Blog

  • NDA: ভাইপো অজিতের সঙ্গে গোপন বৈঠক পাওয়ারের, এনডিএ-তে শামিল হচ্ছে এনসিপি?

    NDA: ভাইপো অজিতের সঙ্গে গোপন বৈঠক পাওয়ারের, এনডিএ-তে শামিল হচ্ছে এনসিপি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাইপো অজিত পাওয়ারের সঙ্গে গোপন বৈঠক (NDA) শরদ পাওয়ারের। আর এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিরোধী শিবির। বেঙ্গালুরুতে ইন্ডিয়া জোটের শেষ বৈঠকে হাজির ছিলেন শরদ পাওয়ার। পরবর্তীকালে লোকমান্য তিলকের নামাঙ্কিত  একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দেখা গিয়েছিল মারাঠা ম্যানকে। যা নিয়ে প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছিল বিরোধী শিবির।

    শরদ পাওয়ার কি এনডিএ তে (NDA) শামিল হচ্ছেন?

    স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, শরদ পাওয়ারের দল কি তবে এনডিএ তে (NDA) শামিল হচ্ছে?  শনিবার রাতে তাঁর দলত্যাগী ভাইপো এবং বর্তমান মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণের বৈঠক হয় পাওয়ারের। পুনের কোরেগাঁও পার্কে শিল্পপতি অতুল চোরদিয়ার বাংলোতে এই বৈঠক সম্পন্ন হয়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা, ভাইপো অজিত বিজেপি শিবিরে চলে যাওয়ায় ভালোই ধাক্কা লেগেছে এনসিপিতে। আবার অন্যদিকে, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদির জোরালো প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। বিরোধী জোটের জেতার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। এমতো অবস্থায় দল বাঁচাতে ভাইপোর সঙ্গে বিজেপি জোটে (NDA) শামিল হতে পারেন পাওয়ার। 

    চলতি মাসেই মুম্বইতে বসছে বিরোধী জোটের বৈঠক

     চলতি মাসেই মুম্বইতে (NDA) বিরোধীরা ফের বৈঠকে বসতে চলেছে, যার অন্যতম উদ্যোক্তা শরদ পাওয়ারের এনসিপি। তার আগে বিজেপি শিবিরের অজিত পাওয়ারের সঙ্গে শরদ পাওয়ারের এই  বৈঠক বিরোধী জোটকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছে।  যদিও এই বৈঠকে নিছক কাকা ভাইপোর সাক্ষাৎকার হিসেবে এবং পারিবারিক বিষয় হিসেবেই বোঝাতে চাইছেন শরদ পাওয়ার। তাঁর মন্তব্য, ‘‘অজিত আমার ভাইপো হয়, নিজের ভাইপোর সঙ্গে দেখা করায় কাকার দোষ রয়েছে? যদি পরিবারের গুরুজন আর এক সদস্যের সঙ্গে দেখা করতে চান তা নিয়ে কোনও সমস্যা থাকা উচিত নয়।’’ আবার ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে পাওয়ার বলছেন, ‘‘আমার কিছু ‘শুভানুধ্যায়ী’ আমাকে বিজেপিকে সমর্থনের কথা বলছেন। কিন্তু আমি স্পষ্ট বলছি, ‘আমার দল এনসিপি বিজেপির সঙ্গে যাবে না। কারণ এনসিপির রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে বিজেপির মতাদর্শ মেলে না।’’ অর্থাৎ প্রথমে পাওয়ার বলছেন কাকা-ভাইপোর কথা, আবার পরক্ষণেই বলছেন, রাজনৈতিক আলোচনাও হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাহুল গান্ধীকে জোর ধাক্কা মোদির, বলছে রিপোর্ট

    PM Modi: সোশ্যাল মিডিয়াতেও রাহুল গান্ধীকে জোর ধাক্কা মোদির, বলছে রিপোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়াতেও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুধুমাত্র ফলোয়ারের সংখ্যার ভিত্তিতেই নয়, উপরন্তু নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন পোস্টের এনগেজমেন্টও অনেকটাই বেশি রাহুল গান্ধীর পোস্টগুলির তুলনায়। বর্তমান এক্স, পূর্বতন ট্যুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম এই সমস্ত কিছুতেই এগিয়ে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    ট্যুইটারে এগিয়ে মোদি (PM Modi)

    বর্তমানে ট্য়ুইটারে মোদির ফলোয়ার রয়েছেন  প্রায় ১০ কোটি, অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর ট্যুইটারে ফলোয়ার সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লাখ। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মোদির ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট প্রায় ৮০ লাখ এনগেজমেন্ট পেয়েছে বিগত এক মাসে। যেখানে রাহুল গান্ধীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের এনগেজমেন্টের সংখ্যা ২৩.৪৩ লাখ ওই একই সময়ের মধ্যে। আরও দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট বিগত তিন মাসে এনগেজমেন্ট পেয়েছে ৫৮ লাখ ২৩ হাজার।

    ফেসবুকেও মোদির (PM Modi) জয় জয়কার 

    অন্যদিকে, ফেসবুকে নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ফলোয়ার সংখ্যা রয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৮০ লাখ। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর এই ফলোয়ার সংখ্যা ৬৭ লাখ। সূত্রের খবর, ফেসবুকে নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন পোস্টগুলির এনগেজমেন্ট হয়েছে ৫৭.৮৯ লাখ বিগত এক মাসে। ওই একই সময়ের মধ্যে রাহুল গান্ধীর পোস্টগুলির এনগেজমেন্ট হয়েছে ২৮.৩৮ লাখ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চলতি বছরে এনগেজমেন্ট পেয়েছে ৩.২৫ কোটি অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর এনগেজমেন্ট ১.৪৮ কোটি।

    ইউটিউবে মোদির (PM Modi) অনেক পিছনে রাহুল গান্ধী

    নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) ইউটিউবের সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা বর্তমানে ৬৫ লাখ। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর ইউটিউব সাবস্ক্রাইবার ২৭ লাখের কিছু বেশি। বিগত এক মাসে নরেন্দ্র মোদির বিভিন্ন ভিডিও ২৫ কোটি ভিউ হয়েছে, অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ৪ কোটি ৮২ লাখ। ইনস্টাগ্রামেও নরেন্দ্র মোদির বর্তমান ফলোয়ার সংখ্যা ৭ কোটি ৭০ লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর ক্ষেত্রে এই সংখ্যা মাত্র ৪০ লাখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Weather: ফের সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত, বুধবার থেকেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে

    West Bengal Weather: ফের সক্রিয় ঘূর্ণাবর্ত, বুধবার থেকেই ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার ও উত্তর প্রদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে শনি ও রবিবার ভারী বৃষ্টিপাত (West Bengal Weather) হয় উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। হাওয়া অফিসের মতে, ফের নতুন করে তৈরি হচ্ছে একটি ঘূর্ণাবর্ত, আর এর জেরে বুধবার থেকেই ফের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে। জানা গিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখার বর্তমান অবস্থান হল উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর, বিহারের ভাগলপুর হয়ে মালদা এবং সেখান থেকে মণিপুর পর্যন্ত। অন্যদিকে সিকিম থেকে একটি অক্ষরেখা উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের উপর দিয়ে সরাসরি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর (West Bengal Weather) পর্যন্ত গিয়েছে।

    উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া  (West Bengal Weather)

    হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হবে। এছাড়া বাকি জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ। অন্যদিকে ঘূর্ণাবর্তের জেরে বুধ-বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলাতেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। তবে ১৫ অগাস্ট থেকে উত্তরবঙ্গে কমতে পারে বৃষ্টির পরিমাণ। দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে চলবে ভারী বৃষ্টিপাত (West Bengal Weather)। অন্যদিকে মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর রয়েছে হালকা বৃষ্টি সম্ভাবনা

    উত্তরবঙ্গে হড়পা বানের সতর্কতা

    দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতে থাকলেও উত্তরবঙ্গে এ বছরের বর্ষাকালে বেশ ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর জেরে লাল সতর্কতা জারি করা হল তিস্তা, জলঢাকার মতো একাধিক উত্তরবঙ্গের নদীতে (West Bengal Weather)। প্রায় প্রতিটি নদীরই জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জানা গিয়েছে, রবিবার দুপুরে তিস্তা ব্যারেজ থেকে ৩৫০৬ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ভুটানেও লাগাতার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার জেরে জলঢাকা নদীতে লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছে এবং কিছু জায়গায় হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এরই পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পং জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এই পাঁচ জেলা হড়পাবানের (West Bengal Weather) সতর্কতা জারি করা হয়েছে। রবিবারই সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে চেল নদীতে নেমেছিল একটি ট্রাক্টর এবং নদীর জলস্রোত ওই ট্রাক্টরকে ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীকালে ক্রেনের সাহায্যে তা তোলা হয়। জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার মহকুমা প্রায় ১০০ বাড়ি জলবন্দী হয়ে পড়ার খবর মিলেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নিকাশি ব্যবস্থার ঠিক না থাকার কারণে এই জল জমার ঘটনা ঘটেছে। এর প্রতিবাদে জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে দেখা গেছে সেখানকার বাসিন্দাদের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১৪/০৮/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ১৪/০৮/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১)  তাড়াহুড়োয় কারও কথা কানে নেবেন না, পড়ে কষ্ট পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে লেনদেনে স্পষ্টতা বজায় রাখবেন।

    ২) টাকাপয়সার কারণে কারও সঙ্গে তর্ক হতে পারে।   
         
    বৃষ

    ১) অর্থ আগমনের ফলে প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ব্যয় করতে পারবেন।

    ২) ভবিষ্যত প্রয়োজনের কারণে কারও কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা করবেন 

    মিথুন

    ১)  কারও প্রতি আপনার মনে রাগ থাকবে।

    ২)  কাঁধ বা পিঠের ব্যথায় কষ্ট পাবেন।
      
    কর্কট

    ১) জরুরি কাজও বিলম্বে সম্পন্ন হবে।

    ২) পেট জ্বালা ও ব্যথা হতে পারে।

                 
    সিংহ 

    ১) চাকরিতে অধিক মনোনিবেশ করুন, তা না-হলে কোনও না-কোনও ভাবে লোকসান হতে পারে।

    ২) ঋণের কারণে কারও সঙ্গে তর্ক হতে পারে।     

    কন্যা

    ১) চাকরিজীবীরা অপর ব্যক্তির লাভ তোলার চেষ্টা করবেন।

    ২) মধ্যাহ্ন পর্যন্ত স্বাস্থ্য ঠিক থাকবে, কিন্তু তার পর অসুস্থতা।       

    তুলা 

    ১)  আর্থিক সমস্যা উৎপন্ন হতে পারে। 
     
    ২) বাড়িতে কারও স্বাস্থ্যের পিছনে ব্যয় করতে হবে।
     
    বৃশ্চিক

    ১)  নিজের কাজ ছেড়ে অন্যের সমস্যা সমাধানে সময় নষ্ট করবেন না।

    ২) অতিরিক্ত আয়ের জন্য মুখিয়ে থাকলে লোকসান হতে পারে।  
             

    ধনু

    ১) প্রয়োজন ছাড়া কোনও বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তির সঙ্গে কথাবার্তা বলবেন না। 

    ২) কর্মক্ষেত্রে ধন লাভ।

    মকর

    ১) চাকরিজীবীরা তাড়াতাড়ি কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন।
     
    ২) কোনও কারণে দূরের আত্মীয়দের সঙ্গে বিবাদ সম্ভব।      

    কুম্ভ

    ১) আলস্য ত্যাগ করুন। তা না-হলে আগের মতো লাভ অর্জন করতে পারবেন না।

    ২) পারিবারিক পরিবেশ অশান্ত থাকবে। 

    মীন

    ১)  স্বাস্থ্য দুর্বল থাকবে।

    ২) বাইরে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা তৈরি করবেন।
         

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Habra: যাদবপুরের পর হাবড়া! রাতে পাঁচিল টপকে হস্টেল ছেড়ে পালাল নবম শ্রেণির পড়ুয়া, কেন জানেন?

    Habra: যাদবপুরের পর হাবড়া! রাতে পাঁচিল টপকে হস্টেল ছেড়ে পালাল নবম শ্রেণির পড়ুয়া, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরকাণ্ডের পর এবার হাবড়ার (Habra) বাণীপুর। স্থানীয় একটি স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠল উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। প্রাণের ভয়ে গভীর রাতে হস্টেলের উঁচু পাঁচিল টপকে রাতের অন্ধকারে প্রায় ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে পালায় ওই পড়ুয়া। কিন্তু, মাঝপথে ওই পড়ুয়াকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পথ আটকায় বাজারের নৈশপ্রহরীরা। পরে, হাবড়া থানার পুলিশের উপস্থিতিতে রাতেই ছেলেটির বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে নিন্দার ঝড় রাজ্য জুড়ে। এরই মধ্যে হাবড়া (Habra) পুরসভার ওই স্কুলে উঠল র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ওই স্কুলের নবম শ্রেণির এক পড়ুয়া র‍্যাগিং এর শিকার হন উঁচু ক্লাসের পড়ুয়াদের কাছে। প্রথমে ওই নবম শ্রেণির পড়ুয়াকে মারধর করা হয়। পরবর্তীতে জ্যামিতি বক্সের কম্পাস দিয়ে ওই পড়ুয়ার হাত কেটে দেওয়া হয়। এক প্রকার প্রাণ বাঁচতে বাদুড়িয়া থানার মাদ্রা এলাকার ওই পড়ুয়া গভীর রাতে হস্টেল থেকে পালিয়ে যায়। রাতের অন্ধকারে ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাওয়ার পরে হাবরা থানার কুমড়া বাজার এলাকায় বাজারের পাহারায় থাকা পাঁচ নৈশপ্রহরী যুবক স্কুল পড়ুয়ার পথ আটকায়। তখনই গোটা ঘটনা সে খুলে বলে। পরে, নৈশপ্রহরীদের পক্ষ থেকে হাবড়়া থানায় খবর দেওয়া হয়। একইসঙ্গে খবর দেওয়া হয় পড়ুয়ার বাড়িতে। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। এরপরে ওই পড়ুয়াকে তার বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়। নবম শ্রেণির পড়ুয়ার বক্তব্য, সামান্য বিষয় নিয়ে সিনিয়রা আমাদের উপর অত্যাচার করে। জল না নিয়ে আসার কারণে আমাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। কম্পাস দিয়ে আমার হাত কেটে দেওয়া হয়।

    কী বললেন নৈশ প্রহরীরা?

    হাবড়া (Habra) বাজারের দায়িত্বে থাকা নৈশ প্রহরীরা বলেন, আমরা না দেখলে হয়তো ওই স্কুল পড়ুয়ার বড় বিপদ হত। একদিকে যাদবপুরে এরকম ঘটনা ঘটেছে, সেখানে দাঁড়িয়ে কি করে একটি ছেলে র‍্যাগিংয়ের শিকার হয়ে হস্টেল থেকে বেরিয়ে এত বড় পাঁচিল টপকে দশ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এলো? এত রাতে পালিয়ে আসতে গিয়ে পথেও তো ছেলেটির বড় কোনও বিপদ হতে পারত? স্কুল এবং হস্টেল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েও  প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JU Student death: আসছে ইউজিসি, চলে যেতে পারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশিষ্ট’ তকমা

    JU Student death: আসছে ইউজিসি, চলে যেতে পারে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিশিষ্ট’ তকমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছাত্রমৃত্যুর কারণে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) এখন ঘরে-বাইরে আলোচনার শিরোনামে। পরের সপ্তাহে আসতে চলেছেন ইউজিসির প্রতিনিধিরা। যাদবপুর আইওইউ বা Institutions of Eminence (IoE) এর তকমা কি হারাবে? এই প্রশ্নই উঠছে যাদবপুরের ক্যাম্পাসে। 

    ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স বা বিশিষ্টতার তকমা কী (JU Student death)?

    ২০১৮ সাল থেকে ইউজিসি বিশেষ প্রকল্পের সুচনা করেছিল। তাতে বলা হয়, দেশের মোট ১০ টি সরকারি এবং ১০ টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশিষ্টর তকমা দিয়ে বড় অনুদান দেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো, গবেষণা এবং উন্নত ক্লাসের সুবিধার জন্য এই অনুদান মিলবে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক থেকে। সেই সঙ্গে থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্পূর্ণ পাঠ্যক্রমে স্বায়ত্ত শাসনের অধিকার। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯ সালের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ এই ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স-এর জন্য বিশেষ প্রচার অভিযান চালায়। উল্লেখ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) এবং রাজ্যকে বিশিষ্টতার জন্য সহযোগিতা এবং বিশেষ অনুদান পাওয়ার জন্য প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার বা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় এই তকমা নিয়ে খুব একটা সক্রিয়তা দেখায়নি বলে অভিযোগ ওঠে।

    কেন এই তকমা বাতিল হতে পারে?

    যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (JU Student death) সম্পর্কে ইউজিসির এক আধিকারিক বলেন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাদবপুর ৩ হাজার ২৯৯ কোটি টাকার বাজেট জমা দিয়েছে ইউজিসির কাছে। কিন্তু পরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে রাজ্য সরকারের কাছে অনুদানের ১০০০ কোটি টাকা বহন করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের শিক্ষা দফতর সক্রিয়তা দেখায়নি। প্রস্তাবকে সংশোধন করে রাজ্য শিক্ষা দফতর পাঠালেও, সেখানে বাজেটের পরিমাণ কম করা হয় বলে ইউজিসিকে জানানো হয়। এর ফলে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক যাদবপুরের ইনস্টিটিউশনস অব এমিনেন্স তকমা বাতিল করার সুপারিশ করে। একই ভাবে জামিয়া হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্টতার তকমা হারাবে বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য সরকার যদি অনুদানের একটা অংশ বহন না করে, তাহলে এই বিশেষ তকমার অনুদান না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

    স্বপ্নদীপের মৃত্যুতে যাদবপুর এখন সরগরম। মৃত্যুর কারণ হিসাবে র‍্যাগিং এবং কর্তৃপক্ষের দায়বদ্ধতা নিয়েও উঠছে প্রশ্না। ইউজিসি আসার পর এখন তদন্তের গতি কোন পথে এগোয় তাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Independence Day 2023: প্রধানমন্ত্রীর জন্য আপেলের চাটনি পাঠিয়ে স্বাধীনতা দিবসের নিমন্ত্রণপত্র!

    Independence Day 2023: প্রধানমন্ত্রীর জন্য আপেলের চাটনি পাঠিয়ে স্বাধীনতা দিবসের নিমন্ত্রণপত্র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির জন্য আপেলের চাটনি তৈরি করে পাঠিয়ে সুখ্যাতি অর্জন করলেন উত্তরাখণ্ডের এক সাধারণ গৃহবধূ সুনীতা রৌতেলা। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং তাঁর তৈরি করা চাটনির প্রশংসা করে পাঠালেন বিশেষ নিমন্ত্রণপত্র (Independence Day 2023)।

    কীসের নিমন্ত্রণ পেলেন?

    একেবারে ভারত সরকারের স্ট্যাম্প দেওয়া বিশেষ আমন্ত্রণপত্র (Independence Day 2023) এসে পৌঁছাল উত্তরাখণ্ডের অতি সাধারণ গৃহিণীর কাছে। রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি পেয়ে সুনীতা দেবী ভীষণ উৎফুল্ল। এই চিঠি হল, সুনীতাদেবীকে ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের বিশেষ নিমন্ত্রণপত্র। পরিবারের বক্তব্য, আমরা এই আমন্ত্রণপত্র পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত।

    কেন আমন্ত্রণপত্র?

    এই আমন্ত্রণ (Independence Day 2023) পত্রের মধ্যে বিশেষ একটা দিক রয়েছে। তা হল সুনীতা দেবী আজ থেকে চার মাস আগে এপ্রিল মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জন্য আপেলের চাটনি তৈরি করে পাঠিয়েছিলেন। এই চাটনির ‘রিটার্ন গিফট’ হিসাবে প্রধানমন্ত্রী ১৫ অগাস্ট লালকেল্লায় আমন্ত্রণ জানালেন তাঁকে। এই আমন্ত্রণ সত্যিই অপ্রত্যাশিত ছিল সুনীতা দেবীর কাছে। তিনি বলেন, হয়তো চাটনিটা ভালো হয়েছিল, আর সেই সঙ্গে আমার পরিশ্রম কাজে দিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দফতরের নজরে পড়ে গেলাম। প্রধানমন্ত্রীর এই আমন্ত্রণে আমি অত্যন্ত খুশি।

    অতি সাধারণ পরিবারের গৃহবধূ

    অতি সাধারণ ঘরের গৃহিণী সুনীতা রৌতেলা। মূলত আপেল চাষ করে জীবন চালান। আপেল থেকে প্রস্তুত করেন চাটনি, জ্যাম যা বাজারে বিক্রি করে সংসার চালান। মূলত তাঁদের বাড়ি হল উত্তরাখণ্ডের ঝালা এলাকায়। সুনীতা এবং তাঁর স্বামী মিলে একটি খাদ্য উৎপাদনের স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করেন। এই গোষ্ঠীর মধ্যে তাঁদের গ্রামের মোট ১৬২ জন যুক্ত হয়েছেন। তাঁর স্বামী ভরত রৌতেলা বলেন, আমাদের অনেক উৎপাদিত ফল বাগানে নষ্ট হয়ে যায়। কখনও কীটনাশকের অভাব, কম দামে বিক্রি, দ্রুত সরবরাহের যানের অভাব ইত্যাদি কারণে। কিন্তু যখন জানলাম যে সরকারের খাদ্য উৎপাদনের বিশেষ প্রকল্প রয়েছে, তখন থেকে আমরা আমাদের উৎপাদিত ফলকে ব্যবহার করে স্বনির্ভর হতে শুরু করলাম। উল্লেখ্য প্রধানমন্ত্রী ১৫ অগাস্টে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শিক্ষাকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, কৃষক সহ মোট ১৮০০ জন বিশিষ্টকে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ (Independence Day 2023) করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মীর চোখ নষ্ট, বাড়ি ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে মেরে চোখ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার কুমারগ্রাম বিধানসভার ভাটিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের থানুপাড়া এলাকায়। জখম ওই বিজেপি কর্মীর নাম হরিশ চন্দ্র  দাস। আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে স্থানান্তরিত করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ ?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar)   থানুপাড়া এলাকা জুড়ে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। শনিবার রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ তৃণমূল কর্মীরা সেই পতাকা খুলে দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানতে পেরে থানুপাড়ার বাসিন্দা সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ চন্দ্র  দাস পতাকা খোলাতে বাধা দেন। পতাকা খোলাতে বাধা দিলেই তাঁর ওপর তৃণমূল কর্মীরা চড়াও হয়। সেসময় এলাকার আরও দুজন বিজেপি কর্মী বাড়ি থেকে বেড়িয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তৃণমূলীরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আর তৃণমূলের হামলায় বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের বাঁ চোখে গুরুতর চোট লাগে। এরপরই হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। বিজেপি কর্মীরা তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে, রবিবার সকালে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে ওই বিজেপি কর্মীকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।  

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কুমারগ্রাম বিধানসভার বিধায়ক মনোজ ওরাও বলেন,  অত্যন্ত গরিব সাধারণ বিজেপি কর্মী হরিশ দাসের একটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূলীরা। আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব। ওই এলাকায় আমাদের বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে তৃণমূল। বিজেপির অভিযোগ, স্থানীয় বিজেপি কর্মী কার্তিক চন্দ্র রায়ের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তাঁর বাড়িতে ইট,পাথর দিয়ে ঢিল ছোঁড়া হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি প্রবীর দত্ত বলেন,এটা একটা পারিবারিক বিবাদ। এই পারিবারিক বিবাদের ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছে বিজেপি। এই ঘটনায় বিজেপির নোংরা রাজনীতি প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur: ‘‘রাহুল গান্ধী চান মণিপুরে ভারতীয়দের ওপর গুলি চালাক সেনা’’ তোপ বিজেপি নেতা রবি শঙ্করের

    Manipur: ‘‘রাহুল গান্ধী চান মণিপুরে ভারতীয়দের ওপর গুলি চালাক সেনা’’ তোপ বিজেপি নেতা রবি শঙ্করের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুর (Manipur) হিংসা ইস্যুতে রাহুল গান্ধীকে একহাত নিলেন বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ। সম্প্রতি রাহুল গান্ধী কেরলে দাঁড়িয়ে মণিপুর ইস্যু নিয়ে বলেন যে মণিপুরে সেনাদের সঠিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে না। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে রাহুলকে পাল্টা দিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী কি তার ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীর কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ১৯৬৬ সালে আইজলে বায়ু সেনাকে বোমা ফেলার নির্দেশ দিয়ে কী লাভ হয়েছিল? রাহুল গান্ধীকে তুলোধোনা করে রবি শঙ্কর প্রসাদ আরও বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধী কি আশা করেন যে উত্তপ্ত মণিপুরের (Manipur) সেনাবাহিনী ভারতীয়দের উপর গুলি চালাবে? শান্তি সম্প্রীতি ফেরাবে?  

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্যের পাল্টা দিল বিজেপি

    প্রসঙ্গত, সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবের সময় রাহুল গান্ধী মন্তব্য করেন যে মণিপুরে (Manipur) ভারত মাতাকে খুন করা হয়েছে। এই নিয়ে তখন লোকসভার ভিতরে প্রধানমন্ত্রী মোদিও সরব হন। এবং বলেন, ‘‘এক নেতা যে ভাষায় কথা বলছেন তাতে ভারতবর্ষের গরিমা নষ্ট হচ্ছে।’’  রবি শঙ্কর প্রসাদ এদিন বলেন, ‘‘সংসদে রাহুল গান্ধী বলেছেন যে মণিপুরে ভারত মাতা খুন হয়েছে, ও না বোঝে দেশ, না বোঝে রাজনীতি! এমনকি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগও তুলেছেন বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ।

    মণিপুর (Manipur) ইস্যু 

    এদিন কংগ্রেসের নেতৃত্বে একের পর এক গণহত্যার উদাহরণও টেনে আনেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। এবং তিনি বলেন, ‘‘ ১৯৮৪ সালে সাম্প্রদায়িক অশান্তির মধ্যে দিয়ে কীভাবে দিল্লিতে শিখ দাঙ্গা করা হয়েছিল। এটাই হল কংগ্রেস, যা সবসময় ভাগ করে ভারতকে। বিরোধীরা দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছেন বলেও অভিযোগ করেন রবি শঙ্কর প্রসাদ। এবং এ প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন লোকসভায় সাসপেন্ড হওয়া কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীর কথা। রবি শঙ্কর প্রসাদ এদিন আরও বলেন, ‘‘মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বক্তব্য রেখেছেন লোকসভায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও ১ ঘণ্টার উপরে বক্তব্য রেখেছেন। মণিপুর (Manipur) ইস্যুতে বিরোধীরা প্রথমে অভিযোগ জানিয়েছিল যে মোদির কিছু বলা উচিত! যখন নরেন্দ্র মোদি বলতে লাগলেন, তখন বিরোধী নেতারা তাঁর বক্তব্যের মাঝে বাধা দিতে থাকলো।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dankuni: ডানকুনিকে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, কী কী করা হবে জানেন?

    Dankuni: ডানকুনিকে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করা হচ্ছে, কী কী করা হবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বমানের যাত্রী টার্মিনাল তৈরির পাশাপাশি এবার দেশজুড়ে বেশ কিছু বিশ্বমানের গুডস টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে রেল মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই যার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এরাজ্যের ডানকুনি গুডস শেডকে আধুনিকীকরণ করে বিশ্বমানের টার্মিনালে রূপান্তরিত করার কাজ শুরু হয়েছে। আর তা খতিয়ে দেখতে ডানকুনি গুডস শেড পরিদর্শনে যান হাওড়া ডিভিশনের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সঞ্জীব কুমার ও রেলের অন্যান্য অফিসাররা। তারা গুডস শেড পরিদর্শন করে তার নকশা খতিয়ে দেখেন। তিনি বলেন, টার্মিনাল তৈরির জন্য কিছু প্রস্তাব রাখা হয়েছে। খুব শীঘ্রই সে কাজ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    বিশ্বমানের টার্মিনালে তৈরির জন্যে কী কী কাজ করা হবে?

    ডিআরএম রেলের অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে  অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ কিভাবে এগোবে সে ব্যাপারে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন যাতে এটিকে বিশ্বমানের পণ্য শেড করা যায়। পুর্ব রেল সূত্রে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সেই সব প্রস্তাব সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। বিশ্বমানের গুডস শেড তৈরির জন্যে ডি আর এম যে সব প্রস্তাব দিয়েছেন তার মধ্যে উল্লেখ্যোগ্য হল লোডিং বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত লাইন তৈরি করা। পাশাপাশি গাড়ি পার্কিংয়ের জন্যে আলাদা  স্থান তৈরি করা। পৃথক পৃথক প্রবেশ পথ এবং বের হওয়া পথের সুবিধা। পণ্য চালান ব্যবহারকারীদের জন্য কভারড পার্কিং। টু-হুইলারের জন্যে বিশেষ স্থান। যথাযথ ট্রাক পার্কিং সুবিধা। লেবারদের বসার জন্যে শেডে বসার আলাদা বেঞ্চ। যান্ত্রিকভাবে আনলোড করার সুবিধা।

    কী বললেন বাসিন্দারা?

    ডানকুনি গুডস শেড কলকাতা থেকে সড়কপথে প্রায় ২০ কিমি দূরে। কলকাতার এত কাছে হওয়ার জন্যে কলকাতা শহরে জিনিস আমদানি রপ্তানির জন্যে এটিকে একটি বিশ্বমানের গুডস টার্মিনাল বা হাব হিসাবে গড়ে উঠলে একদিকে যেমন শহরের যানজট কমবে, তেমনি ভিন রাজ্যের জিনিসপত্র দ্রুত পৌঁছে যাবে শহর কলকাতায়। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, খুব দ্রুত এই বিশ্বমানের এই শেড তৈরির কাজ এগোবে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেই কাজ শেষ করা হবে। শহরের বাসিন্দারা জানান, কলকাতার কাছেই ডানকুনি থেকে মাত্র কুড়ি কিলোমিটার দূরে খিদিরপুর ডক। ডকে জাহাজে আসা মাল দ্রুত জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছে যাবে ডানকুনি গুড শেডে। তারপর তা যেমন ভিন রাজ্যে রেলপথে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। একইভাবে ডানকুনিতে আসা মালপত্র খিদিরপুর বন্দর দিয়েও রপ্তানিতে সুবিধা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share