Blog

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ২৪/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ২৪/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) পূজার্চনা থেকে সময় বের করে ধর্মীয় যাত্রায় উপস্থিত হবেন। দানের ইচ্ছা থাকবে। 

    ২) ব্যবসার পরিস্থিতি ভালো নয়। তাই লাভ অর্জনের নীতি অবলম্বন করবেন।
         
    বৃষ

    ১) দিনের শুরু ও শেষ ছাড়া পুরো সময় মানসিক জটিলতায় ভুগবেন। 

    ২) চাকরি ও ব্যবসায় সাফল্যের আনাগোনা লেগে থাকবে।          

    মিথুন

    ১) কিছু সময়ের জন্য ব্যবসায়ীরা হতাশ থাকবেন ও লোকসানের আশঙ্কা করবেন।

    ২) স্বাস্থ্য ভাল থাকবে না আজ।

    কর্কট

    ১) আজ পরিশ্রম করলে ভবিষ্যতে লাভান্বিত হবেন। 

    ২) তাড়াহুড়োয় কাউকে টাকাপয়সা সংক্রান্ত কোনও প্রতিশ্রুতি দেবেন না।             

    সিংহ 

    ১) বিপরীত লিঙ্গের কোনও ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার সময় অধিক সতর্ক থাকুন।

    ২) কেউ সহজে আপনার ভুল ধরে ফেলবে, যার ফলে পড়ে সমস্যায় পড়তে পারেন।        

    কন্যা

    ১) সরল ও সাত্বিক কাজ থেকে সরে ভুলভাল কাজের প্রতি আপনার মন আকৃষ্ট হবে।
     
    ২) চাকরিজীবীরা সহকর্মী বা অন্য কোনও ব্যক্তির সঙ্গে ছোটখাট কথায় বিবাদে জড়িয়ে পড়বেন।       

    তুলা 

    ১) কাজ ও ব্যবসার জটিলতার কারণে মেজাজ খিটখিটে থাকবে।

    ২) কারও ভুলের জন্য অন্যকে দোষ দিলে আপনার সম্মান কমবে।   

    বৃশ্চিক

    ১) আজ পরিশ্রমের ফল না-পাওয়ায় রেগে যাবেন।

    ২) দিনের শুরুতে শান্ত থাকলেও, সারা দিন অযথা দৌড়ঝাঁপ করে যাবেন।        

    ধনু

    ১) চাকরিজীবীরা আধিকারিকদের থেকে সতর্ক থাকুন। ছোটখাট ভুলও ক্ষমার যোগ্য নয়।

    ২) মাঝরাতের পর দৌড়ঝাঁপ করে সময় কাটাতে হবে। 

    মকর

    ১) সহকর্মীরা সামনে থেকে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করলেও পরে সমস্যা হতে পারে।  

    ২) ঋণ বেশি হওয়ায় হাতে টাকা টিকবে না।         

    কুম্ভ

    ১) পরিবারের কোনও ব্যক্তির খিটখিটে মেজাজের কারণে বাড়ির পরিবেশ নষ্ট হবে।  

    ২) সন্ধ্যার পর অসুস্থ হতে পারেন।

    মীন

    ১) বাড়ির বরিষ্ঠদের পরামর্শ উপেক্ষা কররবেন না, তা না-হলে পরে অনুতাপ হতে পারে।
     
    ২) কর্মক্ষেত্র ও ব্যবসায় ওঠাপড়া লেগে থাকবে।          

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • PM Modi: দিল্লির প্রগতি ময়দানের নয়া কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: দিল্লির প্রগতি ময়দানের নয়া কনভেনশন সেন্টারের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংস্কার করা হয়েছে দিল্লির প্রগতি ময়দান। সেখানেই তৈরি হয়েছে নয়া কনভেনশন সেন্টার। ২৬ জুলাই এরই উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সেপ্টেম্বরে রয়েছে জি-২০ লিডার্স সামিট। সরকারি সূত্রের খবর, সেই সামিট হবে নয়া এই কনভেনশন সেন্টারে। নয়া এই ভবনের নাম ইন্টিগ্রেটেড এক্সিবিশান কাম কনভেনশন সেন্টার। প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফে জানানো হয়েছে, ইন্ডিয়া ট্রেড প্রমোশান অর্গানাইজেশন কমপ্লেক্স, যেখানে ভারতের জি-২০ লিডার্স সামিট হবে, সেটির উদ্বোধন হবে ২৬ জুলাই।

    প্রগতি ময়দান

    তবে তারা জানায়নি যে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এই ভবনের উদ্বোধন করবেন। সরকারি একটি সূত্রেই খবর, ভবনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। প্রগতি ময়দানের মালিকানা রয়েছে ইন্ডিয়া ট্রেড প্রমোশান অর্গানাইজেশনের হাতে। ১২৩ একর জায়গাজুড়ে রয়েছে এই ময়দান। মিটিং, কনফারেন্স কিংবা প্রদর্শনীর জন্য এটাই ভারতের দীর্ঘতম ময়দান। বিশ্বের প্রথম পর্যায়ের ১০টি প্রদর্শনী এবং কনভেনশন কমপ্লেক্সের মধ্যে রয়েছে দিল্লির এই ময়দান। এই ১০টির মধ্যেই পড়ে জার্মানির হ্যানোভার এক্সিবিশান সেন্টার, সাংহাইয়ের ন্যাশনাল এক্সিবিশান অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারও।

    আসন সংখ্যা

    জানা গিয়েছে, দিল্লির (PM Modi) এই কনভেনশন সেন্টারেই হবে জি-২০ সামিট। আসন সংখ্যা সাত হাজার। সিডনির অপেরা হাউসে রয়েছে এর চেয়েও ঢের কম আসন। সেখানে আসন সংখ্যা মাত্রই পাঁচ হাজার। প্রসঙ্গত, প্রগতি ময়দানের সংস্কার শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। ২০১৯ সালের মধ্যে সংস্কারের কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে ওই সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করা যায়নি। কাজ করছিল এনবিসিসি (ইন্ডিয়া) লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি। ইন্টিগ্রেটেড এক্সিবিশান কাম কনভেনশন সেন্টার নির্মাণের পাশাপাশি প্রকল্পের মধ্যে ছিল একটি নতুন এক্সিবিশন হল নির্মাণ।

    আরও পড়ুুন: বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে তলব দিল্লিতে! কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    উদ্বোধন হওয়ার (PM Modi) পরে এখানেই হবে জি-২০ লিডার্স সামিট। গত বছর জি-২০ সামিট আয়োজনের দায়িত্ব পায় ভারত। তার পর থেকে গত এক বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে নানা অনুষ্ঠান। এই সামিট হয়েছে কাশ্মীরেও। শেষ সামিটটি হবে নয়া দিল্লিতে। তার পরেই শেষ হবে বছরব্যাপী এই সামিটের। এর পর ফের সামিট আয়োজনের ব্যাটন চলে যাবে অন্য কোনও দেশের হাতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: দলেরই প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: দলেরই প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে পেটানোর অভিযোগ উঠল শাসক দলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি। রবিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যা এবার টিকিট না পেয়ে নির্দলকে সমর্থন করেছিলেন। শনিবার তারা কংগ্রেসে যোগ দেন। আর তারপরই এদিন তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আক্রান্ত মহিলা ২০১৮ সালে এই এলাকায় তৃণমূলের (TMC)  পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। এবার দলের পক্ষ থেকে তিনি টিকিট পাননি। তৃণমূলের বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী দাঁড়ায়। শাসক দলের প্রাক্তন সদস্যা সহ বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা শাসক দলের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্দল প্রার্থীকে তাঁরা সমর্থন করেন। ভোটের পর নির্দল অনুগামীরা সকলেই কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যাও কংগ্রেসে যোগদান করেন। আর এতেই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে ওই প্রাক্তন সদস্যার উপর। এদিন দুপুরে তারা এলাকায় বসেছিলেন। আচমকা তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে এসে হামলা চালায়। তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যাকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক পেটানো হয়। চোখের সামনে হামলা চালাতে দেখে দুজন কংগ্রেস কর্মী বাঁচাতে যান। তৃণমূলের হামলায় তাঁরাও গুরুতর জখম হন। আক্রান্ত কংগ্রেস কর্মীর নাম মহম্মদ বজরুল কেরিম এবং গোলাম সেখ। ঘটনায় ওই মহিলা সহ তিনজন কংগ্রেস কর্মীকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে বড়ঞা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে, চিকিৎসকেরা তাঁদের কান্দি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্যা?

    আক্রান্ত তৃণমূলের (TMC) প্রাক্তন সদস্যা বলেন, ২০১৮ সালে আমি তৃণমূলের সদস্যা ছিলাম। এখন আমরা নির্দলকে সমর্থন করেছিলাম। পরে, কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। এটাই আমাদের অপরাধ। তারজন্য তৃণমূলের লোকজন আমাকে বিবস্ত্র করে সকলের সামনে পিটিয়েছে। বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাকে বাঁচাতে এসে দুজন আক্রান্ত হয়ছেন। তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) নেতা মাহে আলম বলেন, পারিবারিক গণ্ডগোল। এরসঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Botanical Garden: শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৩০ টাকা

    Botanical Garden: শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ মূল্য ১০ টাকা থেকে বেড়ে হচ্ছে ৩০ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার এ জে সি বোস ইন্ডিয়ান বোটানিক গার্ডেনের (Botanical Garden) প্রবেশ মূল্য বাড়ছে। ভারতীয় নাগরিকদের জন্য এই প্রবেশ মূল্য আগে ছিল ১০ টাকা। তা বেড়ে হচ্ছে ৩০ টাকা। একই ভাবে বিদেশি নাগরিকদের জন্য এই প্রবেশ মূল্য ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া বাগানে ফটোগ্রাফির চার্জ ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা হচ্ছে। হাওড়ার শিবপুরে বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যেই প্রবেশ মূল্য বৃদ্ধির নোটিস বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায় টাঙিয়ে দিয়েছে গার্ডেনের প্রবেশ দ্বারে। ১ অগাস্ট থেকে এই নতুন হারে প্রবেশ মূল্য নেওয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ নোটিসে জানিয়েছে।

    কী বললেন গার্ডেনের (Botanical Garden) জয়েন্ট ডিরেক্টর?

    বোট্যানিক্যাল গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দর সিং জানিয়েছেন, বাগানের যে ম্যানেজমেন্ট কমিটি আছে, সেই কমিটির প্রধান রাজ্যের চিফ সেক্রেটারি। গত মাসে সেই ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকেই এই টিকিট মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব পাশ হয়। তিনি বলেন, যাঁরা বাগানে (Botanical Garden) প্রাতঃভ্রমণে আসেন, তাঁদের প্রবেশ মূল্য কিছুটা বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা বাড়ানোর কোনও সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তিনি বলেন, গবেষণার কাজে বা স্কুল পড়ুয়ারা একসঙ্গে বাগানে এলে স্কুল থেকে চিঠি দিলে তাদের জন্য কোনও প্রবেশ মূল্য লাগবে না। বাকিদের প্রবেশ মূল্য দিয়েই বাগানে ঢুকতে হবে। দেবেন্দর সিং বলেন, বহু জায়গা থেকে ওয়েডিং ফটোগ্রাফি, ডকুমেন্টেশন ফটোগ্রাফি ও সিনেমাটোগ্রাফির জন্যও আবেদন আসছে। ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সেই বিষয়টিও উত্থাপন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে তা অনুমোদন এলেও বোটানিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অধিকর্তার কাছ থেকে আলাদা করে অনুমোদন নিয়ে তবেই সেই সুযোগ দেওয়া হবে।

    কী প্রতিক্রিয়া প্রাতঃভ্রমণকারীদের (Botanical Garden)? 

    বি গার্ডেনে প্রতিদিন প্রাতঃভ্রমণে আসা ব্যক্তিদের সংগঠন বোটানিক্যাল গার্ডেন (Botanical Garden) ডেইলি ওয়াকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক তাপস দাস বলেন, এটা একটা গবেষণার বাগান। প্রতিদিন বহু ছাত্র-ছাত্রী গবেষণার কাজেও এই বাগানে প্রবেশ করেন। এখানে এক ধাপে এতটা প্রবেশ মূল্য বাড়ানো ঠিক হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Diet: ভারতীয়রা ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে, নিয়মিত ঘাটতি ফাইবারেও

    Diet: ভারতীয়রা ভুগছেন প্রোটিনের অভাবে, নিয়মিত ঘাটতি ফাইবারেও

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিসের সমস্যায় জেরবার অধিকাংশ ভারতীয়। শুধু প্রৌঢ় কালের নয়। এই সমস্যা এখন কম বয়সীদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। আর ডায়াবেটিসের সঙ্গে হাজির হচ্ছে স্থূলতা, উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো হাজার সমস্যা। খাদ্যাভ্যাসকে অনেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছেন। খাবারে রাশ টানলে অনেক বিপদ কমবে, এই ভাবনা থেকেই নিজের মতো করে ডায়েট (Diet) করছেন। আর তাতে সমস্যা আরও বাড়ছে বলেই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভারতীয়দের অনভিজ্ঞ ডায়েট নানা শারীরিক সমস্যা তৈরি করছে। এমনকী একাধিক রোগের কারণ হচ্ছে এই ইচ্ছে মতো অবৈজ্ঞানিক ডায়েট।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ডায়েটিক সোসাইটির এক রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ ভারতীয় প্রোটিনের অভাবে ভোগেন। দিনে প্রয়োজনের তুলনায় ৬০ গ্রাম কম প্রোটিন (Diet) খান অধিকাংশ ভারতীয়। পাশপাশি, ফাইবারের ঘাটতিতেও ভুগছেন অধিকাংশ ভারতীয়। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতিদিন ৮ থেকে ১৫ গ্রাম কম ফাইবার খাওয়ার জেরে একাধিক শারীরিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

    পর্যাপ্ত প্রোটিন ও ফাইবারের অভাবে কোন রোগের ঝুঁকি বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পর্যাপ্ত পুষ্টি সমস্ত রোগকেই প্রতিরোধ করতে দেহকে তৈরি করে। ফাইবার, প্রোটিনের মতো জরুরি উপাদান শরীরে পর্যাপ্ত না থাকলে, একাধিক সমস্যা তৈরি হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ফাইবার কোলেস্টেরল ও স্থূলতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার (Diet) না খেলে সমস্যা বাড়বে। এছাড়া ফাইবার হৃদরোগ রুখতেও সাহায্য করে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করে। তাই ফাইবারের ঘাটতি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও ফাইবার সাহায্য করে। মহিলাদের ২৫ গ্রাম ও পুরুষের ৩৮ গ্রাম ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি। 
    আর প্রোটিনের অভাব শরীরের জন্য আরও ক্ষতিকারক বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, প্রোটিন শরীরের পেশি, মাংস, হাড়ের শক্তি বাড়ায়। পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে হাড়ের জোর কমে। হাড় ক্ষয় হতে পারে। শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কোনও কাজেই ক্লান্তি বোধ হয়। পাশপাশি পেশির শক্তি কমতে থাকে। যার জেরে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সমস্যা তৈরি হয়।

    কোন খাবার নিয়মিত খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা? 

    পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, যে কোনও রোগের জন্য ডায়েট (Diet) করতে হলে, সব রকম শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে, বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডায়েট শুরু করা দরকার। অনভিজ্ঞ ডায়েট চার্ট বিপজ্জনক। ফাইবারের ঘাটতি কমাতে পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, নিয়মিত, আপেল, ন্যাশপাতি, স্ট্রবেরির মতো ফল খাওয়া উচিত। তাঁরা জানাচ্ছেন, খোসা শুদ্ধ আপেল খেলে অনেকটাই ফাইবার শরীরে যায়। তবে, স্ট্রবেরিতে ফাইবারের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম স্ট্রবেরির মধ্যে ২ গ্রাম ফাইবার থাকে। 
    পাশপাশি গাজর, মিষ্টি আলু, শিম, ব্রোকলির মতো সব্জিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। এই ধরনের সব্জি নিয়মিত খেলে ফাইবারের ঘাটতি কমে। 
    এছাড়াও রয়েছে ছোলার মতো দানা শস্য। যা ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার। 
    প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করতে নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত কুসুম সহ ডিম খেলে শরীরে একাধিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে। ডিমে ভিটামিন, প্রোটিন রয়েছে। তাই যে কোনও ভাবেই ডিম খেলে, প্রচুর উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও মাছ, চিকেনের মতো খাবার থেকে প্রাণীজ প্রোটিন পাওয়া যায়। তাছাড়া পনির, সোয়াবিন, তফু থেকেও প্রোটিন পাওয়া যায়। তাই নিয়মিত এই ধরনের খাবার খেলে শরীর প্রয়োজনীয় প্রোটিন পাবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।
  • Purba Bardhaman: ভোট বিজেপিতে, তাই হচ্ছে না রাস্তা! প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    Purba Bardhaman: ভোট বিজেপিতে, তাই হচ্ছে না রাস্তা! প্রতিবাদে অবরোধ করে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি প্রভাবিত গ্রাম। পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসক বিরোধী ভোট পড়েছে বিজেপিতে। ঠিক এই অভিযোগে রাস্তা সারাইয়ে দ্বিচারিতা রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। আর তাই বেহাল রাস্তা সারানোর দাবিতে অবরোধ করলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। রবিবার ঘটনাকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের বনগ্রাম ও গোমহল এলাকায়।

    মূল সমস্যা কী (Purba Bardhaman)?

    বুদবুদের চাকতেঁতুল পঞ্চায়েতের (Purba Bardhaman) ডিভিসি ক্যানালের লকগেট থেকে পান্ডুদহ সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা। সেচ ক্যানালের পাড়ে এই রাস্তার ওপর রয়েছে বনগ্রাম, গোমহল সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। এছাড়াও ওই রাস্তার ওপর নির্ভর করে রয়েছে কয়েকশো হেক্টর চাষজমিও। লাল মোরামের ওই রাস্তাটি একদশকের বেশি সময় ধরে বেহাল দশায়। খানাখন্দে ভর্তি। কোথাও আবার এক হাঁটু গর্ত। বৃষ্টিতে আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় গ্রামবাসীদের। বেহাল রাস্তায় সমস্যায় পড়তে হয় স্কুল পড়ুয়া থেকে রোগীদের। জানা গেছে, গত অর্থ বছরে পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ থেকে ১ কিলোমিটার রাস্তা পিচ করার অনুমোদন দেয়। বাকি প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় আরও বেহাল হয়ে পড়েছে। এছাড়াও অভিযোগ, ওই রাস্তার ওপর দিয়ে অবৈধ বালি বোঝাই ট্রাক্টরের অবাধ আনাগোনা। দামোদর নদের শাঁকুড়ি, শালডাঙা ঘাট থেকে দিন-রাত চলে অবৈধ বালিবোঝাই ট্রাক্টর। তার জেরে মোরামের ওই রাস্তা ভেঙে পড়েছে। বছর দুয়েক আগেও গ্রামবাসীরা রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে সরব হয়েছিল। গোটা রাজ্য যখন রাস্তাশ্রী, পথশ্রীতে মাতোয়ারা, সেখানে এই চিত্র প্রতিহিংসার ছবি ছাড়া আর কিছুই না।

    গ্রামবাসীদের বক্তব্য

    ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা (Purba Bardhaman) জানান, “গ্রামে ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজে, হাসপাতাল ও বাজারে যাওয়ার একমাত্র অবলম্বন এই রাস্তা। বর্ষায় এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সাইকেল মোটরবাইক নিয়ে চলাচল দূর অস্ত, পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।” বাসিন্দারা আরও জানান,”বনগ্রাম, গোমহল থেকে পূর্ব ও পশ্চিম দুদিকে কমপক্ষে আড়াই কিলোমিটার কর্দমাক্ত, খানাখন্দে ভরা রাস্তায় হেঁটে যেতে হয়। তারপর একটু ভালো রাস্তা পাওয়া যায়। বহুবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কাজের কাজ হয়নি। চরম দুর্ভোগে গ্রামবাসীরা।”

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) বিজেপি কর্মী, বর্ণালী মাজি জানান, “রাজ্যে পরিবর্তনের সরকার ক্ষমতায় আসার পর গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ওই রাস্তাটি পাকা হবে। ১২ বছরে এখনও পাকা হয়নি। গ্রামবাসীরা বেহাল রাস্তা নিয়ে ‘দিদিকে বলো’তে অভিযোগ করেছিল, ছবি তুলেও পাঠিয়েছিল। তারপরও রাস্তাটি সারানো হয়নি।” আরেক বিজেপি নেতা প্রদ্যুত মণ্ডল বলেন,”সম্প্রতি পঞ্চায়েত ভোটেও ১১ টি গ্রাম সংসদে বিজেপির ভোট বেশি থাকায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার রাস্তাটি সংস্কারে উদ্যোগ নেয়নি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূল পরিচালিত চাকতেঁতুল (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের প্রাধান অশোক ভট্টাচার্য্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,”রাস্তাটি নতুন করে তৈরির জন্য জেলায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে পিচ রাস্তা তৈরির উদ্যোগ জেলা পরিষদ নিয়েছে। ১ কিলোমিটার পিচ হয়েছে। বাকি রাস্তা খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।” 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal BJP: বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে তলব দিল্লিতে! কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    Bengal BJP: বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে তলব দিল্লিতে! কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সদ্য সমাপ্ত পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোটের হিংসা দেশ জুড়ে খবরের শিরোনামে এসেছে। ভোট লুঠ, ছাপ্পা সত্ত্বেও বিজেপি (Bengal BJP) দশ হাজারের ওপর গ্রামসভা জিতেছে। আবার বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। এই আবহে কেন্দ্রীয় তলবে রবিবার দিল্লি উড়ে গেলেন বঙ্গ বিজেপির তিন গুরুত্বপূর্ণ নেতা শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক হিংসার পরে, ২১ জুলাই অভিষেক-মমতা বিজেপি নেতাদের ‘বাড়ি ঘেরাও’ এর নিদান দিয়েছেন। এতেও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ উত্তপ্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে মমতা-অভিষেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন শুভেন্দু। নিশ্চিতভাবে দিল্লিতে ‘বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচির কথাও উঠবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের। 

    কী বলছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষরা?

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতির পাশাপাশি লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হবে দিল্লিতে। সোমবারের বৈঠকে হাজির থাকবেন রাজ্যের সমস্ত সাংসদ, সাংগঠনিক পদাধিকারীরা। পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে বিজেপির (Bengal BJP) সত্তরের বেশি বিধায়ক এবং ১৬ জন সাংসদ রয়েছেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘‘মুখে কংগ্রেস, সিপিএম যতই তৃণমূল বিরোধিতা করুক, রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি সাংঠনিকভাবে প্রতিষ্ঠিত। তৃণমূলের বিকল্প হিসাবে গেরুয়া শিবির নিজেকে তুলে ধরতে পেরেছে।’’

    জাতীয় স্তরের জোটের ফলে রাজ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট কংগ্রেস-সিপিএমের

    রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের এও ধারণা, ‘‘জাতীয় স্তরে জোটের নামে কংগ্রেস-সিপিএম-তৃণমূল এক হয়েছে। এর ফলে বাংলার মানুষের কাছে কংগ্রেস-সিপিএমের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়েছে।’’ এমন অবস্থায় বাংলার শাসক দলের বিপক্ষে থাকা ভোট যে বিজেপির (Bengal BJP) দিকেই যাবে তা একপ্রকার নিশ্চিত। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র ৭ মাস বাকি রয়েছে। পশ্চিবঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতি, সন্ত্রাস ইস্যুতে তৃণমূল বেশ ব্যাকফুটে। তাই অমিত শাহের বেঁধে দেওয়া ৩৫ আসনের টার্গেট কীভাবে পূরণ হবে, সেটাই আলোচিত হতে পারে দিল্লিতে। অন্তত এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: হরিশ্চন্দ্রপুরে গভীর রাতে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার তাজা বোমা, তীব্র চাঞ্চল্য

    Malda: হরিশ্চন্দ্রপুরে গভীর রাতে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার তাজা বোমা, তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার গভীর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) হাসপাতাল এলাকার পিছন দিকে একটি ইটভাটা সংলগ্ন ধানক্ষেত থেকে তিনটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় বোমা উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল রাত থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলায় বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পক্ষ থেকে। আজ স্কোয়াডের পক্ষ থেকে বোমাগুলিকে এলাকায় নিষ্ক্রিয় করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকা কড়া পুলিশি নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে রাখা হয়েছে। অপর দিকে আজকেই বাঁশবাগান থেকে বোমা উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য মুর্শিদাবাদে।

    কীভাবে উদ্ধার বোমা (Malda)?

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) গ্রামীণ হাসপাতালের ঠিক পিছন দিকেই একটি ইটভাটা রয়েছে। সেই ইটভাটার পাশে একটি ধানের জমিতে গতকাল রাতে সুতলি বোমের মতো তিনটি বস্তু দেখতে পায় স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ তদন্ত করে দেখতে পায়, ধানের জমিতে তিনটি সুতলি বোমা রাখা আছে। পুলিশ তৎক্ষণাৎ ওই জমিতে গর্ত করে বোমাগুলিকে মাটির তলায় পুঁতে দেয়। এলাকায় মোতায়ন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী।

    পুলিশের বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda) পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় গিয়ে তিনটি বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।। কে বা কারা ওই এলাকায় বোমা রেখেছে, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। আপাতত বোম্ব স্কোয়াডকে খবর দেওয়া হয়েছে।

    সামশেরগঞ্জে বোমা উদ্ধার

    পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই মালদার (Malda) পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জেও ফের তাজা বোমা উদ্ধার। এবার সামশেরগঞ্জের কাকুরিয়া সংলগ্ন প্রতাপগঞ্জের গঙ্গা তীরবর্তী এলাকার বাঁশবাগান থেকে বালতি ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করল সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ। শনিবার রাতেই প্রতাপগঞ্জের গঙ্গা তীরবর্তী এলাকা থেকে বালতি ভর্তি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়। রবিবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। রাত থেকেই বোমা রাখার জায়গা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বোম্ব স্কোয়াড টিমকে। কে বা কারা কাকুরিয়া গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় বোমগুলো মজুত রেখেছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এদিকে পঞ্চায়েত ভোট পর্ব শেষ হলেও তাজা বোমা উদ্ধারের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bagtui: বগটুই গ্রামে ফের তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

    Bagtui: বগটুই গ্রামে ফের তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বীরভূমের বগটুই (Bagtui) গ্রামে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকের বাড়িতে আগুন দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূল কর্মীর বিছানার বেশ কিছুটা অংশ আগুন লেগে পুড়ে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বগটুই (Bagtui) গ্রামের পূর্ব পাড়ায় তৃণমূল সমর্থক আলম শেখের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরিবারের সদস্য মুর্শিদা বিবির বক্তব্য, জানলা দিয়ে দলীয় পতাকা আগুন ধরিয়ে বিছানায় ফেলে দেওয়া হয়। বিছানায় সেই সময় আমার ন’মাসের সন্তান শুয়ে ছিল। আমি বারান্দায় ছিলাম। প্রতিবেশীরা আমাকে জানাই, ঘরের মধ্যে বিছানায় আগুন জ্বলছে। সঙ্গে সঙ্গে এসে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখি, বিছানায় দাউ দাউ করে জ্বলছে। বিছানা থেকে বাচ্চাটিকে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসি। তবে, বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল তা বুঝতে পারছি না। আমরা তৃণমূল করি বলে হয়তো এধরনের ঘটনা ঘটেছে। কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এই ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে রামপুরহাট থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। এর আগে ২০২২ সালের ২১ মার্চ বগটুইবাসীই শুধু নয়, গোটা রাজ্যের মানুষের কাছেই ওই রাতের স্মৃতি টাটকা। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল ১০ জনের। ক্ষমতা দখলের লড়াইকে কেন্দ্র করে গত বছর ২১ মার্চ বগটুই গ্রামে পুড়িয়ে খুন করা হয় ১০ জনকে। যার মূলে ছিল পঞ্চায়েত দখল। বড়শাল পঞ্চায়েতের মধ্যেই পড়ে বগটুই। প্রথমে সেই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে গুলি ও বোমা মেরে খুন করা হয়। তারই পালটা বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছিল। এবার দলের সমর্থকদের বাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই ঘটনার পিছনে গোষ্ঠী কোন্দল না অন্য কোনও কারণ দায়ী তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের রামপুরহাট- ১ নম্বর ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, বগটুই (Bagtui) শান্ত ছিল। সেটাকে অশান্ত করার  প্রচেষ্টা টলছে। পুলিশকে অনুরোধ করা হয়েছে, সঠিক তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhargram: বছরে ১২ লাখ টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে এবার বঙ্গসন্তান ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে

    Jhargram: বছরে ১২ লাখ টাকা বেতনের চাকরি ছেড়ে এবার বঙ্গসন্তান ভাবা পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘বার্ক’ (ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার)-এর বিজ্ঞানী হলেন ঝাড়গ্রামের (Jhargram) ভূমিপুত্র সোহম মহাপাত্র। বেসরকারি সংস্থায় বাৎসরিক ১২ লাখ টাকার সফটওয়্যার ডেভেলপারের চাকরি ছেড়ে বাড়ি ফিরে এসেছিলেন। কারণ মোটা মাইনের চাকরি হলেও কাজে মন বসছিল না তাঁর। বিজ্ঞানী হয়ে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে তাঁকে কুরে কুরে খাচ্ছিল।

    ঝাড়গ্রামের (Jhargram) ভুমিপুত্রের পরিচয়?

    ঝাড়গ্রাম (Jhargram) শহরের মধুবন মোড়ের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা সোহম। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। মা সেবা ভারতী মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রাজশ্রী রায় মহাপাত্র এবং বাবা ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতের আইনজীবী সীতাংশু মহাপাত্র। ছেলে চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় বাবা-মা প্রথমে খানিকটা অবাক হলেও ছেলের ওপর কিছু চাপিয়ে দেননি। আর ছেলের সেই ইচ্ছে সাফল্য হিসেবে ধরা দিল মাত্র দশ মাসেই। মাত্র ২৩ বছর ৯ মাসেই বিজ্ঞানী হলেন ছেলে সোহম! কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বি-টেক করা তরুণ বিজ্ঞানী হিসেবে চলতি মাসের শেষের দিকে যোগ দিতে চলেছেন মুম্বইয়ের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে।

    কোথায় পড়াশুনা করেছিলেন?

    ঝাড়গ্রাম (Jhargram) লায়েন্স মডেল স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত, তারপর ঝাড়গ্রাম কুমুদকুমারী ইনস্টিটিউশন থেকে ২০১৫ সালে মাধ্যমিক ও ২০১৭ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হন সোহম। তারপর রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষা পাশ করে কলকাতার বেলেঘাটায় অবস্থিত গভর্নমেন্ট কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সেরামিক টেকনোলজি থেকে ২০২১ সালে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বি-টেক পাশ করেন। ওই বছরই সর্বভারতীয় ‘গেট’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও এম টেক করেন সোহম। ২০২১ সালের জুন মাসে একটি বেসরকারি সংস্থায় সফটওয়্যার ডেভেলাপার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বছরে ১২ লাখ টাকা বেতনের চাকরি পেয়ে সেখানে চলে যান। দেড় বছর চাকরি করার পরেও কাজে মন না বসায় ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চাকরি ছেড়ে সোজা ঝাড়গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন সোহম।

    লড়াই কতটা কঠিন ছিল?

    কোনও কোচিং ছাড়াই নিজে ঝাড়গ্রামের (Jhargram) বাড়িতে শুরু করেন ‘গেট’-এর প্রস্তুতি। সঙ্গী শুধু বই ও ইন্টারনেট। মাত্র দশ মাসের মধ্যে প্রস্তুতির পর ‘গেট’ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দেশের একাধিক আইআইটিতে ভর্তির সুযোগ পান। এমনকি পাটনা আইআইটিতে ভর্তিও হয়ে যান। ওই সময়ই মুম্বইয়ের পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রে বিজ্ঞানী পদে লিখিত পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। তারপর ইন্টারভিউ দেওয়ার পর তাঁর কাছে ই-মেলের মাধ্যমে যোগদানের অফার লেটার আসে। যেদিন তাঁর দিদিমা প্রয়াত হলেন, সেদিনই নাতি হাতে পেলেন বিজ্ঞানী হিসেবে যোগ দেওয়ার সুযোগ। মাসে ১ লাখ ১০ হাজার টাকার বেতনে চলতি মাসের শেষে মুম্বইয়ে গিয়ে কাজে যোগ দেবেন সোহম।

    সোহম মহাপাত্রের বক্তব্য

    সোহম মহাপাত্র বলেন, ‘আমার লক্ষ্য সুপার কম্পিউটার তৈরি করা।’ সোহম বলেন,‘যখন চাকরি ছেড়ে বাড়ি (Jhargram) এসেছিলাম তখন অনেকেই ভেবেছিল আমাকে চাকরি থেকে হয়তো বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ১২ লাখ টাকার চাকরি ছাড়াটা আমার অনেক আত্মীয়-স্বজনরাও মেনে নিতে পারেননি। কিন্তু আমি লক্ষ্যে স্থির ছিলাম, তাই বাড়িতে শুধুমাত্র টেক্স বই পড়েই কোচিং ছাড়াই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছি।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share