Blog

  • Panchayat Poll: বৃষ্টি উপেক্ষা করে ২৩ বছর পর পাহাড়ে উৎসবের মেজাজে ভোট দিলেন ভোটাররা

    Panchayat Poll: বৃষ্টি উপেক্ষা করে ২৩ বছর পর পাহাড়ে উৎসবের মেজাজে ভোট দিলেন ভোটাররা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Poll) রাজ্য জুড়ে যখন সন্ত্রাস, খুনোখুনি চলছে, তখন উল্টো চিত্র দেখা গেল পাহাড়ে। শনিবারে পাহাড়ে শান্তিপূর্ণভাবেই দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন হল। এদিন সকাল থেকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হয়। কিন্তু, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে পাহাড়বাসী উৎসবের মেজাজে ভোট দিলেন। কেননা দীর্ঘ ২৩ বছর পর পঞ্চায়েত নির্বাচন হল। বিমল গুরুং এদিন দার্জিলিংয়ের পাতলেবাসে ভোট দেন।

    পাহাড়ে ভোট যুদ্ধে কারা রয়েছে?

    পাহাড়ের ভোটের (Panchayat Poll) লড়াই হচ্ছে অনিত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ও তৃণমূল কংগ্রেস জোটের সঙ্গে বিজেপির নেতৃত্বে আটটি আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলের জোটের। শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাহাড়ে একচ্ছত্র রাজ ছিল সুবাস ঘিসিংয়ের দল জিএনএলএফের। এখন পাহাড়ের রাশ অনিতের বিজিপিএমের হাতে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রামের রাশ কার হাতে যায় সেটাই দেখার বিষয়। দার্জিলিং জেলায় মোট ৫১৪টি বুথ রয়েছে। স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে ২৩ টি এবং দুর্গম এলাকায় ৩ টি বুথ রয়েছে। মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯৫২ জন। কালিম্পং এখন আলাদা জেলা। কাজেই জেলা হিসেবে সেখানে এবারই প্রথম পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে। দার্জিলিংয়ে ৭০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৯৮টি আসন রয়েছে। আর পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৫৬ টি আসন রয়েছে। কালিম্পঙে ৪২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৮১ টি আসন এবং  চারটি পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭৬ টি আসন রয়েছে।

    উৎসবের মেজাজে ভোট দিলেন ভোটাররা

    সকাল থেকেই বিভিন্ন বুথে পুরুষদের সঙ্গে মহিলা ভোটারদের ভিড় ছিল লক্ষ্যণীয়। বেশ কিছু বুথে আধা সামরিক বাহিনী ছিল না। তবুও, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হয়েছে। কার্যত ভোটকে (Panchayat Poll) কেন্দ্র করে উৎসবের মেজাজে পাহাড়। উত্তরবঙ্গের এবং দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই যখন রক্তাক্ত কাণ্ড, ঠিক সেই সময়ে উৎসবের আমেজেই ভোট দিলেন পাহাড়ের আমজনতা।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের নেতারা?

    বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের নেতাদের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠিকমতো মোতায়েন করা হয়নি। ফলে, পাহাড়ের অনেক মানুষ আতঙ্কে ভোট দেননি। আগেই জোটের বেশ কয়েকজন প্রার্থীকে ভয় দেখিয়ে অনিত থাপার দল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করিয়েছে। তারপরেও যারা হুমকি উপেক্ষা করে প্রার্থী থেকে গিয়েছেন তাঁদের ও গ্রামবাসীদের অনিত থাপার দল নানা ধরনের হুমকি দিয়ে চলেছে। যদিও অনিত থাপা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, শান্তিতেই পাহাড়ে ভোট হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: ব্যাপক বোমাবাজি দেগঙ্গা-আমডাঙা-অশোকনগরে, আতঙ্কিত সাধারণ ভোটাররা!

    North 24 Parganas: ব্যাপক বোমাবাজি দেগঙ্গা-আমডাঙা-অশোকনগরে, আতঙ্কিত সাধারণ ভোটাররা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিনে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাস। ভোট কেন্দ্রে বুথ দখল, ছাপ্পা, বোমাবাজি এবং হত্যার ঘটনায় উত্তাল রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসকদলের দৌরাত্ম্যের বিরুদ্ধে বিরোধীরা সরব সর্বত্র। এই জেলার দেগঙ্গা, আমডাঙা, অশোকনগরে চলে ব্যাপক বোমাবাজি। শাসক বনাম আইএসএফ কর্মীদের মধ্যে চলে প্রত্যক্ষ লড়াই।

    দেগঙ্গায় বোমাবাজি

    বেড়াচাঁপা (North 24 Parganas) ১ নং পঞ্চায়েতের বেলপুর বেলডাঙা এফপি হাইস্কুলে দেগঙ্গা বেলডাঙা ১২৪ নম্বর বুথে ভোট চলাকালীন ব্যাপক বোমাবাজির অভিযোগ শাসকদলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি এমনই হয় যে, ভোট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি ব্যালট পেপার পুড়িয়ে জলে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। এরপরই ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে ব্যালট বাক্স সহ ভোটের যাবতীয় কাগজপত্র ফেলে দেওয়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে বুথ ছেড়ে পালিয়ে যান ভোট কর্মীরা। ১৩৬ নম্বর বুথে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো এক মহিলা ভোটার জানান, ভোটের লাইনে ছিলাম আমরা। হঠাৎই দেখতে পাই বোমাবাজি শুরু করে শাসক দলের বহিরাগতরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই চারিদিকে বোম মারে তারা। প্রাণ বাঁচাতে পালাই সবাই। আমডাঙার রাহানা ৮০, ৮১, ৮২, নম্বর বুথে ভোটারদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগের তীর তৃণমূলের দিকে। ঘটনার জেরে রাহানায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা।

    আমডাঙায় বোমাবাজি

    চন্ডীপুর (North 24 Parganas) পঞ্চায়েতের প্রভাকরহাটি গ্রামের ৬৩ নম্বর বুথে তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষ হয়। ব্যাপক বোমাবাজি হয় বলে খবর হয়। প্রথমে তৃণমূল বুথে ঢুকে ব্যালট ছিনতাই করে ছাপ্পা ভোট দেয়। এরপর প্রতিরোধ করে পাল্টা বোমাবাজি করে আইএসএফ। বুথের ভিতরে ব্যালট বক্সের সামনে বোম রেখে ছাপ্পা দেয় সশস্ত্র শাসক দল।

    অশোকনগরে ব্যাপক বোমাবাজি

    অশোকনগর (North 24 Parganas) থানার সুলেমানপুর এলাকায় এক বাই ৭৩ নম্বর বুথে আইএসএফ ও তৃণমূলের মধ্যে চলে ব্যাপক বোমাবাজি। হাবড়া এসডিপিও রোহিত শেখের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী পাঁচজনকে অশোকনগর থানায় নিয়ে যায়। আপাতত সুলেমানপুর এলাকা থমথম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amarnath Yatra: প্রবল বৃষ্টি আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া! আপাতত স্থগিত অমরনাথ যাত্রা

    Amarnath Yatra: প্রবল বৃষ্টি আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া! আপাতত স্থগিত অমরনাথ যাত্রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রবল বৃষ্টি আর দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আপাতত স্থগিত অমরনাথ যাত্রা (Amarnath Yatra)। উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের পাশাপাশি গত কয়েক দিন ধরে জম্মু-কাশ্মীরের অনেক অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায়  ধস নামার খবরও মিলেছে। এমন পরিস্থিতিতে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসনের মনে হয়েছে অমরনাথ যাত্রা পুণ্যার্থীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এতে সাময়িক বিরতি রাখা হয়েছে। তবে রাজ্যের প্রশাসন এও জানিয়েছে, আবহাওয়ার উন্নতি হলেই আবার যাত্রার অনুমতি দেওয়া হবে। তথ্য বলছে, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে প্রায় ৭,২০০ পুণ্যার্থী বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন। শুক্রবার প্রশাসনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, “যাত্রা সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হচ্ছে। অমরনাথ গুহার দিকে কোনও পুণ্যার্থীকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।” প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগেই শুরু হয়েছে অমরনাথ যাত্রা। রাজ্যের প্রসাসন বলছে, গত সাত দিনে ৮৫ হাজার পুণ্যার্থী অমরনাথ গুহা দর্শন করেছেন।

    বন্যা সতর্কতা জারি করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরের একাধিক জায়গায়

    বৃষ্টির কারণে ধসের আশঙ্কা তো রয়েছেই পাশাপাশি রাস্তার অবস্থাও নানা জায়গায় বেশ খারাপ বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে, প্রবল বৃষ্টিতে নানা জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। রাস্তাগুলি গাড়ি চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। সূত্রের খবর, শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের সংযোগকারী জাতীয় সড়ক বন্ধ করা হয়েছে। মেহাদ, শেরি, এবং রম্বন জেলায় ধস নামার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। জানা গিয়েছে, রম্বন, শ্রীনগর থেকে সোনমার্গ যাওয়ার রাস্তা সহ একাধিক অঞ্চলে ধসের ফলে রাস্তা বন্ধ আছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে একাধিক জায়গায়।

    শুক্রবারই অমরনাথের (Amarnath Yatra) উদ্দেশে যাত্রা করেন পুণ্যার্থীদের অষ্টম ব্যাচ

    শ্রীনগর থেকে ১৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অমরনাথ মন্দির। ১২ হাজার ৭৫৬ ফিট উঁচুতে অবস্থিত অমরনাথ দর্শনে প্রতিবছর ভিড় করেন হাজার হাজার ভক্ত। চলতি বছরে অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়েছিল ১ জুলাই। এ পর্যন্ত সাতটি ব্যাচ মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা করার পর শুক্রবারই অমরনাথ রওনা দেয় পুণ্যার্থীদের অষ্টম ব্যাচ। সেরাজ্যের প্রশাসন বলছে, বালতাল এবং পহেলগাঁওয়ের ক্যাম্প থেকে ২৪৭টি গাড়িতে মোট ৭ হাজার ১০ জন পুণ্যার্থী অমরনাথের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। হিসাব বলছে, ৫ হাজার ১৭৯ জন মহিলা, ২১ জন শিশু, ২২৮ জন সাধু এবং ৩৩ জন সন্নাসিনী রয়েছে। ৯৪টি গাড়িতে বালতাল থেকে রওনা দিয়েছিলেন ২৪০ জন ভক্ত। পহেলগাঁও থেকে ১৫৩টি গাড়িতে রওনা দিয়েছিলেন ৪ হাজার ৬০০ পুণ্যার্থী। কিন্তু, তাঁদের সকলকেই ফিরে যেতে বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: “দুষ্কৃতীরা বন্দুক-বোমা নিয়ে নির্বাচনকে রক্তাক্ত করেছে!” হতাশ রাজ্যপাল

    North 24 Parganas: “দুষ্কৃতীরা বন্দুক-বোমা নিয়ে নির্বাচনকে রক্তাক্ত করেছে!” হতাশ রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পৌঁছালেন উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) কদম্বগাছিতে। ভোটের দিন মৃত্যু হয়েছে নির্দল প্রার্থীর। পঞ্চায়েত নির্বাচন শুরুর পর থেকেই সারা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের আবহ শুরু হয়েছে। নির্বাচনের দিনই এখনও পর্যন্ত প্রায় ১২ জনের প্রাণ গেছে। ব্যালট লুট, ছাপ্পা, বুথ দখল, ব্যালট বাক্স ছিনতাই সবটাই ঘটল অবাধে। নির্বাচন কমিশনের সক্রিয়তা চোখে পড়েনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাজ্যপাল আক্রান্ত এলাকায় গিয়ে বুলেটে নয়, ব্যালটে গণতন্ত্র রক্ষার কথা বললেন। ভোটের দিন রাজ্যে ভোট চলাকালীন সময়ে হিংসার বিষয়ে স্পষ্ট মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল।

    রাজ্যপাল কী বললেন (North 24 Parganas)? 

    ভোটের দিন কদম্বগাছিতে হিংসায় নিহত নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে আব্দুল্লাহের স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে দেখা করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল (North 24 Parganas) ভোটের দিন সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আমি ভেবেছিলাম নির্বাচন অনেক শান্তিপূর্ণ হবে। সাধারণ মানুষ নিজের অধিকার এবং পছন্দকে ভোটের মাধ্যমে প্রতিফলন ঘটাবে। কিন্তু দুঃখজনক! দুষ্কৃতীরা বন্দুক, বোমা নিয়ে নির্বাচনকে রক্তাক্ত করেছে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন অবশ্যই বুলেটে নয় ব্যালটে হতে হবে। মানুষ নিজের মত প্রকাশ করুক ভোটদানের মাধ্যমে। সরকার, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উচিত সাধারণ মানুষের জন্য ভোট প্রদানের পরিবেশ তৈরি করা। মানুষের অধিকারকে প্রয়োগ করার ব্যাপারে প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হতে হবে। ভারতীয় সমাজের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে।

    কেন গেলেন উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Parganas)?

    শনিবার পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরুর সময় থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) কদম্বগাছি এলাকা। ভোট প্রক্রিয়া শুরু হতেই  শাসক ও নির্দলের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বেড়ে যায়। দুই পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এর জেরে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান নির্দল প্রার্থী আব্দুল্লাহ। অভিযোগের তীর শাসক দলের বিরুদ্ধে। এর পরই উত্তেজিত জনতা ভোট কেন্দ্রে তালা লাগিয়ে দেয়। ভোট প্রক্রিয়া শুরুর এক ঘন্টা পর্যন্ত ভোটদান বন্ধ থাকে। পরে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় সেনাবাহিনী। তার পরে উত্তপ্ত এবং হিংসা কবলিত এলাকায় এসে পৌঁছান রাজ্যপাল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: গোয়ালপোখরে বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল প্রার্থী, জখম ১৫

    TMC: গোয়ালপোখরে বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল প্রার্থী, জখম ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চলাকালীন বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস প্রার্থী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর-১ ব্লকের চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তৃণমূল প্রার্থীর নাম মহম্মদ শাহেনশা। এই ঘটনায় আরও ১৫ জন জখম হয়েছেন। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। ভোটের দিনও জেলায় জেলায় একাধিক রাজনৈতিক কর্মী খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  তবে, এদিন দিনভর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী খুন হওয়ার ঘটনা ঘটলেও তৃণমূল প্রার্থী খুন হওয়ার নজির নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই ভোটে পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশার বাড়ি চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামে। তিনি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। সকাল থেকে ওই এলাকায় ভোট ঠিক মতোই চলছিল। ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশা যান। তৃণমূল প্রার্থী পৌঁছাতেই কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে গণ্ডগোল বেধে যায়। এরপরই কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ শুরু হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন মহম্মদ শাহেনশা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি প্রথমে তাঁকে চাকুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে মহম্মদ শাহেনশার অবস্থা অবনতি হয়। পরে, তাঁকে কিষাণগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল  বলেন, “বুথ চত্বরে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের প্রার্থী শাহেনশাকে কুপিয়ে খুন করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: দুপুর পর্যন্ত ১৩০০-র বেশি অভিযোগ! জেরবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন

    Panchayat Election 2023: দুপুর পর্যন্ত ১৩০০-র বেশি অভিযোগ! জেরবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যা আশঙ্কা ছিল বিরোধীদের, বাস্তবে তা অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল (Panchayat Election 2023)। সকাল থেকেই দিকে দিকে রক্ত ঝরল রাজ্যে। বেলা ১২ টা পর্যন্ত হিসাবে, রাজ্যে খুন হয়েছেন ৯ জন। কমিশনের হিসাবে, মৃত্যু হয়েছে নদিয়ায়-১, কোচবিহার-২, উত্তর ২৪ পরগণা-১, পূর্ব বর্ধমান-১, মুর্শিদাবাদ-৩, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (ভাঙড়)-১। তার পরও প্রাণহানির মতো মর্মান্তিক ঘটনার যেন বিরাম নেই। পরে খুনের ঘটনা ঘটেই চলেছে। সংখ্যাটা ১২ তে পৌঁছে যায় নিমেষে। আর তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের বুথ দখল, ছাপ্পা, বাধা পেলে মারধর, হুমকি এসব যেন রাজ্যরাসীর গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একের পর এক অভিযোগ আসছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের অফিসে। দুপুর পর্যন্তই সেখানে অভিযোগ জমা পড়েছে ১৩০০ রও বেশি। কমিশনের কর্তাদের দাবি, তাঁরা নাকি ৬০০ অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছেন। কী নিষ্পত্তি হল, তার অবশ্য ব্যাখ্যা মেলেনি। তাহলেও প্রশ্ন, বাকি ৭০০ অভিযোগের কী পরিণতি হল? এসব প্রশ্নের উত্তর অবশ্য মেলেনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৬৬.২৮ শতাংশ।

    কমিশন (Panchayat Election 2023) কী যুক্তি খাড়া করল?

    কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, কেউ কেউ ব্যালট বক্স নিয়ে পালিয়ে গেছে, কেউ কেউ ছাপ্পা ভোট দিয়েছে ইত্যাদি (Panchayat Election 2023)। কমিশনের সাফাই, আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে। যেখানে যেখানে অভিযোগ আসছে, আমরা সেখানে সমাধান করার চেষ্টা করছি। পুলিশ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অভিযোগগুলো দেখছে, তদন্ত করছে। আমরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, কোথায় কোথায় গন্ডগোল হয়েছে তার সমাধানসূত্র বের করার জন্য। গতকাল রাত পর্যন্ত যে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসে পৌঁছেছে, তাদেরকে মোতায়েনের কাজ করা হয়ে গেছে। আগামীকাল এই নির্বাচনের স্ক্রুটিনি হবে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে রিটার্নিং অফিসাররা থাকবে এবং এই ভোট প্রক্রিয়ার সঙ্গে যে সমস্ত কার্যকলাপ যুক্ত আছে, সবটাই আলোচনায় তুলে ধরা হবে।
    উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কোচবিহার, মুর্শিদাবাদ এই কয়েকটা জেলাতে গন্ডগোল (Panchayat Election 2023) হয়েছে। আজ সারাদিনই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কন্ট্রোল রুম খোলা আছে। জেলা থেকে বিভিন্ন অভিযোগ এই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে আমাদের কাছে অর্থাৎ রাজ্য নির্বাচন কমিশনে এসে পৌছছে। যেখানে যেখানে বেশি গন্ডগোল হচ্ছে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে।

    কমিশন যাই বলুক, মানুষের অভিজ্ঞতা ভিন্ন। কার্যত কমিশনের মদতেই রাজ্য জুড়ে শাসক দল তাণ্ডবলীলা চালিয়ে গেছে, এমন অভিযোগই দিনভর শোনা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ছাপ্পা মারতে এসে ধরা পড়ল তৃণমূলের দুষ্কৃতী, গাছে বেঁধে বেধড়ক মার

    Nadia: ছাপ্পা মারতে এসে ধরা পড়ল তৃণমূলের দুষ্কৃতী, গাছে বেঁধে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার মহেশনগর গ্রামে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভোট লুট করতে এলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদেরকে ধরে ফেলে। তাদের মধ্যে একজনকে বেধড়ক মারধর করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। দুষ্কৃতীদের তিনটি মোটর বাইক ভাঙচুর করে। বাকি দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রায় ৩০ জন এসেছিল বাইকে করে ভোট লুট করতে এবং ছাপ্পা মারতে। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছেছে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    নাকাশিপাড়ায় (Nadia) ধারালো অস্ত্রের আঘাত

    বেলা বৃদ্ধির সাথে সাথে পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠছে নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত। নাকাশিপাড়া ব্লকের তেঁতুলবেড়িয়া ৩০৮ নং বুথ দখলের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দুষ্কৃতীদের ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হয়েছেন তিনজন সিপিআইএম কর্মী। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালে পাঠানো হয়।

    চাপড়ায় চলল ছাপ্পা

    নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার বড় আন্দুলিয়া হাইস্কুলের ১০০ নম্বর বুথে ছাপ্পা মারার অভিযোগের পাশাপাশি শাসকদলের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। রীতিমতো বুথ দখল করে সাধারণ ভোটারদের ভয় দেখিয়ে এই ভোট লুটের অভিযোগ করছেন বিরোধীরা। 

    শান্তিপুরে চলল কোপাকুপি

    নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর ব্লকের গয়েশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোলাডাঙ্গা ৮ এবং ৯ নম্বর বুথে নির্দল-তৃণমূলের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। একাধিক কর্মীর মাথায় কোপের আঘাত লেগেছে বলে জানা যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ২০ জন। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। হরিণঘাটার বইকরায় শাসক-বিরোধীদের ব্যাপক বোমাবাজি হয়। আক্রান্ত ৫ জনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের এক শিশু সহ দুজন রয়েছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রত্যেককে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    হেমায়েতপুরে ছাপ্পা

    হেমায়েতপুর (Nadia) ২১৯ নম্বর বুথে ছাপ্পার অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে। সকাল থেকে চলছিল ছাপ্পা, বের করে দেওয়া হয় সাধারণ ভোটারদের। বুথগুলিকে সকাল থেকেই দখলে নেয় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি সাধারণ মানুষকে, আর সেই সঙ্গে চলছিল ছাপ্পা। বুথের ভেতরে নিদ্রায় মগ্ন ছিল পুলিশ। এরপরে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পথ অবরোধ করে। প্রতিবাদ জানিয়েও কোনও লাভ না হওয়ায় অবশেষে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পৌঁছায়। এরপর গ্রামবাসীদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাধে।এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা গোটা গ্রামে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: দুর্গাপুরে ভোট লুট করতে এসে তাড়া খেল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, ভাঙচুর, আগুন

    Panchayat Election 2023: দুর্গাপুরে ভোট লুট করতে এসে তাড়া খেল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা, ভাঙচুর, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট লুট করতে এসে ব্যাপক প্রতিরোধের মুখে বহিরাগতরা। উত্তেজিত জনতা ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দিল দুটি বাইকে। বাইক দুটি জনতার তাড়া খেয়ে ফেলে পালিয়ে যায় বহিরগতরা। অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী এরা। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের কাঁকসা থানার অন্তর্গত আমলাজোড়া অঞ্চলের বাবনাবেড়া অঞ্চলের ৪৭১ নম্বর বুথের কাছে। উত্তেজিত জনতাকে সমর্থন দেন স্থানীয় সিপিআইএম নেতৃত্ব। অভিযোগ, ভোট লুট করতে এলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রানিগঞ্জ জেমারী পঞ্চায়েতের চলবলপুর ৩২ এবং ৩৩ নম্বর বুথে বুথ লুট করার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরূদ্ধে। ভোট (Panchayat Election 2023) লুট রুখতে আসে সিপিএম। লাঠিসোঠা নিয়ে তাড়া করে উত্তেজিত জনতা। পরে পুনরায় আবার ভোট লুট করতে আসে শাসক দলের লোক। ভোট লুট রুখতে গেলে হামলা চালায় শাসক দল। দু’জন সিপিএম কর্মী আহত হন। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    অশ্লীল ভাষায় মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ (Panchayat Election 2023)

    রানিগঞ্জ ব্লকের অন্তর্গত আসানসোল দক্ষিণের তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের হারাভাঙ্গা ফ্রি প্রাইমারি স্কুলের ১৪০, ১৪১ এবং ১৪২ নম্বর বুথে সিপিআইএম ও বিজেপি প্রার্থীদের স্বামীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মহিলা প্রার্থীদের ধর্ষণ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে নির্বাচন (Panchayat Election 2023) শুরু হতেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে হানা দেয় ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে গেলে বিজেপি ও সিপিআইএম কর্মীরা তাদের বাধা দেয়। সিপিআইএমের নির্বাচনী এজেন্ট তথা প্রার্থী ময়না কর্মকারের স্বামী কল্লোল কর্মকার জানান, শাসক দলের কিছু দুষ্কৃতী এসে পরিবেশ উত্তপ্ত করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। বাম পোলিং এজেন্টের কলার ধরে, ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের সীমানার বাইরে বের করে দেওয়া হয়। বিজেপি প্রার্থী ছন্দা গোপের স্বামী নির্মল গোপ দাবি করেন, অশ্লীল ভাষায় মহিলা প্রার্থীদের আক্রমণ করা হয়েছে। কল্লোলবাবুর অভিযোগ, প্রার্থীদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করারও হুমকি দিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি এজেন্ট নির্মল কর্মকারের দাবি, এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে। বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পলকে ফোন করে জানানো হলে পুলিশ পাঠিয়েছেন ও পরিস্থিতি এখন শান্ত হলেও আবারও অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: বাসন্তী, কাটোয়া, চাপড়া ও লালগোলায় ফের চারজন খুন

    Panchayat Poll: বাসন্তী, কাটোয়া, চাপড়া ও লালগোলায় ফের চারজন খুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভোটের দিন (Panchayat Poll) হিংসার বলি হলেন চারজন রাজনৈতিক কর্মী। চাপড়া,বাসন্তী, কাটোয়া এবং লালগোলায় শনিবার ভোটকে কেন্দ্র করে খুনের ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে  তৃণমূল কর্মী আনিসুর ওস্তাগর নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। তিনি স্থানীয় তৃণমূল প্রার্থীর আত্মীয় বলে জানা গিয়েছে। এদিকে মুর্শিদাবাদের লালগোলায় বুথে সংঘর্ষ হয় বাম-তৃণমূলের। সেই সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বাম সমর্থকের। অপরদিকে, পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায় খুন হয়েছেন তৃণমূল কর্মী গৌতম রায়। অভিযোগ, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। আর নদিয়ার চাপড়ার কল্যাণদহে পিটিয়ে খুন করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    ভোটের (Panchayat Poll) লাইনে দাঁড়িতে থাকার সময় বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। এদিন ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। আইএসএফ প্রার্থীর দলবলের বিরুদ্ধে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ  জানিয়েছে, মৃতের নাম আনিসুর ওস্তাগর (৫০)। যদিও আইএসএফের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অন্যদিকে, নদিয়ার চাপড়া থানার কল্যাণদহ এলাকায় এবার পিটিয়ে খুন করা হল এক তৃণমূল কর্মীকে। আশঙ্কা জনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ১৫ জন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তৃণমূল কর্মীর নাম হামজাদ আলি হালসানা (৩০)। চাপড়া থানার কল্যাণদহ এলাকায় ভোটগ্রহণ নিয়ে উত্তেজনা বাড়ে। সেখানেই অভিযোগ ওঠে সিপিএম এবং কংগ্রেসের কিছু দুষ্কৃতী জোটবদ্ধ হয়ে তৃণমূল কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে। লাঠি দিয়ে হামলা চালানোর জেরে এক তৃণমূল কর্মী ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয়। বাকিদের জখম অবস্থায় চাপড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। এ বিষয়ে চাপড়া বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক রুখবানুর রহমান বলেন, অনেকদিন আগে থেকেই সিপিএম এবং কংগ্রেসের কিছু দুষ্কৃতী ঝামেলা বাঁধানোর চেষ্টা করছিল। আমরা এর আগেও পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এদিন তারাই হঠাৎ করে এসে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সকাল থেকেই উত্তেজনা ছেড়েছিল কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন বুথে। আধা সামরিক বাহিনীর পর্যাপ্ত না থাকায় উত্তেজনা ছিল বিভিন্ন এলাকায়। কাটোয়া দু’নম্বর ব্লক এর নন্দীগ্রামে সিপিএমের দাপুটে নেতা হরিনারায়ণ সামন্তের সঙ্গে বচসা বাঁধে তৃণমূলের পোলিং এজেন্ট গৌকম রায়ের। এরপরেই শুরু হয় হাতাহাতি। তারপর হরিনারায়ণ সামন্ত গৌতম রায়কে ধাক্কা মারেন এবং লাঠি নিয়ে চড়াও হন তাঁর ওপর। সিপিএম আশ্রিত দুষ্কতীদের হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের লালগোলার ছাইটুনি এলাকায় রওশন আলি (৪০) নামে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয়। অভিযোগের তির শাসক দলের বিরুদ্ধে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Murshidabad: ভোটের দিনও গুলি চলল সামশেরগঞ্জে, বেলডাঙায় এলোপাথাড়ি বোমা

    Murshidabad: ভোটের দিনও গুলি চলল সামশেরগঞ্জে, বেলডাঙায় এলোপাথাড়ি বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের দিন রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এই নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় বুথগুলিকে সব থেকে বেশি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ভোটের দিন সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ উত্তপ্ত। সামসেরগঞ্জের শুলিতলা এলাকায় ১৬ নম্বর বুথে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। বেলডাঙ্গা, ডোমকলে ভোট কেন্দ্রে ঢোকার আগেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা সাধারণ মানুষকে মারধর করে বের দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই ডোমকলে বোমাবাজির ঘটনায় জখম ৪। জেলা জুড়ে তীব্র আতঙ্ক।

    সামশেরগঞ্জে (Murshidabad) কী ঘটেছে?

    ভোটের দিন সকালে শুলিতলায় (Murshidabad) এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ইতিমধ্যেই সেই যুবকের নাম জানা গিয়েছে সানাউল শেখ, বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার শুলিতলা এলাকায়। ঘটনায় খবর পেয়ে পৌঁছেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও কী কারণে গুলি করা হল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

    ডোমকলে বিরোধী এজেন্টদের মারধর

    ডোমকল (Murshidabad) ব্লকের গড়াইমারী অঞ্চলে সিপিএম এজেন্টদেরকে বুথেরর ভেতর ঢোকার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাধা দেয়। এরপর তাঁদের লাঠি, কিল, ঘুষি মেরে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বোটারডাঙায় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব

    বোটারডাঙায় (Murshidabad) ভোট দিতে যাওয়ার সময় ২ জন তৃণমূল কর্মীকে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে। আহতের নাম নাসিম শেখ ও সাদিকুল শেখ।

    বেলডাঙায় বোমাবাজি

    বেলডাঙার (Murshidabad) ২ ব্লকের নওপুকুরিয়া এলাকায় ভোট দিতে যাওয়ার সময় বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় এক ব্যক্তি। ভোট দিতে যাওয়ার সময় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি বোমা ছোড়ে। আর সেই বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় একজন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সেই ব্যক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share