Blog

  • Nadia: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    Nadia: ভোট চুরি করতে দেননি বলেই কি নদিয়ার বিডিও ট্রান্সফার? তীব্র শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকদলের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নদিয়ার (Nadia) বিডিও গণনা কেন্দ্রে রুখে দিয়েছিলেন ভোট চুরির কারচুপি। সেই কারণেই বোর্ড গঠন হওয়ার আগেই উত্তরবঙ্গে ট্রান্সফার করে দেওয়া হল। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক মহলের অভিযোগ এলাকায় কেন বিজেপি জয়ী হয়েছে! আর তাই বিডিওকে ট্রান্সফার করা হয়েছে। অভিযোগের তির সরকার প্রশাসনের বিরুদ্ধেই। তবে যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হলে পথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি।

    ঘটনা কোথায় ঘটেছে (Nadia)?

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক হলেন প্রণয় মুখার্জি। প্রায় তিন বছর ধরে শান্তিপুর ব্লকের কাজ সামলাচ্ছিলেন তিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে শক্ত হাতে কাজ করেছিলেন তিনি। এমনকি গণনার দিন কেন্দ্রে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বারবার ব্যালট বাক্স লুট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল শাসক দল। একমাত্র ব্লক আধিকারিক নিজে শক্ত হাতে রুখে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই এলাকায় বিজেপি জয়ী হওয়ায়, তৃণমূলের রোষানলে পড়তে হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বিডিও, এমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের। প্রণয় মুখার্জিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিএম-ডিসি করে পাঠানো হলো। অন্যদিকে নদীয়ার ডিএম- ডিসি মোহাম্মদ সাব্বির আহমেদ মোল্লাকে শান্তিপুরের বিডিও করে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চাল্য ছড়িয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপি মন্ডল সভাপতি (Nadia) তথা নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন যে বিষয়টি পুরোটাই প্রশাসনের। আমরা নতুন ব্লক আধিকারিককে স্বাগত জানাচ্ছি। কিন্তু মনে হচ্ছে তৃণমূল এই বিডিওকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেননা। গণনার দিনে হয়তো পছন্দের তৃণমূল প্রার্থীদের জোর করে সার্টিফিকেট লিখিয়ে নিতে পারেননি তৃণমূল আর তাই এই বিডিও শাসক দলের কোপের মুখে পড়েছেন। বোর্ড গঠনের আগে এই ট্রান্সফার অত্যন্ত সন্দেহ প্রবন। ফলে এই ট্রান্সফার যদি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে থাকে, তাহলে আমরা পথে নামতে বাধ্য হব। তিনি আরও বলেন, গণনার দিনেও বিজেপি রাজপথে ছিল, প্রশাসন যদি রাজনীতি করে সরকারি আমলাদের নিয়ে, তাহলে রাস্তায় ফের আন্দোলন হবে।   

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Manipur Violence: ড্রাগের আন্তর্জাতিক চোরাচালানে কোপ পড়তেই শুরু মণিপুরকে অশান্ত করার ‘খেলা’!

    Manipur Violence: ড্রাগের আন্তর্জাতিক চোরাচালানে কোপ পড়তেই শুরু মণিপুরকে অশান্ত করার ‘খেলা’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আগুনে জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। বলা হচ্ছে, এটা নাকি জাতি সংঘর্ষেরই ভয়ঙ্কর পরিণতি। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি তাই? নাকি এর পিছনে রয়েছে আরও বড় ষড়যন্ত্র, এবং বিজেপি সরকারকে ফেলে দিয়ে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করার নোংরা রাজনীতি? যত দিন যাচ্ছে, এটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে, ড্রাগ বা মাদকের আন্তর্জাতিক চোরাকারবার, বেআইনি অস্ত্র ব্যবসা এবং সর্বোপরি বিদেশি শক্তি, বিশেষত চিনের অঙ্গুলি হেলনেই এখানকার পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠছে।

    হাইকোর্টের রায় দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে (Manipur Violence) বিক্ষোভকারীরা

    মণিপুরের ভৌগোলিক যা অবস্থান, তাতে ৯০ শতাংশ হল পাহাড়ি এলাকা, ঘন জঙ্গল এবং চিন, মায়ানমারের সীমান্ত। সবদিক থেকে আফিম চাষের আদর্শ জায়গা। তাই একদিকে আফিমের চাষ যেমন রমরম করে হয়ে আসছে, তেমনি সীমান্ত দিয়ে এর চোরাচালানের কারবারও ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। কোটি কোটি টাকার কারবার চলছে দিনের পর দিন। ড্রাগ মাফিয়াদের কাছে এটা হল গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল। আর ঠিক এই জায়গাতেই আঘাত হানতে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি শাসিত সেখানকার সরকার। নিজেদের বেআইনি সাম্রাজ্যে কোপ পড়তেই গোটা মণিপুরকে অশান্ত করার নোংরা খেলায় (Manipur Violence) নেমে পড়ে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিগুলি। এই রকম একটা অবস্থায় আগুনে ঘি পড়েছে সেখানকার হাইকোর্টের সাম্প্রতিক একটি রায়ে।

    কী বলা হয়েছে হাইকোর্টের রায়ে?

    এই রাজ্যে বাস করেন প্রায় ৩৪ টি জনজাতি সমাজের মানুষ। এঁদের মধ্যে নাগা, কুকি, মিজো, মেইতি উল্লেখযোগ্য। কিন্তু সবথেকে বেশি হলেন মেইতি গোষ্ঠীর, যাঁরা মূলত সমতল অঞ্চলে বসবাস করেন। এই মেইতিরা মণিপুরের মোট যা এলাকা, তার ১০ শতাংশ অঞ্চলে বসবাস করেন। মণিপুরে বহুদিন ধরেই তাঁরা তফশিলি উপজাতির (ST) স্বীকৃতির দাবি করে আসছিলেন। আর এ ব্যাপারে হাইকোর্টের নির্দেশ আসতেই সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করে মেইতি-বিরোধী আদিবাসীরা। গত এপ্রিল মাসে মণিপুর হাইকোর্ট মেইতিদের তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার জন্য সেখানকার রাজ্য সরকারকে সদর্থক ভাবনাচিন্তা করার নির্দেশ দেয়। একদিকে কালো কারবারে সরকারের থাবা, অন্যদিকে নিজেদের বসবাসের এলাকাতেও আধিপত্য খর্ব হওয়ার আতঙ্ক, এই দুটি কারণে তারা হইহই করে মাঠে নেমে পড়ে। ৩ মে অল ট্রাইবাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ মণিপুর নামে সংগঠন আন্দোলনের ডাক দেয়। তাতে নেতৃত্ব দেন কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর নেতারা। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে মণিপুরের চুরাচাঁদপুরের কাছে তোরবুং এলাকায় প্রতিবাদী মিছিলের আয়োজন করা হয়। ধীরে ধীরে আগ্নিগর্ভ হতে শুরু করে মণিপুর। একে একে তোরবুং, গোবিন্দপুর, সাবাল মানিং, মামাং লেইকাই, কাংভাই, ফুবাকচাওতে বাড়িঘরে আগুন দেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর শুরু হয় গোষ্ঠী সংঘর্ষ। মণিপুরে যে ব্যাপক হিংসা (Manipur Violence) হয়েছে, তাতে এখনও পর্যন্ত বহু মানুষের প্রাণ গেছে। ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ প্রত্যক্ষ ভাবে হিংসার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন। মিজোরামের একটি রিপোর্টে বলা হয়, মণিপুর থেকে মোট ৬৫০০ মানুষ নিজের বাড়িঘর ছেড়ে মিজোরামে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।

    সংরক্ষণ কেন চান মেইতিরা (Manipur) আর কেন ক্ষুব্ধ (Manipur Violence) কুকিরা?

    মেইতিদের কাছে একটি স্পষ্ট তত্ত্ব হল, জনসংখ্যার তত্ত্ব। ১৯৫১ সালে মণিপুরে মেইতিদের জনসংখ্যার অনুপাত ছিল ৫৯ শতাংশ। আর ২০১১ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪ শতাংশে। ফলে মণিপুরের জনজাতি হিসাবে কুকিরা তাঁদের জল-জঙ্গল-জমি দখল করছে বলেই মেইতিদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে, এমনটাই দাবি তাঁদের। তাই মেইতিরা তাঁদের সংস্কৃতির সংরক্ষণ এবং জনজাতির পদমর্যাদা চান। অন্যদিকে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং বিজেপি সরকারকে মেইতি সমাজের প্রত্যক্ষ সমর্থক বলে অভিযোগ করছেন কুকিরা। এমনকী কুকি সমাজের এক রাজনৈতিক নেতা বলেন, মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী কুকি বিরোধী! তাই আমাদের আন্দোলন চলবে। কারণ তাঁদের আশঙ্কা, শুধু জল-জঙ্গল-জমি নয়, সংরক্ষণের কারণে পুলিশ-প্রশাসনে তাঁরা যে সব সুবিধা ভোগ করে আসছেন, তাতেও ভাগ বসাবে মেইতিরা। মেইতিরা ধীরে ধীরে আরও ক্ষমতাবান হয়ে উঠবে। পাশাপাশি মেইতি জনগোষ্ঠীর মানুষ পাল্টা কুকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, সমস্ত হিংসার পিছনে কুকিদের অস্ত্র কারবার, চোরাকারবার, মাদক পাচার, মাফিয়া, দুষ্কৃতী এবং রাজনৈতিক নেতাদের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে। ফলে দুই গোষ্ঠীর দাবি-পাল্টা দাবি ঘিরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত আগে থেকেই।

    মাদক চক্র কতটা প্রভাবশালী (Manipur Violence)?

    মণিপুরের এই অশান্তির (Manipur Violence) পিছনে সেখানকার মাদক চোরাচালান, অনুপ্রবেশ, আন্তর্জাতিক চোরাকারবারের প্রত্যক্ষ প্রভাব আছে বলে বিশেষজ্ঞ মহলও মনে করছে। মণিপুর (Manipur) সরকারের সূত্র অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১৮৬৬৪ একরের বেশি আফিম চাষ ধ্বংস করেছে বিজেপি শাসিত সরকারের পুলিশ। এর বেশির ভাগটাই করা হত পার্বত্য জেলায়। আবার ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১৮৮৯ একর আফিম চাষ ধ্বংস করেছিল তৎকালীন কংগ্রেস সরকার। মণিপুরের এই মাদক চক্র শুধু ভারতেই নয়, মায়ানমার হয়ে লাওস, থাইল্যান্ড, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে আন্তর্জাতিক মাদক চক্র হিসাবে কাজ করছে। তাই মণিপুরে মাদক চাষ বন্ধ হলে এর ব্যাপক প্রভাব পড়বে চিন সহ দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মাদক চোরাচালানে। আর সেই কারণেই সাময়িক ভাবে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করা হয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। মণিপুরের আগের সরকারগুলি, বিশেষ করে কংগ্রেস সরকারের আমলে আইন হলেও, নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট ১৯৮৫, মাদক চোরাচালান রোধে তেমন কার্যকর হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক মাদক পাচারকারী এবং কংগ্রেসের নেতাদের আর্থিক লাভে ভাটা পড়েনি। বর্তমানে বিজেপি সরকার এই অবৈধ মাদক চাষ এবং চোরাচালান রোধে কঠোর মনোভাব নিতেই গোষ্ঠী সংঘর্ষের আড়ালে সক্রিয় হয়ে পরিস্থিতিকে ভয়ঙ্কর করে তোলা হচ্ছে। মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম দিল্লিও (MTFD) মণিপুরের হিংসা নিয়ে একটি প্রতিবেদনে বলেছে, আন্তর্জাতিক মাদক মাফিয়ারা অতি সক্রিয় হয়েছে এখানে। 

    উল্লেখ্য মণিপুরে সাসপেনশন অফ অপারেশন এগ্রিমেন্ট (SoO) স্বাক্ষরিত হওয়ার ফলে কুকিদের সশস্ত্র জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে মণিপুর এবং ভারতের যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এই কুকি সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীরাই মেইতিদের মন্দির, ধর্মস্থলে হিংসাত্মক আক্রমণ করেছিল। অসম রাইফেল এই ঘটনায় বিশেষ অপারেশনও করেছিল। অভিযোগ আরও ওঠে যে এই কুকির সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠীরা বাংলাদেশ, মায়ানমার এবং মিজোরাম থেকে অবৈধ আফিম, গাঁজা, কোকেন, হেরোইন, ইয়াবা মাদক চোরাচালানের কাজ করে থাকে। এছাড়াও অবৈধ অনুপ্রবেশকারী পাচারের মোটা অর্থ কুকিদের এই জঙ্গি সংগঠনকে সতেজ রাখে। সেই রসদে ভাটা পড়তেই বিক্ষোভ, হিংসাত্মক আন্দোলন।

    আসলে বিজেপি সরকারকে সরিয়ে পাহাড় এবং মাদকের কারবারের রাশ পুরোপুরি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনাই যা আন্দোলনকারীদের মূল লক্ষ্য, তা এখন অনেকের কাছেই পরিষ্কার। চিনের হাত মাথায় থাকায় এই কাজে বিক্ষোভকারীরা দ্বিগুণ উৎসাহ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। তথ্য বলছে, চোরাকারবারের কিং পিন যারা, তারা আসলে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী। মণিপুর এবং মিজোরামে কাজ করা চায়না ন্যাশনাল আর্মি (সি এন এ) এবং জোমি রিভলিউশনারি আর্মির (জেড আর এ) সঙ্গে এদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে। এদের কাছ থেকে অস্ত্র এবং অর্থ পেয়ে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কুকি ন্যাশনাল আর্মি (কে এন এ)।  

    প্রাক্তন সেনা প্রধানের বক্তব্য (Manipur Violence)

    অপর দিকে দেশের প্রাক্তন সেনা প্রধান এমএম নরভানেও দিল্লিতে ইন্ডিয়ান ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বলেছেন যে মণিপুরের হিংসার (Manipur Violence) পিছনে বহিরাগত চিনের বিশেষ শক্তি মদত দিচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিবাদী সংগঠনকে পরিচালনা করছে বাইরের শক্তি। তিনি আরও বলেন, প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা যেমন একটা বড় সমস্যা, তেমনি আমাদের দেশের অভ্যন্তরে কোনও সীমান্তবর্তী এলাকার সমস্যাও আমাদের জন্য আরও খারাপ। দেশের জাতীয় সুরক্ষা নীতিকে সুরক্ষিত রাখা একান্ত প্রয়োজন। বাইরের শত্রুর সঙ্গে সেনা লড়াই করছে, কিন্তু ভিতরের শত্রুর সঙ্গে নাগরিকদের লড়াই করতে হবে। অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা ভীষণ প্রয়োজন।

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: নেট পরীক্ষায় পাশ করলেন রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের শবর যুবক

    Jhargram: নেট পরীক্ষায় পাশ করলেন রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের শবর যুবক

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা ও মা দু’জনেই নিরক্ষর।  নেট (ন্যাশানাল এলিজিবিটি টেস্ট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তাক লাগালেন ঝাড়গ্রামের লোধা-শবর সমাজের এক যুবক। তাঁর নাম কার্তিক শবর। সম্প্রতি বেরিয়েছে নেট পরীক্ষার ফলাফল। ফলাফলে দেখা যায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তিনি হলেন পরিবারের প্রথম প্রজন্মের শিক্ষিত সদস্য। 

    মেধাবী যুবকের পড়াশুনার খরচ কে দিতেন জানেন?

    কার্তিকের বাড়ি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি ব্লকের এড়গোদা গ্রাম পঞ্চায়েতের আশাকাঁথি গ্রামে। গ্রামের আশাকাঁথি নিম্ন বুনিয়াদি হাইস্কুলে প্রাথমিক স্তরে পড়াশুনার পর জয়পুর হাইস্কুলে ৭২ শতাংশ নম্বর নিয়ে মাধ্যমিক পাশ করেন।  তারপরই পড়াশুনার ছেদ পড়ে যাওয়ার কথা ছিল কার্তিকের। কারণ, কার্তিক মাধ্যমিক পাশ করার পরই তাঁর বাবা নির্মল শবর জানিয়ে দেন, পড়াশুনার খরচ সামলাতে পারবেন না। তারপরই কার্তিকের পাশে দাঁড়ান শিক্ষিকা মিতালি পাণ্ডা। তিনি বর্তমানে পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষিকা।  কর্মসূত্রে একসময় মিতালীদেবী জয়পুর স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। সেখান থেকেই কার্তিকের সঙ্গে তাঁর পরিচয়। তাঁর আর্থিক অবস্থা জানতে পেরে ওই শিক্ষিকাই কার্তিককে বাঁকুড়ার গড় রাইপুর হাইস্কুলে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি করান। সে থেকেই এখনও পর্যন্ত কার্তিকের সমস্ত খরচ সামলান ওই শিক্ষিকা। ২০১৬ সালে উচ্চমাধ্যমিকে ৮৬.৪ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করার পর জামবনি ব্লকের কাপগাড়ি সেবাভারতী মহাবিদ্যালয় থেকে  ভূগোলে অনার্স করেন। ২০২১ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পাশ করেন তিনি। বর্তমানে তিনি ঝাড়গ্রামের সেবায়তন শিক্ষক শিক্ষণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিএড করছেন।

    কী বললেন মেধাবী ওই যুবক?

    কার্তিক বলেন, মাধ্যমিকের পর পড়াশুনা আর হত না। দিদিমণি পাশে না দাঁড়ালে এতটা পথ আসতে পারতাম না।  দিদিমণি শুধু আর্থিক ভাবেই সাহায্য করেননি, সবসময় পরামর্শ দিয়েছেন। বড় হয়ে অধ্যাপক হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার। ঝাড়খণ্ডে কিছু শিক্ষকের জন্য আবেদন করেছি। দিদিমণির কাছে সাহায্য চাইতে লজ্জা লাগে। এবার নিজেকে কিছু করতে হবে।

    কী বললেন মেধাবী যুবকের পাশে দাঁড়ানো শিক্ষিকা?

    শিক্ষিকা মিতালি পাণ্ডা বলেন, আমি ভীষণ খুশি। কার্তিক আমার এক সন্তানের মতই। নেট পাশের থেকে সবচেয়ে বড় কথা কার্তিক ভাল মনের মানুষ তৈরি হয়েছে। তার জীবনে বাধা অনেক এসেছে। কিন্তু সেই বাধা তাকে থামিয়ে দিতে পারেনি। গবেষণা করার ক্ষেত্রে ওর পাশে কেউ দাঁড়ায় আরও ভাল হবে।

    কী বললেন ঝাড়গ্রাম লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সভাপতি?

    কার্তিকের বাবা নির্মল শবর ও মা পুষ্পরানি শবর দিনমজুরের কাজ করেন। কার্তিক তিন ভাই-বোন। বড় দিদি প্রতিমা শবর উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার বিয়ে হয়ে গিয়েছে। বোন শ্রীমতী শবর বাংলা নিয়ে ঝাড়গ্রাম সাধু রামচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকোত্তরে পড়াশুনা করছেন। ঝাড়গ্রাম জেলা লোধা-শবর  সেলের সদস্য  তথা ঝাড়গ্রাম লোধা-শবর কল্যাণ সমিতির সভাপতি খগেন্দ্রনাথ মান্ডি বলেন, লোধা শবর সমাজের কেউ নেট পাশ করেনি।  চাকরি পেলে খুবই ভাল হবে। কার্তিককে দেখে লোধা-শবর ছেলে-মেয়েরা অনুপ্রাণিত হবে। লোধা-শবর মানুষজন প্রশাসনের কাছে যেতে চায় না। সেজন্য বিভিন্ন জায়গায় শিবির করে তাঁদের সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। সেবাভারতী কলেজে ভূগোলের অধ্যাপক প্রণব সাহু বলেন, লোধা-শবর উপজাতি সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ কার্তিক।  তাঁর উচ্চ মেধা জাতীয় স্তরে পরীক্ষায় সাফল্য পেয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে একদিনে তিন মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু

    Nadia: নদিয়া ও পূর্ব মেদিনীপুরে বাজ পড়ে একদিনে তিন মহিলা সহ পাঁচজনের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বাজ পড়ে এক দিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট এবং পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া এলাকায় এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত পাঁচজনের মধ্যে চার জনই পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বাসিন্দা। এরমধ্যে দুজন মহিলা রয়েছেন। আর নদিয়ার রানাঘাটেও বাজ পড়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার দেভোগ অঞ্চলের বড়বাড়ি গ্রামে বাজ পড়ে দুই ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের নাম পিন্টু বেরা (৫০) এবং সমরেশ বেরা (৪৫)। পাশাপাশি, হলদিয়ার সুতাহাটা থানার কসবেড়িয়া গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মামণি মালি নামে এক মহিলার। তাঁর বয়স ৪০ বছর। রাধারানি ভৌমিক নামে আরও এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। অন্য দিকে, রানাঘাটে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে অপর্ণা বিশ্বাস নামে ৩২ বছরের এক মহিলার। স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকেলে সমরেশের জমিতে ধান রোয়ার কাজ চলছিল। সেই সময় মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে মাঠের পাশের একটি বড় গাছের তলায় আশ্রয় নেন দু’জন। কিন্তু, ওই গাছেই বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। পরে গ্রামবাসীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকেলেই থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরে গিয়েছিলেন সুতাহাটার কসবেড়িয়ার বধূ মামণি । তিনি বাসন মেজে বাড়িতে ফেরার সময়ই বাজ পড়ে। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সুতাহাটার হোড়খাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগুনাবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাধারানিদেবী তুমুল বৃষ্টির মধ্যে চাষের জমিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। মাথায় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার বিকেলে নদিয়ার (Nadia) রানাঘাট থানা এলাকায় কাজ করে থেকে ফিরছিলেন বছর ৩২-এর বধূ অপর্ণা বিশ্বাস। সে সময় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বাড়ির কিছুটা আগে আচমকা বাজ পড়ে গুরুতর জখম হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ghatal: স্বামী কার? একজনকে নিয়ে দুই বউয়ের টানাটানি ঘাটাল আদালতে, এলাকায় উত্তেজনা

    Ghatal: স্বামী কার? একজনকে নিয়ে দুই বউয়ের টানাটানি ঘাটাল আদালতে, এলাকায় উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী কার? এক স্বামীকে নিয়ে দুই বউয়ের টানাটানি আদালত চত্বরেই। আদালত চত্বরেই শাশুড়ি ও বউ মিলে গুণধর স্বামীর জামার কলার ধরে টানা টানাটানি করছে, কখনও আবার দুই বউ এর স্বামীকে নিয়ে টানাটানি।  এমন নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল ঘাটাল (Ghatal) মহকুমা আদালত। আর এই ঘটনা দেখতে আদালত চত্বরে ভিড় জমে যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল (Ghatal) মহকুমার চন্দ্রকোণার ছোটবালা গ্রামের প্রশান্ত কয়ারির সঙ্গে ২০১৯ সালে বিয়ে হয় দাসপুরের খেপুত উত্তরবাড়ের মৌসুমী চক্রবর্তীর। বিয়ের কয়েকমাস পরেই তাঁদের ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের পর প্রশান্তবাবু আবার বিয়ে করে ঘাটাল থানার হরেকৃষ্ণপুরের বনানী হড়কে। এদিকে বনানী যখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন প্রশান্ত মারধর করে বলে অভিযোগ তুলে তিনি বাপের বাড়ি চলে যান। সেখানে তাঁর একটি পুত্র সন্তানও হয়, এখন তার বয়স ৭ মাস। এদিকে ডিভোর্সের পর প্রশান্তর আগের স্ত্রী মৌসুমী চলতি বছরে গত ৭ জুন দাসপুরের সীতাপুরের যুবক প্রসেনজিৎ রায়কে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ২৩ জুন মৌসুমী বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এদিকে প্রসেনজিৎ এর অভিযোগ  মৌসুমী আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এমনকী তার প্রাক্তন স্বামী প্রশান্তর কাছে সে চলে যায়। মৌসুমীকে ডিভোর্স দিয়ে দিতে তারা বলে। মঙ্গলবার সেই ডিভোর্সের আবেদনের জন্যই সবাই আদালতে উপস্থিত হয়। খবর পেয়ে প্রশান্তর স্ত্রী বনানী ও তাঁর মা আদালতে হাজির হন। সেখানেই ঘটে এই নাটকীয় ঘটনা। আদালতের ভিতর থেকেই বনানীর মা ও বনানী প্রশান্ত এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে টেনে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

    কী বললেন গুণধর স্বামী?

    প্রশান্তবাবু বলেন, মৌসুমী আমার প্রথম পক্ষের স্ত্রী। সে চলে যাওয়ার পর আমি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলাম। তবে, মৌসুমী ফিরে আসার তাঁর সঙ্গে আমি ফের বিয়ে করি। ও ফের বিয়ে করেছিল তা জানতাম না। তাই, মৌসুমী এদিন ঘাটাল (Ghatal) আদালতে তার স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য এসেছিল। আর বনানী এবং তার পরিবার ভাল না। ওর সঙ্গে থাকতে চাই না।

    স্বামীর বিরুদ্ধে কী বললেন বনানীদেবী?

    বনানীদেবী বলেন, আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমি ওর শাস্তি চাই। ওর সঙ্গে অভিযুক্ত মহিলারও আমি শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat: চতুর্থ বন্দে ভারত পেল রাজ্য! অগাস্টেই গড়াবে চাকা, ছুটবে কোন রুটে?

    Vande Bharat: চতুর্থ বন্দে ভারত পেল রাজ্য! অগাস্টেই গড়াবে চাকা, ছুটবে কোন রুটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের রেল মানচিত্রে জুড়তে চলেছে আরও একটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat)। জানা গিয়েছে রাজ্যের চতুর্থ এক্সপ্রেস হিসেবে অগাস্ট মাসেই গড়াবে বন্দে ভারতের চাকা। এর আগে হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি, নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি এবং হাওড়া-পুরী রুটে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat) চাকা গড়িয়েছে। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের চতুর্থ বন্দে ভারত ছুটবে হাওড়া থেকে পাটনার মধ্যে। কলকাতা এবং পাটনার মধ্যে দ্রুততম সংযোগ স্থাপন করবে চতুর্থ বন্দে ভারত। ভারতীয় রেল সূত্রে জানা গিয়েছে ইতিমধ্যে হাওড়া পাটনা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে। কখন ছাড়বে হাওড়া থেকে এবং পাটনা থেকেই বা কখন রওনা দেবে? সে নিয়ে আলোচনা চলছে। ভাড়া নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

    হাওড়া-পাটনা বন্দে ভারতের ভাড়া কত হবে?

    পাটনা থেকে হাওড়া রেলপথে দূরত্ব হল ৫৩৫ কিলোমিটার। জানা গিয়েছে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে বন্দে ভারত সময় নেবে ৭ ঘণ্টা। সেমি হাই স্পিডের এই ট্রেন ছুটবে ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বন্দে ভারতের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। পাটনা-হাওড়া বন্দে ভারতের (Vande Bharat) ভাড়া নিয়ে এখনও পর্যন্ত রেল কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেই জানা গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা  বিভিন্ন রুটে বন্দে ভারতের ভাড়া বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন যে হাওড়া থেকে পাটনা যেতে, এসি এক্সিকিউটিভের বন্দে ভারতের ভাড়া হতে পারে ২৬৫০ টাকা। অপরদিকে, এসি চেয়ারকারের জন্য ১,৪৫০ টাকা ভাড়া হতে পারে। হাওড়া থেকে পাটনা পর্যন্ত বন্দে ভারতের (Vande Bharat) স্টপেজ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে বলেই জানা গিয়েছে।

    পুজোয় বন্দে ভারতে থাকছে স্পেশাল মেনু

    পুজোর আর খুব বেশিদিন দেরি নেই। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালি পুজোর সময়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। সে কথাকে মাথায় রেখে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসেও (Vande Bharat) আসতে চলেছে পুজোর স্বাদ। লুচি, আলুর দম, বাসন্তী পোলাও এইসব দিয়েই দুর্গাপুজোর স্পেশাল মেনু বানানোর পরিকল্পনা করেছে বন্দে ভারত। রসগোল্লা এবং মিষ্টি দইও থাকছে সঙ্গে। এমনটাই জানাচ্ছেন রেল আধিকারিকরা।  প্রসঙ্গত জানুয়ারি মাসেই বাংলা পেয়েছে প্রথম বন্দে ভারত (Vande Bharat)। তাই সেমি হাইস্পিডের এই ট্রেন রাজ্যে প্রথমবার দুর্গাপুজো দেখবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • 2000 Notes: ২ হাজার টাকার নোটের ৮৮ শতাংশই ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে, জানাল আরবিআই

    2000 Notes: ২ হাজার টাকার নোটের ৮৮ শতাংশই ব্যাঙ্কে ফেরত এসেছে, জানাল আরবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে বাজারে থাকা দু হাজার টাকার নোটের মোট ৮৮ শতাংশই তাদের কাছে ফিরে এসেছে। যার মূল্য ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৯ মে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। এবং সেখানে বলা হয় যে বাজার থেকে ২,০০০ টাকার নোট (2000 Notes) তুলে নেওয়া হবে। সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয় চলতি বছরে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ২,০০০ টাকার (2000 Notes) নোটগুলি ব্যাঙ্কে এসে হয় বদল করে নিতে হবে অথবা অ্যাকাউন্টে জমা দিতে হবে।

    নোট বদলের থেকে জমা করার প্রবণতা বেশি

    সবে অগাস্ট মাস শুরু হয়েছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এখনও পর্যন্ত দুই মাস বাকি রয়েছে নোট জমা বা বদলের জন্য।  অথচ তারই মধ্যে ৮৮ শতাংশ নোট ফিরে চলে এসেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হিসাব বলছে, ১৯ মে পর্যন্ত বাজারে ৩ লক্ষ ৬২ হাজার কোটি টাকার মূল্যের ২,০০০ টাকার (2000 Notes) নোট চালু ছিল। যার মধ্যে তাদের কাছে ফিরে এসেছে  ৩ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। ব্যাঙ্কে এসে নোট বদল করার চেয়েও জমা করার প্রবণতা বেশি দেখা গিয়েছে। ব্যাঙ্কে নোট জমা করার প্রবণতা বেশি হওয়ায় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন,‘‘এর ফলে ব্যাঙ্কের কাছে নগদের যে সমস্যা তৈরি হচ্ছিল, তা অনেকটাই কাটবে এবং দেশের মানুষের নোট জমা করার প্রবণতার ফলে দেশের ব্যাঙ্কগুলিতে বাড়তে থাকবে ডিপোজিট।’’

    ৩০ সেপ্টেম্বরের পরেও অবৈধ হবেনা ২,০০০ টাকার নোট (2000 Notes)

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসের ৮ তারিখে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস জানিয়েছিলেন যে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেও নোট জমা না পড়লে তা অবৈধ হয়ে যাবে না। ২,০০০ টাকার (2000 Notes) নোট বদল করা বা জমা করার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে সে সময় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর বলেন, ‘‘বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে আমাদের কাছে যে তথ্য এসেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ শতাংশ টাকা গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।’’ অর্থাৎ কিনা নোট বদল করার থেকেও জমা করার প্রবণতা বেশি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় ইডির তলব ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’ বোলপুরের চেয়ারম্যানকে

    Anubrata Mondal: গরুপাচার মামলায় ইডির তলব ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’ বোলপুরের চেয়ারম্যানকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের অগাস্ট মাস গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। প্রথমে আসানসোল জেলে থাকার পরে এখন তাঁর ঠাঁই তিহাড়ে। এবার এই মামলা নতুন দিকে মোড় পেল। ইডির রেডারে এবার বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান পর্ণা ঘোষ এবং তাঁর স্বামী সুদীপ্ত ঘোষ। দুজনকেই তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। জানা গিয়েছে, ৪ অগাস্ট দিল্লিতে তলব করা হয়েছে কেষ্ট ঘনিষ্ঠ এই দুই নেতা-নেত্রীকে। পাশাপাশি বোলপুর পুরসভার অপর কাউন্সিলর এবং এক ব্যবসায়ীকেও ডেকে পাঠিয়েছে ইডি।

    কী বলছেন বীরভূম তৃণমূল নেতৃত্ব? 

    বীরভূম তৃণমূলের অন্যতম নেতা তথা বোলপুরের বিধায়ক রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ বলেন, ‘‘আমি জানি না হঠাৎ কেন তলব করা হল। তবে এ সব করে দলের মনোবল ভাঙা যাবে না।’’ পর্ণা-সহ বাকি তৃণমূলের নেতারা দিল্লিতে হাজিরা দিতে যাবেন কি না, সে ব্যাপারেও সঠিকভাবে কিছু বলতে পারেননি রাজ্যর মন্ত্রী। অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) বীরভূমে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল লেগেই রয়েছে। নতুনভাবে রাজনীতিতে ফিরে এসেছে কেষ্টর বিরোধী নেতা বলে পরিচিত কাজল সেখ। এমন অবস্থায় ফের একবার অনুব্রত-ঘনিষ্ঠদের (Anubrata Mondal) ইডির তলব জেলার রাজনীতিতে তৃণমূলকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

    কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ পর্ণা 

    বীরভূমের রাজনীতিতে পর্ণা ‘কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ’ (Anubrata Mondal) বলেই পরিচিত। শুধু তাই নয় তদন্তে উঠে এসেছে, ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া অনুব্রতের হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারির সঙ্গেও পর্ণার যোগ ছিল। পাশাপাশি মণীশের একাধিক সম্পত্তিতেও পর্ণা-যোগ খুঁজে পায় ইডি। ২০২১ সালে বোলপুর পুরসভার মেয়াদ ফুরোয়। এরপরেই প্রশাসক নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, সেই সময়ে পর্ণাকে বসানো হয় বোলপুর পুরসভার প্রশাসক পদে। এরপর করোনা পরবর্তীকালে ২০২২ সালে পুরসভা ভোট হয়। ভোটের পরে ফের পর্ণাকেই চেয়ারম্যন করে তৃণমূল।

     

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূল এখন জাতও চুরি করছে”, শংসাপত্রকাণ্ডে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ০২/০৮/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ০২/০৮/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১)  শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্যকে টাকা ধার দিয়ে থাকলে, তা ফিরে পেতে পারেন। 

    ২) কর্মক্ষেত্রে দিন ভালো কাটবে। 
         
    বৃষ

    ১) নতুন কাজ শুরুর জন্য দিন ভালো। 

    ২) সরকারি চাকরিজীবীদের বেতনবৃদ্ধি সম্ভব। 
              

    মিথুন

    ১) সন্ধ্যাবেলা পরিবারের ছোটবাচ্চাদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করে সময় কাটাবেন।

    ২)  ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে অধিক পরিশ্রম করতে হবে।  

    কর্কট

    ১) কোথাও লগ্নির পরিকল্পনা থাকলে, দিন অনুকূল।

    ২) ব্যবসায়ীরা চোখ বন্ধ করে কারও ওপর ভরসা করবেন না।  
                 

    সিংহ 

    ১) শ্বশুরবাড়ি থেকে কিছু জিনিস লাভ করতে পারেন।

    ২) বন্ধুদের সাহায্যের জন্য অগ্রসর হবেন।         

    কন্যা

    ১) পরিবারের কোনও সদস্যের ইচ্ছা পূর্ণ না-হওয়ায় সকলে অবসাদে থাকবেন।
     
    ২) বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।         

    তুলা 

    ১) শারীরিক সমস্যায় জর্জরিত থাকলে সমস্যা বাড়তে পারে। তাই স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    ২) সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে যেতে পারেন। 

    বৃশ্চিক

    ১) মা অসুস্থ থাকলে তাঁর স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, কারণ তাঁর সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) কারও সঙ্গে লেনদেন করার চিন্তাভাবনা করে থাকলে এখনই তা বাতিল করুন, কারণ এর জন্য দিন অনুকূল নয়।        

    ধনু

    ১) অংশীদারীত্বে ব্যবসার পরিকল্পনা করে থাকলে দিন ভালো।

    ২) ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষায় আগত বাধা দূর করার জন্য গুরুজন ও বাবার সাহায্য পাবেন।

    মকর

    ১) জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে স্নেহ পাবেন।

    ২) শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের কাছ থেকে সাহায্য পাবেন।       

    কুম্ভ

    ১) বোনের বিয়েতে বাধা এলে বন্ধুর সাহায্যে সেই সমস্যা দূর হবে।

    ২) সন্ধ্যাবেলা কোনও আত্মীয়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বা ফোনে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে পারেন।
             

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে নতুন প্রস্তাব আপনার হাতে আসবে।
     
    ২)  বিরোধী অধিক শক্তিশালী, তাই সতর্ক থাকুন।        

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Malda: ‘আপনারা কি পুতুল’? মালদাকাণ্ডে পুলিশ আধিকারিককে ধমক জাতীয় মহিলা কমিশনের

    Malda: ‘আপনারা কি পুতুল’? মালদাকাণ্ডে পুলিশ আধিকারিককে ধমক জাতীয় মহিলা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার দুই মহিলা নির্যাতনের ঘটনায় দিল্লি থেকে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা মালদায় (Malda) আসেন। সোমবার হাওড়ার পাঁচলায় ‘নির্যাতিতা’ বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। এদিন মালদার মানিকচকে দুই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। আর ওই দুই মহিলার মুখ থেকে গত ১৮ জুলাইয়ের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা শুনে পুলিশের উপর বেজায় চটেছেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন।

    পুলিশ আধিকারিককে কী বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    মালদার (Malda) বামনগোলার পাকুয়াহাটের ঘটনায় ‘নির্যাতিতা মহিলাদেরই গ্রেফতার করা হল কেন? আপনারা কি পুতুল? মালদা পুলিশের ডিএসপি (ডিএনটি) আজহারউদ্দিন খানকে এমন প্রশ্নই করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। ওই পুলিশ আধিকারিকেরা জাতীয় মহিলা কমিশনের ওই প্রতিনিধিদের জবাব দেন, ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনাচক্রে, গত ২৬ এপ্রিল মালদহেরই মুচিয়া চন্দ্ৰমোহন হাই স্কুলের ভরা ক্লাসঘরে ঢুকে পড়ে এক বন্দুকবাজ। পড়ুয়াদের উদ্দেশে বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি দিতে থাকে সে। সেই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে নিজের জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন ডিএসপি আজহারউদ্দিন। পিস্তল উঁচিয়ে থাকা ওই যুবককে পাকড়াও করেন তিনিই।

    মালদাকাণ্ড (Malda) নিয়ে কী বললেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন?

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন  সাংবাদিকদের সামনে বলেন, চুরির ঘটনা প্রমাণিত হল না, অথচ ওই দুই মহিলা ছয়দিন জেল খাটলো। আর যদি ঘটনাটি ঘটেই থাকতো, তাহলে এভাবে ওদের মারার অধিকার দিয়েছে কে? অর্ধনগ্ন এবং আহত অবস্থায় ওই দুই মহিলাকে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে থানায় বসিয়ে রাখে পুলিশ। এমনকী ওদের মিথ্যা মামলা দিয়ে  জেলে পুড়েছে। এব্যাপারে জাতীয় মহিলা কমিশন চুপ করে বসে থাকবে না। প্রয়োজনে আইনজীবীর পরামর্শ নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই ঘটনার অভিযোগ জানানো হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share