Blog

  • Rampurhat: স্ত্রীকে হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন, দেহ বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টা!

    Rampurhat: স্ত্রীকে হেলমেট দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন, দেহ বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অন্যান্য রাজ্যে এই ধরনের ঘটনার কথা মাঝে মধ্যেই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে। এবার রীতিমতো রোমহর্ষক ঘটনা ঘটল খোদ বাংলায়। স্ত্রীকে খুন করে বস্তায় ভরে পাচারের চেষ্টার মতো মর্মান্তিক এবং ভয়ঙ্কর ঘটনা সামনে এল। তবে তার আগেই হাজির হয়ে গিয়েছিল পুলিশ। বীরভূমের মল্লারপুর থানার সোঁজ গ্রামের ঘটনা। মল্লারপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তের বাড়ি লাগোয়া পুকুরপাড় থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় স্ত্রীর দেহ উদ্ধার করে। এখনও ফেরার অভিযুক্ত স্বামী। মহিলার শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহটি উদ্ধার করে রামপুরহাট (Rampurhat) মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

    কীভাবে ঘটনার কথা জানাজানি হল?

    পাঁচ বছর আগে মেদিনীপুরে কাজে গিয়ে স্থানীয় তরুণী প্রিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সোঁজ গ্রামের সুফল মণ্ডল। বিয়েও হয়। গ্রামবাসীদের দাবি, তাদের মধ্যে প্রায়শই অশান্তি লেগে থাকত। বুধবার সন্ধেয় অশান্তি চরমে পৌঁছয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে মাথায় আঘাত করে সুফল। মৃত্যুর পর দেহ চালের বস্তায় ঢুকিয়ে পুকুরপাড়ে পাচারের জন্য রেখে দেয়। প্রমাণ লোপাটে রাতে সেই বস্তাটি অন্যত্র পাচারের উদ্দেশ্য ছিল। কিন্তু খুনের পরে তার ছোট মেয়ের চিৎকার শুনে গ্রামবাসীরা ছুটে আসে। প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসী (Rampurhat) অর্ঘ্য ভুঁইমালি বলেন, “আমরা যখন আসি তখন সুফল ঘরের বাইরে হন্তদন্ত হয়ে ছোটাছুটি করছিল। বলল, আমাকে বউ লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। তাই আমিও তাকে মেরেছি। তারপর গলায় দড়ি দিয়ে স্ত্রী আত্মঘাতী হয়েছে।” কথা পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই অন্ধকারে সে ছুটে পালিয়ে যায়। দাদা দোলগোবিন্দ মণ্ডলকে সুফলই তার স্ত্রীর মৃত্যুর খবর দিয়ে পালিয়ে যায়।

    পুলিশ (Rampurhat) প্রাথমিক তদন্তে কী জানতে পারল?

    খবর পেয়ে রামপুরহাট (Rampurhat) মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ধীমান মিত্রের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বস্তা খুলে টিনের চালের বারান্দার সামনে দেহটি উদ্ধার করে। সেখানে চাপ চাপ রক্ত পড়েছিল। একটি হেলমেট পড়েছিল। প্রিয়ার মাথায় আঘাতের চিহ্নও রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হেলমেট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে তাকে খুন করেছে সুফল। কিন্তু তাকে খুনের পরে দেহটি একার পক্ষে বস্তাবন্দি করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই কে তাকে সাহায্য করল, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। আপাতত সুফলের মা শোভারানি মণ্ডল গড়াইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুফলের খোঁজে তল্লাশি চলছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Lung Cancer: বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতা সপ্তাহে কী নতুন পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা? 

    Lung Cancer: বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার সচেতনতা সপ্তাহে কী নতুন পরামর্শ দিলেন চিকিৎসকরা? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ফুসফুসের বাড়তি যত্ন জরুরি। শ্বাস নেওয়ার সময়েও নজর রাখতে হবে, কতখানি শুদ্ধ বাতাস ফুসফুস পেল! আর তা না হলে হয়তো ক্যান্সার বিজয়ীর তকমা পেতে হবে! কিন্তু বিজয়ী কি সকলে হতে পারবেন? বিশ্ব ফুসফুস ক্যান্সার (Lung Cancer) সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে এই প্রশ্ন সকলের সামনে রাখল বিশেষজ্ঞ মহল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ মতোই অগাস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে এই রোগ নিয়ে সচেতনতা কর্মসূচি করা হয়। চিকিৎসক মহল জানাচ্ছ, সচেতনতার ঘাটতি এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মূল চ্যালেঞ্জ!

    ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের (Lung Cancer) প্রকোপ কতখানি? 

    ভারতে বাড়ছে ফুসফুসে ক্যান্সার (Lung Cancer) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি বছর ৭০ হাজারের বেশি মানুষ ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। ভারতে প্রথম যে চারটি ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে, তার মধ্যে একটি ফুসফুসের ক্যান্সার। তিরিশ থেকে ষাট বছরের মধ্যে এই ক্যান্সারের প্রকোপ বেশি। পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সার বেশি দেখা যাচ্ছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে মোট মৃত্যুর ৯ শতাংশের কারণ ফুসফুসের ক্যান্সার।

    কোন উপসর্গ জানান দেয় এই রোগের (Lung Cancer)? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে আক্রান্তের রোগ (Lung Cancer) নির্ণয়ে অনেক দেরি হয়ে যায়। উপসর্গ জানান দিলেও, শরীরকে অবহেলা এবং সচেতনতার অভাব এই রোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। অনেক ক্ষেত্রে রোগী সময়মতো চিকিৎসা করানোর সুযোগ পেলে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। কিন্তু ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা এতটাই দেরিতে শুরু হয় যে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা ৫ থেকে ৭ শতাংশ থাকে। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বারবার জ্বর হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা করা উচিত নয়। খুসখুসে কাশি ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ। অনেকেই কাশি অবহেলা করেন। এমনকী কাশি হলে শুধু আবহাওয়ার পরিবর্তন বলে অবহেলা করেন। ফলে, পরবর্তীতে বিপদ বাড়ে। তাছাড়া অনেক সময়ই কাশি থেকে রক্তপাত হয়, যা ফুসফুসের ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ বলে জানাচ্ছে চিকিৎসকদের একাংশ।

    ফুসফুসের ক্যান্সারের (Lung Cancer) ঝুঁকি বাড়ানোর নেপথ্যে কে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে তামাক! সিগারেট কিংবা বিড়ির মতো তামাকজাত দ্রব্যের অভ্যাস বিপজ্জনক। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধূমপানের জেরে একাধিক ঝুঁকি বাড়ে। যেমন, মুখ ও গলার ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে তোলে ধূমপান। তবে, এই সব ক্ষেত্রে যিনি ধূমপান করছেন, তাঁর ঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও গুরুতর। শুধু যিনি ধূমপান করছেন, তাঁর ফুসফুসের ক্যান্সারের (Lung Cancer) ঝুঁকি বাড়ছে না, ধূমপান যাঁদের সামনে করা হচ্ছে, তাঁদের ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কারণ, ধূমপান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ উভয়কেই সমান প্রভাব ফেলছে। এমনকী গর্ভবতী মহিলার সামনে ধূমপান করলে, গর্ভস্থ শিশুর ফুসফুসের রোগের ঝুঁকিও ৬০ শতাংশ বেড়ে যায় বলে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন। ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভারতে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তদের একটা বড় অংশ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। অর্থাৎ তাঁরা নিজেরা তামাকজাত দ্রব্য সরাসরি সেবন করেন না। কিন্তু তাঁদের পরিবারের কেউ ধূমপান করেন। আর সেই ধোঁয়ার জেরে ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়েছে। 
    তবে, তামাক ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর নেপথ্যে প্রধান কাণ্ডারি হলেও বায়ুদূষণকেও বাদ দিতে চাইছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে হারে দূষণ বাড়ছে, তা মানুষের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি তৈরি করছে। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইডের মতো উপাদান বাড়লে শুদ্ধ বাতাসের ঘাটতি হয়। যা ফুসফুসের জন্য একেবারেই ভালো নয়। তাই বায়ু দূষণ বাড়লে ফুসফুসের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে কী পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল? 

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে ধূমপান সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে। কোনও ভাবেই তামাকজাত দ্রব্য সেবন করা চলবে না। এতে নিজের পাশপাশি পরিবারের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এই সচেতনতা জরুরি। প্রয়োজনে নানান কাউন্সেলিংয়ের সাহায্য নিয়ে এই অভ্যাস বর্জন করতে হবে। তার পাশপাশি নিয়মিত যোগাভ্যাসের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। এছাড়াও দেহের বিভিন্ন অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়ে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • TMC: ইছাপুরে দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

    TMC: ইছাপুরে দিনেরবেলায় প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে বারাকপুর মহকুমার ইছাপুরে শ্যুটআউটের ঘটনা ঘটল। এক তৃণমূল (TMC) কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, জখম তৃণমূল কর্মীর নাম রবীন দাস। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  রবীনবাবু ইছাপুর এলাকায় তৃণমূলের (TMC) সক্রিয় কর্মী হিসেবে পরিচিত। তিনি ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি মাঝেমধ্যেই বাজার থেকে ফুল কিনে বাড়িতে দিয়ে কাজে বের হতেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হয়ে ২১ নম্বর রেল গেটের কাছে ফুল কিনতে গিয়েছিলেন। আচমকা তিনজন দুষ্কৃতী তাঁকে ঘিরে ধরে। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই রবীনবাবুকে লক্ষ্য করে দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি গুলি করে বলে অভিযোগ। তাঁর শরীরে তিনটে গুলি লাগে। একটি গুলি হাতে লাগে। পেট ছুঁয়ে আর একটি গুলি বেরিয়ে যায়। আর অন্যটি পীঠের শিড়়দাঁড়ার পাশে লাগে। এমনিতেই সকালের দিকে ২১ নম্বর রেল গেটের কাছে বাজারে লোকজনের ভিড় লেগে থাকে। আর অফিস টাইম হওয়ায় ভিড় অনেকটাই বেশি ছিল। আচমকা গুলির শব্দ শুনে বাজারে থাকা লোকজন ছুটে পালাতে শুরু করে। দুষ্কৃতীরা বাইকে করে না পায়ে হেঁটে এসেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার পর পরই তৃণমূল কর্মী মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপরই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে, স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক?

    দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে হাসপাতালে যান জগদ্দলের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম। তিনি বলেন, রবীনের ডাকনাম ডন। এলাকায় তিনি সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। কী কারণে দুষ্কৃতীরা তাঁকে এভাবে গুলি করল তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    Burdwan: বর্ধমান শহরের ভিতরে ঢুকবে না বাইরের বাস, হাইকোর্টের নির্দেশে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যানজট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার আবেদন জমা পড়েছিল আদালতে। তার পরিপেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে বর্ধমান (Burdwan) শহরের ভিতর দিয়ে বাইরের বাস চলাচল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর সেই নির্দেশ কার্যকর করতে কড়া জেলা প্রশাসন। চলছে অভিযান। অন্যদিকে এই ধরনের ব্যবস্থার জেরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেল শহরবাসী, যাত্রী ও বাসকর্মীদের মধ্যে।

    আগের নির্দেশই বহাল রেখেছে হাইকোর্ট

    গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে বর্ধমান (Burdwan) শহরের মূল অংশের ভিতর টাউন সার্ভিস আর স্কুল বাসই শুধু চলবে বলে হাইকোর্টের বিচারপতি (সিঙ্গল বেঞ্চ) নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে বড়শুল, মেমারি, খণ্ডঘোষের বাস মালিকদের একাংশ ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন। গত সপ্তাহে ডিভিশন বেঞ্চ আগের রায়কেই বহাল রাখে। এই নির্দেশের ফলে বর্ধমান শহরের ভিতর দিয়ে যাওয়া আরামবাগ, বাঁকুড়া, মেমারি, বড়শুল, খণ্ডঘোষ, রায়নার বিভিন্ন ছোট ও বড় রুটের বাস আর ঢুকবে না। সেই রায় কার্যকর করতে মঙ্গলবারই পরিবহণ দফতর ও পুলিশ যৌথভাবে উল্লাসের আলিশা বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায়।

    কী ব্যবস্থা নিল জেলা পরিবহণ দফতর (Burdwan)?

    জেলা (Burdwan) পরিবহণ দফতরের অতিরিক্ত পরিবহণ আধিকারিক (এআরটিও) সুপ্রভাত দাস বলেন, শহরের যানজট মোকাবিলায় পূর্বেই হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছিল। কিন্তু তারপর আবারও পাল্টা কেস হয়। গত ২৬ শে জুলাই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ পূর্বের রায়ই বহাল রাখে। সেই নির্দেশ কার্যকর করতে ও রুট ঠিক করে দেওয়ার জন্যই আজ অভিযান চালানো হয়। বাসগুলি যাতে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে নির্দিষ্ট রুটে যাতায়াত করে, সেটাই বলা হচ্ছে।

    বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া (Burdwan) 

    এদিকে, শহরের (Burdwan) ভিতর বাস ঢোকায় বাধা পড়তেই ভোগান্তির মুখে পড়েন অনেক যাত্রী। নিত্যযাত্রীদের অভিযোগ, এই নির্দেশের ফলে একদিকে যেমন খরচ বাড়বে, তেমনি সময়ও অপচয় হবে।। বাসকর্মীদের তরফে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, এই নির্দেশের ফলে বাসের রুট ছোট হয়ে যাচ্ছে। তাই খরচ উঠবে না, লোকসান হবে। সংসার চালানো দায় হয়ে পড়বে। যদিও যানজট মোকাবিলায় আদালতের দেওয়া নির্দেশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরের একাংশ। অন্যদিকে বর্ধমান জেলা বাস অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক জানকীরঞ্জন সিনহা জানিয়েছেন, যানজট মোকাবিলায় ও দুর্ঘটনা এড়াতে নেওয়া এই সিদ্ধান্ত সঠিক। তাঁরা এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছেন।।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: বুধবার শহরে পা সিবিআই প্রধানের! আধিকারিকদের সঙ্গে করলেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক

    CBI: বুধবার শহরে পা সিবিআই প্রধানের! আধিকারিকদের সঙ্গে করলেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় পা রাখেন সিবিআইয়ের ডিরেক্টর (CBI) প্রবীণ সুদ। বুধাবার সকালে সিবিআইয়ের প্রধান সোজা চলে যান নিজাম প্যালেসে। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন সিবিআই প্রধান। প্রসঙ্গত এই মুহূর্তে গরুপাচার, কয়লাপাচার, সমেত নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। পাশাপাশি পোস্টিং দুর্নীতির তদন্তও যুক্ত হয়েছে তালিকায়। সিবিআই (CBI) সূত্রের খবর যে এই সমস্ত তদন্তের রুপরেখা তৈরি করতেই আইসিসিআর এ বিশেষ বৈঠক করেন সিবিআই প্রধান। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল ‘সম্পর্ক সভা’। জানা গিয়েছে, তদন্তের গতি, বর্তমান স্থিতি সমেত একাধিক বিষয়ে আলাপচারিতা করেন সিবিআই প্রধান।  বিমানবন্দরে নামার পরে রসিকতার ছলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘শুনেছি কলকাতার দই নাকি খুব মিষ্টি! তাই দই খেতে এসেছি।’

    রাজারহাটে সিবিআই-এর (CBI) নয়া দফতর হবে?

    সিবিআই (CBI) এর সামনে ২০১৪ সাল থেকেই তদন্তের পাহাড় জমে রয়েছে। সারদা কেলেঙ্কারি, রোজভ্যালি মামলা, নারদা কাণ্ড এগুলোতো সিবিআই দেখছেই, পাশাপাশি তৃণমূল সরকারের আমলে নয়া দুর্নীতির তদন্তের বেশিরভাগটাই সিবিআইয়ের দায়িত্বে রয়েছে। জানা গিয়েছে, কাজের বহর যে পরিমাণে বাড়ছে সেক্ষেত্রে এবারে নিজাম প্যালেসের বদলে নিজেদের জন্য রাজারহাটে দফতর বানাতে চাইছে সিবিআই। বুধবার রাজারহাটেও যেতে দেখা গেছে সিবিআই প্রধানকে।

    তদন্তের গতি কি বাড়বে? 

    প্রসঙ্গত সিবিআই-এর (CBI) আইনজীবীর কাছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা দিন কয়েক আগেই জানতে চেয়েছিলেন যে দুর্নীতি মামলা তদন্ত আর কতদিন চলবে!  তদন্তের গতি যেভাবে চলছে তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতেও দেখা গিয়েছিল বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে।  এর ঠিক পর পরেই নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রবীণ সুদ। দুঁদে এই আইপিএস অফিসারের জমানায় তদন্তের গতি বাড়ে নাকি, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    আরও পড়ুন: ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ১০ লক্ষ টাকা টোপ দিয়ে কিনতে চাইছে তৃণমূল’, বিস্ফোরক অগ্নিমিত্রা

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: গণনায় কারচুপি! বড়জোড়ার বিডিও-এসডিওকে হাজিরার নির্দেশ হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে অনিয়মের অভিযোগে এবার বাঁকুড়ার বড়জোড়ার বিডিও, এসডিও সমেত ১৬৭ নম্বর বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে তলব করা হল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। চলতি মাসের ৮ তারিখে তাঁদের উচ্চ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। প্রসঙ্গত, গত মাসের ৮ তারিখ ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ১১ জুলাই ছিল ভোট গণনার দিন। অভিযোগ ওঠে যে গণনা কেন্দ্রের বাইরে থেকে বাম প্রার্থীর পক্ষে ছাপ দেওয়া ২৪৮টি ব্যালট পেপার উদ্ধার করেন গ্রামের লোকজন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে, যে ব্যালট পেপার থাকার কথা স্ট্রং রুমের ভিতরে তা বাইরে গেল কীভাবে!  এই প্রশ্নের উত্তর পেতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা তলব করেছেন ওই তিন সরকারি আধিকারিককে। জানা গিয়েছে ২৪৮টি ভোট দেওয়া ব্যালট উদ্ধার হওয়ার পরপরই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের হয়।

    হাস্যকর যুক্তি পেশ রাজ্যের আইনজীবীর

    রাজ্যের আইনজীবীর তরফে এদিন হাস্যকর যুক্তি পেশ করা হয় আদালতের সামনে। রাজ্যের আইনজীবি বলেন যে চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেক জায়গায় নকল ব্যালট ছাপা হয়েছে। স্থানীয় ভিত্তিতে গ্রামের লোকজন নাকি সেই নকল ব্যালট ছাপাতে পারে বলে রাজ্য সরকারের আইনজীবী অনুমানও করেন। বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Calcutta High Court) তখন রাজ্যের আইনজীবীকে বলেন, ‘‘গ্রামের লোকজন ব্যালট ছাপানোর মতো টাকা কোথা থেকে পাবেন।’’

    সাসপেন্ড উলুবেড়িয়ার বিডিও, এসডিও সমেত এক সরকারি আধিকারিক 

    প্রসঙ্গত চলতি বছরের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ শুরু হয়ে যায়। এর পাশাপাশি ভোটে এবং গণনাতে কারচুপি এবং অনিয়মেরও বিস্তর অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। পরবর্তীকালে হাইকোর্টে প্রচুর মামলাও দায়ের হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে এতে হাইকোর্টের বিচারপতিরা পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে ওঠেন। ইতিমধ্যে উলুবেড়িয়ার এসডিও, বিডিও এবং এক সরকারি আধিকারিককে বিরোধী প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বিকৃতি করার অভিযোগে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা (Calcutta High Court)। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও কোন আলাদা ফল হয়নি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gold: ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়ে সোনা জিতল উত্তর দিনাজপুরের সোনিয়া

    Gold: ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে ৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম হয়ে সোনা জিতল উত্তর দিনাজপুরের সোনিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের হয়ে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দৌড়ে প্রথম স্থান অধিকার করে সোনা (Gold) জিতে দেশের নাম উজ্জ্বল করলেন রায়গঞ্জের মেয়ে সোনিয়া বৈশ্য। শ্রীলঙ্কা ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩-এ অংশগ্রহণ করে ৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন সোনিয়া। গত ২৮ শে জুলাই থেকে ৩০ শে জুলাই এই প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছিল শ্রীলংকার কলম্বোতে। সেখানে মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, ভারত ছাড়াও বিভিন্ন দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করেন। সেখানে সকলকে হারিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে উত্তর দিনাজপুরের সোনার মেয়ে।

    সোনিয়ার লক্ষ্য এশিয়ান গেমস

    উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহরের নেতাজীপল্লির বাসিন্দা সোনিয়া। তাঁর বাবা বরেন বৈশ্য একজন ব্যবসায়ী। ছোটবেলা থেকেই সোনিয়ার স্বপ্ন ছিল যে বড় হয়ে একজন অ্যাথলেটিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবে। এই স্বপ্নপূরণে সম্পূর্ণরূপে তাঁর পাশে দাঁড়ায় তাঁর বাবা বরেনবাবু। রায়গঞ্জে খেলা শুরু করে বর্তমানে বিদেশের মাটিতে নিজের প্রতিভাকে তুলে ধরে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন রায়গঞ্জের এই সোনার (Gold) মেয়ে সোনিয়া। এর আগেও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। তাঁর সামনের লক্ষ্য এশিয়ান গেমস ২০২৩, যা অনুষ্ঠিত হবে চিনে। সেখানে অংশগ্রহণ করে দেশের হয়ে সোনা  আনতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছে তিনি। বর্তমানে সোনিয়া পুনেতে ন্যাশনাল অ্যাথলেটিক্স ক্যাম্পে রয়েছেন। উল্লেখ্য, শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এই খেলায় তার ইভেন্ট ছিল ৪০০ মিটার দৌড়। তার ইভেন্টে প্রথম হয়েছে সোনিয়া। দ্বিতীয় হয়েছে ভারতেরই দিসনা ম্যাথিউ এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শ্রীলংকার একজন প্রতিযোগী। তাঁদের এই সাফল্যকে কুর্নিশ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও।

    কী বললেন সোনিয়ার বাবা?

    সোনিয়ার এই সাফল্যে খুশির হাওয়া তাঁর পরিবারেও। তাঁর বাবা বলেন বরেন বৈশ্য বলেন,” মেয়ে শ্রীলঙ্কায় দেশের হয়ে ৪০০ মিটার দৌড়ে প্রথম স্থান অধিকার করে সোনা (Gold) জিতেছে। মেয়ের জন্য আমাদের গর্ব হচ্ছে। অনেকদিন ধরে ও দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাচ্ছিল না, এবার পেল। আশা করি সামনে এশিয়ান গেমসে ও দেশের হয়ে খেলে দেশের নাম উজ্জ্বল করবে এটাই প্রার্থনা করি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Startup Festival: চলতি মাসে বেঙ্গালুরুতে স্টার্টআপ ফেস্টিভ্যাল! লক্ষ্য গ্রামীণ ভারতের উন্নয়ন

    Startup Festival: চলতি মাসে বেঙ্গালুরুতে স্টার্টআপ ফেস্টিভ্যাল! লক্ষ্য গ্রামীণ ভারতের উন্নয়ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ বেঙ্গালুরুতে হতে চলেছে স্টার্টআপ ফেস্টিভ্যাল (Startup Festival)। তিনদিনের এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করবেন বিভিন্ন স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতারা। এবং তাঁরা সুযোগ পাবেন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার। এই ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে ইন্ডিয়ান স্টার্টআপ ফাউন্ডেশন (Startup Festival)। প্রসঙ্গত এই সংস্থা একটি এনজিও কোম্পানি যেটি ভারতের স্টার্টআপ ইকো সিস্টেমের উন্নয়নের উপর কাজ করে।  জানা গিয়েছে, দশ হাজারের উপর স্টার্টআপ সংস্থা এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করবে, শুধুমাত্র ভারতীয় স্টার্টআপ সংস্থাই নয়। এর পাশাপাশি ব্রিটেন এবং জাপান সমেত অন্যান্য বিদেশি স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে এই ফেস্টিভ্যালে। ৫০০ এর বেশি বিনিয়োগকারীকে এখানে দেখা যাবে।

    স্টার্টআপ ফেস্টিভ্যালের উদ্দেশ্য (Startup Festival)

    ইন্ডিয়ান স্টার্টআপ ফাউন্ডেশনের কনভেনার এবং চেয়ারম্যান জে এ চৌধুরী বলেন, ‘‘এই ফেস্টিভ্যাল (Startup Festival) হতে চলেছে একটি ভাইব্রান্ট হাব। যেখানে সমস্ত স্টার্ট আপ কমিউনিটি নিজেদের জন্য বিপুল শক্তি সংগ্রহ করতে পারবে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘একশোর উপর স্টার্টআপ সংস্থাকে বাছাই করা হয়েছে। তাদেরকে একটা মূলমঞ্চে স্থান দেওয়া হবে। যাদের মধ্যে থেকে শীর্ষস্থান অধিকারকারী দশটি সংস্থাকে ক্যাশ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।’’

     আইএসএফ সংস্থার চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য হল গ্রামীণ ভারতে যে সমস্ত বাধা গুলি রয়েছে সেগুলিকে কাটিয়ে তোলা এবং কৃষি, খাদ্য প্রভৃতি ক্ষেত্রে গ্রামীণ উদ্যোগপতি তৈরি করা। ভারতের মতো দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে গ্রাম পর্যন্ত নিয়ে যেতেই হবে এবং নতুন নতুন সুযোগ এবং কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।’’

    কারা হাজির থাকবেন এই ফেস্টিভ্যালে? 

    প্রসঙ্গত ইন্ডিয়ান স্টার্টআপ ফাউন্ডেশনের (Startup Festival) এমন উদ্যোগ গত বছরই নেওয়া হয়েছিল। এবং সেই ফেস্টিভ্যালে ২ হাজারের উপর স্টার্টআপ সংস্থা অংশগ্রহণ করেছিল বলে জানা গিয়েছে। চলতি অগাস্ট মাসে কর্নাটকের এই ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাবে, সত্য সাঁই ইউনিভার্সিটি ফর হিউম্যান এক্সেলেন্সের প্রতিষ্ঠাতা মধুসূদন সাঁইকে।  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখি এখানে হাজির থাকবেন। কর্নাটকের ক্যাবিনেট মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়্গে এখানে উপস্থিত থাকবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birth Certificate: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    Birth Certificate: এবার থেকে জন্ম শংসাপত্রেই মিলবে সব নাগরিক পরিষেবা! বিল পাশ সংসদে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি অধিবেশনে সংসদে পাশ হল ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’। জানা গিয়েছে, এবার থেকে বার্থ সার্টিফিকেটের (Birth Certificate) মাধ্যমেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভরতি হওয়া, ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা, ভোটার তালিকায় নাম তোলা, আধার কার্ড পাওয়া, বিয়ের রেজিস্ট্রেশন, সরকারি চাকরিতে যোগ, পেনশনের আবেদন করা, আইটি ফাইল প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা যাবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিলটি আইনে পরিণত হলে অনেক সুবিধা পাবেন সাধারণ মানুষ। পাসপোর্ট থেকে আধারের আবেদন করার ক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হবে এই বার্থ সার্টিফিকেট। প্রসঙ্গত এর আগে, জন্মের তারিখ এবং জন্মের স্থান প্রমাণ করার ক্ষেত্রে একাধিক নথি পেশ করতে হত। নয়া বিলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তির কথা বলা হয়েছে।

    জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস  তৈরি করতে সাহায্য করবে এই বিল 

    জানা গিয়েছে এই বিল জাতীয় ও রাজ্য-স্তরে নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডেটাবেস তৈরি করতে সাহায্য করবে। এরফলে সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে যাবে। এর ফলে ডিজিটাল নিবন্ধনের প্রক্রিয়া (Birth Certificate) আরও স্বচ্ছ হবে বলে মনে করছেন ওয়াকিহবহাল মহলের একাংশ। এই বিলটি গত মাসের ২৬ তারিখ সংসদে পেশ করা হয়েছিল। ১ অগাস্ট সেটি পাশ হয় সংসদের নিম্নকক্ষে। 

    কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী?

    ‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, ২০২৩’ পেশ করেছিলেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। তাঁর মতে, ‘‘রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ অ্যাক্ট’, ১৯৬৯-কে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তা সংশোধন করা হয়নি। তবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে খাপ খাইয়ে এই পরিষেবাকে আরও নাগরিক বান্ধব করে তুলতে সংশোধন প্রয়োজন। তাই এই বিল (Birth Certificate) আনা হয়েছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বিভিন্ন রাজ্য সরকার, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেই এই আইন সংশোধন করার জন্য বিল পেশ করা হয়েছে। এই নয়া বিলে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনের বিধান যুক্ত হয়েছে। আবার অনলাইনেই বার্থ সার্টিফিকেট ডেলিভার করার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: শতবর্ষে পা দিল হাওড়ার ৫২ নম্বর বাস রুট, হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    Howrah: শতবর্ষে পা দিল হাওড়ার ৫২ নম্বর বাস রুট, হেরিটেজ ঘোষণার দাবি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া (Howrah) শহরের সবথেকে পুরনো হল ৫২ নং বাস রুট। যেটিকে হাওড়া শহরের প্রথম বাস রুট বলে ধরে নেওয়া হয়। এই রুটে বাস চলাচল শুরু হয়েছিল ১৯২৪ সালে। শ্রীরামপুরের ৩ নং রুটকে অনেকেই মনে করেন, সেটি হয়তো পশ্চিমবঙ্গের সর্বপ্রথম বাস রুট। কিন্তু আদতে, ৩ নং রুটে বাস চলাচল শুরুর ৪ বছর আগে থেকেই যাত্রা শুরু করে ৫২ নম্বর রুট। এক সময় রুটটি চলত রামরাজাতলা থেকে হাওড়া পর্যন্ত। পরে সেটি বাড়িয়ে এসপ্ল্যানেড বা ধর্মতলা পর্যন্ত করা হয়। এছাড়া ৫২ নম্বরের আরও কিছু রুট ছিল। যেমন খটিরবাজার টু হাওড়া, ইছাপুর টু ধর্মতলা, ৫২ এ সুরকি কল থেকে এসপ্ল্যানেড, রামরাজাতলা থেকে এসপ্ল্যানেড ভায়া ব্রাবোর্ন রোড, ৫২বি রামরাজাতলা থেকে ধর্মতলা ভায়া স্ট্র‍্যান্ড রোড, ৫২ সি হাওড়া ময়দান থেকে ধর্মতলা। বর্তমানে অবশ্য রামরাজাতলা থেকে ধর্মতলা ৫২ নম্বর রুট ছাড়া ৫২ এ, বি রুটগুলি বন্ধ হয়ে গেছে। সময়ের সাথে হাওড়া শহরের রাস্তা অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে। বেড়েছে জনঘনত্ব। এর জন্য গাড়ির গতি কিছুটা কমলেও চলার বিরাম হয়নি এই একশো বছরে। অটো-টোটোর দাপটে একটু সমস্যা হলেও, আজও রামরাজাতলার রাজা ৫২। প্রতিদিন ২৫ টি বাস চলে এই রুটে, ৮ মিনিট ছাড়া মেলে পরিষেবা।

    কিছুদিন আগেই হয়ে গেল উদযাপন (Howrah)

    কলকাতা বাসোপিডিয়া গ্রুপের তরফ থেকে এই রুটের শতবর্ষ উদযাপন করা হয় কিছুদিন আগে। বাসোপিডিয়ার সভাপতি সৌভিক মুখার্জি বলেন, আমি দেখেছি বয়স্ক ঠাকুমাকে বাসের গায়ে হাত দিয়ে নমস্কার করতে। আসলে রাম ঠাকুরের থানে যায় তো! দেখেছি নতুন বর-বউকে বাসে বাড়ি ফিরতে। তখন যেন মনে হয়, এ বাস শুধু একটা যানবাহনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। একশো বছর ধরে এতগুলো মানুষকে যে বাস তার সার্ভিস দিয়েছে, সেই বাস কেবল একটা যন্ত্র থাকে না। হয়ে ওঠে পরিবারের সদস্য। সেই প্রবীণ সদস্য আজ একশো বছরে পা দিল। ৫২, ৫৮ বাস মালিক সমিতির সেক্রেটারি ভোলানাথ চৌধুরী বলেন, তাঁর বাবার আমল থেকে তাঁদের এই রুটে (Howrah) বাস চলে। আগে রাম মন্দিরের উল্টোদিকে ফাঁকা যায়গায় এই বাসস্ট্যান্ড ছিল। বছর ২২ আগে রাম মন্দির থেকে কিছুটা দূরে প্রাইভেট পার্টনারশিপে এবং এমপি ল্যাডের টাকায় নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়। এখন সেখান থেকেই বাস ছাড়ে।

    কী বলছেন এই বাসের এক সময়ের যাত্রীরা (Howrah)?

    হাওড়ার বাসিন্দা শিবনাথ হাজরা বলেন এখন তাঁর বয়স ৬০ এর কিছু বেশি। রামরাজাতলা (Howrah) থেকে বাসে চেপে হাওড়ায় অফিস যেতেন। সেই স্মৃতি এখনও মনে আছে৷ তবে তখন এত রাস্তা জ্যাম হত না। ফাঁকা রাস্তায় বাস চলত। এখন তো অটো-টোটোর ঠ্যালায় গাড়ি চলে ধিক ধিক করে। তিনি বলেন, জেলার অনেক বাস রুটই এখন বন্ধ। ৫২র সঙ্গে ৫৮ নম্বর বাস রুটও তখন বিধানসভা থেকে পাশ হয়েছিল। কিন্তু সেই ৫৮ রুটের বাসও বন্ধ। ৫২ রুটেও বাস কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে৷ তাই হাওড়ার ঐতিহ্যবাহী এই রুটকে বাঁচিয়ে রাখতে একে হেরিটেজ করার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share