Blog

  • BJP: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    BJP: তোলা হল কেন্দ্রীয় বাহিনী, জ্ঞান হারালেন বিজেপি সাংসদ, শান্তিপুরে গণনা বন্ধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অধিকাংশ গ্রাম পঞ্চায়েত আসনেই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এগিয়ে ছিলেন। আর এর পরই প্রশাসনের চাপে রহস্যজনক কারণে গণনা কেন্দ্র থেকে তুলে নেওয়া হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বালিকা বিদ্যামন্দিরে। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যেতেই স্ট্রং রুমের ভিতরে শুরু হয় তৃণমূলীদের তাণ্ডব। বহিরাগতরা এসে গণনা কেন্দ্রের ভিতরে কার্যত দাপিয়ে বেড়ায়। বিজেপির এক মহিলা প্রার্থীকে বেধড়ক মার দেওয়া হয়। ব্যালট বাক্স লুট চলে। কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়ার প্রতিবাদে ভোট কর্মীরা কার্যত কাজ বন্ধ করে দেন। বন্ধ হয়ে যায় ভোটের গণনা। তৃণমূলীদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা গণনা কেন্দ্রে বিক্ষোভ দেখান।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) কর্মীরা?

    বিজেপি (BJP) কর্মীদের বক্তব্য, এদিন সকাল থেকে সব কিছুই ঠিকঠাক ছিল। গণনায় অধিকাংশ আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা জয়ী হয়ে যাচ্ছিলেন। আর সেটাই তৃণমূল মেনে নিতে পারল না। প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সরিয়ে নেওয়া হল। এর পরই বহিরাগতরা গণনা কেন্দ্রের দখল নেয়। ভিতরে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা কার্যত তাণ্ডব চালায়। বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে মারধর করা হয়। আমরা এই ঘটনার প্রতিবাদেই বিক্ষোভ দেখাই।

    গণনাকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়লেন বিজেপি সাংসদ

    গণনা কেন্দ্রের সামনে পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তড়িঘড়ি তাঁকে ধরে ফেলেন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা। কোলে তুলে দৌড়াতে দৌড়াতে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন তাঁকে। নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের ফুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের স্ট্রং রুমে অভিযোগ ওঠে সেখানকার কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনীরা রাজ্য পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ভোট লুট করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। সেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলর আসেন বিজেপি (BJP) সাংসদ জগন্নাথ সরকার। গণনা কেন্দ্রের বাইরে সে বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুপান্তর সেনগুপ্ত এবং এসডিপিও-র সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলছিলেন তিনি। এরপর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

    কী বললেন ভোট কর্মীরা?

    এদিন সকাল থেকেই গণনা কেন্দ্রের ভিতরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে গণনা চলছিল। বেশ কিছুক্ষণ গণনা হওয়ার পর দফায় দফায় প্রশাসনের আধিকারিক, পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেন। বহুবার আলোচনার পর আচমকাই কেন্দ্রীয় বাহিনী গণনা কেন্দ্র ছেড়ে চলে যায়। আর বিষয়টি জানাজানি হতেই ভোট কর্মীরা গণনা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ভোট কর্মীদের বক্তব্য, আচমকা কী করে, কার নির্দেশে এভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী তুলে নেওয়া হল? এখন কার্যত বহিরাগতরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই অবস্থায় গণনা করা সম্ভব নয়। আমাদের পরিবার রয়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই, কাজ বন্ধ রেখেছি। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া গণনা করব না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, পা ভাঙল প্রার্থীর, গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, পা ভাঙল প্রার্থীর, গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমানের কাটোয়া ১ নম্বর ব্লকের গণনা কেন্দ্রের সামনেই বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনকী আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজেপি (BJP) কর্মীদের এলাকাছাড়া করে দেওয়া হয়। ফলে, বিজেপি কর্মীরা কেউ গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে পারেননি। এই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি নেতৃত্ব আক্রান্ত কর্মীদের নিয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে কাটোয়া থানায় অবস্থান-বিক্ষোভ করছেন। অন্যদিকে, সিপিএম কর্মীদেরও মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির (BJP) পূর্ব বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদিকা সীমা ভট্টাচার্য বলেন, ভোটের দিন তৃণমূল বহু বুথে ছাপ্পা মেরে ভোট লুট করেছে। তাতেও শান্তি হয়নি। এদিন ওরা আমাদের কাউকে গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি। মোবাইল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ওরা কার্যত তাণ্ডব চালিয়েছে। দোষীদের শাস্তির দাবিতেই আমরা অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হয়েছি। পাশাপাশি আমরা পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএম নেতাদের অভিযোগ, দলীয় কর্মীরা যখন গণনা কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন, সেই সময় তৃণমূলের লোকেরা তাঁদের গাড়ি থামিয়ে মারধর করে। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।

    গলসিতে বিরোধী প্রার্থীদের উপর হামলা চালাল তৃণমূল

    বুদবুদে ভোট গণনা কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা। পা ভেঙে দেওয়া হল সিপিআইএম প্রার্থী তরুণপদ বাগদির। তিনি গলসি ১ নং ব্লকের পারাজ গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাডি গ্রামের ১৭৪ নং বুথের পঞ্চায়েত প্রার্থী। তাছাড়াও শিড়রাই গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরাতন গ্রামের কাজল মুন্সী নামে এক কংগ্রেস সমর্থককে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এদিকে গলসি ১ ব্লকের পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ৬৫ নং আসনের প্রার্থী জয়শ্রী বিষ্ণুকে পুলিশের সামনেই মেরে বার করে দিল তৃণমূলের লোকজন। এমনই অভিযোগ তাঁর। স্ট্রং রুম থেকে তাঁর ব্যাগ ও পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।

    বর্ধমানেও বিজেপি (BJP) সহ বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে বাধা

    বর্ধমান ১ ব্লকের বিদ্যাসাগর উচ্চ বিদ্যালয়ের গণনা কেন্দ্রে সিপিএম, বিজেপি প্রার্থী এবং এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল। পুলিশ সাহায্য করেছে না বলে অভিযোগ। গণনা কেন্দ্রের ভিতর পরিচয়পত্র ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন বিরোধীরা। হেনস্থার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন এক বিজেপির এজেন্ট। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অসুস্থ ব্যক্তির নাম উজ্জ্বল ঘোষ। তিনি বাঘাড় ১ পঞ্চায়েতের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন। বিজেপির ৩১ নং মণ্ডল সভাপতি রাজকুমার সাউ বলেন, ওনাকে গণনা কেন্দ্রের ভিতর থেকে বারবার বের করে দেওয়া হয়। চরম হেনস্থা করা হয়। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে যান। ঘটনার পর বিডিও নিজের গাড়িতে করে তাঁকে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: গণনার দিনও ফিরল ভোটের সন্ত্রাস! জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিরোধীরা

    Panchayat Vote: গণনার দিনও ফিরল ভোটের সন্ত্রাস! জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণনার দিনও বদল হল না বাংলার চিত্র। শাসক দলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের সাক্ষী থাকল জেলাগুলি। গণনা কেন্দ্রগুলি থেকে বিরোধীদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল কমবেশি সব জায়গাতেই। কোথাও কোথাও তৃণমূলের বিরুদ্ধে গণনা কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজির অভিযোগও এনেছে বিরোধীরা। সব মিলিয়ে শনিবারের পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) সন্ত্রাসেরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে জেলায় জেলায়।

    ডায়মন্ড হারবারে সকাল থেকেই বোমাবাজির অভিযোগ বিরোধীদের

    গণনার শুরুতেই উত্তেজনার খবর আসতে থাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থেকে। এখানকার ফকির চাঁদ কলেজে সিপিএমের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গণনা কেন্দ্রের সামনে বোমাবাজি করে তৃণমূল, এমন অভিযোগ সিপিএম-বিজেপি নির্বিশেষে সব বিরোধীদেরই। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ সিপিএমের।

    পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরেও ব্যাপক উত্তেজনা

    পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের গণনা কেন্দ্রে ঢোকার মুখে বিরোধী প্রার্থীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এজেন্টদের ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিজেপির নেতৃত্বের। প্রতিবাদে মেদিনীপুরে জেলাশাসকের দফতরে ধর্নায় বসেছে বিজেপি।

    হুগলির জাঙ্গিপাড়াতেও পরিস্থিতি ব্যাপক উত্তপ্ত

    হুগলির জাঙ্গিপাড়াতেও সকাল থেকে উত্তেজনা ছড়ায় গণনাকে কেন্দ্র করে। জানা গিয়েছে, ডিএন হাইস্কুলের গণনা কেন্দ্র থেকে সিপিএম এবং আইএসএফের এজেন্টদের মারধর করে বার করে দেয় তৃণমূল। বিরোধী প্রার্থীদের গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ করা হয়েছে। ফুরফুরা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী শামিম আহমেদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল। 

    হাওড়ার বাগনানেও সন্ত্রাসের অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে

    হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় গণনা কেন্দ্রে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁদের মারধর করারও অভিযোগ উঠেছে। সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, শাসকদল এবং প্রশাসন একসঙ্গে এই কাজ করছে। বাগনান, জগদীশপুর, আমতার বিভিন্ন এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত। বাগনানে টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করা হয় এদিন। থানার সামনে অবস্থান বামেদের।

    হাওড়ার ডোমজুড়ে শাসকদলের ওপর হামলার অভিযোগ

    হাওড়ার ডোমজুড়ে খোদ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীর ওপর হামলা। বাড়ি ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ সিপিএমের বিরুদ্ধে। তৃণমূল প্রার্থী শেখ সুলতানার অভিযোগ, তাঁর বাড়িতে সশস্ত্র অবস্থায় হামলা চালায় একদল সিপিএম কর্মী। বাড়ি লক্ষ্য় করে ইট ছোড়া হয়। এমনকী প্রার্থীকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Heavy Rain: ফুঁসছে যমুনা, ভাসছে গাড়ি-বাড়ি! অতি ভারী বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে মৃত ৩৯

    Heavy Rain: ফুঁসছে যমুনা, ভাসছে গাড়ি-বাড়ি! অতি ভারী বৃষ্টিতে উত্তর ভারতে মৃত ৩৯

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারী বৃষ্টিতে (Heavy Rain) বিপর্যস্ত উত্তর ভারত। সোমবারই উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। বাতিল করা হয় ১৭টি ট্রেন। রাজধানী দিল্লির একাধিক জায়গায় হাঁটু পর্যন্ত জল জমেছে। এছাড়াও  জলমগ্ন হয়ে রয়েছে একাধিক শহর। জম্মু কাশ্মীর, হরিয়ানা, রাজস্থান, পাঞ্জাব, দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ সর্বত্র এক চিত্র। অতি ভারী বৃষ্টির জেরে সোমবার পর্যন্ত চলে গিয়েছে ২৪টি তরতাজা প্রাণ। মঙ্গলবার পর্যন্ত হিসাব বলছে মৃতের সংখ্যা ৩৯। মধ্যপ্রদেশে ফুঁসছে নর্মদা, হিমাচলে বিপাশা, দিল্লিতে যমুনা। অনেক পরিবার জলস্তর বৃদ্ধির কারণে আটকে পড়েছে। তাদের ড্রোনের মাধ্যমে খাবার সমেত অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জলের তলায় চলে গিয়েছে জাতীয় সড়ক-সহ একাধিক রাস্তা। হিমাচলের প্রশাসন বলছে, সে রাজ্যের ছোট-বড় সাতশো রাস্তা বর্তমানে জলের তলায়। হিমালয় ঘেঁষা রাজ্যগুলিতে ধস নেমেছে জায়গায় জায়গায়। ঘরবাড়ি, গাড়ি সব কিছুই জলের স্রোতে ভাসছে একাধিক জায়গায়। আপাতত কয়েকদিন একনাগাড়ে এমন বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

    ফুঁসছে যমুনা ও বিপাশা… 

    রাজধানী দিল্লিতে যমুনা নদী বিপদসীমা পার করে বইছে। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেলে যমুনার জলস্তর ছিল ২০৫.৩৩ মিটারে, মঙ্গলবার সকালে তা ২০৬.২৪-তে পৌঁছে গিয়েছে। প্রবল বর্ষণে (Heavy Rain) হরিয়ানাতেও বন্যা সতর্কতা জারি হয়েছে। হরিয়ানা থেকে জল ছাড়ার ফলেই ফুঁসছে যমুনা। সবচেয়ে পরিস্থিতি খারাপ হিমাচল প্রদেশের। সেখানে বিপাশা নদীর স্রোতে সব কিছু ভেসে যাচ্ছে। বিপাশার গ্রাসে জলে গিয়েছে ঘরবাড়ি, জাতীয় সড়ক। একাধিক জায়গায় বিপাশার রোষে খেলনার মতো ভাসছে ঘরবাড়ি, গাড়ি। জনবহুল এলাকাতেও জল ঢুকে গিয়েছে। হিমাচলে বেড়ে চলেছে হড়পা বানের তাণ্ডব। লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে একাধিক জায়গায় ধসে গিয়েছে বাড়ি। মানালি, কুলু, কিন্নৌর, চাম্বা এই শহরগুলির অবস্থা খুব খারাপ। বিপাশা ছাড়াও ইরাবতী, শতদ্রু, চন্দ্রভাগা, সব নদীর জলস্তরই পার করে গিয়েছে বিপদসীমা। 

    খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী

    হিমাচলের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। এরকম অবস্থায় সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুর সঙ্গে ফোনে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী। খোঁজ নিলেন পরিস্থিতির। জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টা সমস্ত নাগরিককে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফে আপদকালীন হেল্পলাইন নম্বর ১১০০, ১০৭০ এবং ১০৭৭ চালু করা হয়েছে।

    দিল্লিতে কন্ট্রোল রুম

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজধানীতে ১৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। হরিয়ানার পরিস্থিতি খারাপ (Heavy Rain) হওয়ায় হাতিকুণ্ড বাঁধ থেকে যমুনার ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে খবর। এনিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। নিচু এলাকাগুলি থেকে মানুষজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে দিল্লি সরকার।

    বিপর্যস্ত জম্মু ও কাশ্মীর

    লাগাতার ভারী বৃষ্টিতে জম্মু ও কাশ্মীরের একাধিক জায়গায় বন্যা সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। কাঠুয়া, সাম্বা সহ একাধিক জেলায় জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। পর পর তিন দিন বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। রবিবার অমরনাথ যাত্রা ফের শুরু হয়েছিল, তবে তা আবারও স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। রাজস্থান, পঞ্জাব এবং হরিয়ানার একাধিক এলাকা জলমগ্ন হয়ে রয়েছে এখনও। সেখানে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ভোটের দিন ছাপ্পায় বাধা! পুলিশকে বাঁশপেটা তৃণমূলের, গ্রেফতার ৭

    Panchayat Vote: ভোটের দিন ছাপ্পায় বাধা! পুলিশকে বাঁশপেটা তৃণমূলের, গ্রেফতার ৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) দিন নদিয়ায় পুলিশকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ছাপ্পা না দিতে পেরেই এই আক্রমণ। পুলিশকে মারের ছবি ভাইরাল হতেই নিন্দায় সরব হয় বিভিন্ন মহল। জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছে ৭ জন। ঘটনাটি নদিয়ার গাংনাপুর থানার মাঝেরগ্রাম পোড়াবাড়ি এলাকার। 

    ঘটনার বিবরণ

    জানা গিয়েছে, গত ৮ তারিখে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Vote) দুজন কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে আসেন পোড়াবাড়ি এলাকার একটি বুথে। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট চলছিল এলাকায়। কিন্তু বেলা বাড়লে ২০১৮-এর ছবির পুনরাবৃত্তি করতে থাকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। চেষ্টা চালায় অবাধে ছাপ্পা মারার। কিন্তু পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় ওই দুই কনস্টেবল। ছাপ্পা দেবার প্রতিবাদ করতেই তাঁদের আচমকা ঘিরে ধরে কুড়ি থেকে ত্রিশ জন তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। কার্যত বুথের ভিতর থেকে তাদের বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। এরপরেই লাঠি-বাঁশ দিয়ে চলে আক্রমণ। ঘটনার সময় একজন পুলিশ কর্মী পালিয়ে যেতে পারলেও বাকি জনকে বেধড়ক মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। নিন্দার ঝড় উঠে প্রতিটি মহল থেকেই। ভিডিও ভাইরাল হতেই গাংনাপুর থানার তরফে সাতজন অভিযুক্তকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়।

    কী বলছে বিজেপি ও তৃণমূল?

    এ বিষয়ে রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি জেলা সভাপতি পার্থসারথি চ্যাটার্জি বলেন, ‘‘নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই গোটা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। আমরা বারবার বলেছি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া সুস্থ ভাবে ভোট হতে পারে না। যেখানে রাজ্য পুলিশের নিজেদেরই নিরাপত্তা নেই, সেখানে মানুষকে তারা কিভাবে নিরাপত্তা দেবে। যেখানে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হয়েছে, সেখানে সুস্থ ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। গাংনাপুর থানার মাঝেরপাড়ার পোড়া বাড়িতে যে ঘটনা ঘটেছে তার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই।’’ নদিয়া দক্ষিণ জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দেবাঞ্জন গুহ ঠাকুরতা বলেন, ‘‘পুলিশের উপর যে আক্রমণ হয়েছে, আমরা তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শুনেছি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে পুলিশ কর্মীদের আক্রমণ করা হচ্ছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ১১/০৭/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (মঙ্গলবার, ১১/০৭/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    বৃষ

    ১) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ধর্মীয় স্থানে যাত্রা করতে পারেন। 

    ২) আপনার জিনিস চুরি যেতে পারে আজ।     

    মিথুন

    ১) কোনও সহকর্মীকে নিজের মনের কথা জানাবেন না। তা না-হলে তাঁরা এর সুযোগ তুলতে পারেন। 

    ২) কোনও অসুস্থতা আপনাকে সমস্যায় ফেলতে পারে।    

    কর্কট

    ১) অফিসে আধিকারিকরা আপনাকে বেশি কাজ দিতে পারেন, যা আপনাকে চিন্তিত করে তুলবে। 

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে তর্ক হতে পারে।    

    সিংহ 

    ১) ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে। রাতের বেলা পরিজনদের সঙ্গে হাসিঠাট্টায় সময় কাটাবেন।  

    ২) সন্তানের তরফে হতাশাজনক সংবাদ শুনতে পাবেন।  

    কন্যা

    ১)  বিবাদ এড়িয়ে চলুন, তা না-হলে আইনি মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। 
     
    ২) ভেবেচিন্তে টাকা ধার দিন, কারণ সেই টাকা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।     

    তুলা 

    ১) নিজের জন্য নতুন কাপড়, মোবাইল কিনতে পারেন। 

    ২) সন্ধ্যাবেলা জীবনসঙ্গীকে কোনও বিজনেস পার্টিতে নিয়ে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) সরকারি চাকরিজীবীদের পদোন্নতি হবে। 

    ২) বিবাহযোগ্যরা আজ কোনও বিয়ের প্রস্তাব পেতে পারেন।     

    ধনু

    ১)  সামান্য ঝুঁকি নিলে বড়সড় মুনাফা হতে পারে।
     
    ২) পরিবারে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান হবে।

    মকর

    ১) হাতে একাধিক কাজ আসায় একাগ্রতা বৃদ্ধি পাবে। 

    ২) দাম্পত্য জীবনে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হতে পারে, এর ফলে অবসাদগ্রস্ত থাকবেন।       

    কুম্ভ

    ১) যে কাজ করবেন, তাতেই সাফল্য লাভ সম্ভব। তাই আপনার অত্যন্ত প্রিয় কাজগুলিই আপনাকে করতে হবে।

    ২) সন্তানের ভবিষ্যতের সঙ্গে জড়িত কোনও পরিকল্পনায় লগ্নি করবেন।      

    মীন

    ১) ব্যবসায় ঝুঁকি নিলে ভবিষ্যতে লাভান্বিত হবেন। 
     
    ২) যে সমস্ত জিনিসের অভাব ছিল, তা নিজের বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে অর্জন করতে পারবেন।         

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। 

  • Panchayat Election 2023: আজ পঞ্চায়েতের ভোট গণনা, নজরে কমিশনের ভূমিকা!

    Panchayat Election 2023: আজ পঞ্চায়েতের ভোট গণনা, নজরে কমিশনের ভূমিকা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার রাজ্যে দশম পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) ভোট গণনা। সমতলের ২০ জেলায় ত্রিস্তরীয় ও পাহাড়ে দুই জেলায় দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের গণনা শুরু হবে সকাল আটটায়। গণনার জন্য রাজ্যে মোট ৩৩৯টি গণনা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি গণনা কেন্দ্র থাকছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২৮টি, মুর্শিদাবাদে ২৬। এরপরই রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে ২৫, পূর্ব বর্ধমানে ২৩টি, বাঁকুড়াতে ২২টি, উত্তর ২৪ পরগনায় ২২টি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২১টি, পুরুলিয়ায় ২০টি, বীরভূমে ১৯টি, নদিয়ায় ১৮টি, হুগলিতে ১৮টি, মালদায় ১৫টি, হাওড়ায় ১৪টি, কোচবিহারে ১২টি, জলপাইগুড়িতে ১০টি, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৮টি, ঝাড়গ্রামে ৮টি, পশ্চিম বর্ধমানে ৮টি, উত্তর দিনাজপুরে ৮টি, আলিপুরদুয়ারে ৬টি, দার্জিলিঙে ৫টি, কালিম্পংয়ে ৪টি। গণনা পর্ব মসৃণ ও শান্তিপূর্ণ রাখতে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    গণনা কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা

    গত শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election 2023) কেন্দ্র করে বিপুল রাজনৈতিক হিংসা ও অশান্তির সাক্ষী থেকেছে রাজ্য। গণনা পর্বে তার পুনরাবৃত্তি আটকাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ব্যাপক সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রেই মোতায়েন করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এছা়ডা রাজ্য সশস্ত্র পুলিশ ও ভিন রাজ্যের পুলিশও গণনা কেন্দ্রের পাশাপাশি আশপাশের এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা করবে। প্রতিটি গণনা কেন্দ্রে থাকছে সিসিটিভির নজরদারি। গণনা কেন্দ্রের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। তবে ভোটের মতো এক্ষেত্রেও বাস্তবে কী হবে, তা নিয়ে বিরোধীরা যথেষ্ট সন্দিহান। কমিশন জানিয়েছে, প্রথমে ভোটকর্মীদের ভোট গণনা করা হবে। তারপর গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং পরিশেষে জেলা পরিষদের আসনে ভোট গণনা হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা  জানান, গণনা পর্ব পুরো শেষ হতে ১২ জুলাই পেরিয়ে যেতে পারে।

    প্রেক্ষাপট

    শনিবার পঞ্চায়েত ভোটের দিনই (Panchayat Election 2023) বিভিন্ন জেলা রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল। রাজনৈতিক হিংসায় শুধু মাত্র ভোটের দিন প্রাণ হারিয়েছেন ১৮ জন। জায়গায় জায়গায় ভোট লুট,  ছাপ্পা, ব্যালট বাক্সে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অনেক বুথে একঘণ্টার মধ্যেই ভোট গ্রহণ শেষ হয়ে যায়। আবার কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীর দেখাও মেলেনি। বেশ কিছু রাজনৈতিক সংঘর্ষে ভোটদান বন্ধ হয়ে যায়। ভোট শেষের পরেই জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন৷ সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে কোন জেলায় কতগুলি বুথে পুনরায় ভোট হবে, তার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রবিবারই তার তালিকা প্রকাশ করে কমিশন। সেই মতো সোমবার রাজ্যের ৬৯৪ কেন্দ্রে শুরু হয় পুনর্নির্বাচন। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে হানাহানির যে ঘটনা ঘটেছে, তা নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় বিএসএফের আইজি এবং রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।

    কমিশনের নির্দেশিকা

    অন্যদিকে কমিশন সোমবার এক নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, গণনার (Panchayat Election 2023) সময় যে ব্যালক পেপারের পিছনে প্রিসাইডিং অফিসারের সিল ও স্বাক্ষর থাকবে না, সেই ব্যালটকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হবে। গণনা কেন্দ্রে একমাত্র কাগজ আর পেন নিয়ে প্রবেশ করা যাবে। পাশাপাশি বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী অবস্থায় যে হানাহানির ঘটনা ঘটেছিল, তা ফের আবারও যেন না হয়, সেইজন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, গণনার দশদিন পরেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে রাজ্যে। এখন দেখার বিষয় একটাই যে ছাপ্পার মুখে ছাই ফেলতে আদৌ কি কমিশন সত্যিই প্রশংসনীয় হয়ে উঠবে নাকি প্রতিবারের মতো এবারও নিজেদের মুখ পোড়াবে সকলের কাছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মালদায় জোট প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর,বোমাবাজি, ভোটদানে বাধা, বারাকপুরে আক্রান্ত সিপিএম কর্মী

    TMC: মালদায় জোট প্রার্থীর বাড়ি ভাঙচুর,বোমাবাজি, ভোটদানে বাধা, বারাকপুরে আক্রান্ত সিপিএম কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুনর্নির্বাচনেও আবার অশান্তি ছবি দেখা গেল মালদায় সুলতান নগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সাহাপুর এলাকায়। সোমবার সকালে তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি রবিবার গভীর রাতে জোট প্রার্থী আশরাফুল হকের বাড়িতে হামলা চালানো ও বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হয়েছে জোট প্রার্থী আশরাফুল হকের বাড়ি,বাইক ও আসবাবপত্র। এমনকী গোয়াল ঘর থেকে খুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে গোবাদি পশু। তৃণমূলের সশস্ত্র হামলায় আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া আশরাফুল হক ও তাঁর পরিবার। থমথমে পরিস্থিতি সাহাপুর এলাকায়।

    পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে ভোটদানের ব্যবস্থা

     উল্লেখ্য,শনিবার সাহাপুর ৪৫ নং বুথে ছাপ্পা ভোট ও ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে সারা রাজ্যের পাশাপাশি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকে ৩টি বুথে ও হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকে ৮ টি বুথে পুনর্নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে। জোট প্রার্থী ও‌ এলাকাবাসীর অভিযোগ, সোমবার সকালবেলা ৪৫ নং বুথের মানুষ ভোট দিতে গেলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা তাদের পথ আটকে হুমকি দিতে থাকে। প্রশাসনকে বিষয়টি জানান বাম কংগ্রেসের প্রার্থীরা। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহযোগিতায় মানুষ ভোট দিতে যায় বলে অভিযোগ।

    ভোট লুট রুখে দেওয়ায় আক্রান্ত হলেন এক সিপিএম কর্মী, প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ

     ভোট লুট রুখে দেওয়ায় আক্রান্ত হলেন এক সিপিএম কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে বাসুদেবপুর থানার পানপুর মোড়ে। আক্রান্ত সিপিএম কর্মীর নাম ডালিম মণ্ডল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে সিপিএম কর্মীরা জোটবদ্ধ হয়ে রাস্তা অবরোধ করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নির্বাচনের দিন ভোট লুট রুখে দিয়েছিলেন সিপিএম কর্মী ডালিম মণ্ডল। ফলে, তার উপর তৃণমূল (TMC) কর্মীদের রাগ ছিল। জানা গিয়েছে, পানপুর-কেউটিয়া পঞ্চায়েতের শঙ্করপুর গ্রামের বাসিন্দা পেশায় টোটো চালক ডামিলসাহেব সোমবার দুপুরে টোটো নিয়ে পানপুর মোড়ে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, ডালিমকে একা পেয়ে বেধড়ক পেটায় তৃণমূলের (TMC) লোকজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিপিএম কর্মী ডালিমকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তিনি এখন চিকিৎসাধীন। ঘটনার প্রতিবাদে কাঁকিনাড়া রোডের শঙ্করপুর মোড়ে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের কর্মী-সমর্থকরা। উত্তেজনার খবর পেয়ে শঙ্করপুর মোড়ে আসে বাসুদেবপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। স্বামীকে মারধর করায় ক্ষোভে লোকজন নিয়ে আহতের স্ত্রী শঙ্করপুর মোড়ে তৃণমূলের কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ অবশ্য আহতের স্ত্রীকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএম নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ভোট লুট রুখে দেওয়ার অপরাধে এই হামলা। পুলিশের মদতেই সব জায়গায় ভোট লুট করেছে তৃণমূল (TMC)। এখানে সাধারণ মানুষের বাধায় সেটা সম্ভব হয়নি। এখন তাদের চিনিয়ে দিয়ে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা হামলা চালাচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। সোমনাথ শ্যামের নেতৃত্বে আগে ভোট লুট করার চেষ্টা হয়ছিল। এদিনও তার নির্দেশে আমাদের ওই কর্মী আক্রান্ত হলেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    যদিও এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে, তৃণমূল জড়িত নয়। তবুও,  বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখে এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Panchayat elections 2023: নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে বিজেপির ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি

    Panchayat elections 2023: নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাস খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে বিজেপির ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনোত্তর (Panchayat elections 2023) সন্ত্রাসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গড়ল বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার চার সদস্যের ওই কমিটির সদস্যরা আসছেন রাজ্যে। কমিটিতে রয়েছেন সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ, মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার তথা সাংসদ সত্যপাল সিংহ, সাংসদ রাজদীপ রায় এবং বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ রেখা বর্মা। রাজ্যের সন্ত্রাস-বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখবেন ওই দলের সদস্যরা। ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গড়ায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস

    এদিকে, রবিবার রাতেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সোমবার তিনি দেখা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat elections 2023) হিংসার যে ছবি তিনি চাক্ষুষ করেছেন এবং যেসব অভিযোগ পেয়েছেন, সেগুলি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি। রাজভবন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসার যে ছবি সন্ত্রাস-বিধ্বস্ত এলাকায় গিয়ে দেখেছেন, তার একটি রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন রাজ্যপাল। সেই রিপোর্টই তুলে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে।

    রক্তের হোলি খেলা

    প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয়েছে রক্তের হোলি খেলা। সেদিনই মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে রাজনৈতিক হিংসার বলি হন এক কংগ্রেস কর্মী। তার পর থেকে রাজ্যে একে একে ঝরে গিয়েছে ৩২টি তাজা প্রাণ। এর মধ্যে কেবল নির্বাচনের দিনই খুন হয়েছেন ১৯ জন। এঁদের মধ্যে একজন ভোটারও রয়েছেন।

    এহ বাহ্য। গণতন্ত্রের (Panchayat elections 2023) উৎসবে ভাঙচুর করা হয়েছে ব্যালট বাক্স। ছিঁড়ে, পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের মাধ্যম হাজার হাজার ব্যালট পেপার। কোথাও আবার ব্যালট বাক্স তুলে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে জলাশয়ে। গণতন্ত্রের উৎসবের আগে পরে এহেন কিছু ছবিই রাজ্যপাল তুলে ধরবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে। খুনের রাজনীতিতে রাজ্যপাল যে যারপরনাই ব্যথিত, তার প্রমাণ মিলেছে নানা সময়।

    আরও পড়ুুন: পেটে লাথি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল খানাকুল

    এদিনও সংবাদ মাধ্যমকে রাজ্যপাল বলেন, “একটা জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি, সেটা হল যাঁরা খুন হয়েছেন তাঁরা গরিব মানুষ, যারা খুন করেছে তারাও গরিব। আমাদের দারিদ্রকে হত্যা করা উচিত। তার বদলে আমরা খুন করছি দরিদ্রদের। বাংলা এর যোগ্য নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Birbhum: পুনর্নির্বাচনের দিনই এনআইএ গ্রেফতার করল তৃণমূল প্রার্থীকে, চাঞ্চল্য বীরভূমে

    Birbhum: পুনর্নির্বাচনের দিনই এনআইএ গ্রেফতার করল তৃণমূল প্রার্থীকে, চাঞ্চল্য বীরভূমে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের পুনর্নির্বাচনের দিনই গ্রেফতার তৃণমূল প্রার্থী। সোমবার বীরভূমের নলহাটি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করল এনআইএ। দিন কয়েক আগে মহম্মদবাজার (Birbhum) থানা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ জিলেটিন স্টিক-সহ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। সেই তদন্তে নেমে এনআইএ-র জালে এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী। গ্রেফতারের কারণে জেলায় তীব্র শোরগোল।

    কে গ্রেফতার হলেন (Birbhum)?

    ধৃতের নাম মনোজ ঘোষ। ইতিপূর্বে তাঁকে দু’বার নোটিস পাঠিয়েছিল এনআইএ। এদিন নলহাটি (Birbhum) থানায় ডেকে পঞ্চায়েত প্রার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিল। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেও নলহাটিতে এনআইএ হানা দিয়েছিল। একটি পাথর খাদান থেকে বিস্ফোরক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার হয়। খাদানের যে ঘর থেকে উদ্ধার হয়, সেই ঘরটি এলাকার তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী মনোজ ঘোষের। আর এই সূত্র ধরেই গ্রেফতার হলেন তৃণমূল প্রার্থী।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    তৃণমূলের স্থানীয় এক নেতার দাবি, পরিত্যক্ত ঘর (Birbhum) থেকে সামান্য কিছু জিলেটিন উদ্ধার হয়েছে। আর তাকে ঘিরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতে চাইছে বিজেপি। এলাকায় ওরা জিততে পারবে না বলে এইভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহার করছে। মানুষের রায় নিয়ে বিজেপি জয়ী হতে পারবে না।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির স্থানীয় এক নেতার অভিযোগ, এই তৃণমূলের প্রার্থী পুলিশি মদতে বিস্ফোরক মজুত করে অবৈধ কারবার চালাচ্ছিল। আইনের উপরে কেউ নয়। অপরাধীরা শাস্তি পাবেই। ফলে ভোটের মুখে নলহাটির (Birbhum) বাহাদুরপুর গ্রামকে ঘিরে আলোচনা তুঙ্গে।

    নলহাটি কতটা সুরক্ষিত?

    নলহাটি (Birbhum) এলাকায় যতগুলি পাথর খাদান আছে, তার বেশিরভাগেরই কোনও সরকারি অনুমতি নেই। অথচ বেআইনি পথেই জিলেটিন, ডিটোনেটর দিয়ে খাদানের পাথরে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ব্যবসা চলছে। কিছুদিন আগেই ওই এলাকায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টিম একটি বড়সড় বিস্ফোরক পাচারকারী দলকে গ্রেফতার করে। পরে যার তদন্তভার নেয় এনআইএ। সেই সূত্র ধরেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এক দিকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, নির্বাচনের ফলাফল এবং অপর দিকে তৃণমূল প্রার্থী গ্রেফতারের ঘটনা ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share