Blog

  • North 24 Parganas: পাঁচ মাসের সন্তান বিক্রি দম্পতির, তীব্র উত্তেজনা খড়দায়

    North 24 Parganas: পাঁচ মাসের সন্তান বিক্রি দম্পতির, তীব্র উত্তেজনা খড়দায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পানিহাটি (North 24 Parganas) পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধীনগর অঞ্চলে নিজের পাঁচ মাসের শিশুপুত্রকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে। খড়দা থানার পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত বাবা জয়দেব চৌধুরী, মা সাথী চৌধুরী ও ঠাকুরদা কানাই চৌধুরী বর্তমানে পুলিশি হেফাজতে। ঘটনার কথা এলাকায় জানাজানি হতেই সাধারণ মানুষ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এলাকার মানুষের দাবি, এই ধরনের দম্পতিকে অঞ্চলে রাখা যাবে না।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (North 24 Parganas)

    সন্তান বিক্রির ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় (North 24 Parganas) বাসিন্দা পম্পা বিশ্বাস বলেন, অভিযুক্ত জয়দেবের স্ত্রীকে আগেও বলেছি বাড়িতে অচেনা, অপরিচিত মানুষের আনাগোনা চলে! পাড়ায় থাকো, এমন কাজ বন্ধ করো! কেন এইভাবে বাড়িতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম বয়সী ছেলেমেয়েরা আসে! উত্তর মেলেনি। তবে পরিবার যে আর্থিক ভাবে খুব একটা স্বচ্ছল ছিল না তাও স্পষ্ট। নানান অসামাজিক কাজকর্মও চলত বলে জানিয়েছেন তিনি । তিনি আরও বলেন, গতকালই  শুনেছি টাকার জন্য নিজের সন্তানকে বিক্রি করে দিয়েছে। পুলিশ এসে গ্রেফতার করেছে। আরেক বাসিন্দা কৃষ্ণা দত্ত বলেন, শুনে খুব খারাপ লেগেছে! কিন্তু নিজের কোলের বাচ্চাকে বিক্রি করে টাকা নিয়ে জীবন চালাতে হচ্ছে কেন? আমরাও গরীব মানুষ, কাজকর্ম করেই নিজেদের পেট চালাই। তাই বলে নিজের সন্তান বিক্রি! অত্যন্ত নিম্নরুচির কাজ। শাস্তি চাই। এলাকার প্রবীণ বৃদ্ধ সুকান্ত দে বলেন, এই ঘটনা দেখা তো দূরের কথা শোনাই পাপ। সন্তানের বাবা একটা কুলাঙ্গার। বাচ্চার বাবা-মা দুই জনেই দোষী। তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তের বাবা স্টেশন থেকে কষ্ট করে খাবার জোগাড় করে আনেন, আর ছেলে-বৌমা অপকর্ম করেন। অত্যন্ত লজ্জার ঘটনা। এলাকা থেকে চলে গেলেই ভালো।

    স্থানীয় পৌরপিতার বক্তব্য

    স্থানীয় (North 24 Parganas) পৌরপিতা তারক গুহ জানালেন, আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া এই পরিবারটির পাশে সব সময় দাঁড়িয়েছেন। তিনি আরও বলেন আমি এবং আমার পৌরসভা সব সময় সরকারি সাহায্য করতে প্রস্তুত। কিন্তু নিজের সন্তান বিক্রি করার মতো জঘন্য ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি চাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ঢোলাহাটে বিজেপি নেতার ধানের জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: ঢোলাহাটে বিজেপি নেতার ধানের জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতার জমিতে বিষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানার রামগোপালপুর অঞ্চলের হরেন্দ্রনগর ঠাকুরচক গ্রামে। বিজেপি নেতার নাম হরেন্দ্রনাথ কামিলা। তিনি বিজেপির স্থানীয় অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিজেপি নেতার পরিবারের লোকজনের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    বিজেপি (BJP) নেতা হরেন্দ্রনাথবাবুদের যৌথ পরিবার। অন্যান্য ভাইয়ের সঙ্গে তাঁদের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমি রয়েছে। সেই জমিতেই হরেন্দ্রনাথবাবু সহ অন্যরা ধান চাষ করেছিলেন। বিঘার পর বিঘা জমিতে ঘাস মারার বিষ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার জেরে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বিঘা চাষের জমি এখন নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সকাল বেলা স্থানীয় বাসিন্দারা জমির এমন অবস্থা দেখে তড়িঘড়ি খবর দেন বিজেপি নেতা ও তাঁর দাদা বাদল কামিলাকে। সঙ্গে সঙ্গে মাঠে পৌঁছে তাঁদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। ৪০ থেকে ৫০ বিঘা জমিতে  ধান চাষের বীজ চাষ করেছিল ওই কামিলা পরিবার। সারাবছর চাষবাসের ওপর নির্ভর করেই সংসার চলে ওই চাষি পরিবারের। কিন্তু কীভাবে চলবে সারাটা বছর অঝর নয়নে কেঁদে চলেছেন বিজেপি নেতার ৯০ বছরের বৃদ্ধ মা দ্রৌপদী কামিলা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতা?

    বিজেপি (BJP) নেতা হরেন্দ্রনাথ কামিলা বলেন, আমি বিজেপির এই অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের হয়ে কাজ করেছি। ভোট শেষ হওয়ার পরই বিঘার পর বিঘা জমির ধান নষ্ট করে দেওয়া হল। পরিকল্পিতভাবেই করা হয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতেই এই কাজ করেছে। এই ঘটনায় ঢোলাহাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় অঞ্চলের সহ-সভাপতি সত্যেন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, যারা দোষ করেছে তারা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। তবে, শাসক দল এমন ঘটনায় কোনওভাবেই যুক্ত নয়। তবে, প্রশ্ন উঠছে পঞ্চায়েতে বিজেপি করার জন্যই কী পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হল, না এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনও কারণ। তদন্ত শুরু করেছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: দুর্গাপুর পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ, ১৪ জনের দেহে মিলল জীবাণু

    Durgapur: দুর্গাপুর পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ, ১৪ জনের দেহে মিলল জীবাণু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ষার মরশুম সবে শুরু। আর তাতেই খারাপ খবর শহর দুর্গাপুরের জন্য। ইতিমধ্যেই শহরে ১৪ জনের শরীরে পাওয়া গিয়েছে ডেঙ্গির জীবাণু। দুর্গাপুর (Durgapur) পুরসভার ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের পলাশডিহা এলাকার এই ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে শহরের। চলছে এলাকায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা। সংখ্যা আরও কিছু বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

    কীভাবে ডেঙ্গির প্রকোপ (Durgapur)?

    বর্ষার জল জমে ডেঙ্গির থাবা। ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর (Durgapur) পুরসভার তরফ থেকে বিভিন্ন জায়গায় শুরু হয়েছে সার্ভে করার কাজ। কোথাও জল জমে রয়েছে কিনা, সেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। আগামী পাঁচ দিন ধরে এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যে সমস্ত জায়গায় ডেঙ্গির মশার লার্ভা জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই জায়গাগুলিকে নষ্ট করা হচ্ছে এই অভিযানে। পাশাপাশি যাঁদের এই সময় জ্বর হচ্ছে, তাঁদেরকে সাবধানে থাকতে বলা হচ্ছে। বিনামূল্যে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে সঠিক সময় ডেঙ্গি চিহ্নিত করা যায়।

    সতর্কতা

    জানা গিয়েছে, যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন অর্থাৎ সেই ১৪ জন আপাতত অনেকটাই সুস্থ। তবে তাঁদের সব সময় মশারির ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে। যাতে করে ডেঙ্গির জীবাণু আর ছড়াতে না পারে। স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্টের পতঙ্গবিদ বিশ্বরূপ মিত্র ছিলেন এই সার্ভেতে। তিনি জানান, বর্ষার সময় ডেঙ্গি নিয়ে সচেতন থাকতে বলা হচ্ছে শহরবাসীকে (Durgapur)। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে বলা হচ্ছে। পাশাপাশি কোথাও যাতে জল জমে না থাকে, সে বিষয়ে আবেদন করা হচ্ছে। অন্যদিকে শহরে একসঙ্গে ১৪ জনের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে মানুষ এবং প্রশাসনের।

    পুরসভার বক্তব্য

    অন্যদিকে এই বিষয়ে দুর্গাপুর (Durgapur) পুরসভার চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখার্জি বলেছেন, ডেঙ্গির খবর পাওয়ার পর থেকেই দুর্গাপুরর পুরসভা অত্যন্ত তৎপর হয়েছে। SUDA (state urban development authority) অত্যন্ত বিচলিত। সুডার প্রতিনিধি এসেছেন। বিভিন্ন নর্দমা থেকে শুরু করে অন্যান্য অপরিষ্কার জায়গাগুলিকে পরিষ্কার করানো হচ্ছে। পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর থেকে আশা কর্মী, সাফাই কর্মীরা সকলে ডেঙ্গি মোকাবিলায় মাঠে নেমেছেন। যাঁরা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের একটি কার্ড দেওয়া হয়েছে। আগামী ৮ দিন তাঁদের শারীরিক অগ্রগতি, অবনতির রিপোর্ট সেখানে দেওয়া থাকবে। আপাতত ১৪ জনের রিপোর্টে ডেঙ্গি ধরা পড়লেও, শহরে আরও দু এক জায়গায় আশঙ্কা রয়েছে বলেও খবর। তবে সাধারণ মানুষকে সাবধান থাকা এবং ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার জন্য বিশেষ আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dog: পঞ্চায়েত অফিসে ঘরবন্দি সারমেয়, ফোন করে ডাকল উপপ্রধানকে, তারপর কী ঘটল?

    Dog: পঞ্চায়েত অফিসে ঘরবন্দি সারমেয়, ফোন করে ডাকল উপপ্রধানকে, তারপর কী ঘটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গল্পের গরু গাছে ওঠে। কিন্তু, কখনও কোনও সারমেয়কে মোবাইলে ফোন করতে শুনেছেন। এটা গল্প মনে হলেও সত্যি। বাস্তবে এমনটাও ঘটে! ঘরের ভিতরে আটকে পড়ে শেষ পর্যন্ত ফোন করে কান্নাকাটি করে নিজেকে মুক্তির আর্জি জানাল ঘরবন্দি এক সারমেয় (Dog)। শনিবার সন্ধ্যায় এমনই এক অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকল হুগলির গুপ্তিপাড়া- ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস। বিষয়টি জানাজানি হতেই পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে তালা খুলে সারমেয়কে উদ্ধার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    এমনিতেই এই পঞ্চায়েত অফিস জুড়ে কয়েকটি সারমেয় (Dog) রাজ করে। পঞ্চায়েত অফিস বন্ধ হয়ে গেলে তারা আবার রাস্তায় নেমে পড়ে। তাদের রোজকার রুটিন এটাই। শনিবার সমস্ত কাজকর্ম শেষে এই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিত নাগ অফিস বন্ধ করে সাটার নামিয়ে বাড়ি ফিরে যান। পঞ্চায়েত অফিস থেকে কিছুটা দূরেই তাঁর বাড়ি।  সন্ধ্যা ৬ টার কিছুটা পরেই পঞ্চায়েত অফিসের তাঁর অফিস রুমে থাকা ল্যান্ড লাইন থেকে উপপ্রধানের মোবাইলে ফোন আসে। মোবাইলে অফিসের ল্যান্ড লাইনের নম্বর দেখে তিনি চমকে ওঠেন। কারণ, ঘণ্টাখানেক আগেই নিজের ওই অফিস রুমে তালা মেরে তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তাহলে অফিস রুমে আবার কে ঢুকল, কে মোবাইল নম্বরে তাঁকে ফোন করছে, এসব কথা ভেবে তিনি খানিকক্ষণ হ্যালো হ্যালো করেন। এরপর কিছুক্ষণ চুপ থাকেন। কয়েক সেকেন্ড পর অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে সারমেয়র করুণ আর্তি। বিশ্বজিতবাবু পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পেরে পঞ্চায়ত অফিসে চলে আসেন। এলাকার উৎসুকরাও আসেন। খোলা হয় তালা। দেখা যায় সত্যি সত্যি একটি সারমেয় অফিসে ঢুকে বসে কাঁদছে। মুক্তি পেয়ে এক ছুটে বাইরে। আসলে বাইরে তার পরিবারের সদস্যরা তার জন্য অপেক্ষা করছে।

    সারমেয়কে উদ্ধার করার পর কী বললেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান?

    পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাথ বলেন, অফিসের ল্যান্ড ফোন থেকে মোবাইলে ফোন আসায় প্রথমে চমকে উঠেছিলাম। তারপর সারমেয়র (Dog) করুণ ডাক শুনে মনে হচ্ছে, ‘আমি আটকে পড়েছি, আমায় রক্ষা করো।’ আমি ব্যাপারটা খানিকটা আন্দাজ করেই পঞ্চায়েত অফিসে যাই। আমি অফিসে গিয়ে দেখি, ফোনের রিসিভার যথাস্থানেই আছে। কিন্তু, কিভাবে এটা সম্ভব? আসল কারণটা ততক্ষণে আমি বুঝতে পারি। আমি অফিস থেকে চলে যাওয়ার সময় ল্যান্ড লাইনটা নিজের মোবাইলে ডাইভার্ট করে দিয়েছিলাম। যাতে কারও প্রয়োজনে আমাকে পাওয়া যায়। আমার ফোনে এমন একটি ব্যবস্থা করা রয়েছে, যে কেউ ল্যান্ড ফোনের রিসিভারটা তুলে কিছুক্ষণ কথা না বললে ল্যান্ড ফোনের নম্বর থেকে সরাসরি আমার মোবাইলে কল চলে আসে। আমার মনে হয়, কোনওভাবে সারমেয়র পা তারে লেগেই হোক রিসিভারটা সরে যায়। আর ওই ল্যান্ড ফোন থেকে আমার মোবাইলে কল চলে আসে। ফোন আসার পর অপরপ্রান্ত থেকে সারমেয়র কান্নার আওয়াজ পাই। এরপরই আমি এসে দেখি ফোনের রিসিভাররা ল্যান্ড লাইনে রাখা রয়েছে। সম্ভবত ওই সারমেয়টি ফোন তোলার পর আবার রিসিভারে সেটি রেখে  দেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: সেপটিক ট্যাঙ্কে তলিয়ে গিয়ে মৃত ৩, এলাকায় শোকের ছায়া

    Birbhum: সেপটিক ট্যাঙ্কে তলিয়ে গিয়ে মৃত ৩, এলাকায় শোকের ছায়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা নাগাদ এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তিন জনের প্রাণ গেল বেঘোরে। ঘটনাটি বীরভূম (Birbhum) জেলার হজরতপুর গ্রামে ঘটেছে। জানা যায়, কাঁকরতলা থানার হজরতপুর গ্রামের সনাতন ধীবরের বাড়িতে পায়খানার সেপটিক ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তিনজনের। মৃতদের মধ্যে দুজন শ্রমিক এবং একজন বাড়ির মালিক। বাড়ির ম্যানহোল খোলার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গ্রামে শোকের ছায়া। 

    কীভাবে ঘটেছে ঘটনা (Birbhum)?

    নির্মাণ শ্রমিক স্বপন বাদ্যকর (৪৬) ম্যানহোল খোলা মাত্রই গ্যাসে অজ্ঞান হয়ে গিয়ে প্রথমে চেম্বারের (Birbhum) মধ্যে তলিয়ে যান। ঠিক এরপরই তাঁকে দেখতে গিয়ে বাড়ির মালিক সনাতন ধীবর (৪৯) প্রচণ্ড গ্যাসে অচৈতন্য হয়ে তলিয়ে যান। একটু পরেই নির্মাণ শ্রমিকের সহকারী কর্মী অমৃত বাদ্যকর (৩২), টর্চের আলো জ্বেলে দেখতে গিয়ে তিনিও চেম্বারে তলিয়ে যান। মুহূর্তের মধ্যে কোনও কিছু বোঝার আগেই পরপর তিনজনের তলিয়ে যাওয়া এক বিষ্ময়কর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সূত্রে জানা গেছে, আসলে গ্যাসের তীব্রতা এতটাই ছিল যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবরে এলাকাবাসী হয়ে যান। নেমে আসে শোকের ছায়া।

    পুলিশের ভূমিকা

    ঘটনা ঘটার পরপরই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের (Birbhum) কাছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সহ দমকল বিভাগে কর্মীরা এসে উপস্থিত হন। খবর পেয়ে ডিএসপি মোতাসিম আক্তার, দুবরাজপুর সার্কেল ইন্সপেক্টর মাধবচন্দ্র মন্ডল, স্থানীয় থানার ওসি সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এদিকে দমকল বিভাগের লোকজন এসে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেন। এরপর স্থানীয় নাকড়াকোন্দা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহগুলি সিউড়ি মর্গে পাঠানো হয় বলে সূত্রের খবর। কীভাবে এই দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটল পুলিশ তার তদন্ত শুরু করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Flood: ফের বিপদসীমা পেরিয়ে ফুঁসছে যমুনা! উদ্বিগ্ন দিল্লিবাসী

    Delhi Flood: ফের বিপদসীমা পেরিয়ে ফুঁসছে যমুনা! উদ্বিগ্ন দিল্লিবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi Flood) যমুনার জল ফের বিপদসীমা অতিক্রম করেছে বলে খবর মিলেছে। হরিয়ানা থেকে জল ছাড়ার কারণেই এই জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার সকালেও জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২০৫.৯৬ মিটারে। সন্ধ্যা নাগাদ এই জলস্তর ২০৬.৯৭ মিটের পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দিল্লি সরকার সতর্কতা জারি করেছে হরিয়ানা থেকে ২ লাখ কিউসেক জল ছাড়ার কারণে (Delhi Flood)। কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানা গিয়েছে।

    কয়েক সপ্তাহ ধরেই ফুঁসছিল যমুনা

    বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই যমুনা ফুঁসছে (Delhi Flood)। লালকেল্লা, সুপ্রিম কোর্টেও পৌঁছে যায় যমুনার জলোচ্ছ্বাস। পরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হলেও এদিন ফের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে। দিল্লির বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী বারবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেছেন। হরিয়ানা ছাড়াও হিমাচলের জল ছাড়ার কারণেও দিল্লিতে বন্যা পরিস্থিতি হয় বলে আগেই জানিয়েছিল বিশেষজ্ঞ মহল। শনিবার থেকেই নীচু অঞ্চলে বসবাসরত দিল্লির বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। রবিবার দিল্লির তাপমাত্রা থাকবে সর্বনিম্ন ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সারাদিন মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থাকবে এবং পাশাপাশি হাল্কা বৃষ্টিতে ভিজবে রাজধানী (Delhi Flood), এমনটাই জানিয়েছে মৌসম ভবন। 

    নয়ডার হিন্দন নদীতেও জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে

    অন্যদিকে নয়ডার হিন্দন নদীতে জলস্তরের ব্যাপক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে শনিবার। যোগী পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে। অন্যদিকে গাজিয়াবাদের ১ হাজার বাসিন্দাকে সরানো হয়েছে হিন্দন নদীর জলস্তর বৃদ্ধির কারণে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ঘাটালে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ঘাটালে বিজেপির জয়ী প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) জয়ী প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে ঢিল, তারপর বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইতিচক গ্রামে। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কাকলি কুড়েল নামে বিজেপি (BJP)  প্রার্থী জয়ী হন। জয়ী হওয়ার পর থেকেই শাসক দলের পক্ষ থেকেই হুমকি দেওয়া হয়। ঘাটাল ব্লকের ২১ টি আসন বিশিষ্ট এই সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটের ফলাফল ত্রিশঙ্কু হয়। তৃণমূল-১০ টি,বিজেপি-১০ টি ও নির্দল-১ টি করে আসনে জয়ী হয়। ফল, ঘোষণার পরই ঘাটাল ব্লকে বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের গোপন ডেরায় রেখেছিল বিজেপি। দিন দুয়েক আগে সুতলানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাইতিচক গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসেন বিজেপির এই জয়ী প্রার্থী কাকলি কুড়েল। আর তারপরই শনিবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ বিজেপি প্রার্থীর বাড়ি লক্ষ্য করে প্রথমে বেশ কয়েকবার ঢিল ছোঁড়া হয়। তারপরই রাত নাগাদ বোমা ছোঁড়া হয় বোম ফাটার আওয়াজ পাওয়া যায়। বোমার আওয়াজ পেয়ে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসে পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে প্রতিবেশীরা। ঢিল ছোঁড়ার জেরে প্রার্থীর টালির ছাউনির কিছু অংশ ভেঙে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে প্রার্থীর বাড়িতে যান স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী?

    বিজেপির (BJP) জয়ী প্রার্থী কাকলি কুড়েল বলেন, ভোটে জয়ী হওয়ার পর থেকেই তৃণমূল লাগাতার হুমকি দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। এতদিন বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে ছিলাম। গ্রামে ফিরতেই বাড়ি লক্ষ্য করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি করে। আসলে ওরা সন্ত্রাস করে আমাদের এলাকা ছাড়া করতে চাইছে। এই ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যদিও এবিষয়ে স্থানীয় তৃনমূল নেতৃত্ব পুরো ঘটনা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda Incident: মালদাকাণ্ডে রাজ্যে আসছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    Malda Incident: মালদাকাণ্ডে রাজ্যে আসছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই মহিলাকে নগ্ন করে বেধড়ক মারধরের ভিডিও সামনে এসেছে মালদায় (Malda Incident) (যদিও এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। মধ্যযুগীয় বর্বরতার এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল। এবার এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ট্য়ুইট প্রকাশ্যে জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women)। অন্যদিকে মহিলা কমিশনের টিমও মালদায় (Malda Incident) আসবে বলে জানিয়েছেন এনসিডাব্লু-এর প্রধান রেখা শর্মা। অন্যদিকে শনিবার থেকেই মালদা জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বিজেপি। রবিবার সকালে বিক্ষোভস্থলে ত্রিপল লাগানোর ব্যবস্থা করে বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ, সেসময় পুলিশ ব্যাপকভাবে লাঠিচার্জ করে। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, পুলিশ সুপার যতক্ষণ না দফতরে আসছেন ততক্ষণ এই বিক্ষোভ চলবে। সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে চলছে ধর্না কর্মসূচি।

    কমিশনের ট্যুইট

    কমিশনের ট্য়ুইটার হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করা হয়েছে শনিবার। সেখানে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিমবঙ্গের মালদায় (Malda Incident) আদিবাসী মহিলার উপর যে নির্মম অত্যাচার হয়েছে তা গুরুত্ব দিয়ে দেখা দরকার। এনসিডব্লু দ্রুত ব্যবস্থা চায়। পুলিশকে আইপিসি মেনে দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য বলা হচ্ছে।’

    কী বললেন মহিলা কমিশনের প্রধান?

    এনসিডব্লু প্রধান রেখা শর্মা বলেন, “গত কয়েকদিনে এরকম একাধিক ঘটনা সামনে এসেছে। এক মহিলাকে নগ্ন করে মারধর করা হয়েছে। পুরুষ মহিলা সকলে ছিলেন সেখানে। আমি একটি দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। ওরা বলছে ওই দুই মহিলার কোনও খবর নেই। ওনারা কোথায় আছেন জানা নেই। পুলিশ ওনাদের মেডিক্যাল করেনি। যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারের কোনও উদ্যোগও নেই। পরিবার চিন্তিত। জাতীয় মহিলা কমিশন সুয়োমোটো নিচ্ছে। আমার টিম ওখানে যাবে। সমস্যা একটাই ওখানে পুলিশ কিছু করছে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Iskcon: রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য! প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন অমোঘ লীলা প্রভু

    Iskcon: রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য! প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন অমোঘ লীলা প্রভু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ইস্কনের (Iskcon) সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা প্রভু। এই ঘটনার জেরে এক মাসের জন্য তাঁকে নির্বাসিত করে ইস্কন। এবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে দেখা গেল ইস্কনের সন্ন্যাসী অমোঘ লীলা প্রভুকে। একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে তাঁর মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইলেন। প্রসঙ্গত, স্বামী বিবেকানন্দের ধূমপানের অভ্যাস কিংবা মাছ খাওয়া নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন অমোঘ লীলা প্রভু। রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের যতমত তত পথ নিয়েও কটাক্ষ করেন অমোঘ লীলা প্রভু। এই ভিডিও সামনে আসতেই দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। 

    কী বললেন অমোঘ লীলা প্রভু?

    শনিবারই অমোঘ লীলা প্রভুর ভিডিও বার্তা (Iskcon) সামনে আসে। যেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং স্বামী বিবেকানন্দকে নিয়ে আমি যা মন্তব্য করেছিলাম, তার জন্য সকলের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইছি। তাঁদের মাংস ভক্ষণ কিংবা ধূমপানের অভ্যাস নিয়ে যাই বলে থাকি না কেন, তা মন থেকে কাউকে আঘাত করার জন্য বলিনি। আমার বাণীর মাধ্যমে কারও বিশ্বাস কিংবা ভাবাবেগে আঘাত করার মানসিকতা ছিল না।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘কেউ হয়তো দর্শকাসন থেকে আমায় এই প্রশ্ন করেছিলেন, তাই আমি ওই কথাগুলি বলেছিলাম। কাউকে আঘাত করতে চাইনি। এর জন্য অন্তর থেকে ক্ষমাপ্রার্থী।’’

    একমাস নিষিদ্ধ অমোঘ লীলা প্রভু

    রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যের কারণে ইস্কন (Iskcon) নিষিদ্ধ করে অমোঘ লীলা প্রভুকে। ইস্কনের (Iskcon) তরফ থেকে তাঁকে গোবর্ধন পাহাড়ে একমাস থেকে কৃষ্ণনাম জপ করতে বলা হয়েছে। এই সময় তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না, শুধু ফলমূল খেয়েই কাটাতে হবে। কিন্তু নিষিদ্ধ ঘোষণা হওয়ার পরও কী ভাবে দ্বারকা ইস্কনের প্রধানের ভিডিও প্রকাশ্যে এল? উত্তর দেন ইস্কন কলকাতার ভাইস প্রেসিডেন্ট রাধারমণ দাস। তিনি বলেন, ‘‘উনি নির্বাসিতই রয়েছেন। আগামী এক মাস তিনি প্রকাশ্যে আসতে পারবেন না। ইস্কন থেকে তাঁকে ব্যান করা হয়েছে। তবে বহু মানুষ ব্যক্তিগত ভাবে তাঁকে প্রকাশ্যে এসে ক্ষমা চাইতে বলেছেন। আমাদের কাছেও এই দাবি এসেছে। তাই আমি ওঁকে অনুরোধ করি। সেইমতো উনি আমায় ব্যক্তিগতভাবে এই ভিডিয়ো রেকর্ড করে পাঠিয়েছেন। উনি নিজে কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় এটি পোস্ট করেননি বা প্রকাশ্যে আসেননি। আমায় পাঠানোর পর আমি বিষয়টি সকলকে পাঠাই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় প্রাণ গেল ২ তীর্থযাত্রীর! এখনও পর্যন্ত মোট মৃত ৩৬

    Amarnath Yatra: অমরনাথ যাত্রায় প্রাণ গেল ২ তীর্থযাত্রীর! এখনও পর্যন্ত মোট মৃত ৩৬

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমরনাথ যাত্রায় (Amarnath Yatra) শনিবার আরও ২ তীর্থ যাত্রীর মৃত্যুর খবর মিলেছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অমরনাথ গুহায় মৃত্যু হয়েছে একজনের। আর গুহায় ওঠার আগে বেসক্যাম্পে মৃত্যু হয়েছে অন্যজনের। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে ২ অমরনাথ (Amarnath Yatra) যাত্রীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। প্রশাসনের তরফে এও জানানো হয়েছে, চলতি বছরের অমরনাথ যাত্রায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৬।

    মৃতদের পরিচয়…

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ২ অমরনাথ যাত্রীর (Amarnath Yatra) নাম ফতেহ লাল মানারিয়া এবং মাঙ্গি লাল। দুজনেরই বয়স ৬০ বছর এবং তাঁরা রাজস্থান থেকে এসেছিলেন।  প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, ফতেহ লাল মানারিয়া এদিনই অমরনাথ গুহা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু, ৩,৮৮৮ মিটার উচ্চতায় অবস্থান অমরনাথ গুহার (Amarnath Yatra)। এর ফলে গুহা চত্বরে বাতাসে অক্সিজেনের পরিমাণ সাধারণত কম থাকে। ফলে গুহায় পৌঁছনোর পর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ফতেহ লালের। প্রয়োজনীয় অক্সিজেন না পেয়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে জেরে গুহা চত্বরে মৃত্যু হয় তাঁর। অন্যদিকে, এদিন বালতাল বেস ক্যাম্পে মৃত্যু হয় মাঙ্গি লালের। তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।

    আরও পড়ুন: “বাংলায়ও অত্যাচার হচ্ছে, সবাই মূক হয়ে গিয়েছেন”, মণিপুরকাণ্ডে মমতাকে নিশানা অনুরাগের

    ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)

    প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১ জুলাই থেকে অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়েছে এবং চলবে ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত। ৬২ দিন ধরে এই যাত্রা চলার কথা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার বন্ধ হয়েছে অমরযাত্রা। এবার যাত্রা শুরুর ৭ দিন পর থেকেই বৃষ্টি, ধস শুরু হয়। বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয় কোথাও কোথাও। রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করে যাত্রা বন্ধের ঘোষণা করে প্রশাসন। তবে পরিসংখ্যান বলছে, ৩ লাখের বেশি পুণ্যার্থী গুহা দর্শন করেছেন।

     

    আরও পড়ুুন: জ্ঞানবাপী মসজিদে সমীক্ষার নির্দেশ এএসআইকে, কোন শর্তে জানেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share