং হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের পাঠ শেষের পর প্রফেসর হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মানস। মেধাবী এই বাঙালি বিজ্ঞানী গোল্ড মেডেলও পেয়েছেন রাজ্যপালের কাছ থেকে। ২০০৬ সালের আগেই হলদিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে প্রফেসর হিসেবে নিযুক্ত হন মানস। সেই সময় অ্যামেরিকা থেকে ডাক পেলেও, তিনি দেশের হয়ে কাজ করবেন বলে, সেই অনুরোধ ফিরিয়ে দেন। এরপরই ২০০৬ সালে ইসরো গবেষণা কেন্দ্রে কারিগরি বিভাগে নিযুক্ত হন বসিরহাটের মানস। আজ চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্য কামনার সঙ্গে সঙ্গে ছেলের জন্য গর্ব অনুভব করছে গোটা সরকার পরিবার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jute: অবাক কাণ্ড, পাটের পাতা থেকেও তৈরি হচ্ছে চা! এই চা খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি?

    Jute: অবাক কাণ্ড, পাটের পাতা থেকেও তৈরি হচ্ছে চা! এই চা খেলে কোন কোন রোগ থেকে মুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কবি সুকুমার রায় লিখেছিলেন, নিম গাছেতে হচ্ছে শিম, কাকের বাসায় বগের ডিম। এবার সেরকমই এক অনন্য গবেষণায় সাড়া মিলেছে ভারতীয় কৃষি গবেষণাগারে। এবার পাট (Jute) গাছ থেকে হবে চা। এও কি সম্ভব! হ্যাঁ, সম্ভব। আর তাই করে দেখিয়েছে কলকাতার একটি কৃষি গবেষণাগার।

    কীভাবে হচ্ছে পাট (Jute) থেকে চা?

    পাট (Jute) শাক তো অনেক খেয়েছেন, এবার বাংলার মাটিতে পাট পাতা থেকেই তৈরি হচ্ছে চা। কলকাতার গবেষণাগারে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা আইসিএআর-নিনফেট কৃষি নিয়ে গবেষণা করে। এই সংস্থার টালিগঞ্জের গবেষণা কেন্দ্রে তৈরি হচ্ছে এই বিশেষ পানীয় অর্থাৎ পাট থেকে চা। পাটের জমি থেকে পাতা তুলে সেটাকে প্রথমে জীবাণুমুক্ত করা হয়। এরপরই বিশেষ তাপমাত্রায় সেই পাট পাতা শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। নির্দিষ্ট সময় পরে সেই শুকনো পাটপাতা গুঁড়ো করে রাখা হয় টি ব্যাগে। এই টি ব্যাগ গরম জলে দিলেই চা রেডি।

    কী বললেন আইসিএআর-নিনফেট-এর মুখ্য বিজ্ঞানী?

    আইসিএআর-নিনফেটের মুখ্য বিজ্ঞানী দেবপ্রসাদ রায় বলেন, আমাদের এই গবেষণা সংস্থা থেকে তৈরি এই চা-এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘জুট লিভ টি’। এই চায়ে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যার ফলে ক্যান্সারজনিত রোগ এবং সুগার রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, বার্ধক্যজনিত রোগ সহ বিভিন্ন রোগ থেকে অনেকটাই নিস্তার মিলবে সাধারণ মানুষের। শান্তিপুরে কৃষক বন্ধুদের নিয়ে একটি বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করে গবেষণা সংস্থা আইসিএআর-নিনফেট। কৃষক বন্ধুদের একটি কর্মশালার মাধ্যমে কীভাবে পাট (Jute) গাছ থেকে চা হবে এবং তার ফলে কীভাবে তাঁরা বাজারে সেটিকে বিক্রয় করতে পারবেন এবং লাভের মুখ দেখবেন, তারও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। একটি বিশেষ ওষুধ যা জলের সঙ্গে মিশিয়ে পাট জাক দেওয়ার জায়গায় দিয়ে দিলে অতি দ্রুত পাট গাছ থেকে পাট সংগ্রহ করতে পারবেন চাষিরা। এই বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে, পাট গাছ থেকে চা হলে সেটা বাজারে বিক্রি হলে অনেকটাই লাভবান হবেন কৃষকরা। আগের মতো পাট হয়ে উঠবে অর্থকরী ফসল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: ঝাড়গ্রামের সুমন্ত কীভাবে কিনেছিলেন চাঁদের জমি! এখানেই কি নামবে চন্দ্রযান ৩?

    Jhargram: ঝাড়গ্রামের সুমন্ত কীভাবে কিনেছিলেন চাঁদের জমি! এখানেই কি নামবে চন্দ্রযান ৩?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিবাহ বার্ষিকীতে স্ত্রীকে উপহার দিতে চাঁদে জমি কিনে দিয়েছিলেন ঝাড়গ্রামের (Jhargram) যুবক সুমন্ত মুর্মু। ঘটনা ২০২১ সালের ২ জুলাইয়ের। মাত্র ৩ হাজার ২৪০ টাকা দিয়ে একটি বিদেশি ওয়েবসাইট থেকে তিনি চাঁদে জমি কিনেছিলেন। এজন্য তিনি পেয়েছিলেন শংসাপত্রও। বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদে অবতরণ করতে চলেছে ভারতের চন্দ্রযান ৩। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে চন্দ্রযান ৩। তাহলে কি সুমন্তর জমিতে নামবে চন্দ্রযান ৩! শুরু হয়েছে জল্পনা। সুমন্ত রয়েছেন সেই আশায়। সুমন্ত বলছেন, আজ ভারেতর একটি ঐতিহাসিক দিন। চন্দ্রযান ৩ সফল হলে ভারতের মুখ বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল হবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে উত্তর-পূর্ব অংশে তাঁর জমি রয়েছে বলে জানান সুমন্ত। যদি সেখানে চন্দ্রযান নামে, তাহলে তো আনন্দ বলে প্রকাশ করা যাবে না।

    চাঁদে জমি কিনে উপহার (Jhargram)

    ২০২১ সালে ২ জুলাই সুমন্তের (Jhargram) প্রথম বিবাহ বার্ষিকী ছিল। তার আগের দিন, স্ত্রী মার্থাকে চাঁদে কেনা জমির দলিল উপহার দিয়েছেন সুমন্ত। আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে রীতিমতো আপ্লুত। মার্থা জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের জীবদ্দশায় চাঁদে থাকার সুযোগ হবে না। তবে এই দলিলের ভিত্তিতে আমাদের ভবিষ্যৎ কোনও এক প্রজন্ম হয়তো চাঁদে থাকবে, এটা ভেবেই রোমাঞ্চিত হচ্ছি। সুমন্তের এমন উপহার কোটি টাকার চেয়েও দামি।” বিদ্যুৎ দফতরের ঝাড়গ্রাম সাব স্টেশনের কর্মী সুমন্ত, একটি মার্কিন সংস্থার কাছ থেকে অনলাইনে চাঁদে জমি কিনেছেন ৪৫ ডলারে (ভারতীয় মুদ্রায় ৩২৪০ টাকা)। ডাকযোগে জমির দলিলও পেয়ে গিয়েছেন তিনি।

    চাঁদের জমি বিক্রি হচ্ছে কীভাবে খোঁজ পেলেন?

    ২০২০ সালে কলকাতার দমদমের বাসিন্দা মার্থা টুডুকে বিয়ে করেছেন সুমন্ত। সেই বিয়ের বর্ষপূর্তিতে স্ত্রীকে ব্যতিক্রমী উপহার দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন। সুমন্ত (Jhargram) জানান, ছোটবেলা থেকেই চাঁদের প্রতি আগ্রহ ছিল। হঠাৎই ইন্টারনেট ঘাঁটতে গিয়ে চাঁদে জমি কেনা যায় বলে জানতে পারি। ক্রেতাদের তালিকায় রোনাল্ড রেগন, জর্জ বুশের মত অ্যামেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্টরাও রয়েছে। তাঁদের নাম দেখেই যোগাযোগ করেন সুমন্ত। অ্যামেরিকার ওই সংস্থাটি প্রকৃতই চাঁদের জমির মালিকানা নিয়ে এ পর্যন্ত ৬০ লক্ষ ক্রেতাকে ৬১ কোটি একর জমি বিক্রি করেছে। আন্তর্জাতিক মানের কয়েকটি হোটেল কর্তৃপক্ষও চাঁদে জমি কিনেছে। তাই সব দিক খতিয়ে দেখে নিশ্চিত হয়ে জমি কেনেন সুমন্ত।

    কোন সংস্থা থেকে কিনলেন চাঁদের জমি

    সুমন্ত (Jhargram) জানান, ডেনিস হোপের মালিকানাধীন আমেরিকার ‘লুনার এমব্যাসিনামের সংস্থাটি চাঁদের জমি বিক্রি করে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আনা একটি প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের কোনও দেশ বা কোনও দেশের সরকার সৌরজগতের কোনও মহাজাগতিক বস্তুর উপর নিজেদের অধিকার, মালিকানা বা আইনি স্বত্ব দাবি করতে পারবে না। আটের দশকের একেবারে গোড়ার চাঁদের জমি এবং খনিজ সম্পদের মালিকানা দাবি করে রাষ্ট্রপুঞ্জকে চিঠি লেখেন হোপ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মৌনতাকে সম্মতি ধরে নিয়েই চাঁদের জমি বিক্রি করতে শুরু করেন হোপ। তৈরি করেন ‘গ্যালাকটিক ইনডিপেন্ডেন্ট গভর্নমেন্ট। হোপ নিজে সেই সরকারের প্রেসিডেন্ট। ২০০৯ সালে হোপের গ্যালাকটিক গভর্নমেন্ট আমেরিকার সরকারের মান্যতাও পায়। খোদ হিলারি ক্লিন্টন সই করেছিলেন গ্যালাটিক ইনডিপেন্ডেন্ট সরকারের স্বীকৃতিপত্রে। অ্যামেরিকার পূর্ব উপকূলে নেভাদায় লুনার এমব্যাসির মূল কার্যালয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Watermelon Cultivation: পৃথিবীর শীতলতম স্থানে তরমুজ চাষ! বাজিমাত রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের

    Watermelon Cultivation: পৃথিবীর শীতলতম স্থানে তরমুজ চাষ! বাজিমাত রাশিয়ান বিজ্ঞানীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভরা গ্রীষ্মের দুপুরে তরমুজ এক আলাদা তৃপ্তি দেয়। আর গ্রীষ্মের শেষ হতে না হতেই বাজারে আকাল পড়ে তরমুজের। আবার এক বছর অপেক্ষার পর পাওয়া যায় তরমুজ। কিন্তু কখনও কি শুনেছেন চির ঠান্ডার দেশে বরফমোড়া স্থানে চাষ হয় তরমুজের (Watermelon Cultivation), আর তার ফলনও চোখে পড়ার মতো! হ্যাঁ, এই অসম্ভবকেই সম্ভব করেছেন একদল রাশিয়ান বিজ্ঞানী।

    শীতলতম স্থানেই তরমুজ চাষ (Watermelon Cultivation) নিয়ে গবেষণা!

    রাশিয়ার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা কেন্দ্র ভোস্টক স্টেশন। এটি পৃথিবীর শীতলতম স্থান হিসাবেই পরিচিত। এখানে রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা বহু বছর ধরে নানা গবেষণা করে চলেছেন। এই স্থানের তাপমাত্রা সব সময় প্রায় -89.2 ডিগ্রির কাছাকাছি থাকে। অবাক করা বিষয়, আজ থেকে প্রায় ৪৩০০ বছর আগে সুদানে প্রথম বারের মতো তরমুজ নামক ফলটি জন্ম নিয়েছিল। আর সেখান থেকেই গোটা পৃথিবীতে আস্তে আস্তে তা ছড়িয়ে পড়ে। সুদানের সাক্কারায় প্রথম তরমুজের দেখা মেলে, যা কিনা আন্টার্টিকার ঠান্ডা থেকে অনেক অনেক দূরে। যেখানে কোনও ভাবেই ঠান্ডাতে তরমুজ চাষের সম্ভাবনা নেই, সেখানেই তরমুজ গাছ বেড়ে ওঠা ও তরমুজ জন্ম নেওয়াতে (Watermelon Cultivation) বিজ্ঞান মহল হতবাকও।

    কীভাবে এই অসম্ভবকে সম্ভব (Watermelon Cultivation) করেছেন বিজ্ঞানীরা? 

    প্রথমত,  এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন অ্যান্টার্কটিক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রুশ গবেষকরা। তার সঙ্গে এগ্রোফিজিকাল রিসার্চ ইনস্টিটিউট ও রাশিয়ান অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর বায়োমেডিক্যাল ইনস্টিটিউটের গবেষকরা একত্রিত হয়ে এই গবেষণাকার্য চালিয়েছেন এবং বরফে তরমুজ জন্মানো (Watermelon Cultivation) সম্ভব করেছেন। ভোস্টক স্টেশনে বিজ্ঞানীরা একটি গ্রিন হাউস চেম্বার তৈরি করেছেন। এই গ্রিন হাউস চেম্বারটিকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে ভিতরের তাপমাত্রা সহজে কমানো এবং বাড়ানো যেতে পারে। তাছাড়া তরমুজ চাষের জন্য যা যা পরিবেশের প্রয়োজন, সমস্তটাই কৃত্রিমভাবে তৈরি করেছেন তাঁরা।

    কৃত্রিমভাবে তৈরি করেছেন সূর্যালোকও

    তরমুজ চাষের জন্য যে সূর্যালোকের প্রয়োজন, সেই সূর্যালোকও কৃত্রিম ভাবে তৈরি করেছেন এই রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা। গ্রিন হাউস চেম্বারের ভিতর এক রকম বিশেষ আলোর ব্যবহার করা হয়েছে যা অবিকল সূর্যালোকের মতো। বিজ্ঞানীরা দুটি প্রজাতির তরমুজ এই চাষের জন্য (Watermelon Cultivation) বেছে নিয়েছিলেন, যেগুলি খুব সহজেই এবং তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। কোনও স্থানে অক্সিজেনের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও সেই স্থানে এই তরমুজ চাষ ও অন্যান্য উদ্ভিদ বেড়ে ওঠা সম্ভব কিনা, এই উদ্দেশ্যেই তাঁরা এই গবেষণা শুরু করেছিলেন। শুধু সূর্যালোকই নয়, বরফের দেশে চাষের জন্য কৃত্রিম মাটিরও সৃষ্টি করেছিলেন এই বিজ্ঞানীরা। এই কৃত্রিম মাটিতেই বপন করা হয়েছিল বীজ। অক্সিজেন বিহীন এই ঠান্ডার দেশে পরাগায়নের জন্য কোনও পোকার উপস্থিতি না থাকায় বিজ্ঞানীরা নিজ হাতে পরাগায়ন ঘটিয়েছিলেন। বীজ রোপনের প্রায় ১০৩ দিন পর প্রথম আটটি পাকা ও মিষ্টি তরমুজ গাছের দেখা মেলে এই স্থানে। এই গাছে যে তরমুজগুলি জন্মেছিল, সেগুলির এক একটির ওজন প্রায় দুই পাউন্ড অর্থাৎ ১ কেজি ওজনের।

    শুধু তরমুজ (Watermelon Cultivation) নয়, চাষ আরও অনেক কিছুরই 

    এই স্থানে তরমুজ চাষ (Watermelon Cultivation) ছাড়াও আরও নানা বিষয়ে গবেষণা করে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। ২০২০ সালে, ভোস্টক স্টেশনে তুলসী, পার্সলে এবং বাঁধাকপির মতো উদ্ভিদ চাষ করেছেন। তাছাড়াও কোরিয়ান বিজ্ঞানীরা এই স্থানে চাষ করার চেষ্টা করেন। কিছু ক্ষেত্রে তাঁরাও সফলতা অর্জন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat Election: তৃণমূলকে হারিয়ে দত্তপুলিয়ায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    Gram Panchayat Election: তৃণমূলকে হারিয়ে দত্তপুলিয়ায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন বিজেপির, উচ্ছ্বাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে হারিয়ে পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠন করল বিজেপি। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে নদিয়ার ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল বিজেপি। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি কর্মীরা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন।

    কত আসন নিয়ে বিজেপি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করল?

    নদিয়ার ধানতলা থানার দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) বুধবার প্রশাসনের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। দত্তপুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ৩০টি। তার মধ্যে ১৪ টি ছিল বিজেপির দখলে এবং ১৪ টি ছিল তৃণমূলের দখলে। আর দুটি আসনে জয়লাভ করে সিপিএম। এর আগেই একজন সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন। আর অন্য এক সিপিএম সদস্য তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন। গত ১০ অগাস্ট বোর্ড গঠন ছিল এই পঞ্চায়েতের। দু’পক্ষের আসন সংখ্যা সমান হয়ে যাওয়ায় লটারির মাধ্যমে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া চলছিল। কিন্তু অভিযোগ ওঠে, লটারি করার পর সেই কাগজ ছিঁড়ে ফেলে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্য। তখনকার মতো বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিয়েছিল প্রশাসন। এদিন ছিল সেই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া। এদিন প্রধান গঠনের ভোটাভুটিতে ১৬ টি ভোট পায় বিজেপি। আর ১৪ টি ভোট পায় তৃণমূল। এরপরেই নিজেদের প্রধান ঠিক করে পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে আসেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। বিজেপির প্রধান হলেন ধীরেন্দ্র মিস্ত্রি। তৃণমূলের তরফ থেকে হয় উপপ্রধান। উপপ্রধান হলেন রিম্পা বিশ্বাস মল্লিক।

    কী বললেন বিজেপির সদ্য নির্বাচিত প্রধান?

    বিজেপি প্রধান ধীরেন্দ্র মিস্ত্রির বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন নিয়ে আমরা পঞ্চায়েতে (Gram Panchayat Election) বোর্ড গঠন করেছি। সম্ভবত সিপিএমের ভোট পেয়েই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছি। এটা সত্যের জয় হল। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন করা আমাদের মূল লক্ষ্য। তবে, এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তৃণমূলের সদস্যরা। এমনকী নব নির্বাচিত উপপ্রধান নিজেও মুখ খুলতে চাননি এই বিষয়ে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ABSS: মোদির অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ কী কী সুবিধা পেতে চলেছে?

    ABSS: মোদির অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গ কী কী সুবিধা পেতে চলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২২ সালে স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সমগ্র ভারতবর্ষ জুড়ে অমৃত মহোৎসব কর্মসূচি (ABSS) শুরু হয়। তারই প্রতিফলন হিসাবে উঠে আসে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের ২৭ টি রাজ্যের মোট ৫০৮ টি রেল স্টেশনের আমূল পরিবর্তন এবং আধুনিকীকরণ ঘটাতে ২৪ হাজার ৪৭০ কোটি টাকারও বেশি বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র সরকার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রেল স্টেশনগুলিকে অত্যাধুনিক মানের হিসাবে গড়ে তোলা হবে।

    কী এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্প (ABSS)?

    অমৃত ভারত প্রকল্প (ABSS) হল ভারতীয় রেল মন্ত্রকের উদ্যোগে দেশের ৫০৮ টি স্টেশনকে অত্যাধুনিক রূপ দেওয়া, যা হবে বিশ্বমানের। বলা যেতে পারে রেল স্টেশনগুলির আধুনিকীকরণের এক নতুন নীতি এটি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্টেশনের চাহিদা অনুসারে একটি দীর্ঘমেয়াদী মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হবে এবং তা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলবে।

    পশ্চিমবঙ্গের ক’টি স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) সুবিধা পাবে?

    ভারতে ২৭টি রাজ্যের ৫০৮টি স্টেশন এই অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) সুবিধা পেতে চলেছে। যার মধ্যে সব রাজ্যের অনেক স্টেশনে ইতিমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে। আর আমাদের পশ্চিমবঙ্গের ৯৪ টি স্টেশন এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে চলছে। তার মধ্যে শিয়ালদা, বর্ধমান, রামপুরহাট, আসানসোল, অন্ডাল, সিউড়ি, নিউ কোচবিহার, খড়্গপুর, নিউ আলিপুরদুয়ার প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

    এই প্রকল্পের (ABSS) মূল লক্ষ্যগুলি কী?

    প্রত্যেকটি স্টেশনকে আধুনিকীকরণ ও অত্যাধুনিক মানের গড়ে তোলার পাশাপাশি কতকগুলি লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে যেমন:-

    ১) প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রত্যেকটি স্টেশনে যাত্রী প্রতীক্ষালয়গুলিকে অত্যাধুনিক মানের তৈরি করা হবে এবং সেগুলিতে থাকবে ক্যাফেটেরিয়া ও অন্যান্য পণ্যের দোকান। 
    ২) স্টেশনমুখী বা স্টেশন লাগোয়া সমস্ত রাস্তাকে চওড়া করা হবে এবং রাস্তার পাশে থাকা অবৈধ নির্মাণগুলিকে সরিয়ে ফেলা হবে, যাতে সহজেই যাত্রীরা স্টেশনে পৌঁছাতে পারেন এবং স্টেশন থেকে বের হতে পারেন। তার সঙ্গে থাকবে দিক নির্দেশনার ব্যবস্থা।
    ৩) স্টেশনগুলিকে আগের থেকে উঁচু করে নির্মাণ করা হবে, ৬৭০ থেকে ৮১০ মিলি উঁচু করা হবে। 
    ৪) স্টেশন সংলগ্ন সমস্ত রাস্তা বিশেষ আলোর মাধ্যমে আলোকিত করা হবে।
    ৫) নিত্যযাত্রীদের স্টেশন চত্বরে পার্কিং ব্যবস্থা সুলভ করার জন্য বিশেষ পার্কিং প্লেস তৈরি করা হবে। 
    ৬) মহিলা এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আধুনিক টয়লেট তৈরি করা হবে।  
    ৭) তহবিল অনুযায়ী সমগ্র ভারতবর্ষে অমৃত ভারত স্টেশন প্রকল্পের (ABSS) অধীনে থাকা স্টেশনগুলিকে পরিবেশ বান্ধব স্টেশন হিসাবে নির্মাণ করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

    Dhupguri: কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী, উপ নির্বাচনে ফের মহকুমার দাবি উঠল ধূপগুড়িতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহকুমার দাবিতেই হোক ভোট, ধূপগুড়িবাসীর এমনটাই মত। কিন্তু, প্রতিবার ভোটের সময় মহকুমার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা পূরণ হয় না, ধূপগুড়ি সেই তিমিরেই রয়ে যায়। এবারের বিধানসভা উপ নির্বাচনেও একই দাবি তুলেছেন ধূপগুড়িবাসী। বাম আমল থেকেই ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার দাবি উঠে আসছিল। তখনও তা হয়নি, এরপর তৃণমূল আমলেও ধূপগুড়ির এই দাবি ব্রাত্য হয়েই পড়ে রয়েছে।

    কেন মহকুমার দাবি ধূপগুড়িবাসীর? (Dhupguri)

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ সালের নির্বাচনের সময় ঘোষণা করেছিলেন ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমায় উন্নীত করা হবে। কিন্তু আড়াই বছর পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত তা হয়নি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে চর্চা। ধূপগুড়িকে মহকুমা করার জন্য ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ নামে একটি অরাজনৈতিক সংগঠন তৈরি হয়েছে। মূলত তারাই মহকুমার জন্য সরব হয়েছে। সভা, মিটিং, মিছিল, পোস্টারিং এমনকী মানব বন্ধনও করেছে তারা। মঞ্চের সম্পাদক অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, ধূপগুড়ি বিধানসভায় দুটি ব্লক রয়েছে। ধূপগুড়ি এবং বানারহাট। এই দুই ব্লকে প্রায় ১০ লক্ষ মানুষের বাস। বানারহাট ব্লকের শেষ প্রান্ত চামুর্চি, যা কিনা ইন্দো-ভূটান সীমান্ত। এই এলাকা থেকে কোনও সরকারি কাজ করতে গেলে ৮২ কিমি পথ পেরিয়ে জলপাইগুড়িতে যেতে হয়। গেলেই যে আধিকারিকদের পাওয়া যাবে তাও নয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে একটি কাজের জন্য অনেকবার যেতে হয়েছে। এতদুর পথ পেরিয়ে গিয়ে কাজ করাতে গেলে সারাদিন লেগে যায়। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষই দিনমজুর বা চা-বাগানের শ্রমিক, সময়ের পাশাপাশি অর্থও নষ্ট হয় এদের। এছাড়া ধূপগুড়িকে এখনও গ্রামীণ হাসপাতালের ওপর নির্ভর করতে হয়। একটু কিছু হলেই রোগীদের জলপাইগুড়িতে স্থানান্তরিত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। এই বিষয়গুলি নিয়েই এই মঞ্চ তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই দাবিকে পুরোপুরি সমর্থন করে বিজেপির ধূপগুড়ি (Dhupguri)  বিধানসভার কনভেনর চন্দন দত্ত বলেন, মুখ্যমন্ত্রী ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ধূপগুড়িকে মহকুমা করা তার কাজ চলছে। কিন্তু, আজও তা বাস্তবায়িত হয়নি। কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র এই বিষয়টি নিয়ে তৃণমূল রাজনৈতিক মেরুকরণের চেষ্টা করছে। মিথ্য প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিতে চাইছে। মানুষ সব বুঝে গেছে। তাই তারা আর এই মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ভুলবে না।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সাধারণ সম্পাদক রাজেশ সিং বলেন, প্রয়াত বিধায়ক বিগত আড়াই বছরে বিধানসভায় একটি কথা বলেননি। আর যদি মহকুমা কেউ করেন সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই করবেন। তাছাড়া হাতে তো আরও সময় আছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। বিজেপি বাংলা ভাগের চক্রান্তে আছে, তাই এই সব বলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share