Blog

  • Siliguri: ভোটার তালিকায় কারচুপি রুখতে শিলিগুড়িতে বৈঠক বিজেপির, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    Siliguri: ভোটার তালিকায় কারচুপি রুখতে শিলিগুড়িতে বৈঠক বিজেপির, কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই রাজ্যের শাসকদল ভোটার তালিকায় যাতে কারচুপি করতে না পারে তারজন্য নজরদারি চালাবে বিজেপি। এজন্য বিশেষ অভিযানে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভোটার চেতনা মহাঅভিযান।’ রবিবার বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে উত্তরবঙ্গে বিজেপির ৯টি সাংগঠনিক জেলাকে নিয়ে এই বিষয়ে বৈঠক হয়। এই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন সাংসদ তথা দলের পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজকুমার চাহার, বিধায়ক দীপক বর্মন, বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সঞ্জয় সিংহ, উত্তরবঙ্গের সব বিজেপি বিধায়ক এবং উত্তরবঙ্গের জেলা সভাপতিরা।

    ‘ভোটার চেতনা মহাঅভিযানে’ কী কী করা হবে? (Siliguri)

    বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি সঞ্জয় সিং বলেন, আমরা মানুষের মধ্যে ভোটার তালিকায় নাম তোলার ব্যাপারে সচেতনতা প্রচার করব। এমন অনেক ভোটার রয়েছেন তাদের ভোটার কার্ড থাকলেও ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গিয়েছে। আবার অনেকে মারা গিয়েছেন, তাদের ভোটার তালিকায় নাম থেকে গিয়েছে। এই সংযোজন ও সংশোধন করার পাশাপাশি খুঁজে বের করা হবে বয়স হওয়া সত্বেও কারা এখনও ভোটার তালিকায় নাম তোলেননি। কেননা প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন ঘটনা দেখা যায় যে, বহু মানুষ নানান ঝামেলার কারণে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে চান না। অনেকে জানে না কোথায় কীভাবে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে হয়। আমরা এই দিকটিতে ভোটারদের মধ্যে সচেতনতা আনার জন্য এই ‘ভোটার চেতনা মহাঅভিযান’ কর্মসূচি নিয়েছি। আগামী ২৫ ও ২৬ অগাস্ট উত্তরবঙ্গে আমাদের ৯টি সাংগঠনিক জেলায় বুথ স্তর পর্যন্ত এই কর্মসূচির অঙ্গ হিসেবে অভিযান চলবে। এদিন শিলিগুড়িতে (Siliguri) সাংগঠনিক বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

    ভোটার তালিকায় কারচুপি প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি  সঞ্জয় সিং বলেন, সরকারিভাবে যারা ভোটার তালিকা সংশোধন ও সংযোজনের কাজ করেন তাঁরা অনেক জায়গাতেই যান না। ঠিক মতো বাড়ি বাড়ি পৌঁছন না। এতে ভোটার তালিকার বাইরে থেকে যান অনেকে। আবার মারা গিয়েও অনেকের নাম ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করে। বিজেপির শিলিগুড়ি (Siliguri) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ মণ্ডল বলেন, ভোটার তালিকায় রাজ্যের শাসক দল প্রভাব খাটিয়ে কারচুপি করে থাকে। দেখা গিয়েছে সরকারিভাবে যারা ভোটার তালিকার কাজ করেন তাদের বেশিরভাগই রাজ্যের  শাসক দলের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা বা সদস্য। তাই আমরা এব্যাপারে মানুষকে সচেতন ও সতর্ক করে তুলতে এই অভিযান চালিয়ে যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Subhas Sarkar on Jadavpur: যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার?

    Subhas Sarkar on Jadavpur: যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ছাত্র মৃত্যুর জন্য দায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও রাজ্য সরকার। কয়েকদশক ধরে এই কালচার চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে শহুরে নকশালের চিন্তা, যে আদর্শটা রাষ্ট্রদ্রোহিতাকে উস্কে দেয়। সেটা বন্ধ করুক রাজ্য সরকার।’ রবিবার দুর্গাপুরে একটি কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুষ্ঠানে এসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কাণ্ড নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (রাষ্ট্র) সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar on Jadavpur)।

    যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? (Subhas Sarkar on Jadavpur)

    প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রহস্যজনক ছাত্রমৃত্যু নিয়ে উত্তাল গোটা রাজ্য। বার বারই অভিযোগ উঠেছে বামপন্থী প্রাক্তন পড়ুয়াদের আনাগোনা ও কলেজ হস্টেলের সিনিয়ার পড়ুয়াদের অমানবিক আচরণের দিকে। যদিও, ওই ঘটনার তদন্ত  এখনও পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর বড় প্রশ্ন, এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে সিসিটিভি কেন বসানো হয়নি বা বসাতে দেওয়া হয়নি? অভিযোগে জানা গিয়েছে,যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে নতুন ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের সঙ্গে সিনিয়র পড়ুয়াদের নির্মম ব্যবহারের ছবি ধরা পড়ত, তাই হয়তো সিসিটিভি বসাতে দেওয়া হয়নি। সিনিয়ারের উপস্থিতি এবং অনুমতি ছাড়া বাড়িতেও ফোন করতে পারতেন না নতুন পড়ুয়ারা। শৌচালয় থেকে ঘর— সবই পরিষ্কার করতে হত জুনিয়ারদের। রীতিমতো রোস্টার তৈরি করে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের দিয়ে বিভিন্ন কাজ করানো হত। সেই কাজের তালিকায় রয়েছে, শৌচালয় এবং ঘর পরিষ্কার, সিনিয়রদের ভাত বেড়ে দেওয়া, মশারি টাঙিয়ে দেওয়ার মতো কাজ। যা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। রবিবার দুর্গাপুরে এক কেন্দ্রীয় আবাসিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়ানুষ্ঠানের উদ্বোধনে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী (রাষ্ট্র) ডাঃ সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar on Jadavpur)। এদিন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কাণ্ডের প্রশ্নে তিনি বলেন, ছাত্র মৃত্যুর জন্য দায়ী যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও রাজ্য সরকার। কয়েকদশক ধরে এই কালচার চলছে। রাজ্য প্রশাসন যদি এটা বন্ধ করতে চাইত, তাহলে এর আগের উপাচার্যের জামানায় হোক কলরব, হোক চুম্বন, মুক্ত মন, মুক্ত চিন্তনের নামে যা কিছু হচ্ছিল, সেটা বন্ধ করত। সিসিটিভি বসত। তিনি বলেন, সঠিক তদন্ত হোক। অপরাধীরা গ্রেফতার হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    Shalimar Station: শালিমার স্টেশনের বাইরে পার্কিং লট নিয়ে উদাসীন রাজ্য, প্রকাশ্যে তোলাবাজি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) সংলগ্ন পার্কিং লটে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে বহিরাগত ও স্থানীয় মস্তানদের বিরুদ্ধে। এর ফলে অনেক ট্যাক্সিচালকই শালিমার স্টেশনে যেতে চাইছেন না। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ট্যাক্সিচালকদের অভিযোগ, হাওড়া বা সাঁতরাগাছি স্টেশনের মতো শালিমার স্টেশনে প্রিপেড ট্যাক্সি বুথ নেই। যে সংস্থাকে শালিমার স্টেশন সংলগ্ন পার্কিংয়ের টেন্ডার দেওয়া হয়েছে, তা মূলত স্টেশনের সামনের পার্কিং জোনের জন্য। কিন্তু পার্কিংয়ের কন্ট্রাক্টররা স্টেশন থেকে আরও প্রায় আধ  কিলোমিটার দূরে দু’নম্বর গেট পর্যন্ত এলাকায় যত ট্যাক্সি প্রবেশ করে, তাদের কাছ থেকে জোর করে পার্কিং ফি নেয় বলে অভিযোগ। যা নিয়ে মাঝে মধ্যেই গন্ডগোল ও মারামারির মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু তারপরেও এই দৌরাত্ম্য কমানো যায়নি। ফলে ট্যাক্সি বা প্রাইভেট গাড়ির চালকরা শালিমার স্টেশনে যেতে ভয় পান।

    নেই কোনও বাসরুটও(Shalimar Station)

    অন্যদিকে শালিমার স্টেশনে যাওয়ার যে বাস রুট রয়েছে, তাও প্রায় এক কিলোমিটার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে থেকে রেললাইন পার হয়ে একটি রাস্তা সরাসরি শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সায়েন্স ইউনিভার্সিটির দিকে গেছে। ব্যতাইতলা ফাঁড়ি সংলগ্ন লেভেল ক্রসিং পার হলেই ওই রাস্তায় রয়েছে শালিমার তিন নম্বর গেট। কিন্তু লেভেল ক্রসিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গেট বন্ধ থাকায় বেশিরভাগ যাত্রীকেই ডানদিকে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোড দিয়ে ব্রিজে উঠে তারপর কলেজ রোড ধরতে হয়। এই রাস্তাটি ঘুরে এসে আবার তিন নম্বর গেটের কাছ থেকে ডান দিকে কলেজ রোড বেঁকে গেছে। স্বাভাবিকভাবেই যেদিক দিয়েই যাত্রীরা আসুক না কেন, তিন নম্বর গেটের পর শালিমার স্টেশনে (Shalimar Station) যাওয়ার কোনও বাস রুট না থাকায় তাঁদের অটো, টোটো অথবা ট্যাক্সি ধরতে হয়। ফলে টোটো চালকরাও যাত্রীদের কাছ থেকে মওকা বুঝে যেমন খুশি ভাড়া হাঁকায়।

    যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতা (Shalimar Station)

    ব্যতাইতলা পুলিশ ফাঁড়ি থেকে আরেকটি রাস্তা লেভেল ক্রসিংয়ের আগে বাঁদিকে বেঁকে গেছে। যেটি  শালিমার (Shalimar Station) দু’নম্বর গেট পর্যন্ত গেছে। এই দুই নম্বর গেট দিয়ে যাতে সহজে শালিমার স্টেশনে যাওয়া যায়, সেই জন্য দু’নম্বর গেটের কাছে একটি উড়ালপুল তৈরি হওয়ার কথা। বর্তমানে সেখানে কিছু পাইলিংয়ের কাজ চলছে। দু’নম্বর গেটের লেভেল ক্রসিংও দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকে। ফলে এখান থেকেও যাত্রীদের রেললাইন পার হয়ে ফের আরেকটি টোটো বা ট্যাক্সি ধরে শালিমার স্টেশনে পৌঁছাতে হয়। তাও আর এক যন্ত্রণাকর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয় যাত্রীদের। টোটো থেকে নেমে  বর্ষায় ভাঙাচোরা, কাদা প্যাচপ্যাচানি রাস্তা পার হয়ে যাত্রীদের বড় বড় লাগেজ নিয়ে খুবই দুর্ভোগ পেরিয়ে স্টেশনে পোঁছাতে হয়।

    কী বলছেন যাত্রী সংগঠনের কর্তারা?

    হাওড়া জকপুর প্যাসেঞ্জার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের জেনারেল সেক্রেটারি অজয় দোলুই বলেন, শুধু শালিমার স্টেশনেই (Shalimar Station) নয়, সাঁতরাগাছি স্টেশনের বাইরেও এভাবে যাত্রীদের নানা ভাবে হ্যারাসমেন্ট করা হচ্ছে এবং জোর করে অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হচ্ছে।

    কী জানাল রেল?

    রেল সুত্রে জানানো হয়েছে, শালিমার স্টেশন (Shalimar Station) চত্বরের বাইরের আইনশৃঙ্খলা দেখার কাজ স্থানীয় পুলিশের। যাত্রীদের সঙ্গে জোর করে এবং অতিরিক্ত পার্কিং ফি নেওয়া হলে স্থানীয় পুলিশকেই বিষয়টি দেখতে  হবে। হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা জানান, অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asia Cup: এশিয়া কাপের জন্য স্কোয়াড নির্বাচন সোমবার, জেনে নিন সম্ভাব্য ভারতীয় দল

    Asia Cup: এশিয়া কাপের জন্য স্কোয়াড নির্বাচন সোমবার, জেনে নিন সম্ভাব্য ভারতীয় দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবারই এশিয়া কাপের (Asia Cup) জন্য দল ঘোষণা করতে পারে ভারত। নির্বাচক কমিটির প্রধান অজিত আগরকাররা সোমবারে দিল্লিতে বৈঠকে বসছেন। এরপরেই এই ১৭ জনের দল ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি এখানেই আলোচনা হবে ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের দল গঠন নিয়ে। কোচ রাহুল দ্রাবিড় নির্বাচক কমিটির এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বিশ্বকাপের মতো ১৫ নয় বরঞ্চ ১৭ জনের এই দল ঘোষণা হবে। এশিয়া কাপের (Asia Cup) জন্য ১৭ জনেরই দল গঠনের অনুমতি মিলেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের তরফ থেকে (Asia Cup)। এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানও একই পথে হেঁটে ১৭ জনের দল ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে ক্রিকেট বিশ্বকাপের (Asia Cup) জন্য ১৫ জনের দল ঘোষণা করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। এবং ৫ সেপ্টেম্বর এই দল ঘোষণা হতে পারে বলে খবর। ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত দল ঘোষণার কথা।

    ৩০ অগাস্ট শুরু হচ্ছে এশিয়া কাপ

    প্রসঙ্গত, এশিয়া কাপ (Asia Cup) শুরু হচ্ছে চলতি মাসের ৩০ তারিখে, প্রথম খেলা পাকিস্তানের মুলতানে। সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে ভারত মুখোমুখি হবে তার প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ক্যান্ডিতে হবে ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ। 
    জানা গিয়েছে লোকেশ রাহুল এবং শ্রেয়স আয়ার এই দুজনেরই রিহ্যাব চলছে। এদের মধ্যে ম্যাচ খেলার মত ফিটনেস রাহুলের থাকলেও শ্রেয়সের সমস্যা রয়ে গেছে। তাই এশিয়া কাপের জন্য একদম সবদিক থেকে ফিট ক্রিকেটারই চাইছেন নির্বাচকরা। জানা গিয়েছে, বিসিসিআইয়ের মেডিক্যাল কমিটি সার্টিফিকেট দিয়েছে এই দুই ক্রিকেটারকে। এবং তারা বিশ্বকাপের ১৫ জনের চূড়ান্ত দলে স্থান পেতে চলেছেন। কিন্তু এশিয়া কাপে (Asia Cup) তাঁদের না খেলার সম্ভাবনাই প্রবল। যদিও ১৭ জনের দলে দুই ক্রিকেটারই থাকবেন। অন্যদিকে এশিয়া কাপে (Asia Cup) একবার ঝালিয়ে দেখা হতে পারে তিলক বর্মাকে।

    এশিয়া কাপের (Asia Cup) সম্ভাব্য দল

    এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের যে সম্ভাব্য দল ঘোষণা হতে পারে তা হল ঠিক এইরকম, রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, শুভমন গিল, লোকেশ রাহুল (উইকেটরক্ষক, ফিটনেসের ব্যাপারে নিশ্চিত হলে), শ্রেয়স আয়ার (ফিটনেসের ব্যাপারে নিশ্চিত হলে), হার্দিক পাণ্ড্য, রবীন্দ্র জাডেজা, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, মহম্মদ সিরাজ, কুলদীপ যাদব, ঈশান কিশন (উইকেটরক্ষক), অক্ষর পটেল, শার্দূল ঠাকুর, সূর্যকুমার যাদব, তিলক বর্মা, যুজবেন্দ্র চহাল অথবা রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বরানগরে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Barrackpore: বরানগরে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাকপুর (Barrackpore) মহকুমার বরানগরের কুটিঘাট এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম শ্যামল দাস। তিনি কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন হামলা?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামলবাবু পেশায় গাড়ির চালক। শনিবার নিজের কাজ শেষ করে বাড়ি ফিরে পাড়াতেই বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। সে সময়ই বেশ কয়েকজন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে। তিনি প্রতিবাদ করতেই শ্যামলবাবুকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের কাউন্সিলারের স্বামী ও তাঁর দলবল এই হামলা চালায় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বরানগর রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কামারহাটি কলেজ সাগর দত্ত হাসপাতালে ভক্তি করা হয়। সেখানেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বিজেপি কলকাতা উত্তর শহরতলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরিজিৎ বক্সি। তারপরেই ওই বিজেপি কর্মীর অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এই ঘটনায় বারাকপুর (Barrackpore) সাংগঠনিক জেলাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জখম বিজেপি কর্মীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, ঘটনার তদন্তের আবেদন জানিয়ে বরানগর থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাদের থানা চত্বরেই ঢুকতে দেয়নি পুলিশ কর্মীরা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কলকাতা উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অরিজিৎ বক্সি বলেন, শ্যামল দাস দীর্ঘদিন এলাকার অসামাজিক কাজকর্মের বাধা দিয়ে এসেছে। সে কারণে তার উপর এর আগেও তাঁকে হামলা চালানো হয়েছিল। আবারও হামলা হল। অসামাজিক কাজের পিছনে সক্রিয় মদত রয়েছে পুলিশের।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কাউন্সিলার নিবেদিতা বসাক বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার যুব সমাজকে বিনে পয়সায় বিভিন্নরকম নেশায় আসক্ত করার কাজ করছিলেন এই বিজেপি কর্মী। শনিবার রাতে এমনই ঘটনার খবর পান স্থানীয় কিছু যুবক। তারই প্রতিবাদ করতে গেলে প্রতিবাদকারীদের উপর চড়াও হন শ্যামল দাস। এমনকী এক প্রতিবাদকারীর উপর তিনি হামলা চালান। তবে, ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue Fever: ডেঙ্গির পর দ্রুত সুস্থ হতে কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে? 

    Dengue Fever: ডেঙ্গির পর দ্রুত সুস্থ হতে কোন কোন খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুম শুরু হতেই রাজ্যে ডেঙ্গির (Dengue Fever) প্রকোপ চলছে। ইতিমধ্যেই কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ডেঙ্গির সঙ্গে মোকাবিলা করলেও তারপরের ক্লান্তি আর দুর্বলতা ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। ডেঙ্গির পরের দুর্বলতার জেরে অনেকেই কাজে যোগ দিতে পারছেন না। স্বাভাবিক সুস্থ জীবন যাপন কঠিন হয়ে উঠছে। তাই চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির পরের কয়েক সপ্তাহ খুব জরুরি। দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে ডেঙ্গি কমার পরের কয়েক সপ্তাহ বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। বিশেষত, খাদ্যাভ্যাসে বিশেষ নজরদারি দরকার।

    ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে কী ধরনের খাবার তালিকায় রাখতে হবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির কোনও নির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তাই ডেঙ্গির পরবর্তী ক্লান্তি কমাতে কোনও ওষুধ বিশেষ সাহায্য করে না। খাদ্যাভ্যাস ক্লান্তি দূর করতে এবং দুর্বলতা কাটিয়ে দ্রুত স্বাভাবিক জীবন যাপনে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। তাই কয়েকটি বিষয়ে নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছে চিকিৎসক মহল। 
    ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে খাবারের তালিকায় অবশ্যই ভিটামিন কে জাতীয় খাবার রাখার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, ডেঙ্গি রোগীর ক্লান্তি থাকে মারাত্মক। হাত ও পায়ের পেশি দুর্বল হয়ে যায়। তাই দরকার ভিটামিন কে জাতীয় খাবার। বাঁধাকপি, ব্রোকলির মতো খাবারে ভিটামিন কে থাকে। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। 
    ছোলা, মটরশুঁটি, মুসুর ডালের মতো দানাশস্য খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, যে কোনও দানাশস্য খেলেই এনার্জি পাওয়া যায়। তাই শরীরে এনার্জির ঘাটতি পূরণের জন্য দানাশস্য জাতীয় খাবার খাওয়া দরকার। 
    এছাড়াও, আপেল, কলা, মাছ নিয়মিত খাওয়া দরকার। ডেঙ্গির পরে শরীর দুর্বল থাকে। কাজের শক্তি পাওয়া যায় না। তাই এই ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি। এগুলোতে প্রচুর আয়রন থাকে। আয়রন শরীরের দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে। 
    চিকেন স্টু আর সোয়াবিন নিয়মিত খেতে হবে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই দুই খাবার শরীরে প্রোটিনের জোগান দেবে। ডেঙ্গির পরে দ্রুত সুস্থ হতে প্রোটিন জরুরি। আর এই দুই খাবার সহজ পাচ্য এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। তাই এই দুই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। 
    তবে, খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। ডেঙ্গির সময় যেমন ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকে, তেমনি ডেঙ্গির পরেও দুর্বলতা থাকার কারণে জলের প্রয়োজন হয়। তাই প্রতিদিন তিন থেকে চার লিটার জল খাওয়া দরকার।

    কোন কোন খাবার এড়িয়ে চলতে হবে (Dengue Fever)? 

    ডেঙ্গির পরে বেশ কিছু খাবার এড়িয়ে চলা দরকার বলেই মনে করছে চিকিৎসকদের একাংশ। তারা জানাচ্ছে, শরীর দুর্বল থাকে, তাই এই বিশেষ সতর্কতা জরুরি। আর সেগুলো না মেনে চললে লিভার, কিডনির নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, ডেঙ্গির (Dengue Fever) পরে একেবারেই তেলে ভাজা খাওয়া চলবে না। চপ, কাটলেট, ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো ডিপ অয়েল ফ্রাই খাবার এই সময়ে শরীরে মারাত্মক ক্ষতি করে। লিভারে খারাপ প্রভাব ফেলে। এছাড়াও ফাস্ট ফুড ও প্রসেসড ফুড অর্থাৎ, বিরিয়ানি, ফুচকা হোক কিংবা পিৎজা বার্গার একেবারেই খাওয়া যাবে না। এগুলো সহজপাচ্য নয়। তাই এগুলো খেলে বিপদ বাড়বে। এর পাশপাশি প্যাকেট জাত নরম ঠান্ডা পানীয় ডেঙ্গির পরে খাওয়া উচিত নয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এতে শরীরে দুর্বলতা আরও বাড়বে। তাছাড়া অন্য রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। তাই দ্রুত সুস্থ স্বাভাবিক জীবন কাটাতে এগুলো এড়িয়ে চলা জরুরি বলেই পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     
    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Luna-25 Crashed: চাঁদের দেশে ভেঙে পড়ল রুশ মহাকাশযান, ৪৭ বছর পরে অভিযান ব্যর্থ মস্কোর

    Luna-25 Crashed: চাঁদের দেশে ভেঙে পড়ল রুশ মহাকাশযান, ৪৭ বছর পরে অভিযান ব্যর্থ মস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঁদের মাটিতে আছাড় খেল রাশিয়ার মহাকাশযান (Luna-25 Crashed)। ব্যর্থ হল মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রশকসমসের সমস্ত প্রচেষ্টা। দিন কয়েক আগেই সফলভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছিল রাশিয়ার মহাকাশ যান ‘লুনা-২৫’ (Luna-25 Crashed) এর। রুশ মহাকাশ সংস্থার থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে , প্রায় ৪৭ বছর পরে ফের চন্দ্র অভিযানের সামিল হয়েছিল রাশিয়া। কিন্তু সফল হল না। যাবতীয় প্রচেষ্টা ব্যর্থ হল। শনিবার থেকেই খারাপ খবর মিলতে থাকে। সংশয় তৈরি হয় অভিযানকে নিয়ে। রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানায় যে জরুরী পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে তাদের। শুধু তাই নয় নির্ধারিত গতিবেগের থেকে অনেক বেশি গতিতে ছুটতে থাকে সেটি (Luna-25 Crashed)। এবং অবশেষে ভেঙে পড়ে চাঁদের মাটিতে।

    চাঁদের দেশে ভেঙে পড়ল রাশিয়ার মহাকাশযান (Luna-25 Crashed)

    ১৪ জুলাই ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩, সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়েছিল। প্রায় একমাস পরে রাশিয়ার মহাকাশ যান ‘লুনা-২৫’ (Luna-25 Crashed) ১০ অগাস্ট চাঁদের দেশে পাড়ি দেয়। এবং সোমবারেই চাঁদের মাটিতে নামার কথা ছিল রুশ মহাকাশযানের (Luna-25 Crashed)। জানা গিয়েছে, চাঁদে নামার ঠিক আগের ধাপেই গন্ডগোল শুরু হয় রাশিয়ার মহাকাশযানের। যার নাম পোশাকি নাম ছিল প্রি-ল্যান্ডিং অর্বিট। সেখানেই যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ে এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় মহাকাশযান (Luna-25 Crashed)।

    চাঁদের মাটি ছোঁয়ার সময় সামান্য পিছল ল্যান্ডার বিক্রমের

    অন্যদিকে চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময়সীমার সামান্য বদল হল ল্যান্ডার বিক্রমের। ২৩ অগাস্ট ৫টা ৪৭ মিনিটে ল্যান্ডিং হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে হল সন্ধ্যা ছ’টা বেজে চার মিনিটে। রবিবার দুপুরে ইসরোর তরফ থেকে এই সময় বদলের বিষয়টি নিয়ে ট্যুইট করা হয়। প্রসঙ্গত, চন্দ্র অভিযানের একেবারে শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে ভারত। চাঁদ থেকে চন্দ্রযানের দূরত্ব কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ২৫ কিলোমিটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: এলাকায় দাদাগিরি! শিলিগুড়িতে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের পাশে বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: এলাকায় দাদাগিরি! শিলিগুড়িতে আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের পাশে বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাথায় স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার হাত রয়েছে। আর সেই সাহসেই প্রকাশ্যে এক ব্যক্তির  দাদাগিরি চালাচ্ছে এলাকায়। আর তার দাদাগিরি অত্যাচারে অতিষ্ঠ শিলিগুড়ির (Siliguri) শক্তিগড় এলাকার ব্যবসায়ীরা। এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার, পুলিশ এবং শিলিগুড়ির মেয়র সবাইকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। চরম আতঙ্কে রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

    ঠিক কী অভিযোগ? 

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভায় তৃণমূলের বোর্ড ক্ষমতায় রয়েছে। এই পুরসভারই এক তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত গোবিন্দ দাস নামে এক ব্যক্তি। তার বিরুদ্ধে মূলত অভিযোগ, শক্তিগড় এলাকায় টাকা না দিয়ে দোকান থেকে জিনিসপত্র সে তুলে নিয়ে যায়। রাতে বাড়ি ফেরার সময় মহিলা ব্যবসায়ীর পিছু নিয়ে অশ্লীল গালাগালাজ এবং প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের এই নীরবতায় অভিযোগ উঠেছে ওই ব্যক্তির পিছনে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের প্রশ্রয় রয়েছে। গোবিন্দ দাস নামে ওই ব্যক্তি দিনের পর দিন এই কাণ্ড ঘটিয়ে চলায় ব্যবসায়ীরা এখন দোকান খুলতে ভয় পাচ্ছেন।

    কী বলছেন ব্যবসায়ীরা? (Siliguri) 

    সোমা সেনগুপ্ত নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, রাতে আতঙ্কে থাকি। ওই ব্যক্তি বহুদিন ধরেই এমন ঝামেলা করছে। গত বুধবার রাতে দোকান বন্ধ করে ফেরার সময় একই ঘটনা ঘটায়। বৃহস্পতিবার এনজেপি থানায় অভিযোগ দায়ের করি গোবিন্দ দাস নামে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শনিবার মেয়রকে জানালে তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু,  কোনও ব্যবস্থা হয়নি। উল্টে শনিবার রাতেই আমার বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে গিয়েছে সে। শিলিগুড়ির (Siliguri) শক্তিগড় পিডব্লুইডি মোড় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পার্থ ঘোষ বলেন, অনেকদিন ধরেই এই ঘটনা ঘটছে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় জানানোর পরও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

    আতঙ্কিত ব্যবসায়ীদের পাশে বিজেপি

    রবিবার ওই এলাকার ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ান বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়। এদিন দুপুরে তিনি ওই এলাকায় গিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। সোমা সেনগুপ্তের কাছ থেকে সম্পূর্ণ ঘটনা শুনে শিখা দেবী বলেন, গোটা রাজ্যে এই গুন্ডারাজ চলছে। শাসকদলের মদত রয়েছে বলেই পুলিশও ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। একজন মহিলা ব্যবসায়ী দোকান করে রাতে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। রাস্তায় পিছু করে অশ্লীল গালাগালি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু,তৃণমূলের মদতে এই গুন্ডাগিরি চালতে দেব না।

    তৃণমূলের মেয়র ও কাউন্সিলার কী বললেন?

    তৃণমূল কাউন্সিলার মৌসুমী মণ্ডল  বলেন, গোটা বিষয়টি শোনার পর আমি পুলিশে জানিয়েছি। পুলিশ কেন ব্যবস্থা নেয়নি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে। বিষয়টি নিয়ে আমরাও চিন্তিত। শনিবার টক টু মেয়র ফোন ইন লাইভ অনুষ্ঠানে মেয়র সোমাদেবীর অভিযোগ শুনে তাঁকে বলেছিলেন, এই ধরনের ঘটনা কখনই কাম্য নয়। পুলিশকে বলব যাতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • jalpaiguri: দলীয় নেতার দেহ নিয়ে শ্মশানে এসে চক্ষু চড়কগাছ বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের, কেন জানেন?

    jalpaiguri: দলীয় নেতার দেহ নিয়ে শ্মশানে এসে চক্ষু চড়কগাছ বিজেপি সাংসদ-বিধায়কদের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলীয় নেতার দেহ সৎকার করতে শ্মশানে এসে চক্ষু চড়কগাছ বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ি পুরসভার শ্মশানে। লাইন দেখে মনে হয়েছে যেন দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অথবা রেশন দোকানে লাইনে রয়েছেন। তারপর আবার ঘুটঘুটে অন্ধকার। কিন্তু কে বলবে এটা শ্মশান? আর এই শ্মশানেই প্রয়াত বিজেপি নেতা সুভাষ চন্দ্র দাসের মৃতদেহ দাহ করতে এসে চরম বিড়ম্বনায় পড়েন বিজেপি সাংসদ-বিধায়করা।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Jalpaiguri)

    বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন বিজেপি নেতা সুভাষচন্দ্র দাস। শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর। শেষ শ্ৰদ্ধা জানাতে রাতে শ্মশানে উপস্থিত হন জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলার বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়, ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বৰ্মণ সহ জেলার এবং স্থানীয় নেতৃত্ব। এরপরই হয়রানির অভিযোগ করেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, গ্রাম থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মৃতদেহ সৎকার করতে নিয়ে এসে চরম হয়রানির এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার স্বীকার হলেন মৃতের পরিবার এবং বিজেপি নেতারা। তাঁদের বক্তব্য, ঘুটঘুটে অন্ধকার শ্মশানের চারপাশ। নেই আলো। তারপর শ্মশানে আবার লম্বা লাইন। ভিতরে গিয়ে জানতে পারি, নষ্ট হয়ে গিয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লির তার। বন্ধ রয়েছে বৈদ্যুতিক চুল্লি। তাই, জ্বালানি কাঠ দিয়েই সৎকার করতে হবে দেহ। যা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন মৃতের পরিবার সহ বিজেপি নেতারা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

     জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায় বলেন, মৃতের পরিবারের সদস্যরা ভেবেছিল বিদ্যুতিক চুল্লিতে শেষকৃত্য করবে। কিন্তু এখানে এসে তাদের হয়রানির শিকার হতে হল। চুল্লি নাকি খারাপ, যার কারণে মৃতদেহ এনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে জ্বালানি কাঠ জোগাড়ের জন্য। তৃণমূল পুরবোর্ডের শ্মশানের পরিষেবা উন্নত করার কোনও ইচ্ছে নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, বিজেপি নেতারা জেনে শুনে গিয়েছেন? আসলে নির্বাচনের জন্য তাঁরা দেখানোর চেষ্টা করছেন তৃণমূল কাজ করে না। ওটা খারাপ হলে ঠিক করবেও তৃণমূল। মানুষের জন্য কাজও করবে তৃণমূল। তাই, এসব বলে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: তদন্ত চলাকালীন পদত্যাগ ডিনের, যাদবপুরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    Jadavpur University: তদন্ত চলাকালীন পদত্যাগ ডিনের, যাদবপুরকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিলেন ধর্মেন্দ্র প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যায়লকাণ্ডে (Jadavpur University) নয়া মোড়! প্রথম বর্ষের এক ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় চলছে তদন্ত। এমতাবস্থায় পদত্যাগ করলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন সুবিনয় চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন, তার চেয়ারম্যান ছিলেন সুবিনয়। তিনি ইস্তফা দেওয়ায় শুরু হয় জল্পনা।

    ডিনের পদত্যাগে জল্পনা 

    যদিও সুবিনয় জানান, ইস্তফার বিষয়টি অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। ব্যক্তিগত কিছু কারণে পদত্যাগ করেছেন তিনি। সুবিনয় পদত্যাগ করার পর শনিবার রাতে অস্থায়ী উপাচার্য হন গণিতের অধ্যাপক বুদ্ধদেব সাউ। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই ডিনের পদত্যাগে ঘনাচ্ছে জল্পনার মেঘ। জানা গিয়েছে, তদন্তের বহু রিপোর্ট-তথ্য রয়েছে ডিনের হাতে। নয়া উপাচার্যকে সেসব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা তাঁরই।

    জোরালো হচ্ছে ব়্যাগিং-তত্ত্ব!

    এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) তরফে গঠিত তদন্ত কমিটি জেনেছে, ৯ অগাস্টের রাতে ইন্ট্রো দেওয়ার নামে প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রকে বিবস্ত্র করা হয়। সেই অবস্থায়ই তাকে তিনতলার রেলিংয়ে হাঁটতে বাধ্য করেন সিনিয়র পড়ুয়ারা। ছাত্রটি তিনতলা থেকে পড়ে যাওয়ার পরই গেট বন্ধ করে চলে যায় জিবি। ওই রাতে মোট চারবার বৈঠক করে জিবি। পুলিশ যাতে হস্টেলে ঢুকতে না পারে, তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল গেট। তদন্ত যখন এমন পর্যায়ে তখন আচমকা কেন ডিন পদত্যাগ করলেন, তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।

    আরও পড়ুুন: ছত্তিশগড়ের সভায় কংগ্রেসকে নিশানা আপ সুপ্রিমোর, ভাঙনের পথে ‘ইন্ডিয়া’?

    এদিকে, যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি বলেন, “ইউজিসি অ্যাক্টের আওতায় অ্যান্টি-ব়্যাগিং সম্পর্কিত একাধিক ব্যবস্থাপনা করতে হয়। বসাতে হয় সিসিটিভি ক্যামেরা। যাদবপুরে সেই সব কিছু ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইউজিসির নিয়ম মানতে বাধ্য। হাইকোর্ট যে পরামর্শ দিয়েছে, তা লাগু করা এখানের সরকারের দায়িত্ব। স্লোগান দিয়ে দায়িত্ব থেকে সরে গেলে হবে না। যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, সেগুলির বাস্তবায়ন করতে হবে। কোনও মানুষের জীবন অত্যন্ত দামি। এই ঘটনায় তাঁর পরিবারের ওপর কী প্রভাব পড়বে! সমাজে কী প্রভাব পড়বে! কারও অধিকার নেই এভাবে তরুণদের জীবন নিয়ে খেলা করার।” প্রসঙ্গত, যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এ পর্যন্ত প্রাক্তন ও বর্তমান সব মিলিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে ১৩ জন পড়ুয়াকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share